Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Machine Gun: আত্মনির্ভর ভারত,  ইউরোপে ২০০০ মেশিনগান রফতানি করবে কানপুরের অস্ত্র কারখানা

    Machine Gun: আত্মনির্ভর ভারত, ইউরোপে ২০০০ মেশিনগান রফতানি করবে কানপুরের অস্ত্র কারখানা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইউরোপে বাড়ছে ভারতে তৈরি মেশিনগানের চাহিদা। এই মেশিনগান (Machine Gun) তৈরি করছে কানপুরের একটি অস্ত্র কারখানা (SAF)। অনেক দেশই এই মেশিনগানকে নিজেদের পছন্দের তালিকায় রেখেছে। এক মিনিটে এক হাজার গুলি চালানোর ক্ষমতা রয়েছে এই মেশিনগানের। এই মেশিনগান (এমএমজি) যে কোনও লড়াইয়ে গেম চেঞ্জার হতে পারে।

    ২০০০টি এমএমজি তৈরির অর্ডার মিলেছে (Machine Gun)

    ইউরোপ এই মেশিনগানের (Machine Gun) ব্যাপক চাহিদা। কানপুরের যে কারখানা এই অস্ত্র রফতানি করবে, তা প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের অধীনে। এটি অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরির একটি ইউনিট। আগামী ৩ বছরের মধ্যে ২০০০টি এমএমজি তৈরি করে ইউরোপে সরবরাহ করতে হবে কানপুরের কারখানাটিকে। এই বিষয়ে, প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের ডিপিএসইউ আউইল-এর প্রতিরক্ষা উৎপাদন ইউনিট রফতানির জন্য কাজ শুরু করেছে। জানা গিয়েছে, ১৮০০ মিটার পর্যন্ত শত্রুদের ধ্বংস করতে পারে এই মেশিনগান থেকে নির্গত গুলি। ইউরোপ থেকে সবচেয়ে বড় অর্ডার পেয়েছে কানপুরের এই অস্ত্র কারখানা। গত বছর ডিসেম্বরে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। 

    আরও পড়ুন: ছত্তিশগড়ে ‘ঘর ওয়াপসি’, খ্রিস্টান ধর্মে ধর্মান্তরিত ৬৫১ পরিবার ফিরল হিন্দু ধর্মে

    এসএএফ কর্মকর্তারা কী বললেন?

    ওই কারখানার অধিকর্তারা বলেন, “ক্রেতার চাহিদা এবং গত বছরের ডিসেম্বরে স্বাক্ষরিত চুক্তি অনুযায়ী বন্দুকটি (Machine Gun) কাস্টমাইজ করা হচ্ছে।” সামরিক অভিযানে স্থায়ী আগুনের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। এমএমজি প্রতি মিনিটে ১০০০ রাউন্ড পর্যন্ত ফায়ার করতে পারে। বন্দুকগুলি সাধারণত ৭.৬২ এমএম বা .৫০ ক্যালিবার গোলাবারুদ চালায়। বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম যেমন যানবাহন, ট্যাঙ্ক এবং বিমানে ব্যবহার করা যেতে পারে। এর বৈশিষ্ট্যগুলির মধ্যে একটি হল এটির ব্যারেল। ব্যারেলের ওজন ৩ কেজি। এই মেশিনগানের দৈর্ঘ্য ১২৫৫ মিমি। এটি ১৮০০ থেকে ২০০০ মিটার দূরে দাঁড়িয়ে থাকা শত্রুকে সঠিকভাবে টার্গেট করতে পারে। তাই বহু দেশের সেনাবাহিনীর পছন্দ হয়ে উঠছে এই মেশিনগান।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • India Muslim Jamaat: ইংরেজি নববর্ষ উদযাপনের বিরুদ্ধে ফতোয়া জারি করল মুসলিম জামাত

    India Muslim Jamaat: ইংরেজি নববর্ষ উদযাপনের বিরুদ্ধে ফতোয়া জারি করল মুসলিম জামাত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অল ইন্ডিয়া মুসলিম জামাতের (India Muslim Jamaat) জাতীয় সভাপতি মাওলানা শাহাবুদ্দিন রাজভি বেরেলভি ইংরেজি নববর্ষ (English New Year 2025) উদযাপনের বিরুদ্ধে একটি ফতোয়া জারি করেছেন। তিনি খুব স্পষ্ট ভাবে মুসলমানদের এই বর্ষবরণের উৎসবগুলিতে অংশ নেওয়া থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। একই ভাবে ইসালাম বিরোধী, শরিয়া বিরোধী কার্যকলাপ থেকে দূরে থাকার কথাও বলেছেন। পরিবর্তে মুসলমান সমাজকে ইসলাম ধর্মীয় অভ্যাসগুলিতে মনোনিবেশ করতে জোর দিয়েছেন। এই বক্তব্যে এখন ব্যাপক শোরগোল পড়েছে।

    খ্রিস্টান ক্যালেন্ডারের উদযাপন গর্বের বিষয় নয় (India Muslim Jamaat)

