Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Indian Railways: ট্রেন যাত্রার সময় রাতে ভুলেও যে কাজগুলি করবেন না… নয়া নিয়ম রেলের

    Indian Railways: ট্রেন যাত্রার সময় রাতে ভুলেও যে কাজগুলি করবেন না… নয়া নিয়ম রেলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দূরপাল্লার ভ্রমণের ক্ষেত্রে দেশে এখনও সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য এবং জনপ্রিয় মাধ্যম ট্রেন (train)। বহু কোটি মানুষ ট্রেনে সফর করেন। কিন্তু বহুক্ষেত্রে আমরা সহযাত্রীদের কথা না ভেবেই অনেক কিছু করে থাকি। এই পরিস্থিতিতে রেল কর্তৃপক্ষের তরফে নয়া নিয়ম জারি করা হল। যাত্রী সুবিধার জন্য ভারতীয় রেলওয়ে  একটি নিয়মের বড় পরিবর্তন করেছে। এই নিয়মের কথা সাধারণভাবে ট্রেনে ভ্রমণ করা সকলের জানা উচিত। রাতে যাত্রীদের স্বচ্ছন্দ ভ্রমণ নিশ্চিত করতেই এই নয়া নিয়ম। এই নিয়ম ভঙ্গের ক্ষেত্রে বড় জরিমানা দিতে হতে পারে যাত্রীকে। নয়া নিয়ম অনুযায়ী, রাতে ট্রেনে যাত্রীরা মোবাইলে উচ্চস্বরে কথা বলতে পারবে না। কিংবা কেউ উচ্চকণ্ঠে গান শুনতে পারবেন না। যাত্রীদের কাছ থেকে এই সংক্রান্ত অভিযোগ পেলে এই ধরনের ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
    এদিকে নাইট ল্যাম্প বাদে কামরার সব আলো বন্ধ রাখতে রাত ১০টার পর। তাছাড়া গ্রুপে ভ্রমণ করা ব্যক্তিরা নিজেদের মধ্যে জোরে কথা বলতে পারবেন না। নতুন নিয়মে, কোনও যাত্রী কোনও সমস্যার বিষয়ে অভিযোগ করলে, রেল কর্মীদের ঘটনাস্থলে গিয়ে সমস্যার সমাধান করতে হবে। কোনও সমাধান না হলে পুরো দায় বর্তাবে ট্রেনের কর্মীদের ওপর। রেলওয়ে বোর্ডের পক্ষ থেকে সব জোনের মহাব্যবস্থাপকদের এ বিষয়ে আদেশ জারি করে নিয়ম বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে। 
    উল্লেখ্য, রাতে মোবাইলে উচ্চস্বরে কথা বলা বা গান শোনার অভিযোগ প্রায়ই ওঠে দূরপাল্লার ট্রেনে। কোনও কোনও ক্ষেত্রে যাত্রীরা নিজেদের মধ্যে উচ্চস্বরে কথা বলে,যাতে অন্য যাত্রীদের ঘুমের অসুবিধা হয়। অনেক সময় রাতে আলো জ্বালানো নিয়েও বচসা হয় দু’পক্ষের মধ্যে। এই আবহে এখন রেলের কর্মীদের ঘটনাস্থলে পৌঁছে এ ধরনের সমস্যার সমাধান করতে বলা হয়েছে। চেকিং স্টাফ,আরপিএফ, ইলেকট্রিশিয়ান, ক্যাটারিং স্টাফ এবং রক্ষণাবেক্ষণ কর্মীরা রাতে কাজ করবেন ট্রেনে। তাদের কাছে অভিযোগ জানানো যেতে পারে বলে নির্দেশিকা জারি করেছে আইআরসিটিসি।

  • Navjot Singh Sidhu: সশ্রম কারাদণ্ডের একবছর জেলে কী কাজ করবেন নভজ্যোত সিং সিধু জানেন? 

    Navjot Singh Sidhu: সশ্রম কারাদণ্ডের একবছর জেলে কী কাজ করবেন নভজ্যোত সিং সিধু জানেন? 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পথ-হিংসার মামলায় এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের সাজা পেয়েছেন প্রাক্তন ক্রিকেটার তথা কংগ্রেস নেতা নভজ্যোত সিং সিধু (Navjot Singh Sidhu)। গত ২০ মে পাতিয়ালার এক আদালতে আত্মসমর্পণ করেন পাঞ্জাব কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি। সশ্রম কারাদণ্ড মানেই হাজতবাসের সময়কালে শ্রম করতে হয় বন্দিকে। অনেকেরই মনে প্রশ্ন ছিল, সিধুকে জেলের দিনগুলিতে কী কাজ করতে হবে? সম্প্রতি জানা গিয়েছে জেলে কোন দায়িত্ব পেতে চলেছেন সিধু। জেলে থাকার এক বছর করণিকের কাজ করতে হবে এই নেতাকে। দিনপ্রতি ৪০ টাকা করে বেতন পাবেন তিনি।  
     
    জেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গত মঙ্গলবার থেকে কাজ শুরু করেছেন সিধু। সকাল ৯-১২টা এবং বিকেল ৩-৫টার দুটি শিফটে কাজ করবেন তিনি। মাঝে ৩ ঘণ্টার বিরতি পাবেন। পাতিয়ালা জেলের নিয়ম অনুযায়ী, প্রথমে তিনমাসের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় কয়েদিকে। প্রথম তিনিমাস কোনও টাকা দেওয়া হয় না।

    তারপর ধীরে ধীরে অদক্ষ, কম দক্ষ এবং দক্ষ কয়েদি হিসেবে উন্নীত হয় তারা। ৩০- ৯০ টাকা দিনপ্রতি রোজগার হয়। জানা গিয়েছে, তিনমাসের ট্রেনিং- এর পর ৪০ টাকা করে দিনে বেতন পাবেন সিধু, যা সরাসরি তাঁর অ্যাকাউন্টে ঢুকবে।   

