Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Manik Saha: “ধর্মের নামে কোনও অশান্তি সহ্য করবে না রাজ্য সরকার”, কড়া হুঁশিয়ারি মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহার

    Manik Saha: “ধর্মের নামে কোনও অশান্তি সহ্য করবে না রাজ্য সরকার”, কড়া হুঁশিয়ারি মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ধর্মের নামে কোনও অশান্তি সহ্য করবে না রাজ্য সরকার। কার্যত এই ভাবেই কড়া হুঁশিয়ারি দিলেন ত্রিপুরার (Tripura) মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা (Manik Saha)। দীর্ঘ ৩৫ বছরের বাম শাসনের পর রাজ্যে বিজেপি ক্ষমতায় এসেছে। ফলে হিন্দু সনাতন ধর্মের বিরাট জাগরণ ঘটেছে। তাই এই অবস্থায় কোনও প্রকার অশান্তি, হিংসা এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হলে সরকার উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। রাজ্যের গোমতি জেলার উদয়পুরে নেতাজি সুভাষ কলেজে ‘সনাতন ধর্ম সম্মেলন’ অনুষ্ঠানে ভাষণ দিতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী এইভাবেই হুঁশিয়ারি দেন। 

    বাম শাসন একটি নাস্তিক পরিবেশকে তৈরি করেছিল (Manik Saha)

    এদিন এই ‘সনাতন ধর্ম সম্মেলন’ অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী (Tripura) মানিক সাহা বলেন, “রাজ্যে গত ৩৫ বছরের বাম শাসন একটি নাস্তিক পরিবেশ তৈরি করেছে। আমাদের বিজেপি সরকার এবার ধর্মীয় পরিবেশকে ফিরিয়ে আনতে সনাতন ধর্মের পুনঃজাগরণ ঘটিয়েছে। তাই ধর্মের নামে কোনও রূপ অশান্তিকে বরদাস্ত করা হবে না। একই ভাবে আইন শৃঙ্খলার উন্নতি এবং বিভিন্ন ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মধ্যে ঐক্য গড়ে তুলে রাষ্ট্রীয় প্রতিশ্রুতিকে আগে প্রধান্য দিতে হবে। সকল ধর্মের প্রতি আমাদের আস্থা আছে। কিন্তু অশান্তি সৃষ্টি করলে কড়া হাতে দমন করা হবে।”

    বাংলাদেশে অত্যাচারকে লক্ষ্য করেছি

    মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা (Manik Saha) আরও বলেন, “মানব সভ্যতা ঈশ্বরের একটি অপূর্ব সৃষ্টি। সমাজের প্রতি আমাদের অনেক কর্তব্য রয়েছে। আমরা বাংলাদেশে সনাতনী সমাজের উপর অত্যাচারকে লক্ষ্য করেছি। আমাদের দেশের কেন্দ্রীয় সরকার অত্যন্ত সজাগ দৃষ্টি রেখেছে বাংলাদেশের উপর। আমি সকলকে সতর্কতা অবলম্বন করতে বলেছি। ইতিহাসের দিকে তাকালে আমরা দেখব সনাতন ধর্ম আগেও অনেক অত্যাচারের সম্মুখীন হয়েছে। এখনও নানা সময় ওই ধারা দেখা যাচ্ছে। আজ যেখানে এই ধরনের ঘটনা ঘটছে, কাল থাকবে না এমন নয়। তাই সকলকে একত্রিত হতে হবে।”

    আরও পড়ুনঃ “জম্মু-কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল, আছে, থাকবেও”, রাষ্ট্রসঙ্ঘে সাফ জানাল ভারত

    মন্দিরগুলিকে উন্নয়নের জন্য অগ্রাধিকার

    একই ভাবে ১৯৮০ দশকের ত্রিপুরার (Tripura) পরিস্থিতির কথা তুলে ধরে মানিক (Manik Saha) বলেন, “ওই সময় রাজ্যে কোনও রকম আইনশৃঙ্খলা ছিল না। কেবল হত্যা এবং সন্ত্রাসের ঘটনা রোজ ঘটত। কিন্তু বর্তমানে এই রকম ঘটনা অনেক কমে গিয়েছে। এখন নেই বললেই চলে। কিন্তু কখনও কখনও বিরোধীরা মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে সামজে বৈষম্য ছড়ায়। মানুষের মনে বিভ্রান্ত তৈরি করে। দেশের প্রধানমন্ত্রী ঐতিহ্যবাহী মন্দিরগুলিকে উন্নয়নের জন্য অগ্রাধিকার দিয়েছেন। অসমের কামাখ্যা, গুজরাটের দ্বারকা, সোমনাথ, ত্রিপুরার ত্রিপুরা সুন্দরী মন্দিরের উন্নয়নে ব্যাপক কাজ শুরু হয়েছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sudhanshu Trivedi: “জম্মু-কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল, আছে, থাকবেও”, রাষ্ট্রসঙ্ঘে সাফ জানাল ভারত

    Sudhanshu Trivedi: “জম্মু-কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল, আছে, থাকবেও”, রাষ্ট্রসঙ্ঘে সাফ জানাল ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “জম্মু-কাশ্মীর (Jammu And Kashmir) ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল, আছে এবং থাকবেও।” রাষ্ট্রসঙ্ঘের অধিবেশনে সাফ জানিয়ে দিলেন সাংসদ তথা বিজেপির মুখপাত্র সুধাংশু ত্রিবেদী (Sudhanshu Trivedi)। জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে পাকিস্তান মিথ্যা কথা বলে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। রাষ্ট্রসঙ্ঘে শান্তিরক্ষী বাহিনী নিয়ে অধিবেশন চলছে। সেই অধিবেশনে ভারতের তরফে যোগ দিয়েছিলেন সুধাংশু। সেখানেই তিনি মুখোশ খুলে দেন পাকিস্তানের।

    পাকিস্তানকে জবাব সুধাংশুর (Sudhanshu Trivedi)

