Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Russian-Oil: “রাশিয়া থেকে জ্বালানি কিনে গোটা বিশ্বের উপকার করেছে ভারত”, বললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী

    Russian-Oil: “রাশিয়া থেকে জ্বালানি কিনে গোটা বিশ্বের উপকার করেছে ভারত”, বললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাশিয়ার কাছ থেকে তেল বা জ্বালানি (Russian-Oil) কিনে গোটা বিশ্বের উপকার করেছে ভারত। ঠিক এই মন্তব্য করেন কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী। সামাজিক মাধ্যমে তিনি বলেন, “বিশ্বব্যাপী অনিশ্চয়তার মধ্যে রাশিয়া থেকে ভারতের তেল কেনার সিদ্ধান্ত বৈশ্বিক জ্বালানির দাম বৃদ্ধির সম্ভাবনাকে রোধ করেছে। বিশ্ববাজারে দামের ভারসাম্য রক্ষায় এই সিদ্ধান্ত খুবই কার্যকারী। বিশ্বব্যাপী তেলের মূল্যবৃদ্ধি সত্ত্বেও, ভারতই একমাত্র প্রধান উপভোক্তা দেশ যেখানে গত তিন বছরে জ্বালানির দাম উল্লেখযোগ্য ভাবে হ্রাস পেয়েছে।”

    তেলের দাম ২০০ ডলার প্রতি ব্যারেলে মূল্যবৃদ্ধি হতো (Russian-Oil)

    কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী হারদীপ সিং নিজের এক্স হ্যান্ডলে একটি পোস্ট করে বলেন, “ভারত রাশিয়ার তেল বা জ্বালানি (Russian-Oil) কেনার মাধ্যমে সমগ্র বিশ্বের জন্য উপকার করেছে। কারণ আমরা যদি তা না করতাম, তাহলে বিশ্বব্যাপী তেলের দাম ২০০ ডলার করে প্রতি ব্যারেলে মূল্যবৃদ্ধি হত। যার প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়ত দৈনন্দিন দ্রব্যমূল্যে। রাশিয়া থেকে জ্বালানি কেনায় কোনও রকম নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা ছিল না। তবে শুধুমাত্র একটি মূল্যের উপর শর্ত আরোপ করা হয়েছে। আর এতে আশ্বস্ত করেছে যে ভারতীয় কোম্পানিগুলি শর্ত মেনে চলবে।”

    আরও পড়ুনঃ অযোধ্যা মামলার ঐতিহাসিক রায়ের পাঁচ বছর পূর্তি, জেনে নিন পুরো কাহিনি

    নরেন্দ্র মোদিজির নেতৃত্বে আস্থা

    কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরদীপ পুরী আরও উল্লেখ করে বলেন, “ইউরোপীয় এবং এশিয়ার দেশগুলিও রাশিয়ার (Russian-Oil) কাছ থেকে যথেষ্ট পরিমাণে জ্বালানি কিনেছে। আমাদের ভুলে যাওয়া উচিত নয় যারা ভারতের উপর বিধিনিষেধ আরোপের কথা বলেছিল, তাদের মধ্যে অনেক ইউরোপীয় এবং এশিয়ার দেশ রাশিয়া থেকে বেশি পরিমাণে অশোধিত তেল, ডিজেল কিনেছিল। আমাদের তেল কোম্পানীগুলোকে যারাই ভালো দামে জ্বালানি দেবে, আমরা তাদের কাছ থেকে এই জ্বালানি কিনব। এটাই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিজির নেতৃত্বের আস্থা এবং বিশ্বাস। ভারতের নাগরিকদের জন্য জ্বালানির উপযুক্ত প্রয়োজনীয় জোগান, ক্রয়ক্ষমতা এবং সুরক্ষাকে নিশ্চিত করা হয়েছে। এটাতেই আমাদের সবথেকে আগে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। প্রায় ৭ কোটি ভারতীয় প্রতিদিন পেট্রোল প্রত্যক্ষভাবে ব্যবহার করে থাকেন। তাই জ্বালানি বা পেট্রোলের স্থিতিশীল প্রাপ্যতা, সাশ্রয় এবং স্থায়িত্বের বিষয়কে সরকার আগে গুরুত্ব দিয়ে ভেবেছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Donald Trump: মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদে ট্রাম্প, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্পর্ক আরও মজবুত হবে, আশায় ভারত

