Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • National Youth Day 2025: যুব সমাজের প্রতি স্বামীজির বার্তা আজও প্রাসঙ্গিক, তাঁর জন্মদিনেই পালিত হয় জাতীয় যুব দিবস

    National Youth Day 2025: যুব সমাজের প্রতি স্বামীজির বার্তা আজও প্রাসঙ্গিক, তাঁর জন্মদিনেই পালিত হয় জাতীয় যুব দিবস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পরাধীন ভারতের বীর সন্ন্যাসী স্বামী বিবেকানন্দ (National Youth Day 2025) উন্নত স্বাধীন ভারতের স্বপ্ন দেখতেন। পরাধীনতার অন্ধকারে নিমজ্জিত গোটা জাতির বিবেক চেতনা জাগ্রত হবে, এই আকাঙ্খা ছিল স্বামী বিবেকানন্দের রন্ধ্রে রন্ধ্রে। তাঁর লক্ষ্য ছিল দেশবাসীর মধ্যে জাত্যাভিমান বাড়ানো, দেশপ্রেম জাগানো। নিদ্রিত দেশের চেতনার উদয় না হলে দেশের উন্নতি সম্ভব নয় বলে জানিয়েছিলেন স্বামীজি। দেশের যুবশক্তির প্রতি স্বামীজির অমর বাণী, “উত্তিষ্ঠত জাগ্রত প্রাপ্য বরান্ নিবোধত।” অর্থাৎ “ওঠো! জাগো! এবং লক্ষ্য অর্জন না করা পর্যন্ত থেমো না।” তাঁর বাণী এখনও দেশের যুব সম্প্রদায়ের কাছে সমান প্রাসঙ্গিক। তাই সারা দেশে প্রতি বছর স্বামীজির জন্মদিন ১২ জানুয়ারি জাতীয় যুব দিবস পালিত হয়। রাষ্ট্রসংঘ ১৯৮৪ সালে ‘আন্তর্জাতিক যুব বর্ষ’ ঘোষণা করে। তারপর থেকেই ভারত সরকার প্রতি বছর স্বামী বিবেকানন্দের জন্মবার্ষিকীকে জাতীয় যুব দিবস হিসাবে উদযাপন করার সিদ্ধান্ত নেয়।

    যুব দিবসের ইতিহাস

    বিখ্যাত দার্শনিক ও আধ্যাত্মিক নেতা স্বামী বিবেকানন্দের (National Youth Day 2025) জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় যুব দিবস পালিত হয়। ১৯৮৫ সালে প্রথমবার জাতীয় যুব দিবস উদযাপিত হয়। স্বামী বিবেকানন্দ বলতেন যে, তরুণরা হল জাতির মেরুদণ্ড। দেশের যুব সম্প্রদায় সামাজিক, রাজনৈতিক এবং আধ্যাত্মিক পরিবর্তন আনতে সক্ষম। সমাজ সংস্কারক, আধ্যাত্মিক নেতা, দার্শনিক এবং প্রেরণাদায়ক বক্তা স্বামী বিবেকানন্দের চিন্তাধারা আজও তরুণদের অনুপ্রাণিত করে চলেছে। এই দিন সারা দেশে যুবকদের উদ্দেশে বিবেকানন্দের (Swami Vivekananda) জীবন, কাজ এবং তাঁর দৃষ্টিভঙ্গির স্মৃতিচারণ করা হয়।

    জাতীয় যুব দিবসের গুরুত্ব

    ১২ জানুয়ারি সারা দেশে জাতীয় যুব দিবস (National Youth Day 2025) পালিত হয়। এ উপলক্ষে তরুণদের কেন্দ্র করে নানা ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। জাতীয় যুব দিবস উদযাপনের উদ্দেশ্য হল ভারতের যুব সমাজকে স্বামী বিবেকানন্দের আদর্শ ও মহান চিন্তা সম্পর্কে সচেতন করা। প্রতি বছর একটি বিশেষ প্রতিপাদ্য নিয়ে যুব দিবস পালিত হয়। 

    জাতীয় যুব দিবস ২০২৫ থিম 

    জাতীয় যুব দিবস ২০২৫ এর থিম (National Youth Day 2025) হল “জাতি গঠনের জন্য যুব ক্ষমতায়ন”। এবার যুব দিবসে যে কর্মসূচিই থাকুক না কেন, জাতি গঠনে তরুণদের তাদের সামর্থ্য ও দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন করা হবে। যুব দিবস পালনের জন্য স্থানীয়ভাবে কোনও ইভেন্টে অংশগ্রহণ করুন। যেখানে দক্ষতা উন্নয়ন, পরিবেশ সচেতনতা এবং সামাজিক কল্যাণের উপর জোর দেওয়া হবে। এই বিষয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় অনুপ্রেরণামূলক উদ্ধৃতি, গল্প এবং বার্তা শেয়ার করুন। স্বামী বিবেকানন্দের শিক্ষার উপর কিছু সময় চিন্তা করুন এবং কীভাবে সেগুলো আপনার দৈনন্দিন জীবনে প্রয়োগ করা যায়, তা নির্ধারণ করুন। জাতীয় যুব দিবস যুবসমাজকে দেশের উন্নতি ও সমাজের কল্যাণে আরও অনেক বড় ভূমিকা নিতে উৎসাহিত করে।

    জাতীয় যুব দিবসের কর্মসূচি

    এবছর নয়াদিল্লির ভারত মণ্ডপে বিকশিত ভারত ইয়ং লিডার্স ডায়ালগ ২০২৫ (Viksit Bharat Young Leaders Dialogue 2025)-এ অংশ নেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। অনুষ্ঠানে সারা দেশের তিন হাজার গতিশীল তরুণ নেতার সঙ্গে মিলিত হবেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী দশটি বিষয়ের উপর অংশগ্রহণকারীদের লেখা সেরা প্রবন্ধের একটি সংকলনও প্রকাশ করবেন। প্রবন্ধের অন্তর্গত মূল থিমগুলি হল প্রযুক্তি, স্থায়িত্ব, নারীর ক্ষমতায়ন, উৎপাদন এবং কৃষির মতো বিভিন্ন ক্ষেত্র। দেশের যুব সমাজকে বারবার দেশ গঠনের কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। স্বামীজির আদর্শে দেশের তরুণ সম্প্রদায়কে উদ্বুদ্ধ হওয়ার কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।

