Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Ayodhya: রাম মন্দিরে হামলার হুমকি খালিস্তানপন্থী নেতা পান্নুনের, অযোধ্যায় জারি সতর্কতা

    Ayodhya: রাম মন্দিরে হামলার হুমকি খালিস্তানপন্থী নেতা পান্নুনের, অযোধ্যায় জারি সতর্কতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খালিস্তানপন্থী জঙ্গি নেতা গুরপতবন্ত পান্নুনের (Pannun) হুমকির পরেই গোটা অযোধ্যায় (Ayodhya) ব্যাপক সর্তকতা জারি করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, কানাডার খালিস্তানপন্থী সংগঠন শিখ ফর জাস্টিসের নেতা পান্নুন এক ভিডিও বার্তার মাধ্যমে হুমকি দেন যে, আগামী ১৬ থেকে ১৭ নভেম্বরের মধ্যে রাম মন্দিরে হামলা চালানো হবে। এরপরেই নড়ে চড়ে বসে প্রশাসন। অযোধ্যা রেঞ্জের আইজি প্রবীণ কুমার সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘‘অযোধ্যা (Ayodhya) আগেই দুর্গে পরিণত করা হয়েছে। পুলিশের সঙ্গে আধা সামরিক বাহিনী সর্বদাই প্রস্তুত যে কোনও হামলার মোকাবিলা করার জন্য।’’

    ভিডিও বার্তা আসল নাকি নকল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে

    তিনি (প্রবীণ কুমার) আরও বলেন, ‘‘পুলিশ তবুও পান্নুনের (Pannun) ওই হুমকি বার্তা আসল কী নকল তা খতিয়ে দেখছে।’’ প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ১৮ জানুয়ারি উত্তরপ্রদেশের এটিএস তিন জন সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করে। যাদের খালিস্তানি যোগ ধরা পড়ে। এরা প্রত্যেকেই রাম মন্দিরের উদ্বোধনের ঠিক চারদিন আগে অযোধ্যায় রেকি করতে এসেছিলে। প্রসঙ্গত, রাম মন্দির উদ্বোধন করা হয়েছিল গত জানুয়ারি মাসের ২২ তারিখ।

    পান্নুনের ভিডিও বার্তা (Ayodhya)

    তবে শুধু রাম মন্দির (Ayodhya) নয়, দেশের একাধিক মন্দির উড়িয়ে দেওয়ারও হুমকিও দেওয়া হয়েছে ওই ভিডিও বার্তায়। জানা গিয়েছে, কানাডার ব্রাম্পটনে এই ভিডিও শ্যুট করা হয়েছে। পান্নুনকে বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘‘অযোধ্যার মাটি কাঁপিয়ে দেওয়া হবে।’’ সম্প্রতি, কানাডায় একাধিক মন্দিরে খালিস্তানিরা হামলা করছে বলে অভিযোগ। সেখানকার বসবাসকারী হিন্দুদের পান্নুন এও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, এইসব ঘটনার মধ্যে যেন তাঁরা না জড়ান। একই সঙ্গে, কানাডায় বসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে সমর্থন করা যাবে না বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন এই জঙ্গি নেতা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Amit Shah: “উপজাতি মহিলাদের বিয়ে করে জমি হাতাতে পারবে না অনুপ্রবেশকারীরা”, বললেন শাহ

    Amit Shah: “উপজাতি মহিলাদের বিয়ে করে জমি হাতাতে পারবে না অনুপ্রবেশকারীরা”, বললেন শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের ‘ধান্ধা’য় কোপ অমিত শাহের (Amit Shah)! কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাফ জানিয়ে দিলেন, ‘উপজাতি মহিলাদের বিয়ে করে জমি হাতিয়ে নিতে পারবে না অনুপ্রবেশকারীরা।’

    কী বললেন শাহ? (Amit Shah)

    সোমবার ঝাড়খণ্ডের সেরাইকেলায় নির্বাচনী প্রচারসভায় (Jharkhand Assembly Polls) গিয়ে শাহ বলেন, “ঝাড়খণ্ডে বিজেপি ক্ষমতায় এলে এমন একটি আইন প্রণয়ন করবে, যা উপজাতি মেয়েদের বিয়ে করে জমি হস্তান্তর করা থেকে অনুপ্রবেশকারীদের রুখবে।” তিনি বলেন, “বিজেপি এভাবে অধিগৃহীত জমি পুনরুদ্ধার করবে। জমি ফিরিয়ে দেওয়া হবে মূল উপজাতি পরিবারের হাতে।”

    ঝাড়খণ্ডে আদিবাসী জনসংখ্যা কমছে!

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “ঝাড়খণ্ডে আদিবাসী জনসংখ্যা কমছে। অনুপ্রবেশকারীরা আমাদের মেয়েদের বিয়ে করে জমি দখল করছে। তারা আদিবাসী মহিলাদের বিয়ে করলে তাদের জমি স্থানান্তর রোধ করার জন্য আমরা একটি আইন প্রণয়ন করব।” তিনি (Amit Shah) বলেন, “অনুপ্রবেশকারীদের শনাক্ত করতে এবং তাদের উচ্ছেদ করে দখলকৃত জমি পুনরুদ্ধার করতে আমরা একটি কমিটি গঠন করব।”

    জেএমএম-কে আক্রমণ শাহের (Jharkhand Assembly Polls)

    এদিনের সমাবেশে শাহ মুণ্ডপাত করেন রাজ্যের হেমন্ত সোরেন সরকারের। বলেন, “ওরা (হেমন্ত সোরেনের দল) ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার প্রবীণ নেতা চম্পাই সোরেনকে অপমান করেছে। তিনি এখন বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। অনুপ্রবেশের সমস্যার কথা বলায় তাঁকে অপমান করেছে ওরা।” শাহের (Amit Shah) দাবি, “চম্পাই আদিবাসীদের অধিকার ও অনুপ্রবেশ নিয়ে কথা বলায় তাঁকে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিতে বাধ্য করা হয়েছিল।”

