Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • PM Modi: দিল্লি বিধানসভার প্রথম অধিবেশনেই ক্যাগ রিপোর্ট পেশ করবে বিজেপি সরকার, বললেন মোদি

    PM Modi: দিল্লি বিধানসভার প্রথম অধিবেশনেই ক্যাগ রিপোর্ট পেশ করবে বিজেপি সরকার, বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিধানসভার প্রথম অধিবেশনেই ক্যাগ (সিএজি) রিপোর্ট (CAG) পেশ করবে বিজেপি সরকার, দিল্লি জয়ের পর এমনটাই জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। একইসঙ্গে দিল্লিকে ‘দুর্নীতিমুক্ত’ করা এবং উন্নয়নের শিখরে পৌঁছে দেওয়ার ‘গ্যারান্টি’ দিলেন প্রধানমন্ত্রী। এদিন একই সঙ্গে নরেন্দ্র মোদি তাঁর বিজয়ী ভাষণে উল্লেখ করেন সমাজকর্মী আন্না হাজারের প্রসঙ্গও। প্রধানমন্ত্রীর কথায়, ‘‘এত দিনে দুঃখ ঘুচল আন্নার।’’ প্রসঙ্গত, গতকাল শনিবারই দিল্লিতে বিপুল জয় পেয়েছে বিজেপি। মুখ থুবড়ে পড়েছে কেজরিওয়াল এবং আম আদমি পার্টি। দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের ৭০টি আসনের মধ্যে ৪৮টি আসনেই জয়লাভ করেছে বিজেপি, আম আদমি পার্টি জিতেছে মাত্র ২২ আসনে। এরপরে সন্ধ্যাতেই দিল্লিতে বিজেপি দফতরে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানেই তিনি আম আদমি পার্টিকে ফের একবার তুলোধোনা করেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘‘এই আপ-দা পার্টির লোকেরা বিধানসভা নির্বাচনে জেতার জন্য প্রতিদিন নতুন নতুন ষড়যন্ত্র করার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু আমি গ্যারান্টি দিচ্ছি যে প্রথম বিধানসভা অধিবেশনেই ক্যাগ রিপোর্ট পেশ করা হবে এবং যারা লুট করেছে তাদেরকে ফেরত দিতে হবে।’’

    দুর্নীতি করে যাঁরা লুটেছেন, তাঁদের সব ফেরত দিতেই হবে

    শনিবার সন্ধ্যা ৬টা ৪৫ মিনিট নাগাদ বিজেপির প্রধান কার্যালয়ে বিজয়ী ভাষণ শুরু করেন মোদি (PM Modi)। ভাষণের শুরুতেই তিনি বলেন , ‘‘যমুনা দিল্লির পরিচয়। সেই যমুনার কী অবস্থা? দিল্লির মানুষ ভরসা রেখেছিল, কিন্তু আপ-দা আস্থা হারিয়েছে। উল্টে হরিয়ানার উপর দোষারোপ করেছে। আমরা যমুনা পরিষ্কার করব। কাজটা কঠিন। কিন্তু হবেই।’’ বক্তব্যে উঠে আসে মোদির গ্যারান্টির কথা। তিনি (PM Modi) বলেন, ‘‘দুর্নীতিমুক্ত করার কথা বলেছিল যে দল, সেই দলেরই মুখ্যমন্ত্রী, মন্ত্রীরা দুর্নীতির দায়ে জেল খেটেছেন। দুর্নীতি লুকোতে তাঁরা নতুন নতুন ষড়যন্ত্র করেছেন। দুর্নীতি করে যাঁরা লুটেছেন, তাঁদের সব ফেরত দিতেই হবে। এটাও মোদির গ্যারান্টি।’’

    তোপ কংগ্রেসকেও (PM Modi)

    প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) এদিন তোপ দাগেন কংগ্রেসকেও। তিনি বলেন, ‘‘কংগ্রেস নিজেও ডোবে, সঙ্গে সহযোগীদেরও ডোবায়।’’ কংগ্রেস ‘পরজীবী’ বলেও কটাক্ষ করেন মোদি। তাঁর কথায়, ‘‘কংগ্রেস তার সহযোগীদের অ্যাজেন্ডা চুরি করে তাদের বিরুদ্ধেই প্রচার করে। কংগ্রেসের সহযোগীরা বুঝে গিয়েছে সেই কথা। কেউ যদি এক বার কংগ্রেসের হাত ধরে, তবে তার হার নিশ্চিত।’’

  • Delhi Poll Results: “একা একা লড়ে বিজেপি-আরএসএসকে হারানো যাবে না”, আপকে খোঁচা কংগ্রেসের

    Delhi Poll Results: “একা একা লড়ে বিজেপি-আরএসএসকে হারানো যাবে না”, আপকে খোঁচা কংগ্রেসের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভূতের মুখে রাম নাম নয়, পড়ুন কংগ্রেসের মুখে বিজেপি-আরএসএসের নাম! আজ্ঞে হ্যাঁ, দিল্লি নির্বাচনের ফল ঘোষণা হতেই জম্মু-কাশ্মীরের কংগ্রেস নেতার মুখে বিজেপি-আরএসএসের নাম! তাঁর সাফ কথা, “যাঁরা বিশ্বাস করেন একা একা লড়েই বিজেপি-আরএসএসকে হারানো যাবে, তাঁরা ভুল করছেন। দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের (Delhi Poll Results) ফলই তার প্রমাণ।”

    আপের হার (Delhi Poll Results)

    শনিবার প্রকাশিত হয়েছে দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের ফল। টানা ১০ বছর ক্ষমতায় থাকার পর কুর্সি হারিয়েছে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টি। আর ২৭ বছর পরে দিল্লির রাজনীতির রশি হাতে পেয়েছে পদ্ম-পার্টি। তার পরেই আপের হারের কারণ নিয়ে শুরু হয়েছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। এই প্রসঙ্গেই জম্মু-কাশ্মীর প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির মুখ্য মুখপাত্র রবীন্দর শর্মা নিশানা করেছেন ইন্ডি জোটের অন্যতম পার্টি আপকে।

