Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Shahi Idgah mosque: ভগবান কৃষ্ণের জন্মস্থান, নমাজ পড়া বন্ধের দাবি উঠল মথুরার শাহি ইদগাহ মসজিদে

    Shahi Idgah mosque: ভগবান কৃষ্ণের জন্মস্থান, নমাজ পড়া বন্ধের দাবি উঠল মথুরার শাহি ইদগাহ মসজিদে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জ্ঞানবাপী (Gyanvapi mosque) নিয়ে বিতর্কের মধ্যেই মন্দিরনগরী মথুরার (Mathura) শাহি ইদগাহ (Shahi Idgah Mosque) মসজিদে নমাজ পড়া বন্ধের আর্জি জানাল আইনজীবী এবং আইন পাঠরত ছাত্রদের একাংশ। আদালতে তাঁদের আবেদন, অতি সত্বর যেন শাহি ইদগাহ মসজিদে নমাজ পড়তে আসার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। হিন্দুত্বের প্রমাণ নষ্ট করা হতে পারে এই আশঙ্কায় মসজিদ চত্বর সিল করে দেওয়ার দাবিও তোলা হয়।

    আবেদনকারীদের দাবি শাহি ইদগাহ মসজিদ আসলে কৃষ্ণের জন্মস্থান। ওই স্থানে একটি প্রাচীন মন্দির ছিল। আবেদনকারী এক আইনজীবী শৈলেন্দ্র সিংহ বলেন, ‘‘মসজিদের এই কাঠামো একটি হিন্দু মন্দিরের অবশিষ্টাংশের উপর তৈরি হয়েছে। এটি একটি মন্দির এবং এই কাঠামোর উপর মসজিদ হওয়ার কোনও যোগ্যতা নেই।’’হিন্দুত্ববাদী ওই সংগঠনের দাবি, ইদগাহের ১৩.৩৭ একর জমি মন্দিরের।

    হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলি অনেক দিন ধরেই  দাবি জানিয়ে আসছে, মুঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেব কৃষ্ণ মন্দিরের একাংশ ধ্বংস করে সেখানে তৈরি করেছিলেন ওই মসজিদ। ফলে ওই মসজিদ সরিয়ে দিতে হবে। এর আগেও বিভিন্ন হিন্দুত্ববাদী সংগঠন মথুরার আদালতে মসজিদ সরিয়ে দেওয়ার দাবি জানিয়ে ১০টি পিটিশন দাখিল করেছিল। এই মসজিদ লাগোয়া কৃষ্ণের একটি মন্দিরও রয়েছে। মন্দিরের নাম কাটরা কেশব দেব মন্দির।

    শুধু নমাজ বন্ধ নয়, মঙ্গলবার হিন্দুত্ববাদীদের পক্ষ থেকে মথুরা আদালতে আবেদন জানানো হয়েছে, জ্ঞানবাপী মসজিদের মতোই শাহী ঈদগাহেও রয়েছে ‘হিন্দুত্বের প্রমাণ’। সেগুলোর সমীক্ষা এবং ভিডিওগ্রাফির দাবিতে ইতোমধ্যেই একটি মামলাও দায়ের করা হয়েছে ইলাহাবাদ হাইকোর্টে। সেই মামলার রায় ঘোষণার আগেই ঈদগাহ থেকে ‘হিন্দুত্বের প্রমাণ’ নষ্ট করা হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়। তাই অবিলম্বে পুরো চত্বরটি সিল করারও আবেদন জানানো হয়েছে আদালতে। আবেদনকারী পক্ষের আইনজীবী মহেন্দ্রপ্রতাপ সিংহ বলেন, “কাশীর তথাকথিত জ্ঞানবাপী মসজিদ চত্বরে সমীক্ষা এবং ভিডিওগ্রাফির প্রাথমিক রিপোর্ট দেখার পরে সোমবার আদালত ‘মা শৃঙ্গার গৌরিস্থল’ (মসজিদের ওজুখানা এবং তহখানা এলাকা) সিল করার নির্দেশ দিয়েছে। সেখানে প্রাচীন শিবলিঙ্গের সন্ধান মিলেছে। আমাদের আশঙ্কা, মথুরার শাহী ঈদগাহ থেকে এবার এমন ঐতিহাসিক প্রমাণগুলো নষ্ট করে ফেলার চেষ্টা হবে। “এই মামলায় পরবর্তী শুনানি জুলাই মাসের ১ তারিখ।

  • Hyderabad Killing: “সংবিধান ও ইসলামের বিচারে জঘন্য হত্যা”, হিন্দু যুবক খুনের তীব্র নিন্দা ওয়াইসির

    Hyderabad Killing: “সংবিধান ও ইসলামের বিচারে জঘন্য হত্যা”, হিন্দু যুবক খুনের তীব্র নিন্দা ওয়াইসির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হায়দরাবাদে মুসলিম স্ত্রীর ভাইয়ের হাতে হিন্দু দলিত যুবকের হত্যার ঘটনাকে অত্যন্ত নিন্দনীয় ও ইসলাম অনুযায়ী ‘জঘন্য অপরাধ’ বলে উল্লেখ করলেন সারা ভারত মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল-মুসলিমিন (AIMIM)-র প্রেসিডেন্ট আসাদউদ্দিন ওয়াইসি। তাঁর মতে, ভাইয়ের অধিকার নেই দলিত ওই যুবককে খুন করার। ঘটনাটিকে তিনি ‘ক্রিমিনাল অ্যাক্ট’ বলে অভিহিত করেছেন।

