Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • China: প্রবৃদ্ধির গতি রোধ করতে খনিজ রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা চিনের! জবাবে কী করল ভারত?

    China: প্রবৃদ্ধির গতি রোধ করতে খনিজ রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা চিনের! জবাবে কী করল ভারত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অত্যাবশ্যক খনিজ ও যন্ত্রপাতি রফতানিতে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে চিন (China)। ভারতের শিল্প প্রবৃদ্ধির গতি (Indias Growth) রোধ করতেই চিন অত্যাবশ্যক খনিজ ও যন্ত্রপাতির রফতানিতে বিধিনিষেধ জারি করেছে। এর মধ্যে রয়েছে গ্যালিয়াম ও জার্মেনিয়ামের মতো খনিজ। এগুলি সৌরশক্তি ও সেমিকন্ডাক্টরের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। টানেল-বোরিং মেশিন রফতানিতেও জারি করা হয়েছে নিষেধাজ্ঞা। এই মেশিন মূলত ব্যবহৃত হয় মেট্রো নির্মাণের মতো পরিকাঠামো প্রকল্পে।

    নয়া উপায় উদ্ভাবন (China)

    তবে চিন ভারতের সাপ্লাই চেনকে ক্ষতিগ্রস্ত করার চেষ্টা করলেও, ভারতীয় আমদানিকারীরা একটি নয়া উপায় বের করে ফেলেছেন। দুবাইয়ের জেবেল আলি বন্দরের মাধ্যমে সরবরাহ করে ঝামা ঘষে দিয়েছে বেজিংয়ের মুখে। সচল রয়েছে সাপ্লাই লাইন। ২০২৩ সালের অগাস্টে চিন (China) গ্যালিয়াম ও জার্মেনিয়াম রফতানিতে কঠোর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করে। এই নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য কেবলমাত্র ভারত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও জাপানের মতো দেশগুলির ক্ষেত্রে।

    ভায়া দুবাই আমদানি

    মোদি জমানায় রকেট গতিতে এগোচ্ছে দেশ। এই প্রবৃদ্ধির ক্ষেত্রে ওই খনিজগুলি ভারতের দ্রুত বেড়ে ওঠা রিউনিউয়েবল এনার্জি বা পুনর্ব্যবহারযোগ্য শক্তি খাতের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষত সৌর সেল ও মডিউল তৈরিতে। চিন ওই খনিজগুলির বিশ্বের বৃহত্তম সরবরাহকারী দেশ। এই গুরুত্বপূর্ণ সম্পদেরই সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে বেজিং। তার জেরে ভারতের সৌরশক্তি উৎপাদনের লক্ষ্য পূরণে বাধা সৃষ্টি হচ্ছে। তবে অগ্রগতি যাতে বাধাপ্রাপ্ত না হয় তাই ভারতীয় আমদানিকারীরা এই খনিজ পদার্থ ও প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি দুবাইয়ের মাধ্যমে আমদানি করছে ভারতে।

    জানা গিয়েছে, এখন ক্যাপিট্যাল গুডসগুলি প্রথমে আমদানি করা হয় দুবাইয়ে। সেখানে সেগুলি বিক্রি করা হয় ভারতীয় ব্যবসায়ী ও কোম্পানিগুলির কাছে। কখনও কখনও আবার লিজও দেওয়া হয়। ফলে সরাসরি এড়ানো যায় চিনের রফতানি নিষেধাজ্ঞা।

    আরও পড়ুন: সিঁদুর সরিয়ে মহিলাদের কপালে ক্রস, বিহারে ধর্মান্তকরণের অভিযোগে গ্রেফতার ৩ মিশনারি

    সূত্রের খবর, দুবাই-ভিত্তিক ব্যবসায়ী বা কোম্পানিগুলি চিন থেকে যন্ত্রপাতি লিজে নেয় বা আমদানি করে। পরে সেগুলি রফতানি করে ভারতে। এই পদ্ধতি ভারতীয় কোম্পানিগুলিকে নিষেধাজ্ঞা এড়াতে সাহায্য করে। এতে অবশ্য আন্তর্জাতিক বাণিজ্য আইনও লঙ্ঘিত হয় না। এই পদ্ধতির সব চেয়ে বড় ত্রুটি হল হাতফের হওয়ার দরুণ প্রকল্পের খরচ বেড়ে গিয়েছে ১০ শতাংশ পর্যন্ত। যে জিনিস আসতে ১৫ দিন লাগত, সেটাই হাত ঘুরে আসতে সময় লাগছে তিন মাস (Indias Growth)। এছাড়া, লজিস্টিকস, গুদামজাতকরণ এবং অর্থায়ন সম্পর্কিত অতিরিক্ত খরচও যুক্ত হচ্ছে (China)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Uttar Pradesh: ঝাঁসির মেডিক্যাল কলেজে অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত ১০ শিশু! শোক প্রকাশ রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীর

    Uttar Pradesh: ঝাঁসির মেডিক্যাল কলেজে অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত ১০ শিশু! শোক প্রকাশ রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) হাসপাতালে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা! ঝাঁসির মেডিক্যাল কলেজের (Jhansi Medical College) নিওনেটাল ইনটেনসিভ ইউনিটে ভয়াবাহ অগ্নিকেণ্ডে ১০ শিশুর মৃত্যু ঘটেছে। সেই সঙ্গে আরও ১৬ জন শিশুর অবস্থা অত্যন্ত সঙ্কটজনক, তাদের চিকিৎসা চলছে। আগুন লাগার স্থলে অক্সিজন সরবরাহের পাইপ লিক হয়ে আরও বিধ্বংসী রূপ নেয়। ঘটনার পর থেকেই মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ প্রশাসনকে তৎপর হয়ে উদ্ধার এবং ত্রাণকাজের জন্য প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন। অপর দিকে, দেশের রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রী এই ঘটনায় মৃত শিশুর পরিজনদের প্রতি শোকবার্তা দিয়ে সবরকম সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন। ইতিমধ্যে নিহতদের জন্য ২ লাখ করে টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে।