    বিশ্বমঞ্চে আরও একবার স্পষ্ট করে দেন, জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে ভারতের অবস্থান। এদিনের অধিবেশনে বিজেপি সাংসদ সেই সব শান্তিরক্ষীদের জন্য ভারতের প্রতিশ্রুতির কথা মনে করিয়ে দেন, যাঁরা নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেছেন। এই অধিবেশনে বক্তব্য রাখেন পাকিস্তানের প্রতিনিধিও। সেখানে তিনি জানান, ১৯৪৮ সালে জম্মু-কাশ্মীরকে একটি বিতর্কিত অঞ্চল হিসেবে ধরে সেখানে শান্তিরক্ষীদের পাঠিয়েছিল রাষ্ট্রসঙ্ঘ। এর পরেই বলতে ওঠেন ভারতের প্রতিনিধি (Sudhanshu Trivedi)। সাফ জানিয়ে দেন, জম্মু-কাশ্মীর ভারতেই অবিচ্ছেদ্য অংশ। তিনি ফোরামকে জানান, কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল (জম্মু-কাশ্মীর) সম্প্রতি সঠিক গণতান্ত্রিক নির্বাচন পরিচালনা করেছে। রাষ্ট্রসংঘের ফোরামে অসংগঠিত ও বিভ্রান্তিকর শব্দ ব্যবহার করায় পাকিস্তানকে তিরস্কারও করেন ত্রিবেদী।

    কী বললেন সুধাংশু

    তিনি বলেন, “ভারত পাকিস্তানের মন্তব্যের জবাব দিতে বেছে নিয়েছে সেই সম্মানিত সংস্থা, যার থেকে মনোযোগ সরানোর চেষ্টা করেছে পাকিস্তান। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, কেন্দ্রশাসিত জম্মু ও কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল, আছে এবং থাকবেও।” রাষ্ট্রসঙ্ঘে ভারতের প্রতিনিধি বলেন, “জম্মু-কাশ্মীরের জনগণ সম্প্রতি তাঁদের গণতান্ত্রিক ও নির্বাচনী অধিকার প্রয়োগ করেছেন। একটি নতুন সরকার নির্বাচন করেছেন। পাকিস্তানের উচিত এই ধরনের বক্তব্য ও মিথ্যাচার থেকে বিরত থাকা। কারণ এটি বাস্তবকে পরিবর্তন করতে পারবে না।”

    আরও পড়ুন: সনাতন ধর্ম রক্ষার আহ্বান ভাগবতের, প্রয়োজনে লাঠি ব্যবহারের নিদান

    এক্স হ্যান্ডেলে ত্রিবেদী (Sudhanshu Trivedi) লিখেছেন, “রাষ্ট্রসংঘের শান্তিরক্ষা কার্যক্রম নিয়ে আলোচনার সময়, পাকিস্তানের প্রতিনিধি একই বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে প্রসঙ্গ থেকে সরে গিয়ে অপ্রয়োজনীয়ভাবে উল্লেখ করেন যে পাকিস্তানের রাষ্ট্রসংঘের শান্তিরক্ষীদের সঙ্গে সম্পৃক্ততা শুরু হয়েছিল ১৯৪৮ সালে, যখন রাষ্ট্রসঙ্ঘ বিতর্কিত অঞ্চল জম্মু ও কাশ্মীরে (Jammu And Kashmir) শান্তিরক্ষী মোতায়েন করেছিল।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • RSS: ভোটমুখী মহারাষ্ট্রে হিন্দু সমাজকে একত্রিত করতে সঙ্ঘ চালু করল ‘সজাগ রহো’ কর্মসূচি

    RSS: ভোটমুখী মহারাষ্ট্রে হিন্দু সমাজকে একত্রিত করতে সঙ্ঘ চালু করল ‘সজাগ রহো’ কর্মসূচি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটমুখী মহারাষ্ট্রে জোর কদমে প্রচার চালাচ্ছে বিজেপি জোট। ঠিক এই আবহে হিন্দু ভোটকে একত্রিত করতে করা হয়েছে বেশ কিছু কৌশলগত পদক্ষেপও। সামাজিকভাবে হিন্দু সমাজকে সংগঠিত করার কাজে নেমেছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ (RSS)। আরএসএস সেখানে চালু করেছে সজাগ রহো (Sajag Raho) প্রচার অভিযান। অর্থাৎ সজাগ থাকো-জাগ্রত হও। শুধু তাই নয়, জানা গিয়েছে সঙ্ঘের অনুমোদিত ৬৫টি সংগঠনই হিন্দু ভোটকে একত্রিত করার কাজে শুরু করেছে মহারাষ্ট্রে।

    সম্প্রতি মোদিও বলেন, এক থাকলেই নিরাপদ থাকব 

    প্রসঙ্গত, এই উদ্যোগের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ (RSS), হিন্দু সমাজের ভোটকে একত্রিত করতে চাইছে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। সম্প্রতি, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ মন্তব্য করেছিলেন বাটেঙ্গে তো কাটেঙ্গে-অর্থাৎ আমরা যদি বিভাজিত হই, তাহলেই আমরা ধ্বংস হবে। ঠিক এমন আবহে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও মহারাষ্ট্রে মন্তব্য করেন, ‘‘আমরা যদি এক থাকি, তাহলে আমরা নিরাপদ থাকব।’’ এরপরই রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ (RSS) সেখানে চালু করল এমন কর্মসূচি।

