Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Pak Spy Jyoti Malhotra: দেশ-বিরোধী তথ্য পাচার, কীভাবে পাক এজেন্টদের সঙ্গে যোগ? জেরায় সব বলল জ্যোতি

    Pak Spy Jyoti Malhotra: দেশ-বিরোধী তথ্য পাচার, কীভাবে পাক এজেন্টদের সঙ্গে যোগ? জেরায় সব বলল জ্যোতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানকে ভারত-বিরোধী তথ্য পাচারের কথা স্বীকার করল জ্যোতি মালহোত্রা (Pak Spy Jyoti Malhotra)। পুলিশ সূত্রে খবর, জেরায় জ্যোতি জানিয়েছে, পাকিস্তানি গুপ্তচর সংস্থার এজেন্টদের সঙ্গে তার নিয়মিত যোগাযোগ ছিল। একইসঙ্গে পাকিস্তানের হাই কমিশনের আধিকারিক দানিশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার কথাও স্বীকার করেছে সে। তবে দেশ-বিরোধী তথ্য পাচার করার জন্য সে অনুতপ্ত নয়, বলেও জানিয়েছে জ্যোতি। জিজ্ঞাসাবাদের সময় একেবারে ‘শান্ত’ থেকেছে সে। তার চোখে মুখে অনুশোচনার কোন ছাপ পর্যন্ত নেই বলেও জানিয়েছেন তদন্তকারী সংস্থার ঘনিষ্ঠ সূত্র।

    জ্যোতিকে জেরায় উঠে এল বিস্ফোরক তথ্য

    পুলিশি জেরায় জ্যোতি (Pak Spy Jyoti Malhotra) জানিয়েছে, ‘ট্রাভেল উইথ জো’ নামে ইউটিউব চ্যানেল চালাচ্ছিল সে। ২০২৩ সালে পাকিস্তানে যাওয়ার জন্য ভিসার প্রয়োজন পড়েছিল। সেই ভিসা জোগাড় করতেই পাকিস্তান হাই কমিশনে গিয়েছিল জ্যোতি। সে সময়ে দানিশ ওরফে এহসার দারের সঙ্গে আলাপ হয় তার। ভারত-পাক সংঘর্ষ পরিস্থিতিতে গত ১৩ মে দানিশকে পাক হাই কমিশন থেকে বহিষ্কার করে ভারত। জ্যোতি জানিয়েছে, দানিশের সাহায্যেই দু’বার পাকিস্তান ভ্রমণ করেছিল সে। সেখানে দানিশের পরিচিত আলি হাসান তার থাকা-খাওয়ার বন্দোবস্ত করেছিল। এই আলি হাসান জ্যোতিকে পাকিস্তানি গুপ্তচর সংস্থার এজেন্টদের সঙ্গে আলাপ করাতে নিয়ে যায়। সেখানে শাকির এবং রানা শেহবাজের সঙ্গে পরিচয় হয় বলে স্বীকার করে জ্যোতি। শাকিরের নম্বর ‘জট রন্ধওয়া’ নামে সেভ করেছিল জ্যোতি। যাতে কোনওভাবেই কেউ তাকে সন্দেহ করতে না পারে। ভারতে আসার পর হোয়াটসঅ্যাপ, টেলিগ্রাম এবং স্ন্যাপ চ্যাটে পাক গুপ্তচর এজেন্টদের সঙ্গে লাগাতার যোগাযোগ করতে শুরু করে জ্যোতি। তবে গ্রেফতারির আশঙ্কায় জ্যোতি সমস্ত চ্যাট ডিলিট করে দেয়। সেই চ্যাটগুলি পুনরুদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছে ভারতীয় তদন্তকারীরা। সেগুলি উদ্ধার হলে বিস্ফোরক তথ্য সামনে উঠে আসতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

    কোনও অনুশোচনা নেই জ্যোতির

    অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট এবং ভারতীয় ন্যায় সংহিতার অধীনে গুরুতর অভিযোগ আনা হয়েছে জ্যোতির (Pak Spy Jyoti Malhotra) বিরুদ্ধে। পাক এজেন্টদের সঙ্গে যোগাযোগ স্বীকারের পরও জ্যোতি তদন্তকারীদের বলে, “আমার কোনও অনুশোচনা নেই।” তদন্তের সাথে জড়িত একজন কর্মকর্তা বলেন, “জ্যোতি মনে করে সে কোনও ভুল করেননি। সে বিশ্বাস করে যে যা করেছে তা ন্যায্য।” তদন্তকারী আধিকারিকরা তদন্তে জানতে পেরেছে জ্যোতি তিনজন পাকিস্তানি গোয়েন্দা কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ রেখেছিল। জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁও কাণ্ডের সঙ্গে তার কোনরকমের যোগসূত্র রয়েছে কিনা তাও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। এক সিনিয়র অফিসারের কথায়, “আমরা খতিয়ে দেখছি যে তার পহেলগাঁও ভ্রমণের সঙ্গে গুপ্তচরবৃত্তির কোনও যোগসূত্র ছিল কিনা অথবা সেই সময় কোনও তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছিল বা অন্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছিল কিনা”। বর্তমানে জ্যোতি পাঁচ দিনের পুলিশ রিমান্ডে আছে। জাতীয় তদন্ত সংস্থা (এনআইএ), গোয়েন্দা ব্যুরো (আইবি) এবং হরিয়ানা পুলিশের একটি যৌথ দল তাকে জেরা করছে। তদন্তকারীরা আরও তথ্যের জন্য তার ইলেকট্রনিক ডিভাইস, আর্থিক লেনদেন, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, ট্রাভেল হিস্ট্রি খতিয়ে দেখেছেন। বৃহস্পতিবার হিসার আদালতে পেশ করা হবে জ্যোতি মালহোত্রাকে।

  • World Health Assembly: “একটি সুস্থ বিশ্বের ভবিষ্যৎ নির্ভর করে অন্তর্ভুক্তিকরণ, সমন্বিত দৃষ্টিভঙ্গি এবং সহযোগিতার ওপর”, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    World Health Assembly: “একটি সুস্থ বিশ্বের ভবিষ্যৎ নির্ভর করে অন্তর্ভুক্তিকরণ, সমন্বিত দৃষ্টিভঙ্গি এবং সহযোগিতার ওপর”, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “একটি সুস্থ বিশ্বের ভবিষ্যৎ নির্ভর করে অন্তর্ভুক্তিকরণ, সমন্বিত দৃষ্টিভঙ্গি এবং সহযোগিতার ওপর। ভারতের স্বাস্থ্য সংস্কারে অন্তর্ভুক্তিকরণ প্রধান নীতি। আমরা আয়ুষ্মান ভারত চালাচ্ছি—বিশ্বের বৃহত্তম স্বাস্থ্যবিমা প্রকল্প।” মঙ্গলবার এমনই মন্তব্য করেন (World Health Assembly) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এদিন নয়াদিল্লি থেকে ভার্চুয়ালি জেনেভায় অনুষ্ঠিত ৭৮তম বিশ্ব স্বাস্থ্য সম্মেলনে ভাষণ দেন তিনি (PM Modi)। ‘এক বিশ্ব, এক স্বাস্থ্য’ এই ঐক্যবদ্ধ মূলভাবের আওতায় বিশ্ব স্বাস্থ্য উদ্যোগে ভারতের অবদানের কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।

    আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প (World Health Assembly)