    ইসলামের বিশ্বাসের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়, তাই বর্ষবরণের বিষয়ে আপত্তি জানিয়ে রাজভি (India Muslim Jamaat)  বলেন, “চশমে দরফতা বেরেলি দ্বারা জারি করা ফতোয়া, তরুণ মুসলিম পুরুষ এবং মহিলাদের উভয়কেই নতুন বছর উদযাপন না করার নির্দেশ দেয়। আমি মনে করি খ্রিস্টান ক্যালেন্ডারের সূচনা করে নববর্ষ (English New Year 2025) উদযাপন করা গর্বের বিষয় নয় এবং কোনও রকম উদযাপন বা কুশল বিনিময় করা উচিত নয়। কারণ এই ধরনের অনুশীলন মুসলমানদের জন্য নিষিদ্ধ।” রাজভি একই ভাবে তরুণ ও যুব মুসলমানদের নববর্ষের অনুষ্ঠানে অংশ না নেওয়ার অনুরোধ করেছেন, পরিবর্তে তাদের কোরানের ধর্ম পালনে মনোযোগ দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, “নতুন প্রজন্মের ছেলে-মেয়েদের উচিত ইসলাম বিরোধী কার্যকলাপে অংশ গ্রহণ না করা। ইসলামের মান্যতাকে সকলের মনে রাখতে হবে।”

    আরও পড়ুনঃ ‘মহাকাশ ডকিং’ মিশনের পথে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ ইসরোর, সফল উৎক্ষেপণ পিএসএলভি-সি৬০-র

    রুশদির বই ফের বাতিলের দাবি

    অল ইন্ডিয়া মুসলিম জামাতের (India Muslim Jamaat) সভাপতি রাজভি এদিন একই ভবে সাহিত্যিক সালমান রুশদির ‘দ্য স্যাটানিক ভার্সেস’ আবার বিক্রি এবং বাজারে চাহিদার খবরকে তীব্র ভাবে আপত্তি জানিয়েছেন। তাঁর মতে দেশে এই বইয়ের উপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া ঠিক নয়। চূড়ান্ত ভাবে ইসলাম বিরোধী ভাবনা রয়েছে বইয়ে। তবে এই বইয়ের উপর তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে নিষেধাজ্ঞা ছিল। এখন তা তুলে নেওয়া হয়েছে। তিনি বিরোধিতা করে আরও বলেন, “নিষেধাজ্ঞার পক্ষে যাঁরা, তাঁদের সঙ্গে আগে আলোচনা করা দরকার ছিল। বই বিক্রির অনুমতি বাতিল করা উচিত। বইটির সহজ লভ্যতা দেশের সামাজিক ও ধর্মীয় কাঠামোর উপর চরম আঘাত আনতে পারে।” উল্লেখ্য জানা গিয়েছে রুশদির বইতে ধর্মের প্রচার এবং আচরণ বিষয়ে কিছু প্রশ্ন তোলা হয়েছে। আর তাতেই মোল্লা মৌলভী ধর্মীয় অবমানার অভিযোগ তুলেছেন। ১৯৮০ সাল থেকে এই বইয়ের উপর প্রতিবন্ধকতা আরোপ করা হয়েছিল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bihar: রোগ সারাইয়ের নামে মিশনারিদের বুজরুকি ‘চাঙ্গাই সভা’! সুস্থ না হওয়ায় সনাতনে ফিরলেন ধর্মান্তরিত খ্রিস্টান

    Bihar: রোগ সারাইয়ের নামে মিশনারিদের বুজরুকি ‘চাঙ্গাই সভা’! সুস্থ না হওয়ায় সনাতনে ফিরলেন ধর্মান্তরিত খ্রিস্টান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিহার (Bihar), ঝড়খণ্ড, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়- এই সমস্ত রাজ্যগুলিতে নানা প্রলোভনের ফাঁদে ফেলে জনজাতি সমাজকে খ্রিস্টান ধর্মে ধর্মান্তরিত করার ষড়যন্ত্র দীর্ঘদিন ধরেই চলছে। খ্রিস্টান ধর্মপ্রচারকদের এমন চক্রান্ত আজ আর কোথাও গোপন নেই। জনজাতি সমাজকে অর্থের প্রলোভন যেমন দেওয়া হয়, একইভাবে তাঁদের নানা রকমের রোগ মুক্তির জন্য খ্রিস্টানরা আয়োজন করে ‘চাঙ্গাই সভা’। এমন চাঙ্গাই সভা আদতে বুজরুকি ছাড়া কিছুই নয়। মিশনারিরা দাবি করেন, এই সভাগুলির মাধ্যমে গুরুতর অসুস্থতাও দূর করা যায়, প্রভু যীশুর আশীর্বাদে। এইরকমই একটি ঘটনা উঠে এসেছে বিহারের একটি গ্রাম থেকে। যেখানে চাঙ্গাই সভাতে সুস্থ করার প্রলোভন দিয়ে এক হিন্দুকে খ্রিস্টান ধর্মে ধর্মান্তরিত করা হয়। কিন্তু সুস্থ না হওয়ায় (Bihar) তিনি পুনরায় সনাতন ধর্মে ফিরে এসেছেন।

    চাঙ্গাই সভায় সুস্থ না হওয়ায় হিন্দু ধর্মে ফিরে আসেন সোনালাল মারান্ডি

    জানা গিয়েছে, বিহারের (Bihar) জয়পুর জেলার ধেবাকুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা সোনালাল মারান্ডি এবং তাঁর পরিবারকে খ্রিস্টান ধর্মে ধর্মান্তরিত করা হয়। তাঁদেরকে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয় যে চাঙ্গাই সভার মাধ্যমে সোনালাল মারান্ডি তাঁর গুরুতর অসুস্থতা থেকে মুক্তি পাবেন। পক্ষঘাত সম্পূর্ণ সেরে যাবে সোনালালের। কিন্তু চাঙ্গাই সভার পরেও তাঁর অসুস্থতা না সারায় পুনরায় সনাতন ধর্মে ফিরে আসন সোনালাল। এ নিয়ে সোনালাল সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘আমাকে প্রথমে বলা হয় খ্রিস্টান ধর্ম গ্রহণ করতে। তারপরে চাঙ্গাই সভার মাধ্যমে আমার রোগ সম্পূর্ণ নিরাময় করা হবে, এমনটা বলেন মিশনারিরা। কিন্তু অনেক সময় পার হলেও আমার অবস্থা ভালো হয়নি। তারপরেই আমি হিন্দু ধর্মে (Sanatan Dharma) ফিরে আসি।’’

