Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • India China Relation: ভারতের বাড়া ভাতে ছাই দিতে অরুণাচলপ্রদেশে উগ্রপন্থীদের মদত দিচ্ছে চিন!

    India China Relation: ভারতের বাড়া ভাতে ছাই দিতে অরুণাচলপ্রদেশে উগ্রপন্থীদের মদত দিচ্ছে চিন!

    মুখে মিষ্টতা। আর আস্তিনে লুকনো বাঘনখ! এভাবেই ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখতে চাইছে চিন! অন্তত আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের একাংশের ধারণা তেমনই। এভাবেই তারা ক্রমশ কবজা করতে চাইছে ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ অরুণাচলপ্রদেশকে। আজ দ্বিতীয় কিস্তি…

     

    অরুণাচলপ্রদেশে ড্রাগনের থাবা-২

     

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডোক যখন রেস্তোরাঁ চালিয়ে সমাজের মূলস্রোতে ফেরার চেষ্টা করছেন এবং পুলিশও যথন তাঁর ওপর নজরদারি চালানো বন্ধ করে দিয়েছে, তখন তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করতে নাগা গোষ্ঠীকে দায়িত্ব দিল চিন (India China Relation)। ঠিক এক বছর আগে এনএসসিএন-এর দুজন প্রবীণ কর্তা তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন বলে অনুমান (Arunachal Pradesh)। এনএসসিএন (কে-ওয়াইএ) দক্ষিণ-পূর্ব অরুণাচলপ্রদেশের তিরাপ, চাংলাং এবং লংডিং জেলাগুলোতে সক্রিয়। এই জেলাগুলি নাগাল্যান্ড লাগোয়া। আইবির এক প্রবীণ আধিকারিক বলেন, “ডোকের সঙ্গে যোগাযোগকারী এনএসসিএন (কে-ওয়াইএ)-এর দুই কর্তা ছিলেন সংগঠনের শীর্ষ নেতৃত্বের দূত। তাঁদের দায়িত্ব ছিল ডোক নতুন একটি সশস্ত্র গোষ্ঠী গঠন করতে আগ্রহী কিনা তা জেনে নেওয়া।

    চিনের জঙ্গি-যোগ! (India China Relation)

    এনএসসিএন-এর দুটি গোষ্ঠী— এনএসসিএন (কে-ওয়াইএ) এবং এনএসসিএন (ইসাক-মুইভাহ)। দুই গোষ্ঠীই ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রেখে চলেছে চিনের সঙ্গে। অতীতে চিন নাগা গোষ্ঠীগুলোকে আশ্রয়, প্রশিক্ষণ এবং এমনকি অস্ত্র দিয়েও সাহায্য করেছিল। এনএসসিএন (কে-ওয়াইএ)-এর প্রায় পুরো নেতৃত্ব এবং বেশিরভাগ সদস্য মায়ানমারের উত্তরের সাগাইং এবং পশ্চিমের কাচিন রাজ্যের শিবিরগুলোয় রয়েছে (India China Relation)। এসব এলাকা এখন কাচিন ইন্ডিপেনডেন্স অর্গানাইজেশন (কেআইও)-এর নিয়ন্ত্রণে, যার সশস্ত্র শাখা কাচিন ইন্ডিপেনডেন্স আর্মি (কেআইএ) মায়ানমারের শাসক সেনাবাহিনীর কাছ থেকে কাচিনের বড় অংশ দখল করেছে। কেআইও-এর সঙ্গে চিনের গভীর সম্পর্ক রয়েছে। চিন তাদের অর্থায়ন করছে এবং কৌশলগত পরামর্শ দিচ্ছে। কেআইও চেয়ারম্যান জেনারেল এন’বান লা গত (Arunachal Pradesh) ডিসেম্বরের শুরুতে চিনে গিয়ে মায়ানমারের জাতিগত সংঘাত নিয়ে আলোচনা করেছেন বলেও খবর।

    নয়া সশস্ত্র গোষ্ঠী

    আইবির ধারণা, বেজিংয়ের ইঙ্গিতেই কেআইও এনএসসিএন (কে-ওয়াইএ)-এর নেতৃত্বকে ডোকের সঙ্গে যোগাযোগ করে একটি নয়া সশস্ত্র গোষ্ঠী গঠন করতে বলা হয়েছিল। ডোক প্রথমে দ্বিধাগ্রস্ত ছিলেন। কারণ তাঁর আগের গোষ্ঠী এনএলসিটিতে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল। তিনি জানতেন যে পর্যাপ্ত সম্পদ, অস্ত্র, এবং বাহ্যিক সহায়তা ছাড়া একটি গোষ্ঠী টিকিয়ে রাখা শুধু মুশকিলই নয়, তাকে কার্যকর করাও অসম্ভব।

    ডোককে আশ্বাস চিনের

    ডোককে আশ্বস্ত করা হয়েছিল যে এবার অর্থ, অস্ত্র এবং নিরাপদ আশ্রয়ের অভাব হবে না। এনএসসিএন (কে-ওয়াইএ)-এর কর্তারা তাঁকে এও বলেছিলেন যে, তাঁর কাজ হবে কেবল লোকজন নিয়োগ করা। অর্থ, প্রশিক্ষণ, অস্ত্র এবং নিরাপদ আশ্রয় সরবরাহ করবে তারা (India China Relation)। ডোককে সাহায্য করার জন্য এনএসসিএন (কে-ওয়াইএ)-এর আরও দুই সদস্যকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল।

    ভারতের বাঁধ নির্মাণে বাধা দিতে অরুণাচলপ্রদেশে উগ্রপন্থীদের মদত দিচ্ছে চিন! (প্রথম পর্ব)

    চিনের লোভনীয় প্রস্তাবে সাড়া

    চিনের এই লোভনীয় প্রস্তাব পেয়ে আর না করতে পারেননি ডোক। গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে নতুন করে উদ্যোগী হন তিনি। এনএসসিএন (কে-ওয়াইএ) তাকে প্রাথমিকভাবে সাহায্য করে। ডোক কীভাবে সম্ভাব্য নিয়োগপ্রাপ্তদের চিহ্নিত করা, গোপনে যোগাযোগ করা এবং তাদের মনোভাব পরিবর্তন করে নিয়োগ করতে হয়, তা শিখে নেন।

    হাওয়ালা চ্যানেলের মাধ্যমে ফান্ডিং!

