Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • UPSC  2021 Results: নারীশক্তির জয়! ইউপিএসসি সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় প্রথম তিনে তিন কন্যা

    UPSC 2021 Results: নারীশক্তির জয়! ইউপিএসসি সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় প্রথম তিনে তিন কন্যা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সর্বভারতীয় সিভিল সার্ভিসের চূড়ান্ত ফল (UPSC Civil Services 2021 Final Result) প্রকাশিত হয়েছে সোমবার। সর্বভারতীয় স্তরের প্রতিযোগিতামূলক এই পরীক্ষায় পাশ করেছেন ৬৮৫ জন। সাফল্যের নিরিখে এবার পুরুষদের টেক্কা দিয়েছেন মেয়েরা। মেধাতালিকার শীর্ষ তিন স্থান দখল করেছেন তিন কন্যা।

    প্রথম স্থানে রয়েছেন দিল্লির শ্রুতি শর্মা। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন কলকাতার অঙ্কিতা আগরওয়াল। তৃতীয় স্থান পেয়েছেন চণ্ডিগড়ের গামিনী সিংলা। পুরুষদের মধ্যে প্রথম, মেধা তালিকায় চতুর্থ হয়েছেন ঐশ্বর্য বর্মা।

    উত্তরপ্রদেশের বিজনোর শহরের বাসিন্দা শ্রুতি স্কুলের গণ্ডি টপকে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ সেন্ট স্টিফেন্স কলেজে ভর্তি হয়েছিলেন। তার পর যোগ দেন জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে। ইতিহাসের ছাত্রী শ্রুতি পড়াশোনার পাশাপাশি সিভিল সার্ভিসের (UPSC Civil Services 2021) প্রস্তুতির জন্য জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া রেসিডেন্সিয়াল কোচিং সেন্টারে ভর্তি হয়েছিলেন। তার পরই মিলল সাফল্য। তাৎপর্যপূর্ণভাবে এবার জামিয়া মিলিয়ার এই কোচিং সেন্টার থেকে ২৩ জন পরীক্ষার্থী দেশের মধ্যে সবচেয়ে কঠিন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন।

    তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে কলকাতার মেয়ে অঙ্কিতা। স্কুলজীবন কেটেছে এই শহরেই। তার পর কলেজের পাঠ নিতে দিল্লি যাত্রা। সেখানেই কর্পোরেটে চাকরি, ইউপিএসইসি পরীক্ষা দিয়ে রাজস্ব সার্ভিসে যোগ, তার পর ফের পরীক্ষা দিয়ে অবশেষে স্বপ্নপূরণ— আইএএস। 

    এ বারের পরীক্ষায় মোট ৬৮৫ জন প্রার্থীকে নিয়োগ করার কথা জানিয়েছে ইউনিয়ন পাবলিক সার্ভিস কমিশন (Union Public Service Commission)। মোট ৭৪৯টি শূন্যপদের ঘোষণা করেছিল ইউপিএসসি। এর মধ্যে ১৮০ জন হবেন আইএএস, ৩৭ জন হবেই আইএফএস, ২০০ জন হবেন আইপিএস, ২৪২ জন হবেন সেন্ট্রাল সার্ভিস গ্রুপ এ ও ৯০ জন হবেন গ্রুপ বি।

    আরও পড়ুন: ইউপিএসসি মেধাতালিকায় দ্বিতীয় বাংলার মেয়ে, সাফল্য কলকাতারও

    প্রকাশিত ফল অনুযায়ী, মেধা তালিকার প্রথম ২৫ জনের মধ্যে ১৫ জন ছেলে, ১০ জন মেয়ে। ছবছর পর আবার শীর্ষে মেয়েরা। ২০১৫ সালে প্রথম চার জন ছিলেন মহিলা। সাফল্যের শীর্ষে থাকা মেয়েরা জানান, নারী স্বাধীনতা, নারীর ক্ষমতায়ন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য এই বিষয়গুলি নিয়ে কাজ করতে চান তাঁরা।

    [tw]


    [/tw]

    ইউপিএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi)। ট্যুইট বার্তায় তিনি লেখেনই, “সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের শুভেচ্ছা। আমরা যখন দেশজুড়ে আজাদি কা অমৃত মহোৎসব পালন করছি, সেই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে এই নবপ্রজন্ম আমলা হিসেবে দেশের সেবায় নিজেদের নিয়োগ করছেন। ভবিষ্যতের জন্য তাঁদের অনেক শুভেচ্ছা।”

  • Mohan Bhagwat: হিন্দু-মুসলিম সম্পর্কে ভাগবতের মন্তব্য সংগঠনের বক্তব্যের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ, জানাল আরএসএস

    Mohan Bhagwat: হিন্দু-মুসলিম সম্পর্কে ভাগবতের মন্তব্য সংগঠনের বক্তব্যের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ, জানাল আরএসএস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিন্দু (Hindu) ও মুসলমানদের (Musalman) উচিত তাঁদের মধ্যে উদ্ভূত সমস্যাগুলির সৌহার্দ্যপূর্ণভাবে সমাধান করা। দিন কয়েক আগে নাগপুরে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (Rashtriya Swayamsevak Sangh) দীক্ষান্ত ভাষণে একথা বলেছিলেন সংঘ প্রধান মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। হিন্দু-মুসলিম (Hindu-Muslim) সম্পর্কে তাঁর মন্তব্য আরএসএসের বক্তব্যের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ বলেই ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা।

