Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Delhi Pollution: দিল্লিতে বায়ু দূষণের জের, সব শ্রেণির ক্লাস অনলাইনে করার নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

    Delhi Pollution: দিল্লিতে বায়ু দূষণের জের, সব শ্রেণির ক্লাস অনলাইনে করার নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লি দূষণের (Delhi Pollution) মাত্রা ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। শীতের মরশুমের আগেই স্বাভাবিক জনজীবন বিশেষ ভাবে ব্যাহত হয়ে পড়েছে। সোমবার ছিল দিল্লিতে বছরের দুষিততম দিন। সেদিনই, সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দেয়, রাজধানীর স্কুলগুলিতে সব শ্রেণির ক্লাস অনলাইনে করতে হবে। মঙ্গলবার থেকেই এই নিয়ম কার্যকর করা হয়। একই ভাবে দিল্লি এবং রাজধানী-লাগোয়া তিন রাজ্যের একাংশে স্কুল বন্ধ রাখার কথা বলে প্রশাসনকে নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট।

    কেন দ্বাদশ শ্রেণির ক্লাস খোলা? সুপ্রিম-প্রশ্ন  (Delhi Pollution)

    নতুন বিধিনিষেধ অনুযায়ী রাজধানীতে (Delhi Pollution) কেবলমাত্র একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণির জন্য স্কুল খোলা রাখার নির্দেশ জারি করেছিল দিল্লির আপ সরকার। বাকি শ্রেণির জন্য অনলাইন ক্লাসের নির্দেশ জারি হয়েছিল। কিন্তু দিল্লি আপ সরকারের এই নির্দেশ সোমবার সুপ্রিম কোর্টে প্রশ্নের মুখে পড়ে। বিচারপতি অভয় এএস ওকা এবং বিচারপতি অগাস্টিন জর্জ মসিহর বেঞ্চ-এর প্রশ্ন তোলেন, একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণির (School) পড়ুয়াদের ফুসফুস কি আলাদা? এর পরই, সব শ্রেণির ক্লাস অনলাইনে করার নির্দেশ দেয় শীর্ষ আদালত।

    স্কুল বন্ধ মানে পড়াশুনা বন্ধ নয়

    সুপ্রিম কোর্ট, দিল্লি ছাড়াও জাতীয় রাজধানী অঞ্চলের মধ্যে থাকা হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থানের বেশ কিছু অঞ্চলেও স্কুল (School) বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে। পড়ুয়াদের দূষণের হাত থেকে রক্ষা পেতে কোর্ট এই নির্দেশ দিয়েছে বলে অনেকে মনে করছেন। তবে স্কুল বন্ধ মানে পড়াশুনা বন্ধ এমন কিছু ভাবনা নয়। সশরীরে স্কুলে উপস্থিত না থাকলেও অনলাইনে বাড়িতে বসে ক্লাস করতে হবে ছাত্র-ছাত্রীদের। উদ্ভূত পরিস্থিতি সামাল দিতে ‘গ্রেডেড রেসপন্স অ্যাকশন প্ল্যান’ (গ্র্যাপ-৪) চালু করেছে দিল্লি সরকার (Delhi Pollution)। আট দফা বিধিনিষেধ কার্যকর করা হয়েছে। প্রথমে প্রাথমিক স্কুলগুলির ক্লাস অনলাইনে করানোর নির্দেশ দিয়েছিল দিল্লির আপ সরকার। পরে দশম শ্রেণি পর্যন্ত অনলাইনে ক্লাস করানোর কথা বলা হয়।

    আরও পড়ুন: বন্ধু মাক্রঁ ও স্টারমারের সঙ্গে সাক্ষাত মোদির, জি-২০ বৈঠকের ফাঁকে কী নিয়ে আলোচনা?

    কোর্টের প্রশ্ন

    সোমবারের শুনানিতে আপ সরকারকে ধমক দেন বিচারপতিদ্বয়। তাঁরা জানতে চান, দূষণ (Delhi Pollution) নিয়ন্ত্রণের জন্য কড়া পদক্ষেপ নিতে এত বিলম্ব কেন করছে প্রশাসন? সেই সঙ্গে আরও বলা হয়, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত চতুর্থ পর্যায়ের ‘গ্রেডেড রেসপন্স অ্যাকশন প্ল্যান’ (গ্র্যাপ-৪) বহাল রাখতে হবে। আদালতের অনুমতি ছাড়া তা তোলা যাবে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Tirupati: তিরুপতি মন্দিরের বড় সিদ্ধান্ত, কর্মকাণ্ড থেকে বাদ অহিন্দুরা, প্রাঙ্গণে নিষিদ্ধ রাজনৈতিক বিবৃতি

    Tirupati: তিরুপতি মন্দিরের বড় সিদ্ধান্ত, কর্মকাণ্ড থেকে বাদ অহিন্দুরা, প্রাঙ্গণে নিষিদ্ধ রাজনৈতিক বিবৃতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অন্ধ্রপ্রদেশের তিরুপতি (Tirupati) ভেঙ্কটেশ্বর মন্দিরে যে কোনও রকমের কাজে আর নিযুক্ত থাকতে পারবেন না অহিন্দুরা। সোমবার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে তিরুপতি মন্দিরের পরিচালন সংস্থা। প্রসঙ্গত, তিরুপতি মন্দিরের পরিচালন সংস্থার নাম হল তিরুমালা তিরুপতি দেবস্থানম (টিটিডি)। এমন প্রস্তাব পাশ করার বিষয়টি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন তিরুমালা তিরুপতি দেবস্থানমের (Tirupati Temple) চেয়ারম্যান বিআর নাইডু। তবে এখনও পর্যন্ত সঠিক তথ্য জানা যায়নি, ঠিক কতজন অহিন্দু কর্মচারী সেখানে নিযুক্ত রয়েছেন। স্থানীয় একটি সূত্র ইতিমধ্যে সংবাদ মাধ্যমের কাছে দাবি করেছে, মন্দিরের দৈনন্দিন ও প্রশাসনিক নানা রকমের কাজের জন্য অন্তত ৭,০০০ স্থায়ী কর্মচারী রয়েছেন। এই কর্মচারীদের মধ্যে অন্তত ৩০০ জন অ-হিন্দু সম্প্রদায়ের। প্রসঙ্গত, স্থায়ী কর্মী ছাড়া অন্ধ্রপ্রদেশের তিরুপতি তিরুমালা মন্দিরের (Tirupati) ১৪ হাজার অস্থায়ী কর্মী রয়েছেন। প্রসঙ্গত, মন্দির কমিটি এও সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে তিরুমালা পাহাড়ে কোনও রাজনৈতিক বিবৃতি দেওয়া যাবে না।

    সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে বেশিরভাগ কর্মচারী সংগঠন

    মন্দির কর্তৃপক্ষের পাশ করা প্রস্তাবে বলা হয়েছে, মন্দিরের অ-হিন্দু কর্মচারীদের হয় স্বেচ্ছাবসর নিতে হবে, না হলে তাঁদের অন্য সরকারি দফতরে বদলি করা হবে। এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে বেশিরভাগ কর্মচারী সংগঠনই। একটি কর্মচারী সংগঠনের মতে, তিরুমালা তিরুপতি দেবস্থানম-এর যে বিধির কথা এতদিন বলা হচ্ছিল, এতদিনে তা কার্যকর করা হল। প্রসঙ্গত, গত ৩১ অক্টোবরই তিরুমালা তিরুপতি (Tirupati Temple) দেবস্থানমের চেয়ারম্যান করা হয় বিআর নাইডুকে। তারপরেই তিনি ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে, গোটা মন্দিরের প্রশাসন হিন্দুদের দ্বারাই পরিচালনা করা হবে।

    সাম্প্রতিক লাড্ডু বিতর্ক (Tirupati)  

    প্রসঙ্গত, এর আগেও একাধিকবার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। তিনবার তিরুমালা তিরুপতি দেবস্থানমের আইনেও বদল করা হয়েছিল। সে সময় বলা হয়েছিল যে মন্দির পরিচালন করবেন হিন্দুরাই। কিন্তু এর পরেও বহু অহিন্দু সম্প্রদায়ের কর্মচারী মন্দিরের প্রশাসনিক নানা কাজে নিযুক্ত ছিলেন বলে অভিযোগ। জানা গিয়েছে, এরপরে চন্দ্রবাবু নাইডুর সরকার ক্ষমতায় আসতেই ফের বিষয়টি মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। তারপরে আবার লাড্ডু বিতর্কে সংবাদ শিরোনামে এসেছিল তিরুপতি মন্দির। তেলুগু দেশম পার্টির নেতা চন্দ্রবাবু নাইডুর অভিযোগ, পূর্বতন জগন্মোহন রেড্ডি সরকারের আমলে প্রসাদী লাড্ডু বানানোর সময় ঘি এর সঙ্গে পশুর চর্বি মেশানো হত। এক্ষেত্রে গুজরাতের এক সরকারি ল্যাবরেটরির জুলাই মাসের রিপোর্ট উদ্ধৃত করেন অন্ধ্রের মুখ্যমন্ত্রী। এরপরেই মন্দিরের পবিত্রতা রক্ষার ইস্যুটি ফের সামনে চলে আসে।

    সংবিধানসম্মত সিদ্ধান্ত

    প্রসঙ্গত, তিরুমালা তিরুপতি (Tirupati) দেবস্থানমের এই প্রস্তাব ইতিমধ্যে অন্ধপ্রদেশ সরকারের কাছে পাঠানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। গতকাল সোমবারই প্রস্তাব পাঠানো হয়। মন্দির কমিটি যে প্রস্তাব পাশ করেছে সেখানে ভারতের সংবিধানের মৌলিক অধিকারের ১৬(৫) অনুচ্ছেদই প্রতিফলিত হয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ এই অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলি শুধুমাত্র সেই ধর্মেরই ব্যক্তিদের নিয়োগ করবে, যাঁদের ওই মন্দির প্রতিষ্ঠানের প্রতি বিশ্বাস ও আস্থা রয়েছে। এরফলে পবিত্রতা রক্ষা করা যায় ধর্মস্থানের।

    সম্প্রতি অন্ধ্রের হাইকোর্টের রায়

    জানা গিয়েছে, তিরুমালা তিরুপতি দেবস্থানমের (Tirupati Temple) এই বৈঠক সেখানকার অন্নময় ভবনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রসঙ্গত, তিরুমালা তিরুপতি মন্দিরকে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী হিন্দু মন্দির হিসেবে বিবেচনা করা হয়। প্রসঙ্গত, ওই বৈঠকের প্রস্তাব হাতে পেতেই অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু ঘোষণা করেছেন, মন্দিরের সমস্ত অহিন্দু কর্মচারীদের স্বেচ্ছা অবসর স্কিম দেওয়া হবে অথবা তাঁদেরকে অন্য সরকারি বিভাগে স্থানান্তর করা হবে। প্রসঙ্গত, প্রায় প্রতিটি কর্মচারী সংগঠনই এই সিদ্ধান্তের প্রতি সমর্থন জানিয়েছে। তারা এক্ষেত্রে বলছেন যে অন্ধ্রপ্রদেশ এনডাউসমেন্ট অ্যাক্ট, টিটিডি অ্যাক্ট এবং ১৯৮৯ সালের একটি সরকারি আদেশের সঙ্গেও এই নির্দেশ সম্পূর্ণভাবে সামঞ্জস্যপূর্ণ। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি অন্ধ্র হাইকোর্ট পর্যবেক্ষণ করে, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে যে সমস্ত কর্মী কাজ করবেন, তাঁদেরকে ওই প্রতিষ্ঠানের যে বিশ্বাস সেটাকে মেনে চলতে হবে। মনে করা হচ্ছে, অন্ধ্রপ্রদেশ হাইকোর্টের এই পর্যবেক্ষণে আরও ত্বরান্বিত হয়েছে মন্দির কমিটির এই সিদ্ধান্ত।

