Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Hijab Row: হিজাব পরে বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকতে বাধা, মুখ্যমন্ত্রী বললেন, পড়াশোনায় মন দাও

    Hijab Row: হিজাব পরে বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকতে বাধা, মুখ্যমন্ত্রী বললেন, পড়াশোনায় মন দাও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের হিজাব (Hijab row) বিতর্ক! সরকারি নির্দেশিকা উপেক্ষা করে হিজাব পরে বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার ফিরিয়ে দেওয়া হল কয়েকজন ছাত্রীকে। কর্নাটকের ম্যাঙ্গালোর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Mangalore University) সেই ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হতেই আসরে সংখ্যালঘু বিভিন্ন সংগঠন। যদিও মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই (Basavaraj Bommai) সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, আদালতের নির্দেশ ও সরকারি নিয়ম মানতে হবে সবাইকে। তাই বিতর্কে না জড়িয়ে ছাত্রছাত্রীদের উচিত পড়াশোনায় মন দেওয়া।

    সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ে সিন্ডিকেটের বৈঠক হয়। সেখানেই সিদ্ধান্ত হয় বিশ্ববিদ্যালয়ে আসতে গেলে সবাইকেই পোশাকবিধি মানতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “হিজাব নিয়ে ফের বিতর্ক তৈরি করার প্রয়োজন নেই। আদালত রায় দিয়েছে। সবাইকেই আদালত ও সরকারের নির্দেশ মানতে হবে। প্রায় ৯৯.৯৯ শতাংশ পড়ুয়া এটি অনুসরণ করছে। সিন্ডিকেটের রেজোলিউশনও হল যে আদালতের রায় অনুসরণ করতে হবে। আমার মতে, শিক্ষার্থীদের জন্য পড়াশোনাই গুরুত্বপূর্ণ হওয়া উচিত।”

    আরও পড়ুন : গাজিয়াবাদের কলেজে হিজাব-বিতর্ক, নির্দিষ্ট পোশাক পরতে বলায় প্রতিবাদ ছাত্রীদের

    ম্যাঙ্গালোর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক পি সুব্রহ্মণ্য ইয়াদাপাদিথায় বলেন, যেসব মুসলিম ছাত্রী ক্লাসরুমের ভিতরে  হিজাব পরার জন্য চাপ দেয়, তাদের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে ভর্তির অনুমতি দেওয়া হয়। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের তাদের মাথার স্কার্ফ ছাড়াই ক্লাসে উপস্থিত হওয়ার জন্য পরামর্শও দেওয়া হয়।

    দিন দুয়েক আগে নির্দেশিকা জারি করে ম্যাঙ্গালোর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানায়, বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করতে হলে সকলকে পোশাকবিধি মানতেই হবে। সেই নির্দেশিকা উপেক্ষা করেই শনিবার বেশ কয়েকজন পড়ুয়া হিজাব পরে বিশ্ববিদ্যালয়ে চলে আসে। তাদের ঢুকতে দেয়নি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। যা নিয়ে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে পড়ুয়াদের মধ্যেও। অভিযোগ, পোশাকবিধির আড়ালে শিক্ষার অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে মুসলিম মেয়েদের। এই প্রেক্ষিতেই উপাচার্য জানিয়ে দেন, নতুন করে হিজাব নিয়ে বিতর্ক তৈরির কোনও মানে হয় না।

    আরও পড়ুন : “গত ৮ বছরে এমন কিছুতে লিপ্ত হইনি যাতে লজ্জায় মাথা নোয়াতে হয়”, গুজরাতে মোদি

    প্রসঙ্গত চলতি বছর ১৫ মার্চ কর্নাটক হাইকোর্ট সাফ জানিয়ে দেয়, ইসলাম (Islam) ধর্মাচরণে হিজাব (Hijab) অপরিহার্য নয়। শিক্ষাঙ্গনে হিজাব নিষিদ্ধ করার বিরুদ্ধে যে সব আবেদনপত্র জমা পড়েছিল, সেগুলিও খারিজ করে দেয় আদালত। সুপ্রিম কোর্টে (Supreme court) আবেদন করেও লাভ হয়নি। যার অর্থ, আইনতই হিজাব পরে আর শিক্ষাঙ্গনে যেতে পারেন না ছাত্রীরা।

     

  • Hijab Row: কর্নাটক হিজাব বিতর্কে মুণ্ডচ্ছেদের হুমকি, গুরুত্ব দিতে নারাজ বিজেপি নেতা

    Hijab Row: কর্নাটক হিজাব বিতর্কে মুণ্ডচ্ছেদের হুমকি, গুরুত্ব দিতে নারাজ বিজেপি নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হিজাব (Hijab) পরাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে কর্নাটকে (Karnataka Hijab Row)। হিজাব পরার দাবিতে সোশ্যাল মিডিয়ায় আন্দোলনের ডাক দেওয়া হয়েছে। এমনকি বিজেপি (BJP) নেতা যশপাল সুবর্ণ (Yashpal Suvarna) এবং শ্রীরাম সেনার (Sri Ram Sena) সুপ্রিমো প্রমোদ মুথালিকের (Pramod Muthalik) মুণ্ডচ্ছেদের (Beheading threat) হুমকিও দেওয়া হয়েছে।  

