Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • S Jaishankar: “কন্ট্যাক্ট, কেমিস্ট্রি, ক্রেডিবিলিটি”! সাফল্যের তিনটি চাবিকাঠির কথা বললেন জয়শঙ্কর

    S Jaishankar: “কন্ট্যাক্ট, কেমিস্ট্রি, ক্রেডিবিলিটি”! সাফল্যের তিনটি চাবিকাঠির কথা বললেন জয়শঙ্কর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিজের পেশাগত কূটনৈতিক অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে, সাফল্যের শর্ত ব্যাখ্যা করলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। শুক্রবার ‘লিভ হোয়াইল ইউ আর অ্যালাইভ’ বইয়ের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দিতে গিয়ে সফলতার তিনটি ‘সি’ নিয়ে কথা বললেন বিদেশমন্ত্রী। তিনি বলেন, “কন্ট্যাক্ট (যোগাযোগ), কেমিস্ট্রি (সম্পর্কের সুমধুরতা) এবং ক্রেডিবিলিটি (বিশ্বাসযোগ্যতা) হল সফলতার চাবিকাঠি।” 

    সাফল্যের তিন চাবিকাঠি

    শিব খেরা লিখিত বইটি উদ্বোধন করার সময় জয়শঙ্কর বলেন, “সফলতার জন্য যাদের সঙ্গে যোগাযোগ বৃদ্ধি করা যায়, তাদের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক তৈরি করা এবং বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি আরও বলেন, ভুল হতে পারে, তবে ভুলের প্রতি ভয় নয়, বরং ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে তা সংশোধন করার পরবর্তী ধাপেই সফলতা নিহিত থাকে।” মজার ছলে জয়শঙ্কর জানান, বইটি ক্রনিক স্ট্রেস (অতিরিক্ত মানসিক চাপ) এড়ানোর ওপর গুরুত্ব দিয়েছে। তাঁর কথায়, “কেরিয়ার হিসাবে মন্ত্রী হওয়া এবং ক্রনিক স্ট্রেস এড়ানো একসঙ্গে চলে না।” বিদেশমন্ত্রী হিসেবে তাঁর ছয় বছরের অভিজ্ঞতা এবং ৪১ বছরের কূটনৈতিক জীবন থেকে তাঁর অভিমত, জীবন খুবই অপ্রত্যাশিত, তবে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে তা পরিচালনা করা সম্ভব।

    আরও পড়ুন: ১৭৯টি সম্প্রদায়কে এসসি, এসটি এবং ওবিসি তালিকায় অন্তর্ভুক্তির সুপারিশ নীতি আয়োগের

    জীবন থেকে শিক্ষা

    জয়শঙ্করের কথায়, “কোনও মানুষই নিখুঁত নয়”, আর বিশেষ করে তরুণদের তিনি নিজের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন। জয়শঙ্কর জানান, তিনি যেমন ইউনিয়ন পাবলিক সার্ভিস কমিশন (UPSC) পরীক্ষায় পাস করেছেন, তেমনি ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি (IIT)-এর প্রবেশিকা পরীক্ষায় পাস করেননি। প্রায় ৩০ মিনিটের বক্তৃতায়, কূটনৈতিক এই অভিজ্ঞ নেতা তাঁর পেশাগত জীবনের নানা অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন এবং কোভিড সময়কালে ভারতীয় নাগরিকদের উদ্ধার এবং ইউক্রেন সংকটের সময় ভারতীয় নাগরিকদের নিরাপত্তার বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। তিনি সফলতার তিনটি ‘সি’ এর উপর জোর দেন— এক) কন্ট্যাক্ট (যোগাযোগ), দুই) কেমিস্ট্রি (সম্পর্কের সুমধুরতা) এবং তিন) ক্রেডিবিলিটি (বিশ্বাসযোগ্যতা)। শিব খেরার বই সম্পর্কে জয়শঙ্কর বলেন, “ছয়টি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা রয়েছে এই বইয়ে— ১. অপ্রত্যাশিত পরিকল্পনার জন্য প্রস্তুত থাকুন, ২. সম্পর্ক বিনিয়োগ করুন, ৩. আপস নয়, ৪. বিষাক্ত পরিবেশ এড়িয়ে চলুন, ৫. সময়ের মূল্য বুঝুন এবং ৬. ভালো ঘুম গুরুত্বপূর্ণ।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Indian Railway: টাকা মেটাবেন পরে, ট্রেনের টিকিট কাটুন নিখরচায়! ভারতীয় রেল আনছে বিশেষ ব্যবস্থা

    Indian Railway: টাকা মেটাবেন পরে, ট্রেনের টিকিট কাটুন নিখরচায়! ভারতীয় রেল আনছে বিশেষ ব্যবস্থা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিখরচায় কাটুন ট্রেনের টিকিট, টাকা মেটাবেন পরে! ভারতীয় রেল (Indian Railway) আনল এক দারুণ পরিষেবা। রেল যাত্রীদের সুবিধার কথা মাথায় রেখেই দারুণ একটা প্রকল্প চালু করল ভারতীয় রেল। এই ব্যবস্থার নাম দেওয়া হয়েছে ‘বুক নাও, পে লেটার’ অর্থাৎ বুক করুন (Book Train Ticket) এবং পরে টাকা দিন। অনলাইনে থেকে নিখরচায় টিকিট কাটার সুবিধা পাওয়া যাবে।

    উল্লেখ্য, এতদিন পর্যন্ত আইআরসিটিসির অ্যাকাউন্টে লগ-ইন করে উপলব্ধ টিকিটি দেখে বুক করে টাকা জমা করলেই তবেই সংরক্ষিত টিকিট বুকিং করা যেত। টাকা জমা ছাড়া কোনও ভাবেই টিকিট সংরক্ষণ করা যেত না। কিন্তু এবার থেকে ব্যবস্থায় নতুন মাত্রা সংযোজন করা হয়েছে।

    কীভাবে কাটবেন টিকিট (Indian Railway)?

    রেলের তরফে বলা হয়েছে, ‘বুক নাও পে লেটার’ (Book Train Ticket) থেকে রেলের টিকিট কাটা যাবে। প্রথমে www.epaylater.in নামক ওয়েবসাইটে রেজিস্টার করতে হবে। এরপর নিম্নলিখিত ধাপগুলিকে লক্ষ্য করে পরপর কাজ করতে হবে। যথা-

    ১> এরপরে আইআরসিটিসির (Indian Railway) অ্যাকাউন্টে লগ-ইন করতে হবে।

    ২> এবার নিজের পার্সোনাল ডিটেল অর্থাৎ নাম, ফোন নম্বর সহ তথ্যগুলি আপডেট করতে হবে।

    ৩> এরপর ক্লিক করলে আসবে। সেই কোড দিয়ে সাবমিট ক্লিক করুন।

    ৪> এবার পেমেন্টের অপশন আসবে। এখানে ক্রেডিট কার্ড, ডেবিট কার্ড, ভিম অ্যাপ, নেট ব্যাঙ্কিংয়ের পাশাপাশি বুক নাও, পে লেটার-র অপশনও পাবেন।

    আরও জানানো হয়েছে, টিকিট কাটার ১৪ দিনের মধ্যে যদি টাকা জমা (Book Train Ticket) না করা হয় তাহলে সেই জন্য অতরিক্ত টাকা জমা দিতে হবে না। কেবল মাত্র টিকিটের দাম দিলেই চলবে। কিন্তু যদি ১৪ দিন পেরিয়ে যাওয়ার পর টিকিটের দাম মেটান তবে ৩.৫ শতাংশ সার্ভিস চার্জ লাগবে।

    আরও পড়ুনঃ ১৭৯টি সম্প্রদায়কে এসসি, এসটি এবং ওবিসি তালিকায় অন্তর্ভুক্তির সুপারিশ নীতি আয়োগের

