Category: পরম্পরা

Get updated History and Heritage and Culture and Religion related news from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Hinduism And Quantum Physics: সনাতন ধর্মের  বেদের দ্বারা প্রাণিত হয়েছিলেন পাশ্চাত্যের বিজ্ঞানীরা?

    Hinduism And Quantum Physics: সনাতন ধর্মের  বেদের দ্বারা প্রাণিত হয়েছিলেন পাশ্চাত্যের বিজ্ঞানীরা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘সবই বেদে আছে।’ বহু ব্যবহারে অতি ক্লিশে হয়ে যাওয়া এই শব্দবন্ধ যে নিছক কথার কথা নয়, তার প্রমাণ মিলেছে বহুবার। এবার আরও একবার জানা গেল, মহাবিশ্বের বয়স অনুমান থেকে শুরু করে জ্যামিতি, ত্রিকোণমিতি, জ্যোতির্বিদ্যা, সৃষ্টিরহস্য সবই রয়েছে হিন্দু ধর্মের মূল স্তম্ভরূপ শক্তি বেদে (Hinduism And Quantum Physics)। বিজ্ঞানীদের একটা বড় অংশের মতে, মহাবিশ্বের যে বয়স অনুমান করে আধুনিক বিজ্ঞান, তার সঙ্গে মেলে বেদে উল্লিখিত তথ্যও।

    ‘সবই বেদে আছে’ (Hinduism And Quantum Physics)

    অথর্ব বেদের চিকিৎসা পদ্ধতি আজও বিস্ময়ের জন্ম দেয় চিকিৎসকদের মধ্যে। চরক এবং সুশ্রুত সংহিতায় এমন কিছু চিকিৎসা পদ্ধতির কথা রয়েছে, যা আজও চিকিৎসা বিজ্ঞানের বিস্ময় বলে বিবেচিত হয়। এই বেদেই মেলে কোয়ান্টাম ফিজিক্সের বহু তত্ত্ব। ক্যালকুলাস, শূন্য, ঋণাত্মক সংখ্যার ধারণা, দশমিক, পাই, সাইন, কো-সাইইন, বিগ ব্যাং এবং একটি আন্তঃমাত্রিক মাল্টিভার্সের ধারণাও পাই বেদে (Hinduism And Quantum Physics)।

    কর্ম এবং পুনর্জন্মের ধারণা

    কর্ম এবং পুনর্জন্মের যে ধারণা বহু আগে বলে গিয়েছেন আর্য ঋষিরা, সেসবেরই মূল ভিত্তি ছিল বৈজ্ঞানিক। পদার্থবিদ্যায় বলা হয় শক্তি অবিনশ্বর। বেদেও তো বলা হয়েছে শক্তির সৃষ্টি কিংবা ধ্বংস নেই। সেটা প্রাণ শক্তি হোক কিংবা পরাশক্তি। পদার্থবিদ্যায় বলে প্রত্যেক ক্রিয়ার একটি সমান ও বিপরীত প্রতিক্রিয়া রয়েছে। সনাতন ধর্মের কর্মফলবাদও তো সেকথাই বলে আসছে সেই কোন সুপ্রাচীন কাল থেকে।

    ‘কজ অ্যান্ড এফেক্ট’

    ফিজিক্সের ‘কজ অ্যান্ড এফেক্টে’র কথাই ধরা যাক। বৈদিক ঋষি এই তত্ত্বের উদগাতা। যদিও আধুনিক বিজ্ঞানের দাবি, এ সত্য তাদের আবিষ্কার। অথচ, সনাতন ধর্মের কার্য-কারণবাদের ধারণার সঙ্গে মেলে আধুনিক জ্যোতির্বিদ্যা, পদার্থবিদ্যা, জীববিজ্ঞান, মনোবিজ্ঞান এবং স্নায়ুবিজ্ঞানের ধারণা। আধুনিক পদার্থবিদ্যা বলে জড় উপ-পরমাণুগুলি মানুষের চিন্তার সংস্পর্শে না আসা পর্যন্ত সুপ্ত থাকে। সচেনতা প্রয়োগ করা হলে কণাগুলি জীবিত বা সক্রিয় হয়ে ওঠে। বস্তুত, এই ধারণার হদিশ আধুনিক বিজ্ঞানের ঢের আগে মেলে বেদে। কোয়ান্টাম ফিজিক্সের জনক বলা হয় যে দুই বিজ্ঞানীকে, তাঁদেরই একজন হলেন নোবেল জয়ী বিজ্ঞানী নীলস বোর। সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে বিশ্বখ্যাত এই পদার্থবিদ বলেছিলেন, “আমার মনে কোনও প্রশ্ন জাগ্রত হলে আমি উপনিষদের দ্বারস্থ হই।”

    বেদের জয়গান

    বিস্ময় বিজ্ঞানী নিকোলা টেসলার কথায়ও তো জয়গান শোনা যায় বেদের ধারণারই। তিনি বলেছেন, “মানসিক শক্তির উপহার আসে ঈশ্বরের কাছ থেকে। আমরা যদি এই সত্যের ওপর মনকে নিবিষ্ট করতে পারি, আমরা এই মহান শক্তির সঙ্গে একাত্মতা অনুভব করতে পারব।” নিয়মিত বেদ পাঠ করতেন বিশ্বশ্রুত বিজ্ঞানী হেইনসবার্গ। তিনি বলেন, “যাঁরা বেদান্ত পড়েছেন, তাঁদের কাছে কোয়ান্টাম থিয়োরি হাস্যকর লাগবে না।” প্রসঙ্গত, বেদের শেষ ভাগকেই ‘বেদান্ত’ বা ‘উপনিষদ’ বলে।

    আর পড়ুন: গণনা চলছে ইরানের নির্বাচনের ভোট, ‘পুতুল’ প্রেসিডেন্ট কে?

