Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Karnataka Hijab Row: হিজাব বিতর্কে এবার ২৪ ছাত্রীকে সাসপেন্ড কর্নাটকের সরকারি কলেজের

    Karnataka Hijab Row: হিজাব বিতর্কে এবার ২৪ ছাত্রীকে সাসপেন্ড কর্নাটকের সরকারি কলেজের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কিছুদিন আগেই কর্নাটকের (Karnataka) মাঙ্গালুরুর উপ্পিনাংগাদির গভর্নমেন্ট ফার্স্ট গ্রেড কলেজে পোশাকবিধি না মেনে হিজাব (Hijab Row) পরে ক্লাস করায় ৬ জন ছাত্রীকে সাসপেন্ড করা হয়েছিল। ফের একই অপরাধে চলতি সপ্তাহেই ২৪ জন ছাত্রীকে সাসপেন্ড (Suspend) করল কলেজ কর্তৃপক্ষ।

    আরও পড়ুন: হিজাব পরে ক্লাসে! কর্নাটকে সাসপেন্ড ছয় ছাত্রী 

    পুত্তুরের বিধায়ক সঞ্জীবা মাতান্দুর (Sanjeeva Matandoor) এবিষয়ে বলেন, “ছাত্রীরা কর্নাটক হাইকোর্টের কলেজ পোশাকবিধি সংক্রান্ত নির্দেশিকা না মানলে তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যারা নিয়ম ভেঙে হিজাব পরে ক্লাসে আসবে তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে শিক্ষকদের।”    

    প্রাক্তন মন্ত্রী ইউটি খাদের (UT Khader) বলেন, “যারা হিজাবের পক্ষে সওয়াল করছেন তারা ভারতে যে স্বাধীনতা পাচ্ছেন তাতে খুশি থাকুন। যারা সত্যিই পড়াশোনা করতে চান তাদের বিরক্ত করবেন না।” মাতান্দুর আরও বলেন, “কলেজ সব ধর্মের মানুষের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এখানে কোনও দায়িত্বহীন ব্যবহার মেনে নেওয়া হবে না।”

    আরও পড়ুন: হিজাব পরে বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকতে বাধা, মুখ্যমন্ত্রী বললেন, পড়াশোনায় মন দাও

    গত মার্চ মাসে কর্নাটক হাইকোর্ট রায় দিয়েছিল, “হিজাব ইসলামি ধর্মীয় অনুশাসনের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ নয়। তাই কোনও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নির্দিষ্ট পোশাকবিধি থাকলে তা মানতে হবে পড়ুয়াদের।” এরপরেই কর্নাটকের কয়েক জন পড়ুয়া হাই কোর্টের সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন। মামলাটির জরুরিভিত্তিক শুনানির আবেদন জানায় তারা। তবে শীর্ষ আদালত সেই আবেদন খারিজ করে দেয়।  

    এদিনের ২৪ ছাত্রীকে সাসপেন্ড করার ঘটনায় ফের মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে বিক্ষোভ। নেটমাধ্যমে হিজাব পরার অধিকারের দাবিতে আন্দোলনের ডাক দিয়েছে বিভিন্ন মুসলিম সংগঠন। ইনস্টাগ্রামে একটি পোস্টে বিজেপি নেতা জশপাল সুবর্ণ এবং হিন্দুত্ববাদী সংগঠন শ্রীরাম সেনার প্রধান প্রমোদ মুতালিকের মাথা কেটে নেওয়ার হুমকিও দেওয়া হয়েছে!

    এই হুমকির জেরে ইতিমধ্যেই থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। সম্প্রতি জশপাল এবং প্রমোদ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলিতে হিজাব নিষিদ্ধ করার দাবিতে একাধিক মন্তব্য করেছিলেন। এবিষয়ে জশপাল বলেন, ‘‘দেশবিরোধী শক্তি আবার কর্নাটকে গোলমাল বাধাতে চাইছে। আমরা তাতে ভীত নই।’’

  • Satyendar Jain: আরও বিপাকে সত্যেন্দ্র জৈন, বিপুল নগদ-সোনা উদ্ধার ইডির

    Satyendar Jain: আরও বিপাকে সত্যেন্দ্র জৈন, বিপুল নগদ-সোনা উদ্ধার ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  দুর্নীতির মামলায় জড়িত দিল্লির মন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈনের (Satyendar Jain) ঘনিষ্ঠদের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ২.৮৫ কোটি টাকা নগদ এবং ১৩৩টি সোনার কয়েন উদ্ধার করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate)।

    ইডির (ED) তরফে জানানো হয়েছে— বৈভব জৈন, অঙ্কুশ জৈন, নবীন জৈন এবং রামপ্রকাশ জুয়েলার্সের মালিকরা আর্থিক তছরুপে সত্যেন্দ্রকে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে সাহায্য করেছিল। রিপোর্ট অনুযায়ী, রাম প্রকাশ জুয়েলার্সের কাছ থেকে ২.২৩ কোটি টাকা নগদ পাওয়া গিয়েছে, বৈভব জৈনের কাছ থেকে প্রায় ২০ লক্ষ টাকা এবং ১৩৩টি সোনার কয়েন সহ ৪১.৫ লক্ষ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।  

    বিষয়টির প্রতিক্রিয়া জানিয়ে একটি ট্যুইট করেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তিনি লেখেন, “আপ-এর পেছনে পড়েছেন প্রধানমন্ত্রী, জাতীয় রাজধানী এবং পঞ্জাবে বিজেপি সরকারে নেই। মিথ্যা, মিথ্যা এবং আরও মিথ্যা। সমস্ত সংস্থার ক্ষমতা আপনার হাতে, কিন্তু ঈশ্বর আমাদের সঙ্গে রয়েছেন।”   

    [tw]


    [/tw]