    রবীন্দর শর্মার নিশানায় আপ

    তিনি বলেন, “দিল্লির রায় ১০ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা আপের বিরুদ্ধে, এবং প্রতিশ্রুতি পূরণে ব্যর্থ হওয়ার কারণে। এই নির্বাচনে একা লড়ে বিজেপিকে পরাজিত করার যে উচ্চাকাঙ্ক্ষা এবং আত্মবিশ্বাস ছিল আপের, তার কারণেও।” তিনি বলেন (Delhi Poll Results), “আপের সুবিধাবাদের রাজনীতি, প্রতারণা এবং অতি উচ্চাকাঙ্ক্ষার রাজনীতি তাদের পরাজয়ের অন্যতম কারণ। আর এই সব কারণই প্রশস্ত করেছে বিজেপির জয়ের পথ।”

    এর পরেই কংগ্রেসের এই নেতা বলেন, “দিল্লি নির্বাচনের ফল সকলের জন্য একটি শিক্ষা, বিশেষ করে যাঁরা বিশ্বাস করেন যে তাঁরা একা লড়াই করতে পারেন বিজেপি-আরএসএস জোটের বিরুদ্ধে। এই একা একা লড়াই করতে যাওয়ার দরুন দুর্বল হয়ে পড়েছে কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন জোট।” তিনি বলেন, “দিল্লি নির্বাচনের ফল স্পষ্টভাবে প্রতিষ্ঠিত করেছে যে কংগ্রেস ছাড়া বিজেপি-আরএসএস জোটের বিরুদ্ধে কোনও লড়াই সম্ভব নয়। বিশেষ করে যখন তারা ক্ষমতায় থাকে এবং ইডি, সিবিআই, আইটি এবং অন্যান্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থার মতো বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখে।” দিল্লিতে কংগ্রেস একটি আসনও পায়নি। তাতে অবশ্য খেদ নেই রবীন্দরের। তিনি বলেন, “দিল্লিতে কংগ্রেসের ভোট বেড়েছে। যদিও ফল আমাদের প্রত্যাশা অনুযায়ী হয়নি। তবে রাজনীতি এবং নীতিতে ধারাবাহিকতার কারণে ভবিষ্যতে একটি শক্তিশালী শক্তি হিসেবে কংগ্রেসের পুনরুত্থান নিশ্চিত (Delhi Poll Results)।”

  • Delhi Elections 2025: ফেল তোষণের রাজনীতিও, দিল্লিতে মুসলমান মহল্লায়ও ফুটল পদ্ম

    Delhi Elections 2025: ফেল তোষণের রাজনীতিও, দিল্লিতে মুসলমান মহল্লায়ও ফুটল পদ্ম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তুষ্টিকরণের রাজনীতিও কাজে দিল না! দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে একটি আসনও জিততে পারল না কংগ্রেস। টানা দশ বছর ক্ষমতায় থাকার পর যখন দিল্লির মসনদে আপ ক্ষমতায় এল, তখন অরবিন্দ কেজরিওয়ালের ওপর ভরসা করেছিলেন মুসলমানরা। এবার সেই মুসলমানরাই হাত উপুড় করে ভোট দিলেন পদ্ম চিহ্নে (BJP)। যার জেরে মুসলিম অধ্যুষিত একটি আসনে বিপুল ভোটে জিতলেন পদ্ম-প্রার্থী (Delhi Elections 2025)।

    নির্ণায়ক শক্তি মুসলমানরাই (Delhi Elections 2025)

    ৭০ আসনের দিল্লি বিধানসভায় সাতটি আসনে নির্ণায়ক শক্তি মুসলমানরাই। এক সময় এই আসনগুলিতেই জয়ী হত কংগ্রেস। পরে কেন্দ্রগুলির রাশ যায় আপের হাতে। এবার একটি আসনে বিজেপি জিতেছে। বাকি ছটি আসনে জিততে না পারলেও, দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে গেরুয়া পার্টি। যার অর্থ, কংগ্রেস নয়, বিজেপির ওপর ভরসা করছেন মুসলমানদের একটা বড় অংশও। ২০১১ সালের জনগণনা অনুযায়ী, দিল্লির মুসলিম জনসংখ্যা ১২ শতাংশের বেশি। চাঁদনি চকে মুসলিম জনসংখ্যা ২৯.৭ শতাংশ, মুস্তফাবাদে এই হার ৩৯.৫ শতাংশ, মাটিয়া মহলে মুসলিম জনসংখ্যা ৬০ শতাংশ, বল্লিমারানে এই হার ৪৯.৮ শতাংশ, বাবরপুরে ৪১.১ শতাংশ, সীলমপুরে ৫৭ শতাংশ এবং ওখলাতে ৫২.৫ শতাংশ।

    ভালো ফল বিজেপির

    গত বিধানসভা নির্বাচনে এই সাতটি কেন্দ্রেই বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছিল আপ (Delhi Elections 2025)। এবার মুস্তফাবাদ বিধানসভা কেন্দ্রে ফুটেছে পদ্ম। এই আসনে গেরুয়া প্রার্থী মোহন সিং বিস্ত জয়ী হয়েছেন ১৭ হাজারেরও বেশি ভোটে। বাকি ছটি আসনে গতবারের তুলনায় এবার ভালো ফল করেছে পদ্ম-পার্টি। চাঁদনি চক, মাটিয়া মহল, বাবরপুর, ওখলা এবং বল্লমারানেগত কেন্দ্রে গত বারের চেয়ে এবার ঢের বেশি ভোট পেয়েছে পদ্ম শিবির। চাঁদনি চকে আপের ব্যবধান ৩০ হাজার থেকে কমে হয়েছে ১৬ হাজার, বাবরপুরেও কেজরির দলের জয়ের ব্যবধান কমে হয়েছে ১৯ হাজার।

    রাজনীতির কারবারিদের একাংশের মতে, মুসলমান ভোটাররা মনে করছেন, ভরসা করার মতো কোনও কাজ কংগ্রেস করেনি। প্রচারে পাশে থাকার বার্তা দিলেও, কংগ্রেসের একাধিক নেতা আশ্রয় নিয়েছেন পদ্ম-আঁকা ছাতার তলায় (Delhi Elections 2025)। এসব কারণেই মুসলমানদেরও একটা অংশ বিজেপির ওপর ভরসা করতে শুরু করেছে। তার জেরেই মুসলিম অধ্যুষিত এলাকায়ও দাপিয়ে ব্যাটিং করেছে বিজেপি। অভিজ্ঞ মহলের মতে, মোদি সরকারের তিন তালাক প্রথা রদে খুশি হয়েছেন মুসলমান মহিলারা। তারই ছাপ পড়েছে ইভিএমে (BJP)। যার জেরে মুসলিম অধ্যুষিত কেন্দ্রেও ফুটেছে পদ্ম (Delhi Elections 2025)।

