Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Delhi Election: দিল্লি ভোটে ফের ইশতেহার প্রকাশ বিজেপির, ছাত্র-যুব-মহিলাদের জন্য বড় আশ্বাস

    Delhi Election: দিল্লি ভোটে ফের ইশতেহার প্রকাশ বিজেপির, ছাত্র-যুব-মহিলাদের জন্য বড় আশ্বাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দরজায় কড়া নাড়ছে দিল্লির নির্বাচন (Delhi Election)। এই আবহে সোমবার দ্বিতীয় পর্যায়ের নির্বাচনী ইশতেহার প্রকাশ করল বিজেপি। যার পোশাকি নাম সংকল্প পত্র-২। দিল্লিতে বিজেপির প্রদেশ দফতরে সভাপতি বীরেন্দ্র সচদেবা এবং পার্টির সাংসদ অনুরাগ ঠাকুর সাংবাদিক সম্মেলন করে নির্বাচনী ইশতেহার প্রকাশ করেন। প্রসঙ্গত, নির্বাচনী ইশতেহারের প্রথম দফার সংকল্প পত্র প্রকাশ করেছিলেন বিজেপির (BJP) সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। দ্বিতীয় দফার সংকল্প পত্র প্রকাশ করলেন বিজেপির সাংসদ অনুরাগ ঠাকুর।

    জনকল্যাণমুখী একাধিক প্রকল্পের আশ্বাস  

    নির্বাচনী ইশতেহারে জনকল্যাণমুখী প্রচুর প্রকল্পের কথা বলা হয়েছে। সেখানে ঘোষণা করা হয়েছে, বিজেপি (Delhi Election) ক্ষমতায় এলে এর সবগুলিই বাস্তবায়িত করা হবে। সংকল্প পত্রে সাফ লেখা রয়েছে, ‘‘আমরা একটি উন্নত ভারতবর্ষের কল্পনা করি। ভারতবর্ষের উন্নয়নের ক্ষেত্রে দিল্লির উন্নয়ন যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের সর্বভারতীয় সভাপতি জগৎপ্রকাশ নাড্ডা সংকল্প পত্রের প্রথম পর্ব প্রকাশ করেছেন। আমরা আজ দ্বিতীয় পর্ব প্রকাশ করলাম।’’ 

    বিজেপির তরফ থেকে দেওয়া আশ্বাস (Delhi Election)

    প্রতিটি সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গরিব পড়ুয়ারা একেবারে কিন্ডারগার্ডেন থেকে স্নাতকোত্তর পর্যন্ত বিনামূল্যে শিক্ষা পাবে। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় যে সমস্ত যুবক-যুবতীরা অংশগ্রহণ করবেন, তাঁদের এককালীন ১৫ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হবে। বিজেপি তাদের সংকল্প পত্রে জানিয়েছে, দিল্লির আপ সরকারের আমলে যে অপশাসন এবং দুর্নীতি বাসা বেঁধেছে, ক্ষমতায় এলে সে বিষয়ে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করা হবে এবং এসআইটি গঠন করে তদন্ত চলবে। তপশিলি জাতির ছাত্র-ছাত্রীদের মাসিক হাজার টাকা করে বৃত্তি দেওয়ার কথাও ঘোষণা করেছে বিজেপি।

    একই সঙ্গে দিল্লিতে (Delhi Election) যাঁরা অটো এবং ট্যাক্সি চালক রয়েছেন, তাঁদের জন্য একটি বোর্ড গঠনের কথা বলা হয়েছে, ওই সংকল্প পত্রে। এখানে ১০ লাখ টাকার জীবন বীমা, পাঁচ লাখ টাকা দুর্ঘটনা বীমা, সন্তানদের জন্য বৃত্তি, ছয় মাসের মাতৃত্বকালীন ছুটির কথাও বলা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Naxalism: বাহিনীর গুলিতে খতম ১৪ মাওবাদী, ‘‘শেষ নিঃশ্বাস নিচ্ছে নকশালরা’’, মন্তব্য শাহের

    Naxalism: বাহিনীর গুলিতে খতম ১৪ মাওবাদী, ‘‘শেষ নিঃশ্বাস নিচ্ছে নকশালরা’’, মন্তব্য শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওড়িশা-ছত্তিশগড় সীমানায় নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে রাতভর গুলির লড়াই মাওবাদীদের। নিরাপত্তাবাহিনীর গুলিতে নিকেশ হল ১৪ মাওবাদী (Naxalism)। জানা গিয়েছে, এদের মধ্যে একজনের মাথার দাম ছিল ১ কোটি টাকা। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয়েছে বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র। জানা গিয়েছে, মৃত মাওবাদীদের তালিকায় রয়েছে সেন্ট্রাল কমিটির সদস্য মনোজ ও স্পেশাল জোনাল কমিটির সদস্য গুড্ডুও। এই মনোজেরই মাথার দাম ছিল এক কোটি টাকা ও গুড্ডুর মাথার দাম ছিল ২৫ লাখ টাকা। এই ঘটনার পরেই এক্স মাধ্যমে পোস্ট করেন অমিত শাহ। সমাজমাধ্যমে তাঁর মন্তব্য, ‘‘শেষ নিঃশ্বাস নিচ্ছে নকশালরা।’’

    এক্স হ্যান্ডলে শুভেচ্ছা জানালেন অমিত শাহ (Amit Shah) 