    বেদের ঋষিই তো বস্তুর ভরের ধারণা দিয়েছিলেন। বলেছিলেন, ইউনির্ভাসাল ইনটেলিজেন্স এবং চেতনা ছাড়া মহাবিশ্ব হয়ে পড়বে স্থির, থাকবে না জীবনের অস্তিত্ব। মহাকর্ষ এবং সময় যে সম্পর্কিত, কোয়ান্টাম ফিজিক্সের এই তত্ত্বের উদগাতাও তো বেদেরই ঋষি (Hinduism And Quantum Physics)। যোগের ফলে যে আত্মার সঙ্গে দেবমূর্তির ঐক্য স্থাপিত হয়, তা তো বিজ্ঞানের কানেকটেড কনসাসনেসের ধারণা ব্যক্ত করে। জড় বস্তু ও সজীব বস্তুর ধারণাও তো প্রতিফলিত হয় পূজকের ইনটেনশানের মধ্যে দিয়ে। পূজক যখন বিগ্রহের পায়ে কোনও কিছু দিয়ে ‘স্বাহা’ কিংবা ‘স্বধা’ বলেন, তখন তো তিনি আসলে বলেন ‘কী নিবেদন করা হচ্ছে’ (স্বাহা), ‘এই বস্তুটি নিবেদনের উদ্দেশ্য’(স্বধা)। বেদে দ্যূলোক, ভূলোক-সহ একাধিক লোকের কথা বলা হয়েছে। কোয়ান্টাম ফিজিক্সেও তো সেই ধারণারই প্রতিরূপ দেখতে পাই। কোয়ান্টাম ফিজিক্সে ইউনিভার্স নয়, বলা হয়েছে মাল্টিভার্সের কথা।

    ওপেনহাইমারের গলায় হিন্দুধর্মস্তুতি

    হিন্দু ধর্মের জয়গান শোনা যায় বিশ্ব বিখ্যাত বিজ্ঞানী রবার্ট ওপেনহাইমারের গলায়ও। তিনি বলেন, “বিশ্বে হিন্দুধর্মই একমাত্র ধর্ম যারা বলে মহাবিশ্ব স্বয়ং মারা যায়, পুনর্জন্ম গ্রহণ করে। এটিই একমাত্র ধর্ম, যেখানে সময়ের স্কেলগুলি আধুনিক বৈজ্ঞানিক সৃষ্টিতত্ত্বের সঙ্গে মিলে যায়। এর চক্র আমাদের সাধারণ দিনরাত্রি থেকে ব্রহ্মার দিনরাত পর্যন্ত ৮.৬৪ বিলিয়ন বছর দীর্ঘ। পৃথিবী বা সূর্যের বয়সের চেয়ে দীর্ঘ এবং বিগ ব্যাংয়ের থেকে প্রায় অর্ধেক। তাদের দীর্ঘ সময়ের স্কেলও রয়েছে।”

    বেদের বিভিন্ন তত্ত্বের রহস্য উদ্ঘাটন করবেন বলেন সংস্কৃত শিখেছিলেন বিজ্ঞানী ওপেনহাইমার। পরে তিনি সংস্কৃতেই পড়েছিলেন ভগবদ-গীতা। তাঁর মতে, গীতা তাঁর জীবনদর্শনকে বদলে দিয়েছিল। গীতাকে তিনি ‘সর্বাধিক ইনফ্লুয়েন্সিয়াল গ্রন্থ’ বলেও অভিহিত করেন। তিনি বলেন, “এই শতাব্দীর সব চেয়ে বড় সুবিধা হল বেদ হাতে পাওয়া। সমস্ত কোয়ান্টাম প্রসেসের জনক সুপ্রিম ফাদার কৃষ্ণ (Hinduism And Quantum Physics)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Ramakrishna 61: “আজ ঠাকুরের হৃদয়মধ্যস্থ প্রেমের উৎস উচ্ছ্বসিত হইয়াছে”

    Ramakrishna 61: “আজ ঠাকুরের হৃদয়মধ্যস্থ প্রেমের উৎস উচ্ছ্বসিত হইয়াছে”

    পঞ্চম পরিচ্ছেদ

    কীর্তনানন্দ নরেন্দ্র প্রভৃতি সঙ্গে—নরেন্দ্রকে প্রেমালিঙ্গন

    আজ ঠাকুরের (Ramakrishna) হৃদয়মধ্যস্থ প্রেমের উৎস উচ্ছ্বসিত হইয়াছে। রাত প্রায় আটটা। তথাপি প্রেমোন্মত্ত হইয়া একাকী বারান্দায় বিচরণ করিতেছেন। উত্তরের লম্বা বারান্দায় আসিয়াছেন ও দ্রুতপদে বারান্দায় এক সীমা হইতে অন্য সীমা পর্যন্ত পদাচারণ করিতেছেন। মাঝে মাঝে সঙ্গে কি কথা কহিতেছেন। হঠাৎ উন্মমত্তের ন্যায় বলিয়া উঠিলেন, তুই আমার কি করবি?

    মা যার সহায় তার মায়া কি করিতে পারে। এই কথা কি বলিতেছেন?

    নরেন্দ্র, মাস্টার, প্রিয় রাত্রে থাকিবেন। নরেন্দ্র থাকিবেন; ঠাকুরের (Ramakrishna) আনন্দের সীমা নাই। রাত্রিকালীন আহার প্রস্তুত। শ্রীশ্রীমা নহবতে আছেন। রুটি ছোলার ডাল ইত্যাদি প্রস্তুত করিয়া ভক্তেরা খাইবেন বলিয়া পাঠাইয়াছেন। ভক্তের মাঝে মাঝে থাকেন; সুরেন্দ্র মাসে মাসে কিছু খরচ দেন।

    আহার প্রস্তুত। ঠাকুর ঘরের দক্ষিণ-পূর্ব বারান্দায় জায়গা হইতেছে।

    নরেন্দ্র প্রভৃতিকে স্কুল ও অন্যান্য বিষয়কথা কহিতে নিষেধ

    ঘরের পূর্বদিকের দরজায় কাছে নরেন্দ্রাদি গল্প করিতেছেন।

    নরেন্দ্র—আজকাল ছোকরারা কি রকম দেখছেন?

    মাস্টার—মন্দ নয়, তবে ধর্মোপদেশ কিছু হয় না।

    নরেন্দ্র—নিজে যা দেখছি, তাতে বোধ হয় সব অধঃপাতে যাচ্ছে। বার্ডসাই, ইয়ার্কি, বাবুয়ানা, স্কুল পালানো-এসব সর্বদা দেখা যায়। এমন কি দেখেছি যে, কুস্থানেও যায়।

    মাস্টার—যখন পড়াশুনা করতাম, আমরা তো এরূপ দেখি নাই, শুনি নাই।

    নরেন্দ্র—আপনি বোধহয় তত মিশিতেন না। এমন দেখেছি যে, খারাপ লোকে নাম ধরে ডাকে, কখন আলাপ করেছে কে জানে!