    এদিন তাঁর ভাষণে অবধারিতভাবেই আসে আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের কথা। তিনি বলেন, “আমরা আয়ুষ্মান ভারত চালাচ্ছি—বিশ্বের বৃহত্তম স্বাস্থ্যবিমা প্রকল্প। এটি ৫৮ কোটি মানুষকে অন্তর্ভুক্ত করে এবং বিনামূল্যে চিকিৎসা প্রদান করে। সম্প্রতি এই কর্মসূচি সম্প্রসারিত হয়ে ৭০ বছরের ঊর্ধ্বে সব ভারতীয়কেও আওতায় এনেছে।” প্রধানমন্ত্রী ভারতের হেলথ অ্যান্ড ওয়েলনেস সেন্টার নেটওয়ার্কের গুরুত্বও তুলে ধরেন, যা ক্যানসার, ডায়াবেটিস ও হাইপারটেনশনের মতো রোগ চিহ্নিত ও নির্ণয়ে কাজ করে।

    হেলথ অ্যান্ড ওয়েলনেস সেন্টারের বিশাল নেটওয়ার্ক

    তিনি বলেন, “আমাদের কাছে হাজার হাজার হেলথ অ্যান্ড ওয়েলনেস সেন্টারের একটি বিশাল নেটওয়ার্ক রয়েছে। এরা ক্যানসার, ডায়াবেটিস এবং হাইপারটেনশনের মতো রোগ নির্ণয় ও চিহ্নিত করে। হাজার হাজার সরকারি ফার্মাসিস্ট বাজারদরের তুলনায় অনেক কম দামে উচ্চ মানের ওষুধ সরবরাহ করে।” এদিনের বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী ভারতের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো, উদ্ভাবন ও বৈশ্বিক সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি ফের মনে করিয়ে দেন।

    প্রধানমন্ত্রী এ বছর আন্তর্জাতিক যোগ দিবসে অংশগ্রহণের জন্য দেশগুলোকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। এবার যোগ দিবসের থিম “এক পৃথিবী, এক স্বাস্থ্য-এর জন্য যোগ” (World Health Assembly)।

    তিনি বলেন, জুন মাসে ১১তম আন্তর্জাতিক যোগ দিবস অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এ বছরের থিম হল ‘এক পৃথিবী, এক স্বাস্থ্য-এর জন্য যোগ’। যে দেশ থেকে যোগ বিশ্বকে উপহার দেওয়া হয়েছে, সেই দেশের একজন নাগরিক হিসেবে আমি সকল দেশকে এতে অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ জানাই।” প্রধানমন্ত্রী ডব্লিউএইচও (WHO) -র সদস্য দেশগুলোকে ভবিষ্যৎ মহামারির বিরুদ্ধে আরও শক্তিশালী সহযোগিতার লক্ষ্যে আইএনবি চুক্তি সফলভাবে আলোচনার জন্য অভিনন্দনও জানিয়েছেন।

    তিনি (PM Modi) বলেন, “আমি ডব্লিউএইচও এবং সমস্ত সদস্য দেশকে আইএনবি চুক্তির সফল আলোচনার জন্য অভিনন্দন জানাই। এটি একটি যৌথ অঙ্গীকার, যার মাধ্যমে আমরা ভবিষ্যতের মহামারির বিরুদ্ধে বৃহত্তর সহযোগিতার সঙ্গে লড়াই করতে পারব এবং একটি সুস্থ পৃথিবী গড়ে তুলতে পারব। আসুন আমরা নিশ্চিত করি, যেন কেউ পিছিয়ে না পড়ে (World Health Assembly)।”

  • ISI Spy: ভারতীয় গোয়েন্দাদের ওপর নজরদারি চালানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল আইএসআইয়ের চর জ্যোতিকে!

    ISI Spy: ভারতীয় গোয়েন্দাদের ওপর নজরদারি চালানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল আইএসআইয়ের চর জ্যোতিকে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের সঙ্গে চর (ISI Spy) জ্যোতি মালহোত্রর (Jyoti Malhotra) সম্পর্ক ছিল, তা আগেই জানিয়েছিলেন তদন্তকারীরা। এবার উঠে এল আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য। ভারতীয় গোয়েন্দাদের চিহ্নিত করতে ও তাদের ওপর নজরদারি করতে ভারতীয় ইউটিউবার জ্যোতিকে ব্যবহার করেছিল আইএসআই। হরিয়ানার ওই ইউটিউবার রয়েছে পুলিশি হেফাজতে। তাকে জেরা করেই উঠে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। আইএসআইয়ের সঙ্গে জ্যোতির করা সব হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট তাদের হাতে এসেছে। প্রতিটিতে একটি করে কোড ল্যাঙ্গুয়েজ ব্যবহার করা হয়েছে। আরএসআইয়ের এক এজেন্ট জ্যোতিকে নির্দেশ দেয়, ওয়াঘা সীমান্ত দিয়ে পাকিস্তানে ঢোকার সময় সে যদি কোনও ভারতীয় গুপ্তচরকে বিশেষ কোনও দায়িত্ব নিতে দেখে, তা যেন তাকে জানায়। আপাতত এই চ্যাটের মাধ্যমেই জ্যোতির আসল সত্যিটা খোঁজার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা।

    জ্যোতি ও আলি হাসান (ISI Spy)

    সূত্রের খবর, জ্যোতি এবং আলি হাসান নামে একজন আইএসআই চরের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট তদন্তকারীদের হাতে এসেছে। সেখানে সাংকেতিক ভাষায় দু’জনের কথাবার্তা হয়েছে। আলি জ্যোতিকে জিজ্ঞেস করে, আটারি সীমান্তে জ্যোতি কোনও ভারতীয় এজেন্টকে বিশেষ প্রোটোকল পেতে দেখেছে কিনা। গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, গোটা চ্যাটে ‘প্রোটোকল’ এবং ‘আন্ডারকভার এজেন্ট’ এই দুই শব্দের ব্যবহার হয়েছে একাধিকবার। এ থেকেই গোয়েন্দাদের ধারণা, জ্যোতিকে ভারতীয় এজেন্টদের তথ্য সংগ্রহের কাজে ব্যবহার করাত আইএসআই।

    ষড়যন্ত্র ফাঁস

    জ্যোতির গ্রেফতারের মাধ্যমে আইএসআইয়ের একটি বড় মডিউলের সঙ্গে জড়িত একটি ষড়যন্ত্র ফাঁস হয়েছে। দেখা গিয়েছে, কীভাবে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে ভারতে একটি গুপ্তচর (ISI Spy) নেটওয়ার্ক পরিচালনা করা হচ্ছিল। তদন্তে জানা গিয়েছে, জ্যোতি পাকিস্তান-আফগানিস্তান সীমান্ত পর্যন্ত যোগাযোগ স্থাপন করেছিল। এই অঞ্চলটি জঙ্গি কার্যকলাপের জন্য বিখ্যাত। এই অঞ্চলে সাধারণ মানুষের প্রবেশ সীমিত।

    তদন্তকারীরা জেনেছেন, আইএসআই একটি পরিকল্পিত মডিউল তৈরি করে এমন ব্যক্তিদের নিয়োগ করেছে, যাদের সামাজিক মাধ্যমে প্রচুর প্রভাব রয়েছে। শুধু গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ করাই নয়, পাকিস্তানের ইতিবাচক ভাবমূর্তি প্রচারের দায়িত্বও দেওয়া হয়েছিল জ্যোতিদের। প্রসঙ্গত, জ্যোতির (Jyoti Malhotra) ইউটিউবে প্রায় ৪ লাখ সাবস্ক্রাইবার ও ইনস্টাগ্রামে ১ লাখ ৩২ হাজার ফলোয়ার রয়েছে (ISI Spy)।

  • Pahalgam: বিশ্বমঞ্চে ভারতের বক্তব্য তুলে ধরতে প্রয়োজন শক্তিশালী সরকারি প্রচার মাধ্যমের, উঠছে দাবি