    রেলের ভারত সরকারের বিশেষ নজর

    উল্লেখ্য, ভারতীয় রেলে (Indian Railway) ২০১৪ সালে কেন্দ্রে মোদি সরকার গঠন হওয়ার অভূতপূর্ব পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বন্দে ভারত, বন্দে ভারত স্লিপার, হাইড্রোজেন চালিত ট্রেন, বুলেট ট্রেন-সহ একাধিক নিরাপদ এবং সুরক্ষিত ট্রেন (Book Train Ticket) একের পর এক উদ্বোধন করতে শুরু করেছে ভারতীয় রেল। একই ভাবে স্বাধীনতার ৭৫ বছরকে মাথায় রেখে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে মডেল স্টেশন হিসেবে অমৃত ভারত স্টেশনের পরিকল্পনাকে বাস্তবায়নের কাজ শুরু হয়েছে। একই ভাবে রেল দুর্ঘটনা কমাতে আধুনিক প্রযুক্তি, ইন্টার লকিং সিস্টেম সহ একাধিক ব্যবস্থা গড়ে তোলা হচ্ছে। রেল হল ভারতের লাইফ লাইন, তাই তাকে আরও সরল, উন্নত এবং সুরক্ষিত করতে সরকার যে প্রতিনিয়ত অভিনব যোজনা সামনে আনছে তা ওয়াকিবহাল মহল মনে করছেন।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Budget 2025: প্রতি বছর বাজেটের আগে হয় ‘হালুয়া উৎসব’, এরপরেই নিভৃতবাসে যান কর্মীরা, কেন জানেন?

    Budget 2025: প্রতি বছর বাজেটের আগে হয় ‘হালুয়া উৎসব’, এরপরেই নিভৃতবাসে যান কর্মীরা, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী পয়লা ফেব্রুয়ারি সংসদে বাজেট (Budget 2025) পেশ করতে চলেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন (Nirmala Sitharaman)। প্রতি বছরের নিয়ম মেনে ওইদিন সকাল ১১টা থেকে শুরু হবে বাজেট পেশ। যদিও বাজেট অধিবেশন শুরু হবে আগামী ৩১ জানুয়ারি। এর ঠিক পরের দিন অর্থাৎ ১ ফেব্রুয়ারি পেশ করা হবে কেন্দ্রীয় বাজেট। এখনও পর্যন্ত কেন্দ্রীয় সরকারের সূত্রে এমনটাই জানা গিয়েছে। বাজেট (Budget 2025) পেশ হওয়ার আগে শুক্রবারই মিষ্টিমুখ পর্ব সম্পন্ন হল অর্থমন্ত্রকে। ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষের বাজেট পেশের আগে শুক্রবার সন্ধ্যায় নর্থ ব্লকে পালিত হল হালুয়া উৎসব।

    হালুয়া উৎসব আসলে কী?

    বাজেট (Budget 2025) পেশের আগে এমন উৎসবের রীতি দীর্ঘদিন ধরেই প্রচলিত। শুক্রবার এই হালুয়া উৎসবের আয়োজন করা হয় নর্থ ব্লকে। সেখানে হাজির ছিলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন, অর্থ প্রতিমন্ত্রী পঙ্কজ চৌধুরি সমেত কেন্দ্রীয় সরকারের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। বাজেট পেশের আগে হালুয়া উৎসব এক ধরনের প্রতীকী পদক্ষেপ। যে সমস্ত উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা বাজেটের সঙ্গে যুক্ত, তাঁরাই এভাবে মিষ্টি হালুয়া প্রস্তুত করেন এবং সকলকে পরিবেশন করেন। বাজেটের তথ্য চূড়ান্তভাবে গোপন রাখতে এই সময়ে বাইরের সমস্ত যোগাযোগ থেকে বিচ্ছিন্ন থাকেন উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা।

    বাজেট (Budget 2025) পেশের ৯ থেকে ১০ দিন আগে পালিত হয় হালুয়া উৎসব

    রীতি অনুযায়ী, বাজেট পেশের ৯ থেকে ১০ দিন আগে পালিত হয় হালুয়া উৎসব। হালুয়া উৎসবের সম্পূর্ণে দায়িত্বে থাকেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। প্রতি বছরের মতোই চলতি বছরও পালন হল হালুয়া উৎসব। নয়াদিল্লির নর্থ ব্লক এলাকায় অর্থমন্ত্রীর বাসভবনের রান্নাঘরেই তৈরি হল হালুয়া। রান্নার কাজে সহযোগিতার হাত বাড়ালেন খোদ অর্থমন্ত্রী নিজেও। তারপরেই এই হালুয়া পরিবেশন করা হল বাজেট কমিটির বাকি সদস্যদের মধ্যে।

    কেন পালন হয় এই উৎসব?

    বছর বছর ধরে বাজেট পেশের একদম শেষ পর্বের ঐতিহ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে এই উৎসব। হালুয়া উৎসবের দিনক্ষণ ঠিক হয়ে যাওয়া মানেই বুঝে নিতে হয় তৈরি হয়ে গিয়েছে বাজেট। এবার শুধু অপেক্ষা প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন এবং বাজেট নথির মুদ্রণ। তবে মনে রাখতে হবে শুধুই বাজেটের অন্তিম পর্বকে ইঙ্গিত দেয় না হালুয়া উৎসব। এর পাশাপাশি, বাজেট পেশের আগে ‘লক-ইন’ পর্বের সূচনাও হয় এই হালুয়া উৎসবের সঙ্গেই। হালুয়া উৎসবের পরেই একেবারে নিভৃতবাসে থাকতে হয় বাজেট কমিটির সদস্যদের। বাজেটের মধ্যে থাকা তথ্য যাতে কোনওভাবেই ফাঁস না হয়, তাই এই গোপনীয়তা ও নিরাপত্তা বজায় রাখা হয়।

    হালুয়া উৎসব কবে থেকে চালু হল

    স্বাধীনতার কয়েক দশক পর থেকে বাজেটের অন্যতম অঙ্গ হয়ে ওঠে হালুয়া উৎসব। ১৯৫০ সালেই বাজেটে থাকা তথ্য ফাঁস হয়ে যায়। বাজেট লিক-কাণ্ডের পর থেকেই বাজেটের মধ্যে থাকা তথ্যের গোপনীয়তা বজায় রাখতে এই উৎসবের সূচনা করা হয় বলে মনে করেন অনেকে। ১৯৫০ সালের  বাজেট লিক-কাণ্ডের পর বাজেটের নিরাপত্তার দিকে নজর দেয় কেন্দ্রীয় সরকার। তখন অবশ্য হালুয়া উৎসবের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। এর ঠিক তিন দশক পর ১৯৮০ সালে হালুয়া উৎসবের মাধ্যমে লক-ইন পর্বের সূচনা করে তৎকালীন কেন্দ্রীয় সরকার। আর সেই তখন থেকেই বছর বছর ধরে পালন হচ্ছে এই রীতি।

    লক-ইন সময়কাল

    হালুয়া অনুষ্ঠান আসলে বাজেট প্রস্তুতির চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছানো পর্যন্ত যে ধরনের কঠিন পরিশ্রম করেন কর্মীরা সেটিকেই স্বীকৃতি দেওয়া হয়। ওই বাজেট প্রস্তুতিতে যুক্ত সকলের অবদানকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়, সম্মান জানানো হয়। একই সঙ্গে সেই বাজেটের নথি যাতে কোনওভাবে ফাঁস না হয়ে যায় সেজন্য তাঁরা চূড়ান্ত গোপনীয়তাও বজায় রাখেন। এই সময়কালকে লক-ইন সময়কাল বলা হয়। অর্থ মন্ত্রকের কর্মীরা এ সময় নর্থ ব্লকের মধ্যেই থাকেন এবং বহির্জগতের থেকে তাঁরা সম্পূর্ণভাবে বিচ্ছিন্ন থাকেন। বাজেটের তথ্য ফাঁস রোধ করার জন্য বেশ কয়েকটি ব্যবস্থাও নেওয়া হয় এবং কোনও রকমের ইলেকট্রনিক ডিভাইস অথবা মোবাইল ফোনও তাঁরা ব্যবহার করতে পারেন না। এখন প্রশ্ন হচ্ছে লক-ইন সময়কাল কতক্ষণ পর্যন্ত স্থায়ী হবে? বাজেটের নথিগুলি প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে যতক্ষণ না পর্যন্ত চূড়ান্ত অনুমোদন পাচ্ছে এবং সেগুলি প্রিন্টিং বা মুদ্রণের জন্য প্রস্তুত না হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত এই লক-ইন সময়কালকে স্থায়ী ধরা হবে।

    বাজেট নথিগুলি কোথায় মুদ্রণ করা হয়?