    মাস্টার—কি আশ্চর্য!

    নরেন্দ্র—আমি জানি, অনেকের চরিত্র খারাপ হয়ে গেছে। স্কুলের কর্তৃপক্ষীয়েরা ও ছেলেদের অভিভাবকেরা এ-সব বিষয়ে দেখেন তো ভাল হয়।

    আরও পড়ুনঃ”হৃদি-কমলাসনে ভাব তাঁর চরণ, দেখ শান্ত মনে, প্রেমনয়নে, অপরূপ প্রিয়দর্শন”

    আরও পড়ুনঃ “পশ্চিমে বিবাহের সময় বরের হাতে ছুরি থাকে, বাংলাদেশে জাঁতি থাকে”

    আরও পড়ুনঃ “সচ্চিদানন্দলাভ হলে সমাধি হয়, তখন কর্মত্যাগ হয়ে যায়”

    আরও পড়ুনঃ “তিনি দাঁড়াইলে ঠাকুর বলিলেন, বলরাম! তুমি? এত রাত্রে?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 60: “হৃদি-কমলাসনে ভাব তাঁর চরণ,  দেখ শান্ত মনে, প্রেমনয়নে, অপরূপ প্রিয়দর্শন”

    Ramakrishna 60: “হৃদি-কমলাসনে ভাব তাঁর চরণ, দেখ শান্ত মনে, প্রেমনয়নে, অপরূপ প্রিয়দর্শন”

    পঞ্চম পরিচ্ছেদ

    কীর্তনানন্দ নরেন্দ্র প্রভৃতি সঙ্গে—নরেন্দ্রকে প্রেমালিঙ্গন

    বৈকাল হইয়াছে—নরেন্দ্র (Ramakrishna) গান গাহিতেছেন—রাখাল, লাটু, মাস্টার, নরেন্দ্র ব্রাহ্মবন্ধু প্রিয়, হাজরা—সকলে আছেন।

    নরেন্দ্র কীর্তন গাহিলেন, খোল বাজিতে লাগিলঃ

    চিন্তয় মম মানস হরি চিদঘন নিরঞ্জন;

    কিবা অনুপম ভাতি, মোহন মূরতি, ভকত-হৃদ্য-রঞ্জন

    নবরাগে রঞ্জিত, কোটি শশী-বিনিন্দিত,

    (কিবা) বিজলি চমকে, সেরূপ আলোকে, পুলকে শিহরে জীবন।

    হৃদি-কমলাসনে ভাব তাঁর চরণ,

    দেখ শান্ত মনে, প্রেমনয়নে, অপরূপ প্রিয়দর্শন।

    চিদানন্দরসে, ভক্তিযোগাবেশে, হও রে চিরগমন।

    নরেন্দ্র আবার গাহিলেনঃ

    সত্যং শিব সুন্দর ভাতি হৃদি মন্দিরে।

    নিরখি নিরখি অনুদিন মোর ডুবিব রূপসাগরে।

    (সেদিন কবে হবে) (দীনজনের ভাগ্যে নাথ)।

    জ্ঞান-অনন্তরূপে পশিবে নাম মম হৃদে,

    অবাক্‌ হইয়ে অধীর মন শরণ লইবে শ্রীপদে।

    আনন্দ-অমৃতরূপে উদিবে হৃদয়-আকাশে,

    চন্দ উদিলে চকোর যেমন ক্রীড়য়ে মন হরষে,

    আমরাও নাথ, তেমনি করে মাতিব তব প্রকাশে।

    শান্তং শিব অদ্বিতীয় রাজ-রাজ চরণে,

    বিকাইব ওহে প্রাণসখা, সকল করিব জীবন।

    এমন অধিকার, কোথা পাব আর, স্বর্গভোগ জীবনে (সশরীরে)

    শুদ্ধমপাপবিদ্ধিবং রূপ, হেরিয়ে নাথ তোমার,

    আলোক দেখিলে আঁধার যেমন যায় পলাইয়ে সত্ত্বর;

    তেমনি নাথ তোমার প্রকাশে পালাইবে পাপা-আঁধার।

    ওহে ধ্রুবতারা সম হৃদে জলন্ত বিশ্বাস হে;

    জ্বলি দিয়ে দীনবন্ধু পুরাও মনের আশ;

    আমি নিশিদিন প্রমানন্দে মগন হইয়ে হে;

    আপনার ভুলে যাব, তোমারে পাইয়ে হে।

    (সেদিন কবে হবে হে)

    আনন্দবনে মল মধুর ব্রহ্মনাম (Ramakrishna)।

    নামে উথলিবে সুধাসিন্ধু পিয় অবিরাম। (পান কর আর দান কর হে)।

    যদি হয় কখন শুদ্ধ হৃদয়, কর নামগান।

    (বিষয়-মরীচিকায় পড়ে হে) (প্রেমে হৃদয়, সরস হবে হে)

    (দেখ যেন ভুল না রে সেই মহামন্ত্র)

    সবে হুঙ্কারিয়ে ছিন্ন কর পাপের বন্ধন। (জয় ব্রহ্ম জয় বল হে)

    এস ব্রহ্মানন্দ বাতি সবে হই পূর্ণকাম।(প্রেমযোগে যোগী হয়ে হে)

    খোল করতাল লইয়া কীর্তন হইতেছে। নরেন্দ্রাদি ভক্তেরা ঠাকুরকে বেড়িয়া বেড়িয়া কীর্তন করিতেছেন। কখন গাহিতেছেন, প্রেমানন্দ রসে হও রে চিরগমন! আবার কখন গাহিতেছেন, সত্যং শিব সুন্দররূপ ভাতি হৃদিমন্দিরে।

    কীর্তনান্তে নরেন্দ্রকে ঠাকুর অনেকক্ষণ (Ramakrishna) করিয়া বারবার আলিঙ্গন করিলেন! বলিতেছেন, তুমি আজ আমায় আনন্দ দিলে !!!