    সিধুর শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় ডাক্তারের পরামর্শে তাঁর জন্যে আলাদা খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সিধুকে কড়া নিরাপত্তার মোড়কে সোমবার পাতিয়ালার রাজেন্দ্র হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে শারীরিক পরীক্ষা করায় জেল কর্তৃপক্ষ। ডাক্তারদের মেডিক্যাল বোর্ড পরীক্ষা করে প্রাক্তন সাংসদের।        

    এক অনেক পুরনো মামলায় সাজা হয় এই প্রাক্তন সাংসদের। ১৯৮৮ সালের ঘটনা। সেই বছর ২৭ ডিসেম্বর পাঞ্জাবের রাস্তায় গুরনাম সিং নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে ঝামেলা বাধে সিধুর। বচসা থেকে ক্রমশ তা হাতাহাতিতে পৌঁছয়। অভিযোগ, ওই ব্যক্তিকে গাড়ি থেকে বার করে মারধর করেন তিনি। তাতে মাথায় আঘাত পান ওই ব্যক্তি এবং তা থেকেই তাঁর মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ ওঠে। ওই দিনই মৃতের পরিবার সিধুর বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের করে।

    ১৯৯৯ সালে দায়রা আদালত মামলাটি খারিজ করে দেয়। ২০০২ সালে পাঞ্জাব সরকার সিধুর বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করে। এর মধ্যেই রাজনীতিতে প্রবেশ করেন সিধু। ২০০৪ সালে লোকসভা নির্বাচনে তিনি বিজেপির টিকিটে অমৃতসর আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন এবং জয়ী হন। ২০০৬ সালের ডিসেম্বরে হাইকোর্টের রায় আসে। হাইকোর্ট সিধুকে দোষী সাব্যস্ত করে তিন বছরের কারাদণ্ড দেয়। একই সঙ্গে এক লাখ টাকা জরিমানাও করা হয়।

    এই রায়ের পরেই লোকসভা থেকে ইস্তফা দেন সিধু। ২০১৮ সালে সিধুর বিরুদ্ধে এই মামলায় ৩ বছরের সাজা কমিয়ে ১ হাজার টাকা জরিমানার কথা বলেছিল শীর্ষ আদালত। মৃত ব্যক্তির পরিবারের তরফে রিভিউ পিটিশন দাখিল করার পর রায়দান স্থগিত রাখা হয়েছিল। সেই মামলাতেই পরে রায় দেয় সুপ্রিম কোর্ট, জেল হয় সিধুর।  

     

  • Gyanvapi Update: জ্ঞানবাপী মসজিদে পাওয়া ‘শিবলিঙ্গ’ বিশ্বেশ্বরের! দাবি কাশীর প্রধান মহন্তর

    Gyanvapi Update: জ্ঞানবাপী মসজিদে পাওয়া ‘শিবলিঙ্গ’ বিশ্বেশ্বরের! দাবি কাশীর প্রধান মহন্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জ্ঞানবাপী মসজিদে (Gyanvapi mosque) যে শিবলিঙ্গটি (shivling) পাওয়া গিয়েছে, সেটি ভগবান বিশ্বেশ্বরের। মসজিদের ভিতরে শিবলিঙ্গের পুজো হত। পুজো বন্ধ করে দিয়েছিল মুলায়ম সিং যাদবের সরকার। সংবাদমাধ্যমের সামনে বিস্ফোরক দাবি কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরের (kashi viswanath temple) প্রধান মহন্ত কুলপতি তিওয়ারির। বিশ্বেশ্বরের মূর্তির পুজোর অধিকারও দাবি করেন তিনি। প্রধান মহন্ত বলেন, আগে মসজিদ চত্বরে সন্ন্যাসিনীরা বসতেন। এটিও একটি বড় প্রমাণ। সত্য বেরিয়ে আসা উচিত বলেও মনে করেন মোহন্ত।   

    আরও পড়ুন : জ্ঞানবাপী মসজিদ আগে মন্দিরই ছিল! বলছে ১৯৩৬ সালের নথি

    কাশী বিশ্বনাথ মন্দির লাগোয়া চত্বরে রয়েছে জ্ঞানবাপী মসজিদ। হিন্দুত্ববাদী একাধিক সংগঠনের দাবি, বিশ্বেশ্বরের মন্দির ভেঙেই মসজিদ গড়ে তোলা হয়েছিল। মুঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেবের নির্দেশে মন্দির ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। গড়ে ওঠে মসজিদ। পরে রানি অহল্যাবাই বিশ্বেশ্বরের মন্দির পুনর্নির্মাণ করেন। মন্দিরের সামনে যে নন্দীর মূর্তি রয়েছে, সেটি মন্দির কর্তৃপক্ষকে উপহার দিয়েছিলেন নেপালের রানা, ১৮০০ খ্রিষ্টাব্দে।

    মন্দির-মসজিদ বিবাদ (temple mosque controversy) গড়িয়েছে আদালত পর্যন্ত। আদালতের নির্দেশে মসজিদ চত্বরে হয় তিনদিন ব্যাপী ভিডিওগ্রাফির কাজ। ওই সময় সোহন লাল আর্য নামে এক ব্যাক্তি দাবি করেন মসজিদের ওজুখানার জলাধারে শিবলিঙ্গ মিলেছে। তার পরেই আদালতের নির্দেশে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয় মসজিদ চত্বরে। যদিও মসজিদ কর্তৃপক্ষের দাবি, ওজুখানার জলাধারে যা পাওয়া গিয়েছে, সেটি একটি পুরানো ঝর্না, শিবলিঙ্গ নয়।

    আরও পড়ুন : জ্ঞানবাপীর ৫ মামলাকারী লক্ষ্মী, সীতা, রেখা, মঞ্জু আর রাখিকে চেনেন?

    সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরের প্রধান মহন্ত দাবি করেন, শৃঙ্গার গৌরীর মন্দিরে অনাদিকাল থেকেই একটি শিবলিঙ্গ ছিল। প্রাচীরের উত্তর দিকে জ্ঞানবাপী কূপ রয়েছে। এরই পশ্চিমে বহু আগে থেকেই রয়েছে নন্দী। তিনি বলেন, মন্দিরের উত্তর দিকের দেওয়ালের পিছনে তিনটি দোকান ছিল। সেখানে একজন চা বিক্রেতা এবং একজন মুসলিম মহিলা থাকতেন। তিনি চুড়ি বিক্রি করতেন। মুঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেবের আক্রমণের পর পরিস্থিতি বদলে যায়। সেই সময় মহন্ত পান্না শিবলিঙ্গ নিয়ে কুয়োয় ঝাঁপ দেন। তাঁর দাবি, মসজিদের ওজুখানার জলাধারে ফোয়ারা নয়, ওই শিবলিঙ্গই রয়েছে। এই শিবলিঙ্গের নিত্য পুজোর অধিকারও দাবি করেন প্রধান মহন্ত।

     

  • Modi Utkarsh Samaroh: “বাবার জন্য চিকিৎসক হতে চাই”, কিশোরীর কথা শুনে বাকরুদ্ধ আবেগতাড়িত মোদি

    Modi Utkarsh Samaroh: “বাবার জন্য চিকিৎসক হতে চাই”, কিশোরীর কথা শুনে বাকরুদ্ধ আবেগতাড়িত মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশ ও দেশবাসীর দায়িত্ব তাঁর কাঁধে। দেশের ভালোর জন্য অনেক সময়েই তাঁকে কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হয়। কিন্তু যে কোনও কঠিন সিদ্ধান্তই তিনি সব সময় চোয়াল শক্ত করে নেন। তাঁকে আবেগপ্রবণ হতে কজন দেখেছেন! কিন্তু প্রধানমন্ত্রী হলেও তিনি আদ্যন্ত রাজনীতিবিদ। সর্বোপরি মানুষ। ফলে সময়ে-অসময়ে তিনিও আবেগতাড়িত হন। বৃহস্পতিবার গুজরাতে উৎকর্ষ সমারোহের অনুষ্ঠান চলাকালীন আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi)। তিনি আয়ুব প্যাটেল নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলছিলেন। যিনি চোখে দেখতে পান না। গুজরাত সরকারে উন্নয়ন প্রকল্পের সুবিধা পেয়েছেন। এই প্রকল্পের জন্য প্রথমেই মোদিকে ধন্যবাদ জানান তিনি। বার্তালাপের সময় আয়ুব বলেন, তাঁর তিন মেয়ে রয়েছে। তাঁদেরই একজন চিকিৎসক হতে চায়। এই কথা শুনে প্রধানমন্ত্রী ওই ব্যক্তির কন্যাকে প্রশ্ন করেন, কেন তিনি চিকিসক হতে চান? প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্নের উত্তরে মেয়েটি জানান, তাঁর বাবাকে সুস্থ করার জন্য ও সাহায্য করার জন্য তিনি চিকিসক হতে চান। এই উত্তরে  আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন প্রধানমন্ত্রী।  কিছুক্ষণ চুপ করে থাকেন তিনি। ওই মেয়ের মনের জোর এবং জেদের প্রশংসা করেন মোদি। তিনি জানান, অনেক ক্ষেত্রে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার থেকে অভিজ্ঞতার শক্তি বেশি। নিজেদের জীবন এবং লড়াই থেকেই অনেক কিছু শেখা যায়। পাশে থাকার কথা জানিয়ে ওই ব্যক্তিকে মোদি বলেন, “আপনার মেয়ের স্বপ্নপূরণে কোনও সাহায্যের প্রয়োজন হলে আমাকে জানান।” 

    [tw]


    [/tw]

    প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে জানানো হয়েছে এই উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ১২ হাজার ৮৫৪ জন রয়েছেন। যাঁদের অভাবের সময় সাহায্য করা হয়। গুজরাত সরকারের চারটি উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবে একশো শতাংশ প্রয়োগ করা হচ্ছে কি না তা খতিয়ে দেখেন প্রধানমন্ত্রী তথা গুজরাতের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেন, “প্রকল্পগুলি কখনও খাতায় কলমে থেকে যায়, কখনও বা ভুল লোকের হাতে চলে যায়। কিন্তু আমি আপনাদের সঙ্গে আছি। সবকা সাথ, সবকা বিকাশ এই ভাবনা নিয়েই কাজ করি আমি। এটাই ঠিক পথ বলে আমার বিশ্বাস।” গুজরাতবাসীকে অভিনন্দন জানিয়ে মোদি বলেন, তিনি আজ দেশের প্রধানমন্ত্রী তাঁকে এই জায়গায় পৌঁছতে সাহায্য করেছে গুজরাতের সাধারণ মানুষ।

    এদিন অন্য এক মঞ্চে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির থাকার কথা। বাইডেনের সভাপতিত্বে আয়োজিত গ্লোবাল করোনা সামিটে অংশ নেবেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। আজ ভার্চুয়াল এই সামিটে বক্তব্য রাখার কথা রয়েছে তাঁর। করোনা মহামারী পরিস্থিতিতে টিকাকরণে ভারতের ভূমিকা নিয়েই বার্তা দেওয়ার কথা প্রধানমন্ত্রী মোদির এমনই জানিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী।