    বিজেপি নেতা কপিল মিশ্র পাল্টা ট্যুইটে লিখেছেন, “সত্যেন্দ্র জৈনের বাড়ি থেকে কোটি কোটি টাকা, সোনার কয়েন বাজেয়াপ্ত করা হচ্ছে। সাহস থাকে তো সত্যেন্দ্রকে মন্ত্রিসভা থেকে বের করুন। কিন্তু, আপনি পারবেন না, কারণ, আপনার হাটে হাঁড়ি ভেঙে যাবে।” 

    [tw]


    [/tw]

    কপিল যোগ করেন, “কেজরিওয়ালের মতে, তিনি একজন সৎ মানুষ। সত্যেন্দ্র জৈনের দুর্নীতি শুধুমাত্র একটা ঝলক মাত্র। আসল মাস্টারমাইন্ড হলেন কেজরিওয়াল, কেজরিওয়ালের দুর্নীতিতে গোটা বিশ্ব অবাক হবে।”

    সত্যেন্দ্র জৈন গত ১ জুন থেকে ইডির হেফাজতে রয়েছেন। ইডির আধিকারিকরা জানিয়েছেন, “সত্যেন্দ্র জৈনের বাস ভবনে এবং কিছু অন্যান্য স্থানে অভিযান চালানো হয়েছে। সত্যেন্দ্র জৈন আগামী ৯ জুন পর্যন্ত ইডির হেফাজতেই থাকবেন।” 

    চলতি বছরেই এপ্রিলে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট কলকাতার একটি কোম্পানির সঙ্গে সম্পর্কিত ৪.৮১ কোটি টাকার তছরুপের মামলায় সত্যেন্দ্র জৈনের যোগ খুঁজে পায়। তারপরেই গ্রেফতার করা হয় মন্ত্রীকে। সিবিআইয়ের দায়ের করা একটি এফআইআরের ভিত্তিতে আপ ওই নেতার বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা নথিভুক্ত করা হয়। 

    অভিযোগ, সত্যেন্দ্র জৈন চারটি কোম্পানির শেয়ারহোল্ডার হওয়া সত্ত্বেও, কোম্পানিগুলির তহবিলের টাকার উৎস কী, তার জবাব দিতে পারেননি। তদন্ত সংস্থার দাবি, সত্যেন্দ্র জৈনের দিল্লিতে বেশ কয়েকটি কোম্পানি রয়েছে এবং তাদের মাধ্যমেই ১৬.৩৯ কোটি কালো টাকা পাচার করেছেন মন্ত্রী। 

      

  • RBI on GDP: দেশের জিডিপি বৃদ্ধির হার হতে পারে ৭.২ শতাংশ, আশা রিজার্ভ ব্যাঙ্কের

    RBI on GDP: দেশের জিডিপি বৃদ্ধির হার হতে পারে ৭.২ শতাংশ, আশা রিজার্ভ ব্যাঙ্কের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি অর্থবর্ষে দেশের জিডিপি (GDP) বৃদ্ধির হার পৌঁছতে পারে ৭.২ শতাংশ পর্যন্ত। এই আশার আলো দেখিয়েছেন রিজার্ভ ব্যাংকের (reserve bank of india) গভর্নর শক্তিকান্ত দাস (Shaktikanta Das)।

    সম্প্রতি হয়ে গেল তিনদিন ব্যাপী অর্থনৈতিক নীতি নির্ধারণ কমিটির (monetary policy committee) বৈঠক। ওই বৈঠকেই একথা জানান শক্তিকান্ত। তিনি জানান, চলতি অর্থবর্ষে প্রতি ত্রৈমাসিকে প্রকৃত জিডিপি বৃদ্ধির হার হতে পারে যথাক্রমে ১৬.২%, ৬.২%, ৪.১% এবং ৪.০%।

    তবে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ (Ukraine War) পরিস্থিতিতে তিনি এই বৃদ্ধির ঝুঁকি সম্পর্কেও সতর্ক করে দিয়েছেন। চলতি বছরের এপ্রিল মাসে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক জিডিপি বৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছিল ৭.২ শতাংশ। যদিও তাঁর আগের পূর্বাভাস ছিল ৭.৮ শতাংশ।

    আরও পড়ুন : দুমাসে দুবার! ফের রেপো রেট বাড়াল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক, কতটা সমস্যায় মধ্যবিত্ত?

    চলতি বছর স্বাভাবিক বর্ষা হবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। শক্তিকান্ত বলেন, চলতি বছর স্বাভাবিক বর্ষা হবে ও অপরিশোধিত তেলের ব্যারেল প্রতি গড় মূল্য ১০৫ মার্কিন ডলার হবে ধরে নিলে ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে মুদ্রাস্ফীতি গিয়ে দাঁড়াতে পারে ৬.৭ শতাংশে।

    এক ভিডিও বার্তায় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর বলেন, মুদ্রাস্ফীতির জেরে দাম বাড়তে পারে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র, বিদ্যুতের দাম, পশুখাদ্য এবং অপরিশোধিত তেলের। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ দীর্ঘায়িত হচ্ছে। তার জেরে প্রতিদিনই আমাদের নয়া চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

    আরও পড়ুন : দুমাসে দুবার! ফের রেপো রেট বাড়াল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক, কতটা সমস্যায় মধ্যবিত্ত?

