Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • India-China: প্যাংগং লেকের উপর হেলিকপ্টার নিয়ে সামরিক মহড়া চিনের! কী ভাবছে বেজিং

    India-China: প্যাংগং লেকের উপর হেলিকপ্টার নিয়ে সামরিক মহড়া চিনের! কী ভাবছে বেজিং

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পূর্ব লাদাখে (East Ladakh) অব্য়াহত চিনা উস্কানি। গত মাসেই প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার (Line of Actual Control) কাছে যুদ্ধ বিমান (Fighter Aircraft) উড়িয়েছে লালফৌজ (Red Army)। এই আবহেই সামরিক স্তরে ১৬ রাউন্ডের বৈঠকে মুখোমুখি হয়েছে ভারত (India) ও চিন (China)। সেই বৈঠকের এক সপ্তাহই পেরোয়নি আবার প্যাংগং লেকের উপর হেলিকপ্টার নিয়ে সামরিক মহড়া চালাল চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মি (PLA)।

    চিনের সংবাদ মাধ্যমে এই সেনা মহড়ার একটি ৩৩ সেকেণ্ডের ভিডিও দেখানো হয়। ভিডিওয় দেখা যায়, বিশ্বের সর্বোচ্চ লবণাক্ত জলের হ্রদ প্যাংগংয়ের উপর চিনা ফৌজের জিনজিয়াং শাখার কমান্ডাররা মহড়া চালাচ্ছে। জেড-১০ আক্রমণকারী হেলিকপ্টারগুলি এই প্রথমবার সামরিক মহড়ায় যোগ দিয়েছে। আগে এই হেলিকপ্টারগুলি শুধু সেনা নিয়ে নানা প্রান্তে যাতায়াত করত।

    ভারতচিন (India China Relation) সম্পর্ক বরাবরই নাতিশীতোষ্ণ। পূর্ব লাদাখে নিয়ন্ত্রণরেখার (LAC) কাছে উত্তেজনা কমাতে  সেনাস্তরের ১৬তম বৈঠকেও স্থায়ী সমাধানসূত্রে পৌঁছতে পারেনি দুই দেশ। বৈঠক শেষে যৌথ বিবৃতিতে জানানো হয়, পূর্ব লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় শান্তি ফেরাতে ঐক্যমত ভারতীয় এবং চিনা সেনা। বিবৃতিতে ভারত-চিনের তরফে আরও জানানো হয়েছে যে, পূর্ব লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় সমস্যা মেটাতে দুই দেশই উদ্যোগী। পারস্পরিক গ্রহণযোগ্য সমাধানসূত্র খুঁজতে দু’পক্ষই সামরিক ও কূটনৈতিক ভিত্তিতে আলোচনার মাধ্যমে অগ্রসর হবে। কিন্তু সেই বৈঠকের রেশ কাটতে না কাটতেই চিনা ফৌজের এই পদক্ষেপ ভালভাবে নিচ্ছে না দিল্লি।

    আরও পড়ুন: প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে নতুন হাইওয়ে চিনের! জানুন কোথা দিয়ে যাবে সেই রাস্তা

    ২০২০ সালে পূর্ব লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে সেনা অবস্থান নিয়ে যে বিরোধ তৈরি হয়েছিল, তা দুই বছর কাটার পরও মেটেনি। এর আগেও একাধিকবার সেনা ও কূটনৈতিক স্তরে আলোচনায় বসেছিল ভারত ও চিন। কিন্তু বৈঠকের পরই চিনের তরফে উল্টো ছবি ধরা পড়েছে। লাদাখের ডেমচক, গোগরা, দেপ সাং-সহ প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার আশেপাশে যেসমস্ত জায়গায় এখনও চিনা সেনা মোতায়েন রয়েছে, সেখান থেকে দ্রুত সেনা সরানোর জন্য ভারতীয় সেনার তরফে চিনকে চাপ দেওয়া হয়। যদিও চিন কোনওভাবেই শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের পথে হাঁটতে চায়নি। তবে ভারতও যে আর চিনের কাছে শান্তি ভিক্ষা করবে না তা আগেই জানিয়ে দিয়েছেন ভারতীয় সেনা প্রধান। নিয়ন্ত্রণ রেখায় চিনা যুদ্ধবিমানের কার্যকলাপ নিয়েও কড়া বার্তা দিয়েছেন এয়ার চিফ মার্শাল ভিআর চৌধুরি (Air Chief Marshal VR Chaudhari)। চিনা যুদ্ধবিমান ভারতের সীমায় এলেই, তার যোগ্য জবাব দেওয়া হবে বলে জানান তিনি। 

  • Rajya Sabha poll : টানটান উত্তেজনায় শেষ রাজ্যসভা নির্বাচন, হল ক্রস ভোটিংও

    Rajya Sabha poll : টানটান উত্তেজনায় শেষ রাজ্যসভা নির্বাচন, হল ক্রস ভোটিংও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টানটান উত্তেজনার মধ্যে শেষ হল রাজ্যসভা নির্বাচন (Rajya Sabha Polls)। শুক্রবারই শুরু হয় গণনা। হয়েছে ক্রস ভোটিংও (Cross Voting)। এদিকে, রাজ্যসভা (Rajya Sabha) ভোটে অংশ নেওয়ার জন্য আদালতে আবেদন জানিয়ে ছিলেন মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী নবাব মালিক (Nawab Malik)। তাঁর সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে বম্বে হাইকোর্ট (Bombay Highcourt)।