    গঙ্গাস্নান করে হিন্দু ধর্মে প্রত্যাবর্তন 

    জানা গিয়েছে, এরপরেই সোনালাল মারান্ডি যোগাযোগ করেন তাঁরই গ্রাম প্রধান চুনিলাল মারান্ডির সঙ্গে। তাঁরই নির্দেশে এবং স্থানীয় সম্প্রদায়ের সম্পূর্ণ সহযোগিতায় সোনালাল সিদ্ধান্ত নেন পুনরায় তিনি সনাতন ধর্মে ফিরে আসার। জানা গিয়েছে, সোনালাল মারান্ডির সঙ্গে তাঁর স্ত্রী ফুলমণি, খ্রিস্টান ধর্মে ধর্মান্তরিত হওয়ার পরে যাঁর নাম হয়েছিল পুলিনা এবং তাঁর মেয়ে মার্শিনা গঙ্গাস্নান করে নিজেদেরকে পরিশুদ্ধ করেন। এরপর এক অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে খ্রিস্টান ধর্মকে ত্যাগ করেন এবং হিন্দু ধর্মে পুনরায় ফিরে আসেন। ঘরে ফিরে তাঁরা বাড়িতে (Bihar) মা দুর্গার প্রতিকৃতিও টাঙিয়ে দেন। এ নিয়ে সোনালাল মারান্ডির স্ত্রী ফুলমণিদেবী বলেন, ‘‘ যখন আমি আমার ধর্মে ফিরে এলাম, তখন আমি গভীর শান্তি লাভ করলাম।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Chhattisgarh: ছত্তিশগড়ে ‘ঘর ওয়াপসি’, খ্রিস্টান ধর্মে ধর্মান্তরিত ৬৫১ পরিবার ফিরল হিন্দু ধর্মে

    Chhattisgarh: ছত্তিশগড়ে ‘ঘর ওয়াপসি’, খ্রিস্টান ধর্মে ধর্মান্তরিত ৬৫১ পরিবার ফিরল হিন্দু ধর্মে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছত্তিশগড়ে (Chhattisgarh) হিন্দু ধর্মে ঘর ওয়াপসি হল ৬৫১টি পরিবারের। জানা গিয়েছে, এই পরিবারগুলিকে খ্রিস্টান ধর্মে ধর্মান্তরিত করা হয়। পরে স্থানীয় বিজেপি নেতা প্রবাল প্রতাপ সিংয়ের উদ্যোগে, তাঁদেরকে ফের হিন্দু ধর্মে ফিরিয়ে নিয়ে আসা হয়। জানা গিয়েছে, প্রবাল প্রতাপ সিংয়ের পরিবার বিগত ২ দশক ধরে হাজারেরও বেশি ধর্মান্তরিত হওয়া হিন্দু পরিবারকে পুনরায় সনাতন ধর্মে ফিরিয়ে এনেছেন। প্রসঙ্গত, এই ধর্মান্তরিত হওয়া হিন্দু পরিবারগুলিকে পুনরায় সনাতন ধর্মে ফিরিয়ে নিয়ে আসার জন্য প্রবাল প্রতাপ সিং, ছত্তিশগড়ের শক্তি নামক স্থানে এক ব্যাপক হিন্দু সম্মেলনের আয়োজন করেন। সেখানে অসংখ্য হিন্দু সাধু সন্ন্যাসীরা অংশগ্রহণ করেন। ওই অনুষ্ঠানে হাজির ছিলে সাধ্বী প্রজ্ঞাও।

    পা ধুইয়ে দেন বিজেপি নেতা প্রবাল প্রতাপ সিং 

    এই অনুষ্ঠানে প্রবাল প্রতাপ সিং, ওই ৬৫১ পরিবারের সদস্যদের পায়ে জল দিয়ে, নিজে হাতে তা ধুয়ে দেন। এভাবেই তিনি ফের সনাতন ধর্মে ফিরিয়ে নিয়ে আসেন এই পরিবারগুলিকে। প্রসঙ্গত, এই অনুষ্ঠানে শুধুমাত্র যে ধর্মান্তরিত হিন্দু পরিবারগুলিকে ফিরিয়ে নিয়ে আসা হয় তা নয়, এর পাশাপাশি ছত্তিশগড় জুড়ে (Chhattisgarh) যে সমস্ত হিন্দুদেরকে টার্গেট বানানো হয়েছে খ্রিস্টান করার জন্য, তাঁদেরকেও এদিন হাজির করেছিলেন ওই বিজেপি নেতা।

    কী বললেন বিজেপি নেতা প্রবাল প্রতাপ সিং? 

