Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Mahakumbh Mela 2025: ৮০০০ জন তপশীলি ছাত্র-ছাত্রীদের ‘কুম্ভে দর্শন’-এ আধ্যাত্মিক যাত্রা করবে আরএসএস

    Mahakumbh Mela 2025: ৮০০০ জন তপশীলি ছাত্র-ছাত্রীদের ‘কুম্ভে দর্শন’-এ আধ্যাত্মিক যাত্রা করবে আরএসএস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘ (RSS) ৮০০০ তপশীলি ও সুবিধাবঞ্চিত ছাত্র-ছাত্রীদের ভারতীয় ঐতিহ্য এবং পরম্পরার সঙ্গে সংযুক্ত করতে আধ্যাত্মিক যাত্রা ‘পূর্ণ মহাকুম্ভ দর্শন’ করানোর বিশেষ কর্মকাণ্ড গ্রহণ করেছে। তবে শিক্ষার্থীদের মধ্যে তপশীলি জাতি এবং অন্যান্য দিক থেকে সামজিক ভাবে পিছিয়ে থাকা পড়ুয়ারাই থাকবে। সঙ্ঘের শিক্ষা বিষয়ক সংগঠন বিদ্যাভারতী এই পড়ুয়াদের ভারতের আবহমান কালের সংস্কৃতিক এবং আধ্যাত্মিক ঐতিহ্যের মহাসঙ্গমকে (Mahakumbh Mela 2025) হাতে কলমে দেখার সৌভাগ্য প্রদান করবে। তবে সঙ্ঘের এই ভাবনার মূলে রয়েছে কেবলমাত্র বিশ্বের বৃহত্তম ধর্মীয় সমাবেশে যাওয়া নয়, দারিদ্রতার কারণে আধ্যাত্মিক পরিসর থেকে দূরে থাকা ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে ধর্মভাব, আস্থা এবং বিশ্বাস যুক্ত ভারতীয়ত্ববোধ জাগরণের প্রচেষ্টা।

    প্রথমে অবধ থেকে ২১০০ পড়ুয়াকে পাঠানো হবে (Mahakumbh Mela 2025)

    আগামী ১৬ জানুয়ারি থেকে এই ‘কুম্ভদর্শন যাত্রা’ শুরু হবে। উত্তর প্রদেশের অবধ থেকে ২১০০ পড়ুয়াদের প্রাথমিকভাবে এই আধ্যাত্মিক যাত্রায় প্রয়াগরাজে পাঠানো হবে। এই পড়ুয়াদের মধ্যে সকলের বয়স প্রায় ১০ বছরের ঊর্ধে। সকলেই বিদ্যাভারতীর (RSS) স্কুলের পড়াশুনা করে। উল্লেখ্য সকল ছাত্র-ছাত্রীরা সামাজিক ভাবে আর্থিক দৃষ্টিকোণে দারিদ্র সীমার নিচে বসবাস করে। এই মহাকুম্ভ দর্শনের (Mahakumbh Mela 2025) প্রধান উদ্দেশ্য হল, ভারতের পিছিয়ে পড়া সমাজের ভাবী প্রজন্মরা যাতে ধর্মান্তরকরণের শিকার না হয় এবং সেই দিকে নজর দিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করা। হিন্দু ঐতিহ্য এবং সংস্কারের রূপ সম্পর্কে বিশেষ ধারণা নিয়ে মূল্যবোধের জায়গাকে শক্তিশালী করাই প্রধান উদ্দেশ্য।

    পুণ্য স্নানে কী মোক্ষ কীভাবে মিলবে, আধ্যাত্মিক যোগ কেমন?

    এই মহাকুম্ভে (Mahakumbh Mela 2025) দেশ-বিদেশ থেকে প্রচুর সাধু, সন্ত, সন্ন্যাসী, মুনি, যোগী, ঋষি-সহ প্রচুর পরিমাণে ভক্তের সমাগম হয়েছে। সাধুরা আবার মেলায় নিজের নিজের আখাড়া বা শিবির নির্মাণ করেছেন। এই শিবিরগুলিকে খুব কাছ থেকে দর্শন করানোর ব্যবস্থা করবে সঙ্ঘের বিদ্যাভারতী শাখা। আখড়াগুলিতে কীভাবে আধ্যাত্মিক সাধনা করা হয়, তাঁদের বেঁচে থাকার অভিপ্রায় কেমন? ঈশ্বরের স্বরূপ কীভাবে দেখা হয়, তাঁদের রীতিনীতি, পুজাচার এবং মূল দর্শন কেমন, তা পরিদর্শনের মধ্যে থাকবে। মেলায় পুণ্য স্নান, অমৃত স্নান কেন করা হয়? ইতিহাস কী? পুরাণে কী গল্প কথা রয়েছে? ত্রিবেণী সঙ্গমের অর্থ কী, জীবন কেমন, জগত কেমন, জন্মান্তরবাদ কী, ইত্যাদি বিষয়ে প্রাথমিক ধারণা দেওয়া হবে এই আধ্যাত্মিক যাত্রায়। লক্ষ লক্ষ মানুষের কাছে পাপ কী? পুণ্য কী, স্নানে মোক্ষ কীভাবে মিলবে এই সব কিছুর সঙ্গে আধ্যাত্মিক যোগ কেমন, এই সব কিছুকে পড়ুয়াদের কাছে তুলে ধরা হবে।

    ভারতীয় সংস্কৃতির মূল শিকড়ের কাছে নিয়ে যাওয়াই কাজ

    অবধের সঙ্ঘের (RSS) সেবা ভারতী স্কুলের এক শিক্ষক রামজি সিং বলেন, “আমাদের কাছে এই আধ্যাত্মিক যাত্রার আসল বিষয় হল পড়ুয়াদের ভারতীয় সংস্কৃতির মূল শিকড়ের কাছে নিয়ে যাওয়া। কেবল কুম্ভের জাগতিক বাস্তবতা নয়, কুম্ভ (Mahakumbh Mela 2025) যে একই সঙ্গে আধ্যাত্মিক ভাবে ধর্মের সারকথা তুলে ধরে, সেই বার্তাকে ওদের মনে গেঁথে দেওয়া আমাদের প্রধান কাজের মধ্যে পড়বে। পড়ুয়ারা কীভবে মন দিয়ে জ্ঞান অর্জন করবে এবং সচেতন হবে, সেই বিষয়ে পাঠ দেওয়া হবে। ফলে আগামীদিনে যে কোনও রকম ধর্মান্তকরণ গোষ্ঠী বা সম্প্রদায় থেকে নিজেদের সুরক্ষিত রাখা এই ছাত্র সমাজের একটা বড় কাজ হবে। এই পড়ুয়ারা নিজেদের কঠিন পরিস্থিতি এবং সমস্ত রকম প্রতিবন্ধকতাকে সরিয়ে ধীরে ধীরে মূল স্রোতের সঙ্গে মিশে যাচ্ছে।”