    আরও পড়ুন: ফের অশান্ত মণিপুর, সিআরপিএফ শিবিরে হামলা, গুলিতে হত ১১ কুকি জঙ্গি

    চম্পাইয়ের বহিষ্কারে আদিবাসীদের অপমান  

    শাহ (Amit Shah) বলেন, “চম্পাই সোরেন এত বছর ধরে গুরুজি (শিবু সরেন) এবং হেমন্ত সোরেনের প্রতি বিশ্বস্ত থেকেছেন। কিন্তু তাঁকে যেভাবে অপমান ও বহিষ্কার করা হয়েছে, তা কেবল তাঁর নয়, সমগ্র আদিবাসী সমাজের অপমান। চম্পাই সোরেন কেবল এই একটিই দাবি করেছিলেন যে এই অনুপ্রবেশ বন্ধ হওয়া উচিত। কিন্তু তারা (জেএমএম) তা করতে রাজি নয়।” কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (Amit Shah) বলেন, “রাজ্যের শাসক জোট — ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা, কংগ্রেস এবং রাষ্ট্রীয় জনতা দল শুধুমাত্র ব্যক্তিগত উন্নতি করছে। করছে দুর্নীতিও।” তিনি বলেন, “যদি ঝাড়খণ্ডে (Jharkhand Assembly Polls) বিজেপি সরকার গঠন করে, তবে জেএমএম-নেতৃত্বাধীন জোটের দুর্নীতিগ্রস্ত নেতাদের জেলে পাঠানো হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ। 

  • Manipur Violence: ফের অশান্ত মণিপুর, সিআরপিএফ শিবিরে হামলা, গুলিতে হত ১১ কুকি জঙ্গি

    Manipur Violence: ফের অশান্ত মণিপুর, সিআরপিএফ শিবিরে হামলা, গুলিতে হত ১১ কুকি জঙ্গি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মণিপুরে সিআরপিএফের শিবিরে হামলা কুকি জঙ্গিদের। এলোপাথাড়ি গুলি (Gunfight) চালায় জঙ্গিরা (Manipur Violence)। প্রতিরোধ গড়ে তোলেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। নিহত হন ১১ জন। সিআরপিএফের দাবি, নিহত ১১ জনই জঙ্গি। জঙ্গিদের ছোড়া গুলিতে গুরুতর জখম হয়েছেন বাহিনীর এক জওয়ান।

    সংঘর্ষ শুরু গত বছর

    গত বছরের শুরুর দিক থেকেই সংঘর্ষ শুরু হয়েছে মেইতেই ও কুকি জনগোষ্ঠীর মধ্যে। তার জেরে অশান্তির আগুন জ্বলছে চিত্রাঙ্গদার দেশে। দিন দুই আগে বছর একত্রিশের এক আদিবাসী মহিলাকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ ওঠে ঝিরিবাম জেলায়। ওই মহিলা তিন সন্তানের জননী। অভিযোগ, সশস্ত্র হামলাকারীরা প্রথমে গ্রামে ঢুকে লুটপাট চালায়। নির্বিচারে গুলিও করতে শুরু করে। আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয় বেশ কয়েকটি বাড়ি। সব মিলিয়ে এদিন পোড়ানো হয়েছে ১৭টি বাড়ি।

    সিআরপিএফ শিবিরে গুলি

    সেই ঘটনার রেশ পুরোপুরি মিলিয়ে যাওয়ার আগেই ফের অশান্তির আগুন জ্বলল উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে। স্থানীয় সূত্রে খবর, সোমবার দুপুরে আচমকাই জঙ্গিরা হামলা চালায় সিআরপিএফের ক্যাম্পে। তার আগে তারা হামলা চালায় বড়বেকরা মহকুমা সদর থানায়। এরপর তারা লুটপাট চালায় এলাকার কয়েকটি বাড়িতে (Manipur Violence)। দোকানও লুটপাট করে জঙ্গিরা। পরে তারা হামলা চালায় সিআরপিএফের ওপর। এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে দুষ্কৃতীরা। শুরু হয় দুপক্ষের গুলির লড়াই। পুলিশ জানিয়েছে, নিহতরা প্রত্যেকেই কুকি জঙ্গি গোষ্ঠীর সদস্য। জঙ্গিদের খোঁজে এলাকায় তল্লাশি শুরু করেছে বাহিনী।

    আরও পড়ুন: “সারা বিশ্ব ভারতবর্ষের দিকে তাকিয়ে আছে”, বললেন মোহন ভাগবত

    শনিবার রাতে জিরিবামের জাইরাওন নামে এক গ্রামে মেইতেই সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাম্বাই টেঙ্গল এবং ইনএনএলএফের যৌথ বাহিনীর হামলায় এক কুকি মহিলা নিহত হয়েছিলেন। রবিবার কুকি-জো জনজাতিদের যৌথ মঞ্চ আইটিএলএফের মদতপুষ্ট জঙ্গিরা এক মেইতেই মহিলাকে খুন করে।

    এদিকে, পূর্ব ইম্ফল জেলার থামনাপোকপি, ইয়াইঙ্গাংপোকপি, সাবুংখোক এবং সানসাবি-সহ বিভিন্ন এলাকায় মেশিনগান রকেটচালিত গ্রেনেড নিয়ে হামলা চলে কেন্দ্রীয় বাহিনী ও পুলিশের (Gunfight) ওপর। এদিনও রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে সংঘর্ষের খবর এসেছে দফায় দফায় (Manipur Violence)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ। 

     

  • Karnataka: কর্নাটকে ৪০ হাজার কোটি টাকার ‘দুর্নীতি’! ৩৩ কংগ্রেস মন্ত্রীর বিরুদ্ধে তদন্তের দাবি বিজেপির

    Karnataka: কর্নাটকে ৪০ হাজার কোটি টাকার ‘দুর্নীতি’! ৩৩ কংগ্রেস মন্ত্রীর বিরুদ্ধে তদন্তের দাবি বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কর্নাটকে কোটি কোটি টাকার আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ কংগ্রেস-শাসিত সরকারের বিরুদ্ধে। অভিযোগের তীর মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া থেকে শুরু করে উচ্চপদস্থ ৩৩ জন মন্ত্রীর বিরুদ্ধে। সরকারের বিরুদ্ধে ব্যাপক দুর্নীতি, সরকারি অর্থের অপব্যবহার এবং প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনায় সন্দেহজনক সিদ্ধান্ত নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে নানা দিকে। বিরোধী দলগুলো কংগ্রেস সরকারের বিরুদ্ধে স্বচ্ছতার অভাব এবং আইন মেনে চলার প্রতি উদাসীনতার অভিযোগ তুলেছে। বিরোধীদের দাবি, অর্থের বিনিময়ে কর্নাটক সরকারের কিছু মন্ত্রী বিশেষ কিছু ঠিকাদারদের স্বার্থের কথা ভেবে কাজ করে। তাদের হাতেই রয়েছে ক্ষমতার চাবি কাঠি।