    Donald Trump: মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদে ট্রাম্প, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্পর্ক আরও মজবুত হবে, আশায় ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদে ডোনাল্ড ট্রাম্পের (Donald Trump) আসীন হওয়াটা (India US Trade Security Ties) এখন স্রেফ সময়ের অপেক্ষা। নতুন বছরের ২০ জানুয়ারি মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদে শপথ নেবেন তিনি। তাঁকে ঘিরে আশার আলো দেখছে নরেন্দ্র মোদি সরকার। কারণ মার্কিন দেশে ক্ষমতায় আসছেন প্রধানমন্ত্রীর ‘বন্ধু’। তবে উদ্বেগ যে একেবারেই নেই, তা নয়। উদ্বেগ রয়েছে ভারত-আমেরিকা বাণিজ্য বন্ধন নিয়ে। তবে, দ্রুত সেই উদ্বেগের নিরসন হয়ে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যিক সম্পর্ক মজবুত হবে, আশায় নয়াদিল্লি।

    ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট (Donald Trump)

    ট্রাম্প হতে চলেছেন ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তাঁর সঙ্গে মোদির সম্পর্ক খুবই ভালো। এর আগের দফায় প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন সময়ে ট্রাম্পের উদ্যোগেই হয়েছিল ‘হাউডি মোদি’ অনুষ্ঠান। গুজরাটে ‘নমস্তে ট্রাম্প’ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে সখ্যতার প্রমাণ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাই মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদে ট্রাম্প শপথ নেওয়ার পরেও ভারত-আমেরিকা সুসম্পর্ক বজায় থাকবে বলেও ধারণা আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের একাংশের।

    ভারতের পাশে ট্রাম্প

    ভারতের সঙ্গে ট্রাম্প (Donald Trump) বরাবরই সুসম্পর্ক রেখে চলেছেন। ২০২০ সালে পূর্ব লাদাখে চিনা ফৌজ অনুপ্রবেশের সময় ভারতের পাশেই দাঁড়িয়েছিলেন ট্রাম্প। ভারতীয় নৌবাহিনীর জন্য দু’টি সি গার্ডিয়ান ড্রোনের লিজ মঞ্জুর করতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন ট্রাম্প। জম্মু-কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা বাতিলের সময় মোদি সরকারের প্রতি সহানুভূতিশীল ছিলেন ট্রাম্প। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রয়োজনীয়তাও উপলদ্ধি করেছিলেন। ভারত ও আমেরিকার মধ্যে বাণিজ্য শুল্ক নিয়ে বিতর্ক থাকলেও, ট্রাম্প (Donald Trump) ভারতে বৃহত্তর বিনিয়োগের পক্ষেই সওয়াল করেছিলেন।

    আরও পড়ুন: রাতভর অভিযান কাশ্মীরে সাফল্য সেনার, নিহত ২ জঙ্গি, উদ্ধার বিপুল অস্ত্র

    ভারতীয়দের আমেরিকায় বিনিয়োগ করার আহ্বান করেছিলেন। ডাম্পিং সমস্যায় চিনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদও করেছিলেন তিনি। এর আগের মেয়াদে ট্রাম্প ভারতীয় সার্বভৌমত্বের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ছিলেন। ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে প্রাকৃতিক শক্তির ভারসাম্য বজায় রাখার কথা বলেছিলেন তিনি। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধেও সুর চড়িয়েছিলেন ট্রাম্প। ভারতীয় বিমান বাহিনীর বালাকোটে জইশ-ই-মহম্মদ জঙ্গি ক্যাম্পে আক্রমণের সময় পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ভারতের পাল্টা আঘাত করার অধিকারকে স্বীকৃতিও দিয়েছিলেন তিনি। সংখ্যালঘু হিন্দু ও খ্রিস্টানদের ওপর মুসলমানদের হামলা প্রতিরোধে ব্যর্থ হওয়ায় বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের সমালোচনাও করেছিলেন ট্রাম্প।

    নানা বিষয়ে মতের মিল হওয়ায় ট্রাম্প যে ভারতের পাশেই থাকবেন, সে ব্যাপারে আশাবাদী (India US Trade Security Ties) ভারত। উদ্বেগ বলতে ওইটুকুই, সেটা হল বাণিজ্য চুক্তি। তবে, ট্রাম্পের (Donald Trump) দ্বিতীয় দফায় দ্রুত সেই উদ্বেগের নিরসন হয়ে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যিক সম্পর্ক মজবুত হবে, আশায় নয়াদিল্লি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jammu Kashmir: রাতভর অভিযান কাশ্মীরে সাফল্য সেনার, নিহত ২ জঙ্গি, উদ্ধার বিপুল অস্ত্র