    ২০২১ সালের জুলাই মাসে একটি অনুষ্ঠানে ভাগবত বলেছিলেন হিন্দু ও মুসলমানদের ডিএনএ একই। নাগপুরে সম্প্রতি তিনি যা বলেছেন, তাও তাঁর পূর্ববর্তী বক্তব্যের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ। আরএসএস (RSS) ভারতের সমস্ত ধর্ম ও তার অনুসারীদের একটি জাতি হিসেবে বিবেচনা করে। আরএসএস মনে করে তারা ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ।

    আরও পড়ুন : নেহরুর মানসিকতা ছিল ঔপনিবেশিক? বিস্ফোরক আরএসএস শিক্ষাবিদ

    ১৯৭১ সালে ডক্টর সইফুদ্দিন জিলানিকে এক সাক্ষাৎকারে আরএসএসের দ্বিতীয় সংঘচালক এমএস গোলওয়ালকার বলেছিলেন, ভারতীয়করণ মানে সমস্ত মানুষকে হিন্দু ধর্মে রূপান্তরিত করা নয়। বরং আমরা সবাই উপলব্ধি করি যে আমরা এই মাটির সন্তান এবং আমাদের এই মাটির প্রতি আনুগত্য থাকতে হবে। আমরা সবাই একই সমাজের এবং আমাদের পূর্বপুরুষরা অভিন্ন। এটা বোঝাই প্রকৃত অর্থে ভারতীয়করণ।

    তিনি বলেছিলেন, ভারতীয়করণের অর্থ এই নয় যে একজনকে তাঁর ধর্মীয় ব্যবস্থা ছেড়ে দিতে বলা। আমরা এটা বলিনি, বলছিও না। বরং আমরা বিশ্বাস করি যে সমগ্র মানব সমাজের জন্য একটি ধর্মীয় ব্যবস্থা যথাযথ নয়। সংঘচালকের এই বক্তব্য প্রতিফলিত হয়েছে অখিল ভারতীয় প্রচার প্রমুখ সুনীল আম্বেকরের বক্তব্যেও। ‘দ্য আরএসএস রোডম্যাপস টুয়েন্টি ফার্স্ট সেঞ্চুরি’ প্রবন্ধে তিনি বলেন, ভারতে মুসলিম ও খ্রিস্টান জনগোষ্ঠীর পূর্বপুরুষরাও হিন্দু জীবনধারা অনুসরণ করেছিলেন। আমাদের দেশে কয়েক হাজার বছর ধরে উপাসনার বিভিন্ন ধারা গড়ে উঠেছে।

    আরও পড়ুন : রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ভারতের ভারসাম্যের নীতির প্রশংসায় মোহন ভাগবত

    তিনি বলেন, ভারতীয় হয়ে জন্ম নেওয়া মানে ভারতীয় সংস্কৃতির বংশধর হওয়া। তাঁর মতে, মাতৃভূমি কোন আঞ্চলিক মানচিত্র নয়, এটি একটি মহান আধ্যাত্মিক সত্তা। হিন্দু রাষ্ট্র মানেই যে মুসলিম বিরোধী, তা নয় বলেই জানান আম্বেকর। তিনি বলেন, হিন্দু রাষ্ট্র মুসলিম-বিরোধী নয়। হিন্দুত্বকে একটি সংকীর্ণ ধারণা হিসাবে উপস্থাপন করা একেবারেই ভুল।

    প্রায় একই ধরনের বক্তব্য উঠে এসেছে আরএসএস মতাদর্শ অনুসারী মনমোহন বৈদ্যের গলায়ও। ২০১৭ সালে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, ভারতে ঐতিহ্যগতভাবে আমরা বিশ্বাস করি যে সমস্ত ধর্ম একই গন্তব্যের দিকে নিয়ে যায়। তাই সব ধর্মই সমান। ভারতে ৯৯ শতাংশ মুসলমান এবং খ্রিস্টান ধর্মান্তরিত হয়েছেন। এঁদের উৎপত্তি ভারতে। আরএসএস সব ভারতীয়কেই হিন্দু বলে মনে করে। এঁরা এই জাতিকে তাঁদের মাতৃভূমি বলে মনে করেন এবং এর জন্য মরতেও প্রস্তুত। তাঁরা কোন বিশেষ পদ্ধতিতে উপাসনা করছেন, তা বড় কথা নয়, সংঘের চোখে তাঁরা সবাই হিন্দু।

    বস্তুত, আরএসএসের চোখে হিন্দু (Hindu) ও ভারতীয় (Indian) শব্দ দুটি সমার্থক। আসলে আরএসএসের লক্ষ্য হল ভারতকে (India) একটি শক্তিশালী ও ঐক্যবদ্ধ জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা। সেই সুরই বারবার ধরা পড়েছে সংঘ প্রধানদের গলায়।

     

     

  • Maharasthra Crisis: বিজেপির সঙ্গে জোট গড়তে মোদির সঙ্গে কথা বলেছিলেন উদ্ধব ঠাকরে নিজে!  

    Maharasthra Crisis: বিজেপির সঙ্গে জোট গড়তে মোদির সঙ্গে কথা বলেছিলেন উদ্ধব ঠাকরে নিজে!  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহাবিকাশ আঘাড়ি (MVA) জোট সরকার তৈরি হওয়ার পর খোদ শিবসেনা (Shiv Sena) প্রধান উদ্ধব ঠাকরে (Uddhav Thackeray) কথা বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) সঙ্গে। একথা জানালেন শিবসেনা সাংসদ রাহুল শেওয়ালে (Rahul Shewale)। তাঁর দাবি, এমভিএ জোট থেকে বেরিয়ে বিজেপির সঙ্গেই জোট করার পক্ষপাতী ছিলেন মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী।

    শিবসেনা, কংগ্রেস, এনসিপিকে নিয়ে গড়া মহাবিকাশ আঘাড়ির জোট ছেড়ে বিজেপির সঙ্গে জোট গড়তে চেয়েছিলেন শিবসেনার বিদ্রোহী নেতা একনাথ শিন্ডে। তা নিয়ে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে বিরোধ বাঁধে তাঁর। পরে অনুগত বিধায়কদের নিয়ে শিন্ডে উড়ে যান গুজরাটের সুরাট এবং পরে সেখান থেকে চলে যান বিজেপি শাসিত অসমে। পরে বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে সরকার গড়েন শিন্ডে। পতন হয় উদ্ধব ঠাকরের সরকারের।

    রাষ্ট্রপতি পদে দ্রৌপদীকে সমর্থন করে বিজেপিকে বার্তা উদ্ধব ঠাকরের?

