Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Amit Shah: একজন মাত্র বিজেপি বিধায়ক থাকলেও মুসলিম সংরক্ষণে ‘না’, কংগ্রেসকে হুঁশিয়ারি অমিত শাহের

    Amit Shah: একজন মাত্র বিজেপি বিধায়ক থাকলেও মুসলিম সংরক্ষণে ‘না’, কংগ্রেসকে হুঁশিয়ারি অমিত শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “যতদিন পর্যন্ত একজন বিজেপি বিধায়ক থাকবেন, আমরা মুসলমানদের জন্য সংরক্ষণের অনুমতি দেব না।” কার্যত এই ভাবেই ঝাড়খণ্ডের নির্বাচনী প্রচারে ইন্ডি জোটকে আক্রমণ করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা প্রবীণ বিজেপি নেতা অমিত শাহ (Amit Shah)। একইভাবে সংরক্ষণ নীতির ইস্যুতে কংগ্রেসকে (Congress) তোপ দাগেন তিনি। উল্লেখ্য, বুধবার, ১৪ নভেম্বর এই রাজ্যে প্রথম দফায় নির্বাচন এবং ২০ নভেম্বর  দ্বিতীয় দফায় নির্বাচন। ভোটের গণনা ২৩ নভেম্বর। নির্বাচনী প্রচারে ব্যাপক জমজমাট।

    চোরেরা ভেবেছিল টাকা নিয়ে পালিয়ে যাবে (Amit Shah)!

    ঝাড়খণ্ড বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে বিজেপি নেতা অমিত শাহ (Amit Shah) ভাষণ দিয়ে বলেন, “দেশের বিরোধী দল কংগ্রেস (Congress) একটি সংরক্ষণ বিরোধী দল। তারা মুসলমান সমাজকে সংরক্ষণ দেওয়ার জন্য ভারতের হিন্দু সমাজের অনগ্রসর শ্রেণির সংরক্ষণ ব্যবস্থাকে অবলুপ্ত করতে চায়। কিন্তু এই আশা কোনও দিনই বাস্তবে পূরণ হবে না। যতক্ষণ পর্যন্ত বিজেপির একজন বিধায়কও থাকবেন, ততক্ষুণ পর্যন্ত মুসলমানদের জন্য সংরক্ষণ নীতিকে তাঁরা অনুমতি দেবেন না। ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার মন্ত্রী আলমগীর আলমের বাড়ি থেকে ৩৫ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত হয়েছে। একই ভাবে একজন কংগ্রেস সাংসদের বাড়ি থেকে ৩৫০ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত হয়েছে। এই বিপুল পরিমাণ টাকা কার? এই টাকা ধানবানদের, দরিদ্র যুবক-যুবতী এবং গরিব মায়েদের কাছ থেকে লুট করা হয়েছে। চোরেরা ভেবেছিল, টাকা নিয়ে পালিয়ে যাবে! এখানে বিজেপির সরকার গড়ুন, আমরা দুর্নীতিগ্রস্থদের সোজা করে দেবো।”

    আরও পড়ুনঃ নিমেষে ধ্বংস হবে হাজার কিমি দূরের যুদ্ধজাহাজ, ডিআরডিও-র নয়া মিসাইলের পরীক্ষা শীঘ্রই

    কৃষকদের ধান প্রতি কুইন্টাল ৩১০০ টাকায় কেনা হবে

    একইভাবে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন এবং কংগ্রেসকে (Congress) আক্রমণ করে আমিত শাহ (Amit Shah) বলেন, “মনরেগা প্রকল্পে জেএমএম সরকারের প্রধান ১০০০ কোটি টাকার আর্থিক কেলেঙ্কারি করেছেন। একই সঙ্গে খনিজ সম্পদে কেলেঙ্কারি, জমি কেলেঙ্কারি-সহ একাধিক দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত। এই রাজ্যে দুর্নীতিমুক্ত সরকার গঠন করা মোদির গ্যারান্টি। মহিলাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ২১০০ করে টাকা দেওয়া হবে। ৫০০ টাকায় গ্যাস দেওয়া হবে। দীপাবলি এবং রাখীবন্ধনে বিনামূল্যে গ্যাস সিলিন্ডারের ব্যবস্থা করে দেবো আমরা। রাজ্যে বিজেপি সরকার গঠন হলে যুবকরা ২০০০ করে টাকা পাবেন। কৃষকদের ধান প্রতি কুইন্টাল ৩১০০ টাকায় কেনা হবে। প্রতিবন্ধী এবং বিধবাদের জন্য পেনশেন ২৫০০ টাকা বৃদ্ধি করা হবে।”

    আদিবাসী সমাজের উন্নয়নে কাজ করবে

    এই প্রসঙ্গে রাজ্যের অনুপ্রবেশকারীদের সমস্যা নিয়ে সরব হয়েছেন অমিত শাহ (Amit Shah)। তিনি আরও বলেন, “রাজ্যের মানুষের অধিকারকে কেড়ে নিচ্ছে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা। আদিবাসী সমাজের মহিলাদের প্রলোভন দিয়ে বিয়ে করছে। এরপর আদিবাসীদের সম্পত্তির উপর আধিপত্য বিস্তার করে সুকৌশলে হাতিয়ে নিচ্ছে। বিজেপি ক্ষমতায় এলে সকল অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করে ফেরৎ পাঠানো হবে। স্থানীয় ভূমিপুত্রদের অধিকারকে কোনও রকম ভাবেও খর্ব করা যাবে না। আদিবাসী সমাজের উন্নয়নের জন্য কাজ করবে বিজেপি।”   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Rajnath Singh: বিশ্বের ‘ড্রোন হাব’ হওয়াই লক্ষ্য ভারতের, জানিয়ে দিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং

    Rajnath Singh: বিশ্বের ‘ড্রোন হাব’ হওয়াই লক্ষ্য ভারতের, জানিয়ে দিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আত্মনির্ভর ভারতের লক্ষ্যকে বাস্তবায়িত করতে প্রতিরক্ষায় আত্মনির্ভর হতে হবে। আর তারই অঙ্গ হিসেবে অত্যাধুনিক মানের ড্রোন তৈরি করছে ভারত৷ ভারতীয় সেনাবাহিনীর জন্যই বিশেষ ধরনের দেশীয় ড্রোন তৈরি করেছেন বিশেষজ্ঞরা। চেষ্টা করা হচ্ছে ড্রোন উৎপাদনের পরিমাণ বাড়িয়ে ড্রোন রফতানিও বাড়ানোর। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh) মঙ্গলবার দিল্লিতে অনুষ্ঠিত “অ্যাডাপটিভ ডিফেন্স: নেভিগেটিং দ্য চেঞ্জিং ল্যান্ডস্কেপ অফ মডার্ন ওয়ারফেয়ার” শীর্ষক প্রতিরক্ষা সংলাপে বলেন, ভারত বিশ্বে একটি ‘ড্রোন হাব’ হতে চায়। এটি শুধুমাত্র ভারতের অর্থনীতির জন্যই সহায়ক হবে না, বরং ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ এবং ‘আত্মনির্ভর ভারত’ কর্মসূচি আরও শক্তিশালী করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