    আরও পড়ুনঃ “মা, কোথায় আনলে! আমি যে রাসমণির মন্দিরে খুব ভাল ছিলাম”

    আরও পড়ুনঃ “পশ্চিমে বিবাহের সময় বরের হাতে ছুরি থাকে, বাংলাদেশে জাঁতি থাকে”

    আরও পড়ুনঃ “সচ্চিদানন্দলাভ হলে সমাধি হয়, তখন কর্মত্যাগ হয়ে যায়”

    আরও পড়ুনঃ “তিনি দাঁড়াইলে ঠাকুর বলিলেন, বলরাম! তুমি? এত রাত্রে?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Amaranth Yatra: অমরনাথ যাত্রা শুরু ২৯ জুন, জানুন যাত্রার খুঁটিনাটি

    Amaranth Yatra: অমরনাথ যাত্রা শুরু ২৯ জুন, জানুন যাত্রার খুঁটিনাটি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২৯ জুন শুরু হবে এ বছরের অমরনাথ যাত্রা (Amaranth Yatra)। শেষ হবে ১৯ অগাস্ট। হিমালয়ের বুকে একটি পাহাড়ে গুহায় তুষারবিন্দু জমে প্রাকৃতিকভাবে তৈরি হয় শিবলিঙ্গ। পবিত্র সেই লিঙ্গ দর্শনেই ফি বছর যান দেশ-বিদেশের লাখ লাখ পুণ্যার্থী। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে অমরনাথের উচ্চতা ৩ হাজার ৮৮৮ মিটার।

    পথের ক্লান্তি ভুলে (Amaranth Yatra)

    অমরনাথ যাত্রার বেসক্যাম্প জম্মুতে। যদিও দেবদর্শনে যেতে হবে কাশ্মীরে। পহেলগাঁও থেকে শুরু হয় আসল ট্রেক (Amaranth Yatra)। পাহাড়ি এই পথের প্রতিটি বাঁকে ওত পেতে রয়েছে বিপদ। সেই বিপদ উপেক্ষা করেই প্রায় ৪৬ কিলোমিটার পথ পাড়ি দেন ভক্তরা। এই পথেই পুণ্যার্থীদের বিশ্রামের জন্য ব্যবস্থা করা হয়েছে জায়গায় জায়গায়। চন্দনওয়াড়ি, শেষনাগ এবং পঞ্চতরণীর শোভা ভুলিয়ে দেয় পথের ক্লান্তি।

    পৌরাণিক আখ্যান

    একটি বড় লিঙ্গের পাশাপাশি গুহায় রয়েছে তুষারে তৈরি দুটি ছোট লিঙ্গও। ভক্তদের বিশ্বাস, এই দুটির একটি দেবী পার্বতীর, অন্যটি গণেশের। পুরাণ মতে, সৃষ্টি রহস্য ব্যাখ্যা করতে শিব পার্বতীকে নিয়ে যান অমরনাথ গুহায়। বাহন নন্দীকে তিনি রেখে আসেন পহেলগাঁওতে। চন্দনওয়াড়িতে শিব জটামুক্ত করেন চন্দ্রকে। শেষনাগে রাখেন তাঁর মাথায় থাকা সাপকে। পঞ্চতরণীতে ছেড়ে দেন ক্ষিত্যাদি পঞ্চভূতকে। গুহায় প্রবেশের আগে বাইরে রেখে আসেন পুত্র গণেশকে।

    আরও পড়ুন: তুমি কি রকম লোক গা! যুধিষ্ঠির কেবল নরকদর্শনই মনে রেখেছ?

    অমরনাথ গুহায় পৌঁছানো যায় দুই পথে। একটি পহেলগাঁও দিয়ে। অন্যটি শর্টকাট রুটে, বালতাল হয়ে। এই পথে গুহার দূরত্ব মাত্র ১৪ কিলোমিটার। বালতাল রুটটি তুলনামূলকভাবে খাড়াই পথ। তাই এই পথে অমরনাথ যাত্রা অনেক বেশি কষ্টকর। তবে পুণ্যার্থীরা যাতে নিরুপদ্রবে গুহায় পৌঁছতে পারেন, সেজন্য স্থানীয়দের পাশাপাশি তৎপর নিরাপত্তা বাহিনীর লোকজনও। অমরনাথ যাত্রার যাবতীয় ব্যবস্থা করেন অমরনাথজি শ্রাইন বোর্ড। ২০০০ সালে জম্মু-কাশ্মীর বিধানসভায় আইন করে এই বোর্ড গঠন করা হয়। এই বোর্ডের চেয়ারম্যান জম্মু-কাশ্মীরের উপরাজ্যপাল।

    অমরনাথ যাত্রায় অংশ নিতে গেলে প্রয়োজন হয় পুণ্যার্থীর নিজের রাজ্যের হাসপাতাল কিংবা চিকিৎসকের দেওয়া মেডিক্যাল সার্টিফিকেট। ওয়ান এমবি-র বেশি হবে না এমন একটি ছবি। পিডিএফ ফরম্যাটে আপলোড করতে হবে মেডিক্যাল সার্টিফিকেট। ১৩ থেকে ১৭ বছরের ছেলেমেয়েরা এই যাত্রায় অংশ নিতে পারবে না। গর্ভকাল ছমাস হয়ে গেলেও কোনও গর্ভবতী মহিলা এই যাত্রায় অংশ নিতে পারবেন না। যাত্রার সময় সঙ্গে রাখতে হবে অরিজিনাল ফোটো আইডি এবং মেডিক্যাল সার্টিফিকেট (Amaranth Yatra)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Ramakrishna 59: “মা, কোথায় আনলে! আমি যে রাসমণির মন্দিরে খুব ভাল ছিলাম”

    Ramakrishna 59: “মা, কোথায় আনলে! আমি যে রাসমণির মন্দিরে খুব ভাল ছিলাম”

    চতুর্থ পরিচ্ছেদ

    পূর্বকথা—শ্রীরামকৃষ্ণের প্রথম প্রেমোন্মাদ কথা—১৮৫৮

    অনেকদিন পরে কাপ্তেনের সঙ্গে সৌরীন্দ্র ঠাকুরের বাড়িতে গিছলাম। তাকে দেখে বললাম, তোমাকে রাজা-টাজা বলতে পারব না, কেননা, সেটা মিথ্যাকথা হবে। আমার সঙ্গে খানিকটা কথা কইলে। তারপর দেখলাম, সাহেব-টাহেব আনাগোনা করতে লাগল। রজোগুণী লোক, নানা কাজ লয়ে আছে। যতীন্দ্রকে খবর পাঠানো হল। সে বলে পাঠালে, আমার গলায় বেদনা হয়েছে।

    সেই উন্মাদ (Ramakrishna) অবস্থায় একদিন বরানগরে ঘাটে দেখলাম, জয় মুখুজ্জে জপ করছে, কিন্তু অন্যমনস্ক! তখন কাছে গিয়ে দুই চাপড় দিলাম।

