Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • PM Modi: ‘‘খসে পড়ছে ঝাড়ুর কাঠি, দিল্লিকে ধ্বংস করেছে আপ’’, তোপ মোদির

    PM Modi: ‘‘খসে পড়ছে ঝাড়ুর কাঠি, দিল্লিকে ধ্বংস করেছে আপ’’, তোপ মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট মুখী দিল্লিতে রবিবারই জনসভা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই জনসভার নাম ছিল ‘দিল্লি সংকল্প সমাবেশ’, সেখানেই আম আদমি পার্টিকে এক হাত নেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রধানমন্ত্রী মোদির কটাক্ষ, ‘‘বিগত ১১ বছর ধরে আম আদমি পার্টি গোটা দিল্লিকে ধ্বংস করেছে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘আমি স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি ভোটের আগেই ঝাড়ুর প্রতিটা কাঠি খসে পড়ছে। আম আদমি পার্টির নেতারা দল ছাড়ছেন। তাঁরা জানেন যে মানুষ আম আদমি পার্টির ওপরে ক্ষুদ্ধ। তাঁরা এই দলকে ঘৃণাও করেন।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘আরকে পুরমে দেশের বিভিন্ন রাজ্যের মানুষ এখানে একসঙ্গে বসবাস করেন।’’

    ৫ ফেব্রুয়ারি দিল্লিতে নতুন বসন্ত আসছে

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘‘বসন্ত পঞ্চমীর আগমনের সঙ্গে সঙ্গে আবহাওয়া বদলাতে শুরু করে ৫ ফেব্রুয়ারি দিল্লিতে নতুন বসন্ত আসছে, এবার দিল্লিতে বিজেপি সরকার গঠন করতে চলেছে।’’ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জোর দিয়েই বলেন, ‘‘নির্বাচনী লড়াইয়ে মোদির গ্যারান্টি এবং আম আদমি পার্টির মিথ্যা প্রতিশ্রুতির মধ্যে লড়াই হবে।’’ তিনি বলেন, ‘‘আমি বিকশিত ভারতের স্বপ্ন পূরণের জন্য ভারতের চারটি স্তম্ভের কথা বলেছি। এগুলি হল- কৃষক, মহিলা, যুবক এবং দরিদ্র।’’ গতকালের বাজেট তিনি আরও বলেন, ‘‘আম আদমি পার্টির লোকেরা স্বাস্থ্য পরিষেবা ওষুধ এবং হাসপাতাল নিয়েও দুর্নীতি করেছে। আমি দিল্লির মানুষকে আশ্বাস দিচ্ছি যারা দিল্লিকে লুট করেছে, তাদেরকে উপযুক্ত জবাব দিতেই হবে।’’

    ভাষণে আসে বাজেট প্রসঙ্গও

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘‘দিল্লিতে বিজেপি সরকার তৈরি হওয়ার পর রাজধানী অঞ্চলের যাঁরা বিক্রেতা রয়েছেন, দোকানদার রয়েছেন তাঁদেরকে ক্রেডিট কার্ড দেওয়া হবে।’’ অন্যদিকে, এদিন দিল্লি জনসভাতে প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির মুখে শোনা যায় এবছরের কেন্দ্রীয় বাজেটের প্রশংসাও। তিনি বলেন, ‘‘ভারতের ইতিহাসে এটি হল সবচেয়ে বড় মধ্যবিত্ত-বান্ধব বাজেট।’’  মোদি বলেন, ‘‘ভারতের উন্নয়নে আমাদের মধ্যবিত্তদের বিশাল ভূমিকা রয়েছে। কেবলমাত্র বিজেপি মধ্যবিত্তদের সম্মান করে এবং যাঁরা কর দিয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে চলেন, তাঁদেরকে পুরস্কৃত করে।’’

  • Rashtrapati Bhavan: ইতিহাসে প্রথম, রাষ্ট্রপতি ভবনেই বিয়ে জওয়ান পুনমের

    Rashtrapati Bhavan: ইতিহাসে প্রথম, রাষ্ট্রপতি ভবনেই বিয়ে জওয়ান পুনমের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রপতি ভবনের (Rashtrapati Bhavan) ইতিহাসে প্রথমবার অনুষ্ঠিত হতে চলেছে বিয়ে। আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি ব্যতিক্রমীভাবে সিআরপিএফের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমান্ডেন্ট পুনম গুপ্তার বিয়ের অনুমতি দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি। সূত্রের খবর, এমন ব্যতিক্রমী সিদ্ধান্ত রাষ্ট্রপতি নিয়েছেন, তার কারণ হল পুনম গুপ্তার দুর্দান্ত পারফরম্যান্স। রিপোর্ট বলছে, তাঁর কাজে এতটাই খুশি হয়েছেন রাষ্ট্রপতি, যে তিনি নিজেই এই অনুমতি দিয়েছেন। প্রসঙ্গত, রাষ্ট্রপতি ভবনের পার্সোনাল সিকিউরিটি অফিসারের দায়িত্ব পালন করেন তিনি। গত ২৬ জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবসে সিআরপিএফের মহিলা বাহিনীকে নেতৃত্ব দেন তিনি কুচকাওয়াজে।

    কার সঙ্গে হচ্ছে বিয়ে (Rashtrapati Bhavan)?