    বিবিএমপি সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট স্ক্যাম

    সম্প্রতি কংগ্রেস সরকার পরিচালিত বিবিএমপি-এর (ব্রুহৎ বেঙ্গালুরু মহানগর পালিক) সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট (কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা) নিয়ে এক বিপুল পরিমাণ দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। অ্যান্টি-কোরাপশন ফোরামের সভাপতি তথা বিজেপি নেতা এন আর রমেশ এই  অভিযোগ করেন। তাঁর দাবি, কর্নাটক সরকার একটি ঠিকাদারকে ২৫ বছরের জন্য বর্জ্য নিষ্কাশনের চুক্তি প্রদান করেছে। আগে থেকেই অর্থের বিনিময়ে ওই ঠিকাদারকে নির্দিষ্ট করে রাখা হয়েছিল। যা প্রোকিওরমেন্ট এবং টেন্ডারিং আইনের লঙ্ঘন। এই অভিযোগের সঙ্গে ১,৫৭০ পৃষ্ঠার নথি জমা দেওয়া হয়েছে। ওই নথিতে কংগ্রেস সরকারের ৩৩ জন মন্ত্রীকে দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার এবং পাবলিক ফান্ড চুরির অভিযোগ অভিযুক্ত করা হয়েছে। রমেশ দাবি করেছেন যে, এই চুক্তি রাম্মি ইনসা স্ট্রাকচার প্রাইভেট লিমিটেড নামক একটি কোম্পানিকে দেওয়া হয়েছে, যা অতীতে ব্ল্যাকলিস্টেড হয়েছিল। অভিযোগ অনুযায়ী, এই চুক্তি ২৫ বছরের মধ্যে ৪০,০০০ কোটি পর্যন্ত সরকারি অর্থের অপব্যবহারের কারণ হতে পারে। এটা কর্ণাটকের ইতিহাসে অন্যতম বৃহৎ দুর্নীতির ঘটনা হিসেবে চিহ্নিত হচ্ছে। এই অভিযোগ সামনে আসার পর থেকেই বিজেপি নেতারা মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধারামাইয়া ও অন্যান্য মন্ত্রীদের থেকে জবাবদিহি চাইছে। সরকারকে স্বচ্ছতা বজায় রাখতে চাপ দিচ্ছে বিরোধীরা।

    জমি দুর্নীতি

    কর্নাটক কংগ্রেস সরকারের বিরুদ্ধে জমি দুর্নীতিরও অভিযোগ উঠেছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, কংগ্রেস নেতারা ভূমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়ায় অনিয়ম করেছেন এবং নির্বাচিত কিছু ব্যক্তির হাতে সরকারি জমি বিক্রি করেছেন। এসব সম্পত্তি বেচে সরকারি কর্মকর্তারা ব্যক্তিগত লাভ অর্জন করেছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে। এছাড়া, ঐতিহ্যবাহী স্থাপত্য এবং গুরুত্বপূর্ণ সরকারি জমির অবহেলা করে প্রাইভেট ডেভেলপারদের কাছে তা বিক্রির অভিযোগও রয়েছে। অভিযোগ রয়েছে যে, এসব লেনদেনের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ টাকা কমিশন হিসেবে বিতরণ করা হয়েছে।

    নির্মাণ চুক্তি ও পরিকাঠামোগত অব্যবস্থাপনা

    কংগ্রেস সরকারকে বিভিন্ন নির্মাণ ও পরিকাঠামোগত প্রকল্পে অব্যবস্থাপনার জন্যও অভিযুক্ত করা হচ্ছে। অভিযোগ উঠেছে যে, সরকার অতিরিক্ত বাজেট বরাদ্দ করে এবং প্রকল্পগুলির জন্য টেন্ডার ছাড়া ঠিকাদারি কাজ দিয়েছে। যেমন রাস্তাঘাট নির্মাণ এবং শহরের সৌন্দর্যায়ন প্রকল্পে নিম্ন মানের কাজের অভিযোগ রয়েছে। বিজেপি নেতারা দাবি করেছেন যে, ঠিকাদাররা এই প্রকল্পগুলির খরচ বাড়িয়ে প্রকল্পের মান কমিয়েছে, এবং তাদের দুর্নীতির ফলস্বরূপ সরকারি অর্থের অপব্যবহার হয়েছে।

    শিক্ষা ও কর্মসংস্থানে দুর্নীতির ছায়া

    কংগ্রেস সরকারের বিরুদ্ধে শিক্ষা ও কর্মসংস্থান খাতে দুর্নীতির অভিযোগও উঠেছে। শিক্ষক নিয়োগ, ছাত্র স্কলারশিপ এবং পেশাদারি প্রশিক্ষণ প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। দুর্নীতির মাধ্যমে রাজনৈতিক প্রভাব রয়েছে এরকম  ব্যক্তিদের চাকরি দেওয়ার এবং স্কলারশিপের টাকা আত্মসাত করার অভিযোগও উঠেছে।

    স্বাস্থ্যখাতে দুর্নীতি

    কর্নাটকের স্বাস্থ্য খাতও দুর্নীতির আকরভূমি। সরকারি হাসপাতাল এবং স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ না হওয়া এবং নিন্মমানের চিকিৎসা সামগ্রী সরবরাহের অভিযোগ রয়েছে। আরও অভিযোগ করা হচ্ছে যে, রাজনৈতিক সংযোগের মাধ্যমে কিছু ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করা হয়েছে। যার ফলে সরকারি হাসপাতালগুলিতে অত্যন্ত উচ্চমূল্যে নিম্নমানের ওষুধ সরবরাহ করা হচ্ছে।

    আরও পড়ুন: খনিজ সম্পদেও ‘আত্মনির্ভর ভারত’! নিলামে প্রথম বিক্রি টাংস্টেন-কোবাল্ট

    কৃষি ক্ষেত্রে বিতর্ক

    কৃষকদের জন্য ঘোষিত ঋণ এবং সহায়তা প্রকল্পেও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ করা হয়েছে যে, কংগ্রেস সরকার কৃষকদের জন্য ঘোষিত ঋণ শুধুমাত্র নির্বাচিত কিছু রাজনৈতিক সমর্থকদের মধ্যে বিতরণ করছে। এছাড়া, কৃষকদের জন্য বরাদ্দ অর্থ ও সাহায্য নানা কারণে বিলম্বিত হয়েছে এবং দুর্নীতির মাধ্যমে অনেক সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করা হয়েছে।