    প্রসঙ্গত, আরও একবার রেপো রেট বৃদ্ধি করেছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। বাড়ানো হয়েছে ৫০ বেসিস পয়েন্ট। রেপো রেট বাড়িয়ে ৪.৯০ শতাংশ করেছে শীর্ষ ব্যাঙ্ক। ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতির মোকাবিলা করতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। প্রশ্ন হল, রেপো রেট বৃদ্ধির ফলে কী প্রভাব পড়বে দেশের আর্থিক বৃদ্ধির ওপর? শক্তিকান্ত জানান, এর জেরে দেশের জিডিপি বাড়তে পারে প্রায় ৭.২ শতাংশ। এর থেকে একটি বিষয় পরিষ্কার। তা হল, রেপো রেট বাড়ালেও, দেশের আর্থিক বৃদ্ধিতে কোনও কাটছাঁট করছে না রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। আর্থিক বৃদ্ধির পরিমাণ যে জায়গায় ছিল, সেখানেই রইল।

    অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, রেপো রেট বাড়লে আর্থিক বৃদ্ধির পরিমাণ কমে। আর রেপো রেট কমলে হয় উল্টোটা। গতবার রিজার্ভ ব্যাঙ্ক রেপো রেট বৃদ্ধি করার পর দেশের আর্থিক বৃদ্ধি কমতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছিল দেশের একাধিক সংস্থা। যার জেরে জিডিপি বৃদ্ধিতে কাটছাঁট করা হয়েছিল। তবে রেপো রেট বাড়লে ব্যাঙ্কগুলো ঋণের ওপর সুদের হার বৃদ্ধি করে। করোনা পরিস্থিতিতে দেশের অর্থনীতির যা হাল, তাতে ঋণদানের ওপর নির্ভর করছে কেন্দ্রীয় সরকারও।

     

  • Gyanvapi row: জ্ঞানবাপী মামলায় সমীক্ষার নির্দেশ দেওয়া বিচারককে হুমকি-চিঠি!

    Gyanvapi row: জ্ঞানবাপী মামলায় সমীক্ষার নির্দেশ দেওয়া বিচারককে হুমকি-চিঠি!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার জ্ঞানবাপী (Gyanvapi) মামলায় ভিডিও সমীক্ষার (Videography survey) নির্দেশ দেওয়ায় বিচারককে হুমকি। রীতিমতো চিঠি দিয়ে হুমকি দেওয়া হয়েছে তাঁকে। চিঠির শেষে নাম রয়েছে ইসলামিক অঘজ মুভমেন্ট (Islamic aghaz movement) নামের এক সংগঠনের। ঘটনার জেরে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে সিভিল জজ রবিকুমার দিবাকরের (ravi kumar diwakar)।

    বারাণসীর (Varanasi) জ্ঞানবাপী মসজিদ তৈরি হয়েছে কাশী বিশ্বনাথের মন্দির (Kashi Viswanath Temple) ভেঙে। অন্তত হিন্দুত্ববাদীদের (Hindutva) দাবি এমনই। হিন্দুত্ববাদীদের একাংশের দাবি, মুঘল আমলে একাধিক মন্দির ভেঙে নির্মাণ করা হয়েছিল মসজিদ। হিন্দুদের একটি সংগঠন আবার দেশজুড়ে ১৮০০ ‘অবৈধ’ মসজিদের তালিকা তৈরি করেছে। তাদের দাবি, এই সব মসজিদ তৈরি হয়েছিল মন্দির ভেঙে, মুঘল আমলে।

    হিন্দুত্ববাদীদের একাংশের দাবি, মুঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেবের শাসনকালে বেশ কিছু মন্দির ভেঙে মসজিদ গড়ে তোলা হয়েছিল। কাশীর বিশ্বনাথ মন্দিরও ভাঙা হয়েছিল ঔরঙ্গজেবের (Aurangzeb) নির্দেশে। তার পরেই তৈরি হয়েছিল জ্ঞানবাপী মসজিদ। পরবর্তীকালে বিশ্বনাথের মন্দিরটি পুনর্নির্মাণ করেছিলেন রানি অহল্যাবাই।

    আরও পড়ুন : জ্ঞানবাপী মামলায় বাদী-বিবাদী দুপক্ষের হাতিয়ার ৮০ বছরের পুরনো মামলার রায়!

    হিন্দুত্ববাদীদের দাবি, এখন যেখানে মসজিদ রয়েছে, সেখানেই যে এক সময় মন্দির ছিল, তার প্রমাণ নন্দীর মূর্তিও। বিশ্বনাথ মন্দির কর্তৃপক্ষকে এই মূর্তিটি উপহার দিয়েছিলেন নেপালের রানা। সেই নন্দীর মুখ রয়েছে মসজিদের দিকে। হিন্দুদের দাবি, নন্দীর মুখ থাকে শিবলিঙ্গের দিকে। তাই মন্দির ভেঙেই মসজিদ গড়ে তোলা হয়েছিল।

    মসজিদের পশ্চিম দেওয়ালে হিন্দু দেবদেবীর মূর্তি রয়েছে বলেও দাবি হিন্দুত্ববাদীদের। এখানেই এক সময় শৃঙ্গার গৌরীর (Shringar Gauri) পুজো হত বলে দাবি তাঁদের। তাই ফের পুজোর অধিকার চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন পাঁচ হিন্দু মহিলা।

    এদিকে, আদালতের নির্দেশে মসজিদ চত্বরে ভিডিওগ্রাফি হয়। প্রকাশ্যে চলে আসে একটি ফুটেজ। হিন্দুত্ববাদীদের দাবি, এই ফুটেজে স্পষ্ট মসজিদের ওজুখানার জলাধারে রয়েছে শিবলিঙ্গ (Shivling)। তার পরেই ওই জলাধার সিল করে দেয় আদালত। পাঁচ ওয়াক্ত নমাজ পড়ার অধিকার দেওয়া হয় ধর্মপ্রাণ মুসলিমদেরও।

