Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Youngest CEO: কুঁজো, ট্যারা শুনতে শুনতেই আত্মহত্যার চেষ্টা, এখন তিনিই ভারতের সর্বকনিষ্ঠ সিইও

    Youngest CEO: কুঁজো, ট্যারা শুনতে শুনতেই আত্মহত্যার চেষ্টা, এখন তিনিই ভারতের সর্বকনিষ্ঠ সিইও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বডিশেমিং-এর শিকার প্রায় অনেককেই হতে হয় এবং এর জেরে আত্মহত্যার কথাও শোনা যায়। তবে লোকের টিটকিরি সহ্য় করেও নজির গড়েছেন  রাধিকা গুপ্তা (Radhika Gupta) । ছোট থেকেই রাধিকাকে কটূক্তির শিকার হতে হয়েছিল। তিনিও চেয়েছিলেন তাঁর এই জীবন থেকে মুক্তি পেতে। কিন্তু তিনিই আজ দেশের অন্যতম কনিষ্ঠ সিইও (CEO)। যিনি আপাতত এডেলওয়াইসের (Edelweiss) সিইও পদে আছেন। ইতিমধ্যেই তাঁর কাহিনী সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছে।

    রাধিকা জানান, জন্ম থেকেই তাঁর ঘাড় একটু বাঁকা,  চোখ ট্যারা । কুঁজো হয়ে হাঁটতেন। ফলে তাঁকে স্কুলজীবন থেকেই অনেক কটাক্ষের শিকার হতে হয়। স্কুলে গেলেই শরীর নিয়ে ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ শুনতেন রাধিকা। বাবা কূটনীতিবিদ হওয়ায় তাঁর ছোটবেলা কেটেছিল পাকিস্তানে ।  সেখানকার স্কুলে তাঁর কথায় ভারতীয় টান নিয়েও ব্যঙ্গ করা হত।

    আরও পড়ুন: ভারতে প্রথম, মেহেন্দিতে সেজে নিজেকেই বিয়ে তরুণীর ! কী কী হল অনুষ্ঠানে?

    রাধিকা বলেন, “আমার মায়ের সঙ্গে তুলনা করত আমার। মা আমার স্কুলেই কাজ করতেন। দারুণ মহিলা ছিলেন। সবসময় লোকজন বলতেন যে মায়ের তুলনায় আমি বাজে দেখতে। তারপর আমার আত্মবিশ্বাস একেবারে তলানিতে চলে গিয়েছিল।“

    রাধিকা জানান,  ২২ বছরে সাতটি চাকরির সুযোগ হারানোর পর আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেছিলেন তিনি। বাঁকা ঘাড়ের কারণেই চাকরি মেলেনি তাঁর। তিনি বলেন, “আমি জানালার বাইরে দিয়ে দেখছিলাম , আর মনে মনে ভাবছিলাম যে ঝাঁপ  দেব। আমার বন্ধু দেখতে পেয়ে সাহায্যের জন্য চিৎকার করতে থাকে।”  তারপর তাঁর বন্ধুই তাঁকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান। দীর্ঘ দিন চিকিৎসার পর অবসাদ কাটিয়ে ওঠেন। তারপরেই একটি ইন্টারভিউ দিয়ে ম্যাককিনসেতে (McKinsey) চাকরি পান রাধিকা। কয়েক বছর চাকরি করার পর স্বামী এবং এক বন্ধুর সঙ্গে একটি অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট ফার্ম খোলেন। যদিও এই সংস্থাটি পরে কিনে নেয় একটি মিউচুয়াল ফান্ড সংস্থা। তিনি বলেন, ‘‘এ ভাবেই আমি কর্পোরেট জগতে ঢুকে পড়লাম। একদল স্যুট প্যান্টের মাঝখানে আমি একা শাড়িতে।’’ তারপর এই সংস্থাতেই ৩৩ বছর বয়সে  সিইও(CEO) হয়ে যান  এবং  ভারতের সর্বকনিষ্ঠ সিইও-দের তালিকায় নাম লেখান। এভাবেই যাবতীয় বিদ্রুপকে পিছনে ফেলে জীবনের জয়গানের এক নতুন নজির গড়েন রাধিকা গুপ্তা।

    আরও পড়ুন: বিমানে মাস্ক বাধ্যতামূলক, কেমন মাস্ক উড়ানে আদর্শ?

  • Covid-19 in India: দেশে ফের ঊর্ধ্বমুখী করোনাগ্রাফ, চতুর্থ ঢেউয়ের পূর্বাভাস?

    Covid-19 in India: দেশে ফের ঊর্ধ্বমুখী করোনাগ্রাফ, চতুর্থ ঢেউয়ের পূর্বাভাস?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের দেশজুড়ে বিষ নিঃশ্বাস ছড়াচ্ছে করোনা (Covid-19)। একদিনে আক্রান্তের সংখ্যা ৭ হাজারের গণ্ডিও পেরিয়ে গেল। বুধবার দেশে নতুন করে মোট ৭,২৪০ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। গত মার্চের পর থেকে যা একদিনে সর্বোচ্চ সংক্রমণ। একদিনে মৃত্যু হয়েছে আট জনের। বৃহস্পতিবার দৈনিক সংক্রমণের হার দাঁড়িয়েছে ২ শতাংশের বেশি।

    করোনা সবচেয়ে দ্রুত ছড়াচ্ছে মহারাষ্ট্রে। এতদিন এরকমই খবর ছিল। কিন্তু আচমকা কেরলেও খুব দ্রুত বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। এখনও পর্যন্ত দেশে মোট করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় সাড়ে চার কোটি। এই মুহূর্তে অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা ২৮,৮৫৭। মহারাষ্ট্রে একদিনে আক্রান্ত হয়েছেন ২০০০ জন। এছাড়াও করোনার ঊর্ধ্বমুখী গ্রাফ লক্ষ্য করা যাচ্ছে কেরলসহ কর্নাটক, তেলেঙ্গানা এবং তামিলনাড়ুতে। 

    আরও পড়ুন: দেশজুড়ে করোনার বাড়বাড়ন্ত, বিমানে ফের বাধ্যতামূলক মাস্ক

    চতূর্থ ঢেউয়ের পূর্বাভাস?