    জানা গিয়েছে, পুনম গুপ্তার এই বিবাহ সম্পন্ন হচ্ছে যার সঙ্গে তিনিও সিআরপিএফের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমান্ড্যান্ট। তাঁর নাম অবনীশ কুমার। বর্তমানে তিনি জম্মু এবং কাশ্মীরে কর্মরত। রাষ্ট্রপতি ভবনের মাদার টেরেজা কমপ্লেক্স গ্রাউন্ড কমপ্লেক্সে এই বিবাহ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হবে বলে জানা গিয়েছে। সেখানে নিকট আত্মীয় এবং বর-কনে পক্ষের ঘনিষ্ঠ বন্ধুরাও হাজির থাকবেন। সূত্রের খবর, রাষ্ট্রপতি ভবনে বিয়ের আসর বলেই আমন্ত্রিতদের তালিকায় বেশ কাটছাঁট করা হয়েছে। অতিথি তালিকায় নির্দিষ্ট ব্যক্তিদের যে নাম রয়েছে, তাঁদের প্রবেশে অনুমতি দেওয়ার আনুষ্ঠানিকতার প্রক্রিয়া এখন চলছে। জানা গিয়েছে পুনম গুপ্তা রাষ্ট্রপতি ভবন (Rashtrapati Bhavan) পর্যন্ত আসার যাত্রা অত্যন্ত প্রেরণাদায়ক।

    মেধাবী ছাত্রী পুনম

    মেধাবী ছাত্রী হিসেবে তাঁর পরিচয় রয়েছে। আদতে মধ্যপ্রদেশের বাসিন্দা হলেন পুনম গুপ্তা। গণিতে স্নাতকের পরে তিনি মাস্টার ডিগ্রি করেন ইংরেজি সাহিত্যে। পরবর্তীকালে বিএড-ও করেন গোয়ালিয়র থেকে এবং ইউপিএসসির, সিএপিএফ পরীক্ষায় ২০১৮ সালে ৮১তম স্থান অর্জন করেন। সমাজ মাধ্যমে পুনম গুপ্তা অত্যন্ত জনপ্রিয়। তাঁর নিজের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে তাঁকে প্রায়ই সক্রিয় দেখা যায়। সিআরপিএফ অফিসারদের জীবন (Rashtrapati Bhavan) নিয়ে তিনি নানা কথা বলেন। এছাড়া নারী সশক্তিকরণের উপরেও তিনি নিজের মত রাখেন। আর কিছুদিন পরেই তাঁর সহকর্মীরা তাঁকে দেখবেন নববধূর সাজে।

  • Sonia Gandhi: রাষ্ট্রপতি সম্পর্কে অবমাননাকর মন্তব্য, অভিযোগ দায়ের সোনিয়ার বিরুদ্ধে

    Sonia Gandhi: রাষ্ট্রপতি সম্পর্কে অবমাননাকর মন্তব্য, অভিযোগ দায়ের সোনিয়ার বিরুদ্ধে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্যের জন্য সোনিয়া গান্ধীর (Sonia Gandhi) বিরুদ্ধে দায়ের হল অভিযোগ। জানা গিয়েছে, এই অভিযোগ দায়ের হয়েছে বিহারে। সে রাজ্যের মুজফফরপুর জেলা আদালতের আইনজীবী সুধীর ওঝা অভিযোগ দায়ের করেছেন বলে জানা গিয়েছে। সেখানে সোনিয়া গান্ধীর বিরুদ্ধে দেশের সর্বোচ্চ সাংবিধানিক পদকে অবমাননা করার অভিযোগ আনা হয়েছে। এই অভিযোগপত্রে সুধীর ওঝা রাহুল গান্ধী এবং প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢরার নামও উল্লেখ করেছেন এবং তাঁদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন ভারতীয় ন্যায় সংহিতার আওতায়। জানা গিয়েছে, এই অভিযোগের ভিত্তিতে আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি আদালতে শুনানি হবে এই মামলার।

    কী বলেছিলেন সোনিয়া

    রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু (President Of India) শুক্রবার সংসদের উভয় কক্ষে ভাষণ দিয়ে বাজেট অধিবেশনের সূচনা করেন। এরপরে রাষ্ট্রপতির ভাষণ নিয়ে প্রতিক্রিয়ায় দ্রৌপদী মুর্মুকে ‘পুওর থিং’ (বেচারি) বলেন সোনিয়া গান্ধী (Sonia Gandhi)। একইসঙ্গে কংগ্রেস সাংসদ বলেন, ‘‘এই লম্বা ভাষণ দিয়ে তাঁকে ক্লান্ত দেখাচ্ছিল।’’ এদিকে সোনিয়ার এই মন্তব্যের পরই ঝাঁপিয়ে পড়ে বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ, রাষ্ট্রপতিকে অসম্মান করেছেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভানেত্রী। এই ঘটনায় বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা উপজাতি সমাজের কাছে সোনিয়া গান্ধীকে নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানান। এই ইস্যুতে সোনিয়া গান্ধীকে একহাত নেন বিজেপি মুখপাত্র সম্বিত মহাপাত্রও। মন্তব্যের নিন্দা করে বিবৃতি দেওয়া হয় রাজভবনের তরফেও।