    কর্ণাটকের (Karnataka) দক্ষিণ কন্নর জেলার একটি সরকারি কলেজে পোশাকবিধি না মানায় ছাত্রীদের সাসপেন্ড করার ইস্যুতে উত্তাল হয়ে ওঠে নেটপাড়া। হিজাব পরার অধিকারের দাবিতে আন্দোলনের ডাক দেওয়া হয় সেখানে। মূলত মুসলিম সংগঠনগুলি এই আন্দোলনের ডাক দিয়েছে। শুধু আন্দোলনই নয় ইনস্টাগ্রামে (Instagram) একটি পোস্টে বিজেপি নেতা যশপাল সুবর্ণ এবং হিন্দুত্বন্দুবাদী (Hindutva) সংগঠন শ্রীরাম সেনার প্রমোদ মুথালিকের মাথা কেটে নেওয়ার হুমকিও দেওয়া হয়েছে।   

    আরও পড়ুন: হিজাব বিতর্কে এবার ২৪ ছাত্রীকে সাসপেন্ড কর্নাটকের সরকারি কলেজের

    হুমকির ভিত্তিতে থানায় অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে। সম্প্রতি যশপাল এবং প্রমোদ কর্নাটকের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে হিজাব নিষিদ্ধ করার দাবিতে একাধিক মন্তব্য করেছিলেন। আর তার জেরেই এই হুমকি। এবিষয়ে যশপাল বলেন, “দেশ বিরোধী শক্তি আবার কর্নাটকে অশান্তির পরিবেশ সৃষ্টি করতে চাইছে। আমরা তাতে ভীত নই। সমাজের জন্যে কাজ করতে চাইলে এসবের মুখোমুখি হতেই হবে।”  

    আরও পড়ুন: হিজাব পরে ক্লাসে! কর্নাটকে সাসপেন্ড ছয় ছাত্রী

    যশপাল জানান, সোশ্যাল মিডিয়া এবং ফোন কলে তাঁকে খুনের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। শুধু তাই নয়, যশপাল এবং প্রমোদের মাথার দাম হিসেবে ১০ লক্ষ টাকার পুরষ্কারের ঘোষণা করা হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। বলা হয়েছে, যে যশপাল সুবর্ণ বা প্রমোদ মুথালিককে খুন করবে, তাকে ১০ লক্ষ টাকা দেওয়া হবে। 

    যশপাল বলেন, “আমরা সবটাই সংবিধানের মধ্যে থেকে করছি। দেশের জন্যে কাজ করছি। ইনস্টাগ্রামের একটা পোস্ট আমাদের আটকে দিতে পারবে না। কে এই ঘটনার পিছনে আছে তাকে খুঁজে বের করতে হবে।” হিজাব পরার অধিকারের দাবিতে যে ছাত্রীরা কলেজে বিক্ষোভ দেখায় তাদেরকে নোটিস ধরিয়েছে কলেজ। তিনদিনের মধ্যে সেই নোটিসের জবাব দিতে হবে ছাত্রীদের।  
     
    চলতি সপ্তাহে দক্ষিণ কন্নড় জেলার উপ্পিনাংগাদি গভর্নমেন্ট ফার্স্ট গ্রেড কলেজ, হিজাব পরে আসার জন্য ২৪ জন ছাত্রীকে সাসপেন্ড করে। এর পরেই দক্ষিণ ভারতের ওই রাজ্যের বিভিন্ন সংখ্যালঘু অধ্যুষিত জেলায় হিজাবের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে।  

  • Direct Tax Collection: ঘুরে দাঁড়াচ্ছে ভারতীয় অর্থনীতি, বাড়ল প্রত্যক্ষ কর সংগ্রহের পরিমাণ 

    Direct Tax Collection: ঘুরে দাঁড়াচ্ছে ভারতীয় অর্থনীতি, বাড়ল প্রত্যক্ষ কর সংগ্রহের পরিমাণ 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাড়ল প্রত্যক্ষ কর সংগ্রহের (Direct Tax Collection) পরিমাণ। শতাংশের হিসেবে প্রত্যক্ষ কর সংগ্রহের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৫.৪৬। ৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এর পরিমাণ টাকার অঙ্কে ৬.৪৮ লক্ষ কোটি। বৃহস্পতিবার অর্থ মন্ত্রকের (Finance Ministry) তরফে জানানো হয়েছে একথা। প্রত্যক্ষ কর সংগ্রহের এই যে পরিমাণ, এর মধ্যে রয়েছে পার্সোনাল ইনকাম ট্যাক্সও। প্রত্যক্ষ কর সংগ্রহের এই পরিমাণ ভারতীয় অর্থনীতির সুদিনের প্রতিফলন। প্রসঙ্গত, চলতি অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিকে ভারতে জিডিপি বৃদ্ধির হার ১৩.৫ শতাংশ।

    প্রত্যক্ষ কর হল দেশের নাগরিকের আয় ও সম্পদের ওপর নির্দিষ্ট হারে আদায়কৃত সরকারি রাজস্ব। এর উল্টো পিঠে রয়েছে পরোক্ষ কর বা মূল্য সংযোজন কর। এটি পণ্য ও সেবা উৎপাদন ও বিক্রয়, আমদানি, রফতানি ও অভ্যন্তরণী ব্যবসা বাণিজ্যের ওপর আরোপ করা হয়।

