Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Alwar Temple Demolition: রাজস্থানে ভাঙা পড়ল ৩০০ বছরের প্রাচীন শিব মন্দির, ‘তালিবান’ রাজ চালাচ্ছে কংগ্রেস দাবি বিজেপির

    Alwar Temple Demolition: রাজস্থানে ভাঙা পড়ল ৩০০ বছরের প্রাচীন শিব মন্দির, ‘তালিবান’ রাজ চালাচ্ছে কংগ্রেস দাবি বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজস্থানের আলোয়ারে (Alwar)একটি ৩০০ বছরের প্রাচীন শিব মন্দির ভাঙাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়াল। অভিযোগ, বুলডোজার দিয়ে ভেঙে ফেলা হয় মন্দিরের ছাদ ও পিলার। এমনকী মন্দিরের ভেতরে থাকা শিবলিঙ্গটিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে অভিযোগ।

    এই ঘটনায় রাজস্থানের কংগ্রেস সরকারকে কাঠগড়ায় তুলেছে বিজেপি। রাজস্থানে কংগ্রেস একপ্রকার তালিবান রাজ চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন বিজেপি নেতা রাজ্যবর্ধন সিং রাঠৌর। ঘটনার পিছনে থাকা সত্য জানতে শনিবার আলোয়ারের রাজগড়ে পৌঁছেছে বিজেপির পাঁচ সদস্যের একটি তথ্য অনুসন্ধাকারী দল। তাদের দাবি মন্দিরের পাশে একটি গোশালাও ছিল। সেটাও ভেঙে ফেলা হয়েছে। এই ঘটনায় রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রীকে সকলের সামনে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানিয়েছে বিজেপি। মন্দির পুনরায় গড়ে দিতে বলা হয়েছে এবং ক্ষতিপূরণও চাওয়া হয়েছে।

    ইতিমধ্যেই এই সংক্রান্ত একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে নেটদুনিয়ায়, যেটিকে হাতিয়ার করে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানিয়েছে রাজস্থান বিজেপি। তাদের দাবি, কংগ্রেস যে কতখানি ধর্মনিরপেক্ষ তা এর থেকেই বোঝা যাচ্ছে। কারাউলি বা জাহাঙ্গিরপুরীর হিংসার ঘটনায় যে দল দুঃখ প্রকাশ করে, তাদের সরকার থাকাকালীনই রাজস্থানে হিন্দুদের মন্দির ধ্বংস হচ্ছে। আগুনে ঘি ঢালে এক স্থানীয় বিধায়কের বিবৃতি। ভাইরাল ভিডিওতে তাঁকে বলতে শোনা যায় যে, কংগ্রেস শাসিত পুরসভা চাইলে এই কাজ আটকাতে পারত। রাজস্থান বিজেপির দাবি, জাহাঙ্গিরপুরীর ঘটনার বদলা নিতেই এই কাণ্ড ঘটিয়েছে গেহলট সরকার।
     একই সঙ্গে রাজগড়ে রাস্তা সম্প্রসারণের কাজের জন্য বেশ কিছু ঘরও ভাঙা পড়েছে। গৃহহীন বহু মানুষ। বিজেপির অভিযোগ,আগাম নোটিশ না দিয়েই এই উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়েছে। এই অভিযোগের জবাব দিয়ে রাজস্থানের মন্ত্রী প্রতাপ সিং খাচরিয়াবাস জানিয়েছেন, বিজেপির দাবি সম্পূর্ণ মিথ্যে। তাঁর দাবি, ‘রাজগড় আরবান বডিস বোর্ড’-এর চেয়ারম্যান নিজে বিজেপির সদস্য। যে কর্মসূচির দরুন মন্দির এবং ঘর ভাঙা পড়েছে, তাতে সম্মতি দিয়েছিলেন চেয়ারম্যান। বরং কংগ্রেসের বিধায়কই এতে আপত্তি জানিয়েছিলেন। মন্ত্রী জানান, যদি আইনি কোনও অসুবিধা না থাকে তবে এই মন্দির পুনরায় গড়ে তোলা হবে।

     

  • S Jaishankar: মার্কিন মুলুকে ছেলেকে নিয়ে রেস্তোরাঁয় গিয়েছিলেন জয়শঙ্কর, সেখানে কী হল জানেন?

    S Jaishankar: মার্কিন মুলুকে ছেলেকে নিয়ে রেস্তোরাঁয় গিয়েছিলেন জয়শঙ্কর, সেখানে কী হল জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ ঘুরে বেড়াচ্ছে। অর্থাৎ ভাইরাল হয়েছেন বিদেশমন্ত্রী। এক জায়গায় বক্তৃতা দেওয়ার সময়, নিজের জীবনের এক অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। আর এখন নেট মাধ্যমে ভাইরাল সেই ভিডিও ক্লিপ।

    আরও পড়ুন: তাসখন্দে তালিবান বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে মুখোমুখি বৈঠকে বসতে চলেছেন জয়শঙ্কর?