  • Delhi Assembly Election: ‘উন্নয়ন এবং সুশাসনের জয়’, দিল্লিবাসীর আশীর্বাদ পেয়ে আপ্লুত প্রধানমন্ত্রী

    Delhi Assembly Election: ‘উন্নয়ন এবং সুশাসনের জয়’, দিল্লিবাসীর আশীর্বাদ পেয়ে আপ্লুত প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনে জিতে ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদি। কিন্তু দিল্লি জয়ের স্বপ্ন পূরণ হয়নি তাঁর। অবশেষে ২০২৫, দীর্ঘ ২৭ বছর পর ফের দিল্লির বিধানসভায় গেরুয়া ঝড়। এই জয়কে ‘উন্নয়ন এবং সুশাসনের জয়’ বলে উল্লেখ করেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি।

    ভোটারদের প্রণাম মোদির

    দিল্লিবাসীর উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রীর বার্তা, ‘‘জনশক্তি সবার উপরে। মানুষের আশীর্বাদ পাওয়ায় আমরা সম্মানিত।’’ দিল্লিতে বিজেপির জয়ের জন্য সেখানকার ভোটারদের প্রণাম জানান মোদি। তার পরেই তিনি প্রতিশ্রুতি দেন, ‘‘দিল্লির উন্নয়নে আমরা কোনও রকম ফাঁক রাখব না। দিল্লিবাসীর জীবনযাত্রাকে আরও উন্নত করে তুলতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’’ ‘বিকশিত ভারত’-এর গুরুত্বপূর্ণ অংশ হবে দিল্লি, জানান মোদি। একই সঙ্গে দিল্লিতে জয়ের জন্য বিজেপি কর্মীদেরও ধন্যবাদ জানান। মোদি মনে করেন, তাঁদের কঠোর পরিশ্রম ছাড়া এই জয় সম্ভব হত না। দিল্লির বাসিন্দাদের পরিষেবা দেওয়ার জন্য আরও ভালোভাবে কাজ করার বার্তাও দিয়েছেন তিনি।

    শিক্ষা দিয়েছে দিল্লি, বললেন শাহ

    এই নির্বাচনের আগে ইস্তাহারে ঢালাও আশ্বাস দিয়েছিল বিজেপি। মহিলাদের জন্য ভাতা থেকে শুরু করে, বিধবা ও বিশেষভাবে সক্ষম নাগরিকদের জন্য ভাতার আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল। অন্তঃসত্ত্বাদের জন্য এককালীন ভাতা থেকে শুরু করে সুলভে খাবার পাওয়ার জন্য ৫ টাকার ক্যান্টিন চালুর আশ্বাসও ছিল বিজেপির ইস্তাহারে। দিল্লিতে বিজেপির জয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও পোস্টে লেখেন, “প্রধানমন্ত্রী মোদি দিল্লিবাসীর হৃদয়ে। ভোটাররা কেজরিওয়ালের শিসমহল ধ্বংস করে দিয়েছে। যারা প্রতিশ্রুতি রাখে না, তাদের শিক্ষা দিয়েছে দিল্লি। এটা উদাহরণ হয়ে থাকবে।”

    দিল্লিতে উন্নয়নের গ্যারান্টি

    ৫ ফেব্রুয়ারি হয় দিল্লির বিধানসভা নির্বাচন। ৮ ফেব্রুয়ারি, শনিবার হল ফলপ্রকাশ। সকাল থেকে ফল বেরনো শুরু হতেই এগিয়ে যায় বিজেপি। তারপর যত সময় এগিয়েছে, ততই ব্যবধান বাড়িয়েছে বিজেপি। শেষ আপডেট অনুযায়ী, দিল্লিতে ৭০টি আসনের মধ্যে ৪৮টি আসনে জয়ী হয়েছে বিজেপি। আপ জিতেছে ২২টি আসনে। একমাত্র আতিশি মারলেনা ছাড়া আপ-এর প্রথম সারির সব নেতাই হেরেছেন। বিজেপি প্রার্থী পরবেশ ভার্মার কাছে হেরে গিয়েছেন খোদ অরবিন্দ কেজরিওয়াল। এবার রাজধানীতেও মোদি-ম্যাজিক, উন্নয়নের গ্যারান্টি!

  • Christian Evangelist: ট্যুরিস্ট ভিসার মেয়াদে অসমে এসে ধর্মান্তকরণ, কানাডার নাগরিককে বহিষ্কার

    Christian Evangelist: ট্যুরিস্ট ভিসার মেয়াদে অসমে এসে ধর্মান্তকরণ, কানাডার নাগরিককে বহিষ্কার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছিল আগেই। তার পরেও অসমে (Assam) খ্রিস্টধর্ম প্রচার করে চলেছিলেন তিনি (Christian Evangelist)। ব্র্যান্ডন জোয়েল ডেভল্ট নামের ওই কানাডিয়ান নাগরিককে ফেরত পাঠানো হল তাঁর নিজের দেশে।

    ট্যুরিস্ট ভিসায় অসমে (Christian Evangelist)

    ডেভল্ট ট্যুরিস্ট ভিসায় অসমে এসেছিলেন। চলতি বছরের ১৭ জানুয়ারি তাঁর ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। ৫ ফেব্রুয়ারি জোরহাটে আটক করা হয় তাঁকে। এর পরেই শুরু হয় তদন্ত। জোরহাট পুলিশ বিদেশিদের আঞ্চলিক নিবন্ধন অফিসের সঙ্গে যৌথভাবে তদন্ত করে। জোড়হাটের এসপি শ্বেতাঙ্ক মিশ্র বলেন, “ডেভল্ট জোড়হাটের গ্রেস চার্চের অধীনে ধর্মান্তরিতকরণের কাজে জড়িত ছিলেন। ৪ ফেব্রুয়ারি, আমরা জানতে পারি যে কানাডার এক নাগরিক, ব্র্যান্ডন জোয়েল ডেভল্ট, যিনি ট্যুরিস্ট ভিসায় ভারতে এসেছিলেন, তিনি জোরহাটে ধর্মপ্রচার করছিলেন।” তিনি বলেন, “তদন্তে জানা যায় যে, তিনি ধর্মান্তরিতকরণের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। জোড়হাট শহরের বরভেটা এলাকার জেল রোডে অবস্থিত গ্রেস চার্চ থেকে তিনি ধর্মপ্রচার করছিলেন।” জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তি তাঁর ভিসার মেয়াদ বাড়ানোর জন্য আবেদন করেছিলেন। তখনই কর্তৃপক্ষ তাঁর ধর্মপ্রচারমূলক কর্মকাণ্ডের কথা জানতে পারেন।