    Pahalgam: বিশ্বমঞ্চে ভারতের বক্তব্য তুলে ধরতে প্রয়োজন শক্তিশালী সরকারি প্রচার মাধ্যমের, উঠছে দাবি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এটাই সেই মোক্ষম সময়! এখন ভারত (India) একটি গ্লোবাল সরকারি প্রচার মাধ্যমে বিনিয়োগ করে তার সফট পাওয়ার ঘাটতিকে বিশ্ব প্রভাবের এক মজবুত ভিত্তিতে রূপান্তর করতে পারে। এটা করা হলে ভারতের কণ্ঠস্বর (Pahalgam) প্রতিধ্বনিত হত এশিয়া মহাদেশজুড়ে।

    ২৭ জন হিন্দু পর্যটককে হত্যা (Pahalgam)

    গত ২২ এপ্রিল দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে বেছে বেছে ২৭ জন হিন্দু পর্যটককে হত্যা করে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। তার প্রেক্ষিতে গত ৭ মে পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরে জঙ্গিঘাঁটি ধ্বংসে অপারেশন সিঁদুর চালায় ভারত। নয়াদিল্লির এই কৌশলগত সামরিক অভিযান সফল হয়। শুধু তাই নয়, এটি চিহ্নিত হয় সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে একটি ঐতিহাসিক জয় হিসেবে। যাদের আশ্রয় এবং প্রশ্রয়ে পশ্চিম আকাশে সন্ত্রাসবাদের কালো মেঘ জমা হয়, অপারেশন সিঁদুরের মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হয়েছে তাদেরও।

    ভারতের এই বিজয়গাথা পৌঁছে দেওয়া যায়নি তামাম বিশ্বে

    ভারতের এই বিজয়গাথা পৌঁছে দেওয়া যায়নি তামাম বিশ্বে। সমরাঙ্গনে ভারতীয় বাহিনী জয়ী হলেও, পাকিস্তানের নিরবচ্ছিন্ন প্রচারযুদ্ধ এবং পশ্চিমি গণমাধ্যমগুলির পক্ষপাতদুষ্ট দৃষ্টিভঙ্গি সত্যকে বোতলবন্দি করে বিশ্বমঞ্চে তুলে ধরে একটি বিকৃত চিত্র। এই জন্যই ভারতের অবশ্যই প্রয়োজন একটি রাষ্ট্র-সমর্থিত শক্তিশালী আন্তর্জাতিক সম্প্রচার মাধ্যম গড়ে তোলা। এই মাধ্যমে ভারত তার কণ্ঠস্বর পৌঁছে দেবে বিশ্ববাসীর দরবারে। এটি চালু হলে শত্রুপক্ষকে টক্কর দেওয়া যাবে সমানতালে। অপারেশন সিঁদুরে ভারতীয় সৈন্য যে বিক্রম দেখিয়েছে, তা আদৌও প্রচার করেনি বিবিসির মতো প্রচারমাধ্যমগুলিও। বরং তারা পাকিস্তানের ভিত্তিহীন বক্তব্যকে তুলে ধরেছে অতিরঞ্জিতভাবে।

    মিথ্যা খবর প্রচার!   

    ভারতের সশস্ত্র বাহিনী পাকিস্তানের সামরিক কাঠামো ও জঙ্গিঘাঁটির ওপর পরিচালিত নির্দিষ্ট হামলার চিত্র ও ভিডিও ফুটেজ-সহ সুস্পষ্ট প্রমাণ উপস্থাপন করলেও, অনেক সংবাদমাধ্যম কোনও কিছু বিচার-বিবেচনা না করেই এই সংঘাতকে “অচলাবস্থা” হিসেবে উপস্থাপন করেছে এবং একতরফাভাবে “উভয় পক্ষই দোষী”— এই সরলীকরণ করে ফেলেছে (Pahalgam)। আল জাজিরার কথাই ধরা যাক। এই সংবাদ মাধ্যমটি মিথ্যাভাবে এক ভারতীয় মহিলা পাইলটের গ্রেফতারের খবর প্রকাশ করে (India)। পরে অবশ্য দুই দেশের কর্তারাই ঘটনাটিকে মিথ্যা বলে উড়িয়ে দেন। এর পাশাপাশি মিডল ইস্ট আই এমন কিছু যাচাই না করা ভিডিও প্রচার করে যাতে দাবি করা হয় ভারত নিজেই উদ্যোগী হয়ে তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতা চেয়েছে — যা একেবারেই ভিত্তিহীন। ঘটনা হল, পাকিস্তান নিজেই চুপ করে থেকেছে ভারতের ওই দাবির পর, যেখানে নয়াদিল্লি জানিয়েছিল পাকিস্তানই ব্যাপক ক্ষতির পর যুদ্ধবিরতির অনুরোধ জানিয়েছে।

    ভারতের কৌশলগত সাফল্য তুলে ধরা হয়নি

    পশ্চিমি গণমাধ্যমগুলি পাকিস্তানের “পাঁচটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করা হয়েছে” এমন দাবি যাচাই না করেই একতরফাভাবে প্রচার করেছে। সিএনএন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ফরাসি কর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে একটি যুদ্ধবিমানের ক্ষতির কথা বলেছে, আর দ্য ন্যাশনাল ইন্টারেস্ট তো এসব সন্দেহজনক দাবির ভিত্তিতে পাকিস্তানের “নিঃসন্দেহ বিজয়” ঘোষণা করেছে। অতিরঞ্জিত প্রশংসা করেছে চিনা ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তির। এইসব প্রতিবেদনে ভারতের কৌশলগত সাফল্য, যেমন নৌবাহিনীর করাচির ওপর চাপ সৃষ্টি করে পাকিস্তানকে যুদ্ধবিরতিতে বাধ্য করা — এসব গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা উপেক্ষিত থেকে গিয়েছে (Pahalgam)।

    প্রতিবেদনে পক্ষপাতিত্ব

    এই পক্ষপাতিত্ব আরও প্রকট হয়ে ওঠে যখন অনেক সংবাদমাধ্যম ভারত ও পাকিস্তানকে সমান দায়ী হিসেবে তুলে ধরেছে বিশ্বমঞ্চে। তারা ভারতকে একই বন্ধনীভুক্ত করেছে, যার মধ্যে রয়েছে পাকিস্তানও, যারা জঙ্গিগোষ্ঠীগুলির আশ্রয়দাতা হিসেবে আন্তর্জাতিক মঞ্চে সমালোচনার মুখে পড়েছে একাধিকবার (India)। পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সন্ত্রাসে জড়িত থাকার কথা কবুল কিংবা পাকিস্তানের দুর্বল অর্থনৈতিক অবস্থা — যা একটি অনেক বেশি শক্তিশালী দেশের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদী সংঘর্ষে তাকে আরও বেশি দুর্বল করে তোলে — এসব বিষয় খুব কম প্রতিবেদনেই উল্লেখ করা হয়েছে।

    চিনের মিথ্যা প্রচার

    এদিকে, চিনের রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত গণমাধ্যমগুলি জে-১০সি যুদ্ধবিমানের শ্রেষ্ঠত্ব নিয়ে মিথ্যা তথ্য প্রচার করেছে, দাবি করেছে এটি ভারতের রাফালের চেয়ে উন্নত— এমন একটি বিভ্রান্তিকর প্রচার, যেটি দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস ও রয়টার্সের মতো আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলিতেও প্রতিধ্বনিত হয়েছে। সংবাদমাধ্যমগুলির এই ভ্রান্ত প্রচার শুধুমাত্র জনমতকেই প্রভাবিত করেনি, শেয়ার বাজারেও প্রভাব ফেলেছে। চিনের জে-১০ নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের শেয়ার বেড়েছে ৩৬ শতাংশ, আর রাফালের শেয়ার কমেছে ৫ শতাংশ (Pahalgam)। যদিও, পরবর্তীকালে, সত্য প্রকাশ পেতেই চিনা সংস্থার শেয়ার জোর ধাক্কা খায়। সেখানে রাফালের শেয়ার দর আবার দ্রুত উঠতে শুরু করে।