    স্বামীজির বার্তা

    যুব সমাজের প্রতি স্বামীজির বার্তা (Swami Vivekananda) ছিল “ওঠো , জাগো এবং লক্ষ্যে না পৌঁছানো পর্যন্ত থেমো না।” কাজ সম্পর্কে বিবেকানন্দের বার্তা, “সারাদিন চলার পথে যদি কোনও সমস্যার সম্মুখীন না হও, তাহলে বুঝবে তুমি ভুল পথে চলেছ।” শিকাগোর বক্তৃতা রাখতে গিয়ে বিবেকানন্দ শুরু করেছিলেন, ‘ভাই ও বোন’ বলে সম্বোধন করে। তাঁরই বক্তব্য, “জীবে প্রেম করে যেই জন, সেই জন সেবিছে ঈশ্বর।” চরিত্র গঠন সম্পর্কে তাঁর বক্তব্য ছিল, “নিজের উপর বিশ্বাস না এলে, ঈশ্বরের উপর বিশ্বাস আসে না।’ তাঁর কথায়, “যে রকম বীজ আমরা বুনি, সে রকমই ফসল আমরা পাই। আমরাই আমাদের ভাগ্য তৈরি করি, তার জন্য কাউকে দোষারোপ করার কিছু নেই, কাউকে প্রশংসা করারও কিছু নেই।” সঙ্গে ভয়ডরহীন হয়ে এগিয়ে যাওয়ার বার্তা দিয়ে স্বামী বিবেকানন্দ বলেছিলেন,  “ভয়ই মৃত্যু, ভয়ই পাপ, ভয়ই নরক, ভয়ই অসাধুতা, ভয়ই ভুল জীবন। এই বিশ্বের সমস্ত নেতিবাচক চিন্তা-ভাবনা ও ধারণা এই ভয়ের অসৎ শক্তি থেকেই সৃষ্টি হয়েছে।” স্বামী বিবেকানন্দের প্রতিটি বাণী এখনও সমান প্রাসঙ্গিক। তাঁর আদর্শ দেশের যুব সমাজকে তৈরি করতে পারে। তাঁর আদর্শে চলে উন্নত-আত্মনির্ভর ভারত গড়ে তোলাই যুব-দিবস ২০২৫ এর লক্ষ্য।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Varanasi: এক শতাব্দী বন্ধ থাকার পর ফের খুলেছে বারাণসীর এই মহাদেব মন্দির, হবে বিশেষ পুজো

    Varanasi: এক শতাব্দী বন্ধ থাকার পর ফের খুলেছে বারাণসীর এই মহাদেব মন্দির, হবে বিশেষ পুজো

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশের বারাণসীর (Varanasi) সিদ্ধেশ্বর মহাদেব মন্দির এক শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে তালাবন্ধ অবস্থায় পড়ে ছিল। স্থানীয় ও প্রশাসনিক সহায়তায় পুনরায় তা খুলেছে সনাতন রক্ষা দল। কিন্তু এবার নতুন করে মন্দিরের দরজা খুলে দেওয়ায় মন্দিরের ভিতরে পুরাতন তিনটি শিবলিঙ্গ পাওয়া গিয়েছে। পুরোহিতদের সঙ্গে পরামর্শ করে আগামী ১৪ জানুয়ারি শুভমুহূর্তে পুজো শুরু করা হবে বলে জানা গিয়েছে। শিবভক্তদের মধ্যে এখন বিরাট উচ্ছ্বাস।

    কাশী বিদ্যা পরিষদ, অন্নপূর্ণা মন্দিরের তরফে অংশ গ্রহণ থাকবে

    উত্তরপ্রদেশের (Varanasi) এই পুরাতন শিব মন্দিরটি রয়েছে একটি মুসলিম জনবহুল এলাকায়। আনুমানিক এক শতাব্দী সময় ধরে তালবন্ধ অবস্থায় থাকার পর এবার হিন্দু সমাজের দাবিতে প্রশাসন মন্দির খুলে দেওয়ার কাজ করেছে। এরপর এখন এই মন্দিরে পুজোর উদ্বোধন মুহূর্ত হিসেবে আগামী ১৪ জানুয়ারিকে ঠিক করা হয়েছে। ইতিমধ্যে একই কর্মকাণ্ডে কাশী বিদ্যা পরিষদ, অন্নপূর্ণা মন্দির, এবং অন্যান্য পণ্ডিতেরা অংশ গ্রহণ করবেন।

    আরও পড়ুনঃ আজ প্রাণপ্রতিষ্ঠার প্রথম বর্ষপূর্তি, পঞ্চামৃত অভিষেক সম্পন্ন হল রামলালার

    তিনটি ক্ষয়িষ্ণু শিবলিঙ্গের পুজো হবে

    কাশীর (Varanasi) ডেপুটি কমিশনার অফ পুলিশ গৌরব বনসাল বলেন, “মন্দিরটি শতাব্দীর বেশি সময় ধরে তালাবন্দি অবস্থায় পড়ে ছিল। এখন উদ্ধার কাজ চলছে। প্রাচীন বেশকিছু প্রত্নতাত্ত্বিক উপাদান উদ্ধার করা হয়েছে। তিনটি ক্ষয়িষ্ণু শিবলিঙ্গেরও সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। এখন সকল ধ্বংসস্তূপগুলিকে পরিষ্কার করা হচ্ছে।” অতিরিক্ত জেলা শাসক আলোক ভার্মা বলেন, “মন্দিরটিকে উদ্ধারকাজে এবং পুনরায় খুলে দেওয়ার সময় কোনও প্রকার বিবাদ হয়নি। স্থানীয় বাসিন্দারা বেশ সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। দেওয়াল এবং ভূ-মণ্ডলের উপরে জমে থাকা ২ ফুটের বেশি মাটির শক্ত আবরণের স্তরকে পরিষ্কারের কাজ করা হচ্ছে। মন্দিরে পুজো যত দ্রুত সম্ভব এখন চালু করা হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Economy Growth 2025: ২০২৫ সালেও বিশ্বের দ্রুততম বর্ধনশীল বৃহৎ অর্থনীতি হবে ভারত, বলছে রাষ্ট্রসংঘের রিপোর্ট

    Economy Growth 2025: ২০২৫ সালেও বিশ্বের দ্রুততম বর্ধনশীল বৃহৎ অর্থনীতি হবে ভারত, বলছে রাষ্ট্রসংঘের রিপোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মোদি জমানায় দ্রুত উন্নতির পথে দেশ। অর্থনীতির ভিত ক্রমেই হচ্ছে মজবুত। ২০২৫ সালেও যে অব্যাহত থাকবে ভারতীয় অর্থনীতির লেখচিত্র, তা জানিয়ে দিল রাষ্ট্রসংঘ (Economy Growth 2025)। রাষ্ট্রসংঘের অনুমান, বিগত বছরের মতো, এ বছরও বিশ্বের দ্রুততম বর্ধনশীল বৃহৎ অর্থনীতি হিসেবে ভারত তার অবস্থান ধরে রাখতে সক্ষম হবে। হামিদ রাশিদের নেতৃত্বাধীন রাষ্ট্রসংঘের বিশ্ব অর্থনৈতিক পর্যবেক্ষণ ইউনিটের প্রকাশিত রিপোর্টের মতে, এ বছর ভারতের অর্থনীতি বৃদ্ধি পাবে ৬.৬ শতাংশ হারে। বুধবার রাষ্ট্রসংঘের (UN Report) এক রিপোর্টেই এমনতর দাবি করা হয়েছে। বলা হয়েছে, ভারতের অর্থনৈতিক শক্তিবৃদ্ধি দক্ষিণ এশিয়ার আর্থিক অগ্রগতিকে ত্বরান্বিত করবে।

    রাষ্ট্রসংঘের রিপোর্ট (Economy Growth 2025)

    রাষ্ট্রসংঘের রিপোর্টে বলা হয়েছে, দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম অর্থনীতি হল ভারত। তাই ভারতের অর্থনৈতিক বৃদ্ধির কারণে দক্ষিণ এশিয়ায় ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। তবে এই অঞ্চলের আর্থিক অগ্রগতিতে অবদান থাকবে নেপাল, ভুটান ও শ্রীলঙ্কার মতো দেশগুলিরও। কীভাবে হবে ভারতের অর্থনৈতিক ‘শ্রীবৃদ্ধি’? সেই ব্যাখ্যাও দেওয়া হয়েছে রাষ্ট্রসংঘের ওই রিপোর্টে। বলা হয়েছে, মূলত শক্তিশালী বেসরকারি খরচ ও বিনিয়োগের জন্যই ২০২৫ সালে ভারতের অর্থনৈতিক বৃদ্ধি ৬.৬ শতাংশ হবে বলে অনুমান করা হচ্ছে।