    কাজের সূত্রে আমেরিকায় থাকেন এস জয়শংকরের (S Jaishankar) ছেলে। কোভিডকালে ছেলের সঙ্গে দেখা করতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে (US) গিয়েছিলেন তিনি। সেখানেই বাবা-ছেলে মিলে যান এক রেস্তোরাঁয় নৈশভোজে। তারপর সেখানে কী হল সেই অভিজ্ঞতাই ভাগ করে নিয়েছেন তিনি।  

    আরও পড়ুন: মূল্যবোধই ভারতের সম্পদ! অভিমত সামান্থার 

    অনুষ্ঠানের মঞ্চে বক্তৃতা দেওয়ার সময় মন্ত্রী বলেন, “২০২১ সালে অতিমারির সময় আমার ছেলের সঙ্গে দেখা করতে আমেরিকায় গিয়েছিলাম। দুজনে একটি মার্কিন রেস্তোরাঁয় ডিনারে গিয়েছিলাম। সেখানে আমাদের কোভিড টিকাকরণের সার্টিফিকেট (Covid Vaccination Certificate) দেখাতে বলা হয়। আমার ছেলে নিজের মানি ব্যাগ থেকে একটি ভাঁজ করা কাগজ বের করে দেখায়। আর আমি নিজের মোবাইলে কোউইন (Cowin) পোর্টাল খুলে ডিজিটাল ভ্যাকসিনেশন সার্টিফিকেট দেখাই। আর এখানেই অন্য দেশের সঙ্গে ভারতের তফাৎ লক্ষ্য করা যায়। আমি ভারতের কোউইন পোর্টালের জন্য ওই মুহূর্তে গর্ব অনুভব করেছিলাম।” জয়শংকরের ৫৭ সেকেন্ডের ছোট্ট এই ভিডিয়ো ক্লিপটি মুহূর্তেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। নেটিজেনরা সকলেই কোউইন পোর্টাল নিয়ে নিজ নিজ অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেন কমেন্ট বক্সে।

     

    যারা দেশের বাইরে যাত্রা করছেন বা আগামীতে যাত্রা করার কথা ভাবছেন একটি বিষয় জেনে রাখা অত্যন্ত জরুরি। যারা দেশের বাইরে যেতে চান, তাঁদের পাসপোর্টের সঙ্গে কো-উইন অ্যাপের ভ্যাকসিন সার্টিফিকেট লিঙ্ক করা বাধ্যতামূলক। 

  • Taj Mahal: তাজমহলের রুদ্ধ ২২ দ্বার খোলা হবে না, জানাল এলাহাবাদ হাইকোর্ট

    Taj Mahal: তাজমহলের রুদ্ধ ২২ দ্বার খোলা হবে না, জানাল এলাহাবাদ হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তাজমহলের (Taj Mahal) বন্ধ ২২টি দরজা খোলার আবেদন প্রত্যাখান করল এলাহাবাদ হাইকোর্ট (Allahabad High court)। বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের লক্ষ্ণৌ বেঞ্চ এই আবেদন খারিজ করে।

    যুগ যুগ ধরে ভালবাসার নিদর্শন হিসেবে বিশ্বজোড়া খ্যাতি তাজমহলের। মুঘল শাসনে তৈরি এই স্মৃতিসৌধ জায়গা করে নিয়েছে বিশ্বের সপ্তাশ্চর্যের তালিকাতে। এহেন নিদর্শন নিয়েই গোল বেঁধেছে সম্প্রতি। হিন্দুদের একাংশের দাবি, এক সময় প্রেমের এই সমাধি তীরেই ছিল তেজো মহালয়া নামের এক শিব মন্দির। নিত্য পুজোও নাকি হত সেখানে। তাজমহলের অনেকগুলি কক্ষের মধ্যে দ্বার বন্ধ রয়েছে ২২টির। ওই সংগঠনের দাবি, বন্ধ দরজার ভিতরেই রয়েছে হিন্দু দেবদেবীর মূর্তি।

    আরও পড়ুন : তাজমহল আসলে তেজো মহালয়া শিবমন্দির! জানেন কি এই বিতর্কের আসল কারণ?

    এদিকে, তালাবন্ধ থাকা দরজা খোলার আবেদন জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন রজনীশ সিং নামে এক ব্যক্তি। তিনি বিজেপির যুব নেতা। ইয়ুথ মিডিয়া ইনচার্জ। তাঁর দাবি, বন্ধ দরজার ভিতরেই রয়েছে ভগবান শিব সহ অন্যান্য দেবদেবী। অবিলম্বে তাজমহলের বন্ধ দ্বার খোলার আবেদনও আদালতে জানান তিনি। বিতর্কের অবসান ঘটাতে তৈরি হয় লক্ষ্ণৌ বেঞ্চ। এই বেঞ্চের নির্দেশে তদন্ত শুরু করে ভারতীয় পুরাতত্ত্ব বিভাগ। গঠিত হয় ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটিও। তারা সাফ জানিয়ে দেয়, যমুনার তটে রয়েছে নির্ভেজাল ভালবাসার নিদর্শন। এর পরেই এদিন আদালত জানিয়ে দেয়, তাজমহলের রুদ্ধদ্বার খোলা হবে না।

    এদিকে, রাজসমন্দের বিজেপি সাংসদ দিয়া কুমারী দাবি করেছেন যে আগ্রায় যে জমিতে তাজমহল তৈরি করা হয়েছে তা জয়পুর রাজপরিবারের এবং সেখানে একটি প্রাসাদ ছিল যা মুঘল সম্রাট শাহজাহান দখল করেছিলেন। তিনি বলেন, “আমাদের কাছে থাকা নথি অনুসারে, সেই জমিতে তাজমহল রয়েছে, সেখানে একটি প্রাসাদ ছিল। শাহজাহান তার শাসনকালে এটি দখল করেন। জমিটি জয়পুর রাজপরিবারের (পূর্ববর্তী সময়ে) ছিল।

