Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Mahakumbh 2025: মহাকুম্ভে পদপিষ্টের ঘটনায় বাড়ল মৃতের সংখ্যা, শোকপ্রকাশ মোদি-শাহের

    Mahakumbh 2025: মহাকুম্ভে পদপিষ্টের ঘটনায় বাড়ল মৃতের সংখ্যা, শোকপ্রকাশ মোদি-শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহাকুম্ভে (Mahakumbh 2025) পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় আরও বাড়ল মৃতের সংখ্যা। মঙ্গলবার গভীর রাতের ওই ঘটনায় পদপিষ্ট হয়ে ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানালেন মহাকুম্ভের দায়িত্বে থাকা ডিআইজি বৈভব কৃষ্ণ। তিনি জানান, মৃতদের মধ্যে এখনও ৫জনকে শনাক্ত করা যায়নি। জখম হওয়া ৯০ জনের চিকিৎসা চলছে হাসপাতালে।

    মৌনী অমাবস্যার অমৃতস্নানের যোগ (Mahakumbh 2025)

    বুধবার ছিল মৌনী অমাবস্যার অমৃতস্নানের যোগ। প্রত্যাশিতভাবেই ব্যাপক ভিড় হয়েছিল (Prayagraj) মঙ্গলবার। এদিন রাত একটা-দুটো নাগাদ সঙ্গম নোজ দিয়ে স্নান করতে যাচ্ছিলেন হাজার হাজার পুণ্যার্থী। সেই পথ দিয়েই স্নান সেরে ফিরছিলেন বহু পুণ্যার্থী। তার জেরেই শুরু হয় বিশৃঙ্খলা। প্রত্যক্ষদর্শী এবং স্থানীয়দের দাবি, এই বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি থেকেই মহাকুম্ভে ঘটে গিয়েছে মর্মান্তিক পদপিষ্টের ঘটনা।

    কী বলছেন স্থানীয়রা

    রাম সিং স্থানীয় বাসিন্দা। তিনি বলেন (Mahakumbh 2025), “ফেরার কোনও রাস্তা ছিল না। সব দিকেই জনতার ভিড়। ফলে ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়। আমাদের সামনেই অনেকে হুমড়ি খেয়ে পড়ে যান। ভিড়ের চাপে ফেরার রাস্তা অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে।” যদিও মেলার বিশেষ কার্যনির্বাহী কর্তা আকাঙ্খা রানার দাবি, সঙ্গমের পথে কিছু বাধা ভেঙে এগিয়ে যান বহু মানুষ। তার জেরেই ঘটে পদপিষ্টের ঘটনা।

    ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দিল্লির নির্বাচনী সভা থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, “আজ মহাকুম্ভে একটি দুর্ঘটনায় অনেকের প্রাণ গিয়েছে। আহতও হয়েছেন বহু মানুষ। আমি সবার আগে নিহতদের শ্রদ্ধা জানাই। ঘটনায় আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করি।” ঘটনার পর থেকেই আমি উত্তরপ্রদেশ প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। মৌনী অমাবস্যা বলে আজ প্রচুর ভিড় হয়েছিল। ঘটনার জেরে খানিকক্ষণের জন্য বন্ধ রাখা হয়েছিল স্নান। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক।

    ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। মৃতদের আত্মার শান্তি কামনা করেন তিনি। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, “যাঁরা কাছের মানুষকে হারিয়েছেন, ঈশ্বর তাঁদের শক্তি দিন এই দুঃখ ভুলতে (Mahakumbh 2025)।”

    পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনাকে দুর্ভাগ্যজনক আখ্যা দিয়েছেন পরমার্থ নিকেতন আশ্রমের সভাপতি স্বামী চিদানন্দ সরস্বতী। তিনি বলেন, দুর্ঘটনার পর থেকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে (Prayagraj) তৎপর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। বিভিন্ন আখড়া যেভাবে আগে ভক্তদের স্নানের সুযোগ করে দিয়েছে, সেটাকেও সাধুবাদ জানান তিনি (Mahakumbh 2025)।

  • Mahakumbh 2025: টানা রিক্সায় করে নবতিপর বৃদ্ধা মাকে নিয়ে ‘অমৃত কুম্ভের সন্ধানে’ প্রৌঢ়

    Mahakumbh 2025: টানা রিক্সায় করে নবতিপর বৃদ্ধা মাকে নিয়ে ‘অমৃত কুম্ভের সন্ধানে’ প্রৌঢ়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘অমৃত কুম্ভের সন্ধানে’ প্রয়াগরাজের (Prayagraj) কুম্ভমেলায় (Mahakumbh 2025) যাওয়ার ইচ্ছে ছিল উত্তরপ্রদেশেরই মুজাফফরনগরের নবতিপর এক বৃদ্ধার। মায়ের ইচ্ছে পূরণ করতে টানা রিক্সায় করে মাকে টেনে নিয়ে কুম্ভমেলায় গেলেন এক ব্যক্তি। যে সময়ে অনেক পরিবারেই মা-বাবার ঠাঁই হয় বৃদ্ধাশ্রমে, সেখানে মায়ের প্রতি সন্তানের এই কর্তব্য নজির সৃষ্টি করেছে বই কি!

    মহাকুম্ভ (Mahakumbh 2025)

    চলতি বছর ১২ জানুয়ারি উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে উদ্বোধন হয়েছে মহাকুম্ভ মেলার। প্রতি ১৪৪ বছর অন্তর হয় মহাকুম্ভ। আর ১২ বছর অন্তর হয় পূর্ণকুম্ভ। মহাকুম্ভে স্নানের সুপ্ত ইচ্ছে ৯২ বছরের ওই বৃদ্ধা ব্যক্ত করেছিলেন ছেলের কাছে। তার পরেই মাকে নিয়ে কুম্ভের উদ্দেশে রওনা দেন ওই প্রৌঢ়। গঙ্গা-যমুনা-সরস্বতীর সঙ্গমস্থলে মাকে অমৃত স্নান করিয়ে বাড়িও ফিরেছেন ওই ব্যক্তি।

    মোক্ষ লাভ

    হিন্দুদের বিশ্বাস, কুম্ভস্নান করলে মোক্ষ লাভ হয়। সেই বিশ্বাসে প্রতিটি কুম্ভমেলায় প্রয়াগরাজে ভিড় করেন কোটি কোটি পুণ্যার্থী। প্রতি ছ’বছর অন্তর হয় অর্ধকুম্ভ। সেই সময়ও ভিড় হয়। তবে পূর্ণকুম্ভের মতো ভিড় সেই সময় হয় না। এবার আবার মহাকুম্ভ যোগ। প্রত্যাশিতভাবেই ভিড় হবে ব্যাপক। উত্তরপ্রদেশ প্রশাসনের আশা, এবার অন্তত ৪০ কোটি মানুষ কুম্ভস্নান করবেন। অসমর্থিত একটি সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই কুম্ভস্নান সেরেছেন ২৫ কোটিরও বেশি মানুষ।