    ভারতের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড

    পরিষেবা এবং নির্দিষ্ট পণ্য, বিশেষ করে ওষুধ ও বৈদ্যুতিন সরঞ্জামের ক্ষেত্রে রফতানি বৃদ্ধি পাবে বলেও দাবি করা হয়েছে ওই রিপোর্টে (Economy Growth 2025)। এর জেরে শক্তিশালী হবে ভারতের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড। উৎপাদন ও পরিষেবা খাতের সম্প্রসারণও চালিত করবে ভারতীয় অর্থনীতির চাকাকে। গত বছর ভালো বর্ষা হয়েছে। তাই কৃষিক্ষেত্রেও বৃদ্ধি ভালো হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

    আরও পড়ুন: “হিন্দুরা জোটবদ্ধ না হলে এখানেও বাংলাদেশের মতো সংখ্যালঘু হয়ে পড়বেন”, বার্তা শুভেন্দুর

    ২০২৪ সালে ভারতীয় অর্থনীতি বৃদ্ধি পেয়েছে ৬.৮ শতাংশ। এ বছর ৬.৬ শতাংশ বৃদ্ধি পাওয়ার পূর্বাভাস রয়েছে। আগামী বছর ভারতীয় অর্থনীতি ফের ৬.৮ শতাংশ বৃদ্ধিতে ফিরে আসবে বলে অনুমান। রাষ্ট্রসংঘের রিপোর্টে আশা করা হয়েছে, পরিকাঠামো উন্নয়নে মূলধন ব্যয় আগামী বছরগুলিতে অর্থনৈতিক বৃদ্ধির ওপর শক্তিশালী বহুমুখী প্রভাব ফেলবে। রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, ভারতে লেবার ইন্ডিকেটর ২০২৪ সালে ভালো ছিল। আগামী বছরও (UN Report) ভালো থাকবে। এ বছর বেকারত্বের হার থাকবে ৬.৬ শতাংশ (Economy Growth 2025)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

      

     

  • Ayodhya Ram Mandir: আজ প্রাণপ্রতিষ্ঠার প্রথম বর্ষপূর্তি, পঞ্চামৃত অভিষেক সম্পন্ন হল রামলালার

    Ayodhya Ram Mandir: আজ প্রাণপ্রতিষ্ঠার প্রথম বর্ষপূর্তি, পঞ্চামৃত অভিষেক সম্পন্ন হল রামলালার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অযোধ্যার রাম মন্দিরে (Ayodhya Ram Mandir) রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠার (Ramlala Pran Pratishtha) প্রথম বর্ষ পূর্তি উদযাপন হচ্ছে। ২০২৪ সালের ২২ জানুয়ারি রামলালার মূর্তিতে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। হিন্দু পঞ্জিকা অনুযায়ী, পৌষ মাসের শুক্ল দ্বাদশীতে হয়েছিল রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা (Ramlala Pran Pratishtha)। যাকে কুর্ম দ্বাদশীও বলে। সেই তিথি পড়েছে আজ, শনিবার। এদিন দুধ, দই, ঘি, মধু সহকারে পঞ্চামৃত অভিষেক সম্পন্ন হয় রামলালার। এরপর গঙ্গাজলে রামের মূর্তিকে স্নান করানো হয়। জানা যাচ্ছে, কমপক্ষে ৫ হাজার ভক্তকে রাম-কথা শোনানোর ব্যবস্থাও করা হয়েছে অযোধ্যায় (Ayodhya Ram Mandir)।

    শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মোদি 

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রামলালার বর্ষপূর্তি (Ramlala Pran Pratishtha) উপলক্ষে এক্স হ্যান্ডলে লিখেছেন, ‘‘সবাইকে শুভকামনা। দীর্ঘদিনের ত্যাগ, তপস্যা ও লড়াইয়ের পর এই মন্দির আমাদের সংস্কৃতি ও আধ্যাত্মিকতার দিকটিই তুলে ধরে।’’‌

    সকাল থেকেই বৈদিক রীতি মেনে চলছে পুজো-পাঠ 

    সকাল থেকেই বৈদিক রীতি মেনে চলছে পুজো-পাঠ। ৬ লক্ষ বার শ্রীরামের মন্ত্রোচ্চারণ হবে এদিন। একইসঙ্গে পাঠ করা হবে রামরক্ষা স্তোত্র ও হনুমান চালিশা। শনিবার মন্দিরের (Ayodhya Ram Mandir) একতলায় দুপুর ৩-৫টা পর্যন্ত চলবে রাগসেবা। এরপর ৬টা থেকে শুরু হবে ভজন-কীর্তন অনুষ্ঠান। ভক্তদের জন্য ভোগের ব্যবস্থাও করা হয়েছে। রাম মন্দির ট্রাস্টের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, শনিবার রামলালার (Ramlala) জন্য ৫৬ রকমের ভোগ তৈরি করা হয়েছে। রামলালার পুজো সম্পূর্ণ হয়ে যাওয়ার পরেই সেই ভোগ ভক্তদের মধ্যে বিতরণ করা হবে বলে জানা গিয়েছে।

    ৫০ কুইন্টাল ফুল দিয়ে সাজানো হয়েছে অযোধ্যাকে (Ayodhya)

    প্রথম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আরও নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে রাম মন্দিরে (Ayodhya Ram Mandir)। এদিনই লক্ষ লক্ষ পুণ্যার্থী ভিড় করেছেন অযোধ্যায়। কোথাও তিল ধারণের জায়গা নেই। এত ভক্তের ভিড় সামাল দিতে পুলিশি নিরাপত্তাও জোরদার করা হয়েছে। ৫০ কুইন্টাল ফুলদিয়ে সাজানো হয়েছে গোটা রাম মন্দিরকে (Ramlala Pran Pratishtha)। রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট জানিয়েছে, বছরের পয়লা দিনে ২ লক্ষ ভক্তের সমাগম হয়েছিল অযোধ্যায় (Ayodhya Ram Mandir)। এবার সংখ্যাটা আরও বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mahakumbh Mela 2025: মহাকুম্ভের নাগা সন্ন্যাসীদের জীবন দর্শন কেমন? কীভাবে পিন্ডদান করে পুণ্যলাভ হয় জানেন?