    গোয়েন্দারা জেনেছেন, নাগা গোষ্ঠীর সদস্যরা হাওয়ালা চ্যানেলের মাধ্যমে বড় অঙ্কের অর্থ ডোকের কাছে পাঠায়। চার মাস পর ডোক ইটানগর ও আশপাশ এলাকার প্রায় আটজন যুবককে সংগঠনে নিয়োগ করতে সক্ষম হন। দরিদ্র পরিবারের এই আধা-শিক্ষিত বা স্কুলছুট যুবকদের ইটানগরের (Arunachal Pradesh) শহরতলির দুটি বাড়িতে রাখা হয় এবং তাদের মাসিক ভাতা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়।

    ডোকের নয়া দল

    ওই বছরেরই অক্টোবরের গোড়ার দিকে, ডোক ২০ জন সদস্যের একটি দল গড়ে তোলেন। তাঁরা সকলেই লংডিং জেলায় গিয়েছিলেন। সেখান থেকে তাঁরা ভারত-মায়ানমারের অরক্ষিত সীমানা পেরিয়ে কাচিনে ঢোকে। কাচিনের একটি শিবিরে ডোক দেখা করেন এনএসসিএন (কে-ওয়াইএ)-এর নেতৃত্বের সঙ্গে। কাচিনের এই শিবিরটি, যা চাংরাং হি এলাকায় অবস্থিত বলে মনে করা হচ্ছে, ইউটিএর অস্থায়ী সদর দফতর হয়ে উঠেছে। এই গোষ্ঠী ডোককে নেতা করে আনুষ্ঠানিকভাবে গঠিত হয়েছে (India China Relation)।

    চলছে প্রশিক্ষণ

    এনএসসিএন (কে-ওয়াইএ)-এর সদস্যরা বর্তমানে ইউটিএ সদস্যদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। চিন কেআইএ এবং এনএসসিএন (কে-ওয়াইএ)-এর মাধ্যমে ইউটিএ-কে অ্যাসল্ট রাইফেল, গ্রেনেড লঞ্চার এবং অন্যান্য অস্ত্র সরবরাহ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। কয়েকদিন আগে ইউটিএ প্রধান ডোক একটি ছোট ভিডিও শেয়ার করেছিলেন। তাতে তিনি দাবি করেছিলেন, যে এটি একটি ইউটিএ ক্যাম্প। ভিডিওতে একটি মাঝারি আকারের মিলিট্যান্ট ক্যাম্প দেখা যাচ্ছে, যা একটি পাতলা জঙ্গলের মধ্যে অবস্থিত। ভিডিওয় দেখা যাচ্ছে, প্রায় দু’ডজন রাইফেল, যেগুলো সবই চিনে তৈরি। ক্যাম্পে কিছু কর্মীকে ছদ্মবেশী পোশাক পরে থাকতেও দেখা গিয়েছে। রয়েছে কয়েকটি অস্থায়ী কাঠামোও। তবে সেনাবাহিনী এবং গোয়েন্দা কর্তারা, যাঁরা ভিডিওটি দেখেছেন, তাঁরা জানান, ভিডিওতে দেখানো ক্যাম্পটি (Arunachal Pradesh) আসলে এনএসসিএন (কে-ওয়াইএ) এর, যেখানে ইউটিএ-র কর্মীরা সাময়িকভাবে থাকতে পারে (India China Relation)।

    কী বলছে সেনাবাহিনী?

    সেনাবাহিনীর ২ মাউন্টেন ডিভিশনের এক প্রবীণ কর্তা বলেন, “সর্বোচ্চ, ক্যাম্পের একটি-দুটি অস্থায়ী কাঠামো ইউটিএ কর্মীদের থাকার জন্য ব্যবহার করা হতে পারে। এটি একটি সুপ্রতিষ্ঠিত ক্যাম্প, যা অন্তত কয়েক বছর আগে নির্মিত। ভিডিওয় যেসব উন্নতমানের অস্ত্রশস্ত্র দেখা যাচ্ছে, ইউটিএর কাছে তা নেই।” তাঁর মতে, ক্যাম্পটি অসমের ডিব্রুগড়ে অবস্থিত। আইবির এক কর্তা বলেন, “ভিডিওটি শেয়ার করা হয়েছে ইউটিএ-কে প্রচারের আলোয় আনতে এবং নিজেদের একটি শক্তিশালী ও উন্নত অস্ত্রে সজ্জিত সশস্ত্র দল হিসেবে তুলে (Arunachal Pradesh) ধরতে। এর উদ্দেশ্য নতুন সদস্যদের আকর্ষণ করা এবং চাঁদা আদায়ের মাধ্যমে তহবিল সংগ্রহ করা (India China Relation)।

    চলবে…

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Pranab Mukherjee: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ প্রণব-কন্যার, ঘোর বিপাকে কংগ্রেস

    Pranab Mukherjee: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ প্রণব-কন্যার, ঘোর বিপাকে কংগ্রেস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের একবার কংগ্রেসের অস্বস্তি বাড়ালেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রয়াত প্রণব মুখোপাধ্যায়ের (Pranab Mukherjee) কন্যা শর্মিষ্ঠা মুখোপাধ্যায়। অস্বস্তির কারণ দিন কয়েক আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (PM Modi) ধন্যবাদ জানাতে গিয়েছিলেন প্রণব-কন্যা। সেই ছবি তিনি পোস্ট করেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়।

    অস্বস্তিতে কংগ্রেস (Pranab Mukherjee)

    সেই ছবিই অস্বস্তিতে ফেলেছে সোনিয়া গান্ধীর দলকে। দিন কয়েক আগে মনমোহনের প্রতি বিজেপি সরকার সম্মান প্রদর্শন করছে না বলে তোপ দেগেছিল কংগ্রেস। সেই সময় বোমা ফাটিয়েছিলেন প্রণব-পুত্রী। শর্মিষ্ঠা বলেছিলেন, স্মৃতিসৌধের দাবি তোলা দূরের কথা, তাঁর বাবার মৃত্যুর পর কংগ্রেস কর্মসমিতি একটা শোকসভা পর্যন্ত করেনি। এ কথা মনে করিয়ে দিয়ে কংগ্রেস নেতৃত্বের অস্বস্তি বাড়িয়েছিলেন শর্মিষ্ঠা। এবার আরও একবার গান্ধী পরিবারকে বিপাকে ফেললেন প্রণব-কন্যা।

    স্মৃতিসৌধের জন্য জমি

    ফেরা যাক খবরে। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের প্রয়াণের পর তাঁর স্মৃতিসৌধের জন্য জমি দেওয়ার দাবি তুলেছিল কংগ্রেস। তা নিয়ে বেশ কয়েক দিন ধরে চাপানউতোর চলেছিল সরকার ও বিরোধীদের মধ্যে। শেষমেশ ভারত সরকার স্মৃতিসৌধের জন্য জমি চিহ্নিত করার কথা ঘোষণা করে। তবে সেই জমি মনমোহনের জন্য নয়, প্রণবের (Pranab Mukherjee) স্মৃতিসৌধের জন্য। ১ জানুয়ারি শর্মিষ্ঠাকে চিঠি লিখে এ কথা জানিয়ে দেয় ভারত সরকারের আবাসন ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রক। প্রণব-কন্যাকে জানিয়ে দেওয়া হয়, প্রণবের জন্য রাষ্ট্রীয় স্মৃতি কমপ্লেক্সের মধ্যেই স্মৃতিসৌধ নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করার ছবি শর্মিষ্ঠা পোস্ট করেছেন এক্স হ্যান্ডেলে। জানিয়েছেন, ভারত সরকার তাঁর বাবার স্মৃতিসৌধ নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেওয়ায় তিনি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে তাঁকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাতে গিয়েছিলেন।

    আরও পড়ুন: “আমি যার দিকে তাকাই, ধ্বংস হয়ে যায়,” কাকে বার্তা দিলেন শুভেন্দু?