    অক্সিজেন কনসেনট্রেটরের ভিতরে হঠাৎ আগুন লেগে (Uttar Pradesh)

    ঝাঁসি (Uttar Pradesh) মেডিক্যাল সুপারিনটেনডেন্ট (Jhansi Medical College) শচীন মহর দুর্ঘটনার বিবরণ দিয়ে বলেন, “এনআইসিইউ ওয়ার্ডে ৫৪ জন শিশু ভর্তি ছিল। কিন্তু অক্সিজেন কনসেনট্রেটরের ভিতরে হঠাৎ আগুন লেগে যায়। আগুন নেভানোর চেষ্টা করা হয় কিন্তু ওই ঘরে অক্সিজেন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ায় মারাত্মক রূপ নেয় আগুন। বেশ কিছু শিশুকে উদ্ধার করা গেলেও ১০ জন সদ্যোজাতের মৃত্যু হয়। আহতদের দ্রুততার সঙ্গে চিকিৎসার কাজ চলছে। প্রশাসন সবরকম ভাবে সহযোগিতায় কাজ করে চলছে।”

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাত প্রায় পৌনে ১১টা নাগাদ আগুন লেগেছিল ওই হাসপাতালে। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, হাসপাতালের নিকু ওয়ার্ড হঠাৎ ধোঁয়ায় ঢেকে গিয়েছিল। দমকল পৌঁছনোর আগেই শিশু বিভাগের জানলা ভেঙে ৩৭ জন শিশুকে উদ্ধার করে বাইরে বার করা হয়েছিল। ঝাঁসির ডিভিশনাল কমিশনার এবং ডিআইজিকে ১২ ঘণ্টার মধ্যে প্রাথমিক রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে।

    শিশু মৃত্যু অত্যন্ত দুঃখজনক বললেন যোগী

    অগ্নিকাণ্ডে মৃত শিশুদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ নিজের এক্স হ্যান্ডলে বলেন, “ঝাঁসি (Uttar Pradesh) জেলায় অবস্থিত মেডিক্যাল কলেজের (Jhansi Medical College) এনআইসিইউতে ঘটনা অত্যন্ত হৃদয়বিদারক। শিশু মৃত্যু অত্যন্ত দুঃখজনক। জেলা প্রশাসন, স্বাস্থ্য মন্ত্রক এবং বিপর্যয় বাহিনীকে উদ্ধার-ত্রাণ কাজের জন্য সব রকম সহযোগিতা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মৃত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই।”

    ৩টি মৃত শিশুর ডিএনএ পরীক্ষা

    পাশাপাশি উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) উপ-মুখ্যমন্ত্রী ব্রজেশ পাঠক বলেন, “এই দুর্ঘটনার কারণ সন্ধানের জন্য বিশেষ ভাবে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যারা এই ঘটনার জন্য প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে দায়ী তাদেরকে খোঁজ করে কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে। পরিচালনার জন্য কোনও রকম ত্রুটি পাওয়া গিয়েছে কিনা তারও তল্লাশি করা হবে। একই ভাবে রাজ্যসরকারের পক্ষ থেকে মৃতদের পরিবার পিছু ৫০,০০০ টাকা করে আর্থিক সাহায্য দেওয়া হবে।” উপ-মুখ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের আরও বললেন, “মৃত ১০ শিশুর মধ্যে ৩টি শিশুর ক্ষেত্রে ডিএনএ পরীক্ষা করে দেখা হবে। ইতি মধ্যে মৃত ৭ শিশুর দেহকে শনাক্ত করা হয়েছে। একই ভাবে আরও বেশ কিছু শিশু গুরুতর ভাবে আহত হয়েছেন। পুলিশের ডিআইজিকে ইতিমধ্যে রিপোর্ট দেওয়ার কথা বলে তলব করা হয়েছে।”

    রাষ্ট্রপতির শোক প্রকাশ

    এই মর্মান্তিক ঘটনার প্রতি শোক প্রকাশ করে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু নিজের এক্স হ্যান্ডলে বলেন, “উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) ঝাঁসির মহারানি লক্ষ্মীবাঈ মেডিক্যাল কলেজের (Jhansi Medical College) দুর্ঘটনায় বেশ কয়েকটি নবজাতকের মৃত্যু খবর এসেছে। এই ঘটনা অত্যন্ত হৃদয় বিদারক। ঈশ্বর শোকাহত পিতামাতাকে আঘাত সহ্য করার শক্তি প্রদান করুন। আর আহত শিশুদের দ্রুত আরোগ্য কামনার জন্য ভগবানের কাছে প্রার্থনা করি।”

    আরও পড়ুনঃ সিঁদুর সরিয়ে মহিলাদের কপালে ক্রস, বিহারে ধর্মান্তকরণের অভিযোগে গ্রেফতার ৩ মিশনারি

    প্রধানমন্ত্রীর দফতরের  বার্তা

    অত্যন্ত মর্মস্পর্শী এই দুর্ঘটনার প্রতি শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পিএমও-র অফিসিয়াল এক্স হ্যান্ডেলে লেখা হয়েছে, “উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) ঝাঁসি মেডিকেল কলেজে অগ্নিকাণ্ডের দুর্ঘটনা অত্যন্ত হৃদয় বিদারক। এতে যাঁরা তাঁদের নিষ্পাপ সন্তানদের হারিয়েছেন তাঁদের প্রতি আমার গভীর সমবেদনা। আমি ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি যে তাঁরা যেন তাঁদের এই অভূতপূর্ব ক্ষতি সহ্য করার শক্তি পান। রাজ্য সরকারের তত্ত্বাবধানে স্থানীয় প্রশাসন ত্রাণ ও উদ্ধারের জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করছে।” নিহতদের নিকটজনকে প্রধানমন্ত্রী জাতীয় ত্রাণ তহবিল থেকে এককালীন ২ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণাও করা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mass conversion: সিঁদুর সরিয়ে মহিলাদের কপালে ক্রস, বিহারে ধর্মান্তকরণের অভিযোগে গ্রেফতার ৩ মিশনারি

