Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Madhyamik Passed Mother: স্বপ্ন পূরণ, দুই মেয়ের সঙ্গে মাধ্যমিক পাশ করলেন মা 

    Madhyamik Passed Mother: স্বপ্ন পূরণ, দুই মেয়ের সঙ্গে মাধ্যমিক পাশ করলেন মা 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বয়স যে শুধুই সংখ্যা তার প্রমাণ রেখে গিয়েছে অনেকেই। সেই খাতায় নাম লেখালেন ত্রিপুরার (Tripura) এক বাসিন্দা। স্বপ্ন পূরণের আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে যদি জুড়ে যায় অদম্য জেদ তাহলে কোনও বাধাই যেন দমিয়ে রাখতে পারে না। আজ সেটাই করে দেখালেন পঞ্চাশোর্ধ শিলা রানি দাস (Shila Rani Das)। শৈশবের অধরা স্বপ্নকে পূরণ করলেন তিনি। জীবন পাঠশালার পাট চুকিয়ে দিলেও তাতে রাজি ছিলেন না শিলা দেবী। তাই নিজের দুই মেয়েকে পাশে নিয়ে করলেন মাধ্যমিক পাশ (secondary examination)। সঙ্গে দুই মেয়ে পেরোলেন উচ্চ মাধ্যমিকের (Higher Secondary) গণ্ডি।

    আরও পড়ুন: উপনির্বাচনে যোগীরাজ্যে গেরুয়া ঝড়, ত্রিপুরায় কুপোকাত তৃণমূল

    মাধ্যমিক পাশ করে উচ্ছ্বসিত শিলা রানি দাস জানান, “কিশোরী অবস্থায় একাধিকবার পরীক্ষায় বসার চেষ্টা করেছি। শেষবার স্বামীর মৃত্যু সবকিছু ওলটপালট করে দেয়। জেদ ছাড়িনি। তাই, আজ মাধ্যমিক পাশ করার স্বপ্ন পূরণ সম্ভব হয়েছে।”

    আরও পড়ুন: পিতা-কন্যার যুগলবন্দী! ভারতীয় বায়ুসেনায় একসঙ্গে যুদ্ধবিমান চালিয়ে গড়ে তুললেন ইতিহাস      
     
    বুধবার ত্রিপুরার মধ্যশিক্ষা পর্ষদ পরিচালিত মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। বড়দোয়ালি মিলন সংঘ এলাকার বাসিন্দা শিলা রানি দাস(৫৩) এবছর মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাশ করেছেন। আপাতত তিনি পুরনিগমে কর্মরত। শিলা দেবী জানান, “১৯৯৪ সালে পরীক্ষায় বসার আবেদনপত্র জমা দিয়েও, পরীক্ষা দেওয়া হয়নি। এরপর আরও দুবার চেষ্টা করেছি। স্বামী যেবার মারা গেলেন সেবারও পরীক্ষা দেওয়ার কথা ছিল। সবটা ওলটপালট হয়ে গেল। স্বামীর মৃত্যুর পর আর পরীক্ষা দেওয়া হয়নি।” তাঁর কথায়, “মাধ্যমিক পরীক্ষা দেওয়ার স্বপ্ন মনের মধ্যেই পুষে রেখেছিলাম। আজ সেই স্বপ্ন পূরণ হয়েছে।

    নজরুল বিদ্যা মন্দির থেকে পরীক্ষা দিয়েছিলেন শিলা রানি দাস। তাঁর দুই মেয়ে বাণী বিদ্যাপীঠ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিলেন। মা ও দুই মেয়ের সফলতায় খুশি পরিবারের সক্কলে।


     
    ছোট মেয়ে বলেন, “মা আজ মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাশ করেছেন। ঠাকুরের অশেষ কৃপায় তা সম্ভব হয়েছে।” বড় মেয়ের কথায়, “শ্বশুর বাড়িতে থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছি। তাই মাকে বিশেষ সাহায্য করে উঠতে পারিনি। কিন্ত আজ ফলাফলে ভীষণ খুশি হয়েছি।” শিলা রাণী দাস বলেন, “মাধ্যমিক পরীক্ষা দেওয়ার জন্য দুই মেয়ে সাহস যুগিয়েছে। তাই আজ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পেরেছি।” আগামীদিনে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দেওয়ার ইচ্ছেও রয়েছে বলে জানিছেন শিলা দেবী।

      

  • Covid Vaccine: করোনার সেকেন্ড এবং বুস্টার ডোজের মধ্যে সময় কমালো কেন্দ্র

    Covid Vaccine: করোনার সেকেন্ড এবং বুস্টার ডোজের মধ্যে সময় কমালো কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: করোনাভাইরাস (Covid Vaccine) টিকার দ্বিতীয় (Second Dose) এবং বুস্টার ডোজের (Booster Dose) মধ্যে ব্যবধান কমাল কেন্দ্রীয় সরকার। বুধবার বিষয়টি নিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ। দেশের সব রাজ্য এবং কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলকে এই নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। নির্দেশ অনুযায়ী, দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার ৬ মাস বা ২৬ সপ্তাহ পরেই নেওয়া যাবে বুস্টার ডোজ। এত দিন সেই সময়সীমা ছিল ৯ মাস বা ৩৯ সপ্তাহ। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে , ‘ন্যাশনাল টেকনিক্যাল অ্যাডভাইসরি গ্রুপ অন ইমিউনাইজেশন’ (NTAGI)- এর প্রস্তাব অনুযায়ী কোভিড টিকার দ্বিতীয় ডোজ ও বুস্টার ডোজের মধ্যবর্তী সময়ের ব্যবধান কমানো হয়েছে।

