Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Jammu Kashmir: পাক অধিকৃত কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণরেখায় ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণ, আহত ৬ সেনা

    Jammu Kashmir: পাক অধিকৃত কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণরেখায় ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণ, আহত ৬ সেনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জম্মু ও কাশ্মীরের (Jammu Kashmir) নিয়ন্ত্রণরেখায় (এলওসি) ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণে আহত হয়েছেন ভারতীয় সেনার ছ’জন জওয়ান। তাঁদের রাজৌরি (Landmine Blast in Rajouri) জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আহতদের মধ্যে এক জনের আঘাত গুরুতর। মঙ্গলবার পাক অধিকৃত কাশ্মীর লাগোয়া রাজৌরি জেলার নওশেরার ভবানী সেক্টরে ওই ঘটনা ঘটেছে বলে ভারতীয় সেনার উত্তরাঞ্চলীয় (নর্দার্ন) কম্যান্ড সূত্রে জানা গিয়েছে। 

    কী ঘটেছিল?

    প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, এদিন সকাল ১০.৪৫ নাগাদ নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর গোর্খা রাইফেলসের জওয়ানরা টহল দিচ্ছিলেন। সেখানেই মাটিতে লুকনো ছিল ল্যান্ডমাইনটি। একজন সেনা জওয়ান ভুলবশত একটি ল্যান্ডমাইনের উপর পা দিয়ে দিলে বিস্ফোরণ ঘটে। জখমদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এক জনের আঘাত মারাত্মক হলেও বাকিদের অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানা গিয়েছে। এক সরকারি আধিকারিক জানিয়েছেন যে, অনুপ্রবেশ রোধে জম্মু ও কাশ্মীরের সীমান্তবর্তী নিয়ন্ত্রণ রেখা এলাকায় প্রায়শই ল্যান্ডমাইন পোঁতা থাকে। ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে কখনও ওই ল্যান্ডমাইনগুলি সরানোর কাজ চলে। যার ফলেই এ দিনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

    নাশকতার ছক!

    প্রসঙ্গত, এর আগে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে ওই এলাকাতেই ‘অ্যান্টি পার্সোনেল’ ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণে এক সেনা জওয়ানের পা উড়ে গিয়েছিল। এবার অবশ্য, প্রাথমিক চিকিৎসার পর জওয়ানরা সকলেই সুস্থ রয়েছেন বলে খবর।  তবে পাক জেহাদিরা ছক কষেই নাশকতার জন্য ল্যান্ডমাইন সরিয়ে এনেছিল কি না তাও খতিয়ে দেখছে সেনা।  

     

    আরও পড়ুন: বিশ্বের আধ্যাত্মিক হৃদয় মহাকুম্ভ, প্রয়াগরাজের মহাতীর্থে মিশল ইউরোপ থেকে আমেরিকা

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Amit Shah: ভোকাট্টা.. ঘুড়ি উড়িয়ে মকর সংক্রান্তি উদযাপন করলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ

    Amit Shah: ভোকাট্টা.. ঘুড়ি উড়িয়ে মকর সংক্রান্তি উদযাপন করলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মকর সংক্রান্তির (Makar Sankranti) সকাল। ছাদে উঠে লাটাই হাতে ঘুড়ি ওড়াচ্ছিলেন একজন। সুতোয় টান দিয়েই যিনি ও..ওওওও.. বলে চিৎকার করে উঠলেন, তিনি আতিপাতি কেউ নন, হোমরাচোমরা ব্যক্তি, দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। মঙ্গলবার, মকর সংক্রান্তির সকালটা এভাবেই কাটালেন তিনি। কারও ঘুড়ি কেটে দেওয়ার পরেই যে তিনি শিশুর মতো উল্লাসে ফেটে পড়লেন, তা বলাই বাহুল্য। ভাইরাল হয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ঘুড়ি ওড়ানোর দৃশ্য।

    ঘুড়ি ওড়ালেন শাহ (Amit Shah)

    মকর সংক্রান্তির দিন বাংলার অনেক জায়গায়ই ঘুড়ি ওড়ানো হয়। এদিন গুজরাটের আকাশেও পতপত করে উড়তে থাকে পেটকাটি, চাঁদিয়াল-সহ হরেক কিসিমের ঘুড়ি। তেমনই একটা ঘুড়ি উড়িয়ে, ‘শৈশবে’র দিনগুলিতে ফিরে গেলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এদিন আমদাবাদের শান্তিনিকেতন সোস্যাইটির ছাদে ঘুড়ি ওড়ান শাহ। তিনি আমদাবাদের সাংসদও। সাংসদকে ছাদে উঠে ঘুড়ি ওড়াতে দেখে আশপাশের বাড়ির ছাদে থাকা লোকজন হাত নেড়ে মকর সংক্রান্তির শুভেচ্ছা জানান তাঁকে। এদিন শাহের (Amit Shah) সঙ্গে ছাদে ছিলেন তাঁর স্ত্রী এবং গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেলও। প্রসঙ্গত, ১৪ তারিখ থেকে তিনদিনের গুজরাট সফরে গিয়েছেন শাহ।

    স্মৃতির সাগরে ডুব মোদির

    এদিন স্মৃতির সাগরে ডুব দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। ‘উত্তরায়ণ’ (মকর সংক্রান্তিকে এই নামেই ডাকা হয় গুজরাটে) এর স্মৃতিচারণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ভারতীয় সংস্কৃতিতে মকর সংক্রান্তির গুরুত্ব যে কতটা, সেটা সকলে জানেন।” তিনি বলেন, “আমি তো গুজরাটের লোক। আমার প্রিয় উৎসব মকর সংক্রান্তি ছিল। কারণ আজ গুজরাটের সব লোক ছাদেই থাকেন। দিনভর ঘুড়ি ওড়ান। আমি যখন ওখানে থাকতাম, তখন আমারও খুব শখ ছিল।”

    আরও পড়ুন: দেশে সত্যিকারের স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল রাম মন্দির প্রতিষ্ঠার দিন, বললেন ভাগবত

    গুজরাটে ঘুড়ি একটা বিরাট ব্যবসা। দেশের ৪০ শতাংশ ঘুড়ি তৈরি হয় এ রাজ্যে। ঘুড়ি ওড়ানোর জন্য মকর সংক্রান্তিতে (Makar Sankranti) ছাদ ভাড়া দেওয়া হয়। ঘুড়ি (Amit Shah) ওড়ানো চলে দুদিন ধরে। আকাশে ঘুড়ির এই মেলা দেখতে ভিড় করেন পর্যটকরাও।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

       

  • Bangladeshi Illegal Immigrants: তামিলনাড়ুতে ৩১ জন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে আটক করল এটিএস