    Mass conversion: সিঁদুর সরিয়ে মহিলাদের কপালে ক্রস, বিহারে ধর্মান্তকরণের অভিযোগে গ্রেফতার ৩ মিশনারি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিহারের বক্সার (Buxar) জেলায় হিন্দুদের ধর্মান্তরিত (Mass conversion) করার অভিযোগ সামনে এসেছে। জানা গিয়েছে, তিনজন খ্রিস্টান মিশনারী ৫০ থেকে ৬০ জন হিন্দুকে খ্রিস্টান ধর্মে ধর্মান্তরিত করেছেন। এই রকমই একটি ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে (যদিও ভিডিও-র সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম)। সেখানে দেখা যাচ্ছে, ওই খ্রিস্টান মিশনারিরা হিন্দু মহিলাদের গঙ্গায় ডুব দেওয়ানোর পরে তাঁদের মাথায় ক্রস চিহ্ন এঁকে দিচ্ছেন এবং সিঁদুর সরিয়ে ফেলতে নির্দেশ দিচ্ছেন। এই ভিডিও ভাইরাল হতেই হিন্দু সংগঠনগুলি প্রতিবাদে নামে। তারপরেই অভিযোগের ভিত্তিতে বিহার পুলিশ তিনজন মিশনারিকে গ্রেফতার করে। মিশনারিদের অবশ্য দাবি, ওই হিন্দুরা তাঁদের নিজেদের ইচ্ছাতেই ধর্মান্তরিত হয়েছেন এবং বাইবেল পড়ে তাঁরা ধর্মান্তরিত (Mass conversion) হয়েছেন। বিষয়টি প্রথম সামনে আসে ১৪ নভেম্বর। জানা গিয়েছে, এটি বিহারের বক্সার জেলার সিমরি থানার অন্তর্গত নাগপুরা গ্রামের ঘটনা।

    মিশনারিদের পরিচয় (Mass conversion)

    অভিযুক্ত তিন জন মিশনারির মধ্যে দুইজনের বাড়ি বিহারে। তাঁদের নাম রাজুরাম এবং রাজীব রঞ্জন। তৃতীয় জনের বাড়ি তামিলনাড়ুতে তাঁর নাম স্যামুয়েল। বিহারের মিশনারি রাজুরাম বলেন, ‘‘অনেক হিন্দুই তাঁর কাছে এসেছিলেন এবং নিজেদের অসুস্থতার কথা বলেছিলেন। আমি তাঁদেরকে ওষুধ খেতে বলি। তারপর তাঁদেরকে বলি যে আমি যিশুর কাছে প্রার্থনা করব। যাতে তাঁদের অসুস্থতা সেরে যায়। যাঁদের কষ্ট লাঘব হয়েছে, যাঁরা সুস্থ হয়েছেন তাঁরা স্বাধীনভাবেই খ্রিস্টান ধর্মকে গ্রহণ করেছেন।’’

    কী বলছেন সিমলি থানার ইনচার্জ?

    অন্যদিকে, সিমলি থানার (Buxar) অফিসার ইনচার্জ কমল নয়ন পাণ্ডে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে যাঁদেরকে ধর্মান্তকরণ করা হয়েছে, তাঁদের প্রত্যেকেরই গ্রামে বাড়ি এবং বাইবেল অনুসারে তাঁদের ধর্মান্তকরণ করা হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে বিষয়টি দেখছে এবং ধর্মান্তকরণ বিরোধী আইন মোতাবেক কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    কী বলছেন গিরিরাজ?

    এই ঘটনায় বিবৃতি সামনে এসেছে (Mass conversion) বিজেপি নেতা তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিংয়ের। তিনি সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘‘আগে আদিবাসীদের হয়রানি করা হত। এখন দরিদ্র আদিবাসীদের নানা প্রলোভনের ফাঁদে ফেলে ধর্মান্তকরণ করা হচ্ছে। ধর্মান্তকরণ নিষিদ্ধ করার জন্য শক্তিশালী আইন প্রয়োজন। প্রতিটি জেলাতেই এই ধরনের ঘটনা ঘটছে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RSS: শিক্ষা ছাড়া উন্নয়ন সম্ভব নয়, তবে শিক্ষাকে হতে হবে ভারত-কেন্দ্রিক, মনে করেন মোহন ভাগবত

    RSS: শিক্ষা ছাড়া উন্নয়ন সম্ভব নয়, তবে শিক্ষাকে হতে হবে ভারত-কেন্দ্রিক, মনে করেন মোহন ভাগবত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষা ছাড়া উন্নয়ন সম্ভব নয়, তবে শিক্ষাকে অবশ্যই ভারত-কেন্দ্রিক হতে হবে, এমনটাই জানালেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের (RSS) সরসঙ্ঘচালক মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। একই সঙ্গে তিনি সামাজিক সম্প্রীতিরও বার্তা দিয়েছেন। একইসঙ্গে তিনি আহ্বান জানিয়েছেন যে, ভারতকে এমন একটা মডেল দেশে পরিণত করা হোক, যাকে অনুসরণ করতে পারে গোটা বিশ্ব। প্রসঙ্গত, রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের (RSS) শাখা সংগঠন ভারতীয় শিক্ষণ মণ্ডলের তিনদিনের ‘ভিশন ফর বিকশিত ভারত’, সম্মেলন শুরু হয়েছে গুরুগ্রামে। অংশগ্রহণ করেছেন দেশের তরুণ গবেষকরা।

    ভাগবতের ভাষণ (RSS) 