    Jammu Kashmir: রাতভর অভিযান কাশ্মীরে সাফল্য সেনার, নিহত ২ জঙ্গি, উদ্ধার বিপুল অস্ত্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উপত্যকায় বড় সাফল্য নিরাপত্তাবাহিনীর। জম্মু ও কাশ্মীরের (Jammu Kashmir) নানা জায়গায় একের পর এক জঙ্গি হামলার ঘটনায় মাঝেই শ্রীনগরে সেনার গুলিতে নিহত হল ২ জঙ্গি। শুক্রবার রাত থেকে বারামুল্লার সোপোর এলাকায় জঙ্গি দমনে অভিযান চালায় সেনা। জঙ্গিদের নিকেশ করার পাশাপাশি উদ্ধার হয়েছে বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র। কাশ্মীর পুলিশের তরফে এক্স হ্যান্ডেলে জানানো হয়েছে, ‘সোপোরে নিরাপত্তাবাহিনীর গুলিতে দুই জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে। মৃত জঙ্গিদের পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে। তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র ও বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়েছে।’ 

    জঙ্গি দমনে অভিযান

    পুলিশের তরফে জানা গিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার নিরাপত্তাবাহিনীর কাছে খবর আসে বারামুল্লার (Jammu Kashmir) সোপোর এলাকায় গা ঢাকা দিয়ে রয়েছে বেশ কয়েকজন সন্ত্রাসবাদী। গোপন খবরের ভিত্তিতে অভিযানে নামে সেনা ও পুলিশের যৌথবাহিনী। সোপোরের পানিপুরায় গোটা এলাকা ঘিরে ফেলে শুরু হয় তল্লাশি অভিযান। সেনার উপস্থিতি টের পেয়ে এবং পিছু হটবার জায়গা না থাকায় নিরাপত্তাবাহিনীকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে শুরু করে জঙ্গিরা। পালটা জবাব দেয় বাহিনীও। প্রায় ১৪ ঘণ্টা ধরে দুই তরফের গুলির লড়াইয়ের পর ২ জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

    জঙ্গি কার্যকলাপ

    জম্মু ও কাশ্মীরে (Jammu Kashmir) বিধানসভা নির্বাচন পরবর্তী সময়ে একের পর এক জঙ্গি কার্যকলাপের ঘটনা ঘটছে। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে কিস্তওয়ার জেলায় দুই ভিডিজি (ভিলেজ ডিফেন্স গার্ড) সদস্যকে অপহরণ করে খুন করল জঙ্গিরা। পুলিশ সূত্রের খবর, ওহলি-কুন্তওয়ারা গ্রামের ওই দুই বাসিন্দার নাম নাজির আহমেদ ও কুলদীপ কুমার। পাকিস্তানি জঙ্গিগোষ্ঠী জইশ-ই-মহম্মদের ‘ছায়া সংগঠন’ কাশ্মীর টাইগার্স খুনের দায় স্বীকার করেছে। নিহত দুই ভিডিজি সদস্যের ছবিও প্রকাশ করেছে তারা। কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জম্মু ও কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা জঙ্গি হানায় দুই ভিডিজি সদস্যের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে বলেছেন, ‘‘এই সন্ত্রাসের চক্র আমরা ধ্বংস করবই।’’ সেনার তরফে জানানো হয়েছে, জঙ্গিদের বিরুদ্ধে উপত্যকায় জিরো টলারেন্স নীতি নেওয়া হয়েছে। সন্ত্রাস রুখতে আগামী দিনেও এই ধরনের অভিযান জারি থাকবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ram Mandir: অযোধ্যা মামলার ঐতিহাসিক রায়ের পাঁচ বছর পূর্তি, জেনে নিন পুরো কাহিনি

    Ram Mandir: অযোধ্যা মামলার ঐতিহাসিক রায়ের পাঁচ বছর পূর্তি, জেনে নিন পুরো কাহিনি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ, শনিবার ৯ নভেম্বর। ২০১৯ সালের এই দিনেই ঐতিহাসিক অযোধ্যা (Ayodhya) মামলার রায় দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চ। অযোধ্যার মূল বিতর্কিত ২.৭৭ একর জমি রামলালাকে (Ram Mandir) দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। ২.৭৭ একরের বিতর্কিত জমি ঘিরে কেন্দ্রের অধিগৃহীত ৬৭ একর জমিও পেয়েছিল হিন্দু পক্ষ।

    মন্দির-মসজিদ বিতর্কের অবসান (Ram Mandir)