    সরকারের পদক্ষেপ

    এদিনের আলোচনা সভায় রাজনাথ (Rajnath Singh) বলেন, “সরকার ড্রোন প্রযুক্তির ক্ষেত্রে ভারতের নেতৃত্বকে দৃঢ় করতে একাধিক উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। আমরা গবেষণা ও উন্নয়নকে শক্তিশালী করছি। নির্ভরযোগ্য সার্টিফিকেশন ব্যবস্থা এবং ভারতীয় মেধানির্ভর সম্পদ তৈরি করতে কাজ করছি। এছাড়াও, উদ্ভাবনকে পুরস্কৃত করতে আইডিইএক্স স্কিম চালু করা হয়েছে।” তিনি আরও বলেন, “ড্রোন এবং সোয়ার্ম প্রযুক্তি যুদ্ধের ধরনকে মৌলিকভাবে পাল্টে দিয়েছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে যুদ্ধের যে ধারণা ছিল, তা এখন আর প্রাসঙ্গিক নয়। ভূমি, আকাশ এবং জলপরিধির প্রতিরক্ষা ধারণাগুলি এখন একে অপরের সঙ্গে মিলে গিয়েছে ড্রোন এবং সোয়ার্ম প্রযুক্তির কারণে।”

    প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম রফতানির দিকে নজর

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রী (Rajnath Singh) বলেন, “আমরা ভারতের প্রতিরক্ষা রফতানি বাড়ানোর চেষ্টা করছি। বর্তমানে ভারত ১০০টিরও বেশি দেশে প্রতিরক্ষা সামগ্রী রফতানি করছে। ২০২৯ সালের মধ্যে ৫০,০০০ কোটি মূল্যের প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম রফতানির লক্ষ্য রয়েছে ভারতের। ভারত সাইবারস্পেস এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় উদীয়মান প্রযুক্তির ক্ষেত্রে বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ দেশ হিসেবে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।” তাঁর কথায়, “তথ্য যুদ্ধের বিরুদ্ধে আমাদের জাতীয় নিরাপত্তাকে সুরক্ষিত রাখতে সরকার অ্যাডাপটিভ ডিফেন্স কৌশল গ্রহণ করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mallikarjun Kharge: ‘গেরুয়াধারীদের রাজনীতি ছাড়া উচিত’! খাড়্গের মন্তব্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া সন্তসমাজের

    Mallikarjun Kharge: ‘গেরুয়াধারীদের রাজনীতি ছাড়া উচিত’! খাড়্গের মন্তব্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া সন্তসমাজের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে (Mallikarjun Kharge) মন্তব্য করেছিলেন যে, গেরুয়া পরা লোকেদের রাজনীতি ছেড়ে দেওয়া উচিত। প্রসঙ্গত, কংগ্রেস সভাপতি খাড়্গের এই কথার ইঙ্গিত ছিল উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের দিকেই। কংগ্রেস নেতার এহেন মন্তব্যে দেশ জুড়ে নিন্দার ঝড় শুরু হয়। সাধু-সন্ত-সন্ন্যাসীরাও তীব্র প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন কংগ্রেস সভাপতির এমন দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে। কংগ্রেসের সভাপতি খাড়্গের এই মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা জানিয়েছেন প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা তথা সন্ত আচার্য প্রমোদ কৃষ্ণম। তিনি খাড়্গের ধর্ম নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। অন্যদিকে, সন্ন্যাসী জগৎ গুরু রামভদ্রাচার্যের প্রশ্ন, গেরুয়াধারীরা বাদ যাবে, তবে কি গুন্ডারা রাজনীতি করবে? একইসঙ্গে রামভদ্রাচার্য জানিয়েছেন, গেরুয়া হল আসলে ভগবানের রঙ।

    কোথায় লেখা আছে যে গেরুয়াধারীদের রাজনীতি করা যাবে না?

    জগৎ গুরু রামভদ্রাচার্য (Mallikarjun Kharge) সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে খাড়্গের মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করেন। তিনি (Spiritual Leaders) বলেন, ‘‘এটা কোথায় লেখা আছে যে গেরুয়াধারীরা রাজনীতি করতে পারবেন না? তবে কি গুন্ডাদের রাজনীতি করা উচিত? লোফারদের রাজনীতি করা উচিত? গেরুয়াধারীদের রাজনীতি করতে হবে কারণ গেরুয়া হল ভগবানের রঙ।’’  ইতিহাস থেকে শিবাজী মহারাজের উদাহরণ টেনে এনে তিনি আরও বলেন, ‘‘রাজা শিবাজী গেরুয়া পতাকা উত্তোলন করেছিলেন এবং সমগ্র জাতি ও মহারাষ্ট্রকে একত্রিত করেছিলেন। তাই গেরুয়াধারীদের রাজনীতি করাই উচিত। স্যুট-বুটের পলিটিক্স ভারত থেকে বন্ধ হোক।’’

    কী বলেছিলেন মল্লিকার্জুন খাড়্গে (Mallikarjun Kharge)?

    সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ মন্তব্য করেছিলেন, ‘বাটেঙ্গে তো কাটেঙ্গে’ অর্থাৎ বিভক্ত হলেই আমরা ধ্বংস হয়ে যাব। হিন্দু ঐক্যের আহ্বান জানিয়ে এমন কথা বলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী। এই স্লোগানের সমালোচনা করে মল্লিকার্জুন খাড়্গে (Mallikarjun Kharge) মুম্বইতে বলেছিলেন, ‘‘অনেক নেতাই সাধুদের ছদ্মবেশে বসবাস করে বর্তমানে রাজনীতিবিদ হয়েছেন। কেউ কেউ মুখ্যমন্ত্রীও হয়েছেন। তাঁরা গেরুয়া পোশাক পরেন, তাঁদের মাথায় চুল নেই। আমি বিজেপিকে বলব হয় সাদা পোশাক পরুন নয়ত আপনি সন্ন্যাসী হয়ে গেরুয়া পোশাক পরলে রাজনীতি ছেড়ে দিন।’’

    ‘বাটেঙ্গে তো কাটেঙ্গে’ স্লোগান যোগীর, সমর্থন জগৎগুরু রামভদ্রাচার্যের 

    জগৎ গুরু রামভদ্রাচার্য অবশ্য যোগী আদিত্যনাথের ‘বাটেঙ্গে তো কাটেঙ্গে’ স্লোগানকে (Spiritual Leaders) সম্পূর্ণভাবে সমর্থন করেছেন এবং বলেন, ‘‘সম্প্রদায় আলাদা আলাদা হলেও আমাদের সকল হিন্দুদের ঐক্যবদ্ধ থাকা উচিত। আমরা এক হলে কেউ আমাদের ক্ষতি করতে পারবে না। এক একটি আঙুল এককভাবে দুর্বল কিন্তু একটি মুষ্টি শক্তিশালী।’’

    নিজের ধর্ম প্রকাশ করুন খাড়্গে

    অন্যদিকে, আচার্য প্রমোদ কৃষ্ণম মল্লিকার্জুন খাড়্গের ধর্ম নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন এবং তিনি বলেছেন, ‘‘কোনও হিন্দুই অন্ততপক্ষে সাধু-সন্ত এবং মহাত্মাদের অপমান করতে পারেন না।’’ সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রমোদ কৃষ্ণমের আরও দাবি, অবিলম্বে খাড়্গের উচিত, তাঁর নিজের ধর্ম কী? এনিয়ে সবাইকে জানানো। 