    আজ, বুধবার ছিল মৌনী অমাবস্যার স্নান (Mahakumbh 2025)। এদিন অমৃতস্নান করেছেন ১০ কোটিরও বেশি মানুষ। এখনও দুটি বিশেষ দিন রয়েছে অমৃতস্নানের। একটি হল ৩ ফেব্রুয়ারি, বসন্ত পঞ্চমীর দিন। আর একটি দিন হল ২৬ ফেব্রুয়ারি, মহা শিবরাত্রির দিন। ভিড়ভাট্টা এড়াতে এই বিশেষ দিনের মাঝের দিনগুলিতে সঙ্গমে পবিত্র ডুব দিতে ভিড় করেন বহু মানুষ। এঁদের মধ্যে যেমন বহু সাধারণ মানুষ থাকেন, তেমনই থাকেন নেতা-মন্ত্রীরা।

    ইতিমধ্যেই অমৃতস্নান করেছেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। সপরিবারে পবিত্র ডুব দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ৫ ফেব্রুয়ারি সঙ্গমে স্নান করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু এবং (Prayagraj) উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড় স্নান করবেন ১০ ফেব্রুয়ারি (Mahakumbh 2025)।

  • India Canada Relation: কানাডার নির্বাচনে হস্তক্ষেপের অভিযোগ, পত্রপাট খারিজ করল ভারত

    India Canada Relation: কানাডার নির্বাচনে হস্তক্ষেপের অভিযোগ, পত্রপাট খারিজ করল ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কানাডার সাধারণ নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করার অভিযোগ ভারতের বিরুদ্ধে (India Canada Relation)। খালিস্তানপন্থী জঙ্গি হরদীপ সিং নিজ্জরের হত্যাকে কেন্দ্র করে এমনিতেই ভারত-কানাডা সম্পর্ক তলানিতে (Election Meddling)। তার পর এমনতর অভিযোগ করায় কানাডাকে মোক্ষম জবাব দিল ভারত।

    কানাডার দাবি (India Canada Relation)

    কানাডার বিদেশি হস্তক্ষেপ কমিশনের রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, কানাডার নির্বাচনে বিদেশি হস্তক্ষেপ কমিশন একটি রিপোর্টে দাবি করেছে, কানাডার নির্বাচনে বিদেশি হস্তক্ষেপের নিরিখে চিনের পরেই সব চেয়ে সক্রিয় দেশ হল ভারত। সেই অভিযোগ খারিজ করে দিল নয়াদিল্লি।

    পাল্টা দাবি ভারতের

    ভারতের পাল্টা দাবি, ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করছে কানাডা। বিদেশমন্ত্রকের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আমরা একটি রিপোর্টে দেখেছি যেখানে ভারতের হস্তক্ষেপের অভিযোগ তোলা হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে কানাডাই ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে লাগাতার হস্তক্ষেপ করছে। অবৈধ অভিবাসন এবং সংগঠিত অপরাধের পরিবেশ তৈরি করছে।’ ওই রিপোর্টে ‘ভারতের বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগ খারিজ করছি। আশা করছি, অবৈধ অভিবাসনে উৎসাহ দেওয়া বন্ধ হবে।’

    প্রসঙ্গত, কানাডিয়ান কমিশন ১২৩-পৃষ্ঠার রিপোর্টে উল্লেখ করেছে যে চিনের পর ভারত কানাডার নির্বাচনে হস্তক্ষেপের ক্ষেত্রে দ্বিতীয় সর্বাধিক জড়িত দেশ। রিপোর্টে বলা হয়েছে, “ভারত কানাডায় নির্বাচনী বিদেশি হস্তক্ষেপের ক্ষেত্রে দ্বিতীয় সর্বাধিক সক্রিয় দেশ। গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের মতো, ভারতও বিশ্ব মঞ্চে একটি গুরুত্বপূর্ণ দেশ। কানাডা এবং ভারত কয়েক দশক ধরে একসঙ্গে কাজ করেছে, তবে এই সম্পর্কের কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এর মধ্যে অনেকগুলো দীর্ঘদিনের এবং এগুলো ভারতের বিদেশি হস্তক্ষেপ কার্যকলাপকে প্রভাবিত করে (India Canada Relation)।”

    গত মে মাসে প্রাথমিক রিপোর্টে চিনকে নিশানা করেছিল কানাডা। জানিয়েছিল, কানাডার বিষয়ে ধারাবাহিকভাবে হস্তক্ষেপ করছে চিন। কিন্তু চূড়ান্ত রিপোর্টে তারা জানিয়েছে, কানাডার নির্বাচনে বিদেশি হস্তক্ষেপের বিষয়ে দ্বিতীয় সক্রিয় দেশ ভারত। কানাডার বিদেশি হস্তক্ষেপ কমিশনের নেতৃত্ব দিয়েছেন কমিশনার মারি জোস হগ। তদন্তে তিনি লিখেছেন, ‘চিনের মতো ভারত কূটনৈতিক অফিসার ও প্রক্সি এজেন্টদের (Election Meddling) মাধ্যমে হস্তক্ষেপ করেছে।’ ওই রিপোর্টে রাশিয়া, পাকিস্তান এবং ইরানকেও কানাডায় বিদেশি হস্তক্ষেপের তালিকায় রাখা হয়েছে (India Canada Relation)

  • Maha Kumbh 2025: মৌনী অমাবস্যায় মহাকুম্ভে কোটি কোটি ভক্তের ভিড়, পদপিষ্টের খবর উপেক্ষা করে চলছে অমৃতস্নান