    আরও পড়ুন : জ্ঞানবাপী মসজিদের দেওয়ালে ত্রিশূলের চিহ্ন! প্রকাশ্যে ভিডিও ফুটেজ

    চলতি বছরের ২০ মে এই মামলা সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) নির্দেশে চলে আসে বারাণসী জেলা আদালতে (Varanasi district court)। সেখানেই চলছে মামলার শুনানি। মসজিদে সমীক্ষার নির্দেশ দিয়েছিলেন সিভিল জজ রবিকুমার দিবাকর। তার পরেই তাঁকে দেওয়া হয় হুমকি চিঠি। চিঠি পাওয়ার পরেই নড়েচড়ে বসে পুলিশ। বাড়ানো হয়েছে রবিকুমারের নিরাপত্তা।

    বারাণসীর পুলিশ কমিশনার এ সতীশ গণেশ বলেন, বারাণসীতে সিভিল জজ এবং লখনউতে তাঁর মায়ের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে ১৩ মে থেকে। নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে জেলা জজেরও।

             

  • Karnataka High Court: স্ত্রী কোনও এটিএম মেশিন নয়! বিচ্ছেদের মামলায় পর্যবেক্ষণ কর্নাটক হাইকোর্টের

    Karnataka High Court: স্ত্রী কোনও এটিএম মেশিন নয়! বিচ্ছেদের মামলায় পর্যবেক্ষণ কর্নাটক হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কোনওরকম মানসিক সম্পর্ক ছাড়া স্ত্রীর কাছ থেকে টাকা নেওয়া বা স্ত্রীকে এটিএম (ATM) হিসাবে ব্যবহার করা মানসিক হেনস্তার সমান। এক বিবাহবিচ্ছেদের মামলায় এই পর্যবেক্ষণ করেছে কর্নাটক হাইকোর্ট (Karnataka High Court)। আদালতের মতে, মন থেকে ভালবাসা, আবেগ উবে গিয়েছে যে সম্পর্কে, দুগ্ধবতী গাভী এবং টাকার তোলার মেশিন হয়ে থাকা ছাড়া যে সম্পর্কে স্ত্রীর কোনও অস্তিত্ব নেই, সমাজের খাতিরে সেই সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার কোনও মানে হয় না। তাতে ইতি টানার পক্ষে রায় দিল আদালত

    দীর্ঘ তিন দশকের বিবাহে ইতি টানতে চেয়ে সম্প্রতি আদালতের দ্বারস্থ হন এক মহিলা। তিনি জানিয়েছেন, ১৯৯১ সালে বিয়ে হয় তাঁর। ২০০১ সালে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের মাধ্যমে এক কন্যাসন্তানেরও আবির্ভাব হয় তাঁদের জীবনে।

    মহিলার দাবি, পেশায় ব্যবসায়ী স্বামী ব্যবসা চালাতে হিমশিম খাচ্ছিলেন। দেনার দায়ে মাথা তুলতে পারছিলেন না। সেই অবস্থা থেকে স্বামীকে মুক্ত করতে ২০০৮ সাল থেকে টাকা দিয়ে সাহায্য করতেন তিনি। এই দেড় দশকে নয় নয় করে স্বামীকে ৬০ লক্ষ টাকা দিয়েছেন তিনি।

    মেয়ে এবং তাঁর নামে জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট থেকে স্বামী ওই টাকা নিতেন বলে জানান আবেদনকারী ওই মহিলা। তিনি জানান, গত দেড় দশক ধরে শুধু তাঁর কাছ থেকে টাকা নিয়ে গিয়েছেন স্বামী। তার কানাকড়িও ফেরত দেননি। বরং দিনের পর দিন তাঁকে অবহেলা করে গিয়েছেন। তা নিয়ে অসম্ভব মানসিক যন্ত্রণার মধ্যে রয়েছেন তিনি। বাড়িতে অশান্তি লেগেই থাকে। তাই এই বিবাহ থেকে মুক্তি চান তিনি।

    কিন্তু রাজ্যের পারিবারিক আদালতে ওই মহিলার বিবাহবিচ্ছেদের আরজি খারিজ হয়ে যায়। উল্টে আদালত জানায়, স্বামী তাঁর উপর নির্যাতন চালিয়েছেন, তার সপক্ষে কোনও প্রমাণই দিতে পারেননি আবেদনকারী ওই মহিলা।

    আরও পড়ুন: গর্ভপাতের অনুমতি চেয়ে দিল্লি হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে মহিলা

    নিম্ন আদালতে বিচ্ছেদ পেতে ব্যর্থ হয়ে এর পর হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন ওই মহিলা। বিচারপতি অলোক আরাধে এবং জেএম কাজির ডিভিশন বেঞ্চে সেই আবেদন গৃহীত হয়। তাতে নিম্ন আদালতের রায় খারিজ করে দেয় আদালত। অনুমোদন দেওয়া হয় ওই মহিলার বিবাহবিচ্ছেদের আরজিতে। এই ধরনের ঘটনা, যেখানে সাংসারিক অশান্তি, মনোমালিন্যের বিষয় জড়িয়ে থাকে, সেক্ষেত্রে নির্যাতন বলতে শুধু শারীরিক নির্যাতন নয়, মানসিক নির্যাতনের প্রশ্নও জড়িয়ে থাকে। তাই সবদিক ভাল করে খতিয়ে দেখা উচিত বলে জানায় আদালত।

  • India China: ভারতীয়দের ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ করছে চিনা কমিউনিস্ট পার্টি? শুরু তদন্ত

    India China: ভারতীয়দের ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ করছে চিনা কমিউনিস্ট পার্টি? শুরু তদন্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কর ফাঁকি (Tax evasion) ও ভুয়ো বিনিয়োগে অভিযুক্ত চিনা (china) সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে ভারত সরকার (Indian govt)। জানা গিয়েছে, এই সব কোম্পানির প্রকৃত সুবিধাভোগীরা আদতে চিনা কমিউনিস্ট পার্টির (Communist Party of China) বর্ষীয়ান সদস্য।