    রাহুল শেওয়ালেও বর্তমানে শিন্ডে শিবিরের সৈনিক। এদিনই লোকসভায় রাহুলকে দলনেতা হিসেবে ঘোষণা করেন স্পিকার ওম বিড়লা। তার পরেই সাংবাদিক বৈঠকে বোমা ফাটান রাহুল। শিবসেনার এই বিদ্রোহী শিবিরের নেতার দাবি, আগেই বিজেপির সঙ্গে জোট হয়নি কারণ শিবসেনার বেশ কিছু সদস্য এর বিরোধিতা করেছিলেন। তাই ঠাকরেও আর সাহসী হয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি।

    তবে শিবসেনার সাংসদদের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি বিজেপির সঙ্গে জোট গড়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেছিলেন বলেও দাবি রাহুলের। তাঁর দাবি, ২০২১ সালে এবিষয়ে ঠাকরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে আলোচনাও করেছিলেন। রাহুলের দাবি, শিবসেনা সাংসদদের নিয়ে একটি বৈঠকে ঠাকরে স্বয়ং জানিয়েছিলেন, গত জুন মাসে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দীর্ঘ এক ঘণ্টা ধরে বৈঠক করেছিলেন তিনি।

    রাহুল জানান, করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই বিজেপির সঙ্গেই জোট গড়ার ব্যাপারে আলোচনা করতে গিয়েছিলেন ঠাকরে। তাঁর দাবি, এর পরেই ১২ জন বিজেপি বিধায়ককে সাসপেন্ড করে দেওয়া হয়। ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিজেপি নেতৃত্ব। তাঁদের মনে হয়েছিল, ঠাকরে একদিকে তাঁদের সঙ্গে জোট চাইছেন, আবার অন্যদিকে বিজেপি বিধায়কদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছেন। এর পর আর সেনার তরফে ইতিবাচক কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। তাই বিষয়টি নিয়ে বিজেপিও মুখ ফিরিয়ে নেয় বলে অভিযোগ রাহুলের।

    আরও পড়ুন : শিবসেনায় ভাঙন ঠেকাতেই দ্রৌপদীকে রাষ্ট্রপতি পদে সমর্থন উদ্ধব ঠাকরের, বলছে সমীক্ষা

     

  • Bhupinder Singh: প্রয়াত প্রখ্যাত গজল শিল্পী ভূপিন্দর সিং, শোকপ্রকাশ প্রধানমন্ত্রীর

    Bhupinder Singh: প্রয়াত প্রখ্যাত গজল শিল্পী ভূপিন্দর সিং, শোকপ্রকাশ প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের সঙ্গীত দুনিয়ায় নক্ষত্রপতন। লতা মঙ্গেশকর, বাপ্পি লাহিড়ী, কেকে-এর পর এবারে প্রয়াত গায়ক ভূপিন্দর সিং (Bhupinder Singh)। ভূপিন্দর সিংয়ের কণ্ঠ চিরকাল মনে থেকে যাবে শ্রোতাদের। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮২ বছর। সোমবার সন্ধ্যায় ৭টা ৪৫ মিনিটে মুম্বইয়ের একটি হাসপাতালে শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বিখ্যাত গজল শিল্পী। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েই তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক। এছাড়াও তিনি কোলন ক্যান্সারে দীর্ঘদিন ধরে ভুগছিলেন ও করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পরেও বিভিন্ন সমস্যা দেখা গিয়েছিল। শোকের ছায়া সঙ্গীত জগতে। তিনি চলে গেলেন কিন্তু রেখে গেলেন হিন্দি, বাংলা ভাষায় গাওয়া অজস্র গান।

    আরও পড়ুন: কেকে-এর মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ বলিউড তারকারা

    তাঁর বিখ্যাত গানগুলির মধ্যে ‘দিল ঢুন্ডতা হ্যায়’, ‘নাম গুম জায়েগা’, ‘এক অকেলা শহর মে’, ‘কিসি নজর কো তেরা ইন্তেজার আজ ভি হ্যায়’, ‘দো দিওয়ানে শহর মে’, ‘কারোগে ইয়াদ তো’, ‘কিসি কো মুকম্মল’, ‘থোড়ি সি জমিন’, ‘থোড়া আসমান’ ইত্যাদি। এই গানগুলো ভারতবাসীর মনে এমনভাবে ছাপ ফেলে গেছে, যা চিরকাল অমলিন হয়ে থাকবে।  তাঁর সঙ্গীত জগতে যাত্রা অল ইন্ডিয়া রেডিও থেকেই শুরু হয়েছিল। পরে দূরদর্শনের সঙ্গেও যুক্ত হন। তখন তাঁর কণ্ঠ মদন মোহন (Madan Mohan) শোনার পর সিনেমা জগতে গান করার প্রস্তাব দেন। তারপর মোহাম্মদ রাফী (Mohammad Rafi), মান্না দে (Manna Dey) তালাত মেহমুদের (Talat Mahmood) সঙ্গে ‘হাকিকত’ সিনেমায় কাজ করার সুযোগ পান। এই সিনেমার ‘হোকে মজবুর মুঝে’ গানটি বেশ সাড়া ফেলেছিল পুরো দেশজুড়ে। এরপর থেকেই পেশাদার সঙ্গীতশিল্পী যোগ দেন ভূপিন্দর সিং।