    তদন্তের দাবি

    কর্নাটকে এই সব অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিজেপি নেতারা কংগ্রেস সরকারের বিরুদ্ধে বিচারবিভাগীয় তদন্তের দাবি জানিয়েছে। এন আর রমেশের দাবি, সরকারের বিরুদ্ধে যে সমস্ত দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে, তার সুষ্ঠু তদন্ত করা উচিত। বিজেপি প্রতিনিধি দলের যুক্তি, যদি এসব অভিযোগের সঠিকভাবে তদন্ত না করা হয়, তাহলে তা রাজ্যের অর্থনীতি এবং জনগণের আস্থার জন্য বিপজ্জনক হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Elon Musk: শীঘ্রই ভারতে আসছে স্টারলিঙ্ক! কেন্দ্রের ডেটা স্থানীয়করণ শর্তে রাজি মাস্কের স্পেসএক্স

    Elon Musk: শীঘ্রই ভারতে আসছে স্টারলিঙ্ক! কেন্দ্রের ডেটা স্থানীয়করণ শর্তে রাজি মাস্কের স্পেসএক্স

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইলন মাস্কের (Elon Musk) স্পেসএক্স, যা বেশ কয়েকটি দেশে স্যাটেলাইটের মাধ্যমে দ্রুত ইন্টারনেট সংযোগ প্রদান করে থাকে, এবার ভারতেও চালু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। একটি প্রতিবেদনের মাধ্যমে জানা গিয়েছে, স্পেসএক্সের স্টারলিঙ্কের (SpaceX Starlink) কাজকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এই সংস্থাটি ডেটা বা তথ্যের বিষয়ে স্থানীয়করণ এবং অন্যান্য সুরক্ষা ব্যবস্থার জন্য ভারত সরকারের শর্তে সম্মতি দিয়েছে।

    ভারতে স্টারলিঙ্ক লঞ্চের ইঙ্গিত (Elon Musk)

    মানি কন্ট্রোলের একটি খবরে জানা গিয়েছে, স্টারলিঙ্কের লাইসেন্সের আবেদন আবার ট্র্যাকে ফিরে এসেছে। কারণ মাস্ক তাঁর মালিকানাধীন কোম্পানি ভারত সরকারের দেওয়া শর্তে সম্মত হয়েছে। স্টারলিঙ্ক (SpaceX Starlink) বেশ কিছুদিন ধরেই ভারতীয় বাজারে প্রবেশের চেষ্টা করছিল। সাম্প্রতিক এই অগ্রগতিতে অদূর ভবিষ্যতে ভারতে স্টারলিঙ্ক নেটওয়ার্ক সূচনার ইঙ্গিত দিতে পারে। ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, “টেলিকমিউনিকেশন বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সম্প্রতি বৈঠকে স্টারলিঙ্ক (SpaceX Starlink) নীতিগতভাবে সরকারের প্রয়োজনীয়তার সঙ্গে সম্মতি দিয়েছে। ইলন মাস্ক (Elon Musk) হলেন বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাচনে জয়ের পর তিনি অনেক বেশি প্রভাবশালী হতে চলেছেন বলে মনে করা হচ্ছে। মাস্ক প্রকাশ্যে ট্রাম্পকে সমর্থন করেছিলেন এবং প্রচারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনও করেছিলেন। মার্কিন মুলুকে নতুন ট্রাম্প সরকারেও তিনি প্রধান ভূমিকা পালন করতে চলেছেন।”

    আরও পড়ুনঃ রাশিয়ায় তৈরি প্রথম স্টেল্থ ফ্রিগেট ‘তুশিল’ ডিসেম্বরেই আসছে ভারতের হাতে

    কে এই ইলন মাস্ক (Elon Musk)?

    ইলন মাস্ক একজন দক্ষিণ আফ্রিকান প্রকৌশলী ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে বিনিয়োগকারী। তিনি মহাকাশ ভ্রমণ সংস্থা স্পেসএক্সের সিইও ও প্রধান প্রযুক্তি আধিকারিক। তিনি একই ভাবে আবার বৈদ্যুতিক গাড়ির প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান টেসলা মোটরসের-ও প্রধান কার্যনির্বাহী আধিকারিক। তিনি পণ্য প্রস্তুতকারক সোলারসিটির চেয়ারম্যান। সেই সঙ্গে তিনি দি বোরিং কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতাও। একই ভাবে নিউরালিঙ্কের সহযোগী প্রতিষ্ঠাতা, ওপেনএআইয়ের সহযোগী প্রতিষ্ঠাতা ও প্রতিষ্ঠাকালীন চেয়ারম্যান। তিনি পেপালেরও (PayPal) একজন সহযোগী-প্রতিষ্ঠাতা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mohan Bhagwat: “সারা বিশ্ব ভারতবর্ষের দিকে তাকিয়ে আছে”, বললেন মোহন ভাগবত

    Mohan Bhagwat: “সারা বিশ্ব ভারতবর্ষের দিকে তাকিয়ে আছে”, বললেন মোহন ভাগবত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “সারা বিশ্ব ভারতবর্ষের দিকে তাকিয়ে আছে।” কথাগুলি বললেন সরসঙ্ঘচালক মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। তিনি বলেন, “পশ্চিমী দৃষ্টিকোণ থেকে এখন পর্যন্ত যে উন্নয়ন ঘটেছে তা অসম্পূর্ণ। প্রকৃতপক্ষে, ধর্ম এবং রাজনীতির ধারণাকে একসময় ব্যবসা বানানো হয়েছিল। পরবর্তীকালে, বৈজ্ঞানিক যুগের আগমনের পর এটি অস্ত্রের বাণিজ্যেও পরিণত হয় এবং দুটি বিশ্বযুদ্ধ সংঘটিত হয়। এই প্রেক্ষাপটে, এতে সুখ এবং সমৃদ্ধি আসেনি, বরং আরও বেশি ধ্বংস হয়েছে।”

    কী বললেন আরএসএস কর্তা? (Mohan Bhagwat)

    আরএসএস (RSS) কর্তা (Mohan Bhagwat) বলেন, “পুরো বিশ্ব দুটি মতাদর্শে বিভক্ত হয়ে পড়েছিল—নাস্তিক ও আস্তিক। পরে এটি সংঘর্ষের কারণও হয়ে ওঠে, যেখানে শক্তিশালীরা বেঁচে থাকে এবং দুর্বলরা হারিয়ে যায়।” বর্তমান সময়ে বিশ্বকল্যাণের জন্য হিন্দুত্বের প্রাসঙ্গিকতা’ শীর্ষক বিষয়ে বক্তব্য রাখছিলেন তিনি। অনুষ্ঠান হয়েছিল জবলপুরে। ভাগবত (Mohan Bhagwat) বলেন, “গোষ্ঠীগুলির শক্তির ধারণাও সামনে আসে এবং এর সঙ্গে সঙ্গে সংঘর্ষ শুরু হয়। সম্পদ সীমাহীন হয়ে উঠেছে। কিন্তু সঠিক পথ খুঁজে পাওয়া যায়নি। এই কারণেই আজ সারা বিশ্ব আধ্যাত্মিক শান্তির প্রত্যাশায় ভারতের দিকে তাকিয়ে রয়েছে।”