    ব্যবসায়িক সূত্রে এদেশে আসা চিনা কোম্পানিগুলি নানাভাবে তথ্য সংগ্রহ করছে ভারত (India) থেকে। চিন সরকারের (Chinese govt) নিয়ম অনুযায়ী, কোনও কোম্পানির সমস্ত তথ্য সেদেশের সরকারকে জমা দিতে হয়। এই কোম্পানিগুলিও যেসব তথ্য সংগ্রহ করছে, সেগুলি তারা জমা দিচ্ছে চিন সরকারকে। যা জাতীয় নিরাপত্তার (National security) পক্ষে ক্রমেই বিপজ্জনক হয়ে উঠছে বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।

    আরও পড়ুন : ফের ভারত-চিন সংঘাত? প্যাংগং হ্রদের ওপর অধিকৃত অঞ্চলে দ্বিতীয় চিনা সেতু ঘিরে বিতর্ক

    জানা গিয়েছে, ভারতে ডিজিটাল সেক্টরের বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ব্যক্তিগত তথ্য সহজ হাতে পেয়েছে চিনা কোম্পানিগুলি। সহজ ঋণের খোঁজ করা গ্রাহকদের আকৃষ্ট করার জন্য মোবাইল গেম (Mobile games) ও অ্যাপ (Chinese App) ব্যবহার করা হয়। একবার, ঋণের ফাঁদে পড়লে, আখেরে উচ্চ সুদ চোকাতে হচ্ছে বলে তদন্তে উঠে এসেছে। এহেন ৪০টি নন-ব্যাঙ্কিং আর্থিক সংস্থা যাদের সঙ্গে চিনাদের লিঙ্ক রয়েছে, তাদের লাইসেন্স বাতিল করা হতে বলেও সূত্রের খবর।

    চিনা কোম্পানিগুলি যে তথ্য পাচার করছে, সে খবর প্রকাশ্যে আসতেই বিভিন্ন চিনা কোম্পানির মালিকরা চিনে ফিরে গিয়েছে। চলতি বছরের মার্চ মাসে কয়েকটি কোম্পানি হঠাৎই অপারেশন বন্ধ করে দেয়। এমনই একটি চিনা অ্যাপ হল ‘শপ’। গালওয়ানের ঘটনার পর ‘শপ’-এর মূল বিনিয়োগকারীদের আরেকটি অ্যাপ নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। ভারতে কিছু চিনা কোম্পানি ভুয়ো কোম্পানির মাধ্যমে লেনদেন করছে বলেও সূত্রের খবর। 

    আরও পড়ুন : উত্তর ভারতের ৭টি পাওয়ার গ্রিডে সাইবার হানা চিনা হ্যাকারদের, কতটা ক্ষতি? পড়ুন বিস্তারিত রিপোর্ট

    চিনা টেলিকম সংস্থাগুলিতে অভিযান চালিয়ে দেখা গিয়েছে তারা ভারতীয় আইন মেনে চলছে না। ভারতে ব্যবসা করছে এমন কিছু চিনা সংস্থার বিরুদ্ধে এক্সিম (EXIM)-সম্পর্কিত নিয়ম লঙ্ঘন ও জিএসটি (GST)-সম্পর্কিত কারসাজির অভিযোগও আনা হয়েছে।

    জানা গিয়েছে, জাল ইনপুট ট্যাক্স ক্রেডিট পাওয়ার জন্য জাল চালান তৈরি করা হত। টেলিকম, উচ্চ শিক্ষা এবং ক্ষুদ্র অর্থ সহ বিভিন্ন সেক্টর জুড়ে সরাসরি বা প্রক্সির মাধ্যমে চিনা ব্যবসায়িক সংস্থাগুলির এহেন বেআইনি কার্যকলাপের বেশ কয়েকটি ঘটনা সংবাদ মাধ্যমের দৌলতে প্রকাশ্যে চলে আসে। এদেশে নিম্ন আয়ের শ্রেণিভুক্ত মানুষকে টার্গেট করা এক ডজনেরও বেশি চিনা অ্যাপ জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থাগুলির নজরদারিতে চলে এসেছে। জানা যায়, চিনা কোম্পানিগুলি শুধু ভারত নয়, বিশ্বজুড়ে অবৈধ আর্থিক কারবার চালাচ্ছে।

     

  • Nupur Sharma: বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে সাসপেন্ড নূপুর শর্মা, নবীন জিন্দালকে বহিষ্কার বিজেপি-র

    Nupur Sharma: বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে সাসপেন্ড নূপুর শর্মা, নবীন জিন্দালকে বহিষ্কার বিজেপি-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হজরত মহম্মদের (Prophet) বিরুদ্ধে বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে দলের জাতীয় মুখপাত্র নূপুর শর্মাকে (Nupur Sharma) সাসপেন্ড করল বিজেপি (BJP)। বহিষ্কার করা হয়েছে মিডিয়ার প্রধান নবীন কুমার জিন্দালকে (Naveen kumar Jindal)। সোশ্যাল মিডিয়ায় নবীনের বক্তব্য সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি (communal harmony) নষ্ট করেছে। এই যুক্তিতেই বহিষ্কার করা হয়েছে তাঁকে।

    বিজেপির কেন্দ্রীয় শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি বিভিন্ন বিষয় পর্যালোচনা করে নূপুরকে দল থেকে সাসপেন্ডের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পদ্ম শিবিরের বক্তব্য, এমন মন্তব্য সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করে। আঘাত করে ধর্মীয় ভাবাবেগেও। তাই বিজেপি কোনও নেতা বা নেত্রীর এহেন মন্তব্য কখনওই সমর্থন করে না।  