     তাঁর প্রয়াণে শোকাহত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শিল্পীর প্রয়াণে একটি টুইটের মাধ্যমে শোকপ্রকাশ করেছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী লেখেন, “শ্রী ভূপিন্দর সিং জি-র প্রয়াণে গভীর ভাবে শোকাহত। বহু দশক ধরে উনি আমাদের স্মরণীয় গান উপহার দিয়েছেন। এই খারাপ সময়ে আমি মানসিকভাবে তাঁর পরিবারের এবং অনুরাগীদের পাশে আছি। ওম শান্তি।”  

    আরও পড়ুন: চোখের জলে শেষ বিদায়, মুম্বাইয়ের ভারসোভায় পঞ্চভূতে বিলীন কেকে

    [tw]


    [/tw] 

  • Kashmir killing: পরপর হিন্দু-হত্যা কাশ্মীরে! সেনাপ্রধান, এনএসএ-র সঙ্গে বৈঠক শাহের

    Kashmir killing: পরপর হিন্দু-হত্যা কাশ্মীরে! সেনাপ্রধান, এনএসএ-র সঙ্গে বৈঠক শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উপত্যকায় বেড়ে চলেছে অশান্তি। পরিস্থিতি ক্রমশ জটিল হচ্ছে। প্রায় প্রতিদিন জঙ্গি হামলার শিকার হচ্ছেন সাধারণ হিন্দু নাগরিকরা (Hindus Targeted in Kashmir)। কখনও ব্যাঙ্ক কর্মী, কখনও স্কুল শিক্ষিকা, কখনও পরিযায়ী শ্রমিক। কখনও হিন্দু পণ্ডিত (Hindu Pandits) তো কখনও ভিন রাজ্যের বাসিন্দা। কাশ্মীরের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন কেন্দ্রও।

    এই পরিস্থিতিতে দিল্লিতে উচ্চপর্যায়ের নিরাপত্তা বৈঠকে (security meet) ডেকেছিলেন অমিত শাহ (Amit Shah)। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ডাকা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন— জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল (NSA Ajit Doval), সেনাপ্রধান মনোজ পাণ্ডে (Army Chief General Manoj Pande), কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব অজয় কুমার ভাল্লা, জম্মু ও কাশ্মীর এবং লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহার (JK L-G Manoj Sinha) উপস্থিতিতে বিকেল ৩টার দিকে বৈঠক শুরু হয়।

    আরও পড়ুন: বিয়ের অ্যালবাম এখনও হয়নি, শুধু ছবিই সঙ্গী কুলগামে নিহত ব্যাঙ্ককর্মীর স্ত্রীর

    এছাড়া বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সিআরপিএফ (CRPF) ডিজি কুলদীপ সিং এবং সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (BSF) প্রধান পঙ্কজ সিং, জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের ডিজি দিলবাগ সিং সহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ আধিকারিকরা। সূত্রের খবর, উপত্যকার নিরাপত্তা বাড়ানোর ব্যাপারে বিশেষ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নিহতদের সম্পর্কে তথ্য থেকে শুরু করে লাগাতার এই হামলার পিছনে কোন জঙ্গি গোষ্ঠীর হাত থাকতে পারে, তা নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে বিস্তারিত নথি পেশ করা হয়। 

    কাশ্মীরের নাগরিক সুরক্ষা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে বৃহস্পতিবার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের সঙ্গে বৈঠকে করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর দফতরের প্রতিমন্ত্রী জিতেন্দ্র সিংহও। কাশ্মীরে শান্তি ফেরাতে নর্থ ব্লকে জরুরি ভিত্তিতে ওই বৈঠক ডাকেন অমিত। সূত্রের খবর, এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে ওই বৈঠক চলে। সাম্প্রতিক বিশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য সেনা ও নিরাপত্তা কর্মীদের আরও সতর্ক থাকার কথা বলা হয়। কীভাবে পরিস্থিতি আয়ত্ত্বে আনা যায়, তা নিয়েও আলোচনা হয়। কাশ্মীরে কেন একটি নির্দিষ্ট জনগোষ্ঠীর উপর হামলা চালানো হচ্ছে তা জানতে চান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

    অশান্ত কাশ্মীর! এবার ভিন-রাজ্যের শ্রমিককে গুলি করে হত্যা

    ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলোপের পর থেকেই কাশ্মীরে অশান্তি বেড়েছে। মাঝে কিছুদিন পুলিশ ও সেনার চরম তৎপরতায় পরিস্থিতি খানিকটা নিয়ন্ত্রণ করা গেলেও গত কয়েক মাসে হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে পরিস্থিতি। কেন্দ্রের পুনর্বিন্যাসের মাধ্যমে জম্মু-কাশ্মীরে (Jammu and Kashmir) বিধানসভা ভোটের তোড়জোড় শুরু হতেই সেখানে আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে কাশ্মীরি পণ্ডিতদের (Kashmiri Pandits) প্রতি বিদ্বেষ। সেনা সূত্রে খবর, পাক-মদতপুষ্ট জঙ্গিদের আনাগোনা মারাত্মক বেড়ে গিয়েছে, একের পর এক সাধারণ মানুষকে নিশানা করছে তারা।  

  • Jaishankar meet Wang Yi : তাসখন্দে মুখোমুখি জয়শঙ্কর-ওয়াং ই!  চলতি মাসের শেষে ফের বৈঠক চিন ও ভারতের