    ২৪ থেকে ২৬ জানুয়ারি পর্যন্ত ছাত্রছাত্রীদের আরেকটি দল যাবে

    বিদ্যাভারতী (RSS) মূলত বুনিয়াদি শিক্ষার পরিকাঠামোতে ভারতীয়ত্ববোধ বিষয়ে বিশেষ পাঠ্যক্রমে শিক্ষা প্রদান করে থাকে। একই ভাবে পাঠ্যক্রমের পাশাপাশি সাংস্কৃতিক ভাবে ‘ভারত মাতা কি জয়’ স্লোগান, দেশাত্মবোধ, ধর্মীয় আস্থা এবং সংস্কার বিষয়ে শিক্ষা প্রদানের কাজ করে থাকে। তবে কুম্ভমেলা শুধুমাত্র একটি ভ্রমণ নয়। জানা গিয়েছে, পড়ুয়া এবং অভিভাবকেদের যাত্রা যাতে চিত্তাকর্ষক, আরামদায়ক এবং শিক্ষামূলক হয় তার সম্পূর্ণ ব্যবস্থা করেছে বিদ্যাভারতী। মেলার (Mahakumbh Mela 2025) ৯ নম্বর সেক্টরে এই পড়ুয়াদের জন্য একটি বিশেষ শিবিরের ব্যবস্থা করা হয়েছে। একই ভাবে তাদের জন্য পানীয় জল, খাবার এবং নানা বিনোদনের উপকরণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আগামী ২৪ থেকে ২৬ জানুয়ারি ছাত্রছাত্রীদের আরেকটি দল গোরক্ষপুর, কানপুর এবং কাশী থেকে নিয়ে আসা হবে। একই ভাবে পূর্বাঞ্চলের পাশাপাশি পশ্চিমাঞ্চলের পড়ুয়াদেরও এরকম আধ্যাত্মিক যাত্রায় যোগদান করানো হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bharat Ranbhoomi Darshan: যুদ্ধক্ষেত্রে ভ্রমণের সুযোগ দেবে ভারত রণভূমি দর্শন! কার্গিল, শিয়াচেনে গিয়ে শুনবেন সেনার বীরগাথা

    Bharat Ranbhoomi Darshan: যুদ্ধক্ষেত্রে ভ্রমণের সুযোগ দেবে ভারত রণভূমি দর্শন! কার্গিল, শিয়াচেনে গিয়ে শুনবেন সেনার বীরগাথা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ওয়্যার মেমোরিয়াল কিংবা ইতিহাসের খ্যাতনামা যুদ্ধের স্মৃতিচিহ্ন দেখতে দেশ-বিদেশে ছুটে যান পর্যটকরা (Tourists)। এবার ভারতেও সেই সুযোগ মিলতে চলেছে পর্যটকদের। সেই তালিকায় থাকছে সীমান্তে সদ্য ঘটে যাওয়া সংঘর্ষ স্থলও। এত দিন পর্যন্ত সাধারণ পর্যটকদের জন্য কার্যত নিষিদ্ধ ছিল ওই এলাকাগুলি। দেশের সীমান্তবর্তী ঐতিহাসিক যুদ্ধক্ষেত্রগুলিকে এ বার পর্যটনক্ষেত্র (Battlefield Tourism) হিসাবে গড়ে তুলতে সক্রিয় হল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার। এই উদ্দেশ্যে বুধবার সেনা দিবসে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং ‘ভারত রণভূমি দর্শন’ (Bharat Ranbhoomi Darshan) নামে একটি ওয়েবসাইটের উদ্বোধন করেছেন।

    প্রতিরক্ষা ও পর্যটন মন্ত্রকের যৌথ উদ্যোগ

    ২০২০ সালে গালওয়ানে চিনের সেনার সঙ্গে ভারতের সেনার সংঘর্ষ। যে ঘটনায় ২০ জন ভারতীয় সেনা প্রাণ হারিয়েছিলেন। কিংবা ২০১৭ সালে ডোকলামে ভারত ও চিন সেনার মধ্যে প্রায় দুমাস ধরে চলা উত্তেজনা। অথবা শিয়াচেনে বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু জায়গায় সেনার প্রহরা। ১২০০০ ফুট উচ্চতা থেকে দুর্গম ভূমিতে সেনার আত্মত্যাগের কথা জানতে পারবেন পর্যটকরা (Battlefield Tourism)। এছাড়া ৭৫টি অন্যান্য যুদ্ধভূমিও রয়েছে সেই তালিকায়। কার্গিলে ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধের স্মৃতি— সবই চাক্ষুষ করতে পারবেন পর্যটকরা। বুধবার ৭৭তম সেনা দিবসে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক ও পর্যটন মন্ত্রক যৌথভাবে এই উদ্যোগ নিয়েছে।

    বীর সেনাদের লড়াই ক্ষেত্র

    আশির দশকে সিয়াচেন হিমবাহ, নব্বইয়ের দশকে কার্গিল কিংবা হালফিলে লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় আগ্রাসী শত্রুসেনার বিরুদ্ধে ভারতীয় সেনা যে বীরত্বের সাক্ষ্য রেখেছিল, তা দেশের মানুষকে জানার সুযোগ করে দিতেই এই পদক্ষেপ বলে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে। ভারতীয় সেনার এক্স পোস্টে ভ্রমণার্থীদের উদ্দেশে আহ্বান— ‘‘সেই পবিত্র স্থানগুলি দর্শন করুন যেখানে আমাদের বীর সেনারা মাতৃভূমির জন্য লড়াই করেছিলেন।’’

    পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্র সীমান্ত এলাকা 

    ভারতের ব্যাটলফিল্ড ট্যুরিজম (Battlefield Tourism)। পোশাকি নাম, ভারত রণভূমি দর্শন (Bharat Ranbhoomi Darshan)। এর মধ্যে রয়েছে লাদাখে কার্গিল ও গালওয়ান, রাজস্থানের লোঙ্গেওয়ালা, অরুণাচল প্রদেশের কিবিথু, বুম লা, সিকিমে চো লা ক্ল্যাশ। কিংবা কার্গিলে ড্রজ ওয়ার মেমোরিয়াল দেখার সুযোগ। চিফ অফ আর্মি স্টাফ উপেন্দ্র দ্বিবেদী (Chief of Army Staff, General Upendra Dwivedi) বলেন, সীমান্ত এলাকায় সামগ্রিক উন্নয়নের একটি অংশ এই উদ্যোগ। এই বিষয়ে ওয়েবসাইটে সব তথ্য পাওয়া যাবে। এই উদ্যোগ চারটি স্তম্ভের উপর দাঁড়িয়ে রয়েছে। সেগুলি হল পরিকাঠামো, যোগাযোগ, পরিকাঠামো, শিক্ষা। ভারতীয় সেনার পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়েছে, সীমান্ত এলাকাকে পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্র করে তোলা হবে। এখানে ইতিহাসের তথ্য তুলে ধরা থাকবে। অনুমতি নেওয়া যাবে নিষিদ্ধ এলাকায় যাওয়ার জন্য, ওয়ার মেমোরিয়াল, মিউজিয়ামের বিষয়ে বিশদে জানা যাবে।

    পর্যটন বুকে তুলবেন কোন কোন জায়গা (Battlefield Tourism)

    প্রাথমিক ভাবে কয়েকটি যুদ্ধক্ষেত্রকে পর্যটনের জন্য উন্মুক্ত করার কথা জানানো হয়েছে সেনার তরফে। মহাভারতের কুরুক্ষেত্র (বর্তমানে যা হরিয়ানায়) পর্যটকদের পাশাপাশি তীর্থযাত্রীদেরও যুগ যুগ ধরে আকর্ষণ করে এসেছে। মুঘল সম্রাট আকবর এবং রানা প্রতাপের ঐতিহাসিক হলদিঘাটি যুদ্ধক্ষেত্রে বহুদিন ধরেই পর্যটনস্থল (Bharat Ranbhoomi Darshan) হিসাবে জনপ্রিয়তার নিরিখে প্রথম সারিতে রয়েছে। নব্বইয়ের দশকে বলিউডের ছবি ‘বর্ডার’ জয়সলমেরের মরুভূমিতে ১৯৭১ সালে ভারত-পাক যুদ্ধে রক্তসিক্ত লোঙ্গেওয়ালাকে পর্যটনক্ষেত্র হিসেবে জনপ্রিয় করে তুলেছিল। সেখানে গড়ে তোলা হয়েছে ‘ওয়ার মেমোরিয়াল’। এবার  টলোলিং, টাইগার হিল, সালতারো রিজ, পিপি ১৪-তেও ভিড় জমাবে মানুষ।