    আর মসজিদ নির্মাণের জন্য মুসলমান পক্ষকে অযোধ্যাতেই ৫ একর জমি দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছিল শীর্ষ আদালত। সেই রায়ের পরেই অযোধ্যায় গড়ে উঠেছে ভগবান শ্রীরামচন্দ্রের ‘ইমারত’। চলতি বছরের ২২ জানুয়ারি ‘স্বগৃহে’ প্রতিষ্ঠিত হন রামলালা। তার পর সেখানেই চলছে পূজার্চনা। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, রাম মন্দির কেবল একটি ধর্মীয় কাঠামো নয়, এটি লক্ষ লক্ষ ভারতীয়ের ঐক্য, অধ্যবসায় এবং যৌথ আকাঙ্ক্ষার প্রতীক। এই দেবালয়ের দিনের আলো দেখার নেপথ্যে রয়েছে বহু মানুষের আত্মত্যাগ। এটি এমন একটি কাহিনি যা পুরাণ, ইতিহাস, আইনি সংগ্রাম এবং একটি পুরো দেশের আত্মাকে একত্রিত করে।

    হিন্দুদের বিশ্বাস

    অযোধ্যা, ভারতের অন্যতম প্রাচীন নগরী। ভারতীয় সভ্যতায় এই নগরী একটি অনন্য স্থান অধিকার করে রয়েছে। কারণ হিন্দুদের বিশ্বাস, এটি ভগবান রামের জন্মস্থান। প্রাচীন গ্রন্থে অযোধ্যার ঐতিহাসিক ও আধ্যাত্মিক গুরুত্ব ভালোভাবে নথিভুক্ত রয়েছে। এই জায়গায় যে এক সময় মন্দির ছিল, তার প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনও মিলেছে। বাল্মীকি রামায়ণেও অযোধ্যার উল্লেখ পাওয়া যায়। সেখানে একে ইক্ষ্বাকু বংশ-শাসিত একটি সমৃদ্ধ ও দৈব শহর হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। ভগবান রাম, যিনি মর্যাদা পুরুষোত্তম হিসেবে পূজিত হিন্দুদের ঘরে ঘরে, সেই তিনিই এখানে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তিনি ধর্ম অর্থাৎ ন্যায় ও পুণ্যের প্রতীক। কালিদাসের মতো কবি এবং তুলসীদাসের রামচরিতমানসেও স্বর্ণাক্ষরে লেখা রয়েছে অযোধ্যার নাম।

    পুরাতাত্ত্বিক প্রমাণ

    রাম মন্দিরের খোঁজে এই এলাকায় খননকার্য চালায় ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ। যেখানে বাবরি মসজিদ ছিল বলে দাবি করা হচ্ছিল, সেখানে একটি বিশাল মন্দিরের কাঠামোর অস্তিত্বের (Ram Mandir) প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। এই খননকার্যের সময় উদ্ধার হওয়া স্তম্ভ, শিলালিপি ও স্থাপত্যের উপাদানগুলি বৈষ্ণব ঐতিহ্যের বৈশিষ্ট্যযুক্ত, যা এই জায়গাটাকে রামের জন্মস্থান হিসেবে পবিত্র বলে যে ঐতিহাসিক বিশ্বাস প্রচলিত রয়েছে, তাকে সমর্থন করে। রাম মন্দির মামলার আইনি যাত্রা এক শতাব্দীরও বেশি (Ayodhya) সময় ধরে চলেছে। এই মামলা একাধিক মামলা, রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ এবং গুরুত্বপূর্ণ জুডিশিয়াল সিদ্ধান্তের সঙ্গে জড়িত। এই জটিল আইনি লড়াইয়ের কাহিনি সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য পুনরুদ্ধারের বিস্তৃত সংগ্রামের প্রতিফলন ঘটায়।

    প্রথম আইনি উদ্যোগ

    মন্দির-মসজিদ বিতর্কের অবসান ঘটাতে প্রথম আইনি উদ্যোগ শুরু হয় ১৮৮৫ সালে, যখন মহন্ত রঘুবর দাস রাম চবুতরার ওপর একটি মন্দির নির্মাণের অনুমতি চেয়ে মামলা দায়ের করেন আদালতে। ব্রিটিশ আদালত অস্বীকৃত হওয়ায় দীর্ঘ আইনি সংগ্রামের সূচনা হয়। তার পর থেকে দীর্ঘদিন আইনি লড়াই চলছিল। ১৯৪৯ সালে বাবরি মসজিদের ভেতরে হঠাৎ করেই রামলালার মূর্তি (Ram Mandir) আবির্ভূত হলে সংঘাত তীব্র হয়ে ওঠে। সরকার ওই জায়গাটা সিল করে দেয়, যা হিন্দু ও মুসলিম উভয় পক্ষের দাবি ও পাল্টা দাবির সূত্রপাত ঘটায়। পরবর্তীকালে, এই বিবাদ পরিণত হয় একটি জাতীয় ইস্যুতে। রাম জন্মভূমি আন্দোলন গতি লাভ করে আটের দশকে। মাঠে নামে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের মতো সংগঠন। আন্দোলন সমর্থন করেন লালকৃষ্ণ আডবাণীর মতো রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বও। ১৯৯০ সালে আডবাণীর নেতৃত্বে রথযাত্রা হয়। শমিল হন লাখ লাখ মানুষ। জোরালো হয় রাম মন্দিরের দাবি। দেশ তো বটেই, এই আন্দোলন নজর কাড়ে তামাম বিশ্বেরও। 