    আরও পড়ুন: শিশুদের মধ্যে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ, স্কুল খোলা রাখার পক্ষেই সওয়াল চিকিৎসকদের
     
    দেশে কোভিড পরিস্থিতির ফের অবনতি হচ্ছে। মহামারীর মোকাবিলায় রাজ্যগুলিকে টিকাকরণে জোর দিতে বলা হয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের চিঠিতে। ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে সকলেই নিতে পারবেন কোভিডের বুস্টার ডোজ। ১৮ বছর থেকে ৫৯ বছর বয়সীরা দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার ৬ মাস পরেই বেসরকারি কোভিড টিকা কেন্দ্র থেকে বুস্টার ডোজ নিতে পারবেন। ৬০ বছরের বেশি বয়সীরা সরকারি টিকা কেন্দ্র থেকে বিনামূল্যে পাবেন বুস্টার ডোজ। পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর্মী এবং প্রথম সারির কর্মীরা সরকারি টিকা কেন্দ্র থেকে বুস্টার ডোজ পাবেন বলে জানিয়েছে কেন্দ্রে। কোউইন পোর্টালের মাধ্যমেই টিকা নেওয়ার নতুন সময় দেখতে পাওয়া যাবে।

    আরও পড়ুন: করোনায় আক্রান্ত হওয়া মানেই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়া নয়, জানাল হু

    দেশে গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই ভয় ধরাচ্ছে করোনার দৈনিক সংক্রমণ। সংক্রমণ পরিস্থিতি যাতে নাগালের বাইরে না যেতে পারে, সে জন্য টিকাকরণে জোর দিতে চাইছে সরকার। আরও দ্রুত বেশি মানুষকে বুস্টার ডোজ দিয়ে সুরক্ষিত করতে চাইছে কেন্দ্র। সে জন্যই দুই ডোজের মধ্যবর্তী সময়ের ব্যবধান কমানো হল বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। চিকিৎসকদের মতে, দ্বিতীয় ডোজের পর বুস্টার ডোজ নেওয়া থাকলে বাড়বে প্রতিরোধ ক্ষমতা। এর জেরে করোনাভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করা সহজতর হবে। তাই বুস্টার ডোজ নেওয়ার বিষয়ে প্রচার চালানোর জন্য রাজ্যগুলিকে নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক (Ministry of Health and Family Welfare)।       

     

  • Consumer Protection Authority: কড়া পদক্ষেপে ক্রেতা সুরক্ষা, কমবে অ্যাপ ক্যাব যন্ত্রণা?

    Consumer Protection Authority: কড়া পদক্ষেপে ক্রেতা সুরক্ষা, কমবে অ্যাপ ক্যাব যন্ত্রণা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অ্যাপ ক্যাব বুক করেছেন। দেখাচ্ছে দশ মিনিটের অপেক্ষা কিন্তু সময় গড়াচ্ছে ঘড়িতে। বিশ-পঁচিশ মিনিট কেটে গেলেও গাড়ির টিকি নেই। এমন অভিজ্ঞতা আমাদের অনেকেরই আছে। কিন্তু সবচেয়ে বেশি বার যে ঘটনা ঘটেছে তা হল, অ্যাপ ক্যাব ড্রাইভার ফোন করে জানতে চাইলেন কোথায় যাবেন? গন্তব্য শোনার পর ফোনটা স্রেফ কেটে দিলেন। সঙ্গে কেটে দিলেন বুকিং লিঙ্কটাও। সেই পুরানো ট্যাক্সি রিফিউজালের মত। আপনি স্তম্ভিত। কিন্তু পালাবার পথ নেই। কারণ ততক্ষণে আপনি অ্যাপ ক্যাব জালে বন্দি। কারণ অ্যাপ তখন ফের গাড়ি খুঁজছে। আপনার ডেস্টিনেশনে। আবার সেই  দীর্ঘতর অপেক্ষা এবং রিফিউজাল (Refusal) অথবা দেরি করে গাড়ি আসা। অ্যাপের ঘড়ি তখন আপনার ঘড়ির থেকে বহু ধীরে ঘুরছে।  

    অপেক্ষা আর প্রত্যাখ্যান তো আছেই। এমন আরও অনেক অভিজ্ঞতা রয়েছে নিত্য অ্যাপ ক্যাব ব্যবহারকারীদের। যেমন, যখন তখন বাড়তি ভাড়া বা সার্জ-প্রাইসিং (surge pricing)। যাত্রী হতবাক। পিক আওয়ার নয় তবু অ্যাপ ক্যাবের চার্জ পিকে কেন? প্রশ্ন করলে উত্তর নেই! কিন্তু গন্তব্যে যাওয়ার বাধ্যতা আছে। এরই মধ্যে আবদার আছে, “একটু বাড়তি (Extra Fare) দিয়ে দেবেন। বোঝেনই তো তেলের দাম…” এমন হাবভাব যেন আপনি নিজেই তেলের দাম বাড়িয়েছেন! সে কারণেই বুঝি খয়রাতির দায়ও আপনার!

