Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Cheetah: বিলুপ্তির ৭০ বছর পর ফের ভারতে আসতে চলেছে চিতা?

    Cheetah: বিলুপ্তির ৭০ বছর পর ফের ভারতে আসতে চলেছে চিতা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৭০ বছর আগে বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া চিতা (Cheetah), ফের আসতে চলেছে ভারতে। মঙ্গলবার কেন্দ্রের কর্তারা ঘোষণা করেছেন যে, এই বছরের অগাস্টে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে চিতার একটি ব্যাচ ভারতে স্থানান্তরিত করা হবে। তবে কোভিড অতিমারীর ফলেই দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে চিতা আমদানিতে দেরি হয়েছে বলে জানা যায়।

    ১৯৫২ সালেই ভারত থেকে বিলুপ্ত হয়েছিল চিতা। পাঁচ-ছয়টি চিতার প্রথম দলকে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে মধ্যপ্রদেশের কুনো ন্যাশনাল পার্কে (Kuno National Park ) স্থানান্তর করা হবে। এই প্রথম একটি বৃহৎ মাংসাশী প্রাণীর আন্তর্মহাদেশীয় স্থানান্তর করা হবে।

    মঙ্গলবার পরিবেশ মন্ত্রকের একজন শীর্ষ কর্তা বলেন, “চিতা আনার যাবতীয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়ে গেছে এবং দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে চুক্তিও হয়েছে। এখন বিদেশমন্ত্রকের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছি। বর্তমানে আমাদের একটি দল দক্ষিণ আফ্রিকায় রয়েছে।”

    দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে বিশেষজ্ঞদের একটি দল ১৫ই জুন ভারতে আসবে এবং স্থানান্তরের ব্যবস্থাগুলি দেখবে সঙ্গে পার্কটি পরিদর্শনও করবে৷ ভারত সরকারের তরফ থেকে ন্যাশনাল টাইগার কনজারভেশন অথরিটি (National Tiger Conservation Authority) বা এনটিসিএ (NTCA) ও ভারতের বন্যপ্রাণী ইনস্টিটিউট (Wildlife Institute of India) এই প্রকল্পের নেতৃত্বে রয়েছে।

    আরও পড়ুন: দেশজুড়ে করোনার বাড়বাড়ন্ত, বিমানে ফের বাধ্যতামূলক মাস্ক

    নথি অনুযায়ী, কোরিয়ার (Koriya) মহারাজা রামানুজ প্রতাপ সিং (Maharaja Ramanuj Pratap Singh Deo) ১৯৪৭ সালে ভারতের শেষ তিনটি এশিয়াটিক চিতা (Asiatic Cheetah) শিকার করে গুলি করে হত্যা করার সময় থেকেই ভারত থেকে অদৃশ্য হয়ে যায় চিতা। পরে ১৯৫২ সালে ভারত সরকার, চিতাকে বিলুপ্ত ঘোষণা করে। যদিও কয়েক দশক ধরে ভারতে চিতাকে ফিরিয়ে আনার পরিকল্পনা চলছিল, এবং বর্তমানের প্রস্তাবটি ২০০৯ সালে প্রথম আনা হয়েছিল। পরিকল্পনাটি ২০২০ সালে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারা পাশ হয়েছিল।

    মুকুন্দারা হিলস টাইগার রিজার্ভ (Mukundara Hills Tiger Reserve), রাজস্থানের শেরগড় বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য (Shergarh Wildlife Sanctuary in Rajasthan), গান্ধী সাগর বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য (Gandhi Sagar Wildlife Sanctuary), কুনো ন্যাশনাল পার্ক (Kuno National Park), মাধব ন্যাশনাল পার্ক (Madhav National Park )এবং মধ্যপ্রদেশের নৌরাদেহি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য ( Nauradehi Wildlife Sanctuary )- এই ছয়টির মধ্যে কুনো ন্যাশনাল পার্ক চিতা স্থানান্তরের জন্য প্রস্তুত বলে জানা গেছে। WII বিশেষজ্ঞরা বলেছেন যে, একবার আফ্রিকান চিতাদের প্রথম দল ভারতীয় অবস্থার সঙ্গে মানিয়ে নিতে সক্ষম হলেই আগামী কয়েক দশক ধরে, ৩৫-৪০টি চিতা সারা দেশে স্থানান্তরিত করার সম্ভাবনা রয়েছে।

    আরও পড়ুন: শীঘ্রই সোশ্যাল মিডিয়া-কেন্দ্রিক নিয়ম জারি করতে চলেছে কেন্দ্র?

  • Hizbul Terrorist Arrest: বেঙ্গালুরুতে গ্রেফতার কাশ্মীরে নাশকতায় জড়িত হিজবুল জঙ্গি

    Hizbul Terrorist Arrest: বেঙ্গালুরুতে গ্রেফতার কাশ্মীরে নাশকতায় জড়িত হিজবুল জঙ্গি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বেঙ্গালুরুতে গ্রেফতার কাশ্মীরের হিজবুল মুজাহিদিন (hizbul mujahideen) জঙ্গি। জম্মু-কাশ্মীর (jammu & kashmir) ও কর্নাটক পুলিশের যৌথ অভিযানে বেঙ্গালুরু (Bengaluru) থেকে ধরা পড়ে তালিব হুসেন নামের ওই জঙ্গি। ৫ জুন গ্রেফতার করা হয় তালিবকে। যদিও গ্রেফতারির খবর সংবাদমাধ্যমকে জানায় মঙ্গলবার পুলিশ।