    ওই সাংসদ আরও বলেন, “নথিপত্র অনুযায়ী, শাহজাহান যেহেতু এটি পছন্দ করেছিলেন তাই তিনি এটি অর্জন করেছিলেন। এর পরিবর্তে তিনি কিছু ক্ষতিপূরণ দিয়েছেন বলে শুনেছি। আদালত নির্দেশ দিলে আমরা নথি সরবরাহ করব।” রাজসামন্দের লোকসভা সাংসদ যোগ করেছেন।

     

  • Amit Shah on 2002 Gujarat riots: ‘শিবের মতো বিষপান করেছেন মোদি’, গুজরাট হিংসা প্রসঙ্গে অমিত শাহ

    Amit Shah on 2002 Gujarat riots: ‘শিবের মতো বিষপান করেছেন মোদি’, গুজরাট হিংসা প্রসঙ্গে অমিত শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গুজরাট দাঙ্গায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (Narendra Modi)ক্লিনচিট দেওয়ার বিরোধিতায় করা মামলা ধোপে টিকল না। সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) খারিজ করে দিল জাকিয়া জাফরির (Zakia Jafri) দায়ের করা মামলা। গুজরাট হিংসার ঘটনায় নরেন্দ্র মোদি নির্দোষই। গুজরাট হাইকোর্টের (Gujarat High Court) রায়ই বহাল রাখল শীর্ষ আদালত (Supreme Court Of India)। এই রায়কে স্বাগত জানিয়ে শনিবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, “সত্য সোনার মতো জ্বলজ্বল করে বেরিয়ে এসেছে। ভগবান শিব যেমন বিষ পান করে তা কণ্ঠে ধারণ করেছিলেন। মোদিও ২০ বছর ধরে নীরবে সব যন্ত্রণা সহ্য করেছেন।”

    সংবাদসংস্থা এএনআই-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এদিন অমিত শাহ বলেন, ‘‘বিজেপির উপর থেকে কলঙ্ক মুছে গিয়েছে’’। শাহ বলেন, ‘‘যাঁরা মিথ্যা অভিযোগ করেছেন, তাঁদের মোদিজির কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত। গুজরাট হিংসা নিয়ে মোদির বিরুদ্ধে সব অভিযোগ খারিজ করেছে সুপ্রিম কোর্ট। সবটাই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ছিল। মোদিকে টার্গেট করা হয়েছিল, উনি দীর্ঘ লড়াই করেছেন। সব বিষ হজম করে লড়াই করেছেন। মোদিজিকে অনেক বদনাম করা হয়েছে। আজ উনি জয়ী হয়েছেন।’’

    আরও পড়ুন: গুজরাট হিংসায় মোদির ক্লিনচিট বহাল সুপ্রিম কোর্টের, বিরোধীদের নিশানা বিজেপির

    গুজরাট হিংসা প্রসঙ্গে শাহ আরও বলেন, ‘‘সরকার হিংসা রুখতে সচেষ্ট ছিল। মুখ্যমন্ত্রী (তৎকালীন গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন নরেন্দ্র মোদি) বার বার শান্তির আবেদন করেছিলেন। মোদি সর্বদা আইনের পক্ষে ছিলেন। মিথ্যা তথ্যপ্রমাণ দেওয়া হয়েছিল। মিডিয়া ও এনজিও এ কাজ করেছে। সিটের উপর কোনও প্রভাব খাটানো হয়নি।’’ শাহের অভিমত, “আমি ঘনিষ্ঠভাবে মোদিজিকে এই যন্ত্রণা সহ্য করতে দেখেছি, সত্যের পক্ষে থাকা সত্ত্বেও অভিযোগের মুখোমুখি হতে এবং বিচার প্রক্রিয়া চালু থাকায় তিনি কথা বলেননি। একমাত্র দৃঢ় হৃদয়ের মানুষই এটা করতে পারে। আজ আমরা যে সাক্ষাৎকার দিচ্ছি, আমি গুজরাতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে এবং পরে দলীয় প্রধান হিসেবে ২০০৩ সালেই তা করতে পারতাম। কিন্তু বিচার প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত মোদিজি এমন কিছুই বলেননি যাতে কোনও প্রভাব না পড়ে। তিনি নীরবে সব সহ্য করেছেন,”

    এদিন ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় ইডি জিজ্ঞাসাবাদ নিয়ে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকেও কটাক্ষ করেন অমিত শাহ। তিনি বলেন, “মোদীজি সিটেক সামনে হাজির হওয়ার সময় নাটক করেননি। আমার সমর্থনে বেরিয়ে আসুন, বিধায়ক-এমপিদের ডাকুন, ধর্না করুন…যদি সিট মুখ্যমন্ত্রীকে প্রশ্ন করতে চায় তবে তিনি নিজে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত। প্রতিবাদ কেন?”

    আরও পড়ুন: ডামাডোলের বাজারেও ঢালাও অর্থ-প্রস্তাব মঞ্জুর, মহারাষ্ট্রে হচ্ছেটা কী?