    অনেকের আবদার ‘তেল কম এসি চলবে না’। আপনিও মেনে নেন। আগে তো সময়ে গন্তব্যে পৌঁছাই। ঠান্ডা হাওয়া পরে খেলেও চলবে। এসির তাড়নায় তেল আরও কমে গেলে মাঝরাস্তায় বিপদ!  এমন আবদারও শুনেছেন নিশ্চিত, ড্রাইভার যাত্রীকে বলছে, আপনি বুকিং ক্যানসেল (ride cancel) করে দিন। আমি করব না। আপনি ক্যানসেলও করলেন না আবার গাড়িও এল না। অন্য গাড়ি বুকিং-ও হল না।

    এমন হাজারো অভিযোগ আসছিলই। এবার নড়েচড়ে বসেছে কেন্দ্রীয় কনজিউমার প্রোটেকশন অ্যাক্ট অথরিটি জাতীয় ক্রেতা সুরক্ষা দফতর (CCPA)। ওলা (Ola), উবার (Uber) সহ সব অ্যাপ ক্যাবের প্রত্যাখান (refusal) বাড়তি ভাড়া নেওয়া (surge pricing) ঘোষিত পরিষেবা না দেওয়া নিয়ে এবার কড়া পদক্ষেপ করতে চলছে কেন্দ্রীয় কনজিউমার প্রোটেকশন অ্যাক্ট অথরিটি (The Central Consumer Protection Authority) বা সিসিপিএ (CCPA)।

    মঙ্গলবার চিফ কমিশনার নিধি খারে বিভিন্ন অ্যাপ ক্যাব কর্তৃপক্ষকে ডেকে পাঠান। পরিষেবা নিয়ে যাত্রীদের অভিযোগের ব্যাখ্যা চায়। জানা গেছে প্রায় অভিযোগের ৭১% বুকিং প্রত্যাখান নিয়ে। আর ৪৫% শতাংশের অভিযোগ প্রায় দেড় থেকে দুগুণ বাড়তি ভাড়া নিচ্ছেন ড্রাইভাররা। ৩৮%-এর অভিযোগ যাত্রীকে ক্যানসেল করতে বাধ্য করা হচ্ছে। জানা গেছে, অ্যাপ-ক্যাব কর্তৃপক্ষকে সার্জ প্রাইসিং ও রাইড বাতিল করা নিয়ে নতুন নির্দেশিকাও দিচ্ছে জাতীয় উপভোক্তা নিগম, যা মেনে চলতে হবে সব পক্ষকেই। অন্যথায় কড়া শাস্তির মুখে পড়তে হবে উবার-ওলাকে।  

    সিসিপিএ (CCPA) ওলা-উবার পরিচালকদের কাছে ৩০ দিন সময় দিয়েছে। তারমধ্যেই রাইড বাতিল, বাড়তি ভাড়া সংক্রান্ত বিষয়ে সতর্ক হতে বলেছে। নিজেদের ডেটাবেস থেকে কত রাইড বাতিল হয়েছে কি কারণে বাতিল সব তথ্য চেয়ে পাঠানো হয়েছে। আগামী তিরিশ দিনের মধ্যে যাত্রী হেনস্থার সমস্যার সমাধান না হলে উবার-ওলার ভারতীয় নিয়ন্ত্রকদের বড়সড় জরিমানার মুখে পড়তে হবে বলে সতর্ক করেছে জাতীয় ক্রেতা সুরক্ষা নিগম।

     

  • DRDO SWiFT: চালকবিহীন যুদ্ধবিমানের সফল পরীক্ষা ডিআরডিও’র! উচ্ছ্বসিত প্রতিরক্ষামন্ত্রী

    DRDO SWiFT: চালকবিহীন যুদ্ধবিমানের সফল পরীক্ষা ডিআরডিও’র! উচ্ছ্বসিত প্রতিরক্ষামন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সামরিক ক্ষেত্রে আবারও সাফল্য ভারতের। সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি হওয়া সামরিক বিমান এবার আকাশপথে শত্রুপক্ষের উপরে আঘাত হানতে সক্ষম হবে কোনওরকম চালক ছাড়াই! শুনতে অবিশ্বাস্য মনে হলেও এই অসম্ভবকে সম্ভব করেছে ভারত। সাম্প্রতিককালে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধেও ব্যবহার হয়েছে এই ধরনের যুদ্ধবিমান। ভারতে তৈরি হওয়া স্বয়ংক্রিয় এই সামরিক বিমান সফলভাবে পরীক্ষা করা হল শুক্রবার। এই পরীক্ষামূলক স্টেলথ কমব্যাট ড্রোনের নাম দেওয়া হয়েছে স্টেলথ উইং ফ্লাইং টেস্টবেড (Stealth Wing Flying Testbed) বা সংক্ষেপে সুইফ্ট (SWiFT)। 

    কর্নাটকের চিত্রদুর্গায় এই বিমান পরীক্ষা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (DRDO)। নিজেদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করতেই এমন বিমান বানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত। স্বয়ংক্রিয় এই যুদ্ধবিমানের সফল পরীক্ষার পরে অভিনন্দন জানিয়ে ট্যুইট করেছেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং।

    [tw]


    [/tw][tw]


    [/tw]