    সনাতন ধর্মের যাঁরা বিরুদ্ধে, তাঁরা আসলে ভারত-বিরোধী

    আচার্য প্রমোদ কৃষ্ণমের মতে, যে ধরনের বিবৃতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে দিয়েছেন, তা সন্ন্যাসীদের পক্ষে খুবই অপমানজনক। এএনআই-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আচার্য প্রমোদ কৃষ্ণম বলেন, ‘‘তাঁর নাম দেখে মনে হচ্ছে তিনি হিন্দু। কিন্তু তাঁর কাজ দেখে কখনও মনে হচ্ছে না, তিনি হিন্দু। তাঁর প্রথমে উচিত যে সবার সামনে প্রকাশ করা নিজের পরিচয়। তিনি হিন্দু বটেন কিনা!’’ মল্লিকার্জুন খাড়্গের বিরুদ্ধে আচার্য প্রমোদ কৃষ্ণম আরও বলেন, ‘‘সনাতন ধর্মের যাঁরা বিরুদ্ধে, তাঁরা আসলে ভারত-বিরোধী।’’ তিনি আরও দাবি করেন, ‘‘ভারতবর্ষ ঋষি প্রধান দেশ এবং সেই দেশে এ ধরনের মন্তব্য মানায় না।’’

    সনাতন ধর্মকে অপমান করছেন খাড়্গে

    প্রমোদ কৃষ্ণমের মতে, ‘‘নিঃসন্দেহে তিনি (খাড়গে) একজন সিনিয়র নেতা কিন্তু তিনি হিন্দু সন্ন্যাসীদের অপমান করছেন। সনাতন ধর্মকে অপমান করছেন। গেরুয়া রঙকে অপমান করছেন। এ ধরনের ব্যবহার তাঁর করা উচিত নয়। কোনও হিন্দুরই উচিত নয়, হিন্দু সন্ন্যাসীদের অপমান করা। যোগী আদিত্যনাথ সম্পর্কে এমন দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্য করা কখনও উচিত হয়নি মল্লিকার্জুন খাড়্গের।’’ প্রসঙ্গত, ‘বাটেঙ্গে তো কাটেঙ্গে’ স্লোগানটি যোগী আদিত্যনাথ প্রথম ব্যবহার করেন। হিন্দু ঐক্যের আহ্বান জানিয়ে এই স্লোগান দিয়ে মহারাষ্ট্র এবং ঝাড়খণ্ডে নির্বাচনী প্রচারও করেন তিনি। অন্যদিকে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও মহারাষ্ট্রে নির্বাচনের প্রচারে গিয়ে বলেন, ‘‘আমরা এক থাকলেই নিরাপদ।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Maha Kumbh 2025: মহাকুম্ভে ৪০ কোটি ভক্ত-সমাগমের সম্ভাবনা, কর্মসংস্থান হতে পারে ১.২৫ লক্ষ মহিলার

    Maha Kumbh 2025: মহাকুম্ভে ৪০ কোটি ভক্ত-সমাগমের সম্ভাবনা, কর্মসংস্থান হতে পারে ১.২৫ লক্ষ মহিলার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বের সর্ববৃহৎ হিন্দু ধর্মের মহামিলন দেখা যাবে উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজের মহাকুম্ভ মেলায় (Maha Kumbh 2025)। এই মেলাকে ঘিরে উত্তরপ্রদেশের রাজ্য প্রশাসন এবং মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ভীষণভাবে তৎপর। গত ২ বছর ধরে এই মেলার প্রস্তুতি চলছে। ত্রিবেণী সঙ্গমে সুবিশাল নগর বসানো হবে। দেশ-বিদেশ থেকে আনুমানিক ৪০ কোটি ভক্তদের সমাগম হবে মেলায়। একই ভাবে মেলার আয়োজন এবং প্রাচুর্যকে ঘিরে অভ্যন্তরীণ কর্মসংস্থানের বিরাট সুযোগ রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। মোট ৭ রাজ্য থেকে ১ লক্ষ ২৫ হাজার মহিলা কাজের (Employment) সুযোগ পাবেন।

    ১৪ হাজার স্বনির্ভর গোষ্ঠীর কাজ (Maha Kumbh 2025)

    ১২ বছর অন্তর বসে পূর্ণ কুম্ভমেলা। ১২টি পূর্ণকুম্ভ হলে একটি মহাকুম্ভ হয়। অর্থাৎ, প্রতি ১৪৪ বছরে একবার মহাকুম্ভের আয়োজন হয়। এই মহাযোগে ত্রিবেণীর ঘাটে স্নান করলে মেলে পুণ্য। আবার শাস্ত্র মতে, মানব জীবনের মুক্তির বাসনাও পূর্ণ হয় এই মহাকুম্ভে। জানা গিয়েছে, মেলার আয়োজনে পাতার প্লেট, কুলহার, পাটের ব্যাগ, কাপড়ের ব্যাগ, মাটির কাপ তৈরির বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বিহার, মধ্যপ্রদেশ, ওড়িশা, ঝাড়খণ্ড, ছত্তিশগড়, উত্তরাখণ্ড এবং উত্তরপ্রদেশ সহ মোট ২৮টি জেলার মহিলাদের। উৎপাদিত পণ্য এই রাজ্যগুলির মোট ৮৬টি জেলার গ্রুপ দ্বারা প্রস্তুত করার কাজ করানো হয়েছে। মোট ১৪ হাজার স্বনির্ভর গোষ্ঠীর কাজে ১ লক্ষ ২৫ হাজার মহিলা প্রস্তুতির কাজে (Employment) নিযুক্ত হয়েছেন। এই বিরাট পরিমাণ কাজের ব্যবস্থা সত্যিই অভাবনীয় বলে অনেকে মনে করছেন।

    ৬০ কোটির বেশি প্লেট ও বাটি প্রস্তুত হবে

    জানা গিয়েছে, এই মহাকুম্ভ মেলায় (Maha Kumbh 2025) ৪০ কোটি সনাতনী দেশি-বিদেশি ভক্তদের সমাগম হবে। তাই ৬০ কোটির বেশি প্লেট এবং বাটি প্রস্তুত করার কাজ চলছে। জোর কদমে কাজ করছে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে মেলা কমিটিও। কাজ তদারকি করার জন্য দুই আইএএস অফিসার এবং ছয় পিসিএস অফিসারকে মোতায়েন করা হয়েছে। এই মহাকুম্ভের স্পেশাল এক্সিকিউটিভ অফিসার আকাঙ্ক্ষা রানা এবং সিডিও গৌরব কুমারকে নোডাল অফিসার করা হয়েছে।

    আরও পড়ুনঃ ‘মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড’ বেসরকারি সংস্থা, সরানো হোক ‘বোর্ড’ শব্দ, দাবি বিজেপি নেতার

    ২৫০টি দোকান খোলা হবে মেলায়

    তবে এবার মহাকুম্ভ মেলার (Maha Kumbh 2025) আখড়া, ভান্ডার এবং খাবারের এলাকায় কোনও রকম প্লাস্টিক জাতীয় জিনিসের ব্যবহার করতে নিষেধ করা হয়েছে। এই সমস্ত জায়গায় ন্যায্য মূল্যে পাতার প্লেট এবং কুলহার (মাটির ভাঁড়) সরবরাহ করা হবে। এ জন্য প্রত্যকে ক্ষেত্রে ১০টি করে দোকান খোলা হবে। মোট ২৫টি এলাকায় ২৫০টি দোকান খোলা হবে। সেই সঙ্গে স্পেশাল দোকানের সংখ্যা হবে ৫০টি। মেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রত্যেক জায়গায় গাড়িতে করে এই উপকরণগুলি পাঠানো হবে।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mahakumbh 2025: আগামী বছর প্রয়াগরাজে মহাকুম্ভ, পুণ্যার্থীদের সুবিধার্থে কী কী ব্যবস্থা নিচ্ছে রেল?

