Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Sidhu Jail Diet Chart: জেল না স্পা? সিধুর ‘ডায়েট চার্টে’ চক্ষু চড়ক গাছ নেটিজেনদের

    Sidhu Jail Diet Chart: জেল না স্পা? সিধুর ‘ডায়েট চার্টে’ চক্ষু চড়ক গাছ নেটিজেনদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জেল মানেই আমাদের চোখের সামনে ভেসে ওঠে একটা অন্ধকার ঘর, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ, শুধু পেট ভরানোর জন্যে দুবেলা অত্যন্ত নিম্নমানের খাবার। এক কথায় নরকের জীবন। বাস্তবে তাই হয়ে থাকে। কিন্তু সবার ক্ষেত্রে কিন্ত এক নিয়ম চলে না। জেলে বসেও কেউ কেউ থাকতে পারেন রাজার হালে। যেমন নভজ্যোত সিং সিধু (Navjot Singh Sidhu)। জেলে বসেও প্রাক্তন সাংসদ পাচ্ছেন রোজমেরি চা, চিয়া সিডস, ফলের রস, ল্যাকটোজ ছাড়া দুধ, অ্যাভোকাডো। ভিআইপি বন্দির ডায়েট চার্ট দেখলে জেলে রয়েছেন না ফাইভ স্টার কোনও হোটেলে আছেন বোঝা দুষ্কর।  

    আরও পড়ুন: অনিচ্ছাকৃত খুনের দায়ে এক বছরের জেল সিধুর 

    সম্প্রতি ৩৪ বছরের পুরনো একটি পথ হিংসার মামলায় এক বছরের জেলের সাজা পেয়েছেন পাঞ্জাব কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি ও প্রাক্তন ক্রিকেটার নভজ্যোত সিং সিধু। রায় ঘোষণার পরেই সিধুকে আত্মসমর্পনের নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। অসুস্থতার কথা জানিয়ে কোর্টের কাছে কয়েক সপ্তাহ সময় চেয়েছিলেন প্রাক্তন সাংসদ। কিন্তু আদালত সেই আর্জি খারিজ করে দেয় এবং সিধুর শারীরিক অবস্থার কথা মাথায় রেখে পাতিয়ালা জেল কর্তৃপক্ষকে তাঁর জন্যে ‘স্পেশ্যাল ডায়েট’ -এর ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেয়। এখন এই ‘স্পেশ্যাল ডায়েট’- নিয়েই আলোচনায় মেতেছে বিভিন্ন মহল। 

    আরও পড়ুন: সশ্রম কারাদণ্ডের একবছর জেলে কী কাজ করবেন নভজ্যোত সিং সিধু জানেন?
     
    কী কী রয়েছে সিধুর বিশেষ ডায়েটে? 

    একদম সকালে সিধু পাবেন রোজ়মেরি চা, ডাবের জল বা চালকুমড়োর জুস। প্রাতরাশে ল্যাকটোজ ছাড়া দুধ, এক চামচ ফ্ল্যাক্স সিড, সানফ্লাওয়ার, মেলন বা চিয়া সিড, পাঁচ-ছটা আমন্ড, একটা আখরোট, দুটো পেকান নাট। কিছুটা সময় পরে, যাকে আমরা ‘প্রি-লাঞ্চ’ বলি, সেই সময় বিটের রস, বা তুলসী-পুদিনা কিংবা সেলেরি পাতার জুস দেওয়া হবে। এক-একদিন এক একরকম করে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে একটি ফল দেওয়া হবে। সেই তালিকায় রয়েছে অ্যাভোকাডো, কিউই- র মতো দামি দামি সব ফল। দুপুরে সিধুকে দেওয়া হবে রুটি, তরকারি, রায়তা, শসা, লেটুস, লেবু দিয়ে স্যালাড ও এক গ্লাস লস্যি। সন্ধ্যায় ফের ল্যাকটোজ ছাড়া দুধের চা, সঙ্গে পনীর বা টফু। রাতে বিভিন্ন সবজি দিয়ে স্যুপ এবং অল্প তেলে হাল্কা ভাজা সবজি। ঘুমোতে যাওয়ার আগে তাঁকে দেওয়া হবে চ্যামোমাইল চা এবং গরম জলে সাইলিয়াম হাস্ক। এছাড়াও রয়েছে বিকল্প খাবারের লম্বা এক তালিকা।

    এছাড়া কী কী খাওয়া যাবে না রয়েছে তারও লম্বা তালিকা। স্যাচুরেটেড ফ্যাট, প্রসেসড ফুড নৈব নৈব চ। রান্না করতে হবে অলিভ অয়েল বা কোল্ড প্রেসড ভোজ্য তেলে। স্যালাডে দেওয়া যাবে না সাধারণ সাদা লবন। সিধুর জন্যে জেল কর্তৃপক্ষের এই এলাহি ব্যবস্থা দেখে চোখ কপালে উঠেছে অনেকেরই। অনেকেই মশকরা করে বলেছেন এটা জেল না স্পা তাঁরা বুঝতে পারছেন না।
     

     

     

      

  • Karnataka Idols Vandalized: এবার কর্নাটকের মিনি তিরুপতি মন্দিরে মূর্তি ভাঙচুর!