    ভারত তার জ্ঞান ভুলে গিয়েছে

    তিনি বলেন, “পৃথিবীর কল্যাণ প্রয়োজন। যদি তাই হয়, তবে কার ওপর এর প্রতি সর্বাধিক বৈশ্বিক দায়িত্ব বর্তায়? আজকের দিনে পৃথিবী কার কাছ থেকে এই সমস্যার সমাধান আশা করছে?” সরসঙ্ঘ চালক (Mohan Bhagwat) বলেন, “আজ বিশ্ব সম্পদে পরিপূর্ণ, জ্ঞানের কোনও সীমা নেই। কিন্তু মানবকল্যাণের জন্য প্রয়োজনীয় পথ নেই। এই দিক থেকে ভারত সমৃদ্ধশালী। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে ভারত তার জ্ঞান ভুলে গিয়েছে। এর অনেক কারণ আছে, যার মধ্যে একটি হল বিলাসিতা এবং শান্তিপূর্ণ জীবনের প্রাপ্তি। কিন্তু আমাদের স্মরণ করতে হবে আমরা কী ছিলাম। তাই আমাদের এই বিস্মৃতির গহ্বর থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।”

    আরও পড়ুন: মহারাষ্ট্রের ভোটে প্রভাব ফেলছে অনুপ্রবেশকারী মুসলমানরা! বলছে সমীক্ষা

    ভাগবত (Mohan Bhagwat) আরও বলেন, “ভারতীয় জীবনদর্শনে অজ্ঞতা ও জ্ঞান উভয়ই গুরুত্বপূর্ণ, উভয়ের একটি সমন্বয় প্রয়োজন যাতে জাগতিক ও আধ্যাত্মিক জীবনে ভারসাম্য রক্ষা করা যায়। এটি হিন্দু ধর্মে গৃহীত হয়েছে, তাই হিন্দু ধর্ম অজ্ঞতা ও জ্ঞানের উভয় পথেই চলে (RSS)। যে কারণে এখানে কোনও চরমপন্থী বা উগ্রপন্থী নেই। অথচ পশ্চিমের ধারণায় চরমপন্থা ও উগ্রতা দেখা যায়। কারণ তারা তাদের স্বার্থের ক্ষতির আশঙ্কা করে, যার ফলে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি অসম্পূর্ণ।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ। 

     

  • INS Tushil: রাশিয়ায় তৈরি প্রথম স্টেল্থ ফ্রিগেট ‘তুশিল’ ডিসেম্বরেই আসছে ভারতের হাতে

    INS Tushil: রাশিয়ায় তৈরি প্রথম স্টেল্থ ফ্রিগেট ‘তুশিল’ ডিসেম্বরেই আসছে ভারতের হাতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি বছরের শেষেই ভারত রাশিয়া থেকে প্রথম স্টেলথ ফ্রিগেট ‘তুশিল’ গ্রহণ করবে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং ৯ ডিসেম্বর রাশিয়ার কালিনিনগ্রাদের ইয়ন্তর শিপইয়ার্ড থেকে এই অত্যাধুনিক যুদ্ধজাহাজটি আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রহণ করবেন। রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের ২৫০ কোটি ডলার অস্ত্র-চুক্তির মধ্যে এটি হল অন্যতম। ২০২৩ সালেই এই যুদ্ধজাহাজ ভারতের হাতে আসার কথা ছিল। কিন্তু প্রথমে কোভিড অতিমারি ও পরে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের জন্য প্রায় এক বছর পর তুশিল হাতে পেতে চলেছে ভারত। 

    তুশিলের ক্ষমতা

    তুশিল একটি সংস্কৃত শব্দ। এর অর্থ রক্ষাকবচ। রাশিয়ায় নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূত ডি বালা ভেঙ্কটেশ বর্মার উপস্থিতিতে এই চুক্তি হয়েছিল। ভারত মহাসাগরে প্রহরা দেবে ‘তুশিল’। স্টেলথ প্রযুক্তির প্রয়োগ করা হয়েছে এই যুদ্ধজাহাজ প্রস্তুতিতে। এয়ার ডিফেন্স থেকে শুরু করে অ্যান্টি-শিপ ও অ্যান্টি-সাবমেরিন যুদ্ধে পারদর্শী এই অত্যাধুনিক ফ্রিগেট। এতে হেলিকপ্টারও অবতরণ করতে পারবে। বিভিন্ন সময়ে প্রয়োজন অনুসারে এর দায়িত্বও বাড়ানো হবে।

    আরও পড়ুন: খনিজ সম্পদেও ‘আত্মনির্ভর ভারত’! নিলামে প্রথম বিক্রি টাংস্টেন-কোবাল্ট

    নৌসেনার ক্ষমতা বাড়বে

    তুশিল ভারতীয় নৌসেনার হাতে এলে স্বাভাবিক ভাবেই ইন্দো প্যাসিফিক অঞ্চলে ভারতের দাপট বাড়বে। ফ্রিগেটটি ভারতের নৌবাহিনীর সামুদ্রিক অঞ্চলে আধিপত্য বিস্তার এবং গুরুত্বপূর্ণ সামুদ্রিক পথগুলির সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ হিসেবে কাজ করবে। ২০১৬ সালের অক্টোবর মাসে রাশিয়া এবং ভারত চারটি স্টেলথ ফ্রিগেট ক্রয়ের জন্য একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে। এই চুক্তির আওতায় দুটি ফ্রিগেট সরাসরি আমদানি করা হবে, এবং বাকি দুটি গোয়া শিপইয়ার্ড লিমিটেড (জিএসএল)-এ স্থানীয়ভাবে নির্মাণ করা হবে। প্রথম দুটি ফ্রিগেটের সরাসরি ক্রয়ের জন্য ১ বিলিয়ন ডলারের চুক্তি চূড়ান্ত করা হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ghar Wapsi: ছত্তিশগড়ে ‘ঘর ওয়াপসি’, অন্য ধর্ম ত্যাগ করে ৩৫০ জন ফিরলেন সনাতন ধর্মে