    সেই সম্মেলনের উদ্বোধনী বক্তব্যে মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat) বলেন, ‘‘শিক্ষাকে বাদ দিয়ে উন্নয়ন সম্ভব নয়, কিন্তু শিক্ষাকে অবশ্যই ভারত-কেন্দ্রিক হতে হবে। আমাদের উচিত সারা বিশ্ব থেকে ভালো ভালো ভাবগুলিকে সংগ্রহ করা। কিন্তু কখনও আমরা অন্ধ অনুগামী হব না। প্রত্যেক শিক্ষকের দায়িত্ব হল, তাঁর ছাত্রদেরকে দিশা দেখানো। যাতে তাঁদের গবেষণা ভারত-কেন্দ্রিক হতে পারে।’’ রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের প্রধান আরও বলেন, ‘‘আজকে সারা পৃথিবীব্যাপী মাত্র ৪ শতাংশ মানুষ, ৮০ শতাংশ সংস্থানকে ভোগ করছেন। বিশ্বব্যাপী উন্নয়ন এখন পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার ক্ষেত্রে বড় সমস্যার কারণ হলে দাঁড়িয়েছে।’’ মোহন ভাগবত আরও (RSS) বলেন, ‘‘সারা বিশ্বব্যাপী বিতর্ক চলছে যে তারা উন্নয়নকে নেবে নাকি পরিবেশকে রক্ষা করবে।’’ এদিন তিনি আরও বলেন, ‘‘আমাদের বস্তুগত বিষয়গুলির উন্নয়ন যেমন দরকার, তেমন আমাদের মনেরও উন্নয়ন দরকার। যাতে আমাদের ভিতরে সর্বদাই সমৃদ্ধি এবং সুখী ভাবটা থাকে।’’

    হাজির ইসরো চেয়ারম্যান ও নোবেলজয়ী কৈলাশ সত্যার্থী

    প্রসঙ্গত, এই সম্মেলনে হাজির ছিলেন ইসরো চেয়ারম্যান এস সোমনাথও। তিনি এই সম্মেলনকে সম্বোধন করে বলেন, ‘‘আমাদের চন্দ্রযান মিশন সফল হয়েছে। আমাদের লক্ষ্য রয়েছে চাঁদে মানুষ পাঠানো ও ২০৪০ সালের মধ্যে নিজেদের নতুন স্পেস স্টেশন তৈরি করা।’’ এই সম্মেলনে হাজির ছিলেন নোবেল জয়ী কৈলাশ সত্যার্থীও। তিনি বলেন, ‘‘প্রথমবারের জন্য ১,২০০ গবেষক এবং দু লাখ অংশগ্রহণকারী এক ছাদের তলায় এসে জড়ো হয়েছেন। এটা পৃথিবীর বড় ইভেন্ট বলা যেতে পারে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Arsh Dalla: কানাডায় খালিস্তানি জঙ্গি আরশ ডাল্লা গ্রেফতার হতেই হস্তান্তরের আর্জি জানাল দিল্লি

    Arsh Dalla: কানাডায় খালিস্তানি জঙ্গি আরশ ডাল্লা গ্রেফতার হতেই হস্তান্তরের আর্জি জানাল দিল্লি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খালিস্তানি জঙ্গি (Khalistani Terrorist) আরশ ডাল্লাকে হস্তান্তর করার জন্য ভারতের বিদেশমন্ত্রক কানাডা সরকারের কাছে দাবি জানাল। কানাডার এক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সে দেশের অন্টারিওর মিল্টনের গুলি চালানোর ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে আরশ ডাল্লাকে (Arsh Dalla)। সেই খবর প্রকাশ্যে আসতেই তাকে হস্তান্তর করার জন্য ভারত জোরালো দাবি তুলল। 

    কী বলছেন ভারতের বিদেশ দফতরের মুখপাত্র?

    বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণদীপ জয়সওয়াল এ বিষয়ে সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘‘ কানাডা সরকারের ওই গ্রেফতারির খবর সম্প্রতি প্রকাশ্যে আসে। তার পরিপ্রেক্ষিতেই আমরা প্রত্যর্পণের অনুরোধ করছি। ভারতে আরশ ডাল্লার (Arsh Dalla) অপরাধমূলক অনেক অভিযোগ রয়েছে। তাই স্বাভাবিকভাবে এটা প্রত্যাশিত যে ভারতেও তার বিচার হওয়া উচিত।’’

    আরও পড়ুন: খাদ্যাভ্যাসে নিরামিষাশী, কণ্ঠস্থ ছিল রামায়ণ-মহাভারত, আজ বিরসা মুন্ডার ১৫০তম জন্মজয়ন্তী

    ২০২৩ সালেই তাঁকে গ্রেফতারির আবেদন জানায় দিল্লি

    প্রসঙ্গত, কানাডায় ২৮ অক্টোবর গুলি চালনার মামলায় তাঁকে (Arsh Dalla) অভিযুক্ত করা হয়। আরশ ডাল্লার (Khalistani Terrorist) বিরুদ্ধে খুন, খুনের চেষ্টা, তোলাবাজি, সন্ত্রাসে অর্থ জোগানো সহ ৫০টিরও বেশি গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। ২০২৩ সালে তাঁকে সন্ত্রাসবাদী ঘোষণা করে ভারত। তখনই ভারত সরকার কানাডার সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছিল তাকে গ্রেফতার করার জন্য। যদিও সেই আবেদন মানেনি কানাডা সরকার। অবশেষে ভারতের দাবিই মান্যতা পেল। গ্রেফতার করা হল আরশ ডাল্লাকে।

    ২০১৮ সালেই পাঞ্জাব থেকে কানাডায় পাড়ি দিয়েছিল ডাল্লা (Arsh Dalla)

    জানা গিয়েছে, কানাডাতে খুন হওয়া খালিস্তানি জঙ্গি নিজ্জরের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ছিল আরশ ডাল্লা। ২০২৩ সালের জুন মাসে কানাডায় বাইরে হত্যা করা হয় নিজ্জরকে। ২০১৮ সালেই পাঞ্জাব থেকে কানাডায় পাড়ি দিয়েছিল ডাল্লা (Khalistani Terrorist)। সেখানকার সারে নামে একটি জায়গাতে সে বসবাস করত। এমনটাই কানাডার সংবাদ মাধ্যম গ্লোব অ্যান্ড মেইল পত্রিকার প্রতিবেদনে ছাপা হয়েছে। সেখানে আরও বলা হয়েছে, ডাল্লা লক্ষ্যবীর নামের একটি গ্যাংয়ের সঙ্গেও যুক্ত।