    সুপ্রিম কোর্ট শুক্রবার গুজরাটের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং রাজ্যে ২০০২ সালের সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় অভিযুক্ত আরও ৬৩ জনকে দেওয়া SIT-এর ক্লিনচিটকে মান্যতা দিয়ে জানায়, গোধরা ট্রেন হত্যাকাণ্ড যে ‘পরিকল্পিত’ তা প্রমাণ করা মতো কোনও উপাদান নেই। এই ঘটনায় প্রশাসনের কিছু কর্তার ব্যর্থতা থাকলেও সরকার সেনা ডাকতে বা দাঙ্গা পরবর্তী সময়ে ব্যবস্থা নিতে কোনও দেরী করেনি, বলে জানান অমিত। কংগ্রেসকে নিশানা করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘‘শুধু মোদির আমলেই হিংসা হয়েছে। অন্য কারও আমলে হয়নি? শিখ হত্যায় জড়িতরাই আঙুল তুলছেন। দাঙ্গার সময় পদক্ষেপ করতে দেরি করেনি গুজরাট সরকার। কিন্তু দিল্লিতে বহু শিখকে হত্যা করা হল, এখনও কেন কাউকে গ্রেফতার করা হল না? গুজরাট হিংসা কোনও মডেল নয়। কংগ্রেসের শাসনের পাঁচ বছর আর বিজেপির শাসনের পাঁচ বছর তুলনা করে দেখুন।’’ বিজেপির আমলে দাঙ্গা কম হয়েছে বলেও দাবি করেন শাহ।

     

  • Rajnath at DefConnect 2.0: বিশ্বের সঙ্গে সাযুজ্য রেখে ভারতকে আরও শক্তিশালী হতেই হবে, বললেন রাজনাথ

    Rajnath at DefConnect 2.0: বিশ্বের সঙ্গে সাযুজ্য রেখে ভারতকে আরও শক্তিশালী হতেই হবে, বললেন রাজনাথ

    মাধ্য়ম নিউজ ডেস্ক: পৃথিবীজুড়ে ক্ষমতার ভরকেন্দ্রের সমীকরণ দ্রুত পাল্টাচ্ছে। তার সঙ্গে সাযুজ্য রেখে প্রতিরক্ষা (defence) ও শান্তি বজায় নিশ্চিত করতে নিজেদের আরও শক্তিশালী রাষ্ট্র (powerful nation) হিসেবে গড়ে তোলা ছাড়া আর কোনও উপায় নেই ভারতের (India)। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের (Russo-Ukrainian War) প্রেক্ষিতে এমনটাই জানালেন রাজনাথ সিং (Rajnath Singh)। 

    প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত শিল্প সম্মেলন ‘ডেফকানেক্ট ২.০'(DefConnect 2.0) -এর উদ্বোধনে এসে প্রতিরক্ষামন্ত্রী (defence minister) জানান, বিশ্বে এখন অনেক ঘটনাই ঘটছে যার ফলে ভারত প্রভাবিত হচ্ছে। তিনি বলেন, গত বছর (ফেব্রুয়ারি) এরো ইন্ডিয়ার সময় থেকে এখন এই একটা বছরে বিশ্ব অনেকটা পাল্টে গেছে। এতটাই যে, তা পরিমাপ করা অসম্ভব। এখন প্রত্যেকটি নতুন বিপদ আগের তুলনায় আরও জটিল, আরও বেশি চ্যালেঞ্জিং হয়ে উঠেছে।

    রাজনাথ বলেন, আমরা এখনও কোভিড বিপর্যয় থেকে পুরোপুরি বেরিয়ে আসতে পারিনি। অথচ, বিশ্বের সামনে এসে উপস্থিত হয়েছে ইউক্রেন (ukraine) সমস্যা। বিশ্বের (শক্তির) ভারসাম্য যে হারে সময়ের সঙ্গে দ্রুত পাল্টাচ্ছে, নিজেদের শক্তিশালী করা ছাড়া আমাদের আর কোনও উপায় নেই। 

    রাজনাথ যোগ করেন, এর আগে, মধ্যপ্রাচ্য (Middle east) থেকে শুরু করে আফগানিস্তান (Afghanistan) ও পাকিস্তানে (Pakistan) অস্থিরতা দেখেছে বিশ্ব। এর পাশাপাশি, বিশ্বে এখন অনেক কিছুই ঘটে চলেছে, যার প্রভাব ভারতে পড়ছে। যে কারণে, নিজেদের ক্ষমতাবলে প্রতিরক্ষা, শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখাটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে পড়েছে। 

     

  • Hardik Patel: কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন হার্দিক প্যাটেল!

    Hardik Patel: কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন হার্দিক প্যাটেল!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিধানসভা ভোটের মুখে গুজরাতে জোর ধাক্কা খেতে চলেছে কংগ্রেস (Congress)! পতিদার নেতা হার্দিক প্যাটেল (Hardik Patel) ছাড়তে চলেছেন সোনিয়া-সঙ্গ (Sonia Gandhi)। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) সঙ্গে মনান্তরের জেরে কংগ্রেস ছাড়ছেন এই তরুণ নেতা। অন্তত এমনই দাবি হার্দিক শিবিরের।

    চলতি বছরের শেষের দিকে গুজরাত বিধানসভার নির্বাচন (Gujarat Assembly election)। ইতিমধ্যেই প্রচার শুরু করে দিয়েছে বিজেপি (BJP)। তবে ছন্নছাড়া দশা গুজরাত কংগ্রেসের। দলের রাজ্য নেতাদের মধ্যে মতবিরোধ তুঙ্গে। এমতাবস্থায় গত কয়েকদিন ধরে ক্রমাগত কংগ্রেসের উদ্দেশে তীর্যক মন্তব্য ছুড়ে দেওয়ার পর কিছুদিন আগেই ট্যুইটার প্রোফাইল থেকে কংগ্রেসের নাম সরিয়ে দেন হার্দিক।