  • Swiggy: সুইগিতে বাম্পার অফার! ভাইরাল ‘সুইগি বয়’-কে খুঁজে দিলে মিলবে ৫০০০ টাকা

    Swiggy: সুইগিতে বাম্পার অফার! ভাইরাল ‘সুইগি বয়’-কে খুঁজে দিলে মিলবে ৫০০০ টাকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবারে টাকা জেতার সুযোগ করে দিল ‘সুইগি’ (Swiggy)। কিন্তু কেন এই অফার? এই নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে কৌতূহলের সৃষ্টি হয়েছে। এরপরেই আসল ঘটনা জানা গেল। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভাইরাল ভিডিওতে দেখা গেছে ঘোড়ায় চড়ে এক ব্যক্তি মুম্বইয়ের ব্যস্ত রাস্তা পেরোচ্ছেন এবং তাঁর পিঠে ছিল একটি সুইগির ডেলিভারি ব্যাগ। সোশ্যাল মিডিয়ায় ওই ভিডিয়ো আপলোড করার সঙ্গে সঙ্গে তা ভাইরাল হয়ে যায়। প্রায় কয়েক হাজার কমেন্ট এবং শেয়ার হয় ভিডিয়োটি।

    আরও পড়ুন: বাইকের বদলে ঘোড়া! জলমগ্ন মুম্বইয়ে খাবার পৌঁছে দিতে একি করলেন সুইগি বয়

    ভারী বৃষ্টিতে রাস্তাঘাট জলমগ্ন। গাড়ি নিয়ে যাতায়াত করা মুশকিল। কিন্তু তার মধ্যেই ওই ফুড ডেলিভারি বয় নিজের কর্তব্যে অনড় থেকে সেই পরিস্থিতিতেই বেড়িয়ে পড়েন ঘোড়া নিয়ে। এরপর থেকেই এই ‘সুইগি বয়’-এর পরিচয় জানার জন্য সবাই আগ্রহী হয়ে পড়ে। আর অবশেষে ওই ভিডিয়োতে কমেন্ট করে বসল খোদ ‘সুইগি’। এর সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি বিবৃতি জারি করেছে সংস্থাটি। যেখানে ঘোষণা করা হয়েছে যেই ব্যক্তি এই সুইগি বয়কে খুঁজে দিতে পারবে তাঁর জন্য পুরস্কার হিসেবে ৫০০০ টাকা দেওয়া হবে।

    [insta]https://www.instagram.com/p/CfoUkopPrO-/?utm_source=ig_web_copy_link[/insta]

    ভিডিয়ো ভাইরাল হওয়ার পর থেকেই নিজেদের সংস্থার সেই কর্মীকেই হন্যে হয়ে খুঁজছে সুইগি। কারণ ভিডিয়ো তে তাঁর মুখ দেখা যায়নি। তাই ওই ডেলিভারি বয়কে খুঁজতে ব্যর্থ হওয়ায় এ বার তাঁকে খুঁজে দেওয়ার জন্য পুরস্কার ঘোষণা করল সুইগি। সুইগির তরফে একটি বিবৃতি জারি করে জানানো হয়েছে, ওই ডেলিভারি বয়ের খোঁজ দিতে পারলে বা তাঁর সম্পর্কে কোনও তথ্য দিতে পারলে তাঁকে সুইগি’র ওয়ালেটে পাঁচ হাজার টাকা পুরস্কার হিসেবে দেওয়া হবে। তাঁকে সেখানে ‘ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর’  বলেও অ্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে। ওই ডেলিভারি বয়ের কর্তব্য ও কাজের প্রতি নিষ্ঠা দেখে তাঁর প্রতি সম্মান জানানের জন্য সুইগি তাঁকে খুঁজে বেরোচ্ছে। 

  • Kashmir Professor: জঙ্গি যোগ সন্দেহে চাকরি গেল কাশ্মীর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আলতাফ হোসেনের

    Kashmir Professor: জঙ্গি যোগ সন্দেহে চাকরি গেল কাশ্মীর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আলতাফ হোসেনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  জঙ্গিদের সঙ্গে যোগ রয়েছে সন্দেহে কাশ্মীর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অধ্যাপক(Kashmir Professor)-সহ তিন সরকারি কর্মীর চাকরি গেল। সংবিধানের ৩১১ ধারা অনুযায়ী জম্মু-কাশ্মীর প্রশাসন ওই তিনজনকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করেছে। সরকারি সূত্রে জানানো হয়েছে, কাশ্মীর বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়নের অধ্যাপক আলতাফ হোসেন পণ্ডিত ছাড়াও  স্কুল শিক্ষক মহম্মদ মকবুল হাজাম এবং পুলিস কনস্টেবল গুলাম রসুলকেও বরখাস্ত করা হয়েছে। ওই তিন জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ,তাঁরা বৈষম্যমূলক কাজের সঙ্গে জড়িত এবং তাঁদের সঙ্গে জঙ্গিদের যোগাযোগ রয়েছে।

    সরকারের নতুন শিক্ষানীতি প্রণয়নের জন্য গঠিত একটি সাব কমিটির গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন অধ্যাপক আলতাফ হোসেন। এছাড়া রসায়ন সংক্রান্ত জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক জার্নালে তাঁর উল্লেখযোগ্য গবেষণাপত্র ছাপা হয়েছে। দেশেও রসায়ন বিজ্ঞানে মহলে তাঁর বিরাট নামডাক। এছাড়াও ব্যক্তিগত সততা, আচরণ ইত্যাদির কারণেও অধ্যাপক আলতাফ হোসেন পন্ডিত বিশ্ববিদ্যালয়ে খুবই জনপ্রিয়। দেশের বহু নামিদামি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তিনি গুরুত্বপূর্ণ কমিটিতে রয়েছেন। 

