Category: পরম্পরা

Get updated History and Heritage and Culture and Religion related news from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Durga Puja 2024: বিজয়া দশমীর দিন কেন আকাশে ওড়ানো হত নীলকণ্ঠ পাখি? জেনে নিন এর কাহিনি

    Durga Puja 2024: বিজয়া দশমীর দিন কেন আকাশে ওড়ানো হত নীলকণ্ঠ পাখি? জেনে নিন এর কাহিনি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্গাপুজো (Durga Puja 2024) আর নীলকণ্ঠ পাখি ওতঃপ্রোতভাবে জড়িত। এক সময় দুর্গাপুজোর পর এই পাখিকে উড়িয়ে দেওয়া বনেদি ও জমিদার পরিবারগুলির ঐতিহ্য ছিল। আর তা দেখতে ভিড় উপচে পড়়ত। কালের নিয়মে বিশেষ করে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনের ফলে এটা এখন আর সম্ভব হয় না। তবুও এখনও বহু বনেদি বাড়িতে কাঠের বা মাটির নীলকণ্ঠ পাখি তৈরি করে সেটি প্রতিমা নিরঞ্জনের আগে জলে দেওয়ার প্রথা রয়েছে।

    কেন নীলকণ্ঠ পাখি ওড়ানো হত? (Durga Puja 2024)

    বিজয়া দশমীর দিন (Durga Puja 2024) নীলকণ্ঠ পাখির দেখা পাওয়াকে শুভ এবং সৌভাগ্যদায়ী বলে মনে করা হয়। কথিত আছে, এই পাখিটি দেখা গেলে সম্পদ বৃদ্ধি পায়, জীবনের সমস্ত অশুভ প্রভাব বিনষ্ট হয়। ফলস্বরূপ, বাড়িতে নিত্য শুভ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হতে থাকে। নীলকণ্ঠ পাখি দেখার বিষয়ে বিভিন্ন ধারণা রয়েছে। নীলকণ্ঠ পাখি উড়ে যাও, সেই কৈলাসে যাও, খবর দাও, উমা আসছে। তখন নীলকণ্ঠ পাখি আগমনের বার্তা নিয়ে মহাদেবের কাছে এসেছিল। আরেকটি জনপ্রিয় বিশ্বাস হল, মনে করা হয়, রাবণবধের ঠিক আগে এই পাখিটির (Durga Puja 2024) দেখা পান রামচন্দ্র। আবার অন্য একটি পৌরাণিক মতে, রাবণবধের আগেও, সেতুবন্ধনের সময় হাজির হয়েছিল নীলকণ্ঠ পাখি। পথ দেখিয়ে রাম-সেনাকে লঙ্কায় নিয়ে গিয়েছিল এই পাখি। এরকম পৌরাণিক কাহিনি থেকেই এই পাখির মাহাত্ম্য ছড়িয়ে পড়ে সমস্ত জায়গায়। তখন থেকেই মনে করা হয়, এই পাখির দর্শন অত্যন্ত শুভ।

    নীলকণ্ঠ পাখিকে শিবের প্রতিনিধি মানা হয়

    পৌরানিক মতে, লঙ্কা বিজয়ে রাম ব্রাহ্মণ হত্যার পাপ করেছিলেন। কারণ দশানন রাবণ ছিলেন ব্রাহ্মণ। তখন লক্ষ্মণ সহ রামচন্দ্র শিবের পুজো করেছিলেন এবং ব্রাহ্মণকে বধ করার পাপ থেকে মুক্তি পেয়েছিলেন। সেই সময় শিব নীলকণ্ঠ পাখির (Nilkontho Pakhi) রূপে পৃথিবীতে এসেছিলেন বলে অনেকের বিশ্বাস রয়েছে। নীলকণ্ঠ অর্থ, যার গলা নীল। দেবাদিদেব মহাদেব সমুদ্র মন্থন করার সময় বিষ পান করেছিলেন। কণ্ঠে সেই বিষকে ধারণ করার ফলে মহাদেবের কণ্ঠ নীল হয়ে যায়। তাই শিবের আর একটি নাম হল নীলকণ্ঠ। নীলকণ্ঠ পাখিকে (Durga Puja 2024) মর্ত্যলোকে শিবের প্রতিনিধি মানা হয় এবং দেবাদিদেব মহাদেবের রূপ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। জনশ্রুতি অনুসারে, শিব পৃথিবীতে নীলকণ্ঠ পাখি রূপেই ঘোরাফেরা করেন।

    নীলকণ্ঠ পাখি কেন কৃষকদের বন্ধু?

    নীলকণ্ঠ পাখির বিজ্ঞানের ভাষায় নাম ইন্ডিয়ান রোলার। এই পাখিটিকে কৃষকদের মিত্রও বলা হয়। কারণ, নীলকণ্ঠ পাখি জমিতে ফসলের সাথে জড়িত পোকামাকড় খেয়ে কৃষকদের উপকার করে থাকে। এ প্রসঙ্গে বলা দরকার, এক সময় দুর্গাপুজোর পর কলকাতার শোভাবাজার রাজবাড়িতে (Durga Puja 2024) নীলকণ্ঠ পাখি ওড়ানো হত বিজয়া দশমীর দিনে। তা দেখতে ভিড়ও হত। এখন বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনের ফলে এটা সম্ভব হয় না। শুধু শোভাবাজার নয় রাজ্যের অধিকাংশ জায়গায় আর এই পাখি ওড়ানো হয় না। তবে, প্রতীকী মেনে প্রথাটিকে বনেদি বাড়িতে ধরে রাখা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 145: “হাততালি দিলে যেমন বৃক্ষের উপরের পাখি সব পালায়, সব পাপ তাঁর নামগুণকীর্তনে চলে যায়”

    Ramakrishna 145: “হাততালি দিলে যেমন বৃক্ষের উপরের পাখি সব পালায়, সব পাপ তাঁর নামগুণকীর্তনে চলে যায়”

    বেলঘরে গ্রামে গোবিন্দ মুখোপাধ্যায়ের বাটীতে শ্রীরামকৃষ্ণের নরেন্দ্র প্রভৃতি ভক্তসঙ্গে কীর্তনানন্দে

    প্রথম পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ১৮ই ফেব্রুয়ারি

    বেলঘরেবাসী ও পাপবাদ 

    প্রতিবেশী—আমরা পাপী, আমাদের কি হবে (Kathamrita)?