    ভিনধর্মে বিয়ে করায় নৃশংস ভাবে হিন্দু যুবককে খুন করা হয় হায়দরাবাদে। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই তোলপাড় হায়দরাবাদ সহ গোটা তেলাঙ্গানা। ভালবেসে মুসলিম সহপাঠীকে বিয়ে করেছিলেন তেলেঙ্গানার সারুরনগর এলাকার হিন্দু দলিত যুবক বিল্লাপুরাম নাগরাজু। বিয়ে হয়েছিল দুই পরিবারের অমতে।

    এলাকার এক মন্দিরে গিয়ে বিয়ে করেছিলেন বছর ছাব্বিশের বিল্লাপুরাম ও তাঁর বান্ধবী আসরিন সুলতানা। বিয়ের পরে পরেই এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গিয়ে গা ঢাকা দেন নাগরাজু ও তাঁর স্ত্রী। পাছে হিন্দু স্বামীর কোনও ক্ষতি তাঁর আত্মীয়রা যাতে না করতে পারেন, তাই নাম বদলে সুলতানা হয়ে যান পল্লবী।

    আরও পড়ুন: ভিনধর্মের যুবতীকে বিয়ে, প্রাণ গেল দলিত যুবকের, ধৃত স্ত্রীর ভাই সহ ২

    সম্প্রতি এলাকায় ফেরেন ওই দম্পতি। গাড়ির শোরুমের সেলসম্যানের কাজে যোগ দেন নাগরাজু। এর পরেই রাতের অন্ধকারে বাইকে চড়ে এসে তাঁকে নৃসংশভাবে কুপিয়ে খুন করে দুষ্কৃতীরা। ওই ঘটনায় সুলতানার ভাই সহ দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

    এই ঘটনারই কড়া সমালোচনা করেছেন মিম প্রধান। শুক্রবার সারুরনগরের ঘটনাকে তিনি ‘ক্রিমিনাল অ্যাক্ট’ বলে অভিহিত করেন। শুক্রবার তেলেঙ্গানার এক জনসভা ওয়াইসি বলেন, আমরা সারুরনগরের ঘটনার তীব্র নিন্দা করি। মেয়েটি স্বেচ্ছায় হিন্দু ছেলেটিকে বিয়ে করেছিল। ভাইয়ের কোনও অধিকার নেই বোনের স্বামীকে খুন করার। সংবিধানের বিচারে এটা ক্রিমিনাল অ্যাক্ট। আর ইসলামের বিচারে কদর্য অপরাধ। তিনি বলেন, আমরা খুনিদের পাশে দাঁড়াব না।

    এদিকে, নাগরাজু খুন হওয়ার দু’দিন পরে খুনের ঘটনার রিপোর্ট তলব করল জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। এদিন রাজ্যের মুখ্যসচিব ও তেলাঙ্গানার পুলিশ প্রধানকে চার সপ্তাহের মধ্যে বিস্তারিত রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

     

  • Gyanvapi Mosque: জ্ঞানবাপী মসজিদের ওজুখানার জলাধার সুরক্ষিত করার নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

    Gyanvapi Mosque: জ্ঞানবাপী মসজিদের ওজুখানার জলাধার সুরক্ষিত করার নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কাশীর জ্ঞানবাপী মসজিদের (Gyanvapi Mosque) ওজুখানার জলাধারে  নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে জেলাশাসককে নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট (supreme court)। ওই জলাধারে শিবলিঙ্গ (Shivling) মিলেছে বলে দাবি। সেই কারণেই জলাধারে নিরাপত্তার ব্যবস্থার নির্দেশ।

    উত্তর প্রদেশ (Uttar Pradesh)  সরকারের পক্ষে এদিন সুপ্রিম কোর্টে উপস্থিত ছিলেন আইনজীবি জেনারেল তুষার মেহতা (Tushar Mehta)। তিনি বলেন, বেঞ্চ উজুখানা এলাকাটি সিল করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যেখানে শিবলিঙ্গ রয়েছে। তুষার বলেন, যদি ওই জলাধারে মুসলমানদের অজু করার অনুমতি দেওয়া হয়, তাহলে হাত-পা-মুখ ধোয়া হবে। কেউ শিবলিঙ্গে পা রাখতেই পারেন। তাতে আইন-শৃঙ্খলার গুরুতর সমস্যা হবে। মসজিদের অন্য কোনও এলাকায় অবশ্য অজু করা যেতে পারে।

    কাশী বিশ্বনাথ মন্দির (Kasi Viswanath Temple) লাগোয়া জমিতেই রয়েছে জ্ঞানবাপী মসজিদ। হিন্দুদের কয়েকটি গোষ্ঠীর দাবি, বিশ্বনাথের মন্দির ভেঙেই ঔরঙ্গজেবের রাজত্বে গড়ে তোলা হয়েছিল মসজিদ। মসজিদের দেওয়ালে হিন্দু দেবদেবীর মূর্তিও রয়েছে বলে দাবি একটি সম্প্রদায়ের। হিন্দুদের একাংশের দাবি, পরে রানি অহল্যাবাই বর্তমান মন্দিরটি স্থাপন করেন। হিন্দু সংগঠনের এও দাবি, যেখানে এখন মসজিদ রয়েছে, সেখানে এক সময় ছিল শৃঙ্গার গৌরীর মন্দির। এর পরেই আদালতের দ্বারস্থ হয় হিন্দুদের কয়েকটি সংগঠন।