    এক্স হ্যান্ডেলে শর্মিষ্ঠা লিখেছেন, “আমরা কোনও আর্জি না জানানো সত্ত্বেও বাবার জন্য স্মৃতিসৌধ তৈরি করা হচ্ছে। এটা আরও বেশি করে ভালো লেগেছে। প্রধানমন্ত্রীর এই অপ্রত্যাশিত কিন্তু প্রকৃতই সহৃদয় আরচণ আমাকে খুবই স্পর্শ করেছে।” শর্মিষ্ঠা লিখেছেন, “বাবা বলতেন, রাষ্ট্রীয় সম্মান চাইতে নেই। আপনা থেকেই পেতে হয়। বাবার স্মৃতিকে সম্মান জানানোর জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে কৃতজ্ঞ আমি। বাবা এখন যেখানে, তিনি প্রশংসা ও সমালোচনার বাইরে। এর কোনও প্রভাবই তাঁর ওপর পড়বে না। কিন্তু ওঁর মেয়ে হিসেবে আনন্দ প্রকাশের ভাষা নেই আমার কাছে (PM Modi)।” প্রণব-কন্যার এই পোস্টেই বেকায়দায় কংগ্রেস (Pranab Mukherjee)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • HMPV in Kolkata: কলকাতায়ও এইচএমপি ভাইরাস! পাঁচ মাসের শিশুর শরীরে মিলল হদিশ

    HMPV in Kolkata: কলকাতায়ও এইচএমপি ভাইরাস! পাঁচ মাসের শিশুর শরীরে মিলল হদিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কর্নাটক, গুজরাটের পর এবার কলকাতায় (HMPV in Kolkata) পাঁচ মাসের এক শিশুর দেহে হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস (এইচএমপিভি)-এর হদিশ মিলল। ওই শিশুকে বাইপাসের এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। সূত্রের খবর, চিকিৎসার পর তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। সে আপাতত সুস্থ রয়েছে।

    কী কী উপসর্গ ছিল শিশুর শরীরে? (HMPV in Kolkata)

    প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, ডিসেম্বরের শেষে মুম্বই থেকে বাবা-মায়ের সঙ্গে কলকাতায় (HMPV in Kolkata) এসেছিল শিশুটি। এখানে এসে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ভর্তি করানো হয় বাইপাসের ধারের একটি হাসপাতালে। সেখানে কয়েক দিন পর্যবেক্ষণে রাখার পর ছেড়ে দেওয়া হয় তাকে। সোমবারই কর্নাটকের বেঙ্গালুরুর দুই শিশুর শরীরে ওই ভাইরাসের হদিশ পাওয়ার খবর জানা গিয়েছে। গুজরাটের আহমেদাবাদের এক শিশুও সংক্রমিত হয়েছে বলে খবর মিলেছে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, জ্বর এবং কাশির মতো সাধারণ কিছু উপসর্গ ছিল ওই শিশুর। পরীক্ষার পর ধরা পড়ে সে এইচএমপিভি-তে আক্রান্ত। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, আতঙ্কিত হওয়ার মতো কোনও শারীরিক পরিস্থিতি ওই শিশুটির ছিল না। তবে সব রকম সাবধানতা অবলম্বন করেই চিকিৎসা করা হয়েছে। সম্প্রতি চিনে এইচএমপিভি-র একটি রূপের সংক্রমণ বেড়েছে। তার পর থেকেই উদ্বেগ দানা বেঁধেছে ভারত-সহ অন্যান্য দেশে। অনেকেই বছর চারেক আগের করোনা-আবহের কথা ভেবে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। তবে ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে,পরিস্থিতির দিকে নজর রাখা হচ্ছে।

    বিশেষজ্ঞরা কী বলছেন?

    বিশেষজ্ঞরা (HMPV in Kolkata) বলছেন, ইনফ্লুয়েঞ্জা, কোভিডের মতো ভাইরাস যেভাবে ছড়ায়, এই ভাইরাসের সংক্রমণও একইভাবে ঘটে। কাশি বা হাঁচির জীবাণু থেকে হোক কিংবা, রোগীর কাছাকাছি আসা, হাত মেলানো, সংক্রমিত জায়গা ছোঁয়া ইত্যাদি। কর্নাটকের স্বাস্থ্যমন্ত্রী আশ্বাস দিয়ে বলেছেন, HMPV-র অস্তিত্ব আগে থেকেই রয়েছে। এটি কোনও নতুন ভাইরাস নয়। তাই অকারণে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু হয়নি। ২০০১ সালে প্রথম এই ভাইরাসকে চিহ্নিত করা গিয়েছিল। এই ভাইরাস মূলত শ্বাসযন্ত্রের ক্ষতি করে এবং প্রবলভাবে শ্বাসকষ্টের সমস্যা তৈরি করতে পারে। বাচ্চা এবং বয়স্ক তো বটেই, যে কোনও বয়সের মানুষকে অল্প সময়ের মধ্যেই কাবু করার ক্ষমতা রয়েছে এর। বিশেষ করে যাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম, তাদের জন্য এই ভাইরাস মারাত্মক হতে পারে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sheikh Hasina: আইন মেনে শেখ হাসিনার ভারতে থাকার মেয়াদ বৃদ্ধি করল দিল্লি

    Sheikh Hasina: আইন মেনে শেখ হাসিনার ভারতে থাকার মেয়াদ বৃদ্ধি করল দিল্লি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার (Sheikh Hasina) ভিসার মেয়াদ বৃদ্ধি করেছে ভারত সরকার। কূটনৈতিক সূত্রে খবর, সম্পূর্ণ আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে শেখ হাসিনার ভারতে থাকার সময় সীমা বাড়ানো হয়েছে। দিল্লির ‘ফরেন রিজিয়নাল রেজিস্ট্রেশন অফিসের’ (এফআরআরও) মাধ্যমে আবেদন করিয়ে ভারতে থাকার কাগজ বৈধ করে নেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে জানা গিয়েছে বাংলাদেশের অভিবাসন দফতর শেখ হাসিনা সহ ৯৭ জনের পাসপোর্ট বাতিল করেছে।