    এই অভিযানকে (Naxalism) মাওবাদীদের বিরুদ্ধে বড় সাফল্য বলে দাবি করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, ‘‘আমাদের নিরাপত্তাবাহিনী মাওবাদীমুক্ত ভারত গড়তে আরও একটা বড় সাফল্য পেল। সিআরপিএফ, ওড়িশার এসওজি, ছত্তিশগড় পুলিশের যৌথ অভিযানে ওড়িশা-ছত্তিশগড় সীমানায় ১৪ মাওবাদী নিহত হয়েছে। শেষ নিঃশ্বাস নিচ্ছে নকশালরা।’’

    কয়েকদিন ধরেই চলছে অভিযান (Naxalism)

    প্রসঙ্গত, গত কয়েক দিন ধরেই মাওবাদী (Naxalism) দমনে আন্তঃরাজ্য অভিযান চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। গত ১৯ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে এই অভিযান। সিআরপিএফ এবং পুলিশের যৌথবাহনী মিলে এই অভিযান চালাচ্ছে বলে খবর। সোমবার ওড়িশার নওপাড়া এবং ছত্তিশগড় গরিয়াবন্দের সীমানায় মাওবাদীদের জড়ো হওয়ার খবর গোপন সূত্রে পায় বাহিনী। এরপরে সোমবার রাতেই তল্লাশি অভিযানের সময় বাহিনীকে লক্ষ্য করে গুলি চালাতে থাকে মাওবাদীরা। তখন মাওবাদীদের ঘিরে ফেলে পাল্টা জবাব দেয় যৌথবাহিনীও।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • IITian Baba: আখড়া থেকে বহিষ্কৃত ‘আইআইটি বাবা’, কী প্রতিক্রিয়া দিলেন অভয় সিং?

    IITian Baba: আখড়া থেকে বহিষ্কৃত ‘আইআইটি বাবা’, কী প্রতিক্রিয়া দিলেন অভয় সিং?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহাকুম্ভে (Maha Kumbh) চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা ‘আইআইটি বাবা’ (IITian Baba) অভয় সিংকে আখড়া থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে! এনিয়ে অবশ্য আইআইটি বোম্বের প্রাক্তন এরোস্পেস ইঞ্জিনিয়ার অভয় সিংয়ের পাল্টা বিবৃতিও সামনে এসেছে। বহিষ্কারের খবর নিয়ে পাল্টা মুখও খুলেছেন তিনি। তাঁর দাবি, আখড়ার সাধুরা তাঁর জনপ্রিয়তা সহ্য করতে না পেরে, তাঁর বিরুদ্ধে গুজব ছড়াচ্ছে।

    অভয় (IITian Baba) আদৌ সাধু নন, ভবঘুরে দাবি জুনা আখড়ার সদস্যর

    জানা গিয়েছে, অভয় সিংয়ের (IITian Baba) জুনা আখড়ার শিবির ও তার আশপাশে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কিন্তু কেন বহিষ্কার? অভিযোগ, তিনি তাঁর গুরু মহন্ত সোমেশ্বর পুরীর বিরুদ্ধে অশালীন ভাষা ব্যবহার করেছেন। আর ঠিক এই কারণে জুনা আখড়ার এক সদস্য জানিয়েছেন, অভয় সিং আদৌ তাঁদের সঙ্গে যুক্তই ছিলেন না। সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে ওই সদস্য বলেন, ‘‘অভয় আদৌ সাধু নন, ভবঘুরে। টিভিতে যা খুশি বলতেন। তাঁকে বের করে দেওয়া হয়েছে।’’ আরও দাবি করা হয়েছে যে, তিনি (অভয় সিং) কারও শিষ্যও ছিলেন না।

    বহিষ্কারের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভয়

    অভয় সিং অবশ্য এই বহিষ্কারের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। সংবাদমাধ্যমে তিনি দাবি করেন, আখড়ার সাধুরা তাঁর বিরুদ্ধে গুজব ছড়াচ্ছে। অভয় (IITian Baba) বলেন, ‘‘ওঁরা মনে করছেন, আমি বিখ্যাত হয়ে গিয়েছি এবং তাঁদের বিরুদ্ধে কিছু ফাঁস করতে পারি। তাই তাঁরা মিথ্যা বলছে। এসব বাজে কথা।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘বিজ্ঞান জীবনের দৈহিক দিকটি ব্যাখ্যা করতে সাহায্য করে, কিন্তু তার গভীর অধ্যয়ন মানুষকে আধ্যাত্মিকতার দিকে নিয়ে যায়। জীবনের সত্যিকারের উপলব্ধি মানুষকে আধ্যাত্মিকতার কাছাকাছি নিয়ে আসে।’’

    শৈশবের কথা 

    দিনকয়েক আগে অভয় সিং একটি একান্ত সাক্ষাৎকারে তাঁর শৈশবের কথা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘‘আমার পরিবারে মানসিক স্বাস্থ্যের সমস্যা ছিল। আমার বাবা-মার মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হত। এটি একটি শিশুর মনে গভীর প্রভাব ফেলে। স্কুল থেকে বাড়ি ফিরে আমি ঘুমিয়ে যেতাম, কারণ ঝগড়ার আওয়াজ থেকে পালাতে চাইতাম। মধ্যরাতে উঠতাম, দরজা বন্ধ করে শান্তিতে পড়াশোনা করতাম।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Israel: গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তির বাস্তবায়নে ৩ বন্দির নাম প্রকাশ করল হামাস