    প্রবাল প্রতাপ সিং (Chhattisgarh) এরপর সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘মেকি ধর্মনিরপেক্ষ হিন্দুদের কাছ থেকে, সনাতন ধর্ম নানা রকমের বাধা ও চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছে। ধর্মান্তকরণের উদ্দেশ্য নিয়ে যাঁরা চলেন, সেই খ্রিস্টানরা আমাদের হিন্দু সমাজে বসতি গড়ে তুলেছেন। তাঁরা নানারকমের প্রতারণামূলক ফাঁদ পেতে আমাদের হিন্দুধর্মের (Hinduism) সদস্যদের ধর্মান্তকরণ  করছেন। এ যেন ঠিক জঙ্গিদের স্লিপার সেলের কাজ মনে হচ্ছে। এখন সময় এসেছে তাঁদের প্রকৃত চরিত্রকে জনগণের সামনে উন্মোচিত করার এবং তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করার।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Assam STF: অসমে গ্রেফতার আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের আরও এক জঙ্গি

    Assam STF: অসমে গ্রেফতার আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের আরও এক জঙ্গি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অসম পুলিশের স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্সের (Assam STF) হাতে গ্রেফতার জঙ্গি গাজি রহমান। বছর পঁয়ত্রিশের ওই জঙ্গিকে গতকাল সোমবারই অসমের কোকরাঝাড় জেলা থেকে পাকড়াও করেছে অসম এসটিএফ। জানা গিয়েছে, ধৃত জঙ্গি আনসারুল্লাহ বাংলা টিম (এবিটি)-এর সদস্য। প্রসঙ্গত, অসম পুলিশ সম্প্রতি জেহাদি দমনের উদ্দেশে শুরু করেছে ‘অপারেশন প্রঘাত’। এই অভিযানে ইতিমধ্যে বেশ কয়েক জন বাংলাদেশি জঙ্গিকে গ্রেফতার করেছে এসটিএফ। কোকরাঝাড়ের ভোডিয়াগুড়ি থেকে অসম এসটিএফ গ্রেফতার করে গাজি রহমানকে। কোকরাঝাড়ের স্লিপার সেলের মাথা হল গাজি রহমান, এমনটাই দাবি করেছে অসম এসটিএফ।

    অসম পুলিশের অভিযানে গ্রেফতার মোট ১২ জঙ্গি

    সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত অসম এসটিএফের (Assam STF) হাতে আনসারুল্লাহ বাংলা টিম  এবং অন্যান্য জঙ্গি সংগঠনের মোট ১২ জন জেহাদি গ্রেফতার হয়েছে। এনিয়ে অসম এসটিএফের ইনস্পেক্টর জেনারেল পার্থসারথি মহন্ত সংবাদমাধ্যমকে জানান, ‘অপারেশন প্রঘাত’-এ একটি উল্লেখযোগ্য সাফল্য এসেছে। আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের এই জঙ্গির গ্রেফতারি নিয়ে এসটিএফের আইজিপি জানিয়েছেন, স্থানীয় থানার সাহায্য নিয়ে গাজিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপ এই জঙ্গির বিরুদ্ধে করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

    জঙ্গি (Islamist Terrorist) গ্রেফতার হয় পশ্চিমবঙ্গেও

    সম্প্রতি, জেহাদি দমন অভিযানে পশ্চিমবঙ্গেও অভিযান চালিয়েছিল অসম পুলিশ। এই অভিযানে (Assam STF) মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়া থেকে গ্রেফতার করা হয় মহম্মদ আব্বাস এবং মিনারুল শেখ নামের দুই জঙ্গিকে। গোয়েন্দা সূত্রে দাবি, তাঁরা দু’জনেই বাংলাদেশের নিষিদ্ধ জঙ্গি গোষ্ঠী আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের পশ্চিমবঙ্গ শাখার সক্রিয় সদস্য। গত ১০ ডিসেম্বর অসম পুলিশের এসটিএফ গোপন সূত্রে খবর পায়, নাশকতামূলক কার্যকলাপের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ থেকে ভারতে ঢুকেছে বেশ কিছু জঙ্গি। এরপর শুরু হয় অভিযান, টানা ৪৮ ঘণ্টার অভিযানে পুলিশের জালে ৮ জঙ্গি ধরা পড়ে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mahakumbh 2025: প্রয়াগরাজে হবে মহাকুম্ভ, যোগীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ সাধুরা

    Mahakumbh 2025: প্রয়াগরাজে হবে মহাকুম্ভ, যোগীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ সাধুরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে হবে মহাকুম্ভ (Mahakumbh 2025)। জোর কদমে চলছে প্রস্তুতি-পর্ব। এই শহরই সাক্ষী হয়ে উঠছে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের নেতৃত্বে সনাতন ধর্ম প্রচারের এক অভূতপূর্ব উদ্যোগের। মুখ্যমন্ত্রী যোগীর স্লোগান, “বাঁটেঙ্গে তো কাটেঙ্গে” (বিভাজন ধ্বংস ডেকে আনে), দেশের বিভিন্ন স্থানের সাধুদের কাছ থেকে ব্যাপক সমর্থন পেয়েছে।

    সনাতন ধর্মের পুনর্জাগরণ

    তাঁরা তাঁদের সমর্থন জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে (CM Yogi) সনাতন ধর্মের পুনর্জাগরণ ও আধুনিক যুগে তাঁর বিকাশের অগ্রদূত হিসেবে প্রশংসা করেছেন। তাঁদের মতে, মহাকুম্ভ ২০২৫-এর অতুলনীয় পরিসর সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দূরদর্শী নেতৃত্ব ও উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের অক্লান্ত পরিশ্রমের কারণে। সঙ্গম এলাকার চারপাশে বড় বড় হোর্ডিংগুলিতে সনাতন ধর্ম প্রচারের বার্তা দেওয়া হয়েছে। নানিজ ধাম দক্ষিণ পীঠের জগদগুরু রামানন্দাচার্য নরেন্দ্রাচার্যের একটি বিশাল পোস্টারে লেখা হয়েছে, “সনাতন শান্তিপূর্ণ, দুর্বল নয়।”

    যোগী “যুগ পুরুষ”