    সোনিয়া গান্ধীকে (Sonia Gandhi) তোপ সুকান্ত মজুমদারের

    বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার এই ইস্যুতে সোনিয়া গান্ধীকে নিশানা করেন। তিনি বলেন, ‘‘এটি একটি অবমাননাকর মন্তব্য ছিল। সোনিয়া গান্ধী (Sonia Gandhi) এবং রাহুল গান্ধীর মতো নেতাদের এই ধরনের মন্তব্য করা উচিত নয়। বিশেষ করে রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে। দ্রৌপদী মুর্মু একজন আদিবাসী পরিবারের মহিলা এবং এখন তিনি আমাদের দেশের পয়লা নম্বর নাগরিক এবং কংগ্রেসের জমিদারি মানসিকতা এটি গ্রহণ করতে পারে না। তাই তাঁরা তাঁর বক্তব্যের বিরোধিতা করছেন।’’

  • Maha Kumbh 2025: “সনাতন ধর্মই মানব ধর্ম”, প্রয়াগরাজে গিয়ে ফের মনে করালেন যোগী

    Maha Kumbh 2025: “সনাতন ধর্মই মানব ধর্ম”, প্রয়াগরাজে গিয়ে ফের মনে করালেন যোগী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “সনাতন ধর্মই মানব ধর্ম”। শনিবার ফের একবার মনে করিয়ে দিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath)। মৌনী অমাবস্যায় প্রয়াগরাজের গঙ্গা-যমুনা-সরস্বতীর ত্রিবেণী সঙ্গমে (Maha Kumbh 2025) অমৃতস্নান করতে গিয়ে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় কয়েকজন পুণ্যার্থীর। তার পর এদিন কুম্ভে যান যোগী।

    ধর্মসভায় যোগ যোগীর (Maha Kumbh 2025)

    সেক্টর ২২-এ দুই পূজনীয় সন্তের পট্টাভিষেক উপলক্ষে আয়োজিত ধর্মসভায় যোগ দেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে তিনি সন্তদের আশীর্বাদ গ্রহণ করেন। নবনিযুক্ত জগৎ গুরুদের অভিনন্দনও জানান। এদিন যে দুই সন্তের পট্টাভিষেক হয়, তাঁরা হলেন সন্তোষ দাস সতুয়া বাবা এবং স্বামী রাম কমলাচার্য। তুলসী পীঠাধিশ্বর জগৎ গুরু স্বামী রামভদ্রাচার্য দুই সন্তকে জগৎ গুরু পদের জন্য মনোনীত করেন। এই অনুষ্ঠানেই উপস্থিত ছিলেন যোগী। বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, “আপনারা সকলেই সনাতন ধর্মের স্তম্ভ। বিপরীত পরিস্থিতিতে ধৈর্য ধরে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়ে এই অভিযানকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। কারণ সনাতন ধর্মই মানব ধর্ম। সনাতন ধর্ম থাকবে তো মানব ধর্ম থাকবে, মানবতা থাকবে, সৃষ্টি থাকবে।”

    প্রসঙ্গ সনাতন ধর্ম

    সনাতন ধর্ম প্রসঙ্গে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আপনারা দেখেছেন, যারা সনাতন ধর্মের বিরোধী, তারা চেষ্টা করছিল যাতে সন্তদের ধৈর্যচ্যুতি ঘটে এবং তারা উপহাস করতে পারে। কিন্তু আমি পূজনীয় সন্তদের প্রশংসা করব, যাঁরা সেই পরিস্থিতিতে ধৈর্য ধরে পুণ্যাত্মাদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেছেন এবং মা গঙ্গার প্রতি তাঁদের দায়িত্ব পালন করে এই আয়োজন সফল (Maha Kumbh 2025) করে তুলেছেন।”

    তিনি বলেন, “এই প্রেরণায় গত ১৯ দিনে ৩২ কোটিরও বেশি পুণ্যার্থী জলে ডুব দিয়ে পুণ্যের অংশীদার হয়েছেন। কিছু মানুষ বিভ্রান্ত করে সনাতন ধর্মের প্রতিটি বিষয়ে ষড়যন্ত্র করতে ছাড়ে না।” যোগী বলেন, “রাম জন্মভূমি থেকে আজ পর্যন্ত তাদের আচরণ সকলেরই জানা। এমন মানুষদের থেকে সাবধান হয়ে সনাতন ধর্মের আদর্শ ও মূল্যবোধ নিয়ে এই পূজনীয় সন্তদের সান্নিধ্যে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। যতক্ষণ পূজনীয় (Yogi Adityanath) সন্তদের সম্মান আছে, সনাতন ধর্মের কেউ ক্ষতি করতে পারবে না (Maha Kumbh 2025)।” প্রসঙ্গত, সোমবারই রয়েছে বসন্ত পঞ্চমীর অমৃতস্নান যোগ।