    Mahakumbh Mela 2025: মহাকুম্ভের নাগা সন্ন্যাসীদের জীবন দর্শন কেমন? কীভাবে পিন্ডদান করে পুণ্যলাভ হয় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহাকুম্ভের (Mahakumbh Mela 2025) আধ্যাত্মিক সাধনার ভরকেন্দ্রে রয়েছেন নাগা সন্ন্যাসীরা (Naga)। ভারতীয় আধ্যাত্মিক সাধনায় নাগাদের জীবন দর্শন কেমন তা নিয়ে সাধারণ মানুষের মনে একটা কৌতূহল রয়েছে। সাধুদের জীবন অভিপ্রায় কেমন? তাঁদের সাধ্য-সাধনতত্ত্বের বিষয়বস্তু কেমন? কীভাবে সাধনা করেন? সারা বছর কীভাবে জীবন অতিবাহিত করেন? লোক সমাজের অন্তরালে কীভাবে সাধনায় অবিচল থাকেন?— ইত্যাদি এই রকম নানা জানা-অজানা প্রশ্নে রহস্য জড়িয়ে রয়েছে কুম্ভমেলার সাধুদের জীবন। সাধারণত কুম্ভে সকল আগত দর্শনার্থী বা তীর্থযাত্রীদের কাছে আকর্ষণীয় দর্শনীয় বিষয় থাকে নাগা সাধুদের শোভাযাত্রা এবং প্রদর্শনী। আসুন এবার নাগা সাধুদের সম্পর্কে কিছু অজানা কথা জেনে নিই।

    শঙ্কারাচার্যের অদ্বৈতবাদের দ্বারা প্রভাবিত (Mahakumbh Mela 2025)

    বলা হয়ে থাকে, নাগারা আদিগুরু শঙ্করাচার্য, অদ্বৈত বেদান্তের মতবাদ দ্বারা অনুপ্রাণিত এবং দীক্ষিত। নাগাদের একটি বিশেষ আখড়া বা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় উত্থান, মন্দির ও আধ্যাত্মিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রক্ষা তথা সর্বোপরি ধর্মরক্ষা-ধর্মসংরক্ষণের জন্য নাগা সাধুর বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকেন। সাধারণত ১২ বছর অন্তর অন্তর মহাকুম্ভ পালিত হয় উত্তরাখণ্ডের হরিদ্বার, উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজ, মধ্যপ্রদেশের উজ্জয়িন এবং মহারাষ্ট্রের নাসিকে। এই বছর পূর্ণ মহাকুম্ভ হবে প্রয়াগরাজে। কুম্ভে কোটি কোটি ভক্ত, সাধু এবং সন্ন্যাসীদের মধ্যে নাগারা বিশেষ রূপ বহন করে থাকেন। তাঁদের ছাই ভস্ম মাখা উলঙ্গ দেহে চলাচল এবং তাঁদের হাতে অস্ত্র কিংবা ত্রিশূল অনন্যরূপে কুম্ভমেলার (Mahakumbh Mela 2025) মূল আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়। তাঁদের শোভাযাত্রা এবং অস্ত্র প্রশিক্ষণ শিবিরগুলিতে আগত পুণ্যার্থিদের ভিড় চোখে পড়ার মতো থাকে।

    নাগাদের উৎপত্তি

    ভারতের ইতিহাস এক বৈচিত্র্যপূর্ণ জীবন দর্শন। সনাতন হিন্দু ধর্মের নানা রূপে ভগবান বিরাজিত হন। পথ অনেক হলেও শেষ পর্যন্ত সমুদ্রেই নিমজ্জিত হয় নদী। প্রধান পাঁচটি ধর্মীয় শাখা হল— শৈব, শাক্ত, বৈষ্ণব, সৌর এবং গাণপত্য। এই পাঁচ শাখার মধ্যে নাগারা (Naga) হলেন পরম শৈব। তাঁরা শিবের উপাসক। বলা হয়ে থাকে ভারতীয় প্রাচীন ধর্মীয় রূপগুলির মধ্যে শৈব প্রধান মত। পণ্ডিতদের মতে, সংস্কৃতে ‘নাগা’ শব্দের অর্থ ‘পর্ব’, পাহাড়ী অঞ্চলে বসবাসকারী লোকদের বোঝায়, যাঁদের ‘পাহাড়ি’ বা ‘নাগা’ বলা হয়ে থাকে। এই সন্ন্যাসী সম্প্রদায়ের ভৌগলিক এবং সাংস্কৃতিক শিকড় অনেক গভীরে। অনেকটা দিগম্বর জৈনদের মতো। পোশাক না পরিধান করে নগ্ন অবস্থায় থাকেন তাঁরা। শৈব দর্শন হল তাঁদের মূল সাধন মার্গ। কুম্ভে (Mahakumbh Mela 2025) সাধুরা সনাতনী ভাবনাকেই বার বার ফুটিয়ে তুলতে সচেষ্ট থাকেন।

    পিন্ডদানের আচার পালন করতে হয়

    নাগা (Naga) সাধু হওয়া কোনও সহজ সাধনা নয়। নিজেকে জাগতিক সকল সুখ-ভোগ বিষয় ঐশ্বর্যকে ত্যাগ করতে জয়। সাধুদের প্রথমে ব্রহ্মচর্য এবং আধ্যাত্মিক অনুশাসন পালন করতে হয়। প্রতিশ্রুতি বদ্ধ হয়ে ১২ বছর ধরে কঠোর সাধনায়রত থাকেন সাধকরা। পার্থিব আনন্দ থেকে মুক্ত হয়ে ব্রহ্মচর্য পালন করতে হয়। পঞ্চগুরু, পিন্ডদানের আচার পালন করতে হয়। পিন্ডদানের মাধ্যমে পূর্ব পুরুষদের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া করা হয়ে থাকে। সনাতন ধর্মের পাঁচটি মার্গের দর্শনকে গভীরভাবে আত্মস্থ করতে হয়। এরপর গুরুরা দীক্ষা দিয়ে নির্দেশিকা দিয়ে থাকেন। তবে এই মতে দীক্ষা নিলে নতুন করে আবার পুনর্জন্মও হয়। এটাই নাগাদের বিশেষ বৈশিষ্ট্য, করা হয় সেই সঙ্গে নামকরণও। মেলায় (Mahakumbh Mela 2025) তাঁদের ধর্মীয় লৌকিক এবং অলৌকিক বাস্তবতার প্রয়োগও চোখে পড়ে।

    আরও পড়ুনঃ জমি মাফিয়াদের বোর্ড হল ওয়াকফ, তীব্র আক্রমণ যোগী আদিত্যনাথের  

    ভিক্ষাকরে জীবন অতিবাহিত করতে হয়

    অঙ্গকে কঠোর সংযম এবং সাধনার বলে আসক্তিকে মুক্ত করতে হয়। আখড়ার পতাকার নিচে দাঁড়িয়ে ২৪ ঘণ্টা উপবাসে নিমগ্ন হয়ে থাকতে হয় নাগাদের। তাঁদের মাথার চুল কামানো যায় না, মাথায় জটাধারী চুল হল শিবের প্রতীক। স্বয়ং ভোলানাথের কেশ ছিল জটাবৃত। তীব্রভাবে শারীরিক এবং মানসিক দিক থেকে যে কোনও কামনা-বাসনাকে ত্যাগ করতে হয়। তাঁদের কাছে আধ্যাত্মিক জ্ঞান এবং পরম ঈশ্বর প্রাপ্তি হল প্রধান লক্ষ্য। মূলত তাঁদের ভিক্ষা করে জীবন অতিবাহিত করতে হয়। এক দিনে ৭ বাড়ির বেশি ভিক্ষা করা যায় না, আর যদি ওই দিন ভিক্ষা না পেয়ে থাকেন তাহলে ক্ষুদাকে আলিঙ্গন করতে হয়। তাঁদের মাটিতে বিছানা করে ঘুমাতে হয়। বিলাসিতা এবং সকল স্বাচ্ছন্দ্যকে বর্জন করতে হয়। নাগারা একই ভাবে মনের অহং ভাবনাকে সম্পূর্ণভাবে ত্যাগ করে পরমশক্তিমান শিবের আরাধনা করে থাকেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: গোধরাকাণ্ডের পর কীভাবে নিজের আবেগ সামলেছিলেন, পডকাস্টে খোলসা করলেন মোদি