    Bangladeshi Illegal Immigrants: তামিলনাড়ুতে ৩১ জন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে আটক করল এটিএস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তামিলনাড়ু (Tamil Nadu) থেকে ৩১ জন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে (Bangladeshi Illegal Immigrants) আটক করেছে এটিএস। জানা গিয়েছে, তারা পশ্চিমবঙ্গ সীমান্ত এলাকা দিয়ে ভারতে প্রবেশ করেছিল। তামিলনাড়ুর তিরুপুর এবং কোয়েম্বত্তুর জেলার গ্রামীণ এলাকা থেকে এই সন্দেহভাজনদের গ্রেফতার করা হয়েছে। উল্লেখ্য গত ৫ অগাস্ট থেকে হাসিনাকে বিতাড়িত করার পর বাংলাদেশের আভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে অস্থিরতা চলছে। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তকে অনুপ্রবেশের মুক্তাঞ্চল করে নাশকতামূলক চক্রান্তের ছক কষে জঙ্গি কার্যকলাপকে সক্রিয় করা হচ্ছে বলে মনে করেছেন বিশেষজ্ঞ মহল। 

    পোশাক কারখানায় কর্মরত ছিলেন অনুপ্রবেশকারীরা (Bangladeshi Illegal Immigrants)

    গোয়েন্দাদের তথ্য সূত্রে জানা গিয়েছে, এটিএস-এর মোট ৫টি টিম বিশেষ অভিযান চালিয়ে অনুপ্রবেশকারীদের (Bangladeshi Illegal Immigrants) গ্রেফতার করেছে। আরও জানা গিয়েছে, মাত্র কয়েক মাস আগেই এই জঙ্গিরা এই এলাকায় বসবাস শুরু করেছিলেন। তিরুপুর জেলার পাল্লাদাম এলাকা থেকে ২৮ জন এবং বীরপান্ডি এবং নাল্লুর থানায় মোট ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিরুপুরে পোশাক কারখানায় কর্মরত ছিলেন এই অনুপ্রবেশকারীরা। বাংলাদেশ থেকে এই অনুপ্রবেশকারীরা পশ্চিমবঙ্গের সীমান্ত দিয়ে প্রথমে পশ্চিমবঙ্গে প্রবেশ করে, এরপর জাল নথি তৈরি করে আধার কার্ড বানিয়ে তিরুপুরে (Tamil Nadu) চলে যায়। গোটা অভিযানে নেতৃত্ব দিয়েছেন আনন্দকুমার তিরুপতি এবং এরপর তিনি পাল্লাদম পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

    আরও পড়ুন: ‘‘জেলবন্দি পার্থর সঙ্গে মোবাইলে কথা বলেন মমতা”, বিস্ফোরক অভিযোগ শুভেন্দুর

    নাশকতামূলক চক্রান্তের পরিকল্পনা?

    বাংলাদেশের (Bangladeshi Illegal Immigrants) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে মহম্মদ হিউনূস ক্ষমতায় বসার পর থেকেই লাগাতার হিন্দু এবং আওয়ামি লিগকে টার্গেট করছে কট্টর মৌলবাদীরা। দেশের একাধিক কারাগার ভেঙে জঙ্গিরা উন্মুক্ত হয়ে পড়েছে, জামাত শিবির এবং জেএমবির জঙ্গিরাও অতি সক্রিয় উঠেছে। তাঁরা ভারতে ঢুকে নাশকতা মূলক চক্রান্তের পরিকল্পনা করছে বলে গোয়েন্দা সূত্রে খবর। ইতিমধ্যে এই ভাবে ভারতে অনুপ্রবেশকারীদের নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন নিরাপত্তা উপদেষ্টারা। ইতিমধ্যে সীমান্তে বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • IIT Baba: মনের শান্তির খোঁজে নিয়েছিলেন সন্ন্যাস! মহাকুম্ভে হাজির ‘আইআইটি বাবা’

    IIT Baba: মনের শান্তির খোঁজে নিয়েছিলেন সন্ন্যাস! মহাকুম্ভে হাজির ‘আইআইটি বাবা’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বারোটি পূর্ণ কুম্ভের পর প্রয়াগরাজে শুরু হয়েছে মহাকুম্ভ মেলা। এই মেলায় সাধারণ সাধুসন্ত থেকে শুরু করে কোটি কোটি পুণ্যার্থী ভিড় জমিয়েছেন। এসেছেন বহু বিদেশি পর্যটকেরাও। মেলা শুরু হতেই দেখা গিয়েছে বহু বাবা। বাবাদের দেখতে ভিড় উপচে পড়ছে। অনেকে নাগা বাবাদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে রোষের মুখে পড়ছেন। সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হয়ে পড়ছে। এবার মহাকুম্ভে (Maha Kumbha 2025) এই সব বাবাদের মধ্যে নজর কেড়েছে আরও এক বাবা। ‘আইআইটি বাবা’ (IIT Baba)। এক সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে ‘আইআইটি বাবা’ জানিয়েছেন, তিনি আইআইটি পাশ করে ভালো চাকরি না করে সাধু বাবা হয়ে গিয়েছেন। আর এই সাক্ষাৎকার নেওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে সেই ভিডিও ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। আইআইটি ইঞ্জিনিয়ারের লক্ষ টাকার চাকরি ছেড়ে সাধুবেশ ধারণ করেছেন তিনি।

    মহাকুম্ভ মেলায় ‘আইআইটি বাবা’ (IIT Baba)

    জানা গিয়েছে, ‘আইআইটি বাবা’-র (IIT Baba) প্রকৃত নাম অভয় সিং। সংসারের মায়া ত্যাগ করে সাধু হওয়ার পর তাঁর নাম হয় মাসানি গোরখ বাবা। প্রথম দিনেই তিনি মহাকুম্ভ মেলায় হাজির হয়েছেন। জানা যাচ্ছে, তিনি আইআইটি থেকে অ্যারোস্পেস এবং অ্যারোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং করেছেন। তাঁর বাড়ি হরিয়ানা। ইঞ্জিনিয়ার থেকে সন্ন্যাসীতে পরিণত হওয়ার পিছনের গল্পটিও খুব আকর্ষণীয়। তাঁর ইচ্ছা ছিল ফটোগ্রাফি করার। ফটোগ্রাফিতে চাকরির জন্য ডিগ্রির প্রয়োজন ছিল। এমন পরিস্থিতিতে এক বছর কোচিংও পড়িয়েছেন তিনি। বাবার কথায়, তাঁর গল্পটা অনেকটা হিন্দি সিনেমা ‘থ্রি ইডিয়টস’-এর মতো। সাক্ষাৎকারে বাবা তাঁর জীবনের অনেক গোপন কথা জানান। জীবনের অর্থ খোঁজার জন্য-আধুনিকতাবাদ এবং সক্রেটিস এবং প্লেটোর মতো দার্শনিক ধারণাগুলি নিয়েছিলেন।

    কী বললেন আইআইটি বাবা?