    ১৫টি রাজ্য মিলিয়ে রাজ্যসভার মোট ৫৭টি আসনে ভোট হওয়ার কথা ছিল। ৪১ জন আগেই জয়ী হয়ে যাওয়ায় ভোট হচ্ছে ১৬টি আসনে। এই ৫৭টি আসনের মধ্যে ২৩টিরই রাশ রয়েছে বিজেপির হাতে। কংগ্রেসের দখলে ৮টি। বাকি আসনগুলি রয়েছে অন্যান্য রাজনৈতিক দলের দখলে। রাজ্যসভা থেকে যাঁরা অবসর নিয়েছেন তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গয়াল, মুখতার আব্বাস নাকভি, কপিল সিব্বল , পি চিদাম্বরম প্রমুখ। নির্বাচন ঘিরে চার রাজ্যে নিয়োগ করা হয়েছিল বিশেষ পর্যবেক্ষক (Special Observers)। পুরো ভোটপর্ব ভিডিওগ্রাফি (Videography) করা হয়েছে। চার রাজ্যের ১৬টি আসনে ভোট হলেও, জোর লড়াই মূলত রাজস্থান ও মহারাষ্ট্রে।

    আরও পড়ুন : আসন্ন রাজ্যসভা নির্বাচনে অ্যাডভান্টেজ বিজেপি, শক্তি খোয়াবে কংগ্রেস?

    এদিকে, ক্রস ভোটিং হয়েছে কর্নাটকে। এ রাজ্যের জনতা দল সেকুলারের দুই বিধায়ক ভোট দিয়েছেন কংগ্রেস প্রার্থীকে। এদিন যাঁরা ভোট দিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্বাই এবং হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খট্টর।

    ভোট শুরু হয় সকাল ৯টায়। বিকেল পাঁচটায় শুরু হয় গণনা। এদিন ভোট হয়েছে চারটি রাজ্যে। বাকি ১১টি রাজ্যের ৪১ জন প্রার্থী আগেই জয়ী হয়েছেন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়। কর্নাটক, মহারাষ্ট্র, হরিয়ানা এবং রাজস্থানে শাসক ও বিরোধীর ভোটের অঙ্কে অতিরিক্ত প্রার্থী দিয়েছেন। তাই ক্রস ভোটিং হওয়ারই ছিল। হয়েছেও তাই।

    আরও পড়ুন : রাজ্যসভা নির্বাচনে ২২ আসনে প্রার্থী ঘোষণা বিজেপির, দেখুন তালিকা

    যে ১৬টি আসনে এদিন ভোট হয়েছে, তার মধ্যে রাজস্থানে রয়েছে ৪টি আসন। সেখানে দুটি আসনে কংগ্রেসের জয় নিশ্চিত। যদিও তাদের প্রার্থীর সংখ্যা তিন। এই তৃতীয় প্রার্থীকে জেতাতে তাদের প্রয়োজন আরও ১৫ জনের সমর্থন। কর্নাটকের চার আসনে লড়ছেন ছয় প্রার্থী। হরিয়ানায় আসন দুটি। যদিও লড়ছেন তিন জন। মহারাষ্ট্রে আসন ছটি হলেও, প্রার্থী রয়েছেন সাতজন।

     

  • Mask Mandatory in Flights: বিমানে মাস্ক বাধ্যতামূলক, কেমন মাস্ক উড়ানে আদর্শ? 

    Mask Mandatory in Flights: বিমানে মাস্ক বাধ্যতামূলক, কেমন মাস্ক উড়ানে আদর্শ? 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরও একবার আশঙ্কা বাড়াচ্ছে করোনা (Covid 19)। প্রায় দুবছর ধরে লড়াইয়ের পর সংক্রমণ কমলেও এখনও মহামারীর অভিশাপ থেকে পুরোপুরি মুক্তি পায়নি  দেশ।  যদিও শিথিল হয়েছে কোভিড বিধি (Covid Protocol)। কিন্তু ফের দেশের কিছু অংশে কোভিড সংক্রমণের সংখ্যা ফের বাড়তে শুরু করায় কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে বিমান মন্ত্রক (DGCA)। বিমানবন্দরে এবং বিমানে মাস্ক (Mask) আবার বাধ্যতামূলক (Mandatory) করা হয়েছে। সিভিল এভিয়েশন নিয়ন্ত্রক,  ডিজিসিএ বুধবার নির্দেশিকা জারি করে জানিয়েছে, যারা মাস্ক পরবেন না তাঁদের টেক অফের আগে ডি-বোর্ড করা হতে পারে। সিআইএসএফ কর্মীরা মাস্ক বিধি প্রয়োগের দায়িত্বে থাকবেন। 

    আরও পড়ুন: দেশজুড়ে করোনার বাড়বাড়ন্ত, বিমানে ফের বাধ্যতামূলক মাস্ক

    ডিসিজিএ আরও বলেছে, উড়ানে থাকাকালীন খুব প্রয়োজন ছাড়া কেউ মাস্ক খুলতে পারবেন না। যাত্রীরা যাতে মাস্ক পরে থাকেন তা নিশ্চিত করতে হবে বিমান কর্তৃপক্ষকে। 

    কীরকম মাস্ক উড়ানের জন্যে আদর্শ? 