    Maha Kumbh 2025: মৌনী অমাবস্যায় মহাকুম্ভে কোটি কোটি ভক্তের ভিড়, পদপিষ্টের খবর উপেক্ষা করে চলছে অমৃতস্নান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মৌনী অমাবস্যার সকালে দুর্ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়লেও মহাকুম্ভে উপচে পড়ল ভিড়। এদিন সকালে অমৃতস্নান শুরুর আগেই বহু মানুষের হুড়োহুড়িতে পদপিষ্টের মতো ঘটনা ঘটে। কিন্তু তার পরেও ভক্তরা পবিত্র স্নানের জন্য সঙ্গমে সমবেত হতে থাকে। এই অটূট ভক্তি মৌনী অমাবস্যার পবিত্র দিনে গঙ্গা, যমুনা ও অন্তঃসলিলা সরস্বতীর ত্রিবেণী সঙ্গমে স্নান করার আধ্যাত্মিক গুরুত্বকে উজ্জীবিত করে। মহাকুম্ভে যতগুলি অমৃত স্নানের তারিখ রয়েছে, হিন্দু শাস্ত্র মতে তার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো মৌনী অমাবস্যা। সেই কারণে মৌনী অমাবস্যাতেই প্রয়াগরাজে সবচেয়ে বেশি মানুষ স্নান করবেন বলে আগেই অনুমান করেছিল যোগী প্রশাসন। সেই মতো পর্যাপ্ত ব্যবস্থাও ছিল। কিন্তু তারপরেই দুর্ঘটনা ঘটে যায়। তবে এর পরেও মৌনী অমাবস্যার পূণ্যতিথিতে অমৃতস্নান চলছে মহাকুম্ভে। পূণ্যলাভের আশায় সঙ্গমে অমৃত স্নান করছেন কোটি কোটি পুণ্যার্থী।

    মৌনী অমাবস্যায় স্নানের গুরুত্ব

    মাঘ মাসের অমাবস্যা তিথি মৌনী অমাবস্যা হিসেবে পালিত হয়। এই দিনে সঙ্গমে স্নান করলে পাপমুক্তি ঘটে বলে প্রচলিত বিশ্বাস। এই তিথিতে সূর্য, চন্দ্র ও বৃহস্পতি এক রেখায় আসে। মহাজাগতিক শক্তির প্রভাব এসে পড়ে নদীর জলে। সেই কারণে মৌনী অমাবস্যার বিশেষ ক্ষণে ত্রিবেণী সঙ্গমে স্নান করলে শরীর ও মনে বিশেষ শক্তি লাভ হয় বলে শাস্ত্র বিশেষজ্ঞদের মত। এই দিনে গঙ্গার জলে অমৃতের বর্ষণ হয় বলে প্রচলিত বিশ্বাস। কথিত আছে, এই দিন পূণ্যস্নান করলে কোষ্ঠীর সব রকম দোষ থেকে মুক্তি পান মানুষ। বিশেষ করে কালসর্প দোষ ও পিতৃদোষ থেকে মুক্তি পেতেও মৌনী অমাবস্যায় পূণ্যস্নানের মাহাত্ম্য রয়েছে। এই বিশ্বাস থেকেই এই দিনে কোটি কোটি মানুষ সঙ্গমে স্নান করেন।

    কড়া নজর প্রধানমন্ত্রীর

    এদিন সকালে প্রয়াগরাজ মহাকুম্ভে কোটি কোটি মানুষ ভিড় জমান। সঙ্গমে স্নান শুরুর আগেই পদপিষ্টের মতো ঘটনা ঘটে। ভিড় সামলাতে না পেরে এক মহিলা পড়ে গেলে তাঁর পিছনের লোকও টাল সামলাতে পারেননি। এর ফলে, পদপিষ্টের মতো ঘটনা ঘটলে কয়েকজন হতাহত হয়েছেন। ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রথমে তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয়। তবে তৎক্ষণাৎ অধিক সক্রিয় হয়ে ওঠে প্রশাসন। গোটা পরিস্থিতির উপর কড়া নজর রেখেছে কেন্দ্রীয় সরকারও। ইতিমধ্যে ঘটনা নিয়ে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের সঙ্গে একাধিক বার ফোনে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কার্যত দফায় দফায় গোটা ঘটনার ( Maha Kumbh 2025) বিস্তারিত খোঁজ তিনি নিয়েছেন বলে খবর।

    সক্রিয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, উত্তরপ্রদেশ সরকার

    অন্যদিকে, যোগী আদিত্যনাথের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও। কেন্দ্রের তরফে সম্পূর্ণ সাহায্য করার কথা বলা হয়েছে। একই সঙ্গে আহতদের জন্য কি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা নিয়েও যোগীর সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা হয় শাহের। গোটা এলাকা বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘিরে রেখেছে। দ্রুত বাধা দূরে সরিয়ে ভক্তরা সঙ্গমে স্নান শুরু করেন। ভক্তরা যে সমস্ত ঘাটে আছেন সেখানেই যাতে স্নান সারেন সেই বার্তা দেওয়া হয় প্রশাসনের তরফে। মৌনি অমবস্যায় মহাকুম্ভে ‘অমৃত স্নান’ সারতে কয়েক কোটি মানুষ ভিড় জমান। মধ্যরাত থেকেই ভিড় বাড়তে শুরু করে। সময় যত গড়িয়েছে ততই মানুষের ভিড় বেড়েছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত তো বটেই, বিদেশ থেকেও বহু মানুষ এদিন মহাকুম্ভে জোড়ো হন শাহী স্নান সারবেন বলে। কিন্তু স্নানের আগেই ঘটে যায় দুর্ঘটনা।

    প্রশাসনের তরফে সমস্ত জায়গায় ব্যারিকেড করা থাকলেও প্রবল ভিড়ের চাপে সমস্ত কিছু ভেঙে পড়ে। সঙ্গমস্থলে স্নান সারতে মানুষের মধ্যে একেবারে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। আর সেই সময় মর্মান্তিক পদপিষ্টের মতো ঘটনা ঘটে। এরপর মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ জনগণকে সতর্ক থাকতে এবং প্রশাসনের নির্দেশ মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছেন। পাশাপাশি গুজব ও মিথ্যা খবর ছড়িয়ে পরিস্থিতি আরও খারাপ না করার অনুরোধ জানিয়েছেন। পরিস্থিতি মোকাবিলায় উত্তরপ্রদেশ সরকার এবং স্থানীয় প্রশাসন দ্রুত পদক্ষেপ নিয়েছে। ৫০টিরও বেশি অ্যাম্বুল্যান্স এবং ন্যাশনাল সিকিউরিটি গার্ড (এনএসজি) দল ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। আহতদের প্রয়াগরাজের হাসপাতালগুলিতে পাঠানোর জন্য একটি গ্রিন করিডর স্থাপন করা হয়েছে।