    Mahakumbh 2025: আগামী বছর প্রয়াগরাজে মহাকুম্ভ, পুণ্যার্থীদের সুবিধার্থে কী কী ব্যবস্থা নিচ্ছে রেল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৪৪ বছর পর এবার হচ্ছে মহাকুম্ভ। আগামী বছর প্রয়াগরাজে মহাকুম্ভ (Mahakumbh 2025) উপলক্ষে হবে মেলা। যেহেতু মহাকুম্ভের এই যোগ আসবে ফের ১৪৪ বছর পরে, তাই এবার রেকর্ড ভিড় হবে বলে আশা করছে উত্তরপ্রদেশ প্রশাসন। মহাকুম্ভে আসা পুণ্যার্থীরা যাতে সমস্যায় না পড়েন, তাই উদ্যোগী হয়েছে ভারতীয় রেলও (Indian Railways)। 

    মহাকুম্ভ স্নান শুরু (Mahakumbh 2025)

    প্রয়াগরাজ-সহ মোট ১০টি রেল স্টেশনের নিরাপত্তা বাড়ানোর ব্যবস্থা করছে রেল। রেলের আশা, এবার প্রায় ১০ কোটি মানুষ ট্রেনে চড়ে প্রয়াগরাজে পৌঁছবেন। প্রয়াগরাজ স্টেশনটি উত্তর-মধ্য রেলওয়ে অঞ্চলের আওতায়। মহাকুম্ভ (Mahakumbh 2025) স্নান শুরু হবে ১৪ জানুয়ারি। চলবে ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। যাত্রীদের জন্য বিভিন্ন পরিকাঠামো এবং সুযোগ-সুবিধা দিতে এবং আপগ্রেড করতে ৯৩৩ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে রেল (Indian Railways)।

    রেলের বিশেষ ব্যবস্থা

    জানা গিয়েছে, মহাকুম্ভ মেলা (Mahakumbh 2025) উপলক্ষে রেলমন্ত্রক এবার ৯৯২টি বিশেষ ট্রেন চালাবে রেল। এই ট্রেনগুলি প্রয়াগরাজ জংশন, সুবেদারগঞ্জ, নৈনি, চেয়োকি, প্রয়াগরাজ রামবাগ, ঝাঁসি, প্রয়াগরাজ সঙ্গম, প্রয়াগ এবং ফাফামাউ স্টেশন থেকে চলাচল করবে। যাত্রীদের নিরাপত্তায় রেলওয়ে স্টেশনগুলিতে সিসিটিভির পাশাপাশি ফেস রিকগনিশন (এফআর) ক্যামেরা বসাচ্ছে রেল (Indian Railways)। এই এফআর ক্যামেরাগুলি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দ্বারা চালিত এবং সন্দেহজনক কার্যকলাপ পর্যবেক্ষণ এবং সম্ভাব্য ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তিদের শনাক্তকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। সূত্রের খবর, প্রয়াগরাজের রেলওয়ে স্টেশনগুলিতে প্রায় ৬৫০টি সিসিটিভি এবং ১০০টি ফেস রিকগনিশন ক্যামেরা বসানো হবে (Mahakumbh 2025)।

    আঞ্চলিক রেলওয়ে (Indian Railways) স্টেশনগুলিতে বহু ভাষায় ঘোষণার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এর ফলে দেশের বিভিন্ন ভাষাভাষীর মানুষ তাঁদের নিজস্ব ভাষায় ট্রেন সংক্রান্ত তথ্যবলী সহজেই পেতে পারবেন। হিন্দি এবং ইংরেজির পাশাপাশি ১০টি আঞ্চলিক ভাষায় ঘোষণা করা হবে। এই ভাষাগুলি হল— গুজরাটি, মারাঠি, তামিল, তেলুগু, মালায়ালাম, কন্নড়, বাংলা, অসমিয়া, ওড়িয়া এবং পঞ্জাবি।

    আরও পড়ুন: কুর্সি যাচ্ছে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর, জিতছে বিজেপি, ইঙ্গিত জনমত সমীক্ষায়

    যেহেতু এবার ব্যাপক ভিড় হবে মহাকুম্ভ মেলায়, তাই ভিড় নিয়ন্ত্রণের জন্য অতিরিক্ত ১৬০০-এরও বেশি কর্মীর প্রয়োজন। এজন্য রেলওয়ে বোর্ড (Indian Railways) অন্য অঞ্চলগুলিকে বুকিং ক্লার্ক, বাণিজ্যিক-কাম-টিকিট ক্লার্ক, বাণিজ্যিক ব্যবস্থাপনা পরিদর্শক এবং সহকারী বাণিজ্যিক ম্যানেজার-সহ অতিরিক্ত কর্মী পাঠানোর জন্য অনুরোধ করেছে। মহাকুম্ভ মেলার সময় অতিরিক্ত সহায়তা প্রদান করার উদ্দেশ্যেই এই কর্মীদের চেয়ে পাঠানো হয়েছে। প্রসঙ্গত, প্রতি ১২ বছর অন্তর একবার করে হয় কুম্ভ। ১২টি কুম্ভ শেষে হয় মহাকুম্ভ। এই কুম্ভ এবং মহাকুম্ভ হয় প্রয়াগরাজে (Mahakumbh 2025)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ। 

  • DRDO: নিমেষে ধ্বংস হবে হাজার কিমি দূরের যুদ্ধজাহাজ, ডিআরডিও-র নয়া মিসাইলের পরীক্ষা শীঘ্রই

    DRDO: নিমেষে ধ্বংস হবে হাজার কিমি দূরের যুদ্ধজাহাজ, ডিআরডিও-র নয়া মিসাইলের পরীক্ষা শীঘ্রই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতিবেশী পাকিস্তান ও চিনকে টক্কর দিতে সব সময় প্রস্তুতি চালাচ্ছে ভারত। কোনওভাবেই দেশে শান্তি ও নিরাপত্তা বিঘ্নিত যাতে না হয় তার দিকে সজাগ দৃষ্টি সরকারের। সীমান্ত সুরক্ষার্থে সদা প্রস্তুত ভারতীয় সেনা, নৌবাহিনী ও বায়ুসেনা। সমুদ্র সীমান্তে প্রতিরক্ষার শক্তি বাড়াতে প্রথম থেকেই নজর দিয়েছে ভারতীয় নৌবাহিনী। সেই পথে হেঁটেই নতুন একটি দূরপাল্লার অ্যান্টি-শিপ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের (Anti-Ship Ballistic Missile) পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করতে চলেছে ভারত (DRDO)।