    কয়েকশো সভাও করে ফেলেছে আরএসএস-এর (RSS) বিভিন্ন শাখা সংগঠন

    এক সর্বভারতীয় সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থার প্রতিবেদন অনুসারে, রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ (RSS) জানিয়েছে, এমন প্রচার শুধুমাত্র মহারাষ্ট্রের নির্বাচনকেন্দ্রিক নয়। অনেক বড় কর্মসূচি এটা এবং দেশজুড়েই এই প্রচার অভিযান চালানো হবে। সজাগ রহো কর্মসূচি কারও বিরুদ্ধে নয় বরং হিন্দুদের মধ্যে বর্ণ বিভাজন দূর করার জন্যই এমন প্রচার চালানো হবে। জানা গিয়েছে, রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের বিভিন্ন শাখা সংগঠন, সজাগ রহো কর্মসূচির জন্য ইতিমধ্যে কয়েকশো সভাও করে ফেলেছে গোটা মহারাষ্ট্রতে। সঙ্ঘের অনুমোদিত বিভিন্ন সংগঠনও কাজ করছে, যেমন চাণক্য প্রতিষ্ঠান, মাতঙ্গ সাহিত্য পরিষদ, রণরাগীনি সেবাভাব সংস্থা ইত্যাদি। মহারাষ্ট্রতে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের চারটি বিভাগ রয়েছে যথা-কোঙ্কন, দেবগিরি, পশ্চিম মহারাষ্ট্র এবং বিদর্ভ, এর প্রতিটিতেই চলছে প্রচার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sanatan Dharma: হিন্দু মন্দির রক্ষার কাজে ওয়াকফের ধাঁচে গড়া হোক সনাতন ধর্ম বোর্ড, দাবি ত্রিপুরার মন্ত্রীর

    Sanatan Dharma: হিন্দু মন্দির রক্ষার কাজে ওয়াকফের ধাঁচে গড়া হোক সনাতন ধর্ম বোর্ড, দাবি ত্রিপুরার মন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিন্দু ধর্মের মন্দির রক্ষার কাজে ওয়াকফ বোর্ডের আদলে গড়া হোক সনাতন ধর্ম বোর্ড (Sanatan Dharma), সম্প্রতি এমনই দাবি জানালেন ত্রিপুরার মন্ত্রী সুধাংশু দাস (Sudhanshu Das)। সংবাদ মাধ্যমকে সুধাংশুবাবু বলেন, ‘‘আমাদের সনাতন ধর্মের (Sanatan Dharma) কোনও বোর্ড নেই। কিন্তু মুসলিমদের জন্য ওয়াকফ বোর্ড রয়েছে। আমাদের দাবি একটা সনাতন ধর্মের বোর্ড তৈরি করা উচিত, আমাদের মন্দির রক্ষার্থে। আমরা দেখেছি যে কী ঘটনা ঘটেছে তিরুপতিতে। তাই আমাদের জন্য অবশ্যই একটা বোর্ড থাকা উচিত।’’

    সনাতন ধর্মের জন্য বোর্ড না থাকলে অন্যদেরও জন্যও কোনও বোর্ড রাখা যাবে না

    তিনি (Sudhanshu Das) আরও বলেন, ‘‘আমাদের সনাতন ধর্মের (Sanatan Dharma) জন্য যদি কোনও রকমের বোর্ড না থাকে, তাহলে অন্যদের জন্য কোনও বোর্ড রাখা যাবে না। এটাই আমাদের দাবি।’’

    পেশ হয়েছে ওয়াকফ সংশোধনী বিল

    প্রসঙ্গত, ১৯৯৫ সালে আনা হয় ওয়াকফ আইন এবং এর মাধ্যমে ওয়াকফ সম্পত্তিগুলিকে দেখভাল করা হতে থাকে। কিন্তু ওয়াকফ বোর্ডের বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতি ও বেনিয়মের অভিযোগ সামনে এসেছে, বিভিন্ন সময়ে। ২০২৪ সালে ওয়াকফ আইনকে সংশোধন করার জন্য বিল পেশ করেছে কেন্দ্র। মোদি সরকার গত অগাস্ট মাসেই লোকসভাতে এই বিল পেশ করে। ওয়াকফ বোর্ডের সংস্কার এবং স্বচ্ছতার ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যে জয়েন্ট পার্লামেন্টারি কমিটি ওয়াকফ বোর্ড নিয়ে বিভিন্ন মহলের সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছে। এই কমিটি ইতিমধ্যে গুয়াহাটি, ভুবনেশ্বর, কলকাতা পাটনা, লক্ষ্মৌ প্রভৃতি জায়গাতে সফর করেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: আজ রবিবার ভোটমুখী ঝাড়খণ্ডের রাঁচিতে মেগা রোড শো করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

    PM Modi: আজ রবিবার ভোটমুখী ঝাড়খণ্ডের রাঁচিতে মেগা রোড শো করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ রবিবার ভোটমুখী ঝাড়খণ্ডে রোড শো করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। জানা গিয়েছে, সে রাজ্যের রাজধানী রাঁচিতে হবে এই রোড শো। অসমের মুখ্যমন্ত্রী তথা ঝাড়খণ্ড বিজেপির সহ পর্যবেক্ষক হিমন্ত বিশ্ব শর্মা এ বিষয়ে জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রবিবার তিন কিলোমিটার রোড শো করবেন রাঁচিতে। তিনি আরও বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রীর এই রোড শো ঘিরে মানুষের মধ্যে উন্মাদনা তুঙ্গে উঠেছে। বিপুল সংখ্যক মানুষ অংশগ্রহণ করবেন এবং এটি ঐতিহাসিক হতে চলেছে।’’

    গত সপ্তাহেই ঝাড়খণ্ডে প্রচারে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)

    জানা গিয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর এই রোড শোতে বিজেপির অনেক সিনিয়র নেতাই উপস্থিত থাকবেন। প্রসঙ্গত গত সপ্তাহেই ঝাড়খণ্ডে (Jharkhand) প্রচারে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। ৫ নভেম্বর তিনি ঝাড়খণ্ডে প্রচার করেন, তারপরে ফের একবার আজ ১০ নভেম্বর তিনি সেখানে যাচ্ছেন। গত সপ্তাহে ঝাড়খণ্ডের ছাইবাসা এবং গারোয়াতে তিনি প্রচার করেন। ছাইবাসার জনসভায় প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, ‘‘বিজেপি সরকার তৈরি হলেই অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং সেই মতো আইন তৈরি করা হবে। যে সমস্ত জমি অনুপ্রবেশকারীরা দখল করেছে, তা ফিরিয়ে দেওয়া হবে আদিবাসী সম্প্রদায়ের মধ্যে।’’