    Karnataka Idols Vandalized: এবার কর্নাটকের মিনি তিরুপতি মন্দিরে মূর্তি ভাঙচুর!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাতের অন্ধকারে মূর্তি ভাঙচুর (idol smashed)। কর্নাটকের (Karnataka) হাসান জেলার আরাসিকেরে জেলার একটি মন্দিরের (temple) ঘটনা। অভিযোগ পেয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

    আরাসিকেরে শহর থেকে দু’কিলোমিটার দূরে মালেকাল্লু তিরুপতি (Tirupati) পাহাড়ের ওপর রয়েছে ওই মন্দির। ৩০০ বছরের পুরনো এই পবিত্র স্থানটি এলাকাবাসীর কাছে চিক্কা তিরুপতি (Mini Tirupati) নামে পরিচিত। আশপাশের এলাকার বাসিন্দাদের কাছে এই স্থানটি অত্যন্ত শ্রদ্ধার।

    আরও পড়ুন : কাশীর বিন্দুমাধব মন্দিরও হয়েছে মসজিদ! পুনর্নির্মাণের দাবি চেয়ে মামলা

    পুলিশ জানিয়েছে, চার দুষ্কৃতী মূর্তিটি ভাঙচুর করেছে। প্রতিষ্ঠার জন্য সবে তৈরি হয়েছিল মূর্তিটি। রড-সহ বেশ কিছু ধাতব পদার্থ দিয়ে মূর্তিটি ভাঙচুর করে দুষ্কৃতীরা। পরিস্থিতির গুরুত্ব বিবেচনা করে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন জেলা পুলিশ সুপার আর শ্রীনিবাস গোয়াদা। পুলিশ কুকুর নিয়ে গিয়ে তল্লাশি চালানো হয়েছে। সংগ্রহ করা হয়েছে আঙুলের ছাপ।

    খবর ছড়িয়ে পড়তেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন হিন্দুত্ববাদীরা। কয়েকশো জনতা ভিড় করে মন্দির চত্বরে। কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে এলাকা। দুষ্কৃতীদের ধরতে শুরু হয়েছে তদন্ত।  কে বা কারা মূর্তিটি ভেঙেছে, তা জানা না গেলেও, এব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ বেশ কয়েকটি সূত্র পেয়েছে পুলিশ। অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজন দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন : তাজমহলের বন্ধ ঘরে আছে বহু হিন্দু দেবদেবীর মূর্তি? আদালতে তালা খোলার আবেদন

    পুলিশ আরও জানিয়েছে, সোমবার মন্দির চত্বরে আসা দুষ্কৃতীরা প্রথমে মন্দিরের পবিত্র জলাশয়ে স্নান করে। আপত্তি করা হলেও তারা শোনেনি। পরে তারা সেখানে ধূমপান করে। মন্দিরে কর্মরত শ্রমিকদের হুমকি দিয়ে তাড়িয়েও দেয়। তার পরেই ভেঙে ফেলা হয় মূর্তিগুলো।

    মন্দির-মসজিদ বিতর্কে (Temple Mosque controversy) সরগরম গোটা দেশ। হিন্দুত্ববাদী (Hindutva) বিভিন্ন সংগঠনের দাবি, মুঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেবের (Aurangzeb) আমলে দেশের একাধিক মন্দির ভেঙে তৈরি করা হয়েছিল মসজিদ। হিন্দুত্ববাদী একটি সংগঠন এরকমভাবে গড়ে ওঠা প্রায় ১৮০০ মসজিদের তালিকা তৈরি করেছে। তারা এই মসজিদগুলিকে অবৈধ তকমা দিয়েছে। এহেন পরিস্থিতিতে হিন্দুদের এক বিগ্রহের মূর্তি ভাঙায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়।

    গত বছর দুর্গাপুজোর সময় বাংলাদেশের কয়েকটি প্যান্ডেলে গিয়ে দেবী দুর্গার মূর্তি ভেঙে দেয় দুষ্কৃতীরা। তা নিয়ে হইচই হয় বিস্তর। এ দেশের পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকের একটি পুজো প্যান্ডেলেও হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। সেখানেও ভাঙচুর চালানো হয় দুর্গা মূর্তি। মূর্তি ভাঙচুরের সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি দেখা গেল কর্নাটকের ওই মন্দিরেও।

  • Prophet Row: নূপুর শর্মাকে খুনের হুমকি! গ্রেফতার আজমের দরগার এক ধর্মগুরু

    Prophet Row: নূপুর শর্মাকে খুনের হুমকি! গ্রেফতার আজমের দরগার এক ধর্মগুরু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাসপেন্ডেড বিজেপি (BJP) নেত্রী নূপুর শর্মার (Nupur Sharma) বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য তাঁকে খুন করার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ ওঠে আজমের দরগার ধর্মগুরু গওহর চিস্তির বিরুদ্ধে। তাঁকে বৃহস্পতিবার তেলঙ্গানার হায়দ্রাবাদ থেকে গ্রেফতার করা হয়।

    আরও পড়ুন: হিন্দু দেবদেবীর অস্তিত্ব নিয়ে প্রশ্ন! দুঃখিত আজমের শরিফের ধর্মগুরু আদিল চিস্তি