    সরছে বেসরকারি ব্যাঙ্ক থেকে অ্যাকাউন্ট 

    একই সঙ্গে তিরুমালা তিরুপতি বোর্ড সিদ্ধান্ত নিয়েছে, মন্দিরের আর্থিক নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে বেসরকারি ব্যাঙ্ক থেকে তাদের সমস্ত অ্যাকাউন্ট সরকারি ব্যাঙ্কে স্থানান্তর করা হবে। এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত পরবর্তী বোর্ড মিটিংয়ে নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে মন্দির কমিটির কর্মকর্তারা।
    জানা গিয়েছে, বর্তমানে তিরুপতি মন্দিরের দেবতা দর্শন করতে দর্শনার্থীদের অপেক্ষা করতে হয় কুড়ি থেকে ত্রিশ ঘণ্টা। মন্দির কমিটি এই বিষয়টি নিয়েও বিবেচনা করছে বলে জানা গিয়েছে। আগামী দিনে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে কাজে লাগিয়ে অপেক্ষার সময় দুই থেকে তিন ঘণ্টা কীভাবে কমিয়ে আনা যায় তাও ভাবা হচ্ছে।

    রাজনৈতিক বিবৃতি দেওয়া যাবে না তিরুমালা পাহাড়ে 

    একইসঙ্গে ভারতবর্ষের গুরুত্বপূর্ণ এই মন্দিরে আধ্যাত্মিকতা এবং অরাজনৈতিক পরিবেশ বজায় রাখতেও উদ্যোগী হয়েছে মন্দির সমিতি। ঠিক এই কারণে সেজন্য বোর্ড আরও কতগুলি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তিরুমালা মন্দিরে কোনও রকমের রাজনৈতিক বিবৃতি দেওয়া নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এর পাশাপাশি মন্দির সমিতির তরফ থেকে জানানো হয়েছে, প্রাঙ্গণে যে কোনও রাজনৈতিক দল তাদের অ্যাজেন্ডা যদি প্রচার করে, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
    একইসঙ্গে, তিরুমালা মন্দিরের ব্রহ্মোৎসবে অংশগ্রহণকারী কর্মচারীদের ভাতা ১০ শতাংশ বৃদ্ধি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মন্দির কমিটি। তিরুপতি মন্দিরের আশেপাশের বাসিন্দারা প্রতি মাসের প্রথম মঙ্গলবার বিশেষ দর্শন করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Chhattisgarh Waqf Board: শুক্রবারের ‘খুতবা’ দিতে হলে আগাম অনুমতি নিতে হবে, ছত্তিশগড়ের মসজিদগুলিকে নির্দেশ

    Chhattisgarh Waqf Board: শুক্রবারের ‘খুতবা’ দিতে হলে আগাম অনুমতি নিতে হবে, ছত্তিশগড়ের মসজিদগুলিকে নির্দেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নজিরবিহীন নির্দেশ ছত্তিশগড় ওয়াকফ বোর্ডের (Chhattisgarh Waqf Board)! তারা সাফ জানিয়ে দিয়েছে, শুক্রবার নমাজ আদায়ের সময় দেওয়া সমস্ত ধর্মীয় বক্তব্যের আগাম অনুমোদন করাতে হবে (BJP)। রাজনৈতিক অশান্তি এড়াতেই এই সিদ্ধান্ত বলেও জানিয়ে দিয়েছে ওয়াকফ বোর্ড। বোর্ডের চেয়ারম্যান সলিম রাজ একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে বলেন, “মসজিদে দেওয়া ভাষণ হওয়া উচিত কেবল ইসলামি শিক্ষার ওপর ভিত্তি করে। বক্তৃতায় রাজনৈতিক বিষয় এড়িয়ে চলা উচিত।”

    কী বলছেন ওয়াকফ বোর্ড প্রধান? (Chhattisgarh Waqf Board)

    গত মাসেই ওয়াকফ বোর্ডের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নিয়েছেন সলিম। তিনি রাজ্যে বিজেপি-র সংখ্যালঘু শাখার প্রধানও। হোয়াটসঅ্যাপ বার্তার মাধ্যমে এই সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। সলিম বলেন, “ধর্মীয় স্থানগুলোকে রাজনৈতিক আড্ডায় পরিণত করা উচিত নয়। রাজনীতি রাজনীতিবিদদের জন্য, আর খুতবা (ধর্মীয় বক্তব্য) শুধুমাত্র ইসলাম ও আল্লাহ্-র বার্তার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকা উচিত।”

    সরকার বিরোধী বক্তব্য

    জানা গিয়েছে, বোর্ড ৩ হাজার ৮০০টি মসজিদে এই নির্দেশ কার্যকর করার পরিকল্পনা করেছে। এটি শুরু হবে এই শুক্রবার থেকেই। সলিম জানান, এই পদক্ষেপটি নেওয়া হয়েছে কিছু মসজিদে সরকার-বিরোধী বক্তব্যের অভিযোগ পাওয়ার পরে। এই অভিযোগ এসেছে বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলি থেকে। সলিমের এই নির্দেশের কড়া সমালোচনা করেছে বিরোধী দলগুলি। এআইএমআইএমের পাশাপাশি কংগ্রেসও রয়েছে সমালোচকদের মধ্যে। এআইএমআইএম প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়েইসি সলিমের এই সিদ্ধান্তকে অসাংবিধানিক বলে অভিহিত করেছেন।