    বিশেষজ্ঞদের মতে চতূর্থ ঢেউ (4th Wave) আসছে এখনই এরকমটা ভাবার কোনও কারণ নেই। এই মুহূর্তে কোভিডের যে ভ্যারিয়েন্টটি সংক্রমণ ছড়াচ্ছে তা হল ওমিক্রন। বছরের শুরুতেই এই ভ্যারিয়েন্টটি নিজের দাপট দেখিয়েছে। দ্বিতীয়বার এই একই ভ্যারিয়েন্টের দাপট দেখানোর সম্ভবনা খুব কম। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, “সংক্রমণের থেকেও সবচেয়ে বেশি ভয় থাকে মৃত্যুর সংখ্যা নিয়ে। সেদিক থেকে এখনও ভয়ঙ্কর কোনও পরিস্থিতি দেখা যায়নি। এই ধরনের ভাইরাস খুব দ্রুত শেষ হয়ে যায় না। বহুদিন অবধি এরা টিকে থাকবে এবং সংক্রমণ ছড়াবে। কিন্তু আমরা ধীরে ধীরে সুস্থতার দিকে এগোচ্ছি। এই মুহূর্তে আমাদের দেশের পরিস্থিতি যথেষ্ট ভালো।”

    আরও পড়ুন: মাথা চাড়া দিচ্ছে করোনা, মহারাষ্ট্রে ফের বাধ্যতামূলক মাস্ক!

    কীভাবে বুঝবেন আক্রান্ত হয়েছেন কি না?

    হাঁচি, কাশি, জ্বর, ক্লান্তি, মাথা ব্যথা, বমি, ঘুম-ঘুম ভাব, গা ব্যথা এই লক্ষণগুলি ২-৩ দিনের বেশি থাকলে অবশ্যই পরীক্ষা করিয়ে নেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। খাবারে অনীহা, মনযোগের অভাব, খিটখিটে মেজাজ, ঘুমে ঘাটতি, বুকে ব্যথা, র‍্যাশ, হাতে-পায়ে ব্যথা মূলত এগুলিই করোনার লক্ষণ।  

    কেউ করোনা পজিটিভ হলে, তার সংস্পর্শে আসা সকলকে বিষয়টি জানানো উচিত এবং তাদেরও পরীক্ষা করিয়ে নেওয়া উচিত এবং কোভিডবিধি মেনে নিভৃতবাসে যাওয়া উচিত।

     

     

     

     

  • India-China Border:  আতঙ্কিত চিন! এবার প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে ভারতের যুদ্ধবিমান

    India-China Border: আতঙ্কিত চিন! এবার প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে ভারতের যুদ্ধবিমান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কোর কমান্ডার স্তরে বৈঠকের পরেও প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা (LAC) বরাবর মাঝেমাঝেই চক্কর কেটে চলেছে চিনা ফাইটার জেট (Chinese Fighter Jets)। সম্প্রতি একাধিকবার প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার (Line of Actual Control) কাছে প্ররোচনা দিয়ে চলেছে চিনা ফৌজ। ভারতীয় প্রতিরক্ষা (Indian defence) ব্যবস্থাকে মাপার জন্য বরাবর সক্রিয় চিন (China)। এবার তারই পাল্টা দিল ভারত (India)। পাল্টা প্রতিরোধ-ব্যবস্থা হিসেবে ওই এলাকায় ফাইটার জেট মোতায়েন করছে ভারতীয় বায়ুসেনা (Indian Airforce)। একেবারে সীমান্ত বরাবর যুদ্ধ বিমান ওড়াচ্ছে ভারত। তাতেই টনক নড়েছে চিনের। ভারতীয় বায়ুসেনার লাদাখ সেক্টরের মানোন্নয়ন নিয়ে অস্বস্তিতে রয়েছে চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মি (PLA)। এ নিয়ে আপত্তিও জানিয়েছে বেজিং (Beijing)।

    সীমান্ত বরাবর নির্মাণ কাজেও গতি আনছে ভারত। প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, গত কয়েকদিন ধরে লাদাখ সেক্টরে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে নির্মাণ কাজের জন্য সামগ্রী, সরঞ্জাম নিয়ে আসতে হেলিকপ্টার ব্যবহার করছে ভারত। এমনকি নির্মাণ কাজে শ্রমিক নিয়ে আসতেও কপ্টারের ব্যবহার করা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, ভারতীয় সীমান্তের মধ্যে কিন্তু LAC-এর খুব কাছে ড্রোন ব্যবহার করা হচ্ছে। আর তাতেই ঘুম উড়েছে চিনের। ভারতের এহেন কার্যকলাপে আপত্তি জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে চিন।

    আরও পড়ুন: তাইওয়ানে পা রাখলেন ন্যান্সি, সমরসজ্জা শুরু চিন আমেরিকার?