    সম্প্রতি বিজেপির মুখপাত্র নূপুর শর্মা একটি নিউজ চ্যানেলে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে হজরত মহম্মদকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেন বলে অভিযোগ। এর ফলে তাঁর বিরুদ্ধে বিভিন্ন রাজ্যে দায়ের হয়েছে মামলা। কড়া প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে ইসলামিক দেশগুলি।

    আরও পড়ুন :কাশী-মথুরা নিয়ে কী ভাবছে বিজেপি? স্পষ্ট করলেন নাড্ডা

     

    বিজেপির সাধারণ সম্পাদক অরুণ সিং এক বিবৃতিতে জানান, ভারতের হাজার হাজার বছরের ইতিহাসে প্রতিটি ধর্মই প্রস্ফুটিত এবং বিকাশ লাভ করেছে। বিজেপি সব ধর্মকে সম্মান করে। যে কোনও ধর্মের কোনও ধর্মীয় ব্যক্তিত্বের অবমাননার তীব্র নিন্দাও করে বিজেপি। বিজেপি এমন কোনও মতাদর্শেরও বিরোধী যা কোনও সম্প্রদায় বা ধর্মকে অপমান করে বা হেয় করে। বিজেপি এই ধরনের লোক বা দর্শনকে প্রচার করে না।

    তিনি বলেন, ভারত তার স্বাধীনতার ৭৫তম বর্ষ উদযাপন করছে। আমরা ভারতকে একটি মহান দেশ হিসাবে গড়ে তুলতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এই দেশে সবাই সমান এবং সবাই মর্যাদার সঙ্গে বসবাস করে। এখানে সকলেই ভারতের একতা ও অখণ্ডতার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সমৃদ্ধি ও উন্নয়নের সুফল ভোগ করে সবাই। সিং বলেন, ভারতীয় সংবিধান প্রতিটি নাগরিককে তাঁর পছন্দের যে কোনও ধর্ম পালন করার ও প্রতিটি ধর্মকে সম্মান করার অধিকার দেয়।

    আরও পড়ুন : “বিজেপি জানে, দেশের সংস্কৃতি…”, আঞ্চলিক ভাষা ইস্যুতে গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য মোদির

    প্রসঙ্গত, হজরত মহম্মদকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন নূপুর। একজন ফ্যাক্টচেকার তাঁর সেই মন্তব্যের একটি ভিডিও টুইট করার পর থেকেই গোলমাল বাঁধে। নূপুরের দাবি, তাঁর ভিডিওটি এডিট করা হয়েছে। তিনি অভিযোগের আঙুল তোলেন ফ্যাক্টচেকিং ওয়েবসাইট ‘অল্ট নিউজ’-এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা মহম্মদ জুবায়েরের দিকে।

    এদিকে, নবীকে নিয়ে বিজেপি নেত্রীর মন্তব্যের কড়া নিন্দা করে কাতার, কুয়েত, ইরানের পর এবার সৌদি আরব সহ উপসাগরীয় বিভিন্ন দেশ। বিষয়টিকে তারা ইসলামফোবিয়া হিসেবে বর্ণনা করেছে। কুয়েত আবার ভারতের রাষ্ট্রদূতকে তলব করে এই মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানিয়েছে।

    প্রসঙ্গত, এই মুহূর্তে কাতার সফরে রয়েছেন উপরাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নাইডু। এদিকে, ভারত সরকারের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, নূপুর শর্মার মন্তব্যের মধ্যে দিয়ে সরকারের মতামত প্রতিফলিত হয়নি। আরও বলা হয়েছে, ক্ষমতাসীন বিজেপি অভিযুক্ত নেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নিয়েছে। ভারতের এই ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছে সৌদি আরব এবং বাহরিন।

     

  • Gyanvapi row: জ্ঞানবাপীকাণ্ডে এবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ জমিয়ত-উলেমা-ই-হিন্দ

    Gyanvapi row: জ্ঞানবাপীকাণ্ডে এবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ জমিয়ত-উলেমা-ই-হিন্দ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জ্ঞানবাপীকাণ্ডে (Gyanvapi mosque case) এবার সুপ্রিম কোর্টের (supreme court) দ্বারস্থ হল জমিয়ত-উলেমা-ই-হিন্দ (jamiat-ulama-i-hind)। তাদের দাবি, ঐতিহাসিক ভুলকে আদালতে ঠিক করা যায় না। ১৯৯১ সালের উপাসনাস্থল আইনের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া জনস্বার্থ মামলায় মসজিদ কমিটির তরফে পার্টি হল জমিয়ত।

    আরও পড়ুন :জ্ঞানবাপী মামলায় বাদী-বিবাদী দুপক্ষের হাতিয়ার ৮০ বছরের পুরনো মামলার রায়!

    বারাণসীর বিশ্বনাথ মন্দির ভেঙে জ্ঞানবাপী মসজিদ তৈরি হয়েছে বলে হিন্দুত্ববাদী একাধিক সংগঠনের দাবি। মুঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেবের নির্দেশে ভাঙা হয়েছে মন্দির। মসজিদের পশ্চিম দেওয়ালে হিন্দু দেবদেবীর মূর্তি খোদাই করা রয়েছে বলেও দাবি হিন্দুদের একাংশের। তাঁদের দাবি, এই এলাকায় পুজো হত শৃঙ্গার গৌরীর।

    এমতাবস্থায় পাঁচ মহিলা ওই এলাকায় উপাসনা করতে দেওয়ার দাবিতে আদালতের দ্বারস্থ হয়। এর পরেই মসজিদ চত্বরে ভিডিওগ্রাফির নির্দেশ দেয় আদালত। ভিডিওগ্রাফির ফুটেজ ফাঁস হয়ে যায় বলে দাবি স্থানীয় কয়েকজনের। সেই ফুটেজ থেকে জানা যায়, মসজিদের ওজুখানার জলাধারে রয়েছে শিবলিঙ্গ।