    বাজেট নথিগুলি কোথায় মুদ্রণ করা হয়? জানা যায়, নর্থ ব্লকেরই বেসমেন্টে একটি স্থান রয়েছে সেখানেই ব্যাপক নিরাপত্তার বন্দোবস্ত থাকে। ওই জায়গাতেই এই নথিগুলিকে মুদ্রণ করা হয়। প্রক্রিয়াটি এতটাই গোপনীয় রাখতে হয় যে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা এই পুরো প্রক্রিয়াটিকে পরিচালনা করেন। যদিও, বর্তমানে মুদ্রণের বিষয়টি প্রতীকী পর্যায়ে রয়েছে। ২০১৪ সালে প্রথমবার ক্ষমতায় আসে মোদি সরকার। ওই বছরেই ভারতের বাজেট পদ্ধতিতে বেশ কিছু পরিবর্তন করা হয়। যেমন রেল বাজেটকে মূল বাজেটের সঙ্গে সংযুক্ত করা হয় এবং বাজেট উপস্থাপনার তারিখ প্রতিবছর ১ ফেব্রুয়ারি এগিয়ে আনা হয়। একইসঙ্গে, মোদি জমানাতেই কাগজের পরিবর্তে ই-বাজেট অনুমোদিত হয়। ফলে, এখন আর কাগজে মুদ্রিত নয়, ট্যাবের মাধ্যমে সকলের কাছে পৌঁছে যায় এই বাজেটের বৈদ্যুতিন সংস্করণ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • NITI Aayog Panel: ১৭৯টি সম্প্রদায়কে এসসি, এসটি এবং ওবিসি তালিকায় অন্তর্ভুক্তির সুপারিশ নীতি আয়োগের

    NITI Aayog Panel: ১৭৯টি সম্প্রদায়কে এসসি, এসটি এবং ওবিসি তালিকায় অন্তর্ভুক্তির সুপারিশ নীতি আয়োগের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নীতি আয়োগ প্যানেলের সিদ্ধান্তে উপকৃত হতে চলেছে দেশের ১৭৯টি সম্প্রদায়। সারা দেশে তিন বছর ধরে জাতিগত গবেষণা চালিয়ে ভারতে নথিভুক্ত, আধা-যাযাবর এবং যাযাবর ২৬৮টি আদিবাসী গোষ্ঠী প্রথমবার সংরক্ষণের আওতায় আসতে চলেছে। ভারত সরকারের নীতি আয়োগ প্যানেলের পক্ষ থেকে এই গবেষণা চালানো হয়। এই গবেষণায় ভারতীয় সংরক্ষণ নীতির আওতায় অনেক অনুন্নত জাতিগোষ্ঠীর প্রতি মনোযোগ আকর্ষণ করা হয়েছে।

    নয়া গবেষণার ফল

    নয়া গবেষণায়, নীতি আয়োগ প্যানেল ১৭৯টি সম্প্রদায়কে কেন্দ্রীয় সরকারের এসসি, এসটি, এবং ওবিসি তালিকায় অন্তর্ভুক্তির সুপারিশ করেছে। বিশেষভাবে, ৮৫টি নতুন সম্প্রদায়ের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে ৪৬টি সম্প্রদায়কে ওবিসি, ২৯টি এসসি, এবং ১০টি এসটি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব রয়েছে। সবচেয়ে বেশি নতুন অন্তর্ভুক্তি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশে, যেখানে ১৯টি সম্প্রদায়ের নাম যুক্ত হয়েছে, এর পরই রয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশ, তামিলনাড়ু, মধ্যপ্রদেশ এবং রাজস্থান। প্রতিটি রাজ্যে আটটি করে সম্প্রদায়ের নাম সুপারিশ করা হয়েছে। নতুন অন্তর্ভুক্তির পাশাপাশি, এই গবেষণায় বর্তমান শ্রেণিবিন্যাসে অসঙ্গতিগুলিও চিহ্নিত করা হয়েছে। নয়টি সম্প্রদায়কে পুনরায় শ্রেণিবদ্ধ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, এবং অনেক সম্প্রদায়কে আংশিকভাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যেখানে তারা শুধুমাত্র নির্দিষ্ট রাজ্য বা কেন্দ্রীয় রেকর্ডে অন্তর্ভুক্ত। উল্লেখযোগ্যভাবে, ৬৩টি সম্প্রদায়, বা ২০ শতাংশের বেশি, “অনুসন্ধানে অনুপস্থিত” হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে, সম্ভবত তারা বৃহত্তর গোষ্ঠীতে মিশে গিয়েছে, নাম পরিবর্তন করেছে অথবা অন্য অঞ্চলে স্থানান্তরিত হয়েছে।

    গবেষণার প্রভাব

    এই জাতিগত গবেষণাটি ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে শুরু হয়েছিল। ওড়িশা, গুজরাট এবং অরুণাচল প্রদেশের আদিবাসী গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলির সহযোগিতায় এই গবেষণা চালানো হয়েছে। ২০২২ সালের অগাস্টে এই গবেষণার প্রাথমিক কাজ শেষ হয়। তবে এখনও অনেক সম্প্রদায়ই নীতি আয়োগ প্যানেলের পর্যবেক্ষণে রয়েছে। সমাজকল্যাণ মন্ত্রক এখনও অনেক সম্প্রদায়েরই সুপারিশ চূড়ান্ত করেনি। যখন জাতিগত ভিত্তিতে সংরক্ষণের বিতর্কগুলো তীব্র হচ্ছে, তখন এই গবেষণার প্রভাব গভীর। কারণ সামগ্রিক আদমশুমারি ছাড়া এই পরিবর্তনগুলি বাস্তবায়িত হচ্ছে। এই গবেষণার ফলস্বরূপ, এসসি, এসটি, এবং ওবিসি সম্প্রদায়ের সংখ্যা বেড়ে যেতে পারে। যা বর্তমানে চলমান কোটা নীতি পর্যালোচনার আহ্বানকেও শক্তিশালী করবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • India-China Relationship: ডোভালের পর চিন সফরে বিক্রম মিস্রি, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে আলোচনায় বিদেশ সচিব

    India-China Relationship: ডোভালের পর চিন সফরে বিক্রম মিস্রি, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে আলোচনায় বিদেশ সচিব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সীমান্তে শান্তি ও সুস্থিতি বজায় রাখতে দুই দিনের চিন সফরে যাচ্ছেন ভারতের (India-China Relationship) বিদেশসচিব বিক্রম মিস্রি। আগামী ২৬ জানুয়ারি চিনে যাবেন বিক্রম। দু’দিনের সফরে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করবেন তিনি। কূটনৈতিক মহলের একাংশের মতে, ভারতের বিদেশসচিবের চিন সফর খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক-সহ একাধিক দিক থেকে দুই দেশের সম্পর্ক মজবুতির চেষ্টায় আলোচনা হতে পারে। 

    কেন এই সফর তাৎপর্যপূর্ণ (India-China Relationship)

    ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয়বার প্রেসিডেন্টের কুর্সিতে বসার প্রথম দিনেই ওয়াশিংটনে কোয়াডের বৈঠক করেন। ওই বৈঠক শেষে যৌথ সাংবাদিক বৈঠক (India-China Relationship) থেকে নাম না করে চিনকে বার্তা দেওয়া হয়। জানানো হয় যে, কেউ যদি ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের স্বাভাবিক অবস্থার বিঘ্ন ঘটায়, তবে তা বরদাস্ত করা হবে না। ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ওই বৈঠকের পর জানিয়ে দেন যে, বর্তমান কঠিন পরিস্থিতিতে বিশ্বের ভালর জন্য কাজ করবে কোয়াড। তিনি জানান, ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বে যথেষ্ট আগ্রহী আমেরিকার নতুন সরকার। যদিও আমেরিকার সঙ্গে বন্ধুত্ব মানেই বেজিংয়ের সঙ্গে সংঘাত জিইয়ে রাখা নয়। মিস্রির সফরে চিনকে সেই বার্তাই দিতে আগ্রহী দিল্লি। 

    ঐক্যমতে পৌঁছনোই লক্ষ্য

    মাসখানেক আগেই চিন সফরে গিয়েছিলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। চিনের বিদেশমন্ত্রী (India-China Relationship) তথা বৈদেশিক নীতি সংক্রান্ত কমিশনের প্রধান ওয়াং ইর সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। সীমান্তে শান্তি ও সুস্থিতি বজায় রাখতে এবং সীমান্ত ব্যবস্থাপনা কার্যকর করার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা হয়। সেই আবহে ভারতের বিদেশসচিব বিক্রমের চিন সফর নিয়ে কৌতূহল নানা মহলে। সীমান্ত-সহ নানা বিষয় নিয়ে ভারত-চিনের বিরোধ বহু দিনের। ২০২০ সালের পর থেকে বিরোধ চরমে ওঠে। ২০২০ সালের এপ্রিল থেকে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে পূর্ব লাদাখের বিভিন্ন এলাকায় অনুপ্রবেশের অভিযোগ উঠেছিল চিনা ফৌজের বিরুদ্ধে। সম্প্রতি বেশ কিছু অঞ্চল থেকে সেনা প্রত্যাহারে ঐক্যমত হলেও ডেপসাং ও ডেমচক নিয়ে উদ্বেগ এখনও পুরোপুরি কাটেনি। এর মাঝেই বিদেশ সচিবের বেজিং সফরকে  মোদি সরকার আসলে সমতা বিধানের রাস্তা হিসাবেই দেখতে চাইছে।

    ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতি চায় বেজিং

    মিস্রি চিনের উপ-বিদেশমন্ত্রী সান ওয়েডংয়ের সঙ্গে আলোচনা (India-China Relationship) করবেন বলে আশা করা হচ্ছে, যিনি এলএসি নিয়ে অচলাবস্থার শুরুতে ভারতের রাষ্ট্রদূত ছিলেন। এশিয়ার প্রতিবেশীদের সঙ্গে চিনের সম্পর্কের দায়িত্বে রয়েছেন সান। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গিয়েছে, সাম্প্রতিক আলোচনায় চিনা পক্ষ ভিসা বিধিনিষেধ শিথিল করা এবং সরাসরি বিমান চলাচল পুনরায় শুরু করার জন্য চাপ দিচ্ছে, তবে ভারতীয় পক্ষ জাতীয় সুরক্ষার উদ্বেগকে প্রধান ইস্যু হিসেবে বিবেচনা করে প্রক্রিয়াটির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। ভিসা ও ফ্লাইটের উপর চিনের চাপ মূলত বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্ককে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে, বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ইয়ের মতো শীর্ষ চিনা নেতারা ক্রমাগত সীমান্ত ইস্যুটিকে সামগ্রিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে তার ‘উপযুক্ত স্থানে’ রাখার আহ্বান জানিয়েছেন। এছাড়াও দুই দেশে সাংবাদিকদের পারস্পরিক পোস্টিংও চায় চিন। তবে, ভারত সীমান্ত সমস্যা নিষ্পত্তির জন্য একটি ‘পারস্পরিক গ্রহণযোগ্য কাঠামোর’ উপর জোর দিয়েছে। উভয় পক্ষ কৈলাস মানস সরোবর যাত্রা পুনরায় শুরু করা, আন্তঃসীমান্ত নদী এবং সীমান্ত বাণিজ্যের তথ্য বিনিময়ের মতো আন্তঃসীমান্ত সহযোগিতার উপরও জোর দিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Waqf Bill: ওয়াকফ বিল আলোচনায় জেপিসি বৈঠকে তুমুল বিশৃঙ্খলা, সাসপেন্ড কল্যাণ সহ ১০ সাংসদ

    Waqf Bill: ওয়াকফ বিল আলোচনায় জেপিসি বৈঠকে তুমুল বিশৃঙ্খলা, সাসপেন্ড কল্যাণ সহ ১০ সাংসদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওয়াকফ বিল (Waqf Bill) সংক্রান্ত আলোচনায় যৌথ সংসদীয় কমিটির বৈঠকে তুমুল বিশৃঙ্খলা। এখানেই সাসপেন্ড করা হল তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে। জানা গিয়েছে, একইসঙ্গে আরও ৯ জন বিরোধী সাংসদকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, জেপিসির বৈঠক ও জেপিসির (Waqf Bill) কাজ নিয়ে অযৌক্তিক বিরোধিতা শুরু করেন ওই দশজন বিরোধী সাংসদ। এরপরেই শুরু হয় বাদানুবাদ, তারপরেই কল্যাণ সহ ১০ জন বিরোধী সাংসদকে সাসপেন্ড করা হয়। পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত হয়ে গিয়েছিল যে, মার্শাল পর্যন্ত ডাকতে হয়। প্রসঙ্গত, ওয়াকফ বিল নিয়ে গত অক্টোবরেও যৌথ সংসদীয় কমিটির বৈঠকে তুমুল অশান্তি হয়। নিজের হাতে কাচের বোতল ভেঙে জখম হন কল্যাণ। বৈঠকে ‘অসংসদীয় ভাষা’ প্রয়োগের জন্য সেসময় কল্যাণকে এক দিনের জন্য সাসপেন্ড করা হয়।

    কী বললেন নিশিকান্ত দুবে?

    এনিয়ে বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবের অভিযোগ, ‘‘ইচ্ছাকৃত ভাবে গন্ডগোল করার চেষ্টা করছেন বিরোধীরা (Waqf Bill)। এই বিরোধীরা বেশির ভাগ সদস্যের উপর হাঙ্গামা করতে চান। যখনই আমি বলার জন্য মাইক হাতে নিয়েছি, তখনই বিরোধীরা আমায় বাধা দিয়েছেন। এর পর চেয়ারম্যান ওই সাংসদদের সাসপেন্ড করেছেন।’’ জানা গিয়েছে, এর পরের বৈঠক ২৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। তারপরেই চূড়ান্তভাবে রিপোর্ট জমা দেওয়া হবে। প্রসঙ্গত, গত ৮ অগাস্ট লোকসভায় ওয়াকফ সংশোধনী বিল পেশ করেছিলেন কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু মন্ত্রী কিরেণ রিজিজু।

    কল্যাণকে তোপ বিজেপি নেতার 

    এদিনের ঘটনা প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘কোন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, যিনি গতবার সংসদীয় বৈঠকে (JPC Meeting) কাচের বোতল ভেঙেছিলেন? যার বোতল ভাঙার অভ্যাস রয়েছে, তিনি কী ভাষা চেয়ারম্যানের সঙ্গে প্রয়োগ করতে পারেন বুঝুন। চেয়ারম্যান সংসদীয় নিয়ম মেনেই কাজ করছেন। বিরোধীদের যা কিছু বলার, শিষ্ঠাচার মেনে বলতে পারতেন। স্টেকহোল্ডারদের কথা শোনার জন্য কমিটির মেয়াদও বাড়ানো হয়েছে। উনি দুধেল গাইদের দেখছেন। আমরা সনাতনী হিন্দুদের দেখছি।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ballistic Missile Pralay: চিন সীমান্তে ভারতের ‘প্রলয়’! প্রজাতন্ত্র দিবসে প্রথমবার প্রদর্শিত হবে এই মারণ ক্ষেপণাস্ত্র