    উদয়পুরে কানহাইয়া লালকে নৃশংসভাবে খুন করার ঘটনা নাড়িয়ে দিয়েছে গোটা দেশকে। এদিকে তাৎপর্যপূর্ণভাবে উদয়পুরের ঘটনার পরে সামনে আসে রাজস্থানের দরগা আজমের শরিফের (Ajmer dargah) কথা। শান্তি ও সৌভ্রাতৃত্বের প্রতীক বলে পরিচিত আজমের শরিফ। সূত্রের খবর ওই দরগার এক ধর্মগুরু সাসপেন্ডেড বিজেপি নেত্রী নূপুর শর্মার মাথা কাটার স্লোগান তুলেছিলেন বলে অভিযোগ। ওই দরগার গওহর চিস্তি বিতর্কিত কিছু মন্তব্য করেছিলেন বলে অভিযোগ। কানহাইয়া লালকে হত্যার আগে তিনি রিয়াজের সঙ্গেও দেখা করেছিলেন বলে বিভিন্ন মহল থেকে দাবি করা হয়। 

    এএসপি (additional superintendent of police) বিকাশ সগওয়ান জানান, গওহর চিস্তির বিরুদ্ধে ২৫ জুন একটি এফআইআর দায়ের করা হয়। সেখানে বলা হয়েছিল ১৭ জুন বিতর্কিত বক্তৃতা করেন গওহর। তারপর ২৯ জুন রাজস্থান ছাড়েন তিনি। এদিন হায়দরাবাদ থেকে গওহর চিস্তি ও তাঁর সহযোগীকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁকে প্রথমে জয়পুর বিমানবন্দরে আনা হয়। সেখান থেকে আজমেরের কিষাণগঞ্জ থানায় নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। 

    আরও পড়ুন: হিন্দু ধর্ম সবচেয়ে সহনশীল, জানুন জুবের-জামিনকালে কী বলল আদালত

    পুলিশ সূত্রে খবর, এক সপ্তাহ ধরে আত্মসমর্পণের চেষ্টা করছিলেন গওহর। তবে তিনি সফল হননি। তিনি প্রথমে রাজস্থানের রাজধানী জয়পুর পরে বিহারের পূর্ণিয়া এবং শেষে হায়দ্রাবাদে ছিলেন। গওহর মাঝেমাঝেই হায়দ্রাবাদের পাহাড়ি শরিফ দরগায় যেতেন। সেই সূত্র ধরেই তাঁর খোঁজ মেলে। উদয়পুরের দর্জি কানহাইয়া লালকে ২৮ জুন নির্মমভাবে হত্যা করার পর, আজমের পুলিশ ব্যবস্থাগ্রহণ করে। বিতর্কিত স্লোগান তোলার অভিযোগে গওহর চিস্তির সঙ্গে উপস্থিত চারজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। দরগাহ থানার একজন কনস্টেবলের দায়ের করা এফআইআর অনুসারে, গওহর মানুষকে উস্কে দিয়েছিলেন। দেখা যায়, তাঁর বিদ্বেষপূর্ণ বক্তব্যের ভিডিও ও অডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করা হয়েছে।

  • Dumka School Contro: রবিবার নয় ছুটি শুক্রবার! ঝাড়খণ্ডের দুমকায় ৩৩টি সরকারি স্কুলে আজব নিয়ম

    Dumka School Contro: রবিবার নয় ছুটি শুক্রবার! ঝাড়খণ্ডের দুমকায় ৩৩টি সরকারি স্কুলে আজব নিয়ম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের সব সরকারি স্কুলেই ছুটি থাকে রবিবার। কিন্তু ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand) দুমকা (Dumka) জেলায় এমন ৩৩টি স্কুল রয়েছে যেখানে রবিবার ক্লাস হয়। ছুটি থাকে শুক্রবার। এই স্কুলগুলির নামের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয়েছে উর্দু কথাটি। এই ৩৩টি স্কুলের প্রায় সব প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ই মুসলিম অধ্যুষিত এলাকায় অবস্থিত। ঝাড়খণ্ডের জামতারা জেলার উর্দু স্কুলে রবিবারের বদলে শুক্রবার ছুটি দেওয়ার ঘটনা সামনে আসতেই তদন্ত শুরু করে একদল সাংবাদিক। দেখা যায় শুধু ওই স্কুল নয় দুমকা জেলায় উর্দু নামধারী ৩৩টি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়  রয়েছে, যাদের সাপ্তাহিক ছুটি শুক্রবার। তবে জেলার বাকি আর সব সরকারি বিদ্যালয়ে রবিবারই সাপ্তাহিক ছুটি।

    জেলা শিক্ষা সুপার (ভারপ্রাপ্ত) সঞ্জয় কুমার দাস (Sanjay Kumar Das) জানিয়েছেন, এ বিষয়ে জেলার সমস্ত ব্লকের বিইইওদের কাছে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। কী পরিস্থিতিতে স্কুলগুলির নাম পরিবর্তন করে উর্দু করা হয়েছে এবং কার নির্দেশে শুক্রবার স্কুলগুলিতে সাপ্তাহিক ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হবে। প্রতিটি ব্লক থেকে শিক্ষা আধিকারিকদের রিপোর্ট পেশ করতেও বলা হয়। ওই রিপোর্টের ভিত্তিতে তদন্ত করা হবে। তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নেওয়া হবে।