    Israel: গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তির বাস্তবায়নে ৩ বন্দির নাম প্রকাশ করল হামাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হামাস (Israel) গাজায় (Gaza) যুদ্ধবিরতি চুক্তির অধীনে মুক্তি পাওয়ার জন্য ৩ বন্দির নাম প্রকাশ করেছে। হামাস জানিয়েছে, ইজরায়েলের সঙ্গে প্যালেস্টিনীয়দের যুদ্ধকে বন্ধ করতে তিন জন বন্দি ইজরায়েল মহিলা নাগরিককে হস্তান্তর করা হবে। অপর দিকে ইহুদি সেনার পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে যে নামের তালিকা পেয়েছে তারা। ফলে এই ঘোষণা স্পষ্ট করে যে উভয়পক্ষের মধ্যে যুদ্ধ বিরতির পথ এবার আরও স্পষ্ট হয়েছে। তবে এই বন্দি হস্তান্তর স্থানীয় সময় অনুযায়ী সকাল ৮.৩০ মিনিটে অনুষ্ঠিত হবে।

    তিন বন্দি ইহুদী নারীর নাম কী?

    হামাসের সশস্ত্র শাখার কাসাম ব্রিগেডের মুখপাত্র আবু অবেদা রবিবার বলেন, “বন্দি বিনিময় চুক্তির অংশ হিসাবে আমরা আজকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যাদের মুক্ত করা হবে তাদের নাম হল রোমি গনেন (২৪), এমিলি দামারি (২৮) এবং ডোরন স্টেইন ব্রেচার।” অপর দিকে যুদ্ধ বিরতির পাশাপাশি জঙ্গি সংগঠন হামাসের বিরুদ্ধে ইজরায়েল (Israel) গাজায় হামলা অব্যাহত রেখেছে। জানা গিয়েছে সম্প্রতি ১০ জন প্যালেস্টিনীয় নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন মোট ২৫ জন। আগে ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনজামিন নেতানিয়াহু সেনাবাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছিলেন যে হামাস বন্দিদের নাম প্রকাশ না করা পর্যন্ত গাজায় কোনও রকম যুদ্ধ বিরতি করা হবে না। যুদ্ধবিরতি তখনই কার্যকর হবে যত সময় পর্যন্ত মুক্তি প্রাপ্ত তালিকা হামাস প্রকাশ করছে না করছে। ফলে ইজরায়েল কতটা নমনীয় হয় তাই এখন দেখার।

    আরও পড়ুনঃ সইফ আলি খানের হামলাকারী বাংলাদেশি, ৫ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ

    প্রথম ধাপ কীভাবে সম্পন্ন হবে তাই দেখার

    তবে হামাস জানিয়েছে, প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে নাম প্রকাশ এবং হস্তান্তর করতে সমস্যা হচ্ছে। অপর দিকে আলজাজিরার স্টেফানি ডেকার জর্ডনের রাজধানী আম্মান থেকে একটি রিপোর্ট করে বলেছিল যে ইজরায়েল (Israel) এবং হামাসের উপর আন্তর্জাতিক স্তরে যুদ্ধকে শেষ করার চাপ তৈরি হয়েছে। এখন গাজায় (Gaza) যুদ্ধ বিরতির প্রথম ধাপ কীভাবে সম্পন্ন হয় সেই দিকেই তাকিয়ে রয়েছে গোটা বিশ্ব। তবে আন্তর্জাতিক গবেষকরা মনে করছেন বিষয়টি অত্যন্ত কঠিন হতে পারে। উভয় পক্ষ একে অপরের অবস্থানে কঠোর ভাবে স্থির। তবে হামাসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে আমরা আশাবাদী এবং বন্দিদের নাম দ্রুত প্রকাশ করে কাজ করার চেষ্টা করব।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mahakumbha 2025: ১০০ বছর ধরে কুম্ভমেলায় আসছেন শিবানন্দ বাবা, বয়স কত জানেন?

    Mahakumbha 2025: ১০০ বছর ধরে কুম্ভমেলায় আসছেন শিবানন্দ বাবা, বয়স কত জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রয়াগরাজে মহাকুম্ভ মেলায় যোগ দিয়েছেন লক্ষ লক্ষ ভক্ত, সাধু এবং সন্ন্যাসী। তবে তাঁদের মধ্যে একজন রয়েছেন যিনি গত ১০০ বছর ধরে প্রতিটি কুম্ভমেলায় (Mahakumbha 2025) যোগ দিয়েছেন। তিনি হলেন ১২৫ বছর বয়সি পদ্মশ্রী প্রাপক বিখ্যাত যোগ অনুশীলনকারী স্বামী শিবানন্দ বাবা। প্রতিবারের মতো এবারও তিনি মহাকুম্ভে যোগ দিয়েছেন।

    ভিক্ষুক পরিবারে জন্ম! (Mahakumbha 2025)