    রোটি-বেটি-মাটি স্লোগান

    সেই সময়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi), রোটি-বেটি-মাটি এই স্লোগানকেও উল্লেখ করেন এবং বলেন, ‘‘সমগ্র ঝাড়খণ্ড আজকে বলছে রোটি-বেটি-মাটি কি পুকার, ঝাড়খণ্ড (Jharkhand)  মে বিজেপি সরকার।’’ তিনি আরও উল্লেখ করেন যে অটল বিহারী বাজপেয়ী প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীনই ঝাড়খণ্ড রাজ্যের জন্ম হয়েছিল। নিজের নির্বাচনী জনসভায় প্রধানমন্ত্রীর তোপ দাগেন কংগ্রেস ও ঝাড়খন্ড মুক্তি মোর্চার জোটকেও। তিনি অভিযোগ করেন, শুধুমাত্র ভোট ব্যাঙ্কের রাজনীতি করার জন্যই তারা ঝাড়খণ্ডকে অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের হাতে তুলে দিচ্ছে। বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা আদিবাসী কন্যাদের টার্গেট করছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। ঝাড়খণ্ডবাসীর উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘‘আমি আপনাদের আশ্বস্ত করতে চাই যে ভারতীয় জনতা পার্টির সরকার তৈরি হলে এই সমস্ত অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হবে।’’

    দারিদ্রতা মেটাবে বিজেপি

    প্রধানমন্ত্রী তাঁর গত সপ্তাহের ভাষণে আরও বলেন, ‘‘ভারতীয় জনতা পার্টি ঝাড়খণ্ডের দারিদ্রতা দূরীকরণে বদ্ধপরিকর। কংগ্রেস এবং তার জোটসঙ্গীরা আদিবাসী সম্প্রদায়কে গরিব করে রেখে দিতে চাইছে। ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চ এবং আরজেডি-এই দুই দলও ষড়যন্ত্র করছে। ঝাড়খণ্ডের জনবিন্যাসও পরিবর্তন করা হচ্ছে।’’ এই আবহে আজ প্রধানমন্ত্রীর মেগা রোড শো ঘিরে তাই স্বাভাবিকভাবেই বিজেপির কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে উন্মাদনা তুঙ্গে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • JP Nadda: ‘‘ক্ষমতায় এলে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের তাড়াব’’, ভোটপ্রচারে ঝাড়খণ্ডে তোপ জেপি নাড্ডার

    JP Nadda: ‘‘ক্ষমতায় এলে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের তাড়াব’’, ভোটপ্রচারে ঝাড়খণ্ডে তোপ জেপি নাড্ডার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘‘ক্ষমতায় এলে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের তাড়াব’’, ঝাড়খণ্ডে (Jharkhand Poll) ভোটের প্রচারে গিয়ে এভাবেই তোপ দাগলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা (JP Nadda)। ঝাড়খণ্ডের নির্বাচনী প্রচারসভায় বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি বলেন, ‘‘প্রত্যেক বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে বের করা হবে রাজ্য থেকে।’’ এর পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, ‘‘যে সমস্ত বাংলাদেশি আদিবাসী মহিলাদের বিয়ে করেছেন, তাঁদের সন্তানদের কখনও উপজাতিদের অধিকার দেবে না বিজেপি।’’

    ঝাড়খণ্ড সরকারকে প্রতারক বলেন নাড্ডা (JP Nadda)

    প্রসঙ্গত, ভোটমুখী ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand Poll) অন্যতম নির্বাচনী ইস্যু হল বাংলাদেশি অনুপ্রবেশ। সেখানকার হেমন্ত সোরেন সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে যে অবৈধ বাংলাদেশিদের তোষণ করছে তাঁর সরকার। শুধু তাই নয়, এভাবেই আদিবাসীদের জনসংখ্যা কমছে। বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা সেখানে জমি দখল করছে এবং আদিবাসী মহিলাদের বিয়ে করে স্থায়ীভাবে বসতি করছে বলেও অভিযোগ। ঝাড়খণ্ডের পালামৌ জেলাতে নিজের বক্তব্যে জেপি নাড্ডা (JP Nadda) এই ঘটনার জন্য কাঠগড়ায় তোলেন ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা ও কংগ্রেস জোটকে। তিনি বলেন, ‘‘ ক্ষমতায় এলে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে কড়া অবস্থান নেওয়া হবে।’’ একইসঙ্গে তিনি জানান, ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা-কংগ্রেস জোট নিজেদের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতেও ব্যর্থ হয়েছে। তারা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল সরকারি চাকরি দেওয়ার, মহিলাদের আর্থিক ক্ষমতা বৃদ্ধির, এর কোনওটাই হয়নি। এই সরকার একটা প্রতারক সরকার, এরা মিথ্যাবাদী ও চোরেদের সমর্থনে চলছে বলেও তোপ দাগেন জেপি নাড্ডা (JP Nadda)।

    সম্প্রতি তোপ দাগেন অমিত শাহও

    উল্লেখ্য, দিন কয়েক আগেই ঝাড়খণ্ডে এসে একইভাবে তোপ দেগেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং তিনি ঝাড়খণ্ডের রাজ্য সরকারকে দেশের মধ্যে সবথেকে দুর্নীতিগ্রস্ত সরকার বলেছিলেন। ঝাড়খণ্ডের জনগণের কাছে শাহ আহ্বান জানিয়েছিলেন, এই সরকারকে ছুড়ে ফেলার জন্য। নিজের বক্তব্যে অমিত শাহ বলেছিলেন, ‘‘কংগ্রেস এবং ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার সরকার সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত পুরো দেশের মধ্যে। এদের পরিবর্তনের প্রয়োজন আছে। যদি আপনারা দুর্নীতিকে রোধ করতে চান, তাহলে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা ও কংগ্রেস সরকারকে উপড়ে ফেলতে হবে। যারা আপনাদের টাকা চুরি করেছে।’’ প্রসঙ্গত, ঝাড়খণ্ডের ৮১টি বিধানসভার আসন রয়েছে। দুই দফায় ভোট হবে সে রাজ্যে। আগামী ১৩ নভেম্বর ও ২০ নভেম্বর ভোট রয়েছে ঝাড়খণ্ডে। গণনা হবে ২৩ নভেম্বর।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: “কংগ্রেস জিতলেই রাজ্যটি তাদের শাহি পরিবারের এটিএম হয়ে যায়”, তোপ মোদির