    আখড়াগুলি সতর্ক

    দুর্ঘটনার পর অখিল ভারতীয় আখড়া পরিষদ অমৃত স্নান স্থগিত রাখে। যদিও দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলে আখড়াগুলি অমৃত স্নান অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যাতে ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানগুলি চলতে থাকে। অখিল ভারতীয় আখড়া পরিষদের সভাপতি রবিশংকর পুরী বলেছেন, সঙ্গম ঘাটে অতিরিক্ত ভিড়ের কারণে এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। তিনি সবাইকে নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে স্নান করতে আহ্বান করেছেন। সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতি এই ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন এবং ভক্তদের কাছে অনুরোধ করেছেন যে, তারা সঙ্গম ঘাটে না গিয়ে অন্য যেকোনও ঘাটে স্নান করতে পারে। তিনি বলেন, “সম্পূর্ণ কুম্ভমেলা ক্ষেত্রই পবিত্র, তাই নিরাপত্তা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, এবং যে কোনও ঘাটে স্নান করা সম্ভব।” সব ধর্মীয় নেতারা নিরাপত্তার ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন। জগদগুরু স্বামী রামভদ্রাচার্য মহারাজ এক ভিডিও বার্তায় ভক্তদের সঙ্গম ঘাটে ভিড় না জমাতে এবং তাঁদের ক্যাম্পে নিরাপদ থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, “এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল প্রতিটি ভক্তের নিরাপত্তা, এবং স্নান একটি আধ্যাত্মিক অনুশীলন, তাই এর ভৌগলিক স্থান অগ্রাধিকার পাওয়ার দরকার নেই।”

  • BJP: ওয়াকফ সংশোধনী নিয়ে ঐক্যের ছবি এনডিএতে, বাজেট অধিবেশনে বিল পাশে প্রত্যয়ী বিজেপি

    BJP: ওয়াকফ সংশোধনী নিয়ে ঐক্যের ছবি এনডিএতে, বাজেট অধিবেশনে বিল পাশে প্রত্যয়ী বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওয়াকফ সংশোধনী (Waqf Amendment) বিল ২০২৪ অনুমোদন করেছে যৌথ সংসদীয় কমিটি। এনডিএ সদস্যদের প্রস্তাবিত সমস্ত সংশোধনী-সহ অনুমোদিত হল বিলটি। সংসদে বিলটি পাশ করানোর ক্ষেত্রে এটাই আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে তুলতে পারে বিজেপির (BJP)। কারণ এর আগে বিল নিয়ে দ্বিমত ছিল এনডিএর কয়েকটি শরিকের মধ্যে। সংশোধনী খসড়া পেশ করার পর কাটল জট। সংসদের বাজেট অধিবেশনেই পেশ হবে বিলটি। তার আগে এনডির ঐক্যের চেহারা দেখল গোটা দেশ। রাজনৈতিক মহলের অভিমত, এই ছবি হলে, আসন্ন বাজেট অধিবেশনেই সহজেই ওয়াকফ সংশোধনী বিল পাশ করিয়ে নিতে সক্ষম হবে বিজেপি।

    এনডিএ-র পক্ষে রায় (BJP)

    লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি এককভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে পারেনি। লোকসভার ৫৪৩টি আসনের মধ্যে বিজেপি জিতেছে মাত্র ২৪০টি আসনে। ২৭ জানুয়ারি ১৪টি সংশোধনী অনুমোদন করেছে জেপিসি। বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির সদস্যদের প্রস্তাবিত সমস্ত সংশোধনী খারিজ করা হয়েছে। কারণ ভোটাভুটিতে এনডিএর পক্ষে রায় গিয়েছে ১৬:১০ ব্যবধানে। এনডিএর বিভিন্ন শরিক দল যেমন নীতীশ কুমারের নেতৃত্বাধীন জনতা দল ইউনাইটেড এবং চন্দ্রবাবু নাইডুর নেতৃত্বাধীন তেলুগু দেশম পার্টি কয়েকটি সংশোধনী প্রস্তাব করেছিল।

    এনডিএ দলগুলোর সম্মতি

    এই প্রস্তাবগুলি সমর্থন করেছিল সমস্ত রাজনৈতিক দল। এ থেকেই স্পষ্ট হয় ওয়াকফ সংশোধনী বিলের সংশোধিত সংস্করণের প্রতি এনডিএ দলগুলোর সম্মতি রয়েছে। গত অগাস্টে এই বিল নিয়ে নিরপেক্ষ অবস্থান (BJP) নিয়েছিল জেডি(ইউ), লোক জনশক্তি পার্টি (রাম বিলাস) এবং চন্দ্রবাবুর টিডিপি। যৌথ সংসদীয় কমিটির প্রথম বৈঠক হয়েছিল গত বছরের অগাস্ট মাসে। সেই সময় এনডিএর দুটি শরিক দল মুসলমানদের বিভিন্ন গোষ্ঠীর উদ্বেগগুলোর সমাধানের পক্ষে মতপ্রকাশ করেছিল। প্রায় ছ’মাস পরে দেখা গেল, এনডিএর সব শরিক দল ওয়াকফ বিল নিয়ে একজোট হয়েছে। সংশোধনীগুলির পক্ষেও ভোট দিয়েছে তারা। জানা গিয়েছে, এজন্য শরিক দলগুলির কাছে আবেদন করেছেন সংখ্যালঘু ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজু।

    জানা গিয়েছে, লোকসভায় বিলটি পাশ করাতে বিজেপির প্রয়োজন হবে ১৬ জন টিডিপি সদস্য, ১২ জন জেডিইউ সদস্য এবং ৫ জন এলজেপি (আরভি) সদস্যের ভোট। এনডিএর ছোট শরিক দলগুলির মধ্যে আরএলডির ২, জেডিএসের ২, এবং আপনা দল (এস)-এর একটি ভোটও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। প্রসঙ্গত, সংসদের উভয় কক্ষে বিলটি পাশ হওয়ার পরে ওই বিলে রাষ্ট্রপতির অনুমোদন মিললে ১৯৯৫ সালের ওয়াকফ আইনের (Waqf Amendment) নয়া নাম হবে ইউনিফায়েড ওয়াকফ ম্যানেজমেন্ট, এমপাওয়ারমেন্ট, এফিশিয়েন্সি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অ্যাক্ট (BJP)।

  • Siddhi Vinayak Temple: মিনি স্কার্ট, ছেঁড়া-ফাটা পোশাকে প্রবেশ নয়, পোশাকবিধি জারি সিদ্ধিবিনায়ক মন্দিরে

    Siddhi Vinayak Temple: মিনি স্কার্ট, ছেঁড়া-ফাটা পোশাকে প্রবেশ নয়, পোশাকবিধি জারি সিদ্ধিবিনায়ক মন্দিরে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছোট জামাকাপড়, মিনি স্কার্ট বা কোনও অশোভনীয় পোশাক পরে আর মুম্বইয়ের সিদ্ধিবিনায়ক মন্দিরে (Siddhi Vinayak Temple) প্রবেশ করা যাবে না। মুম্বইয়ের (Mumbai) বিখ্যাত সিদ্ধিবিনায়ক মন্দিরের তরফ থেকে মঙ্গলবার একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে এই নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে। মন্দিরের ট্রাস্টের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ভক্তদের যথাযথ পোশাক পরতে হবে, বিশেষ করে ভারতীয় পোশাক।