    পতিদারদের মধ্যে হার্দিকের জনপ্রিয়তা তুঙ্গে। তরুণ পতিদারদের আইকন তিনি। এক সময় পতিদার আমানত আন্দোলন সমিতির নেতৃত্ব দিয়েছিলেন হার্দিক। পতিদার অধ্যুষিত সুরাত, সৌরাষ্ট্র ও উত্তর গুজরাতে হার্দিকের ভালই জনপ্রিয়তা রয়েছে। তাই ভোটের আগে হার্দিক কংগ্রেস ছাড়লে শতাব্দী-প্রাচীন দলটি গুজরাতে বেশ বেকায়দায় পড়বে বলেই ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা।

    জনপ্রিয়তার নিরিখে অন্যদের তুলনায় হার্দিক বেশ কয়েক কদম এগিয়ে ছিলেন। তাই তাঁকে দেওয়া হয়েছিল গুজরাত ওয়ার্কিং প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব। সেই তিনিই এখন লাগাতার আক্রমণ শানাচ্ছেন কংগ্রেসকে। সোনিয়া গান্ধীর দলকে খোঁচা দিয়ে তিনি বলেন, আমার নিজেকে এমন একজন নতুন বরের মতো মনে হচ্ছে, যাঁকে বন্ধ্যাত্বকরণে বাধ্য করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন : “এখনই বিশ্রাম নয়, আমার স্বপ্ন অনেক বড়…”, প্রবীণ সাংসদের কৌতুহল মেটালেন মোদি

    শুক্রবার থেকে রাজস্থানের উদয়পুরে শুরু হয়েছে কংগ্রেসের চিন্তন শিবির (Chintan Shivir)। চলবে তিনদিন। ওই শিবিরে যোগ দেননি হার্দিক। অথচ, শিবিরে লোকসভার পাশাপাশি গুজরাত বিধানসভা নির্বাচন নিয়েও আলোচনা হওয়ার কথা। গুজরাতের এক প্রবীণ কংগ্রেস নেতা বলেন, হার্দিককে চিন্তন শিবিরে উপস্থিত থাকার আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে কি না, তা জানি না।

    কংগ্রেসকে লাগাতার আক্রমণের পাশাপাশি হার্দিকের মুখে শোনা গিয়েছে বিজেপি-স্তুতিও। পতিদার আন্দোলনের অন্যতম এই মুখ বলেন, বিজেপির বেশ কিছু প্রশংসনীয় দিক রয়েছে, যা আমাদের স্বীকার করা উচিত।

    ট্যুইটার (Twitter) থেকে কংগ্রেসের নাম মুছে দিলেও, তিনি যে কংগ্রেস ছাড়ছেন, তা স্বীকার করেননি হার্দিক স্বয়ং। উল্টে তাঁর দাবি, তিনি এখনও কংগ্রেসেই রয়েছেন।

    রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, ভোটের মুখে দল ছেড়ে হার্দিক যোগ দিতে পারেন বিজেপিতে। তার আগে কংগ্রেসকে কুকথা বলে গেরুয়া শিবিরে একলপ্তে বেশ খানিকটা দর বাড়িয়ে নিতে চাইছেন পতিদার আন্দোলনের এই নেতা।

     

     

  • Assam CM on Madrasa: মুসলমানরা আগে হিন্দু ছিলেন! আরএসএসের অনুষ্ঠানে দাবি হিমন্ত বিশ্বশর্মার 

    Assam CM on Madrasa: মুসলমানরা আগে হিন্দু ছিলেন! আরএসএসের অনুষ্ঠানে দাবি হিমন্ত বিশ্বশর্মার 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাদ্রাসার (Madrasa) অবলুপ্তি ঘটানো উচিত। মুসলমানেরা (Muslims) আগে হিন্দু (Hindu) ছিলেন। দিল্লিতে আরএসএসের (RSS) একটি অনুষ্ঠান ভাষণ দিতে গিয়ে একথা বলেন আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা (Assam CM Himanta Biswa Sarma)। তবে বাড়িতে কোরান পড়ানো যেতে পারে বলেও মত প্রকাশ করেন হিমন্ত।  

    রবিবারের ওই সভায় হিমন্ত বলেন, “মাদ্রাসাগুলি ধর্ম শিক্ষা দিতে পারে। কিন্তু কখনওই আধুনিক শিক্ষা দিতে পারবে না। শিক্ষার্থীদের যাতে ভবিষ্যতে কিছু করার প্রবণতা বৃদ্ধি পায়, সেজন্য স্কুলগুলিতে নিয়ে গিয়ে আধুনিক শিক্ষা দেওয়া প্রয়োজন।” তাঁর মতে, যে কোনও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে প্রবেশে এমন বয়স হওয়া উচিত, যেখানে ব্যক্তিরা তাঁদের নিজস্ব সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।

    আরএসএসের ওই অনুষ্ঠানে আসামের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “শিশুদের যদি বলা হয় পড়াশোনা শেষ করার পর তারা ডাক্তার কিংবা ইঞ্জিনিয়ার হতে পারবে না, তাহলে তারা আর মাদ্রাসায় যেতে চাইবে না।” এ ধরনের ধর্মীয় বিদ্যালয়ে শিশুদের পাঠানো মানবাধিকার লঙ্ঘনের শামিল বলেও মনে করেন হিমন্ত।