    ভারতের রাষ্ট্রীয় আন্তর্জাতিক সম্প্রচারমাধ্যমের লক্ষ্য

    একতরফা সাংবাদিকতা না হলে পাকিস্তানের অবাস্তব দাবিগুলিকে — যেমন ভারতের প্রমাণিত আঘাতের বিরুদ্ধে তাদের প্রমাণবিহীন “জয়ে”র দাবি বিচার করে প্রকাশ করত। তামাম বিশ্বকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিত, কোনটা সত্য, মিথ্যাই বা কোনটা (India)।ভারতের রাষ্ট্রীয় আন্তর্জাতিক সম্প্রচারমাধ্যমের লক্ষ্য হওয়া উচিত একটি বিশ্বাসযোগ্য, কর্তৃত্বপূর্ণ এবং সংস্কৃতিমূলকভাবে প্রাসঙ্গিক কণ্ঠস্বর হিসেবে বিশ্বমঞ্চে দেশের প্রতিনিধিত্ব করা। এর মূল উদ্দেশ্য হওয়া উচিত পহেলগাঁও হামলার মতো সঙ্কটকালে ভ্রান্ত তথ্যের মোকাবিলা করা, কৌশলগত স্বার্থকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া, এবং ভারতের সভ্যতাগত ভাবধারাকে বিশ্বে তুলে ধরা। এটি প্রসার ভারতীর সম্প্রসারিত কাঠামোর অধীনে পরিচালিত হতে পারে (India)। তবে এটি একটি আইনত স্বায়ত্তশাসিত সত্তা হিসেবে কাজ করবে যাতে সরাসরি রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ সীমিত থাকে (Pahalgam)।

  • Central Government: ৩০ দিনের মধ্যে ফেরত পাঠাতে হবে অবৈধ বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গাদের, রাজ্যগুলিকে নির্দেশ কেন্দ্রের

    Central Government: ৩০ দিনের মধ্যে ফেরত পাঠাতে হবে অবৈধ বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গাদের, রাজ্যগুলিকে নির্দেশ কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক (Central Government)। সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে এনিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক নির্দেশ দিয়েছে, আগামী তিরিশ দিনের মধ্যে বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশকারীদের তাদের দেশে ফেরত পাঠাতে হবে। এই কারণেই রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে (Central Government) বিশেষ ক্ষমতা দিয়েছে দিল্লি। জানা যাচ্ছে, একই ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে বিএসএফ এবং অসম রাইফেলসকেও। বাংলাদেশ ও মায়ানমার সীমান্ত পাহারা দিয়ে থাকে এই দুই কেন্দ্রীয় এজেন্সি।

    কী বলা হল নির্দেশিকায়

    সরকারি নির্দেশনামায় বলা হয়েছে সন্দেহজনক বাংলাদেশি এবং মায়ানমারের বাসিন্দার যাঁরা নিজেদের ভারতের বাসিন্দা বলে দাবি করে, তাঁদের তিরিশ দিনের মধ্যে নথিপত্র পরীক্ষা করে দেশে ফিরিয়ে দিতে হবে। প্রসঙ্গত, মায়ানমারের মূলত রোহিঙ্গা জাতির মানুষ ভারতে নানা প্রান্তে রয়েছে। ভারত সরকার (Central Government) তাদের শরণার্থী হিসাবে স্বীকৃতিও দেয়নি। কিন্তু দেশের নানা প্রান্তে রোহিঙ্গা জনজাতির মানুষ ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়েছে। অন্যদিকে, বাংলাদেশের বহু মানুষ আইনি ও বেআইনি পথে এসে আর ফিরে যায়নি বলে জানা যাচ্ছে।

    গুজরাটে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী চিহ্নিতকরণ অভিযান

    সপ্তাহ দুই হল ভারত সরকার বাংলাদেশি (Bangladesh) অনুপ্রবেশকারীদের সেদেশে ফেরত পাঠাতে শুরু করেছে। গুজরাট থেকে ৭৮ জন মৎস্যজীবীকে বাংলাদেশের সাতক্ষীরায় পাঠিয়ে দিয়েছে ভারতের উপকূল রক্ষী বাহিনী। গুজরাট সরকার ইতিমধ্যে ছয় হাজারের বেশি সন্দেহজনক বাংলাদেশিকে চিহ্নিত করেছে। তারা নিজেদের ভারতের বিভিন্ন প্রদেশের বাসিন্দা বলে মিথ্যা দাবি করেছে। তাদের কাগজপত্র যাচাইয়ের কাজ চলছে (Central Government) বলে জানা যাচ্ছে। নথিপত্র দিয়ে ভারতীয় প্রমাণ করতে না পারলে তাদের ফেরত পাঠানো হবে। প্রসঙ্গত, সোমবারই সুপ্রিম কোর্ট  শ্রীলঙ্কার এক নাগরিকের এদেশে আশ্রয়ের আবেদন খারিজ করে দেয়। সুপ্রিম কোর্ট বলে, ‘‘ভারত কি সারা বিশ্ব থেকে আসা শরণার্থীদের আশ্রয় দেবে? এ দেশে এমনিতেই ১৪০ কোটি মানুষের বসবাস। এটি কোনও ধর্মশালা নয় যেখানে আমরা সারা বিশ্বের বিদেশি নাগরিকদের আতিথেয়তা দিতে পারি।’’ এই আবহে কেন্দ্রের এমন সিদ্ধান্ত তাৎপর্যপূর্ণ।

  • Rajdhani Express: ফের রেল নাশকতার ছক, উত্তরপ্রদেশে অল্পের জন্য রক্ষা পেল রাজধানী ও কাঠগোদাম এক্সপ্রেস

    Rajdhani Express: ফের রেল নাশকতার ছক, উত্তরপ্রদেশে অল্পের জন্য রক্ষা পেল রাজধানী ও কাঠগোদাম এক্সপ্রেস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের বড়সড় রেল নাশকরাতর ছক উত্তরপ্রদেশে। রাজধানী (Rajdhani Express) ও কাঠগোদাম দুটি ট্রেনকে লাইনচ্যুত করার চেষ্টা! দুটি ক্ষেত্রেই চালকের তৎপরতায় বড় দুর্ঘটনা থেকে অল্পের জন্য রক্ষা পেল ট্রেন দুটি ৷ ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের হরদোই জেলাতে। রেললাইনে কাঠের গুঁড়ি বেঁধে এই নাশকতা ঘটানোর চেষ্টা করা হয়।

    রাজধানীকে লাইনচ্যুত করার চেষ্টা (Rajdhani Express)

    সোমবারই নয়াদিল্লি থেকে অসমের ডিব্রুগড় যাচ্ছিল রাজধানী এক্সপ্রেস। সন্ধ্যায় ডালেনগর থেকে উমরতলি স্টেশনের মাঝামাঝি জায়গায় রেললাইনের (Uttar Pradesh) ওপর বিদ্যুতের তার জড়ানো কাঠের গুঁড়ি দেখতে পান চালক। এই সময়ে ট্রেনের গতিবেগ তুলনামূলক কম থাকায় ইমার্জেন্সি ব্রেক কষে দেন চালক। জানা গিয়েছে, এরপর ট্রেন চালক (Rajdhani Express) নিজেই ট্রেন থেকে নেমে কাঠের টুকরোটি সরিয়ে ট্রেনটিকে গন্তব্যে নিয়ে যান। সেই সঙ্গে, তৎক্ষণাৎ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষকে খবরও দেন তিনি।