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর, এই বিষয়ে দুই দেশের মধ্যে সেনা কমান্ডার স্তরে আলোচনাও হয়েছে। জুন মাসের শেষের দিকে এলএসিতে চিনা বিমানকে উড়তে দেখা গিয়েছিল। এর বিরুদ্ধে কড়া ভাষায় প্রতিবাদ জানায় ভারত। ভারত এবং চিনের মধ্যে ১৬তম সামরিক স্তরের বৈঠকে ঠিক হয় যে, দুই দেশই সীমান্তের কাছে আকাশে যে কোনও কার্যকলাপ সম্পর্কে একে অপরকে অবহিত করবে। কিন্তু চিন তা লঙ্ঘন করে। তাই ভারতও জবাব দিতে প্রস্তুত। আগেই দিল্লির তরফে জানানো হয়েছিল, ভারত প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতে চায় কিন্তু কোনওভাবেই আর শান্তি ভিক্ষা করা হবে না।

    আর কয়েকমাসের মধ্যেই শীত এসে যাবে। এই অবস্থায় ভারত এবং চিন দুই দেশই সীমান্তে পরিকাঠামো ঢেলে সাজাতে উদ্যোগ নিয়েছে। এক আধিকারিক জানিয়েছে, ভারত সীমান্তের কাছে রাস্তা এবং অন্য পরিকাঠামো নির্মাণ করছে। ফলে সেই কাজ শীতের আগেই শেষ করতে চায় ভারত। সেই লক্ষ্যেই কাজ চলছে। অন্যদিকে চিনের তরফে নানা কাজ চালানো হচ্ছে। ব্রিজ, রাস্তা সহ একাধিক কাজ চলছে। চিন যদি ভারতকে উপেক্ষা করে নিজেদের শক্ত করতে চায়, তাহলে সীমান্তে নিজেদের অধিকার বজায় রাখতে এতটুকু খামতি দেখাবে না দিল্লি, এমনই অভিমত কূটনীতিকদের।

  • Vizag Missing Woman: ভাইজাগে সমুদ্রে নেমে ‘নিখোঁজ’ স্ত্রী, তিনদিন পর দেখা মিলল বেঙ্গালুরুতে! তারপর…

    Vizag Missing Woman: ভাইজাগে সমুদ্রে নেমে ‘নিখোঁজ’ স্ত্রী, তিনদিন পর দেখা মিলল বেঙ্গালুরুতে! তারপর…

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দ্বিতীয় বিবাহবার্ষিকী। স্বামীর সঙ্গে সমুদ্র সৈকতে বেড়াতে গিয়েছিলেন। চোখে চোখ-হাতে-হাত। হঠাতই অফিস থেকে ফোন। কথা বলার জন্য একটু দূরে চলে যান স্বামী। জলের কাছে ছিলেন স্ত্রী। বড় বড় ঢেউ তখন আছড়ে পড়ছে পাথরের উপর। ফোন করে ফিরে এসে স্বামী দেখেন স্ত্রী নেই। তন্য তন্য করে খোঁজ চলে।

    তিনদিন ধরে পুলিশ, সেনা থেকে উপকূলরক্ষী বাহিনী সবাই খোঁজ চালায়। তল্লাশি অভিযানে ব্যবহার করা হয় দুটি জাহাজ, চেতক হেলিকপ্টারও। তবু খোঁজ মেলে না। স্বামী হতাশ। এত করেও খোঁজ মিলছিল না প্রিয়তমার। তাহলে কি সে আর নেই? তলিয়ে গিয়েছে জলার তলায়? মনের কোণে উঁকি মারছিল নানান দুশ্চিন্তা। অবশেষে খোঁজ মিলল। ভাঙল মন। পুরনো প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে গিয়েছেন স্ত্রী। দুজনে এখন বেঙ্গালুরুতে (Bengaluru)।

    আরও পড়ুন: ‘রাষ্ট্রপত্নী’ বিতর্কে ইতি টানতে রাষ্ট্রপতিকে চিঠি লিখে ক্ষমা চাইলেন অধীর

    এনএডি কোঠা রোডের সানিভায়া নাগতের রাপিরেডি সাই প্রিয়া নামে ২১ বছরের ওই মহিলা তাঁর স্বামী আপ্পালা রাজু ওরফে শ্রীনিবাসের সঙ্গে বিশাখাপত্তনমের রামকৃষ্ণ বিচে (Vizag beach) বেড়াতে গিয়েছিলেন। তখনই ঘটনাটি ঘটে। তারপর থেকেই সাই প্রিয়াকে পাগলের মতো খুঁজতে থাকেন রাজু। পুলিশ জানায়, ওই মহিলার খোঁজে তল্লাশি শুরু করে স্থানীয় থানা ও উপকূলরক্ষী বাহিনী। তাঁকে খুঁজতে গত কয়েকদিনে প্রায় এক কোটি টাকা খরচ হয়েছে বলে জানায় উপকূলরক্ষী বাহিনী।