    একদিন রাসমণি ঠাকুরবাড়িতে এসেছে। কালীঘরে এল। পূজার সময় আসত আর দুই-একটা গান গাইতে বলত। গান গাচ্ছি, দেখি যে অন্যমনস্ক হয়ে ফুল বাচ্ছে। অমনি দুই চাপড়। তখন ব্যস্তসমস্ত হয়ে হাতজোড় করে রইল।

    হলধারীকে বললাম, দাদা একি স্বভাব হল! কি উপায় করি, তখন মাকে ডাকতে ডাকতে ও-স্বভাব গেল।

    মথুরের সঙ্গে তীর্থ ১৮৬৮—কাশীতে বিষয় কথা শ্রবণ ঠাকুরের রোদন

    ওই অবস্থায় ঈশ্বরকথা (Ramakrishna) বই আর কিছু ভাল লাগে না। বিষয়ে কথা হচ্ছে শুনলে বসে বসে কাঁদতাম। মথুরবাবু যখন সঙ্গে করে তীর্থে লয়ে গেলে, তখন কাশীতে রাজাবাবুর বাড়িতে কয়দিন আমরা ছিলাম। মথুরাবাবুর সঙ্গে বৈঠকখানায় বসে আছি, রাজাবাবুরাও বসে আছে। দেখি তারা বিষয়ের কথা কইছে। এত টাকা লোকসান হয়েছে—এই সব কথা। আমি কাঁদতে লাগলাম, বললাম, মা, কোথায় আনলে! আমি যে রাসমণির মন্দিরে খুব ভাল ছিলাম, তীর্থ করতে এসেও সেই কামিনী-কাঞ্চনের কথা। কিন্তু সেখানে (দক্ষিণেশ্বরে) তো বিষয়ের কথা শুনতে হয় নাই।

    ঠাকুরের ভক্তদের, বিশেষঃ নরেন্দ্রকে, একটু বিশ্রাম করিতে বলিলেন। নিজেও ছোট খাটটিতে একটু বিশ্রাম করিতে গেলেন।

    হনুমান বললে, “ভাই, আমি বার তিথি নক্ষত্র—এসব কিছুই জানি না, আমি এক ‘রাম’ চিন্তা করি”

    আরও পড়ুনঃ “পশ্চিমে বিবাহের সময় বরের হাতে ছুরি থাকে, বাংলাদেশে জাঁতি থাকে”

    আরও পড়ুনঃ “সচ্চিদানন্দলাভ হলে সমাধি হয়, তখন কর্মত্যাগ হয়ে যায়”

    আরও পড়ুনঃ “তিনি দাঁড়াইলে ঠাকুর বলিলেন, বলরাম! তুমি? এত রাত্রে?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 58: তুমি কি রকম লোক গা! যুধিষ্ঠিরের কেবল নরকদর্শনই মনে রেখেছ?

    Ramakrishna 58: তুমি কি রকম লোক গা! যুধিষ্ঠিরের কেবল নরকদর্শনই মনে রেখেছ?

    চতুর্থ পরিচ্ছেদ

    পূর্বকথা—শ্রীরামকৃষ্ণের প্রথম প্রেমোন্মাদ কথা—১৮৫৮

    আমায় বলেছিল, পৈতেটা ফেললে কেন? যখন আমার এই অবস্থা হল, তখন আশ্বিনের ঝড়ের মতো একটা কি এসে কোথায় কি উড়িয়ে লয়ে গেল! আগেকার চিহ্ন কিছুই রইল না। হুঁশ নাই! কাপড় পড়ে যাচ্ছে, তা পৈতে থাকবে কেমন করে! আমি বললাম, তোমার একবার উন্মাদ (Ramakrishna) হয়, তাহলে তুমি বোঝ!

    তাই হল! তার নিজের উন্মাদ হল। তখন সে কেবল ওঁ ওঁ বলত আর একঘরে চুপ করে বসে থাকত। সকলে মাথা গরম হয়েছে বলে কবিরাজ ডাকলে। নাটাগড়ের রাম কবিরাজ এল। কৃষ্ণকিশোর তাকে বললে, ওগো আমার রোগ আরাম কর, কিন্তু দেখো, যেন আমার ওঁকারটি আরাম করো না। (সকলের হাস্য)

    একদিন গিয়ে দেখি, বসে ভাবছে (Ramakrishna)। জিজ্ঞাসা করলাম, কি হয়েছে? বললে টেক্সোয়ালা এসেছিল—তাই ভাবছি। বলেছে টাকা না দিলে ঘটি-বাটি বেচে লবে। আমি বললাম, কি হবে ভেবে? না হয় ঘটি-বাটি লয়ে যাবে। যদি বেঁধে লয়ে যায় তোমাকে তো লয়ে যেতে পারবে না। তুমি তো ‘খ’ গো! (নরেন্দ্রাদির হাস্য) কৃষ্ণকিশোর বলত, আমি আকাশবৎ। আধাত্ম পড়ত কিনা। মাঝে মাঝে তুমি খ বলে, ঠাট্টা করতাম। হেসে বললাম, তুমি খ টেক্স তোমাকে তো টানতে পারবে না।

    উন্মাদ অবস্থায় লোককে ঠিক ঠিক কথা, হক কথা, বলতু! কারুকে মানতাম না। বড়লোক দেখালে ভয় হত না।

    যদু মল্লিকের বাগানে যতীন্দ্র এসেছিল। আমিও সেখানে ছিলাম। আমি তাকে বললাম, কর্তব্য কি? ঈশ্বরচিন্তা করাই আমদের কর্তব্য কি না? যতীন্দ্র বললে, আমরা সংসারী লোক। আমাদের কি আর মুক্তি আছে! রাজা যুধিষ্ঠিরই নরক দর্শন করেছিলেন। তখন আমার বড় রাগ হল। বললাম, তুমি কি রকম লোক গা! যুধিষ্ঠিরের কেবল নরকদর্শনই মনে রেখেছ? যুধিষ্ঠিরের সত্যকথা ক্ষমা, ধৈর্য, বিবেক, বৈরাগ্য, ঈশ্বরের (Ramakrishna) ভক্তি—এ-সব কিছু মনে হয় না। আর কত কি বলতে যাচ্ছিলাম। হৃদে আমার মুখ চেপে ধরলে। যতীন্দ্র একটু পরেই আমার একটি কাজ আছে বলে চলে গেল।  

    আরও পড়ুনঃ “সে শিব শিব বলে জল তুলে দিলে, অমন আচারী ব্রাহ্মণ সেই জল খেলে!”