    তাঁর দাবি, এটি (Chhattisgarh Waqf Board) সংবিধানের ২৫ নম্বর অনুচ্ছেদ লঙ্ঘন করে, যা ধর্মীয় স্বাধীনতার নিশ্চয়তা দেয়। তিনি বলেন, “ওয়াকফ বোর্ডের খুতবার আগে (Chhattisgarh Waqf Board) অনুমোদন নেওয়ার আইনি কোনও ক্ষমতা নেই। থাকলেও এটি অসাংবিধানিক হবে।” সমালোচনা করেছে কংগ্রেসও। তাদের বক্তব্য, এটি বাকস্বাধীনতা ও ধর্মীয় স্বাধীনতার ওপর আক্রমণ। দলের মুখপাত্র সুশীল আনন্দ শুক্লা বলেন, “ওয়াকফ বোর্ড সম্পত্তি পরিচালনা করে। কিন্তু মসজিদে প্রদত্ত খুতবার বিষয়বস্তু নির্ধারণের কোনও ক্ষমতা তাদের নেই।”

    আরও পড়ুন: ‘‘এক দশকে দেশের ২৫ কোটি মানুষের দারিদ্রতা দূর করা গিয়েছে’’, জি২০ সম্মেলনে বললেন মোদি

    বিজেপির মুখপাত্র তৌকির রাজার বক্তব্য, ধর্মীয় স্থানে অবাধ রাজনৈতিক বক্তব্য উত্তেজনা বাড়াতে পারে। কাশ্মীরের উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, “সেখানে ফতোয়া হিংসকে উৎসাহিত করেছে, যার ফলে কাশ্মীরি পণ্ডিতদের ওপর আক্রমণ হয়েছে।” তিনি বলেন, “আমরা নিশ্চিত করছি যে (BJP) মসজিদগুলি যেন রাষ্ট্রবিরোধী বা বিতর্কিত কার্যক্রমে ব্যবহৃত না হয় (Chhattisgarh Waqf Board)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

     
     
  • BJP: ‘‘ঝাড়খণ্ডে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের উৎখাত করতে হবে’’, বললেন বিজেপি প্রার্থী চম্পাই সোরেন

    BJP: ‘‘ঝাড়খণ্ডে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের উৎখাত করতে হবে’’, বললেন বিজেপি প্রার্থী চম্পাই সোরেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সারাইকেলা বিধানসভা কেন্দ্র থেকে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) প্রার্থী এবং প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী চম্পাই সোরেন সোমবার ঝাড়খণ্ড বিধানসভা নির্বাচনে (Jharkhand Assembly Election) তাঁর দলের জয়ের বিষয়ে আত্মবিশ্বাস প্রকাশ করেছেন। ইতিমধ্যে প্রথম দফার ভোট হয়ে গিয়েছে। বুধবার দ্বিতীয় দফার ভোট। তার আগে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন যে বিজেপি (BJP) এই রাজ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে।

    কী বললেন বিজেপি প্রার্থী? (BJP)

    এএনআই-এর সঙ্গে কথা বলার সময় বিজেপি (BJP) প্রার্থী চম্পাই সোরেন বলেন, ‘‘আমরা ঝাড়খণ্ডে সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে জিতব। সাঁওতাল পরগনায় বাংলাদেশি অনুপ্রবেশ সবচেয়ে বড় সমস্যা, আমাদের অনুপ্রবেশকারীদের উৎখাত করতে হবে।’’ এর আগে অসমের মুখ্যমন্ত্রী তথা ঝাড়খণ্ড নির্বাচনের বিজেপি সহ-ইনচার্জ হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেছিলেন যে প্রচারে ভালো সাড়া মিলেছে। এবার এই রাজ্যে জনগণ রাজ্যে একটি ডাবল ইঞ্জিন সরকার চায়। হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেন, ‘‘আমরা গত ৪ মাস ঝাড়খণ্ডে কাটিয়েছি। মানুষ প্রধানমন্ত্রী মোদির জন্য খুবই উচ্ছ্বসিত। মানুষ ডাবল ইঞ্জিনের সরকার চায়। ঝাড়খণ্ডে উন্নয়ন হওয়া উচিত। জনগণের আকাঙ্খা পূরণ করা এই নির্বাচনে আমাদের প্রধান লক্ষ্য।’’ তিনি আরও বলেছিলেন, ‘‘আমরা আত্মবিশ্বাসী যে এনডিএ রাজ্যে সরকার গঠন করবে। মানুষ চায় সরকার আসুক, অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে, যুব ও মহিলাদের আশা পূরণ হোক। আমি মনে করি আমরা নির্বাচনে ভালো প্রচার চালিয়েছি। আমাদের দলে কর্মীরা একসঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে কাজ করেছে। আমি নিশ্চিত যে পূর্ণ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার গঠন করব। ’’

    আরও পড়ুন: বন্ধু মাক্রঁ ও স্টারমারের সঙ্গে সাক্ষাত মোদির, জি-২০ বৈঠকের ফাঁকে কী নিয়ে আলোচনা?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Himanta Biswa Sarma: অসমের করিমগঞ্জের নাম পরিবর্তন করে হল শ্রীভূমি, ঘোষণা হিমন্ত বিশ্বশর্মার