    সম্প্রতি জম্মু-কাশ্মীরে বেড়ছে জঙ্গি ক্রিয়াকলাপ। বেছে বেছে খুন করা হচ্ছে হিন্দুদের। এর মধ্যে কাশ্মীর হিন্দু পণ্ডিত সম্প্রদায়ের মানুষ যেমন রয়েছেন, তেমনি রয়েছেন ভিন রাজ্য থেকে কর্মসূত্রে সে রাজ্যে যাওয়া পরিযায়ী শ্রমিক, ব্যাঙ্ক কর্মী, স্কুল শিক্ষিকা সহ নানা পেশার মানুষ। ১ মে থেকে এপর্যন্ত কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদের বলি হয়েছেন ৯ জন। এর পরেই জম্মু-কাশ্মীরে আঁটসাঁট করা হয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা। জঙ্গিদের খোঁজে শুরু হয় তল্লাশি অভিযান। মঙ্গলবারই জম্মু-কাশ্মীরের দুই জায়গায় পুলিশের সঙ্গে এনকাউন্টারে খতম হয় লস্কর-ই-তৈবার দুই জঙ্গি। এদের মধ্যে এক জঙ্গি তুফায়েল পাকিস্তানের বাসিন্দা বলে পুলিশ জানিয়েছে।

    আরও পড়ুন : কাশ্মীরে ‘হাইব্রিড’ সন্ত্রাস ছড়াচ্ছে বিহার, উত্তরপ্রদেশের মৌলবীরা?

    কাশ্মীরের এই হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ খুনে নাম জড়ায় তালিবের। তার খোঁজে উপত্যকা জুড়ে তল্লাশি শুরু করে নিরাপত্তা বাহিনী। এর পরেই স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে কর্নাটকের বেঙ্গালুরুতে গা ঢাকা দেয় সন্দেহভাজন এই হিজবুল মুজাহিদিন জঙ্গি। এখানকার একটি মসজিদে গা ঢাকা দিয়েছিল সে। এখানেই শ্রমিকের কাজ করে দিন গুজরান করত তালিব। অটোও চালাত।

    গ্রেফতারির সময় তার কাছে আধার কার্ডও ছিল। সূত্র মারফত খবর পেয়ে পুলিশ হানা দেয় বেঙ্গালুরুতে। গ্রেফতার করা হয় তালিবকে। তবে তালিব যে জঙ্গি কাজকর্মে জড়িত, তা জানতেন না অটোর মালিকও। জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ জানিয়েছে, উপত্যকায় বহু নাশকতার ঘটনায় অভিযুক্ত তালিব। দীর্ঘদিন ধরেই ফেরার ছিল সে। ২০১৬ সাল নাগাদ হিজবুল মুজাহিদিনে নাম লিখিয়েছিল সে।

    আরও পড়ুন : “পাকিস্তানে যাচ্ছে এমবিবিএস পড়তে, ভারতে ফিরছে জঙ্গি হয়ে!” চাঞ্চল্যকর দাবি গোয়েন্দাদের

    এদিকে, বেঙ্গালুরু থেকে জঙ্গি ধরা পড়ায় হাই অ্যালার্ট জারি করেছে বেঙ্গালুরু পুলিশ। কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই  বলেন, রাজ্যে কারা কারা আসছে, সেদিকে কড়া নজর রাখবে পুলিশ। জম্মু-কাশ্মীর পুলিশকে আমরা সব রকম সাহায্য করতে প্রস্তুত। এর আগে সিরসি এবং ভাটকলেও দুই জঙ্গিকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। এখন জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ বেঙ্গালুরুতেও একজনকে গ্রেফতার করল। আমরা তাদের সাহায্য করেছি।  

     

  • Organ Donation: মৃত্যুর পরও জীবনদান! ‘ব্রেন ডেথ’ তরুণীর অঙ্গদানে প্রাণ বাঁচল পাঁচজনের

    Organ Donation: মৃত্যুর পরও জীবনদান! ‘ব্রেন ডেথ’ তরুণীর অঙ্গদানে প্রাণ বাঁচল পাঁচজনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের অঙ্গদান করে নজির গড়ে তুলল এক তরুণীর পরিবার। এই তরুণী অঙ্গদান করে পাঁচজনকে এক নতুন জীবন উপহার দিয়েছেন। সংবাদসংস্থা এএনআই-এর খবর অনুযায়ী, এক মহিলাকে মহারাষ্ট্রের পুনের সাউদার্ন কমান্ড হাসপাতালে (Command Hospital Southern Command) নিয়ে আসা হয়েছিল। সেখানে চিকিৎসকরা ঘোষণা করেন তাঁর ব্রেনডেথ হয়েছে। এরপরেই তাঁর পরিবার অঙ্গদানের সিদ্ধান্ত নেন।

    আরও পড়ুন: পিতা-কন্যার যুগলবন্দী! ভারতীয় বায়ুসেনায় একসঙ্গে যুদ্ধবিমান চালিয়ে গড়ে তুললেন ইতিহাস

    যেই পাঁচজনকে অঙ্গ দেওয়া হয়েছে তাঁর মধ্যে দুজন ভারতীয় সেনাকর্মীও রয়েছেন। সূত্রের খবর, ১৪ ও ১৫ জুলাই এই অঙ্গদানের প্রক্রিয়া শুরু করা হয়। তরুণীটির দুটি কিডনি দুই জওয়ানকে দেওয়া হয়। পুনের রুবি হল ক্লিনিকে এক মহিলার শরীরে লিভার প্রতিস্থাপন করা হয়। চোখ দুটিকে আই ব্যাঙ্কে সংরক্ষণ করা হয়। এরপর সেগুলি নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে প্রদান করা হয়।

