Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • NIA: পাঞ্জাবে হিন্দুত্ববাদী নেতা খুনের ঘটনায় চার্জশিট জমা এনআইয়ের, নাম ২ খালিস্তানি জঙ্গির

    NIA: পাঞ্জাবে হিন্দুত্ববাদী নেতা খুনের ঘটনায় চার্জশিট জমা এনআইয়ের, নাম ২ খালিস্তানি জঙ্গির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গতকাল শুক্রবার পাঞ্জাবে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের (VHP) এক নেতার খুনের ঘটনায় চার্জশিট পেশ করল এনআইএ (NIA)। পাঞ্জাবের বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতা বিকাশ প্রভাকর ওরফে বিকাশ বাগ্গার নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পরিপ্রেক্ষিতে খালিস্তানপন্থী জঙ্গি সংগঠন বাব্বর খালসা ইন্টারন্যাশনাল বা বিকেআইয়ের দুই সন্ত্রাসবাদীর বিরুদ্ধে এই চার্জশিট জমা করা হয়েছে। এই দুই সন্ত্রাসবাদীদের মধ্যে একজনের নাম ধর্মিন্দার কুমার ওরফে কুনাল এবং অপরজন হলেন পলাতক আসামী হরবিন্দর কুমার। এই জঙ্গি বর্তমানে দুবাইয়ে রয়েছেন বলে এনআইএ (NIA) সূত্রে খবর। এই দুজনের বিরুদ্ধেই বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইন, ভারতীয় দণ্ডবিধি আইপিসির বিভিন্ন ধারা এবং অস্ত্র আইনে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এক বিবৃতিতে এনআইএ একথা জানিয়েছে।

    ২০২৪ সালের ১৩ এপ্রিলের ঘটনা (NIA)

    জানা গিয়েছে, প্রায় এক বছর আগে ২০২৪ সালে ১৩ এপ্রিল পাঞ্জাবের রূপনগর জেলায় অন্য দিনের মতোই নিজের মিষ্টির দোকানে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতা বিকাশ প্রভাকর। সেই সময়ে ওই দুই খালিস্থানপন্থী জঙ্গি তাঁকে গুলি করে হত্যা করে। জানা গিয়েছে, বাব্বর খালসা ইন্টারন্যাশনাল নামের এই খালিস্থানপন্থী জঙ্গি সংগঠনের প্রধানের নাম হল ওয়াধাওয়া সিং। তিনি বর্তমানে পাকিস্তানে রয়েছেন। তাঁরই নির্দেশে এই ঘটনা ঘটানো হয় বলে জানিয়েছে এনআইএ (NIA)। অন্যদিকে এই ঘটনায় আরও একজন সন্ত্রাসবাদীর নাম উঠে এসেছে। জানা গিয়েছে, ওই খালিস্তানপন্থী জঙ্গি সংগঠনের নেতার নাম হারজিত সিং ওরফে লাড্ডি। তিনি বর্তমানে জার্মানিতে অবস্থান করছেন।

    ২০২৪ সালের ৯ মে তদন্তভার নেয় এনআইএ (NIA)

    গত বছরের অর্থাৎ ২০২৪ সালের ৯ মে পাঞ্জাব পুলিশের কাছ থেকে এই মামলার তদন্তভার নেয় এনআইএ। এরপরে এই চার্জশিট পেশ করা হল গতকাল অর্থাৎ ১৪ ফেব্রুয়ারি। এনআইএ-র তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে লাড্ডি বা হারজিত সিংয়ের কাজ হল এই সংগঠনে জঙ্গি নিয়োগ করা এবং তহবিল সংগ্রহ করা। এর পাশাপাশি অস্ত্র সরবরাহের কাজও তিনি করতেন। জার্মানিতে বসেই লাড্ডি এই কাজগুলো করে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। জানা গিয়েছে, বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতা খুনে অভিযুক্ত ধর্মিন্দার কুমার ওরফে কুনাল আদতে উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা। এই অভিযুক্ত মধ্যপ্রদেশের একজনের কাছ থেকে অস্ত্র সংগ্রহ করেছিল। এনআইএ এই তদন্তে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিদেশি যোগ এবং এই মামলায় এক অস্ত্র ব্যবসায়ীর ভূমিকাও সামনে এনেছে।