    আরও পড়ুন: ইডির জালে এনএসই প্রধান চিত্রা রামকৃষ্ণা , তলব প্রাক্তন পুলিশ কর্তাকেও

    সূত্রের খবর, কর্তৃপক্ষের কোনও নির্দেশ ছাড়াই ছুটি বদলের সিদ্ধান্ত নিতে পারে না কোনও স্কুল। ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের জেলা দুমকা। এখানকার সরকারি স্কুলেই এরকম পরিবর্তন নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। দুমকার শিখরীপাড়া ব্লকের একটি, রানিশ্বর ব্লকের আটটি, শরিয়ৎ ব্লকের সাতটি, জামা এবং জারমুন্ডি ব্লকের কটি করে স্কুল রয়েছে। সবকটি স্কুলের নামের শেষে উর্দু স্কুল কথাটি যোগ করা হয়েছে। সঞ্জয় জানান, শিক্ষা দফতরে স্কুলের ছুটির দিন পরিবর্তন বা নাম বদলের কোনও কথা জানায়নি স্কুলগুলি। এরকম কোনও নির্দেশো দেওয়া হয়নি। তাহলে কী করে, কার অনুমতিতে এই বদল তা খতিয়ে দেখবে সরকার।

    চলতি সপ্তাহের শুরুতে ঝাড়খণ্ডের শিক্ষামন্ত্রী জগরনাথ মাহাতো জানান তাঁর কাছে খবর রয়েছে, রাজ্যের বেশ কয়েকটি স্কুলে সাপ্তাহিক ছুটি রবিবারের বদলে শুক্রবার। এই খবর শুনেই তিনি শিক্ষা দফতরের আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করেন। তিনি জানান, শিক্ষা দফতরের আধিকারিকরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। এক সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। 

  • Uniform Civil Code: অভিন্ন দেওয়ানি বিধি কার্যকরে বদ্ধপরিকর ধামি! রূপরেখা তৈরিতে গঠিত বিশেষ কমিটি

    Uniform Civil Code: অভিন্ন দেওয়ানি বিধি কার্যকরে বদ্ধপরিকর ধামি! রূপরেখা তৈরিতে গঠিত বিশেষ কমিটি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরাখণ্ডে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি (Uniform Civil Code) কার্যকরের আইনি প্রক্রিয়া খতিয়ে দেখতে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme court) অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি রঞ্জনা প্রকাশ দেশাইয়ের (Ranjana Prakash Desai) নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি (Five member Committee) গড়ল সে রাজ্যের সরকার।

    উত্তরাখণ্ড (Uttarakhand) সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, সব ধর্মের মানুষের জন্য বিবাহ, বিবাহবিচ্ছেদ, জমি-সম্পত্তি এবং উত্তরাধিকার সংক্রান্ত একই আইন প্রচলনের রূপরেখা তৈরি করবে ওই কমিটি। কমিটিতে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি প্রমোদ কোহলি, সমাজকর্মী মনু গৌড়, অবসরপ্রাপ্ত আইএএস অফিসার শত্রুঘ্ন সিংহ এবং দুন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরেখা ডাঙ্গওয়াল রয়েছেন।

    উত্তরাখণ্ডের বিধানসভা ভোটে বিজেপি (BJP) জিতলেই অভিন্ন দেওয়ানি বিধি কার্যকরের প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পুস্কর সিং ধামি (Pushkar Dhami)। ভোটে জিতে ক্ষমতায় ফেরার পরে এ বার সেই প্রতিশ্রুতি রক্ষায় তৎপর তিনি। কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে ধামী জানান, ‘এই সিদ্ধান্ত দেবভূমির (উত্তরাখণ্ড) সংস্কৃতি রক্ষা করবে এবং সমস্ত ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মধ্যে সাম্য আনবে।’ 

    বিজেপির একটি সূত্র জানাচ্ছে, দেশের নাগরিকদের জন্য অভিন্ন দেওয়ানি আইন আনার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই আইন সংক্রান্ত বিলটি আগামী যেকোনও সময়ে সংসদে উত্থাপন করা হতে পারে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে। সূত্রের খবর, তার আগে পরীক্ষামূলক ভাবে উত্তরাখণ্ডে এই আইন তৈরির মহড়া শুরু হয়েছে।  এ ক্ষেত্রে ধাপে ধাপে বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলি থেকে সেই প্রক্রিয়া শুরু করতে চাইছে কেন্দ্র।

    ইতিমধ্যে বিজেপি শাসিত রাজ্য গোয়াতে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালু করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বহুদিন ধরেই কেন্দ্র অভিন্ন দেওয়ানি বিধি সচেষ্ট। এই আইন অনুযায়ী, রাজ্যের বিভিন্ন ধর্মের মানুষের জন্য একটি নির্দিষ্ট আইন কার্যকর করা হয়। এক্ষেত্রে আইন সকলের জন্য সমান আর সেই উদ্দেশ্যেই রাজ্য সরকারের দ্বারা গঠন করা হয় বিশেষ কমিটি, যাঁরা এই বিষয়টি খতিয়ে দেখে সিদ্ধান্ত নেবেন।

  • Minorities Certificate In Assam: দেশে প্রথম! আসামে সংখ্যালঘু পরিচয়পত্র পেতে চলেছে এই ৬ সম্প্রদায়?