    কেন চালু পোশাকবিধি

    দেশ-বিদেশ থেকে প্রতিদিন হাজার হাজার পুণ্যার্থী মুম্বইয়ের এই বিখ্যাত মন্দিরে আসেন গণপতি বাবার দর্শন করতে। বলিউডের সেলিব্রিটিরাও নিজেদের সিনেমার মুক্তির আগে সিদ্ধিলাভের আশায় ছুটে যান এই মন্দিরে। মুম্বইয়ের বিখ্যাত সেই সিদ্ধিবিনায়ক মন্দিরে (Mumbai Siddhi Vinayak Temple) এবার ড্রেস কোড। শ্রী সিদ্ধিবিনায়ক গণপতি মন্দির ট্রাস্টের তরফে জানানো হয়েছে, আগত পুণ্যার্থীদের শালীন পোশাক পরতে হবে। ভারতীয় পোশাক পরাই শ্রেয়। মন্দির ট্রাস্ট জানিয়েছে, পোশাক সংক্রান্ত বেশ কয়েকটি অভিযোগ পাওয়ার পরে এই পোশাকবিধি জারি করা হয়েছে। যা সিদ্ধিবিনায়ক মন্দিরে আসা অন্যান্য ভক্তদের অস্বস্তির কারণ হয়েছিল। ট্রাস্টের কোষাধ্যক্ষ পবন ত্রিপাঠী বলেন, “কিছু ভক্তের পোশাক নিয়ে আমরা অন্যান্য ভক্তদের কাছ থেকে অভিযোগ পেয়েছি। তাঁরা পোশাকের উপর কিছু বিধিনিষেধ চান। ভক্তদেরও মন্দির ট্রাস্টের সিদ্ধান্ত মেনে চলতে হবে।”

    কবে থেকে চালু নয়া নিয়ম

    মন্দিরের পবিত্রতা এবং মর্যাদা বজায় রাখতে সাম্প্রতিক সময়ে দেশজুড়ে বেশ কয়েকটি মন্দির ভক্তদের জন্য পোশাকবিধি চালু করেছে। এবার সেই পথেই হাঁটল মুম্বইয়ের সিদ্ধিবিনায়ক মন্দির। ট্রাস্টের তরফে জারি করা নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, ছেঁড়া-ফাটা পোশাক, শর্ট স্কার্ট বা এমন কোনও পোশাক যেখানে অঙ্গ প্রদর্শন হয়, তা পরা যাবে না সিদ্ধিবিনায়ক মন্দিরে (Mumbai Siddhi Vinayak Temple)। মন্দির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাস থেকেই এই নিয়ম কার্যকর হবে। যদি কোনও পুণ্যার্থী শালীন পোশাক না পরে আসেন, তবে তাকে মন্দিরে ঢুকতে দেওয়া হবে না।

  • Amit Shah: “এবার অবশ্যই দিল্লিতে বিজেপি সরকার গঠিত হবে”, প্রত্যয়ী শাহ

    Amit Shah: “এবার অবশ্যই দিল্লিতে বিজেপি সরকার গঠিত হবে”, প্রত্যয়ী শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “এবার অবশ্যই দিল্লিতে বিজেপির নির্বাসন শেষ হবে এবং বিজেপি সরকার গঠিত হবে।” মঙ্গলবার সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে কথাগুলি বললেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। গত ২৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে দিল্লিতে (Delhi Election) ক্ষমতার বাইরে রয়েছে বিজেপি। এই পর্বে দিল্লি শাসন করেছে কংগ্রেস ও আম আদমি পার্টি। শেষ দু’বারের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির পারফরম্যান্স ছিল মোটামুটি। ৭০টি আসনের দিল্লি বিধানসভায় ক্ষমতায় আসে আপ। বিধানসভায় ফল খারাপ হলেও, লোকসভা নির্বাচনে দিল্লিতে ব্যাপক ভালো ফল করেছে পদ্ম শিবির। গত বছর সাতটি আসনেই জয়লাভ করেছে গেরুয়া পার্টি।

    কী বললেন শাহ

    শাহ বলেন, “আপ হাজার হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি করেছে। তারা আন্না হাজারের দুর্নীতি-বিরোধী আন্দোলনের ওপর ভর করে ক্ষমতায় এসেছিল।” তিনি বলেন, “মিথ্যারও একটি আয়ু আছে। এখানে মিথ্যা বহুদিন ধরে চলছে। ১০ বছর হয়ে গেছে। জনগণ সব জানতে পেরেছে। তাই এবার পরিবর্তন আসবে।” কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (Amit Shah) বলেন, “কিছু প্রতিশ্রুতি একই রকম হতে পারে। তারা সেগুলো পূরণ করেনি। কিন্তু জনগণ জানে যে মোদিজি সেগুলো পূরণ করবেন।” প্রসঙ্গত, ৫ ফেব্রুয়ারি দিল্লি বিধানসভার নির্বাচন। এবার লড়াই হবে ত্রিমুখী। নির্বাচনী ময়দানে রয়েছে শাসক দল আপ, বিজেপি এবং কংগ্রেস।

    মদ কেলেঙ্কারিই বড় ইস্যু

    দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে মদ কেলেঙ্কারিই বড় ইস্যু। ক্যাগ রিপোর্টের প্রসঙ্গ তুলে আপকে নিশানা করেছে বিজেপি। পদ্ম শিবিরের দাবি, মদ কেলেঙ্কারির ঘটনায় দিল্লিতে দুহাজার কোটি টাকার বেশি ক্ষতি হয়েছে। তাদের দাবি, টাকা ঢুকেছে আম আদমি পার্টির নেতাদের পকেটে। ক্যাগের লিক হওয়া রিপোর্ট পেশ করেছে বিজেপি। বিজেপি দিল্লি সরকারের ওপর এক্সপার্ট প্যানেলের সুপারিশ না মানার অভিযোগও করেছে। বিজেপির দাবি, ক্যাগের রিপোর্টে চমকে দেওয়ার মতো তথ্য সামনে এসেছে। মদ কেলেঙ্কারিতে সরকারি তহবিলের ২০২৬ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে (Amit Shah)। বিজেপির দাবি, পলিসি লাগু করতেও ব্যর্থ হয়েছে (Delhi Election) আপ। আপ নেতাদের পকেটে মোটা টাকা ঘুষও ঢুকেছে।