    কাঠগোদাম এক্সপ্রেসকে লাইনচ্যুত করার চেষ্টা

    সেই ঘটনার কিছু পরেই একই লাইন দিয়ে আসছিল কাঠগোদাম এক্সপ্রেস৷ সেই ট্রেনটিকেও লাইনচ্যুত করার চেষ্টা করা হয় বলে জানা গিয়েছে। এক্ষেত্রেও লাইনের ওপর তার জড়ানো গাছের গুঁড়ি দেখতে পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ট্রেনটি থামিয়ে দেন চালক। পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, দুটি ক্ষেত্রেই চালকের তৎপরতায় অল্পের জন্য বড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পাওয়া গিয়েছে ৷

    ঘটনাস্থলে পৌঁছান রেল আধিকারিকরা

    দুই এক্সপ্রেসের চালকের (Rajdhani Express) কাছে নাশকতার ষড়যন্ত্রের এমন খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন রেলের আধিকারিকরা। তাঁদের সঙ্গে ছিল পুলিশ, আরপিএফ ও জিআরপি। পরিদর্শনের পর ঘটনাপ্রসঙ্গে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা জারি করেন রেলের আধিকারিকরা। জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই ঘটনা প্রসঙ্গে তদন্ত শুরু করেছেন স্থানীয় পুলিশও। বিষয়টি নিয়ে খতিয়ে দেখছে রেলও। সম্প্রতি, পহেলগাঁও হামলার পর থেকেই ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়েছে ৷ সম্প্রতি, জম্মু-কাশ্মীরের রেল যোগাযোগের ওপরেও জঙ্গি হামলার আশঙ্কা করা হয়েছিল ৷ এই আবহে রাজধানী ও কাঠগোদাম এক্সপ্রেসকে লাইনচ্যুত করার চেষ্টা নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে।

  • Operation Sindoor: ‘‘লুকোতে হলে ওদের…’’, পাকিস্তানের সর্বত্র আঘাত হানতে পারে ভারত, বললেন সেনাকর্তা

    Operation Sindoor: ‘‘লুকোতে হলে ওদের…’’, পাকিস্তানের সর্বত্র আঘাত হানতে পারে ভারত, বললেন সেনাকর্তা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘‘সমগ্র পাকিস্তানে আঘাত করার ক্ষমতা ভারতের রয়েছে। পাকিস্তান যদি তাদের সেনাঘাঁটি রাওয়ালপিন্ডি (Operation Sindoor) থেকে স্থানান্তর করে, তাহলে ওদের লুকোনোর জন্য অনেক বড় গর্ত খুঁজে বের করতে হবে।’’ পাকিস্তানকে এভাবেই কড়া আক্রমণ করলেন বিআর্মি এয়ার ডিফেন্সের ডিজি লেফটেন্যান্ট জেনারেল সুমের ইভান।

    পাকিস্তানের বিভিন্ন প্রদেশে হামলা চালানোর জন্য যথেষ্ট পর্যাপ্ত অস্ত্র রয়েছে ভারতের

    সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ কথাই বলেন তিনি। সুমের ইভান আরও জানিয়েছেন, পাকিস্তানের বিভিন্ন প্রদেশে হামলা চালানোর জন্য যথেষ্ট পর্যাপ্ত অস্ত্র রয়েছে ভারতের। পুরো পাকিস্তানই ভারতের মিসাইল রেঞ্জের মধ্যে পড়ে বলে তিনি জানিয়েছেন। একেবারে রাওয়ালপিন্ডি থেকে খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশ (Operation Sindoor) পর্যন্ত যেখানেই খুশি যেতে পারে কিন্তু সর্বত্রই ভারতের মিসাইল তাদের তাড়া করবে।

    ভারতের উন্নত আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা

    ভারত (India) পাকিস্তানের সাম্প্রতিক উত্তেজনার আবহে দিল্লি পাকিস্তানের বেশ কয়েকটি বিমান ঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালায়। প্রতিটিই ধ্বংস করে দেয়। সম্প্রতি, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং তাঁর এক ভাষণে উল্লেখ করেন যে, রাওয়ালপিন্ডি পর্যন্ত ভারতীয় সেনার গর্জন শোনা গিয়েছে। প্রসঙ্গত, এই অভিযানের ভারত (India) দূরপাল্লার বিভিন্ন ড্রোন এবং মিসাইল ব্যবহার করে। বিমান প্রতিরক্ষা বিভাগের মহানির্দেশক লেফটেন্যান্ট জেনারেল সুমের ইভান জানিয়েছেন, পাকিস্তান চারদিনে পশ্চিম সীমান্তে ৮০০ থেকে ১০০০ ড্রোন নিক্ষেপ করেছে। কিন্তু ভারতের উন্নত আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা (Operation Sindoor) তা সফলভাবে ধ্বংস করতে সক্ষম হয়েছে। পাকিস্তান মানববিহীন যুদ্ধবিমান ব্যবহার করেছিল এবং তাদের উদ্দেশ্য ছিল দেশের নিরীহ নাগরিকদেরকে হত্যা করা। কোনও হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। প্রসঙ্গত, বাইশে এপ্রিল জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে পাকিস্তানের মদতপুষ্ট জঙ্গিরা ২৬ জনকে হত্যা করে। যার মধ্যে ২৫ জন ছিলেন হিন্দু পর্যটক। তাঁদেরকে ধর্ম বেছে বেছে হত্যা করা হয়। হিন্দু হওয়ার অপরাধে তাঁদেরকে হত্যা করা হয়। গত ৭ মে মধ্যরাতে পাকিস্তানের ওপর অপারেশন সিঁদুর-এর মাধ্যমে প্রত্যাঘাত করে ভারত।

  • India Pakistan Conflicts: ‘‘রানাকে টেনে এনেছি, হাফিজ সঈদকেও…’’, পাকিস্তানকে কড়া বার্তা ভারতীয় রাষ্ট্রদূতের

    India Pakistan Conflicts: ‘‘রানাকে টেনে এনেছি, হাফিজ সঈদকেও…’’, পাকিস্তানকে কড়া বার্তা ভারতীয় রাষ্ট্রদূতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্ত্রাসের সঙ্গে আপস নয়। পথ একটাই। তা হল হাফিজ সঈদদের ভারতের হাতে তুলে দেওয়া। আমেরিকা যেভাবে ২৬/১১ মুম্বই হামলায় অভিযুক্ত তাহাউর হুসেন রানাকে ভারতের হাতে তুলে দিয়েছে, পাকিস্তানকেও তেমনভাবে দোষীদের হস্তান্তর করতে হবে। তবেই সীমান্ত সমস্যার সমাধান সূত্র বেরোতে পারে। সোমবার ইজরায়েলের এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমনটাই বললেন সেদেশে নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূত জেপি সিং (Indian Diplomat JP Singh)। তাঁর কথায়, “অপারেশন সিঁদুর স্থগিত হয়েছে, বন্ধ নয়। সন্ত্রাসবাদীরা পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের ধর্ম পরিচয় জেনে তাদের হত্যা করেছিল। তাই ভারতও পাকিস্তানের (India Pakistan Conflicts) গোটা জঙ্গি পরিকাঠামোটাই ভেঙে দিয়েছে।”