  • Dalai Lama: প্রাণঘাতী হামলার আশঙ্কা, দলাই লামাকে জেড ক্যাটাগরির নিরাপত্তা

    Dalai Lama: প্রাণঘাতী হামলার আশঙ্কা, দলাই লামাকে জেড ক্যাটাগরির নিরাপত্তা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিব্বতের আধ্যাত্মিক নেতা দলাই লামাকে (Dalai Lama) জেড-ক্য়াটাগরির নিরাপত্তা দেওয়ার কথা ঘোষণা করল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। গোয়েন্দা সূত্রের দাবি, প্রাণঘাতী হামলা হতে পারে ৮৯ বছরের বৌদ্ধ ধর্মগুরুর উপরে। এরপরই নিরাপত্তা বাড়ানোর পদক্ষেপ করা হয়। এবার থেকে দলাই লামার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন ৩৩ জন নিরাপত্তা কর্মী। যার মধ্যে রয়েছে হিমাচলপ্রদেশের ধরমশালায় তাঁর বাসভবনে সশস্ত্র রক্ষী (Dalai Lama Granted With CRPF) ও এসকর্ট কমান্ডো বাহিনী। এছাড়াও সর্বক্ষণের জন্য থাকবেন ব্যক্তিগত নিরাপত্তা আধিকারিক।

    স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রে খবর, জেড ক্যাটাগরির আওতায় দলাই লামার (Dalai Lama) নিরাপত্তার জন্য সশস্ত্র রক্ষীসহ মোট ৩৩ জন সিকিউরিটি মোতায়েন করা হবে। তাঁরা ২৪ ঘণ্টা পাহারার কাজে নিযুক্ত থাকবেন। এছাড়াও, তিনটি শিফটে ১২ জন কমান্ডো তাঁকে নিরাপত্তা দেবেন। আপৎকালীন পরিস্থিতির জন্য ২৪ ঘণ্টা থাকবে প্রশিক্ষিত চালকও। উল্লেখ্য, বিগত কয়েকমাস ধরেই জনসমক্ষে আসেননি দলাই লামা। এমনকী ভক্তদের সঙ্গেও দেখাসাক্ষাৎ করেননি। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই তাঁর স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তায় ছিল গোটা বৌদ্ধ সমাজ। এরইমধ্যে আইবি-র ইনপুটে হামলার আশঙ্কা ঘিরে বেড়েছিল উদ্বেগ। যার জেরে জেড ক্যাটাগরি নিরাপত্তায় সবুজ সঙ্কেত দিল কেন্দ্র।

    দলাই লামার (Dalai Lama) উপরে হামলার আশঙ্কা অবশ্য নতুন নয়। এর আগেও অনেকবারই নানা সূত্রে তাঁর উপরে হামলার নানা চক্রান্তের কথা জানা গিয়েছে। ফলে আগাগোড়াই তাঁর নিরাপত্তার দিকটি কেন্দ্রের অগ্রাধিকার পেয়ে এসেছে। এবার নতুন করে হামলার আশঙ্কা দেখা দিতেই বাড়ানো হল নিরাপত্তা। আগামী জুলাইয়ে ৯০ বছরে পা দেবেন দলাই লামা। ১৯৫৯ সালে চিনা হানাদার বাহিনীর হাত থেকে বাঁচতে তিব্বত থেকে দলবল সমেত পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছিলেন তিনি। তারপর থেকেই তাঁকে ‘বিচ্ছিন্নতাবাদী’ বলে মনে করে বেজিং। সূত্রের খবর,সম্প্রতি দলাই লামার উপর হামলা হতে পারে বলে আইবি (Intellegence Bureau)-র পেশ করা এক রিপোর্টের ভিত্তিতেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের এমন সিদ্ধান্ত।

  • President Murmu: “সাহসী হও, নিজেদের স্বপ্নপূরণে এগিয়ে চলো” নারীশক্তিকে দেশগঠনের আহ্বান রাষ্ট্রপতির

    President Murmu: “সাহসী হও, নিজেদের স্বপ্নপূরণে এগিয়ে চলো” নারীশক্তিকে দেশগঠনের আহ্বান রাষ্ট্রপতির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বর্তমানে মহিলারা বিভিন্ন ক্ষেত্রে শিখরে পৌঁছেছে। ‘মিসাইল থেকে মিউজিক’- সমস্ত ক্ষেত্রেই মহিলারা প্রতিবন্ধকতা জয় করেছে। দেশ গঠনে মহিলাদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। শুক্রবার বেঙ্গালুরুতে আন্তর্জাতিক নারী সম্মেলন অফ দ্য আর্ট অফ লিভিং-এর উদ্বোধনী অধিবেশনে এমনই মত প্রকাশ করলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। দেশের মেয়েদের প্রতি রাষ্ট্রপতির আহ্বান, “সাহসী হও, নিজেদের স্বপ্নপূরণে এগিয়ে চলো। স্বপ্ন দেখো, তবেই তা পূরণ করার শক্তি পাবে।”