    জম্মু ও কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা জানান, সরাসরি জঙ্গিদের সমর্থন করেন আলতাফ। অভিযোগ, জঙ্গি কার্যকলাপের সঙ্গেও তিনি জড়িত। সরকারি সূত্রে বলা হয়েছে, অধ্যাপক হুসেন জামাত-এ-ইসলামের সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত। তিনি জঙ্গি প্রশিক্ষণ নেওয়ার জন্য পাকিস্তানেও গিয়েছিলেন। ১৯৯৩ সালেও হুসেন গ্রেফতার হন। গ্রেফতার হওয়ার আগে টানা তিন বছর তিনি জেকেএলএফের সক্রিয় সদস্য ছিলেন। জঙ্গি নিয়োগের ক্ষেত্রেও তাঁর প্রত্যক্ষ ভূমিকা ছিল। ২০১১ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে জম্মু-কাশ্মীরে জঙ্গি হত্যার প্রতিবাদে যতগুলি হিংসাত্মক ঘটনা ঘটে বা নিরাপত্তাবাহিনীকে লক্ষ্য করে পাথর ছোড়াছুড়ি হয়, তার সবকটিতেই হুসেন যুক্ত ছিলেন বলে অভিযোগ। ২০১৫ সালে কাশ্মীর ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশনের কার্যকরী কমিটির সদস্য হন ওই অধ্যাপক। অভিযোগ,ওই পদমর্যাদাকে কাজে লাগিয়ে তিনি ছাত্রদের মধ্যে বিচ্ছেদ এবং বৈষম্যের প্রচার চালাতেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন ছাত্রকে জঙ্গি কার্যকলাপে জড়ানোর অভিযোগও রয়েছে হোসেনের বিরুদ্ধে।

    কাশ্মীর প্রশাসন জানায়, স্কুল শিক্ষক মকবুল হাজাম সোগামে থানা এবং অন্যান্য সরকারি অফিসে হামলার ঘটনায় জড়িত ছিলেন। সরকারি কর্মী হওয়া সত্ত্বেও তিনি জঙ্গি কার্যকলাপে যুক্ত হয়ে পড়েন। পুলিস কনস্টেবল গুলাম রসুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনিও জঙ্গিদের নানা ভাবে সাহায্য করতেন। নিরাপত্তাবাহিনীর গতিবিধি জঙ্গিদের জানিয়ে দেওয়া ছিল তাঁর অন্যতম কাজ। তার সঙ্গে হিজবুল জঙ্গি মুসতাক আহমেদ ওরফে ঔরঙ্গজেবের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল। তিনজনের বিরুদ্ধেই এসব গুরুতর অভিযোগ খতিয়ে দেখার পর সংশ্লিষ্ট সরকারি কমিটি তাঁদের চাকরি থেকে বরখাস্তের সুপারিশ করে। সেইমতো প্রশাসন তিনজনকে বরখাস্ত করে।

  • Gyanvapi Mosque: জ্ঞানবাপী মসজিদ চত্বরে মিলল পুরনো মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ, হিন্দু মোটিফ!

    Gyanvapi Mosque: জ্ঞানবাপী মসজিদ চত্বরে মিলল পুরনো মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ, হিন্দু মোটিফ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জ্ঞানবাপী মসজিদ (Gyanvapi mosque) চত্বরে মিলল পুরনো মন্দিরের ধ্বাংসাবশেষ। ঘণ্টার মতো হিন্দু (hindu) মোটিফও মিলেছে। বেসমেন্টের স্তম্ভে কলস, ফুল ও ত্রিশূল দৃশ্যমান ছিল বলেও দাবি করা হয়েছে জ্ঞানবাপী মসজিদ কমপ্লেক্সের ভিডিওগ্রাফির সমীক্ষার দুটি প্রতিবেদনে।

    বারাণসীতে কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরের (kashi Viswanath temple) একাংশ ভেঙে মসজিদ তৈরি হয়েছিল বলে অভিযোগ। মুঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেবের নির্দেশেই তা হয়েছিল বলে ইতিহাসবিদ যদুনাথ সরকার অনূদিত একটি বইয়ে দাবি করা হয়েছে। এমতাবস্থায় মসজিদ কমপ্লেক্সে ঘণ্টা, ফুল, কলস ও ত্রিশূলের খবর প্রকাশ্যে আসায় স্বভাবতই খুশি হিন্দুত্ববাদী বিভিন্ন সংগঠন।

    কাশী বিশ্বনাথ মন্দির-জ্ঞানবাপী মসজিদ বিতর্কের জল গড়ায় আদালত পর্যন্ত। তার পরেই আদালতের নির্দেশে মসজিদ চত্বরে শুরু হয় ভিডিওগ্রাফির কাজ। প্রথমে মসজিদের ভিতরে ভিডিওগ্রাফিতে আপত্তি জানায় মন্দির কর্তৃপক্ষ। পরে আদালতের নির্দেশে শুরু হয় তিনদিন ব্যাপী সমীক্ষার কাজ। সমীক্ষার কাজ যাতে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়, সেজন্য আইনজীবী অজয় কুমার মিশ্রকে অ্যাডভোকেট কমিশনার নিয়োগ করে আদালত। তাঁর বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ ওঠে। পরে অবশ্য তথ্য ফাঁসের অভিযোগে কমিশনারের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় তাঁকে। এরপর ফের তিনদিন ধরে সমীক্ষার কাজ চলে মসজিদের ভিতরে। অতিরিক্ত তথ্য ও নথি রেকর্ডে আনার জন্য সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছিলেন অ্যাডভোকেট বিষ্ণু শঙ্কর জৈন। তিনি বলেন, অ্যাডভোকেট কমিশনের দায়ের করা রিপোর্টের পরে এটা স্পষ্ট যে বিতর্কিত কাঠামোর মধ্যে হিন্দুধর্মীয় চরিত্র রয়েছে। তিনি বলেন, একটি ধর্মীয় স্থানকে মুঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেবের জোরপূর্বক দখল নেওয়ায় বদলে যায় না সম্পত্তির প্রকৃতি ও বিদ্যমান দেবতার মালিকানার অধিকার।

    আরও পড়ুন : মন্দির ভেঙেই জ্ঞানবাপী মসজিদ! প্রমাণ মিলল ইতিহাসেও

    আইনজীবী অজয় কুমার দাবি করেছিলেন, ব্যারিকেডের বাইরে উত্তর ও পশ্চিম দেওয়ালের কোণে পুরনো মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ ও দেবতার কাঠামো পাওয়া গিয়েছে। একটি ফলকে শেষনাগের নকশা ছিল। দেখা গিয়েছিল পদ্মও। তিনি বলেন, আমার কাজের প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করেছি। প্রতিবেদনের অংশ হিসেবে সেটি বিবেচনা করা বা না করা আদালতের ব্যাপার।