    ভারতীয় সেনার নয়া উদ্যোগ 

    ভারতের সীমান্ত অঞ্চলে যুদ্ধকালীন পর্যটন (Bharat Ranbhoomi Darshan) বিকাশের জন্য ভারতীয় সেনাবাহিনী এই নতুন উদ্যোগ শুরু করেছে। এই প্রকল্পের আওতায় দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ যুদ্ধক্ষেত্রের ৭৫টি স্থানকে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এসব স্থান ভারতের ইতিহাসের কিছু গুরুত্বপূর্ণ যুদ্ধ ও সংঘর্ষের সাক্ষী। এই উদ্যোগের প্রথম দিকের প্রধান স্থানগুলির মধ্যে রয়েছে গালওয়ান উপত্যকা, যেখানে ২০২০ সালে ভারত ও চিনের সেনাবাহিনীর মধ্যে সহিংস সংঘর্ষ হয়েছিল। চিনী বাহিনী ভারতীয় সেনাদের রাস্তা নির্মাণ কাজ বন্ধ করতে বাধা দেয়, এবং এই সংঘর্ষে ২০ জন ভারতীয় সৈন্য প্রাণ হারান, যদিও চিনা বাহিনীর ক্ষতির পরিমাণ এখনও প্রকাশ করা হয়নি।

    সিয়াচেনের সৌন্দর্য

    ভারতীয় সেনাবাহিনী একইভাবে সিয়াচেন গ্লেসিয়ারের মতো অঞ্চলে পর্যটন বিকাশের পরিকল্পনা করছে। এটি পৃথিবীর সবচেয়ে উচ্চতম যুদ্ধক্ষেত্র হিসেবে পরিচিত, যেখানে ভারত ও পাকিস্তান ১৯৮৪ সাল থেকে একে অপরের বিরুদ্ধে লড়াই করে আসছে। ২০২৩ সালে এটি পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত হয় (Battlefield Tourism)। এর পাশাপাশি কাকরেল, কার্গিল, এবং লোঙ্গেওয়ালা সহ আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ যুদ্ধক্ষেত্রও এই উদ্যোগের আওতায় আনা হয়েছে। কাকরেল, ১৯৯৯ সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের গুরুত্বপূর্ণ স্থান, এবং লোঙ্গেওয়ালা, যেখানে ১৯৭১ সালে ভারতীয় বাহিনী পাকিস্তানি বাহিনীকে বিপুল পরিমাণ ক্ষতি সাধন করেছিল, সেগুলি এখন পর্যটকদের জন্য একটি ইতিহাসের সাক্ষী। এছাড়াও, ভারতের বিভিন্ন সীমান্ত অঞ্চলের মতো কিবিতু, বুমলা, রেজাংলা এবং পাংগং ত্সো, যেগুলি ১৯৬২ সালের ভারত-চিন যুদ্ধের গুরুত্বপূর্ণ স্থান ছিল, সেগুলিও পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করা হবে। এছাড়া, ১৯৬৭ সালের চো-লা সংঘর্ষস্থলও এই উদ্যোগের অন্তর্ভুক্ত থাকবে, যেখানে ভারতীয় বাহিনী চিনের উপর বড় ধরনের আঘাত হেনেছিল।

    কেন সেনার এই উদ্যোগ

    এই উদ্যোগের মাধ্যমে ভারতীয় সেনাবাহিনী স্থানীয় অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে দেশপ্রেম জাগ্রত করতে চায়। এটি একটি সুযোগ, যেখানে দর্শনার্থীরা ভারতের সামরিক ইতিহাস সম্পর্কে সঠিক ধারণা লাভ করতে পারবেন এবং দেশের জন্য সংগ্রাম করা সৈন্যদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে পারবেন। প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং সম্প্রতি জানিয়েছিলেন, যে গত চার বছরে লাদাখ, সিকিম এবং অরুণাচল প্রদেশে পর্যটক সংখ্যা ৩০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে, যার মূল কারণ উন্নত পরিকাঠামো, ও যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং সীমান্ত পর্যটনের প্রতি ক্রমবর্ধমান আগ্রহ। এবার সেই পর্যটনের সঙ্গেই জড়িয়ে যাবে ভারতীয় সেনা বাহিনীর জয়ের উপাখ্যান।

    আরও পড়ুন: শত্রুর এক ঝাঁক ড্রোনকে উড়িয়ে দিতে সক্ষম ভারত, পরীক্ষায় সফল মাইক্রো মিসাইল সিস্টেম ‘ভার্গবাস্ত্র’

    ভারত রণভূমি দর্শন ওয়েবসাইট

    ‘ভারত রণভূমি দর্শন’ (Bharat Ranbhoomi Darshan) ওয়েবসাইটটি জনসাধারণের জন্য চালু করে দেওয়া হয়েছে। যেখানে তাঁরা ভ্রমণ পরিকল্পনা সহ প্রয়োজনীয় সকল তথ্য পেয়ে যাবেন এক ক্লিকে। যার মধ্যে এই স্থানগুলির কিছু পারমিটের জন্য কীভাবে আবেদন করতে হবে তাও অন্তর্ভুক্ত থাকবে। ওয়েবসাইটটিতে বিভিন্ন যুদ্ধক্ষেত্র এবং সীমান্তবর্তী অঞ্চলের বিশদ বিবরণ থাকবে (Battlefield Tourism)। ভার্চুয়াল ভ্রমণ, ঐতিহাসিক আখ্যান এবং ইন্টার‌্যাক্টিভ কন্টেন্ট প্রদান করা হবে স্থানগুলি সম্পর্কে। পর্যটন মন্ত্রক এবার থেকে অতুল্য ভারত (Incredible India) প্রচারের অংশ হিসাবে এই স্থানগুলির কথাও তুলে ধরবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Indonesian President: নয়াদিল্লির আপত্তিতে সাড়া, ভারত থেকে পাকিস্তানে যাচ্ছেন না ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট

    Indonesian President: নয়াদিল্লির আপত্তিতে সাড়া, ভারত থেকে পাকিস্তানে যাচ্ছেন না ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবসে (Republic Day) তিনিই প্রধান অতিথি। ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট (Indonesian President) প্রাবয়ো সুবিয়ান্টো ঠিক করেছিলেন ভারতের অনুষ্ঠান শেষে তিনি এখান থেকেই যাবেন পাকিস্তান সফরে। সূত্রের খবর, এ ব্যাপারে আপত্তির কথা জাকার্তাকে (ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী) জানিয়ে দেয় নয়াদিল্লি। তার পরেই দ্বীপরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জানিয়ে দেন, ভারত সফরের সঙ্গে তিনি জুড়বেন না পাকিস্তান সফর।

    প্রধান অতিথি সুবিয়ান্টো (Indonesian President)

    ২৬ জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবসে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার জন্য সুবিয়ান্টোকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল ভারত। তবে তাঁর সফর নিয়ে এখনও কোনও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা হয়নি। এমতাবস্থায় পাকিস্তানের গণমাধ্যমগুলি তাঁর সফরের খবর প্রচার করতে শুরু করে দেয়। খবরে প্রকাশ, ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভারতের অনুষ্ঠান শেষে একই দিনে তিনদিনের সফরে ইসলামাবাদে যাবেন।