    PM Modi: “কংগ্রেস জিতলেই রাজ্যটি তাদের শাহি পরিবারের এটিএম হয়ে যায়”, তোপ মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “যেখানে কংগ্রেস সরকার গঠিত হয়, সেই রাজ্য তাদের শাহি পরিবারের এটিএম হয়ে যায়।” ভোটমুখী মহারাষ্ট্রে নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে কথাগুলি বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। এর পরেই তিনি বলেন, “আমরা মহারাষ্ট্রকে কংগ্রেসের (Congress) এটিএম হতে দেব না।”

    শাহি পরিবারকে চ্যালেঞ্জ (PM Modi)

    আগামী ২০ নভেম্বর হবে মহারাষ্ট্র বিধানসভার নির্বাচন। সেই উপলক্ষে আকোলায় এক জনসভায় ভাষণ দিতে এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “আমি কংগ্রেসের শাহি পরিবারকে চ্যালেঞ্জ করছি, তারা প্রমাণ করুক যে তারা কখনও ডঃ বাবাসাহেব আম্বেদকরের পঞ্চতীর্থে গিয়েছেন কিনা।” প্রধানমন্ত্রী “পঞ্চতীর্থ” শব্দটি ব্যবহার করেছেন আম্বেদকরের জন্মস্থান মহো, লন্ডনে পড়াশোনা, নাগপুরের দীক্ষা ভূমি যেখানে তিনি বৌদ্ধ ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন, দিল্লির মহাপরিনির্বাণ স্থল এবং মুম্বাইয়ের চৈতন্য ভূমি বোঝাতে।

    ‘দেশ দুর্বল হলে তারাই শক্তিশালী হবে’

    তিনি বলেন, “হরিয়ানার জনগণ ‘এক আছে তো নিরাপদ আছে’ মন্ত্র মেনে কংগ্রেসের ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করেছে। কংগ্রেস জানে, দেশ দুর্বল হলে তারাই শক্তিশালী হবে। ওই দলের নীতিই হল এক জাতিকে আর এক জাতির বিরুদ্ধে দাঁড় করানো।” প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, “মহারাষ্ট্রের বিরোধী মহা বিকাশ আঘাড়ি মানেই হাজার হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি ও কেলেঙ্কারি। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আমার প্রথম দুই মেয়াদে, আমি চার কোটি পাকা বাড়ি গরিবদের দিয়েছি।” তিনি বলেন, “মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির নেতৃত্বাধীন মহাজোটের জন্য আপনাদের আশীর্বাদ চাইতে আমি এসেছি।”

    আরও পড়ুন: রাজ্যের ৩ কোটি মহিলা কেন পান না লক্ষ্মীর ভাণ্ডার? মুখ্যমন্ত্রীকে প্রশ্ন ছুড়লেন বিজেপি নেতা

    প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতায় উঠে এসেছে রাম মন্দির প্রসঙ্গও। তিনি বলেন, “এই দিনে, ২০১৯ সালে, দেশের সুপ্রিম কোর্ট রাম মন্দির নিয়ে তাদের রায় ঘোষণা করেছিল। ৯ই নভেম্বরের এই তারিখটি মনে থাকবে কারণ সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্তের পর সব ধর্মের মানুষ অসাধারণ সংবেদনশীলতার পরিচয় দিয়েছিলেন।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “দেশের প্রথমের এই অনুভূতিই ভারতের সবচেয়ে বড় শক্তি।” তিনি বলেন, “২০১৪ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত এই ১০ বছরে মহারাষ্ট্র বিজেপিকে ধারাবাহিকভাবে পূর্ণ সমর্থন করেছে। মহারাষ্ট্রের বিজেপির প্রতি আস্থার পিছনে একটি কারণ রয়েছে। এর কারণ হল মহারাষ্ট্রের মানুষের (Congress) দেশপ্রেম, রাজনৈতিক বোঝাপড়া এবং ভবিষ্যৎ দৃষ্টি (PM Modi)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Amit Shah: ‘‘যতদিন বিজেপি ক্ষমতায় ততদিন মুসলিমরা সংরক্ষণ পাবেন না’’, ঘোষণা শাহের

    Amit Shah: ‘‘যতদিন বিজেপি ক্ষমতায় ততদিন মুসলিমরা সংরক্ষণ পাবেন না’’, ঘোষণা শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘‘বিজেপি (BJP) এ দেশে যতদিন ক্ষমতায় থাকবে, ততদিন পর্যন্ত সংখ্যালঘুরা সংরক্ষণ পাবে না।’’ শনিবার ঝাড়খণ্ডের পালামুতে বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে এক জনসভায় ভাষণ দিতে গিয়ে অমিত শাহ (Amit Shah) এই মন্তব্য করেন। শাহ বলেন, কংগ্রেস ওবিসি, দলিত এবং উপজাতিদের সংরক্ষণের সীমা কমিয়ে মুসলমানদের সংরক্ষণ করতে চায়। বিজেপি থাকতে সেটা হবে না বলে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেন তিনি।

    কী বললেন শাহ? (Amit Shah)