    হনুমান বললে, “ভাই, আমি বার তিথি নক্ষত্র—এসব কিছুই জানি না, আমি এক ‘রাম’ চিন্তা করি”

    আরও পড়ুনঃ “পশ্চিমে বিবাহের সময় বরের হাতে ছুরি থাকে, বাংলাদেশে জাঁতি থাকে”

    আরও পড়ুনঃ “সচ্চিদানন্দলাভ হলে সমাধি হয়, তখন কর্মত্যাগ হয়ে যায়”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • The Rise Of Wokeism: জাগরণবাদের উত্থান এবং সাংস্কৃতিক মার্ক্সবাদ, কী বললেন নন্দকুমার?

    The Rise Of Wokeism: জাগরণবাদের উত্থান এবং সাংস্কৃতিক মার্ক্সবাদ, কী বললেন নন্দকুমার?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্রমেই দানা বাঁধছে ভারত-বিরোধী আন্দোলন। এমতাবস্থায় ভারত-মুখী চিন্তাভাবনার প্রসার এবং দেশপ্রেমের গোড়ায় জল দিতে উদ্যোগী হল চেন্নাইয়ের ‘ভিজিল’ নামে একটি সংস্থা (The Rise Of Wokeism)। এরাই জাগরণবাদ ও সাংস্কৃতিক মার্ক্সবাদের প্রবণতা সম্পর্কে বিশিষ্ট বক্তাদের আলোচনার আয়োজন করেছিল।

    ‘ভিজিলে’র উদ্দেশ্য

    ‘ভিজিলে’র উদ্দেশ্য হল, সোশ্যাল মিডিয়ায় যে ক্রমাগত ভারত-বিরোধী প্রচার চলছে, তা প্রতিহত করা। এই অনুষ্ঠানের প্রধান বক্তা আরএসএস মতাদর্শী জে নন্দকুমার। কেরলের পান্ডালম থেকে আসা নন্দকুমার সে রাজ্যে আব্রাহামিক ধর্মের চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে গভীরভাবে সচেতন। সাপ্তাহিক ম্যাগাজিন ‘কেশরী’ এবং ‘প্রাগ্য প্রভার’ জাতীয় আহ্বায়ক হিসেবেও দেশজুড়ে হিন্দুত্বের প্রসারে উদ্যোগী হয়েছেন তিনি।

    নন্দকুমারের উল্লেখযোগ্য় গ্রন্থ

    তাঁর উল্লেখযোগ্য গ্রন্থগুলির মধ্যে কয়েকটি হল ‘স্ব: স্ট্রাগল ফর ন্যাশনাল সেল্ফহুড পাস্ট’, ‘প্রেজেন্ট অ্যান্ড ফিউচার’, ‘হিন্দুত্ব ফর দ্য চেঞ্জিং টাইমস’, ‘কনটুরস অফ হিন্দু রাষ্ট্র’। এই বইগুলিতে ভারতীয় সংস্কৃতির পরিচয় সম্পর্কে বিশদে বলা হয়েছে। অনুষ্ঠানে (The Rise Of Wokeism) নন্দকুমারের উপস্থিতি এবং বক্তব্য উল্লেখযোগ্য। বক্তৃতা দিতে গিয়ে তিনি কেরলের মালাবার এলাকায় বৃটিশ আমলে মোপলা মুসলমানদের দ্বারা হিন্দুদের যে গণহত্যা হয়েছিল, তারও উল্লেখ করেন। বর্তমানে ভারতে আদর্শগত যে যুদ্ধ চলছে, তার ওপরও আলোকপাত করেন নন্দকুমার।

    কর্মক্ষেত্রে যে জাগরণবাদের প্রয়োজন রয়েছে, একাধিক উদাহরণ দিয়ে তিনি তা বুঝিয়ে দেন। জাগরণবাদের ম্যানিফেস্টেশন নিয়েও আলোকপাত করেন তিনি। কীভাবে স্কুলে ছোট বাচ্চাদের তাদের নিজস্ব সর্বনাম (হি না শি) দাবি করতে উৎসাহিত করা হচ্ছে এবং কীভাবে জাগরণ তত্ত্বটি প্রমাণ করে যে লিঙ্গ মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যে পরিবর্তিত হতে পারে, তারও উল্লেখ করেন তিনি।

    আর পড়ুন: জরুরি অবস্থার ৫০ বছর পূর্তি, অমলিন সংবিধানের গায়ে ইন্দিরার ‘কলঙ্কে’র স্মৃতি

    জেগে ওঠা এবং সচেতন হওয়ার মধ্যে যে পার্থক্য রয়েছে, তাও স্পষ্ট হয়ে ওঠে নন্দকুমারের ভাষণে। এ বিষয়ে বলতে গিয়ে উপনিষদের এবং স্বামী বিবেকানন্দের বাণী “উত্তিষ্ঠত, জাগ্রত, প্রাপ্য বরান্নিবোধত” (ওঠো, জাগো, লক্ষ্যে না পৌঁছানো পর্যন্ত থেমো না) বাক্যবন্ধেরও উল্লেখ করেন। ক্ল্যাসিক্যাল মার্ক্সবাদের ব্যর্থতা থেকেই যে জাগণরবাদের উৎপত্তি, তাও জানিয়ে দেন নন্দকুমার। তিনি বলেন, “কমিউনিজম ধরাছোঁওয়ার বাইরে চলে যাওয়ায় এর প্রবক্তারা তাদের ধারণাগুলি ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য নয়া পথের সন্ধান করেছিল। এ থেকে কালচারাল মার্ক্সবাদের জন্ম হয়েছিল, যেটা শ্রমিক শ্রেণি থেকে শিফ্ট করেছিল বুদ্ধিজীবী এবং ছাত্রদের কাছে।” তার পরেই তিনি দেখান, কীভাবে তা ধীরে ধীরে পথ প্রশস্ত করেছিল জাগরণবাদের। তাঁর মতে, যাঁরা ট্র্যাডিশনাল ভারতীয় সংস্কৃতি এবং সামাজিক ঐক্যকে মূল্য দেন, তাঁরা জেগে উঠুন, ভারতীয় সংস্কৃতি নিয়ে সরব হোন এবং ভারতীয় সংস্কৃতি বাঁচাতে উদ্যোগী হোন (The Rise Of Wokeism)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Ramakrishna 57: “সে শিব শিব বলে জল তুলে দিলে, অমন আচারী ব্রাহ্মণ সেই জল খেলে!”