    উন্নত পৃথিবীর লক্ষ্যে নারী শক্তি

    এদিনের অনুষ্ঠানে সমাজ ও দেশে ‘নারী শক্তি’-র অবদানের কথা তুলে ধরে রাষ্ট্রপতি বলেন, “আগে বলা হত, প্রত্যেক সফল ব্যক্তির পিছনে এক মহিলা রয়েছে। কিন্তু, আজ বলা উচিত, প্রত্যেক সফল ব্যক্তির পাশে এক মহিলা রয়েছে।” তাঁর কথায়, “ভারতের ‘নারী শক্তি’ আজ উজ্জীবিত, তারা উচ্চাকাঙ্ক্ষী, সফল। বিজ্ঞান, ক্রীড়া, রাজনীতি, শিল্প বা সংস্কৃতির ক্ষেত্রে, আমাদের বোনেরা ও মেয়েরা মাথা উঁচু করে এগিয়ে যাচ্ছে। তারা তাদের পরিবার, প্রতিষ্ঠান এবং দেশকে গর্বিত করছে।” তাঁর বার্তা, “সীমাবদ্ধতা ভাঙা এবং স্টেরিওটাইপের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ জানানো সম্ভব হয় না মনোবল ছাড়া। আমি প্রতিটি মহিলাকে আহ্বান জানাই, সাহসী হন, বড় স্বপ্ন দেখুন এবং আপনার সমস্ত শক্তি ও সম্ভাবনা কাজে লাগিয়ে স্বপ্ন পূর্ণ করুন। প্রতিটি ছোট পদক্ষেপ আপনাকে লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। সেই প্রতিটি পদক্ষেপই উন্নত ভারত এবং উন্নত পৃথিবীর দিকে একু একটু করে এগিয়ে চলা।”

    নেতৃত্বে নারী শক্তি

    রাষ্ট্রপতি মুর্মু বলেন, “আমরা প্রযুক্তিগত বিপর্যয়ের যুগে আছি। প্রযুক্তির অগ্রগতি আমাদের জীবনযাত্রার মান উন্নত করেছে। এই প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে, আমাদের অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে যে আমাদের মানবিক মূল্যবোধ অক্ষুণ্ণ রয়েছে। প্রকৃতপক্ষে, প্রতিটি মানুষকে করুণা, ভালোবাসা এবং ঐক্যের মানবিক মূল্যবোধ প্রচারের জন্য সচেতনভাবে অতিরিক্ত প্রচেষ্টা করা উচিত। এখানেই নারীর ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। নারীদের করুণার মাধ্যমে নেতৃত্ব দেওয়ার একটি বিশেষ ক্ষমতা রয়েছে। তারা ব্যক্তিত্বের বাইরে গিয়ে পরিবার, সম্প্রদায় এমনকি বিশ্বব্যাপী সম্পর্কের কল্যাণের জন্য কাজ করার ক্ষমতা রাখে।”

  • Gamai: অন্য বন্ধন! উমেশ রাও এবং তার গাভী ‘গাইমাই’র অবিচ্ছেদ্য ২৩ বছরের বন্ধুত্ব

    Gamai: অন্য বন্ধন! উমেশ রাও এবং তার গাভী ‘গাইমাই’র অবিচ্ছেদ্য ২৩ বছরের বন্ধুত্ব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভালোবাসা এবং আনুগত্য সময়ের সাথে পরিবর্তিত হয় না। নিলেশ্বরমের ছোট্ট এক গ্রামের বাসিন্দা কৃষক উমেশ রাও এবং তাঁর গাভী ‘গাইমাই’ এর বন্ধন তার প্রমাণ। ৮৬ বছর বয়সী উমেশ ৩০ বছর আগে, গাভী কেনার জন্য চেরুভথুরে যান। সেখান থেকে গাইমাইয়ের মাকে নিয়ে আসেন উমেশ।

    মধুর সম্পর্কের সূচনা

    এই মুহূর্ত থেকেই এক আজীবন সম্পর্কের সূচনা হয়। বছরগুলি পেরিয়ে গাইমাই জন্ম নিলে, উমেশের সঙ্গে তার সম্পর্ক আরও গভীর হয়ে ওঠে, এবং তিনি গাইমাইয়ের মাকে আলাদা করার সিদ্ধান্ত নেন, যাতে গাইমাই তার খামারে থেকে যায়। আজ, গাইমাই শুধু এক গাভী নয়, উমেশের পরিবারে প্রিয় একজন সদস্য।

    গাইমাই-এর পরিবার

    বছরের পর বছর, গাইমাই এখন কয়েকটি বাচ্চা জন্ম দিয়েছে, এবং উমেশ তার মেয়েদের রাখতে প্রতিজ্ঞা করেছেন, যাতে গাইমাইয়ের বংশধারা তার খামারে অব্যাহত থাকে। বর্তমানে, গাইমাইয়ের বংশধারা পাঁচ প্রজন্মে বিস্তৃত হয়েছে, যার কেন্দ্রে রয়েছে গাইমাই। তার পরিবার উমেশের যত্ন এবং প্রতিশ্রুতির প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে। যদিও গাইমাই আজকাল বুড়ো হয়ে গেছে এবং তার স্বাস্থ্যও বয়সের প্রভাবে কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তবুও উমেশের ভালোবাসা ও যত্নের কোনো ঘাটতি নেই। তার শক্তিশালী গড়ন আর নেই, তার দাঁতও নেই, কিন্তু উমেশ তাকে তেমনি যত্নের সাথে সেবা করেন, যেমনটি তিনি তাকে বাচ্চা অবস্থায় পালন করেছিলেন।