    যোগ এবং তপস্যার ওপর ভিত্তি করে স্বামী শিবানন্দের (Sivananda Baba) সরল জীবনযাপন লক্ষ লক্ষ মানুষের অনুপ্রেরণার উৎস। জানা গিয়েছে, বাবা একজন ভিক্ষুক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। বাবার বয়স যখন চার বছর, তখন তার পরিবার তাঁকে সাধু ওঙ্কারানন্দ গোস্বামীর কাছে হস্তান্তর করেছিলেন। সাধুর (Mahakumbha 2025) অনুরোধে, স্বামী শিবানন্দ ৬ বছর বয়সে তাঁর পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে ফিরে আসেন। তবে দুর্ভাগ্যবশত, তিনি ফিরে আসার পর তাঁর বোন মারা যান এবং এক সপ্তাহের মধ্যে তিনি বাবা-মা দুজনকেই হারিয়েছিলেন। এক চিতায় তিনি দাহ করেন তাঁর বাবা-মাকে। এসবের পরে তাঁর একমাত্র অভিভাবক হয়ে দাঁড়ান ওঙ্কারানন্দ গোস্বামীই।

    আরও পড়ুন: দলিত পরিবারকে ইসলামে ধর্মান্তরিত করার চেষ্টা! ৫ জন গ্রেফতার

    শিবানন্দ বাবার জীবনযাত্রা কেমন?

    বাবার জীবন আগাগোড়া অতি সাধারণ। বারাণসীর (Mahakumbha 2025) কবীর নগরের বাসিন্দা শিবানন্দ বাবা সেদ্ধ খাবার খান, নুন-তেল ছাড়া। দুধ বা দুধের সমস্ত প্রোডাক্ট তিনি সযত্নে এড়িয়ে চলেন। তাঁর শিষ্যরা জানান,  চার বছর বয়স পর্যন্ত বাবা কখনও দুধ, ফল বা রুটি দেখেননি। এই সব জিনিসগুলিই তাঁর জীবনধারাকে বদলে দিয়েছিল। তিনি অর্ধেক খাবার খান, রাত ৯ টার মধ্যে ঘুমান, সকাল ৩ টায় ঘুম থেকে ওঠেন এবং সকালটা যোগব্যায়াম এবং ধ্যান করে কাটান। তিনি দিনের বেলা ঘুমোন না। রোজই থাকে ধ্যান, জপ এবং যোগাসনের জন্য সময়। তিনি আরও জানান, চণ্ডীগড়ে একটি ভবনের ষষ্ঠ তলায় লিফট থাকা সত্ত্বেও, বাবা প্রতিদিন সিঁড়ি বেয়ে উঠতেন।

    অলৌকিক ক্ষমতা!

    শিষ্যরা বাবার গভীর আধ্যাত্মিক ক্ষমতা (Mahakumbha 2025) সম্পর্কে ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বলেন, যখন একজন ভক্ত আসার পরে ক্ষুধার্ত ছিলেন তখন বাবা মাটির পাত্রে ক্ষীর পরিবেশন করেন। তবে ক্ষীর অল্প থাকায় বাবা তাকে খেয়ে যেতে উৎসাহিত করেন। কিন্তু, তিনি ক্ষীর শেষ করতে পারেননি। তখন ওই ভক্ত বাবার পায়ে পড়ে চিৎকার করে বললেন, “বাবা, আমি আপনাকে বুঝতে পারিনি।” একজন ভক্ত স্বামী শিবানন্দকে আবেদন ছাড়াই পদ্মশ্রী দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। স্বামী শিবানন্দের শিষ্যরা তাঁর সরলতা এবং ভক্তিমার্গের কথা তুলে ধরেন। তিনি কোনও দান গ্রহণ করেন না। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jammu Kashmir: কাশ্মীরে জঙ্গি-বাহিনী গুলির লড়াই, ওড়ানো হল সন্ত্রাসীদের ডেরা, শহিদ জওয়ান

    Jammu Kashmir: কাশ্মীরে জঙ্গি-বাহিনী গুলির লড়াই, ওড়ানো হল সন্ত্রাসীদের ডেরা, শহিদ জওয়ান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জঙ্গিদের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে শহিদ হলেন এক জওয়ান (Jammu Kashmir)। সোমবার দুপুরে ওই জওয়ানের শহিদ হওয়ার (Army Personnel Killed) খবর জানিয়েছে জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ। রবিবার গভীর রাত থেকে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে জঙ্গিদের গুলির লড়াই চলছে জম্মু ও কাশ্মীরের সোপোরের জালোরা গুজ্জরপতি এলাকায়।

    জঙ্গিদের ডেরায় হানা (Jammu Kashmir)

    জালোরা গুজ্জরপতি এলাকায় জঙ্গিদের একটি ডেরার সন্ধান পেয়ে রবিবার গভীর রাতে হানা দেয় সেনা ও পুলিশের যৌথবাহিনী। বাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়েই এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে জঙ্গিরা। ছুড়তে শুরু করে গ্রেনেডও। গুলিবিদ্ধ হন ওই জওয়ান। পরে মৃত্যু হয় তাঁর। তবে জঙ্গিদের ওই আস্তানা বিস্ফোরণে উড়িয়ে দিয়েছে সেনা। সোমবার সকাল পর্যন্ত ওই এলাকায় গুলির লড়াই চলেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। জঙ্গিদের সন্ধানে এলাকা ঘিরে তল্লাশি শুরু করেছে সেনা, আধাসেনা ও পুলিশ।