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—তাঁর নামগুণকীর্তন করলে দেহের সব পাপ পালিয়ে যায়। দেহবৃক্ষে পাপপাখি; তাঁর নামকীর্তন যেন হাততালি দেওয়া। হাততালি দিলে যেমন বৃক্ষের উপরের পাখি সব পালায়, তেমনি সব পাপ তাঁর নামগুণকীর্তনে চলে যায়।

    আবার দেখ, মেঠো পুকুরের জল সূর্যের তাপে আপনা-আপনি শুকিয়ে যায়। তেমনি তাঁর নামগুণকীর্তনে পাপ-পুষ্করিণীর জল আপনা-আপনি শুকিয়ে যায়।

    রোজ অভ্যাস করতে হয়। সার্কাসে দেখে এলাম ঘোড়া দৌড়ুচ্ছে তার উপর বিবি একপায়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে। কত অভ্যাসে ওইটি হয়েছে।

    আর তাঁকে দেখবার জন্য অন্ততঃ একবার করে কাঁদ।

    এই দুটি উপায়—অভ্যাস আর অনুরাগ, অর্থাৎ তাঁকে দেখবার জন্য ব্যাকুলতা।

    বেলঘরেবাসীর ষট্‌চক্রের গান ও শ্রীরামকৃষ্ণের সমাধি 

    বৈঠকখানাবাড়ির দোতলা ঘরের বারান্দায় ঠাকুর ভক্তসঙ্গে প্রসাদ পাইতেছেন; বেলা ১টা হইয়াছে। সেবা সমাপ্ত হইতে না হইতে নিচের প্রাঙ্গণে একটি ভক্ত গান ধরিলেন:

    জাগ জাগ জননি,
    মূলাধারে নিদ্রাগত কতদিন গত হল কুলকুণ্ডলিনী।

    ঠাকুর (Ramakrishna) গান শুনিয়া সমাধিস্থ। শরীর সমস্ত স্থির, হাতটি প্রসাদপাত্রের উপর যেরূপ ছিল, চিত্রর্পিতের ন্যায় রহিল। খাওয়া আর হইল না। অনেকক্ষণ পরে ভাবের কিঞ্চিৎ উপশম হইলে বলিতেছেন (Kathamrita), “আমি নিচে যাব, আমি নিচে যাব।

    একজন ভক্ত (Ramakrishna) তাঁহাকে অতি সন্তর্পনে নিচে লইয়া যাইতেছেন।

    প্রাঙ্গণেই সকালে নামসংকীর্তন ও প্রেমানন্দে ঠাকুরের নৃত্য হইয়াছিল। এখনও সতরঞ্চি ও আসন পাতা রহিয়াছে। ঠাকুর এখনও ভাববিষ্ট; গায়কের কাছে আসিয়া বসিলেন। গায়ক এতক্ষণে গান থামাইয়াছিলেন। ঠাকুর অতি দীনভাবে বলিতেছেন, বাবু, আর-একবার মায়ের নাম শুনব।

    গায়ক আবার গান গাহিতেছেন (Kathamrita):

    জাগ জাগ জননি,
    মূলাধারে নিদ্রাগত কতদিন গত হল কুলকুণ্ডলিনী।
    স্বকার্যসাধনে চল মা শিরোমধ্যে, পরম শিব যথা সহস্রদলপদ্মে,
    করি ষট্‌চক্র ভেদ (মাগো) ঘুচাও মনের খেদ, চৈতন্যরূপিণি।

    গান শুনিতে শুনিতে ঠাকুর আবার ভাবাবিষ্ট।

    আরও পড়ুনঃ “একটা ঢোঁড়ায় ব্যাঙটাকে ধরেছে, ছাড়তেও পাচ্ছে না—গিলতেও পাচ্ছে না…”

    আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja 2024: সন্ধিপুজোয় লাগে ১০৮টি পদ্ম, জ্বালানো হয় ১০৮টি প্রদীপ, কেন জানেন?

    Durga Puja 2024: সন্ধিপুজোয় লাগে ১০৮টি পদ্ম, জ্বালানো হয় ১০৮টি প্রদীপ, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্ধিপুজোর (Sandhi Puja) সময় দেবীকে চামুণ্ডা রূপে পুজো করা হয়। তাই, দুর্গাপুজোর (Durga Puja 2024) অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হল সন্ধিপুজো। বলা হয়, অষ্টমী এবং নবমীর সন্ধিক্ষণের এই পুজোয় সারা বছর বিশেষ ফল লাভ হয়। অষ্টমী তিথির শেষ ২৪ মিনিট এবং নবমী তিথির প্রথম ২৪ মিনিট এই ৪৮ মিনিটের মধ্যেই শেষ হয় সন্ধিপুজো। এই পুজোর সঙ্গে জড়িয়ে আছে অনেকগুলি নিয়মকানুন এবং রীতিনীতি। যার মধ্যে অনেক নিয়ম অনেকেরই অজানা।

    কেন সন্ধিপুজোয় ব্যবহার করা হয় ১০৮টি পদ্ম ফুল? (Durga Puja 2024)

    পূরাণ মতে, দেবী দুর্গা আবির্ভূত হন অষ্টমী ও নবমী তিথির মিলনক্ষণেই, দেবী চামুণ্ডা রূপে। চন্ড ও মুন্ড নামক দুই ভয়ানক অসুরকে এই সন্ধিক্ষণে বধ করেছিলেন দেবী। অন্যদিকে কৃত্তিবাসের রামায়ণে উল্লেখ আছে, রাক্ষসরাজ রাবণকে বধ করার জন্য আশ্বিন মাসেই রামচন্দ্র অকাল বোধন করেন। সেখানেও সন্ধিপুজোর (Durga Puja 2024) বিশেষ তিথিতে দেবীকে ১০৮টি পদ্ম নিবেদন করা হয়। সেই সময় হনুমানকে দেবীদহ থেকে ১০৮টি পদ্ম ফুল তুলে আনতে বলা হয়। কিন্তু সেখানে পাওয়া যায় ১০৭টি পদ্ম। তখন রাম নিজে তাঁর পদ্ম সমান নেত্র দান করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। তখন দেবী আবির্ভূত হয়ে বরদান করেন যে, তিনি রাবণের থেকে নিজের সুরক্ষা সরিয়ে নেবেন। পদ্ম পবিত্রতার প্রতীক। পাঁকে জন্মালেও তার গায়ে কাদা লাগে না। সেরকমই বাইরের খারাপ মানুষের অন্তরকে যাতে ছুঁতে না পারে, তার উদ্দেশ্যেই দেবীর পায়ে পদ্ম সমর্পণ করা হয়।

    কেন জ্বালানো হয় ১০৮টি প্রদীপ?