    ভারত-পাক এক বন্ধনীভুক্ত নয়

    ভারত ও পাকিস্তানকে যে এক বন্ধনীভুক্ত করা যায় না বিশ্বনেতাদের তা নানা সময় বিভিন্নভাবে বুঝিয়ে দিয়েছে ভারত। তাঁরা বিদেশি নেতাদের পইপই করে অনুরোধ করেছেন, তাঁরা যেন ভারত সফরের সঙ্গেই পাকিস্তান সফর সেরে না ফেলেন। ভারতের সাফ কথা, এতে তাদের দুই দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভারত যে আলাদা অবস্থান চায়, তা ক্ষুণ্ণ হয়। এই কথাটাই জাকার্তাকেও বোঝানোর চেষ্টা করে নয়াদিল্লি। জানা গিয়েছে, তার পরেই সে দেশের প্রেসিডেন্ট জানিয়ে দেন, ভারত সফরের সঙ্গে তিনি পাকিস্তান সফর করবেন না। সরকারি সূত্র জানিয়েছে, ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট (Indonesian President) ভারত থেকে পাকিস্তানে যাবেন না। ২৬ জানুয়ারি রাতে তিনি ভারত থেকে মালয়েশিয়ায় যেতে পারেন। তবে এ বিষয়ে কোনও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা এখনও হয়নি। সুবিয়ান্টোর সফরসূচি সম্পর্কে এখনও জাকার্তা কোনও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করেনি।

    আরও পড়ুন: কুম্ভে আসতে চেয়েছিলেন স্টিভ জোবস, বন্ধুকে জানিয়েছিলেন, সেই চিঠি বিক্রি হল ৪.৩২ কোটিতে

    যেহেতু সুবিয়ান্টোর সফর সূচি নিয়ে এখনও কিছু জানায়নি জাকার্তা, তাই এটা স্পষ্ট নয় যে তিনি ভারত থেকে মালয়েশিয়া গিয়ে ফের উল্টো দিকে উড়ে এসে ইসালামাবাদে যাবেন কিনা। প্রসঙ্গত, সুবিয়ান্টোর পাকিস্তান সফরের প্রস্তাবটি গত মাসে একটি (Republic Day) বহুপাক্ষিক ইভেন্টের পার্শ্ববৈঠকে পাক প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের সঙ্গে সুবিয়ান্টোর (Indonesian President) বৈঠকের ফসল বলেই ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mahakumbh Mela 2025: মহাকুম্ভ মেলায় ‘শাহী স্নান’-এর নাম বদলে কেন ‘অমৃত স্নান’ করা হয়েছে জানেন?

    Mahakumbh Mela 2025: মহাকুম্ভ মেলায় ‘শাহী স্নান’-এর নাম বদলে কেন ‘অমৃত স্নান’ করা হয়েছে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বের সর্ববৃহৎ মহাপুণ্যস্নানের আয়োজন করা হয়েছে প্রয়াগরাজের পূর্ণ মহাকুম্ভ মেলায় (Mahakumbh Mela 2025)। এই মেলা এবার ১৪৪ বছর পর অনুষ্ঠিত হচ্ছে। মেলায় স্নান করলে মহাপুণ্য এবং মোক্ষলাভ হয়। পুরাণে বর্ণিত হয়েছে যে, সমুদ্র মন্থনের ফলে যে অমৃত কুম্ভ উঠেছিল, সেই কুম্ভ থেকে অমৃতের ফোঁটা এই গঙ্গা, যমুনা ও (পৌরাণিক) সরস্বতীর সঙ্গমস্থলে পড়েছিল। তাই ত্রিবেণীর গঙ্গায় স্নান করলে মানব জীবনের সমস্ত পাপ ধুয়ে যায়। এবার এই স্নানকে ‘শাহী স্নান’ বলা হতো, এবার থেকে এই শাহী স্নানের নাম পরিবর্তন করে করা হয়েছে ‘অমৃত স্নান’ (Amrit Snan)। আসুন যেনে নিই কেন এমন নামকরণ এবং সেই নামের যথার্থ তাৎপর্যই বা কী?

    কোন কোন দিনে অমৃত স্নান (Mahakumbh Mela 2025)

    সাধারণত প্রতিবছর প্রয়াগরাজ, নাসিক, হরিদ্বার এবং উজ্জ্বয়িনীতে এই কুম্ভমেলা হয়ে থাকে। তবে মেলার বিশেষ বিশেষ যোগ বসে ৪ বছর, ৬ বছর, ১২ বছর এবং ১৪৪ বছর অন্তরে। একেই কুম্ভ, অর্ধকুম্ভ, পূর্ণকুম্ভ এবং মহাকুম্ভ (Mahakumbh Mela 2025) নামে পরিচিত। এইবার গঙ্গার ত্রিবেণী সঙ্গমে পূর্ণমহাকুম্ভের আয়োজন হয়েছে। হিন্দু শাস্ত্রের গণনা পদ্ধতিতে সন্তসমাজ এবং আখাড়া পরিষদ মিলে দিনক্ষণ ঠিক করে থাকেন। এই বছর পুণ্যস্নান শুরু হয়েছে ১৩ জানুয়ারি পৌষ পূর্ণিমা এবং শেষ হবে ২৬ ফেব্রুয়ারি মহাশিবরাত্রিতে। প্রথম অমৃত স্নান পৌষ পূর্ণিমা ১৩ জানুয়ারি, দ্বিতীয় অমৃত স্নান (Amrit Snan) মকর সংক্রান্তি ১৪ জানুয়ারি, তৃতীয় অমৃত স্নান মৌনী অমাবস্যায় ২৯ জানুয়ারি, চতুর্থ অমৃত স্নান বসন্তপঞ্চমী ২ ফেব্রুয়ারি, পঞ্চম অমৃত স্নান মাঘী পূর্ণিমা ১২ জানুয়ারি এবং ষষ্ঠ অমৃত স্নান মহাশিবরাত্রি ২৬ ফেব্রুয়ারি। অমৃতস্নান বিশেষ তিথিতেই সম্পন্ন হয়। এই সময়ে সূর্য ধনু রাশি থেকে মকর রাশিতে যাত্রা করবে। জানা গিয়েছে, প্রায়গরাজের মেলায় প্রথম তিন দিনে প্রায় সাড়ে তিন কোটি ভক্ত পুণ্যস্নান করেছেন।

    শাহী স্নান কেন অমৃত স্নান?

    জানা গিয়েছে, ভারতীয় পরম্পরা এবং প্রাচীন পৌরাণিককাল থেকে মহাকুম্ভে (Mahakumbh Mela 2025) পুণ্যস্নান হয়ে আসছে। তাই এই ইতিহাসবোধ এবং সংস্কৃতিকে সম্মান জানাতে উত্তরপ্রদেশ সরকার ‘শাহী স্নান’-কে ‘অমৃত স্নান’ (Amrit Snan) বলে নতুন নামাঙ্কিত করেছে। এই ভাবনার পিছনে বিশেষ নেতৃত্ব দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। উল্লেখ্য এই ‘অমৃত’ শব্দের মধ্যে সনাতন হিন্দু ধর্মের শুদ্ধতা এবং পবিত্রতাকে পুনরায় উজ্জীবিত করার ভাবনাকে প্রস্ফুটিত করা হয়েছে। মেলার স্নান যেহেতু পাপ থেকে পুণ্যের পথে যাত্রা, তাই মেলার গৌরবকে আরও সমৃদ্ধ করতে ‘অমৃত’ নামকরণ করা হয়েছে। এই অমৃত স্নানেই রয়েছে মহামোক্ষ বা পরিত্রাণ তথা মুক্তি।

    আরও পড়ুনঃ বিশ্বের চতুর্থ দেশ হিসেবে মহাকাশে দুই উপগ্রহকে জুড়ল ভারত, ইসরোকে অভিনন্দন মোদির