    জানা গিয়েছে, গত বছর এই সময় সীমায় প্রত্যক্ষ কর সংগ্রহের পরিমাণ যা ছিল এবার তার চেয়ে বেড়েছে ৩০.১৭ শতাংশ। আয়কর দফতর যে ডেটা প্রকাশ করেছে, তা থেকেই জানা গিয়েছে এই তথ্য। ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে প্রত্যক্ষ কর সংগ্রহের পরিমাণ টোটাল বাজেট এস্টিমেটের ৩৭.২৪ শতাংশ।

    আরও পড়ুন : অক্টোবর থেকে বড়সড় পরিবর্তন আসছে জিএসটি নিয়মে, জেনে নিন

    অর্থমন্ত্রকের জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ২০২২ সালের ৮ সেপ্টম্বর পর্যন্ত প্রত্যক্ষ কর সংগ্রহের পরিমাণ  এটা দেখায় যে মোট আদায়ের পরিমাণ ৬.৪৮ লক্ষ কোটি টাকা। গত বছর এই সময় সীমায় যা সংগৃহীত হয়েছিল তার চেয়ে ৩৫.৪৬ শতাংশ বেশি। কর্পোরেট ইনকাম ট্যাক্সের বৃদ্ধির হার ২৫.৯৫ শতাংশ। আর পার্সোনাল ইনকাম ট্যাক্সের বৃদ্ধির হার ৪৪.৩৭ শতাংশ। প্রসঙ্গত, গত আর্থিক বর্ষ যা শেষ হয়েছে ৩১ মার্চ, সেখানে ভারতের প্রত্যক্ষ কর সংগ্রহের পরিমাণ ৪৯ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছিল ১৪.১০ লক্ষ টাকা। অগাস্টে মোট জিএসটি (gst) রাজস্ব সংগ্রহ হয়েছে ১ লক্ষ ৪৩ হাজার ৬১২ কোটি টাকা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

     
     
  • Narendra Modi: প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে দেশীয় প্রযুক্তিই ব্যবহার করুন, আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

    Narendra Modi: প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে দেশীয় প্রযুক্তিই ব্যবহার করুন, আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘আত্মনির্ভরতা’র (Atmanirbhar Bharat) ডাক দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। বিশেষ করে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে স্বনির্ভর হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।নেভাল ইনোভেশন অ্যান্ড ইনডিজেনাইজেশন অর্গানাইজেশন (NIIO) সেমিনার ‘স্বাবলম্বন’-এ আবার সেই কথাই জানালেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি জানান, দেশীয় প্রযুক্তিকে সামনে রেখে শক্তিশালী হচ্ছে ভারতীয় নৌসেনা। স্বাধীনতার ৭৫ তম বছর উদযাপনের জন্য, নৌবাহিনী আগামী বছরে অন্তত ৭৫টি নতুন দেশীয় প্রযুক্তি এবং পণ্য অন্তর্ভুক্ত করবে বলেও আশাপ্রকাশ করেন তিনি। 

    আরও পড়ুন: ৭.৫ লক্ষ আবেদন! অগ্নিপথে আগ্রহী তরুণ সমাজ, জানালেন বায়ুসেনা প্রধান

    প্রতিরক্ষা খাতে স্বনির্ভরতা অর্জনের বিষয়ে নৌসেনার এক আধিকারিক জানান, এই সেমিনারের উদ্দেশ্য হল দেশীয় শিল্পকে তরান্বিত করা। নৌবাহিনী আত্মনির্ভর ভারত চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেছে।  গত বছর প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম তৈরিতে ৭৪ শতাংশ প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের রাস্তা খুলে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। পরনির্ভরশীল না থেকে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে স্বদেশেই বিভিন্ন সরঞ্জাম তৈরি করা আর তার মধ্যে দিয়ে দেশকে আত্মনির্ভরতার পথে কয়েক ধাপ এগিয়ে দেওয়াই লক্ষ্য কেন্দ্রের। চলতি বছরে ভারত প্রতিরক্ষা আমদানি ২১ শতাংশ কমিয়েছে। রেকর্ড ১৩ হাজার কোটি টাকার প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম রফতানি করেছে ভারত। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “সরকার গত আট বছরে শুধু প্রতিরক্ষা বাজেটই বাড়ায়নি, বরং স্থানীয় স্তরে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম উৎপাদনের উপরেও জোড় দিয়েছে।

    [tw]


    [/tw]

    দেশীয় প্রযুক্তির সংখ্যা বাড়াতে ক্রমাগত কাজ করে যাওয়ার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী মোদি। তিনি বলেন, “আমাদের লক্ষ্য হওয়া উচিত যে ভারত যখন তার স্বাধীনতার ১০০ বছর উদযাপন করবে, তখন আমাদের নৌবাহিনী একটি অভূতপূর্ব উচ্চতায় যাবে। দেশীয় প্রযুক্তি দ্বারাই দেশের নিরাপত্তা মজবুত করা হবে।” প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় প্রতিরক্ষা খাতে স্বনির্ভরতার প্রচেষ্টা ভারতের ভাবমূর্তি বদলে দিয়েছে বলে জানান, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। 

  • India Retaliates US: সংখ্যালঘু হামলা নিয়ে নিন্দা আমেরিকার, পালটা ‘বন্দুকবাজ’ খোঁচা  ভারতের 