    অপারেশন সিঁদুর এখনও শেষ হয়নি

    সংঘর্ষ বিরতির (India Pakistan Conflicts) প্রসঙ্গ তুলে জেপি সিং জানান, অপারেশন সিঁদুর এখনও শেষ হয়নি। তাঁর সংযোজন, “সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই চলতে থাকবে। ভারত একটা নিউ নর্ম্যাল আবহ তৈরি করেছে। যা শুধুমাত্র আক্রমণাত্মক কৌশলেই বিশ্বাসী। সন্ত্রাসবাদীরা যেখানে নিজেদের পরিকাঠামো গড়ে তুলবে। আমরা সেখানে ঢুকে তা ভেঙে আসব।” ওয়াকিবহাল মহল বলে, ভারতে সন্ত্রাসের শুরুটা লস্করদের হাত ধরেই। বর্তমানে ওদের মাথায় বসে আছে জঙ্গিনেতা হাফিজ সঈদ। এই সন্ত্রাসবাদীর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক স্তরে একাধিক অভিযোগ থাকলেও, পাকিস্তান কোনও ভাবে একে হাতছাড়া করে না। ইজরায়েলের সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জেপি সিং বলেন, “পাকিস্তান আমাদের হাতে হাফিজ সঈদ, সাজিদ মীর ও জাকিউর রহমানদের তুলে দিক। ঠিক যেমন ভাবে আমরা তাহাউর রানাকে টেনে এনেছি।”

    পাকিস্তানের পক্ষ থেকে পদক্ষেপ করা হয় না

    অপারেশন সিঁদুর যে জৈশ-প্রধান মাসুদ আজহারকে একেবারে নাজেহাল করে দিয়েছে, সেই খবর ইতিমধ্যেই জেনে গিয়েছে গোটা বিশ্ববাসী। ৭ মে ভারতীয় সেনার চালানো অভিযানে রাতারাতি ‘অনাথ’ হয়ে যায় মাসুদ। ভারতের প্রত্যাঘাতে শেষ হয়ে যায় তার গোটা পরিবার। এদিন আবারও ইজরায়েলে ভারতের রাষ্ট্রদূত জেপি সিং (Indian Diplomat JP Singh) স্পষ্ট করে দেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি নিয়েছেন। সীমান্তের ওপার থেকে কোনও সন্ত্রাস মেনে নেওয়া হবে না।” পহেলগাঁও নিয়ে পাকিস্তানের (India Pakistan Conflicts) তদন্তের ডাক দেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “মুম্বই, পাঠানকোট, পুলওয়ামা হামলার প্রেক্ষিতেও ভারতের তরফে পর্যাপ্ত তথ্য, প্রমাণ দেওয়া হলেও পাকিস্তানের পক্ষ থেকে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি।”

    আমরা জল প্রবাহ করেছি, ওরা রক্ত

    পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডির নূর খান ঘাঁটিতে ভারতের ১০ মে-র হামলাকে ‘গেম চেঞ্জার’ বলে আখ্যা দেন জেপি সিং। তিনি বলেন, এর ফলে ইসলামাবাদে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এরপরই পাকিস্তানের ডিজিএমও ভারতীয় ডিজিএমও-র সঙ্গে যোগাযোগ করে যুদ্ধবিরতির অনুরোধ জানান। সিন্ধু জলচুক্তি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এই চুক্তির মূল ভিত্তিই ছিল সদিচ্ছা ও বন্ধুত্ব। কিন্তু পাকিস্তান সেই নীতি মানেনি। আমরা জল প্রবাহ করেছি, ওরা রক্ত।” তিনি জানান, জনগণের মধ্যে পাকিস্তান-ঘনিষ্ঠ সন্ত্রাসবাদে ক্ষোভ থেকেই জলচুক্তি স্থগিত করা হয়েছে। তাঁর কথায়, “ এক আইডব্লুটি (Indus Waters Treaty) এখন স্থগিত, তবে আরেক আইডব্লুটি চালু আছে—India’s War on Terrorism।” আন্তর্জাতিক স্তরে জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে জোট গঠনের ডাক দেন জেপি সিং। তিনি বলেন, “ভারত ও ইজরায়েলের মতো দেশগুলির উচিত একজোট হয়ে সন্ত্রাসবাদ এবং যারা তাকে সমর্থন করে, তাদের বিরুদ্ধেও কঠোর অবস্থান নেওয়া।”

  • Boycott Turkey: বিমান পরিষেবা থেকে চকোলেট, পাক-বন্ধু তুরস্কের পণ্য বয়কটে ব্যাপক সাড়া দেশে

    Boycott Turkey: বিমান পরিষেবা থেকে চকোলেট, পাক-বন্ধু তুরস্কের পণ্য বয়কটে ব্যাপক সাড়া দেশে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে সরাসরি ইসলামাবাদের পক্ষ নেয় তুরস্ক। ২০২৩ সালে ভয়াবহ ভূমিকম্পে তুরস্কে ত্রাণ সামগ্রী পাঠানো থেকে উদ্ধার কাজ চালায় ভারত। অপারেশন দোস্ত নামে সেই অভিযানের মাধ্যমে উদ্ধার কাজ চালিয়ে বহু মানুষের প্রাণ বাঁচায় ভারত। সেটা বেমালুম ভুলে অকৃতজ্ঞ, বিশ্বাসঘাতক তুরস্ক (Boycott Turkey) পাকিস্তানকে সেনা, ড্রোন সরবরাহ করে দেয়। এই আবহে দেশের কম বেশি সমস্ত মহলেই দাবি উঠেছে তুরস্কের পণ্য বয়কটের। ব্যবসায়ী, গ্রাহক, নির্মাতা সংস্থা- প্রত্যকেই এই একই দাবি জানিয়েছে। এই আবহে তুরস্কের এক সংস্থা, সেলেবি, যারা বিমানবন্দরে পরিষেবা দেয়, তাদেরকে বাতিল করা হয়েছে। তুরস্ক থেকে আসা ফল, চকলেট পোশাক- এই সমস্ত কিছুই বয়কটের দাবি উঠেছে। কোন কোন ক্ষেত্রে ভারতীয়রা তুরস্কের পণ্য এবং পরিষেবা বয়কট করছেন, সেনিয়েই বিস্তারিত আলোচনা করা হল এই প্রতিবেদনে।

    বিমান বন্দরের পরিষেবা প্রদানকারী সেলেবির ছাড়পত্র বাতিল

    বিমান বন্দরের পরিষেবা প্রদানকারী তুরস্কের সংস্থা সেলেবির ওপর উপর প্রথম পদক্ষেপ করা হয় (Boycott Turkey) ১৫ মে। ভারত সরকারের সংস্থা ব্যুরো অফ সিভিল এভিয়েশন সিকিউরিটি এই পদক্ষেপ করে। বিমানবন্দরে পরিষেবা প্রদানকারী তুরস্কের সংস্থা সেলেবির নিরাপত্তা সংক্রান্ত ছাড়পত্র বাতিল করে দেয় তারা।

    তুরস্কের পাশাপাশি আজারবাইজানেও ভ্রমণ বাতিল করছেন ভারতীয়রা

    অন্যদিকে, ভ্রমণ সংস্থা মেক মাই ট্রিপ জানিয়েছে, গত এক সপ্তাহে তুরস্ক এবং আজারবাইজানে ফ্লাইট বুকিং ৬০ শতাংশ কমেছে। একই সঙ্গে ফ্লাইট বাতিল করার সংখ্যা ২৫০ শতাংশে পৌঁছেছে বলে জানিয়েছে তারা। প্রসঙ্গত, তুরস্কের পাশাপাশি আজারবাইজানও পাকিস্তানকে সরাসরি সমর্থন করেছিল। এ নিয়ে মেক মাই ট্রিপ-এর একজন আধিকারিক জানিয়েছেন, গত এক সপ্তাহে ভারতীয় ভ্রমণকারীদের মধ্যে দেশের প্রতি এক তীব্র অনুভূতি দেখা গিয়েছে। এর ফলে আজারবাইজান এবং তুরস্কের বুকিং ৬০ শতাংশ কমে গিয়েছে। একইসঙ্গে বিমান বাতিলের (Boycott Turkey) পরিমাণ ২৫০ শতাংশ বেড়েছে।