    শাহী শব্দ মুঘল মুসলিম সংস্কৃতি বাহক

    মহাকুম্ভের (Mahakumbh Mela 2025) ‘শাহী স্নান’ শব্দের অর্থ হল রাজকীয় স্নান। এই শব্দের ব্যবহার উনিশ শতকের গোড়ায় প্রথম ব্যবহার হয়েছিল। বিশেষ করে পেশোয়ার সাম্রাজ্যের সময় আরবি বা উর্দু শব্দকে বেশি করে ব্যবহার করা হয়েছিল। কিন্তু হিন্দু শাস্ত্রের গবেষক ও পণ্ডিতরা মনে করেন এই শব্দের মধ্যে মুঘল ও মুসলমানদের একটা প্রভাব আছে। শব্দে ভারতীয় সংস্কৃতিকে বহন করে না। ‘শাহী’ উর্দু শব্দ যার অর্থ ‘রাজকীয়’ বা ‘মহিমাময়’। এতদিন মেলায় স্নানের গুরুত্বকে বোঝাতে ব্যবহার হতো এই শব্দ। এবার এই নামকে পরিবর্তন করে ‘অমৃত’ করা হয়েছে। ‘অমৃত’  (Amrit Snan) মানেই যা মৃত নয়, অজয়, অমর, মহামোক্ষ। ‘অমৃত’ শব্দের মধ্যে আধ্যাত্মিক, ঐশ্বরিক এবং মহাজাগতিক ব্যাপ্তচরাচর ঐতিহ্য গত জ্ঞানপরম্পরার ভাবনা রয়েছে।

    সন্ত সমাজের মত

    জুনা আখড়ার পীঠধীশ্বর আচার্য স্বামী অবধেশানন্দ গিরি মহারাজ, অমৃতস্নানের তাৎপর্য ব্যাখ্যা করেছেন। তিনি বলেন, “বৃহস্পতি বৃষ রাশিতে প্রবেশ করলে অমৃতস্নান ঘটে এবং সূর্য ও চাঁদ মকর রাশিতে প্রবেশ করে। এই বিরল মহাজাগতিক গ্রহ-নক্ষত্রের অবস্থানে ‘অমৃত যোগ’ নামে পরিচিত। প্রতি ১২ বছরে একবার এমন মাহেন্দ্রক্ষণ ঘটে। তাই অমৃত স্নান (Mahakumbh Mela 2025) গুরুত্বপূর্ণ।”

    আবার অখিল ভারতীয় আখড়া পরিষদের (এবিএপি) সভাপতি মহন্ত রবীন্দ্র পুরী বলেছেন “কুম্ভ মেলার সঙ্গে যুক্ত ‘শাহী স্নান’ এবং ‘পেশওয়াই’-এর মতো সাধারণ শব্দগুলি এখন ‘অমৃত স্নান’ এবং ‘ছাবনি প্রবেশ-এ পরিবর্তন করা হয়েছে।’’ হরিদ্বারের মনসা দেবী মন্দির ট্রাস্টের সভাপতি মহন্ত পুরী বলেন, “আমাদের ঈশ্বর এবং সংস্কৃতি সংস্কৃত ভাষার সঙ্গে যুক্ত নামগুলিকে (Amrit Snan) বেশি করে ব্যবহার করা উচিত।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mahakumbh Mela 2025: মৌনী অমাবস্যায় অমৃত স্নান করবেন ১০ কোটি পুণ্যার্থী, প্রস্তুতি সারার নির্দেশ যোগীর

    Mahakumbh Mela 2025: মৌনী অমাবস্যায় অমৃত স্নান করবেন ১০ কোটি পুণ্যার্থী, প্রস্তুতি সারার নির্দেশ যোগীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পূর্ণ মহাকুম্ভ মেলার (Mahakumbh Mela 2025) মৌনী অমাব্যসায় ১০ কোটি ভক্তদের মহাপুণ্যস্নানের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় প্রস্তুতি সারতে বিশেষ নির্দেশ দিয়েছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। মেলার আনুষ্ঠানিক স্নান শুরু হয়েছে গত ১৩ জানুয়ারি পৌষ পূর্ণিমা থেকে। তাই চলমান উৎসবকে পর্যালোচনা করে এবং প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পর পরবর্তী পুণ্যস্নানের প্রস্তুতির বিষয়ে নির্দেশ দিয়েছেন যোগী। আগামী ২৯ জানুয়ারি হল এই মৌনী অমাবস্যার (Mouni Amavasya) স্নান। প্রস্তুতি এখন থেকেই চরমে।

    এই স্নানে সকল পাপ মুক্ত হয়ে যায় (Mahakumbh Mela 2025)

    বুধবার, মুখ্যমন্ত্রী গত তিন দিনের মহাকুম্ভ মেলার (Mahakumbh Mela 2025) বিশেষ পর্যালোচনা করছেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই দিন অমৃত স্নান করতে আনুমানিক ৮ থেকে ১০ কোটি ভক্তের সমাগম হবে। এই মৌনী অমাবস্যায় স্নান করলে ভক্তের সকল মনোবাসনা পূর্ণ হয় এবং এই স্নানের ফলে অমৃতলোকে যাত্রার পথ সুগম হয় বলে মনে করা হয়। এই তিথিতে গোটা ৪৬ দিনের মহাকুম্ভ মেলায় সব থেকে বেশি পুণ্যার্থীদের ভিড় হবে বলে মনে করা হচ্ছে। তাই এত বিরাট ভিড় এবং স্নানযাত্রাকে সুরক্ষিত করতে প্রশাসন আপদকালীন পরিস্থিতিতে অত্যন্ত তৎপরতার সঙ্গে কাজ করছে। এই মৌনী অমাবস্যার স্নান একটি পুণ্যস্নান। এদিন নাগা সাধুরা একটি শোভাযাত্রার মাধ্যমে স্নান করে থাকেন। এই স্নানে সকল পাপ মুক্ত হয়ে যায়।

    ২৪ ঘণ্টা বিদ্যুত এবং জল সরবরাহ অব্যাহত রাখার নির্দেশ

    মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ মৌনী অমাবস্যার (Mouni Amavasya) স্নানকে আরও সংহত, সুশৃঙ্খল, সুগম এবং সহজ করতে যোগাযোগ ব্যবস্থা, ইন্টারনেট এবং মোবাইল নেটওয়ার্ক ব্যবস্থাকে সুনিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছেন। এর জন্য পরিষেবা এবং ব্যবস্থার সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের সঙ্গে সবরকম সমন্বয় করার নির্দেশ দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেছেন, মেলা প্রাঙ্গণে দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা যেন বিদ্যুতের ব্যবস্থা এবং জল সরবরাহ অব্যাহত রাখা হয়। নদীর ঘাটগুলিতে যেন সবরকম সুরক্ষার ব্যবস্থা করা হয়। ব্যারিকেডিংগুলিকে যেন নিশ্চিত করা হয়। একই ভাবে রাজ্যের ৭৫ জেলা থেকে মেলার জন্য সরাসরি বাস পরিষেবা দেওয়ার ব্যবস্থা যেন আরও পর্যাপ্ত পরিমাণে সচল রাখা হয়, এই কথাও জানিয়ে সংশ্লিষ্ট দফতরকে বিশেষ নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। আবার ভাবে মেলায় (Mahakumbh Mela 2025) অন্তঃসত্ত্বা, বৃদ্ধ এবং দিব্যাঙ্গ ব্যক্তিদের দ্রুত পরিষেবা দিতে পর্যাপ্ত যানবাহন চালানোর কথাও বলেছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • ISRO: বিশ্বের চতুর্থ দেশ হিসেবে মহাকাশে দুই উপগ্রহকে জুড়ল ভারত, ইসরোকে অভিনন্দন মোদির

    ISRO: বিশ্বের চতুর্থ দেশ হিসেবে মহাকাশে দুই উপগ্রহকে জুড়ল ভারত, ইসরোকে অভিনন্দন মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহাকাশ গবেষণায় ইসরোর (ISRO) মুকুটে জুড়ল নয়া পালক। মহাকাশে দুই কৃত্রিম উপগ্রহকে সংযুক্ত (ডকিং) করে ইতিহাস রচনা করল দেশের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা। রাশিয়া, আমেরিকা এবং চিনের পর চতুর্থ দেশ হিসেবে এই সাফল্য অর্জন করল ভারত। চতুর্থবারের প্রয়াসে এমন সাফল্য পেল ভারত। বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারি, সকাল ১০টা নাগাদ সোশ্যাল মিডিয়ায় দেশের এমন সাফল্যের ঘোষণা করে ইসরো। এরপরেই এক্স মাধ্যমে ইসরোকে অভিনন্দন জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

    সমাজমাধ্যমে কী লিখল ইসরো (ISRO)?