    India Retaliates US: সংখ্যালঘু হামলা নিয়ে নিন্দা আমেরিকার, পালটা ‘বন্দুকবাজ’ খোঁচা  ভারতের 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভোটের রাজনীতি করা হচ্ছে। মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের (US State Department) বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ আনল ভারতের বিদেশমন্ত্রক (Ministry of External Affairs)। গত বৃহস্পতিবার আমেরিকার স্টেট ডিপার্টমেন্টের তরফে আন্তর্জাতিক স্তরে ধর্মীয় স্বাধীনতা (Religiuos Freedom) সংক্রান্ত একটি রিপোর্ট পেশ করা হয়। সেখানে ভারতে সংখ্যালঘুদের অবস্থা সম্পর্কে নেতিবাচক মন্তব্য করা হয়। এরপর রিপোর্টের কথা উল্লেখ করে ভারতকে আক্রমণ করেন আমেরিকার বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন (Anthony Blinken)। তারই জেরে কড়া প্রতিক্রিয়া জানায় ভারত। ভারত তার উত্তরে আমেরিকাকে সে দেশের বন্দুকবাজ হানার কথাও স্মরণ করিয়ে দেয়। 

    আরও পড়ুন: “ভারত-মার্কিন সম্পর্ক আস্থার সম্পর্ক”, বাইডেনের সঙ্গে বৈঠকে মন্তব্য মোদির

    কিছুদিন আগেই ভারতকে নিশানা করে ব্লিঙ্কেন বলেন, “ভারতের ধর্মস্থানগুলি আক্রান্ত হচ্ছে। হামলার পরিমাণ দিন দিন বাড়ছে।” ঠিক এর পরেই প্রকাশ করা হয় ‘ধর্মীয় স্বাধীনতার রিপোর্ট’। সেখানেও একইভাবে আক্রমণ করা হয় ভারতকে। আরেক মার্কিন আধিকারিকের মতে, ভারতীয় আধিকারিকরা ইচ্ছাকৃত ভাবে এই হামলা থেকে মুখ ফিরিয়ে থাকেন। বিষয়টির তীব্র নিন্দা করে শুক্রবার বিদেশ মন্ত্রকের তরফে বিবৃতি জারি করা হয়। 

    আরও পড়ুন: মোদি-বাইডেন বৈঠকে উঠতে পারে ইউক্রেন, গম রফতানি প্রসঙ্গ

    বিদেশমন্ত্রকের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “ভোট ব্যাংকের রাজনীতি ব্যবহার করা হচ্ছে আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। ভুল তথ্য এবং পক্ষপাতদুষ্ট মতামতের উপর ভিত্তি করে এই ধরণের রিপোর্ট তৈরি করা উচিৎ নয়। ধর্মীয় সংস্কৃতি এবং মানবাধিকার রক্ষায় যথেষ্ট উদ্যোগী ভারত।” বিবৃতিতে আমেরিকায় বন্দুকবাজ হামলার কথা উল্লেখ করে খোঁচা দেওয়া হয়েছে মার্কিন সাম্রাজ্যকে।

    [tw]


    [/tw]

    এর আগে ২০২০ এবং ২০২১ সালেও ধর্মীয় স্বাধীনতার ওপর রিপোর্ট পেশ করেছিল আমেরিকার ‘কমিশন অন ইন্টারন্যাশনাল রিলিজিয়াস ফ্রিডম’। কিন্তু তৎকালীন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং বর্তমান রাষ্ট্রপতি জো বাইডেন উড়িয়ে দিয়েছিলেন এই দাবি। হিজাব বিতর্কেও মার্কিন তোপের মুখে পড়েছিল ভারত। তখনও ভারতের তরফ থেকে কড়া বার্তা দেওয়া হয় মার্কিন মুলুককে। বলা হয়েছিল, “হিজাব বিতর্ক একান্তই ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। সেখানে বিদেশের উস্কানি বরদাস্ত করা হবে না।”     
     

  • Supreme Court: কোন কোন রাজ্যে হিন্দুরা সংখ্যালঘু? ‘নির্দিষ্ট’ উদাহরণ চাইল সুপ্রিম কোর্ট

    Supreme Court: কোন কোন রাজ্যে হিন্দুরা সংখ্যালঘু? ‘নির্দিষ্ট’ উদাহরণ চাইল সুপ্রিম কোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যে সব রাজ্যে হিন্দুরা সংখ্যালঘু (Hindu Minority), অথচ তাঁদের সেই মর্যাদা দেওয়া হয়নি, তার ‘পোক্ত’ উদাহরণ চাইল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। ভারতের (India) যেসব রাজ্যে হিন্দুদের জনসংখ্যা (Hindu population) কম, সেখানে সংখ্যালঘু মর্যাদার দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে দায়ের হয়েছে মামলা। সেই মামলায় এবার ‘কংক্রিট’ উদাহরণ চাইল দেশের শীর্ষ আদালত। বিচারপতি ইউইউ ললিত, এস রবীন্দ্র ভাট এবং শুধাংশু ধুলিয়ার বেঞ্চ সাফ জানাল, কোন কোন রাজ্যে হিন্দুরা (Hindu) সংখ্যালঘু, এবং সেখানে তাঁরা উপেক্ষিত কি না, তা আমাদের জানান।