    আরও পড়ুন : একদিনে প্রায় ২৩ হাজার নিয়োগপত্র বিলি আসাম সরকারের

    এর পরেই আসামের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “মাদ্রাসা শব্দটির অবলুপ্তি ঘটানো উচিত। যতক্ষণ এই মাদ্রাসা শব্দটি মনে থাকবে, ততক্ষণ শিশুরা কখনওই ডাক্তার কিংবা ইঞ্জিনিয়ার হতে পারবে না।”  

    প্রতিটি শিশুই প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা লাভের যোগ্য বলেও মনে করেন হিমন্ত। তিনি বলেন, “আপনি চাইলে বাড়িতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কোরান শেখান। কিন্তু স্কুলে একটি শিশুকে বিজ্ঞান এবং গণিত শেখানো হোক। প্রতিটি শিশুকে বিজ্ঞান, গণিত এবং আধুনিক শিক্ষার অন্যান্য শাখার জ্ঞানের সঙ্গে পরিচিত করতে হবে।”

    আরও পড়ুন : যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন বহু গ্রাম, ২০টি জেলার ২ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত

    সংবাদ মাধ্যমের এক প্রশ্নের জবাবে আসামের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “মাদ্রাসায় পড়া কোনও শিশু যদি মেধাবী হয়, তবে তা তার হিন্দু ঐতিহ্যের কারণে।” তিনি বলেন, “এক সময় সব মুসলমান হিন্দু ছিল।”

    বক্তব্যের স্বপক্ষে আসামের দৃষ্টান্ত তুলে ধরেন হিমন্ত। বলেন, আসামের মোট জনসংখ্যার ৩৬ শতাংশ মুসলিম। এরা তিনভাগে বিভক্ত। আদিবাসী মুসলমান, যাঁদের সংস্কৃতি আমাদের মতো, ধর্মান্তরিত মুসলমান, আমরা তাঁদের দেশি মুসলমান বলে ডাকি। তাঁরা এখনও উঠোনে তুলসি গাছ রাখেন। আর রয়েছে অভিবাসী মুসলমান, যাঁরা নিজেদের মিয়া মুসলিম বলে পরিচয় দেন।

    হিমন্ত বলেন, লাচিত বোরফুকনের মতো বীরদের সাহসিকতার কারণে আসাম অঞ্চলে প্রবেশ করতে পারেনি ইসলামিক আক্রমণকারীরা। যদি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চল ইসলামিক সভ্যতার দ্বারা অস্পৃশ্য থেকে যায়, আসামকে তার জন্য কৃতিত্ব দেওয়া উচিত বলেই মন্তব্য করেন আসামের মুখ্যমন্ত্রী।

     

  • Indian Army Chief on China: ‘সমাধান নয়, সীমান্ত ইস্যুকে জিইয়ে রাখতে চায় চিন’, বললেন সেনাপ্রধান মনোজ পাণ্ডে

    Indian Army Chief on China: ‘সমাধান নয়, সীমান্ত ইস্যুকে জিইয়ে রাখতে চায় চিন’, বললেন সেনাপ্রধান মনোজ পাণ্ডে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  লাদাখ সীমান্তে সংঘাত মেটাতে চিনের কতটা ইচ্ছা রয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন দেশের সেনাপ্রধান জেনারেল মনোজ পাণ্ডে। তিনি জানান, ভারত চাইছে সীমান্তে শান্তি ও স্বস্তি ফিরে আসুক । তিনি বলেন,”তবে এটা কোনও মতেই এক তরফা হতে পারে না।” এই বিষয়ে তিনি কার্যত বেজিংয়ের দিকেই আঙুল তুলেছেন।

    চিন ইস্যুতে মনোজ পাণ্ডে বলেন,”মূল সমস্যা হচ্ছে সীমান্ত ইস্যুর সমাধান। কিন্তু চিনের উদ্দেশ্য হল সীমান্ত সমস্যাকে বাঁচিয়ে রাখা। যাতে সীমান্তে স্থিতাবস্থা বজায় থাকে, তার চেষ্টা করে ভারত। কিন্তু অন্যদিক থেকে সাহায্য পাওয়া যায় না।” ২০২০ সালের মে মাস থেকে লাদাখের পূর্ব প্রান্তে চিনের আগ্রাসন ভারতের মাথা ব্যথার মূল কারণ। এই ঘটনার তিন বছর কেটে গেছে কিন্তু লাদাখে সীমান্ত রেখা নিয়ে বিবাদের সমাধান সূত্র এখনও মেলেনি। 

    গত এপ্রিলে সেনার দায়িত্ব নেন মনোজ। সেনাপ্রধানের দায়িত্বভার গ্রহণ করার আগে সেনার পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডের প্রধান পদে ছিলেন মনোজ পাণ্ডে। ছিলেন জেনারেল অফিসার কমান্ডিং-ইন-চিফ (জিওসি-ইন-সি) পদে। এই কমান্ডই সিকিম ও অরুণাচলে ভারত-চিন সীমান্তের রক্ষার দায়িত্বপ্রাপ্ত। তাই চিনের সীমান্ত সম্পর্কে তাঁর ধারণা স্বচ্ছ। ২ বছর আগে এই মে মাসেই লাদাখে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতের অংশে পা রেখেছিল চিনা ফৌজ। যার মোক্ষম জবাব দিয়ে ভারত স্পষ্ট করেছিল নিজের অবস্থান। গোগরা, ডেপসাং, ডেমচকে সংঘাতের রেশ দেখা গিয়েছিল। লাদাখ সীমান্তের পরিস্থিতি নিয়ে এরপর থেকে দুই পক্ষের সেনার মধ্যে শান্তি আলোচনা চলেছে। এখনও তা অব্যাহত। 