    ৬ মাসে খতম ২৩ জঙ্গি

    ডিসেম্বরের ২১ তারিখ সন্ধ্যায় সোপোরের ডাঙ্গিওয়াচা এলাকায় জঙ্গিদের দুই সহযোগীকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হয় একটি একে সিরিজের রাইফেল, একটি পিস্তল এবং ২৫০ রাউন্ড গুলি। জানা গিয়েছে, গত বছরের মে মাস থেকে পয়লা নভেম্বর পর্যন্ত জম্মু-কাশ্মীরে ২৩ জন জঙ্গিকে নিকেশ করেছে নিরাপত্তা বাহিনী। শহিদ হয়েছেন বাহিনীর ২৪ জন জওয়ান। এঁদের মধ্যে কাশ্মীরে শহিদ হয়েছেন ৬ জন। আর জম্মুতে প্রাণ হারিয়েছেন ১৮ জন।

    আরও পড়ুন: ভারতের শক্তি অন্তর্নিহিত রয়েছে একতার মধ্যে, মনে করেন মোহন ভাগবত

    এদিকে, ফি বার (Jammu Kashmir) শীতে তুষারপাতের আগে রাজৌরি এবং পুঞ্চের জঙ্গল দিয়ে ভারতে ঢুকে পড়ে পাকিস্তানের মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। সেই কারণেই প্রতিবারের মতো এবারও গত কয়েক মাস ধরে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে ওই সব অঞ্চলের জঙ্গলে। অনুপ্রবেশ রুখতে প্রাণপণ করেন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। তার পরেও নিরাপত্তার ফাঁক গলে নিয়ন্ত্রণ রেখা পেরিয়ে ভারতে ঢুকে পড়ে জঙ্গিরা। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, কাশ্মীরে অশান্তি জিইয়ে রাখতেই পাকিস্তান মদত (Army Personnel Killed) দেয় এই অনুপ্রবেশে (Jammu Kashmir)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • PM Modi: “কুম্ভমেলা বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্য উদযাপন করে”, ‘মন কি বাতে’ বললেন মোদি

    PM Modi: “কুম্ভমেলা বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্য উদযাপন করে”, ‘মন কি বাতে’ বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “কুম্ভমেলা বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্য উদযাপন করে। কারণ এই প্রাচীন ঐতিহ্যে কোথাও কোনও বৈষম্য বা জাতপাতের ধারণা নেই। সারা ভারত ও বিশ্ব থেকে মানুষ একত্রে এসে সঙ্গমে মিলিত হন।” রবিবার ‘মন কি বাতে’র ১১৮তম পর্বে বক্তব্য রাখতে গিয়ে কথাগুলি বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। এদিন ছিল নতুন বছরের প্রথম ‘মন কি বাতে’র অনুষ্ঠান।

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী? (PM Modi)

    সেখানে তিনি বলেন, “প্রয়াগরাজে মহাকুম্ভ (Mahakumbh) শুরু হয়েছে। অবিস্মরণীয় ভিড়, অকল্পনীয় দৃশ্য এবং সমতার ও সম্প্রীতির অসাধারণ মেলবন্ধন।  এবার কুম্ভে অনেক ডিভাইন যোগও গঠিত হচ্ছে। কুম্ভের এই উৎসব বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্য উদযাপন করে। সারা ভারত এবং বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ সঙ্গমের বালুতে এসে একত্রিত হন।” তিনি বলেন, এই হাজার হাজার বছরের ঐতিহ্যে কোথাও কোনও বৈষম্য বা জাতপাতের ধারণা নেই। সবাই সঙ্গমে স্নান করেন, একত্রে কমিউনিটি ভোজ করেন এবং প্রসাদ গ্রহণ করেন। এই কারণেই কুম্ভ হল ঐক্যের মহাকুম্ভ।”

    ‘পুষ্করম’

    তিনি জানান, মহাকুম্ভের মতো, ‘পুষ্করম’ দক্ষিণ ভারতের নর্মদা, গোদাবরী, কৃষ্ণা এবং কাবেরী নদীর তীরে আয়োজন করা হয়। তিনি বলেন, “কুম্ভের আয়োজন আমাদের জানায় যে আমাদের ঐতিহ্য সমগ্র ভারতকে একত্রিত করে। বিশ্বাস অনুসরণের উপায়গুলি ভারতের উত্তর ও দক্ষিণ অংশে অনেকটা একই রকম। যেমন কুম্ভ প্রয়াগরাজ, উজ্জয়িনী, নাসিক এবং হরিদ্বারে অনুষ্ঠিত হয়, তেমনই পুষ্করম দক্ষিণ ভারতে নর্মদা, গোদাবরী, কৃষ্ণা এবং কাবেরী নদীর তীরে অনুষ্ঠিত হয়। উভয় উৎসবই আমাদের পবিত্র নদীগুলোর প্রতি বিশ্বাস ও ঐতিহ্যের সঙ্গে যুক্ত। ঠিক তেমনই কুম্ভকোণম থেকে থিরুকদাইউর, কুদাভাসাল থেকে তিরুচেরাই পর্যন্ত, অনেক মন্দির কুম্ভের সঙ্গে যুক্ত।”

    আরও পড়ুন: ভুয়ো নথি ব্যবহার করে মুসিবুল হল প্রদীপ, একত্রবাস হিন্দু মেয়ের সঙ্গে, গ্রেফতার