    Ghar Wapsi: ছত্তিশগড়ে ‘ঘর ওয়াপসি’, অন্য ধর্ম ত্যাগ করে ৩৫০ জন ফিরলেন সনাতন ধর্মে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছত্তিশগড়ে অন্যান্য ধর্ম ত্যাগ করে ৩৫০ জন ব্যক্তি সনাতন ধর্মে ফিরে এসেছেন। উল্লেখ্য তাঁদের ধর্মান্তরিত করার জন্য বিভ্রান্ত করা হয়েছিল। সাময়িক ভাবে নিজের শেকড় থেকে বিছিন্ন হলেও সনাতন ধর্মের আধ্যাত্মিক শিকড়ের কারণে ‘ঘর ওয়াপসি’ (Ghar Wapsi) হয়েছেন। 

    ‘বাঁচো এবং বাঁচতে দাও’(Ghar Wapsi)

    রায়পুরের বিটি গ্রাউন্ডে রবিবার একটি সন্ত প্রবুদ্ধ জন সম্মলেনের আয়োজন করা হয়েছিল। এই অনুষ্ঠানে দক্ষিণ ভারতের বিশিষ্ট ধর্মগুরু উপস্থিত ছিলেন। উপস্থিত ধর্মগুরু এবং সন্ত সমাজের নেতারা ক্রমবর্ধমান হিন্দুধর্মের উপর বিধর্মী কূচক্রীদের আগ্রাসনের কথা তুলে ধরেন। সেই সঙ্গে ধর্মান্তকরণ এবং হিন্দু ধর্মের অপপ্রচারের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এই কর্মযজ্ঞে ৩০০ জন সাধক সনাতন ধর্মের সেবায় দীক্ষা গ্রহণ করেন। অপরদিকে একই ভাবে আরও ৩৫০ জন, যাঁরা আগে অন্যধর্মে ধর্মান্তরিত হয়েছিলেন, তাঁরাও ‘ঘর ওয়াপসি’ করেন, অর্থাৎ পুনরায় আবার সনাতন ধর্ম (Ghar Wapsi) গ্রহণ করেন। এদিন অনুষ্ঠানে ধর্মগুরুরা বলেন, ‘বাঁচো এবং বাঁচতে দাও।’

    আরও পড়ুনঃ মহারাষ্ট্রের ভোটে প্রভাব ফেলছে অনুপ্রবেশকারী মুসলমানরা! বলছে সমীক্ষা

    হিন্দু ধর্মের পুনঃজাগরণ

    উল্লেখ্য, এই রাজ্যে ‘ঘর ওয়াপসি’ অনুষ্ঠানের ঘটনা আগেও হয়েছে। ছত্তিশগড়ের কাঙ্কের জেলার রামনগরে এই মাসের শুরুতে আরও একটি অনুষ্ঠান হয়েছিল। সেখানে ৩ নভেম্বর মা ভুবনেশ্বরী জনকল্যাণ সমিতি আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে প্রায় ১১টি পরিবার হিন্দু ধর্মে ফিরে আসেন। একই ভাবে বলরামপুর জেলার কান্ডারি গ্রামে বনবাসী রামকথা এবং মহাযজ্ঞের সমাপনী অনুষ্ঠানে ৫০টির বেশি পরিবারের শত শত লোক সনাতন ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন। এই কর্মকাণ্ডের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন আচার্য সদানন্দজি মহারাজ। তিনি এই অনুষ্ঠানে শ্রীরামের জীবনীর উপর আধ্যাত্মিক দর্শন সম্পর্কে বক্তব্য রাখেন। জানা গিয়েছে, মিথ্যা প্রলোভন, অসত্য কথন এবং দুর্বলতার সুযোগে মানুষকে বিভ্রান্ত করা হয়। সম্প্রতি এই ঘটনাগুলিতে হিন্দুধর্মের যে পুনঃজাগরণ (Ghar Wapsi) ঘটেছে তা নিয়ে ওয়াকিবহাল মহল মনে করছেন।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Maharashtra Assembly Elections 2024: মহারাষ্ট্রের ভোটে প্রভাব ফেলছে অনুপ্রবেশকারী মুসলমানরা! বলছে সমীক্ষা

    Maharashtra Assembly Elections 2024: মহারাষ্ট্রের ভোটে প্রভাব ফেলছে অনুপ্রবেশকারী মুসলমানরা! বলছে সমীক্ষা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরব সাগরের তীরেও মাথাব্যথার কারণ সেই বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা। প্রতিনিয়ত যে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে ঝাড়খণ্ড, ধামাচাপা দিয়ে কেন্দ্রের আইওয়াশ করছে পশ্চিমবঙ্গ (অন্তত এমনই অভিযোগ বিরোধীদের), সেই অবৈধ অনুপ্রবেশকারীরাই ‘এক্স ফ্যাক্টর’ মহারাষ্ট্র (Maharashtra) বিধানসভা নির্বাচনে (Maharashtra Assembly Elections 2024)।

    কী বলছে গবেষণাপত্র (Maharashtra Assembly Elections 2024)

    সম্প্রতি টাটা ইনস্টিটিউট অফ সোশ্যাল সায়েন্সেসের (টিস) একটি গবেষণায় জানা গিয়েছে, অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের সংখ্যা, বিশেষ করে বাংলাদেশ ও মায়ানমার থেকে আগত মুসলমানদের সংখ্যা মুম্বইতে বাড়ছে হুহু করে। কিছু রাজনৈতিক দল তাদের ব্যবহার করছে ভোটব্যাঙ্ক হিসেবে। এই গবেষণায় এও বলা হয়েছে, অনুপ্রবেশকারীরা শহরের সামাজিক ও অর্থনৈতিক অবস্থাকে প্রভাবিত করছে। তারা অদক্ষ শ্রমিকের কাজ করছে। শ্রমিক সহজলভ্য হওযায় মজুরি কমছে স্থানীয়দের। প্রসঙ্গত, গবেষণাপত্রটির শিরোনাম ছিল ‘মুম্বইতে অবৈধ অভিবাসী: সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক পরিণতি বিশ্লেষণ’।