    এদিন পরিস্থিতি নিয়ে মুখ খোলেন সেনাপ্রধান জেনারেল মনোজ পাণ্ডে। তিনি বলেন, ‘স্টেটাস কো পাল্টাতে দেওয়া হবে না’। পাশাপাশি তিনি স্পষ্ট করেন যে, দেশের অংশের একচুলও জমি ভারতীয় সেনা ছাড়তে রাজি নয়। সেই বিষয়টিও চিন সীমান্তে নিশ্চিত করা হচ্ছে। অত্যাধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে নজরদারি চালানো হয় প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায়। পর্যাপ্ত সেনাও রয়েছে সীমান্তে। কোনও রকম অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি হলে তার মোকাবিলা করার জন্য প্রস্তুত ভারতীয় সেনা। এদিন মনোজ বলেন,”কয়েকটি এলাকা নিয়ে চিনের সঙ্গে মতপার্থক্য এখনও রয়ে গিয়েছে। তবে সেই জায়গার সমাধান সূত্র বের করতে আমরা চিনের সঙ্গে কথা চালিয়ে যাব। আলোচনা চলছে। আর এর মাধ্যমেই সমস্যার সমাধান হয়।” 

  • Women Pilot: ভারতেই মহিলা পাইলটের সংখ্যা বেশি, সমীক্ষায় উঠে এল নতুন তথ্য

    Women Pilot: ভারতেই মহিলা পাইলটের সংখ্যা বেশি, সমীক্ষায় উঠে এল নতুন তথ্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আপনি কি জানেন বিশ্বের সবচেয়ে বেশি মহিলা পাইলট কোন দেশে আছে? না জানলে জেনে নিন, অন্য যে কোনও দেশের তুলনায় মহিলা পাইলটের সংখ্যা ভারতে সবচেয়ে বেশি। শুনে অবাক হচ্ছেন তো! কিন্তু এটিই সত্যি। সূত্রের খবর অনুযায়ী, ভারতে এবারে মহিলাদের হাত ধরেই বিমান পরিষেবার পথ আরও বেশি উন্নত ও শক্তিশালী হয়ে উঠছে। ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি অফ উইমেন এয়ারলাইন পাইলট (International Society of Women Airline Pilots) অনুসারে, ভারতে ১২.৪ শতাংশই মহিলা পাইলট, যেখানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ৫.৫ শতাংশ ও ব্রিটেনে ৪.৭ শতাংশ মহিলারা বিমান চালনার সঙ্গে জড়িত আছেন।

    আরও পড়ুন: স্বপ্নের উড়ান, একই ফ্লাইটে পাইলটের ভূমিকায় মা ও মেয়ে

    নিবেদিতা ভাসিন, যিনি ১৯৮৯ সালে বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ বাণিজ্যিক এয়ারলাইন ক্যাপ্টেন হন, তাঁর পর থেকেই ভারতে বিমান শিল্পে মহিলা পাইলটের কমতি দেখা যায়নি। মহিলা পাইলটের সংখ্যা ভারতে ক্রমশ বেড়েই চলেছে। নিবেদিতা ভাসিন ও তাঁর মতই আরও পাইলটরা জানিয়েছেন, ভারতে কর্পোরেট নীতি, পরিবারের সমর্থনের জন্যই মহিলারা এই পেশায় যেতে আগ্রহী হচ্ছে। এছাড়াও ১৯৪৮ সালে গঠিত জাতীয় ক্যাডেট কর্পসের মাধ্যমে ভারতের মেয়েরা এই পেশার প্রতি আগ্রহী হচ্ছে। এটি এক ধরণের যুব প্রোগ্রাম যেখানে ভারতের ছেলেমেয়েদের মাইক্রোলাইট বিমান চালানোর ট্রেনিং দেওয়া হয়। অন্যদিকে বিভিন্ন রাজ্যও মহিলাদের জন্য এই ট্রেনিংকে আরও সহজলোভ্য করার জন্য সহায়তা করে থাকে। আবার বর্তমানে বিভিন্ন সংস্থাও নির্দিষ্টকালের জন্য বিমান চালানোর জন্য ট্রেনিং দিয়ে থাকে। ভারত ১৯৯০ সাল থেকেই বিমান পাইলট হিসেবে মহিলাদের নিয়োগ করা শুরু করেছে। আবার কিছু কিছু বিমান সংস্থা মহিলাদের সুবিধার্থে গর্ভাবস্থাকালীন ছুটিরও ব্যবস্থা করেছে। যেমন- ইন্ডিগো ২৬ সপ্তাহের জন্য ছুটি দেয়, অন্যদিকে ভিস্তারা ছয় মাসের জনয ছুটি দেয়। আবার জানা গিয়েছে, মহিলা পাইলটদের জন্য আলাদা একজন ড্রাইভার এবং গার্ডকে নিয়োগ করা হয়।

    আরও পড়ুন: অনন্য নজির! ভারতীয় সেনার প্রথম মহিলা কমব্যাট অ্যাভিয়েটর অভিলাশা বারাক