    প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, “এবার কুম্ভ মেলায় যুবসমাজ বিপুল সংখ্যায় অংশগ্রহণ করছে এবং যখন যুবসমাজ তাদের ঐতিহ্যের সঙ্গে জুড়ে যায়, তখন তার উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ নিশ্চিত হয়।” তিনি বলেন, “এবার আমরা কুম্ভ মেলায় বৃহৎ পরিসরে ডিজিটাল উপস্থিতিরও সাক্ষী হচ্ছি। কুম্ভের এই বিশ্বজনীন জনপ্রিয়তা সমস্ত ভারতবাসীর জন্য গর্বের মুহূর্ত।” প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, “কয়েকদিন আগে পশ্চিমবঙ্গে গঙ্গাসাগর মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সংক্রান্তি উপলক্ষে, বিপুল সংখ্যক ভক্ত গঙ্গাসাগরে স্নান করেছেন (Mahakumbh)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Uttar Pradesh: বিয়ের টোপ দিয়ে মহিলাকে যৌন হেনস্থা! সর্বস্ব লুট করে চম্পট মুসলিম যুবকের

    Uttar Pradesh: বিয়ের টোপ দিয়ে মহিলাকে যৌন হেনস্থা! সর্বস্ব লুট করে চম্পট মুসলিম যুবকের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিয়ের টোপ দিয়ে এক মহিলাকে এক বছরেরও বেশি সময় ধরে যৌন নির্যাতন (Sexual Harassment) করেছে মুসলিম যুবক জালালউদ্দিন। আরও অভিযোগ, নির্যাতিতাকে বিয়ের কথা বলে ভয় দেখিয়ে টাকা, গয়না এবং মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করে চম্পট দেয় ওই যুবক। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে পুলিশ। উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) গোরক্ষপুরের ঘটনা।

    আর্থিক অনটনের মধ্যে ছিলেন নির্যাতিতা (Uttar Pradesh)!

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নির্যাতিতা (Sexual Harassment) দুই সন্তানের মা। তিনি ২০১৩ সালে বিয়ে করেছিলেন। স্বামীর সঙ্গে গিদা এলাকায় বসবাস করতেন। বাড়িতে আর্থিক অনটন থাকায় সন্তাদের ভরনপোষণের জন্য বিআরডি মেডিক্যাল কলেজ (Uttar Pradesh) এলাকায় একটি চায়ের দোকান চালাতেন মহিলা। এরপর মুসলিম যুবক জালালউদ্দিনের সংস্পর্শে আসেন ওই মহিলা। শুরু হয় প্রেম।

    আমার টাকা, গয়না লুট করে পালায়

    জালালউদ্দিন প্রথমে ওই মহিলার আস্থা অর্জন করেন। তিনি তাঁর স্বামীকে ছেড়ে আসতে রাজি করান। প্রতিশ্রুতি দেন, মহিলার সন্তানদেরও দায়িত্ব নেবেন। মহিলার অভিযোগ, “আমি ওঁকে বিশ্বাস করেছিলাম। আমার স্বামীকে ছেড়ে দিয়েছিলাম। এরপর জালালউদ্দিন এক বছরেরও বেশি সময় ধরে আমাকে যৌন নির্যাতন (Sexual Harassment) করে। যখনই আমি বিয়ের কথা বলতাম, এড়িয়ে যেত। গত ৯ জানুয়ারি ফের যখন বিয়ে করতে বলি, তখন আমায় ব্যাপক মারধর করে। তারপর আমার টাকা, গয়না লুট করে পালায়। ঘটনার পর থেকেই এক সপ্তাহ ধরে তার কোনও খোঁজ না পাওয়ায় আমি থানায় (Uttar Pradesh) অভিযোগ দায়ের করেছি। এখন আমি ওই শাস্তি চাই।”

    আরও পড়ুন: দলিত পরিবারকে ইসলামে ধর্মান্তরিত করার চেষ্টা! ৫ জন গ্রেফতার

    মুসলিম যুবকরা মেয়েদের প্রলোভনে টার্গেট করে

    থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হওয়ার পর পুলিশ ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ধারায় মামলা দায়ের করেছে। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে সব রকম ব্যবস্থা নিতে কাজ শুরু হয়েছে। তবে উত্তরপ্রদেশে জেহাদি মুসলমান যুবকদের এইরকম দৌরাত্ম্যের কথা আগেও সংবাদ মাধ্যমে উঠে এসেছে নানা সময়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে পরিচয় গোপন করে হিন্দু মেয়েদের টার্গেট করে মুসলমান যুবকরা। এরপর লাভ জিহাদের (Sexual Harassment) ঘটনা ঘটে। যদিও যোগী সরকার (Uttar Pradesh) ক্ষমতায় বসার পর থেকেই এভাবে প্রলোভন এবং মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে নারী নির্যাতনের ঘটনা আগের চেয়ে খানিক কমেছে।       

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Waqf Bill: সংসদের বাজেট অধিবেশনেই পেশ হবে ওয়াকফ সংশোধনী বিল? কী বলছে জেপিসি?