    তিনি বলেন, ‘‘আইআইটি (IIT Baba) মুম্বইয়ে ৪ বছর পড়ার পরে আমি কোচিতে পদার্থবিজ্ঞান পড়িয়েছি। আবেগের কারণে ফটোগ্রাফি শিখেছিলাম। আমি ডিজাইনিংয়ে মাস্টার্স ডিগ্রি করেছি। এত কিছু করার পরও কোথাও মন বসছিল না। আমার ভিতরে দুশ্চিন্তা বাড়তে থাকে।” তাঁর কথায়,‘‘আর কী করব। এর পর আমার মনে হল ফটোগ্রাফি করা উচিত। ট্রাভেল ফটোগ্রাফি শুরু করলাম। মনে হচ্ছিল আমি এই স্বপ্নে জীবন যাপন করব। ঘোরাঘুরি করব, সব জায়গায় যাব এবং অনেক মজা করব এবং অর্থ উপার্জনও করব।” বাবাকে যখন প্রশ্ন করা হয়, ইঞ্জিনিয়ারিং ও ফটোগ্রাফি করে এই অবস্থায় পৌঁছেছেন কীভাবে? এই বিষয়ে বাবা খুব স্পষ্ট করে বললেন, ‘‘এটাই শ্রেষ্ঠ পথ। যা কিছু কর, এখানেই আসতে হবে। আমি এখন বুঝতে পেরেছি যে এটিই আসল জ্ঞান। যদি আপনি মনকে বুঝতে পারেন, তবে আপনি এটি করতে পারেন (আধ্যাত্মিকতার মাধ্যমে)।”

    মুখে হাসি লেগেই রয়েছে বাবার

    ইতিমধ্যেই এই ভিডিও (IIT Baba)  ছড়িয়ে পড়েছে নেট দুনিয়ায়, সেখানে দেখা যাচ্ছে ওই সাধু পরে রয়েছেন গেরুয়া রঙের বস্ত্র। মাথা ভর্তি চুল। গলায় রকমারি পাথরের মালা। এক মুখ দাড়ি। কপালে সাদা ছাই ভস্ম। সঙ্গে লাল তিলক কাটা রয়েছে কপালে। মুখে সদাহাসি লেগেই রয়েছে। নিজেই অকপটে তাঁর জীবন কাহিনী বলে চলেছেন। লক্ষ লক্ষ টাকার চাকরি করে বিলাসবহুল জীবনযাপন করতে পারতেন তিনি। সব কিছু ছেড়ে তিনি এই সাধু বেশেই দিব্যি আছেন।

    এবারে ১৩ জানুয়ারি থেকে মহাকুম্ভ মেলা শুরু হয়েছে। ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কুম্ভমেলা চলবে। ১৩ তারিখ পূর্ণ স্নানে প্রায় ৬০ লক্ষ পুণ্যার্থীর সমাগম হয়েছে। ১৪ তারিখও লক্ষ লক্ষ পুণ্যার্থী শাহি স্নানে অংশগ্রহণ করেন। ১৪৪ বছর পর এই মহাকুম্ভ মেলা হচ্ছে। ৪০০০ হেক্টর এলাকা জুড়ে হয়েছে আয়োজন। যোগী সরকারের পক্ষ থেকে বিশেষ আয়োজন করা হয়েছে। মেলায় প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ পুণ্যার্থীর থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সাধুসন্ত-সহ বছর বছর এই মেলায় কমপক্ষে ৪৫ কোটি মানুষ অংশ নেবেন বলে আশা করা হচ্ছে। এবারের কুম্ভমেলায় নানা বেশে হাজির হয়েছেন সাধু-সন্তরা।

     

    .দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Maha Kumbh Mela 2025: অঘোরী কারা? তাঁদের গুরু কে? কীভাবে সাধক হয়ে সিদ্ধি লাভ করেন?

    Maha Kumbh Mela 2025: অঘোরী কারা? তাঁদের গুরু কে? কীভাবে সাধক হয়ে সিদ্ধি লাভ করেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশের গঙ্গা, যমুনা ও (পৌরাণিক) সরস্বতীর মিলনস্থল ত্রিবেণী সঙ্গমে কোটি কোটি ভক্তদের পুণ্যস্নান অনুষ্ঠিত হচ্ছে মহাকুম্ভ মেলায় (Mahakumbh Mela 2025)। এই মহামিলন মেলায় শাক্ত, বৈষ্ণব, শৈব, গণপাত্য এবং সৌর উপাসকেরা সমবেত হবেন। এক এক সাধু বিশেষ ব্রত নিয়ে ঈশ্বরের আরাধনা করছেন। তাঁদের কাছে জীবনের চরম লক্ষ্য হল মুক্তি। এই মেলাকে ঘিরে দেশের সাধুদের সঙ্গে বিদেশের সাধুরাও সমবেত হয়েছেন। তবে সাধুদের মধ্যে নাগারা যেমন রয়েছেন, ঠিক তেমনি অঘোরীরাও রয়েছেন। অঘোরীরা (Aghori) তান্ত্রিক এবং যোগাচারে সাধনা করে থাকেন।

    শিবের উপাসনা করেন অঘোরীরা (Mahakumbh Mela 2025)

    মহাকুম্ভে (Mahakumbh Mela 2025) আসা অঘোরী (Aghori) সাধুদের নিয়ে সাংসারিক জীবনের বসবাসকারী ভক্তসমাজের মধ্যে একটা কৌতূহল রয়েছে। সাধনার কোন স্তরে পৌঁছে গেলে অঘোরী হওয়া যায়, তা নিয়ে একটা জিজ্ঞাসা থাকেই। পৌরাণিক ভাবে বলা হয়েছে যে, অঘোর বলতে বোঝায় যাঁরা শিবের উপাসনা করেন। এমনটাই বিশ্বাস করা হয় আদিদেব ভগবান শিবের কাছ থেকেই অঘোরীদের জন্ম হয়েছে। মূলত এই সাধাকরা তন্ত্র এবং যোগাভ্যাস করে থাকেন। একান্ত ভাবেই তাঁরা শৈব ভক্ত। শিবের ভক্ত দত্তাত্রেয় ঋষিকে অঘোর শাস্ত্রের গুরু বলা হয়। আবার এই দত্তাত্রয়কে শিবের অবতার বলা হয়। তাঁকে আবার যোগের ঈশ্বর বলা হয়।