    সম্প্রতি সহকারি অ্যাডভোকেট কমিশনার অজয় প্রতাপ সিংয়ের উপস্থিতিতে বিশেষ আইনজীবী কমিশনার বিশাল সিং একটি রিপোর্ট জমা দেন আদালতে। লিখিত প্রতিবেদনের পাশাপাশি তিনটি সিল করা বাক্সে প্রমাণ হিসেবে তিনদিন ধরে চলা সমীক্ষার ভিডিও রেকর্ডিংও জমা দিয়েছেন তিনি। বিশাল জানান, প্রতিবেদনটি জ্ঞানবাপী মসজিদের ভিতরের এলাকা নিয়ে।

    আরও পড়ুন : শিবলিঙ্গের পর এবার শেষনাগের দেখা মিলল জ্ঞানবাপী মসজিদে!

    এদিকে সার্ভে রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন জ্ঞানবাপী মসজিদ পরিচালনা কমিটির যুগ্ম সম্পাদক এসএম ইয়াসিন। তিনি বলেন, প্রতিবেদনের রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসায় জ্ঞানবাপী মসজিদ ও কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরের নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়েছে। সুপ্রিম কোর্টেরও এদিকে নজর দেওয়া উচিত। দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত।

    আরও পড়ুন : অযোধ্যা, মথুরা ও কাশী বিবাদের নিষ্পত্তি একসঙ্গে করা উচিত ছিল, মত উমা ভারতীর

     

  • Sri krishna Janmabhoomi: কৃষ্ণ জন্মভূমিতে মসজিদ মামলা গ্রহণ করল মথুরার আদালত

    Sri krishna Janmabhoomi: কৃষ্ণ জন্মভূমিতে মসজিদ মামলা গ্রহণ করল মথুরার আদালত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কৃষ্ণ জন্মভূমির (Sri krishna Janmabhoomi) জমিতে শাহি ইদগাহ মসজিদ (shahi idgah mosque) গড়ে ওঠার অভিযোগ জানিয়ে যে মামলা দায়ের হয়েছে, তা গ্রহণযোগ্য। এমনটাই জানাল মথুরার আদালত (Mathura court)। ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে মামলাটি খারিজ করে দেওয়া সিভিল কোর্টের আদেশও বাতিল করে দিয়েছে জেলা আদালত।

    মথুরার একটি জমিতে রয়েছে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের মন্দির। ওই জমিরই একাংশে রয়েছে শাহি ইদগাহ মসজিদ। হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের দাবি, যে জায়গায় মসজিদটি রয়েছে, সেখানেই জন্মেছিলেন শ্রীকৃষ্ণ। তাই শাহি ইদগাহ অপসারণের দাবি জানিয়ে দায়ের হয়েছিল মামলা। আবেদনে দাবি করা হয়, ১৩.৩৭ একর জমি মন্দিরের। ফলে, মসজিদ সরিয়ে ওই জমি মন্দিরকে হস্তান্তর করা হোক।

    ২০২০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর মথুরার একটি দেওয়ানি আদালত এই মামলা গ্রহণ করতে অস্বীকার করে। ওই বছরেরই ২০ অক্টোবর মথুরা জেলা আদালত ফের মামলাটি দায়ের করা হয়। পরবর্তীকালে রঞ্জনা অগ্নিহোত্রী নামে একজন দাবি করেন, শ্রীকৃষ্ণ জন্মভূমি প্রভুর জন্মস্থান। দেওয়ানি আপিলে তাঁরা দাবি করেছিলেন, শ্রীকৃষ্ণের উপাসক হওয়ায় তাঁদের ধর্মের অধিকার রয়েছে। ভগবানের প্রকৃত জন্মস্থানে দর্শন ও পুজো করার অধিকার তাঁদের দিতে হবে। তাঁদের দাবি, এখন যেখানে মসজিদ রয়েছে, তার ঠিক নীচেই রয়েছে কৃষ্ণের জন্মভূমি। দু’পক্ষের শুনানি শেষে আদলত রায় সংরক্ষণ করে।

    আরও পড়ুন : ধাক্কা খেল মসজিদ কমিটি, জ্ঞানবাপী মামলায় বড় নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

    আদালতে আরও একটি আবেদন করেছিলেন অল ইন্ডিয়া হিন্দু মহাসভার জাতীয় কোষাধ্যক্ষ দীনেশ কৌশিক। দায়রা বিচারক সিনিয়র ডিভিশন মথুরার কাছে একটি আবেদনে তিনি দাবি করেন, শাহি ইদগাহ মসজিদের ভিতরে থাকা লাড্ডু গোপালকে পবিত্র করার এবং সেখানে নিয়মিত পুজো করার অনুমতি দেওয়া হোক।

    ভারত দীর্ঘকাল মুসলমান শাসকের অধীনে ছিল। হিন্দুত্ববাদী একাধিক সংগঠনের অভিযোগ, ওই সময়কালে বহু মন্দির ভেঙে গড়ে উঠেছে মসজিদ। মুঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেবের শাসনকালে সবচেয়ে বেশি মন্দির ধ্বংস হয়েছিল বলে ইতিহাসবিদদের একাংশের দাবি। তাঁদের দাবি, এই সময়ই বারাণসীতে কাশী বিশ্বনাথের মন্দির ভেঙে তৈরি হয়েছিল জ্ঞানবাপী মসজিদ। এই মসজিদে শিবলিঙ্গ মিলেছে বলে দাবি এক আইনজীবীর। মন্দির ভেঙে গুঁড়িয়ে যে মসজিদ তৈরি হয়েছিল, তাও প্রমাণও মিলেছে এক ইতিহাস বইতে।