    বাবরি মসজিদ ধ্বংস

    ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর ধ্বংস হয় বাবরি মসজিদের কাঠামো। করসেবকরাই ধ্বংস করে ফেলেন মসজিদের কাঠামো। গোটা দেশে তৈরি হয় সাম্প্রদায়িক অস্থিরতা। মামলা গড়ায় সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। ২০১৯ সালের ৯ নভেম্বর ঐতিহাসিক রায় দেয় দেশের শীর্ষ আদালত। তার সঙ্গে সঙ্গে হয় শতাব্দীভর ধরে চলা মন্দির-মসজিদ বিতর্কের অবসান। গড়ে ওঠে হিন্দুদের স্বপ্নের রাম মন্দির। রাম মন্দির (Ram Mandir) আজ শুধুমাত্র আর একটি পুজোস্থল নয়, বরং ভারতের সমষ্টিগত চেতনা ও সাংস্কৃতিক পুনর্জাগরণের অন্যতম প্রতীক। এটি লাখ লাখ মানুষের দৃঢ়তা, ঐক্য ও বিশ্বাসের প্রতীক, যারা নানা বাধা সত্ত্বেও তাঁদের বিশ্বাসে অবিচল ছিলেন। মন্দিরের নির্মাণ বহু প্রজন্ম ধরে লালিত একটি স্বপ্নের বাস্তবায়ন, যা ভারতের সভ্যতাগত মূল্যবোধের মর্মকে সযত্নে ধারণ করে।

    আরও পড়ুন: ‘‘তৃণমূলের রুচিবোধ নিম্নমানের, থ্রেট কালচারের জনক মমতা’’, তোপ শুভেন্দুর

    অযোধ্যার রাম মন্দির বিশ্বাসের শক্তি ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণের গুরুত্বের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। স্মরণ করিয়ে দেয় তাঁদের কথা যাঁরা এই ঐতিহাসিক দীর্ঘ যাত্রায় কোনও না কোনও ভাবে তাঁদের ভূমিকা পালন করেছেন। তাঁদের এই অবদান ভারতের ইতিহাসে একটি (Ayodhya) নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে। যে অধ্যায় চোখের সামনে ভেসে উঠবেই অযোধ্যায় (Ram Mandir) আসা দর্শনার্থীদের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • IRCTC: ট্রেনে মোট ১০ দিন ও ১১ রাত, কলকাতা থেকে দেবভূমি পরিদর্শন করাবে রেল, ভাড়া জেনেন?

    IRCTC: ট্রেনে মোট ১০ দিন ও ১১ রাত, কলকাতা থেকে দেবভূমি পরিদর্শন করাবে রেল, ভাড়া জেনেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আইআরসিটিসির (IRCTC) তরফে ভারত গৌরব বিশেষ ট্রেনের সূচনা সম্পর্কে জানানো হয়েছে। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে আইআরসিটিসি-র জেনারেল ম্যানেজার মনোজ কুমার সিং জানিয়েছেন, “আইআরসিটিসি এবং উত্তরাখণ্ড পর্যটন দফতর যৌথভাবে এই ট্রেন চালাবে। মোট যাত্রাপথ ১১ রাতের। ভাড়া ৩৮ হাজার টাকা। কলকাতা থেকেই ছাড়া হবে এই ট্রেন।”

    কলকাতা থেকে নৈনিতাল বা আলমোড়া যাবে ট্রেন (IRCTC)

    ট্রেনে (IRCTC) করে অনেক জায়গায় ভ্রমণ করতে গেলে বারবার গাড়ি পাল্টাতে যাত্রীদের ব্যাপক অসুবিধার মধ্যে পড়তে হয়। এবার থেকে এক সঙ্গে অনেক জায়গায় ভ্রমণের সুবিধা দেবে ভারতীয় রেল। ট্রেন পথে ভ্রমণের আনন্দকে আরও সুন্দর, মসৃণ, নিরাপদ এবং ঝঞ্ঝাটমুক্ত করতে রেল বিশেষ ব্যবস্থা করেছে। কলকাতা থেকে নৈনিতাল বা আলমোড়ার মতো জায়গায় যাবে একটি ট্রেন। এখন আর গাড়ি বদল করতে হবে না। ট্রেনে বসেই সবটা প্রত্যক্ষ করা যাবে। এই যাত্রা পথ অনেক পর্যটক বা ভ্রমণবিলাসীদের কাছে খুব আনন্দদায়ক হবে। ইতিমধ্যে যাত্রী মহলে খুব উচ্ছ্বাস ব্যক্ত করা হয়েছে।