    আনন্দময় মুহূর্ত

    উমেশ প্রায়ই মজা করে বলেন, “আমাদের আর দাঁত নেই,” যা তাদের মধ্যে এক আনন্দময় মুহূর্ত তৈরি করে। সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরেও, তাদের সম্পর্ক অপরিবর্তিত রয়ে গেছে।বছরের পর বছর, অনেকেই গাইমাইকে কিনতে এসে উমেশকে প্রস্তাব দিয়েছে, কিন্তু তিনি কখনোই রাজি হননি। উমেশের জন্য এটি কোনো লাভের বিষয় নয়, এটি তার গাইমাইয়ের সাথে গড়ে ওঠা এক গভীর আবেগময় সম্পর্ক। তিনি দেখেছেন গাইমাইয়ের পরিবারের পাঁচটি প্রজন্ম বেড়ে ওঠতে এবং তার জন্য, এটি এক অমূল্য অ ভিজ্ঞতা, যা তিনি কখনোই পরিবর্তন করবেন না।

  • Dowry: দাবি মতো পণ না পেয়ে তরুণীকে এইচআইভি ইনজেকশন, কাঠগড়ায় শ্বশুরবাড়ির লোকজন

    Dowry: দাবি মতো পণ না পেয়ে তরুণীকে এইচআইভি ইনজেকশন, কাঠগড়ায় শ্বশুরবাড়ির লোকজন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দাবি মতো পণের (Dowry) টাকা ও গাড়ি না পেয়ে এক মহিলাকে এইচআইভি (এডস রোগ) (HIV) ইনজেকশন দেওয়ার অভিযোগ শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। ভয়াবহ এই ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) সাহারানপুরে। স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন নির্যাতিতার বাবা। মামলা দায়ের করা হয়েছে গাঙ্গোহ থানায়। জেলা পুলিশ সুপার সাগর জৈন জানান, আদালতের নির্দেশে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে তদন্ত শুরু করা হয়েছে।

    মোটা অঙ্কের পণের দাবি (Dowry)

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে হরিদ্বারের এক যুবকের সঙ্গে মেয়ের বিয়ে দিয়েছিলেন গাঙ্গোহ এলাকার এক ব্যক্তি। পণ বাবদ দিয়েছিলেন একটি গাড়ি, নগদ ১৫ লাখ টাকা এবং বেশ কয়েক লাখ টাকার গয়না। এতে অবশ্য সন্তুষ্ট হয়নি ওই ব্যক্তির মেয়ের শ্বশুরবাড়ির লোকজন। তারা একটি স্করপিও গাড়ি এবং নগদ ২৫ লাখ টাকা দাবি করেছিলেন বলে অভিযোগ।

    তরুণীকে এইচআইভি ইনজেকশন

    পণ বাবদ এত দাবি আর মেটাতে পারবেন না বলে মেয়ের শ্বশুরবাড়ির লোকজনকে সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন ওই তরুণীর বাবা। অভিযোগ, এর পরেই শুরু হয় ওই তরুণীর ওপর নিত্য অত্যাচার। প্রতিদিন মারধর করার পাশাপাশি একদিন ওই তরুণীকে বাড়ি থেকে বেরও করে দেওয়া হয়। নির্যাতিতার পরিবারের দাবি, স্থানীয় পঞ্চায়েত ও গ্রামের লোকজন বসে সমস্যা মিটিয়ে দেন। বিষয়টি তখনকার মতো ধামাচাপা পড়ে যায়। অভিযোগ, এর পরেই ওই তরুণীকে তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকজন এইচআইভি ইনজেকশন দিয়ে দেয়। নির্যাতিতাকে জোর করে কিছু ওষুধও খাওয়ানো হয়। ওষুধ এবং ইনজেকশনের চোটে অসুস্থ হয়ে পড়েন ওই বধূ।

    ঘটনাটি জানতে পেরে মেয়েকে নিয়ে হাসপাতালে ছোটেন ওই তরুণীর পরিবার (Dowry)। সেখানেই ধরা পড়ে নির্যাতিতার এইচআইভি সংক্রমণ। পরীক্ষা করা হয় ওই তরুণীর স্বামীকেও। রিপোর্ট আসে নেগেটিভ। এর পরেই আদালতের দ্বারস্থ হন নির্যাতিতার পরিবার। আদালতের নির্দেশে, গাঙ্গোহ থানা (Uttar Pradesh) সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা দায়ের করে শুরু করেছে তদন্ত (Dowry)।