  • Delhi Elections 2025: “ঝাঁটা দিয়ে আপকে ঝেঁটিয়ে বিদেয় করুন”, বললেন শাহ

    Delhi Elections 2025: “ঝাঁটা দিয়ে আপকে ঝেঁটিয়ে বিদেয় করুন”, বললেন শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ঝাঁটা দিয়ে আপকে ঝেঁটিয়ে বিদেয় করুন।” শনিবার দিল্লির এক নির্বাচনী জনসভায় এই ভাষায়ই আম আদমি পার্টিকে (Amit Shah) আক্রমণ শানালেন বিজেপি নেতা তথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Delhi Elections 2025)। আপ সরকারকে তিনি থ্রি-জি সরকার বলেও অভিহিত করেন।

    থ্রি-জির ব্যাখ্যা (Delhi Elections 2025)

    থ্রি-জির ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, ঘাপলা, ঘুসপেঠিয়েদের আশ্রয় এবং ঘোটালা। বিজেপির এই প্রবীণ নেতা বলেন, প্রথম জি মানে ‘ঘোটালে ওয়ালি সরকার’ (এমন সরকার যা কেলেঙ্কারি করে), দ্বিতীয় ‘জি’ মানে ‘ঘুসপৈঠিদেরকে আশ্রয় দেওয়ার সরকার’ (এমন সরকার যা অনুপ্রবেশকারীদের আশ্রয় দেয়) এবং তৃতীয় ‘জি’ মানে ‘ঘাপলা করার সরকার’ (এমন সরকার যা দুর্নীতিতে ভরপুর)।” শহরে অবৈধ অভিবাসীদের সমস্যা-সহ অন্যান্য বিষয়ের ওপরও গুরুত্ব আরোপ করেন তিনি। এদিন তিনি মুস্তাফাবাদ বিধানসভা কেন্দ্র এলাকায় একটি জনসভায় ভাষণ দিচ্ছিলেন। তাঁর দাবি, আম আদমি পার্টির নেতারা দিল্লি নির্বাচনে তাদের দলের বিরুদ্ধে থাকা “ঢেউ” সম্পর্কে সচেতন।

    ‘ঝাড়ু’ দাওয়াই

    এর পরেই তিনি বলেন, “এবার মানুষ ‘ঝাড়ু’ (ঝাড়ু আপের নির্বাচনী প্রতীক) দিয়ে আপকে পরিষ্কার করে দেবে। কারণ তারা জানে যে দিল্লিতে একটি থ্রি-জি সরকার রয়েছে।” শাহ বলেন, এখন দিল্লির “আপ-দা” থেকে মুক্ত হওয়ার সময়। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “একটুও অলস হবেন না। নাহলে (দিল্লির) দাঙ্গার জন্য দায়ীরা নির্বাচিত হয়ে ফিরে আসবে। আপনাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে, আপনি দিল্লিকে দাঙ্গায় ফেলার লোকদের চান, নাকি যারা রক্ষা করেছে, তাদের (Delhi Elections 2025)।”

    প্রসঙ্গত, দিল্লি বিধানসভার নির্বাচন হবে ৫ ফেব্রুয়ারি। লড়াইয়ের ময়দানে রয়েছে প্রধান তিনটি দল – আপ, কংগ্রেস এবং বিজেপি। ৭০ আসনের বিধানসভা নির্বাচনে হবে ত্রিমুখী লড়াই। আপের বিরুদ্ধে আবগারি নীতি কেলেঙ্কারি-সহ নানা কেলেঙ্কারির অভিযোগ উঠেছে। এসবই হাতিয়ার করে লড়ছে বিজেপি। দিন কয়েক আগে পদ্ম নেতা অমিত শাহ বলেছিলেন, এবার দিল্লির মসনদে আসবে বিজেপি। তৈরি হবে ডাবল ইঞ্জিন সরকার (Amit Shah)। দিল্লি বিধানসভার ফল বের হবে ৮ ফেব্রুয়ারি (Delhi Elections 2025)।

  • Khalistani: মণিপুরে খ্রিস্টানদের আলাদা দেশ গড়তে উস্কানি দিয়েছেন পান্নুন, ট্রাইব্যুনালে জানাল কেন্দ্র