    সমাজমাধ্যমে লেখা হয়, ‘‘দুই কৃত্রিম উপগ্রহকে সংযুক্ত করার কাজ সফল। এটি একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত। ১৫ থেকে তিন মিটার দূরত্বে এনে শুরু হয় প্রক্রিয়া। নির্ভুল পদ্ধতিতে সংযুক্ত করার কাজ সফল হয়। সবকিছু মসৃণভাবেই মিটেছে। সবকিছু স্থিতিশীল।’’

    শুভেচ্ছা জানালেন মোদি

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও ইসরোর এমন সাফল্যে উচ্ছ্বসিত এবং তিনি এক্স মাধ্যমে পোস্ট করেছেন এবিষয়ে। নিজের এক্স মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, ‘‘ইসরোর সমস্ত বিজ্ঞানীদের জানাই অভিনন্দন। অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই সাফল্য। দেশের মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রে এটি একটি মাইলস্টোন।’’

    শুভেচ্ছা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর

    ইসরোর এই সাফল্যে অভিনন্দন জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং-ও। নিজের এক্স মাধ্যমে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী লেখেন, ‘‘ডকিং সম্পূর্ণ হল। ভবিষ্যতে মহাকাশ গবেষণার অনেক দিক খুলে গেল।’’

    কেন এই ডকিং পরীক্ষা গুরুত্বপূর্ণ?

    প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর কৃত্রিম উপগ্রহ সংযুক্তিকরণ অভিযানের সূচনা ঘটে। এই অভিযানে দু’টি কৃত্রিম উপগ্রহকে মহাকাশে পাঠায় ইসরো (ISRO)। একটি হল, ‘SDX01 (Chaser)’ এবং অপরটি হল ‘SDX02 (Target)’. ইসরো সূত্রে তখনই জানা যায়, প্রতিটি কৃত্রিম উপগ্রহের ওজন ২২০ কেজি করে। পিএসএলভি-সি৬০ রকেটে চাপিয়ে সেগুলিকে উৎক্ষেপণ করা হয়। প্রসঙ্গত, এই অভিযানের মাধ্যমে অনেক কিছুরই দরজা খুলে গেল মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। ইসরোর পরবর্তী চন্দ্রযান অভিযান বা গগনযান অভিযান অথবা ভারতের নিজস্ব স্পেস স্টেশন নির্মাণের সময় এই পদ্ধতি কাজে আসবে। এই ডকিং প্রক্রিয়া ছিল তারই ট্রায়াল। চন্দ্রযান ৪ অভিযানে চাঁদের মাটি পৃথিবীতে নিয়ে আসা, চাঁদের মাটিতে মানুষ নামানো, মহাকাশচারীদের জন্য রসদ সরবরাহের ক্ষেত্রে এই অভিযান ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

    দেশীয় প্রযুক্তিকেই কাজে লাগানো হয়

    বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, দুটি কৃত্রিম উপগ্রহকে মহাকাশে সংযুক্তিকরণ করার কাজ মোটেও সহজ নয়। জানা গিয়েছে, এই অভিযানকে সফল করতে দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি ভারতীয় ডকিং সিস্টেমকেই ব্যবহার করে ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো (ISRO)। গত ১২ ডিসেম্বর ৩ মিটার দূরত্ব পর্যন্ত কাছাকাছি হয় দুই উপগ্রহ, এরপরে পিছু হটে তারা। খুব কাছাকাছি পৌঁছে গেলেও, দুই কৃত্রিম উপগ্রহকে নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর গত ৭ এবং ৯ জানুয়ারি ইসরোর তরফ থেকে দু’বার ডকিংয়ের চেষ্টা চালানো হয়েছিল। তবে প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে সম্ভব হয়নি ডকিং। আজ ১৬ জানুয়ারি সেই কাজেই মিলল সাফল্য।

    মহাকাশ গবেষণায় প্রথম সারিতেই ভারত

    মহাকাশ বিজয়ের লক্ষ্যে এই মুহূর্তে সক্রিয় হয়ে রয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। ভারতও মহাকাশ গবেষণায় (ISRO) একেবারে প্রথম সারিতেই চলে এসেছে। জোর কদমে চলছে মহাকাশ গবেষণা। সৃষ্টিতত্ত্বের বিশ্লেষণ, মহাজাগতিক সম্পদকে পৃথিবীর কাজে লাগানোর প্রয়াস চলছেই। বিপদে পড়লে দুই মহাকাশযান যাতে সংযুক্ত হতে পারে, প্রয়োজনীয় রসদ যাতে আদান প্রদান করতে পারে, সেক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হল এই ডকিং বা সংযুক্ত প্রক্রিয়া।

    প্রকল্পের দায়িত্বে থাকা এন সুরেন্দ্রণ কী বললেন সংবাদমাধ্যমকে?

    ডকিং প্রকল্পের দায়িত্বে ছিলেন ডিরেক্টর এন সুরেন্দ্রণ। মহাকাশে দুই উপগ্রহের সংযুক্তিকরণ সফল হতে, তাঁর বিবৃতিও সামনে আসে। সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানান, আজকের এই সাফল্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভবিষ্যতে মহাকাশে স্পেস স্টেশন গড়তে এবং চন্দ্রযান ৪ মিশনের জন্য অত্যন্ত কার্যকরী হতে চলেছে এই ডকিং পদ্ধতি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kumbh Mela: কুম্ভে আসতে চেয়েছিলেন স্টিভ জোবস, বন্ধুকে জানিয়েছিলেন, সেই চিঠি বিক্রি হল ৪.৩২ কোটিতে

    Kumbh Mela: কুম্ভে আসতে চেয়েছিলেন স্টিভ জোবস, বন্ধুকে জানিয়েছিলেন, সেই চিঠি বিক্রি হল ৪.৩২ কোটিতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অ্যাপল-এর সহ প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত স্টিভ জোবসের (Steve Jobs) হাতে লেখা একটি চিঠি বিক্রি হল ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৪.৩২ কোটি টাকায়। চিঠিটি লেখা হয়েছিল ১৯৭৪ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি। ১৯তম জন্মদিনে তিনি চিঠিটি লিখেছিলেন তাঁর ছোটবেলার বন্ধু টিম ব্রাউনকে। চিঠিটিতে তিনি হিন্দু ও বৌদ্ধ ধর্ম সম্পর্কে তাঁর চিন্তাভাবনা এবং কুম্ভ মেলায় (Kumbh Mela) যোগ দেওয়ার ইচ্ছের কথা জানিয়েছিলেন।

    জোবসের চিঠি (Kumbh Mela)