    ঝাড়খণ্ডের পালামুতে এক জনসভায় ভাষণ দিতে গিয়ে অমিত শাহ (Amit Shah) বলেন, ‘‘কংগ্রেস সংরক্ষণের কথা বলে, কিন্তু আমাদের সংবিধানে ধর্মের ভিত্তিতে সংরক্ষণ দেওয়ার কোনও বিধান নেই। মহারাষ্ট্রে কিছু ‘ওলামা’র একটি দল একটি আবেদনপত্র জমা দিয়েছে। মুসলিমদের জন্য ১০ শতাংশ সংরক্ষণের বিষয়ে তাদের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে। কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সংরক্ষণের বিষয়ে তারা তাদের সাহায্য করবে। রাহুল গান্ধীকে সতর্ক করতে চাই এই বলে যে, যতদিন পর্যন্ত এই দেশে বিজেপি থাকবে ততদিন সংখ্যালঘুরা সংরক্ষণ পাবে না। ওবিসি, দলিত এবং আদিবাসীদের বাবা সাহেব আম্বেদকর দিয়েছেন। আমরা এটিকে অসম্মান করতে পারি না।’’

    আরও পড়ুন: ‘‘তৃণমূলের রুচিবোধ নিম্নমানের, থ্রেট কালচারের জনক মমতা’’, তোপ শুভেন্দুর

    কংগ্রেস ‘‘ ওবিসি-বিরোধী ’’দল

    কংগ্রেসকে ওবিসি-বিরোধী দল বলে অভিহিত করে শাহ (Amit Shah) বলেন, ‘‘যখনই কংগ্রেস ক্ষমতায় এসেছে, তারা ওবিসি সম্প্রদায়ের প্রতি অবিচার করেছে। কাকা কালেলকর কমিটি  ১৯৫০ সালে তৈরি হয়েছিল। কিন্তু, তার রিপোর্ট হারিয়ে গিয়েছে। যখন মণ্ডল কমিশন ওবিসিদের সংরক্ষণ করতে এসেছিল, তখন ইন্দিরা গান্ধী এবং রাজীব গান্ধী এটি বাস্তবায়নের বিরোধিতা করেছিলেন।’’ শাহ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রশংসা করে বলেন, ‘‘মোদি ক্ষমতায় এসে ওবিসিদের ২৭ শতাংশ সংরক্ষণ দিয়েছেন।  অনগ্রসর শ্রেণির জন্য একটি জাতীয় কমিশন (এনসিবিসি) গঠন করেছেন।’’

    বিজেপি সরকার হলে দুর্নীতিবাজদের কারাগারে ভরা হবে

    ইন্ডি জোটকে আক্রমণ শানিয়ে শাহ বলেন, “ঝাড়খণ্ডে (Jharkhand) জেএমএম, কংগ্রেস এবং আরজেডি সরকার দেশের সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত সরকার।” তিনি (Amit Shah) বলেন, ‘‘আমরা রাজ্যে বিজেপি সরকার আনার আবেদন করতে এসেছি, কারণ বর্তমান রাজ্য সরকার দুর্নীতিতে জর্জরিত। জেএমএম, কংগ্রেস এবং আরজেডি দেশের সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত সরকার। কেউ কি কখনও ৩০০ কোটি টাকা দেখেছেন? কংগ্রেস সাংসদের বাড়ি থেকে ৩০০ কোটি টাকার বেশি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। টাকা গুনতে প্রায় ২৭টি মেশিন আনা হলেও এত বিপুল পরিমাণ টাকা গুনতে গিয়ে ওই মেশিনগুলো ক্লান্ত হয়ে পড়েছিল। আলমগীর আলম রাজ্য সরকারের মন্ত্রী ছিলেন। এমনকী তাঁর পিএ- এর বাড়ি থেকে ৩০ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল। কিন্তু, হেমন্ত সোরেন বা কংগ্রেস তাঁর বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করেননি। এই টাকা আপনার, এটা ঝাড়খণ্ডের যুবক ও দরিদ্রদের, যা এই কংগ্রেসিরা খেয়ে ফেলেছে। আপনি যদি রাজ্যে বিজেপি সরকার গঠন করেন, আমরা দুর্নীতিবাজদের কারাগারের পিছনে ফেলব।’’ প্রসঙ্গত, ৮১ সদস্যের ঝাড়খণ্ড বিধানসভা নির্বাচন হবে দুদফায় – ১৩ ও ২০ নভেম্বর। ২৩ নভেম্বর হবে ভোট গণনা। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mohan Bhagwat: সনাতন ধর্ম রক্ষার আহ্বান ভাগবতের, প্রয়োজনে লাঠি ব্যবহারের নিদান

    Mohan Bhagwat: সনাতন ধর্ম রক্ষার আহ্বান ভাগবতের, প্রয়োজনে লাঠি ব্যবহারের নিদান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বয়ংসেবকদের সনাতন ধর্মের মূলনীতি রক্ষা ও তাদের কাজে বাধা দিতে চাওয়া বিরোধী শক্তি থেকে সাধু-সন্তদের সুরক্ষার আহ্বান জানালেন আরএসএস (Mohan Bhagwat) প্রধান মোহন ভাগবত। চিত্রকূটে এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দিতে গিয়ে ভাগবত সনাতন ধর্ম রক্ষার গুরুত্বের ওপর জোর দেন। ভারতকে সহিষ্ণু, ঐক্যবদ্ধ জাতি হিসেবে বর্ণনা করেন (RSS) তিনি।

    লাঠি ব্যবহারের নিদান (Mohan Bhagwat)

    তাঁর মতে, ভারত নানা চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করে ন্যায়ের জন্য দৃঢ়ভাবে দাঁড়িয়ে থাকতে অঙ্গীকারবদ্ধ। সরসংঘচালক বলেন, “সনাতন ধর্ম ও সাধু-সন্তদের কাজে বাধা সৃষ্টি করা সব বাধা অপসারণের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। প্রয়োজন হলে তারা লাঠির ব্যবহারও করবেন।” তিনি বলেন, “সমাজের সম্প্রীতিতে হুমকি সৃষ্টি করে এমন ঘটনাগুলি প্রতিরোধ করা মূলত প্রশাসনের দায়িত্ব। তবে প্রয়োজনে নিজেদের সুরক্ষার জন্য সমাজকেও প্রস্তুত থাকতে হবে।”