    বিশেষজ্ঞরা মাল্টি লেয়ারড মাস্ক পরার পরামর্শ দিচ্ছেন। নাক এবং মুখকে শক্ত করে ঢাকবে এবং কোথাও ফাঁকা থাকবে না এমন মাস্ক পরুন। ডিসপোসেবেল থ্রি লেয়ার মাস্ক, এন-৯৫, মাল্টি লেয়ার কটনের মাস্ক পরার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। যদি সম্ভব হয়, তাহলে দুটি করে মাস্ক পরার অভ্যেস করতে বলছেন তাঁরা। লেসের ফেব্রিক দিয়ে তৈরি মাস্ক এড়িয়ে চলুন। এমনটাই মত চিকিৎসকদের। 

    বদ্ধ জায়গায় মাস্ক খোলা নিরাপদ? 

    চিকিৎসকরা বলছেন মাস্ক কখনোই খোলা উচিত না। শ্বাসকষ্টের সমস্যা না থাকলে যাত্রায় কখনই মাস্ক খুলবেন না।  মাস্ক যেন টাইট হয়ে মুখে বসে। অন্যথা অন্য মাস্ক পরুন। 

    আরও পড়ুন: আশঙ্কা বাড়াচ্ছে করোনা, রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ কেন্দ্রের

    যদিও দেশজুড়ে টিকাকরণ চলছে। তাও করোনাকে আটকানোর একমাত্র উপায় কোভিডবিধি মেনে চলা। এমনটাই মত বিশেষজ্ঞদের। হাতধোয়া, স্যানিটাইজার ব্যবহার থেকে মাস্ক পরা, আগের মতো সব নিয়মই মেনে চলুন অক্ষরে অক্ষরে। তাহলেই আপনার ধারেকাছে ঘেঁষবে না করোনা।   

     

  • Rahul Gandhi: পুলিশের উর্দি ধরে টান রেণুকার! রাহুল ইস্যুতে বিক্ষোভ কংগ্রেসের

    Rahul Gandhi: পুলিশের উর্দি ধরে টান রেণুকার! রাহুল ইস্যুতে বিক্ষোভ কংগ্রেসের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় (National Herald Case) জেরা করা হচ্ছে কংগ্রেস (Congress) সাংসদ রাহুল গান্ধীকে (Rahul Gandhi)। গত তিন দিনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে প্রায় ৩০ ঘণ্টা ধরে। শুক্রবার ফের চলছে জেরা। এদিকে, ওই ঘটনার প্রতিবাদে সোমবার থেকে লাগাতার বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন কংগ্রেস নেতাকর্মীরা। এই আন্দোলন করতে গিয়েই হায়দরাবাদে কংগ্রেস নেত্রী রেণুকা চৌধুরীর (Renuka Chowdhury) বিরুদ্ধে উঠল পুলিশের (police) কলার চেপে ধরার অভিযোগ। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন রেণুকা।

    আরও পড়ুন : ইডি-র ম্যারাথন জেরার মুখে ফের রাহুল, হাজিরা বুধেও

    ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় আর্থিক তছরুপের অভিযোগে কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী এবং কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীকে তলব করে ইডি। করোনা সংক্রমিত হওয়ায় হাসপাতালে ভর্তি সোনিয়া। তাই হাজিরা দিতে পারেননি ইডির দফতরে। রাহুলকে অবশ্য টানা তিন দিন জেরা করেছে ইডি। শুক্রবার ফের চলছে জেরা।

    রাহুলকে ‘হেনস্থা’র প্রতিবাদে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন কংগ্রেস নেতাকর্মীরা। তেলঙ্গানার রাজধানী হায়দরাবাদে কংগ্রেস নেত্রী রেণুকা চৌধুরী পুলিশের কলার চেপে ধরেন বলে অভিযোগ। ঘটনায় শুরু হয়েছে বিতর্ক। যদিও রেণুকার দাবি, ভারসাম্য বজায় রাখতেই ওই পুলিশ কর্মীর কলার চেপে ধরেছিলেন তিনি। কংগ্রেস নেত্রী বলেন, আমি ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছিলাম। আমার হাত ফসকে যায়। আর তাই আমি ওঁর কলার চেপে ধরেছিলাম। রেণুকার সাফাই, আপনারা ভিডিও দেখলেই বুঝতে পারবেন, কীভাবে আমার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হয়েছে। কীভাবে ধাক্কা দেওয়া হয়েছে।

    [tw]


    [/tw]

    এদিকে, রাহুলকে জেরার প্রতিবাদে দেশজুড়ে শুরু হয়েছে বিক্ষোভ। রাজনৈতিক মহলের মতে, কংগ্রেসের হাতে এই মুহূর্তে কোনও ইস্যু নেই, যা নিয়ে আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়তে পারেন নেতাকর্মীরা। রাহুলের ইডি জেরাকে কেন্দ্র করে সারা দেশে আন্দোলন করে চব্বিশের লোকসভা ভোটের আগে ঘুরে দাঁড়াতে চাইছে সোনিয়ার দল। রাহুল গ্রেফতার হয়ে গেলে খান খান হয়ে যাবে কংগ্রেস।এই আশঙ্কা থেকেও আন্দোলন বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের।

    আরও পড়ুন : কাঠমান্ডুর নাইটক্লাবে রাহুল গান্ধীর ভিডিও ভাইরাল, নিন্দায় সরব বিজেপি

    এদিকে, ইডি জেরার মুখে প্রয়াত কংগ্রেস নেতা মতিলাল ভোরার নাম নিয়েছেন রাহুল। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তাঁর ছেলে অরুণ ভোরা। তাঁর মতে, অভিযোগ ভিত্তিহীন। তবে মতিলাল সম্পর্কে রাহুল এমন মন্তব্য করেননি বলেই বিশ্বাস করেন অরুণ।

     

  • Presidential Polls: মমতার বৈঠকে গরহাজির ৫ দল, বিরোধী ঐক্য বিশবাঁও জলে?  