    হিন্দুত্ববাদীদের দাবি, এই শিবলিঙ্গ পুজোর অধিকার দিতে হবে তাঁদের। এর পরেই আদালেতর নির্দেশে সিল করে দেওয়া হয় ওজুখানার জলাধার। যদিও মসজিদে প্রতিদিন পাঁচবার নমাজ পাঠেরও অনুমতি দেওয়া হয়।

    আরও পড়ুন : “মামলা খারিজ করা হোক”, আদালতে আরজি জ্ঞানবাপী মসজিদ কমিটির

    ১৯৯১ সালে উপাসনাস্থল আইন (Places of Worship Act, 1991) আনে নরসিমহা রাওয়ের সরকার। ওই আইন অনুযায়ী, ১৯৪৭ সালে স্বাধীনতার আগে যে ধর্মীয় স্থানের চরিত্র যেমন ছিল, তেমনই থাকবে। সম্প্রতি, এই আইনের সাংবিধানিরক বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে আদালতে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন অশ্বিনী উপাধ্যায় নামে এক ব্যক্তি। তাঁর দাবি, মুঘল আমলে যেসব মন্দির মসজিদে পরিণত হয়েছিল, তাদের ফের আগের অবস্থায় ফিরিয়ে দিতে হবে।

    এর প্রেক্ষিতেই আইনজীবী ইজাজ মকবুলের মাধ্যমে জমিয়ত জানিয়ে দেয়, ঐতিহাসিক ভুলের সমাধান আদালতে হতে পারে না। এ ব্যাপারে অযোধ্যা মামলার রায়ের উল্লেখ করেছে জমিয়ত। ওই রায়ে বলা হয়েছিল, ইতিহাসে ঘটে যাওয়া বিষয়বস্তু বা ঘটনাবলির সঙ্গে সহমত না হওয়া কোনও ব্যক্তিকে আইনি প্রতিকার দেওয়া বা অতীতে ফিরে যাওয়ার মাধ্যম হতে পারে না আদালত।

     

  • Haryana Police Murder: খনি মাফিয়ার দাপট, হরিয়ানায় পিষে মারা হল কর্তব্যরত ডিএসপি-কে

    Haryana Police Murder: খনি মাফিয়ার দাপট, হরিয়ানায় পিষে মারা হল কর্তব্যরত ডিএসপি-কে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নৃশংস ঘটনার সাক্ষী হরিয়ানা (Haryana)। কর্তব্যরত ডিএসপিকে (DSP) ট্রাকের (Truck) চাকার নীচে পিষে (Run over) মারল খনি মাফিয়ারা (Mining Mafia)। ঘটনাটি ঘটেছে নুহ জেলায়, মঙ্গলবার দুপুর ১২টায়। সেখানেই কর্মরত ছিলেন ডিএসপি পদমর্যাদার ওই পুলিশ অফিসার। নাম সুরেন্দ্রনাথ সিং তাউরু।

    ওই অঞ্চলে মাফিয়াদের দাপাদাপি বন্ধ করতে মঙ্গলবার সকাল ১১ টার দিকে তিনি ওই স্থানে যান। একটি ট্রাককে হাতেনাতে ধরেও ফেলেন। ট্রাকটিকে দূর থেকে আসতে দেখে হাতের ইশারা করে দাঁড়াতে বলেন। ট্রাকের কাগজপত্র এবং মাল খতিয়ে দেখার পরিকল্পনা ছিল ওই পুলিশ অফিসারের। কিন্তু পুলিশকে দেখেই আতঙ্কে গাড়ির গতি বাড়িয়ে দেয় ট্রাকের চালক। আর তাতেই ঘটে এই দুর্ঘটনা। পুলিশ অফিসারের ওপর দিয়ে গাড়ি চালিয়ে দেয় চালক। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই পুলিশ অফিসারের। আরো দুজন পুলিশ সেই সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন। বিপদ বুঝে তাঁরা রাস্তার পাশে ঝাঁপ দেন এবং প্রাণে বেঁচে যান। আর তারপরেই চম্পট দেয় ওই ট্রাকের চালক। 

    আরও পড়ুন: ৮৭ বছরে হাজতবাস! তিহাড় জেলের সবচেয়ে বর্ষীয়ান বন্দি ওম প্রকাশ চৌটালা

    পুলিশ ট্রাক চালক এবং বাকিদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে। হরিয়ানা (Haryana) পুলিশ অফিসিয়াল ট্যুইটার হ্যান্ডেলের মাধ্যমে সুরেন্দ্র সিং তাউরু মৃত্যুর ঘটনা প্রকাশ্যে এনে শোকজ্ঞাপন করা হয়। একইসঙ্গে জানানো হয়েছে, অপরাধীদের কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।  

    [tw]


    [/tw]

    হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খট্টর দোষীদের খুঁজে বের করে কড়া শাস্তি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল ভিজ বলেছেন, “খনি মাফিয়ারা কেউই পার পাবে না। আমরা কঠোর ব্যবস্থা নেব। সবার শাস্তি হবে।” 

    এর আগেও বারবার হরিয়ানায় খনি মাফিয়াদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ উঠেছে। ভূমি ও ভূমিরাজস্ব দফতরের আধিকারিকদের ওপর খনি মাফিয়ারা বারবার হামলা চালিয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। একাধিকবার ভূমিরাজস্ব দফতরের আধিকারিকদের পিষে হত্যার চেষ্টা হয়েছে বলেও অভিযোগ। তারপরও হরিয়ানার খনি মাফিয়াদের কোনওভাবেই নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন সেখানকার বাসিন্দারা।