    মাসকয়েক আগে সুপ্রিম কোর্টে এ ব্যাপারে জনস্বার্থ মামলা দয়ের করেছিলেন মথুরার এক ধর্মীয় নেতা দেবকীনন্দন ঠাকুর। তিনি ১৯৯২ সালের ন্যাশনাল কমিশন অফ মাইনরিটিজ অ্যাক্ট এবং ন্যাশনাল কমিশন অফ মাইনরিটিজ এডুকেশনাল ইন্সটিটিউশন অ্যাক্ট ২০০৪ কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে দ্বারস্থ হন আদালতের। এতদিন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের তকমা পেয়ে আসছেন এ দেশের পাঁচ ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মানুষ। এঁরা হলেন— মুসলমান, শিখ, বৌদ্ধ, পার্সি এবং জৈন। এই মামলার পরিপ্রেক্ষিতেই এদিন দেশের শীর্ষ আদালত জানান, আদালতের সামনে কংক্রিট উদাহরণ থাকলে তবেই এ ব্যাপারে বিবেচনা করা যাবে।

    আরও পড়ুন : নূপুরকে ভর্ৎসনা! সুপ্রিম পর্যবেক্ষণের সমালোচনায় আদালত অবমাননা হয়নি, মত অ্যাটর্নি জেনারেলের

    সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, অন্যান্য ধর্মীয় সম্প্রদায়ের চেয়ে মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে জন্মহার এদেশে অনেক বেশি। ২০১১ সালের জনগণনা অনুযায়ী দেখা যাচ্ছে, ভারতে মুসলিম জনসংখ্যা আগের আদমসুমারির চেয়ে এক লপ্তে বেড়ে গিয়েছে বেশ খানিকটা। সমীক্ষকদের দাবি, এভাবে চলতে থাকলে দ্রুত বদলে যাবে ভারতবর্ষের ধর্মীয় মানচিত্র। আবেদনকারীদেরও দাবি, দেশের বেশ কয়েকটি রাজ্যে হিন্দুরাই সংখ্যালঘু। তাই ওই রাজ্যগুলিতে তাদের সংখ্যালঘুর জন্য সংবিধানকৃত বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা প্রাপ্য।  সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতেই এদিন সুপ্রিম কোর্ট সাফ জানিয়ে দেয়, এ ব্যাপারে নির্দিষ্ট উদাহরণ চাই। এদিন আবেদনকারীর পক্ষে বর্ষীয়ান আইনজীবী অরবিন্দ দাতার এ ব্যাপারে আদালতের কাছে সময় চান। তিনি বলেন, সমস্যাটা হিন্দুদের সংখ্যালঘু বলা যাবে কিনা, তা নিয়ে। দাতার বলেন, বুঝতে পারছি আদালত কী জানতে চায়। এ ব্যাপারে প্রামাণ্য উদাহরণ থাকতে হবে যেখানে হিন্দুদের সংখ্যালঘু মর্যাদার বৈধ দাবি অস্বীকার করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন : জামিন নিয়ে নয়া আইন! জানুন কী বলল সুপ্রিম কোর্ট

    এদিন বেঞ্চ দাতারকে বলে, আসলে আমরা বলতে চাইছি ভাষাগত ও ধর্মীয় সংখ্যালঘুর ব্যাপারে। এ দেশের যে কোনও ব্যক্তিই সংখ্যালঘু হতে পারেন। মহারাষ্ট্রের বাইরে মারাঠারা সংখ্যালঘু। একই রকমভাবে প্রতিটি রাজ্যে ভাষাগত মাইনরিটিও রয়েছে। আইন করে একে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না।

  • Maharashtra political crisis: মহারাষ্ট্র মামলা বৃহত্তর বেঞ্চে পাঠাল সুপ্রিম কোর্ট, পরবর্তী শুনানি ১ অগাস্ট

    Maharashtra political crisis: মহারাষ্ট্র মামলা বৃহত্তর বেঞ্চে পাঠাল সুপ্রিম কোর্ট, পরবর্তী শুনানি ১ অগাস্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিবসেনা (Shiv Sena) নেতা তথা মহারাষ্ট্রের (Maharasthra) মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে (Eknath Shinde) ও ওই দলেরই নেতা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের (Uddhav Thackeray) আনা বিভিন্ন মামলা বৃহত্তর বেঞ্চে পাঠানোর সুপারিশ করল দেশের শীর্ষ আদালত (Supreme Court)। ওই বৃহত্তর বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হবে ১ অগাস্ট। সুপ্রিম কোর্টের এই সিদ্ধান্তের জেরে ১ অগাস্ট পর্যন্ত সময় পেল শিন্ডে ও উদ্ধব দুই শিবিরই। এই সময়সীমার মধ্যে দু’পক্ষের কোনও বিধায়কের বিরুদ্ধেই দলত্যাগ বিরোধী আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না।

    আরও পড়ুন : আসল শিবসেনা প্রমাণ করতে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হচ্ছেন শিন্ডে?