    Waqf Bill: সংসদের বাজেট অধিবেশনেই পেশ হবে ওয়াকফ সংশোধনী বিল? কী বলছে জেপিসি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঠিক ছিল সংসদের শীতকালীন অধিবেশনেই পেশ করা হবে ওয়াকফ সংশোধনী বিল (Waqf Bill)। তবে সেই সময় পেশ হয়নি বিলটি। সূত্রের খবর, আসন্ন বাজেট অধিবেশনেই (Budget Session) পেশ করা হতে পারে ওই বিল। প্রসঙ্গত, সংসদের বাজেট অধিবেশন শুরু হবে ৩১ জানুয়ারি, দুভাগে চলবে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত।

    পর্যালোচনা হয়েছে বিল (Waqf Bill)

    সূত্রের খবর, যৌথ সংসদীয় কমিটিতে বিলটি নিয়ে পর্যালোচনা হয়েছে। এবার স্টেকহোল্ডার, দল এবং অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে আলোচনা শেষ করে ঐকমত্যে পৌঁছবে বলে আশা করা হচ্ছে। যৌথ সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যান জগদম্বিকা পাল ও অন্য সদস্যরা সম্প্রতি পাটনা সফর করেছেন। চেয়ারম্যান সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘‘বাজেট অধিবেশনের সময় আমাদের প্রতিবেদন জমা দিতে হবে। তাই সময় দ্রুত শেষ হয়ে যাচ্ছে।’’ সূত্রের ইঙ্গিত, সরকার জেপিসির রিপোর্ট পাওয়ার পর বিলটি উত্থাপন করতে প্রয়োজনীয় আনুষ্ঠানিকতা দ্রুত শেষ করতে চাইছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রবীণ বিজেপি নেতা বলেন, “বাজেট অধিবেশনে বিলটি (ওয়াকফ বিল) উত্থাপনের প্রস্তুতি চলছে। সম্প্রতি জেপিসি চেয়ারম্যান স্বীকার করেছেন যে প্রতিবেদন চূড়ান্ত এবং জমা দেওয়ার জন্য সময় সীমিত।”

    যৌথ সংসদীয় কমিটির বৈঠক

    জানা গিয়েছে, ওয়াক্‌ফ বিলের (Waqf Bill) ওপর যৌথ সংসদীয় কমিটি দিল্লিতে ৩৪টি বৈঠক করেছে। ২০৪টিরও বেশি প্রতিনিধি দল ও স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা করেছে। চেয়ারম্যান বলেন, ‘‘সরকার উভয় কক্ষেই সংশোধনী বিল পাস করতে পারত। তবে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছিল স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা এবং একটি বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রস্তুত করার।’’  

    আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে খিলাফতে পরিণত করতে চাইছে আইএসআই এবং হামাস!

    তিনি বলেন, ‘‘আমি বিহারে পৌঁছেছি। এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা এখানে ওয়াকফ বোর্ড, স্টেকহোল্ডার, প্রতিনিধিদল এবং সংখ্যালঘু কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করব। বাজেট অধিবেশন চলাকালীন আমাদের প্রতিবেদন জমা দিতে হবে, তাই সময় ফুরিয়ে যাচ্ছে।’’ তিনি বলেন, “বিবাদগুলি সমাধান করতে সংশোধনীটি চালু করা হয়েছিল, যেমন কেরলে, সেখানে একটি পুরানো গির্জাকে ওয়াকফ সম্পত্তি (Waqf Bill) হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছিল। এখন কুম্ভের জমি নিয়েও একই দাবি উঠছে (Budget Session)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Natural Farming: জৈব চাষে অন্ধ্রে বিরাট সাফল্য, আইএএস অফিসারের জানুন গল্প

    Natural Farming: জৈব চাষে অন্ধ্রে বিরাট সাফল্য, আইএএস অফিসারের জানুন গল্প

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জৈব (Natural Farming) চাষে অন্ধ্রপ্রদেশে (Andhra Pradesh) বিরাট সাফল্যের কথা তুলে ধরেছেন একজন আইএএস অফিসার। তাঁর এই প্রচেষ্টা এখন ওই রাজ্যের চাষিদের কাছে দৃষ্টান্ত। জানা গিয়েছে, ৮ লক্ষ কৃষকের জন্য গোবর এবং নিমপাতার মতো জৈব উপাদান ব্যবহার করে চাষের জগতে কীভাবে সাফল্য আনা যায়, সেই অসাধ্য সাধান করার তথ্যচিত্র নির্মাণ করা হয়েছে। তবে চাষের জন্য সবরকম রাসায়নিক এবং কেমিক্যাল যুক্ত সারকে বাদ দিয়ে ২০১৫ সাল থেকেই কাজ শুরু করা হয়েছিল। সম্পূর্ণ বিষয়ের ভাবনায় রয়েছেন এক সরকারি আমলা। এই বিষয়কে নিয়ে চিত্রপরিচালক রেণুকা জর্জ, টি বিজয় কুমারকে নিয়ে একটি তথ্যচিত্র নির্মাণ করছেন।  এখন বিরাট আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে এই তথ্যচিত্র। কৃষি বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, এই জৈবিক চাষ নতুন যুগের সূচনা করেছে।

    মোট ৫৫ মিনিটের তথ্যচিত্র (Natural Farming)

    জানা গিয়েছে, এই তথ্যচিত্রটি মোট ৫৫ মিনিটের। ইন্ডিয়ান সয়েল ইন রেভোলিউশনের মাধ্যমে এই তথ্যচিত্রকে প্রকাশ করা হয়েছে। জর্জ রেণুকা বলেন, “এই প্রথম আমি ভারতে একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করছি। নতুন দিল্লির ইন্ডিয়া ইন্টারন্যাশনাল সেন্টারে তা প্রদর্শিত হয়েছে। ২০২৩ সালে একটি ফরাসি সংস্থার দ্বারা প্রযোজনা করা হয়েছিল। ইতিমধ্যে আগে বেশ কয়েবার ফ্রান্স এবং ইউরোপে প্রদর্শন করা হয়েছে। অভিনেতা টি বিজয় নিজে থেকে কৃষকদের সঙ্গে অনলাইনে কথা বলবেন সমস্ত রকম কৌশল এবং প্রশ্নের উত্তর দেবেন। আমরা কৃষকদের আর্থিক ভাবে বিরাট কোনও লাভের সুযোগ দিচ্ছি না। কিন্তু  কৃষকদের একটি নিরাপদ, সহজ বিকল্পকে গ্রহণ করার জন্য অনুরোধ করছি। পরিবেশ এবং মানব জীবনের জন্য একান্ত প্রয়োজন এই জৈবিক চাষ।”