    PM Modi: গোধরাকাণ্ডের পর কীভাবে নিজের আবেগ সামলেছিলেন, পডকাস্টে খোলসা করলেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “সেখানে যন্ত্রণাদায়ক দৃশ্যের সম্মুখীন হই।” গোধরাকাণ্ডে এমনই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। জেরোধার সহ-প্রতিষ্ঠাতা নিখিল কামাথের সঙ্গে প্রথম পডকাস্ট সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “২৪ ফেব্রুয়ারি প্রথমবার বিধায়ক নির্বাচিত হই। ২৭ ফেব্রুয়ারি বিধানসভায় ছিলাম। সেই সময় ট্রেনে আগুন লাগার খবর পাই, মৃত্যুর খবর পাই। সঙ্গে সঙ্গে গোধরা (Godhra) উড়ে গিয়েছিলাম আমি।” তিনি বলেন, “সেখানে যন্ত্রণাদায়ক দৃশ্যের সম্মুখীন হই। সব অনুভূতিই ছিল ভিতরে, কিন্তু যে পদে অধিষ্ঠিত ছিলাম, তার গুরুত্ব বিবেচনা করে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে হচ্ছিল।”

    গোধরা পৌঁছনোর অভিজ্ঞতা (PM Modi)

    অকুস্থলে পৌঁছতে যে তাঁকে হিমশিম খেতে হয়, তাও জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, “একটাই মাত্র হেলিকপ্টার ছিল। ওএনজিসির সিঙ্গল ইঞ্জিনের হেলিকপ্টার। বলা হয়, ভিআইপি ওই হেলিকপ্টারে উঠতে পারবেন না।” তিনি বলেন, “আমি তর্ক করি। জানাই, আমি ভিআইপি নই। যা ঘটেছে, তার দায় আমার। তার পরেই গোধরা উড়ে যাই।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “সামনে তখন যন্ত্রণাদায়ক দৃশ্য, ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে মৃতদেহ। কিন্তু স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া দমন করতে হয়েছিল, সরিয়ে রাখতে হয়েছিল ব্যক্তিগত আবেগ।”

    কঠিন পরিস্থিতির মোকাবিলা কীভাবে

    মোদি (PM Modi) গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন পাঁচটি বোমা বিস্ফোরণ ঘটেছিল। সেই সময়ও তাঁকে কঠিন পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে হয়েছিল। তিনি বলেন, “পুলিশকে বলেছিলাম, কন্ট্রোল রুমে থাকতে চাই। কিন্তু নিরাপত্তাজনিত কারণে তা করা যায়নি। পরে হাসপাতালে আহতদের সঙ্গে দেখা করতে যাই। ভিতরে অসম্ভব অস্থিরতা ছিল, উৎকণ্ঠায় ছিলাম। আমার অন্যরকম অভিজ্ঞতা হয়েছিল।”

    আরও পড়ুন: পর্নস্টারকে ঘুষ মামলায় নিঃশর্ত রেহাই ভাবী মার্কিন প্রেসিডেন্টের, কী বলল আদালত?

    প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, “আমি কখনও জীবন-মৃত্যুর কথা ভাবিনি। যারা হিসেবি জীবন যাপন করেন, তাঁদের এমনটা মনে হতে পারে। মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর অবাক হয়েছিলাম, কী করে মুখ্যমন্ত্রী হলাম, এই ভেবে।” তিনি বলেন, “আমার ব্যাকগ্রাউন্ডটাই এমন যে আমি যদি প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষকও হতাম, তাহলে আমার (Godhra) মা পাড়ায় গুড় বিলি করতেন (PM Modi)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Republic Day Parade 2025: ব্রহ্মস থেকে পিনাকা, রোবট কুকুর! প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে থাকবে আর কোন চমক?

    Republic Day Parade 2025: ব্রহ্মস থেকে পিনাকা, রোবট কুকুর! প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে থাকবে আর কোন চমক?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এ বছর ৭৬তম প্রজাতন্ত্র দিবসের (Republic Day Parade 2025) কুচকাওয়াজে আত্মনির্ভর ভারতের প্রতিচ্ছবি তুলে ধরবে সেনা (Indian Army)। কয়েক বছর আগেই রীতি বদলের সূচনা করেছিল মোদি সরকার। প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে আত্মনির্ভরতার বার্তা দিতে দেশে তৈরি অস্ত্র এবং সামরিক সরঞ্জাম প্রদর্শন শুরু হয়েছিল। সেই ধারা মেনেই এ বারও ২৬ জানুয়ারি দিল্লির কর্তব্যপথে সামরিক উৎপাদন ক্ষেত্রে ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’র নতুন কয়েকটি নমুনার সঙ্গে পরিচিত হবেন দেশবাসী। 

    কোন কোন অস্ত্রের প্রদর্শন

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রের খবর, এ বারের প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে (Republic Day Parade 2025) রাশিয়ার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে দেশে তৈরি সুপারসনিক (শব্দের চেয়ে বেশি গতিবেগ সম্পন্ন) ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ‘ব্রহ্মস’ প্রদর্শিত হবে। সেই সঙ্গে থাকবে, সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে ডিআরডিও এবং ভারত ডায়নামিক্স লিমিটেড (বিডিএল)-এর তৈরি স্বল্পপাল্লার ভূমি থেকে আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র ‘আকাশ’ এবং ট্যাঙ্ক বিধ্বংসী গাইডেড ক্ষেপণাস্ত্র ‘নাগ’ এবং মাল্টি ব্যারেল রকেট সিস্টেম ‘পিনাকা’র নতুন সংস্করণ। গত বারের মতোই এ বারও ডিআরডিওর তৈরি ভারী ট্যাঙ্ক ‘অর্জুন’ এবং সাঁজোয়া গাড়িবাহিত ১৫৫ মিলিমিটার হাউইৎজার ‘কে-৯ বজ্র’ থাকবে প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে। গত দু’বছরের মতোই ব্রিটিশ ২৫ পাউন্ডারের বদলে দেশে তৈরি ১০৫ মিলিমিটার কামান থেকে আনুষ্ঠানিক ‘২১ তোপধ্বনি’ করা হবে। প্রজাতন্ত্র দিবসের প্যারেডে অংশ নেবে রোবট কুকুরও। 