    পরিবার থেকে জানানো হয়েছে, এক দুর্ঘটনা ঘটার পর তাঁকে একদম শেষ পর্যায়ে আনা হয়েছিল কমান্ড হাসপাতালে। এরপরে সেখানে তাঁর ব্রেন ডেথের কথা চিকিৎসকরা জানালে অঙ্গদানের সিদ্ধান্ত নেন পরিবারের সদস্যরা। দেরি না করে হাসপাতালের ট্রান্সপ্লান্ট কো-অর্ডিনেটরের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের মুখপাত্র জানিয়েছেন, যাঁদের অত্যন্ত প্রয়োজন তাঁদেরকেই ওই তরুণীর অঙ্গদান করা হবে বলে রাজি হয়েছিলেন পরিবার। তারপর শেষপর্যন্ত তরুণীর অঙ্গগুলোতেই এক নতুন জীবন পেলেন পাঁচ ব্যক্তি। তিনি বেঁচে না থাকলেও তাঁর অঙ্গ দিয়েই অন্যদের প্রাণ দিয়ে গেলেন। তরুণীর পরিবারের এই মহান কাজে সবাই তাঁদের কাছে কৃতজ্ঞ।

    আরও পড়ুন: ভারত থেকে মাকে অপহৃত হওয়ার ফোন মার্কিন যুবতীর, পরে বেরোল আসল সত্য!

    এর আগেও কর্নাটকের বেলাগাভি নামক জায়গায় এক ৫১ বছর বয়সী ব্যক্তির ব্রেন ডেথ হওয়ার পর তিনি তাঁর অঙ্গদান করে ছয়জনের প্রাণ বাঁচিয়েছিলেন। তাঁর চোখ, কিডনি, লিভার, হার্ট দিয়ে রোগীদের এক নতুন জীবন দান করেছিলেন।  

     

  • Telangana: কেসিআর-এর পতনের শুরু দাবি অমিতের! তেলঙ্গনা নিয়ে কী ভাবছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    Telangana: কেসিআর-এর পতনের শুরু দাবি অমিতের! তেলঙ্গনা নিয়ে কী ভাবছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সদ্য কংগ্রেস ছেড়ে আসা তেলঙ্গানার বিধায়ক কে রাজাগোপাল রেড্ডির বিজেপিতে যোগদানের মধ্য দিয়েই সে রাজ্যে কেসিআর জমানার শেষের শুরু হয়ে গিয়েছে, দাবি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের। রবিবার, তেলঙ্গানার মুনুগোড়ে বিধানসভা উপনির্বাচনের জনসভায় বক্তব্য রাখার সময় এই দাবি করেন অমিত। রাজাগোপাল কংগ্রেস ত্যাগ করার ফলেই ওই কেন্দ্রে উপনির্বাচন হচ্ছে। হায়দরাবাদ থেকে প্রায় ৮৫ কিলোমিটার দূরে নালগোন্ডা জেলার মুনুগোড়েরই বিধায়ক ছিলেন তিনি। এদিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘‘এই উপনির্বাচনে রাজাগোপাল রেড্ডিকে জেতান। আমি গ্যারান্টি দিচ্ছি, কেসিআরের দুর্নীতিগ্রস্ত সরকার বিদায় নেবে!’’

    আরও পড়ুন: কেষ্ট যোগ! ভোলে ব্যোমের পর শিবশম্ভু রাইস মিলে হানা সিবিআইয়ের, কী মিলল?

    প্রধানমন্ত্রী ফসল বিমা যোজনা থেকে রাজ্যের কৃষকদের বঞ্চিত রেখে ‘পাপ’ করেছে টিআরএস সরকার এদিন এমনই অভিযোগ তোলেন অমিত। তাঁর কথায়, কেন্দ্রের দু’লক্ষ কোটি টাকা সাহায্য সত্ত্বেও তেলঙ্গানা ঋণে ডুবে গিয়েছে। কোনও দলিতকে মুখ্যমন্ত্রী করার আশ্বাসের পাশাপাশি দলিত, বেকার ও জনজাতিদের দেওয়া বহু প্রতিশ্রুতিই রাখেননি কেসিআর। জ্বালানি তেলে ভ্যাট কমাননি। এমআইএম-এর ভয়ে তেলঙ্গানার মুক্তি দিবসও পালন করেননি। শাহের আশ্বাস, আগামী নির্বাচনে বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী পাবে তেলঙ্গানা, যিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে কাজ করবেন। রাজ্যে বিজেপি ক্ষমতায় এলে কৃষকদের প্রতিটি ধানের দানা কেনা হবে, বলে জানান তিনি।

    রাতে ‘আরআরআর’ খ্যাত অভিনেতা এন টি রাম রাও (এনটিআর) জুনিয়রের সঙ্গে হায়দরাবাদে নৈশভোজ সেরেছেন শাহ। তাঁকে ‘তেলুগু ছবির রত্ন’ বলে দু’জনের ছবি টুইট করেছেন। শাহকে ধন্যবাদ দিয়েছেন জুনিয়রও। এনটিআর জুনিয়র তেলুগু দেশম (টিডিপি)-এর প্রতিষ্ঠাতা এন টি রাম রাওয়ের নাতি। এ দিন মিডিয়া টাইফুন রামোজি রাওয়ের আমন্ত্রণে রামোজি ফিল্ম সিটিতে তাঁর সঙ্গে দেখা করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