    অঘোরীরা শ্মশানে থাকেন

    অঘোর সাধুদের মধ্যে সবচেয়ে মান্যতা দেওয়া হয় বাবা কিনারামকে (Aghori)। ১৬০১ সালে উত্তরপ্রদেশের চান্দুলিতে জন্ম হয়েছিল তাঁর। নানা অলৌকিক গল্প প্রচলিত ছিল। বলা হয় নিজে থেকে চলতে চলতেই নাকি বালিয়ার কাছে কামেশ্বর ধামে পৌঁছে গিয়েছিলেন। সারা ভারত ভ্রমণ করেছেন এবং গুজরাটের গিরনার পাহাড়ে ধ্যানে সিদ্ধিলাভ করেন। শেষে কাশী ধামে এসেছিলেন। তবে অঘোরীরা শ্মশানে থাকেন। মূলত তিন ধরনের পুজো করেন। তবে তাঁদের সাধনায় শিব এবং শবের সাধনা রয়েছে। অসমের কামাখ্যাধাম, বাংলায় তারাপীঠ, নাসিকের ত্রম্বকেশ্বর, উজ্জয়িনীর চক্রতীর্থে এই সাধনার পুণ্যভূমি। এই সাধকরা মদ, মাংস এবং মৈথুন নিয়ে সাধনা করেন এবং মৃতদেহে পা দিয়ে সাধনা করে থাকেন। কুম্ভমেলায় (Mahakumbh Mela 2025) তাঁদের বিরাট যোগদান থাকে।

    অলৌকিক ক্ষমতার অধিকারী

    লৌকিক ভাবে কথিত রয়েছে একাবার কাশীর রাজা হাতিতে চড়ে ভ্রমণ করছিলেন। রাজা রাস্তায় কিনারামকে অঘোরী (Aghori) বেশে দেখে দেওয়ালের কাছে সরে যেতে বলেন, কিন্তু দেখা যায় হাতিগুলি সমানেই দেওয়ালে ঘোরাঘুরি করছে, ভুল বুঝে রাজা শেষে ক্ষমা চান। অঘোরীরা সময়ে সময়ে মায়াবী এবং অলৌকিক শক্তির অধিকারী হন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Maha Kumbh 2025: মেলে অপার শান্তি, মন হয় পবিত্র, জানুন মৌনী অমাবস্যার শাহি স্নানের মাহাত্ম্য

    Maha Kumbh 2025: মেলে অপার শান্তি, মন হয় পবিত্র, জানুন মৌনী অমাবস্যার শাহি স্নানের মাহাত্ম্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবার ১৩ জানুয়ারি উত্তরপ্রদেশের শুরু হয়েছে মহাকুম্ভ। প্রশাসনের অনুমান, মহাকুম্ভকে (Maha kumbh 2025) কেন্দ্র করে ৪৫ থেকে ৫০ কোটি ভক্তের সমাবেশ হতে পারে। ইতিমধ্যে সারা পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ইভেন্টে পরিণত হয়েছে মহাকুম্ভ। মুসলিম দেশগুলির মধ্যেও সবচেয়ে বেশি ট্রেন্ডিং চলছে মহাকুম্ভ সার্চে। সবচেয়ে বেশি সার্চ হয়েছে পাকিস্তানে, এরপর কাতার। প্রসঙ্গত, ১৩ জানুয়ারি শুরু হওয়া মহাকুম্ভ চলবে ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। ভারতবর্ষের সনাতন পরম্পরা, ঐতিহ্য, কৃষ্টি, সংস্কৃতি, ঐতিহ্যের প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে প্রয়াগরাজে। প্রসঙ্গত, মহাকুম্ভে শাহি স্নানের এক আলাদা গুরুত্ব রয়েছে। ১৩ জানুয়ারি মহাকুম্ভ শুরু হওয়ার দিনে সম্পন্ন হয়েছে প্রথম শাহি স্নান। মঙ্গলবার মকর সংক্রান্তির দিনে সম্পন্ন হয়েছে দ্বিতীয় শাহি স্নান (Maha kumbh 2025)। পরবর্তী শাহি স্নান সম্পন্ন হবে ২৯ জানুয়ারি মৌনী অমাবস্যার দিন। মৌনী অমাবস্যার শাহি স্নানের (Mauni Amavasya) এক আলাদা গুরুত্ব রয়েছে এবং এক আলাদা মাহাত্ম্য রয়েছে। কেন মৌনী অমাবস্যার শাহি স্নান এত গুরুত্বপূর্ণ এবং এর আধ্যাত্মিক মাহাত্ম্য ঠিক কী রয়েছে , এই নিয়ে আমরা আজকে আলোচনা করব।

    আভ্যন্তরীণ শুদ্ধিকরণ ও পবিত্রতা (Maha kumbh 2025)

    শাস্ত্র বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মৌনী শব্দটি এসেছে মৌনতা থেকে। যার আক্ষরিক অর্থ দাঁড়ায় নীরবতা। শাস্ত্র বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মৌনী অমাবস্যার দিন (Maha kumbh 2025) নীরবতা পালন করলে মানসিক স্বচ্ছতা এবং অভ্যন্তরীণ শান্তি বিরাজ করে ব্যক্তির মধ্যে। একই সঙ্গে তাঁরা জানাচ্ছেন যে, গঙ্গা যমুনা ও সরস্বতীর নদীর যে সঙ্গমস্থল, যা প্রয়াগরাজ নামে পরিচিত, সেখানে মৌনী অমাবস্যায় পবিত্র স্নান করলে আত্মা শুদ্ধ হয় এবং অতীতের সমস্ত পাপ থেকে মুক্তি মেলে।

    মোক্ষলাভ করা যায় মৌনী অমাবস্যা স্নানে

    অনেক শাস্ত্র বিশেষজ্ঞের মতে, মৌনী অমাবস্যায় পবিত্র নদীর জলে আধ্যাত্মিক শক্তি বিরাজ করে এবং জল ঐশ্বরিক হয়ে ওঠে। তাই এই দিনে যদি কেউ স্নান করে তাহলে তাঁর মোক্ষলাভ (Maha kumbh 2025) হয়। শাস্ত্র বিশেষজ্ঞরা আরও জানাচ্ছেন, এই সময়ে স্নান করলে মোক্ষলাভ করতে পারেন ভক্তরা।

    জৈনগুরু ঋষভদেবের কাহিনি

    জানা যায়, মৌনী আমাবস্যার (Maha kumbh 2025) অন্য আরেকটি গুরুত্ব রয়েছে। এই হল সেই পবিত্র মুহূর্ত যে সময়ে জৈন ধর্মের একজন তীর্থঙ্কর ঋষভদেব তিনি নদীতে স্নান করে, তাঁর নীরবতার ব্রত শেষ করেছিলেন। জানা যায়, পরবর্তীকালে ঋষভদেবের পথকেই অনুসরণ করেন লক্ষ লক্ষ ভক্ত। তাঁর দেখানো পথই অনুসরণ করে আজও মৌনী ব্রত পালন করে থাকেন অনেক জৈন সম্প্রদায়ের মানুষ।