    জোবস (Steve Jobs) লিখেছিলেন, ‘‘আমি কুম্ভ মেলায় যোগ দেওয়ার জন্য ভারতে যেতে চাই, যা এপ্রিল মাসে শুরু হবে। আমি মার্চ মাসে কোনও এক সময়ে রওনা দেব, তবে এখনও নিশ্চিত নই।’’ তিনি উত্তরাখণ্ডে নিম করোলি বাবার সঙ্গেও দেখা করতে চেয়েছিলেন। সেই টানে তিনি নৈনিতালে পৌঁছেওছিলেন। পরে জানতে পারেন তার আগের বছরই প্রয়াত হয়েছেন নিম করোলি বাবা। সেবার সাত মাস ধরে ভারতে ছিলেন জোবস। এই পর্বে তিনি আত্তীকরণ করেছিলেন ভারতীয় আধ্যাত্মিকতা এবং সংস্কৃতিকে। নেড়া মাথা, রোদে পোড়া চেহারা নিয়ে দেশে ফিরেছিলেন তিনি। তাঁর পরিবারও তাঁকে দেখে চিনতে পারেননি। ২০১১ সালের ৫ অক্টোবর অকালে প্রয়াত হন জোবস (Steve Jobs)। তাঁর চিঠিটি নিলাম হল বুধবার।

    আরও পড়ুন: যুদ্ধের মেঘ কাটল মধ্য প্রাচ্যের আকাশে, যুদ্ধবিরতি ইজরায়েল-হামাসের

    কুম্ভ মেলা দর্শনে জোবসের স্ত্রী

    অকালে প্রয়াত হওয়ায় কুম্ভ মেলায় যোগ দেওয়া হয়নি জোবসের (Steve Jobs)। এ বছর কুম্ভ মেলা দর্শনে এসেছেন তাঁর স্ত্রী লরেন পাওয়েল জোবস। লরেনের গুরু স্বামী কৈলাসানন্দ গিরি। লরেনের নতুন (Kumbh Mela) নাম দিয়েছেন ‘কমলা’। ৪০ সদস্যের একটি দলের সঙ্গে ভারতে এসেছেন তিনি। ধ্যান, ক্রিয়া যোগ ও প্রণায়াম-সহ আধ্যাত্মিক অনুশীলনে অংশগ্রহণও করছেন। প্রসঙ্গত, প্রয়াগরাজে গঙ্গা-যমুনা-সরস্বতীর সঙ্গমে প্রতি ১২ বছর অন্তর হয় পূর্ণ কুম্ভ। ১২টি পূর্ণ কুম্ভ শেষে হয় মহাকুম্ভ। ১৪৪ বছর পরে এবার এসেছে সেই মহাকুম্ভ যোগ (Kumbh Mela)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bhargavastra: শত্রুর এক ঝাঁক ড্রোনকে উড়িয়ে দিতে সক্ষম ভারত, পরীক্ষায় সফল মাইক্রো মিসাইল সিস্টেম ‘ভার্গবাস্ত্র’

    Bhargavastra: শত্রুর এক ঝাঁক ড্রোনকে উড়িয়ে দিতে সক্ষম ভারত, পরীক্ষায় সফল মাইক্রো মিসাইল সিস্টেম ‘ভার্গবাস্ত্র’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  প্রথম দেশীয় পদ্ধতিতে তৈরি মাইক্রো-মিসাইল সিস্টেমের সফল (India’s Micro-Missile System) পরীক্ষা করল ভারত। ‘ভার্গবাস্ত্র’ (Bhargavastra) নামক এই ছোট-ক্ষেপণাস্ত্র সিস্টেম দেশের প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে ক্ষমতা বাড়াবে বলে অনুমান বিশেষজ্ঞদের। চলতি সপ্তাহেই গোপালপুর সিওয়ার্ড ফায়ারিং রেঞ্জ থেকে সফলভাবে এর পরীক্ষা চালানো হয়। সেনা পদস্থ আধিকারিকরা গোটা পরিস্থিতির উপর নজর রেখেছিলেন। ভার্গবাস্ত্র ভারতীয় সেনাকে স্বয়ংসম্পূর্ণ করে তুলবে বলে অনুমান বিশেষজ্ঞদের। সশস্ত্র বাহিনীতে অন্তর্ভুক্তির জন্য চলতি বছরেই ট্রায়ালে পাঠানো হবে এই সিস্টেমকে।

    ভার্গবাস্ত্র কী

    ‘ভার্গবাস্ত্র’ (Bhargavastra) হল একটি কাউন্টার-ড্রোন সিস্টেম। ৬ কিলোমিটারের বেশি রেঞ্জে আকাশপথে থাকা ছোট যান শনাক্ত করতে পারবে। শুধু তাই নয়, যুদ্ধাস্ত্র ব্যবহার করে সেই ক্ষুদ্র যানকেও নিরস্ত্র করার ক্ষমতা রাখে এই মাইক্রো মিসাইল সিস্টেম। ‘ভার্গবাস্ত্র’ সিস্টেমে ৬৪টিরও বেশি ছোট ক্ষেপণাস্ত্রের একযোগে উৎক্ষেপণের ক্ষমতা রয়েছে। সবচেয়ে বড় কথা, এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলি স্বল্প-মূল্যের। অর্থাৎ, অন্যান্য ক্ষেপণাস্ত্রের তুলনায় এই মাইক্রো-মিসাইলের দাম অনেকটাই কম। এই সিস্টেম (India’s Micro-Missile System) কার্যকর হলে, শত্রুপক্ষের ছোট ড্রোন ধ্বংস করতে আর দামি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়তে হবে না। স্বল্প-মূল্যের ভার্গবাস্ত্র দিয়েই কাজ হাসিল হবে। ফলে, সামরিক খরচও বেঁচে যাবে।

    ছোট ড্রোন ধ্বংস করতে কার্যকরি

    ইন্দোরের সংস্থা সোলার ইন্ডাস্ট্রিজের অধীনস্থ ইকোনমিক এক্সপ্লোসিভস লিমিটেড মোবাইল প্ল্যাটফর্ম-নির্ভর ‘ভার্গবাস্ত্র’ সিস্টেম (Bhargavastra) তৈরি করতে সহায়তা করেছে। দেশের নিরাপত্তার জন্য যে সব জায়গা নিয়ে চিন্তা আছে সেখানে দ্রুত এই সিস্টেম (India’s Micro-Missile System) মোতায়েন করা হবে। এছাড়া, সীমান্তে যেখানে হামেশা স্বল্প-উচ্চতায় শত্রুর ছোট ছোট ড্রোন উড়তে দেখা যায়, সেই সমস্ত ধরনের ভূ-পরিস্থিতিতে এই সিস্টেম কার্যকরী হবে। এর নকশা এমন করা হয়েছে যার অপারেশন সম্ভব উচ্চতাসম্পন্ন অঞ্চল-সহ বিভিন্ন ভূখণ্ডে। 

    ড্রোন একটা বড় চ্যালেঞ্জ

    সাম্প্রতিক সময়ে রাশিয়ায় ড্রোন হামলার ঘটনা দেখা গেছে। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের আবহেই রাশিয়ায় বহুতলে ড্রোন হামলা চলে। যা নিরাপত্তার পক্ষে অত্যন্ত চিন্তার। বর্তমানে ড্রোন একটা বড় চ্যালেঞ্জের বিষয়। মূলত শত্রু দেশের ড্রোন। তবে এবার ভারতও সেই ড্রোন রুখতে একেবারে দেশীয় সিস্টেমের (India’s Micro-Missile System) পরীক্ষায় পুরো সফল হয়ে গেল। এটা দেশের সামরিক ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দিক। আর্মি এয়ার ডিফেন্সের জন্য় এটা তৈরি করা হলেও ভারতের বায়ুসেনা এটা নিয়ে বেশ আগ্রহ প্রকাশ করেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Pannun Murder Plot Charge: পান্নুন মামলায় এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ কমিটির