    Ramakrishna 57: “সে শিব শিব বলে জল তুলে দিলে, অমন আচারী ব্রাহ্মণ সেই জল খেলে!”

    চতুর্থ পরিচ্ছেদ

    পূর্বকথা—শ্রীরামকৃষ্ণের প্রথম প্রেমোন্মাদ কথা—১৮৫৮

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) নরেন্দ্রাদি ভক্তের প্রতি—আমার এই অবস্থার পর কেবল ঈশ্বরের কথা শুনিবার জন্য ব্যাকুলতা হত। কোথায় ভগবত, কোথায় আধাত্ম্য, কোথায় মহাভারত খুঁজে বেড়াতাম। এঁড়েদার কৃষ্ণকিশোরের কাছে আধ্যাত্ম শুনতে যেতাম।

    কৃষ্ণকিশোরের কি বিশ্বাস! বৃন্দাবনে গিছিল, সেখানে একদিন জলতৃষ্ণা পেয়েছিল। কুয়ার কাছে গিয়ে দেখে, একজন দাঁড়িয়ে রয়েছে। জিজ্ঞাসা করাতে সে বললে, আমি নীচ জাতি, আপনি ব্রাহ্মণ; কেমন করে আপনার জল তুলে দেব? কৃষ্ণকিশোর বললে, তুই বল শিব। শিব শিব বললেই তুই শুদ্ধ হয়ে যাবি। সে শিব শিব বলে জল তুলে দিলে। অমন আচারী ব্রাহ্মণ সেই জল খেলে! কি বিশ্বাস!

    এঁড়েদার ঘাটে একটি সাধু এসেছিল। আমরা একদিন দেখতে যাব ভাবলুম। আমি কালীবাড়িতে হলধারীকে বললাম, কৃষ্ণকিশোর আর আমি সাধু দেখতে যাব। তুমি যাবে? হলধারী বললে, একটা মাটির খাঁচা দেখতে গিয়ে কি হবে? হলধারী গীতা-বেদান্ত পড়ে কি না! তাই সাধুকে বললে মাটির খাঁচা। কৃষ্ণকিশোরকে গিয়ে আমি ওই-কথা বললাম। সে মহা রেগে গেল। আর বললে, কি! হলধারী এমন কথা বলেছে? যে ঈশ্বর (Ramakrishna) চিন্তা করে, যে রাম চিন্তা করে, আর সেইজন্য সর্বত্যাগ করেছে, তার দেহ মাটির খাঁচা। সে জানে না যে, ভক্তের দেহ চিন্ময়। এত রাগ-কালীবাড়িতে ফুল তুলতে আসত, হলধারীর সঙ্গে দেখা হলে মুখ ফিরিয়ে নিত! কথা কইবে না!

    আমায় বলেছিল, পৈতেটা ফেললে কেন? যখন আমার এই অবস্থা হল, তখন আশ্বিনের ঝড়ের মতো একটা কি এসে কোথায় কি উড়িয়ে লয়ে গেল! আগেকার চিহ্ন কিছুই রইল না। হুঁশ নাই! কাপড় পড়ে যাচ্ছে, তা পৈতে থাকবে কেমন করে! আমি বললাম, তোমার একবার উন্মাদ হয়, তাহলে তুমি বোঝ!

    হনুমান বললে, “ভাই, আমি বার তিথি নক্ষত্র—এসব কিছুই জানি না, আমি এক ‘রাম’ চিন্তা করি”

    আরও পড়ুনঃ “পশ্চিমে বিবাহের সময় বরের হাতে ছুরি থাকে, বাংলাদেশে জাঁতি থাকে”

    আরও পড়ুনঃ “সচ্চিদানন্দলাভ হলে সমাধি হয়, তখন কর্মত্যাগ হয়ে যায়”

    আরও পড়ুনঃ “তিনি দাঁড়াইলে ঠাকুর বলিলেন, বলরাম! তুমি? এত রাত্রে?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 56: হনুমান বললে, “ভাই, আমি বার তিথি নক্ষত্র—এসব কিছুই জানি না, আমি এক ‘রাম’ চিন্তা করি”

    Ramakrishna 56: হনুমান বললে, “ভাই, আমি বার তিথি নক্ষত্র—এসব কিছুই জানি না, আমি এক ‘রাম’ চিন্তা করি”

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ দক্ষিণেশ্বরে নরেন্দ্রাদি অন্তরঙ্গ ও অন্যান্য ভক্তসঙ্গে

    তৃতীয় পরিচ্ছেদ

    গুরুশিষ্য-সংবাদ—গুহ্য কথা

    সাত্ত্বিক ও রাজসিক জ্ঞান

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—ঈশ্বরলাভ করলে তাঁর বাহিরের ঐশ্বর্য, তাঁর জগতের ঐশ্বর্য ভুল হয়ে যায়; তাঁকে দেখলে তাঁর ঐশ্বর্য মনে থাকে না। ঈশ্বরের আনন্দ মগ্ন হলে ভক্তের আর হিসাব থাকে না। নরেন্দ্রকে দেখলে, তোর নাম কি; তোর বাড়ি কোথা—এ-সব জিজ্ঞাসা করার দরকার হয় না। জিজ্ঞাসা করবার অবসর কই? হনুমানকে একজন জিজ্ঞাসা করেছিল, আজ কি তিথি? হনুমান বললে, “ভাই, আমি বার তিথি নক্ষত্র—এ-সব কিছুই জানি না, আমি এক ‘রাম’ চিন্তা করি।”

    চতুর্থ পরিচ্ছেদ

    পূর্বকথা—শ্রীরামকৃষ্ণের প্রথম প্রেমোন্মাদ কথা—১৮৫৮

    কৃষ্ণকিশোর এঁড়েদার সাধু, হলধারী, যতীন্দ্র, জয় মুখুজ্জে, রাসমাণি

    আজ ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) মহানন্দে আছেন। দক্ষিণেশ্বর কালীবাড়িতে নরেন্দ্র আসিয়াছেন। আরও কয়েকটি অন্তরঙ্গ আছেন। নরেন্দ্র ঠাকুরবাড়িতে আসিয়া স্নান করিয়া প্রসাদ পাইয়াছেন।