    হিন্দু সংস্কৃতিতে, ১০৮ সংখ্যাটির গুরুত্ব কম নয়। দেবতাদের জপ করা হয় ১০৮টি নামের মধ্য দিয়ে। কৃষ্ণের অষ্টতর শত নামের মাহাত্ম্য সকলের জানা। আবার আয়ুর্বেদ শাস্ত্র অনুযায়ী মানব শরীরে রয়েছে ১০৮টি পয়েন্ট। দুর্গাপুজোতেও (Durga Puja 2024) ১০৮টি পদ্মের পাশাপাশি ১০৮টি প্রদীপ জ্বেলে দেবীর কাছে প্রার্থনা করা হয় অন্ধকার মুছে মানুষকে আলোর পথে নিয়ে যাওয়ার। ১০৮ প্রদীপের আলো অজ্ঞতা ও অশুদ্ধতা বিনাশ করে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 144: “কলিযুগে ভক্তিযোগই ভাল, ভক্তি দ্বারাও তাঁকে পাওয়া যায়, দেহবুদ্ধি থাকলেই বিষয়বুদ্ধি”

    Ramakrishna 144: “কলিযুগে ভক্তিযোগই ভাল, ভক্তি দ্বারাও তাঁকে পাওয়া যায়, দেহবুদ্ধি থাকলেই বিষয়বুদ্ধি”

    বেলঘরে গ্রামে গোবিন্দ মুখোপাধ্যায়ের বাটীতে শ্রীরামকৃষ্ণের নরেন্দ্র প্রভৃতি ভক্তসঙ্গে কীর্তনানন্দে

    প্রথম পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ১৮ই ফেব্রুয়ারি

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) বেলঘরে শ্রীযুক্ত গোবিন্দ মুখুজ্জের বাটীতে শুভাগমন করিয়াছেন। আজ রবিবার, (৭ই ফাল্গুন) ১৮ই ফেব্রুয়ারি, ১৮৮৩ খ্রীষ্টাব্দ, মাঘ শুক্লা দ্বাদশী, পুষ্যানক্ষত্র। নরেন্দ্র, রাম প্রভৃতি ভক্তরা আসিয়াছেন (Kathamrita), প্রতিবেশিগণ আসিয়াছেন। ৭/৮টার সময় প্রথমেই ঠাকুর নরেন্দ্রাদিসঙ্গে সংকীর্তনে নৃত্য করিয়াছিলেন।

    বেলঘরেবাসিকে উপদেশ—কেন প্রণাম—কেন ভক্তিযোগ 

    কীর্তনান্তে সকলেই উপবেশন করিলেন। অনেকেই ঠাকুরকে প্রণাম করিতেছেন। ঠাকুর মাঝে মাঝে বলিতেছেন, ঈশ্বরকে প্রণাম কর। আবার বলিতেছেন, তিনিই সব হয়ে রয়েছেন, তবে এক-এক জায়গায় বেশি প্রকাশ, যেমন সাধুতে। যদি বল, দুষ্ট লোক তো আছে, বাঘ সিংহও আছে; তা বাঘনারায়ণকে আলিঙ্গন করার দরকার নাই, দূর থেকে প্রণাম করে চলে যেতে হয়। আবার দেখ জল, কোন জল খাওয়া যায়, কোন জলে পূজা করা যায়, কোন জলে নাওয়া যায়। আবার কোন জলে কেবল আচান-শোচান (Kathamrita) হয়।

    প্রতিবেশী—আজ্ঞা, বেদান্তমত কিরূপ?

    শ্রীরামকৃষ্ণ(Ramakrishna)—বেদান্তবাদীরা বলে ‘সোঽহম্‌’ ব্রহ্ম সত্য, জগৎ মিথ্যা; আমিও মিথ্যা। কেবল সেই পরব্রহ্মই আছেন।

    কিন্তু আমি তো যায় না; তাই আমি তাঁর দাস, আমি তাঁর সন্তান, আমি তাঁর ভক্ত—এ-অভিমান খুব ভাল।

    কলিযুগে ভক্তিযোগই ভাল। ভক্তি দ্বারাও তাঁকে পাওয়া যায়। দেহবুদ্ধি থাকলেই বিষয়বুদ্ধি। রূপ, রস, গন্ধ, স্পর্শ, শব্দ—এই সকল বিষয়। বিষয়বুদ্ধি যাওয়া বড় কঠিন। বিষয়বুদ্ধি থাকতে ‘সোঽহম্‌’ হয় না।

    ত্যাগীদের বিষয়বুদ্ধি কম, সংসারীরা সর্বদাই বিষয়চিন্তা নিয়ে থাকে, তাই সংসারীর পক্ষে ‘দাসোঽহম্‌’(Ramakrishna)।

    আরও পড়ুনঃ “অভ্যাসযোগের দ্বারা কামিনী-কাঞ্চনে আসক্তি ত্যাগ করা যায়, গীতায় এ-কথা আছে

    আরও পড়ুনঃ “একটা ঢোঁড়ায় ব্যাঙটাকে ধরেছে, ছাড়তেও পাচ্ছে না—গিলতেও পাচ্ছে না…”

    আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja 2024: পুজো হয় ১৫ দিন ধরে, সন্ধিক্ষণের সময়ে মা জানান দিয়ে যান নিজের উপস্থিতি!