    এর পরে সাই প্রিয়ার বাবা-মার কাছ থেকে খবর পেয়ে জানা যায়, স্কুলে পড়তে পড়তেই একজনের প্রেমে পড়েছিল সাই প্রিয়া। সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে তার কয়েকটি পোস্ট থেকে জানা যায় সাই প্রিয়া এখন বেঙ্গালুরুতে রয়েছেন। সঙ্গে রয়েছেন তাঁর প্রেমিকও। কিন্তু কীভাবে সাই প্রিয়া ওখানে গেলেন তা এখনও জানা যায়নি। প্রসঙ্গত, সাই প্রিয়া ২০২০ সালের জুলাই মাসে শ্রীনিবাস রাওকে বিয়ে করেন। শ্রীনিবাস হায়দ্রাবাদের একটি ফার্মেসি কোম্পানিতে কাজ করেন। 

  • Jagdeep Dhankhar: প্রতীক্ষার অবসান, শেষমেশ সুপ্রিম কোর্টে চেম্বার পেলেন ধনখড়

    Jagdeep Dhankhar: প্রতীক্ষার অবসান, শেষমেশ সুপ্রিম কোর্টে চেম্বার পেলেন ধনখড়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবেদন করেছিলেন পাঁচ বছর আগে। শেষমেশ বহু আকাঙ্খিত সেই চেম্বার মিলল পাঁচ বছর পরে। হ্যাঁ, এনডিএ (NDA) উপরাষ্ট্রপতি (Vice President) পদপ্রার্থী  জগদীপ ধনখড় (Jagdeep Dhankhar) নিজস্ব চেম্বার পেলেন সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court)। তবে উপরাষ্ট্রপতি পদে জয়ী হলে, চেম্বার ছেড়ে দিতে হবে তাঁকে।

    ফি-বছর প্রচুর ছেলেমেয়ে ল’ পাশ করেন। তার পরেই তাঁরা বিভিন্ন কোর্টে প্র্যাকটিস করেন। বার কাউন্সিলের সদস্য হওয়ার পর আবেদন করেন নিজস্ব চেম্বারের জন্য। এই চেম্বার সহজে মেলে না। অপেক্ষা করতে হয় দীর্ঘ সময়। সুপ্রিম কোর্টে এই চেম্বার পেতে সময় লাগে আরও বেশি সময়। এই যেমন জগদীপ ধনখড়। জয়পুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ল’য়ের ছাত্র ছিলেন ধনখড়। এলএলবি ডিগ্রি পান ১৯৭৯ সালে। সেই বছরই রাজস্থান কোর্টে বার কাউন্সিলের সদস্য হওয়ার জন্য আবেদন করেন।

    ১৯৯০ সালে সিনিয়র অ্যাডভোকেট হিসেবে প্র্যাকটিসের সুযোগ পান দেশের শীর্ষ আদালতে। তার পর থকে সেখানেই প্র্যাকটিস করছিলেন তিনি। লড়েছিলেন অনেক গুরুত্বপূর্ণ মামলা। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল ২০১৬ সালে শতদ্রু রিভার ওয়াটার বিতর্ক। এই মামলায় হরিয়ানা সরকারের হয়ে লড়ছিলেন তিনি। এছাড়া, সলমন খানের বিরুদ্ধে ওঠা কৃষ্ণসার হত্যা মামলাতেও তিনি অভিনেতার পক্ষ নিয়ে আইনি লড়াইয়ে অংশগ্রহণ  করেছিলেন। রাজ্যপাল হওয়ার পর বন্ধ করে দেন প্র্যাকটিস।

    আরও পড়ুন : মোদিকে পাশে বসিয়ে মনোনয়নপত্র জমা জগদীপ ধনখড়ের

    তবে তার আগে ২০১৭ সালে নিজস্ব একটি চেম্বারের জন্য আবেদন করেন ধনখড়। সেই আবেদনপত্রে কিছু ত্রুটি থাকায় চেম্বার পাননি তিনি। ত্রুটি সংশোধনের জন্য তাঁকে চার সপ্তাহের সময় দেওয়া হয়। পরে ফের সংশোধিত আবেদনপত্র পাঠানো হয় চেম্বার অ্যালটমেন্ট কমিটির কাছে। এই চেম্বার কমিটির মাথায় থাকেন প্রধান বিচারপতি।

    আইনজীবী ধনখড়ের বহু আকাঙ্খিত সেই চেম্বারই মিলল এতদিনে। সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডিশনাল বিল্ডিং কমপ্লেক্সের ডি ব্লকে তাঁর ওই চেম্বার। সম্প্রতি যে ৪৬৮ জন আইনজীবীকে চেম্বার দেওয়া হয়েছে, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন ধনখড়ও। ধনখড়ের সঙ্গে বহু মামলা লড়েছেন এক প্রবীণ আইনজীবী। তিনি বলেন, ধনখড় সম্ভবত এটা আশা করেননি। যখন তিনি রাজ্যপাল থেকে উপরাষ্ট্রপতি হতে চলেছেন, তখন তিনি পেলেন চেম্বার। প্রসঙ্গত, ধনখড় উপরাষ্ট্রপতি পদে জয়ী হলে, এই চেম্বার ছেড়ে দিতে হবে তাঁকে। কারণ তখন আর আইনজীবী হিসেবে প্র্যাকটিস করতে পারবেন না তিনি।

    আরও পড়ুন : উপরাষ্ট্রপতি পদে বিজেপির বাজি বাংলার রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়

     

  • Har Ghar Tiranga: মোদির ডাকে সাড়া দিয়ে ভূস্বর্গে তিরঙ্গা মিছিল, জাতীয় সঙ্গীতও গাইল পড়ুয়ারা