    হিন্দু ঐক্য ও সনাতন মূল্যবোধের প্রতি ভক্তি জাগাতে জোর দেওয়া বিভিন্ন স্লোগান ভক্তদের মধ্যে উত্তেজনা ও গর্বের উদ্রেক করছে (Mahakumbh 2025)। দক্ষিণ পীঠ থেকে অযোধ্যা ধাম পর্যন্ত সাধুরা মুখ্যমন্ত্রী যোগীকে “যুগ পুরুষ” অভিধায় ভূষিত করেছেন। অযোধ্যার শ্রী রাম বৈদেহী মন্দিরের প্রধান পুরোহিত তথা রঘুবংশ সংকল্প সেবার প্রধান, স্বামী দিলীপ দাস ত্যাগী মহারাজ, মুখ্যমন্ত্রী যোগীকে একজন ধর্মপরায়ণ ও নিবেদিতপ্রাণ নেতা হিসেবে অভিহিত করেছেন।

    আরও পড়ুন: অসমে কয়েক দশকের গড়ে ধস, কংগ্রেসকে ধরাশায়ী বিজেপির তরুণ তুর্কি দীপলুর

    ত্যাগী মহারাজ বলেন, “উত্তরপ্রদেশে বহু মুখ্যমন্ত্রী এসেছেন। তবে যোগী আদিত্যনাথের নেতৃত্বে প্রথমবারের মতো এত বিশাল ও মহৎ মহাকুম্ভের আয়োজন করা হচ্ছে।” তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর মহাকুম্ভ নগরে ঘন ঘন পরিদর্শন তাঁর ভক্তদের কল্যাণ ও সুবিধা নিশ্চিত করার প্রতি আন্তরিক প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন।” ত্যাগী মহারাজের মতে, মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ (CM Yogi) কেবল উত্তরপ্রদেশের ভক্তদের প্রয়োজন পূরণ করছেন না, বরং সারা দেশের তীর্থযাত্রীদের সুরক্ষা এবং নির্বিঘ্ন আয়োজন নিশ্চিত করতে তাঁর নিষ্ঠায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পরে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন (Mahakumbh 2025)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladeshi Infiltration: ভারতে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশ নিয়ে অবস্থান স্পষ্ট করল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র-মন্ত্রক

    Bangladeshi Infiltration: ভারতে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশ নিয়ে অবস্থান স্পষ্ট করল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র-মন্ত্রক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশি অনুপ্রবেশের (Bangladeshi Infiltration) বিষয়টি দীর্ঘদিন ধরে ভারতে একটি বিতর্কিত বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে, যা রাজনৈতিক বিতর্ক ও অভিযোগকে উসকে দিচ্ছে। বিশেষ করে ঝাড়খণ্ডের মতো রাজ্যে। এই সব বিতর্কের মধ্যে এবার বাংলাদেশি অনুপ্রবেশ সম্পর্কে কোনও কেন্দ্রীয় – স্তরের ডেটা রাখা হয় না বলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক (MHA) সম্প্রতি তার অবস্থান স্পষ্ট করেছে। তথ্যের অধিকার (আরটিআই) প্রশ্নের উত্তরে এই স্পষ্টীকরণ এসেছে, যা সমস্যাটিকে ঘিরে জটিলতাগুলিকে আরও স্পষ্ট করেছে।

    আরটিআই প্রশ্ন এবং MHA এর প্রতিক্রিয়া (Bangladeshi Infiltration)

    ঝাড়খণ্ড জনাধিকার মহাসভার সঙ্গে যুক্ত সিরাজ দত্ত তিনটি মূল দিক সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য চেয়ে এমএইচএ-তে একটি অনলাইন আরটিআই আবেদন জমা দিয়েছেন। তাতে তিনি জানতে চেয়েছেন, ১) প্রতিটি রাজ্যে অবৈধভাবে বসবাসকারী বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীর (Bangladeshi Infiltration) সংখ্যা। ২) বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের জড়িত “লাভ জিহাদ” এবং “ল্যান্ড জিহাদ” সম্পর্কিত মামলা। ৩) এসব সমস্যা সমাধানে কী প্রশাসনিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তার প্রতিক্রিয়ায়, এমএইচএ বলেছে যে অবৈধ অনুপ্রবেশের ঘটনাগুলি ১৯৩৯ সালের বিদেশি আইন এবং ১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইনের আওতায় পড়ে। তবে, মন্ত্রক নিশ্চিত করেছে যে কেন্দ্রীয় স্তরে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের ডেটা রাখা হয় না। পরিবর্তে, রাজ্য সরকার, কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল বা ইমিগ্রেশন ব্যুরোতে এই ধরনের তথ্য সম্ভাব্যভাবে উপলব্ধ হতে পারে।

    ঝাড়খণ্ডে আইনি উন্নয়ন

    ঝাড়খণ্ড (Jharkhand) এমন একটি রাজ্য যেখানে বাংলাদেশের (Bangladeshi Infiltration) সঙ্গে কোনও সীমানা নেই। কিন্তু সাঁওতাল পরগনা অঞ্চলে অনুপ্রবেশের অভিযোগ রয়েছে। ঝাড়খণ্ড হাইকোর্ট এর আগে রাজ্য সরকারকে বিষয়টি তদন্ত করার জন্য একটি ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং কমিটি গঠন করার নির্দেশ দিয়েছিল। যাই হোক, রাজ্য সরকারের আপত্তির পরে বিষয়টি এখন সুপ্রিম কোর্টের পর্যালোচনাধীন রয়েছে। ঝাড়খণ্ড সরকারের প্রতিনিধিত্বকারী সিনিয়র আইনজীবী কপিল সিবাল যুক্তি দিয়েছিলেন যে ঝাড়খণ্ডে অনুপ্রবেশের অভিযোগ ভিত্তিহীন এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।  