    মুক্তি হয় পূর্বপুরুষদেরও

    শাহিস্নান অনুষ্ঠিত হচ্ছে মহাকুম্ভে। এই সময়ে সাধু সন্তরা আনুষ্ঠানিকভাবে বিভিন্ন শোভাযাত্রা বের করেন এবং পবিত্র জলে স্নান করে তারপরেই তাঁদের দিনের শুরু করেন। সমস্ত সাংসারিক মানুষকে এই আচার পালন করার জন্য তাঁরা অনুপ্রাণিত করেন। মনে করা হয় এই দিনে যে সমস্ত মানুষ স্নান করেন, তাঁরা শুধুমাত্র নিজের কর্মকে শুদ্ধ করেন না, তাঁরা তাঁদের পূর্ব পুরুষদেরও উদ্ধার করেন এবং তাঁদের মুক্তির পথে নিয়ে যান।

    ধুয়ে যায় সমস্ত অহঙ্কার

    শাস্ত্র বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মৌনী অমাবস্যার ব্রত পালন এবং পবিত্র নদীতে স্নান করলে পরে নিজের সমস্ত অহংকার ধুয়ে যায় এবং মানুষজন নিজেদের পার্থিব আসক্তি ত্যাগ করতে সক্ষম হন। নিজেদের আধ্যাত্মিক উন্নতিতে মৌনী অমাবস্যা স্নানের এক আলাদা গুরুত্ব রয়েছে।

    ১৪৪ বছর পর পূর্ণ মহাকুম্ভ

    মহাকুম্ভমেলা হল বিশ্বের সর্ব বৃহৎ ধর্মীয়, সামজিক এবং সাংস্কৃতিক মহামিলন মেলা। প্রতি ১২ বছর এক যোগে পূর্ণকুম্ভের আয়োজন হয়ে থাকে। আর প্রতি বছর যে মেলা হয়, তাকে বলা হয় কুম্ভ। ছয় বছরে একবার কুম্ভকে বলা হয় অর্ধকুম্ভ। প্রতি ১২ বছরে অনুষ্ঠিত কুম্ভকে বলা হয় পূর্ণকুম্ভমেলা। আবার ১২টি পূর্ণকুম্ভ অতিক্রান্ত হয়ে বা ১৪৪ বছর পর যে পূর্ণকুম্ভমেলা আসে, তাকে বলা হয় মহাকুম্ভ মেলা। এই কুম্ভ মূলত চারটি জায়গায় চক্রাকারে অনুষ্ঠিত হয়। জায়গাগুলি হল, উত্তরপ্রদেশের গঙ্গা, যমুনা ও (পৌরাণিক) সরস্বতী নদী সঙ্গমে প্রয়াগরাজ (Triveni Sangam), উত্তরাখণ্ডের গঙ্গা নদীর তীরে হরিদ্বার, মধ্যপ্রদেশের শিপ্রা নদীর তীরে উজ্জয়িনী এবং মহারাষ্ট্রের গোদাবরীর তীরে নাসিকে। সব জায়গায় মূলত নদী সঙ্গমে মেলা বসে এবং পুণ্যস্নান সম্পন্ন হয়। এই বছর পূর্ণ মহাকুম্ভ মেলা আয়োজিত হচ্ছে প্রয়াগরাজে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Maha Kumbh Mela 2025: বিশ্বের আধ্যাত্মিক হৃদয় মহাকুম্ভ, প্রয়াগরাজের মহাতীর্থে মিশল ইউরোপ থেকে আমেরিকা

    Maha Kumbh Mela 2025: বিশ্বের আধ্যাত্মিক হৃদয় মহাকুম্ভ, প্রয়াগরাজের মহাতীর্থে মিশল ইউরোপ থেকে আমেরিকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলছে মহাকুম্ভে (Maha Kumbh Mela 2025) মহাযজ্ঞ। উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজের ত্রিবেণী সঙ্গমে সোমবার থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে মহাকুম্ভ। সেখানে একত্রিত হয়েছেন পুণ্যার্থীরা। কোটি কোটি ভক্তের আরাধনায় ত্রিবেণী তীর্থ এখন ভারত তীর্থ। যেখানে মিলে-মিশে একাকার হয়ে গিয়েছে স্পেন, ব্রাজিল, ইটালি, পর্তুগাল, জাপান। সকলের কাছেই “মেরা ভারত মহান”। কুম্ভমেলার আয়োজন, আধ্যাত্মিকতার ছোঁয়া সর্বোপরি উত্তরপ্রদেশ সরকারের এই মহান যজ্ঞের সুষ্ঠ ব্যবস্থাপনায় মুগ্ধ সকলে। শুধু ধর্মীয় ভাবাবেগের জন্য নয়, যাঁরা পর্যটনের টানে ভারতে এসেছেন, তাঁদের কাছেও মহাকুম্ভ এক অন্য আবেগ। তাঁদের কথায়, এখানেই ভারতের আসল রূপ দেখতে পাচ্ছেন তাঁরা।

    বিশ্বের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক সমাবেশ

    কুম্ভ মেলা (Maha Kumbh Mela 2025) হলো বিশ্বের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক সমাবেশ। যা বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গিতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে, বলে দাবি এক বিদেশিনীর। এক রাশিয়ান মহিলার কথায়, “‘মেরা ভারত মহান’… ভারত একটি মহান দেশ। আমরা এখানে কুম্ভ মেলায় প্রথমবার এসেছি। এখানে আমরা আসল ভারত দেখতে পাচ্ছি – ভারতীয় মানুষের মধ্যে সত্যিকারের শক্তি আছে। এই পবিত্র স্থানে মানুষের পরিবেশে আমি শিহরিত। আমি ভারতকে ভালোবাসি।”

    দক্ষিণ আফ্রিকার এক ভক্তও ভারতের সংস্কৃতি ও মানুষের প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেন, “এখানে রাস্তা পরিষ্কার, প্রত্যেকেই একে অপরের বন্ধু। হাজার হাজার তীর্থযাত্রী এখানে আছেন এবং আমরা তাদের সান্নিধ্য উপভোগ করছি। আমরা সনাতন ধর্ম পালন করি এবং এভাবেই মহাকুম্ভের এই শৃঙ্খলিত আয়োজনকে ভালোবাসি।”