  • One Nation One Election: ‘এক দেশ এক ভোটে’র পক্ষে জনমত গঠনের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

    One Nation One Election: ‘এক দেশ এক ভোটে’র পক্ষে জনমত গঠনের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘এক দেশ এক নির্বাচন’ (One Nation One Election) এর পক্ষে জনমত তৈরির আহ্বান জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। তাঁর মতে, দেশে অনবরত নির্বাচনের কারণে গোটা বছরই প্রচার চলতে থাকে এবং সরকার ও প্রশাসন নীতিপঙ্গুতায় ভোগে। যা সরাসরি প্রভাব ফেলে তরুণ প্রজন্মের ভবিষ্যতের ওপর। তাই দিল্লির এক জনসভায় প্রধানমন্ত্রী সব এনসিসি ক্যাডারের কাছে আবেদন করেন দেশজুড়ে এই নিয়ে আলোচনাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে।

     

    প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান

    দিল্লিতে এনসিসি-র এক সভায় প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi) বলেন, “এক দেশ এক ভোটের (One Nation One Election) প্রস্তাব নিয়ে যে আলোচনা চলছে, তা দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দেশের যুবারা আরও বেশি করে এগিয়ে আসুন এই নিয়ে আলোচনায় শামিল হতে।” তাঁর বক্তব্য, “এক দেশ এক ভোট নিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিতর্ক চলছে। লোকসভা এবং রাজ্যের বিধানসভাগুলির ভোট একসঙ্গে হলে প্রশাসন অনেক বেশি লক্ষ্যমুখী হয়ে কাজ করতে পারবে এবং ব্যাঘাত কম হবে। স্বাধীনতার পরে দীর্ঘদিন ধরেই লোকসভা এবং বিধানসভাগুলির ভোট একসঙ্গে হয়েছে। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই কাঠামোর পরিবর্তন হয়েছে। তার জন্য দেশকে ভুগতে হচ্ছে।”

     

    ‘এক দেশ এক নির্বাচন’ সরকারের যুক্তি

    ইতিমধ্যেই এক দেশ এক নির্বাচনের (One Nation One Election) প্রস্তাবে সায় দিয়েছে মোদির মন্ত্রিসভা। সরকারের যুক্তি, ঘন ঘন নির্বাচনের জেরে দেশের উন্নয়নমূলক কাজে বাধা পড়ে। প্রধানমন্ত্রী দাবি করেন, গোটা দেশ এই প্রক্রিয়াকে সমর্থনও জানাচ্ছে। সব রাজনৈতিক দলগুলিকে এই বিষয়টি সমর্থন করার আহ্বানও জানান তিনি। সরকার পক্ষের দাবি, এই ব্যবস্থা চালু হলে ভোট প্রক্রিয়ার জন্য যে বিপুল অঙ্কের খরচ হয়, তা অনেকটাই কমে যাবে। ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ ধারণাকে একটি “ঐতিহাসিক” সংস্কার বলে অভিহিত করেছে। দলের মতে, এই বিল এলে সাশ্রয়ী শাসন ব্যবস্থার আরও উন্নতি হবে। প্রধানমন্ত্রী মোদি ধারাবাহিকভাবে একযোগে নির্বাচনের পক্ষে কথা বলেছেন। এই বিলকে বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে অপরিহার্য বলে মন্তব্য করেন তিনি।

     

    তিনটি বিলের মাধ্যমে বাস্তবায়ন

    ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’-এর (One Nation One Election) বাস্তবতা খতিয়ে দেখতে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করেছিল কেন্দ্র। গত মার্চ মাসে সেই কমিটি রাষ্ট্রপতি ভবনে গিয়ে দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে রিপোর্ট জমা দিয়েছে। যেখানে ‘এক দেশ, এক নির্বাচনে’-এর পক্ষে সায় দেওয়া হয়েছে। “এক দেশ, এক নির্বাচন” পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য সরকার দুটি সাংবিধানিক সংশোধনী সহ তিনটি বিল প্রস্তাব করেছে। সেগুলি হল:

    প্রথম সাংবিধানিক সংশোধনী বিল: লোকসভা এবং রাজ্য বিধানসভাগুলির জন্য যৌথ নির্বাচনের অনুমতি রয়েছে এই বিলে। লোকসভা এবং রাজ্য বিধানসভাগুলির জন্য ‘নিযুক্ত তারিখ’ এবং একই সঙ্গে মেয়াদ সমাপ্তির বিধান প্রবর্তনের জন্য ধারা ৮২এ সংশোধনের প্রস্তাব করা হয়েছে এখানে।

    দ্বিতীয় সংবিধান সংশোধনী বিল: অন্তত অর্ধেক রাজ্যের অ্যাসেম্বলির অনুমোদন প্রয়োজন৷ স্থানীয় সংস্থা নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশন রাজ্য নির্বাচন কমিশনগুলির সঙ্গে সহযোগিতা নিশ্চিত করে ভোটার তালিকার বিধানগুলি সংশোধন করতে হবে।

    তৃতীয় বিল: কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির পাশাপাশি বিধানসভার সঙ্গে — পুদুচেরি, দিল্লি এবং জম্মু ও কাশ্মীর — লোকসভা এবং রাজ্য বিধানসভাগুলির সঙ্গে এই নির্বাচন করাতে হবে৷ গভর্নমেন্ট অফ ন্যাশনাল ক্যাপিটাল টেরিটরি অফ দিল্লি অ্যাক্ট (১৯৯১), দ্য গভর্নমেন্ট অফ ইউনিয়ন টেরিটরি অ্যাক্ট (১৯৬৩), এবং জম্মু ও কাশ্মীর পুনর্গঠন আইন (২০১৯) সংশোধনের প্রস্তাব করা হয়েছে বিলে৷

    সম্প্রতি প্রজাতন্ত্র দিবসের আগের দিন জাতির উদ্দেশে রাষ্ট্রপতির বক্তৃতায় উঠে এসেছে এই প্রসঙ্গ। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু মনে করিয়ে দিয়েছেন, সব ক্ষেত্রে এগিয়ে চলেছে দেশ। ‘এক দেশ, এক ভোট’ নীতির প্রশংসা করে রাষ্ট্রপতি বলেন, “এই নীতি দেশের আর্থিক বোঝা কমাতে পারে। নীতিপঙ্গুতা রুখতে পারে।”

     

  • Chhattisgarh: ছত্তিশগড়ের চিলকাপল্লী গ্রামে স্বাধীনতার পরে প্রথম পৌঁছল বিদ্যুতের আলো

    Chhattisgarh: ছত্তিশগড়ের চিলকাপল্লী গ্রামে স্বাধীনতার পরে প্রথম পৌঁছল বিদ্যুতের আলো