    Presidential Polls: মমতার বৈঠকে গরহাজির ৫ দল, বিরোধী ঐক্য বিশবাঁও জলে?  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গোড়ায় গলদ। তাই তাল কাটল শুরুতেই। তৃণমূল (TMC) সুপ্রিমো মমতা (Mamata) বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকা বিজেপি (BJP)-বিরোধী বৈঠকে হাজিরই হলেন না আম আদমি পার্টির (AAP) কেউ। আসেননি টিআরএসের (TRS) কেউও। গরহাজির ছিল শিরোমণি অকালি দলও (SAD)। বিজু জনতা দল এবং ওয়াইএসআরসিপি-র তরফেও কেউ উপস্থিত হননি বৈঠকে। তার পরেও অবশ্য বৈঠক হয়েছে। তবে হয়েছে বিতর্কও। শেষ মুহূর্তে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Modi) বিরুদ্ধে প্রস্তাব পাশ করানোর চেষ্টা করেন তৃণমূল নেত্রী। তখনই হয় অশান্তি। বিরোধী দলগুলি সাফ জানিয়ে দেয়, বৈঠক হচ্ছে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন (Presidential Polls) নিয়ে। সেখানে মোদির বিরুদ্ধে প্রস্তাব কেন?

    আরও পড়ুন : হাঁসখালি ধর্ষণ-কাণ্ডের তদন্তভারও পেল সিবিআই, প্রবল চাপে মমতা-প্রশাসন

    রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিরোধীদের এককাট্টা করতে দিল্লির কনস্টিটিউশন ক্লাবে বুধবার বৈঠক ডাকেন মমতা। চিঠি দেওয়া হয়েছিল ২২ জন বিরোধী নেতা ও মুখ্যমন্ত্রীকে। কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট সোনিয়া (Sonia) গান্ধী, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী আম আদমি পার্টির অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Kejriwal) এবং সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি (Sitaram Yechury) সহ বিজেপি বিরোধী দলগুলিকে বৈঠকে থাকার অনুরোধ জানানো হয়েছিল। প্রথমে বৈঠকে উপস্থিত হওয়ার আশ্বাস দিলেও, শেষ মুহূর্তে কেজরিওয়াল হাজির হননি বৈঠকে। কংগ্রেস থাকায় বৈঠকে গরহাজির ছিল টিআরএস এবং শিরোমণি দলও। আসেনি বিজু জনতা দল এবং ওয়াইএসআরসিপি-র কেউও। 

    ২০২৪ লোকসভা নির্বাচন। তার আগে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিরোধীদের একছাতার তলায় আনতে উদ্যোগী হয়েছিলেন মমতা। তবে সে চেষ্টা যে বিষম কঠিন, এদিন তা হাড়ে হাড়ে টের পেলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। বৈঠকের একেবারে শেষ মুহূর্তে মোদির বিরুদ্ধে প্রস্তাব পাশ করাতে উদ্যোগী হন মমতা। তবে তাঁর সে চেষ্টাও বৃথা যায়। কারণ উপস্থিত নেতারা জানিয়ে দেন, বৈঠকের মূল বিষয় যেখানে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন, সেখানে অন্য কোনও বিষয় নিয়ে আলোচনার প্রয়োজন নেই।

    আরও পড়ুন : এবার কয়লা পাচারকাণ্ডে তৃণমূল বিধায়ক সওকত মোল্লাকে তলব সিবিআইয়ের

    এদিকে, বিরোধী শিবিরে রাষ্ট্রপতি পদে তিনজনের নাম নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে। এঁদের মধ্যে এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ার (Sharad Pawar) আগেই জানিয়ে দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি পদের দৌড়ে তিনি নেই। তাঁকে এখনও রাজি করানোর চেষ্টা চলছে বলছে সূত্রের খবর। তিনি নিতান্তই রাজি না হলে পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন রাজ্যপাল গোপালকৃষ্ণ গান্ধী (Gopal Krishna Gandhi) ও জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লার (Farooq Abdullah) নাম বিবেচনা করা হবে বলে সূত্রের খবর।

  • Russian Crude Oil: দামে ছাড়! রাশিয়ার তেলের সবথেকে বড় ক্রেতা ভারত  

    Russian Crude Oil: দামে ছাড়! রাশিয়ার তেলের সবথেকে বড় ক্রেতা ভারত  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগের থেকে দ্বিগুণ পরিমাণে রাশিয়ার (Russia) উড়াল পর্বতের অপরিশোধিত তেল (Ural Crude Oil) আমদানি (Import) করতে ইচ্ছুক ভারত (India)। তার জন্যে পিটার্সবার্গ থেকে নাভা সেভা বন্দর অবধি অপেক্ষাকৃত একটি ছোট রুটও বাছা হয়েছে। যাতে কম খরচে বিপুল পরিমাণে তেল আমদানি করা যায়। এই তেলের সবথেকে বড় বাজার হয়ে উঠেছে ভারত। তারপরেই তালিকায় রয়েছে চিন। কিন্তু চিনের থেকে আমদানির নিরিখে অনেক এগিয়ে ভারত। নতুন পথে তিন সপ্তাহের কিছুটা বেশি সময়েই তেল রাশিয়া থেকে পৌঁছে যাবে ভারতে। সুয়েজ খাল দিয়ে আনতে সময় লাগে দশ সপ্তাহেরও বেশি।     