    মন্দির-মসজিদ বিবাদের(mosque temple controvercy) নিষ্পত্তি করতে মসজিদে ভিডিওগ্রাফি করার নির্দেশ দেওয়া হয় আদালত নিযুক্ত বিশেষ কমিশনকে। ভিডিওগ্রাফি চলাকালীন একটি পক্ষের দাবি, ওজুখানার জলাধারে শিবলিঙ্গ মিলেছে। হিন্দুদের একটি সংগঠনের দাবি, ওই ওজুখানা ও সংলগ্ন এলাকা আদতে শৃঙ্গার গৌরীর মন্দির। এর পরেই ওজুখানার কড়া নিরাপত্তার নির্দেশ দেয় দেশের শীর্ষ আদালত। বারাণসীর জেলাশাসক, পুলিশ কমিশনারের পাশাপাশি সিআরপিএফের একজন কমান্ডান্ট(সুপার) স্তরের আধিকারিককে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। কাউকেই প্রবেশ করতে দেওয়া যাবে না।

    আরও পড়ুন : অ্যাডভোকেট কমিশনারকে সরাল সুপ্রিম কোর্ট, রিপোর্ট জমা করতে দু’দিন সময় কমিশনকে

    তবে বিচারক চন্দ্রচূড় ও নরসিমার বেঞ্চ জানায়, ওজুখানার জলাধার ব্যবহার করা না গেলেও, নমাজ পড়ায় কোনও বাধা নেই। মুসলমান ধর্মাবলম্বীরা নির্দিষ্ট সময়েই গিয়ে নমাজ পড়তে পারবেন। অন্যান্য ধর্মীয় রীতিও পালন করতে পারবেন তাঁরা।

    হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলি ওজুখানার জলাধারে শিবলিঙ্গ রয়েছে বলে দাবি করলেও, মসজিদ কমিটির দাবি, জলাধারে(pond) রয়েছে পুরানো একটি ফোয়ারা। তবে যাই হোক না কেন, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ওই ওজুখানার ওই জলাধারে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রশাসনকে।

     

  • Viral video: রেসিং কারের আদলে গাড়ি বানিয়ে দুধ বিক্রি, ভাইরাল ভিডিও

    Viral video: রেসিং কারের আদলে গাড়ি বানিয়ে দুধ বিক্রি, ভাইরাল ভিডিও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিল্পপতি আনন্দ মাহিন্দ্রা (Anand Mahindra) সারা বিশ্ব থেকে সংগ্রহ করা অন্য স্বাদের ছবি এবং ভিডিও শেয়ার করার জন্য পরিচিত। তিনি তার ট্যুইটার (Twitter) হ্যান্ডেলে সম্প্রতি আবার একটি ভিডিও পুনরায় শেয়ার করেছেন। ভারতীয়রা কীভাবে যেকোনও প্রতিবন্ধকতাকে দেশী কায়দায় নিজের আয়ত্ত্বে আনতে পারে তাই আছে ভিডিওটিতে।  

    ভিডিওতে একজন দুধওয়ালার (Milk Man) পণ্যবাহী অত্যাধুনিক গাড়ি দেখানো হয়েছে। গাড়িতে (Vehicle) বড় বড় চাকা রয়েছে। এমনকি দুধের ক্যান বহন করার জন্যে ক্যারিয়ারও রয়েছে। এখানেই শেষ নয়। সুরক্ষার ব্যবস্থাও দুর্দান্ত। গাড়িটি চালানোর সময় ওই ব্যক্তি হেলমেটও পরেছিলেন।   দুধওয়ালা গাড়িটিকে এমনভাবে সাজিয়েছেন যে দেখে মনে হবে ঠিক যেন একটি রেসিং কার (Racing Car)। 
     
    আনন্দ মাহিন্দ্রা পোস্টের ক্যাপশনে লিখেছেন,”আমি নিশ্চিত নই যে এই গাড়ির রাস্তায় চলার অনুমতি আছে কি না, চাকার প্রতি এই ভালোবাসা বিরল। সম্প্রতিকালে আমার দেখা সবচেয়ে দুর্দান্ত জিনিস। আমি এই পথ যোদ্ধার সঙ্গে দেখা করতে চাই।” 

    [tw]


    [/tw]

    গাড়িটি অনেককেই ব্যাটম্যানের ব্যাটমোবাইলের কথা মনে করিয়ে দিয়েছে। অনেকেই জানতে চেয়েছেন এটিই ব্যক্তিটির অনুপ্রেরণা কি না। যদিও ভিডিওটি কোথা থেকে এসেছে তা স্পষ্ট নয়। কেউ কেউ বলেছেন যে ভিডিওটি উত্তর প্রদেশের। খুব অল্প সময়েই ভাইরাল হয়ে যায় ভিডিওটি। দুধওয়ালার বুদ্ধির প্রশংসা করেছেন অনেকেই। 

    [tw]


    [/tw]

    [tw]


    [/tw]

    [tw]