    এই সংক্রান্ত একটি ভিডিও DRDO তাদের ট্যুইটারে প্রকাশ করেছে। ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশনের পক্ষ থেকে ট্যুইটবার্তায় জানানো হয়েছে, “আমরা একটি যুদ্ধবিমান (Indigenous Aircraft) তৈরি করার চেষ্টায় ছিলাম। এমতাবস্থায়, ভারতেই তৈরি যুদ্ধবিমানটি সফলভাবে পরীক্ষা করা হল। নিঃসন্দেহে এটি একটি বড় সাফল্য।  এই বিমানে কোনও পাইলটের প্রয়োজন নেই। পরীক্ষার সময় টেক অফ করার পরে নির্দিষ্ট জায়গা পর্যন্ত উড়ে গিয়েছে বিমানটি। তারপরে সেটি নিখুঁতভাবে মাটিতে নেমে আসে।” এই বিমানটি তৈরি করেছে ডিআরডিও-র অধীনে থাকা এরোনটিক্যাল ডেভেলপমেন্ট এসট্যাবলিশমেন্ট। একটি ছোট ফ্যানের মাপের ইঞ্জিন ব্যবহার করেই উড়তে পারে এই যুদ্ধবিমান। একে আরও কার্যকরী করে তোলার চেষ্টা করা হবে। এই পরীক্ষামূলক ছোট যানের উপর আরও গবেষণা চালানো হবে। সেই গবেষণা সফল হলে একটি বড় মডেল তৈরি করা হবে। সূত্রের খবর, সেই বড় যানের নাম দেওয়া হবে, ‘ঘাতক’। পরবর্তীকালে সেটি বায়ুসেনায় ব্যবহার করা হবে। সম্প্রতি, বায়ুসেনার তরফ থেকে জানা গিয়েছিল, এবার ভারতেই চালকবিহীন যুদ্ধবিমান তৈরি করা হবে। এই বিমান তৈরি করে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে এক ধাপ এগিয়েছে ভারত, এমনটাই দাবি করেছে ডিআরডিও। এই পরীক্ষাকে  ‘মাইলস্টোন’ আখ্যা দিয়েছে তারা।

    [tw]


    [/tw][tw]


    [/tw]

    এই সাফল্যে উচ্ছ্বসিত প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh)। টুইট করে তিনি লিখেছেন, “ডিআরডিওকে অনেক অভিনন্দন। এই যুদ্ধবিমান চালানোর পরীক্ষা আত্মনির্ভর ভারত গড়ে তোলার পথে অন্যতম সফল প্রয়াস। ভবিষ্যতেও এমন ভাবেই ভারতীয় প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে স্বদেশি প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে।”

    আরও পড়ুন: পৃথিবী থেকে নয় মহাকাশ থেকে কেমন লাগে সূর্যগ্রহণ? ছবি প্রকাশ করল নাসা

  • Maharashtra Killing: এবার অমরাবতী! নূপুর শর্মাকে সমর্থন করাতেই কি খুন? তদন্তে পুলিশ

    Maharashtra Killing: এবার অমরাবতী! নূপুর শর্মাকে সমর্থন করাতেই কি খুন? তদন্তে পুলিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজস্থানের উদয়পুরে (Udaipur Killing) ধর্মীয় উন্মাদনার শিকার এক দর্জি। সাসপেন্ডেড বিজেপি নেত্রী নূপুর শর্মার (Nupur Sharma) মন্তব্যকে সমর্থন করায় উদয়পুরের কানহাইয়া লাল নামে দর্জিকে নৃশংস খুনের ঘটনায় গোটা দেশ স্তম্ভিত। তদন্তে নেমেছে জাতীয় তদন্তকারী দল (NIA)। এর মধ্যেই সামনে এল আরও একটি খুনের অভিযোগ। উদয়পুরে দর্জি কানহাইয়ালাল খুনের ঠিক সপ্তাহ খানেক আগেই ২১জুন মহারাষ্ট্রের (Maharashtra Killing) এবার অমরাবতী (Amravati )! নূপুর শর্মাকে সমর্থন করাতেই কি খুন? তদন্তে পুলিশ অমরাবতীতে  ৫৪ বছর বয়সী পেশায় কেমিস্ট (Chemist) উমেশ প্রহ্লাদরাও কোলহেকে (Umesh Prahladrao Kolhe) ছুরি মেরে হত্যা করা হয়েছে। বিজেপি নেত্রী নূপুর শর্মার পয়গম্বর মন্তব্যকে সমর্থন করে উনিও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলেন। 

    তদন্তকারী আধিকারিকদের ধারণা নূপুর শর্মার পয়গম্বর মন্তব্যকে সমর্থন করে সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টের প্রতিশোধ নেওয়ার জন্যই  উমেশকে হত্যা করা হয়েছে। মৃত উমেশের ছেলে সংকেতের অভিযোগের ভিত্তিতে অমরাবতীর সিটি কোতোয়ালি থানার পুলিশ ইতিমধ্যেই হত্যায় জড়িত সন্দেহে মুদ্দসির আহমেদ এবং তার সহযোগী শাহরুখ পাঠানকে গ্রেফতার করেছে। ধৃতদের জেরা করে এই ঘটনায় আরও চারজনের জড়িত থাকার প্রমাণ মিলেছে। যার মধ্যে তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। ধৃতরা হলেন, আব্দুল তৌফিক (২৪), শোয়েব খান (২২) এবং আতিব রশিদ (২২)।

    আরও পড়ুন: বাইকের নম্বর হবে ২৬/১১! বেশি টাকা দেয় উদয়পুরের হত্যাকারীরা

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২১ জুন উমেশ রাতে দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফেরার সময় তাঁকে খুন করা হয়। উমেশের ছেলে সংকেতের অভিযোগ, “আমরা প্রভাত চক থেকে যাচ্ছিলাম।  আমি আর বাবা দুটো আলাদা স্কুটারে ছিলাম। আমরা রাস্তায় একটা হাই স্কুলের গেটের সামনে পৌঁছতেই, বাবার স্কুটারের সামনে হঠাৎ করে মোটরসাইকেলে চড়ে দুজন ব্যক্তি এসে হাজির হয়। তারা বাবার বাইকটা জোর করে থামায়। বাবা বাইক থামালেই একজন বাবার ঘাড়ের বাঁ’দিকে  ছুরি দিয়ে আঘাত করে। সঙ্গে সঙ্গে বাবা রাস্তায় পড়ে যান। আমি স্কুটার থামিয়ে সাহায্যের জন্য চিৎকার করতে থাকি। সেই সুযোগে আততায়ীরা মোটরসাইকেলে করে পালিয়ে যায়”।