    আরও পড়ুন: রাশিয়া থেকে গ্যাস কেনা কি যুদ্ধে মদত নয়? পশ্চিমকে তোপ ভারতের

    মে মাসে ভারত রাশিয়া থেকে প্রতিদিনের হিসেবে ৮,৪০,৬৪৫ ব্যারেল অপরিশোধিত তেল কিনেছে। এই মাসে তা লাফিয়ে বেড়ে গিয়েছে ১০ লক্ষে। এপ্রিলে দৈনিক তেল কেনা হত ৩,৮৮,৬৬৬ ব্যারেল। আগের বছরে মে মাসে সেই পরিমাণ ছিল ১,৩৬,৭৭৪ ব্যারেল। 

    এই মুহূর্তের ট্রেন্ড দেখে বোঝা যাচ্ছে এই মাসে ভারতে মোট অপরিশোধিত তেল আমদানির ২০%, রাশিয়ার থেকে কেনা হয়েছে। ইউক্রেন যুদ্ধের আগের থেকেও ২% বেশি। 

    আরও পড়ুন: ভারতের ওপর কি ক্রমশ নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে রাশিয়া?

    এর একটা বড় কারণ আগের থেকে ৩০% কম দামে রাশিয়ার থেকে তেল কিনতে পারছে ভারত। তাই পশ্চিমা দেশগুলি  রাশিয়ার থেকে তেল কেনার বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলেও সেই পরামর্শকে গুরুত্ব দেয়নি ভারত। দেশের স্বার্থই সবার আগে, একথা স্পষ্ট করা হয়েছে ভারতের পক্ষ থেকে। বর্তমানে বিশ্ব বাজারে তেলের দাম প্রতি ব্যারেল ১২০ মার্কিন ডলার। কিন্তু রাশিয়ার কাছ থেকে প্রতি ব্যারেল তেল ৯০ ডলারেও কমে কিনছে মোদি সরকার। দামে এই তারতম্য হওয়ার কারণ, ইউরোপের দেশগুলি রাশিয়ার থেকে তেল কেনা বাদ দিয়েছে। এ বছরের শেষে রাশিয়ার কাছ থেকে ৯০ ভাগ তেল আমদানি বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।     

    ইতিমধ্যেই রাশিয়া থেকে অপরিশোধিত তেল আমদানির বিষয়ে চুক্তি করেছে ভারতের বৃহত্তম তেল সংস্থা ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশন। রাশিয়া থেকে তিন মিলিয়ন ব্যারেল অপরিশোধিত তেল আমদানির চুক্তি করেছে তারা। 

    আগে রাশিয়া থেকে ভারতে তেল আমদানিতে পরিবহণ খরচ বিপুল থাকায় কম তেল আমদানি করা হত। কিন্তু রাশিয়া তেলের দাম কমানোয় সেই দুঃখ ঘুচেছে। এখন ছোট রুটে আরও অনেক লাভের মুখ দেখবে ভারত বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। অন্যান্য তেল সংস্থাগুলিও চুক্তি সাক্ষর করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।  

     

     

  • Defence Recruitment “Agnipath”: সেনায় ৪ বছর দিক যুবারা, “অগ্নিপথ” প্রকল্পের ঘোষণা রাজনাথের

    Defence Recruitment “Agnipath”: সেনায় ৪ বছর দিক যুবারা, “অগ্নিপথ” প্রকল্পের ঘোষণা রাজনাথের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সেনাবাহিনীর অগ্নিপথে দেশের তরুণরা। সেনার (Army) তিন বিভাগে চাকরি নিয়ে মঙ্গলবার “অগ্নিপথ প্রকল্পের” ঘোষণা করলেন রাজনাথ সিং (Rajnath Singh)। দেশের যুব সম্প্রদায়ের মধ্যে দেশাত্মবোধ জাগাতে এবং কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে এই প্রকল্প গুরুত্বপূর্ণ বলে জানান তিনি। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তকে ঐতিহাসিক অ্যাখ্যা দেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী (Defence Minister)। এই প্রকল্পের আওতায় ১৭ থেকে ২১ বছর বয়সী তরুণরা দেশের সেনাবাহিনীতে সাময়িকভাবে ” অগ্নিবীর” (Agniveer) হিসেবে কাজে যোগ দিতে পারবেন। ৪ বছরের চুক্তিভিত্তিক এই নিয়োগে মিলবে আকর্ষণীয় বেতন সহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধা।

    [tw]


    [/tw]