     

    আরও পড়ুনঃ মণিপুরে নতুন করে হিংসা ছড়াতেই ৬টি থানা এলাকায় আফস্পা জারি

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Narendra Modi: বিমানে যান্ত্রিক ত্রুটি, দেওঘর বিমানবন্দরে ২ ঘণ্টারও বেশি আটকে গেলেন প্রধানমন্ত্রী

    Narendra Modi: বিমানে যান্ত্রিক ত্রুটি, দেওঘর বিমানবন্দরে ২ ঘণ্টারও বেশি আটকে গেলেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্বাচনী প্রচার শেষ করে দিল্লি ফেরার পথে বিমানবন্দরেই আটকে গেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বিমান ছাড়ার অনুমতি মেলেনি। প্রসঙ্গত, শুক্রবার ছিল আদিবাসী নেতা বিরসা মুন্ডার জন্মবার্ষিকী। এই দিনটি জনজাতি গৌরব দিবস হিসেবে পালন করা হয়। আগামী বুধবার ঝাড়খণ্ডে দ্বিতীয় তথা শেষ দফার নির্বাচন। তার আগে শুক্রবার আদিবাসী অধ্যুষিত রাজ্যের জামুই ও দেওঘরে দু’টি সভা করেন প্রধানমন্ত্রী (Narendra Modi)। সভা শেষ করে সোজা  দিল্লি ফিরে যাওয়ার কথা ছিল তাঁর। তার মধ্যেই এই বিপত্তি। প্রায় ২ ঘণ্টা অপেক্ষার পর বায়ুসেনার বিশেষ বিমানে প্রধানমন্ত্রী দিল্লির পথে রওনা দেন। 

    ঠিক কী ঘটেছে? (Narendra Modi)

    পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী, প্রচার শেষে দেওঘর থেকে বিমানে দিল্লি ফিরে যাওয়ার কথা ছিল তাঁর। সেই মতো বিমানবন্দরের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছিল। কিন্তু যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে নির্ধারিত সময়ে বিমান ওড়েনি। প্রধানমন্ত্রীর বিমানে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়। সেই কারণেই প্রধানমন্ত্রী মোদি (Narendra Modi) বিমানবন্দরে পৌঁছলেও, তড়িঘড়ি তাঁর বিমান আটকে দেওয়া হয়। বিমান পরীক্ষা করার কাজ চলে। কাজ করে টেকনিক্যাল টিম। বিমান সারাই হলে, তারপরই উড়বে বলে একটি সূত্রে জানা গিয়েছিল। পরে অবশ্য বায়ুসেনার বিশেষ বিমানে তিনি দিল্লি উড়ে যান। দিল্লি থেকেই সেটি পাঠানো হয়। দেওঘর বিমানবন্দরেই দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করেন প্রধানমন্ত্রী। সেই কারণে বিমানবন্দরের নিরাপত্তা আরও আঁটসাঁট করা হয়। 

    আরও পড়ুন: প্ররোচনা দিয়ে করা হয়েছিল খ্রিস্টান, ফের সনাতন ধর্মে ফিরলেন প্রায় ১৫০ হিন্দু

    আটকে রাহুলও

    অন্যদিকে, দেওঘর থেকে ৮০ কিলোমিটার দূরে ঝাড়খণ্ডের গোড্ডায় কপ্টারে প্রায় দু’ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয় লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীকে। এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল থেকে ছাড়পত্র না পাওয়ায় প্রায় দুই ঘণ্টা আটকে থাকে রাহুল গান্ধীর কপ্টার। কংগ্রেসের অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রীর (Narendra Modi) নিরাপত্তাকে অগ্রাধিকার দিতে গিয়ে বিধি ভেঙে রাহুলের কপ্টারকে ওড়ার অনুমতি দেওয়া হয়নি। দু’ঘণ্টা পরে পরে রাহুলের কপ্টারকে ওড়ার অনুমতি দেওয়া হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BSNL: গ্রাহকদের আরও কাছে! দেশে প্রথম  ‘স্যাটেলাইট টু ডিভাইস’ পরিষেবা চালু করল বিএসএনএল

    BSNL: গ্রাহকদের আরও কাছে! দেশে প্রথম ‘স্যাটেলাইট টু ডিভাইস’ পরিষেবা চালু করল বিএসএনএল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিএসএনএল (BSNL) ভারতে ‘স্যাটেলাইট টু ডিভাইস’ (Satellite to Device Service) পরিষেবা চালু করেছে। গ্রাহকদের নিরবিচ্ছিন্ন সংযোগ দিয়ে পরিষেবাকে আরও উন্নত করতেই তারা এই উদ্যোগ নিয়েছে। টেলিকমিউকেশন বিভাগের পক্ষ থেকে এই ঘোষণা করা হয়েছে। বিএসএনএলকে যাতে আরও সহজলভ্য করা যায়, সেই দিকে লক্ষ্য রেখেই এই ভাবনা বলে সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে।

    ভিয়াস্যাট (Viasat)-এর সঙ্গে যৌথভাবে কাজ (BSNL)

    জানা গিয়েছে, ভারত সঞ্চার নিগম লিমিটেড (BSNL) ভারতে প্রথম স্যাটেলাইট সংযোগ পরিষেবা চালু করেছে। এই (Satellite to Device Service) যোগাযোগ পরিষেবা মার্কিননির্ভর প্রযুক্তি কোম্পানি ভিয়াস্যাট (Viasat)-এর সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করবে। এর মূল লক্ষ্য হল দেশের প্রত্যন্ত গ্রামীণ এলাকার ব্যবহারকারীদের সংযুক্ত করা। এই উদ্যোগে ভারতের ভূ-মণ্ডল পৃষ্ঠের সমান্তরাল বরাবর যোগাযোগ স্থাপন হবে। বিশ্বের আর বাকি যে দেশগুলিতে এই ধরনের প্রযুক্তির ব্যবহার হয়, এখন থেকে তাদের সঙ্গে ভারতের নামও যুক্ত হল। একে বিরাট চমক বলেই অনেকে মনে করছেন।