     উমেশকে দ্রুত কাছের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও শেষরক্ষা হয়নি। অমরাবতী সিটি পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, “এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় মোট ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গিয়েছে কেউ একজন তাদের ১০ হাজার টাকা এবং মটর বাইক দিয়ে সাহায্য করেছিল,তাকে খুঁজে বের করার চেষ্টা করা হচ্ছে”। তিনি আরও বলেন,“তদন্তের সময় আমরা জানতে পেরেছি যে কোলহে হোয়াটসঅ্যাপে নূপুর শর্মাকে সমর্থন করে একটি পোস্ট করেছিলেন। যে ছুরি দিয়ে উমেশকে হত্যা করা হয়েছে সেটিও উদ্ধার করা হয়েছে। সেই সঙ্গে উদ্ধার করা হয়েছে একটি মোবাইল ফোন, খুনের কাজে ব্যবহৃত মোটরবাইক ও জামাকাপড়”। পুলিশের তরফে জানানো হয়, তদন্ত চলছে। তবে এখনই খুনের কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না।

  • Goa:  ধ্বংস হয়ে যাওয়া ধর্মীয় স্থানগুলিতে মিলতে পারে শিবলিঙ্গ, দাবি গোয়ার মন্ত্রীর

    Goa:  ধ্বংস হয়ে যাওয়া ধর্মীয় স্থানগুলিতে মিলতে পারে শিবলিঙ্গ, দাবি গোয়ার মন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গোয়ার ধ্বংস হয়ে যাওয়া ধর্মীয় স্থানগুলিতে শিবলিঙ্গ(shivlings) পাওয়া যেতে পারে। মঙ্গলবার এমনই মন্তব্য করলেন গোয়ার বিদ্যুৎমন্ত্রী সুদিন ধাবলিকর(sudin dhavalikar)। সোমবারই বারাণসীর জ্ঞানবাপী মসজিদের(Gyanvapi mosjid) ওজুখানার জলাধারে শিবলিঙ্গ রয়েছে বলে দাবি করে হিন্দুত্ববাদী একটি সংগঠন। তার পরেই এই দাবি জানালেন গোয়ার বিদ্যুৎমন্ত্রী।

    কাশী বিশ্বনাথ মন্দির(Kashi Viswanath temple) লাগোয়া এলাকায় রয়েছে জ্ঞানবাপী মসজিদ। প্রতিদিন এই মন্দিরে নমাজও পড়েন ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা। হিন্দুত্ববাদী একাধিক সংগঠনের দাবি, এক সময় এখানেই ছিল শৃঙ্গার গৌরীদেবীর মন্দির। মুঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেবের আমলে মন্দির ভেঙে মসজিদ তৈরি হয়। সোমবার এই মসজিদের ওজুখানার জলাধারেই শিবলিঙ্গ মেলে বলে খবর। এদিন গোয়ার বিদ্যুৎমন্ত্রী বলেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, যে মন্দিরগুলি ভেঙে ফেলা হয়েছিল সেই জায়গায় এই ধরনের শিবলিঙ্গ থাকতে পারে। ভারতীয় পুরাতাত্ত্বিক সর্বেক্ষণ বিভাগকে তা খুঁজে বের করতে হবে। তাহলেই ধ্বংস হয়ে যাওয়া ধর্মীয় স্থানগুলিতে শিবলিঙ্গ মিলতে পারে।বারাণসীর জ্ঞানবাপী মসজিদে ‘শিবলিঙ্গ আবিষ্কারে’র খবরে বিতর্ক শুরু হয়েছে গোটা দেশে। ইতিহাসবিদদের একাংশের মতে, ঔরঙ্গজেবের শাসনকালে কাশীতে মন্দির ভেঙে জ্ঞানবাপী মসজিদ তৈরি হয়েছিল। তাই শিবলিঙ্গ পাওয়া যাওয়ার খবর নিছক অমূলক নয়। যদিও মসজিদ কর্তৃপক্ষের দাবি, জ্ঞানবাপী মসজিদ ওখানেই রয়েছে সুদীর্ঘকাল। প্রতিদিন নমাজও পড়া হচ্ছে। তাদের দাবি, সেই কারণেই বিতর্কের অবকাশ নেই।

    গোয়ায় ক্ষমতায় রয়েছে বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোট সরকার। সেই সরকারেরই মন্ত্রী ধাভালিকার। তিনি জানান, গোয়ায় পর্তুগিজ ঔপনিবেশিক শাসনকালে ধ্বংস হওয়া মন্দিরগুলি পুনরুদ্ধারের জন্য ২০ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। ধাভালিকার এও বলেন, এই সব মন্দির পুনরুদ্ধারের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ান্ত। এ ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রীর সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ-রাম মন্দির বিতর্কের অবসান ঘটেছে বছর কয়েক আগে। রামলালার জন্মস্থলেই গড়ে উঠছে মন্দির। অন্যত্র জমি দেওয়া হয়েছে বাবরি মসজিদ কমিটিকে। তার পর থেকে দেশের বিভিন্ন প্রার্থনাস্থলে ক্রমেই জোরালো হচ্ছে মন্দিরের দাবি। তাজমহল(Tajmahal) এক সময় শিবের(Lord Shiva) মন্দির ছিল বলে দাবি হিন্দুদের কারও কারও। মথুরায় শাহি ইদগাহ মসজিদ এলাকাটি আসলে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মস্থান। এহেন আবহে গোয়ার বিদ্যুৎমন্ত্রীর(power minister) দাবি তাৎপর্যপূর্ণ বই কি! 