    অসন্তোষ প্রকাশ করে ঝাড়খণ্ড হাইকোর্ট

    এই বছরের সেপ্টেম্বরে ঝাড়খণ্ড হাইকোর্টে ড্যানিয়েল ড্যানিশের দ্বারা একটি জনস্বার্থ মামলা (পিআইএল) দায়ের করার পরে বিষয়টি গতি পায়। পিআইএল সাঁওতাল পরগনা অঞ্চলে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশের (Bangladeshi Infiltration) বিষয়ে স্পষ্টতা চেয়েছিল। জেলা প্রশাসক সহ জেলা আধিকারিকদের দ্বারা জমা দেওয়া রিপোর্টগুলি কোনও উল্লেখযোগ্য অনুপ্রবেশ অস্বীকার করেছে। হাইকোর্ট জেলা প্রশাসকদের প্রতিবেদনে অসঙ্গতি উল্লেখ করে অসন্তোষ প্রকাশ করে। হাইকোর্ট এমন একটি মামলা তুলে ধরে, যেখানে সাহেবগঞ্জে চার বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে শনাক্ত করা হয়েছে, আর বিষয়টি জেলা প্রশাসন অস্বীকার করেছে। আদালত মন্তব্য করেছে যে যদিও আদালত বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রদানের জন্য জেলা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার প্রক্রিয়া শুরু করতে পারে, তবে এর প্রাথমিক উদ্দেশ্য ছিল সত্যটি নিশ্চিত করা।  

    সাঁওতাল পরগণায় মুসলিম জনসংখ্যা বৃদ্ধি!

    হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ অনুসারে সাঁওতাল পরগণায় উল্লেখযোগ্য জনসংখ্যাগত পরিবর্তন ঘটেছে। রিপোর্ট অনুসারে, এই অঞ্চলে উপজাতীয় জনসংখ্যা ৪২ শতাংশ থেকে ২৮ শতাংশে নেমে এসেছে। পাশাপাশি পাকুর এবং সাহেবগঞ্জের মতো জেলাগুলিতে মুসলিম জনসংখ্যা ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুসারে প্রায় ৩৫ শতাংশ বেড়েছে। সমগ্র সাঁওতাল পরগণা অঞ্চল জুড়ে একই সময়ে মুসলিম (Bangladeshi Infiltration) জনসংখ্যা ১৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এই পরিসংখ্যানগুলি বিতর্ককে আরও উসকে দিয়েছে।

    কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সহযোগিতা

    সাম্প্রতিক শুনানির সময় ভারতের সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা ঝাড়খণ্ড হাইকোর্টকে জানিয়েছেন যে কেন্দ্রীয় সরকারের স্বরাষ্ট্র সচিব এবং ঝাড়খণ্ডের মুখ্য সচিব যৌথভাবে সাঁওতাল পরগনায় বাংলাদেশি অনুপ্রবেশের (Bangladeshi Infiltration) তদন্তের জন্য একটি উচ্চ-ক্ষমতার কমিটি গঠনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন। কেন্দ্রীয় সরকার একটি হলফনামার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত জমা দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, পরবর্তী শুনানি ২০ সেপ্টেম্বর নির্ধারিত হয়েছে। আগে জমা দেওয়া একটি হলফনামায় কেন্দ্রীয় সরকার পরামর্শ দিয়েছিল যে ন্যাশনাল রেজিস্টার অফ সিটিজেনস (এনআরসি) এর মাধ্যমে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের সনাক্তকরণ এবং নির্বাসনকে সহজতর করা যেতে পারে। এমএইচএর স্পষ্টীকরণ কেন্দ্রীভূত ডেটার অনুপস্থিতির পরামর্শ দেয়, ঝাড়খণ্ডে চলমান আইনি প্রক্রিয়াগুলি এই ধরনের অভিযোগগুলি মোকাবিলায় চ্যালেঞ্জগুলি তুলে ধরে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Indian Economy: ঊর্ধ্বমুখী ভারতীয় অর্থনীতির লেখচিত্র, কী বলছে ডেলয়েট?

    Indian Economy: ঊর্ধ্বমুখী ভারতীয় অর্থনীতির লেখচিত্র, কী বলছে ডেলয়েট?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মোদি জমানায় ঊর্ধ্বমুখী ভারতীয় অর্থনীতির (Indian Economy) লেখচিত্র। ভারতীয় অর্থনীতি ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে ৬.৫-৬.৮ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষে এটি সামান্য বেশি অর্থাৎ ৬.৭-৭.৩ শতাংশ হতে পারে। রবিবার এমনই জানিয়েছে ডেলয়েট (Deloitte)।

    কী বলছেন অর্থনীতিবিদ? (Indian Economy)

    ডেলয়েট ইন্ডিয়ার অর্থনীতিবিদ রুমকি মজুমদার বলেন, “২০২৪-২৫ অর্থবর্ষের প্রথমার্ধে প্রবৃদ্ধি প্রত্যাশার তুলনায় কম ছিল। কারণ নির্বাচনের অনিশ্চয়তা, ভারী বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট ব্যাঘাত এবং ভূরাজনৈতিক ঘটনাগুলি দেশীয় চাহিদা এবং রফতানিতে প্রভাব ফেলেছে। এই চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও, ভারত নির্দিষ্ট কিছু ক্ষেত্রে স্থিতিস্থাপকতা প্রদর্শন করেছে, যার মধ্যে রয়েছে শক্তিশালী ভোক্তা প্রবণতা, পরিষেবা খাতে প্রবৃদ্ধি, উচ্চ-মূল্যের উৎপাদন রফতানির ক্রমবর্ধমান অংশ এবং মূলধন বাজারের উন্নতি।”