    [/tw]

  • Modi on Draupadi Murmu: ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী দেশ! দ্রৌপদী মুর্মুর শপথগ্রহণ নিয়ে প্রতিক্রিয়া মোদির

    Modi on Draupadi Murmu: ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী দেশ! দ্রৌপদী মুর্মুর শপথগ্রহণ নিয়ে প্রতিক্রিয়া মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রপতি (President) পদে দ্রৌপদী মুর্মুর (Draupadi Murmu) শপথ গ্রহণকে ঐতিহাসিক বলে উল্লেখ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। এদিন দ্রৌপদীকে শপথবাক্য পাঠ করান সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) প্রধান বিচারপতি। শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মোদি। তিনি বলেন, এটি ভারতের কাছে একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত। বিশেষ করে দরিদ্র, প্রান্তিক ও নিম্নমধ্যবিত্তদের কাছে এই ঘটনা অভূতপূর্ব। দেশের নয়া রাষ্ট্রপতিকে অভিনন্দন জানানোর পাশাপাশি তাঁকে ভবিষ্যতের শুভকামনাও জানান প্রধানমন্ত্রী।

    দ্রৌপদী হলেন ভারতের প্রথম জনজাতি সম্প্রদায়ের মহিলা যিনি রাষ্ট্রপতি পদে আসীন হলেন। দেশের সর্ব কনিষ্ঠ রাষ্ট্রপতিও তিনি। শপথ গ্রহণের পরেই দেশের দরিদ্র ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর উদ্দেশে বার্তা দেন দ্রৌপদী। বলেন, আমার এই সাফল্যই প্রমাণ করে যে ভারতের গরিবরা শুধু স্বপ্নই দেখে না, তা পূরণও করে।

    আরও পড়ুন : স্বাধীনতার ৭৫ বছরে তেরঙ্গা শাড়ি পরে রাষ্ট্রপতি পদে শপথ দ্রৌপদী মুর্মুর

    এ প্রসঙ্গে মোদি বলেন, শপথ গ্রহণের পর রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুজি তাঁর ভাষণে আশা ও সহানুভূতির বার্তা দিয়েছেন। তিনি ভারতের কৃতিত্বের প্রশংসা করেছেন। ভারত যখন আজাদি কা অমৃত মহোৎসব পালন করতে চলেছে, তার ঠিক আগেই তিনি ভবিষ্যতে এগিয়ে চলার পথ নির্দেশ করেছেন। রাষ্ট্রপতি পদে দ্রৌপদীর জয়কে মোদি সরকারের জনজাতির প্রতি দায়বদ্ধতা হিসেবেই দেখছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি বলেন, রাষ্ট্রপতি পদে দ্রৌপদী মুর্মুজির জয় প্রমাণ করে জনজাতির ক্ষমতায়ন, যার প্রতি দায়বদ্ধতা রয়েছে মোদি সরকারের। রাষ্ট্রপতি পদে দ্রৌপদীর জয়কে ভারতীয় গণতন্ত্রে ঐতিহাসিক মুহূর্ত বলেও উল্লেখ করেন শাহ। দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ওড়িশার এক দরিদ্র জনজাতি সম্প্রদায়ের মহিলা দ্রৌপদীর যাত্রা চির স্মরণীয় হয়ে থাকবে। তিনি পিছিয়ে পড়া সাঁওতাল সম্প্রদায়ের। তিনি আজ দেশের সাংবিধানিক প্রধান। তিনি দেশের প্রথম নাগরিক হিসেবে শপথ নেওয়ায় আনন্দিত তামাম ভারত, খুশি বিভিন্ন জনজাতি সম্প্রদায়ের মানুষও। শাহ বলেন, এই মুহূর্তটা ভারতীয় গণতন্ত্রের সাফল্যে নয়া পালক। দেশের স্বাধীনতা আন্দোলেন জনজাতির বলিদান অবিস্মরণীয় বলেও জানান শাহ।

    আরও পড়ুন : রাষ্ট্রপতি পদে দ্রৌপদীর জয়ের আনন্দে মাতল বাংলাদেশও

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেন, ভারতীয় গণতন্ত্রের ইতিহাসে এটি একটি স্মরণীয় দিন। আমি নিশ্চিত তাঁর অভিজ্ঞতা দেশকে সমৃদ্ধ করবে। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন বলেন, ভারত তার মেয়েদের থেকেই শক্তি সঞ্চয় করছে। এবং আক্ষরিক অর্থেই ভারতের অমৃতকাল ফিরছে।  

     

  • Assam floods: যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন বহু গ্রাম, ২০টি জেলার ২ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত

    Assam floods: যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন বহু গ্রাম, ২০টি জেলার ২ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রবল বর্ষণে আসামে (Assam)বন্যা (Flood)পরিস্থিতি ভয়ংকর আকার নিয়েছে। টানা কয়েকদিন ধরে বৃষ্টি (Heavy Rain) চলছে। আসামে ৬ মে থেকে ৫৪৫.৬৬ মিমি বৃষ্টিপাত হয়েছে। ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে জাতীয়সড়ক এবং পাঁচটি রাজ্যসড়ক ক্ষতিগ্রস্ত। বিভিন্ন অঞ্চলে বিদ্যুৎ ও মোবাইল সংযোগ নেই। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন গ্রামের পর গ্রাম। আসামের ২০টি জেলায় ক্ষতিগ্রস্ত অন্তত লাখ দুয়েক বাসিন্দা। প্রায় ৩৩ হাজার মানুষ বাড়ি-ঘর ছেড়ে বিভিন্ন ত্রাণ শিবিরগুলিতে (Relief Camps) আশ্রয় নিয়েছেন। প্রতিটি এলাকা এক-একটা দ্বীপের চেহারা নিয়েছে। জেলাসদর হাফলঙের সঙ্গে মাইবাঙের যোগাযোগ নেই। কারণ ধসের পর ধস নেমেছে আসামের ওই পাহাড়ি জেলায়। এমনকি শহরতলি জাটিঙ্গায়ও যাওয়া-আসা বন্ধ। বহু জায়গায় রেল ট্র্যাক মাটির তলায়,সড়কের ওপর দিয়ে বইছে জলস্রোত।

    জেলার প্রতিটি রেলস্টেশনের চেহারা বদলে গিয়েছে। হাফলঙ স্টেশনে হাঁটুসমান কাদা। একটি ফাঁকা ট্রেন দাঁড়িয়ে ছিল সেখানে। পাহাড় ভেঙে জল-কাদা গড়িয়ে যাওয়ার সময় এর পাঁচ-ছয়টি কামরাকে সরিয়ে দিয়েছে। সেগুলি কাত হয়ে দূরে পড়ে আছে। সেখানে অনেকটা জায়গা জুড়ে ট্র্যাক নিশ্চিহ্ন। আরও বহু জায়গায় ট্র্যাকের নীচে থেকে মাটি সরে গিয়েছে। দাওতুহাজা ও ফাইডিংয়ের মধ্যবর্তী তিনশো মিটার এলাকা রেললাইন ঝুলন্ত সেতুর চেহারা নিয়েছে। নিউ হাফলঙে টানা বর্ষণের রেললাইনে ধসের জেরে ট্রেনের মধ্যেই আটকে পড়েছিলেন প্রায় ২৮০০ যাত্রী। কোনওরকমে তাঁদের উদ্ধার করা হয়। বায়ুসেনার কপ্টারে করে অধিকাংশ যাত্রীকে উদ্ধার করা হয়েছে। দিমা হাসাও জেলায় লুমডিং শাখায় দুটি ট্রেন আটকে পড়েছিল। ওই দুটি ট্রেনের মধ্যে ছিলেন বেশ কয়েকজন যাত্রী। বন্যা পরিস্থিতি ও ধসের জেরে প্রাণ হাতে নিয়ে কার্যত আতঙ্কের প্রহর গুনছিলেন তাঁরা। শেষমেশ তাঁদের উদ্ধার করা হয়েছে।

    [tw]


    [/tw]

     এই পরিস্থিতিতে ২৫ জোড়া ট্রেন বাতিল করল উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল। আসামের Dima Hasao এলাকায় ভূমিধসের কারণে ত্রিপুরা, মিজোরাম ও দক্ষিণ অসমের এলাকায় চলাচলকারী ওই ট্রেনগুলিকে বাতিল করেছে Northeast Frontier Railway। বিভিন্ন জায়গায় শুরু হয়েছে রেললাইন মেরামতির কাজ। যে সমস্ত ট্রেন বাতিল ও আংশিক বাতিল করা হয়েছে সেগুলির মধ্যে আছে Agartala–Anand Vihar Tejas Rajdhani এক্সপ্রেস, Bangalore Cant –Agartala এক্সপ্রেস, Agartala – Secunderabad এক্সপ্রেস, শিয়ালদা-আগরতলা কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস। 

    [tw]


    damaged because of the heavy-rain induced flash flood and landslide.#AssamFloods #AssamFloodUpdates #AssamNews #haflongflood @RailNf @RailMinIndia pic.twitter.com/PatgR9U0eC— Farhan Ahmed (@farhan_assam) May 16, 2022

    [/tw]

    আসামের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের (Assam Disaster Management Department) তরফে জানানো হয়েছে, সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত  হয়েছে কাছাড় (Kachar) এলাকা। ওই জেলাতেই ক্ষতিগ্রস্ত ৫১ হাজারেরও বেশি মানুষ। কাছাড়ের সাড়ে ছ’শোরও বেশি গ্রাম বন্যার কবলে। বাড়ছে বন্যার জলে তলিয়ে যাওয়ার ঘটনা। করিমগঞ্জ জেলায়ও নদীর জল বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে।  বন্যা পরিস্থিতিতে অসমে পাঁচ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। কয়েকজন নিখোঁজ বলেও জানা গিয়েছে। প্রায় ৬৬ হাজার ৬৭১ জন মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। ১৬ হাজার হেক্টর জমি জলে ডুবে গিয়েছে। আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃষ্টির পরিমাণ আরও বাড়তে পারে। জলের তোড়ে তমালপুর জেলায় বোরোলিয়া নদীতে ভেসে গিয়েছে বাঁশের সেতু। অসমের জোরহাট (Jorhat), নওগাঁ (Naugaon ) জেলার পরিস্থিতিও অত্যন্ত উদ্বেগের। নগাঁও জেলায় কপিলি নদীর জল বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। ব্রহ্মপুত্রের জলও বিপদসীমার উপরে। এর মধ্যে জেলা জুড়ে বিদ্যুৎ নেই। বিঘ্নিত হচ্ছে জল সরবরাহ। মিলছে না ইন্টারনেট পরিষেবাও।