    শিবসেনা কার? উদ্ধব ঠাকরে না একনাথ শিন্ডের, এনিয়ে মোট ছটি আবেদন জমা হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। এর মধ্যে পাঁচটি আবেদন করা হয়েছে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে শিবিরের পক্ষ থেকে। আর একটি মাত্র আবেদন করা হয়েছে বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডের তরফে। এদিন শুনানির শুরুতেই সুপ্রিম কোর্টে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধবের পক্ষে সওয়াল করতে হাজির হন প্রবীণ আইনজীবী কপিল সিবাল। আর শিন্ডে শিবিরের হয়ে সওয়াল করেন বর্ষীয়ান আইনজীবী হরিশ সালভে। আদালতে সিবাল বলেন, মহারাষ্ট্রে গণতন্ত্র ঘোর বিপদে। ওই রাজ্যে যা ঘটছে তাতে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো তামাশায় পরিণত হয়েছে। পাল্টা সওয়াল জবাবে সালভে বলেন, এই তর্ক এখানে একেবারেই যথাযথ নয়, যেখানে একজন মুখ্যমন্ত্রীকে ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছেন তাঁরই দলের সদস্যরা।  

    দু’পক্ষের সওয়াল জবাব শোনার পর ১ অগাস্টের মধ্যে দু’পক্ষকে যাবতীয় নথি এবং জবাব জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয় প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। ততদিন পর্যন্ত মহারাষ্ট্র বিধানসভার স্পিকারকে বিধায়কদের অযোগ্যতা সংক্রান্ত বিষয়ে কোনও পদক্ষেপ করতে নিষেধ করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। প্রধান বিচারপতি এনভি রমন্না বলেন, আমার মনে হয়, বিষয়টির নিষ্পত্তির জন্য একে বৃহত্তর বেঞ্চে পাঠানো উচিত।

    আরও পড়ুন : বিজেপি কেন একনাথ শিন্ডের হাতে মহারাষ্ট্রের রাশ ছাড়ল?

    বিজেপির সঙ্গে জোট গঠন নিয়ে শিবসেনার একনাথ শিন্ডের সঙ্গে বিরোধ বাঁধে দলেরেই নেতা উদ্ধব ঠাকরের। শেষমেশ বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে সরকার গঠন করে শিন্ডে। পতন হয় উদ্ধব সরকারের। এর পরেই আদালতের দ্বারস্থ হয় দু’পক্ষই।

     

  • Indian naval ship: ৩২ বছর ধরে দেশসেবা, ‘অবসর’ নৌসেনার দুই রণতরী অক্ষয়, নিশাঙ্কের

    Indian naval ship: ৩২ বছর ধরে দেশসেবা, ‘অবসর’ নৌসেনার দুই রণতরী অক্ষয়, নিশাঙ্কের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টানা ৩২ বছর ধরে দেশসেবা। অংশগ্রহণ করেছে ‘অপারেশন তালওয়ার’ ও ‘অপারেশন পরাক্রম’ অভিযানে। সম্প্রতি শেষ হয়েছে ‘ডিউটি’। এবার অবসরের পথে আইএনএস অক্ষয় (INS Akshay) এবং আইএনএস নিশাঙ্ক (INS Nishank)। এই দুই যুদ্ধজাহাজকে ‘ডিকমিশন্ড’ (decommissioned) করল ভারতীয় নৌসেনা (Indian navy)।

    আরও পড়ুন : ভারতীয় নৌ, বায়ুসেনার হাতে আসছে দেশীয় “অস্ত্র”

    মুম্বাইয়ের নেভাল ডকইয়ার্ডে আয়োজিত একটি বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে হয় ডিকমিশনিং প্রক্রিয়াটি। রক্তরাঙা সূর্যাস্তের সময় শেষবারের মতো নামানো হয় জাতীয় পতাকা,  নৌসেনার পতাকা এবং দুটি জাহাজের ডিকমিশনিং পেন্যান্ট। আইএনএস নিশাঙ্ক একটি উচ্চগতির মিসাইল ক্রাফট (High speed missile craft)। ১৯৮৯ সালের ১২ সেপ্টেম্বর দেশসেবায় যুক্ত হয়। এর এক বছর পর নৌসেনায় অন্তর্ভুক্ত হয় আইএনএস অক্ষয়। আইএনএস নিশাঙ্ক এবং আইএনস অক্ষয় যথাক্রমে ২২ মিসাইল ভেসেল স্কোয়াড্রন ও ২৩ পেট্রল ভেসেল স্কোয়াড্রনের অংশ ছিল। মহারাষ্ট্র নেভাল এরিয়ার ফ্ল্যাগ অফিসার কমান্ডিংয়ের অপারেশনাল নিয়ন্ত্রণের অধীনে ছিল এই দুই যুদ্ধজাহাজ।

    আরও পড়ুন : সক্ষমতার পরীক্ষা দিতে দুটি এফ-১৮ যুদ্ধবিমান এল ভারতে

    নৌসেনা জানিয়েছে, জাহাজগুলি ৩২ বছরেরও বেশি সময় ধরে সক্রিয়ভাবে নৌ-পরিষেবায় যুক্ত ছিল। কার্গিল যুদ্ধের সময় অপারেশন তালওয়ার এবং ২০০১ সালে অপারেশন পরাক্রম সহ বেশ কয়েকটি নৌ অভিযানে অংশ নিয়েছিল। উরি হামলার পরে যখন ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা ছিল, তখন নিশাঙ্ককেও মোতায়েন করা হয়েছিল। এদিনের অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন নৌসেনা প্রধান অ্যাডমিরাল আর হরি কুমার (Admiral R Hari Kumar)।