    আসন্ন প্রজাতন্ত্র দিবসের (Republic Day Parade 2025) কুচকাওয়াজের অনুষ্ঠান দেখার সুযোগ পাচ্ছেন প্যারালিম্পিকের অংশগ্রহণকারী খেলোয়াড় থেকে শুরু করে প্রত্যন্ত গ্রামের পঞ্চায়েত-প্রধানরা ৷ এছাড়া থাকছেন দেশের সবচেয়ে উন্নতমানের গ্রামের বাসিন্দারা। পাশাপাশি হ্যান্ডলুম শিল্পী থেকে শুরু করে বন দফতরের কর্মীরাও থাকছেন অনুষ্ঠানে৷ সব মিলিয়ে ৭৬তম প্রজাতন্ত্র দিবসে কর্তব্য পথে আমন্ত্রিত হয়েছেন এরকম ১০ হাজার বিশেষ অতিথি৷ তবে এখনও প্রজাতন্ত্র দিবসের প্রধান অতিথির নাম ঘোষণা করেনি মোদি সরকার। সম্ভবত, ইন্দোনেশীয় প্রেসিডেন্ট প্রাবোয়ো সুবিয়ান্তোকে ওই আসনে দেখা যাবে, বলে খবর।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Mahakumbh 2025: পরিবেশবান্ধব মহাকুম্ভ, জাপানি পদ্ধতিতে প্রয়াগরাজজুড়ে ঘন অরণ্য তৈরি করেছে যোগী সরকার

    Mahakumbh 2025: পরিবেশবান্ধব মহাকুম্ভ, জাপানি পদ্ধতিতে প্রয়াগরাজজুড়ে ঘন অরণ্য তৈরি করেছে যোগী সরকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৩ জানুয়ারি শুরু হচ্ছে মহাকুম্ভ (Mahakumbh 2025)। চলবে ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। মনে করা হচ্ছে, মহাকুম্ভকে কেন্দ্র করে প্রয়াগরাজে জড়ো হতে পারেন ৪০ থেকে ৪৫ কোটি ভক্ত। মহাকুম্ভকে সাফল্যমণ্ডিত করতে প্রস্তুতি তুঙ্গে চলছে। ইতিমধ্যেই উত্তরপ্রদেশের যোগী আদিত্যনাথ সরকার বেশ কতগুলি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ করেছে, যাতে এই মহাকুম্ভ পরিবেশবান্ধব হতে পারে। এর মাধ্যমে সারা পৃথিবীর কাছে এক বার্তা পৌঁছে দিতে চায় যোগী আদিত্যনাথ সরকার। বার্তাটি হল, বিশ্বের এত বড় ইভেন্টকেও পরিবেশবান্ধব রাখা যায় এবং পরিবেশের কোনও রকমের ক্ষতি না করে, সেটিকে সুন্দরভাবে সম্পন্ন করা যায়। আর এই লক্ষ্যেই জাপানি প্রযুক্তি (Mahakumbh 2025) ব্যবহার করে প্রয়াগরাজের (Prayagraj) আশেপাশে ইতিমধ্যে ঘন অরণ্য গড়ে তোলা হয়েছে। স্বল্প পরিসরে ঘন অরণ্য তৈরির পদ্ধতিকে কাজে লাগানো হয়েছে। যার পোশাকি নাম ‘জাপানি মিয়াওয়াকি’ পদ্ধতি। এর ফলে বিশুদ্ধ বাতাস এবং স্বাস্থ্যকর পরিবেশ পাবেন ভক্তরা।

    প্রসঙ্গত, যে স্থানে কুম্ভ হচ্ছে সেটি দেখভাল করে প্রয়াগরাজ পুরসভা। সেই কর্পোরেশন কুম্ভ মেলাকে স্বাস্থ্যসম্মত ও পরিবেশ বান্ধব গড়ে তুলতে জাপানি প্রযুক্তির সহায়তা নিয়েছে। জানা গিয়েছে, এক্ষেত্রে কাজে ব্যবহার করা হয়েছে ‘জাপানি মিয়াওয়াকি’ পদ্ধতি। এই প্রযুক্তির সাহায্যে ঘন অরণ্য তৈরি করা সম্ভব হয়েছে। যা অক্সিজেন ব্যাঙ্কের কাজ করবে। যোগী আদিত্যনাথ সরকারের এই প্রয়াসে শুধুমাত্র প্রয়াগরাজে যে সবুজায়ন হয়েছে এমনটাই নয়, এর পাশাপাশি সেখানকার বাতাসও অনেক উন্নত হয়েছে। খুবই ভালো হয়েছে বাতাসের গুণগত মান। এর মাধ্যমে যোগী আদিত্যনাথ সরকার গোটা প্রয়াগরাজে একটি স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশ গড়ে তুলতে পেরেছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, মহাকুম্ভকে সফল করতে এটি যোগী আদিত্যনাথ সরকারের একটি বড় প্রয়াস।

    যোগী সরকারের এমন পদক্ষেপ নিয়ে কী বললেন উদ্ভিদবিদ্যার অধ্যাপক

    এ বিষয়ে বিভিন্ন বিশেষজ্ঞদের মতামতও সামনে এসেছে। এমনই একজন হলেন ডক্টর এনবি সিং। যিনি এলাহাবাদ কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন অধ্যাপক। উদ্ভিদ বিদ্যা বিষয়ের এই অধ্যাপক সারা প্রয়াগরাজেই পরিচিত। তাঁকে বলা হয় ‘গ্রিনারি গুরু’ বা ‘সবুজ গুরু’। কারণ একাধিক পদক্ষেপ তিনি করেছেন সবুজায়নের ওপর। পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখতেও অনেক কাজ করেছেন তিনি। সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, প্রতিনিয়ত দূষণ বাড়ছে এবং বেড়ে চলেছে তাপমাত্রা। এর কারণ হচ্ছে বনাঞ্চল ধ্বংস করে শহর গড়া।

    ‘জাপানি মিয়াওয়াকি’ পদ্ধতি

    প্রসঙ্গত, সাম্প্রতিক বেশ কয়েক বছর ধরেই তীব্র তাপমাত্রা বেড়েছে বিশ্বজুড়ে। শুধুমাত্র তাই নয়, এই সময়ে মেরু অঞ্চলের বরফও গলে যেতে শুরু করেছে। গবেষণায় উঠে এসেছে, এর অন্যতম কারণ হল গাছ কাটা এবং বনাঞ্চল ধ্বংস। তবে এলাহাবাদ কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উদ্ভিদবিদ্যা বিষয়ের অধ্যাপক ডঃ এনবি সিং মনে করেন যে ‘জাপানি মিয়াওয়াকি’ পদ্ধতি প্রযুক্তি হল একটি দুর্দান্ত টেকনিক, যার মাধ্যমে এই সমস্ত সমস্যাগুলির সমাধান করা যায়। তিনি আরও জানিয়েছেন, দ্রুত ঘন অরণ্যের বৃদ্ধি কিভাবে করা যাবে সেই উপায় বাতলে দেয় এই জাপানি টেকনিক। এই পদ্ধতির মাধ্যমে দিন ও রাতে তাপমাত্রার ফারাকও অনেকটাই কমে যায়, বিশেষত গ্রীষ্মকালে। জাপানি প্রযুক্তিতে বনাঞ্চল বৃদ্ধির এই পদ্ধতিতে একটি স্বাস্থ্যকর জীববৈচিত্র গড়ে ওঠে। শুধুমাত্র তাই নয়, এর পাশাপাশি মাটির গুণগত মান অনেকটা বেড়ে যায় এবং তা চাষযোগ্য হয়। একই সঙ্গে বনাঞ্চলগুলি অজস্র প্রাণী ও পাখির বাসভূমিও হয়ে ওঠে। জানা গিয়েছে, কোনও নির্দিষ্ট এলাকায় যদি বনাঞ্চল থাকে, তাহলে সেখানকার তাপমাত্রা এমনিতেই চার থেকে সাত ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত কমে যায়। এর পাশাপাশি ‘জাপানি মিয়াওয়াকি’ পদ্ধতিতে আরও একাধিক সুবিধা পাওয়া যায় যা পরিবেশের পক্ষে খুবই উপযোগী।