    Jaishankar meet Wang Yi : তাসখন্দে মুখোমুখি জয়শঙ্কর-ওয়াং ই! চলতি মাসের শেষে ফের বৈঠক চিন ও ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সীমান্ত বিবাদ মেটাতে চিনের বিদেশমন্ত্রী (Chinese State Councillor and Foreign Minister)  ওয়াং ই (Wang Yi) এর মুখোমুখি বসবেন  বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর (External Affiars Minister S Jaishankar)? সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশন (Shanghai Cooperation Organisation) বা SCO-র বৈঠকে তাঁদের একসঙ্গে কথা বলতে দেখা যাবে  কি না তা নিয়েই এখন গুঞ্জন চলছে কূটনৈতিক মহলে। চলতি মাসের শেষেই উজবেকিস্তানের (Uzbekistan) রাজধানী তাসখন্দে (Tashkent) হবে SCO-র বৈঠক। কেন্দ্রীয় আধিকারিক সূত্রে খবর, সেখানে আলাদা করে ওয়াং ই এবং জশঙ্করের পার্শ্ববৈঠক হতে পারে। চলতি মাসের ২৭-২৮ তারিখ নাগাদ এই বৈঠক হওয়ার কথা।

    আরও পড়ুন: মোদি-দলাই শুভেচ্ছা বিনিময়, ক্ষুব্ধ চিন, জবাব দিল ভারত

    এর আগে বালিতে জি-২০ গোষ্ঠীর রাষ্ট্রগুলির বিদেশমন্ত্রীদের সম্মেলন চলাকালীন এক পার্শ্ববৈঠকে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় বকেয়া বিষয়গুলি মেটাতে সওয়াল করে ভারত। এবারও দু-দেশের বিদেশমন্ত্রীর বৈঠকে উঠে আসতে পারে পূর্ব লাদাখ থেকে অবিলম্বে সেনা সরানোর দাবি। এ বিষয়ে বারবার চিনকে সতর্ক করেছে ভারত। এ-ও মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ভিত হওয়া উচিত ‘পারস্পরিক শ্রদ্ধা’, ‘পারস্পরিক সংবেদনশীলতা’ এবং ‘পারস্পরিক স্বার্থ’। আবারও সেই দাবিই রাখা হবে। ভারত মনে করে, সীমান্তে শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখতে দু’দেশেরই উচিত, সম্পূর্ণ সেনা সরিয়ে ফেলার ক্ষেত্রে উদ্যম ধরে রাখা। দ্বিপাক্ষিক প্রোটোকল এবং সীমান্ত চুক্তিগুলি মান্য করার উপরে বরাবরই জোর দিয়েছেন জয়শঙ্কর। 

    আরও পড়ুন: “শান্তি ভিক্ষা চাইবে না ভারত”, চিন-পাকিস্তানকে হুঁশিয়ারি ডোভালের

    চলতি বছরের ১৫-১৬ সেপ্টেম্বর, উজবেকিস্তানের (Uzbekistan) সমরখন্দে (Samarkhand) পরবর্তী বৈঠকে যোগ দেবেন SCO ভুক্ত দেশের রাষ্ট্রনায়করা। সূত্রের খবর, সেখানেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) সঙ্গে মুখোমুখি হবেন চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং (Chinese President Xi Jinping)। ২০২০ সালে ভারত-চিন সীমান্ত-সমস্যার পর এই প্রথম দুই রাষ্ট্রনায়কের সাক্ষাত হবে। তারই পথ প্রশস্ত করবে দুই দেশের বিদেশমন্ত্রীর বৈঠক এমনই অনুমান বিশেষজ্ঞদের।

  • Gyanvapi mosque survey: জ্ঞানবাপী মসজিদের দেওয়ালে ত্রিশূলের চিহ্ন! প্রকাশ্যে ভিডিও ফুটেজ

    Gyanvapi mosque survey: জ্ঞানবাপী মসজিদের দেওয়ালে ত্রিশূলের চিহ্ন! প্রকাশ্যে ভিডিও ফুটেজ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জ্ঞানবাপী মসজিদের ওজুখানায় শিবলিঙ্গের (shivling) অস্তিত্ব মিলেছিল বলে দাবি হিন্দুত্ববাদী একটি সংগঠনের। এবার মসজিদ (mosque) চত্বরের দেওয়ালে ত্রিশূলের (trishul) মতো কোনও চিহ্ন খোদাই করা দেখা গিয়েছে। আদালতের নির্দেশে জ্ঞানবাপী মসজিদে (Gyanvapi mosque) সমীক্ষা করে এক প্রতিনিধি দল। করা হয় ভিডিওগ্রাফিও। সেই ভিডিওগ্রাফির ফুটেজ চলে এসেছে প্রকাশ্যে। যদিও মাধ্যম ওই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি।

    জ্ঞানবাপী-কাশী বিশ্বনাথ মন্দির মামলা আদালতের বিচারাধীন। হিন্দুত্ববাদীদের দাবি, মুঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেবের (Mughal emperor Aurangzeb) আমলে তাঁরই নির্দেশে বিশ্বেশ্বরের মন্দির ভেঙে গড়ে তোলা হয় জ্ঞানবাপী মসজিদ। সম্প্রতি পাঁচ মহিলা আদালতের কাছে আবেদন করেছিলেন জ্ঞানবাপী মসজিদের পশ্চিম দিকের দেওয়ালের কাছে শৃঙ্গার গৌরীর (Shringar Gauri) পুজো করার। এর পরেই আদালতের নির্দেশে মসজিদ চত্বরে হয় ভিডিওগ্রাফি। সেই ভিডিওগ্রাফির ফুটেজই প্রকাশ্যে এসেছে।