    Durga Puja 2024: পুজো হয় ১৫ দিন ধরে, সন্ধিক্ষণের সময়ে মা জানান দিয়ে যান নিজের উপস্থিতি!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আসানসোলের গাড়ুই গ্রামে দুর্গাপুজো (Durga Puja 2024) একেবারেই ব্যতিক্রমী। প্রায় ৫০০ বছরের প্রাচীন এই পুজো হয় ১৫ দিন ধরে। জিতাষ্টমীর পরের দিন নবমীতে মঙ্গলঘট প্রতিষ্ঠা দিয়ে শুরু হয় বোধন। সেই দিন থেকে পুজো চলে দশমী পর্যন্ত। শুধু তাই নয়, সন্ধিক্ষণের সময়ে মা নিজের উপস্থিতি জানান দিয়ে যান। লোকমুখে এমন বিশ্বাসের কথাই শোনা যায়।

    পারিবারিক দুর্গাপুজো (Durga Puja 2024)

    আসানসোল পুর নিগমের ২০ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত এই গাড়ুই গ্রাম। ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে অবস্থিত প্রাচীন এই গ্রামে পুরনো পারিবারিক দুর্গাপুজো এটি। চট্টোপাধ্যায়, মুখোপাধ্যায় এবং বন্দ্যোপাধ্যায়-এই তিন পরিবার রয়েছে এই পুজোয়। এই প্রাচীন পুজোকে ঘিরেই মানুষের উন্মাদনা বেশি। এখনও এই মূল ও প্রাচীন পুজোর নবপত্রিকাকে স্নান করিয়ে নিয়ে আসার সময় সেই পালকিই আগে আসে। অন্য দুটো পুজোর নবপত্রিকা তার পরে আনা হয়। শুধু তাই নয়, সন্ধিক্ষণ থেকে বলিদান বা অন্যান্য সমস্ত কিছু নিয়মকানুন এই প্রাচীন মন্দিরে আগে হয়, তারপর গ্রামের অন্য দুটি মন্দিরে সেই নিয়ম মানা হয়।

    অষ্টধাতুর মূর্তি

    পারিবারিক সদস্য ও মন্দিরের পুরোহিত বিপত্তারণ চট্টোপাধ্যায় ও ধীরেন চট্টোপাধ্যায় বলেন, প্রায় ৫০০ বছরের পুরনো এই পুজো। মন্দিরে অষ্টধাতুর মূর্তি রয়েছে। তা নিত্যপুজো হয়। যদিও পুজোয় দেবী দুর্গার মৃন্ময়ী মূর্তিও বানানো হয়। জিতাষ্টমীর পরের দিন নবমী তিথি পড়লেই গাড়ুই গ্রামের এই প্রাচীন মন্দিরে দুর্গাপুজো (Durga Puja 2024) শুরু হয়ে যায়। পুকুর থেকে নিয়ে আসা হয় মঙ্গলঘট। স্থাপন করা হয় মন্দিরের ভিতর। তিনি আরও বলেন, অষ্টধাতুর মূর্তিকে নিয়ে যাওয়া হয় সেই ঘটের সামনে। সেখানে শুরু হয় দুর্গার আরাধনা, পুজো-আর্চা, চণ্ডীপাঠ। দুর্গাপুজোর ১১ দিন আগে থেকেই পুজো শুরু হয়। অর্থাৎ, মোট ১৫ দিন ধরে এখানে (Asansol) দুর্গাপুজো হয়।

    মিলন উৎসবের চেহারা (Durga Puja 2024)

    শরিকি পরিবারের হলেও বর্তমানে এই পুজো গ্রামের মানুষের পুজো হয়ে গিয়েছে। সমস্ত গ্রামের মানুষ এসে এখানে আনন্দ করেন, অঞ্জলি দেন এবং প্রসাদ গ্রহণ করেন। পুজোর চারদিন বাইরে যাঁরা থাকেন, পরিবারের সেই সদস্যরাও ফিরে আসেন গ্রামে। একটা মিলন উৎসবের চেহারা নেয় গাড়ুই গ্রামের (Asansol) এই দুর্গাপুজো।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja 2024: দুর্গাপুজোয় কেন অষ্টমীর অঞ্জলি গুরুত্বপূর্ণ? জেনে নিন এবার কখন অঞ্জলি?

    Durga Puja 2024: দুর্গাপুজোয় কেন অষ্টমীর অঞ্জলি গুরুত্বপূর্ণ? জেনে নিন এবার কখন অঞ্জলি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেবতাকে অর্ঘ্য নিবেদন করাই অঞ্জলিদান। পুজোর (Durga Puja 2024) চারদিন পুষ্পাঞ্জলি দিলেও মহাষ্টমী মানেই সকালবেলা স্নান সেরে নতুন জামাকাপড় পরে মণ্ডপে গিয়ে দু’হাত ভরে ফুল নিয়ে মায়ের কাছে পুষ্পাঞ্জলি দেওয়ার আনন্দই আলাদা। যাঁদের বাড়িতে পুজো হয়, তাঁরা প্রতিদিন পুজো পর্যন্ত উপবাস করে অঞ্জলি দিয়ে প্রসাদ নেন। পুজোর প্রধান অঙ্গই হল অঞ্জলি। তাই, অঞ্জলি দেওয়ার জন্য মণ্ডপে ভিড় উপচে পড়ে।

    কেন অষ্টমীর অঞ্জলি গুরুত্বপূর্ণ? (Durga Puja 2024)

    পুরাণ মতে, ভাদ্র মাসের কৃষ্ণা নবমী তিথিতে (Durga Puja 2024) দেবতাদের তেজ ক্রমশ পুঞ্জিভূত হতে শুরু করে। সপ্তমী তিথিতে সেই পুঞ্জিভূত তেজ রাশি অবয়ব ধারণ করে। তাই সপ্তমী থেকে দেবীর মূর্তিতে পুজো শুরু হয়। মহাষ্টমী তিথিতে দেবতারা দুর্গাকে নানান অস্ত্র, রত্নহার, পদ্মের মালা দিয়ে সাজিয়ে তোলেন। যেহেতু মহাষ্টমীতে দেবী দুর্গাকে দেবতারা সাজিয়ে দিয়েছিলেন, তাই ওই দিন আমরাও মা দুর্গাকে সাজিয়ে দেবার চেষ্টা করি। সবচেয়ে উৎকৃষ্ট জিনিস দিয়ে সেদিন পুজো করা হয়। আমরা নিজেরাও সেরা বস্ত্রটি পরে মায়ের কাছে গিয়ে ফুল দিয়ে অঞ্জলি দিই। তাই মহাষ্টমীর অঞ্জলি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ।

    এবার কখন অঞ্জলি?