  • Nupur Sharma Row: প্রয়াগরাজে হিংসার মাস্টারমাইন্ডের বাড়িতে মিলল বন্দুক, সাহারানপুরে গ্রেফতার তরুণ  

    Nupur Sharma Row: প্রয়াগরাজে হিংসার মাস্টারমাইন্ডের বাড়িতে মিলল বন্দুক, সাহারানপুরে গ্রেফতার তরুণ  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নূপুর শর্মার (Nupur Sharma) বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে দেশজুড়ে অশান্তি বিক্ষোভকারীদের। উত্তর প্রদেশের প্রয়াগরাজে (Prayagraj) হিংসার মাস্টারমাইন্ড জাভেদ মহম্মদের বাড়ি থেকে আগ্নেয়াস্ত্র বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। উত্তর প্রদেশেরই সাহারানপুর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে মূল চক্রী বছর আঠারোর এক তরুণকে। মুজাম্মেল (Muzammil) নামের ওই তরুণ একটি মাদ্রাসার ছাত্র। এদিকে, অশান্তি পাকানোর অভিযোগে কেবল উত্তর প্রদেশ থেকেই গ্রেফতার করা হয়েছে ৩১৬ জনকে। বাংলায় গ্রেফতারির সংখ্যা একশোর কাছাকাছি। সব মিলিয়ে চারশোজনের বেশি প্রতিবাদীকে গ্রেফতার করা হয়েছে দেশজুড়ে।

    আরও পড়ুন : নূপুর শর্মা বিতর্কে অশান্তি, ঝাড়খণ্ডে মৃত ২, তপ্ত বাংলা, ভূস্বর্গে জারি কার্ফু

    দিন দশেক আগে হজরত মহম্মদকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেন বিজেপির প্রাক্তন মুখপাত্র নূপুর শর্মা। ঘটনার পরে পরেই সাসপেন্ড করা হয় তাঁকে। তার পরেও দেশজুড়ে অশান্তির আগুন ছড়িয়ে দেয় প্রতিবাদকারীরা। কোথাও ঘণ্টার পর ঘণ্টা রাস্তা অবরোধ, কোথাও দোকানপাঠ ভাঙচুর, সরকারি সম্পত্তি নষ্ট, কোথাও আবার বাড়িঘর এবং বিজেপির পার্টি অফিস ভাঙচুর করা হয়েছে।

    অশান্তির আঁচ নিভু নিভু হতেই মাস্টারমাইন্ডদের খোঁজে হন্যে হয় পুলিশ। জানা যায়, উত্তর প্রদেশের প্রয়াগরাজের মূল চক্রী জনৈক জাভেদ মহম্মদ। এর পরেই তার বাড়িতে হানা দেয় পুলিশ। বাজেয়াপ্ত করা হয় একটি ১২ ও একটি ৩১৫ বোরের অবৈধ পিস্তল। মেলে কার্তুজও। বাড়িতে আপত্তিকর কিছু পোস্টারও মেলে। বাড়িটিও বেআইনিভাবে নির্মাণ করা হয়েছিল। এর পরেই বুলডোজার চালিয়ে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় ওয়েলফেয়ার পার্টি অফ ইন্ডিয়ার নেতা জাভেদ মহম্মদের বাড়ি। পুলিশের দাবি, জাভেদের বাড়ির কিছু নথি ‘আদালতের চোখে আপত্তিকর’।

    এদিকে, উত্তর প্রদেশেরই সাহারানপুর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে মুজাম্মেল নামের এক তরুণকে। পুলিশ জেনেছে, জুম্মার নমাজেরর পরেই অশান্তি পাকায় সে। মুজাম্মেল স্থানীয় এক মাদ্রাসার ছাত্র। রবিবার তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সাহারানপুরের পুলিশ সুপার রাজেশ কুমার বলেন, অশান্তিতে ইন্ধন জোগানোয় দুজনকে চিহ্নিত করা গিয়েছে। অবৈধ নির্মাণ করায় তাদের বাড়ি বুলডোজার চালিয়ে ভেঙে দেওয়া হয়েছে। মুজাম্মলির উসকানিতেই মূলত অশান্তি ছড়ায়। সে একটি মাদ্রাসার ছাত্র। অন্য এক চক্রীর নাম সলমান। সে প্রাপ্ত বয়স্ক। সে-ই পোস্টার ছাপিয়েছিল বলে জেনেছে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তবে অর্থ সাহায্য করে এই অশান্তির আগুনে কে ঘৃতাহুতি দিয়েছিল, তা এখনও জানা যায়নি।

    আরও পড়ুন : বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে সাসপেন্ড নূপুর শর্মা, নবীন জিন্দালকে বহিষ্কার বিজেপি-র

    এদিকে, অশান্তি পাকানোর অভিযোগে উত্তর প্রদেশের আট জেলা থেকে থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে ৩১৬ জনকে। বাংলায় গ্রেফতারির সংখ্যা একশোর কাছাকাছি। হাজার খানেক প্রতিবাদীর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে ঝাড়খণ্ডের রাঁচি থানার পুলিশ। প্রসঙ্গত, অশান্তি ঠেকাতে গিয়ে ১০ জুন রাঁচিতে দুজনের মৃত্যু হয়। জখমও হয় বেশ কয়েকজন।

     

  • India on High Alert: আল-কায়দার হুমকির জের, দেশজুড়ে হাই অ্যালার্ট জারি গোয়েন্দা সংস্থার