    ইউটিউব চ্যানেল

    ব্র্যান্ডন জোয়েল ডেভল্ট ধর্মান্তরের জন্য একটি ইউটিউব চ্যানেলও চালাচ্ছিলেন। এসপি জানান, ডেভল্ট স্থানীয়দের খ্রিস্টধর্মে দীক্ষিত করতে ওই ইউটিউব চ্যানেল (Christian Evangelist) চালাচ্ছিলেন। তিনি বলেন, “স্থানীয়দের তাঁর ধর্মে ধর্মান্তরিত করার জন্য তিনি একটি ইউটিউব চ্যানেল চালাচ্ছিলেন। ইউটিউব চ্যানেলটি নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে। আমরা তাঁর বিরুদ্ধে প্রমাণ পেয়েছি। সেই মতো ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে।” প্রসঙ্গত, ভারতীয় ট্যুরিস্ট ভিসা বিদেশিদের ধর্মান্তকরণ বা মিশনারি কাজে জড়িত থাকার অনুমতি দেয় না।

    ডেভল্টের ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার বিষয়টি এফআরআরও কলকাতাকে জানানো হয়। তারা তাঁকে ‘ভারত ছেড়ে যাওয়ার’ নোটিশ জারি করে। জোরহাট পুলিশ তাঁকে দিল্লিতে নিয়ে যায়। সেখান থেকে তাঁকে তুলে দেওয়া হয় টরেন্টোর ফ্লাইটে। এসপি জানান, সম্পূর্ণ বহিষ্কার প্রক্রিয়াটি যথাযথ প্রোটোকল মেনে করা হয়েছে। এজন্য একাধিক আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় সাধন করা হয়েছিল।

    ২০২২ সালে অসম থেকে সাতজন জার্মান নাগরিক এবং তিনজন সুইডিশ নাগরিককে বহিষ্কার করা হয়েছিল (Assam)। তাঁরাও ট্যুরিস্ট ভিসায় ভারতে প্রবেশ করে ধর্মান্তরকরণে যুক্ত ছিলেন (Christian Evangelist)।

  • Delhi Assembly Election: দিল্লিতে বিজেপির জয়ে আরএসএস-এর ভূমিকা কতটা গুরুত্বপূর্ণ, নেপথ্যে থেকে কী কী কাজ করেছে?

    Delhi Assembly Election: দিল্লিতে বিজেপির জয়ে আরএসএস-এর ভূমিকা কতটা গুরুত্বপূর্ণ, নেপথ্যে থেকে কী কী কাজ করেছে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লিবাসীর মন জিতে নিল বিজেপি। ২৭ বছর পর ফের রাজধানীতে গেরুয়া ঝড়। ৭০ আসন বিশিষ্ট দিল্লি বিধানসভায় বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে আসতে চলেছে বিজেপি। দিল্লিতে বিজেপির এই জয়ের পিছনে বড় অবদান রয়েছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘের। দিল্লিতে বিধানসভা নির্বাচনে সক্রিয় ছিল আরএসএস। সরাসরি রাজনৈতিক প্রচার না করলেও আরএসএস ১০০ শতাংশ ভোটদানের প্রচার করে দিল্লিতে। গোটা রাজ্যে গত কয়েকমাস ধরে নিঃশব্দে কাজ করে গিয়েছেন আরএসএসের নেতা-কর্মীরা।

    দিল্লিতে আরএসএস-এর প্রচার

    দিল্লিতে বিপুল ব্যবধানে বিজেপিকে জেতাতে আরএসএস চেষ্টার কসুর করেনি। গণেশ উৎসব, দুর্গা নবরাত্রি, কোজাগরী থেকে দীপাবলি পর্যন্ত প্রতিটি উৎসবকে কেন্দ্র করে মহল্লায় জমায়েত করেছে আরএসএস। সঙ্ঘ পরিবারের সমস্ত সংগঠন মাঠে নেমেছে। আরএসএস স্বয়ংসেবকেরা সকালে বাড়ি বাড়ি গিয়ে সবাইকে ভোট দেওয়ার অনুরোধ করেছেন। গত কয়েকটি নির্বাচনে যেমন হরিয়ানা ও মহারাষ্ট্রে বিজেপির সাফল্যের পিছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে আরএসএসের, তেমনি দিল্লিতেও বিজেপির প্রচারে একধাপ এগিয়ে গিয়েছে সংগঠন। আরএসএস, একটি সামাজিক সংগঠন যা সাধারণত রাজনৈতিক কার্যকলাপ থেকে কিছুটা দূরে থাকে। তবে বিজেপির পক্ষে এর প্রচার একেবারে সহজাত। সাধারণত এটি ভারতের গ্রামীণ অঞ্চলে বিজেপির হিন্দুত্ব এবং জাতীয়তাবাদী বার্তা প্রচার করে।