    এবছর ২ অক্টোবর, বুধবার মহালয়া। তবে পুজো কিন্তু এবার তিনদিনেই শেষ। মহাষষ্ঠী ২৩ আশ্বিন, ৯ অক্টোবর, বুধ (Durga Puja 2024) বার। মহাসপ্তমী ২৪ আশ্বিন, ১০ অক্টোবর, বৃহস্পতিবার। মহাঅষ্টমী ২৫ আশ্বিন, ১১ অক্টোবর, শুক্রবার। উল্লেখ্য, গুপ্তপ্রেস পঞ্জিকা অনুযায়ী সন্ধিপুজো শুরু হবে সকাল ৬। ২২। ৫৮ সেকেন্ডে। বলিদানের নির্ঘণ্ট সকাল ৬। ৪৬। ৫৮ সেকেন্ডে এবং সন্ধিপুজো সমাপন হবে সকাল ৭। ১০। ৫৮ সেকেন্ডে। নিয়ম অনুযায়ী সন্ধিপুজো শুরুর আগে অবধি চলবে অঞ্জলি। মহানবমী ও দশমী পুজো ২৬ আশ্বিন, ১২ অক্টোবর।

    অঞ্জলির ফল

    কথিত আছে, মহাষ্টমীতে দেবীর পুজো (Durga Puja 2024) করার সময় সঠিক নিয়ম মেনে চললে জীবনে কখনও আর্থিক দিক থেকে অবনতি ঘটে না। সব সময় সাফল্য আসে। জীবনে বহুদূর এগিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়। তাই ভোরে উঠে স্নান সেরে, নতুন পোশাক পরে প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে অষ্টমীর পুষ্পাঞ্জলি (Pushpanjali) দেওয়ার জন্য ভিড়ের ছবি চোখে পড়ে সকাল থেকেই। শক্তির আরাধ্যা দেবী দুর্গার কাছে নিজের ইচ্ছের কথা জানিয়ে প্রার্থনা করার শুভ সময় এটাই। এমনটাই মনে করেন শাক্তরা। অশুভ শক্তিকে বিনাশ করে স্বর্গরাজ্য রক্ষা করেছিলেন সর্বশক্তিমান দেবী মহিষাসুরমর্দিনী। প্রতি বছর শুক্লপক্ষের অষ্টমী তিথিতে দুর্গাষ্টমী ব্রত পালন করা হয়। বাঙালির সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের মধ্যে এই দুর্গাষ্টমীর ব্রত রন্ধ্রে রন্ধ্রে জড়িয়ে রয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja 2024: কেন করা হয় কুমারী পুজো? বয়স অনুযায়ী কুমারীদের কী কী নামে ডাকা হয়?

    Durga Puja 2024: কেন করা হয় কুমারী পুজো? বয়স অনুযায়ী কুমারীদের কী কী নামে ডাকা হয়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্গাপুজোর অষ্টমী মানেই সকালে স্নান করে নতুন জামাকাপড় পরে অঞ্জলি দেওয়া। তবে এদিন আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ রীতি হল কুমারী পুজো (Kumari Puja)। কোনও কুমারীকে দেবীজ্ঞানে পুজো করা হয় এদিন। হিন্দুধর্ম বিশ্বাসীদের মতে, জীব সেবাই শিব সেবা। অর্থাৎ জীবের মধ্যে দিয়েই শিব বা দেবতাকে খোঁজা। শাস্ত্রজ্ঞদের একাংশের মতে, সেই কারণেই দুর্গাপুজোয় (Durga Puja 2024) হয় কুমারী পুজো।

    কেন করা হয় কুমারী পুজো? (Durga Puja 2024)

    শাস্ত্রানুযায়ী, কুমারী পুজোর (Durga Puja 2024) উৎপত্তি হয় কোলাসুর-কে বধ করার মধ্যে দিয়ে। গল্পে বলা আছে, কোলাসুর নামে এক অসুর স্বর্গ ও মর্ত্যের অধিকার নেওয়ার ফলে দেবতাগণ মহাকালীর শরণাপন্ন হন। দেবগণের ডাকে সাড়া দিয়ে দেবী পুর্নজন্ম-এ কুমারীরূপে কোলাসুরকে বধ করেন। এর ফলে মর্ত্যে কুমারী পুজোর প্রচলন শুরু হয়। বর্ণনা অনুযায়ী, কুমারী পুজোতে কোনও জাতি, ধর্মভেদ নেই। তবে সাধারণত ব্রাক্ষণ কন্যাকেই পুজো করা হয়। এছাড়াও সেকালের ঋষি-মুনিরা প্রকৃতিকে নারীর সমান মনে করতেন। তাই কুমারী পুজোর মাধ্যমে প্রকৃতিকে পুজো করতেন তাঁরা। কারণ, তাঁরা মনে করতেন, মানুষের মধ্যেই রয়েছে ঈশ্বর। বিশেষ করে যাদের মন সৎ, যারা নিষ্পাপ, তাদের মধ্যেই ভগবানের প্রকট সবথেকে বেশি। এই গুণ কেবলমাত্র কুমারীদের মধ্যে থাকতে পারে, এই ভেবে তাদের দেবীরূপে পুজো করা হয়। আবার শাস্ত্রমতে, এক থেকে ষোল বছর বয়স পর্যন্ত ঋতুমতী না হওয়া বালিকাদেরই কুমারী রূপে পুজো করা হয়। নতুন বস্ত্র, ফুলের মালা, মুকুট, পায়ে আলতা, কপালে সিঁদুরের টিপ ও তিলক পরিয়ে কুমারীদের সাজিয়ে তোলা হয়। বয়সভেদে কুমারীর নাম রয়েছে ভিন্ন। 

    কুমারীদের কী নামে ডাকা হয়?

    এক বছরের কুমারীর নাম সন্ধ্যা। দু’বছরের কুমারী সরস্বতী নামে খ্যাতা। তিন বছরের কন্যাকে বলা হয় ত্রিধামূর্তি। চার বছরের কন্যা দেবী কালিকা নামে পরিচিতা। পাঁচ বছরের কন্যা সুভগা নামে খ্যাতা। ছ বছরের কুমারীকে বলা হয় উমা। কুমারীর বয়স সাত হলে তিনি মালিনী। বয়স আট হলে তিনি কুঞ্জিকা নামে পরিচিতা হবেন। ন বছরের কুমারীকে বলা হয় কালসন্দর্ভা। কুমারীর বয়স দশ হলে তিনি হবেন অপরাজিতা। কুমারীর বয়স এগারো হলে তিনি পরিচিত হবেন রুদ্রাণী রূপে। বারো বছরের কুমারী ভৈরবী হিসেবে পরিচিত। কুমারীর বয়স তেরো হলে তিনি হবেন মহালক্ষ্মী। চোদ্দ বছরের কুমারীকে বলা হয় পঠিনায়িকা। কুমারীর বয়স পনেরো হলে তিনি হবেন ক্ষেত্রজ্ঞা। আর ষোল কুমারী যদি ষোলো বছর বয়স্কা হন, তাহলে তিনি অম্বিকা নামে পরিচিত হবেন। এই আলোচনার নির্যাস হল, এক থেকে ষোল বছর বয়সী কন্যাদেরই কেবল কুমারী রূপে পুজো (Durga Puja 2024) করা হয়।

    বেলুড় মঠে কবে শুরু হয় কুমারী পুজো?