    আরও পড়ুন : জ্ঞানবাপী মসজিদে পাওয়া ‘শিবলিঙ্গ’ বিশ্বেশ্বরের! দাবি কাশীর প্রধান মহন্তর

    চলতি মাসের প্রথম দিকে হিন্দু আবেদনকারীরা দাবি করেছিলেন, মসজিদ চত্বরের ওজুখানার জলাধারে একটি শিবলিঙ্গ পাওয়া গিয়েছে। যদিও মসজিদ কমিটির দাবি, কাঠামোটি আদতে একটি পুরনো ফোয়ারা। হিন্দু আবেদনকারীদের তরফে এক মহিলা সংবাদমাধ্যমকে বলেন, মহিলাদের প্রবেশাধিকার না থাকায় আমাদের মসজিদের ভিতরে যেতে দেওয়া হয়নি। এখন আমরা প্রথমবার ভিডিওটি দেখছি। এটি একটি মন্দির। যদিও মুসলিম পক্ষের আইনজীবী রইস আহমেদের যুক্তি, মসজিদ চত্বরে কোনও দেবতা নেই।

    আরও পড়ুন : জ্ঞানবাপী মসজিদ আগে মন্দিরই ছিল! বলছে ১৯৩৬ সালের নথি

    তবে সমীক্ষার সময় তৈরি ওই ভিডিও ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, ওজুখানার জলাধারের জল কমানোর পর শিবলিঙ্গের আকৃতির মতো কিছু একটি দেখা যাচ্ছে। সেই আকৃতি দেখার পর ভিডিওটি করা হয়। সেটির মাপজোকও করা হয়। কমিশনের রিপোর্টে যা যা বলা হয়েছে, সেসবই ভিডিওতে দেখা গিয়েছে। ভিডিওতে শিবলিঙ্গের ওপর সিমেন্ট দেখা যাচ্ছে, যা ভাঙার চেষ্টা করা হয়েছে। দেখে মনে হচ্ছে, শিবলিঙ্গের ক্ষতি করার চেষ্টা হয়েছিল। শিবলিঙ্গের মাঝখানে ছিদ্র করার চেষ্টাও হয়েছে।

    হিন্দুত্বাবাদীদের দাবি, তাঁদের আরাধ্য দেবতার ক্ষতি করার চেষ্টা হয়েছে। নন্দীর মূর্তির ঠিক সামনে মসজিদ এলাকায় টিনের শেডের নীচে রয়েছে জলাধার। এখানেই রয়েছে শিবলিঙ্গের আকৃতির মতো কিছু একটা। এখানেই ওজু করতেন নমাজ পড়তে আসা মুসলমানরা। একই সঙ্গে মসজিদের পশ্চিম দিকের দেওয়ালের ছবিও ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে। যার ওপর এমন অনেক কারুকার্য রয়েছে, যা দেখে দাবি করা হচ্ছে যে সেখানে মন্দির ছিল। ত্রিশূল ছাড়াও দেওয়ালে স্বস্তিকের চিহ্ন রয়েছে। এই ভিডিও প্রকাশ না করার জন্য মসজিদ কমিটির তরফে আবেদন জানানো হয়েছে। তবে ইতিমধ্যেই সংবাদমাধ্যমের হাতে চলে এসেছে ভিডিওটি।

     

  • J P Nadda: কাশী-মথুরা নিয়ে কী ভাবছে বিজেপি? স্পষ্ট করলেন নাড্ডা

    J P Nadda: কাশী-মথুরা নিয়ে কী ভাবছে বিজেপি? স্পষ্ট করলেন নাড্ডা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কাশী (Kashi) ও মথুরার (Mathura) বিষয়ে বিজেপির (BJP) কোনও রেজোলিউশন নেই। সিদ্ধান্ত নেবে আদালত ও সংবিধান (constitution)। নরেন্দ্র মোদি (Modi) সরকারের অষ্টম বর্ষপূর্তির প্রাক্কালে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে একথা বলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা (JP Nadda)। তিনি বলেন, দল সর্বদা সাংস্কৃতিক উন্নয়নের কথা বলেছে এবং আদালতের নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করবে।

    জ্ঞানবাপী মসজিদকাশী বিশ্বনাথ মন্দির বিতর্কে (Kashi Vishwanath Temple-Gyanvapi mosque dispute) সরগরম গোটা দেশ। এরই মধ্যে দেশের বিভিন্ন জায়গায় মন্দির ভেঙে মসজিদ গড়া হয়েছে বলে দাবি উঠেছে। ১ হাজার ৮৬২টি ‘অবৈধ’ মসজিদের তালিকাও প্রকাশ করেছে হিন্দুত্ববাদী একটি সংগঠন। তাদের দাবি, এই মসজিদগুলি নির্মাণ করা হয়েছিল মন্দির ভেঙে। এই তালিকায় রয়েছে কাশী মথুরার একাধিক মসজিদের নামও।

    আরও পড়ুন : মোদিময় জাপান! প্রধানমন্ত্রীকে দেখেই উঠল ‘মোদি মোদি’, ‘ভারত মাতা কি জয়’ স্লোগান

    এদিন বিজেপি সভাপতি বলেন, আমরা সব সময় সাংস্কৃতিক উন্নয়নের কথা বলে আসছি। কিন্তু এসব বিষয় (মন্দির-মসজিদ) সংবিধান ও আদালতের রায় অনুযায়ী মোকাবিলা করা হয়। সুতরাং, আদালত এবং সংবিধান এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে। বিজেপি সেই সিদ্ধান্ত অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলবে।

    আরও পড়ুন : “গত ৮ বছরে এমন কিছুতে লিপ্ত হইনি যাতে লজ্জায় মাথা নোয়াতে হয়”, গুজরাতে মোদি