    দিল্লিতে মানুষকে একজোট করার বার্তা

    ২০১২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়ে আপ ২০১৩ সালে দিল্লিতে শাসন প্রতিষ্ঠা করে এবং ২০১৫ সাল থেকে শাসন চলতে থাকে। তবে কেজরিওয়াল ও অতীশী সরকারের বিরুদ্ধে জনগণের মধ্যে ক্ষোভের পারদ চড়তে থাকে। জনগণের মধ্যে পুঞ্জীভূত ক্ষোভে ঘৃতাহুতি দেন আরএসএস-এর কর্মীরা। তাঁরা মানুষের সামনে বিজেপির জাতীয়তাবাদী রাজনীতির আদর্শকে তুলে ধরেন। দিল্লিতে নির্বাচনের আগে, আরএসএস তার প্রচার শুরু করে দেয়। সংগঠনটির কাজ আটটি বিভাগে (জোন) ভাগ করা হয়েছে, যা ৩০টি জেলা এবং ১৭৩টি নগরে কার্যক্রম পরিচালনা করে। নির্বাচনের দিন ঘোষণার আগে থেকেই, প্রত্যেকটি জোনকে “ড্রয়িং রুম সভা” আয়োজনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এই সভাগুলি ছোট ছোট গ্রুপে আয়োজন করা হতো। যেগুলি স্থানীয় এলাকাগুলির অফিস, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শপিং সেন্টার, স্কুল-কলেজসহ অন্যান্য স্থানে অনুষ্ঠিত হত। এখানে মূলত বিজেপির লক্ষ্য, উন্নততর ভারত গঠনের চেষ্টাকেই গুরুত্ব দেওয়া হত। বলা হত, অমৃতকালের কথা। দলীয় সূত্রে খবর, দিল্লিতে মোট ৫০,০০০ ড্রয়িং রুম সভার আয়োজন করেছিল আরএসএস। যেখানে প্রায় ৪ লাখ মানুষ অংশগ্রহণ করেছিলেন। পশ্চিম দিল্লির এক আরএসএস কর্মী বলেন, “আমাদের কাজ ছিল ভোটারদের শেখানো, যাতে তাঁরা বুথে গিয়ে জাতীয় স্বার্থে ভোট দেন। তবে হ্যাঁ, আমরা বিজেপিকে ভোট দিতে বলছিলাম। কারণ তারা জাতীয় স্বার্থে কাজ করছে।” মানুষের সামনে প্রধানমন্ত্রী মোদির ক্লিন ইমেজও তুলে ধরেন সঙ্ঘের সদস্যরা।

  • BJP: অযোধ্যার উপনির্বাচনে মিল্কিপুর আসন সপার থেকে ছিনিয়ে নিল বিজেপি, কেন তাৎপর্যপূর্ণ?

    BJP: অযোধ্যার উপনির্বাচনে মিল্কিপুর আসন সপার থেকে ছিনিয়ে নিল বিজেপি, কেন তাৎপর্যপূর্ণ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবার বিজেপির (BJP) দিল্লি জয়ের পাশাপাশি আরও উল্লেখযোগ্য জয় এল উত্তরপ্রদেশ থেকে। উত্তরপ্রদেশের মিল্কিপুর আসনে জিতল বিজেপি। অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ এই জয়। কারণ মিল্কিপুর বিধানসভা হল ফৈজাবাদ লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত এবং যা অযোধ্যা জেলায় অবস্থিত। ২০২৪ সালের নির্বাচনে ফৈজাবাদ লোকসভা আসনটি জেতে সমাজবাদী পার্টি। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, মিল্কিপুর ছিল এমন একমাত্র বিধানসভা, গোটা অযোধ্যা জেলার মধ্যে যেখানে ২০২২ সালের নির্বাচনে পরাস্ত হয়েছিল বিজেপি (BJP)। অযোধ্যা জেলার মধ্যে একটি আসনই হেরেছিল গেরুয়া শিবির। কিন্তু শনিবারের উপ নির্বাচনের ফলাফল সামনে আসতে সেটিও তারা ছিনিয়ে নিল সমাজবাদী পার্টির হাত থেকে। বিজেপি প্রার্থী এই আসনে জিতলেন ৫৭ হাজার ভোটে। ফৈজাবাদ লোকসভার মধ্যেই পড়ে অযোধ্যা বিধানসভা। সেখানেই তৈরি হয়েছে রাম মন্দির। ফৈজাবাদে বিজেপি লোকসভা নির্বাচনে হেরে যাওয়ায় প্রবল আস্ফালন শুরু করেছিল ইন্ডি জোট। শনিবার মিল্কিপুরে এল জয়। প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের পর ফের মিল্কিপুর পেল বিজেপি বিধায়ক। ১৯৯১ সালের পর ২০১৭ সালে এই বিধানসভা আসনে জিতেছিলেন বাবা গোরখনাথ। ২০২২ সালের ভোটে তাঁকে হারিয়ে বিধায়ক হন সমাজবাদী পার্টির অবধেশ প্রসাদ।

    মোট ভোটার ৩লাখ ৬০ হাজার (BJP)

    দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত যে রিপোর্ট সেখানে দেখা যাচ্ছে বিজেপি (BJP) প্রার্থী চন্দ্রভানু পাসোয়ান পেয়েছেন ১ লাখ ২৬ হাজারেরও বেশি ভোট। অন্যদিকে সমাজবাদী পার্টির প্রার্থী অজিত প্রসাদ পেয়েছেন ৬৯ হাজার ১৫৬টি ভোট। প্রসঙ্গত, মিল্কিপুর (Milkipur) বিধানসভা আসনে মোট ভোটার রয়েছেন ৩ লাখ ৬০ হাজার একটি সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থার প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী এমনটাই জানানো হয়েছে। সেখানেই বড় জয় ছিনিয়ে নিল বিজেপি।

    পরাজয় হজম হচ্ছে না অখিলেশের

    গেরুয়া শিবিরের কাছে এই পরাজয় কোনওভাবেই হজম করতে পারছেন না সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব। তাই মিল্কিপুরে (Milkipur) পরাস্ত হওয়ার পরে তিনি বিবৃতি দেন, বিজেপি (BJP) নির্বাচনে জালিয়াতি করেছে। অন্যদিকে, বিজেপির সাংসদ দীনেশ শর্মা সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন যে, মিল্কিপুরে সমাজবাদী পার্টির অহঙ্কারের পতন হয়েছে।

  • DeepSeek: বিপদে ব্যক্তিগত তথ্যের সুরক্ষা! চিনা ‘ডিপসিক’-কে নিষিদ্ধ করেছে ভারত সহ বহু দেশ

    DeepSeek: বিপদে ব্যক্তিগত তথ্যের সুরক্ষা! চিনা ‘ডিপসিক’-কে নিষিদ্ধ করেছে ভারত সহ বহু দেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আত্মপ্রকাশেই সারা পৃথিবী জুড়ে হইচই ফেলে দিয়েছিল চিনা স্টার্ট আপ এআই সংস্থা ডিপসিক (DeepSeek)। কম দামে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা জেনারেটিভ আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) মডেল ‘ডিপসিক-আর১’ তৈরি করে বিশ্বে সাড়া ফেলে দিয়েছে সংস্থাটি। তবে, এর মধ্যেই বিভিন্ন দেশের সরকারি নিষেধাজ্ঞার খাঁড়া নেমে এসেছে ‘ডিপসিক-আর১’-এর উপর। তথ্যের গোপনীয়তা রক্ষার স্বার্থে এই চিনা স্টার্ট আপ সংস্থাটির ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করছে বেশ কয়েকটি দেশের সরকার। সেই তালিকায় রয়েছে ভারতও।