    আবার বিমানের সুরক্ষার ক্ষেত্রেও মহিলাদের অবদানই বেশি কারণ জেন্ডার ডিফারেন্স ইন জেনারেল এভিয়েশন ক্র্যাশেস নামে একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, মহিলারা বিমান চালালে বিমান দুর্ঘটনা কম ঘটে। অর্থাৎ পুরুষ পাইলটদের দুর্ঘটনার হার মহিলাদের চেয়ে বেশি। উইমেন ইন কমব্যাট আর্মস: অ্যা স্টাডি অফ দ্য গ্লোবাল ওয়ার অন টেরর অনুসারে, মহিলারা বেশি নিরাপদে বিমান চালায়। ভারতীয় মহিলারা যারাই এয়ারলাইন শিল্পে সফল হয়েছেন তাঁরা অন্যান্য মেয়েদেরও বিমান চালনা সম্পর্কে অনুপ্রাণিত করেছেন। ফলে দেশে মহিলা পাইলটের সংখ্যা ক্রমেই বেড়ে চলেছে ও আশ করা হচ্ছে, ভারতীয় মহিলারা ভবিষ্যতে এক নজির গড়ে তুলতে চলেছে।

  • INS Vikrant: আইএনএস বিক্রান্তের জন্য ২৬টি যুদ্ধবিমান সরাসরি কিনবে নৌসেনা?

    INS Vikrant: আইএনএস বিক্রান্তের জন্য ২৬টি যুদ্ধবিমান সরাসরি কিনবে নৌসেনা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশে তৈরি প্রথম বিমানবাহী রণতরী আইএনএস বিক্রান্তের (INS Vikrant) জন্য ২৬টি নৌ-যুদ্ধবিমান কিনবে ভারত। প্রতিরক্ষামন্ত্রক সূত্রে খবর, ফাইটার জেটের সংখ্যা বৃদ্ধির ফলে, ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে নৌবাহনীর শক্তি বৃদ্ধি হবে। এর ফলে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে আরও কয়েক ধাপ এগিয়ে যাবে ভারত। নৌবাহিনীর সুপারিশে এই যুদ্ধবিমানগুলি কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

    গত জানুয়ারিতেই গোয়ায় ভারতীয় নৌবাহিনীর পরীক্ষা কেন্দ্রে ফরাসি রাফাল-মেরিনের (Rafale-M) পরীক্ষা হয়েছে। অন্যদিকে আগামী ১৫ জুনের মধ্যে মার্কিন ‘এফ-১৮ সুপার হর্নেট’ (F-18 Super Hornet) -এর ট্রায়ালও সেরে ফেলা হবে। দুটি যুদ্ধবিমানেরই গোয়ার পরীক্ষাকেন্দ্রে পরীক্ষা-নিরীক্ষা হয়েছে। কিন্তু সেগুলি এখনও ভারতের একমাত্র বিমানবাহী ক্যারিয়ার জাহাজ আইএনএস বিক্রমাদিত্যে (INS Vikramaditya) অবতরণ করেনি। কারণ বর্তমানে এই বিমানবাহী রণতরীটি রক্ষণাবেক্ষণের অধীনে রয়েছে। জুনের পরে যাত্রা শুরু করবে।

    সূত্রের খবর, আগামী ১৫ অগস্ট, স্বাধীনতা দিবসে বিক্রান্তকে আনুষ্ঠানিকভাবে নৌসেনায় অন্তর্ভুক্ত করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi)। ২৬২ মিটার উঁচু, ৬২ মিটার চওড়া এবং ৫৯ মিটার উঁচু আইএনএস বিক্রান্তে ১,৭০০-রও বেশি নৌসেনা এবং অফিসারের থাকার ব্যবস্থা রয়েছে। রয়েছে মহিলা অফিসারদের থাকার জন্য পৃথক ব্যবস্থা। সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ২৮ নট (প্রায় ৫২ কিলোমিটার)। রানওয়ের দৈর্ঘ্য ৯০ মিটারেরও বেশি। ‘অ্যারেস্টেড হুক’ ব্যবহার করে তেজসের মতো আধুনিক যুদ্ধবিমানও ওঠানামা করতে পারবে এই বিমানবাহী যুদ্ধজাহাজ থেকে।

    আরও পড়ুন: ভারতীয় নৌ, বায়ুসেনার হাতে আসছে দেশীয় “অস্ত্র”

    দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় বৃটিশ নৌবাহিনীর জন্য তৈরি করা বিমানবাহী যুদ্ধজাহাজ হারকিউলিস পাঁচের দশকে কিনেছিল ভারত। নাম দেওয়া হয় আইএনএস বিক্রান্ত। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধে উজ্জ্বল ভূমিকা ছিল সেই বিক্রান্তের। প্রায় ৪ দশক কাজ করার পরে নয়ের দশকের শেষপর্বে বিক্রান্ত অবসর নেয়। ভেঙে ফেলা হয় জাহাজটি। তারই স্মৃতিতে তৈরি হয়েছে প্রথম ‘ভারতীয়’ বিমানবাহী যুদ্ধজাহাজটি।

    মন্ত্রকের এক আধিকারিক জানান, বিক্রান্তের জন্য নতুন মোট ২৬টি যুদ্ধবিমান কেনার কথা ভাবা হচ্ছে। তার মধ্যে ৮টি টুইন সিটার প্রশিক্ষক বিমান। প্রশিক্ষক বিমানের মাধ্যমে নৌসেনার নতুন পাইলটদেরও যুদ্ধবিমান চালনার ট্রেনিং দেওয়া যাবে। তবে, এগুলি যে শুধু ট্রেনিংয়ে ব্যবহৃত হবে, তা নয়। যুদ্ধ পরিস্থিতিতেও ব্যবহার করা যেতে পারে। দেশীয় প্রযুক্তির মাধ্যমে ফাইটারগুলি ভারতেই রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামত করা যাবে।

     

LinkedIn
Share