    ২০২১-২২ সালের ৮ মার্চের হরিয়ানা ইকোনমিক সার্ভের রিপোর্ট অনুযায়ী, রাজ্যে ২১ হাজার ৪৫০টি বেআইনি খননকার্যের খবর পাওয়া গিয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি রয়েছে আইনি কাগজপত্র ছাড়া খনিজ পরিবহন।   

     

  • Pinarai Vijayan: সোনা পাচারকাণ্ডে জড়িত পিনারাই বিজয়ন! অভিযোগের পাল্টা কেরলের মুখ্যমন্ত্রীর 

    Pinarai Vijayan: সোনা পাচারকাণ্ডে জড়িত পিনারাই বিজয়ন! অভিযোগের পাল্টা কেরলের মুখ্যমন্ত্রীর 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেরল সোনা পাচারকাণ্ডের (Kerala Gold Smuggling Case) মূল অভিযুক্ত স্বপ্না সুরেশের (Swapna Suresh) সমস্ত অভিযোগ নস্যাৎ করলেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন (Pinarayi Vijayan)। স্বপ্নার সব অভিযোগকে ভিত্তিহীন এবং ‘নিম্নমানের রাজনৈতিক চাল’ বলে উল্লেখ করলেন তিনি।  

    মঙ্গলবারই সোনা পাচারকাণ্ডের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বিজয়ন জড়িত আছেন বলে দাবি করে স্বপ্না। তার দাবি, “আরব আমিরশাহী থেকে কেরলে সোনা পাচার সম্পর্কে জানতেন মুখ্যমন্ত্রী বিজয়ন এবং তাঁর তিন মন্ত্রী। গোটা বিষয়টি নিয়ে অবগত ছিলেন কেরল বিধানসভার তৎকালীন স্পিকারও।”

    গোটা বিষয়কেই রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র বলে দাবি করেছেন পিনারাই বিজয়ন। ২০২১ সালের অক্টোবরে সোনা পাচার মামলায় এনআইএ (NIA) তাকে গ্রেফতার করার পরেও একই দাবি করেছিল স্বপ্না। একটি ব্যাগ থেকে ১৫ কোটি টাকার সোনা বাজেয়াপ্ত হওয়ায় শুরু হয় মামলা।

    আরও পড়ুন: ‘তালিবানি’ হয়ে যাচ্ছে বাম-শাসিত কেরালা! বললেন বিজেপি নেতা  

    গতকাল ফের জেরা করা হয় স্বপ্নাকে। জেরায় স্বপ্না জানায়, “এই মামালায় মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন সহ তাঁর স্ত্রী কন্যারও সরাসরি যোগ রয়েছে। আমি এখনও পর্যন্ত আদালতে ১৬৪টি বক্তব্য পেশ করেছি। আমি আদালতকে এটাও জানিয়েছি কারা কারা এই মামলায় জড়িত। আদালতে আমি আমার জীবনের সুরক্ষাও চেয়েছিলাম। আদালত আমাকে তার অনুমতি দিয়েছে। আমি আদালতকে জানিয়েছি এই মামলায় মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন, মুখ্যমন্ত্রীর স্ত্রী কমলা, মুখ্যমন্ত্রীর কন্যা বীণা, তৎকালীন সিএমও-র মুখ্যসচিব এম শিবশঙ্কর, মুখ্যমন্ত্রীর সেক্রেটারি রবীন্দ্রণ, মুখ্যসচিব নলিনী নেত্তো এবং মন্ত্রী কেটি জটিল জড়িত।”    

    স্বপ্না সুরেশ আরও জানায়, “২০১৬ সালে দুবাইতে বিজয়নের কাছে একটা টাকা ভর্তি ব্যাগ পাঠানো হয়। ২০১৬ সালে আমি কনস্যুলেটের সেক্রেটারি ছিলাম। সেই সময় মুখ্যমন্ত্রী দুবাইতে ছিলেন। এম শিবশঙ্কর আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী একটা ব্যাগ নিয়ে যেতে ভুলে গেছেন। আমি যেন সেটা তাঁর কাছে পাঠিয়ে দিই। ব্যাগটি যখন কনস্যুলেটে আসে তখন আমাদের সন্দেহ হয়। আমরা ব্যাগটি পরীক্ষা করে বুঝতে পারি তার মধ্যে ভর্তি আছে টাকা। এই সব টাকাই সোনা পাচারের।” 

    স্বপ্না সুরেশের বক্তব্যের পরেই রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে গোটা দেশজুড়ে। ফের এক নয়া মোড় নিয়েছে এই সোনা পাচার মামলা।

    আরও পড়ুন: পাকিস্তানকে বেশি সুন্দর ভাবলে ভুল হবে, অভিমত কেরালা হাইকোর্টের

    মূল অভিযুক্ত স্বপ্না সুরেশের বাড়ি থেকে অপর এক অভিযুক্ত সারথি পিএসকে অপহরণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। কয়েকজন অজ্ঞাতপরিচয় লোক এই ঘটনা ঘটিয়েছে বলে অভিযোগে জানিয়েছে স্বপ্না। স্বপ্না জানায়, “আমাকে খুন করা হতে পারে বলে আমি আগেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলাম। মুখ্যমন্ত্রী এই ঘটনায় জড়িত বলেও আগেই জানিয়েছিলাম। আমি সামান্য মুখ খুলেছি, আর ওরা প্রতিশোধ নেওয়া শুরু করে দিল।” 
     
    এবিষয়ে পিনারাই বিজয়ন বলেন, “রাজ্য সরকারই প্রথম কেন্দ্রকে এই মামলায় তদন্ত চালাতে বলে। ওরা যদি মনে করে এইসব অপপ্রচার করে সরকার বা দলের ক্ষতি করা যাবে, তাহলে ওরা ভুল ভাবছে। এটা একটা বড় ষড়যন্ত্র। রাজ্যবাসীই এর উত্তর দেবে।” 

     

LinkedIn
Share