    Har Ghar Tiranga: মোদির ডাকে সাড়া দিয়ে ভূস্বর্গে তিরঙ্গা মিছিল, জাতীয় সঙ্গীতও গাইল পড়ুয়ারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তির প্রস্তুতি উপলক্ষে এবার শোভাযাত্রা বের হল জম্মু-কাশ্মীরে (Jammu Kashmir) । এদিন পুঞ্চে তিরঙ্গা (Tiranga) পতাকা নিয়ে ওই শোভাযাত্রা বের হয়। শোভাযাত্রায় অংশ নেয় স্থানীয় একটি স্কুলের পড়ুয়ারা। এদিকে, বান্দিপোরার একটি স্কুলে জাতীয় সঙ্গীত (National Anthem) গাইল পড়ুয়ারা।

    রবিবার মন কি বাত (Mann Ki Baat) অনুষ্ঠানে দেশবাসীকে হর ঘর তিরঙ্গা আন্দোলনে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। ৭৫ বছরের  স্বাধীনতা দিবসকে (Independence Day) ঐতিহাসিকও আখ্যা দেন তিনি। এদিন ওই অনুষ্ঠানের প্রথম দিকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজাদির অমৃত মহোৎসবের অধীনে আগামী ১৩ থেকে ১৫ আগস্ট পর্যন্ত আমরা হর ঘর তিরঙ্গা কর্মসূচি পালন করব। আপনারাও সকলে এই কর্মসূচির অংশীদার হোন। এবং নিজের বাড়িতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করুন। ২ থেকে ১৫ আগস্ট পর্যন্ত সোশ্যাল মিডিয়ার প্রোফাইল পিকচারে তিরঙ্গা (Tricolor) ব্যবহারের অনুরোধও জানান তিনি। 


    ckquote class=”twitter-tweet”>

    #AzadiKaAmritMahatosav

    Some glimpses of preparatory activities in various schools of the District as a part of #HarGharTiranga Campaign and #IndependenceDay2022 Celebrations.@diprjk @OfficeOfLGJandK @HMOIndia @dcbandipora @ddnewsSrinagar pic.twitter.com/aGHpktvZRz

    — Information & PR, Bandipora (@dicbandipora) August 4, 2022

    [

    জানা গিয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানে সাড়া দিয়ে স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের প্রস্তুতি শুরু করে দিল ভূস্বর্গের কয়েকটি স্কুল। এদিন জম্মুর পুঞ্চে তেরঙ্গা জাতীয় পতাকা হাতে শোভাযাত্রা করে স্কুলের পড়ুয়ারা। আজ, ৫ অগাস্ট। ঠিক তিন বছর আগে এই দিনেই ভূস্বর্গ থেকে রদ করা হয়েছিল ৩৭০ ধারা। সেই দিনেই স্কুল পড়ুয়াদের এই মিছিল দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে দেশবাসীর। এদিন জাতীয় সঙ্গীত গাইল বান্দিপোরার একটি স্কুলের পড়ুয়ারা।

    ৩৭০ ধারা রদের পর আক্ষরিক অর্থেই ভূস্বর্গে নেমে এসেছে কাঙ্খিত শান্তি। এক সময় যে উপত্যকা নিত্য হত রক্তস্নাত, সেখানে এখন বিচ্ছিন্ন কয়েকটি ঘটনা ছাড়া প্রকৃতই শান্তি ফিরেছে। সেই কারণেই স্বাধীনতা দিবসের প্রস্তুতি উপলক্ষে এই দিনটিকেই ওই স্কুলগুলির কর্তৃপক্ষ বেছে নিয়েছেন বলে ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের।

     

  • Supreme Court: উপাসনাস্থল আইনের বিরোধিতায় নতুন কোনও আবেদন নয়, জানাল সুপ্রিম কোর্ট

    Supreme Court: উপাসনাস্থল আইনের বিরোধিতায় নতুন কোনও আবেদন নয়, জানাল সুপ্রিম কোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৯৯১ সালের ধর্মীয় উপাসনাস্থল আইনের (Places of Worship Act, 1991) বিরোধিতায় করা নতুন করে আর কোনও আবেদন গ্রহণ করা হবে না বলে সাফ জানাল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। শুক্রবার এই মর্মে রায় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বে গঠিত একটি বেঞ্চ। উপাসনাস্থল আইনের বিরোধিতায় নিত্য জমা পড়ছে একের পর এক আবেদনপত্র (Petition)।  তার প্রেক্ষিতেই এদিন এই রায় দেয় দেশের শীর্ষ আদালত। তবে আদালত এও জানিয়েছে, চাইলে আগে গৃহীত হওয়া ৬টি আবেদনের সঙ্গে নিজেদের আবেদন জুড়ে দিতে পারবেন নতুন আবেদনকারীরা। 

    ২০২১ সালের মার্চ মাসে দেশের শীর্ষ আদালত কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র, আইন এবং সংস্কৃতি মন্ত্রীদের নোটিশ পাঠায়। কারণ তার আগে উপাসনাস্থল আইনে সুপ্রিম কোর্টে একটি পিটিশন দায়ের করেছিলেন জনৈক অশ্বিনী কুমার উপাধ্যায়। ১৯৯১ সালে আইনে পরিণত হয় উপাসনাস্থল বিল। এই আইন অনুযায়ী, ১৯৪৭ সালের ১৫ অগাস্ট স্বাধীনতার আগে যে ধর্মীয় স্থানের চরিত্র যা ছিল, তা বজায় থাকবে। 