    আরও পড়ুনঃ মণিপুরে নতুন করে হিংসা ছড়াতেই ৬টি থানা এলাকায় আফস্পা জারি

    ইউপিআই ব্যবহার করার সুবিধা 

    ভিয়াস্যাট কোম্পানি অক্টোবর মাসেই ইন্ডিয়া মোবাইল কংগ্রেসে অংশগ্রহণকারীদের জন্য স্যাটেলাইট চালিত এই পরিষেবা নিয়ে সফল প্রদর্শনী করেছিল। ইতিমধ্যে ট্রায়ালে দেখা গিয়েছে, নন টেরেস্ট্রিয়াল নেটওয়ার্ক সংযোগের জন্য সক্ষম একটি বাণিজ্যিক স্মার্টফোন ব্যবহার করে দ্বিমুখী এবং জরুরি বার্তা নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে প্রেরণ করা যায়। এই ক্ষেত্রে বার্তাগুলি প্রায় ৩৬০০০ কিমি দূরে জিও স্টেশনারি এল-ব্যান্ড স্যাটেলাইটে পাঠানো হয়েছিল। বিএসএনএল-এর (BSNL) এই স্যাটেলাইট (Satellite to Device Service) পরিষেবা ব্যবহারকারীরা প্রয়োজনীয় জরুরি কল, এসওএস বার্তা এবং ইউপিআই ব্যবহার করার সুবিধা পাবেন বলে জানা গিয়েছে। তবে জরুটি অবস্থার বাইরে দৈনন্দিন ব্যবহারের জন্য নিয়মিত কল বা এসএমএস করা যাবে কিনা, তা এখনও স্পষ্ট করে বলা হয়নি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Manipur: মণিপুরে নতুন করে হিংসা ছড়াতেই ৬টি থানা এলাকায় আফস্পা জারি

    Manipur: মণিপুরে নতুন করে হিংসা ছড়াতেই ৬টি থানা এলাকায় আফস্পা জারি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নতুন করে সহিংসতার মধ্যেই মণিপুরে (Manipur) সশস্ত্র বাহিনী বিশেষ ক্ষমতা আইন (আফস্পা) আরোপ করা হয়েছে। সশস্ত্র বাহিনীর আইন জিরিবাম সহ ছয়টি থানায় পুনর্বহাল করা হয়েছে। উল্লেখ্য এখানেই শেষবার হিংসা সংগঠিত হয়েছিল। উল্লেখ্য গত সোমবার নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে কুকি জঙ্গিদের সংঘর্ষে ১০ জন সন্দেহভাজন দুষ্কৃতীর হত্যার ঘটনা ঘটেছিল। গোটা এলাকা এখনও থমথমে।

    কোন কোন থানায় পুনর্বহাল আফস্পা (Manipur)?

    সেনা বাহিনীর পক্ষ থেকে এই এলাকাকে অশান্ত এলাকা হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। নতুন করে যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে তাই নিরাপত্তা বিষয়ে কড়া নজর রাখা হয়েছে। এলাকায় আফস্পা আরোপ করা হয়েছে। এই ছয় থানা হল— ইম্ফল পশ্চিম জেলার সেকমাই, লামসাং, ইম্ফলপূর্ব জেলার জিরিবাম, কাংপোকপির লেইমাখং এবং বিষ্ণুপুরের মৈইরাং।

    পুলিশের বিবৃতি

    অশান্তির ঘটনা না ঘটায় এবং পরিস্থিতি স্বাভাবিক দেখে মণিপুরের ১৯টি থানায় আফস্পা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছিল আগেই। কিন্তু ফের গত সপ্তাহে অশান্তির কারণে কড়া অবস্থান নিয়েছে সেনা। মণিপুর (Manipur) রাজ্যের পুলিশ একটি বিবৃতি দিয়ে বলেছে, “গত ৯ সেপ্টেম্বর মেইতি এবং কুকিদের সঙ্গে সংঘর্ষে ভয়ঙ্কর বন্দুক দিয়ে লড়াই হয়। মৃতদের মধ্যে তিনজন চুরাচাঁদপুর জেলার কুকি বিদ্রোহী বলে জানা গিয়েছে। চতুর্থ মৃতদেহটি জিরবামের কুকি স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে চিহ্নিত করা গিয়েছিল। আবার পঞ্চম মৃতদেহ মেইতি বিদ্রোহী গোষ্ঠী ইউনাইটেড ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্ট (পাম্বে)-এর সদস্য হিসেবে শনাক্ত করা গিয়েছে।”

    আরও পড়ুনঃ ‘হিংসার রাজধানী পশ্চিমবঙ্গ, তোষণের রাজনীতি করছেন মমতা’, তোপ গিরিরাজের

    সাসপেনশন অফ অপারেশনস চুক্তি

    ২০২৩ সালে হাইকোর্টের সংরক্ষণ বিষয়ক রায়কে ঘিরে মণিপুরের (Manipur) মেইতেই এবং কুকি গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষের সূত্রপাত। প্রচুর পরিমাণে মাদকদ্রব্য চোরাচালান, ড্রাগ কারবারি এবং মায়ানমারের একাধিক জঙ্গি সংগঠন সক্রিয় হয়ে উঠেছিল। কিন্তু ভারত সরকার এবং মণিপুর সরকারের যৌথ আহ্বানে কুকি-জো উপজাতিদের প্রায় ২৪টি বিদ্রোহী গোষ্ঠী একটি যুদ্ধবিরতি স্বাক্ষর করেছিল আগেই। যার নাম সাসপেনশন অফ অপারেশনস চুক্তি। তাতে বলা হয়, বিদ্রোহীরা নির্ধারিত ক্যাম্পে থাকতে হবে এবং তাদের অস্ত্র জমা রাখতে হবে। নিয়মিত চলবে নজরদারি। যদিও এই চুক্তি গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে শেষ হয়েছে। এখনও চুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়নি। মণিপুরের পার্বত্য অঞ্চলে হিংসার ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ২২০ জনেরও বেশি লোককে হত্যা করা হয়েছে। সেই সঙ্গে প্রায় ৫০,০০০ মানুষকে অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত করা হয়েছে। সবটা মিলিয়ে মণিপুরে অশান্তির কালো মেঘ এখনও কাটেনি। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: বিরসা মুন্ডার জন্মজয়ন্তীতে জামুইতে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন মোদির, ৬,৬৪০ কোটির প্রকল্পের সূচনা