    কেন নিষিদ্ধ ডিপসিক

    তাইওয়ান, অস্ট্রেলিয়া-সহ বেশ কয়েকটি দেশ মনে করছে চিনা স্টার্ট আপ সংস্থার তৈরি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অ্যাপটি নিরাপত্তার ক্ষেত্রে ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। ইউরোপীয় দেশগুলির মধ্যে ইটালি, আয়ারল্যান্ড, ফ্রান্স, বেলজিয়াম এবং নেদারল্যান্ডসের মতো দেশের গোপনীয়তা পর্যবেক্ষণকারী সংস্থাগুলি ডিপসিক অ্যাপের তথ্য সংগ্রহের পদ্ধতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

    ভারতের আশঙ্কা

    ভারতও দেশের সরকারি তথ্য সুরক্ষিত রাখার জন্য চ্যাটজিপিটি, ডিপসিকের মতো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন অ্যাপ্লিকেশনগুলি ব্যবহারের নিয়ন্ত্রণ জারি করেছে। এই ধরনের অ্যাপ্লিকেশনগুলিকে তাদের অধীনে থাকা অফিসের কম্পিউটার বা অন্য যন্ত্রে ব্যবহার না করার নির্দেশিকা জারি করেছে অর্থ মন্ত্রক। এই অ্যাপগুলি থেকে সরকারি নথি ফাঁস হওয়ার আশঙ্কা করছে দিল্লি। অর্থ মন্ত্রকের অধীনে থাকা সব অফিসের কর্মীদের এ বিষয়ে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। গত ২৯ জানুয়ারি এই মর্মে একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। মন্ত্রকের আশঙ্কা, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার যে কোনও অ্যাপ অফিসের যন্ত্রে ব্যবহার করা হলে সরকারি গোপন নথি এবং তথ্য ফাঁস হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, এই অ্যাপগুলি গোপনীয় তথ্য এবং নথির জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।

    প্রথম বন্ধকরে ইটালি

    ডিপসিককে নিষিদ্ধ করার কথা প্রথম ঘোষণা করেছিল ইটালি। ইটালিতে গুগ্‌ল প্লে স্টোর ও অ্যাপ স্টোরগুলি থেকে চিনা স্টার্ট অ্যাপের চ্যাটবট অ্যাপটি দ্রুত সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। দেশটির তথ্য সুরক্ষা কর্তৃপক্ষ (ডিপিএ) ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ ও সংরক্ষণের পদ্ধতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশের পরই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে সে দেশের সরকার। চিনা সংস্থাটি কীভাবে ব্যবহারকারীর তথ্য স‌ংরক্ষণ বা পরিচালনা করে, সে সম্পর্কে তথ্য চাওয়া হয়। তথ্য ব্যবস্থাপনা ও গোপনীয়তা নীতি নিয়ে কারণ দর্শানোর জন্য ডিপসিককে ২০ দিন সময়ও দেওয়া হয়। কর্তৃপক্ষের দাবি, ডিপসিকের প্রাথমিক ব্যাখ্যা যথেষ্ট ছিল না।

    জাতীয় তথ্য নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন তাইওয়ান

    ডিপসিকের (DeepSeek) চ্যাটবটকে ‘জাতীয় তথ্য নিরাপত্তার জন্য হুমকি’ উল্লেখ করে তাইওয়ানের ডিজিটাল বিষয়ক মন্ত্রণালয় সরকারি সংস্থাগুলিকে এই এআইয়ের ব্যবহার করতে নিষেধ করেছে। তাইওয়ান সরকারের জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ডিপসিকের মালিকানা একটি চিনা সংস্থার হাতে রয়েছে। সরকারি মন্ত্রক এই সংস্থাটির কৃত্রিম মেধার সাহায্য নিলে গুরুত্বপূর্ণ সরকারি তথ্য পড়শি দেশে পাচার হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে মনে করছে তাইওয়ান সরকার। সমস্ত সরকারি দফতর, স্কুল-কলেজ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান-সহ যাবতীয় রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের ক্ষেত্রে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করা হবে।

    অস্ট্রেলিয়ার সমস্ত সরকারি সিস্টেমে বন্ধ

    নিরাপত্তার কারণে অস্ট্রেলিয়ায় সরকারি কর্মীদের বেজিঙের স্টার্টআপের এই এআই প্ল্যাটফর্মটি ইনস্টল এবং ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার সমস্ত সরকারি সিস্টেম থেকে ওই অ্যাপ্লিকেশন এবং ওয়েব পরিষেবা সরিয়ে দিতে বাধ্যতামূলক ভাবে নির্দেশ দিয়েছে সরকার। রয়টার্স জানিয়েছে, এই নিষেধাজ্ঞা শুধুমাত্র সরকারি মহলে জারি করা হয়েছে। দেশের বেসরকারি নাগরিকদের জন্য এই বিধিনিষেধ প্রযোজ্য নয়।

    চিন্তিত আমেরিকাও

    ডিপসিকের নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়গুলিকে ইতিমধ্যেই আতশকাচের নীচে ফেলে দেখছে আমেরিকাও। নৌবাহিনীর তরফে একটি ইমেলে জানানো হয়েছে, সেনার প্রতিটি সদস্যকে ডিপসিকের সমস্ত রকম পরিষেবা ব্যবহার না করার উপর কড়া নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। নৌবাহিনী তাদের কর্মীদের ব্যক্তিগত ব্যবহারের ক্ষেত্রেও এই নিষেধাজ্ঞা বহাল রেখেছে। তাঁদের আশঙ্কা, ডিপসিকের মাধ্যমে গোপনীয় তথ্য চিন করায়ত্ত করতে পারে। এ ছাড়া সেনাকর্তারা খতিয়ে দেখছেন অ্যাপটি জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি তৈরি করছে কি না।

    ভারতের উদ্যো

    বেশিরভাগ দেশ এআই সরকারি সংস্থায় নিষিদ্ধ করায়, ভারতও সেই পথেই হেঁটেছে। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক করেন ওপেনএআই-এর সিইও স্যাম অলটম্যান। ভারতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহারে পরিকাঠামো নিয়ে তাঁদের মধ্যে কথা হয়েছে বলে খবর। বৈঠকের পরে অশ্বিনী বৈষ্ণব এক্স হ্যান্ডলে জানান,  ‘এআই ভিত্তিক পরিকাঠামোর অঙ্গ— জিপিইউ, মডেল এবং অ্যাপ নিয়ে আমাদের নীতি বিষয়ে স্যাম অলটম্যানের সঙ্গে দারুণ আলোচনা হল। এই তিনটি ক্ষেত্রে ভারতের সঙ্গে কাজের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন তিনি।’ এরপরই ডিপসিকের বিষয়ে ভারতের সিদ্ধান্তের কথা জানা যায়।

  • Congress: ০, ০, ০! দিল্লিতে অন্য হ্যাটট্রিক কংগ্রেসের, জাতীয় রাজনীতিতে অস্তাচলে গান্ধীরা?