    ভারতীয় সংস্কৃতির শক্তি

    অ্যারিজোনার সাধ্বী ভাগবতী সরস্বতী, ৩০ বছর ধরে ঋষিকেশের পারমার্থ নিকেতনে বসবাস করছেন। মহাকুম্ভে (Maha Kumbh Mela 2025) যোগ দিয়ে তিনি বলেন, “এটি শুধু সঙ্গমে পুণ্যস্নান নয়। এটি মানুষের বিশ্বাস এবং ভক্তির মধ্যে এক পবিত্র স্নান। এটি ভারতীয় সংস্কৃতির শক্তি এবং মহানতার উদাহরণ… এটি কোনও রক কনসার্ট বা ক্রীড়া ইভেন্ট নয়। এত বড় সংখ্যায় মানুষ কেন একত্রিত হয়েছে? তাদের বিশ্বাসের জন্য, তাদের ভক্তির জন্য।”

    সুন্দর আয়োজন

    পোল্যান্ড থেকে এসেছেন ক্লদিয়া নামে এক পর্যটক। তিনি বলেন, “এটা খুবই স্পেশাল। এর আগে কখনও আমি এমন অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করতে পারিনি।” দক্ষিণ আফ্রিকার কেপ টাউন থেকে আগত এক পুণ্যার্থী বলেন, “এটা কী সুন্দর! রাস্তাঘাট পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন। এখানকার মানুষও কী সহজে আপন করে নেন। তাঁরা কত সুখী! আমরা সনাতন ধর্ম মেনে চলি।”

    আবার হোসে এক স্প্যানিশ পুণ্যার্থী বলেন যে, “এখানে আমাদের প্রচুর বন্ধু রয়েছেন। তাঁরা স্পেন, ব্রাজিল, পর্তুগাল থেকে এসেছেন। আমরা তীর্থযাত্রায় এসেছি। আমি পুণ্যস্নান করেছি। খুবই উপভোগ করেছি। আমি খুবই সৌভাগ্যবান।” 

    মহাকুম্ভে ব্যবস্থাপনা 

    সোমবার থেকে শুরু হওয়া মহাকুম্ভ (Maha Kumbh Mela 2025) চলবে ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। হবে ৬টি পুণ্যস্নান। ‘ইনট্যাঞ্জিবল কালচারাল হেরিটেজ’-এর তকমা পাওয়া কুম্ভমেলাকে ঘিরে সাজসাজ রব। প্রয়াগে গঙ্গা, যমুনা আর পৌরাণিক সরস্বতীর সঙ্গমতটে প্রায় ৪ হাজার হেক্টর জমিকে ২৪টি সেক্টরে ভাগ করা হয়েছে। প্রায় আড়াই হাজার সিসি ক্যামেরা বসিয়ে চলছে নজরদারি। মহাকুম্ভে দেড় লক্ষ তাঁবুর ব্যবস্থা করা হয়েছে। ১২ কিলোমিটার অস্থায়ী ঘাট তৈরি করা হয়েছে। যেখানে মানুষ স্নান করবেন। ৪০০ কিলোমিটার অস্থায়ী পায়ে চলার রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে। ২ লক্ষ ৬৯ হাজার বর্গমিটার এলাকা এমনভাবে নির্মাণ করা হয়েছে, যাতে মানুষের চলার ক্ষেত্রে কোনওরকম সমস্যা না হয়। এছাড়াও থাকছে আরও ব্যবস্থাপনা। ৩০টি অস্থায়ী সেতু তৈরি করা হয়েছে। ২০১টি রাস্তা, অলি-গলি চওড়া করা হয়েছে। ১৮০০ হেক্টর জমির উপর পার্কিং তৈরি করা হয়েছে। মহাকুম্ভে আসা পুণ্যার্থীদের জন্য দেড় লক্ষ অস্থায়ী শৌচালয় তৈরি করা হয়েছে। মহিলাদের জন্য ১৪৪টি চেঞ্জিং রুম তৈরি করা হয়েছে। ২৫ হাজার ডাস্টবিনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ১৫ হাজার সাফাই কর্মী টানা ৪৫ দিন কাজ করবেন। ৬৯ হাজার এলইডি সোলার লাইট লাগানো হয়েছে। এ সব কিছুই মুগ্ধ করেছে বিদেশিদের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

     

  • Maha Kumbh 2025: সংক্রান্তিতে মহাকুম্ভে ‘অমৃত স্নান’, যোগ দিল ১৩ আখড়া, পবিত্র ডুব দিলেন কোটির বেশি ভক্ত

    Maha Kumbh 2025: সংক্রান্তিতে মহাকুম্ভে ‘অমৃত স্নান’, যোগ দিল ১৩ আখড়া, পবিত্র ডুব দিলেন কোটির বেশি ভক্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শীত উপেক্ষা করেই ভক্তদের ভিড় পূর্ণকুম্ভের প্রয়াগরাজে। উত্তরপ্রদেশের  প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, মকর সংক্রান্তির (Makar Sankranti) সকালে ১০টা পর্যন্ত ১ কোটি ৪০ লক্ষ মানুষ (Maha kumbh 2025) ‘পুণ্যস্নান’ করেছেন প্রয়াগরাজে। ক্রমশ ভিড় বাড়ছে। তাই বেলা বাড়লে এই সংখ্যা উত্তরোত্তর বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। একটি সূত্র জানাচ্ছে, ৩ কোটি ছুঁয়ে যেতে পারে সংখ্যা। উত্তরপ্রদেশ পুলিশের ডিজি প্রশান্ত কুমার জানিয়েছেন, সকাল ৭টায় বিভিন্ন আখড়ার সাধু-সহ প্রায় ৯৮ লক্ষ ২০ হাজার মানুষ গঙ্গা, যমুনা এবং পৌরাণিক সরস্বতী নদীর ত্রিবেণী সঙ্গমে ‘অমৃত স্নান’ করেন।

    ১৩ আখড়ার অমৃত স্নান (Maha kumbh 2025) 

    মঙ্গলবার মকর সংক্রান্তির (Maha kumbh 2025) পবিত্র মুহূর্তে প্রথম অমৃত স্নানে ১৩টি আখড়া অংশগ্রহণ করেছে বলে জানিয়েছেন, অল ইন্ডিয়া আখড়া পরিষদের সভাপতি মহন্ত রবীন্দ্র পুরী। সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানিয়েছেন, ১৩টি আখড়া তিনটি প্রধান দলে বিভক্ত। এগুলি হল সন্ন্যাসী (শৈব), বৈরাগী (বৈষ্ণব) এবং উদাসীন। শৈব আখড়ার মধ্যে রয়েছে শ্রী পঞ্চ দশনম জুনা আখড়া, শ্রী পঞ্চায়েতি আখড়া, নিরঞ্জনী, শ্রী শম্ভু পঞ্চায়েতি অটল আখড়া, শ্রী পঞ্চায়েতি আখড়া মহানির্বাণী, শ্রী শম্ভু পঞ্চাগ্নি আখড়া, শ্রী পঞ্চদশনাম আবাহন আখড়া, এবং তপোনিধি আখড়া। বৈষ্ণব আখড়ায় রয়েছে শ্রী পঞ্চ নির্মোহি আনি আখড়া, শ্রী পঞ্চ দিগম্বর আনি আখড়া, এবং শ্রী পঞ্চ নির্বাণী আনি আখড়া নিয়ে গঠিত। এদিকে উদাসীন আখাদের মধ্যে রয়েছে শ্রী পঞ্চায়েতি আখড়া বড় উদাসীন, শ্রী পঞ্চায়েতি আখড়া নয়া উদাসীন এবং পঞ্চায়েতি আখড়া নির্মল।