    জানা গিয়েছে, এই প্রকল্পের প্রধান লক্ষ্যই হল বেতন, পেনশন বিল কমানো এবং অস্ত্রের জরুরি সংগ্রহের জন্য তহবিল খালি করা। এই প্রকল্পের অধীনে চার বছরের জন্য সেনাতে লোক নিয়োগ করা হবে। এই চার বছরের কাজের মধ্যে চাকরি প্রার্থীদের প্রথম ছয় মাস প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। নিয়োগের প্রথম কিস্তিতে ভারতের প্রতিরক্ষা বাহিনীর তিন শাখায় ৪৫,০০০ এর বেশি নিয়োগ হবে। সরকারি তরফে তাঁদের জন্য ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা বেতন বরাদ্দ করা হয়েছে। এছাড়াও চিকিৎসা, বিমা সহ অন্যান্য সরকারি সুযোগ সুবিধা পাবেন তাঁরা। 

    চার বছর পর এই সৈন্যদের মধ্যে মাত্র ২৫ শতাংশকে স্থায়ীভাবে কাজে বহাল রাখা হবে। তাঁরা ক্যাডারে নিযুক্ত হয়ে আরও ১৫ বছর নন-অফিসার পদে চাকরি করতে পারবেন।জানা গিয়েছে, চার বছরের মেয়াদে চাকরি চলে যাওয়ার আনুমানিক ৩০ দিনের মধ্যে ২৫ শতাংশ সেনাকে চাকরিতে ফিরিয়ে আনা হবে। চাকরিতে যোগ দেওয়ার নয়া তারিখ ধরে তাঁদের নিয়োগ করা হবে। সেই তারিখের ভিত্তিতেই বেতন এবং পেনশন পাবেন সেনারা। এই পদ্ধতিতে নিয়োগ চালু হলে সেনাদের প্রথম চার বছরের পেনশনের ভার বহন করতে হবে না কেন্দ্রকে। তার ফলে প্রচুর ৫.২ কোটি টাকা বাঁচবে সরকারের।

    [tw]


    [/tw]

    চার বছরের জন্য সেনাবাহিনীতে থাকবেন যাঁরা ‘সেবা নিধি প্যাকেজ’ এর অন্তর্ভুক্ত হবেন সৈনিকরা। তাঁদের বেতনের ৩০ শতাংশ প্রভিডেন্ট ফান্ডের জন্য কাটা হবে তাতে সরকারও সমান অবদান রাখবে। এর ফলে সৈন্যরা চার বছরের চাকরির পরে তাদের অবসর গ্রহণের সময় এককালীন ১০ লাখ টাকা পাবে। যদিও চাকরি ছাড়ার পর তাঁরা আর পেনশন যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন না।  

    দিন কয়েক আগেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Modi) সঙ্গে স্বল্পমেয়াদী নিয়োগ প্রক্রিয়া সংক্রান্ত বিষয়ে বৈঠকে বসেছিল দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক (Ministry of Defence)। এবার পরিকল্পনাটি সামরিক বিষয়ক বিভাগ দ্বারা বাস্তবায়ন হতে চলেছে। এবার থেকে সামরিক বাহিনীতে স্বল্পমেয়াদী এবং দীর্ঘমেয়াদী ভিত্তিতে নিয়োগ চলবে। এই প্রকল্পের ফলে প্রতিরক্ষা খাতে সরকারের ব্যায়ও কিছুটা কমবে। আর্থিক সাশ্রয়ের জন‌্যই জওয়ান ও অফিসার নিয়োগে এই চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের ভাবনা কেন্দ্রের। 

    এই প্রকল্পকে স্বাগত জানিয়েছেন প্রতিরক্ষা বাহিনীর তিন বিভাগের প্রধানেরা। সেনাপ্রধান জেনারেল মনোজ পাণ্ডে জানান, এই প্রকল্পের ফলে সেনাবাহিনীতে তরুণ এবং অভিজ্ঞ সেনাদের যথোপযুক্ত সংমিশ্রণ ঘটবে। বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল ভিআর চৌধুরী বলেন, বিমানবাহিনীতে আধুনিক-প্রযুক্তির মেলবন্ধন ঘটাতে তরুণ সম্প্রদায় বড় ভূমিকা নেবে। নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল আর হরি কুমার জানান, মহিলারাও এই প্রকল্পে সমান সুবিধা পাবেন। মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী ৯০ দিনের মধ্যে ‘অগ্নিপথ’ প্রকল্পের নিয়োগ সম্পূর্ণ হবে। প্রশিক্ষণের পর ২০২৩ সালের জুলাইয়ে প্রথম দফায় কাজ শুরু করবে ‘অগ্নিবীর’রা।

     

  • Moosewala Murder: পুলিশের হাতে খতম মুসেওয়ালা খুনের দুই অভিযুক্ত 

    Moosewala Murder: পুলিশের হাতে খতম মুসেওয়ালা খুনের দুই অভিযুক্ত 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অমৃতসরে এনকাউন্টারে (Encounter) নিহত সিধু মুসেওয়ালা (Sidhu Noosewala) খুনের দুই অভিযুক্ত। দুই মৃত দুষ্কৃতির নাম জগরূপ রূপা এবং মুন্না কুশা। এই দুজনেই পাঞ্জাবি (Punjab) গায়ক সিধু মুসেওয়ালা খুনের সঙ্গে যুক্ত ছিল বলে দাবি পুলিশের। অমৃতসরেরে কাছে ভাকনা জেলায় বুধবার এনকাউন্টারের ঘটনাটি ঘটে।  