    Minorities Certificate In Assam: দেশে প্রথম! আসামে সংখ্যালঘু পরিচয়পত্র পেতে চলেছে এই ৬ সম্প্রদায়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংখ্যালঘুদের পরিচয়পত্র (Minorities Certificate) দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল আসাম ক্যাবিনেট। মুসলিম, খ্রিস্টান, জৈন, শিখ, বৌদ্ধ ও পার্সিদের সংখ্যালঘু পরিচয়পত্র দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল আসাম সরকার (Assam government)। রবিবার রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়। মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার (Himanta Biswa Sarma) উপস্থিতিতে গৃহীত মন্ত্রিসভার এই সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেন অসমের স্বাস্থ্যমন্ত্রী কেশব মহন্ত। আসাম মন্ত্রিসভার দাবি, সংখ্যালঘুরা (minorities) যাতে সরকারি সুবিধাগুলি আরও বেশি করে পান সেকারণেই এই বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

    আসামের স্বাস্থ্যমন্ত্রী কেশব মহন্ত (Keshab Mahanta) জানিয়েছেন, ৬টি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে এই ছাড়পত্র দেওয়া হবে। তবে কীভাবে এই শংসাপত্র দেওয়া হবে তা নিয়ে এখনই সিদ্ধান্ত হয়নি। পরবর্তী সময়ে আলোচনার মাধ্যমে তা স্থির করা হবে। তিনি বলেন, এবারই প্রথম এই ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। এতদিন আমরা তফশিলি জাতি, তফশিলি উপজাতি ও অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণিকে শংসাপত্র দিতাম। তিনি জানিয়েছেন, সংখ্যালঘুদের উন্নয়ন ও তাদের বিভিন্ন প্রকল্প রূপায়ণের জন্য আমাদের পৃথক বোর্ড রয়েছে। কিন্তু কারা সংখ্যালঘু সেটা বোঝা যায় না। তাই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এবার থেকে যাঁদের শংসাপত্র থাকবে তারা সহজেই সরকারি প্রকল্পের সুবিধা নিতে পারবে।

    আরও পড়ুন: অযোধ্যার পর জেগে উঠছে কাশী, মথুরা, বিন্ধ্যবাসিনী ধাম দাবি যোগীর

    ২০১১-র জনগণনা অনুসারে, আসামের ৬১.৪৭ শতাংশ হল হিন্দু। মুসলিম ৩৪.২২ শতাংশ, খ্রিস্টান ৩.৭৪ শতাংশ। আসাম মাইনরিটি ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের চেয়ারম্যান হাবিব মহম্মদ চৌধুরী জানিয়েছেন, হিমন্ত বিশ্বশর্মার সরকারের এটি একটি ঐতিহাসিক উদ্যোগ। তবে আসাম কংগ্রেসের সভাপতি ভূপেন কুমার বোরাহের অভিযোগ, এটা বিজেপির বিভাজনের রাজনীতির নজির। বিভিন্ন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মধ্যে ধর্মীয় বিভাজনের পথ তৈরি করবে এই শংসাপত্র। যদিও আসাম সরকারের তরফে মন্ত্রী কেশব মহন্ত জানান, এমন শংসাপত্র ইস্যু করতে অসম সংখ্যালঘু উন্নয়ন পর্ষদ সরকারের কাছে আর্জি জানিয়েছিল। সেই প্রস্তাবই সরকার কার্যকর করতে চলেছে। সংখ্যালঘুদের জন্য সরকারের কল্যাণমূলক প্রকল্পগুলির বাস্তবায়নে বারবারই সমস্যা দেখা দিয়েছে। রাজ্যে কারা ধর্মীয় সংখ্যালঘু সেই প্রশ্ন সব সময় ওঠে। ফলে পরিষেবা প্রদান থমকে যায়। তাই  সংখ্যালঘুদের পরিচয়পত্র দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, এর সঙ্গে ধর্মের কোনও সম্পর্ক নেই। বিরোধীরা অযথা বিতর্ক তৈরি করছেন।

  • Gyanvapi Mosque: অশান্তির আশঙ্কা! জ্ঞানবাপী সার্ভে রিপোর্ট প্রকাশ্যে না আনার আবেদন আদালতে

    Gyanvapi Mosque: অশান্তির আশঙ্কা! জ্ঞানবাপী সার্ভে রিপোর্ট প্রকাশ্যে না আনার আবেদন আদালতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জাতীয় সুরক্ষা এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি (communal harmony) বজায় রাখা প্রয়োজন। তাই জ্ঞানবাপী মসজিদ সমীক্ষার (Gyanvapi Mosque survey) ভিডিও এবং ছবি প্রকাশ্যে না আনার দাবি জানালেন বিশ্ব বৈদিক সনাতন সংঘের (VVSS) প্রধান জিতেন্দ্র সিং বিষেণ। শুক্রবার এই মর্মে বারাণসীর (Varanasi) ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেটকে আবেদনও জানান তিনি।

    কাশী বিশ্বনাথ মন্দির (Kashi Viswanath Temple) লাগোয়া জমিতেই রয়েছে জ্ঞানবাপী মসজিদ (Gyanvapi Mosque)। হিন্দুত্ববাদী একাধিক সংগঠনের দাবি, মুঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেবের (Mughal emperor Aurangzeb) শাসনকালে বিশ্বেশ্বরের মন্দির ভেঙে মসজিদ গড়ে তোলা হয়। সম্রাটের নির্দেশেই ধ্বংস করা হয়েছিল মসজিদ। পরে রানি অহল্যবাই নতুন করে তৈরি করেন বিশ্বেশ্বরের মন্দির।

    বিশ্বনাথ মন্দির এবং জ্ঞানবাপী মসজিদ নিয়ে এই বিবাদ গড়ায় আদালত পর্যন্ত। আদালতের নির্দেশে মসজিদ চত্বরে ভিডিওগ্রাফির কাজও হয়। আদালত নিযুক্ত একজন অ্যাডভোকেট কমিশনারের উপস্থিতিতে হয় ৬ থেকে ১৬ মে-র মধ্যে হয় ভিডিওগ্রাফির কাজ।