    Himanta Biswa Sarma: অসমের করিমগঞ্জের নাম পরিবর্তন করে হল শ্রীভূমি, ঘোষণা হিমন্ত বিশ্বশর্মার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অসমের (Assam) করিমগঞ্জ জেলার নাম পরিবর্তন করে হবে শ্রীভূমি জেলা। যার অর্থ মা লক্ষ্মীর ভূমি। সিলমোহর পড়েছে অসমের রাজ্য ক্যাবিনেটে। এছাড়া ক্যাবিনেট বৈঠকে আরও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তেও সিলমোহর পড়েছে। কেন করিমগঞ্জের নাম বদল করা হয়েছে, এর পিছনে যুক্তিও ব্যাখ্যা করেছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা (Himanta Biswa Sarma)।

    কী বললেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী? (Himanta Biswa Sarma)

    দিসপুরে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে অসমের মুখ্যমন্ত্রী (Himanta Biswa Sarma) বলেন,“ আমরা অসমের বিভিন্ন জেলায় বেশ কয়েকটি গ্রামীণ এলাকার নাম পরিবর্তন করেছি। রাজ্য মন্ত্রিসভা করিমগঞ্জ জেলার নাম পরিবর্তন করে শ্রীভূমি জেলা করতে সম্মত হয়েছে। এর নতুন নাম হবে শ্রীভূমি।” ঐতিহাসিক এবং ভাষাগত প্রাসঙ্গিকতার গুরুত্বের ওপর জোর দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমরা ধীরে ধীরে সেই সব জায়গার নাম পরিবর্তন করব যেখানে ঐতিহাসিক বা আভিধানিক অর্থ নেই। অসমের আরও বহু গ্রাম, অঞ্চলের নামও পর্যায়ক্রমে পরিবর্তন করা হবে।” নতুন নামকরণের এই সিদ্ধান্তকে ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন,  “উদাহরণস্বরূপ, কালাপাহাড় ঐতিহাসিকভাবে তাৎপর্যপূর্ণ নয়। একইভাবে করিমগঞ্জও অর্থহীন। অসমীয়া এবং বাংলা অভিধান করিমগঞ্জের কোনও অর্থ নেই।”  একটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে, মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন যে, ‘‘এই পদক্ষেপটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকেও সম্মান জানানো হবে। কারণ, তিনি এই অঞ্চলটিকে অবিভক্ত ভারতের শ্রীভূমি হিসেবে মনোনীত করেছিলেন। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এক শতাব্দীরও বেশি আগে অসমের বর্তমান করিমগঞ্জ জেলাকে শ্রীভূমি বা মা লক্ষ্মীর দেশ হিসেবে উল্লেখ করেছিলেন। অসম মন্ত্রিসভা আমাদের জনগণের এই দীর্ঘ দিনের দাবি পূরণ করেছে।’’

    অসমের মুখ্যমন্ত্রীর প্রশংসা করেছেন সুকান্ত

    কেন্দ্রীয়মন্ত্রী তথা বিজেপির পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এক্স হ্যান্ডলে লিখেছেন, “অসমের মানুষের স্বপ্নপূরণ হল। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের দেওয়া নাম ক্যাবিনেটে অনুমোদন করায় অসমের মুখ্যমন্ত্রীকে (Himanta Biswa Sarma) ধন্যবাদ জানাই।”  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Maharashtra Assembly Elections: মহারাষ্ট্রে বিজেপি-নেতৃত্বাধীন মহাজুটি জোটকে পূর্ণ সমর্থন শিখ সম্প্রদায়ের

    Maharashtra Assembly Elections: মহারাষ্ট্রে বিজেপি-নেতৃত্বাধীন মহাজুটি জোটকে পূর্ণ সমর্থন শিখ সম্প্রদায়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে (Maharashtra Assembly Elections) মহারাষ্ট্রে বিজেপি-নেতৃত্বাধীন মহাজুটি জোটকে পূর্ণ সমর্থনের কথা ঘোষণা করল শিখ সম্প্রদায়। সোমবার শিখ সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে বলা হয়, “গত আড়াই বছরে, সরকার গুরু নানক নাম লেবা সঙ্গত, শিখ, হিন্দু পাঞ্জাবি, লুবানা, সিকলিগার এবং অন্যান্য সম্প্রদায়ের কল্যাণে একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে।” তারা আরও উল্লেখ করেছে, “বিজেপি সরকার শুধু এই সম্প্রদায়গুলির জন্য উপকারি ঘোষণাই করেনি, বরং তাদের উন্নতির জন্য ঐতিহাসিক পদক্ষেপও করেছে।”

    মহাজুটি জোটের পাশে শিখরা

    সোমবার মহারাষ্ট্রের ২৮৮টি আসনের সবগুলিতেই প্রচার (Maharashtra Assembly Elections) শেষ হয়েছে। বুধবার ওই কেন্দ্রগুলিতে ভোটগ্রহণ হবে। বুধবার এক দফায় মহারাষ্ট্রে ২৮৮টি বিধানসভা কেন্দ্রে ভোট হবে। গণনা ২৩ নভেম্বর। মূল লড়াই বিজেপি-শিবসেনা (একনাথ শিন্ডে)-এনসিপি-র (অজিত) জোট ‘মহাজুটি’এবং কংগ্রেস-শিবসেনা (ইউবিটি)-এনসিপি-র (শরদ) ‘মহাবিকাশ আঘাড়ি’র মধ্যে। সম্প্রতি, একজন শিখ সদস্যকে মহারাষ্ট্র সরকারের মাইনরিটি কমিশনে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও ১১ সদস্যের মহারাষ্ট্র রাজ্য পাঞ্জাবি সাহিত্য অ্যাকাডেমি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এই উদ্যোগগুলি স্পষ্টভাবে সরকারের উদ্দেশ্য এবং শিখ সম্প্রদায়ের কল্যাণ ও অগ্রগতির প্রতি প্রতিশ্রুতি প্রদর্শন করে বলে মনে করা হচ্ছে।