    মুসলমানদের ভোটব্যাঙ্ক হিসেবে ব্যবহার

    যুগের পর যুগ ধরে ভারতের রাজনৈতিক দলগুলির একটা অংশ মুসলমানদের ভোটব্যাঙ্ক হিসেবেই ব্যবহার করে আসছে। এই দলগুলিই অনুপ্রবেশকারীদের ব্যবহার করছে নানা কাজে। কখনও জাল নথি বানিয়ে, কখনও আবার অন্য কোনওভাবে ওই রাজনৈতিক দলগুলি অনুপ্রবেশকারীদের মিশিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে এ দেশের মূলস্রোতে। টাটা ইনস্টিটিউট অফ সোশ্যাল সায়েন্সেসের গবেষণাপত্রেও প্রায় একই কথা বলা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, ‘কিছু রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতি করতে গিয়ে ব্যবহার করে অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের। এটি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করতে পারে। ভোটার নিবন্ধন কারসাজির অভিযোগও উঠেছে। অনথিভুক্ত অনুপ্রবেশকারীরা জাল ভোটার আইডি সংগ্রহ করে অংশগ্রহণ করে নির্বাচনে। ফলে নির্বাচনের স্বচ্ছতা ও ভারতের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার অখণ্ডতা নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে (Maharashtra Assembly Elections 2024)।’

    ধর্মীয় জনসংখ্যার ভারসাম্যেও পরিবর্তন

    গবেষণাপত্রে আরও বলা হয়েছে, কিছু রাজনীতিবিদ ভোটের জন্য অনুপ্রবেশকারীদের আইডি বা রেশন কার্ড তৈরি করে দেওয়ার পক্ষে। তবে এতে সমস্যা ক্রমেই বাড়ছে। কারণ রাজনীতি-চালিত অনুপ্রবেশের জেরে বাড়ছে মেরুকরণ। এটি প্রভাব ফেলতে পারে নির্বাচনী ফলে। এর ফলে গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়নমূলক ইস্যুগুলি থেকে মনোযোগ সরে যেতে পারে।গবেষণায় আরও দাবি করা হয়েছে, মুসলমান অনুপ্রবেশকারীদের উল্লেখযোগ্য প্রবাহ ধর্মীয় জনসংখ্যার ভারসাম্যেও পরিবর্তন এনেছে। যার জেরে বিশেষ করে মুম্বইয়ের হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে বাড়ছে নিরাপত্তাহীনতা ও সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা। অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের সঙ্গে শহরে অপরাধ বৃদ্ধির সম্পর্ক রয়েছে বলেও ইঙ্গিত মিলেছে ওই গবেষণাপত্রে।

    আরও পড়ুন: আমেরিকায় ট্রাম্প জয়ী হওয়ায় লাভবান হবে ভারত, বলছে রেটিং সংস্থা মুডিজ

    প্রভাব পড়ছে জনবিন্যাসেও

    মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) কিছু এনজিও এবং ধর্মীয় সংগঠনগুলিও এই অনুপ্রবেশকারীদের নিরন্তর সাহায্য করে চলেছে। তার জেরে ঘটছে এলাকার জনসংখ্যাগত পরিবর্তন। যার প্রভাব পড়ছে আরবসাগরের তীরের রাজ্যটির অর্থনীতি এবং রাজনীতিতে। গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, কঠোর নিয়মের কারণে রেজিস্টার্ড এনজিওগুলি প্রায়ই অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের সহায়তা করা থেকে বিরত থাকে। সেই ফাঁক পূরণ করে অবৈধ এনজিওগুলি। তার জেরেই দ্রুত বদলে যাচ্ছে শহরের জনবিন্যাস। গবেষকরা প্রায় ৩০০০ জন অনুপ্রবেশকারীর সঙ্গে কথা বলেছেন। এর মধ্যে বিধানসভা নির্বাচনের আগে ৩০০ জনের সঙ্গে কথা বলে প্রকাশ করেছেন রিপোর্টটি (Maharashtra Assembly Elections 2024)। এই তিনশোজন ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে ধারাভি, গোভান্ডি, মানখুর্দ, মাহিম পশ্চিম এবং আম্বেদকর নগরে।

    লোকসভা নির্বাচনে অনুপ্রবেশকারীদের প্রভাব

    চলতি বছর মে-জুন মাসে হয় লোকসভা নির্বাচন। তার আগে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছিল একটি বেসরকারি সংস্থা। তারা জানিয়েছিল, মুসলমানরা মহারাষ্ট্রে বিশেষত বিজেপিকে পরাজিত করতে সংঘটিত হয়েছিল। এ রাজ্যে লোকসভা নির্বাচনের ফল খুবই চমকপ্রদ। এখানে বিজেপি ছাড়া অন্য দলগুলোকে সমর্থন করেছিল মুসলমানরা। ওই নির্বাচনে মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডের নেতৃত্বাধীন শিবসেনা জেতে ৭টি আসনে। পদ্ম ফোটে ৯টি কেন্দ্রে। অন্যদিকে, এনসিপি (শরদ পাওয়ার), ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল কংগ্রেস এবং শিবসেনা (ইউবিটি), যারা মুসলমান এবং কমিউনিস্টদের সমর্থন পেয়েছিল, তারা যথাক্রমে জয়লাভ করে ৮, ১৩ এবং ৯টি আসনে। এ থেকে একটা জিনিস পরিষ্কার, মহারাষ্ট্রের মুসলমানরা বিজেপি ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে থাকা রাজনৈতিক দলগুলিকেই ভোট দিয়েছিল (Maharashtra Assembly Elections 2024)। শিবসেনা নেতা তথা মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী দীপক কেসারকার, যিনি মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডের ঘনিষ্ঠ, পরে একটি বিবৃতি দিয়েছিলেন। তাতে তিনি বলেছিলেন, বিজেপির বিরুদ্ধে মুসলিমদের ‘ফতোয়া’ জারি হওয়ার কারণেই শিবসেনা (ইউবিটি), ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল কংগ্রেস, এবং এনসিপি (শরদ পাওয়ার) মুম্বই ও রাজ্যের আরও বেশ কিছু অঞ্চলে বেশিরভাগ আসন জিততে পেরেছে।