    পরিকাঠামো উন্নয়ন

    সরকারের লাগাতার মনোযোগ পরিকাঠামো উন্নয়ন, ডিজিটালাইজেশন, এবং প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার ওপর কেন্দ্রীভূত, যা সামগ্রিক অর্থনৈতিক দক্ষতা বাড়াতে অতিরিক্ত প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধিকারক হিসেবে কাজ করবে। রুমকি বলেন, “আমরা সতর্কভাবে আশাবাদী রয়েছি এবং আশা করছি এই আর্থিক বছরে প্রবৃদ্ধির হার ৬.৫ থেকে ৬.৮ শতাংশের মধ্যে থাকবে এবং ২০২৫-২৬ আর্থিক বছরে এটি সামান্য বেশি, অর্থাৎ ৬.৭ থেকে ৭.৩ শতাংশ হতে পারে।” সম্প্রতি রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া বর্তমান অর্থবর্ষের (Indian Economy) জন্য তাদের প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস সংশোধন করে ৬.৬ শতাংশ করেছে। এটি জুন মাসে প্রদত্ত ৭.২ শতাংশ পূর্বাভাসের চেয়ে কম।

    আরও পড়ুন: অসমে কয়েক দশকের গড়ে ধস, কংগ্রেসকে ধরাশায়ী বিজেপির তরুণ তুর্কি দীপলুর

    ডেলয়েটের মতে, ভারতের বৈশ্বিক মূল্য শৃঙ্খলে অবস্থান শক্তিশালী হচ্ছে, যার প্রমাণ উচ্চ-মূল্যের খাতে যেমন ইলেকট্রনিক্স, সেমিকন্ডাক্টর এবং রাসায়নিক দ্রব্যের উৎপাদন রফতানি প্রবৃদ্ধি। এদিকে, গত দেড়-দু’মাসে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বিদেশি বিনিয়োগকারীর অর্থপ্রবাহ হ্রাস সত্ত্বেও পুঁজিবাজার স্থিতিশীলতা দেখিয়েছে, যা খুচরো ও দেশীয় প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধির কারণে সম্ভব হয়েছে। রুমকির পূর্বাভাস, “এই প্রবণতাগুলির অনেকটাই ২০২৫ সাল পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে, যেখানে গ্রামীণ ও শহর উভয় চাহিদা দ্বারা চালিত অভ্যন্তরীণ ভোগ ভারতের অর্থনৈতিক (Deloitte) প্রবৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে (Indian Economy)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Delhi Election: নাগরিকত্ব আইনের সুফল! ৩০০ পাকিস্তানি হিন্দু ভোট দেবেন দিল্লির নির্বাচনে

    Delhi Election: নাগরিকত্ব আইনের সুফল! ৩০০ পাকিস্তানি হিন্দু ভোট দেবেন দিল্লির নির্বাচনে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নাগরিকত্ব আইনের মাধ্যমে তাঁরা পেয়েছেন নাগরিকত্ব। পাকিস্তান থেকে আগত উদ্বাস্তু হিন্দুদের মধ্যে ৩০০ জন ভোটার কার্ডের জন্য আবেদন করেছিলেন। তাঁরাই প্রথমবারের জন্য ভোট দেবেন ভারতের কোনও নির্বাচনে। প্রসঙ্গত, আগামী বছরের গোড়ায়ই হবে দিল্লি বিধানসভা (Delhi Election) নির্বাচন, সেখানেই ভোট দেবেন তাঁরা। ইতিমধ্যেই তাঁদের ভোটার আইডি কার্ডও দেওয়া হয়েছে। মাত্র চার বছর বয়সে পাকিস্তান থেকে ভারতে চলে আসা রাধা বর্তমানে ১৮ বছরে পা দিয়েছেন। ১৪ বছর আগে ভারতে আসা সেই রাধাকে নাগরিকত্ব দিয়েছে মোদি সরকার। রাধা এবার প্রথমবারের জন্য দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে ভোট দিতে চলেছেন। নিজের ভোটাধিকারের মাধ্যমে রাধা এবার গর্বের সঙ্গে ভারতকে নিজের দেশও বলতে পারবেন। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন ২০১৯ অনুযায়ী, পাকিস্তান থেকে আসা হিন্দুরা (Pakistani Hindus) পেয়েছেন ভারতের নাগরিকত্ব। প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের মার্চ মাসে নাগরিকত্ব আইনকে বাস্তবায়িত করা হয়। মোদি সরকারের প্রণয়ন করা সেই নাগরিকত্ব আইনের সুফল পাচ্ছেন রাধার মতো পাকিস্তান থেকে ধর্মীয়ভাবে অত্যাচারিত হয়ে ভারতে আসা হিন্দুরা।

    কী বলছেন পাকিস্তান (Delhi Election) থেকে আগত হিন্দুরা?