    ৩ টায়ার এসি ক্লাসে নিয়ে যাওয়া হবে

    আইআরসিটিসির (IRCTC) পক্ষ থেকে সংস্থার জেনারেল ম্যানেজার মনোজ কুমার সিং বলেন, “আইআরসিটিসি এবং উত্তরাখণ্ড পর্যটন দফগত যৌথভাবে এই ট্রেন চালাবে। মোট ১০ দিন  এবং ১১ রাত ট্রেনে কাটিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে পারবেন ট্রেনের যাত্রীরা। ৩ টায়ার এসি ক্লাসে নিয়ে যাওয়া হবে ওই যাত্রীদের। মূলত দেবভূমি নামে পরিচিত স্থানগুলিকে বোঝায়। এই সব ধর্মীয় পবিত্র স্থানগুলিতে দর্শনার্থীদের পরিদর্শনের জন্য নিয়ে যাওয়া হবে।”

    আরও পড়ুনঃ ভোটের প্রচারে মহিলাদের বিরুদ্ধে কুমন্তব্য! কড়া ব্যবস্থার হুঁশিয়ারি মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের

    দেবভূমি উত্তরাখণ্ড যাত্রা প্যাকেজ

    আইআরসিটিসি-র (IRCTC) প্যাকেজটির নামকরণ করেছে ‘দেবভূমি উত্তরাখণ্ড যাত্রা (EZUBG14)। যেখানে ট্রেনটি ৩ ডিসেম্বর কলকাতা রেলওয়ে স্টেশন থেকে ছাড়বে। তাতে পরিষেবাগুলির মধ্যে রয়েছে ট্রেনে ভ্রমণ। সেই সঙ্গে থাকবে বোর্ডের বাইরে নিরামিষ খাবারের সঙ্গে উপলব্ধ হোম স্টে, গেস্ট হাউস, বাজেট হোটেলে থাকার ব্যবস্থা। একই ভাবে থাকবে এবং নন-এসি বা এসি সড়ক পরিবহণ। এই প্যাকেজের যাত্রাপথের মধ্যে রয়েছে তানকপুর-চম্পাওয়াত বা লোহাঘাট-চৌকোরি-আলমোড়া-নৈনিতাল-ভীমতাল-কলকাতা-বর্ধমান-আসানসোল-ঝাঝা-বরাউনি-হাজিপুর-গোরখপুর-লখনউ স্টেশন। সব জায়গায় থাকার ব্যবস্থা থাকবে। পূর্ব রেলওয়ে অফিস থেকে জানা গিয়েছে, প্রাপ্তবয়স্ক এবং পাঁচ থেকে ১১ বছর বয়সি শিশুদের জন্য স্ট্যান্ডার্ড প্যাকেজের মূল্য ৩০,৯২৫ টাকা এবং ডিলাক্স প্যাকেজের মূল্য ৩৮,৫৩৫ টাকা। আরও বিস্তৃত ভাবে জানার জন্য একটি হেল্পলাইন নম্বর প্রদান করা হয়েছে যা হল- 8595904074/75। সেই সঙ্গে এই বিষয়ে আরও জানতে ওয়েবসাইট দেখার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। ওয়েবসাইট হল-www.irctctourism.com।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • CEC: ভোটের প্রচারে মহিলাদের বিরুদ্ধে কুমন্তব্য! কড়া ব্যবস্থার হুঁশিয়ারি মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের

    CEC: ভোটের প্রচারে মহিলাদের বিরুদ্ধে কুমন্তব্য! কড়া ব্যবস্থার হুঁশিয়ারি মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্বাচনী জনসভায় মহিলাদের উদ্দেশে কুমন্তব্যের ঘটনা একের পর এক ঘটেই চলেছে। ঠিক এই আবহে এই ধরনের ঘটনাকে তীব্র নিন্দা জানালেন দেশের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার (CEC) রাজীব কুমার। শুধু তাই নয়, এর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ারও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। এমনটাই জানা গিয়েছে মহারাষ্ট্রের নির্বাচন কমিশন সূত্রে। জানা গিয়েছে, ভোটমুখী মহারাষ্ট্রে প্রশাসনের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার। সেখানেই মহিলাদের উদ্দেশে কুমন্তব্যের প্রসঙ্গ তোলেন তিনি। জেলা নির্বাচনী আধিকারিক, পুলিশ কমিশনার, পুলিশ সুপারদের নিয়ে ওই বৈঠকে দেশের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার (CEC) মহিলাদের উদ্দেশে অবমাননাকর ভাষা প্রয়োগের ঘটনায় ক্ষুব্ধ হন ও নিন্দা জানান।

    কী বললেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার (CEC)? 