    মোদি সরকারের ভাবনা

    ভারত শেখ হাসিনাকে (Sheikh Hasina) ফিরিয়ে দেবে না বলে ‘ধরে নিয়েছে’ বাংলাদেশ। এই আবহে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইস্যুতে কার্যত ‘হার মেনে’ নিয়েছে মহম্মদ ইউনূসের সরকার। তবে তারা তাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী এগিয়ে যেতে চাইছে। এহেন পরিস্থিতিতে সম্প্রতি গুম-খুনের মামলায় মুজিবকন্যার বিরুদ্ধে জারি করা হয় গ্রেফতারি পরোয়ানা। রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রসিকিউশনের আবেদনের প্রেক্ষিতে শেখ হাসিনাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। ১২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে হাসিনা এবং সহঅভিযুক্তদের ট্রাইব্যুনালের সামনে হাজির হতেও বলা হয়। সে দেশের জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশনের সভাপতি মেজর জেনারেল ফজলুর রহমান বলেন, ভারত যদি শেখ হাসিনাকে না পাঠায়, তা হলে অনুমতি সাপেক্ষে ভারতে গিয়েও তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে রাজি কমিশন। গোটা বিষয়টিকে নয়াদিল্লির উপরে চাপ বাড়ানোর কৌশল হিসেবেই দেখেছে ভারত। 

    আরও পড়ুন: ইসরোর নতুন চেয়ারম্যান হচ্ছেন খড়্গপুর আইআইটির প্রাক্তনী ভি নারায়ণ, ঘোষণা কেন্দ্রের

    বৈধ উপায়েই ভারতে হাসিনা

    উল্লেখ্য, শুধুমাত্র এক ‘নোট ভার্বাল’ দিয়ে দিল্লির কাছ থেকে শেখ হাসিনাকে (Sheikh Hasina) ফেরত চেয়েছিল ঢাকা। তবে এই দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সব আনুষ্ঠানিকতা নাকি সম্পন্ন করেনি বাংলাদেশ সরকার। দিল্লির কূটনৈতিক সূত্রে দাবি করা হয়েছে, শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠানোর বিষয়টি ‘কূটনৈতিক’ নয়, ‘আইনি’। কোনও অন্তর্বর্তী সরকার অন্য রাষ্ট্রের স্থায়ী সরকারের কাছে কোনও রাজনৈতিক নেতার প্রত্যর্পণ চাইলে, তার সমস্ত আইনি দিক খতিয়ে দেখা প্রয়োজন বলেই বিদেশ মন্ত্রক সূত্রে জানানো হয়েছে। ফলে, হাসিনাকে ফেরত চেয়ে বাংলাদেশের পাঠানো কূটনৈতিক বার্তার (নোট ভার্বাল) উত্তর অবশ্যই দেওয়া হবে ‘যথাসময়ে’। বিদেশ মন্ত্রক সূত্রের খবর, বাংলাদেশের বার্তার সমস্ত দিক খতিয়ে দেখে জবাব দিতে কয়েক মাসও লেগে যেতে পারে। আর সে কারণেই হাসিনার ভারতে থাকার মেয়াদ বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে, হাসিনাকে সরকারি ভাবে ভারতে ‘রাজনৈতিক আশ্রয়’ দেওয়া হবে না বলেও জানা গিয়েছে। কারণ এই সংক্রান্ত কোনও নির্দিষ্ট আইন নেই ভারতে। কিন্তু হাসিনার ভিসার মেয়াদ বৃদ্ধি করে বৈধ ভাবে তাঁকে ভারতে থাকতে দিতে সম্মত মোদি সরকার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Maoists Attack: ছত্তিশগড়ে মাওবাদী হামলা! আইইডি বিস্ফোরণে উড়ে গেল পুলিশের গাড়ি

    Maoists Attack: ছত্তিশগড়ে মাওবাদী হামলা! আইইডি বিস্ফোরণে উড়ে গেল পুলিশের গাড়ি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় আধাসেনা এবং পুলিশের যৌথবাহিনীর ধারাবাহিক অভিযানের মধ্যেই ছত্তিশগড়ে প্রত্যাঘাত করল মাওবাদীরা। সোমবার বস্তার ডিভিশনের বীজাপুর জেলার কুটরু রোডে নিরাপত্তা বাহিনীর একটি গাড়ি উড়িয়ে দিল নিষিদ্ধ সিপিআই (মাওবাদী)- র (Maoists Attack) সশস্ত্র শাখা পিএলজিএ (পিপলস লিবারেশন গেরিলা আর্মি)। প্রাথমিক খবরে জানা গিয়েছে, ওই হামলায় অন্তত ন’জন জওয়ান শহিদ হয়েছেন। গুরুতর জখম বেশ কয়েক জন। জানা গিয়েছে, আইইডি বিস্ফোরণের জেরে এই ঘটনা ঘটেছে। যাঁরা শহিদ হয়েছেন, তাঁদের মধ্যে ৮ জন ডিআরজি জওয়ান, অন্যজন গাড়িটির চালক। 

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Maoists Attack)

    জানা গিয়েছে, এদিন সকালে জওয়ানরা (Maoists Attack) একটি যৌথ অভিযান থেকে ফিরছিলেন। মাওবাদীদের খোঁজেই চালানো হয়েছিল যৌথ অভিযান। নারায়ণপুর, বীজাপুর, দান্তেওয়াডার পুলিশের সঙ্গে একযোগে তাঁরা এই যৌথ অভিযান চালাচ্ছিলেন। অভিযান থেকে ফেরার সময়ই কুটরু রোডে এই আইইডি বিস্ফোরণ হয়। বস্তারের পুলিশের আইজি জানিয়েছেন, বিস্ফোরকের সঙ্গে ধাক্কা লাগতেই গাড়িটি বিস্ফোরণের শিকার হয়েছে। জানা গিয়েছে, এদিকে, মাওবাদী অধ্যুষিত আবুজমাইয়ের জঙ্গলে চলছে ফোর্স বনাম মাওবাদীদের লড়াই। নারায়ণপুর, দান্তেওয়াড়ার সীমান্তে ওই সংঘাত চলছে। জানা গিয়েছে, এই মাওবাদী হামলায় একটি গাড়ি উড়িয়ে দেওয়া হয়। এর আগে, ছত্তিশগড়ে নিরাপত্তা বাহিনী ও পুলিশের যৌথ অভিযানে ৪ মাওবাদীকে নিকেশ করা হয়। সেই ঘটনার বদলা নিতেই মাওবাদীরা বীজাপুরের ঘটনা ঘটিয়েছে বলে ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের। 

    আরও পড়ুন: বন্দি বিনিময় দুই দেশের, ভারতের ৯৫ জন, বাংলাদেশের ৯০ মৎস্যজীবী ফিরছেন ঘরে