    আরও পড়ুন : শিন্ডে শিবিরকে স্বীকৃতি, লোকসভার স্পিকারের সিদ্ধান্তকে সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ ঠাকরের

    এই আইনের বিরুদ্ধেই প্রায় প্রতিদিনই আলাদতে জমা পড়ছে পিটিশন। তার প্রেক্ষিতেই এদিন ছটি মামলা গ্রহণের কথা জানায় সুপ্রিম কোর্ট। উপাধ্যায়ের দাবি, ১৯৯১ সালের উপাস্থল আইন ভিত্তিহীন এবং অযৌক্তিক। কারণ ধর্মীয় কাঠামোর ক্ষেত্রে কোনও একটি বছর নির্দিষ্ট করে দেওয়া ঠিক নয়। তাঁর দাবি, এই আইনের ফলে হিন্দু, জৈন, শিখ এবং বৌদ্ধদের উপাসনাস্থল আইনের প্রতিবাদে কোর্টে যাওয়া বন্ধ হয়ে যাবে। আইনের দুই, তিন ও চার নম্বর ধারাকেও চ্যালেঞ্জ করেন তিনি। তাঁর মতে, উপাসনাস্থল আইনের এই ধারাগুলি নাগরিকদের প্রার্থনার অধিকার এবং ধর্মীয় প্রচারে হস্তক্ষেপ করে। সংস্কৃতি বাঁচিয়ে রখার পরিপন্থীও এই আইন। 

    প্রসঙ্গত, ১৯৯১ সালের ওই আইনকে চ্যালেঞ্জ করে ছটি নতুন আবেদনপত্র জমা হয়েছে। উপাধ্যায় ছাড়াও ওই আইনকে চ্যালেঞ্জ করে আরও একটি পিটিশন জমা পড়েছে আদালতে। পিটিশনটি দাখিল করেছেন জনৈক অনিল কাবর্তা। তাঁর দাবি, ব্যক্তিগত মালিকানায় থাকা জমি কিংবা নতুন কোনও জমিতে গড়ে তোলা হোক মসজিদগুলি। মন্দিরের ছাদ, দেওয়াল, স্তম্ভ কিংবা ভিতও যদি ভেঙে পড়ে এবং সেখানে নিত্য নমাজ পড়া হয়, তাহলেও মন্দিরের চরিত্র বদলায় না। জনৈক দেবকীনন্দন ঠাকুরের পিটিশনেও এই ‘ঐতিহাসিক ভুলে’র উল্লেখ রয়েছে।

    আরও পড়ুন : সুপ্রিম জয় ইডি-র! পিএমএলএ আইনে সংস্থার অধিকাংশ ক্ষমতা বহাল রাখল শীর্ষ আদালত

  • S Jaishankar: পরমাণু জ্বালানি সরবরাহকারী গোষ্ঠীতে যোগ দিতে মুখিয়ে ভারত, জানালেন জয়শঙ্কর

    S Jaishankar: পরমাণু জ্বালানি সরবরাহকারী গোষ্ঠীতে যোগ দিতে মুখিয়ে ভারত, জানালেন জয়শঙ্কর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিউক্লিয়ার সাপ্লায়ার্স গ্রুপে (nuclear suppliers group) বা পরমাণু জ্বালানি সরবরাহকারী গোষ্ঠীতে যোগ দিতে মুখিয়ে রয়েছে ভারত (India)। মোদি (modi) সরকারের অষ্টম বর্ষ পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত কূটনৈতিক স্তরের এক বিশেষ বৈঠকে যোগ দিয়ে একথা জানান বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (s Jaishankar)। তাঁর মতে, সব রকম রাজনৈতিক বাধা দূর করে বিশ্বের বৃহত্তর কল্যাণের স্বার্থে নিউক্লিয়ার সাপ্লায়ার্স গ্রুপে (NSG) যোগ দিতে চায় ভারত।

    বিদেশমন্ত্রী বলেন, “ভারতের মতো দেশ নিয়ম-ভিত্তিক নির্দেশকে মজবুত করাকেই পছন্দ করে। ভারত সর্বদা এসব ক্ষেত্রে যে কোনও অবদান রাখার সুযোগকে মর্যাদা দেয়। এমটিসিআর, অস্ট্রেলিয়া গ্রুপ ও ওয়াসেনার চুক্তিতে ভারতের সদস্যপদ তাৎপর্যপূর্ণ, কারণ সবকটি গোষ্ঠীই হল বহুপাক্ষিক পরমাণু রফতানি নিয়ন্ত্রণ সংগঠন। ফলে, এর থেকেই প্রমাণিত হচ্ছে যে, ভারত একটি  দায়িত্বশীল দেশ। তাই, পরমাণু অস্ত্রপ্রসার রোধ চুক্তিতে ভারত স্বাক্ষর না করলেও, আমরা এনএসজি-তে জায়গা পাওয়ার যোগ্য অধিকারী।”

    আরও পড়ুন : “সব স্বচ্ছ নীতির প্রতিফলন…!” যোগী-রাজ্যে গিয়ে কী বললেন মোদি?