  • BSNL: ১৭ বছর বাদে লাভের মুখ দেখল বিএসএনএল

    BSNL: ১৭ বছর বাদে লাভের মুখ দেখল বিএসএনএল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত সঞ্চার নিগম লিমিটেড (BSNL) চলতি আর্থিক বছরের তৃতীয় ত্রৈমাসিকে ২৬২ কোটি টাকার মুনাফা করেছে, যা ২০০৭ সালের পর তাদের প্রথম মুনাফা। এই সাফল্যের পিছনে কোম্পানির উদ্ভাবনী প্রচেষ্টা, নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। সম্প্রতি ব্যয় সাশ্রয়ের দিকেও ঝুঁকেছে বিএসঅনএল। পাশাপাশি গ্রাহক কেন্দ্রিক পরিষেবা উন্নতির দিকেও নজর দেওয়া হয়েছে।

    বিএসএনএল-এর লাভ

    কোম্পানির ত্রৈমাসিক আর্থিক ফলাফল প্রকাশ করে বিএসএনএলের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক, এ. রবার্ট জেরার্ড রবি বলেন, “আমরা আমাদের আর্থিক ফলাফল নিয়ে সন্তুষ্ট, যা আমাদের উদ্ভাবনী প্রচেষ্টা, গ্রাহক সন্তুষ্টি এবং আক্রমণাত্মক নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণের প্রতি মনোযোগের প্রতিফলন। এই প্রচেষ্টার মাধ্যমে, আমরা আশা করছি আগামী আর্থিক বছরে ২০% এরও বেশি রাজস্ব বৃদ্ধির লক্ষ্য অর্জন করতে সক্ষম হব। গত বছরের তুলনায় মোবিলিটি, এফটিটিএইচ এবং লিজড লাইনের রাজস্ব যথাক্রমে ১৫%, ১৮% এবং ১৪% বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়াও, বিএসএনএল তাদের আর্থিক খরচ এবং মোট ব্যয় কমাতে সক্ষম হয়েছে, যার ফলে গত বছরের তুলনায় তাদের ক্ষতি ১,৮০০ কোটি টাকারও বেশি কমেছে।” তিনি আরও বলেন, “গ্রাহক অভিজ্ঞতা উন্নত করতে আমরা নতুন উদ্ভাবনগুলো চালু করেছি যেমন: ন্যাশনাল ওয়াইফাই রোমিং, বিআইটিভি, সকল মোবাইল গ্রাহকের জন্য বিনামূল্যে বিনোদন প্রভৃতি। আমাদের সেবা গুণমান এবং সেবা নিশ্চয়তার প্রতি অবিরত মনোযোগ বিএসএনএল-এর প্রতি গ্রাহকদের আস্থা আরও শক্তিশালী করেছে এবং এটি ভারতীয় টেলিকম সেবা প্রদানকারী হিসেবে আমাদের অবস্থানকে আরও দৃঢ় করেছে।”

    আত্মনির্ভর ভারত এর প্রতীক

    বিএসএনএল-এর প্রধান সেবাগুলির রাজস্ব উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে, যেখানে মোবিলিটি সেবায় ১৫%, এফটিটিএইচ সেবায় ১৮%, এবং লিজড লাইনে ১৪% বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া, আর্থিক খরচ এবং মোট ব্যয় কমানোর ফলে তাদের ক্ষতি প্রায় ১,৮০০ কোটি টাকারও বেশি কমেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, সরকারের কৌশলগত পুনরুজ্জীবন কর্মসূচি, স্পেকট্রাম বরাদ্দ এবং মূলধন বরাদ্দের সমর্থনের সঙ্গে, বিএসএনএল দীর্ঘমেয়াদী প্রবৃদ্ধি এবং আর্থিক স্থিতিশীলতা অর্জনে সক্ষম হবে। এই চ্যালেঞ্জিং সময়ে কোম্পানির মুনাফায় ফিরে আসা ভারতের ডিজিটাল প্রবৃদ্ধি এবং ডিজিটাল ইন্ডিয়া এবং আত্মনির্ভর ভারত মিশনের জন্য তাদের অবদানকে প্রতিফলিত করে।