    ১৯০১ সালে স্বামী বিবেকানন্দ কলকাতার বেলুড় মঠে প্রথম কুমারী পুজো (Durga Puja 2024) শুরু করেছিলেন। সেই থেকেই প্রতি বছর বেলুড়ে মহা ধুমধাম করে এই পুজোর প্রথা চলে আসছে। তবে, কুমারী পুজো সর্বত্র হয় না। যাঁদের পারিবারিক রীতি রয়েছে, তাঁদের বাড়িতে হয়। আর ইদানিং হচ্ছে সর্বজনীন পুজোগুলিতেও। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই কুমারী পুজো হয় অষ্টমীতে। সপ্তমীতে যেহেতু দেবী আসেন গৃহস্থের বাড়িতে, তাই এদিন কুমারী পুজো হয় না। কুমারী পুজো হয় অষ্টমীর দিন। সন্ধিপুজোর আগে। তবে কোনও কোনও পরিবার কুমারী পুজো হয় নবমীতেও। বৃহদ্ধর্মপুরাণ মতে, স্বয়ং মহামায়া কুমারী রূপে দেবতাদের সামনে আবির্ভূতা হয়ে বেলগাছে দেবীর বোধন করতে নির্দেশ দেন। সেই থেকে কুমারী পুজো হয়ে গিয়েছে দুর্গাপুজোর অঙ্গ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja 2024: আজ মহাষষ্ঠীর দিনেই অকাল বোধন, রীতি মেনে উন্মোচন করা হবে মায়ের মুখ

    Durga Puja 2024: আজ মহাষষ্ঠীর দিনেই অকাল বোধন, রীতি মেনে উন্মোচন করা হবে মায়ের মুখ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ মহাষষ্ঠী। আর আজকের দিনেই দুর্গাপুজোর প্রথম অন্যতম যে নিয়মটি পালন করা হয়ে থাকে, তা হল বোধন (Bodhon)। এই ‘বোধন’ শব্দটির অর্থ হল জাগ্রত করা। মর্ত্যে দুর্গার আবাহনের জন্য বোধনের রীতি প্রচলিত রয়েছে। দেবী দুর্গার (Durga Puja 2024) মুখের আবরণ উন্মোচন করা হয় এই দিনে। সাধারণত ষষ্ঠীর সন্ধ্যায় এই নিয়মটি পালন করা হয়ে থাকে।

    বোধনের তাৎপর্য (Durga Puja 2024)

    পৌরাণিক কাহিনি অনুসারে, মহাষষ্ঠীর দিন দেবী দুর্গা (Durga Puja 2024) তাঁর চার সন্তান-সরস্বতী, লক্ষ্মী, গণেশ এবং কার্তিককে নিয়ে স্বর্গ থেকে মর্ত্যে অবতরণ করেন। ফলে, আজ থেকে ঢাক ও কাঁসরের আওয়াজে চারদিক যেন গমগম করে। মা দুর্গার আগমনে সবাই যেন আনন্দে মাতোয়ারা হয়ে ওঠে। পৌরাণিক কাহিনি অনুসারে, এদিন মা দুর্গা স্বর্গ থেকে মর্ত্যে পদার্পণ করেন। দেবী দুর্গার মুখের আবরণ উন্মোচনই এই দিনের প্রধান কাজ। এই দিন কল্পারম্ভ-এর মাধ্যমে সূচনা হয় পুজোর। তারপর আমন্ত্রণ ও অধিবাসের মাধ্যমে মা-কে বরণ করে নেওয়া হয়। অকাল বোধনের মাধ্যমেই উন্মোচন করা হয় মায়ের মুখ। মনে করা হয় বোধনের পর প্রতিমার মধ্যে প্রাণ প্রতিষ্ঠিত হয়। এই নিয়মের পরেই সকল দেব-দেবী এবং তার সঙ্গে মহিষাসুরেরও পুজো করা হয়। এরপরই মহা সমারোহে শুরু হয় দুর্গাপুজো।

    অকাল বোধনের কাহিনি

    বোধনকে আবার অকাল-বোধনও বলা হয়ে থাকে। হিন্দু শাস্ত্র মতে, সূর্যের উত্তরায়ন দেবতাদের সকাল। উত্তরায়নের ছয় মাস দেবতাদের দিন হিসেবে গণ্য করা হয়। সকালে সমস্ত দেব-দেবীর পুজো (Durga Puja 2024) করা হয়। আবার দক্ষিণায়ন শুরু হলে ছয় মাসের জন্য নিদ্রায় যান সমস্ত দেব-দেবী। এই দক্ষিণায়ন দেবতাদের রাত। রাতে দেব-দেবীর পুজো করা হয় না। কিন্তু দক্ষিণায়নের ছয় মাসের মধ্যেই দুর্গাপুজো হয় বলে বোধনের মাধ্যমে আগে দেবী দুর্গাকে ঘুম থেকে তোলা হয়। আর পুরাণ মতে, এই কাজটি সর্বপ্রথম করেছিলেন দশরথ পুত্র রাজা রামচন্দ্র। লঙ্কায় রাবণের সঙ্গে যুদ্ধে যাওয়ার আগে এই তিথিতেই দুর্গার বোধন করেছিলেন রামচন্দ্র। তাই ষষ্ঠীর বোধনে বা অকালে মা দুর্গাকে জাগিয়ে তোলা হয়েছিল বলেই এই বোধনকে অকাল-বোধনও বলা হয়ে থাকে। উৎসবপ্রেমী বাঙালীদের সবচেয়ে বড় পার্বণ হল দুর্গা পুজো। দুর্গা পুজো শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গে নয়, দেশের বহু রাজ্যে ধুমধাম করে উদযাপন করা হয়ে থাকে। এছাড়া বিদেশেও বাঙালিরা উৎসাহ ও আনন্দের সঙ্গে জাঁকজমকভাবে উৎযাপন করে থাকে পুজোর দিনগুলি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja 2024: দশমীর দিন সিঁদুর খেলায় মেতে ওঠেন হিন্দু বধূরা, কবে শুরু হয়েছিল এই রীতি?