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছত্তিশগড় (Chhattisgarh) রাজ্যের চিলকাপল্লী গ্রাম। স্বাধীনতার পর এই গ্রামে প্রথম পৌঁছল বিদ্যুৎ। জেলা সদর শহর বিজাপুর থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই গ্রামে খুশিতে মেতেছেন বাসিন্দারা। প্রসঙ্গত, চিলকাপল্লী হল ষষ্ঠ গ্রাম বিজাপুর জেলার, যেখানে বিদ্যুৎ সংযোগ পৌঁছল। ছত্তিশগড় রাজ্যের কর্মসূচি ‘নিয়াজ নেলানার’ প্রকল্প অনুযায়ী এই বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন। বিজাপুরের জেলাশাসক সম্বিত মিশ্র এ নিয়ে নিজের খুশি প্রকাশ করেন। তিনি জানান, আরও অনেক গ্রামে পৌঁছে যাবে বিদ্যুতের আলো।

    কী বললেন জেলাশাসক?

    সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সম্বিত মিশ্র বলেন, ‘‘এটা সত্যিই খুব আনন্দের যে চিলকাপল্লী (Chilkapalli) গ্রামে গত ২৩ জানুয়ারি বিদ্যুৎ পরিষেবা পৌঁছেছে। এটা হল বিজাপুরের (Chhattisgarh) ষষ্ঠ গ্রাম। যেখানে আমরা বিদ্যুৎ পরিষেবা পৌঁছে দিতে পেরেছি। আমরা আশাবাদী আগামী কয়েক মাসের ভিতরে আরও অনেক গ্রামে আমরা বিদ্যুতের আলো পৌঁছে দিতে সক্ষম হব।’’ প্রসঙ্গত, নিয়ত নিলানা প্রকল্প চালু করেছেন ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণুদেও সাঁই। এই প্রকল্পে লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে যে উপজাতি অধ্যুষিত প্রত্যন্ত গ্রামগুলিতে বিদ্যুৎ পরিষেবা সঙ্গে নিত্যপ্রয়োজনীয় যা কিছু সুবিধা সেই সবকিছুকে পৌঁছে দেওয়া হবে। প্রত্যন্ত গ্রামগুলিকে একটি আদর্শ গ্রাম হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করাও লক্ষ্য এই কর্মসূচির। এই প্রকল্পের আওতায় বিদ্যুৎ পরিষেবার সঙ্গে সঙ্গে পানীয় জল, রাস্তা, ব্রিজ, স্কুল- এই সব কিছুই গড়ে তোলা হবে বলে জানা গিয়েছে। প্রসঙ্গত, চিলকাপল্লীর (Chhattisgarh) বাসিন্দারা বিদ্যুৎ পরিষেবা পৌঁছানোয় খুশিতে মেতে ওঠেন। তাঁদের মতে, এটি উন্নয়নের একটি বড় ধাপ।

    কী বলছেন গ্রামের বাসিন্দারা?

    গ্রামের একজন উপজাতি মহিলা সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘‘আগে আমাদের গ্রামে কোনও বিদ্যুৎ সংযোগ ছিল না। কিন্তু বর্তমানে নতুন সংযোগ এসেছে। এর ফলে আমরা রান্না করতে পারব এবং আমাদের ছেলেরা রাত্রিবেলায় পড়াশোনা করতে পারবে।’’ অন্য আর একজন বাসিন্দা বলেন, ‘‘বর্তমানে আমাদের গ্রামে বিদ্যুৎ সংযোগ আছে। আমরা এখন টিভি দেখতে পাচ্ছি। রান্না করতে পারছি এবং রাত্রিবেলায়ও আমরা বাইরে বেরোতে পারছি।’’ এ নিয়ে ছত্তিশগড় রাজ্যের বিদ্যুৎ বিভাগের এক কর্মচারী সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘‘প্রত্যন্ত গ্রাম চিলকাপল্লীতে (Chhattisgarh) বিদ্যুৎ পরিষেবা নিয়ে যাওয়া যথেষ্ট চ্যালেঞ্জিং ছিল কিন্তু আমরা তিন চার মাসের প্রচেষ্টায় তা করতে সমর্থ হয়েছি।’’ প্রসঙ্গত, এই গ্রাম নকশাল অধ্যুষিত এলাকা বলে পরিচিত। বর্তমানে এখানে উন্নয়ন যেমন পৌঁছে যাচ্ছে, তেমনই সিআরপিএফ জওয়ানরাও নজরদারি চালাচ্ছেন।

  • Mahakumbh 2025: বুধে স্নান মৌনী অমাবস্যার, কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে জানেন?

    Mahakumbh 2025: বুধে স্নান মৌনী অমাবস্যার, কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাত পোহালেই মৌনী অমাবস্যা। ২৯ জানুয়ারির এই পুণ্য দিনে প্রয়াগরাজে গঙ্গা-যমুনা-সরস্বতীর সঙ্গমস্থলে অমৃতস্নান (Mauni Amavasya) করবেন (Mahakumbh 2025) ১০ কোটিরও বেশি ভক্ত। যেহেতু এদিন কয়েক কোটি ভক্তের সমাগম হবে, তাই ব্যবস্থা নিয়েছে উত্তরপ্রদেশের যোগী প্রশাসন। ভিড় ও যানবাহন ব্যবস্থাপনা সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য কর্তৃপক্ষ একটি অঞ্চলভিত্তিক পরিকল্পনা চালু করেছে। এই পরিকল্পনা অনুযায়ী, ভক্তদের জন্য নির্দিষ্ট পথ ও স্নানের ঘাটের ব্যবস্থা করা হয়েছে। জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বিজয় কিরণ আনন্দ বলেন, “সবচেয়ে বড় স্নান উৎসবের জন্য ব্যাপক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। যাত্রীরা যে সেক্টর বা অঞ্চলে স্নান করেছেন, সেখান থেকেই ফিরে যাবেন, এবং কঠোর নিরাপত্তা ও সুশৃঙ্খল চলাচল নিশ্চিত করার জন্য ব্যবস্থা করা হয়েছে।”