    ১৯৯৫-৯৬ সাল পর্যন্ত আইএনএস নিশাঙ্ক ছিল তাঁরই অধীনে। উপস্থিত ছিলেন এম গোপীনাথও। ১৯৯৬ সালের মে মাসে আইএনএস অক্ষয়-এর কমান্ড নিয়েছিলেন তিনিই। এদিনের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে স্মৃতিমেদুর হয়ে পড়েন গোপীনাথ। বলেন, আমি আমার বাবাকে একজন নৌ-অফিসার হিসাবে আইএনএস অক্ষয়ে আসতে দেখেছি। আমার স্বপ্নও পূরণ হয়েছিল। আমিও একজন নৌ-অফিসার হয়েছিলাম।

    গত সপ্তাহেই ৩৪ বছর চাকরি করার পর অবসর নিয়েছিল আইএনএস গোমতী। এদিন নিল আরও দুই জাহাজ। তবে নৌবাহিনীর ঐতিহ্য অনুসারে, দেশের সেবায় অক্লান্ত থাকেন সৈনিকরা। এই জাহাজরাও সৈনিক। তাই কোনও যুদ্ধজাহাজ ডিকমিশন্ড করা হলে নতুন দুই জাহাজ অন্তর্ভুক্ত করা হয় একই নামে।

    সৈনিকদের যে মৃত্যু নেই!

     

  • Maharashtra Covid: মাথা চাড়া দিচ্ছে করোনা, মহারাষ্ট্রে ফের বাধ্যতামূলক মাস্ক!

    Maharashtra Covid: মাথা চাড়া দিচ্ছে করোনা, মহারাষ্ট্রে ফের বাধ্যতামূলক মাস্ক!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের মাথা চাড়া দিয়ে উঠছে করোনা (Coronavirus)। ভাইরাসের বাড়বাড়ন্ত হতেই রাজ্যে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক (Mask wearing compulsory) করল মহারাষ্ট্র (Maharashtra) সরকার। এপ্রিলের পর শুক্রবার রাজ্যে একদিনে তিনজনের মৃত্যু হয়, আক্রান্তের সংখ্যাও এদিন হাজারের গণ্ডি পেরিয়ে যায়। আর তারপরেই নড়েচড়ে বসে সরকার।

    ইতিমধ্যেই কোভিড সংক্রান্ত একটি নির্দেশিকা (Covid guidelines) জারি করেছে মহারাষ্ট্র সরকার। রাজ্যের সব জেলাগুলিকে এই নির্দেশিকা পাঠিয়েছেন খোদ রাজ্যের অতিরিক্ত মুখ্যসচিব প্রদীপ ব্যাস। সেই নির্দেশিকাতেই বলা হয়েছে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক।

    আরও পড়ুন: জরুরী বৈঠকের ডাক উদ্ধব ঠাকরের, ফের লকডাউনের পথে মুম্বাই?

    মহারাষ্ট্রের অতিরিক্ত মুখ্যসচিব বলেন, “ভিড় জায়গায়, ট্রেন, বাস, সিনেমা, অডিটোরিয়াম, অফিস, হাসপাতাল, স্কুল এবং কলেজে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক।” সংবাদমাধ্যমকে প্রদীপ ব্যাস জানান, রাজ্যে ফের কোভিড সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। পরিস্থিতি যাতে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে না যায়, তাই আগাম সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে মাস্ক পরাকে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।   

    অতিরিক্ত মুখ্যসচিব আরও জানান, “গত কয়েক মাস সংক্রমণ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে ছিল। ফের রুদ্ররূপ ধারণ করতে শুরু করেছে করোনা। তিন মাস পর ফের দৈনিক সংক্রমণ এক হাজার পার করেছে। যা চিন্তার বিষয়। গত সপ্তাহে রাজ্যের নয় জেলায় সংক্রমণে বাড়বাড়ন্ত দেখা গিয়েছে। কোভিডের নতুন ভ্যারিয়েন্ট বিএ.৪ এবং বিএ.৫ কয়েক জনের দেহে পাওয়া গিয়েছে। সরকার কোনও ঝুঁকি নিতে রাজি নয়।”  

    আরও পড়ুন: সোনিয়ার আরোগ্য কামনা মোদির, এবার করোনা আক্রান্ত প্রিয়ঙ্কাও

    দেশজুড়ে আবার সংক্রমণ ছড়াচ্ছে এই মারণ ভাইরাস। আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ছুঁয়ে ফেলেছে ৪ হাজারের গণ্ডি। বেড়েছে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যাও। 

    মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে (Uddhav Thackeray) এবিষয়ে বলেছেন, “সম্ভবত এটাই করোনার চতূর্থ ঢেউ (Corona 4th wave)। ভারত সরকার নিশ্চিত না করা অবধি কিছু বলা যাচ্ছে না।” রাজ্যবাসীকে সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, “এখনই ভয় পাওয়ার কিছু হয়নি। সরকার অবস্থা বুঝে সিদ্ধান্ত নেবে।” 