    Durga Puja 2024: দশমীর দিন সিঁদুর খেলায় মেতে ওঠেন হিন্দু বধূরা, কবে শুরু হয়েছিল এই রীতি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সারা বছর অপেক্ষার পর মহালয়া শুরু হলেই চারদিকে পুজো পুজো (Durga Puja 2024) গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে। আনন্দে মেতে ওঠে মন। আর দশমী আসা মানেই মন বিষাদে পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে। দশমী মানেই বিজয়া। এবার মাকে বিদায় দেওয়ার পালা। সিঁদুরে রাঙা মায়ের মুখখানি যে বড়ই প্রিয় আম বাঙালির। মিষ্টিমুখ করিয়ে ঘরের মেয়ে উমাকে এবার কৈলাসে পাঠানোর শুরু হয় তোড়জোড়। আর এই সূত্র ধরেই সিঁদুর খেলায় মেতে ওঠেন বাড়ির বধূরা। বিজয়া দশমীর একটি অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হল সিঁদুর খেলা। হিন্দু বিবাহ রীতিতে সিঁদুরদান একট লৌকিক আচার। স্বামীর মঙ্গল কামনায় সিঁদূর পরেন বিবাহিত মহিলারা। দুর্গা বিবাহিত হওয়ায় তাঁকে সিঁদুর লাগিয়ে, মিষ্টি মুখ করিয়ে বিদায় জানানো হয়।

    সিঁদুর খেলার প্রচল কবে? (Durga Puja 2024)

    সিঁদুর খেলার (Sindur Khela) প্রচলন ঠিক কবে থেকে, তার সঠিক কোনও তথ্যপ্রমাণ নেই। ইতিহাসবিদ ও শাস্ত্রজ্ঞ পণ্ডিতদের কেউ কেউ বলেন, দুশো বছর আগে সিঁদুর খেলার প্রচলন হয়েছিল। তখন বর্ধিষ্ণু জমিদার পরিবারগুলিতে দশমীর দিন প্রতিমা বিসর্জনের আগে বাড়ির মহিলারা একে অপরকে সিঁদুরে রাঙিয়ে স্বামী ও পরিবার পরিজনদের মঙ্গল কামনা করতেন। আবার অন্য একটি মত অনুযায়ী, সিঁদুর খেলার ঐতিহ্য চারশো বছরের পুরনো। অন্য কোনও কারণ নয়, শুধুমাত্র খেলার ছলেই এই প্রথার চল হয়। মায়ের বিসর্জনের দিন সকলের মনই ভারাক্রান্ত থাকে। তাই ওইদিন একটু আনন্দ-উল্লাসের জন্যই সিঁদুর (Durga Puja 2024) খেলার প্রবর্তন হয়। সেই ঐতিহ্যই সমান ভাবে চলছে আজও।

    পুরাণ মতে সিঁদুর খেলা

    পুরাণ মতে, ৯ দিন ৯ রাত্রি মহিষাসুরের সঙ্গে যুদ্ধ হয় দশভূজা দুর্গার। দশমীর দিনে মহিষাসুর বধ করেন দুর্গা। অধর্মের ওপর ধর্ম ও অসত্যের ওপর সত্যের জয়ের দিন এটি। সেই জয়কে চিহ্নিত করতেই দশমীর আগে বিজয়া শব্দটি ব্যবহৃত হয়। দশমীর দিনে এই জয়লাভ বলে দিনটিকে বিজয়া দশমী বলা হয়। পুরাণ মতে সিঁদুর ব্রহ্মের প্রতীক। বিবাহিত রমণীরা সেই ব্রহ্মস্বরূপ সিঁদুর সিঁথিতে ধারণ করে থাকেন স্বামী ও পরিবারের মঙ্গলকামনায়। শ্রীমদ্ভগবত অনুসারে, গোপিনীরা কাত্যায়নী ব্রত পালন করতেন। যমুনা নদীর তীরে মাতার মাটির মূর্তি স্থাপন করে, ধূপ-ধুনো জ্বালিয়ে এই ব্রত পালিত হত। এরপর গোপীনিরা নাকি সিঁদুর খেলায় মেতে উঠতেন। একে অপরকে সিঁদুর পরিয়ে তাঁরা আসলে শ্রীকৃষ্ণের মঙ্গল কামনা করতেন বলেই কথিত রয়েছে।

    সিঁদুর খেলায় মেতে ওঠেন সকলে

    বারোয়ারি মণ্ডপ (Durga Puja 2024) হোক অথবা বাড়ির পুজো, শাড়ি পরে মাতৃ জাতিকে সিঁদুর খেলতে দেখা যায়। শুধুমাত্র বিবাহিত বা প্রচলিত ভাষায় সধবা মহিলারা নন, এখন অবিবাহিত মহিলারা, প্রচলিত ভাষায় যাদের কুমারী মেয়ে বলা হয়, তাঁদেরকেও দেখা যায় সিঁদুর খেলায় মেতে উঠতে। কথিত আছে যে এই সিঁদুর লাগালে বিবাহিতরা সৌভাগ্যবতী হওয়ার বর পান। বাঙালি মহিলাদের মধ্যে সিঁদুর খেলার সাথে ধুনুচি নাচও দেখা যায়। মনে করা হয় মা দুর্গা ধুনুচি নাচে খুশি হন। প্রাচীনকালে লাল সিঁদুরকে ভারতীয় নারীরা বেছে নিয়েছিলেন তাঁদের অন্যতম প্রসাধনী হিসেবে। গালে সিঁদুর মেখে, হাতে প্রসাদের রেকাবি নিয়ে সেলফি তুলে তা সোশ্যাল মিডিয়াতে আপলোড করাটাও এখন রীতি হয়ে গিয়েছে। পুজো মানে তো প্রেমের মরসুম। মণ্ডপের পুষ্পাঞ্জলিতে শাড়ি-পাঞ্জাবিতে প্রেমিক-প্রেমিকাদের উপস্থিতিও চোখে পড়ে। দশমীর দিন তাই প্রেমিকের হাতে সিঁদুরের ছোঁয়া না পেলে প্রেমটাও ঠিক জমে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 143: “অভ্যাসযোগের দ্বারা কামিনী-কাঞ্চনে আসক্তি ত্যাগ করা যায়, গীতায় এ-কথা আছে”

    Ramakrishna 143: “অভ্যাসযোগের দ্বারা কামিনী-কাঞ্চনে আসক্তি ত্যাগ করা যায়, গীতায় এ-কথা আছে”

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ দক্ষিণেশ্বর-মন্দিরে শ্রীযুক্ত রাখাল, প্রাণকৃষ্ণ, কেদার প্রভৃতি ভক্তসঙ্গে

    পঞ্চম পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ১লা জানুয়ারি

    অভ্যাসযোগ—দুই পথ—বিচার ও ভক্তি

    বেলা ৩টা। মারোয়াড়ী ভক্তেরা মেঝেতে বসিয়া ঠাকুরকে প্রশ্ন করিতেছেন। মাস্টার, রাখাল ও অন্যান্য ভক্তেরা ঘরে আছেন।

    মারোয়াড়ী ভক্ত—মহারাজ, উপায় কি?