    Ballistic Missile Pralay: চিন সীমান্তে ভারতের ‘প্রলয়’! প্রজাতন্ত্র দিবসে প্রথমবার প্রদর্শিত হবে এই মারণ ক্ষেপণাস্ত্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আত্মনির্ভর ভারতের নতুন নতুন উদাহরণ প্রতিবছর প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে পেশ করে কেন্দ্র। এবারের কুচকাওয়াজেও সেই রেওয়াজে কোনও বিচ্যুতি নেই। ২০২৫ সালের কুচকাওয়াজের আকর্ষণ হতে চলেছে ‘প্রলয়’। প্রথমবার কর্তব্য পথ দিয়ে যেতে দেখা যাবে পারাণবিক অস্ত্রবহণে সক্ষম এই ক্ষেপণাস্ত্রকে। চিনা আক্রমণ ঠেকাতে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় (এলএসি) মোতায়েন হালকা ‘ট্যাকটিকাল’ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ‘প্রলয়’ (Ballistic Missile Pralay) দিল্লির কর্তব্যপথে প্রথমবার চাক্ষুষ করবেন দেশবাসী। ২০১৯ সালের অগাস্টে ওড়িশার চাঁদিপুর উপকূলে ‘প্রলয়ের’ চূড়ান্ত দফার পরীক্ষা হয়েছিল। তার পরেই স্বল্প পাল্লার এই ব্যালিস্টিক ‘ভূমি থেকে ভূমি’ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রটি ভারতীয় সেনায় অন্তর্ভুক্ত হয়। 

    প্রলয়ের কাজ (Ballistic Missile Pralay) 

    ২০২০ সালে পূর্ব লাদাখে চিনা ফৌজের আগ্রাসন এবং গালওয়ান উপত্যকায় (Ballistic Missile Pralay) রক্তাক্ত সংঘর্ষের পরে এলএসিতে ‘প্রলয়’ মোতায়েন করে ভারতীয় সেনা। ভারতীয় প্রতিরক্ষা গবেষণা এবং উন্নয়ন সংস্থা ডিআরডিও-র বিজ্ঞানীদের তৈরি কঠিন জ্বালানি চালিত এই ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লা ২০০ থেকে ৫০০ কিলোমিটার। ডিআরডিওর তৈরি ‘ভূমি থেকে ভূমি’ ক্রুজ় ক্ষেপণাস্ত্র পৃথ্বীর আদলে তৈরি ‘প্রলয়’ তুলনায় হালকা। ফলে উঁচু পার্বত্য এলাকায় ব্যবহার করা অনেক সহজ। তা ছাড়া পরমাণু অস্ত্র বহনের উপযোগী উন্নত প্রযুক্তির এই ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র মাঝ আকাশে গতিপথ বদলাতে সক্ষম। ফলে শত্রুপক্ষের ইন্টারসেপ্টর ক্ষেপণাস্ত্রকে এড়িয়ে নির্দিষ্ট লক্ষ্যে আঘাত হানতে পারে ‘প্রলয়’।

    ভয় পাবে শত্রুরা

    এটি ১২০০ কিমি/ঘণ্টা গতিতে শত্রুর ঘাঁটি লক্ষ্য করে আঘাত করতে সক্ষম, যা প্রয়োজন (Ballistic Missile Pralay) অনুযায়ী ২০০০ কিমি/ঘণ্টা পর্যন্ত বৃদ্ধি করা সম্ভব। এর মানে, শত্রুর লক্ষ্য করে আঘাত করতে সক্ষম, যা প্রয়োজন অনুযায়ী ২০০০ কিমি/ঘণ্টা পর্যন্ত বৃদ্ধি করা সম্ভব। এর মানে, শত্রুর লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করার সময় এই ক্ষেপণাস্ত্রের গতিবেগ ব্যাপকভাবে বেড়ে যায়, যা এটিকে অত্যন্ত কার্যকরী এবং বিধ্বংসী করে তোলে। ৫ টন ওজনের এই মিসাইল প্রায় ৫০০-১০০০ কেজি ওজনের বিস্ফোরক নিয়ে গন্তব্যে পৌঁছতে পারে, যা লক্ষ্যবস্তুতে সুনির্দিষ্টভাবে আঘাত করে। সীমান্তের কাছাকাছি থেকে নিক্ষেপ করলে চিন ও পাকিস্তানের ঘাঁটিগুলো মুহূর্তের মধ্যে ধ্বংস হবে। শত্রুদের বাঙ্কার, কামান, এবং সামরিক ডিপো সহজেই ধ্বংস করতে সক্ষম হবে প্রলয় মিসাইল। বিশেষত, চিন এবং পাকিস্তানের মতো দেশগুলোর বিপক্ষে এই মিসাইল ব্যবহারে বড় ধরনের সুবিধা পাওয়া যাবে। পাকিস্তানের গজনভি, এম-১১ এবং শাহীন মিসাইলের বিপরীতে প্রলয় আরও শক্তিশালী এবং কার্যকর প্রমাণিত হবে। 

    প্রজাতন্ত্র দিবসে প্রদর্শন

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রের খবর, এ বারের প্রজাতন্ত্র দিবসের (Ballistic Missile Pralay) কুচকাওয়াজে রাশিয়ার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে প্রলয় ছাড়াও দেশে তৈরি সুপারসনিক (শব্দের চেয়ে বেশি গতিবেগসম্পন্ন) ক্রুজ় ক্ষেপণাস্ত্র ‘ব্রহ্মস’ প্রদর্শিত হবে। সেই সঙ্গে থাকবে, সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে ডিআরডিও এবং ভারত ডায়নামিক্স লিমিটেড (বিডিএল)-এর তৈরি স্বল্পপাল্লার ‘ভূমি থেকে আকাশ’ ক্ষেপণাস্ত্র আকাশ এবং ট্যাঙ্ক বিধ্বংসী গাইডেড ক্ষেপণাস্ত্র ‘নাগ’ এবং মাল্টি ব্যারেল রকেট সিস্টেম ‘পিনাকা’র নতুন সংস্করণ। গত দু’বছরের মতোই এ বারও প্রজাতন্ত্র দিবসে ব্রিটিশ ২৫ পাউন্ডারের বদলে দেশে তৈরি ১০৫ মিলিমিটার কামান থেকে আনুষ্ঠানিক ‘২১ তোপধ্বনি’ করা হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  •  NHM: ‘‘জাতীয় স্বাস্থ্য মিশন আরও পাঁচ বছর চলবে’’, ঘোষণা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গোয়েলের

     NHM: ‘‘জাতীয় স্বাস্থ্য মিশন আরও পাঁচ বছর চলবে’’, ঘোষণা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গোয়েলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জাতীয় স্বাস্থ্য মিশন (NHM) আরও পাঁচ বছর চলবে। এমনটাই জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল বলেছেন, ‘‘জাতীয় স্বাস্থ্য মিশন আরও পাঁচ বছর চলবে।’’ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল জানিয়েছেন, গত দশ বছরে এই মিশন স্বাস্থ্যখাতে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য অর্জন করেছে। ২০২১ এবং ২০২২ সালের মধ্যে প্রায় ১২ লক্ষ কর্মী জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনে যোগ দিয়েছেন। ভারত এই মিশনের মাধ্যমে কোভিড-১৯ অতিমারির বিরুদ্ধে লড়াই করেছে।

    পর্যালোচনা বৈঠক (NHM)

    বুধবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার (NHM) বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে বিগত তিন বছরে জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের অগ্রগতি সম্পর্কে এক পর্যালোচনা করা হয়। প্রসঙ্গত, জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের বিষয়ে এই বৈঠক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। কারণ করোনা পরিস্থিতির পরে সারা দেশের স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর কতটা অগ্রগতি হয়েছে এবং কতটা টেকসই হয়েছে, সেই সমস্ত বিষয় নিয়ে এখানে আলোচনা করা হয়। একইভাবে এই বৈঠকেই জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনকে আরও পাঁচ বছর কাজ চালানোর জন্য অনুমোদন দেয় কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা (Modi Cabinet)। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার ওই বৈঠকের পরে সংবাদমাধ্যমকে জানানো হয়েছে, আগামী ২০৩০ সালের সময়সীমার অনেক আগেই স্বাস্থ্যক্ষেত্রে ভারত তার লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে চলেছে।

    কী জানালেন পীযূষ গোয়েল

    মন্ত্রিসভার বৈঠকের পরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ কোয়েল সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের (NHM) অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নয়নে ও মানবসম্পদ সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে। যে কোনও গুরুত্বপূর্ণ সময়ে স্বাস্থ্যক্ষেত্রে জরুরি অবস্থার মোকাবিলা, এই সমস্ত কিছুতেই নিরলস প্রচেষ্টার মাধ্যমে ভারতের জনস্বাস্থ্য পরিকাঠামোকে এক উন্নত জায়গায় নিয়ে যেতে পেরেছে জাতীয় স্বাস্থ্য মিশন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সামনে যে রিপোর্ট পেশ করা হয় সেখানে দেখা যায় যে জাতীয় স্বাস্থ্য মিশন মাতৃ ও শিশু স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে, জনগণের রোগ নির্মূলের ক্ষেত্র, স্বাস্থ্য পরিষেবা পরিকাঠামোসহ একাধিক ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে। জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের এমন সাফল্যকে সিলমোহর দিয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা।

    রিপোর্ট পেশ করা হয় মোদির সামনে 

    ২০২০, ২০২১, ২০২২ বছরগুলিতে ভারতবর্ষে করোনা অতিমারী ব্যাপক আঘাত হানে। এই সময়তে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে জাতীয় স্বাস্থ্য মিশন। পরবর্তীকালে, করোনা টিকা আবিষ্কার হওয়ার পরে দেশের প্রত্যেক নাগরিককে বিনামূল্যে টিকাকরণের কাজও করে তারা। এর ফলে সারা দেশে সহজলভ্য হয়েছে সরকারি চিকিৎসা ব্যবস্থা। এর ফলেই স্বাস্থ্য ক্ষেত্রের গুণগত মান বেড়েছে। উন্নত হয়েছে দেশের স্বাস্থ্যপরিসেবা এবং এর প্রতিটা ক্ষেত্রে অগ্রগণ্য ভূমিকা পালন করেছে জাতীয় স্বাস্থ্য মিশন (NHM)। বুধবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সভাপতিত্বে এবং সেখানেই জাতীয় স্বাস্থ্যসেবা কর্মসূচির বিভিন্ন বছরের যে অগ্রগতির রিপোর্ট সেটি পেশ করা হয়, প্রধানমন্ত্রীর সামনে। এগুলি ছিল ২০২১-২২, ২০২২-২৩ এবং ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের রিপোর্ট এবং প্রতিটিতেই উল্লেখযোগ্যভাবে অগ্রগতি দেখা যায় জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের।

    ২০২১-২২ সালে জাতীয় স্বাস্থ্য মিশন ২ লাখ ৬৯ হাজার অতিরিক্ত স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগ করে

    ওই রিপোর্টগুলিতে দেখা যাচ্ছে যে বিগত বছরগুলিতে মাতৃ মৃত্যুর হার, শিশু মৃত্যুর হার, পাঁচ বছরের কম বয়সি শিশুদের মৃত্যুহার ভালোই কমেছে। এর পাশাপাশি যক্ষ্মা, ম্যালেরিয়া, কালাজ্বর, ডেঙ্গি, কুষ্ঠ, হেপাটাইটিসের মতো বিভিন্ন রোগগুলিও নির্মূলও করা গিয়েছে। এই সবক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেছে জাতীয় স্বাস্থ্য মিশন (NHM)। এক্ষেত্রে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে পেরেছে তারা। একইসঙ্গে অ্যানিমিয়া নির্মূল মিশনের মতো নতুন উদ্যোগ সম্পর্কেও কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভাকে অবহিত করা হয়। প্রসঙ্গত, ২০২১-২২ সালে জাতীয় স্বাস্থ্য মিশন ২ লাখ ৬৯ হাজার অতিরিক্ত স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগ করে, যার মধ্যে ছিল মেডিক্যাল অফিসার, বিশেষজ্ঞ, নার্স, আয়ুষ ডাক্তার।

    ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৪ লাখ ২১ হাজার অতিরিক্ত স্বাস্থ্যসেবা সংক্রান্ত কর্মী নিয়োগ করা হয়

    ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে দেখা যাচ্ছে ৪ লাখ ২১ হাজার অতিরিক্ত স্বাস্থ্যসেবা সংক্রান্ত কর্মী নিয়োগ করা হয়। ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে এই সংখ্যা দাঁড়ায় ৫.২৩ লক্ষে। প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের জানুয়ারি মাস থেকে ২০২৪ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত ২২০ কোটিরও বেশি কোভিড ১৯ টিকা ডোজ পরিচালনার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে জাতীয় স্বাস্থ্য মিশন। ২০১৪ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত প্রতি এক লক্ষ জীবিত শিশু জন্ম দেওয়ার ক্ষেত্রে মাতৃমৃত্যুর হার ছিল ১৩০। ২০১৮ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত সেই হার দাঁড়িয়েছে ৯৭ শতাংশে। 

    রোগ নির্মূল করার দিক থেকেও গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য

    রোগ নির্মূল করার দিক থেকেও গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য পেয়েছে জাতীয় স্বাস্থ্য মিশন। ২০১৫ সালে প্রতি এক লাখ জনসংখ্যায় যক্ষ্মা রোগী ছিল ২৩৭। ২০২৩ সালে তা কমে এসেছে ১৯৫ তে। একই সময়ে প্রতি ১ লাখে যক্ষা রোগের মৃত্যু হত আঠাশ জনের তা বর্তমান সময়ে কমে দাঁড়িয়েছে বাইশে। ম্যালেরিয়ার ক্ষেত্রেও পরিসংখ্যান বেশ ভালোই দেখা যাচ্ছে এবং আগের থেকে মৃত্যুহার অনেক কমেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • S Jaishankar: আমেরিকার ভিসা পেতে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়, ওয়াশিংটনে ক্ষোভ জয়শঙ্করের

    S Jaishankar: আমেরিকার ভিসা পেতে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়, ওয়াশিংটনে ক্ষোভ জয়শঙ্করের

     মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যাঁরা বৈধ উপায়ে আমেরিকায় যান, তাঁদের ভিসা পেতে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা (US Visa Delay) করতে হয়। ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় এই সমস্যার কথা তুলে ধরলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। পরে ভারতীয় দূতাবাস থেকে তিনি বলেন, “যদি সাধারণ নাগরিকদের ভিসা পেতে এতদিন সময় লেগে যায়, তাহলে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ঠিকভাবে পালিত হয় না। ভিসায় এই দেরির কারণে ব্যবসায়, পর্যটনে প্রভাব পড়ে। আমাদের সম্পর্কের ভিত্তি হল মানুষের সঙ্গে মানুষের যোগাযোগ। ভিসায় দেরি হলে এই প্রক্রিয়া সীমিত হয়।”

    বিদেশমন্ত্রী কী বললেন? (S Jaishankar)