    দশটি স্থানকে বেছে নেয় প্রয়াগরাজের প্রশাসন

    মহাকুম্ভকে (Mahakumbh 2025) পরিবেশবান্ধব গড়ে তুলতে এবং প্রয়াগরাজের বাতাসের গুণগত মানকে বাড়াতে সেখানকার পুরসভা শহরের দশটি স্থানকে বেছে নেয়। এখানে ‘জাপানি মিয়াওয়াকি’ পদ্ধতির মাধ্যমে মোট ৫৫ হাজার ৮০০ বর্গমিটার জায়গা জুড়ে বিগত দু’বছর ধরে চারা গাছ রোপন করা হয়। এই গোটা প্রকল্পের তদারকি করেন ইঞ্জিনিয়ার গিরিশ সিং। তিনি বলেন, ‘‘আমরা চারা গাছ রোপন করেছিলাম প্রয়াগরাজের নৈনি ইন্ডাস্ট্রিয়াল অঞ্চলে। বছর দুই আগে। এই প্রত্যেকটি চারাগাছই বর্তমানে দশ থেকে বারো ফুট লম্বা হয়ে উঠেছে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘নৈনি শিল্পক্ষেত্রের ওই জায়গাতে বর্জ্য পড়ে থাকত। প্রথমে শিল্পের বর্জ্যগুলিকে সেখান থেকে সরানো হয়। তারপরে মাটির গুণগত মান বাড়ানো হয় এবং সেখানে জৈব সার ফেলা হয়। তারপরেই বৃক্ষরোপণ করা হয়।’’ অন্যদিকে আর এক জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার আর কে মিশ্রা বলেন, ‘‘এইভাবে বনাঞ্চল বৃদ্ধির ফলে গোটা এলাকাতে তাপমাত্রা অনেকটাই কমে যাবে। কম জায়গার মধ্যে ঘন অরণ্য গড়ে তোলার পদ্ধতি হল জাপানি মিয়াওয়াকি প্রযুক্তি। মহাকুম্ভে যাঁরা আসবেন, তাঁরা এই সবুজায়নের সাক্ষী থাকবেন।’’

    বনাঞ্চল বৃদ্ধি করতে উদ্যোগ শুরু হয় ২০২০-২১ সাল থেকেই

    প্রসঙ্গত, প্রয়াগরাজে মিয়াওয়াকি প্রকল্প (Mahakumbh 2025) শুরু হয় ২০২০-২১ সাল থেকে। ২০২৩-২৪ সালে তা দ্রুত বৃদ্ধি পায়। পরিসংখ্যান বলছে, প্রয়াগরাজের নৈনি শিল্পক্ষেত্রের ৬৩টি স্থানের, ৩৪,২০০ বর্গমিটার এলাকাজুড়ে এখনও পর্যন্ত ১ লাখ ১৯ হাজার ৭০০ চারা গাছ রোপন করা হয়েছে। এত বিপুল পরিমাণে চারা গাছ রোপনকে মাইলস্টোন বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। একটা সময় ছিল যখন এই এলাকায় একটি বর্জ্য এলাকা বলেই পরিচিত ছিল। কারণ এখানে শিল্প বর্জ্যগুলিকে ফেলা হত। কিন্তু বর্তমানে তা পরিবেশবান্ধব এবং সবুজায়নের একটি কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। এর সবটাই হয়েছে যোগী আদিত্যনাথ সরকারের উদ্যোগে।

    প্রয়াগরাজের সবথেকে বর্জ্য এলাকা ছিল বুসওয়ার, তারও পরিবর্তন হয়েছে

    প্রসঙ্গত, প্রয়াগরাজের সবথেকে বর্জ্য এলাকা ছিল বুসওয়ার এবং সেটিরও উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন হয়েছে যোগী আদিত্যনাথের। এর পুরোটাই সম্ভব হয়েছে জাপানি মিয়াওয়াকি প্রযুক্তির ব্যবহারের ফলে। জানা গিয়েছে প্রয়াগরাজের ওই বর্জ্য এলাকায় এখনও পর্যন্ত নয় হাজার বর্গমিটার জুড়ে ২৭টি আলাদা আলাদা জায়গায় ২৭ হাজার চারা গাছ রোপন করা হয়েছে। বর্তমানে ওই স্থান একটি ঘন অরণ্যে পরিণত হয়েছে। প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, এই উদ্যোগ শুধুমাত্র ঘন অরণ্য স্থাপনের জন্য নেওয়া হয়নি। তার পাশাপাশি গ্রীষ্মকালে যাতে তাপমাত্রা বৃদ্ধি না পায় এবং বাতাস যাতে বিশুদ্ধ থাকে সেজন্যও নেওয়া হয়েছে। এই দুই স্থান ছাড়াও প্রয়াগরাজের আরও ১৩টি জায়গাতে জাপানি প্রযুক্তির সাহায্যে অরণ্য তৈরি করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।

    কোন কোন গাছ রোপন?

    ‘জাপানি মিয়াওয়াকি’ প্রকল্পের মাধ্যমে প্রয়াগরাজে শুধুমাত্র ঘন অরণ্যই স্থাপন করা হয়নি। এর মাধ্যমে জীববৈচিত্র্যের সংরক্ষণ করা আরও সহজ হয়েছে এবং এর পাশাপাশি সেখানকার স্থানীয় লোকজনেরও প্রচুর উপকার হয়েছে। এই প্রকল্পের আওতায় ঔষধি গাছ, ফলের গাছও রোপন করা হয়েছে। ‘জাপানি মিয়াওয়াকি’ প্রকল্পের আওতায় যে গাছগুলি রোপন করা হয়েছে, সেগুলি হল আম, মহুয়া, নিম, পিপল, অর্জুন, তুলসী আমলা ইত্যাদি। এর পাশাপাশি গুলমোহর, ব্রাহ্মী রোপন করা হয়েছে। লেবু, বাঁশ ইত্যাদি গাছও রোপন করা হয়েছে।

    ‘জাপানি মিয়াওয়াকি’ প্রযুক্তির খুঁটিনাটি ব্যাপার

    এবার আমরা জেনে নেব ‘জাপানি মিয়াওয়াকি’ প্রযুক্তির খুঁটিনাটি ব্যাপার। ‘জাপানি মিয়াওয়াকি’ প্রযুক্তির প্রতিষ্ঠাতা হলেন, জাপানের এক উদ্ভিদবিজ্ঞানী। তাঁর নাম আকিরা মিয়াওয়াকি। ১৯৭০ সালে তিনি এই প্রযুক্তির আবিষ্কার করেন। এই প্রযুক্তির মাধ্যমে অল্প পরিসরে ঘন অরণ্য গড়ে তোলা সম্ভব হয়। খুবই কাছাকাছি গাছগুলিকে রোপন করা হয় এই পদ্ধতিতে। এরফলে খুব দ্রুত তারা বৃদ্ধি পায়। যে কোনও চারাগাছ রোপনের করার পরে সেটি বৃক্ষ হতে যত সময় লাগে, তার দশগুণ তাড়াতাড়িভাবে বাড়ে এই পদ্ধতি ব্যবহার করলে।  এর পাশাপাশি, এই পদ্ধতিতে বাড়ে মাটির গুণগত মান। উন্নত হয় জীববৈচিত্র্য। বনাঞ্চল খুব দ্রুত বৃদ্ধি পায়। বর্তমান দিনে শহর বাড়ছে। বাড়ছে শিল্প। এরফলে বাড়ছে তাপমাত্রা। এই আবহে পরিবেশের জীববৈচিত্র্যকে সঠিক রাখতে খুবই প্রয়োজন ‘জাপানি মিয়াওয়াকি’ পদ্ধতি, এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। প্রসঙ্গত, প্রয়াগরাজ পুর কমিশনার চন্দ্রমোহন এ বিষয়ে বলেন, ‘‘আমরা ঘন অরণ্য তৈরি করতে পেরেছি জাপানি প্রযুক্তির সহায়তায়।’’ 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Modi Government: মমতার বঞ্চনার দাবি মিথ্যে, কর বাবদ বাংলাকে ১৩,০১৭ কোটি টাকা দিল মোদি সরকার