    নয়া মিসাইলের ক্ষমতা

    এএনআই সূত্রের খবর, ওই দূরপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লা হতে চলেছে ১ হাজার কিলোমিটারেরও বেশি। ওই ক্ষেপণাস্ত্র হাজার কিলোমিটার বা তারও বেশি দূরে থাকা এক জায়গায় ভাসমান বা চলন্ত কোনও যুদ্ধজাহাজ বা এয়ারক্র্যাফ্ট ক্যারিয়ারকে আঘাত হানতে সক্ষম। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (DRDO)-এর তরফে ওই ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করা হবে। এই অ্যান্টি-শিপ ব্যালিস্টিক মিসাইল যুদ্ধজাহাজ থেকে উৎক্ষেপণ করা যাবে, উপকূল থেকেও ছোড়া যাবে। দেশের পূর্ব উপকূলে এই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করা হবে।

    আরও পড়ুন: ভারত-মরিশাস সম্পর্ক আরও দৃঢ় হওয়ার আশা, বন্ধু রামগুলামকে জয়ের জন্য অভিনন্দন মোদির

    ব্যালিস্টিক মিসাইলের সংখ্যা বৃদ্ধি

    ভারতীয় নৌবাহিনীর জন্য তৈরি করা হয়েছে এই মিসাইল সিস্টেম। দূর পাল্লা থেকে শত্রুদের যুদ্ধজাহাজ ধ্বংস করার ক্ষমতা যাতে বাহিনীর হাতে থাকে, সেই কারণেই এমন পদক্ষেপ। ভারতের তিনদিকে রয়েছে জলসীমান্ত, সেই কারণেই নৌ প্রতিরক্ষাকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।  পাকিস্তান ও চিনের কাছে ইতিমধ্যেই এই অস্ত্র রয়েছে। চিনেও এর বড় স্টোরেজ রয়েছে। কিছুদিন আগে পাকিস্তান তাদের দেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষাও করেছে। এই পরীক্ষার তথ্য দিয়ে পাকিস্তানি নৌবাহিনী বলেছিল যে এই ক্ষেপণাস্ত্রটি ৩৫০ কিলোমিটার দূরত্বে আঘাত হানতে সক্ষম এবং স্থল ও সমুদ্র উভয় দিক থেকেই এটি উৎক্ষেপণ করা যেতে পারে। তারই পাল্টা ভারতের এই ক্ষেপণাস্ত্র। ভাঁড়ারে ব্যালিস্টিক মিসাইলের সংখ্যা বৃদ্ধি করে যাচ্ছে ভারতের সব প্রতিরক্ষা বাহিনীই। ইতিমধ্যেই প্রলয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র অর্ডার করেছে ভারতীয় সেনা ও ভারতীয় বিমানবাহিনী। দীর্ঘমেয়াদের যুদ্ধের দিকে তাকিয়ে তিন বাহিনীতেই ধীরে ধীরে ছোট ও মাঝারি পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রের ভাঁড়ার তৈরি করা হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Air India: হিন্দু ও শিখ যাত্রীদের হালাল-খাবার দেওয়া যাবে না, বিরাট ঘোষণা এয়ার ইন্ডিয়ার

    Air India: হিন্দু ও শিখ যাত্রীদের হালাল-খাবার দেওয়া যাবে না, বিরাট ঘোষণা এয়ার ইন্ডিয়ার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হালাল প্রত্যায়িত খাবারের (Halal-certified Food) বিরুদ্ধে অনেক দিন ধরেই সরব হয়েছিলেন অ-মুসলমান ধর্মাবলম্বীরা। কেন জোর করে ইসলামি হালাল খাবার খেতে হবে হিন্দু-শিখ ধর্মাবলম্বীদের? এটা ছিল আমজনতার প্রশ্ন। এবার দীর্ঘ সময়ের জন্য সবচেয়ে বড় পদক্ষেপ নিয়েছে এয়ার ইন্ডিয়া গ্রুপ (Air India)। হিন্দু ও শিখদের হালাল-খাবার পরিবেশন বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে টাটার মালিকানাধীন এই উড়ান সংস্থা। এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে দেশের সাধারণ নাগরিকগণ। এবার থেকে হালাল জাতীয় খাবার আর দেওয়া হবে না অ-মুসলিম বিমানযাত্রীদের। সামাজিক মাধ্যমে নেট- নাগরিকদের নানা মন্তব্য করতে দেখা গিয়েছে। বেশিরভাগই এয়ার ইন্ডিয়াকে সাধুবাদ জানিয়েছেন।

    খাবার পরিবেশনের রীতিতে এবার বদল

    টাটা গ্রুপের (Air India) ব্যবস্থাপনায় এয়ার ইন্ডিয়া একটি সাহসী পদক্ষেপ গ্রহণ করায় হিন্দু এবং শিখ সম্প্রদায়ের মধ্যে গভীরভাবে উচ্ছ্বাস লক্ষ্য করা গিয়েছে। গ্রুপের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়েছে, হিন্দু ও শিখ যাত্রীদের হালাল-প্রত্যায়িত খাবার (Halal-certified Food) পরিবেশন করা যাবে না। মুসলিম যাত্রীদের জন্য পৃথকভাবে এমওএমএল বা মুসলিম মিল স্টিকার বা লেবেল যুক্ত খাবার ‘বিশেষ’ বলে বিবেচিত হবে। টিকিট বুক করার সয়ম কোনও ব্যক্তি এমওএমএল বা হালাল-খাবারের অপশন টিক করলে তবেই কেবলমাত্র নথিভুক্ত ব্যক্তিদের হালাল খাবার পরিবেশন করা হবে। এই সিদ্ধান্তটি বহু বছর ধরে খাবার পরিবেশনের রীতিতে এবার বদল ঘটতে শুরু করবে। ধর্মী ও সাংস্কৃতিক অনুশীলনগুলিকে আরও ভালোভাবে যাতে সম্মান করা যায়, সেই দিকেও নজর থাকবে বলে জানা গিয়েছে। এয়ার ইন্ডিয়া জানিয়েছে, হালাল-প্রত্যায়িত খাবার কেবলমাত্র নির্দিষ্ট রুটেই উপলব্ধ হবে।

    হালালের ‘একচেটিয়া’ রাজত্ব ছিল

    এক দশকেরও বেশি সময় ধরে, হিন্দু এবং শিখ ধর্মাবলম্বী যাত্রীরা এয়ার ইন্ডিয়ার (Air India) ফ্লাইটে খাবারের বিকল্প ব্যবস্থার দাবি তুলে আসছিলেন। বিশেষ করে হালাল-খাবারের একচেটিয়া পরিবেশন রীতি মানুষের মনে প্রশ্ন তৈরি করেছিল। কিছু কর্মী এবং ধর্ম সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিরা এই ব্যবস্থাকে হালালের ‘একচেটিয়া’ রাজত্ব হিসাবে বর্ণনা করেছেন। যাঁরা ইসলাম ধর্মাবলম্বী নন, অর্থাৎ অ-মুসলিম তাঁদের উপর একটি খাদ্যাভ্যাসকে জোর করে চাপিয়ে দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ উঠেছে। এয়ার ইন্ডিয়ার সিদ্ধান্তের লক্ষ্য হল, হালাল শংসাপত্রের বাইরে উপলব্ধ বিকল্প খাবারগুলি যাতে সমস্ত যাত্রীদের খাদ্যতালিকায় থাকে সেই বিশ্বাসকে সম্মান করতে হবে।