    শিখ সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিরা গুরু নানক নাম লেবা সঙ্গত, শিখ, হিন্দু, পাঞ্জাবি, সিন্ধি, সিকলিগার, বানজারা ও লুবানা সম্প্রদায় এই ইতিবাচক পদক্ষেপগুলির জন্য সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞ। তারা আশাবাদী যে, সরকার ভবিষ্যতেও সমস্ত সম্প্রদায়ের কল্যাণে একই উদ্দেশ্য ও দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে কাজ করবে। তাই এই সম্প্রদায়ের সকল প্রতিনিধিদের মহাজুটি জোটকে ভোট দিতে আহ্বান জানিয়েছে শিখ সংগঠনটি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Chhattisgarh: ‘দ্য সবরমতি রিপোর্ট’ ছবিকে করমুক্ত ঘোষণা করলেন ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণু দেও সাই

    Chhattisgarh: ‘দ্য সবরমতি রিপোর্ট’ ছবিকে করমুক্ত ঘোষণা করলেন ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণু দেও সাই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গোধরায় করসেবক ভর্তি ট্রেন জ্বালিয়ে দেওয়ার ঘটনার ওপর ভিত্তি করে তৈরি হিন্দি সিনেমা ‘দ্য সবরমতি রিপোর্ট’-কে ছত্তিশগড় (Chhattisgarh) সরকার করমুক্ত হিসেবে ঘোষণা করল। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে প্রকাশিত একটি সরকারি বিবৃতি দিয়ে একথা জানানো হয়েছে।

     ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী কী বললেন? (Chhattisgarh)

    ছত্তিশগড়ের (Chhattisgarh) মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণু দেও সাই ‘দ্য সবরমতি রিপোর্ট’ ছবিকে করমুক্ত করার কথা ঘোষণা করেছেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “এই সিনেমাটি দেখা উচিত। কারণ কেবলমাত্র অতীতের অধ্যয়নই আমাদের বর্তমান এবং ভবিষ্যত সম্পর্কে আরও ভালো দিক নির্দেশনা দিতে পারে। সিনেমাটিতে সংবেদনশীলতার সঙ্গে বেদনাদায়ক ঘটনাটি উপস্থাপন করা হয়েছে।” তিনি আরও বলেন, “এই সিনেমাটি অত্যন্ত প্রশংসনীয়।  ইতিহাসের ভয়ঙ্কর সত্যকে সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। সিনেমাটিতে বাস্তব ঘটনাটি তুলে ধরা হয়েছে।” প্রসঙ্গত, এর আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও সম্প্রতি মুক্তিপ্রাপ্ত বিক্রান্ত ম্যাসি অভিনীত ‘দ্য সবরমতি রিপোর্ট’-এর প্রশংসা করেছিলেন। এই সিনেমাটি ২০০২ সালের গোধরা ট্রেন-কোচ পোড়ানোর ঘটনার ওপর ভিত্তি করে নির্মিত। প্রধানমন্ত্রী একজন এক্স ব্যবহারকারীকে উত্তর দিয়েছিলেন, যিনি সিনেমাটির প্রশংসা করেছিলেন। তাঁকে ছবিটির ট্রেলারের একটি ভিডিও দিয়ে ট্যাগ করেছিলেন। তিনি এক্স হ্যান্ডলে লিখেছেন, “ভালো বলেছেন। এটা ভালো যে এই সত্য বেরিয়ে আসছে এবং সেটাও সাধারণ মানুষ দেখতে পাচ্ছে। একটি জাল বর্ণনা শুধুমাত্র একটি সীমিত সময়ের জন্য চলতে পারে। অবশেষে, সত্য সবসময় বেরিয়ে আসবে!”  

    আরও পড়ুন: ২৫ হাজার কার্ডের নম্বর এক! রাজ্যে বিপুল ডুপ্লিকেট ভোটার কার্ড আবিষ্কার কমিশনের

    একতা কাপুর কী বললেন?

    সিনেমাটি ২০০২ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি গোধরা স্টেশন (গুজরাট) এর কাছে সবরমতি এক্সপ্রেসের এস-৬ কোচ পোড়ানোর ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে। অযোধ্যা থেকে ফিরে আসা কমপক্ষে ৫৯ হিন্দু ধর্মাবলম্বী এই ঘটনায় পুড়ে মারা গিয়েছিলেন, যার ফলে দাঙ্গা শুরু হয়েছিল। মর্মান্তিক ঘটনার সময় গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। ধীরাজ সারনা পরিচালনা করেছেন। শোভা কাপুর, একতা আর কাপুর, অমুল ভি মোহন এবং আনশুল মোহন প্রযোজনা করেছেন এই সিনেমাটি। ট্রেলার লঞ্চ ইভেন্টের সময় চলচ্চিত্র নির্মাতা একতা কাপুর ‘দ্য সবরমতি রিপোর্ট’  (The Sabarmati Report) সম্পর্কে কথা বলেছেন এবং কেন তিনি গল্পটি মানুষের কাছে নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। একতা বলেন, “সিনেমাটিতে মর্মান্তিক ঘটনা এবং এর উৎপত্তি সম্পর্কে অজানা তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Manipur Crisis: “মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ”, মেইতেই হত্যাকাণ্ডে মন্তব্য মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রীর