  • Pulwama Attack: পুলওয়ামা হামলার ৬ বছর, শহিদ জওয়ানদের শ্রদ্ধা জানালেন মোদি

    Pulwama Attack: পুলওয়ামা হামলার ৬ বছর, শহিদ জওয়ানদের শ্রদ্ধা জানালেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্বজুড়ে ভালোবাসা দিবস বা ভ্যালেন্টাইন্স ডে হিসেবে উদযাপিত হয়। তবে ভারতবাসীর ক্ষেত্রে এই দিনটি এক গভীর শোক ও শ্রদ্ধার প্রতীক। ছয় বছর আগে আজকের দিনেই, ২০১৯ সালে জম্মু ও কাশ্মীরের পুলওয়ামায় (Pulwama Attack) এক ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় ৪০ জন বীর সিআরপিএফ জওয়ান শহিদ হন। সেই কারণে, আমাদের দেশে এই দিনটি ‘কালো দিবস’ হিসেবেও পালন করা হয়ে থাকে। আজকের দিনে সেই পুলওয়ামায় নিহত জওয়ানদের স্মরণ করে শহিদদের স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, ‘‘২০১৯ সালে পুলওয়ামায় যে সাহসী বীরদের হারিয়েছি, তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা। তাঁদের আত্মত্যাগ এবং জাতির প্রতি তাঁদের অটল নিবেদন আগামী প্রজন্ম কখনও ভুলবে না।’’

    ২০১৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি (Pulwama Attack)

    প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি, জম্মু থেকে শ্রীনগরগামী সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স (সিআরপিএফ)-এর কনভয়ে হামলা চালায় পাকিস্তানের মদতে চলা জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মোহাম্মদ। ওই জঙ্গি সংগঠন আত্মঘাতী হামলা চালায়। কনভয়ে ৭৮টি গাড়ি ছিল এবং ২,৫০০-এর বেশি সিআরপিএফ সদস্য ছিলেন বলে জানা যায়। বিস্ফোরণে ৪০ জন জওয়ান শহিদ হন এবং আরও অনেকেই আহত হন। এই হামলা গোটা দেশকে নাড়িয়ে দেয়।

    প্রত্যেক নাগরিক প্রতিবছর শ্রদ্ধা জানান এই দিনটিতে

    প্রসঙ্গত, প্রতিবছর এই দিনেই প্রত্যেক দেশবাসী শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে দেশবাসী তাঁদের আত্মত্যাগ স্মরণ করে (Pulwama Attack)। ভালোবাসার এই দিনে, দেশের রক্ষাকর্তাদের প্রতি সম্মান ও শ্রদ্ধা জানানোই প্রকৃত দেশপ্রেমের প্রতিফলন বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পুলওয়ামার ঘটনার প্রতিশোধ নিতে ভারতীয় সেনাবাহিনী সেই বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের বালাকোটে বিমান হামলা চালায়। এই এয়ার স্ট্রাইকে বহু জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস হয়। মারা যায় শয়ে শয়ে জঙ্গি। যদিও এই অভিযানে সাফল্যের পরও পুলওয়ামার (Pulwama Attack) ক্ষত আজও রয়ে গিয়েছে দেশবাসীর মনে।

  • Rajiv kumar: সরে যাচ্ছেন রাজীব কুমার, নয়া মুখ্য নির্বাচন কমিশনার কে? বৈঠক সোমবার

    Rajiv kumar: সরে যাচ্ছেন রাজীব কুমার, নয়া মুখ্য নির্বাচন কমিশনার কে? বৈঠক সোমবার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্য নির্বাচন কমিশনার পদ থেকে সরে যাচ্ছেন রাজীব কুমার (Rajiv kumar)। যদিও নয়া মুখ্য নির্বাচন কমিশনার (New Chief Election Commissioner) কে হবেন, তা এখনও ঘোষণা করা হয়নি। প্রসঙ্গত, চলতি বছরেই বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে বিহারে। পরের বছর, অর্থাৎ ২০২৬ সালে ভোট হবে পশ্চিমবঙ্গ, তামিলনাড়ু, অসম ও কেরলে। সেই প্রস্তুতি ইতিমধ্যে শুরু হবে খুব শীঘ্রই। গোটা নির্বাচন সামলাবেন কোন ব্যক্তি তা নিয়েই জল্পনা শুরু হয়েছে।

    সোমবার বৈঠকে বসবে কমিটি, উপস্থিত থাকবেন মোদি

    এ দিনই খবর সামনে আসে, মুখ্য নির্বাচন কমিশনার পদ থেকে সরে যাচ্ছেন রাজীব কুমার (Rajiv kumar)। আগামী মঙ্গলবার তাঁর মেয়াদ শেষ হচ্ছে। সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, পরবর্তী নির্বাচন কমিশনার কে হবেন, তা নিয়ে আগামী সোমবারই বৈঠক বসতে চলেছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কেন্দ্রীয় আইন মন্ত্রী অর্জুনরাম মেঘওয়াল, লোকসভার বিরোধী দলনেতা তথা কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী এই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন বলে জানা যাচ্ছে। জানা গিয়েছে, গত ২৭ জানুয়ারি পরবর্তী মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের নাম বাছাইয়ের জন্য তিন সদস্যের কমিটি গড়েছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার।