    জানা গিয়েছে, ওই বৈঠকে তিনি (CEC) বলেন, ‘‘রাজনৈতিক দল এবং প্রার্থীদেরকে সেই সমস্ত কাজ এবং বক্তব্য থেকে বিরত থাকতে হবে যা মহিলাদের সম্মান ও মর্যাদাহানি করবে।’’ একইসঙ্গে ব্যক্তিগত জীবনের কোনও দিক যা জনগণের সঙ্গে জড়িত নয় এমন ধরনের ঘটনা টেনে প্রচারে বিরোধীদের আক্রমণ করা যাবে না বলেও বৈঠকে উল্লেখ করেন তিনি। উল্লেখ করা যাবে না। ওই বৈঠকে তিনি আরও বলেন, ‘‘বিরোধী দলের প্রার্থীদেরকে নিম্নস্তরের ব্যক্তিগত আক্রমণ কখনও করা যাবে না। একইসঙ্গে এই ধরনের ঘটনার যাতে পুনরাবৃত্তি না হয় সেই জন্য তিনি (Rajiv Kumar) ওই বৈঠকে জানিয়েছেন, মহিলাদের উদ্দেশে যাঁরা কুরুচিকর মন্তব্য করবেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

    রেখার বিরুদ্ধে ফিরহাদের মন্তব্য

    প্রসঙ্গত, সম্প্রতি সন্দেশখালির বিজেপি নেত্রী রেখা পাত্র সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য করার অভিযোগ ওঠে তৃণমূল নেতা তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের বিরুদ্ধে। পড়ে অবশ্য চাপে পড়ে দুঃখপ্রকাশ করতে বাধ্যও হন তিনি। ঠিক এই আবহে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার (Rajiv Kumar) মন্তব্য় অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • CJI: ‘‘তীর্থযাত্রীদের মতো এসেছি, অল্প সময়ের পাখি…’’, বিদায়ী বক্তৃতায় বললেন প্রধান বিচারপতি

    CJI: ‘‘তীর্থযাত্রীদের মতো এসেছি, অল্প সময়ের পাখি…’’, বিদায়ী বক্তৃতায় বললেন প্রধান বিচারপতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামিকাল, রবিবার ১০ নভেম্বর, দেশের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় (CJI) অবসর নেবেন। তার আগে শুক্রবারই তিনি বিদায়ী বক্তৃতা করেন। নিজের বক্তব্যে বিচারপতিদের ভূমিকাকে তিনি তীর্থযাত্রীদের সঙ্গে তুলনা করেন। তিনি বলেন, ‘‘আমরা এখানে তীর্থযাত্রীদের মতো এসেছি, অল্প সময়ের পাখি। আমাদের কাজ করি এবং চলে যাই। আমরা যে কাজ করি, তা কোনও মামলা গড়তে পারে বা ভাঙতে পারে।’’

    প্রসঙ্গ ব্যক্তিগত জীবন

    শুক্রবার বিদায়ী বক্তৃতায় তিনি বলেন, ‘‘দেশের বিচারপতিদের (CJI) মধ্যে আমাকেই মনে হয় সবচেয়ে বেশি কটাক্ষ করা হয়েছে। যাঁরা কটাক্ষ করেছেন সোমবার থেকে তাঁদের হাতে আর কোনও কাজ থাকবে না।’’ এর পরেই নিজের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কথা বলেন প্রধান বিচারপতি (CJI DY Chandrachud)। তিনি বলেন, ‘‘আমার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কোনও গোপনীয়তা ছিল না। সেই জন্য আমায় কম সমালোচনার মুখে পড়তে হয়নি, কম কটাক্ষের শিকার হতে হয়নি। বিশেষ করে সমাজমাধ্যমে।’’

    কাউকে আঘাত দিলে ক্ষমাপ্রার্থী

    তিনি বলেন, ‘‘এই আদালতই আমাকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছে। আমরা রোজ এমন কিছু মানুষের সঙ্গে দেখা করি, যাঁদের সম্ভবত আমরা চিনি না, জানি না। আমি আপনাদের সকলকে প্রত্যেককে ধন্যবাদ জানিয়ে শেষ করছি, আমি আজ জীবন সম্পর্কে অনেক কিছু শিখেছি, এবং এই মামলার সঙ্গে আগের কোনও মামলার মিল নেই। যদি আমি আদালতে কাউকে আঘাত দিয়ে থাকি, তবে, দয়া করে আমায় ক্ষমা করে দেবেন।’’