    আরও পড়ুন : সময়ের আগেই বর্ষা ঢুকল আন্দামানে, রাজ্যেও বৃষ্টির পূর্বাভাস

  • Dam On Brahmaputra: ব্রহ্মপুত্রের উপর হতে চলেছে ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম বাঁধ

    Dam On Brahmaputra: ব্রহ্মপুত্রের উপর হতে চলেছে ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম বাঁধ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ব্রহ্মপুত্র (Brahmaputra)নদের উপর ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম বাঁধ তৈরির করতে চলেছে কেন্দ্র সরকার। অরুণাচল প্রদেশের (Arunachal Pradesh) ইংকিয়ং (Yingkiong)য়ে ওই বৃহৎ বাঁধ তৈরি করতে খরচ হবে আনুমানিক ৫০ হাজার কোটি টাকা। এই অরুণাচল সীমান্তের কাছাকাছি তিব্বতের মেডগ কাউন্টিতে ইয়ারলাং জ্যাংবো নদীর উপর বাঁধ তৈরি করেছে বেজিং। এবার তিব্বতে ব্রহ্মপুত্রের বুকে চিনা ‘মেগা ড্যাম’ প্রকল্পের পালটা অরুণাচল প্রদেশে এই বাঁধ তৈরির পরিকল্পনা করছে নয়াদিল্লি।

    চিন অধিকৃত তিব্বত অঞ্চলের উৎসস্থল থেকে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে প্রবেশ করেছে ইয়ারলাং জ্যাংবো নদী। অরুণাচলে পৌঁছে এর নাম হয়েছে সিয়াং। আর অসমে প্রবেশ করার পরে এই সিয়াংই পরিচিত হয় ব্রহ্মপুত্র নামে এবং এর পর ফের সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশে প্রবেশ করে ব্রহ্মপুত্র। বর্ষার সময় এই নদের জল উপচে পড়লেও বছরের অন্য সময়ে তিব্বতের বরফ গলা জলই এই নদে জলপ্রবাহ ধরে রাখে।   

    প্রসঙ্গত, নদীর অবস্থানের সুবাদে ভারতের (India) চেয়ে অনেক সুবিধাজনক অবস্থায় রয়েছে চিন। বিশেষ করে তিব্বত অঞ্চল নিজেদের দখলে রাখার পরে দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম নদীগুলির উৎস রয়েছে বেজিংয়ের কবজায়। এর মধ্যে ৪৮% নদীর জলই ভারতের মধ্যে দিয়ে বয়ে চলে। চিনের ওই নয়া প্রকল্পের কারণে স্বভাবতই জল কমে যাবে ব্রহ্মপুত্রের। আবার বর্ষার সময় চিন বাঁধের জল ছাড়লে অসমের বিস্তীর্ণ অঞ্চল,বাংলাদেশের একাধিক জায়গা জলের তলায় চলে যেতে পারে, বলে আশঙ্কা ছিল ভারতের। তাই চিনকে আটকাতে ভারত এই নতুন প্রকল্প হাতে নিতে চলেছে বলে অনুমান।
     
    দেশের জলশক্তি মন্ত্রী গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াত বলেন, “চিনা বাঁধ থেকে তৈরি হওয়া সমস্যা ও কুপ্রভাব কাটাতে এই মুহূর্তে অরুণাচল প্রদেশে ব্রহ্মপুত্রের বুকে একটি বাঁধ তৈরির প্রয়োজন রয়েছে। সরকারের সর্বোচ্চ স্তরে তা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে।” তিনি আরও জানান, বাঁধের মাধ্যমে জল ধরে রাখার জন্য বিশাল জলাধার তৈরি করবে ভারত। এর ফলে তিব্বতে চিনা বাঁধ থেকে আচমকা জল ছাড়লে হড়পা বানের আশঙ্কা অনেকটাই কাটিয়ে ওঠা যাবে। পাশাপাশি, এর ফলে বর্ষার সময় ছাড়া বছরের অন্য দিনে  উত্তর-পূর্ব ভারতে জলসংকটের মোকাবিলাও করা যাবে।

  • Oil Import: রাশিয়া থেকে তেল আমদানি নিয়ে  ছয় মাসের চুক্তি ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ত্ব তেল সংস্থাগুলির

    Oil Import: রাশিয়া থেকে তেল আমদানি নিয়ে  ছয় মাসের চুক্তি ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ত্ব তেল সংস্থাগুলির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মস্কো থেকে তেল আমদানি নিয়ে  ছয় মাসের চুক্তি করতে চলেছে ভারতের প্রথম সারির রাষ্ট্রায়ত্ত্ব তেল সংস্থাগুলি। সূত্রের খবর,ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশন (IOc), হিন্দুস্থান পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন লিমিটেড (HPCL), ভারত পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন লিমিটেড (BPCL) একযোগে রাশিয়ার শীর্ষস্থানীয় তেল সংস্থা রসনেফ্টের সঙ্গে তেল আমদানি নিয়ে আলোচনা শুরু করেছে।