    আরও পড়ুন : কী আছে তাজমহলের বন্ধ ঘরগুলিতে? ছবি প্রকাশ করল এএসআই

     

  • Kashmiri Pandit Killing: অফিসে ঢুকে গুলি করে খুন কাশ্মীরি পণ্ডিতকে, ফের অশান্ত ভূস্বর্গ

    Kashmiri Pandit Killing: অফিসে ঢুকে গুলি করে খুন কাশ্মীরি পণ্ডিতকে, ফের অশান্ত ভূস্বর্গ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভূস্বর্গে জঙ্গিবাদের বলি ফের এক কাশ্মীরি পণ্ডিত (Kashmiri pandit)। সরকারি অফিসে ঢুকে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করে খুন করা হয় রাজস্ব বিভাগের কর্মী রাহুল ভাটকে (Rahul Bhatt)। ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে উপত্যকায়। জঙ্গিদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে সরব হয়েছে কাশ্মীরের সংখ্যালঘু পণ্ডিত সম্প্রদায়। ঘটনাটিকে বর্বরোচিত আখ্যা দিয়েছেন লেফটেনেন্ট গভর্নর মনোজ সিনহা ((lieutenant governor Manoj Sinha)।

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার দুপুরে অফিসে কাজ করছিলেন রাহুল। আচমকাই কয়েকজন জঙ্গি বিনা বাধায় অফিসে ঢুকে খুব কাছ থেকে তাঁকে গুলি করে পালিয়ে যায়। কাশ্মীর জোন পুলিশের পক্ষ থেকে ট্যুইট করে জানানো হয়, সশস্ত্র অবস্থায় চাদুরার তহশিলদার অফিসে হানা দিয়েছিল জঙ্গিরা। তারা সংখ্যায় দুজন ছিল। রাহুলকে গুলি করে গা-ঢাকা দেয়। জঙ্গিদের খোঁজে উপত্যকায় তল্লাশি শুরু করেছে নিরাপত্তা বাহিনী।

    [tw]


    [/tw]

     

    কেন্দ্রের তখ্তে বসে কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা রদ করে নরেন্দ্র মোদি (modi) সরকার। তারপর থেকে বেশ শান্ত হয়ে গিয়েছিল উপত্যকা। পাকিস্তানে ইমরান খান সরকারের আসন টলমল করার কিছু আগে থেকেই জম্মু-কাশ্মীরে (jammu & kashmir) ফের বাড়বাড়ন্ত হয় জঙ্গিদের। মাসকয়েক ধরে জঙ্গিরা নিশানা করে চলেছে পরিযায়ী শ্রমিক ও সংখ্যালঘু পণ্ডিত সম্প্রদায়কে। ইতিমধ্যেই যার বলি হয়েছেন বেশ কয়েকজন।

    আরও পড়ুন : “কাশ্মীরে নাশকতা কার্যকলাপে জড়িত”, আদালতে স্বীকারোক্তি ইয়াসিন মালিকের

    গত অক্টোবরেই এক সপ্তাহের মধ্যে জঙ্গিদের হাতে খুন হয়েছেন পাঁচজন। তাঁরা সকলেই শিখ, পণ্ডিত কিংবা ভিন রাজ্য থেকে আসা হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ। নিহতদের এই তালিকায় ছিলেন কাশ্মীরের বিখ্যাত ওষুধ দোকানের মালিক মাখনলাল বিন্দ্রু। কাশ্মীরি পণ্ডিত সম্প্রদায়ের অন্যতম মুখ ছিলেন তিনি। বীরেন্দর পাশোয়ান নামে এক ব্যবসায়ীকেও খুন করেছিল জঙ্গিরা। সন্ত্রাসবাদের বলি হয়েছেন সরকারি স্কুলের অধ্যক্ষ সুপিন্দর কৌর। এই তালিকায়ই এবার উঠল বদগামের রাহুলের নাম। এই এলাকায় এখনও কিছু পণ্ডিত সম্প্রদায়ের মানুষ বসবাস করেন। রাহুল খুনের জেরে ভয়ে সিঁটিয়ে রয়েছেন তাঁরা। জঙ্গিদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবিতে সরব হয়েছেন পণ্ডিতরা।

    নয়ের দশকে অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছিল ভূস্বর্গ। প্রায় প্রতিদিনই খুন হতে হচ্ছিল পণ্ডিত সম্প্রদায়ের মানুষকে। যার জেরে দলে দলে লোকজন উপত্যকা ছেড়ে চলে যান অন্যত্র। জঙ্গিদের হাতে কাশ্মীরি পণ্ডিতদের বিতাড়ন-পর্ব তুলে ধরা হয় সাম্প্রতিককালে মুক্তি পাওয়া ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ সিনেমায়। যা নিয়ে প্রশংসা ও সমালোচনার ঝড় বয়ে গিয়েছে গোটা দেশে। সেই ঘটনার রেশ পুরোপুরি মিলিয়ে যাওয়ার আগেই ভূস্বর্গে ফের হিন্দু-পণ্ডিত নিধন।

     

  • Sedition Law: রাষ্ট্রদ্রোহ আইন পুনর্বিবেচনা করা হবে, সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা কেন্দ্রের