    যাত্রীদের বিভিন্ন চাহিদা মেটানোই লক্ষ্য

    জানা গিয়েছে, টাটা গ্রুপের এয়ার ইন্ডিয়ার (Air India) সাম্প্রতিক পদক্ষেপের একাটাই লক্ষ্য যাত্রীদের বিভিন্ন চাহিদা মেটানো। হিন্দু, শিখ এবং অন্যান্য ধর্মাবলম্বীরা তাঁদের নিজস্ব সাংস্কৃতিক এবং ধর্মীয় রীতিগুলির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ খাবারের বিকল্প পরিষেবাগুলিকে উপলব্ধ করা। এই ঘোষণা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় তুমুল আলোচনা ও প্রশংসা হচ্ছে। বিশেষ করে হিন্দু এবং শিখ ধর্মের মানুষেরা এই ধরনের পরিবর্তনের জন্য দীর্ঘ প্রতীক্ষায় ছিলেন।

    আরও পড়ুনঃ রাম মন্দিরে হামলার হুমকি খালিস্তানপন্থী নেতা পান্নুনের, অযোধ্যায় জারি সতর্কতা

    সনাতন ডায়েট বোর্ড সার্টিফাইড প্রয়োজন

    সামাজিক মাধ্যমে নানা প্রতিক্রিয়া এসেছে। যেমন-‘মেঘ আপডেট’ নামে এক্স হ্যান্ডলের একটি অ্যাকাউন্ট থেকে উল্লেখযোগ্য ইতিবাচক পোস্ট ব্যাপক ঝড় তুলেছে। একে এক প্রকার আলোড়ন বলা বললেও কম বলা হবে। একজন ব্যবহারকারী মন্তব্য করেছেন, “এটি দীর্ঘ সময়ের জন্য প্রয়োজনীয় সবচেয়ে বড় পদক্ষেপগুলির (Air India) মধ্যে একটি। ১.৬ বিলিয়ন হিন্দু, ০.৫ বিলিয়ন বৌদ্ধ এবং জৈন-শিখ-সহ মোট ২.০ বিলিয়ন সনাতনীদের জন্য ভালো খবর (Halal-certified Food)। সনাতন ডায়েট (SATVIC/SANATAN DIET) বোর্ড সার্টিফাইড এবং সার্টিফিকেশনের প্রয়োজন এই সময়ে। এয়ার ইন্ডিয়ার (Air India) দারুণ খবর।”

    অন্য একজন সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারী মন্তব্য করেছেন, “সংখ্যালঘু প্রভাবের কারণে এখনও পর্যন্ত সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষই কেবলমাত্র ভুগছেন। ভাবা যায়! অবাক কাণ্ড, একবার কল্পনা করুন।” আবার আরও একজন উল্লেখ করে লিখেছেন, “এটি ভালো খবর। আমি অবাক হয়েছি যে এই দিকে এত বছর ধরে কেন নজর দেওয়া হয়নি। সকলের অলক্ষ্যে ছিল।” একই ভাবে একাধিক ধর্মীয় সংগঠনের পক্ষ থেকে খাদ্য তালিকা এবং পছন্দগুলির স্বীকৃতির জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে। এয়ার ইন্ডিয়ার (Air India) এই ঘোষণায় দেশজুড়ে ব্যাপক শোরগোল পড়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Hindu Sabha Temple: মন্দিরে হামলা, ট্রুডোর বিরুদ্ধে কানাডার কোর্টে আবেদন ভারতীয় আইনজীবীর

    Hindu Sabha Temple: মন্দিরে হামলা, ট্রুডোর বিরুদ্ধে কানাডার কোর্টে আবেদন ভারতীয় আইনজীবীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরও গাড্ডায় কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো (Justin Trudeau)। ভারতের সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী বিনীত জিন্দল কানাডার সুপ্রিম কোর্টে একটি পিটিশন দায়ের করেছেন। পিটিশনে ব্রাম্পটনে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া হিন্দু মন্দিরে আক্রমণের (Hindu Sabha Temple) সঙ্গে জড়িত সকলের, বিশেষ করে খালিস্তানপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদীদের বিরুদ্ধে তদন্তের দাবি জানানো হয়েছে।

    কানাডায় পিটিশন দায়ের (Hindu Sabha Temple)

    জিন্দল কানাডার প্রধান বিচারপতি রিচার্ড ওয়াগনারের কাছে ডিজিটালি এই পিটিশন জমা দেন। পিটিশনে হিন্দু ভক্ত ও হিন্দু সভা মন্দিরে আক্রমণের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে শাস্তি নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। পিটিশনে জিন্দল কানাডিয়ান সুপ্রিম কোর্টকে এই ঘটনার তদন্তের তত্ত্বাবধান করার আহ্বান জানান। বিশেষ করে পিল পুলিশের কর্মকর্তাদের আচরণ এবং ‘শিখস ফর জাস্টিসে’র মতো খালিস্তানপন্থী গোষ্ঠীর কার্যকলাপের ওপর নজরদারি করতে, যারা হিংসায় ইন্ধন জোগানোয় দায়ী বলে মনে করা হচ্ছে। পিটিশনে এমন পদক্ষেপের আহ্বান জানানো হয় যাতে অপরাধীদের জবাবদিহির আওতায় আনা হয়। কানাডার হিন্দু সম্প্রদায়ের উপাসনাস্থলগুলিতে যথাযথ নিরাপত্তা দেওয়ার আবেদনও করা হয়েছে পিটিশনে। জিন্দল এও উল্লেখ করেন, হিন্দু সম্প্রদায়ের উপাসনাস্থলগুলির (Hindu Sabha Temple) ওপর ক্রমবর্ধমান হিংসার ঘটনায় ধর্মীয় স্বাধীনতা রক্ষায় জরুরি হস্তক্ষেপের প্রয়োজন।

    কী বলছেন আইনজীবী

    সংবাদ মাধ্যমে (Justin Trudeau) সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে সুপ্রিম কোর্টের ওই আইনজীবী বলেন, “বর্তমান জাস্টিন ট্রুডো সরকারের পক্ষ থেকে ভারত সরকারের খালিস্তানপন্থী জঙ্গিদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার অনুরোধের কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানানো হচ্ছে, তাও এখন সুপরিচিত। ৩ নভেম্বর, খালিস্তানপন্থীরা হিন্দু সভা মন্দিরে হামলা চালায়। ভক্তদের মারধরও করা হয়। এই ঘটনার সময় পিল পুলিশের (এই অঞ্চলেই ঘটনাটি ঘটেছিল) কর্মকর্তারাও হিন্দু ভক্তদের ওপর আক্রমণ চালিয়েছিল (এ সংক্রান্ত ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল, যার সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম)। এরপর থেকে কানাডায় রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক ক্ষেত্র-সহ সব দিক থেকেই হিন্দুরা হামলার শিকার হচ্ছে। এই মুহূর্তে কানাডায় আমাদের হিন্দু ভাইয়েরা প্রচণ্ড চাপের মধ্যে রয়েছে।’’

    ট্রুডো সরকারের মদত!