    রবিবারই মহারাষ্ট্রে একদিনে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১,৪৯৪। এদিন একজনের মৃত্যু হয়েছে। এযাবৎ এরাজ্যে করোনায় মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৭৮,৯৩,১৯৭ জন, মৃত্যু হয়েছে ১,৪৭,৮৬৬ জনের।

     

     

     

     

     

     

     

  • Supreme Court: ‘ভ্রূণ হত্যার সামিল!’ গর্ভপাতের অনুমতি নাকচ দিল্লি হাইকোর্টের, সুপ্রিম কোর্টে তরুণী

    Supreme Court: ‘ভ্রূণ হত্যার সামিল!’ গর্ভপাতের অনুমতি নাকচ দিল্লি হাইকোর্টের, সুপ্রিম কোর্টে তরুণী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গর্ভপাতের আবেদন নিয়ে দিল্লি হাইকোর্টের (Delhi Highcourt) রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলেন এক মহিলা। ২০ সপ্তাহের পর অবিবাহিত মহিলাদের গর্ভপাতে বাধার নিয়মকে চ্যালেঞ্জ করে গত সপ্তাহেই দিল্লি হাইকোর্টের (Delhi High Court) দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি। ২৩ সপ্তাহ গর্ভধারণের পর গর্ভপাত করতে চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ২৫ বছর বয়সী ওই অবিবাহিত মহিলা। কিন্তু মহিলার সেই আবেদন খারিজ করে দেয় হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি সতীশ চন্দ্র শর্মার নেতৃত্বাধানী ডিভিশন বেঞ্চ। 

    আরও পড়ুন: হাতে ১১ ইঞ্চি লম্বা ছুরি! নূপুর শর্মাকে খুনের উদ্দেশে ভারতে পাক যুবক

    হাইকোর্ট জানায়, বর্তমান গর্ভপাত সংক্রান্ত যে আইনটি আছে তা অবিবাহিত মহিলাদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। বর্তমানে যে মেডিক্যাল টার্মিনেশন অফ প্রেগন্যান্সি (সংশোধিত), ২০২১ আইন আছে তা কেবল যৌন নিপীড়ন, ধর্ষণের মতো ঘটনা এবং শারীরিক প্রতিবন্ধী, মানসিক প্রতিবন্ধী, মানসিক অসুস্থ নারীদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। ইচ্ছাকৃত যৌন সম্পর্কের ক্ষেত্রে গর্ভপাতের অনুমতি দেবে না আদালত। 

    আরও পড়ুন: গ্রেফতার করা যাবে না নূপুর শর্মাকে, মিলল সুপ্রিম নির্দেশ

    আদালতের পর্যবেক্ষণ, এখন গর্ভপাত করা হলে তা কার্যত ভ্রূণ (Foetus) হত্যার সমান হবে। তাই আদালতের পরামর্শ, আবেদনকারী মহিলাকে কোথাও নিরাপদে রাখা হবে যতক্ষণ না তিনি সন্তানের জন্ম দেন। এছাড়াও আগত সন্তানকে পরবর্তীতে দত্তক দেওয়া যেতে পারে।

    দিল্লি হাইকোর্ট আরও বলে, “আমরা নিশ্চিত করব যে মেয়েটিকে কোথাও নিরাপদে রাখা হয়েছে এবং সে প্রসব করতে পারে। দত্তক নেওয়ার জন্য বহু মানুষ লাইন দিয়ে রয়েছে। আমরা শিশুটিকে হত্যা করার অনুমতি দেব না। আমরা খুবই দুঃখিত। এটি কার্যত ভ্রূণ হত্যার সমান।” 

    সম্প্রতি সরকারের নতুন নিয়ম অর্থাৎ মেডিকেল টার্মিনেশন অফ প্রেগনেন্সি আইন ২০২১ অনুযায়ী গর্ভপাতের সময়সীমা ২০ সপ্তাহ থেকে বাড়িয়ে ২৪ সপ্তাহ করা হয়েছে। কিন্তু সেক্ষেত্রে বেশ কয়েকটি নিয়ম প্রযোজ্য হতে হবে, যেমন কোনও মহিলা যদি যৌন নিপীড়ন বা ধর্ষণের শিকার হন, বিধবা, বিবাহ বিচ্ছেদ, প্রতিবন্ধী, মানসিকভাবে অসুস্থ, ভ্রূণের বিকৃতি প্রভৃতি ক্ষেত্রে গর্ভপাতের অনুমতি দেওয়া হয়। কিন্তু অবিবাহিত মহিলার ক্ষেত্রে ওই আবেদন খারিজ করে দেয় দিল্লি হাইকোর্ট। 

    তারপরেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন ওই মহিলা। মামলাকারীর আইনজীবীর দাবি, ওই মহিলা অত্যন্ত দরিদ্র পরিবারের এবং অবিবাহিত। তাঁর সঙ্গী বিয়ে করতেও অস্বীকার করেছেন। তাই কোনওভাবেই সন্তানের জন্ম দেওয়া তার পক্ষে সম্ভব নয়। তিনি অত্যন্ত মানসিক কষ্টের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন। সময় যত এগোচ্ছে পরিস্থিতি আরও জটিল হচ্ছে। তাই সুপ্রিম কোর্টকে মামলাটিকে দ্রুত শুনানির জন্যে তালিকাভুক্ত করার আবেদন জানিয়েছেন ওই মহিলার আইনজীবী।   

LinkedIn
Share