    Manipur Crisis: “মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ”, মেইতেই হত্যাকাণ্ডে মন্তব্য মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেষমেশ নীরবতা ভাঙলেন মণিপুরের (Manipur Crisis) মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং (Biren Singh)। মেইতেই পরিবারের ছ’জন নারী ও শিশুকে অপহরণ ও হত্যার ঘটনাকে তিনি অভিহিত করেছেন ‘মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ’ বলে। তিনি জানান, অপরাধীদের ধরতে চলছে চিরুনি তল্লাশি। ১১ নভেম্বর সশস্ত্র বেশ কিছু জঙ্গি হামলা চালায় একটি ত্রাণ শিবিরে। কয়েকদিন পরে ওই শিবিরের মেলে আটজন মেইতেই বাসিন্দার দেহ। এই ঘটনার পর সিআরপিএফের সঙ্গে এনকাউন্টারে মৃত্যু হয় ১০ জন জঙ্গির। 

    কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী (Manipur Crisis)

    ১১ নভেম্বরের ঘটনা প্রসঙ্গে ভিডিও বিবৃতিতে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আজ আমি গভীর দুঃখ ও ক্ষোভ নিয়ে এখানে দাঁড়িয়ে আছি। জিরিবামে নিরীহ তিন শিশু ও তিন মহিলাকে অপহরণ করে জঙ্গিরা। পরে উদ্ধার হয় তাঁদের দেহ। এমন বর্বরোচিত কাজ কোনও সভ্য সমাজে স্থান পেতে পারে না।” তিনি বলেন, “আমি আপনাদের এই বলে আশ্বস্ত করতে চাই যে এই জঙ্গিদের খোঁজার কাজ চলছে। খুব শীঘ্রই তাদের কাঠগড়ায় তোলা হবে। আমরা তাদের অমানবিক কাজের জন্য জবাবদিহি নিশ্চিত না করা পর্যন্ত থামব না।”

    বাহিনীর প্রশংসা

    সিআরপিএফ এবং রাজ্য বাহিনীর প্রশংসা করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন (Manipur Crisis), “সিআরপিএফ এবং রাজ্যের বাহিনীর অসাধারণ সাহস এবং তাদের কর্তব্যের প্রতি অঙ্গীকারের জন্য আমি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আমি আমার কেন্দ্রীয় নেতাদের প্রতিও কৃতজ্ঞ, যাঁরা রাজ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।” তিনি বলেন, “কেন্দ্রীয় সরকার সম্প্রতি ২০ কোম্পানি সিএপিএফ পাঠিয়েছে। নিরাপত্তা জোরদার ও শান্তি পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য আরও ৫০টি কোম্পানি পাঠানো হচ্ছে।”

    আরও পড়ুন: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর এই প্রথম ভারতে আসছেন পুতিন

    সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “বর্তমান সংঘাত চলছে অবৈধ অনুপ্রবেশ প্রশ্ন নিয়ে।” তাঁর অভিযোগ, এই সংঘাতের বীজ বপন করা হয়েছিল ২০০৮ সালে, পি চিদম্বরম কর্তৃক জোমি রেভলিউশনারি আর্মি (জেডআরএ)-এর সঙ্গে একটি ‘সাসপেনশন অফ অপারেশন্স’ চুক্তি করার মাধ্যমে।জানা গিয়েছে, বর্তমান সংঘাত শুরু হওয়ার কয়েক মাস আগে, বীরেন সিংহ সরকার জেডআরএ-সহ দুই কুকি-জো বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সঙ্গে করা ওই চুক্তি থেকে সরে এসেছিল। এই গোষ্ঠীগুলি বনের জমি দখলকারীদের মধ্যে আন্দোলনকে প্রভাবিত করছে বলে অভিযোগ ওঠে। তার (Biren Singh) জেরেই বাতিল করা হয় চুক্তি (Manipur Crisis)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Delhi Pollution: বাতাসে বিষ, দিল্লিতে ঘরবন্দি মানুষ! প্রধানমন্ত্রীর কাছে কৃত্রিম বৃষ্টির আর্জি

    Delhi Pollution: বাতাসে বিষ, দিল্লিতে ঘরবন্দি মানুষ! প্রধানমন্ত্রীর কাছে কৃত্রিম বৃষ্টির আর্জি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শীতের শুরু থেকেই দিল্লিতে দূষণের (Delhi Pollution) মাত্রা চরম আকার নিয়েছে। দিল্লি ও তার আশেপাশের অঞ্চলে দৃশ্যমানতা যথেষ্ট কমে যাচ্ছে। বুধবার রাজধানীর বাতাসের গুণমান সূচকের সামান্য উন্নতি হয়েছে। এদিন দিল্লির বাতাসের গুণমাণ সূচক নেমেছে ৫০০-র নীচে। তবে এখনই বিপদ কাটছে না রাজধানীর। সকাল থেকেই ঘন ধোঁয়াশার চাদরে ঢাকা দিল্লি এবং তার আশপাশের অঞ্চল। কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের তথ্য বলছে, বুধবার সকালে রাজধানীর বাতাসের গুণমান সূচক নেমেছে ৪২২ এ। 

    বিষ বাতাসে প্রাণ হাঁসফাঁস

    রবিবার থেকে টানা দিল্লির বায়ু দূষণ মাত্রা ‘সিভিয়ার প্লাস’ ক্যাটিগরিতে রয়েছে। অর্থাৎ ভয়ানক দূষিত রাজধানীর বাতাস। সাধারণত বাতাসের গুণমানের সূচক ৪৫০ অতিক্রম করলেই তা ‘অতি ভয়ানক’ বলে বিবেচিত হয়। গত কয়েক দিন রাজধানীর বাতাসের গুণমান সূচকের মান ৪৫০-র কাঁটা পেরিয়ে গিয়েছিল। বুধবার সে তুলনায় কিছুটা কম হলেও বিপদসীমার খুব কাছে দিল্লির গুণমান। দূষণ হ্রাসের ইঙ্গিত মিললেও এখনও দিল্লির ১২টির বেশি জায়গার বাতাস ‘অতি ভয়ঙ্কর’ পর্য়ায়ে রয়েছে। রাজধানী ও সংলগ্ন অঞ্চলে বাতাসের গুণমান পর্যবেক্ষণের জন্য মোট ৩৫টি কেন্দ্র রয়েছে। তার মধ্যে প্রায় এক ডজন কেন্দ্রের বাতাসের গুণমান সূচক ভয়ানক পর্যায়ে রয়েছে। দিল্লির রোহিণী, আনন্দ বিহার, অশোক বিহার, নরেলা, আলিপুর, সনিয়া বিহার, বাওয়ান, মুন্ডকা এবং জাহাঙ্গিরপুরীর মতো এলাকায় বাতাসের গুণমাণ সূচক ৪৫০-এর উপর। আবার কয়েকটি জায়গায় গুণমান সূচক ৫০০ ছুঁয়েছে। 