    Pannun Murder Plot Charge: পান্নুন মামলায় এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ কমিটির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গুরপতওয়ান্ত সিং পান্নুনকে হত্যার চেষ্টার মামলায় (Pannun Murder Plot Charge) এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করল ভারত সরকার কর্তৃক গঠিত একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন তদন্ত কমিটি (Panel)। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুসন্ধান করে এই সুপারিশ করেছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। মন্ত্রক জানিয়েছে, ২০২৩ সালের নভেম্বর মাসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে সংগঠিত অপরাধী গোষ্ঠী, সন্ত্রাসী সংগঠন, মাদক পাচারকারী প্রভৃতি সম্পর্কিত তথ্য পাওয়ার পর ওই কমিটি গঠন করা হয়। সেই কমিটিই করল সুপারিশ।

    কী বলছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক? (Pannun Murder Plot Charge)

    মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যেসব তথ্য সরবরাহ করেছে, তার প্রকৃতি কিংবা বিবরণ প্রকাশ করেনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। তবে বিবৃতিতে যে সময়ের উল্লেখ করা হয়েছে, তা থেকে অনুমান, আমেরিকার মাটিতে খালিস্তানপন্থী জঙ্গি গুরপতওয়ান্ত সিং পান্নুনকে হত্যার চেষ্টার অভিযোগের ষড়যন্ত্রের সঙ্গে সম্পর্কিত। প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের নভেম্বরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ জানায় যে তারা পন্নুনকে হত্যা করার একটি ষড়যন্ত্রের হদিশ পেয়েছে। আমেরিকার অভিযোগ, ওই ষড়যন্ত্রের ছক কষা হয়েছিল ভারত সরকারের কর্মচারীদের দ্বারা।

    আমেরিকার অভিযোগ

    পরবর্তী কালে প্রকাশিত তথ্যে, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা র-এর এজেন্ট হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। অভিযোগ, ওই ব্যক্তিই পন্নুনকে হত্যা করার জন্য একজন কন্ট্রাক্ট কিলার ভাড়া করার চেষ্টা করেছিলেন। বাইডেন প্রশাসনের অভিযোগের জবাবে ভারত সরকার জানিয়েছিল, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তোলা অভিযোগের তদন্ত করতে তারা (Pannun Murder Plot Charge) একটি উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।

    আরও পড়ুন: “ভারতীয় রাষ্ট্রের বিরুদ্ধেই লড়ছে কংগ্রেস”, আরএসএসকে নিশানা করতে গিয়ে বললেন রাহুল

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তদন্ত কমিটি তদন্ত পরিচালনা করেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া সূত্রগুলোও অনুসরণ করা হয়েছে। এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃপক্ষের পূর্ণ সহযোগিতা পেয়েছে এবং উভয় পক্ষ পরস্পরের দেশে সফর করেছে। কমিটি বিভিন্ন সংস্থার বেশ কিছু কর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে এবং এই প্রসঙ্গে সংশ্লিষ্ট নথিপত্রও পরীক্ষা করেছে (Panel)। বিষয়টির ওপর ‘দ্রুত’ আইনি পদক্ষেপের সুপারিশ করে, কমিটি জানিয়েছে, এই ব্যবস্থায় কার্যকরী উন্নতি আনা প্রয়োজন (Pannun Murder Plot Charge)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Maoist Surrender: মাথার দাম মোট ৩২ লক্ষ টাকা, ছত্তিশগড়ে আত্মসমর্পণ চার মাওবাদী কমান্ডারের

    Maoist Surrender: মাথার দাম মোট ৩২ লক্ষ টাকা, ছত্তিশগড়ে আত্মসমর্পণ চার মাওবাদী কমান্ডারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের পরিকল্পনা মতোই দেশে ক্রমশ দুর্বল হচ্ছে মাওবাদীরা। ছত্তিশগড়ে (Chhattisgarh) কেন্দ্রীয় আধাসেনা ও রাজ্য পুলিশের যৌথ অভিযানে (Joint Mission) মাওবাদী (Maoists) কার্যকলাপ কমছে। সেই সঙ্গে বাড়ছে মাওবাদী নেতাদের আত্মসমর্পণের (Surrender) প্রবণতাও। সম্প্রতি ছত্তিশগড়ের বস্তার ডিভিশনের (Bastar) চার শীর্ষ মাওবাদী নেতা আত্মসমর্পণ করেছেন, যাঁদের প্রত্যেকের মাথার দাম ছিল মোট ৮ লক্ষ টাকা করে।

    সমাজের মূল স্রোতে ফেরানোই লক্ষ্য

    প্রশাসনিক সূত্রে খবর, বুধবার নারায়ণপুর জেলার পুলিশ সুপার প্রভাত কুমারের উপস্থিতিতে আত্মসমর্পণ করেন চার মাওবাদী কমান্ডার। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন এক দম্পতিও। ওই চার জনের বিরুদ্ধে খুন, নাশকতা-সহ ৪০টিরও বেশি গুরুতর ফৌজদারি মামলা রয়েছে। তবে যৌথবাহিনীর অভিযান নয়, এই সাফল্য ছত্তিশগড় ‘নিয়া নার নিয়া পুলিশ’ (আমাদের গ্রাম, আমাদের পুলিশ) প্রচার কর্মসূচির সাফল্য বলে জানিয়েছেন প্রভাত। তিনি বলেন, ‘‘নিষিদ্ধ সিপিআই (মাওবাদী)-র সশস্ত্র শাখা পিএলজিএ (পিপলস লিবারেশন গেরিলা আর্মি)-র বস্তার ডিভিশনে সক্রিয় আরও কয়েক জন নেতা-নেত্রী ভবিষ্যতে আমাদের আবেদনে সাড়া দিয়ে সমাজের মূল স্রোতে ফিরবেন।’’

    আরও পড়ুন: সাম্প্রদায়িক হিংসায় হারিয়েছিল ভিটে, ৪৭ বছর পর তিন হিন্দু পরিবারকে জমি ফেরালেন যোগী

    যৌথ অভিযান, স্থানীয়দের সঙ্গে সম্পর্ক সাফল্যের রসায়ন

    ধৃতদের মধ্যে গান্ধী তাঁতি ওরফে আরব ওরফে কমলেশ (৩৫) ২০১০ সালে দান্তেওয়াড়ায় যৌথবাহিনীর উপর ভয়ঙ্কর হামলায় ৭৬ জন জওয়ানের মৃত্যুর ঘটনায় সরাসরি যুক্ত ছিলেন। এদিকে মাইনু ওরফে হেমলাল কোররাম (৩৫) নিষিদ্ধ সিপিআই (মাও)-এর আমদাই এরিয়া কমিটির সম্পাদক ছিলেন। পাশাপাশি রঞ্জিত লেকামি ওরফে অর্জুন (৩০) এবং তাঁর স্ত্রী কোসি ওরফে কাজলও আত্মসমর্পণ করেছেন বলে খবর। উল্লেখ্য, গত বছর বস্তার ডিভিশনের সাতটি জেলায় মোট ৭৯২ জন মাওবাদী আত্মসমর্পণ করেছেন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সূত্রে খবর, যৌথবাহিনীর ধারাবাহিক অভিযানের ফলে দেশে মাওবাদী গেরিলা বাহিনী ক্রমশ দুর্বল হয়ে পড়ছে। এর পাশাপাশি রাজ্য স্তরে স্থানীয় সম্প্রদায়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি করাই মাওবাদী প্রভাব কমানোর মূল চাবিকাঠি। এর ফলে মাওবাদী গেরিলারা অস্ত্র ছেড়ে সাধারণ জীবনে ফিরে আসার চেষ্টা করছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share