    বিদেশ মন্ত্রক আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে জয়শঙ্কর বলেন, “ভারতের মতো একটি পরমাণু শক্তিধর দেশ হিসেবে পরমাণু জ্বালানি সরবরাহকারী গোষ্ঠীতে যোগ দিতে আমরা মুখিয়ে রয়েছি। এজন্য যাবতীয় রাজনৈতিক বাধা দূর করে ওই গোষ্ঠীতে আমরা যোগ দিতে চাই। বিশ্বে পরমাণু জ্বালানি সরবরাহকারী গোষ্ঠীর সদস্য সংখ্যা ৪৮। এর মধ্যে ভারত নেই। অথচ ভারত পরমাণু শক্তিধর দেশ। চিনের (China) বিরোধিতার কারণে ভারত ওই গোষ্ঠীর সদস্য হতে পারছে না। চিনের বক্তব্য, ভারত পরমাণু অস্ত্র প্রসাররোধ চুক্তিতে (NPT) সই করেনি। তাই তাকে এই গোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত করা যাবে না। চিনের ভেটো প্রয়োগের জেরেই বারবার চেষ্টা করেও ওই গোষ্ঠীর সদস্য হতে পারছে না ভারত।

    আরও পড়ুন : “গত ৮ বছরে এমন কিছুতে লিপ্ত হইনি যাতে লজ্জায় মাথা নোয়াতে হয়”, গুজরাতে মোদি

    এদিনের অনুষ্ঠানে ভারতের বিদেশনীতিতে কোন কোন বিষয়কে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে, তাও স্পষ্ট করেছেন বিদেশমন্ত্রী। জয়শঙ্কর বলেন, আপনি যে ভারতে বাস করছেন, তা আগের চেয়ে ঢের আলাদা। দেশ কিংবা বিদেশনীতিতে এই দেশ তার মূল লক্ষ্য ঠিক করে ফেলেছে। নিত্য যার প্রমাণ মিলছে গণতন্ত্রের উন্নতিতে। তিনি বলেন, দেশের মানব উন্নয়ন সূচক ক্রমেই ঊর্ধ্বমুখী। বিদেশমন্ত্রী মনে করিয়ে দেন, ভারত তার স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তি পালন করছে। এই সময় দেশ তার জাতীয় স্বার্থের সঙ্গে সঙ্গে আন্তর্জাতিক দায়বদ্ধতার বিষয়টিও মাথায় রেখেছে। তাই দেশের কল্যাণের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক মঙ্গলের দিকটিও দেখছে ভারত।

     

  • UPI Credit Card Link: এবার ক্রেডিট কার্ডও আসছে UPI পেমেন্টের আওতায়! কী বলছে RBI?

    UPI Credit Card Link: এবার ক্রেডিট কার্ডও আসছে UPI পেমেন্টের আওতায়! কী বলছে RBI?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুধবার রেপো রেট (Repo Rate) বাড়ানোর ঘোষণা করেছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (Reserve Bank of India)। একইসঙ্গে ‘রুপে’ ক্রেডিট কার্ড (Rupay Credit Card) নিয়েও বড়সড় ঘোষণা করলেন শীর্ষ ব্যাঙ্কের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস (Shaktikanta Das)। 

     

    আরবিআই (RBI) গভর্নর এদিন বলেন, “দেশে এবার ধীরে ধীরে ক্রেডিট কার্ডকেও ইউপিআই (UPI পেমেন্টের আওতায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে। প্রথমে রুপে ক্রেডিট কার্ডকে ইউপিআই প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে যুক্ত করা যাবে। পেমেন্ট ইনফ্রা ফান্ড স্কিমে পরিবর্তন আনা হবে। পরবর্তীকালে, সবকটি ক্রেডিট কার্ডকেই আনা হবে।”

    আরও পড়ুন: দুমাসে দুবার! ফের রেপো রেট বাড়াল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক, কতটা সমস্যায় মধ্যবিত্ত?

    বর্তমানে দেশে ইউনিফায়েড পেমেন্ট ইন্টারফেস (Unified Payments Interface) বা ইউপিআই প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারের প্রবণতা খুব বেড়েছে। সব মিলিয়ে এই মুহূর্তে প্রায় ২৬ কোটি দেশবাসী ইউপিআই প্ল্যাটফর্ম  ব্যবহার করেন। এছাড়াও ৫ কোটি ব্যবসায়ীও বিভিন্ন ইউপিআই প্ল্যাটফর্মগুলিতে রয়েছেন। চলতি বছরের মে মাসেই ইউপিআই-এর মাধ্যমে ১০.৪ লক্ষ কোটি টাকা লেনদেন করা হয়েছে। মোট ৫৯৪ কোটি বার লেনদেন হয়েছে। এদিন গভর্নর বলেন, “ভারতের ইউপিআই ব্যবস্থা এতটাই জনপ্রিয় হয়েছে যে, বিভিন্ন দেশ এই প্রক্রিয়াকে রপ্ত করতে চাইছে।”

    আরও পড়ুন: ৪০ বেসিস পয়েন্ট রেপো রেট বাড়ানোর ঘোষণা আরবিআই-এর, শেয়ার বাজারে ব্যাপক ধস

    ইউপিআই পেমেন্ট (UPI Payment) প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে রুপে ক্রেডিট কার্ডকে লিঙ্ক (UPI-Rupay Credit Card Link) করা হলে, ইউপিআই-এর মাধ্যমে রুপে ক্রেডিট কার্ড থেকে পেমেন্ট করা যাবে। এতদিন পর্যন্ত ইউপিআই ব্যবহারকারীরা শুধুমাত্র ডেবিট কার্ডের মাধ্যমে সেভিংস বা কারেন্ট অ্যাকাউন্ট লিঙ্ক করে লেনদেন করতেন। এবার ক্রেডিট কার্ড সংযুক্ত করার সুবিধাও পাবেন তাঁরা। শক্তিকান্ত দাস এবিষয়ে বলেন, “নতুন এই ব্যবস্থায় ইউপিআই প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে টাকা লেনদেনের ক্ষেত্রে গ্রাহকদের আরও সুযোগ-সুবিধা বাড়বে।”           