    সংবাদ মাধ্যমে রাধার মা বলেন, ‘‘আমরাও নাগরিকত্ব আইনের মাধ্যমে নিজেদের সার্টিফিকেট পেয়েছি। চলতি বছরেই তা আমরা পেয়েছি। তার পরেই আমরা ভোটার আইডি কার্ডের (Delhi Election) জন্য আবেদন করেছিলাম। এটাই হতে চলেছে প্রথমবার যখন আমরা ভারতীয় হিসেবে ভোট দেব। আমরা আশাবাদী যে সরকারই ক্ষমতায় আসুক না কেন, তারা আমাদের মতো পাকিস্তান থেকে আসা হিন্দুদের কথা ভাববে।’’ প্রসঙ্গত, পাকিস্তান থেকে আগত উদ্বাস্তু হিন্দুদের মধ্যে বেশিরভাগ মহিলাই গৃহবধূ। অন্যদিকে, সেই পরিবারের পুরুষরা দিনমজুর হিসেবে কাজ করেন অথবা ছোটখাটো রাস্তার ধারে স্টল দেন। এঁরা প্রত্যেকেই আশাবাদী যে নাগরিকত্ব আইনের মাধ্যমে তাঁরা যেভাবে ভোটাধিকার পেয়েছেন এভাবে নতুন নতুন সুযোগের দরজাও খুলবে।

    পাকিস্তান থেকে এসেছেন ৫০ বছর বয়সি পুরাণ, তিনি কী বললেন?

    পাকিস্তান থেকে এসেছেন বছর ৫০-এর পুরাণ। সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘‘পাকিস্তানে আমরা ছিলাম সাধারণ কৃষক এবং সেখান থেকে কোনওভাবে আমরা পালিয়ে এসেছি। আমরা এখানে সুখে আছি বটে, কিন্তু এখানে আমাদের জমি-জিরেত নেই। তাই আমরা চাষ করতে পারছি না। যদি সরকার আমাদের কোনওভাবে জমি দেয়, তাহলে আমরা সেখানে ফসল ফলাতে পারি।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Dharmendra Pradhan: মন্ত্রীর হাতে প্রকাশ পেল ‘কুদোপালি মহাকাব্য: ১৮৫৭ সালের অবহেলিত কাহিনি’

    Dharmendra Pradhan: মন্ত্রীর হাতে প্রকাশ পেল ‘কুদোপালি মহাকাব্য: ১৮৫৭ সালের অবহেলিত কাহিনি’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের স্বাধীনতা অসীম ত্যাগের মাধ্যমে অর্জিত হয়েছে। এটা অনেকেরই অজানা। বর্তমান প্রজন্মের অনেকেই জানেন না এই বীরদের সংগ্রামের কাহিনি। একটি (Dharmendra Pradhan) গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু ইতিহাসে উপেক্ষিত সংগ্রাম ঘটে ছিল ওড়িশার সম্বলপুরে। ১৮৫৭ সালের ৩০ ডিসেম্বর, কুদোপালি ঘাটে (Saga Kudopali), ৫৩ জন বিপ্লবী সাহসিকতার সঙ্গে ব্রিটিশ বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। চারজনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল।

    ইতিহাসের অজ্ঞাত অধ্যায় (Dharmendra Pradhan)

    ইতিহাসের এই অজ্ঞাত অধ্যায়টি বইয়ের মাধ্যমে প্রকাশ করল ন্যাশনাল বুক ট্রাস্ট, সংক্ষেপে এনবিটি। নাম, ‘কুদোপালি মহাকাব্য: ১৮৫৭ সালের অবহেলিত কাহিনি’। বইটির ইংরেজি সংস্করণের আবরণ উন্মোচন করেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। তিনি বলেন, “১৮৫৭ সালের কুদোপালি ঘটনা জলিয়ানওয়ালা বাগ হত্যাকাণ্ডের মতোই গুরুত্বপূর্ণ ছিল।” সে দিন শহিদ হওয়া ৫৩ জন মুক্তিযোদ্ধার সাহসী প্রতিরোধের পাশাপাশি চারজন বিপ্লবীর মৃত্যুদণ্ডের কথাও উল্লেখ করেন তিনি। বইটির আবরণ উন্মোচনের আগে শ্রদ্ধা জানানো হয় হুতাত্মাদের, বিশেষ করে বিশিষ্ট বীর চবিলা সাইকে। বইটি এই অজ্ঞাত বীরদের এবং তাঁদের চূড়ান্ত ত্যাগকে শ্রদ্ধা জানায়। মন্ত্রী বলেন, “সম্বলপুরের খিন্ডা, কুলাবিরা, ঘেন্স এবং লক্ষণপুর এলাকার বিভিন্ন পরিবারের এই মহৎ সংগ্রামে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। তবে এই ইতিহাস অনেকের কাছে এতদিন অজানা ছিল।”

    কী বললেন মন্ত্রী?

    গত বছরের (Dharmendra Pradhan) ৩০ ডিসেম্বর, বীর চবিলা সাই স্মৃতি কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত স্মরণ সভায় মন্ত্রী এই ইতিহাসের একটি পূর্ণাঙ্গ নথিভুক্তকরণের প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেছিলেন। তিনি ভারতীয় ঐতিহাসিক গবেষণা পরিষদ (ICHR) এবং এনবিটিকে এই গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়টি গবেষণা করে একটি বই আকারে সংকলন করার দায়িত্ব দেন। সেই বইটিরই ইংরেজি সংস্করণের আবরণ উন্মোচন করেন মন্ত্রী।

    আরও পড়ুন: অসমে কয়েক দশকের গড়ে ধস, কংগ্রেসকে ধরাশায়ী বিজেপির তরুণ তুর্কি দীপলুর

    প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্বাধীনতা সংগ্রামের অবহেলিত নায়কদের স্বীকৃতির পক্ষে নিয়মিতভাবে সওয়াল করে আসছেন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর এই উদ্যোগ তাঁর সেই দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ। এই বইটি এই ভুলে যাওয়া নায়কদের জাতীয় আলোচনায় আনার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বইটির ভারতের দশটি প্রধান ভাষায় (Saga Kudopali) অনুবাদ ও প্রকাশের দায়িত্ব দিয়েছেন এনবিটিকে (Dharmendra Pradhan)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share