    Khalistani: মণিপুরে খ্রিস্টানদের আলাদা দেশ গড়তে উস্কানি দিয়েছেন পান্নুন, ট্রাইব্যুনালে জানাল কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুধবারই ইউএপিএ-র একটি ট্রাইব্যুনালে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক একটি আবেদন দাখিল করে। সেখানেই খালিস্তানপন্থী সন্ত্রাসবাদী সংগঠন শিখ ফর জাস্টিসের (Sikhs for Justice) বিরুদ্ধে মারাত্মক অভিযোগ তোলা হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক জানিয়েছে, মণিপুরে মুসলিম, তামিল এবং খ্রিস্টান সম্প্রদায়কে ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন হতে উস্কানি দিয়েছে ওই সংগঠন। গোয়েন্দা সংস্থাগুলি এ বিষয়ে তদন্ত করে সেই রিপোর্ট জমা দিয়েছে ট্রাইব্যুনালের সামনে। প্রসঙ্গত, গত ২৭ জানুয়ারি ওই ট্রাইব্যুনাল শিখ ফর জাস্টিস-এর ওপর আরও পাঁচ বছরের নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখে। খালিস্তানপন্থী এই সন্ত্রাসবাদী সংগঠন পান্নুনের (Khalistani) নেতৃত্বে চলে। ২০১৯ সালে প্রথমে পাঁচ বছরের জন্য ওই সংগঠনের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল।

    উস্কানি শিখ সৈন্যদের

    ২০২৪ সালের জুলাই মাসে এই নিষেধাজ্ঞা (Khalistani) আরও পাঁচ বছরের জন্য বাড়ানো হয়। প্রসঙ্গত, শিখ ফর জাস্টিস নামের এই সংগঠন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালকে খুনের হুমকি পর্যন্ত দিয়েছে। শুধু তাই নয়, পাঞ্জাব পুলিশের মধ্যে যে সমস্ত শিখ সম্প্রদায়ভুক্ত কর্মী রয়েছেন, তাঁদেরও উস্কানি দিয়েছে এই সংগঠন। এর পাশাপাশি ভারতীয় সেনাবাহিনীতে যে শিখ সৈন্যরা রয়েছেন, তাঁদেরও বিদ্রোহের জন্য উস্কানি দিয়েছে এই সংগঠন। পান্নুন এক উস্কানি বার্তায় জানিয়েছেন, ভারত সরকার তাঁদেরকে (শিখ সৈন্য) যে বেতন দেয় শিখ ফর জাস্টিস সংগঠনের হয়ে কাজ করলে তাঁদের আরও পাঁচ হাজার টাকা বেশি বেতন দেওয়া হবে। একই সঙ্গে লাদাখে যে সমস্ত সৈন্য মোতায়ন করা আছে, সেই সৈন্যদের উদ্দেশে পান্নুন উস্কানি দিয়েছেন যে চিনা আগ্রাসনের বিরুদ্ধে যেন ভারতের হয়ে তাঁরা লড়াই না করেন।

    দ্রাবিড়স্তান ও উর্দুস্তান গড়ার উস্কানি

    প্রসঙ্গত, পান্নুন পাঞ্জাব পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্তাদের উস্কানি দেন। তিনি সেই সময় জলন্ধর, পাঠানকোট প্রভৃতি স্থানে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে, অন্যান্য সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে উসকে দিয়ে (Khalistani) সাম্প্রদায়িক ভিত্তিতে জনগণকে বিভক্ত করার চেষ্টা করেন। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা রিপোর্ট অনুযায়ী, মণিপুরে খ্রিস্টান সম্প্রদায়কে একটি পৃথক দেশ তৈরির জন্য আওয়াজ তুলতে উস্কানি দেন পান্নুন। একইভাবে তামিল এবং মুসলমানদের জন্যও দ্রাবিড়স্তান ও উর্দুস্তান তৈরির উস্কানি দেন তিনি।

  • PM Modi: কেন্দ্রীয় বাজেটকে ‘জনগণের বাজেট’ আখ্যা প্রধানমন্ত্রীর

    PM Modi: কেন্দ্রীয় বাজেটকে ‘জনগণের বাজেট’ আখ্যা প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রত্যেক ভারতীয়ের স্বপ্নপূরণ করবে এ বারের বাজেট (Budget)। এই বাজেটকে ‘জনগণের বাজেট’ বলে উল্লেখ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। সংসদে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন শনিবার বাজেট পেশ করেন। তারপরেই এই কথাগুলি বলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‘১৪০ কোটি ভারতীয়ের আকাঙ্ক্ষা পূরণের জন্য সরকারের প্রতিশ্রুতিই বাজেটে প্রতিফলিত হয়েছে।’’ প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, ‘‘মধ্যবিত্ত কর প্রদানকারী, বেতনভোগী কর্মীদের বড় সুবিধা দেবে।’’ উল্লেখ্য, এ বারের বাজেটে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী দেশের কর কাঠামোয় বড়সড় পরিবর্তনের কথা ঘোষণা করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার বেতনভোগীদের বছরে ১২ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা পর্যন্ত আয়ে শূন্য রাখা হয়েছে আয়করের পরিমাণ। সে কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘এ বারের বাজেটে সব আয় গোষ্ঠীর জন্য কর কমানো হয়েছে। যা থেকে মধ্যবিত্তেরা উপকৃত হবেন।’’