    এক মাসে ছয় মিলিয়ন ব্যারল অপরিশোধিত তেল আমদানি করতে পারে আইওসি।  এছড়াও অতিরিক্ত তিন মিলিয়ন ব্যারল তেলও আমদানি করার কথা রয়েছে তাদের। একইসঙ্গে এইচপিসিএল এবং বিপিসিএল যথাক্রমে যথাক্রমে মাসে তিন এবং চার মিলিয়ন ব্যারল তেল আমদানি করতে পারে। দাম এবং ছাড়ের ভিত্তিতে তেলের পরিমাণ পরিবর্তন করা হতে পারে বলে সূত্রের খবর।

    উল্লেখ্য, ইউক্রেনের (Ukraine) উপর রুশ (Russia) সেনা অভিযান চালানোর পর ওয়াশিংটনের বার্তা ছিল, রাশিয়ার সঙ্গে সমস্ত রকমের অসহযোগিতার করার। কিন্তু যুদ্ধের প্রায় আড়াই মাস পর দেখা যাচ্ছে এই সময়ের মধ্যে ভারত যে পরিমাণ তেল আমদানি করেছে রাশিয়া থেকে, তার চেয়ে অনেক এগিয়ে ইউরোপের দেশগুলি। এমনকী আমেরিকাও এই আমদানির তালিকায় অনেকটা উপরের দিকেই রয়েছে। তাই তেল আমদানি করার ক্ষেত্রে কোনওরকম সমঝোতা করতে রাজি নয় ভারত। অবশ‌্য শুরু থেকেই যুদ্ধের বিরোধিতা করলেও তেল আমদানি নিয়ে অনড় ছিল ভারত। মার্কিন চাপ সত্ত্বেও নিজেদের অবস্থান পরিবর্তন করেনি মোদি সরকার।

    ইউক্রেনে যুদ্ধের জেরে রাশিয়ার উপর আর্থিক নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছে আমেরিকা ও ইউরোপের দেশগুলি। ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে লাগাতার বাড়ছে অপরিশোধিত তেলের দাম। আর রাজকোষে বিশাল চাপ সামলাতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয়েছে মোদি সরকারকে। এহেন পরিস্থিতিতে নয়াদিল্লিকে সস্তায় তেল দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মস্কো। বন্ধু দেশগুলিকে পাশে পেতেই অনেক কম দামে তেল দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে রাশিয়া। বলা হয়েছিল, যুদ্ধ শুরুর আগের চেয়েও কম দরে তেল রপ্তানি করবে রাশিয়া। তাতে সাড়াও দিয়েছিল ভারত। এই মুহূর্তে দেশের বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম যে হারে বাড়ছে, তাতে রুশ তেল আমদানি করা লাভজনক হবে বলেই মত অর্থনৈতিক মহলের। 

  • Register General of India: কোভিডের বলি পাঁচ লক্ষাধিক দেশবাসী, বলছে সরকারি রিপোর্ট  

    Register General of India: কোভিডের বলি পাঁচ লক্ষাধিক দেশবাসী, বলছে সরকারি রিপোর্ট  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেজিস্ট্রার জেনারেল অফ ইন্ডিয়ার (Register General of India) দেওয়া  তথ্য অনুসারে, ২০২০ সালে ভারতে ৮১.২ লক্ষ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ২০১৯- এ সেই সংখ্যা ছিল ৭৬.৪ লক্ষ, অর্থাৎ ৬.২% কম।  
     
    ২০২০ সালে কোভিডের (Covid 19) কারণে প্রাণ হারিয়েছেন ১.৪৮ লক্ষ মানুষ। পরের বছর সেই সংখ্যাকেও ছাপিয়ে মহামারির প্রকোপে মৃত্যু হয়েছে প্রায় ৩.৩২ লক্ষ মানুষের।  

    স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুসারে ২০২০ থেকে এই মারণ রোগে প্রাণ হারিয়েছেন মোট ৫,২৩,৮৮৯ জন। মহারাষ্ট্র, হরিয়ানা, বিহার, গুজরাত, পশ্চিমবঙ্গ, অন্ধ্রপ্রদেশ, তামিলনাড়ু, কর্ণাটকের মতো কিছু রাজ্যে ২০১৯ এবং ২০২০ সালের মধ্যে মৃত্যুর সংখ্যায় ব্যবধান ছিল সবথেকে বেশি।  সরকারি আধিকারিকদের মতে, এই রাজ্যগুলিতে করোনার কারণেই এই বাড়তি মৃত্যুগুলি হয়েছে।   

    ২০২০ সালে জন্মের নিবন্ধীকরণের সংখ্যাও, বিহার, হরিয়ানা, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, সিকিম, আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ, জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখ ছাড়া প্রায় সমস্ত রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলেই হ্রাস পেয়েছে। তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯ এর তুলনায় ২০২০ সালে জন্ম নিবন্ধীকরণ সংখ্যা ২.৪% হ্রাস পেয়েছে।   

    ১১ টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে মৃত্যুর ২১ দিনের প্রদত্ত সময়সীমার মধ্যে ৯০%- এর বেশি নিবন্ধীকরণ হয়েছে। সাতটি রাজ্যে সেই সংখ্যা ৮০%- এর কিছু বেশি কিন্তু ৯০%- এর সমান বা কম, সাতটি রাজ্যে সেই সংখ্যা ৫০%-৮০%। বাকি নয় রাজ্যে সেই সংখ্যা ৫০%- এর নীচে।     