    India on High Alert: আল-কায়দার হুমকির জের, দেশজুড়ে হাই অ্যালার্ট জারি গোয়েন্দা সংস্থার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাক্তন বিজেপি (BJP) নেত্রী নূপুর শর্মার (Nupur Sharma) হজরত মহম্মদকে (Prophet) নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে ইতিমধ্যেই ইসলামিক দেশগুলির রোষানলে পড়তে হয়েছে ভারতকে। তারমধ্যেই ভারতের বিভিন্ন শহরে আত্মঘাতী হামলার (Suicide Attack) হুমকি দিয়েছে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আল-কায়দা (Al-Qaeda)। তার জেরে দেশজুড়ে হাই অ্যালার্ট (High Alert) জারি করল দেশের গোয়েন্দা সংস্থাগুলি। 

    সম্প্রতি হজরত মহম্মদ নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন বিজেপি নেত্রী নূপুর শর্মা। বিষয়টি নিজের হ্যান্ডেলে ট্যুইট করেন আরেক বিজেপি নেতা নবীন জিন্দাল (Naveen Jindal)। বিতর্ক দানা বাঁধতেই নূপুরকে সাসপেন্ড এবং নবীনকে বহিষ্কার করে গেরুয়া শিবির। 

    আরও পড়ুন: এবার বাংলাদেশকেও হুমকি চিঠি আল কায়দার!

    এই ঘটনার ‘বদলা’ নিতেই ভারতের কিছু শহরের নাম উল্লেখ করে নাশকতার হুমকি দেয় আল-কায়দার শাখা সংগঠন আল কায়দা ইন ইন্ডিয়াবন সাব-কন্টিনেন্ট (AQIS)। ৬ জুন একটি হুমকি চিঠিতে আল-কায়দা জানায়, “নবী মহম্মদের সম্মানের জন্য এই লড়াই। দিল্লি, মুম্বাই, উত্তরপ্রদেশ এবং গুজরাতের বিভিন্ন শহরে আত্মঘাতী হামলা চালানো হবে। নিজেদের এবং শিশুদের শরীরে বিস্ফোরক বেঁধে পাঠাব। যারা আমাদের নবীকে অবমাননা করেছে তাদের নিস্তার নেই।”

    আরও পড়ুন: পয়গম্বরকে অবমাননার ‘বদলা’! ভারতে নাশকতার হুমকি-চিঠি আল-কায়দার

    আল-কায়দার অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে আপলোড করা ওই চিঠিতে আরও লেখা হয়, “বিশ্বের সমস্ত উদ্ধত হিন্দুবাদী সন্ত্রাসী যারা ভারতকে কব্জা করে রেখেছে তাঁদের বিরুদ্ধে লড়ব। নবীর সম্মানের জন্য সকলকে এই লড়াইয়ে যোগ দিতে বলব। নবীর সম্মানে মৃত্যুবরণ করতে বলব। যাঁরা আমাদের প্রিয় নবীকে অসম্মান করেছে তাঁদের হত্যা করব।” 

    এই প্রথমবার কোন কোন শহরে হামলা চালাবে তা নির্দিষ্ট করল আল-কায়দা। গোয়েন্দাদের বক্তব্য, “আল-কায়দার অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়েছে এই চিঠি। তাই এই চিঠিকে খুব হাল্কাভাবে নেওয়া ঠিক হবে না। যে শহরগুলির নাম নেওয়া হয়েছে সেখানে হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে।” 

    একই দিনে বাংলাদেশকেও একইরকম হুমকি দিয়েছে আল-কায়দা। নিষিদ্ধ জঙ্গিগোষ্ঠী আল কায়দার শাখা সংগঠন আকিস হুমকি দেয় শেখ হাসিনার (Sheikh Hasina) দেশকে। বাংলাদেশে ৭ ‘নির্দোষ’ ব্যক্তিকে কেন মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে জঙ্গি সংগঠন। বাংলাদেশ সরকার হিন্দুত্বের এজেন্টের মতো আচরণ করছে বলেও মন্তব্য করা হয়েছে আল কায়দার তরফে। ঈশ্বর নিন্দা (Blasphemy) করায় ২০১৪ ও তার পরের বছর হত্যা করা হয় লিজিয়ন ও বিজয়কে। বাংলাদেশ সরকার হত্যাকারীদের ফাঁসি দেয়। সেই কারণেই আকিস হুমকি চিঠি দিয়েছে হাসিনার সরকারকে।

    গোয়েন্দা সূত্রে খবর, ওয়েবসাইটের লোকেশন ট্র্যাক করার চেষ্ঠা চলছে। আফ্রিকা, ইরান, আফগানিস্তান যেকোনও জায়গায় বসে লেখা হতে পারে এই হুমকির চিঠি। এখনই কিছু নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না। পাকিস্তানকেও সন্দেহের বাইরে রাখছে না বলে জানিয়েছে গোয়ান্দা সংস্থা। গোয়েন্দা সংস্থা আরও জানায় যে, এটা কোনও ‘লোন-উলফ’ আক্রমণও হতে পারে। সংগঠনটির আপাতত কোনও স্থায়ী অর্থ সাহায্য নেই। এই সংগঠনের কোনও সমর্থক এই কাজ করে থাকতে পারে। 

     

     