    অভিবাসন প্রসঙ্গে বিদেশমন্ত্রী বলেন, “অভিবাসনের ক্ষেত্রে আমাদের একটি নীতিগত অবস্থান রয়েছে, যা প্রতিটি দেশের জন্যই প্রযোজ্য। আমরা বৈধ অভিবাসনে সব সময় সমর্থন করি। আমরা বিশ্বাস করি বৈশ্বিক কর্মস্থলে। আমরা চাই, ভারতীয়দের প্রতিভা ও দক্ষতা বিশ্বে সর্বোৎকৃষ্ট সুযোগ পাক।” ভারত যে অবৈধ অভিবাসন সমর্থন করে না, এদিন তাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী। বলেন, “আমরা অবৈধ যাতায়াত এবং অভিবাসনের তীব্র বিরোধিতা করি। কারণ যখনই কোনও একটি অবৈধ ঘটনা ঘটে, তার সঙ্গে আরও অনেক অবৈধ কার্যকলাপ জুড়ে যায়। এটি দেশের সুনামের দিক থেকে কখনওই ভালো নয়।”

    ব্লুমবার্গের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আমেরিকায় বসবাসকারী প্রায় ১৮ হাজার অবৈধ ভারতীয় অভিবাসীকে চিহ্নিত করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। তাঁদের ভারতে ফেরত পাঠাতে চায় আমেরিকা (S Jaishankar)। (যদিও, ট্রাম্প প্রশাসনের সেই নির্দেশে আপাতত স্থগিতাদেশ জারি করেছে সেদেশের আদালত।) বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়ালও জানান, অবৈধ অভিবাসীদের চিহ্নিত করতে নয়াদিল্লির সহযোগিতা নিচ্ছে ওয়াশিংটন। জয়শঙ্কর বলেন, “যদি কোনও দেশে অবৈধ ভারতীয় অভিবাসী থাকেন এবং যদি দিল্লি নিশ্চিত হয় যে তিনি ভারতীয় নাগরিক, তাহলে তাঁকে ভারতে ফেরাতে কেন্দ্র সব সময় প্রস্তুত।” তিনি বলেন, “এটি কেবল আমেরিকার জন্য নয়, সব দেশের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। এর ফলে বৈধ উপায়ে সংশ্লিষ্ট দেশে ভারতীয়দের (US Visa Delay) যাতায়াত আরও সহজ হবে।” তিনি বলেন, “তবে ওঁরা ভারতীয় নাগরিক কিনা, তা যাচাই করে দেখতে হবে (S Jaishankar)।” 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Uttarakhand: ‘এক দেশ এক আইন’, ২৬ জানুয়ারি উত্তরাখণ্ডে চালু হচ্ছে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি, কী কী পরিবর্তন?

    Uttarakhand: ‘এক দেশ এক আইন’, ২৬ জানুয়ারি উত্তরাখণ্ডে চালু হচ্ছে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি, কী কী পরিবর্তন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী ২৬ জানুয়ারি সারাদেশে পালিত হবে প্রজাতন্ত্র দিবস। ওই দিনই এক ঐতিহাসিক পদক্ষেপ করতে চলেছে ভারতের একটি অঙ্গরাজ্য। উত্তরাখণ্ডে (Uttarakhand) ওই দিন থেকে চালু হতে চলেছে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি। প্রসঙ্গত, ভারতের প্রথম রাজ্য হতে চলেছে উত্তরাখণ্ড। যেখানে ইউনিফর্ম সিভিল কোড বাস্তবায়িত হতে চলেছে। তাই চলতি বছরের প্রজাতন্ত্র দিবস উত্তরাখণ্ডের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই দিনটি একটি মাইলস্টোন হিসেবে থেকে যাবে, সে রাজ্যের ইতিহাসে।

    ২০২২ সালে বিজেপির নির্বাচনী আশ্বাস ছিল ইউসিসি (Uttarakhand) 

    ২০২২ সালে বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় উত্তরাখণ্ডে (Uttarakhand)। সেখানে সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার তৈরি করে বিজেপি। নির্বাচনের পূর্বে গেরুয়া শিবির উত্তরাখণ্ডের জনগণকে আশ্বাস দিয়েছিল যে, ক্ষমতায় এলে সেখানে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালু করা হবে। এবার নিজেদের দেওয়া সেই আশ্বাসই পূরণ করতে চলেছে উত্তরাখণ্ডের বিজেপি সরকার। অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালু হলে, রাজ্যের সমস্ত নাগরিকদের জন্য একই আইন চালু হবে। এই অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালু হলে কী কী সুবিধা মিলবে এবং এর প্রভাবই বা কী? সে নিয়েই এই প্রতিবেদনে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হল।

    উত্তরাখণ্ডে (Uttarakhand) কী কী পরিবর্তন আনবে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি?

    ● অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালু হলে উত্তরাখণ্ডের সমস্ত ধর্মের জন্য যে ব্যক্তিগত আইন বা পার্সোনাল ‘ল’ গুলি রয়েছে, যেমন- বিবাহ, বিবাহ বিচ্ছেদ, উত্তরাধিকার আইন, দত্তক আইন, ভরণপোষণ সংক্রান্ত আইন- এই সমস্ত কিছুকেই সংস্কার করা হবে এবং ব্যক্তিগত আইনে বিভিন্ন ধর্মের মধ্যে যে বৈষম্য রয়েছে সেগুলিকেও নির্মূল করা হবে।

    ● উত্তরাখণ্ড সরকার সূত্রে জানা গিয়েছে, সমস্ত বিবাহ ও বিবাহ বিচ্ছেদ এবং একত্রবাস এই সমস্ত কিছুকে নিবন্ধন বা রেজিস্ট্রি করা হবে। তথ্য রাখা হবে একটি পোর্টালে। যে পোর্টালটি পরিচালনা করবে উত্তরাখণ্ড সরকার। এ সংক্রান্ত বিভিন্ন এলাকাভিত্তিক কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে।

    ● যদি কোনও পুরুষ-মহিলা একত্রবাস করতে চান, তাহলে সেক্ষেত্রে একত্রবাসের এক মাস আগে তা রেজিস্ট্রি করাতে হবে। যদি কেউ এই নিয়মকে লঙ্ঘন করেন, তাহলে তাঁদের তিন মাস পর্যন্ত কারাদণ্ড অথবা দশ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা হবে।

    ● উত্তরাখণ্ডের এই আইনের মাধ্যমে মহিলাদের সমান অধিকার প্রতিষ্ঠিত হতে চলেছে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

    ● প্রসঙ্গত, এই আইনের মাধ্যমেই উত্তরাখণ্ডের জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল মহিলা তাঁদের পৈতৃক সম্পত্তিতে সমান উত্তরাধিকার পাবেন।

    ● এই আইনের মাধ্যমে নিষিদ্ধ হবে বহুবিবাহ প্রথাও। একের বেশি বিয়ে কোনওভাবেই করা যাবে না। যদি তা কেউ করেন তবে তা আইনত দণ্ডনীয়  অপরাধ বলে বিবেচ্য হবে।

    ● এই আইনের মাধ্যমে একত্রবাসের ফলে যদি কোনও শিশু জন্ম নেয়, তাহলে ওই শিশুকে বৈধ বলেই বিবেচনা করা হবে এবং জন্ম নেওয়া শিশু সমানভাবে উত্তরাধিকার পাবে অর্থাৎ তার পৈতৃক সম্পত্তিতে সমান অধিকার পাবে।

    ● একত্রবাস যদি কেউ শেষ করতে চায়, তাহলে ওই একত্রবাসের সঙ্গী এবং সঙ্গিনীকেই সেটি রেজিস্ট্রি করে জানাতে হবে এবং আইনি স্বীকৃতি নিতে হবে। মনে করা হচ্ছে, এর ফলে লিভ-ইন সম্পর্কের ক্ষেত্রে নারীদের অধিকার সুরক্ষিত হবে।