    আমরা দেশের তরুণদের জন্য অনেক পথ খুলেছি

    তিনি (PM Modi) আরও বলেন, ‘‘ভারতের উন্নয়ন যাত্রাকে আরও মসৃণ করবে কেন্দ্রীয় বাজেট। আমরা দেশের তরুণদের জন্য অনেক পথ খুলেছি।’’ ‘জনগণের বাজেট’ পেশ করার জন্য সীতারামনকে অভিনন্দনও জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। বাজেটের কথা বলতে গিয়ে মোদি বলেন, ‘‘কী ভাবে সরকারি কোষাগার ভরবে, সেটাই সাধারণত বাজেটে প্রতিফলিত হয়। কিন্তু এ বার তা উল্টো হয়েছে। এ বারের বাজেটের মূল লক্ষ্য ছিল কী ভাবে সাধারণ মানুষের পকেট ভরবে, কী ভাবে সঞ্চয় হবে। এই বাজেট এই সবের জন্য খুবই শক্তিশালী ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবে।’’ সংস্কারের ক্ষেত্রে এ বারের বাজেট খুব উল্লেখযোগ্য বলেই মনে করেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর কথায়, ‘‘আমি সেই সব সংস্কার নিয়ে আলোচনা করতে চাই যা ভবিষ্যতে একটি বড় পরিবর্তন আনতে চলেছে।’’

    কৃষক কল্যাণ নিয়ে কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?

    এ বারের বাজেটে দেশের সেরা ৫০টি পর্যটনস্থলের উন্নয়ন করা হবে বলেও ঘোষণা করা হয়েছে। বাজেট পেশ করার সময় সেই প্রকল্পের কথাও ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। এনিয়ে প্রধানমন্ত্রী জানান, এই প্রকল্প ভবিষ্যতে কর্মসংস্থানের জন্য বড় ঘোষণা। শনিবার বাজেট পেশের সময় কৃষক কল্যাণের কথাও উল্লেখ করেন দেশের অর্থমন্ত্রী। তিনি জানান, কিষান ক্রেডিট কার্ডে ঋণ নেওয়ার পরিমাণ তিন লক্ষ থেকে বৃদ্ধি করে পাঁচ লক্ষ করা হবে। মৎস্যজীবীদের জন্য বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল তৈরি করা হবে বলেও জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, ‘‘এই ঘোষণা কৃষিক্ষেত্রে একটি নতুন বিপ্লবের ভিত্তি হয়ে উঠবে।’’

  • Union Budget 2025: প্রতিরক্ষা খাতে বরাদ্দ ৬.৮১ লক্ষ কোটি টাকা, বৃদ্ধি গতবারের তুলনায় ৯.৫ শতাংশ

    Union Budget 2025: প্রতিরক্ষা খাতে বরাদ্দ ৬.৮১ লক্ষ কোটি টাকা, বৃদ্ধি গতবারের তুলনায় ৯.৫ শতাংশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতিরক্ষা খাতে বরাদ্দ বাড়ল চলতি বছরের বাজেটে (Union Budget 2025)। শনিবার, সংসদে কেন্দ্রীয় বাজেট পেশ করেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। সেখানেই তিনি জানান, ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষের জন্য প্রতিরক্ষা খাতে বরাদ্দ (Defence Budget Allocation) করা হয়েছে ৬ লক্ষ ৮১ হাজার ২১০ কোটি টাকা। ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে বরাদ্দের পরিমাণ ছিল ৬ লক্ষ ২১ হাজার ৯৪০ কোটি টাকা। ফলে, গতবারের তুলনায় বরাদ্দ বেড়েছে ৯.৫ শতাংশ।

    মূলধন ব্যয় কতটা বাড়ল, তা অতি গুরুত্বপূর্ণ

    প্রতিরক্ষায় খরচের বিভিন্ন দিকের মধ্যে অন্যতম বড় হল মূলধন ব্যয়। এবারের বাজেটে (Union Budget 2025) মূলধন ব্যয় খাতে বরাদ্দ ধরা হয়েছে ১ লক্ষ ৯২ হাজার ৩৮৭ কোটি টাকা। যা গতবারের তুলনায় ১২.৯ শতাংশ বেশি। ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে এই বরাদ্দের (Defence Budget Allocation) পরিমাণ ছিল ১ লক্ষ ৭২ হাজার কোটি টাকা। বাজেটে (Union Budget 2025) পেশ করা নথি অনুযায়ী, এবছর বরাদ্দ হওয়া মূলধন ব্যয়ের মধ্যে ৪৮ হাজার ৬১৪ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে বিমান ও ইঞ্জিনের জন্য। ২৪ হাজার ৩৯০ কোটি টাকা বরাদ্দ নৌসেনার জন্য। ৬৩ হাজার ৯৯ কোটি টাকা বরাদ্দ অন্য সরঞ্জামের জন্য। অন্যদিকে, রাজস্ব খরচ বাবদ ধার্য করা হয়েছে ৪ লক্ষ ৮৮ হাজার ৮২২ কোটি টাকা, যার মধ্যে আবার পেনশন বাবদ বরাদ্দ করা হয়েছে ১ লক্ষ ৬০ হাজার ৭৯৫ কোটি টাকা।