    Congress: ০, ০, ০! দিল্লিতে অন্য হ্যাটট্রিক কংগ্রেসের, জাতীয় রাজনীতিতে অস্তাচলে গান্ধীরা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এই নিয়ে টানা তিনবার দিল্লিতে মুখ থুবড়ে পড়ল কংগ্রেস (Congress)। শুধু পরাজয়ই নয়, এক্কেবারে টানা তিন-তিন বার খালি হাতে ফিরে শূন্যের হ্যাটট্রিক করল শতাব্দীপ্রাচীন পার্টি। এরপরই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, তবে কি অস্তাচলে যাচ্ছে গান্ধী পরিবার? ১৯৯৮ সাল থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত টানা ১৫ বছর দিল্লির মসনদে ছিল কংগ্রেস। কিন্তু তারপরেই দিল্লির জনগণ তাদের সেখান থেকে উৎখাত করে। বিগত ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটেও আম আদমি পার্টির সঙ্গে জোট করে নির্বাচনে যায় কংগ্রেস। কিন্তু সেখানেও ভরাডুবি হয় দলের। দিল্লির (Delhi Election) অন্তর্গত লোকসভাগুলিতে ব্যাপক ভরাডুবি হয় আম আদমি পার্টির।

    দিল্লির মানুষ প্রত্যাখান করেছে কংগ্রেসকে (Congress)

    ২০২৫ সালের নির্বাচনে কংগ্রেস (Congress) ও আম আদমি পার্টির মধ্যে জোট হয়নি। এই আবহে একদিকে বিজেপি অন্যদিকে আম আদমি পার্টির বিরুদ্ধে আক্রমণ শানাতে থাকেন কংগ্রেসের রাহুল গান্ধী। কিন্তু এত সব কিছু করেও বিফলে গেল তাদের প্রচার। দিল্লির জনগণ ফের একবার প্রত্যাখ্যান করল কংগ্রেসকে। প্রসঙ্গত, দিল্লিতে কংগ্রেসের ভরাডুবি শুরু হয় ২০১৩ সাল থেকেই। সেখানে মাত্র ৮টি আসনে জয় পায় তারা। শতাংশের বিচারে ভোট পায় ১১.৪ শতাংশ। অন্যদিকে ওই বছরে আম আদমি পার্টি ২৮টি আসনে তারা জয় লাভ করে ৪০ শতাংশ ভোট নিয়ে। এরপরের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ২০১৫ সালে। সেবারের নির্বাচনে কংগ্রেস একটি আসনেও জিততে পারেনি। দলের ভোট শতাংশের হার নেমে আসে ৯.৬৫।

    ২০২০ সালেও কোনও আসন জিততে পারেনি কংগ্রেস (Congress)

    ৫ বছর পরে ২০২০ সালে কংগ্রেস আবারও একবার শূন্য পায়। ভোট শতাংশের হার তারও অর্ধেক হয়ে দাঁড়ায় ৪.২৬। দলের এমন ফলাফলে যথেষ্ঠই হতাশ কংগ্রেস নেতা তথা ছত্তিশগড়ের প্রাক্তন মন্ত্রী টিএস সিং। তিনি সংবাদ মাধ্যমের কাছে নিজের গভীর হতাশা ব্যক্ত করেন দিল্লির ফলাফল নিয়ে। তিনি বলেন, ‘‘দিল্লিতে (Delhi Election) যা হল তা কংগ্রেসের (Congress) জন্য যথেষ্ট হতাশার। বিজেপি জিতছে আম আদমি পার্টির হারছে। আমাদেরকে অপেক্ষা করতে হবে চূড়ান্ত ফলাফল আসা পর্যন্ত। যারা জিতল তাদেরকে অভিনন্দন জানাই।’’

  • Delhi Elections 2025: বিদায় আপের! ২৭ বছর পর দিল্লি পদ্মময়! কোন ফর্মুলায় এল জয়?

    Delhi Elections 2025: বিদায় আপের! ২৭ বছর পর দিল্লি পদ্মময়! কোন ফর্মুলায় এল জয়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিভিন্ন এক্সিট পোলে দাবি করা হয়েছিল দিল্লিতে আসতে চলেছে বিজেপির সরকার (Delhi Elections 2025)। শনিবার সকাল থেকে চলছে দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের ফল গণনা। সেই গণনার ট্রেন্ড বলছে দিল্লিতে ডাবল ইঞ্জিন সরকার হচ্ছে। শেষ পর্যন্ত বিজেপি জয়ী হলে ২৭ বছর পর দিল্লির কুর্সিতে ফের বসবে পদ্ম-পার্টি। দিল্লি বিধানসভার আসন সংখ্যা ৭০টি। এদিন বিকেল তিনটের পর্যন্ত পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে, ৪৮টি আসনে জয়ী এবং এগিয়ে রয়েছে পদ্ম পার্টি। দিল্লিতে সরকার গড়তে হলে প্রয়োজন ৩৬টি আসনের। ফলে, দিল্লিতে গঠিত হচ্ছে বিজেপি সরকার, এটা নিশ্চিত। রাজ্যের শাসক দল আপের ঝুলিতে মাত্র ২৬টি আসন (তিনটের হিসেব) থাকতে পারে। আর কংগ্রেস তো পিকচারেই নেই।

    মোদির নেতৃত্বে দিল্লি দখলের লড়াই (Delhi Elections 2025)