    PM Modi: বিরসা মুন্ডার জন্মজয়ন্তীতে জামুইতে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন মোদির, ৬,৬৪০ কোটির প্রকল্পের সূচনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার জনজাতি গৌরব দিবস পালন করতে বিহারের জামুইতে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। প্রসঙ্গত ১৫ নভেম্বর বিরসা মুন্ডার জন্মদিন। এই দিনটিকে মোদি সরকার জনজাতি গৌরব দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছে। চলতি বছরে বিরসা মুন্ডার (Birsa Munda) দেড়শতম জন্মবার্ষিকী পালন হচ্ছে দেশজুড়ে। এই উপলক্ষেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জামুইতে ভগবান বিরসা মুন্ডার মূর্তিতে মাল্যদান করেন।

    কী লিখলেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)? 

    নিজের এক্স হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) এনিয়ে লেখেন, ‘‘জনজাতি গৌরব দিবসে ভগবান বিরসা মুন্ডার দেড়শতম জন্মবার্ষিকীর শুভারম্ভ হল। এই কার্যক্রমে অংশ নিয়ে আমি নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করছি। জামুইয়ের ভূমি থেকে আমি সমস্ত আদিবাসী ভাই-বোনেদের অভিনন্দন জানাচ্ছি।’’ 

    প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) এদিনই ভগবান বিরসা মুন্ডার স্মরণে একটি মুদ্রা এবং পোস্টাল স্ট্যাম্পও চালু করেন। এর পাশাপাশি, এদিন তিনি ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করে একাধিক উন্নয়মূলক প্রকল্পের। যার মূল্য ৬,৬৪০ কোটি টাকা। এই প্রকল্পগুলি আদিবাসীদের জীবনযাত্রার উন্নয়নে কাজে লাগবে বলে জানান তিনি।

    মানুষের উন্মাদনা ছিল তুঙ্গে

    প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) এদিন জামুইতে পা রাখতেই জনগণের উন্মাদনা তুঙ্গে ওঠে। মৌসুমী দেবী নামের এক স্থানীয় বাসিন্দা সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘আমরা এখানে মোদিজিকে দেখতে এসেছি। তিনি কৃষকদের তথা দেশের উন্নয়নের জন্য অনেক কাজ করেছেন। আমরা তাঁরই জন্য বিনামূল্য রেশন পরিষেবা পাচ্ছি করোনাকাল থেকে। আমরা তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞ।’’ প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কয়েক বছর আগে ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে, ‘ভগবান বিরসা মুন্ডা’র দুঃসাহসিক গল্প স্মরণ করেন এবং ঘোষণা করেন, তাঁর জন্ম-জয়ন্তী (Janjatiya Gaurav Divas), প্রতি বছর ‘জনজাতি গৌরব দিবস’ হিসেবে উদযাপন করা হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • DRDO: নতুন ‘গাইডেড পিনাকা ওয়েপন সিস্টেম’-এর সফল পরীক্ষা ভারতের, কেন গুরুত্বপূর্ণ?

    DRDO: নতুন ‘গাইডেড পিনাকা ওয়েপন সিস্টেম’-এর সফল পরীক্ষা ভারতের, কেন গুরুত্বপূর্ণ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সেনার কাছে অত্যন্ত পছন্দের এবং বিশ্বের দরবারে আলোড়ন ফেলে দেওয়া ১০০ শতাংশ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি ভারতের নিজস্ব ক্ষেপণাস্ত্র ‘পিনাকা’-র সর্বাধুনিক এবং নতুন গাইডেড উয়েপন সিস্টেমের সফল পরীক্ষা করল ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (DRDO)। 

    প্রোভিজনাল স্টাফ কোয়ালিটেটিভ রিকোয়ারমেন্টস (PSQR) এর অংশ হিসাবে এই পরীক্ষা করা হয়েছে। এই পরীক্ষায় একাধিক লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত আনার জন্য ক্ষেপণাস্ত্রের পরিসর, নির্ভুলতা, সামঞ্জস্য এবং ফায়ার রুটের মতো একাধিক প্যারামিটারও মূল্যায়ন করা হয়েছে। সেনা সূত্রে খবর, এদিনের পরীক্ষা হওয়া পিনাকা মার্ক ২ (Mk-II) সংস্করণের রকেটের পাল্লা প্রায় ৭৫-৯০ কিমি। সেখানে বর্তমানে সামরিক বাহিনীতে ব্যবহৃত সংস্করণের পাল্লা প্রায় ৪৫-৬০ কিমি। ফলত, এদিনের পরীক্ষা সফল হওয়ায় বাহিনীতে নয়া গাইডেড সিস্টেমের অন্তর্ভুক্তির বিষয়টি অনেকটাই এগিয়ে গেল।

    পর্যায়ক্রমে ট্রায়াল এবং সিস্টেম পারফরম্যান্স (DRDO)

    পিনাকা অস্ত্রের (Guided Pinaka Weapon) পরীক্ষাগুলি বিভিন্ন ফিল্ড ফায়ারিং রেঞ্জে তিনটি ধাপে পরিচালিত হয়েছিল। দুটি আপগ্রেড ইন-সার্ভিস পিনাকা লঞ্চার ব্যবহার করে প্রতিটি উৎপাদক সংস্থা থেকে মোট বারোটি রকেটকে পরীক্ষা করা হয়েছে। এই অস্ত্রের সিস্টেমে নির্ভুল স্ট্রাইকের জন্য উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে করা হয়েছে। মানদণ্ড প্রি-সালভো মোডে একাধিক লক্ষ্যবস্তুতে ‘হিট’ নিশ্চিত করেছে। 