    প্রথমে স্নান কোন আখড়ার (Maha kumbh 2025) 

    রবীন্দ্র পুরী আরও জানিয়েছেন, জুনা আখড়া প্রথম অমৃত স্নানে যাওয়ার জন্য দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছিল, কারণ তাদের সদস্য সংখ্যা বিপুল ছিল। তবে, আখড়া পরিষদ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, অমৃত স্নানের রীতি মেনেই প্রতিটি আখড়াকে পর পর পাঠানো হয়। রীতি অনুযায়ী সাতটি সন্ন্যাসী আখড়া পবিত্র স্নানের নেতৃত্ব দেয়। এরপরে তাদের সঙ্গে যোগ দেয় তিনটি বৈরাগী আখড়া। সবশেষে যায়, তিনটি উদাসীন আখড়া।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mahakumbh Mela 2025: প্রথম দিনেই সুপারহিট এআই, দেড় ঘণ্টায় উদ্ধার মহাকুম্ভে হারিয়ে যাওয়া ২৫০ জন

    Mahakumbh Mela 2025: প্রথম দিনেই সুপারহিট এআই, দেড় ঘণ্টায় উদ্ধার মহাকুম্ভে হারিয়ে যাওয়া ২৫০ জন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৪৪ বছর পর পূর্ণ মহাকুম্ভের (Mahakumbh Mela 2025) প্রথম দিনেই সুপারহিট। ২৫০ জন নিখোঁজ পুণ্যার্থীকে ডিজিটাল (Digitally Found) উপায়ে খোঁজ করে অনন্য নজির গড়ল কুম্ভমেলা প্রশাসন এবং উত্তরপ্রদেশের যোগী প্রশাসন। কুম্ভ মেলায় হারিয়ে যাওয়াটা ভারতীয় সংস্কৃতিতে একটা প্রবাদে পরিণত হয়েছে। অর্থাৎ, কুম্ভে এলে হারিয়ে যাবেই! এবার এই সমস্যার সমাধানে বিরাট সাফল্য পেয়েছে মহাকুম্ভে। জীবনভর খোঁজ না মেলার এই লোকশ্রুতিকে ভুল প্রমাণিত করেছে ডিজিটাল পদ্ধতি। পুলিশ প্রশাসনও সবরকম সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে আরও সুশৃঙ্খল করেছে মেলাকে। মহাকুম্ভে প্রথম দিন ছিল পৌষ পূর্ণিমা। জানা গিয়েছে, মোট দেড় কোটি ভক্ত ত্রিবেণী সঙ্গমে পবিত্র পুণ্যস্নান করেছেন। মেলা চলবে আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি মহাশিবরাত্রি পর্যন্ত। আনুমানিক ৪০-৪৫ কোটি ভক্ত এই ত্রিবেণী সঙ্গমে স্নান করবেন।  

    ‘ভুলা-ভাটকা ক্যাম্প’ (Mahakumbh Mela 2025)

    এই বিরাট হিন্দু মেলাকে (Mahakumbh Mela 2025) সুপরিকল্পিত ভাবে পরিচালনা করার জন্য ‘ভুলা-ভাটকা ক্যাম্প’, পুলিশ সহায়তা কেন্দ্র এবং মেলার জন্য বিশেষভাবে নির্মিত ওয়াচ টাওয়ারে কর্মীদের মোতায়েন সহ বেশ কয়েকটি ভিড় নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগ নিয়েছে উত্তরপ্রদেশ সরকার। হারিয়ে যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে বিশেষ করে শিশু এবং মহিলাদের এই শিবিরগুলি থেকে সামাজিক মাধ্যমে ডিজিটাল উপকরণ ব্যবহার করে খোঁজ করার সন্ধান (Digitally Found) করার প্রক্রিয়া চালানোর কাজ করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।

    মোট ১০টি শিবির

    উত্তরপ্রদেশ পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই বিরাট কুম্ভমেলায় (Mahakumbh Mela 2025) মোট ১০টি ‘খোয়া-পাওয়া’ অর্থাৎ হারানো এবং প্রাপ্তির কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। এই শিবিরগুলিতে আধুনিক সবরকম সুযোগ সুবিধার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। সকল তীর্থযাত্রীদের জন্য যে কোনও সহায়তা প্রধান করা হবে এই জায়গাগুলিতে। মহিলা ও শিশুদের জন্য প্রতীক্ষালয়, ডাক্তারি চিকিৎসার ব্যবস্থা এবং বিনোদনের জন্য নানা উপকরণের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

    প্র্যত্যেক শিবিরে ৫৫ ইঞ্চির লাইভ স্ক্রিন

    উত্তরপ্রদেশ এডিজি ভানু ভাস্কর বলেন, “প্রত্যেক শিবিরে ৫৫ ইঞ্চির একটা করে লাইভ স্ক্রিন লাগানো হয়েছে। সাধারণ নাগরিকদের সঙ্গে যার মাধ্যমে দ্রুত সম্পর্ক স্থাপন করা যাবে। মেলায় (Mahakumbh Mela 2025) হারিয়ে যাওয়া কোনও হারানো এবং প্রাপ্তির খবর সম্প্রচার করা হবে। নিখোঁজকে খুঁজে পেতে ফেসবুক, এক্স, হোয়াটসঅ্যাপ-সহ আরও একাধিক সামজিক মাধ্যমে ব্যাপক ভাবে প্রচার-প্রসার করা হবে। একই ভাবে স্নানের জন্য কেন্দ্রীয় ঘাট ব্যবস্থা এবং গুরুত্বপূর্ণ পথনির্দেশিকা দেওয়া হবে।”

    কীভাবে খোঁজ করা হয়?