    বিজেপির বিরুদ্ধে ফতোয়া জারি

    জানা গিয়েছে, মহারাষ্ট্রেরই পুণে অঞ্চলে ইসলামপন্থীরা বিজেপির বিরুদ্ধে ফতোয়া জারি করেছিল। মুসলমান ভোটারদের পুণে, শিরুর, বারামতি এবং মাওয়াল কেন্দ্রের জন্য যথাক্রমে কংগ্রেস, এনসিপি (শরদ পওয়ার) এবং শিবসেনা (উদ্ধব বালাসাহেব ঠাকরে) প্রার্থীদের ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিল। ইসলামি নেতারা এই ঘোষণা করেছিল ২ মে, কন্ডওয়া অঞ্চলে কুল জামাতি তানজিম পুণে কর্তৃক আয়োজিত ‘তাকরির বাই হযরত মাওলানা সাজ্জাদ নোমানি’ অনুষ্ঠানে। বক্তৃতা দিতে গিয়ে, নোমানি বলেছিলেন যে আজকের প্রত্যেক মুসলিম ভোটারের উচিত তার সম্প্রদায়ের স্বার্থে তার ভোটাধিকার প্রয়োগ করা। তিনি মুসলমানদের মনে ভীতি সঞ্চার করতে গিয়ে বলেন, “যদি মোদি ক্ষমতায় আসেন, তবে সমস্ত মাজার ও মাদ্রাসা ধ্বংস করে দেওয়া হবে।” শিবসেনা (ইউবিটি) দ্বারা মুম্বইয়ে আয়োজিত ওই সমাবেশে ইসলামিক পতাকাও উত্তোলন করা হয়েছিল।

    মুসলমানদের মধ্যে প্রচার

    মহারাষ্ট্র বিধানসভার নির্বাচন হবে ২০ নভেম্বর। জানা গিয়েছে, আসন্ন নির্বাচনের প্রচারে ১৮০টির মতো এনজিও মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে ফিল্ডে কাজ করছে ‘সচেতনতা’ বাড়াতে। মুসলমানরা যাতে বেশি করে ভোটদান প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে, সেই প্রচারও চালাচ্ছে। এই কৌশলটি লোকসভা নির্বাচনের সময় মহা বিকাশ আগাড়িকে সাহায্য করেছিল। প্রতিবেদন অনুযায়ী, শিবাজিনগর, মুম্বাদেবী, বাইকুল্লা এবং মালেগাঁও সেন্ট্রালের মতো মুসলিম-অধ্যুষিত এলাকায়, লোকসভা নির্বাচনের সময় ভোটারদের উপস্থিতি পার্শ্ববর্তী বিধানসভা অঞ্চলের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি ছিল। এই বৃদ্ধির কারণ হিসেবে বিভিন্ন সংস্থা মুসলিম ভোটারদের উদ্বেগ এবং গত এক বছর ধরে এই সম্প্রদায়ের মধ্যে সচেতনতা (Maharashtra Assembly Elections 2024) বৃদ্ধির প্রচেষ্টার উল্লেখ করেছে।

    মহারাষ্ট্র মুসলিম সেবা সঙ্ঘ

    মহারাষ্ট্র মুসলিম সেবা সঙ্ঘ ১৮০টিরও বেশি এনজিওর সঙ্গে সহযোগিতা করেছে এবং এই প্রতিষ্ঠানগুলি মুসলমান সম্প্রদায়ের মধ্যে ভোটার নিবন্ধন ও সচেতনতা বাড়ানোর কাজ করছে। সংগঠনটি রাজ্যজুড়ে মুসলিম ভোটারদের সঙ্গে বৈঠক ও তথ্য জানানো সেশনের আয়োজন করেছে। সংগঠনের নেতা ফকির মাহমুদ ঠাকুর বলেন, “এর ফলে লোকসভা নির্বাচনে ভোটের হার ৬০ শতাংশ ছাড়িয়ে গিয়েছে। যা আগের চেয়ে প্রায় ১৫ শতাংশ বেশি। আমরা মুসলিমদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি যাতে তাঁরা ধর্মনিরপেক্ষ প্রার্থীদের সমর্থন করেন এবং সংবিধানের প্রতি সম্মান রেখে ভোট দেন। অন্যান্য সংগঠন ও ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে আমাদের সহযোগিতার ফলে একটি শক্তিশালী প্রতিক্রিয়া এসেছে। রাজ্যজুড়ে (Maharashtra) ২০০টিরও বেশি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে, যা ভোটারদের উপস্থিতি বৃদ্ধিতে সহায়ক হয়েছে (Maharashtra Assembly Elections 2024)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ। 

  • Donald Trump: ‘‘ট্রাম্পের জয়ে অনেক দেশই উদ্বিগ্ন, তবে ভারত নয়’’, সাফ জানালেন জয়শঙ্কর

    Donald Trump: ‘‘ট্রাম্পের জয়ে অনেক দেশই উদ্বিগ্ন, তবে ভারত নয়’’, সাফ জানালেন জয়শঙ্কর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মার্কিন মসনদে দারুণভাবে কামব্যাক করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। ট্রাম্প ঝড়ে কার্যত উড়ে গিয়েছেন কমলা হ্যারিস। এদিকে ট্রাম্পের ফেরা নিয়ে উদ্বিগ্ন বাংলাদেশের ইউনূস সরকার সহ অনেকেই। এই আবহে ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar) জানিয়ে দিলেন, ট্রাম্পের মসনদে বসা নিয়ে উদ্বেগে নেই দেশ। বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর স্পষ্ট বক্তব্য, ‘‘ট্রাম্পের জয়ে অনেক দেশই উদ্বিগ্ন, তবে ভারত নয়।’’

    গতকাল রবিবার মুম্বইতে এই কথাগুলি বলেন বিদেশমন্ত্রী

    রবিবার মুম্বইতে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে এই বক্তব্য রাখেন বিদেশমন্ত্রী (S Jaishankar) এস জয়শঙ্কর। কেমন হতে চলেছে ভারতের সঙ্গে মার্কিন দেশের সম্পর্ক? এ নিয়ে জয়শঙ্করের বক্তব্য, ‘‘আমাদের প্রধানমন্ত্রী প্রথম তিনজন রাষ্ট্রনেতার মধ্যে অন্যতম যিনি ট্রাম্পকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন টেলিফোনের মাধ্যমে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যখন প্রথম মার্কিন সফরে যান, তখন ওবামা ছিলেন প্রেসিডেন্ট। তারপরে হলেন ট্রাম্প (Donald Trump)। এরপর বাইডেন। তাহলে আপনারা অনুমান করতেই পারছেন যে আমাদের প্রধানমন্ত্রী কীভাবে সম্পর্কগুলিকে রেখে চলেছেন।’’

    ট্রাম্প (Donald Trump) প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন আমেরিকায় অনুষ্ঠিত হয় হাওডি মোদি

    প্রসঙ্গত, শেষবারের মতো ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট থাকার সময় ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে আমেরিকাতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সম্মানে আয়োজিত হয়েছিল ‘হাওডি মোদি’ অনুষ্ঠান। অন্যদিকে, এর ঠিক কয়েক মাস পরেই ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে আমেদাবাদে ট্রাম্পের সম্মানে মোদি অনুষ্ঠিত করেন ‘নমস্তে ট্রাম্প’।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share