    ভারতের ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’-র বিশেষ উদ্যোগ

    গাইডেড পিনাকা একটি সম্পূর্ণ দেশীয় সিস্টেম যা ডিআরডিও (DRDO) ল্যাবোরেটরির একটি কনসোর্টিয়াম দ্বারা তৈরি করা হয়েছে। এই রকেট সিস্টেম তৈরি করেছে আরমানেন্ট রিসার্চ এবং ডেভেলপমেন্ট এস্টাবলিশমেন্ট। সহযোগী হিসেবে কাজ করেছে রিসার্চ সেন্টার ইমারত, ডিফেন্স রিসার্চ এবং ডেভেলপমেন্ট অথরিটি। গোলাবারুদ উৎপাদন পরিচালনা করতে মিউনিশনস ইন্ডিয়া লিমিটেড এবং ইকোনমিক এক্সপ্লোসিভস লিমিটেডের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। টাটা অ্যাডভান্সড সিস্টেমস লিমিটেড, লারসেন অ্যান্ড টুব্রো পিনাকা লঞ্চার এবং একাধিক সরঞ্জামগুলির নকশা ও উৎপাদনে কাজ করেছে। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং ডিআরডিও এবং সহযোগী সংস্থাগুলিকে সফল পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণের জন্য অভিনন্দন জানিয়েছেন।

    পিনাকা সিস্টেমের মূল বৈশিষ্ট্য

    পিনাকা (Guided Pinaka Weapon) মাল্টি-ব্যারেল রকেট লঞ্চার (এমবিআরএল) একটি বহুমুখী এবং অত্যন্ত কার্যকর আর্টিলারি অস্ত্র, যা বর্ধিত রেঞ্জে দ্রুত এবং বিধ্বংসী করার জন্য নকশা করা হয়েছে। ভগবান শিবের ঐশ্বরিক ধনুকের নামানুসারে নামকরণ হয়েছে। পিনাকা সিস্টেম প্রাথমিকভাবে ভারতীয় সেনাবাহিনীতে প্রাচীন রাশিয়ান গ্র্যাড বিএম-২১ (BM-21) রকেট লঞ্চারের অনুকরণে  তৈরি করা হয়েছে এই পিনাকা এমবিআরএল-কে।এই রকেটগুলি (DRDO) নির্ভুল স্ট্রাইকে অত্যন্ত সক্ষম। সিস্টেমটি সুরক্ষিত, উচ্চ-মূল্যের লক্ষ্যগুলির বিরুদ্ধে আরও কার্যকর ভাবে কাজ করতে পারে।

    পিনাকা সিস্টেমে বিশ্বব্যাপী চাহিদাপূর্ণ অস্ত্র। ইতিমধ্যে আন্তর্জাতিক প্রতিরক্ষা বাজারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। আর্মেনিয়া ইতিমধ্যে এই পিনাকা কিনেছে ভারতের থেকে। শুধু তাই নয়, আজারবাইজানের বিরুদ্ধে চলমান যুদ্ধে তা ব্যবহারও করছে। অন্যদিকে, ফ্রান্সও এই পিনাকা কেনার বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। দু’দেশের মধ্যে আলোচনাও চলছে। এখন চূড়ান্ত সিলমোহর পড়তে বাকি।

    পিনাকা সিস্টেমকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবহৃত হাই মোবিলিটি আর্টিলারি রকেট সিস্টেম (HIMARS)-এর মতো যোগ্য প্রতিরূপ হিসাবে দেখা হয়। ভারতের ক্রমবর্ধমান প্রতিরক্ষা উৎপাদন ক্ষমতা এবং রফতানিতে ব্যাপক সাফল্য লক্ষ্য করা গিয়েছে। এই পিনাকা হল ভারতের প্রথম প্রধান অস্ত্র যা ভারতকে অস্ত্র রফতানিকারক দেশের মর্যাদা এনে দিয়েছে।

    আরও পড়ুনঃ চাপ মৌলবাদীদের! মুসলিম মহিলাদের বোরখা পরতে বাধ্য করা হচ্ছে এই দেশে, বিস্ফোরক গিরিরাজ

    ভারতীয় প্রতিরক্ষায় কৌশলগত ভূমিকা

    পিনাকা (Guided Pinaka Weapon) সিস্টেম ইতিমধ্যেই যুদ্ধের পরিস্থিতিতে প্রয়োজনীয়তাকে প্রমাণ করেছে। বিশেষ করে ১৯৯৯ সালের কার্গিল যুদ্ধের সময়, যেখানে এটি উচ্চ উচ্চতায় পাকিস্তানি বাঙ্কারগুলিকে লক্ষ্যবস্তু হিসেবে আঘাত করার ক্ষেত্রে সহায়ক হয়ে উঠেছিল। পাহাড়ের উপর পাকিস্তানি সেনাদের বাঙ্কার গুঁড়িয়ে দিতে এর প্রথম ব্যবহার করেছিল ভারত। আজ এই অস্ত্র ভারতীয় সেনাবাহিনীর জন্য একটি মূল সম্পদ। পাকিস্তানের সঙ্গে নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলওসি) এবং চিন-সীমান্তের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় (এলএসি) এই অস্ত্র মোতায়েন রয়েছে। আধুনিক আর্টিলারি যুদ্ধের কথা ভেবে এর কাঠামোতে উন্নত প্রযুক্তি যুক্ত করা হচ্ছে। ভবিষ্যতে আরও অত্যাধুনিক আপগ্রেডের লক্ষ্য হিসেবে এই ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লাকে ১২০ কিমি, ১৫০ কিমি, এমনকী ২০০ কিমি পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হচ্ছে। যা ভারতীয় সেনাবাহিনীকে (DRDO) আরও মজবুত করবে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share