    আরও পড়ুন : মন্দির ভেঙেই জ্ঞানবাপী মসজিদ! প্রমাণ মিলল ইতিহাসেও

    এহেন আবহে ফের মাথাচাড়া দিয়েছে মথুরার শাহি ইদগাহ মসজিদ নিয়ে বিতর্ক। গত ১৭ তারিখ এই বিতর্কিত ইদগাহ চত্বর সিল করার দাবিও মথুরার একটি আদালতে করেছিল আবেদনকারীরা। বিতর্কিত জায়গাটি সিল করা না হলে পরিবর্তিত হবে সম্পত্তির ধর্মীয় চরিত্র। মসজিদ চত্বরে নিরাপত্তার দাবিও জানানো হয়। 

    আবেদনে শাহী ইদগাহ মসজিদ প্রাঙ্গণের নিরাপত্তা বাড়ানো, যে কোনও ধরনের চলাচল নিষিদ্ধ এবং নিরাপত্তা কর্মী নিয়োগের দাবিও জানানো হয়। পাশাপাশ, জ্ঞানবাপীর মতো এখানেও আদালত নিযুক্ত কমিশনারের নেতৃত্বে গোটা চত্বরে ভিডিও সমীক্ষা চালানো হোক বলেও দাবি করা হয়েছে। আগামী ১ জুলাই এই আবেদনের শুনানি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। 

     

  • Monkeypox Scare: ছড়াচ্ছে নয়া ভাইরাস! সতর্কতা জারি স্বাস্থ্যমন্ত্রকের, জরুরি বৈঠকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

    Monkeypox Scare: ছড়াচ্ছে নয়া ভাইরাস! সতর্কতা জারি স্বাস্থ্যমন্ত্রকের, জরুরি বৈঠকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: করোনা (Coronavirus) এখনও দূর হয়নি। তার মধ্যেই নয়া দোসর মাঙ্কিপক্স (Monkey Pox)। বিশ্বের নানা প্রান্তে এই নতুন ভাইরাসে আক্রান্ত বহু মানুষ। ভারতে (India) এখনও পর্যন্ত এই ভাইরাস হানা না দিলেও পর্তুগাল, স্পেন, ইউরোপ ও আমেরিকার মতো কয়েকটি দেশে মাঙ্কি পক্সে আক্রান্ত রোগীর হদিশ মিলেছে। উদ্বিগ্ন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (World Health Organization) বা হু। কী ভাবে এই নয়া ভাইরাসের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব কিংবা কী পদ্ধতিতে এর মোকাবিলা করা যায়, এই নিয়ে জরুরি বৈঠক ডেকেছে হু (WHO)। সতর্ক দেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রকও (Union Health Ministry)। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়া নিয়ে আইসিএমআর (ICMR) কে সচেতন থাকতে বলেন। চিকিৎসক ও গবেষকদের নয়া ভাইরাস নিয়ে চিন্তাভাবনা করার কথাও জানান। বিমানবন্দর ও বন্দর এলাকাগুলিতে আক্রান্ত দেশগুলি থেকে আসা ব্যক্তিদের উপরেও নজর রাখার নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক।

    মাঙ্কিপক্স কী?
    এটি একটি বায়ুবাহিত ভাইরাস।  এই ভাইরাসের জেরে যে রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ, তাকেই মাঙ্কিপক্স বলা হচ্ছে। ১৯৫৮ সালে প্রথম মাঙ্কিপক্স পাওয়া গিয়েছিল। মূলত ইঁদুর থেকেই এই ভাইরাস ছড়ায় বলে প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছিল। তবে মূল চিন্তার বিষয় একজন আক্রান্তের থেকে মাঙ্কিপক্স অন্য ব্যক্তির দেহে ছড়িয়ে পড়তে পারে।

    সংক্রমণের আশঙ্কা: মাঙ্কি পক্সে আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে এলে বাড়তে পারে সংক্রমণের আশঙ্কা। শ্বাসনালি, শরীরে তৈরি হওয়া কোনও ক্ষত, নাক কিংবা চোখের মাধ্যমেও অন্যের শরীরের প্রবেশ করতে পারে মাঙ্কি ভাইরাস। সাম্প্রতিক রিপোর্ট বলছে, শারীরিক সম্পর্কের মাধ্যমেও একে অপরের শরীরে হানা দিতে পারে এই ভাইরাস। আক্রান্ত কোনও ব্যক্তির সঙ্গে শারীরিক মিলনেও মাঙ্কি পক্সে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।

    রোগের উপসর্গ: কাঁপুনি দিয়ে জ্বর, মাথা যন্ত্রণা, পেশিতে ব্যথা, গায়ে হাত পায়ে ব্যথার মতো কিছু প্রাথমিক উপসর্গ তো রয়েছেই। এ ছাড়াও মাঙ্কি পক্সে আক্রান্ত হলে শরীরের বিভিন্ন লসিকা গ্রন্থি ফুলে ওঠে। শরীরে ছোট ছোট অসংখ্যা ক্ষতচিহ্নের দেখা মেলে। ক্রমশ সেই ক্ষত আরও গভীর হয়ে সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়তে থাকে। গুটি বা জল বসন্তের সঙ্গে মাঙ্কি পক্সের উপসর্গের দিক থেকে সাদৃশ্য থাকায় অনেকেই প্রাথমিক পর্যায়ে এই রোগকে বসন্ত বা চিকেন পক্স বলে ভুল করছেন।

    চিকেন পক্স ও মাঙ্কি পক্স: ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস অনুসারে, মাঙ্কি পক্সকে অনেকেই চিকেন পক্স বলে ভুল করছেন। চিকেন পক্সের (Chicken Pox) মতো মাঙ্কি পক্সের ক্ষেত্রেও শরীরে ছোট ছোট ফুসকুড়ি দেখা দিচ্ছে। ফ্লুইড যুক্ত এই ফুসকুড়িগুলি পরে ত্বকের দাগেরও সৃষ্টি করছে। উপসর্গগত সাদৃশ্য থাকলেও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মাঙ্কি পক্স সম্পূর্ণ নতুন একটি ভাইরাস। চিকেন পক্সের মতো রোগের প্রতিকার থাকলেও এই বিরল রোগ নিরাময়ের এখনও পর্যন্ত কোনও সুনির্দিষ্ট চিকিৎসাপদ্ধতি নেই বলেই জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