    গত সপ্তাহে বীজাপুর জেলারই ফরসেগঢ়ে ‘পুলিশের চর’ ঘোষণা করে স্থানীয় বিজেপি নেতা কুদিয়াম মাঢ়ো (৩৫)-কে খুন করেছিল মাওবাদীরা। ঘটনাচক্রে শনিবার থেকেই বীজাপুর লাগোয়া নারায়ণপুর-দান্তেওয়াড়া সীমানায় দক্ষিণ আবুজমাইয়ের জঙ্গলে মাওবাদী (Maoists Attack) দমন অভিযান শুরু করেছে যৌথবাহিনী। দু’তরফের গুলির লড়াইয়ে ‘ডিস্ট্রিক্ট রিজ়ার্ভ গার্ড’ বাহিনীর এক জওয়ান এবং পাঁচ মাওবাদী গত দু’দিনের লড়াইয়ে নিহত হয়েছেন। তার পরেই সোমবার ল্যান্ডমাইন হামলা চালাল মাওবাদীরা। উল্লেখ্য, সম্প্রতি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, দেশকে মাওবাদী শূন্য করতে ডেডলাইন বেঁধে দেন। সেই মতো ছত্তিশগড় থেকে শুরু করে একাধিক জায়গায় অভিযানে নামে ফোর্স। নিরাপত্তা বাহিনীর এই ক্রমাগত অভিযানের মাঝেই সোমবার কুটরু রোডে ডিআরজির গাড়িতে মাওবাদী হামলার ঘটনা ঘটল। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • New ISRO Chief: ইসরোর নতুন চেয়ারম্যান হচ্ছেন খড়্গপুর আইআইটির প্রাক্তনী ভি নারায়ণ, ঘোষণা কেন্দ্রের

    New ISRO Chief: ইসরোর নতুন চেয়ারম্যান হচ্ছেন খড়্গপুর আইআইটির প্রাক্তনী ভি নারায়ণ, ঘোষণা কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র ইসরোর নতুন চেয়ারম্যান (New ISRO Chief) হতে চলেছেন ভি নারায়ণ (V Narayanan)। শুধু চেয়ারম্যান নন, তিনি সামলাবেন মহাকাশ দফতরের সচিবের দায়িত্বও। ইসরোর বর্তমান চেয়ারম্যান এস সোমনাথ দায়িত্ব ছাড়ছেন আগামী ১৪ জানুয়ারি। সে দিনই ইসরোর চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব নেবেন ভি নারায়ণ। মঙ্গলবার কেন্দ্রের তরফে এই ঘোষণা করা হয়।

    বহু অভিযানের নেপথ্যে নারায়ণ

    মঙ্গলবার কেন্দ্রের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে ইসরোর নতুন চেয়ারম্যানের (New ISRO Chief) নাম ঘোষণা করা হয়। মন্ত্রিসভার নিয়োগ করা কমিটি জানিয়েছে, আগামী দু’বছরের জন্য ইসরো প্রধানের দায়িত্ব সামলাবেন নারায়ণ। জানা গিয়েছে, লিক্যুইড প্রোপালশন সিস্টেম সেন্টারের প্রধান হিসাবে এতদিন দায়িত্ব পালন করেছেন ভি নারায়ণ। দেশে ক্রায়োজেনিক ইঞ্জিন, যা রকেট ও মহাকাশযান উৎক্ষেপণ এবং স্যাটেলাইটের প্রপালশনের জন্য প্রয়োজন, তা তৈরিতে তাঁর বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। এবার ইসরোর সম্পূর্ণ দায়িত্ব তার কাঁধে। দায়িত্ব পেয়ে আনন্দিত নারায়ণ বলেন, “আমাদের (ভারত) সামনে স্পষ্ট রোডম্যাপ রয়েছে। সুদক্ষ ও প্রতিভাবান কর্মীদের সাহায্যে আশা করি ইসরোকে আমরা এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে পারব।”

    নারায়ণের বাংলা যোগ

    তামিলনাড়ুতে জন্ম নারায়ণের (V Narayanan)। সেখানেই তাঁর বেড়ে ওঠা। স্কুলের গণ্ডি পেরিয়ে তিনি চলে আসেন পশ্চিমবঙ্গে। খড়্গপুর আইআইটি থেকে ক্রায়োজেনিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। পরে এখান থেকেই অ্যারোস্পেস ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পিইচডি করেন নারারণ। স্নাতকোত্তর পর্বে প্রথম স্থান অধিকারের জন্য রুপোর পদকও দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। পিএইচডি শেষ করে তিনি যোগ দেন ইসরোতে। ১৯৮৪ সালে রকেট এবং মহাকাশ প্রপালশন বিশেষজ্ঞ হিসাবে ভারতীয় মহাকাশ সংস্থায় যোগ দেন নারায়ণ। ২০১৮ সালে লিক্যুইড প্রোপালশন সিস্টেম সেন্টারের ডিরেক্টর হিসাবে তাঁকে নির্বাচিত করা হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • India China Relation: ভারতের বাঁধ নির্মাণে বাধা দিতে অরুণাচলপ্রদেশে উগ্রপন্থীদের মদত দিচ্ছে চিন!

    India China Relation: ভারতের বাঁধ নির্মাণে বাধা দিতে অরুণাচলপ্রদেশে উগ্রপন্থীদের মদত দিচ্ছে চিন!

    মুখে মিষ্টতা। আর আস্তিনে লুকনো বাঘনখ! এভাবেই ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখতে চাইছে চিন! অন্তত আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের একাংশের ধারণা তেমনই। জঙ্গি গোষ্ঠী তৈরি করে জিইয়ে রাখতে চাইছে অশান্তি। এভাবেই তারা ক্রমশ কবজা করতে চাইছে ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ অরুণাচলপ্রদেশকে। আজ  প্রথম কিস্তি…

                                                                                             অরুণাচলপ্রদেশে ড্রাগনের থাবা ১

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখে মিষ্টতা। আর আস্তিনে লুকনো বাঘনখ! এভাবেই ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখতে চাইছে চিন (India China Relation)! অন্তত আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের একাংশের ধারণা তেমনই। দুই দেশে শীর্ষ নেতৃত্ব যখন একের পর এক বৈঠক করে ভারত-চিন সীমান্তে উত্তেজনা প্রশমনের চেষ্টা করছে, ঠিক তখনই অরুণাচলপ্রদেশে (Arunachal Pradesh) থাবা বসাচ্ছে ড্রাগনের দেশ! এক সময় চিন তাদের দেশের মানচিত্রে ঢুকিয়ে নিয়েছিল অরুণাচল প্রদেশের বেশ কিছু গ্রামকে।

    অশান্তি জিইয়ে রাখতে চাইছে চিন! (India China Relation)