    ১৫ টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে জন্মের ২১ দিনের প্রদত্ত সময়সীমায় জন্ম নিবন্ধীকরণের সংখ্যা ৯০% -এর বেশি।  আরও দুটি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে সেই সংখ্যা ৮০%- এর বেশি কিন্তু ৯০%- এর কম বা সমান। ৯ রাজ্যে সেই সংখ্যা ৫০%- এর বেশি কিন্তু ৮০%- এর সমান বা কম। বাকি সাত রাজ্যে প্রদত্ত সময়সীমা, জন্মের ২১ দিনের মধ্যে নিবন্ধীকরণের সংখ্যা ৫০%- এরও কম।   

  • Gyanvapi Mosque Update: জ্ঞানবাপী মামলার রায়দান স্থগিত মঙ্গলবার পর্যন্ত

    Gyanvapi Mosque Update: জ্ঞানবাপী মামলার রায়দান স্থগিত মঙ্গলবার পর্যন্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এদিনের মতো শুনানি শেষ হল কাশী বিশ্বনাথ মন্দির (kashi viswanath temple)- জ্ঞানবাপী মসজিদ (Gyanvapi mosque) মামলার। আগামিকাল পর্যন্ত রায়দান মুলতুবি রেখেছে বারাণসী জেলা আদালত (Varanasi district court)। আদালতে মোট ৩টি পিটিশন দাখিল করা হয়েছে, যার ওপর এদিন হয় শুনানি। শুনানি হয় জেলা বিচারক অজয় কুমার বিশ্বেশার এজলাসে। শুনানি চলে প্রায় আধ ঘণ্টা ধরে।

    মুসলিমদের তরফে আবেদন করেছে আঞ্জুমান ইন্তেজামিয়া মসজিদ কমিটি (Anjuman Intezamia Masjid Committee)। আর হিন্দুদের পক্ষ থেকে আবেদন করেছেন লক্ষ্মীদেবী, রাখি সিং, সীতা সাহু, মঞ্জু ব্যাস এবং রেখা পাঠক।

    আরও পড়ুন : জ্ঞানবাপী মসজিদ চত্বরে মিলল পুরনো মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ, হিন্দু মোটিফ!

    সোমবার শুনানির সময় ১৯ জন আইনজীবী এবং ৪ জন আবেদনকারী সহ মোট ২৩ জনকে আদালত কক্ষে প্রবেশাধিকার দেওয়া হয়েছিল। অশান্তির আশঙ্কায় আদালত চত্বরে ব্যবস্থা করা হয়েছিল কড়া নিরাপত্তার। বারাণসী আদালতে উভয় পক্ষের তরফে মোট ৭টি দাবি পেশ করা হয়েছে। হিন্দুদের দাবি পাঁচটি। আর মুসলমানদের তরফে দাবি করা হয়েছে দুটি। হিন্দুদের দাবি, শৃঙ্গার গৌরীতে (Shringar Gauri) নিত্যদিন পুজোর অনুমতি দিতে হবে। ওজুখানার জলাধারে পাওয়া শিবলিঙ্গের (shivling) পুজোর অনুমতি দিতে হবে। বিকল্প ওজুখানার (Wazukhana) ব্যবস্থা করতে হবে। নন্দীর সামনের দেওয়াল ভেঙে ধ্বংসাবশেষ অপসারণ করতে হবে। এবং শিবলিঙ্গের দৈর্ঘ্য ও প্রস্ত জরিপ করতে হবে।

    আরও পড়ুন : ধাক্কা খেল মসজিদ কমিটি, জ্ঞানবাপী মামলায় বড় নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

    এদিকে, একটি পিটিশন দাখিল করে মুসলিম পক্ষ দাবি করেছে দুটি। তারা ওজুখানা সিল করার বিরোধিতা করেছে। সেই সঙ্গে প্রশ্ন উঠেছে, জ্ঞানবাপী জরিপ (Gyanvapi survey) ও ১৯৯১ সালের প্রার্থনাস্থল  আইনে (Places of Worship Act, 1991) মামলা নিয়ে। প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) বারাণসী আদালতকে শুনানির জন্য চার সপ্তাহ সময় দিয়েছে। এই সময়সীমার মধ্যে শুনানি শেষ করতে বলেছে।

    কাশী বিশ্বনাথ মন্দির চত্বরেই রয়েছে জ্ঞাপবাপী মসজিদ। হিন্দুদের দাবি, মসজিদ তৈরি হয়েছিল মন্দির ভেঙে, ষোড়শ শতকে। পরে বর্তমান মন্দিরটি তৈরি করেন রানি অহল্যাবাই। আর মুসলিম পক্ষের দাবি হল, ভারতীয় সংবিধানে উপাসনা স্থান সংক্রান্ত বিশেষ বিধান। এই আইনে বলা হয়েছে, ১৯৪৭ সালের ১৫ অগাস্টের আগে তৈরি হওয়া উপাসনালয়ের ধর্মীয় চরিত্র অক্ষুণ্ণ রাখতে হবে। সেই কারণেই জ্ঞানবাপী মসজিদে হস্তক্ষেপে বাধা দিচ্ছে মুসলিম পক্ষ।

     

LinkedIn
Share