    তিনি বলেন, “খালিস্তান টাইগার ফোর্স এবং শিখস ফর জাস্টিসের মতো খালিস্তানপন্থী জঙ্গি সংগঠনগুলি ট্রুডো সরকারের মদত পাচ্ছে বলে অভিযোগ। তার জেরে হিন্দু যুবকদের মিথ্যে হিংসা ও ঘৃণার মামলায় ফাঁসিয়ে দিচ্ছে খালিস্তানপন্থী ওই সংগঠনের সদস্যরা।” জিন্দল বলেন, “আমি এই পদক্ষেপটি নিচ্ছি যাতে কানাডার সর্বোচ্চ আদালতের মাধ্যমে একটি বার্তা পৌঁছে দেওয়া যায় এবং সেখানে বসবাসকারী প্রতিটি হিন্দুর জীবন ও স্বাধীনতা রক্ষার আহ্বান জানানো যায়।” জিন্দলের আশা, কানাডার বিচার ব্যবস্থা সঠিক বিচার করবে। তাঁর পিটিশনটিও গৃহীত হবে। কানাডায় হিন্দুদের বিরুদ্ধে হিংসায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করা হবে।

    হামলার ভিডিও ফুটেজ

    গত ৩ নভেম্বর কানাডার ব্রাম্পটনের হিন্দু সভা মন্দিরের (Hindu Sabha Temple) বাইরে অবস্থান বিক্ষোভ করছিলেন বেশ কয়েকজন খালিস্তানপন্থী। প্রত্যক্ষদর্শী ও হিন্দু-কানাডিয়ান ফাউন্ডেশনের শেয়ার করা ভিডিও ফুটেজ থেকে দেখা গিয়েছে, খালিস্তানপন্থী চরমপন্থীরা খালিস্তানের ঝান্ডার ডান্ডা নিয়ে মন্দির উপস্থিত হিন্দু ভক্তদের মারধর করে। খালিস্তানপন্থীদের এই ভিড়ে কানাডা পুলিশের এক কর্মীকেও দেখা গিয়েছে খালিস্তানপন্থী ঝান্ডা হাতে (যদিও কানাডা পুলিশের দাবি, ওই কর্মী তখন ডিউটিতে ছিলেন না)। জানা গিয়েছে, মন্দির কর্তৃপক্ষ এবং ভারতীয় কনস্যুলেটের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে অংশ নিতে ভক্তরা সেখানে জড়ো হয়েছিলেন। আচমকাই তাঁদের ওপর হামলা করে খালিস্তানপন্থীরা। তাদের মারের হাত থেকে রেহাই পাননি মহিলা, শিশু এবং প্রবীণরাও। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ভিডিও ফুটেজে দেখা গিয়েছে, কীভাবে উগ্রপন্থীরা অনুষ্ঠানটি বিঘ্নিত করছে। কীভাবেই তারা উপস্থিত ভক্তদের মারধর করছে।

    আরও পড়ুন: কুর্সি যাচ্ছে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর, জিতছে বিজেপি, ইঙ্গিত জনমত সমীক্ষায়

    তীব্র নিন্দা ভারতের

    কানাডার ওই ঘটনার তীব্র নিন্দা করে ভারত। কানাডিয়ান কর্তৃপক্ষকে সে দেশে ভারতীয় নাগরিক ও ধর্মীয় কাঠামোগুলির নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহ্বানও জানিয়েছিল ভারত। ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, “আমরা হিন্দু সভা মন্দিরে চরমপন্থী ও বিচ্ছিন্নতাবাদীদের করা উস্কানিমূলক হিংসার নিন্দা করছি। আমরা কানাডা সরকারকে অনুরোধ করছি এমন আক্রমণ থেকে যেন (Justin Trudeau) সে দেশের সব উপাসনালয়ের সুরক্ষা নিশ্চিত করা হয় (Hindu Sabha Temple)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ। 

       

  • Air India: এয়ার ইন্ডিয়ার সঙ্গে মিশে গেল ভিস্তারা, শুরু হল উড়ান চলাচল, পরিষেবা কেমন মিলবে?

    Air India: এয়ার ইন্ডিয়ার সঙ্গে মিশে গেল ভিস্তারা, শুরু হল উড়ান চলাচল, পরিষেবা কেমন মিলবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান। অবশেষে সেই শুভক্ষণ আসল। মঙ্গলবার ১২ নভেম্বর এয়ার ইন্ডিয়া (Air India) আনুষ্ঠানিকভাবে ভিস্তারার সঙ্গে মিশে যাচ্ছে। যাত্রীদের পরিষেবা আগের মতো বজায় রাখার জন্য বেশ কিছু ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এয়ার ইন্ডিয়ার সঙ্গে সংযুক্ত হওয়ার আগে সোমবার ভিস্তারা (Vistara) শেষ আন্তঃদেশীয় এবং আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনা করেছে। ভিস্তারার বুকিং সহ আনুমানিক ১ লক্ষ ১৫ হাজার যাত্রী সংযুক্তিকরণ হওয়ার পরে এয়ার ইন্ডিয়ার পরিষেবা পাবেন বলে জানা গিয়েছে। ভিস্তারায় যে ধরনের পরিষেবা যাত্রীরা পেতেন, এখনও সেই পরিষেবাই পাবেন বলে সংস্থার পক্ষে দাবি করা হয়েছে। সংস্থার দাবি, যাত্রী পরিষেবার ক্ষেত্রে কোনওরকম সমঝোতা করা হবে না।

    এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান সংখ্যা কত হল? (Air India)

    ভিস্তারা মূলত টাটা গ্রুপ এবং সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের মধ্যে একটি যৌথ উদ্যোগ ছিল। এবার তা এয়ার ইন্ডিয়ার (Air India) সঙ্গে সম্পূর্ণরূপে মিশে গেল। সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্স সম্প্রসারিত এয়ারলাইন্সে ২৫.১ শতাংশ অংশীদারিত্ব বজায় রাখবে। এই সংযুক্তিকরণ ভারতের বিমান শিল্পে একটি বড় পদক্ষেপ বলে ওয়াকিবহল মহল মনে করছে। আর ভিস্তারা মিশে যাওয়ার কারণে এয়ার ইন্ডিয়ার বহর উল্লেখযোগ্যভাবে প্রসারিত হয়েছে। ভিস্তারা তার ৭০টি বিমান নিয়ে প্রতিদিন প্রায় ৩৫০টি ফ্লাইট পরিচালনা করত। ২০২২ সালের নভেম্বরে এয়ার ইন্ডিয়ার সঙ্গে মিশে যাওয়ার ঘোষণার পর থেকে ভিস্তারা এবং এয়ার ইন্ডিয়ার সিস্টেম, কর্মী এবং অপারেশনগুলিকে একসঙ্গে করার প্রচেষ্টা চলছে। সংযুক্ত হওয়ার পর এখন এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২০৮টি। এই বিমান নিয়ে এবার ১০৩টি আন্তঃদেশীয় এবং ৭১টি আন্তর্জাতিক রুটে পরিষেবা দেবে। কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন যে, এয়ারলাইন্সটি ৪৯টি আন্তঃদেশীয় এবং ৪২টি আন্তর্জাতিক গন্তব্যে পরিষেবা দেবে।

    আরও পড়ুন: ‘বাঞ্ছারামের বাগান’ শূন্য! প্রয়াত বর্ষীয়ান অভিনেতা তথা নাট্যকার মনোজ মিত্র

    সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্স কত টাকা বিনিয়োগ করবে?

    ভিস্তারা মিশে যাওয়ার পরে এয়ার ইন্ডিয়াতে (Air India) ৩,১৯৪.৫ কোটি টাকা অতিরিক্ত বিনিয়োগ করবে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্স। এয়ার ইন্ডিয়ার সঙ্গে মিশে যাওয়ার পর বেশ কিছু সমস্যা এখনও রয়ে গিয়েছে। বিশেষ করে  অগ্রগতি হওয়া সত্ত্বেও, কিছু সমস্যা রয়ে গিয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে এয়ার ইন্ডিয়া কর্মীদের অবসরের সময়সীমা ৫৮ বছর। আর ভিস্তারার কর্মীদের অবসর হয় ৬০ বছরে। ফলে, সংযুক্ত হওয়ার পর কর্মীদের কী হবে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। পাইলটদের সিনিয়ারিটি কীভাবে নির্ধারণ হবে, সেই প্রশ্ন রয়েছে।

    নতুন কী কোড হল?