    আজ (৩১ শে) আশ্বিন, শুক্লা চতুর্থী তিথি; ১৬ অক্টোবর ১৮৮২, সোমবার। আগামী বৃহস্পতিবার। সপ্তমী তিথিতে শ্রীশ্রীদুর্গাপূজা।

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের কাছে রাখাল, রামলাল ও হাজরা আছেন। নরেন্দ্রের সঙ্গে আরও দুই একটি ব্রহ্মজ্ঞানী ছোকরা আসিয়াছেন। আজ মাস্টার আসিয়েছেন।

    নরেন্দ্র ঠাকুরের কাছেই আহার করিলেন। আহারান্তে ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ তাঁহার ঘরের মেঝেতে বিছানা করিয়া দিতে বলিলেন, নরেন্দ্র আদি ভক্তেরা বিশেষতঃ নরেন্দ্র বিশ্রাম করিবেন। মাদুরের উপর লেপ ও বালিশ পাতা হইয়াছে। ঠাকুরও বালকের ন্যায় নরেন্দ্রের কাছে বিছানায় বসিলেন। ভক্তদের সহিত, বিশেষতঃ নরেন্দ্রের দিকে মুখ করিয়া হাসিমুখে মহা আনন্দে কথা কহিতেছেন। নিজের অবস্থা, নিজের চরিত্র, গল্পচ্ছলে বলিতেছেন।

    আরও পড়ুনঃ “পশ্চিমে বিবাহের সময় বরের হাতে ছুরি থাকে, বাংলাদেশে জাঁতি থাকে”

    আরও পড়ুনঃ “সচ্চিদানন্দলাভ হলে সমাধি হয়, তখন কর্মত্যাগ হয়ে যায়”

    আরও পড়ুনঃ “তিনি দাঁড়াইলে ঠাকুর বলিলেন, বলরাম! তুমি? এত রাত্রে?”

    আরও পড়ুনঃ “পাপ করলে তার ফল পেতে হবে! লঙ্কা খেলে তার ঝাল লাগবে না?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kamakhya Temple: অম্বুবাচীতে কামাখ্যা মন্দিরে কী হয় জানেন?

    Kamakhya Temple: অম্বুবাচীতে কামাখ্যা মন্দিরে কী হয় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলছে অম্বুবাচী। এই সময় তিনদিনের জন্য বন্ধ থাকে গুয়াহাটির কামাখ্যা মন্দিরের দ্বার। প্রচলিত বিশ্বাস, এই সময় মা কামাখ্যা (Kamakhya Temple) ঋতুমতী হন। অম্বুবাচী উপলক্ষে তিন ধরে চলে বিশেষ পুজো-পাঠ-মেলা।

    রজঃস্বলা হন দেবী (Kamakhya Temple)

    পুরাণ অনুযায়ী, শিবনিন্দা সহ্য করতে না পেরে দেহত্যাগ করেন সতী। তাঁকে নিয়ে তাণ্ডব নৃত্য করতে শুরু করেন সতী-পতি মহাদেব। শুরু হয় প্রলয়। শিবকে শান্ত করতে সুদর্শন চক্র দিয়ে সতীর দেহ ছিন্নভিন্ন করে দেন বিষ্ণু। সতীর যোনিদেশ গিয়ে পড়ে কামাখ্যায়। এই কামাখ্যা প্রসিদ্ধ সিদ্ধপীঠ। প্রতিবছর ৭ আষাঢ় রজঃস্বলা হন দেবী কামাখ্যা। নীল পর্বতে অবস্থিত দেবী কামাখ্যার মন্দির (Kamakhya Temple) চত্বর তন্ত্র সাধনার পবিত্র ক্ষেত্র। তাই অম্বুবাচীর সময় দেশ-বিদেশের নানা স্থান থেকে তান্ত্রিক ও অঘোরিরা এসে উপস্থিত হন এখানে। মগ্ন থাকেন জপ-তপে। লোকবিশ্বাস, এই সময় দেবী জাগ্রত হন। তাই যা কিছু কামনা, দেবীর কাছে তা করতে হয় এই সময়।

    মন্দিরের দ্বার বন্ধ

    প্রতি বছর ২২ জুন থেকে বন্ধ থাকে মন্দিরের দ্বার। খোলা হয় ২৫ জুন। এই সময় মন্দিরে প্রবেশ করতে পারেন না ভক্ত কিংবা পুরোহিতরা। মন্দির বন্ধের দিন সতীর প্রস্তরীভূত যোনিমণ্ডলের ওপর রেখে দেওয়া হয় একটি সাদা কাপড়। মন্দির খোলা হলে দেখা যায়, সেটি রক্তে রাঙা। সেই কাপড়ের টুকরোই প্রসাদ হিসেবে বিলি করা হয় ভক্তদের।

    মন্দিরের দ্বার বন্ধ হলেও, পুজো-পাঠ বন্ধ থাকে না। এই সময় দেবীর ভোগরাগ হয় বাইরে দেবী মূর্তির সামনে। অবশ্য প্রতিদিনই তাই হয়। পার্থক্য কেবল, বছরের ৩৬২ দিন ভক্তরা যোনিপীঠ দর্শন করতে পারলেও, অম্বুবাচী চলাকালীন তা করা যায় না। রজঃনিবৃত্তির পর ঋতুস্নান করিয়ে খুলে দেওয়া হয় মন্দিরের দ্বার। তারপর ফের ভক্তরা দর্শন করতে পারেন সতীর প্রস্তরীভূত যোনি।

    আর পড়ুন: বাংলায় জাল নথি বানিয়ে হিন্দু ‘সেজে’ বাস অনুপ্রবেশকারীর, গ্রেফতার বাংলাদেশি

    অম্বুবাচী চলাকালীন স্থানীয় বাসিন্দাদের অনেকেই গরম খাবার খান না। পুরোহিতরাও এই তিনদিন গরম কোনও খাবার খান না। অনেকে আবার ফলমূল খেয়েই কাটান অম্বুবাচীর দিনগুলি। যেহেতু অম্বুবাচীতে দেবীর মহিমা প্রকটিত হয়, তাই এই সময় তিল ধারণের ঠাঁই থাকে না কামাখ্যায়। মেলা উপলক্ষেও প্রচুর মানুষের আগমন হয় (Kamakhya Temple)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share