    ২০২২ সালের মে মাসে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার পদে দায়িত্ব গ্রহণ করেন রাজীব কুমার (Rajiv kumar)

    প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০২২ সালের মে মাসে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার পদে দায়িত্ব গ্রহণ করেন রাজীব কুমার (Rajiv kumar)। গত বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচন থেকে শুরু করে জম্মু-কাশ্মীরে বিধানসভা নির্বাচনের তত্ত্বাবধানে (New Chief Election Commissioner) ছিলেন তিনি। এছাড়াও ২০২৩ সালের শেষের দিকে কর্নাটক, তেলঙ্গানা, মধ্য প্রদেশ, রাজস্থান বিধানসভা নির্বাচনের ব্যবস্থাপনাও তিনি করেছিলেন। গত ৮ ফেব্রুয়ারি দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশ হয়। সেই ভোট পর্ব মিটতেই নিজের দায়িত্ব শেষ করলেন নির্বাচন কমিশনার। প্রসঙ্গত, গত জানুয়ারি মাসেই দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেন রাজীব কুমার। সে সময়ই তিনি বলেছিলেন যে অবসর গ্রহণের পর ৪-৫ মাস হিমালয়ে কাটাবেন।

  • Mahakumbh: শিখ ধর্মের বিভিন্ন আখড়া পবিত্র স্নান সারছে মহাকুম্ভে

    Mahakumbh: শিখ ধর্মের বিভিন্ন আখড়া পবিত্র স্নান সারছে মহাকুম্ভে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৪৪ বছর পরে মহাকুম্ভ (Mahakumbh) অনুষ্ঠিত হচ্ছে প্রয়াগরাজে। বিশ্বের সবচেয়ে বড় ইভেন্টে পরিণত হয়েছে মহাকুম্ভ। সেখানে জাতি বর্ণ নির্বিশেষে সব মিলেমিশে একাকার হয়ে গেছে। ধনী, দরিদ্র, রাজনৈতিক নেতা থেকে বিদেশি কূটনীতিক সবার মেলবন্ধন দেখা যাচ্ছে প্রয়াগরাজে। সম্প্রতি, দেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, উপরাষ্ট্রপতি থেকে বিদেশি রাষ্ট্রপ্রধান থেকে বড় ব্যবসায়ী মুকেশ আম্বানি সেরেছেন পবিত্র স্নান। মহাকুম্ভে শিখ সম্প্রদায় মানুষদেরও ব্যাপক ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে এবং তাঁরাও সেখানে হাজির হয়েছেন পুণ্য অর্জনের আশায়। প্রচুর শিখ ধর্মাবলম্বী মানুষ তাঁরা পবিত্র স্নান সারছেন।

    শিখ আখড়াগুলি সারছে স্নান (Mahakumbh)

    পাঞ্জাব থেকে এসেছে নির্মল আখড়া। অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ আখড়া গুলি হল বড় উদাসীন আখড়া এবং নয়া উদাসীন আখড়া। এখানে আমাদের জানতে হবে, উদাসীন শব্দের অর্থ হল নিরপেক্ষ (Mahakumbh)। এই আখড়াগুলি গুরু নানকের বাণীকেই অনুসরণ করে এবং তারা গুরুগ্রন্থ সাহেবের কথা মেনে চলে। শিখ ধর্মের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ হল গুরুগ্রন্থ সাহেব। এই আখড়া স্থাপন করেছিলেন বাবা শ্রীচাঁদ। তিনি ছিলেন গুরু নানকের পুত্র এবং শিখদের প্রথম গুরু। এই আখড়ার সাধকরা হিন্দুদের ধর্মগ্রন্থগুলি পড়াশোনা করেন। তাঁরা ভাগবত গীতা, উপনিষদ সমেত অন্যান্য গ্রন্থ সাহেব পড়াশোনা করেন।