    মোদি জমানায় মূলধন ব্যয় বেড়ে দ্বিগুণ

    পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৯ সাল থেকে প্রতিরক্ষা খাতে বরাদ্দ (Defence Budget Allocation) প্রতি বছর বৃদ্ধি পেয়েছে। এর মধ্যে, মূলধন ব্যয়ের খাতে বরাদ্দের পরিমাণ যথেষ্ট পরিমাণে বেড়েছে। তথ্য বলছে, কোভিড-পূরবর্তী যুগ থেকে এই খাতে বরাদ্দের পরিমাণ ৫০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। পরিসংখ্যান আরও বলছে, ২০১৫-২০ সময়ে প্রতি বছরে মূলধন ব্যয়ের বরাদ্দের বৃদ্ধির হার ছিল ৬ শতাংশ। সেখানে, ২০২০-২৫ সময়ে এই হার বেড়ে দাঁড়ায় ৯.১ শতাংশে। বিগত ১১ বছরে মোদি জমানায় প্রতিরক্ষায় মূলধন ব্যয়ের পরিমাণ বেড়ে প্রায় দ্বিগুণ হয়ে গিয়েছে (Union Budget 2025)। ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে এই খরচের বৃদ্ধির হার ২৭.৭ শতাংশ ছিল, যা এখনও পর্যন্ত সর্বাধিক। তার আগের অর্থবছরে এই হার ছিল ২৫.২ শতাংশ।

    প্রতিরক্ষায় আত্মনির্ভরতার লক্ষ্যে

    প্রতিরক্ষায় আত্মনির্ভরতার লক্ষ্যে ২০২৯-৩০ অর্থবর্ষ নাগাদ দেশের প্রতিরক্ষা উৎপাদনকে ৩ লক্ষ কোটিতে নিয়ে যেতে চায় মোদি সরকার। একইসময়ে, প্রতিরক্ষা রফতানিকে বৃদ্ধি করে ৫০ হাজার কোটি টাকার লক্ষ্যমাত্রা ছুঁতে চায় কেন্দ্র। গত ৫ বছর ধরে পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার একাধিক দেশ ভারতের থেকে অস্ত্র কিনে চলেছে। মায়ানমার ও ভিয়েতনাম ভারতের দীর্ঘদিনের খদ্দের। এর সঙ্গে নাম লিখিয়েছে ফিলিপিন্স এবং ইন্দোনেশিয়াও। গত ১০ বছরে ভারতের অস্ত্র রফতানি ১০ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১৪-১৫ সালে যেখানে এই পরিমাণ ছিল ১৯০০ কোটি টাকা। সেখানে ২০২৩-২৪ সালে তা বেড়ে হয়েছে ২১ হাজার কোটি টাকা (Union Budget 2025)।

  • Delhi Elections: ভোটের আগে ‘রাম’ধাক্কা খেল আপ, দল ছেড়ে বিধায়করা বিজেপিতে

    Delhi Elections: ভোটের আগে ‘রাম’ধাক্কা খেল আপ, দল ছেড়ে বিধায়করা বিজেপিতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুয়ারে দিল্লি বিধানসভার নির্বাচন (Delhi Elections)। তার ঠিক আগে বড়সড় ধাক্কা খেল অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টি (AAP)। শুক্রবারই আপের সংস্রব ছেড়েছিলেন আটজন বিধায়ক। শনিবারই তাঁরা যোগ দিলেন বিজেপিতে। তাঁদের সঙ্গে আপের কিছু কাউন্সিলরও ভিড়েছেন পদ্মশিবিরে।

    বিপাকে আপ (Delhi Elections)

    ৫ ফেব্রুয়ারি দিল্লি বিধানসভার নির্বাচন। তার আগে আপের একঝাঁক নেতা গেরুয়া শিবিরে যোগ দেওয়ায় পদ্মপার্টির শক্তি যে বাড়ল, তা বলাই বাহুল্য। এদিন যেসব বিধায়ক বিজেপিতে যোগ দিলেন, তাঁরা হলেন ভবনা গৌর, মদন লাল, গিরিশ সোনি, রাজেশ ঋষি, নরেশ যাদব, পবন শর্মা, বিএস জুন, রোহিত মেহরোলিয়া এবং বিজেন্দ্র গর্গ। বিজেন্দ্র প্রাক্তন বিধায়ক। অজয় রাই আপের কাউন্সিলর ছিলেন।