    ‘আমরা ধর্মের পথে দাঁড়িয়ে আছি’

    ভাগবত বলেন, “আমাদের অবিচারের ভয় পাওয়ার বা সহ্য করার প্রয়োজন নেই। ধর্ম আমাদের কর্মের মাধ্যমে অর্জিত হয়। সৎ ও অসৎ সবসময়ই বিদ্যমান। ধর্মে প্রোথিত একটি জাতি হিসেবে আমরা ধর্মের পথে দাঁড়িয়ে আছি।” তিনি (Mohan Bhagwat) বলেন, “আরএসএস ঋষিদের সেবা করে এবং ধর্মের প্রতি নিবেদিত প্রাণ। তারা এটা নিশ্চিত করবে যে মন্দিরে ধর্মীয় কাজকর্মে নিয়োজিত ঋষিরা যেন বাধাগ্রস্ত না হন।”

    আরএসএসের এই কর্তা নিরাপদ ও সমৃদ্ধশালী দেশ হিসেবে ভারতের প্রশংসা করেন। তাঁর মতে, এর শক্তির ভিত্তি প্রাচীন ঋষি ও সাধুদের স্থাপিত ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত। ভাগবত বলেন, “জাতির বৈচিত্র্যের মধ্যেও, ভারত ধর্মের প্রতি তার প্রতিশ্রুতিতে এককাট্টা। কিছু শক্তি হয়তো ভারতকে দমন করার চেষ্টা করতে পারে, কিন্তু সত্যকে কখনও দমানো যায় না।”

    আরও পড়ুন: “কানাডায় খালিস্তানপন্থীরা রয়েছেন, মজুত যাবতীয় উপাদানও”, শেষমেশ স্বীকার ট্রুডোর

    অযোধ্যার রাম মন্দিরকে সনাতন ধর্মের প্রতীক হিসেবে তুলে ধরে ভাগবত বলেন, “এটি সব সনাতনীর জন্য এবং তাঁদের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি রক্ষার জন্য। যদি রাম মন্দির সনাতনের প্রতীক হয়, তাহলে সনাতনীদের কর্তব্য হল আমাদের ধর্ম ও সংস্কৃতিকে রক্ষা করা ও সমুন্নত রাখা।” আরএসএসের প্রথম দিকের দিনগুলির কথা স্মরণ  করিয়ে দিয়ে সরসংঘচালক বলেন, “অসাধারণ প্রতিকূলতার মধ্যেও আমরা আরও শক্তিশালী হয়েছি (RSS)।” সংগঠনের জাতীয় ঐক্য ও দৃঢ়তার প্রতি স্থায়ী অঙ্গীকারের ওপরও জোর দেন তিনি (Mohan Bhagwat)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • India’s Mineral Independence: খনিজ সম্পদেও ‘আত্মনির্ভর ভারত’! নিলামে প্রথম বিক্রি টাংস্টেন-কোবাল্ট  

    India’s Mineral Independence: খনিজ সম্পদেও ‘আত্মনির্ভর ভারত’! নিলামে প্রথম বিক্রি টাংস্টেন-কোবাল্ট  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খনিজ সম্পদের ক্ষেত্রেও আত্মনির্ভরতার পথে ভারত (India’s Mineral Independence)। আর টাংস্টেনের জন্য চিনের মুখাপেক্ষী হয়ে থাকতে হবে না ভারতকে। এই খনিজ খুবই গুরুত্বপূর্ণ, পাশাপাশি বিরলতম প্রাকৃতিক সম্পদগুলির মধ্যে অন্যতম। সম্প্রতি ভারতে প্রথম টাংস্টেন ও কোবাল্ট ব্লক নিলাম করা হল। এই নিলামে ভেদান্ত গ্রুপের হিন্দুস্তান জিংক লিমিটেড দুটি টাংস্টেন ব্লক জিতে নেয়। ওই দুটি ব্লকের একটি তামিলনাড়ুর নয়াক্কারপট্টি এবং অন্যটি অন্ধ্রপ্রদেশের বালেপাল্যাম এলাকায়। এর পাশাপাশি, ভেদান্ত একটি কোবাল্ট ব্লকও পেয়েছে। এটি কর্ণাটকের শিমোগায় রয়েছে। এটি ভারতের গুরুত্বপূর্ণ খনিজ অনুসন্ধানে একটি বড় পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে।

    সফল নিলাম অনুষ্ঠান

    এই নিলামটি মাইনস অ্যান্ড মিনারেলস (ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড রেগুলেশন) অ্যাক্ট, ১৯৫৭-এর আওতায় অনুষ্ঠিত হয়। তিনটি খনিজ ব্লকেই কম্পোজিট লাইসেন্স (CL) প্রদান করা হয়েছে। এই লাইসেন্সগুলির আওতায়, সরকার প্রাথমিক অনুসন্ধান সম্পন্ন করেছে, কিন্তু খনিজ কোম্পানিগুলিকে আরও বিস্তারিত অনুসন্ধান করতে হবে। একবার খনিজের মজুত নিশ্চিত হলে, কোম্পানিগুলি রাজ্য সরকারের কাছে খনি খননের জন্য আবেদন করতে পারবে। খনন কার্য শুরুর আগে সমস্ত প্রয়োজনীয় অনুমতি, লাইসেন্স এবং “নো অবজেকশন” সার্টিফিকেট সংগ্রহ করতে হবে।

    টাংস্টেন-এর গুরুত্ব

    উল্লেখ্য, যেসব খনিজ — যেমন কপার, লিথিয়াম, নিকেল এবং কোবাল্ট — বিশ্বজুড়ে ক্লিন এনার্জি প্রযুক্তির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, তাদের মধ্যে টাংস্টেন অন্যতম। টাংস্টেন, বা ‘ওলফ্রাম’, উচ্চ তাপমাত্রা সহ্য করতে পারার কারণে বিভিন্ন শিল্পে এর ব্যবহার করা হয়। এর ফলে এটি অত্যন্ত মূল্যবান। এটি সেমিকন্ডাক্টর, কনজিউমার ইলেকট্রনিক্স, মহাকাশ ও মেডিক্যাল ডিভাইসগুলিতে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়।