    Sedition Law: রাষ্ট্রদ্রোহ আইন পুনর্বিবেচনা করা হবে, সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রদ্রোহ আইন (sedition law) নিয়ে পুনর্বিবেচনা করবে কেন্দ্র। সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) হলফনামা দিয়ে জানাল নরেন্দ্র মোদির (Modi) সরকার। সোমবার একটি হলফনামায় সরকার শীর্ষ আদালতকে (Supreme Court) জানায়, ভারতীয় দণ্ডবিধির (Indian Penal Code) ১২৪-এ (বিদ্রোহ) ধারার পুনরায় পরীক্ষা ও পুনর্বিবেচনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

    রাষ্ট্রদ্রোহ আইনের বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে নানা সময় একাধিক মামলা দায়ের হয়েছে শীর্ষ আদালতে। আদালতে কেন্দ্র আগেই জানিয়েছিল যে, রাষ্ট্রদ্রোহ আইন বাতিলে রাজি নয় তারা। এর পরেই সুপ্রিম কোর্টে অ্যাটর্নি জেনারেল কে কে বেণুগোপাল (A-G K.K. Venugopal) জানান, রাষ্ট্রদ্রোহ আইনের অন্তর্গত ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২৪(এ) ধারা প্রয়োগের ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট নির্দেশিকা প্রয়োজন। মামলার শুনানি পর্বে অ্যাটর্নি জেনারেল সাম্প্রতিককালে কয়েকটি ক্ষেত্রে রাষ্ট্রদ্রোহ আইনের অপপ্রয়োগের দৃষ্টান্তও তুলে ধরেন। তাঁর অভিযোগ, মহারাষ্ট্রে হনুমান চালিশা (Hanuman Chalisa) পাঠের জন্যও অযৌক্তিকভাবে ১২৪(এ) ধারায় রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ আনা হয়েছে।

    দেশে নানা সময় রাষ্ট্রদ্রোহ আইনের অপব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। এ সংক্রান্ত মামলাও হয়েছে বিভিন্ন সময়। তাই প্রয়োজন ছিল একটি নির্দেশিকার। যে নির্দেশিকার কথা বলেছিল সুপ্রিম কোর্টও। রাষ্ট্রদ্রোহ আইনকে ঔপনিবেশিক আখ্যা দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। গত বছর এই আইনের অপব্যবহারের দিকের কথা উল্লেখ করে শীর্ষ আদালত কেন্দ্রকে প্রশ্ন করেছিল, এক সময় যে ঔপনিবেশিক আইন ব্যবহার করে মহাত্মা গান্ধী (Mahatma Gandhi) ও লোকমান্য তিলকের (Lokmanya Tilak) মতো নেতাদের নিপীড়ন করা হয়েছিল, এখনও সেই আইন কেন প্রয়োগ করা হবে? এই প্রশ্নেরই উত্তর দিতে গিয়ে কেন্দ্র সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা দিয়ে জানায় ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২৪ (এ) ধারার পুনরায় পরীক্ষা ও পুনর্বিবেচনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

     

  • Yogi Adityanath: যোগীর ট্যাটু বুকে নিয়ে ঘুরছেন উত্তরপ্রদেশের মুসলিম যুবক, কেন জানেন?

    Yogi Adityanath: যোগীর ট্যাটু বুকে নিয়ে ঘুরছেন উত্তরপ্রদেশের মুসলিম যুবক, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রিয় নায়ক কিংবা নায়িকার ছবি ট্যাটু (Tattoo) করতে দেখা যায় অনেককেই। তবে কোনও রাজনীতিবিদ বা মুখ্যমন্ত্রীর (CM) জন্মদিনে নিজের শরীরে ট্যাটু করানোর ঘটনা সচরাচর দেখা যায় না। তবে এবার দেখা গেল। উত্তর প্রদেশের (Uttar Pradesh) মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের (Yogi Adityanath) ছবি বুকে ট্যাটু করিয়ে ঘুরছেন এক যুবক। শুনতে অবাক লাগলেও, এমন ঘটনাই ঘটেছে। হয়েছে ভাইরালও। জানা গিয়েছে, ছবিতে যে যুবককে দেখা যাচ্ছে, তাঁর নাম ইয়ামিন সিদ্দিকী। বছর তেইশের ওই যুবক মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকেই তাঁর আদর্শ বলে মনে করেন। তাঁর বাড়ি উত্তরপ্রদেশের সরাই আগস্তে।  

    দিন দুয়েক আগেই দ্বিতীয় দফায় একশো দিন পেরল যোগী আদিত্যনাথের সরকার। প্রথম দফার পরে দ্বিতীয় দফায়ও যোগী আদিত্যনাথের কাজের ধরন ও জনগণের জন্য তাঁর নেওয়া বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মসূচিতে মুগ্ধ ইয়ামিন। মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি তাঁর আবেগ এতটাই যে ৫ জুন যোগীর জন্মদিনে নিজের বুকে আদিত্যনাথের ট্যাটু করিয়েছেন তিনি।ইয়ামিন মুখ্যমন্ত্রীর অন্যতম অন্ধ ভক্ত। আদিত্যনাথের সঙ্গে এখনও দেখা হয়নি তাঁর। তবে তিনি চান, শীঘ্রই মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে। দেখাতে চান বুকে আঁকা আদিত্যনাথের ছবি।