    আরও পড়ুন : শাহি ইদগাহ মসজিদ চত্বরে স্থিতাবস্থা চেয়ে আবেদন মথুরা আদালতে

    এই সমীক্ষার কিছু ছবি প্রকাশ্যে এসেছে বলে দাবি স্থানীয় হিন্দুদের একাংশের। মসজিদের ওজুখানার জলাধারে শিবলিঙ্গের (Shivling) ছবি রয়েছে বলেও দাবি করেন কেউ কেউ। এর পরেই মসজিদ চত্বরে করা  ভিডিও এবং ছবি প্রকাশ্যে আনার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা জারির আবেদন জানান বিষেণ। জ্ঞানবাপী নিয়ে যাঁরা মামলা করেছেন, সেই আবেদনকারীদের একজন সমর্থক বিষেণও। তবুও তিনি চান না এখনই প্রকাশ্যে আসুক ভিডিও এবং ছবি। বিষেণ বলেন, এই ছবি নিয়ে দেশবিরোধী শক্তি অশান্তি পাকাবে। যার জেরে বিঘ্নিত হতে পারে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি। তিনি বলেন, কেউ যদি ওই ভিডিও এবং ছবি প্রকাশ করে তাহলে জাতীয় সুরক্ষা আইনে তার সাজা হওয়া প্রয়োজন।

    আরও পড়ুন : এবার নমাজ বন্ধের দাবি আগরা ফোর্টের ভিতরের বেগম কি মসজিদে

    এদিকে, নির্বিঘ্নেই জুম্মাবারের নমাজ পাঠ করেন ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা। ১৬ মে আদালতের নির্দেশে সিল করে দেওয়া হয় মসজিদ চত্বরে থাকা ওজুখানার জলাধার। তার পর এদিন উত্তর প্রদেশ পুলিশ এবং সিআরপিএফের (CRPF) কড়া প্রহরায় নমাজ পাঠ করেন মুসলিমরা।

    জ্ঞানবাপী মসজিদ পরিচালনা করে আঞ্জুমান ইন্তেজামিয়া মসজিদ কর্তৃপক্ষ (Anjuman Intezamia Masjid Committee)। সেই কমিটিও জনসাধারণের কাছে অনুরোধ জানায় শান্তি বজায় রাখতে। এক সঙ্গে অনেকের নমাজ পাঠও নিয়ন্ত্রণ করে তারা। যার জেরে শান্তিপূর্ণভাবেই এদিন শেষ হয়েছে জুম্মার নমাজ।

     

  • Gyanvapi Mosque: “মামলা খারিজ করা হোক”, আদালতে আরজি জ্ঞানবাপী মসজিদ কমিটির

    Gyanvapi Mosque: “মামলা খারিজ করা হোক”, আদালতে আরজি জ্ঞানবাপী মসজিদ কমিটির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক :জ্ঞানবাপী মসজিদ (Gyanvapi mosque) চত্বরে রয়েছে শৃঙ্গার গৌরীর (Shringar Gauri) মন্দির। সেখানেই পুজোর অধিকার চেয়ে বারাণসী জেলা আদালতের (Varanasi district court) দ্বারস্থ হয়েছিলেন পাঁচ মহিলা। সেই আবেদন খারিজ করে দেওয়ার আবেদন জানালেন আঞ্জুমান ইন্তেজামিয়া মসজিদ (anjuman intezamia masjid committee) কমিটি। এই কমিটিই পরিচালনা করে জ্ঞানবাপী মসজিদ।

    আরও পড়ুন : জ্ঞানবাপী মসজিদের দেওয়ালে ত্রিশূলের চিহ্ন! প্রকাশ্যে ভিডিও ফুটেজ

    পাঁচ হিন্দু মহিলার দায়ের করা মামলার রক্ষণাবেক্ষণের বিরোধিতা করে আঞ্জুমান ইন্তেজামিয়া মসজিদ কমিটির কৌঁসুলি অভয় নাথ যাদব বলেন, “আবেদনকারীরা তাঁদের ব্যক্তিগত ক্ষমতায় মামলাটি দায়ের করেছেন। কিন্তু তাঁদের পুরো আবেদনপত্র পড়ার পরে এটা স্পষ্ট যে তাঁরা সমস্ত হিন্দু এবং হিন্দু ধর্মের অনুসারীদের পক্ষে প্রার্থনা করেছেন। ব্যক্তিগত ক্ষমতায় এই ধরনের মামলা দায়ের করা যাবে না। এই ধরনের মামলা একটি সরকারি মামলা হিসাবে দায়ের করা হয়। তাছাড়া কোনও পাবলিক মামলা দায়ের করার আগে আদালতের অনুমতি প্রয়োজন। তাই আমার যুক্তি, ওই পাঁচ মহিলার মামলা খারিজ করা উচিত।”

    মসজিদ কমিটির কৌঁসুলি আরও বলেন, “মামলায় ওই পাঁচ মহিলা দীন মহম্মদের ১৯৩৬ সালের দেওয়ানি মামলার উল্লেখ করেছিলেন। তাঁরা জানিয়েছিলেন, সেই মামলায় ১২ জন সাক্ষী প্রমাণ করেছিলেন যে, সেখানে শৃঙ্গার গৌরী ও অন্য দেবতাদের পুজোর করা হয়েছিল। এবং বলেছিলেন, এটি একটি মন্দির।” 