    আরও পড়ুন: মুসেওয়ালাকে খুনের পর বন্দুক নিয়ে উল্লাস খুনিদের, প্রকাশ্যে ভিডিও

    ৫ ঘণ্টার এই গুলির লড়াইয়ে তিনজন পুলিশকর্মী এবং একজন ক্যামেরাম্যানও আহত হয়েছেন। যদিও তাঁদের আঘাত খুব গুরুতর নয় বলে পাঞ্জাব পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়েছে। গোটা এলাকা ঘিরে রেখেছে পুলিশ। স্থানীয়দেরও বাড়ির বাইরে বেরতে নিষেধ করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: ক্ষোভের চাপ! ভিভিআইপিদের নিরাপত্তা ফেরাল পাঞ্জাবের আপ সরকার

    গত ২৯ মে দুষ্কৃতিদের গুলিতে প্রাণ হারান তরুণ পাঞ্জাবি গায়ক সিধু মুসেওয়ালা। সেই হত্যার অন্যতম চক্রী লরেন্স বিষ্ণোইকে ইতিমধ্যেই দিল্লির পাতিয়ালা হাউজ কোর্টের নির্দেশে গ্রেফতার করেছে পাঞ্জাব পুলিশ। তদন্তকারীদের অনুমান, লরেন্স আরও এক সঙ্গীর সঙ্গে পরিকল্পনা করেই সিধুকে হত্যা করেছিল।  

    এনকাউন্টারের পর সিধু মুসেওয়ালা খুনের মামলায় পুলিশের নজর ফের ঘুরেছে বিষ্ণোই গ্যাং – এর দিকে। প্রায় ৭০০ সদস্য রয়েছে তার দলে। বিষ্ণোইসহ ওই গ্যাং- এর অনেকেই দেশের বিভিন্ন জেলে সাজা খাটছে। পুলিশের ধারণা এনকাউন্টারে মৃত দুই দুষ্কৃতিও ওই কুখ্যাত গ্যাং- এরই সদস্য ছিল। 

    মুসেওয়ালা খুনের ঘটনায় এক শার্প শুটারকে আগেই গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। বাকিরা অধরাই ছিল। তদন্তে জগরূপ রূপা এবং মুন্না কুশা নামে দুজনের নাম সামনে আসে। এদিন তাদের গ্রেফতার করতে যায় পুলিশ। কিন্তু, তখনই তারা পাল্টা হামলা চালায় পুলিশের ওপর। আত্তারি সীমান্তের কাছে একটি বাড়িতে লুকিয়ে পুলিশের ওপর হামলা চালায় ওই দুই দুষ্কৃতি৷ টানা পাঁচ ঘণ্টা গুলি চালাচালির পর পুলিশের হাতে খতম হয় মুসেওয়ালা খুনের ওই দুই অভিযুক্ত। ওই স্থান থেকে একে ৪৭, পিস্তলসহ একটি ব্যাগ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পুলিশ কর্মীদের মধ্যে একজনের পায়ে, একজনের বুকে এবং একজনের চোখের কাছে গুলি লেগেছে।

    মুসেওয়ালা খুনের পরেই এই দুই দুষ্কৃতি পাঞ্জাব ছেড়ে পালায়। কিছুদিন আগেই তারা রাজস্থান থেকে পাঞ্জাব ফিরে এসেছে। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে তাদের চিহ্নিত করে পুলিশ। 

     

  • NHAI Guinness Record: ৭৫ কিমি রাস্তা তৈরি মাত্র ১০৫ ঘণ্টায়! গিনেস বুকে নাম তুলল NHAI

    NHAI Guinness Record: ৭৫ কিমি রাস্তা তৈরি মাত্র ১০৫ ঘণ্টায়! গিনেস বুকে নাম তুলল NHAI

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গিনেস বুকে (Guinness World Records) নাম উঠল ন্যাশনাল হাইওয়ে অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার (National Highway Authority of India) বা সংক্ষেপে এনএইচএআই (NHAI)। পুরো কাজটি সম্পন্ন করতে সময় লেগেছে মাত্র ১০৫ ঘণ্টা। পাঁচ দিনেরও কম সময়ে ৭৫ কিমি রাস্তা তৈরি করে ‘গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস’— এ নাম উঠল NHAI-এর। এত কম সময়ে এই দীর্ঘ হাইওয়ে তৈরি করেছে বলেই রেকর্ড গড়েছে।

    দীর্ঘ ৭৫ কিমি হাইওয়ে তৈরির কাজ সফল হওয়ার কথা প্রথম ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় সড়ক ও পরিবহণ মন্ত্রী নিতিন গড়কড়ি (Nitin Gadkari)। তিনি বলেন, অমরাবতী (Amaravati) থেকে আকোলা (Akola) জেলার মধ্যে ৫৩ নম্বর জাতীয় সড়কে বিটুমিনাস কংক্রিটের (Bituminous concrete) ৭৫ কিলোমিটার রাস্তা ১০৫ ঘণ্টা এবং ৩৩ মিনিটে তৈরি করে গিনেস (Guinness) বুকে নাম উঠেছে NHAI-এর।  

    আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতি নির্বাচন ১৮ জুলাই, প্রার্থী কারা? তুমুল জল্পনা

    এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে দ্রুত হাইওয়ে তৈরির কাজ শেষ করার ওয়ার্ল্ড রেকর্ড রয়েছে কাতারের (Qatar)। ১০ দিনে ২৫.২৭৫ কিলোমিটার একটি রাস্তা তৈরির রেকর্ড রয়েছে তাদের। সড়ক ও পরিবহণ মন্ত্রী নিতিন গড়কড়ি একটি ভিডিও বার্তায় বলেছেন, ভারতের স্বাধীনতার ৭৫ বছর স্মরণে এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi) কর্তৃক ঘোষিত ‘আজাদি কা অমৃত মহোৎসবের’ (Azadi ka Amrut Mahotsav) তত্ত্বাবধানে এটি তৈরি করা হয়েছে।

    রাস্তা তৈরির কাজটি ৩ জুন সকাল ৭টা ২৭ মিনিটে শুরু হয়েছিল, যা ৭ জুন বিকেল ৫টায় শেষ হয়েছে। বিটুমিনাস কংক্রিট দিয়ে নির্মিত ৭৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এক-লেন বিশিষ্ট রাস্তাটি দুই লেন বিশিষ্ট ৩৭.৫ কিমি রাস্তার সমান। এর নির্মাণে প্রায় ১৫২০ জন কর্মীকে নিযুক্ত করা হয়েছিল। গড়কড়ির মতে, এই রাস্তাটি কলকাতা, রায়পুর, নাগপুর, আকোলা, ধুলে, সুরাট শহরগুলিকে একত্রিত করবে। তিনি অবশেষে NHAI-এর ইঞ্জিনিয়ার, ঠিকাদার সংস্থা ও কর্মীদের প্রশংসা করেছেন এত বড় সাফল্যের জন্য।

    আরও পড়ুন:স্বাধীনতার ৭৫ বছর উপলক্ষে কয়েনের বিশেষ সিরিজ উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রীর

  • Cheetah in India: বাঘ আঁকা জাম্বো বিমানে করে ভারতে আনা হচ্ছে চিতা

    Cheetah in India: বাঘ আঁকা জাম্বো বিমানে করে ভারতে আনা হচ্ছে চিতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নামিবিয়ার (Namibia) মাটি ছুঁল বাঘ মুখ (Tiger Faced) আঁকা বিরাট জাম্বো জেট (Jumbo Jet)। বি ৭৪৭ বিমানটি এদিন নামিবিয়ার রাজধানী উইন্ডহোয়েকের মাটি ছুঁল। এই বিমানটিতে করেই ভারতে (India) নিয়ে আসা হবে আটটি চিতা (Cheeta)। উইন্ডহোয়েকে ভারতীয় হাইকমিশনের তরফে ট্যুইট বার্তায় বলা হয়েছে একটি বিশেষ পাখি বাঘের দেশে শুভেচ্ছার বার্তা বয়ে নিয়ে এল।    

    অগাস্টের ১৭ তারিখে আফ্রিকার নামিবিয়া থেকে মধ্যপ্রদেশের কুনো ন্যাশনাল পার্কে নিয়ে আসা হচ্ছে ৮টি চিতা। এগুলির মধ্যে পাঁচটি পুরুষ, তিনটি স্ত্রী। এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি চিতা পুনরুদ্ধার প্রোগ্রামের সূচনা করবেন। ঘটনাচক্রে এই দিনটি আবার প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনও। এদিনই চিতাগুলিকে ছেড়ে দেওয়া হবে ওই পার্কে। সেই চিতা আনতেই নামিবিয়া গিয়েছে ওই বিশেষ বিমান। জানা গিয়েছে, চিতাগুলিকে নিয়ে বিমানটি অবরতণ করবে জয়পুরে। সেখান থেকে সেগুলিকে কুনো ন্যাশনাল পার্কে নিয়ে আসা হবে হেলিকপ্টারে করে। যে জেটে করে চিতাগুলিকে নিয়ে আসা হবে, তার অন্দরসজ্জায় বিশেষ বদল নিয়ে আসা হয়েছে। মেইন কেবিনে থাকবে চিতার খাঁচা। পুরো যাত্রাটি চিতারা থাকবে পশু চিকিৎসকদের তত্ত্ববধানে। বিমানটির সামনের দিক আঁকা হয়েছে জঙ্গলের রাজার মুখের আদলে। টানা ১৬ ঘণ্টা উড়ান শেষে বিমান ছোঁবে ভারতের মাটি। সেপ্টেম্বরের ১৭ তারিখ সকাল সাতটা নাগাদ বিমানটি এসে পৌঁছবে জয়পুরে। পরে সেখান থেকে চিতাগুলিকে নিয়ে আসা হবে পার্কে। পুরো যাত্রা পথে চিতাগুলিকে কোনও কিছু খেতে দেওয়া হবে না।

    জানা গিয়েছে, প্রথম এক মাস চিতাগুলিকে খাঁচাবন্দি করে রাখা হবে। পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার পর সেগুলিকে ছাড়া হবে জঙ্গলে। চিতা পৃথিবীর দ্রুততম স্থলচর প্রাণী। ঘণ্টায় ৯০ থেকে ১১০ কিলোমিটার বেগে দৌড়তে পারে এই স্তন্যপায়ী প্রাণীটি। চিতা ও চিতাবাঘ এক নয়। ভারতে চিতাবাঘ থাকলেও, চিতা বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছে স্বাধীনতার কালে। সেই কারণেই চিতার বংশ বৃদ্ধি ঘটাতে মধ্যপ্রদেশের জাতীয় পার্কে ছাড়া হবে নামিবিয়ার চিতা।  

     

     

LinkedIn
Share