  • Mohan Bhagwat: দেশের জন্য অনেক বলিদান দিয়েছে আরএসএস, হায়দরাবাদে মোহন ভাগবত

    Mohan Bhagwat: দেশের জন্য অনেক বলিদান দিয়েছে আরএসএস, হায়দরাবাদে মোহন ভাগবত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের জন্য অনেক বলিদান দিয়েছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘ। তেলঙ্গানার রাজধানী হায়দরাবাদে (Hyderabad) সংগঠনের নয়া ভবনের উদ্বোধনে এসে এমনই দাবি করলেন আরএসএস (RSS) প্রধান মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। এর পাশাপাশি তাঁর দাবি, সত্যকে কোনওদিনই চেপে রাখা যায় না। তা একদিন না একদিন নিজের পথ করে নেবে।

    ভাগবতের মতে, আরএসএস কর্মীদের আত্মত্যাগের কারণেই আড়েবহরে বেড়েছে আরএসএস। তিনি বলেন, আরএসএস কর্মীরা অনেক আত্মত্যাগ করেছেন। আর তা করতে পেরেছেন বলেই মজবুত হয়েছে সংগঠন। বিরোধীদের উদ্দেশে ভাগবত বলেন, কিছু মানুষ আছেন যাঁরা মনে করেন তাঁরাই একমাত্র সঠিক। আর বাকিরা ভুল। আর যখনই তাঁদের বিরোধিতা করা হয়, তাঁরা চেষ্টা করেন ন্যায় ও সত্যকে চেপে রাখতে। তিনি মনে করিয়ে দেন, হিংসা দিয়ে সত্যকে চেপে রাখা যায় না।

    আরও পড়ুন : হিন্দু-মুসলিম সম্পর্কে ভাগবতের মন্তব্য সংগঠনের বক্তব্যের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ, জানাল আরএসএস

    তেলঙ্গনায় দলীয় কর্মীদের সাফল্যেও তিনি যে অভিভূত, তাও দেরাজ গলায় প্রবীণ এই আরএসএস নেতা। তিনি বলেন, অনেক লড়াইয়ের শেষে এই সাফল্য পেয়েছেন এখানকার যুব নেতারা। তিনি বলেন, আমি তেলঙ্গানায় এবিভিপি ক্যাডারদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখি। আমি দেখেছি কীভাবে তারা প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়েছে। আজ এই ভবনের উদ্বোধন বুঝিয়ে দিচ্ছে আন্দোলন কতটা ইতিবাচক হয়ে উঠেছে।

    সংগঠন বাড়ায় যে বিপদ হতে পারে সে ব্যাপারে সংগঠনের ছাত্র ও কর্মীদের সতর্ক করে দেন আরএসএস প্রধান। বলেন, এই সময় সতর্ক না হলে সমস্যা হতে পারে। আরএসএসের জনপ্রিয়তা এখন বাড়ছে। জনপ্রিয়তা নিজেই ভবিষ্যতে পথ আটকে দিতে পারে। সংঘপ্রধান মনে করিয়ে দেন, আমাদের কাছে সাফল্য কোনও গন্তব্য নয়, এটি হল যাত্রা।

    আরও পড়ুন : সব মসজিদে শিবলিঙ্গ খোঁজার এত হিড়িক কীসের? সমালোচনা মোহন ভাগবতের

    হিন্দুত্ববাদীদের অতিসক্রিয়তা যে তিনি ভালো চোখে দেখছেন না, দিন কয়েক আগে তা স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন ভাগবত। তিনি বলেছিলেন, সমস্ত মসজিদে শিবলিঙ্গ খোঁজার প্রয়োজন কী? জ্ঞানবাপী নিয়ে আমাদের আলাদা ভক্তি থাকতেই পারে, তাই বলে সমস্ত মসজিদে শিবলিঙ্গের অস্তিত্ব খুঁজতে বেরনো অনুচিত।

     

  • Jammu and Kashmir polls: ভূস্বর্গে নির্বাচনের ঘণ্টা, বাদ সাধতে পারে চিল্লাই কলন!

    Jammu and Kashmir polls: ভূস্বর্গে নির্বাচনের ঘণ্টা, বাদ সাধতে পারে চিল্লাই কলন!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভূস্বর্গে বাজতে চলেছে নির্বাচনের (Election) ঘণ্টা? অন্তত কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিত্যানন্দ রাইয়ের (Nityanand Rai) বক্তব্যে এমনই ইঙ্গিত মিলল। সংসদে এক প্রশ্নের জবাবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানান, জম্মু-কাশ্মীরে (Jammu Kashmir) ভোটের জন্য প্রস্তুতি শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন (Election Commission)।

    চলতি বছরের নভেম্বর-ডিসেম্বর নাগাদ নির্বাচন হওয়ার কথা গুজরাট ও হিমাচল প্রদেশে। একই সঙ্গে নির্বাচন কমিশন জম্মু-কাশ্মীরেও ভোট করানোর পক্ষপাতী বলে সূত্রের খবর। ২০১৯ সালের ৫ আগস্ট কাশ্মীর থেকে রদ হয় ৩৭০ ধারা। এর পাশাপাশি রাজ্যটিকে দুটি কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলে পরিণত করা হয়। সরকারি সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় সরকার ইতিমধ্যেই ভূস্বর্গে বিধানসভা নির্বাচনের জন্য কমিশনকে সবুজ সংকেত দিয়েছে। নির্বাচন কমিশন ইতিমধ্যেই উপত্যকায় সীমানা পুনর্বিন্যাসের কাজ শেষ করেছে। আগে এই রাজ্যের বিধানসভা আসন ছিল ১০৭টি। সীমানা পুনর্বিন্যাসের জেরে আসন সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১১৪টি। এবার কাশ্মীরি পণ্ডিতদের জন্য দুটি আসন সংরক্ষিত থাকবে। তফশিলি জাতি উপজাতিদের জন্যও এবার নটি আসন সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন : গুজরাট, হিমাচল প্রদেশের সঙ্গেই নভেম্বরে ভোট হবে জম্মু-কাশ্মীরেও?

    এদিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানান, নির্বাচন কমিশন ইতিমধ্যেই ভোট করানোর ব্যাপারে পদক্ষেপ করতে শুরু করেছে। শুরু হয়েছে ভোটার তালিকায় নাম তোলার কাজও। কিছুদিন আগে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহও জানিয়েছিলেন, জম্মু-কাশ্মীরে ভোট হতে পারে চলতি বছরের শেষের দিকে।তিনি বলেন, চলতি বছরের শেষের দিকে উপত্যকায় নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।

    আরও পড়ুন : জম্মু-কাশ্মীরে জামাত অনুমোদিত স্কুল বন্ধ করল সরকার, কেন জানেন?

    সরকারের তরফে চলতি বছরের শেষের দিকে ভোট হওয়ার কথা বলা হলেও, তা সম্ভব নয় বলেই মনে করে নির্বাচন কমিশনের একাংশ। তাদের মতে, জম্মু-কাশ্মীরে শুরু হয়েছে ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ। সংশোধিত তালিকা প্রকাশিত হওয়ার পরেই ভোট ঘোষণা করা হয়। তবে ওই সময় জম্মু-কাশ্মীরে প্রবল ঠান্ডার কাল। ঠান্ডার এই পর্ব চলতে থাকে ৪০ দিন। স্থানীয় ভাষায় একে বলা হয় চিল্লাই কলন। তাই ঠান্ডার এই পর্ব শেষ না হলে ভূস্বর্গে ভোট করানো সম্ভব নয় বলেই মনে করেন নির্বাচন কমিশনের ওই আধিকারিকরা। তবে তীব্র ঠান্ডার ওই পর্ব শেষ হলে নতুন বছরের গোড়ার দিকে ভোট করানো হতে পারে বলেই মনে করেন তাঁরা।

     

  • Draupadi Murmu: ইতিহাস রচনা করল ভারত! দ্রৌপদী হবেন ‘মহান রাষ্ট্রপতি’, শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর

    Draupadi Murmu: ইতিহাস রচনা করল ভারত! দ্রৌপদী হবেন ‘মহান রাষ্ট্রপতি’, শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘ইতিহাস রচনা করল ভারত।’ রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে (Presidential poll) দ্রৌপদী মুর্মুর (Draupadi Murmu) জয়ের পরই তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi)। ট্যুইটবার্তায় তিনি লেখেন দেশের প্রান্তিক মানুষের প্রতিনিধি দ্রৌপদী মুর্মুর এই জয় দেশবাসীকে গর্বিত করবে। এরপর ভাবী রাষ্ট্রপতি (President-elect) দ্রৌপদী মুর্মুর বাসভবনে পৌছন প্রধানমন্ত্রী।

    [tw]


    [/tw]

    প্রতিদ্বন্দী যশবন্ত সিনহাকে (Yashwant Sinha) বিপুল ভোটে হারিয়ে দেশের ১৫তম রাষ্ট্রপতি (15th President) নির্বাচিত হলেন দ্রৌপদী মুর্মু। তৃতীয় রাউন্ড ভোট গণনার শেষে দ্রৌপদী মুর্মুর পক্ষে পড়ে ৮১২টি ভোট। আর যশবন্ত সিনহা পেয়েছেন ৫২১ ভোট। ১৫ জন সাংসদের ভোট বাতিল হয়। ১৭জন বিরোধী সাংসদ তাঁদের প্রার্থীকে সমর্থন করেন বলে দাবি বিজেপির। দ্বিতীয় রাউন্ডের শেষে দ্রৌপদী মুর্মুর জয় কার্যত নিশ্চিত হয়ে যায়।

    বর্ণানুক্রমিকভাবে প্রথম ১০টি রাজ্যের গণনা শেষে দ্রৌপদী মুর্মু ১৩৪৯টি ও যশবন্ত সিনহা ৫৩৭টি ভোট পান। দু’জনের ভোটের মূল্যের ব্যবধান দাঁড়ায় প্রায় ৩ লক্ষের। তৃতীয় রাউন্ডের শেষেই জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় সমর্থন আদায় করেন নেন নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতি। কারণ জয়ের জন্য প্রয়োজন ৫ লক্ষ ৪৩ হাজার ২৬১। তৃতীয় রাউন্ডের শেষে এনডিএ প্রার্থীর ভোটের মূল্য দাঁড়ায় ৫লক্ষ ৭৭ হাজার ৭৭৭। শেষমেশ দ্রৌপদীকেই জয়ী ঘোষণা করে দেন রাজ্যসভার সাধারণ সচিব পি সি মোদি।

    আরও পড়ুন: প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে নতুন হাইওয়ে চিনের! জানুন কোথা দিয়ে যাবে সেই রাস্তা