    পাশাপাশি এই সহায়তা কেন্দ্রগুলি থেকে হারিয়ে যাওয়া ব্যক্তি এবং বস্তু সম্পর্কে যে ডিজিটাল রেকর্ড করা সংগ্রহ করা হয়েছিল সেগুলিকে প্রথমে কম্পিউটারাইজড রসিদ এবং ছবি সমেত ওই ৫৫ ইঞ্চি স্ক্রিনে দেখানো হবে। এরপর একে একে সমস্ত আধুনিক প্রযুক্তিতে সব জায়গায় তা প্রদর্শন করা হবে। নিখোঁজ সম্পর্কে স্ক্রিনে দেখে শিবিরে গেলে প্রশাসনের সহযোগিতায় হারিয়ে যাওয়া ব্যক্তির সন্ধান পাওয়া যাবে। শুধু যে মানুষ নিখোঁজকেই সন্ধান করা হবে তাই নয়, মোবাইল, মানিব্যাগ, প্রয়োজনীয় সামগ্রীও একই ভাবে সন্ধান (Digitally Found) করার কাজে পরিষেবা মিলবে।

    মাত্র দেড় ঘণ্টায় খোঁজ মেলে

    কুম্ভমেলায় (Mahakumbh Mela 2025) নিজের বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া পরিজনদের দ্রুত খুঁজে (Digitally Found) দিতে লাগাতার মাইকে ঘোষণার প্রক্রিয়ায়ও করা হয়েছে। পুলিশের সঙ্গে সিভিল ডিফেন্সের সঙ্গে থাকা কর্মীরাও খোঁজে বিরাট ভূমিকা রাখছেন। এই কাজের জন্য মেলার মাঠে তথ্য অনুসন্ধান কেন্দ্রের স্থাপন করা হয়েছে। আবার উত্তরপ্রদেশ সিভিল ডিফেন্স কর্মী নীতেশ কুমার দ্বিবেদী প্রথম দিনেই মেলার সাফল্য নিয়ে বেশ উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, “মহাকুম্ভের এই বিরাট আয়োজনে অনেক হারিয়ে যাওয়া ব্যাক্তিকে তাঁদের পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া সম্ভব হয়েছে। মাত্র দেড় ঘণ্টায় আমাদের সিভিল ডিফেন্স কর্মীরা উদ্যোগী হয়ে ২০০-২৫০ জনকে তাঁদের পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার কাজ সম্পন্ন করেছেন। তবে কাজটি কঠিন হলেও প্রয়োজনীয় প্রযুক্তি আমাদের ব্যাপক সহযোগিতা করেছে।” একই ভাবে মেলায় হারিয়ে যাওয়া দিল্লি থেকে আসা তীর্থযাত্রী অজয় গোয়েল জানান, মাত্র এক ঘণ্টার মধ্যে পরিবারের লোকজনের কাছে ফিরে যেতে সক্ষম হয়েছি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Retail Inflation: গত চার মাসে সর্বনিম্ন খুচরো মুদ্রাস্ফীতি, সস্তা হয়েছে জিনিসপত্র, দাবি কেন্দ্রের

    Retail Inflation: গত চার মাসে সর্বনিম্ন খুচরো মুদ্রাস্ফীতি, সস্তা হয়েছে জিনিসপত্র, দাবি কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত চার মাসের মধ্যে ডিসেম্বরেই খুচরো বাজারে সামান্য কমেছিল জিনিসপত্রের দাম। ১৩ জানুয়ারি কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্স (CPI) প্রকাশ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। সেখানে বলা হয়েছে, ডিসেম্বরে কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্স দাঁড়িয়েছিল ৫.২২ শতাংশে (Retail Inflation)। তার ঠিক আগের মাসে এই হার ছিল ৫.৪৮ শতাংশ। এর (Inflation) অর্থ হল, নভেম্বরের তুলনায় ডিসেম্বরে খুচরো বাজারে সামান্য হলেও কমেছে জিনিসপত্রের দাম।

    কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্স (Retail Inflation)

    খুচরো মুদ্রাস্ফীতির হার পরিমাপ করা হয় ‘কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্স’-এর মাধ্যমে। এই মুদ্রাস্ফীতিকে ২ থেকে ৬ শতাংশের মধ্যে আটকে রাখাই লক্ষ্য রিজার্ভ ব্যাঙ্কের। গত অক্টোবরে কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্স ছিল ১৪ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। এই সূচক ছিল ৬.২১ শতাংশ। কমতে কমতে ডিসেম্বরে তা ঠেকেছে ৫.২২ শতাংশে। কেন্দ্রের দাবি, ডিসেম্বরে কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্স নিম্নমুখী হওয়ার মূল কারণ খাদ্যদ্রব্যের মূল্য হ্রাস। গত মাসে শাক-সবজি, ডাল, চিনি এবং দানা শস্যের দাম কমেছে উল্লেখযোগ্যভাবে। চিনির দর কমায় সস্তা হয়েছে মিষ্টি। এদিন শহর ও গ্রামের মুদ্রাস্ফীতির হারের তথ্যও প্রকাশ করেছে কেন্দ্র। জানা গিয়েছে, গ্রামীণ এলাকায় মুদ্রাস্ফীতির হার ৫.৭৬ শতাংশ। শহরে এই হার ৪.৫৮ শতাংশ (Retail Inflation)।

    আরও পড়ুন: দেশে সত্যিকারের স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল রাম মন্দির প্রতিষ্ঠার দিন, বললেন ভাগবত

    কেন্দ্রের রিপোর্ট

    স্ট্যাটিস্টিক্স মন্ত্রকের প্রকাশিত ওই রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, খাদ্য ও পানীয় বিভাগে খুচরা মুদ্রাস্ফীতির হার ২০২৪ সালে ধারাবাহিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছিল। ডিসেম্বরে এই হার বার্ষিক ৭.৬৯ শতাংশে নেমে এসেছে। তার আগের মাসে এই হার ছিল ৮.২ শতাংশ। আনাজপাতির মুদ্রাস্ফীতির ধীরগতির কারণে খাদ্যদ্রব্যের মূল্যও হ্রাস পেয়েছে। গত বছরের ডিসেম্বরে এই হার ছিল ২৬.৫৬ শতাংশ। তার আগের মাসে এই হার ছিল ২৯.৩৩ শতাংশ। মূল্য বৃদ্ধির হার ধীরগতির হলেও, গ্রাহক মূল্য সূচক-ভিত্তিক খুচরো মুদ্রাস্ফীতির হার (রিটেল প্রাইস ইনডেক্স) ভারতের রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ৪ শতাংশ সহনশীলতার স্তরের ওপরে ছিল। এ ক্ষেত্রে উভয় দিকেই দু’শতাংশের বিচ্যুতিও সহনশীলতার স্তরের। প্রসঙ্গত (Inflation), স্টিকি ফুড মূল্যস্ফীতি, যা পরিবারের বাজেটকে প্রভাবিত করেছে, তা রিজার্ভ ব্যাঙ্কের একটি প্রধান উদ্বেগের বিষয় (Retail Inflation)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share