    চিনের প্রাধান্য হ্রাস

    বর্তমানে, চিন বিশ্বব্যাপী টাংস্টেন উৎপাদনে ৮৫ শতাংশেরও বেশি অংশীদার। এরপর রয়েছে রাশিয়া। চিন ও রাশিয়া এক সঙ্গে বিশ্বের ৯০ শতাংশ টাংস্টেন সরবরাহ করে। ভারত এখনও টাংস্টেন সম্পূর্ণভাবে আমদানি করে। এখানে এখনও কোনও টাংস্টেন খনিজের উৎস তৈরি করা যায়নি। এই মুহূর্তে ভারতের কোথাও টাংস্টেন উত্তোলিত না হওয়ায়, ভারতকে তার চাহিদার পুরোটাই আমদানি করতে হয়। এই আমদানিকারক দেশগুলিতে সব চেয়ে বেশী আমদানি হয় চিন থেকে। ভারত তার মোট চাহিদার ৫৬ শতাংশ টাংস্টেন চিন থেকে আমদানি করে। এবার দেশে টাংস্টেন মিললে চিনের উপর আর নির্ভর করতে হবে না। বাঁচবে গুরুত্বপূর্ণ বৈদেশিক মুদ্রাও। পাশাপাশি চিনের অর্থনীতিকেও ধাক্কা দেওয়া যাবে। এই কারণে, ভারতের প্রথম টাংস্টেন ব্লক নিলামে বিক্রির সাফল্য দেশের খনিজ সরবরাহ (India’s Mineral Independence) চেইনে সম্ভাব্য ঝুঁকি কমানোর একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

    কোবাল্ট কেন প্রয়োজন

    কোবাল্ট একটি অত্যন্ত মূল্যবান রৌপ্যধাতু, যা বিশেষভাবে বৈদ্যুতিন যানবাহনের (ইভি) ব্যাটারির জন্য অপরিহার্য। ২০৩৫ সালের মধ্যে কোবাল্টের চাহিদা তিনগুণ বাড়ার পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে, যা ইভি শিল্পের বৃদ্ধি দ্বারা পরিচালিত হবে। বর্তমানে, কোবাল্টের প্রধান উৎস হল কঙ্গো প্রজাতান্ত্রিক গণতন্ত্র (ডিআরসি), যা বিশ্বের কোবাল্ট সরবরাহের ৬৭ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ করে। তবে কঙ্গোর রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং শিশু শ্রমের সমস্যা কোবাল্ট সরবরাহের উপর সম্ভাব্য ঝুঁকি তৈরি করছে। এছাড়া, বিশ্বব্যাপী কোবাল্ট পরিশোধন প্রক্রিয়া প্রায় সম্পূর্ণরূপে চিনের হাতে, যা অন্য দেশগুলোর জন্য একটি বড় উদ্বেগের বিষয়।

    ভারতে কোবাল্টের সন্ধান 

    ভারতে (India’s Mineral Independence) প্রচুর পরিমাণে কোবাল্ট মজুত রয়েছে। বিশেষ করে ওডিশা, ঝাড়খণ্ড ও নাগাল্যান্ডে কোবাল্টের ভাণ্ডার রয়েছে। তবে, বর্তমানে ভারত সম্পূর্ণভাবে কোবাল্টের চাহিদা আমদানির ওপর নির্ভরশীল। শিমোগার কোবাল্ট ব্লক নিলামের মাধ্যমে ভারতের কোবাল্টের অভ্যন্তরীণ অনুসন্ধান শুরু হয়েছে। এছাড়া, ভারত সমুদ্রের তলদেশে কোবাল্ট অনুসন্ধানেও মনোযোগ দিয়েছে। ২০২৪ সালের প্রথমার্ধে, ভারত আন্তর্জাতিক সি-বেড অথরিটির (ISA) কাছে আফানাসি নিকিতিন সিমাউন্টের কোবাল্ট অনুসন্ধানের অনুমতি চেয়ে আবেদন করেছে, যা মলদ্বীপের পূর্বে ভারত মহাসাগরের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত।

    আরও পড়ুন: রাতভর অভিযান কাশ্মীরে সাফল্য সেনার, নিহত ২ জঙ্গি, উদ্ধার বিপুল অস্ত্র

    ভবিষ্যতে লাভের পথে

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে ভারত এখন অমৃত যুগের দিকে এগোচ্ছে। খনিজ স্বাধীকারের পথে কাজ করছে সরকার। বর্তমানে দেশের সম্ভাব্য কৌশলগত খনিজ সম্পদের মধ্যে ১০ শতাংশেরও কম অনুসন্ধান করা গিয়েছে। কেন্দ্র নিরন্তর প্রয়াস জারি রেখেছে। আগামী দিনে ভারত (India’s Mineral Independence) এই খনিজগুলি খুঁজে বের করার এবং এর জন্য আন্তর্জাতিক অংশীদারিত্ব ও চুক্তির প্রয়োজনীয়তা অনুভব করবে। টাংস্টেন ও কোবাল্ট ব্লকের মতো নিলামগুলি এক্ষেত্রে ইতিবাচক পদক্ষেপ। ভবিষ্যতের চাহিদা পূরণে শক্তিশালী আন্তর্জাতিক অংশীদারিত্ব এবং বন্ধুত্বপূর্ণ দেশগুলির সঙ্গে সাপ্লাই চেন তৈরি করাই এখন সরকারের প্রথম লক্ষ্য। দেশে গবেষণার মধ্য দিয়ে উপযুক্ত পরিকাঠামো গড়ে তুলতে সচেষ্ট মোদি সরকার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share