    দুর্নীতির অভিযোগ

    শুক্রবার আপের সংস্রব ত্যাগ করার সময় বিধায়করা অভিযোগ করেছিলেন, অরবিন্দ কেজরিওয়ালের নেতৃত্বাধীন দল তার আদর্শ থেকে বিচ্যুত হয়েছে (Delhi Elections)। কেজরিওয়াল সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগও করেন তাঁরা। আপ ছাড়ার পর বিধায়করা জানান, তাঁরা বিধানসভার স্পিকারের কাছে তাঁদের পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন, ইস্তফা দিয়েছেন বিধায়ক পদে। আপের পোড়খাওয়া নেতা-কর্মীদের স্বাগত জানিয়ে দিল্লি বিজেপির জাতীয় সহ সভাপতি ও ইনচার্জ বৈজয়ন্ত পান্ডা বলেন, “এটি একটি ঐতিহাসিক দিন। কারণ তাঁরা এএপদা (দুর্যোগ) থেকে মুক্তি পেয়েছেন এবং আশা করছেন যে ৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচন পরবর্তী দিল্লি এই দুর্যোগ থেকে মুক্ত হবে।” উল্লেখ্য, দিল্লি বিধানসভার আসন সংখ্যা ৭০।

    প্রসঙ্গত, মঙ্গলবারই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দাবি করেছিলেন, আম আদমি পার্টি প্রধান কেজরিওয়াল এবং দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অতীশি উভয়েই পাঁচ ফেব্রুয়ারি বিধানসভা নির্বাচনে তাদের নিজ নিজ আসন হারাবেন। এদিন শাহ বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে দিল্লিতে বিজেপি একটি ডবল ইঞ্জিন সরকার গঠন করবে।” কেজরিওয়ালকে নিশানা করে শাহ বলেন, “গত ১০ বছরে অরবিন্দ কেজরিওয়াল দিল্লিকে আবর্জনার স্তূপে পরিণত করেছে। যমুনা আগের (AAP) চেয়ে বেশি দূষিত এবং শহরের পরিকাঠামো ভেঙে পড়েছে (Delhi Elections)।”

  • Union Budget 2025: “মধ্যবিত্ত শ্রেণি সর্বদা মোদির হৃদয়ে থাকে,” বাজেট প্রসঙ্গে বললেন শাহ

    Union Budget 2025: “মধ্যবিত্ত শ্রেণি সর্বদা মোদির হৃদয়ে থাকে,” বাজেট প্রসঙ্গে বললেন শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) সব সময় মধ্যবিত্ত শ্রেণির স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিয়েছেন।” ১ ফেব্রুয়ারি সংসদে বাজেট (Union Budget 2025) পেশ করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। এই বাজেটে বার্ষিক ১২ লাখ পর্যন্ত আয়করে ছাড় দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। তার পরেই বাজেট নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে এমন মন্তব্য করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

    শাহের পোস্ট (Union Budget 2025)

    এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সব সময় মধ্যবিত্ত শ্রেণির স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিয়েছেন।” ২০২৫ সালের বাজেটকে মোদি সরকারের একটি নকশা হিসেবেও বর্ণনা করেন তিনি। এই নকশা প্রতিটি ক্ষেত্রে উন্নত ও সেরা ভারত গড়ার দৃষ্টিভঙ্গিকে প্রতিফলিত করে। ওই পোস্টে তিনি লিখেছেন, “মধ্যবিত্ত শ্রেণি সর্বদা প্রধানমন্ত্রীর মোদির হৃদয়ে থাকে। ১২ লাখ টাকা আয় পর্যন্ত আয়কর শূন্য। প্রস্তাবিত কর ছাড় মধ্যবিত্তের আর্থিক কল্যাণ বাড়ানোর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এই উপলক্ষে সকল উপকারভোগীকে অভিনন্দন।” এই বাজেটকে তিনি মোদি সরকারের উন্নত ও সর্বোত্তম ভারত গঠনের দৃষ্টিভঙ্গির নকশা হিসেবে বর্ণনা করেছেন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দাবি, নির্মলা পরবর্তী প্রজন্মের সংস্কারগুলির জন্য একটি নীল নকশা (Union Budget 2025) তৈরি করেছেন। বিমায় এফডিআইয়ের সীমা বাড়ানো, কর আইনের সরলীকরণ এবং একাধিক পদক্ষেপের জন্য বর্ধিত আর্থিক সহায়তা প্রদানের সময় মধ্যস্থতাকারীদের ওপর শুল্ক কমানোর মতো একাধিক বিষয়ের উল্লেখ আছে বাজেটে।

    বাজেট নিয়ে প্রতিক্রিয়া মোদির

    বাজেট প্রসঙ্গে এক ভিডিও বার্তায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, “আজ ভারতের উন্নয়নযাত্রার একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। এটি ১৪০ কোটি ভারতীয়ের আকাঙ্খার বাজেট। এটি এমন একটি বাজেট, যা প্রতিটি ভারতীয়ের স্বপ্ন পূরণ করে। আমরা যুব সমাজের জন্য অনেক খাত খুলে দিয়েছি। সাধারণ নাগরিকই বিকশিত ভারতের মিশনকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।”

    প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেন, “অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের পেশ করা বাজেট উন্নত ভারতের স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য একটি দুর্দান্ত বাজেট। এই বাজেটে সমাজের সব অংশের মানুষের কথা ভাবা হয়েছে। এই বাজেট দেশের উন্নয়নের প্রচার (Union Budget 2025) করতে চলেছে (PM Modi)।”

LinkedIn
Share