    এবার উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে স্থায়ী অশান্তি জিইয়ে রাখতে নয়া উগ্রপন্থী সংগঠন সৃষ্টি করেছে বেজিং। নাম দেওয়া হয়েছে, ইউনাইটেড টানি আর্মি, সংক্ষেপে ইউটিএ। এই জঙ্গি সংগঠনের প্রধান উদ্দ্যেশ্যই হল হিমালয়ের কোলের রাজ্যে বিশেষত সিয়াং নদীতে নির্মীয়মান বৃহৎ বাঁধ প্রকল্পগুলিকে বাধা দেওয়া। এই সিয়াং নদী উৎপন্ন হয়েছে চিনের অধিকৃত তিব্বত  থেকে। বেজিংয়ের অভিপ্রায় শুধু ভারতের পরিকল্পিত ৫৭ হাজার মেগাওয়াটের বেশি পরিচ্ছন্ন শক্তি উৎপাদনের উদ্যোগ ব্যাহত করা নয়, বরং ভারতের সেই প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থাগুলিকেও নস্যাৎ করা যা চিনের সম্ভাব্য ‘জল যুদ্ধের’ বিরুদ্ধে সুরক্ষার জন্য নেওয়া হচ্ছে।

    ইউটিএর জন্ম

    প্রথমে লুকিয়ে চুরিয়ে সংগঠন গড়েছে ইউটিএ। ২০২৪ সালের বড়দিনের প্রাক্কালে বিবৃতি জারি করে নিজেদের উপস্থিতি ঘোষণা করে এই জঙ্গি সংগঠন। ওই বিবৃতিতে সিয়াং আপার মাল্টিপারপাস প্রকল্প (এসইউএমপি)-সহ বৃহৎ বাঁধ নির্মাণের বিরোধিতা করা হয়েছে। এসইউএমপি প্রকল্পটি ভারতের (India China Relation) জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এটি চিনের যারলুং জ্যাংবো নদীতে নির্মীয়মান বৃহৎ জলবিদ্যুৎ এবং জল সংরক্ষণ প্রকল্পগুলির বিপদ রোধ করার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।

    ব্রহ্মপুত্র

    এই নদী মাউন্ট কৈলাসের কাছে চিন অধিকৃত তিব্বত থেকে উৎপন্ন হয়ে তিব্বতী মালভূমি জুড়ে হাজার কিলোমিটারেরও বেশি পূর্বদিকে প্রবাহিত হয়েছে। পরে নামচা বারোয়ার কাছে একটি গভীর বাঁক নিয়ে অরুণাচলপ্রদেশে (Arunachal Pradesh)  প্রবেশ করেছে। সেখানে এর নাম হয়েছে সিয়াং। সিয়াং নদী তারপর দিবাং এবং লোহিত নদীর সঙ্গে মিলিত হয়ে অসমে ব্রহ্মপুত্র নাম নিয়েছে। চিন যারলুং জ্যাংবো নদীতে যে বৃহৎ বাঁধ নির্মাণ করছে, (বিশেষত নদীর ঘুরন্ত অংশ নামচা বারোয়ার ঘোড়ার নালের বাঁক-এ বিশ্বের বৃহত্তম বাঁধ নির্মাণের সাম্প্রতিক ঘোষণা), তা নদীর স্বাভাবিক প্রবাহকে বিঘ্নিত করবে।

    চিনের ব্যয়

    চিনের এই মেগা প্রকল্পের আনুমানিক ব্যয় ধরা হয়েছে ১৩৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি। এই প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে শুখা মরসুমে ভারতে জল সরবরাহ বন্ধ করে খরা সৃষ্টি করতে পারে চিন। আর ঠিক উল্টোটা হবে বর্ষাকালে। বিশাল পরিমাণে জল ছেড়ে বন্যা সৃষ্টি করতে পারে ভারতে। এই প্রকল্পের বিরুদ্ধে রক্ষাকবচ হিসেবে কাজ করবে এসইউএমপি, যা চিনের (India China Relation) সঙ্গে এমন ‘জল যুদ্ধ’ প্রতিরোধ করবে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এই প্রকল্প বাস্তবায়িত করার পাশাপাশি সিয়াং নদীতে নির্মীয়মান বৃহৎ বাঁধ প্রকল্পগুলিকে বাধা দিতেই চিন জন্ম দিয়েছে ইউটিএর। অরুণাচল প্রদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মামা নাটুং বলেন, “ইউটিএ (UTA) হল ন্যাশনাল লিবারেশন কাউন্সিল অব তানিল্যান্ড (NLCT)-এর নয়া রূপ। ২০১০ সালের শেষের দিকে অরুণাচল প্রদেশ পুলিশ নিষ্ক্রিয় করেছিল এনএলসিটিকে।”

    এনএলসিটি

    এনএলসিটি একটি (Arunachal Pradesh) ছোটো উগ্রপন্থী দল, যার সঙ্গে সম্পর্ক ছিল খাপলাং-ইউং আউং গোষ্ঠীভুক্ত ন্যাশনাল সোশ্যালিস্ট কাউন্সিল অব নাগাল্যান্ড (NSCN-KYA)-এর। তাদের অস্ত্রাগারে ছিল কিছু দেশীয় রাইফেল এবং কয়েকটি (India China Relation) পুরানো পিস্তল। ২০০৫ সালে গঠিত এনএলসিটিতে, এক ডজনের কিছু বেশি সদস্য ছিল। তানি জনগণের জন্য একটি পৃথক জাতি গড়ে তোলার যে দাবি তুলেছিল, তাকে সমর্থন করেনি স্থানীয় জনগণই। তানি জনগণ হলেন আদি, নিয়িশি, গালো, আপাতানি এবং তাগিন সম্প্রদায়ের মানুষ, যাঁরা অরুণাচল প্রদেশের কেন্দ্রীয় ও উত্তরাঞ্চলে বসবাস করেন। রাজ্যের জনসংখ্যার একটি উল্লেখযোগ্য অংশই হলেন এঁরা।

    আরও পড়ুন: ফের একবার ইভিএমে কারচুপির অভিযোগ উড়িয়ে দিলেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার

    তোলা আদায়

    এই এনএলসিটি সাধারণত ব্যবসায়ী ও ঠিকাদারদের কাছ থেকে তোলা আদায় করত। কয়েকটি অপহরণের ক্ষেত্রেও নাম জড়িয়েছিল এদের। তবে লাগাতার পুলিশি অভিযানের জেরে ২০১০ সালের নভেম্বর-ডিসেম্বরে দুরমুশ হয়ে যায় সংগঠনের কোমর। এনএলসিটি-র চেয়ারম্যান, অ্যান্থনি ডোক এবং বেশিরভাগ সদস্য হয় গ্রেফতার হয়েছিলেন, নয়তো নিজেরাই পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেছিলেন। জেল খেটে বেরিয়ে ডোক অরুণাচলপ্রদেশের (Arunachal Pradesh) রাজধানী ইটানগরে একটি রেস্তোরাঁ খোলেন। পুলিশ কয়েক মাস ধরে তাঁর ওপর নজরদারি করেছিল। পরে যখন দেখা গেল ডোক সাধারণ জীবনযাপন করতে শুরু করেছেন, এবং সমাজের মূল স্রোতে ফিরতে প্রাণপণ চেষ্টা করছেন, তখন তাঁর ওপর নজরদারি বন্ধ করে দেয় পুলিশ (India China Relation)।

    চলবে…

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Rajiv Kumar: ফের একবার ইভিএমে কারচুপির অভিযোগ উড়িয়ে দিলেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার

    Rajiv Kumar: ফের একবার ইভিএমে কারচুপির অভিযোগ উড়িয়ে দিলেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের একবার ইভিএমে (EVM) কারচুপির অভিযোগ উড়িয়ে দিলেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার (Rajiv Kumar)। মঙ্গলবার তিনি বলেন, “সুপ্রিম কোর্ট এই যন্ত্রগুলির বিশ্বাসযোগ্যতার পক্ষে সাফাই দিয়েছে।”

    কী বললেন রাজীব কুমার? (Rajiv Kumar)

    এদিন সাংবাদিক বৈঠকে রাজীব কুমার বলেন, “ইভিএম-এ কোনও অবিশ্বাসযোগ্যতা বা কোনও ত্রুটির প্রমাণ নেই। ইভিএমে ভাইরাস বা বাগ আনার কোনও প্রশ্নই ওঠে না। ইভিএমে অবৈধ ভোটের কোনও সুযোগ নেই। কারচুপি অসম্ভব।” তিনি বলেন, “বিভিন্ন রায়ে উচ্চ আদালত এবং সুপ্রিম কোর্ট বারবার এ কথা বলেছে। এর বাইরে আর কী বলা যায়? গণনার জন্য ইভিএম সম্পূর্ণ নিরাপদ। কারচুপির অভিযোগ ভিত্তিহীন।”

    ব্যালট সিস্টেমে ফেরা হবে না

    ইভিএমে কারচুপি করা হয় এই অভিযোগ তুলে ব্যালট সিস্টেমে ফিরে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন তৃণমূল-সহ কয়েকটি রাজনৈতিক দল। এদিন সেই পরামর্শও উড়িয়ে দিয়ে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার (Rajiv Kumar) বলেন, “পুরনো কাগজের ব্যালট পদ্ধতিতে ফিরে যাওয়া অপ্রয়োজনীয় এবং পশ্চাৎমুখী। এটি নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার একটি প্রচেষ্টা।” ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ দেওয়ার অভিযোগও অস্বীকার করেন রাজীব কুমার। বলেন, “যে কোনও অভিযোগ এবং আপত্তি যা ওঠে – তা সমস্ত রাজনৈতিক দলের সঙ্গে শেয়ার করা হয়। ভারতীয় ভোটাররা অত্যন্ত সচেতন। ভোটার তালিকা নিয়ে অনেক গল্প ছড়াচ্ছে, এমনকি এখনও। প্রায় ৭০টি ধাপ রয়েছে, যেখানে রাজনৈতিক দল এবং প্রার্থীরা আমাদের সঙ্গে থাকেন। ফর্ম ৭ ছাড়া কোনও নাম বাদ দেওয়া সম্ভব নয়।”

    আরও পড়ুন: ট্রুডোর পরে কানাডার প্রধানমন্ত্রী পদের অন্যতম দাবিদার অনিতা আনন্দ, চেনেন তাঁকে?

    তিনি বলেন, “যাঁরা মহিলাদের বিরুদ্ধে অপ্রীতিকর মন্তব্য করেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” মুখ্য নির্বাচন কমিশনার বলেন, “লোকেরা এমন পর্যায়ে চলে যায় যে তারা নির্বাচনী কর্তাদের হুমকি দেয়। কিন্তু আমরা নিজেদের নিয়ন্ত্রণ করি। তারকা প্রচারক ও যাঁরা রাজনৈতিক প্রচারের সঙ্গে জড়িত, তাঁদের কর্তব্যই হল শিষ্টাচার বজায় (EVM) রাখা।” এর পরেই তিনি (Rajiv Kumar) বলেন, “যদি কেউ মহিলাদের সম্পর্কে কিছু বলেন, আমরা খুব, খুব কঠোর হব।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Places of Worship Act:  ১৯৯১ সালের ধর্মস্থান আইনের বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে গেল সন্ত সমিতি

    Places of Worship Act:  ১৯৯১ সালের ধর্মস্থান আইনের বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে গেল সন্ত সমিতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টের দারস্থ হল অখিল ভারতীয় সন্ত সমিতি (Akhil Bhartiya Sant Samiti)। ১৯৯১ সালের ধর্মস্থান আইনের বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতে গেল তারা। এই আইন (Places of Worship Act) অনুযায়ী, ১৯৪৭ সালের ১৫ অগাস্ট তারিখে কোনও ধর্মস্থানের চরিত্র যেমন ছিল, তা বদলে অন্য ধর্মস্থানে রূপান্তরিত করা যাবে না। ধর্মস্থান আইনের এই মূল ধারণাকেই চ্যালেঞ্জ করছে অখিল ভারতীয় সন্ত সমিতি। তার কারণ হিসেবে তারা জানিয়েছে, এই আইনের তিন ও চার নম্বর ধারাতে যা উল্লেখ রয়েছে তা বাস্তবিক পক্ষে মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী। ভারতীয় সংবিধান যে সমতার অধিকার, বাক স্বাধীনতার অধিকার, ধর্মাচরণের (Places of Worship Act)  অধিকার দেয় তার পরিপন্থী এই আইন।

    কী বলছে ৩ ও ৪ নম্বর ধারা (Places of Worship Act) 

    সংগঠনের সদস্যরা জানিয়েছেন যে, এই আইন সংবিধানের মূল কাঠামোকেই আঘাত করছে। প্রসঙ্গত, ওই আইনের ৩ ও ৪ নম্বর ধারায় (Akhil Bhartiya Sant Samiti) স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা আছে, কোনও ব্যক্তি বা কোনও গোষ্ঠী কোনওভাবেই যে কোনও ধর্মস্থানের চরিত্রকে বদল করতে পারবেন না, ১৯৪৭ সালের ১৫ অগাস্ট পর্যন্ত যা হয়ে আছে।

    এই আইনের আওতায় চলছে ১৮ মামলা (Places of Worship Act) 

    জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত বিভিন্ন মন্দির ও মসজিদ নিয়ে এই আইনের আওতায় ১৮টি মামলা আদালতে পড়ে রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম বারাণসীর জ্ঞানবাপী মসজিদ এবং মথুরার শাহী ইদগা সংক্রান্ত আবেদনও রয়েছে। এর আগে ২০২১ সালের মার্চে এই আইন (Places of Worship Act)  নিয়ে কেন্দ্রের অবস্থান জানতে চেয়েছিল শীর্ষ আদালত। সম্প্রতি, এক মামলাকারী অশ্বিনী উপাধ্যায় তাঁর আবেদনে জানিয়েছেন, ১৯৯১ সালের ধর্মস্থান আইনের ২,৩ ও ৪ নম্বর ধারা খারিজ করা উচিত। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bharatpol Portal: লক্ষ্য ইন্টারপোলের সঙ্গে সমন্বয় বৃদ্ধি, ‘ভারতপোল’ পোর্টাল উদ্বোধন অমিত শাহের