    আগামী মাসগুলিতে ওয়াইড বডি জেটসহ আরও বিমান যুক্ত হবে। সংযুক্তিকরণ হওয়ার পর ইন-ফ্লাইট অভিজ্ঞতায় যাত্রীরা কোনও পরিবর্তন প্রত্যক্ষ করবেন না। এয়ার ইন্ডিয়া (Air India) যাত্রীদের আশ্বস্ত করেছে যে, তাঁরা আগের মতোই একই বিশ্বমানের পরিষেবা উপভোগ করতে পারবেন। এয়ার ইন্ডিয়ার নতুন ফ্লাইট কোড করা হয়েছে। ভিস্তারা যে কোড ছিল তা এবার পরিবর্তন হয়ে যাবে। সোমবার রাতে এয়ার ইন্ডিয়ার সঙ্গে মিশে যাওয়ার পর মঙ্গলবার থেকে এয়ারলাইন্সটির ফ্লাইট কোড ‘UK’ থেকে ‘AI2XXX’-এ পরিবর্তিত হবে।

    শুরু হল উড়ান চলাচল

    সংযুক্তিকরণ হওয়ার পর এয়ার ইন্ডিয়া-ভিস্তারা সংস্থাটি সোমবার মধ্যরাত ১২.১৫ মিনিট নাগাদ দোহা থেকে মুম্বই পর্যন্ত প্রথম ফ্লাইট পরিচালনা করেছে বলে জানা গিয়েছে। প্রথম আন্তর্জাতিক ফ্লাইটটি ছিল Al2286, দোহা থেকে মুম্বইয়ের উদ্দেশে। আন্তঃদেশীয় ক্ষেত্রে প্রথম নির্ধারিত ফ্লাইটটি হবে Al2984, মুম্বই থেকে উড়ে গন্তব্য দিল্লি। দুপুর ১.২০ মিনিট নাগাদ টেক অফ করে। উভয় ফ্লাইটই আগে ভিস্তারার ফ্লাইট কোডের অধীনে পরিচালিত হয়েছিল। এখন মিশে যাওয়ার পরে এয়ার ইন্ডিয়ার নয়া কোড নিয়ে আকাশে উড়বে। একটি স্বাধীন এয়ারলাইন্স হিসেবে ভিস্তারার শেষ ফ্লাইট দিল্লি থেকে সিঙ্গাপুরগামী UK115 বিমানটি সোমবার  রাত ১১.৪৫ মিনিট নাগাদ টেক-অফ করেছিল।

    পাইলটরা কী বললেন?

    এয়ার ইন্ডিয়া এবং ভিস্তারা উভয়ই টাটা গ্রুপের অংশ। ভিস্তারা টাটা এবং সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের মধ্যে একটি যৌথ উদ্যোগ। সংযুক্ত হওয়ার দিনে ভিস্তারার পাইলটরা ফ্লাইট চলাকালীন যাত্রীদের আশ্বস্ত করেছিলেন যে, তাঁরা এখন এয়ার ইন্ডিয়া (Air India) ব্র্যান্ডের অধীনে একই প্রিমিয়াম অভিজ্ঞতা উপভোগ করতে পারবেন। ‘আকাশ সীমা নয়, শুধুই শুরু’: ভিস্তারা ‘ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে’ বলে হৃদয়গ্রাহী পোস্ট শেয়ার করেছে ভিস্তারা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ                                                     

  • AIMPLB: ‘মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড’ বেসরকারি সংস্থা, সরানো হোক ‘বোর্ড’ শব্দ, দাবি বিজেপি নেতার

    AIMPLB: ‘মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড’ বেসরকারি সংস্থা, সরানো হোক ‘বোর্ড’ শব্দ, দাবি বিজেপি নেতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড (এআইএমপিএলবি) থেকে ‘বোর্ড’ শব্দটি সরানোর দাবি জানিয়েছেন বিজেপির (BJP) সংখ্যালঘু মোর্চার সর্বভারতীয় সভাপতি জামাল সিদ্দিকি (Jamal Siddiqui)। তিনি আরও জানিয়েছেন, ওই সংস্থা যদি নাম পরিবর্তন না করে, সেক্ষেত্রে তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি দেবেন, এই সংস্থাকে (AIMPLB) নিষিদ্ধ করার দাবিতে।

    ১৯৭৩ সালে তৈরি হয় অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড

    ভারতে মুসলিমদের ব্যক্তিগত আইনের দিকগুলি দেখার জন্য ১৯৭৩ সালে তৈরি করা হয়েছিল বেসরকারি সংস্থা অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড (AIMPLB)। বোর্ডের কাছে তিনি যে চিঠি লিখেছেন, সেখানে সিদ্দিকি (Jamal Siddiqui) যুক্তি দিয়েছেন, ‘‘অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড একটি বেসরকারি সংস্থা, এটা কোনওভাবেই সরকারি সংস্থা নয়, তাই বোর্ড শব্দ সরানো উচিত।’’ এর পাশাপাশি এআইএমপিএলবি-কে (AIMPLB) সিদ্দিকি যে চিঠি লিখেছেন, সেখানে তিনি, অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ডের টাকার উৎস এবং অডিট রিপোর্ট সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য চেয়েছেন।

    মুসলমানদের ভাবমূর্তিকে কলঙ্কিত করছে মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড

    সংবাদ মাধ্যমকে সিদ্দিকি (Jamal Siddiqui) বলেন, ‘‘অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ডের (AIMPLB) কর্মকাণ্ড ভারতীয় মুসলমানদের ভাবমূর্তিকে কলঙ্কিত করছে। এর নাম পরিবর্তন করা উচিত।’’ সিদ্দিকি (Jamal Siddiqui) অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ডের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ এনে জানিয়েছেন, শুধুমাত্র লাভের দিকে তাকিয়ে এই সংস্থা মুসলিম সম্প্রদায়কে বিভ্রান্ত করছে। এরা শুধু নিজেদের লাভের জন্য ভুল তথ্য ছড়ায়।

    সংবিধানসম্মত সংস্থাই কেবল নামের পাশে বোর্ড শব্দ রাখতে পারে

    তিনি আরও জানিয়েছেন, শুধুমাত্র সংবিধান সম্মত সংস্থাই আইনত তাদের নামের পাশে ‘বোর্ড’ শব্দ ব্যবহার করতে পারে। শাহ বানো মামলা ও ওয়াকফ সংশোধনী বিল সহ বিভিন্ন বিষয়ে অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড (AIMPLB) যে ধরনের অবস্থান নিয়েছে, তার সমালোচনা করেছেন সিদ্দিকি (Jamal Siddiqui)। তিনি দাবি করেন, এই সংস্থা প্রতি পদে সরকারি সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে, এর ফলে সমগ্র মুসলমান সম্প্রদায়ের কল্যাণ হয় না ও তাদের অগ্রগতি ব্যাহত হয়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share