    যাদব বলেন, “তাঁরা তাঁদের মামলাকে শক্তিশালী করতে সাক্ষীদের বক্তব্যের উল্লেখ করেছে। কিন্তু তাঁরা দীন মহম্মদের মামলায় আদালতের দেওয়া রায়ের কথা আবেদনপত্রে উল্লেখ করেননি। ওই মামলার রায় ছিল, মসজিদ, তার আঙ্গিনা এবং তার জমি হানাফি মুসলমানদের ওয়াকফ সম্পত্তি। মুসলমানদের উরস অনুশীলন করার এবং সেখানে নামাজ পড়ার মতো ধর্মীয় কার্যকলাপ করার অধিকারও রয়েছে। কিন্তু আবেদনকারীরা এই গুরুত্বপূর্ণ সত্যটি লুকিয়ে রাখেন। তিনি বলেন, আমাদের যুক্তি দেওয়া শেষ হয়নি।” এই মামলায় শুনানির পরবর্তী দিন ধার্য হয়েছে ৪ জুলাই।

    আরও পড়ুন : অশান্তির আশঙ্কা! জ্ঞানবাপী সার্ভে রিপোর্ট প্রকাশ্যে না আনার আবেদন আদালতে

    এদিকে, ৮ জুলাই পর্যন্ত জ্ঞানবাপী মসজিদ মামলার শুনানি স্থগিত করেছে বারাণসীর ফাস্ট-ট্র্যাক আদালত। মসজিদের ওজুখানার জলাধারে একটি শিবলিঙ্গ পাওয়া গিয়েছে বলে খবর ছড়ায়। সেই শিবলিঙ্গের পুজো করার অনুমতি চেয়ে জমা পড়ে পিটিশন। তারই মামলারই শুনানি হবে ৮ জুলাই।  

     

  • Indians On Marriage: অবিবাহিত থাকতেই বেশি পছন্দ করেন ভারতীয়রা! সমীক্ষায় উঠে এল নয়া তথ্য

    Indians On Marriage: অবিবাহিত থাকতেই বেশি পছন্দ করেন ভারতীয়রা! সমীক্ষায় উঠে এল নয়া তথ্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিবাহ নিয়ে ভারতীয়দের কি মতামত তা নিয়ে এক আশ্চর্যজনক তথ্য উঠে এসেছে। সরকার দ্বারা একটি সমীক্ষা থেকে জানা গিয়েছে যে, ভারতীয়রা বিয়ে করার থেকে না করাকেই বেশি মত দিয়েছেন। সমীক্ষায় এমনও ধরা পড়েছে যে, গত কয়েক বছরের থেকে বর্তমানে বিবাহিতের সংখ্যা তুলনামুলকভাবে অনেক কম। বেশিরভাগ ভারতীয়রাই এখন অবিবাহিত থাকতেই পছন্দ করছেন।

    সমীক্ষার তথ্য অনুসারে, ২০১১ সাল থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে ১৫ থেকে ২৯ বছর বয়সী ছেলে-মেয়েদের মধ্যে অবিবাহিতের সংখ্যা ১৭.২ শতাংশ থেকে বেড়ে ২৩ শতাংশে পরিত হয়েছে। ন্যাশনাল স্ট্যাটিস্টিকাল অফিসের (National Statistical Office) রিপোর্ট অনুযায়ী, ১৫ থেকে ২৯ বছর বয়সী ব্যক্তিদের মধ্যে অবিবাহিত যুবকদের সংখ্যা ২০.৮ শতাংশ থেকে ২৬.১ শতাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে ও অবিবাহিত মেয়েদের সংখ্যা ১৩.৫ শতাংশ থেকে বেড়ে ১৯.৯ শতাংশ হয়েছে।

    আরও পড়ুন: ১৫ বছরেই মেয়ের বিয়ে! মুসলিম আইন অনুযায়ী সম্মতি আদালতের

    রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে যে, ২০১৯ সালে সবচেয়ে বেশি অবিবাহিত যুবক-যুবতী দেখা গিয়েছে জম্মু ও কাশ্মীরে। এরপরেই উত্তরপ্রদেশ, দিল্লি ও পাঞ্জাবের অবস্থান। যেসব জায়গায় অবিবাহিতের সংখ্যা কম রয়েছে, সেগুলো হল- কেরালা, তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ, হিমাচলপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ।

    অবিবাহিতের সংখ্যা তো ক্রমশ কমেই চলেছে। তবে রিপোর্টে এও দেখা গিয়েছে যে, কম বসয়েই বা তাড়াতাড়ি বিয়ে করার প্রবণতাও এখন কমে এসেছে। কম বয়সে বিয়ে করার প্রবণতা অনেকটাই কমে এসেছে ভারতীয়দের মধ্যে। এছাড়াও ভারতে পুরুষরা মহিলাদের থেকে বেশি বয়সেই বিয়ে করে থাকে।

    আরও পড়ুন: ভারতে প্রথম, মেহেন্দিতে সেজে নিজেকেই বিয়ে তরুণীর ! কী কী হল অনুষ্ঠানে?