    আরও পড়ুন :যোগী সরকারের দ্বিতীয় দফায় ১০০ দিনের রিপোর্ট কার্ড পেশ

    নিজের শরীরে মুখ্যমন্ত্রীর ছবি ট্যাটু করানোর পরে কম গঞ্জনা সইতে হয়নি ইয়ামিনকে। তাঁর মুসলিম বন্ধুরা যখন বিষয়টি জেনেছিলেন, তখন তাঁরা ইয়ামিনের সমালোচনায় মুখর হয়েছিলেন। তাতে অবশ্য দমে যাননি ওই তরুণ। বলেন, উত্তর প্রদেশে যোগী সরকার গঠনের পর থেকেই বদলে গিয়েছে রাজ্যের ছবি। যোগী সরকারের বিভিন্ন স্কিম গরিবদের জন্যও। কেউ কখনও বৈষম্যের শিকার হননি। হিন্দু বা মুসলিম প্রকল্পের সুবিধা পেয়েছেন সবাই সমানভাবে।

    হজরত মহম্মদকে নিয়ে বিজেপির প্রাক্তন মুখপাত্র নূপুর শর্মার বক্তব্যের পরে পাথর ছোড়া ও রাজ্যে অশান্তি প্রসঙ্গে ইয়ামিন বলেন, যোগী আদিত্যনাথ ভাল সরকার চালাচ্ছেন। তাঁকে হেয় প্রতিপন্ন করতে বিরোধীরা ষড়যন্ত্র করে পাথর ছোঁড়ে, তাণ্ডব চালায়।

    আরও পড়ুন : “সব স্বচ্ছ নীতির প্রতিফলন…!” যোগী-রাজ্যে গিয়ে কী বললেন মোদি?

  • Lucknow: লখনউ- এর নাম বদলে লক্ষ্মণপুরী? যোগীর ট্যুইটে নয়া জল্পনা 

    Lucknow: লখনউ- এর নাম বদলে লক্ষ্মণপুরী? যোগীর ট্যুইটে নয়া জল্পনা 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সরকারে আসার প্রথম পাঁচ বছরেই উত্তরপ্রদেশবাসীর বহুদিনের দাবি ফৈজাবাদ এবং এলাহাবাদের নাম পরিবর্তন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ (Yogi)। ফৈজাবাদের নাম বদলে করা হয়েছে অযোধ্যা এবং এলাহাবাদের নতুন নাম প্রয়াগরাজ। উত্তরপ্রদেশে দ্বিতীয়বারের জন্যে ক্ষমতায় এসেছেন যোগী। তাহলে এবার কী নাম পরিবর্তনের পালা লখনউ- এর? যোগীর সাম্প্রতিক ট্যুইট ঘিরে এমনই বিতর্ক শুরু হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (Modi) লখনউতে স্বাগত জানিয়ে একটি ট্যুইট করেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী। তিনি লেখেন, ”শেষ অবতার ভগবান লক্ষ্মণের পবিত্র নগরীতে আপনাকে স্বাগত জানাই।” লখনউকে (Lucknow) ‘লক্ষ্মণের নগরী’ (Laxmanpuri) বলে ট্যুইটে উল্লেখ করাতেই জল্পনা শুরু হয়। তবে কী এবার লখনউয়ের নাম বদল করে ‘লক্ষ্মণপুরী’ করতে চলেছেন যোগী?     

    [tw]


    [/tw]

    জনশ্রুতি রয়েছে, লক্ষ্মণ থেকে বিকৃত হয়ে লখনউ নামটি এসেছে। ধর্মীয় বিশ্বাস, রামের ভাই লক্ষ্মণের নামেই রাখা হয়েছিল শহরটির নাম। পরবর্তীতে তা উচ্চারণ বিকৃতিতে বদলে যায়। বহুদিন ধরেই তাই বিজেপির দাবি লখনউ-এর নাম বদলে ‘লক্ষ্মণপুরী’ করা হোক। যোগীর ট্যুইটের পরেই সেই জল্পনার পালে আবার হাওয়া লেগেছে।  

    লখনউ- এর মেয়র সংযুক্তা ভাটিয়া এর আগে জানিয়েছিলেন, ”লক্ষ্মণের ১৫১ ফুট উঁচু মূর্তি তৈরি করা হচ্ছে লখনউতে। তার জন্যে ১৫ কোটি টাকা ইতিমধ্যেই বরাদ্দ করেছে সরকার। শহরের কোন জায়গায় বসানো হবে মূর্তিটা সেই সিদ্ধান্ত এখনও চূড়ান্ত হয়নি।”  ভাটিয়া আরও জানান, মূর্তিটি জাদুঘরের আদলে তৈরি করা হবে। সেখানে লক্ষ্মণপুরীর ইতিহাস এবং ঐতিহ্যকে তুলে ধরা হবে। 

    প্রথমবার যোগী মুখ্যমন্ত্রীর পদে বসার পরেই বিজেপির বর্ষীয়ান নেতা এবং রাজস্থানের বর্তমান রাজ্যপাল কালরাজ মিশ্র লখনউ- এর নাম বদলে লক্ষ্মণপুরী করার দাবি জানিয়েছিলেন। তাঁর বক্তব্য এর ফলে মানুষ ভারতীয় সংস্কৃতিকে বুঝতে পারবে। 

    এর আগেও বেশ কিছু জায়গার নাম পরিবর্তন করেছেন যোগী। সুলতানপুর, মির্জাপুর, আলিগড়, ফিরোজাবাদেরও নাম বদল করার প্রস্তাব দিয়েছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী। প্রস্তাব গৃহীত হলে সুলতানপুরের নাম হবে কুশ ভবনপুর, মেইনপুর হবে মায়া নগরী, আলিগড় হবে হরিগড়, ফিরোজাবাদ হবে চন্দ্রানগর এবং মির্জাপুর হবে বিন্ধধাম। সেকারণেই যোগীর এই নয়া ট্যুইটে লখনউ-এর নাম বদল নিয়ে জল্পনা দানা বেঁধেছে। 

     

LinkedIn
Share