    ‘অল ইন্ডিয়া কনজিউমার প্রোডাক্টস ডিস্ট্রিবিউটর ফেডারেশন’-এর আহ্বান

    সাম্প্রতিক প্রকাশিত রয়টার্সের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বয়কট তুরস্ক আন্দোলন ব্যাপক গতি পাচ্ছে ভারতে। তাদের প্রতিবেদন অনুসারে, সাড়ে চার লক্ষ ডিস্ট্রিবিউটর নিয়ে গঠিত ‘অল ইন্ডিয়া কনজিউমার প্রোডাক্টস ডিস্ট্রিবিউটর ফেডারেশন’, তারা বেশ কয়েকটি তুরস্কের পণ্যের ওপর অনির্দিষ্টকালের জন্য সম্পূর্ণ বয়কট (Boycott Turkey) করার আহ্বান জানিয়েছে। এই বিরাট সংগঠনের আহ্বানে বেশ চাপেও পড়ে গিয়েছে তুরস্ক। এই নিষেধাজ্ঞা জারি হওয়ার (Boycott Turkey Movement) ফলে তুরস্কের চকোলেট, ওয়েফার, জ্যাম, সিরাপ, চা, কফি, কুকিজ, প্যাকেটজাত মিষ্টি, বডি ওয়াশ, প্রসাধনী, ত্বকের যত্নের মতো পণ্যগুলিও নিষেধাজ্ঞার মুখোমুখি হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। পণ্য বয়কটের আহ্বানের ফলে তুরস্কের ২,০০০ কোটি টাকার খাদ্য পণ্যের ক্ষতি হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

    পোশাক বয়কটও চলছে সমানতালে

    রয়টার্সের একটি প্রতিবেদন অনুসারে জানা যাচ্ছে, ফ্লিপকার্টের নিয়ন্ত্রিত Myntra এবং রিলায়েন্স নিয়ন্ত্রিত Ajio তুরস্কের বিভিন্ন ব্র্যান্ডের পোশাক বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছে। জানা যাচ্ছে, জাতীয় স্বার্থেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। Myntra বর্তমানে যাঁরা সার্চ করছেন, তাঁরা তুরস্কের Trendyol, LC Waikiki প্রভৃতি ব্রান্ডগুলি খুঁজে পাননি। একইভাবে, রিলায়েন্সের Ajio সংস্থা তুরস্কের কোম্পানিগুলির পণ্যগুলিকে ‘স্টক আউট’ করে দিয়েছে। Trendyol, Koton, LC Waikiki প্রভৃতি ব্রান্ড সেখানে দেখা যাচ্ছে না।

    তুরস্কের ফল বয়কট, পাক-বন্ধুর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা

    অন্যদিকে, ভারতে যে সমস্ত ব্যবসায়ী এবং গ্রাহকরা রয়েছেন, তাঁরা তুরস্ক থেকে আসা ফল সম্পূর্ণভাবে বর্জন করছেন। হরিদ্বারের গ্রাহকরা বলছেন যে ভারতে সমস্ত তুরস্কের ফল বর্জন করা উচিত। একজন গ্রাহক এএনআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘‘আমরা কীভাবে একটি দেশকে সমর্থন করতে পারি! যারা আমাদের শত্রু দেশের সঙ্গে রয়েছে। সাধারণ মানুষ সমস্ত কিছু বর্জন করছে ওই দেশের। তাই আমাদেরও এটি বর্জন করতে হবে।’’ একই চিত্র দেখা গিয়েছে, উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে, সেখানে ফল ব্যবসায়ীরা সম্মিলিতভাবে তুরস্কের (Boycott Turkey Movement) আপেল বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এর আগে হিমাচলপ্রদেশের কৃষকরা তুরস্কের আপেল আমদানি নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছিলেন। একইসঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারকে একশো শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপের আহ্বান জানিয়েছিলেন।

    শিক্ষাক্ষেত্রেও চলছে বয়কট

    দেশজুড়ে বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলেজগুলিতেও তুরস্কের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। সে দেশে সঙ্গে শিক্ষা সংক্রান্ত যে কোনও কর্মসূচি তারা বাতিল করছে। এই আবহে এগিয়ে এসেছে আইআইটি মুম্বই, জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়, জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া সহ শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়গুলিও। একই সঙ্গে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলি যেমন মৌলানা আজাদ জাতীয় উর্দু বিশ্ববিদ্যালয়, চণ্ডীগড় বিশ্ববিদ্যালয়, লাভলী প্রফেশনাল ইউনিভার্সিটি এমন পরিস্থিতিতে তুরস্কের সঙ্গে সমস্ত রকম শিক্ষা সংক্রান্ত সম্পর্ক তারা ছিন্ন করেছে।

    সেলেবির মামলায় উঠে এল জাতীয় স্বার্থের কথা

    এদিকে, সোমবারই দিল্লি হাইকোর্ট তুরস্কের সংস্থা সেলেবি এয়ারপোর্ট সার্ভিসের মামলার শুনানিতে বলেছে, সেলেবির বিরুদ্ধে যে সিদ্ধান্ত সরকার নিয়েছে তা জাতীয় স্বার্থেই নেওয়া হয়েছে। কারণ তুরস্ক সরাসরি পাকিস্তানকে সমর্থন করেছে এবং ভারতের এয়ার স্ট্রাইকের বিরোধিতা করেছে।’’ প্রসঙ্গত, এই মামলাটি ওঠে বিচারপতি শচীন দত্তের এজলাসে। এখানেই দেশের সলিসিটার জেনারেল তুষার মেহতা কেন্দ্রের পক্ষে সওয়াল করেন এবং তিনিও জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়টি তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘‘শত্রুরা ১০ বার প্রচেষ্টা করতে পারে আঘাত হানার, তাদেরকে একবার সফল হতে হয়। কিন্তু নিরাপত্তা সংস্থাগুলিকে দশবারই সফল হতে হয়। তাই এখানেই জাতীয় সুরক্ষা খুবই প্রয়োজনীয়। বিশেষত বেসরকারি বিমান চলাচলের ক্ষেত্রে।

    ‘‘সাবধানের মার নেই’’, পর্যবেক্ষণ আদালতের

    অন্যদিকে, সেলেবির পক্ষ থেকে এই মামলার সওয়াল জবাব করেন মুকুল রোহতগি। তিনি বলেন, ‘‘একতরফাভাবে কথা শোনা হয়েছে এবং তাঁর কোম্পানিকে কোনও কিছু বলতেই দেওয়া হয়নি।’’ সেলেবির আইনজীবী বলেন, ‘‘১৭ বছর ধরে এই সংস্থা কাজ করছে এবং বিভিন্ন বিমানবন্দরে পরিষেবা দিয়ে আসছে।’’ কিন্তু সলিসেটার জেনারেল তুষার মেহতা বারবার জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়টির উপরে জোর দেন। এর পরই আদালতের পর্যবেক্ষণ, ‘‘সাবধানের মার নেই’’। জানা গিয়েছে, সেলেবি তাদের সঙ্গে কেন্দ্রের চুক্তি সিল করা খামে জমা দিয়েছে। আদালতে বুধবার পরবর্তী শুনানি রয়েছে এই মামলার।

  • India Pakistan Ceasefire: যুদ্ধবিরতিতে ট্রাম্পের ভূমিকা থেকে পাকিস্তানের পরমাণু হুমকি, সব খোলসা করলেন মিস্রি, কী বললেন?