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—দুইরকম আছে। বিচারপথ—আর অনুরাগ বা ভক্তির পথ।

    সৎ-অসৎ বিচার। একমাত্র সৎ বা নিত্যবস্তু ঈশ্বর, আর সমস্ত অসৎ বা অনিত্য। বাজিকরই সত্য, ভেলকি মিথ্যা। এইটি বিচার।

    বিবেক আর বৈরাগ্য (Kathamrita)। এই সৎ-অসৎ বিচারের নাম বিবেক। বৈরাগ্য অর্থাৎ সংসারের দ্রব্যের উপর বিরক্তি। এটি একবারে হয় না।—রোজ অভ্যাস করতে হয়।—তারপর তাঁর ইচ্ছায় মনের ত্যাগও করতে হয়, বাহিরের ত্যাগও করতে হয়। কলকাতার লোকদের বলবার জো নাই ‘ঈশ্বরের জন্য সব ত্যাগ কর—বলতে হয় ‘মনে ত্যাগ কর।

    অভ্যাসযোগের দ্বারা কামিনী-কাঞ্চনে আসক্তি ত্যাগ করা যায়। গীতায় এ-কথা আছে। অভ্যাস দ্বারা মনে অসাধারণ শক্তি এসে পড়ে, তখন ইন্দ্রিয় সংযম করতে—কাম, ক্রোধ বশ করতে—কষ্ট হয় না। যেমন কচ্ছপ হাত-পা টেনে নিলে আর বাহির করে না; কুড়ুল দিয়ে চারখানা করে কাটলেও আর বাহির করে না।

    মারোয়াড়ী ভক্ত—মহারাজ, দুই পথ বললেন; আর-এক পথ কি?

    শ্রীরামকৃষ্ণ—অনুরাগের বা ভক্তির পথ। ব্যাকুল হয়ে একবার কাঁদ—নির্জনে, গোপনে—দেখা দাও বলে।

    ডাক দেখি মন ডাকার মতো কেমন শ্যামা থাকতে পারে!

    মারোয়াড়ী ভক্ত—মহারাজ, সাকারপূজার মানে কি? আর নিরাকার, নির্গুণ—এর মানেই বা কি?

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—যেমন বাপের ফটোগ্রাফ দেখলে বাপকে মনে (Kathamrita) পড়ে, তেমনি প্রতিমায় পূজা করতে করতে সত্যের রূপ উদ্দীপন হয়।

    সাকাররূপ কিরকম জান? যেমন জলরাশির মাঝ থেকে ভুড়ভুড়ি উঠে সেইরূপ। মহাকাশ চিদাকাশ থেকে এক-একটি রূপ উঠছে দেখা যায়। অবতারও একটি রূপ। অবতারলীলা সে আদ্যাশক্তিরই খেলা।

    পাণ্ডিত্য—আমি কে? আমিই তুমি 

    পাণ্ডিত্যে কি আছে? ব্যাকুল হয়ে ডাকলে তাঁকে পাওয়া যায়। নানা বিষয় জানবার দরকার নাই। যিনি আচার্য তাঁরই পাঁচটা জানা দরকার। অপরকে বধ করবার জন্য ঢাল-তরোয়াল চাই; আপনাকে বধ করবার জন্য একটি ছুঁচ বা নরুন হলেই হয়।

    আমি কে, এইটি খুঁজতে গেলে তাঁকেই পাওয়া যায়। আমি কি মাংস, না হাড়, না রক্ত, না মজ্জা—না মন, না বুদ্ধি? শেষে বিচারে দেখা যায় যে, আমি এ-সব কিছুই নয়। ‘নেতি’ ‘নেতি’। আত্মা ধরবার ছোঁবার জো নাই। তিনি নির্গুণ—নিরুপাধি।

    কিন্তু ভক্তি মতে তিনি সগুণ। চিন্ময় শ্যাম, চিন্ময় ধাম—সব চিন্ময়।

    মারোয়াড়ী ভক্তেরা প্রণাম করিয়া বিদায় গ্রহণ করিলেন।

    দক্ষিণেশ্বরে সন্ধ্যা ও আরতি 

    সন্ধ্যা হইল। ঠাকুর গঙ্গাদর্শন করিতেছেন। ঘরে প্রদীপ জ্বালা হইল, শ্রীরামকৃষ্ণ জগন্মাতার নাম করিতেছেন ও খাটটিতে উপবিষ্ট হইয়া তাঁহার চিন্তা (Kathamrita) করিতেছেন।

    ঠাকুরবাড়িতে (Ramakrishna) এইবার আরতি হইতেছে। যাঁহারা এখনও পোস্তার উপর বা পঞ্চবটী মধ্যে পাদচারণ করিতেছেন তাঁহারা দূর হইতে আরতির মধুর ঘন্টা-নিনাদ শুনিতেছেন। জোয়ার আসিয়াছে—ভাগীরথী কুলকুল শব্দ করিয়া উত্তরবাহিনী হইতেছেন। আরতির মধুর শব্দ কুলকুল শব্দের সহিত মিশ্রিত হইয়া আরও মধুর হইয়াছে। এই সকলের মধ্যে প্রেমোন্মত্ত ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ বসিয়া আছেন। সকলই মধুর! হৃদয় মধুময়! মধু, মধু, মধু!

    আরও পড়ুনঃ “একটা ঢোঁড়ায় ব্যাঙটাকে ধরেছে, ছাড়তেও পাচ্ছে না—গিলতেও পাচ্ছে না…”

    আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share