    তবে এর ফলে সমাজে এক ইতিবাচক প্রভাব দেখা গিয়েছে। কারণ ২০০৫ সাল থেকে ২০২১ সালে ১৮ বয়সের আগে বিয়ে করার সংখ্যা ৪৭ শতাংশ থেকে ২৩ শতাংশে নেমে এসেছে। ফলে কম বয়সে গর্ভবতী হওয়ার প্রবণতাও কমে এসেছে। এর হার কমে ১৬ শতাংশ থেকে ৭ শতাংশে নেমে গিয়েছে।

  • Qutub Minar Mosque: হিন্দু মন্দিরের ওপরই গড়ে তোলা হয়েছিল কুতুব মিনার! প্রমাণ এএসআই রিপোর্টে

    Qutub Minar Mosque: হিন্দু মন্দিরের ওপরই গড়ে তোলা হয়েছিল কুতুব মিনার! প্রমাণ এএসআই রিপোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিন্দু (Hindu) মন্দিরের (temple) জায়গায়ই গড়ে তোলা হয়েছিল মসজিদ (mosque)!

    কুতুবমিনার (Qutub minar) চত্বরে হিন্দু মন্দিরের প্রমাণ রয়েছে বলে দাবি প্রাক্তন এএসআই (ASI) কর্তার। প্রাক্তন এএসআই ডিরেক্টর ডঃ অমরেন্দ্র নাথ এএসআইয়ের রিপোর্টের তথ্যগুলি সত্য বলে দাবি করেন। তাঁর মতে, রিপোর্টে উল্লিখিত তথ্যগুলি সম্পূর্ণ সত্য।

    কাশী বিশ্বনাথ মন্দির-জ্ঞানবাপী মসজিদ বিতর্ক এখনও চলছে। হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের দাবি, বিশ্বেশ্বরের মন্দির (Kashi Viswanath temple) ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়ে গড়ে তোলা হয়েছিল জ্ঞানবাপী মসজিদ (Gyanvapi Mosque) মুঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেবের আমলে। তাঁরই নির্দেশে মন্দির ভেঙে মসজিদ তৈরি হয়েছিল। পরে রানি অহল্যবাই বর্তমান মন্দিরটি তৈরি করেন। ১৮০০ খিষ্টাব্দে নেপালের রানা মন্দির চত্বরে থাকা নন্দীমূর্তিটি মন্দির কর্তৃপক্ষকে উপহার দেন। মুসলমান সম্প্রদায়ের অনেকেই অবশ্য এই দাবি সমর্থন করেন না।

    আরও পড়ুন : অধ্যয়ন করা হবে কুতুব মিনারে পাওয়া হিন্দু ও জৈন মূর্তিগুলির! বিবেচনা সংস্কৃতি মন্ত্রকের

    দেশজুড়ে যখন কার্যত চায়ের ঠেকে চলছে জ্ঞানবাপী চর্চা, ঠিক তখনই বিতর্ক দানা বেঁধেছে কুতুব মিনারকে নিয়ে। ইতিহাসবিদদের একাংশের মতে, কুতুবউদ্দিন আইবক তৈরি করেছিলেন পেল্লাই মিনার। তাঁর নাম অনুসারে মিনারের নাম হয় কুতুব মিনার।

    এএসআইয়ের প্রাক্তন আঞ্চলিক পরিচালক ধরমবীর শর্মার দাবি, কুতুবউদ্দিন আইবক নন, কুতুব মিনার তৈরি করেছিলেন হিন্দু রাজা বিক্রমাদিত্য। সূর্যের গতিবিধি পর্যবেক্ষণের জন্যই তৈরি হয়েছিল মিনার। সেজন্য মিনারটি হেলে রয়েছে ২৫ ইঞ্চি।

    প্রাক্তন এএসআই ডিরেক্টর অমরেন্দ্র নাথ বলেন, ভারতের প্রত্নতাত্ত্বিক বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান স্যার আলেকজান্ডার কানিংহামের তত্ত্বাবধানে ১৮৭১-৭২ সালে জেডি বেগলার এবং এসিএল কার্লেইল এই প্রতিবেদনটি তৈরি করেছিলেন। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, একটি মন্দিরের জায়গায় একটি মসজিদ তৈরি করা হয়েছিল। কারণ মসজিদের ভিত্তি অনেক পুরনো। তারও আগে এখানে একটি মন্দির ছিল।

    আরও পড়ুন : খননকার্য এখনই নয়, কুতুব মিনার প্রসঙ্গে জানাল সংস্কৃত মন্ত্রক

    খননকার্যের সময় পাওয়া কাঠামোর বিন্যাসের বিশদ বিবরণ দিয়ে নাথ বলেন, তিনটি প্রধান স্তর দৃশ্যমান, যার মধ্যে মসজিদটি সবচেয়ে ওপরের স্তরে রয়েছে। তিনি বলেন, এটি (মসজিদ) ধ্বংসস্তূপের ওপর নির্মিত হয়েছিল। নাথের দাবি, স্মৃতিস্তম্ভের প্রাচীন লোহার স্তম্ভটি ‘গরুড় স্তম্ভ’ নামে পরিচিত ছিল। স্তম্ভটি পঞ্চম শতাব্দীর বলে মনে হয়। এই স্তম্ভে অনেক শিলালিপি আছে। সেখানে নিশ্চয়ই গরুড়ের মূর্তিও ছিল। তিনি বলেন, কালো পাথরের তৈরি বিষ্ণু ও লক্ষ্মীর মতো হিন্দু দেবতাদের মূর্তিও মেহরাউলিতে পাওয়া গেছে। সেগুলি রাখা হয়েছে জাতীয় যাদুঘরে।

     

LinkedIn
Share