    গত ৭ মে লন্ডনে প্রথম এক ব্যক্তির শরীরে মাঙ্কি পক্সের ভাইরাস পাওয়া গিয়েছিল। আক্রান্ত ওই ব্যক্তি নাইজেরিয়ায় গিয়েছিলেন বলে জানা গিয়েছিল। সেখানেই কোনওভাবে আক্রান্ত হন বলে ধারণা করা হয়েছিল। জানা যাচ্ছে, সমকামী পুরুষদের মধ্যে এই মাঙ্কিপক্স ভাইরাস (Monkey Pox Virus) দ্রুতহারে ছড়িয়ে পড়ছে। এর কারণ যাচাই করতেই হু-এর (WHO) এই বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। পাশাপাশি, মাঙ্কিপক্সের হাত থেকে নিস্তার পেতে কোনওপ্রকার ভ্যাকসিন কার্যকরী হবে, তা জানতেও নানাবিধ পরীক্ষা-নিরিক্ষা চালানো হচ্ছে। ইতিমধ্যেই ব্রিটেন (UK), স্পেন, বেলজিয়াম, ইতালি, অস্ট্রেলিয়া এবং কাডানা এই ভাইরাস দ্রুতগতিতে ছড়িয়ে পড়েছে।

     

  • Aadhaar: অনলাইনে আধার সংক্রান্ত অভিযোগ জানাবেন কীভাবে, জানেন?  

    Aadhaar: অনলাইনে আধার সংক্রান্ত অভিযোগ জানাবেন কীভাবে, জানেন?  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিনের পর দিন ক্রমেই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে আধার কার্ড (Aadhaar Card)। ব্যাংক (Bank) থেকে শুরু করে নানা সরকারি পরিষেবা পেতে কিংবা পরিচয়পত্র হিসেবে আধার কার্ডের গুরুত্ব অপরিসীম। ১২ সংখ্যার এই আধার নম্বর ছাড়া জীবন অচল হওয়ার জোগাড়। আধার কার্ডে কোনও ব্যক্তির যাবতীয় তথ্য সংরক্ষিত থাকে। কোনও ব্যক্তির নাম, ঠিকানা থেকে প্রয়োজনীয় যাবতীয় তথ্য সংরক্ষিত থাকে ওই কার্ডে। কারণ আধার কার্ডের সঙ্গে বায়োমেট্রিকের তথ্য যুক্ত থাকে। সরকারি কিংবা বেসরকারি সব ক্ষেত্রেই আধার আজকাল বাধ্যতামূলক। আধার সংক্রান্ত অভিযোগ (grievance) জানাতে সম্প্রতি নয়া হেল্প লাইন নিয়ে এল ইউনিক আইডেন্টিফিকেশন অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (Unique Identification Authority of India)। এই সার্ভিস ব্যবহার করে আধার সংক্রান্ত যে কোনও অভিযোগ জানানো যাবে। ইমেল অথবা অফিসিয়াল আধার ওয়েবসাইট থেকে দুর্নীতি, দুর্ব্যবহার এবং আধার সংক্রান্ত নানান অভিযোগও জানানো যাবে।

    আরও পড়ুন : সদ্যোজাতরাও পাবে আধার কার্ড! নয়া পরিকল্পনা ইউআইডিএআই-এর

    আধার সংক্রান্ত কোনও সমস্যার সম্মুখীন হলে অভিযোগ জানাবেন কীভাবে? তার আগে জেনে নেওয়া প্রয়োজন এই সার্ভিস ব্যবহার করে নাগরিকেরা কী কী অভিযোগ জানাতে পারবেন। অফিসিয়াল আধার ওয়েবসাইটে জানানো হয়েছে অপারেটর ও এনরোলমেন্ট এজেন্সির বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানো যাবে। যে কোনও সমস্যার জন্য রেজিস্টার্ড ফোন নম্বর থেকে ফোন করে জানানো যাবে অভিযোগ। সেই কারণেই নাগরিকদের জন্য বিশেষ টোল ফ্রি নম্বর চালু করেছে ইউআইডিএআই। আধারের সঙ্গে যে নম্বর লিঙ্ক করা রয়েছে, সেই ফোন থেকে ১৯৪৭ ডায়াল করে অভিযোগ জানানো যাবে। এছাড়া ই-মেলের মাধ্যমেও জানানো যাবে অভিযোগ। সমস্যার কথা জানিয়ে help@uidai.gov.in অ্যাড্রেসে ই-মেইল করুন।

    আরও পড়ুন : ৩০ জুনের পর প্যান-আধার লিঙ্ক করলে গুনতে হবে দ্বিগুণ জরিমানা!

    চ্যাটবট ব্যবহার করেও কমপ্লেন লজ করতে পারেন। uidai.gov.in এ যদি চ্যাটবট থাকে তাহলে আধার সার্ভিসের জন্য ক্যুইক অটোমেটেড রেসপন্স চান। রেসিডেন্ট পোর্টাল এবং ইউআইডিএআই ওয়েবসাইটের মেইন পেজে গিয়ে রাইট বাটন ক্লিক করুন। নীল ‘আস্ক আধার’ আইকনে ক্লিক করুন। এর পরেই চ্যাটবটের সঙ্গে কথা বলা যাবে। হিন্দি এবং ইংরেজি দুই ভাষার সুবিধাই মিলবে। পোর্টালের মাধ্যমেও জানানো যাবে অভিযোগ। সেক্ষেত্রে অভিযোগ জানাতে হবে https://resident.uidai,gov.in/file-complaint অ্যাড্রেসে।   

LinkedIn
Share