    India Pakistan Ceasefire: যুদ্ধবিরতিতে ট্রাম্পের ভূমিকা থেকে পাকিস্তানের পরমাণু হুমকি, সব খোলসা করলেন মিস্রি, কী বললেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতিতে (India Pakistan Ceasefire) মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কোনও ভূমিকা ছিল না। অপারেশন সিঁদুরের (Operation Sindoor) পর সামরিক সংঘর্ষ বিরতির সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণভাবে দু’দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমে হয়েছে বলে দাবি করলেন বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি (Vikram Misri)। সোমবার সংসদীয় কমিটির বৈঠকে বিদেশ সচিব জানান, গত ১০ মে দুই দেশের ডিজিএমও আলোচনার মাধ্যমে সংঘর্ষিবিরতিতে সায় দেন।

    ট্রাম্পের দাবিকে মান্যতা নয়

    সংঘর্ষবিরতির কথা প্রথম ঘোষণা করেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। ভারত এবং পাকিস্তানের (India Pakistan Ceasefire) তরফে আনুষ্ঠানিক সংঘর্ষবিরতির ঘোষণায় তাঁর নাম উল্লেখ না থাকা সত্ত্বেও বারাবর আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে সমঝোতার কারিগর হিসেবে নিজেকেই তুলে ধরেছেন। এই নিয়ে কেন্দ্রকে প্রশ্ন করে বিরোধী দলগুলি। সংসদীয় কমিটির বৈঠকেও সেই প্রসঙ্গ উত্থাপন হয়। সংসদীয় কমিটির এক সদস্য প্রশ্ন করেছিলেন, ‘অন্তত ৭ বার প্রকাশ্যে ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছেন, ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষবিরতি সম্ভব হয়েছে তাঁরই জন্য। ভারত চুপ কেন?

    তৃতীয় পক্ষের ভূমিকা নেই

    এদিন বিদেশসচিব স্পষ্ট বলেন, “ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতির (India Pakistan Ceasefire) সিদ্ধান্ত একান্তভাবেই দুই দেশের সম্মতির ভিত্তিতে হয়েছে। এতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বা অন্য কোনও তৃতীয় পক্ষের কোনও ভূমিকা নেই।” বিক্রম মিস্রি জানান, সাম্প্রতিক ভারত-পাকিস্তান সংঘাত ছিল পুরোপুরি প্রচলিত যুদ্ধবিধির মধ্যে। তাঁর কথায়, “পাকিস্তানের তরফে কোনও পরমাণু সংকেত দেওয়া হয়নি। সংঘর্ষের সময় তাদের ব্যবহৃত চিনা প্রযুক্তির অস্ত্র নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন নই। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল— আমরা তাদের বায়ুসেনা ঘাঁটিগুলিতে কঠোরভাবে আঘাত করেছি।” বিদেশ সচিবের এই বক্তব্য ভারতের অবস্থানকে আরও স্পষ্ট করে, যে কাশ্মীর ইস্যুতে কোনও তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতা ভারত গ্রহণ করবে না।

    যুদ্ধবিমানের ক্ষয়ক্ষতি

    সূত্রের খবর, পাকিস্তানের এইচ-কিউ ৯ মিসাইল প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার কথাও উঠে আসে কমিটির আলোচনায়। তবে বিদেশসচিব জানান, অস্ত্রের উৎস নয়, আঘাতের কার্যকারিতাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ। সংসদীয় কমিটির একাধিক সদস্য জানতে চান, পাকিস্তানের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম কি ভারতের কয়েকটি যুদ্ধবিমান গুলি করে নামিয়েছে। বিশেষ করে ফ্রান্সের রাফাল যুদ্ধবিমানের ক্ষয়ক্ষতির প্রসঙ্গ উঠে আসে। তবে বিদেশ সচিব জাতীয় নিরাপত্তার কারণে এই প্রশ্নের উত্তর দিতে চাননি। তিনি জানান, এটা প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের বিষয়, তিনি এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করবেন না। উল্লেখ্য বিদেশ সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটির নেতৃত্বে রয়েছেন কংগ্রেস সাংসদ শশী তারুর। তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, কংগ্রেসের রাজীব শুক্ল, দীপেন্দর হুডা, বিজেপির অপরাজিতা ষড়ঙ্গী, অরুণ গোভিল এবং এআইএমআইএম প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়েইসিও উপস্থিত ছিলেন বৈঠকে।

    বিদেশমন্ত্রীর বক্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা

    বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করকে এক ভিডিও ক্লিপে বলতে শোনা গিয়েছিল, “অভিযানের শুরুতেই আমরা পাকিস্তানকে একটি বার্তা দিয়েছিলাম, জানিয়ে দিই যে আমরা সন্ত্রাসী শিবিরে হামলা করছি।” এই বক্তব্য ঘিরে উত্তাল হয় রাজনীতি। লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী একে ‘অপরাধ’ বলে কটাক্ষ করেন। তিনি এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করে প্রশ্ন তোলেন, ‘কে এই সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেছে? এর ফলে আমাদের বিমানবাহিনী কতটি বিমান হারিয়েছে?’ বিদেশ সচিব কমিটিকে জানান, বিদেশমন্ত্রীর বক্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, “অপারেশনের শুরুতে নয়, সুনির্দিষ্ট আঘাতের পর পাকিস্তানকে জানানো হয়েছিল।” সূত্রের খবর, সোমবারের স্ট্যান্ডিং কমিটির বৈঠকে মিস্রি জানিয়েছেন, ‘অপারেশন সিঁদুর’–এর প্রথম অভিঘাতের পরে পাকিস্তানকে জানানো হয়েছিল, ভারতের টার্গেট জঙ্গিঘাঁটি, কোনও পাকিস্তানি মিলিটারি ইনস্টলেশন নয়, তাই পাক সেনা যেন ভারতের অপারেশনে বাধা না দেয়। কিন্তু পাকিস্তানি সেনা সেই পরামর্শ শোনেনি, তাই তাদের ফল ভুগতে হয়েছে। অপারেশন শুরুর আগে পাকিস্তানকে কিছুই জানানো হয়নি বলে দাবি মিস্রির।

    তুরস্কের সঙ্গে সম্পর্ক

    পাকিস্তানকে সামরিক সাহায্যের অভিযোগ উঠেছিল তুরস্কের বিরুদ্ধে। এই পরিস্থিতিতে তুরস্কের সঙ্গে ইতিমধ্যেই একাধিক লেনদেনের সম্পর্ক ছিন্ন করেছে ভারত। ভারত–তুরস্কের সম্পর্ক এখন কোন জায়গায় দাঁড়িয়ে? সূত্রের খবর, এক্ষেত্রে মিস্রি বলেন, ‘আপনারা ইতিহাস ঘেঁটে দেখে নিন, পাকিস্তান এবং তুরস্ক— দু’দেশের সঙ্গেই আমাদের সম্পর্ক কোনও দিন বিশেষ ভালো ছিল না। ফলে, নতুন করে সম্পর্কে অবনতির বিষয় নেই।’ মিস্রি ও তাঁর পরিবারকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় যে ট্রোল করা হয়েছিল, এ দিনের বৈঠকে স্ট্যান্ডিং কমিটি সর্বসম্মত ভাবে তার নিন্দা করেছে।

LinkedIn
Share