    কাশী এবং মথুরার মন্দিরগুলি পুনরুদ্ধার করা বিজেপির অ্যাজেন্ডায় ছিল কিনা, সে প্রশ্নের জবাবে নাড্ডা বলেন, রাম জন্মভূমি (Ram Janmabhoomi) ইস্যুটি পালমপুরে পার্টির জাতীয় কার্যনির্বাহী সংসদে পাস হওয়া প্রস্তাবের অংশ ছিল। কিন্তু এর পরে আর কোনও রেজুলেশন হয়নি। নাড্ডা বলেন, বিজেপি একটি শক্তিশালী জাতি গঠনে সকলকে সঙ্গে নিয়ে চলতে প্রস্তুত। তিনি বলেন, আমরা যখন রাজনৈতিকভাবে কাজ করি, তখন সকলকে সঙ্গে নিয়ে চলার চেষ্টা করি। বিজেপি সভাপতি বলেন, মোদি সরকার ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ, সবকা প্রয়াস’ নীতি অনুসরণ করে।

    অভিন্ন দেওয়ানি বিধি (Uniform Civil Code) নিয়ে উত্তরাখণ্ড সরকারের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন নাড্ডা। বলেন, এটা ঠিকই আছে। তারা (উত্তরাখণ্ড) এটা নিয়ে আলোচনা করছে। আমরা তো বলেই আসছি সকলের সঙ্গে সমান আচরণ করা উচিত। আমাদের সরকারের মূল কথাই হল সকলকে ন্যায়বিচারের সুবিধা প্রদান করা। এটাই আমাদের মৌলিক নীতি। এই নীতি মেনেই কাজ করছি আমরা।

    মোদি সরকারের ভূয়সী প্রশংসাও শোনা যায় নাড্ডার মুখে। বিজেপি সভাপতি বলেন, মোদি সরকার ভারতের রাজনৈতিক সংস্কৃতি পরিবর্তন করেছে এবং একটি প্রতিক্রিয়াশীল, দায়িত্বশীল এবং সক্রিয় সরকারের সূচনা করেছে। তিনি বলেন, সেবা, সুশাসন এবং গরিব কল্যাণ হল মোদি সরকারের আত্মা।

    নাড্ডার মতে, অতিমারী এবং ইউক্রেন যুদ্ধ দুইই সমস্যা সৃষ্টি করেছিল। কিন্তু মোদি সরকার (Modi Sarkar) বৃদ্ধির হার অক্ষুণ্ণ রাখতে পেরেছিল। বেকারত্ব সমস্যার সমাধানেও যত্ন নিয়েছিল। এদিন বিজেপি ‘মোদি সরকার নয়া ভারতের স্থপতি’ শিরোনামে একটি থিম সং প্রকাশ করেছে। নমো অ্যাপের (NaMo app) একটি নতুন মডিউলও চালু করা হয়েছে এদিন। 

     

  • Supreme Court: গুরুতর অপরাধের ক্ষেত্রে নাবালকের বিচার হবে প্রাপ্তবয়স্কের মতো? কী বলল শীর্ষ আদালত

    Supreme Court: গুরুতর অপরাধের ক্ষেত্রে নাবালকের বিচার হবে প্রাপ্তবয়স্কের মতো? কী বলল শীর্ষ আদালত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হত্যার মতো জঘন্য অপরাধে অভিযুক্ত ১৬ থেকে ১৮ বছর বয়সী কোনও কিশোর বা কিশোরীর বিচার প্রাপ্তবয়স্কদের মতো করা যেতে পারে কিনা তা নিয়ে মতামত জানালো দেশের শীর্ষ আদালত। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া খুবই ‘সূক্ষ্ম কাজ’বলে অভিমত সুপ্রিম কোর্টের। এ বিষয়ে মনস্তাত্ত্বিক তদন্তেরও প্রয়োজন রয়েছে বলে জানায় আদালত। দেশে জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ড (juvenile justice boards) এবং শিশু আদালত (children’s courts) নিয়ে একটি মামলা চলাকালীন একথা জানায় শীর্ষ আদালত (Supreme Court)। 

    ২০১৫ সালে জুভেনাইল জাস্টিস (শিশুদের যত্ন ও সুরক্ষা) আইনের ১৫ নম্বর ধারায় গুরুতর অপরাধের সাথে জড়িত ১৬ থেকে ১৮ বছর বয়সী কিশোর কিশোরীদের মানসিক এবং শারীরিক ক্ষমতা সম্পর্কে একটি ‘প্রাথমিক মূল্যায়ন’ করতে বলা হয়। এই মূল্যায়নের দ্বারা বোঝা যাবে কোন পরিস্থিতিতে, কোন সময়ে ওই কিশোর অপরাধ করেছে। অপরাধ করার সময় তার মানসিক স্থিতি কেমন ছিল তা-ও পরীক্ষা করে দেখা হবে। এই পরীক্ষা বা মূল্যায়নের ভিত্তিতেই কিশোরের অপরাধের পরিণতি বোঝা যাবে, বলে জানায় বিচারপতি দীনেশ মহেশ্বরী এবং বিক্রম নাথের বেঞ্চ (Dinesh Maheshwari and Vikram Nath)।

    জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ড যদি মনে করে যে কিশোরকে প্রাপ্তবয়স্ক হিসাবে বিবেচনা করা উচিত হবে না, তাহলে মামলাটি শিশু আদালতে প্রেরণ করা হবে না। মামলাটি জাস্টিস বোর্ডই শুনবে। সেক্ষেত্র শিশুটি দোষী সাব্যস্ত হলে তাকে তিন বছরের জন্য কিশোর পরিচর্যায় (Juvenile care) পাঠানো হবে। অন্যদিকে, বোর্ড যদি প্রাপ্তবয়স্ক হিসাবে বিচারের জন্য শিশু আদালতে মামলাটি রেফার করার সিদ্ধান্ত নেয়, তবে কিশোর বা কিশোরী দোষী হলে, তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডও ভোগ করতে হতে পারে।