    সুরক্ষা ব্যবস্থা

    ভিড় কমাতে তীর্থযাত্রীদের জন্য নির্দিষ্ট ঘাটে স্নান করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। কানপুরের তীর্থযাত্রীরা স্নান করবেন সংঘম নোজ ঘাটে। লখনউ ও অযোধ্যার তীর্থযাত্রীরা স্নান করবেন দশাশ্বমেধ ঘাটে। ভিড়ের পরিমাণ বাড়লে পুণ্যার্থীদের পাঠানো হবে নাগবাসুকি, রাসূলাবাদ এবং ফাফামাউ ঘাটে। বারাণসী, জৌনপুর, আজমগড় এবং গোরখপুরের তীর্থযাত্রীরা অমৃতস্নান করবেন ঐরাবত ও ত্রিবেণী ঘাটে। মির্জাপুর এবং মধ্যপ্রদেশের তীর্থযাত্রীরা ডুব দেবেন আরাইল ত্রিবেণী পুষ্পের কাছাকাছি ঘাটে। এখানে সংঘমের দিকে যাওয়ার জন্য গতিবিধি সীমাবদ্ধ থাকবে। স্নান শেষে ভক্তরা (Mauni Amavasya) যাতে তাদের নির্ধারিত অঞ্চলে ফিরে যেতে পারেন, তাই সংঘম নোজের কাছাকাছি আন্তঃঅঞ্চল ভ্রমণ বন্ধ রাখা হবে (Mahakumbh 2025)।

    আখড়ার সাধু-সন্ন্যাসীদের জন্য ব্যবস্থা

    কেবল পুণ্যার্থী নন, মহাকুম্ভের বিভিন্ন আখড়ার সাধু-সন্ন্যাসীদের জন্যও নির্ধারিত হয়েছে স্নানের ঘাট। ১৩টি আখড়ার অমৃতস্নানের পথও নির্ধারণ করা হয়েছে। শিডিউল অনুযায়ী ত্রিবেণী পন্টুন ব্রিজ অতিক্রম করবে আখড়াগুলি। আখড়াগুলির সাধুসন্তরা যাতে শৃঙ্খলাবদ্ধভাবে চলাচল করতে পারেন, তাই ব্যারিকেড বসানো হয়েছে। মিডিয়া ও প্রশাসনের জন্য আলাদা করিডরের ব্যবস্থাও করা হয়েছে।

    পুণ্যার্থীদের জন্য স্নানের ঘাটের ব্যবস্থা করার পাশাপাশি আরও কিছু সুরক্ষামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। জল পুলিশ, এনডিআরএফ, এবং এসডিআরএফের উদ্ধার অভিযানের নৌকা ছাড়া অন্য কোনও নৌকার চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে। যাত্রীদের সুরক্ষায় বসানো হয়েছে স্টিলের ব্যারিকেড। নিরাপত্তা জাল সহ মজবুত ব্যারিকেড বসানো হয়েছে। অতিরিক্ত ভিড় সামাল দিতে অস্থায়ী আবাসন এবং হোল্ডিং এরিয়া স্থাপন করা হয়েছে। প্রয়োজনে কাউশাম্বী, প্রতাপগড় বা ভদোহিতে ভ্রমণ আপাতত বন্ধ করা হতে পারে (Mauni Amavasya)।

    উন্নত পরিকাঠামো

    তীর্থযাত্রীদের জন্য উন্নত পরিকাঠামোর ব্যবস্থাও করা হয়েছে। ১২ কিমি দীর্ঘ স্নানের ঘাট উন্নত আলো, পরিচ্ছন্ন টয়লেট এবং পোশাক পরিবর্তনের ঘর তৈরি করা হয়েছে। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ব্যবস্থার পাশাপাশি জরুরি অবস্থার জন্য খড় ও চটের বস্তার ব্যবস্থাও করা হয়েছে। মেলা কর্তৃপক্ষ মৌনী অমাবস্যায় অমৃতস্নানের জন্য একটি নির্দিষ্ট স্নানের ক্রম নির্ধারণ করা হয়েছে। মহানির্বাণী এবং অতল আখড়াগুলি প্রথমে স্নান প্রক্রিয়া শুরু করবে। প্রতিটি আখড়া নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে স্নান করবে। এই ক্রমটি শৃঙ্খলা বজায় রাখা এবং ভক্তদের সুষ্ঠুভাবে স্নান করার ব্যবস্থা নিশ্চিত করার জন্য করা হয়েছে। এই সময়সূচির জন্য সমস্ত আখড়ার সদস্যরা পবিত্র আচার-অনুষ্ঠানের জন্য যথেষ্ট সময় এবং জায়গা পাবেন। বৃহত্তর ভক্ত সমাবেশের নিরাপত্তা এবং সুবিধাও বজায় রাখা হবে। এই ব্যবস্থাগুলির মাধ্যমে প্রয়াগরাজ একটি সুসজ্জিত এবং সুসংগঠিত মহাকুম্ভ স্নান উৎসব আয়োজন করতে প্রস্তুত (Mahakumbh 2025)।

    পূর্ণকুম্ভের যোগ

    প্রতি ১২ বছর অন্তর উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে হয় পূর্ণকুম্ভ। ১২টি পূর্ণ কুম্ভ শেষে হয় একটি মহাকুম্ভ। অর্থাৎ মহাকুম্ভের এই যোগ আবার আসবে ১৪৪ বছর পরে। সেই কারণেই এবার কুম্ভস্নান করবেন অন্তত ৪০ কোটি মানুষ। দেশের পাশাপাশি বিদেশ থেকেও ভক্তরা আসছেন ত্রিবেণী সঙ্গমে পবিত্র ডুব দিতে। এবার প্রয়াগরাজে কুম্ভমেলা শুরু হয়েছে ১৩ জানুয়ারি। চলবে ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এর মধ্যে অমৃতস্নানের যোগ মোট ৬টি। এর মধ্যে হয়ে গিয়েছে তিনটি স্নান। বুধবার হবে মৌনী অমাবস্যার স্নান। ৩ ফেব্রুয়ারি হবে বসন্ত পঞ্চমীর স্নান। আর এবারের মতো শেষ স্নান হবে ২৬ ফেব্রুয়ারি, মহা শিবরাত্রির দিন। উত্তরপ্রদেশ প্রশাসনের আশা, এবার সব মিলিয়ে কুম্ভস্নান করবেন অন্তত ৪০ কোটি পুণ্যার্থী। ইতিমধ্যেই প্রায় ১২ কোটি পুণ্যার্থী সেরে নিয়েছেন পুণ্যস্নান। বিজেপির বহু নেতা-মন্ত্রীও ডুব দিয়েছেন প্রয়াগরাজের ত্রিবেণী সঙ্গমে (Mauni Amavasya)। হিন্দু ভোট কুড়োতে দেরিতে হলেও দিন দুই আগে কুম্ভস্নান করেছেন সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদব। ৫ ফেব্রুয়ারি কুম্ভে ডুব দেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আর ১০ ফেব্রুয়ারি অমৃতস্নান (Mahakumbh 2025) করবেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু এবং উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়।

     

LinkedIn
Share