    দেশের নতুন রাষ্ট্রপতিকে শুভেচ্ছা জানাতে ফুলের তোড়া নিয়ে তাঁর বাড়িতে হাজির হন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাঁর সঙ্গে ছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা (JP Nadda)। প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর বিশ্বাস, দ্রৌপদী হবেন ‘মহান রাষ্ট্রপতি’। প্রধানমন্ত্রীর কথায়, ‘দ্রৌপদী মুর্মুর জীবনকাহিনি, জীবনের শুরু থেকে তাঁর লড়াই, ভালো কাজ এবং দৃষ্টান্তমূলক সাফল্য প্রত্যেক ভারতীয়কে অনুপ্রেরণা জোগাবে। দেশবাসীর কাছে উনি আশার আলো। বিশেষত গরিব, প্রান্তিক এবং পিছিয়ে পড়া মানুষদের জন্য তাঁর এই জয় এক দৃষ্টান্ত।’ মোদি আরও বলেন, ‘দল নির্বিশেষে যে সাংসদ এবং বিধায়করা দ্রৌপদী মুর্মুকে সমর্থন করেছেন, তাঁদের ধন্যবাদ জানাতে চাই। গণতন্ত্রের পক্ষে এই রেকর্ড জয় অত্যন্ত ভালো।’

  • Agnipath Scheme: ভবিষ্যতে ভারতীয় সেনার অর্ধেক হবে অগ্নিবীর! দাবি সেনা উপপ্রধানের

    Agnipath Scheme: ভবিষ্যতে ভারতীয় সেনার অর্ধেক হবে অগ্নিবীর! দাবি সেনা উপপ্রধানের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়েক বছরের মধ্যেই প্রায় ১২ লক্ষ ভারতীয় সেনা জওয়ানের মধ্যে ৫০ শতাংশই হবে ‘অগ্নিবীর‘ (Agniveer)। বুধবার এমন দাবি করলেন ভারতীয় সেনা (Indian Army) উপপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল (Lt General) বাগগাভল্লি সোমশেখর রাজু (BS Raju)।

    কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার নিরাপত্তা বিষয়ক কমিটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে, চলতি বছরে ৪৬ হাজার অগ্নিবীর নিয়োগ করা হবে। তাঁদের জন্য ‘অগ্নিপথ’ প্রকল্পের (Agnipath Scheme) আওতায় সেনার নিয়ন্ত্রণে তৈরি হবে সম্পূর্ণ নতুন একটি বাহিনী। এ প্রসঙ্গে বিএস রাজু এদিন বলেন, “শীঘ্রই এই পদ্ধতিতে সেনায় নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হবে। চলতি বছর ৪০ হাজার অগ্নিবীর নিয়োগ করা হবে।

    ছয়-সাত বছরের মধ্যে এর সংখ্যা দাঁড়াবে এক লক্ষ ২০ হাজার। দশ-এগারো বছরের মধ্যে সংখ্যাটা হবে এক লক্ষ ৬০ হাজার।” অফিসার পদে নিয়োগ ছাড়া প্রায় সম্পূর্ণ নিয়োগ প্রক্রিয়ায় সম্পন্ন হবে অগ্নিপথ প্রকল্পের মাধ্যমে বলে জানান সেনা উপপ্রধান। এই প্রকল্পের মাধ্যমে নিয়োগ হতে থাকলে ২০৩০-৩২ সালের মধ্যে ভারতীয় সেনাবাহিনীতে অগ্নিবীররাই ৫০ শতাংশ স্থান দখল করবেন।

    আরও পড়ুন: ভারতীয় ক্ষেপণাস্ত্র পৃথ্বী-২এর সফল উৎক্ষেপণ

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের (Ministry of Defence) দাবি, অগ্নিপথ প্রকল্প সশস্ত্র বাহিনীতে অভিজ্ঞতা এবং তারুণ্যের ভারসাম্য আনবে। শুধু পুরুষরা নন, মহিলারাও স্থলসেনা, নৌসেনা এবং বায়ুসেনায় অগ্নিবীর হওয়ার সুযোগ পাবেন। নৌসেনা (Navy) ও বায়ুসেনায় (IAF) চলতি বছর তিন হাজার করে অগ্নিবীর নিয়োগ করা হবে। প্রথম বছরে সেনার তিন বিভাগে অগ্নিবীরের সংখ্যা হবে ৪৬ হাজার এর পরের বছর তা বেড়ে হবে ৪৬ হাজার ৫০০। দ্বিতীয় বছর বায়ুসেনায় অতিরিক্ত ৫০০ জন নিয়োগ করা হবে। তৃতীয় বছর সংখ্যাটা বেড়ে দাঁড়াবে ৫২,৪০০। সেনায় (Army) অগ্নিবীরের সংখ্যা হবে ৪৫ হাজার, নৌবাহিনীতে তিন হাজার এবং বায়ুসেনায় চার হাজার ৪০০।

    গত দুবছর সেনায় নিয়োগ হয়নি। তাই চতুর্থ বছরের সেনায় প্রায় ৫০ হাজার অগ্নিবীর নিয়োগ করা হবে বলে জানান বিএস রাজু। সূত্রের খবর,নতুন বাহিনীর উর্দি হবে ভারতীয় সেনার ধাঁচেই। তবে থাকবে চিহ্নিতকরণের জন্য পৃথক ব্যাজ ও রঙের ‘ইনসিগনিয়া’। তবে এ সংক্রান্ত খুঁটিনাটি এখনও চূড়ান্ত হয়নি বলে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে।

    বর্তমানে ভারতীয় সেনার গড় বয়স ৩২। অগ্নিবীর নিয়োগ শুরুর ৬-৭ বছরের মধ্যে তা ২৪ থেকে ২৬-এ নেমে আসবে বলে জানান রাজু। এই ‘নতুন রক্তে’ ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর (Indian Armed Forces) যুদ্ধ-ক্ষমতা বাড়বে বলে বিশ্বাস সেনা উপপ্রধানের। সেনাবাহিনী হবে আধুনিক এবং প্রযুক্তি নির্ভর।

LinkedIn
Share