    শিখ (Sikhs) সম্প্রদায়ের রীতি হল মহাকুম্ভে অংশগ্রহণ করা

    গত ২৯ জানুয়ারি সবচেয়ে বেশি ভিড় হয়েছিল মহাকুম্ভে। সেই সময় মৌনি অমাবস্যায় কোটি কোটি ভক্ত জড়ো হয়েছিলেন প্রয়াগ্ররাজে। সেদিনই পবিত্র স্নান সারে দমদামি তাকশাল নামের একটি শিখ সংগঠনের প্রধান হরনাম সিং ধুমমা। এরপরেই তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেন যে শিখ সম্প্রদায়ের রীতি হল মহাকুম্ভে অংশগ্রহণ করা এবং উদাসীন ও নির্মল আখড়া কুম্ভে অংশগ্রহণ করেছে। প্রসঙ্গত দেখা যাচ্ছে, পাঞ্জাব হরিয়ানা এবং দেশের অন্যান্য রাজ্য থেকে অনেক শিখ ভক্ত এসেছেন মহাকুম্ভে পবিত্র স্নান সারতে। হরিদ্বারের নির্মলা আখড়ার প্রধান হলেন দাবিনদার শাস্ত্রী। তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেন যে নির্মল আখড়ার প্রথা বা রীতি- সবটাই অনুসরণ করা হয় গুরু নানকের বাণী থেকে এবং গুরু নানকের আদর্শকেই ধারণ করে চলে নির্মল আখড়া। সারা দেশ থেকে শিখদের বিভিন্ন আখড়া এসেছে মহাকুম্ভে।

  • Manipur: অশান্ত মণিপুরে বিদেশি ইন্ধন, ঠান্ডা করতেই জারি হল রাষ্ট্রপতি শাসন!

    Manipur: অশান্ত মণিপুরে বিদেশি ইন্ধন, ঠান্ডা করতেই জারি হল রাষ্ট্রপতি শাসন!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অশান্ত মণিপুরকে (Manipur) ঠান্ডা করতে শেষমেশ জারি হল রাষ্ট্রপতি শাসন। দিন কয়েক আগেই মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়েছেন এন বীরেন সিং। তার পরেই সিদ্ধান্ত হয় উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে জারি করা হবে রাষ্ট্রপতি শাসন (Presidents Rule)। সেই মতো বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হয় চিত্রাঙ্গদার দেশে।

    রাষ্ট্রপতি শাসন জারি (Manipur)

    বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে জারি করা একটি সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় মণিপুরে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির কথা। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর বয়ানে লেখা হয়েছে, ‘আমি মণিপুরের রাজ্যপালের থেকে রিপোর্ট পেয়েছি। ওই রিপোর্ট দেখে ও অন্য তথ্যগুলির ভিত্তিতে আমার মনে হয়েছে, সংবিধান অনুসারে সেখানে সরকার চালানো সম্ভব হচ্ছে না।’

    উত্তপ্ত মণিপুর

    গত দেড় বছরেরও বেশি সময় ধরে উত্তপ্ত মণিপুর। ২০২৩ সালে মে মাসে প্রথম মেইতেই ও কুকি-জো সম্প্রদায়ের মধ্যে হিংসাকে ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সে রাজ্যের পরিস্থিতি। মাঝে কিছুদিনের জন্যে শান্ত ছিল উত্তর-পূর্বের এই রাজ্য। গত সেপ্টেম্বর মাসে মেইতেই ও কুকি জনগোষ্ঠীর মধ্যে (Manipur) নতুন করে সংঘর্ষ শুরু হয়। জ্বালিয়ে দেওয়া হয় অসংখ্য ঘরবাড়ি। দফায় দফায় সংঘর্ষ হয় মণিপুরের বিস্তীর্ণ এলাকায়। মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিং এবং রাজ্যের বেশ কয়েকজন বিধায়কের বাড়িতেও হামলা চালায় উন্মত্ত জনতা।

    পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে মণিপুরের বেশ কয়েকটি জেলায় কার্ফু জারি করা হয়। বন্ধ করে দেওয়া হয় ইন্টারনেট পরিষেবাও। বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সূত্রের খবর, মণিপুরে এ পর্যন্ত কয়েকশো মানুষের মৃত্যু হয়েছে। গৃহহীন আরও অনেকে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে মণিপুরের দুই সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গেও বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তার পরে সাময়িক বিরতি হয় অশান্তিতে। কিছুদিন পরেই ফের তপ্ত হয়ে ওঠে মণিপুর। রাজ্যবাসীকে সংযত হওয়ার অনুরোধও করেন মুখ্যমন্ত্রী। উদ্ভূত পরিস্থিতির জন্য প্রকাশ্যে ক্ষমাও চেয়েছিলেন তিনি। আশ্বাস দিয়েছিলেন, ২০২৫ সালের মধ্যে স্বাভাবিকতা ফিরে আসবে রাজ্যে। তার পরেও (Presidents Rule) অশান্তির আগুনে পুড়েছে রাজ্য।

    ওয়াকিবহাল মহলের মতে, মণিপুরে লাগাতার অশান্তি জিইয়ে রাখতে সেখানকার বিভিন্ন জনগোষ্ঠীকে ইন্ধন জোগাচ্ছিল বিদেশি শক্তি। নির্বাচিত সরকার থাকলে ওই বিদ্রোহীদের দমন করা যায় না। সেই কারণেই রাষ্ট্রপতি শাসন (Manipur) জারি করে মণিপুরের রাশ হাতে নিতে চাইল সরকার।

LinkedIn
Share