    ● বহুবিবাহ এবং ইদ্দত এরফলে নিষিদ্ধ হতে চলেছে। প্রসঙ্গত, যে সমস্ত মুসলিম মহিলাদের তালাক দেওয়া হয়, তাঁদেরকে একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করানো হয়, এটাকেই বলা হয় ইদ্দত। এই সমস্ত কিছুই এবার বন্ধ হতে চলেছে ইউনিফর্ম সিভিল কোডের মাধ্যমে।

    আইনি প্রক্রিয়া হতে চলেছে সরল

    ● উত্তরাখণ্ডের নাগরিকরা (Uniform Civil Code) অভিন্ন দেওয়ানি বিধি কার্যকর হলেই, অনলাইনের মাধ্যমে নিজেদের উইল, যে কোনও আপিল বা অভিযোগ জানাতে পারবেন। সমস্ত আইনি প্রক্রিয়া সহজ করা হবে।

    ● গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকাগুলিতে পঞ্চায়েত কর্মীরাই সাব-রেজিস্টার হিসেবে কাজ করবেন। তাঁরাও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে চলেছেন অভিন্ন দেওয়ানি বিধির বাস্তবায়নে।

    ● বিভিন্ন নথি যাচাই করার জন্য আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর সাহায্য নেবে উত্তরাখণ্ড সরকার।

    ● একই সঙ্গে গড়ে তোলা হবে কমন সার্ভিস সেন্টার। জানা গিয়েছে, ঘরে ঘরে গিয়ে পরিষেবা প্রদান করবে সরকার।

    ● অভিন্ন দেওয়ানি বিধিকে রাজ্যজুড়ে ব্যাপকভাবে কার্যকর করতে দশ হাজার কর্মীকে প্রশিক্ষণ করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে উত্তরাখণ্ড সরকার।

    শীর্ষ আদালতের বিচারপতির নেতৃত্বে কমিটি গড়ে সরকার

    প্রসঙ্গত, ২০২২ সালে নির্বাচনে বিজেপি বিপুল জয় পেতেই শুরু হয় উত্তরাখণ্ডে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি (Uniform Civil Code) বাস্তবায়ন করার প্রস্তুতি। ২০২২ সালের বিধানসভা নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি অনুসারে, রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি রঞ্জনা প্রকাশ দেশাইয়ের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করে। এরপরে ২ লাখ ৫০ হাজারেরও বেশি স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা করে ওই কমিটি। ২০২৪ সালের অক্টোবর মাসে কমিটি ৪০০ পাতার একটি বিস্তারিত রিপোর্ট জমা দেয়। প্রসঙ্গত এ সংক্রান্ত প্রস্তাব বিধানসভাতে আগেই উত্থাপন করে বিজেপি।

    ২০২৪ সালে ১৩ মার্চ বিলে সই রাষ্ট্রপতির

    ২০২৪ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি উত্তরাখণ্ড বিধানসভায় উত্থাপন করা হয় ইউনিফর্ম সিভিল কোডের বিল। বিরোধীরা ব্যাপক বাধা সৃষ্টি করে। হইহট্টগোল শুরু করে। বিজেপি সরকারের সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে ঠিক তার পরের দিনই বিলটিকে পাস করানো হয়। ২০২৪ সালে ১৩ মার্চ ওই বিল রাষ্ট্রপতি সই করেন। তখন থেকেই এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ মাহিলফলক হিসেবে চিহ্নিত হয়। এর পরেই ইউসিসির বাস্তবায়নের জন্য জোর কদমে মাঠে নামে উত্তরাখণ্ডের বিজেপি সরকার। এবার ২০২৫ সালের প্রজাতন্ত্র দিবসে সে রাজ্যে বাস্তবায়িত হতে চলেছে ইউসিসি।

    চালু হতে পারে অন্যান্য বিজেপি শাসিত রাজ্যে

    প্রসঙ্গত, বিজেপি এই কারণে উত্তরাখণ্ডকে একটি মডেল রাজ্য হিসেবে সর্বত্র প্রচার চালাচ্ছে। কারণ ভারতবর্ষের প্রথম কোনও রাজ্যে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালু করতে পারল উত্তরাখণ্ড সরকার। বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা ইতিমধ্যেই ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করতে শুরু করেছেন। তাঁরা জানাচ্ছেন যে— অসম, মধ্যপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ সহ বেশ কয়েকটি বিজেপি শাসিত রাজ্যে চালু হতে চলেছে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি। অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মাও অভিন্ন দেওয়ানি বিধিকে খোলাখুলি ভাবে সমর্থন করেছেন। অন্যদিকে, ইউসিসির বাস্তবায়ন কেন গুরুত্বপূর্ণ!এ নিয়ে বিভিন্ন সময়ে মন্তব্য করেছেন উত্তরপ্রদেশের বিজেপি রাজ্য সভাপতি কেশবপ্রসাদ মৌর্য।

    লিঙ্গ বৈষম্য দূর হবে, প্রতিষ্ঠিত হবে নারী অধিকার

    বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা আরও জানিয়েছেন, বিভিন্ন রাজ্যগুলিতে যদি এভাবেই ইউসিসি বাস্তবায়িত হয়, তাহলে জাতীয় পর্যায়ে এর বাস্তবায়ন সম্ভব হয়ে উঠবে। অভিন্ন দেওয়ানি বিধি কেন গুরুত্বপূর্ণ, এ কথা যখন বিজেপি নেতারা বলছেন তখনই তাঁরা উত্তরাখণ্ডকে একটি মডেল হিসেবে তুলনা করছেন। বেশিরভাগ বিশেষজ্ঞই উত্তরাখণ্ডের অভিন্ন দেওয়ানি বিধির প্রশংসা করছেন। কারণ তাঁরা মনে করছেন যে এর ফলে লিঙ্গবৈষম্য দূর হয়। এর ফলে ন্যায়বিচার আরও সহজে আসে এবং জাতীয় ঐক্যের ভিত্তি প্রশস্ত হবে। অন্যদিকে, বেশ কিছু মৌলবাদী অভিন্ন দেওয়ানি বিধির প্রয়োগের খবর সামনে আসতেই রীতিমতো তেড়েফুঁড়ে উঠে পড়েছেন। কারণ তাঁদের মতে, এর ফলে বহুবিবাহ এবং বিবাহ বিচ্ছেদের ওপর ইউসিসি প্রভাব ফেলবে। কিন্তু এই সময় দেখা যাচ্ছে নারী অধিকার সংগঠন এবং মানবাধিকারের ওপর যে সমস্ত সংগঠন কাজ করে, সেগুলি ইউসিসির বিধানগুলিকে স্বাগত জানিয়েছে। কারণ, এর ফলে সমানভাবে উত্তরাধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে। বহুবিবাহ নিষিদ্ধ হবে এবং লিভ-ইন সম্পর্কে মহিলারা সুরক্ষিত থাকবেন।

    সমস্ত রাজ্যের নজর উত্তরাখণ্ডের ওপর 

    এখন দেখার গ্রামীণ এলাকাগুলিতে এই ইউসিসি কীভাবে কার্যকর হয়! যদিও উত্তরাখণ্ড (Uttarakhand) সরকার, রাজ্যের সমস্ত পঞ্চায়েতগুলিকেই ইউসিসি কার্যকর করার দায়িত্ব ইতিমধ্যে অর্পণ করেছে। অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালু করার প্রস্তুতি যখন উত্তরাখণ্ডজুড়ে চলছে, তখন ভারতের অন্যান্য অংশগুলিও এর ওপরে গভীরভাবে লক্ষ্য রাখছে। কারণ অভিন্ন দেওয়ানি বিধি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আইনি অধ্যায়। এই আইন সফল হবে নাকি ব্যর্থ! সেই ধারনাই গড়ে উঠবে আগামী ২৬ জানুয়ারির পর থেকে। উত্তরাখণ্ডে এই আইন শুধুমাত্র বিজেপির নির্বাচনী আশ্বাসকেই বাস্তবায়িত করছে না, একইসঙ্গে প্রত্যেক নাগরিকের জন্য সমান অধিকারকে প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share