    শীর্ষ আদালতের কথায়, কিশোর বা কিশোরীর মানসিক স্থিতি বোঝার জন্য কোনও নির্দিষ্ট কাঠামো বা নির্দেশিকা নেই যা মেনে বিচার প্রক্রিয়া চালানো হবে। এব্যাপারে কেন্দ্র (Centre) এবং ন্যাশনাল কমিশন ফর প্রোটেকশন অফ চাইল্ড রাইটস (National Commission for Protection of Child Rights) এবং স্টেট কমিশন ফর প্রোটেকশন অফ চাইল্ড রাইটসকে (State Commission for Protection of Child Rights) এই বিষয়ে নির্দেশিকা জারি করার কথা বলা হয়েছে। আদালত বলেছে যে বোর্ড শিশুর মূল্যায়ন করবে, সেখানে  অন্তত একজন  অভিজ্ঞ শিশু মনোবিজ্ঞানী থাকা উচিত। 

  • Om Prakash Chauata: ৮৭ বছরে হাজতবাস! তিহাড় জেলের সবচেয়ে বর্ষীয়ান বন্দি ওম প্রকাশ চৌটালা

    Om Prakash Chauata: ৮৭ বছরে হাজতবাস! তিহাড় জেলের সবচেয়ে বর্ষীয়ান বন্দি ওম প্রকাশ চৌটালা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিহাড় জেলের (Tihar Jail) ১৯,৫৮৪ বন্দির মধ্যে সবচেয়ে প্রবীণ হরিয়ানার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী (Former Haryana Chief Minister) ওম প্রকাশ চৌটালা (Om Prakash Chautala)। বয়স ৮৭ বছর। আয় বহির্ভূত সম্পত্তির (dispropotionate assets) মামলায় ওম প্রকাশ চৌটালাকে চার বছরের হাজতবাসের সাজা শুনিয়েছে বিশেষ সিবিআই (CBI) আদালত। সঙ্গে ৫০ লক্ষ টাকার জরিমানাও দিতে হবে তাঁকে।  

    এক পুলিশ আধিকারিক জানান, চৌটালাকে আরও দুই বন্দির সঙ্গে রাখা হবে ২ নম্বর জেলের একটি সেলে। জেলের রেকর্ড অনুযায়ী, ৮০ বছরের ওপরে মোট ৭ জন বন্দি আছে তিহার জেলে, যাদের মধ্যে চৌটালাই সবচেয়ে বয়স্ক। ৭০ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে রয়েছে ৬৩ জন বন্দি। চৌটালা জেলে আসার আগে ৮৫ বছরের এক খুনের অপরাধী ওই জেলে সচেয়ে বয়স্ক ছিল।

    ৭০ বছরের ওপরের সব বন্দির জন্যেই বয়সের কথা মাথায় রেখে একটি করে বিছানা বরাদ্দ করা হয়। চৌটালার জন্যেও করা হয়েছে। বয়স্ক বন্দিদের জেলে কোনও কাজও করানো হয় না। জেলের এক আধিকারিকের কথায়, “বয়স্কদের শোয়ার জন্যে বিছানার ব্যবস্থা করা হয়। চৌটালাও তা পাবেন। বয়স্ক বন্দিদের খেয়াল রাখার জন্যে তাঁদের সঙ্গে একজন করে থাকে। বিশেষত যেসব বন্দিদের ব্যবহার ভালো এবং বয়স্কদের খেয়াল রাখতে চায়, তাঁদের এই কাজে বহাল করা হয়।”

    আধিকারিক আরও জানান, “এই বন্দিরা বয়স্কদের কাপড় ধোয়া এবং যাবতীয় কাজ করে। এমনকি তাঁদের স্বাস্থ্যেরও খেয়াল রাখে। ডাক্তারদের পরামর্শে বয়স্ক বন্দিদের জন্যে বিশেষ খাবারেরও ব্যবস্থা করা হয়। নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়।”

    এই সব সুযোগই পাবেন ওম প্রকাশ চৌটালা। জেলে নিজের জামাকাপড়ও কাচতে হবে না চৌটালাকে। তাঁর দৈনন্দিন কাজগুলি করে দেবে অন্য কেউ। এরই পাশাপাশি নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষাও হবে তাঁর।

    ২১ মে আয়-বহির্ভূত সম্পত্তির মামলায় হরিয়ানার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে দোষী সাব্যস্ত করে দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউর বিশেষ আদালত। আদালত জানায়, আয়ের চাইতে প্রায় একশো তিন গুণ সম্পত্তি রয়েছে চৌটালার। যা অঙ্কের সহজ হিসেবে কোনওভাবেই মিলছে না। আদালত আরও বলে যে, নিজের সাফাইয়ে ১৯৯৩ সাল থেকে ২০০৬ সালের মধ্যে কীভাবে বিপুল সম্পত্তি জমা করেছেন তিনি, তার স্পষ্ট কোনও জবাব নেই।

    ২০০৫ সালে চৌটালার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে সিবিআই (CBI)। এরপর ২০১০ সালে ২৬ মার্চ তাঁর বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। চার্জশিটে উল্লেখ করা হয় যে, ১৯৯৩ সাল থেকে ২০০৬ সালের মধ্যে আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন সম্পত্তি হয়েছে চৌটালার।

     

     

LinkedIn
Share