    ইউপিআই প্ল্যাটফর্মে একই সঙ্গে একাধিক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টকে সংযুক্ত করে টাকা লেনদেনের সুবিধা পেয়ে থাকেন ব্যবহারকারীরা। ব্যবসায়ীদেরও নির্দিষ্ট কিছু সুবিধা দিয়ে থাকে এই প্ল্যাটফর্ম। তাই অল্প সময়েই দেশে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ইউপিআই প্ল্যাটফর্মগুলি (UPI Platform)। 

     

  • Pan Aadhaar Link: ৩০ জুনের পর প্যান-আধার লিঙ্ক করলে গুনতে হবে দ্বিগুণ জরিমানা!

    Pan Aadhaar Link: ৩০ জুনের পর প্যান-আধার লিঙ্ক করলে গুনতে হবে দ্বিগুণ জরিমানা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আধারের সঙ্গে প্যান কার্ডের লিঙ্ক (PAN-Aadhaar link) করার সময়সীমা ছিল চলতি বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত। অনেকেই এই সময়সীমার মধ্যে তা করতে পারেননি। তাই বাড়ানো হয়েছে সময়সীমা। এই সময়সীমা করা হয়েছে চলতি বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত। তবে এজন্য লেট ফি বাবদ দিতে হবে ৫০০ টাকা। কিন্তু এই সময়সীমার মধ্যেও কেউ প্যান আধার লিঙ্ক করতে অপারগ হলে তাঁকে লেট ফি বাবদ দিতে হবে অতিরিক্ত ৫০০ টাকা। অর্থাৎ সব মিলিয়ে তাঁকে জরিমানা বাবদ গুনতে হবে ১০০০ টাকা। সিবিডিটি-র (CBDT) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতেই একথা ঘোষণা করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন :বার্ষিক ২০ লক্ষের বেশি টাকার লেনদেন করছেন? এখন থেকে নতুন নিয়ম মানতে হবে

    জানা গিয়েছে, একমাত্র লেট ফি দেওয়ার পরেই প্যান-আধার লিঙ্ক করা যেতে পারে। প্যান (PAN) কার্ডের সঙ্গে আধার কার্ড  (Aadhaar card) লিঙ্ক না করালে প্যান কার্ডটি অবৈধ হয়ে যেতে পারে। তাতে দেখা দেবে নানা সমস্যা। কারণ প্যান কার্ড অবৈধ হয়ে গেলে কার্ড হোল্ডার মিউচুয়াল ফান্ড, স্টক, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন না। যেসব ক্ষেত্রে প্যান কার্ড প্রয়োজন, সেসব কাজ তিনি করতে পারবেন না।

    সর্বোপরি, বৈধ প্যান কার্ড না দেখাতে পারলে অ্যাসেসিং অফিসার জরিমানা বাবদ ওই ব্যক্তিকে ১০ হাজার টাকা চাইতে পারেন। আয়কর আইনের ১৯৬১-র (I-T Act, 1962) ২৭২ বি ধারায় তিনি ওই জরিমানা দিতে বাধ্য। তাই প্যান কার্ড বৈধ রাখা জরুরি। এটা করতে গেলে প্যানের সঙ্গে আধারের লিঙ্ক করা প্রয়োজন।

    [tw]


    [/tw]

    কীভাবে প্যান ও আধার কার্ড লিঙ্ক করবেন—

     

    ইনকাম ট্যাক্স ই-ফাইলিং পোর্টাল https://incometaxindiaefiling.gov.in/ ওয়েবসাইটে যান।

    এতে আপনার বিবরণ নথিভুক্ত করুন। ইউজার আইডি হবে প্যান। ইউজার আইডি, পাসওয়ার্ড ও জন্ম তারিখ ব্যবহার করে লগ-ইন করুন।

    একটি পপ-আপ উইন্ডো আসবে। তাতে আপনাকে আধারের সঙ্গে আপনার প্যান লিঙ্ক করতে অনুরোধ করা হবে।

    যদি উইন্ডোটি না আসে, তাহলে মেনু বারে প্রোফাইল সেটিংস-এ যান। ‘লিঙ্ক আধার’-এ ক্লিক করুন।

    জন্ম তারিখ, লিঙ্গের মতো তথ্যগুলি প্যান কার্ডের তথ্য মতো দিতে হবে। এবার আপনার আধারে উল্লিখিত তথ্যগুলির সঙ্গে স্ক্রিনে প্যান সম্পর্কিত বিবরণ যাচাই করুন৷

    আপনার আধার নম্বর লিখুন এবং এখনই লিঙ্ক করুন বোতামে ক্লিক করুন। এর পরেই আধার কার্ডটি প্যান কার্ডের সঙ্গে লিঙ্কড হয়ে যাবে এবং সেই সংক্রান্ত বার্তাও স্ক্রিনে দেখা যাবে।

    আরও পড়ুন : ভুলবশতঃ হোয়াটস্যাপ মেসেজ ডিলিট করেছেন? চিন্তা নেই, আসছে নতুন ফিচার!

LinkedIn
Share