    পশ্চিম গোদাবরী, কৃষ্ণা এবং পূর্ব গোদাবরী জেলার চিত্র রয়েছে

    জর্জের তথ্যচিত্রে অন্ধ্রপ্রদেশের (Andhra Pradesh) পশ্চিম গোদাবরী, কৃষ্ণা এবং পূর্ব গোদাবরী জেলায় জৈবিক চাষের (Natural Farming) উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর বিষয়বস্তু টি বিজয় কুমারের জীবনের সঙ্গে কেন্দ্রীভূত চাষাবাদকে ঘিরে। তিনি অবশ্য একজন আইএএস অফিসার। তাঁর উদ্যোগে রাজ্যে জৈবিক চাষাবাদ নিয়ে আন্দোলনের বিরাট পর্ব রচিত হয়েছে। চাষের জন্য সমস্ত রকমের পরিস্থিতি অন্বেষণ করেছিলেন কীভাবে, তাকেই উপস্থাপন করা হয়েছে এই তথ্যচিত্রে। কৃষকরা রীতিমতো ব্যাপক উৎসাহী ছিলেন এই ধরনের তথ্যচিত্রে।

    আরও পড়ুনঃ দলিত পরিবারকে ইসলামে ধর্মান্তরিত করার চেষ্টা! ৫ জন গ্রেফতার

    বেশি বেশি করে গোবর সার এবং জৈব সার প্রয়োগ

    সারা দেশে কৃষকরা বিশেষ করে দাক্ষিণাত্যের মালভূমির মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক এবং অন্ধ্রপ্রদেশের (Andhra Pradesh) মতো রাজ্যগুলিতে চাষ এক প্রকার অত্যন্ত ব্যয়বহুল হয়ে দাঁড়িয়েছিল। রাসায়নিক সারের ব্যবহার এবং ফসলের উৎপাদন (Natural Farming) নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে চাষিরা দারুণ সঙ্কটের মধ্যে ছিলেন। অপরদিকে পরিবেশ দূষণের একটা বড় চাপ বেড়ে চলছিল। তাই তথ্যচিত্রে সুপরিকল্পিতভাবে রাসায়নিক সারের ব্যবহার কীভাবে পরিত্যাগ করা যায় সেই দিকগুলিকে বেশি করে তুলে ধরা হয়েছে। বেশি বেশি করে গোবর সার এবং জৈব সার প্রয়োগের দিক তুলে ধরা হয়েছে। চাষের উৎপাদন বৃদ্ধিতে গোমূত্র ও নিমপাতাকে জলের মাধ্যমে কীটনাশক হিসেবে ব্যবহারের দিকগুলিও দেখানো হয়েছে। তথ্যচিত্রে আরও দেখানো হয়েছে, কীভাবে পশ্চিম গোদাবরী জেলার কৃষকরা ১৯৬০ এবং ১৯৭০-এর দশকে সবুজ বিপ্লবের সুফলকে কীভাবে একজন কৃষক গ্রহণ করে সাফল্যের চূড়ায় পৌঁছে গিয়েছেন। কৃত্রিম সার ব্যবহার কীভাবে কমানো যায় তাকেই এখানে বেশি করে দেখানো হয়েছে। এই প্রযুক্তি কীভাবে প্রয়োগ করা হবে সেই কৌশলও দেখানো হয়েছে।   

    হাজার হাজার কৃষক যোগদান করেছিলেন

    বিজয় কুমার বলেন, “এই জৈব সারের (Natural Farming) ব্যবহার ১৯৯০ সাল থেকেই প্রথম করেছিলেন সুভাষ পালেকার। তিনি অন্ধ্রপ্রদেশ সরকারের পক্ষ থেকে চাষিদের সঙ্গে কথা বলে সমন্বয় করে কাজ করছিলেন। তবে এই চাষে মহিলা কৃষকদের একটা বড় ভূমিকা থাকবে। জৈব কীটনাশক বেশি বেশি করে ব্যবহারের জন্য পুরুষদের উৎসাহী করবেন বাড়ির মহিলারা। পরিবারের স্বাস্থ্যের সঙ্গে চাষের স্বাস্থ্যের কথাটাও বেশি করে ভাবা প্রয়োজন।”

    তথ্যচিত্র প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে পালেকর বলেন, “এই তথ্যচিত্র দেখে রাজ্যের হাজার হাজার কৃষক মুগ্ধ। সকলে প্রয়োজনীয় নোট নিয়েছেন। কৃষকরা নিজেরাই এই জৈব চাষের মহাবিপ্লবের বিরাট সাক্ষী হয়েছিলেন। এইধরনের প্রচেষ্টা সারা ভারতে প্রয়োগ করা হলে কৃষিতে পথ দেখাবে ভারত।” 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share