    Bharatpol Portal: লক্ষ্য ইন্টারপোলের সঙ্গে সমন্বয় বৃদ্ধি, ‘ভারতপোল’ পোর্টাল উদ্বোধন অমিত শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকার দেশের আইন প্রণয়নকারী সংস্থাগুলিকে দিয়ে নানা অপরাধ দমনের জন্য একাধিক স্তরে কাজ করে যাচ্ছে। ঠিক এই কাজকে এবার আরও অগ্রগতি দিতে দেশের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) ‘ভারতপোল’ (Bharatpol Portal) নামক এক বিশেষ পোর্টাল চালু করেছেন। এই প্রযুক্তির মাধ্যমে আন্তর্জাতিক অপরাধ সংক্রান্ত মামলার তদন্তকে দ্রুত এগিয়ে নিয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন। এই পোর্টাল সোমবার দিল্লি থেকে চালু করেছেন তিনি। জানা গিয়েছে, এই অভিনব ব্যবস্থার মাধ্যমে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা, রাজ্য পুলিশ এবং ইন্টারপোলের সঙ্গে সমন্বয় ও সংযোগ রেখে কাজ করবে। আন্তর্জাতিক সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে যে কোনও তদন্তে খুব কার্যকারী হবে বলে মনে করা হচ্ছে। এই নতুন প্রযুক্তির ব্যবহার নিয়ে ইতিমধ্যে বিশেষজ্ঞরা আশা প্রকাশ করেছেন।

    আন্তর্জাতিক তদন্তকে একটি নতুন যুগে নিয়ে যাবে (Bharatpol Portal)

    পোর্টালের (Bharatpol Portal) উদ্বোধন করে অমিত শাহ (Amit Shah) বলেন, “ভারতপোল পোর্টাল আমাদের দেশের আন্তর্জাতিক তদন্তকে একটি নতুন যুগে নিয়ে যাবে। এতদিন সিবিআই, ইন্টারপোলের সঙ্গে কাজ করার জন্য একমাত্র সংস্থা ছিল। এবার থেকে ভারতপোলে ভারতের প্রতিটি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এবং রাজ্য পুলিশ বাহিনী খুব সহজেই ইন্টারপোলের সঙ্গে যুক্ত হয়ে কাজ করার সুযোগ পাবে। কাজে এখন অনেক গতি আসবে। যে সমস্ত লাল সতর্কীকরণ এবং একাধিক আরও নানা সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে সেগুলিকে খুব সহজেই ইন্টারপোলের সহযোগিতায় কাজ করা যাবে।”

    আরও পড়ুনঃ হু হু করে নামবে তাপমাত্রা, বুধবার থেকে ঠান্ডা বাড়বে বাংলায়

    আগাম সতর্কতা এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া যাবে

    আমিত শাহ (Amit Shah) আরও বলেন, “সাইবার-অপরাধ, আর্থিক দুর্নীতি, অনলাইন জিহাদ, সংগঠিত অপরাধ, মাদক পাচার, মানব পাচার ইত্যাদি সহ আন্তর্জাতিক অপরাধের ক্রমবর্ধমান গুরুত্বপূর্ণ অপরাধগুলিকে তদন্তে দ্রুত গতি এবং দমন বিষয়ে সরকার গুরুত্ব দিয়ে কাজ শুরু করেছে। এই ধরনের সমস্যাগুলি মোকাবিলা করার জন্য ভারতপোল পোর্টাল তৈরি করা হয়েছে। আজ তার অফিসিয়াল ওয়েবসাইট উদ্বোধনের মাধ্যমে বিশেষ কাজের সূচনা করা হল। এই ভারতপোল পোর্টালের (Bharatpol Portal) মাধ্যমে দেশের পুলিশ বিভাগগুলি বিভিন্ন ধরণের আন্তর্জাতিক সমস্যা বা তদন্ত নিয়ে নজরদারি এবং বিশ্লেষণ করতে পারবে। এই পোর্টালের মাধ্যমে আবার আগে থেকে কোনও অপরাধ সংঘটিত করার বিষয়ে প্রতিরোধ করারও একটা দিকও উল্লেখযোগ্যভাবে থাকবে। ফলে আগাম সতর্কতা এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থার একটা বিশেষ কৌশল গ্রহণ করা যাবে। আন্তর্জাতিক ভাবে যেকোনও ঘটনার তথ্য আদান-প্রদান এবং তথ্য জোগাড় করার একটা বিশেষ সুবিধা পাওয়া যাবে। বিশ্লেষণ আরও সঠিক এবং সুন্দর ভাবে করতে সুবিধা মিলবে। দাগী এবং দোষীদের একদিকে যেমন শনাক্তকরণ করবে, ঠিক তেমনিই ভাবে একটি বিশেষ ব্যবস্থার দিকেও ঝুঁকতে হবে।”

    ১৯৫টি দেশের ইন্টারপোলের চ্যানেলের সুবিধা মিলবে

    এই ভারতপোলের (Bharatpol Portal) মাধ্যমে ভারত যেমন আন্তর্জাতিক বিশ্বে অপরাধীদের খোঁজ করবে, তেমনি ভারতের মধ্যে যদি কোথাও আন্তর্জাতিক অপরাধী লুকিয়ে থাকে, তাহলে তাঁদেরও শনাক্ত করতে এই পোর্টাল বেশ উপযোগী হবে। ইন্টারপোলের সঙ্গে সংযুক্তির পাশাপাশি আরও ১৯৫টি দেশের মধ্যে থাকা ইন্টারপোলের বিশেষ চ্যানেলকে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা আরও গ্রহণ করতে পারবে ভারতীয় একাধিক তদন্তকারী সংস্থাগুলি। তাই তথ্য আদানপ্রদান এবং নিরাপত্তা সুরক্ষার বিষয়টি বিশেষ ভাবে কাজ কাজ করবে পোর্টাল।

    ৩৫ জন সিবিআই অফিসারকে বিশেষ সম্মানের মেডেল দেওয়া হল

    এদিন দিল্লিতে এই অনুষ্ঠানের মধ্যে মোট ৩৫ জন সিবিআই অফিসারকে বিশেষ সম্মানের মেডেল দিয়ে সম্মানিত করেছেন অমিত শাহ (Amit Shah)। বিশেষ করে তদন্তে বিরাট সাফল্য এবং নজির গড়ার জন্য সুরক্ষা কর্মী এবং অফিসারদের বিশেষ কৃতজ্ঞতা স্বীকার করেন তিনি। এদিন একইভাবে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, বিদেশ মন্ত্রক, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক, ডিওপিটি, সেন্ট্রাল ভিজিল্যান্স কমিশন এবং কেন্দ্রীয় পুলিশ সংস্থাগুলি-সহ বিভিন্ন বিভাগের বহু বিশিষ্ট ব্যক্তি ও ঊর্ধ্বতন আধিকারিকেরাও।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share