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে দিল্লি দখলের লড়াইয়ে নামে বিজেপি। প্রচারে মূল বার্তা ছিল তিনটি- আপের কল্যাণমূলক প্রকল্পগুলি অব্যাহত রাখা, ডাবল ইঞ্জিন উন্নয়ন এবং আপের দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিশ্রুতি। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, দিল্লির মধ্যবিত্ত শ্রেণির আস্থাও হারিয়েছিল অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দল। তাদের দৃঢ় বিশ্বাস হয়েছিল, আপের কল্যাণমূলক রাজনীতি থেকে তাঁরা তো উপকৃত হননি, উল্টে আপ আমলে খারাপ হয়েছে দিল্লির রাস্তাঘাট, কমেছে নাগরিক সুযোগ-সুবিধা। ২০১২ সালে আম আদমি পার্টি গঠন করেন খড়্গপুর আইআইটির প্রাক্তনী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তার পরের বছরই দিল্লির কুর্সিতে বসে কেজরিওয়ালের দল (Delhi Elections 2025)। ২০১৫ সাল থেকে দিল্লির মসনদে টানা ছিল সেই দল। এবার নির্বাচনে সেই কুর্সিই খোয়াতে চলেছে কেজরিওয়ালের দল।

    দিল্লিবাসীর ক্ষোভের আগুন

    নিয়মিত যাঁরা রাজনীতির চর্চা করেন, তাঁদের বক্তব্য আপের বিরুদ্ধে দিল্লিবাসীর ক্ষোভের আগুন পুঞ্জীভূত হয়েছিল তুষের আগুনের মতো ধিকিধিকি করে। জনগণমনের সেই আঁচ পেয়েছিল আপও। তার স্পষ্ট প্রমাণ মেলে তাদের প্রার্থী তালিকায় চোখ বোলালে। শেষ মুহূর্তে প্রার্থী তালিকায় কিছু রদবদল করা হলেও, তা বিশেষ ছাপ ফেলেনি ভোটারদের মনে।

    প্রতিষ্ঠান বিরোধিতার হাওয়া

    জনতার এই প্রতিষ্ঠান বিরোধিতার হাওয়াই পালে লেগেছে বিজেপির নাওয়ের। সেই কারণেই গেরুয়া শিবিরের দিল্লি দখল হতে চলেছে নিছকই কেকওয়াক। এক দিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির তুঙ্গ জনপ্রিয়তা এবং তাঁর প্রতিশ্রুতি পূরণের দক্ষতা যেমন বিজেপির জয়ের পথ মসৃণ করেছে তেমনি, দেশের অর্থনীতির ভোল বদলে দেওয়াও গভীর ছাপ ফেলেছে দিল্লিবাসীর মনে (Delhi Elections 2025)। তাঁদের বদ্ধমূল ধারণা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কংগ্রেস কিংবা আপ নেতাদের মতো স্বপ্ন ফেরি করে বেড়ান না, ফাঁকা আওয়াজও দেন না। তাঁর গায়ে লেগে নেই দুর্নীতির কালিও। প্রধানমন্ত্রীর এই ‘মিস্টার ক্লিন’ ইমেজও সহায়ক হয়েছে বিজেপি জয়ের পথে ছড়িয়ে থাকা কাঁটা সরাতে।

    মোদিতেই আস্থা

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির একাধিক সিদ্ধান্তও বিজেপির প্রতি আস্থা বাড়িয়ে তুলেছে দিল্লিবাসীর। তিনি যে অসাধ্য সাধন করতে পারেন, তা তাঁরা টের পেয়েছেন জম্মু-কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা বিলোপ করার পর। কংগ্রেস জমানায় প্রায় প্রতিদিন রক্তাক্ত হত ভূস্বর্গ। সেখানেই আজ বিরাজ করছে অনাবিল শান্তি। আক্ষরিক অর্থেই কাশ্মীর আজ ভূস্বর্গ। ৩৭০ ধারা বিলোপের পর কাশ্মীরে বইছে উন্নয়নের জোয়ার। এসবই দিল্লিবাসীর মনে মোদি সম্পর্কে ‘ম্যায় হুঁ না’ টাইপের একটা ধারণা তৈরি করেছে।অযোধ্যায় রাম মন্দির গড়েও দিল্লিবাসীর আস্থা অর্জন করেছেন প্রধানমন্ত্রী। যুগ যুগ ধরে চলে আসা বিতর্কের অবসান ঘটিয়েছেন তিনি। অযোধ্যার রাম জন্মভূমিতেই প্রাণ প্রতিষ্ঠা হয়েছে রামলালার বিগ্রহের। তার জেরেও প্রধানমন্ত্রীর ওপর দিল্লিবাসীর ভরসা বেড়েছে বই কমেনি। তিন তালাকের প্রথা রদ করাও ফেভারে গিয়েছে মোদির দলের (Delhi Elections 2025)। দিল্লির হাজার হাজার মুসলমান মহিলা দুহাত উপুড় করে ভোট দিয়েছেন পদ্ম পার্টিকে। ইভিএমের সেই ফলও জানান দিচ্ছে বিজেপির পক্ষে দিল্লি খুব বেশি দূরে নয়।

    ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’

    প্রধানমন্ত্রীর ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ স্লোগানও ভালো ‘খেয়েছেন’ দিল্লির ভোটাররা। মোদির রাজত্বে তরতরিয়ে উন্নতি হচ্ছে অর্থনীতির। এক সময় কোনও কিছুর জন্য নির্ভর করতে হত বিদেশের ওপর। ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ প্রকল্পে এখন সেটাই তৈরি হচ্ছে ভারতে। ফলে কমেছে বিদেশি-নির্ভরতা। বিজেপির দিল্লি বিজয় অনায়াস হয়েছে এই কারণেও। এর আগে দিল্লিতে বিজেপি ক্ষমতায় ছিল ১৯৯৮ সালে (Delhi Elections 2025)। শেষ মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন সুষমা স্বরাজ। ডেমোগ্রাফি বদলে এবং তুষ্টিকরণের রাজনীতি করে দিল্লি দখল করে কংগ্রেস। মসনদে বসেন শীলা দীক্ষিত। ২০১৩ সালে প্রথমবার ক্ষমতায় আসে আপ। দিল্লিবাসী সেই দলকেও ‘ঝাড়ু’ দিয়ে ঝেঁটিয়ে বিদেয় করে দিলেন।

    দিল্লি হল পদ্মময়। ক্ষমতায় আসতে চলেছে ডাবল ইঞ্জিন সরকার। উন্নয়নের রথের চাকার ধুলোয় বিরোধী না খড়কুটোর মতো উড়ে যান (Delhi Elections 2025)!

LinkedIn
Share