    Modi Government: মমতার বঞ্চনার দাবি মিথ্যে, কর বাবদ বাংলাকে ১৩,০১৭ কোটি টাকা দিল মোদি সরকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নতুন বছরে সুখবর। রাজ্যগুলিকে কর বাবদ ১,৭৩,০৩০ কোটি টাকা বণ্টন করল কেন্দ্রীয় সরকার (Modi Government)। পশ্চিমবঙ্গ পেল ১৩০১৭.০৬ কোটি টাকা। ডিসেম্বর ২০২৪-এ ৮৯,০৮৬ কোটি টাকা বণ্টন করা হয়েছিল। যার তুলনায় এবারের পরিমাণ অনেক বেশি বলে দাবি করা হয়েছে। এই বাড়তি অর্থ রাজ্যগুলিকে উন্নয়নমূলক কাজ দ্রুত এগিয়ে নিয়ে যেতে এবং জনকল্যাণ প্রকল্পগুলির খরচ মেটাতে সাহায্য করবে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিয়মমাফিক কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ তোলেন। সেই দাবি যে সর্বৈব মিথ্যে ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, তা এই বাড়তি অর্থ বরাদ্দের ঘটনায় পরিষ্কার।

    আরও পড়ুনঃ ২২ জানুয়ারি মুর্শিদাবাদে রাম মন্দিরের সূচনা, ঘোষণা অম্বিকানন্দের, কারা কারা আমন্ত্রিত?

    জিএসটি বাবদ প্রাপ্য টাকা দিল কেন্দ্র

    বয়েকা অর্থ নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে (Central Government) বারবার নিশানা করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। প্রাপ্য টাকা না দেওয়া এবং বিভিন্ন প্রকল্পের বরাদ্দ টাকা আটকে থাকার অভিযোগ তিনি বারবার সামনে এনেছেন। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে, বারবারই রাজ্যের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে মোদি সরকার (Modi Government)। এবারও কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে কর বাবদ পশ্চিমবঙ্গকে (West Bengal) ১৩ হাজার ১৭ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। আগামী ১ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় বাজেট (Union Budget 2025) পেশ হবে। তার আগে এই অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে। 

    কেন্দ্রের মতে, রাজ্যগুলির আর্থিক শক্তি বাড়াতে এবং সামগ্রিক উন্নয়নে সরকারের এই পদক্ষেপ গুরুত্বপূর্ণ। প্রসঙ্গত, বিগত কয়েক বছরে একাধিকবার কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগ তুলেছে মমতা সরকার। কিন্তু কেন্দ্রের তরফে প্রতিবারই তৃণমূল সরকারের দুর্নীতির অভিযোগ সামনে আনা হয়েছে। খরচের হিসেব চাওয়া হয়েছে। কিন্তু সেভাবে সঠিক তথ্য দিতে পারেনি রাজ্য সরকার। যদিও চাপানউতোরের মধ্যেই কর বাবদ বড় অংশের টাকা রাজ্যকে দিল কেন্দ্র (Modi Government)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Yogi Adityanath: জমি মাফিয়াদের বোর্ড হল ওয়াকফ, তীব্র আক্রমণ যোগী আদিত্যনাথের

    Yogi Adityanath: জমি মাফিয়াদের বোর্ড হল ওয়াকফ, তীব্র আক্রমণ যোগী আদিত্যনাথের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওয়াকফ বোর্ডকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath)। সম্প্রতি প্রয়াগরাজের মহাকুম্ভের স্থানকে ওয়াকফ সম্পত্তি (Waqf Board) বলে দাবি করা হয়েছিল। সে নিয়ে যোগী আদিত্যনাথ বলেন, ‘‘এটা আসলে ওয়াকফ বোর্ড নয়, এটা হল জমি মাফিয়াদের বোর্ড।’’

    যাঁরা বিদ্বেষপূর্ণ মানসিকতা নিয়ে প্রয়াগরাজে হাজির হবেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে

    যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath) আরও হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘‘যাঁরা ওয়াকফ বোর্ডের জমি দাবি করার জন্য মহাকুম্ভে আসবেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’ এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মহাকুম্ভে মুসলিমদের প্রবেশ নিয়ে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী (Yogi Adityanath) বলেন, ‘‘ভারত এবং ভারতীয় সংস্কৃতির ওপর যাঁদের আস্থা ও বিশ্বাস রয়েছে, তাঁদের প্রত্যেককে স্বাগত। কিন্তু যাঁরা বিদ্বেষপূর্ণ মানসিকতা নিয়ে প্রয়াগরাজে হাজির হবেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘ভারতীয় সংস্কৃতির ওপর আস্থা রেখে যে কোনও ধর্মের মানুষ যদি গঙ্গাস্নান করতে আসেন, মহাকুম্ভের ঐতিহ্যকে অনুসরণ করেন, তাহলে কোনও সমস্যা নেই। কিন্তু কেউ যদি জমি দাবি করতে আসেন তাহলে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

    ইঞ্চি-ইঞ্চি পুনরুদ্ধার করা হবে ওয়াকফ বোর্ডের দখল করা জমি

    উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী (Yogi Adityanath) আরও বলেন, ‘‘কোটি কোটি ভক্ত ১২ বছর পরে মহাকুম্ভে অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছেন। তাই এখানে কোনও রকমের বৈষম্য থাকবে না।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘উত্তরপ্রদেশে নানা অজুহাতে ওয়াকফ বোর্ড যে সমস্ত জমি বেআইনিভাবে অধিগ্রহণ করেছে, তার প্রতিটা জমি ইঞ্চি-ইঞ্চি পুনরুদ্ধার করা হবে।’’ এই সময় তিনি মন্তব্য করেন, ‘‘হাজার হাজার বছর ধরে ভারতের ঐতিহ্যের প্রতীক হয়ে উঠেছে মহাকুম্ভ। অন্যদিকে, ওয়াকফ বোর্ড জমি মাফিয়াদের একটি বোর্ডে পরিণত হয়েছে।’’ তিনি জানিয়েছেন, উত্তরপ্রদেশে যেখানেই ওয়াকফ বোর্ডের নামে জমি দেখা হবে, সেখানেই তদন্ত করা হবে এবং তা সঠিক মালিকদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share