    বাড়ি থেকেই কাজ

    মৌসম ভবনের পূর্বাভাস অনুযায়ী, বুধবারও দিল্লিতে (Delhi Pollution) ঘন কুয়াশা থাকবে। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৪ ডিগ্রি এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে ঘোরা ফেরা করবে। বিষ বাতাসে যাতে সাধারণ মানুষ কিছুটা হলেও নিষ্কৃতি পায় তাই দিল্লিতে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের জন্য ওয়ার্ক ফ্রম হোমের ঘোষণা করেছে আপ সরকার। বুধবার দিল্লির পরিবেশমন্ত্রী গোপাল রাই জানিয়েছেন, এবার থেকে দিল্লির সরকারি কর্মচারীদের ৫০ শতাংশ বাড়ি থেকে কাজ করবেন। দূষণ পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে দিল্লির সমস্ত স্কুলে অনলাইনে পঠনপাঠনের শুরু হয়েছে। দিল্লি ও জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থাকা কলেজগুলিতেও অনলাইনে ক্লাস হচ্ছে। দিল্লির পাশাপাশি গুরুগ্রাম এবং নয়ডার স্কুলগুলিতেও অনলাইন ক্লাস শুরু হয়েছে। 

    কৃত্রিম বৃষ্টির আর্জি

    একাধিক বিধিনিষেধ আরোপ করা সত্ত্বেও দিল্লির দূষণ (Delhi Pollution) নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হচ্ছে না। এ বার রাজধানী শহরে কৃত্রিম বৃষ্টির প্রয়োগ করার আর্জি জানিয়ে মঙ্গলবার দিল্লির পরিবেশমন্ত্রী গোপাল রাই চিঠি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। কেবলমাত্র দিল্লি নয়, উত্তর ভারত জুড়েই পরিস্থিতি দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। দৃশ্যমানতাও যথেষ্ট কম। ফলে বিমান পরিষেবা, রেল পরিষেবাও ব্যাহত হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Fishermen Rescued: ভারতীয় সাত মৎস্যজীবীকে পাক বাহিনীর হাত থেকে উদ্ধার করল উপকূলরক্ষী বাহিনী

    Fishermen Rescued: ভারতীয় সাত মৎস্যজীবীকে পাক বাহিনীর হাত থেকে উদ্ধার করল উপকূলরক্ষী বাহিনী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সমুদ্রে দুই ঘণ্টার বেশি সময় ধরে পাকিস্তানি জাহাজকে ধাওয়া করে সাত ভারতীয় মৎস্যজীবীকে (Fishermen Rescued) উদ্ধার করল ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনী। রবিবার আরব সাগরে পাকিস্তানি মেরিটাইম সিকিউরিটি এজেন্সির (এমএসএ) হাতে অপহৃত সাত ভারতীয় মৎস্যজীবীকে উদ্ধার করা হয়। ভারত-পাকিস্তান সামুদ্রিক সীমানা এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছে বলে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রের খবর।

    কীভাবে উদ্ধার মৎস্যজীবীরা

    স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূ্ত্রে খবর, রবিবার বিকেল সাড়ে ৩টে নাগাদ ‘নো-ফিশিং জোন’-এর (এনএফজেড) কাছে ভারতীয় জলসীমা থেকে মৎস্যজীবীদের নৌকা কাল ভৈরব এবং তাঁর মাঝিদের আটক করেছিল পাক বাহিনী। আটক হওয়ার আগে এক মৎস্যজীবী রেডিও মেসেজে ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনীর টহলদারি জলযানকে সে কথা জানাতে পেরেছিলেন। খবর পেয়েই ওই পাকিস্তানি টহলদারি জাহাজকে ধাওয়া করে ধরে ফেলেন ভারতীয় উপকূলরক্ষীরা (Indian Coast Guard)। স্পষ্ট ভাষায় জানান, কোনও অবস্থাতেই ভারতীয় জলসীমা থেকে ওই ভারতীয় মৎস্যজীবীদের নিয়ে যাওয়া চলবে না। চাপের মুখে শেষ পর্যন্ত রণে ভঙ্গ দেয় পাক এমএসএ। মুক্তি দেয় আটক সাতজনকে।

    এই ঘটনার একটি ভিডিও শেয়ার করেছে ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনী। যেখানে দেখা যাচ্ছে, ভারতীয় জাহাজ ধাওয়া করছে পাকিস্তানি জাহাজকে, যাতে মৎস্যজীবীদের পাকিস্তানে নিয়ে চলে যেতে না পারে পাক উপকূলরক্ষীরা। এই ঘটনার ফলে ‘কাল ভৈরব’ ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং শেষমেশ সমুদ্রে ডুবে যায়। নিরাপদে সাত মৎস্যজীবীকে ফিরিয়ে আনা গিয়েছে। তাঁরা শারীরিকভাবে সুস্থ আছেন। তাঁরা জানিয়েছেন, ভুল করে ‘নো-ফিশিং জোন’এ চলে গিয়েছিলেন। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share