     ২০২২ সালের ৯ নভেম্বর দেশের ৫০তম প্রধান বিচারপতি হিসাবে শপথ নেন তিনি

    প্রসঙ্গত, ২০১৩ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত এলাহাবাদ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির পদে ছিলেন বিচারপতি চন্দ্রচূড় (CJI DY Chandrachud)। এরপর তিনি সুপ্রিম কোর্টে নিযুক্ত হন। এরপর ২০২২ সালের ৯ নভেম্বর দেশের ৫০তম প্রধান বিচারপতি (CJI) হিসাবে শপথ নেন তিনি। প্রসঙ্গত, বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের তাঁর পরে আগামী সোমবার দেশের প্রধান বিচারপতি হিসাবে শপথ নেবেন বিচারপতি সঞ্জীব খান্না। প্রধান বিচারপতি হিসেবে তাঁর মেয়াদ হবে ছ’মাস। ২০২৫ সালের ১৩ মে অবসর নেবেন তিনি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Amit Shah: শরদ পাওয়ারের চার প্রজন্মও ৩৭০ ধারা ফেরাতে পারবে না, মহারাষ্ট্রে তীব্র আক্রমণ অমিত শাহের

    Amit Shah: শরদ পাওয়ারের চার প্রজন্মও ৩৭০ ধারা ফেরাতে পারবে না, মহারাষ্ট্রে তীব্র আক্রমণ অমিত শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহারাষ্ট্রে (Maharastra Poll) নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে ইন্ডি জোটকে তীব্র আক্রমণ করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। শুক্রবার তিনি বলেন, ‘‘জম্মু-কাশ্মীর বিধানসভায় ন্যাশনাল কনফারেন্স এবং কংগ্রেস প্রস্তাব পাশ করেছে যাতে সেখানে ৩৭০ ধারা ফিরিয়ে আনা যায়। কারণ তাদের দাবি, জম্মু-কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ অংশ নয়। আমি আজ সম্ভাজি মহারাজের ভূমিতে দাঁড়িয়ে তাঁদের বলতে চাই, শরদ পাওয়ার সাহেব যদি আপনার চার প্রজন্ম চলে আসে, তাহলেও জম্মু-কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা ফেরাতে পারবে না। মহারাষ্ট্রের (Maharastra Poll) ঔরঙ্গাবাদের নাম করা উচিত ছিল সম্ভাজিনগর। কিন্তু সেটা করা হয়নি।’’

    ওয়াকফ বোর্ড প্রসঙ্গে 

    তিনি আরও বলেন, ‘‘পুরো দেশ কংগ্রেস আমলে তৈরি ওয়াকফ বোর্ডের বেশ কিছু বিধিনিয়ম নিয়ে হতাশ হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ওয়াকফ সংশোধনী বিল এনেছেন। কারণ ওয়াকফ বোর্ডের অনিয়মগুলিকে তিনি পরিবর্তন করতে চান। দেখা যাচ্ছে কর্নাটকের একটি গ্রামে মন্দির সমেত পুরো গ্রামকেই ওয়াকফ বোর্ডের সম্পত্তি বলে ঘোষণা করা হচ্ছে।’’ উদ্ধব থ্যাকারেকে উদেশ্য করে তিনি (Amit Shah) আরও বলেন, ‘‘আপনারা কি এই বিলকে সমর্থন করবেন, নাকি এর বিরোধিতা করবেন? কিন্তু তাঁরা কোনও উত্তর দিতে পারছেন না। যদি তাঁরা ক্ষমতায় আসেন, তাহলে তাঁরা সর্বদাই চেষ্টা করবেন কৃষকের সাধারণ জমি ও মন্দির ওয়াকফ বোর্ডের হাতে তুলে দিতে।’’

    রামমন্দির প্রসঙ্গে কী বললেন শাহ (Amit Shah)? 

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এদিন বলেন, ‘‘যতক্ষণ পর্যন্ত এনডিএ সরকার ক্ষমতায় রয়েছে, ততক্ষণ পর্যন্ত কোনও রকমের মন্দিরের জমি বা কৃষকদের জমি আমরা অন্য কাউকে দখল করতে দেব না।’’ এদিন অমিত শাহের (Amit Shah) বক্তব্যে উঠে আসে অযোধ্যার রামমন্দির প্রসঙ্গ। তিনি বলেন, ‘‘৫০০ বছর ধরে তাঁবুতে ছিলেন রামলালা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ক্ষমতায় আসার পাঁচ বছরের মধ্যে রাম জন্মভূমিতে ভূমিপূজন করেছেন। মন্দির তৈরি করেছেন। বিগ্রহে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করেছেন।’’
     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Maharashtra Elections: মহা বিকাশ আঘাড়ি জোটের চালক কে? মহারাষ্ট্রে নির্বাচনী সভায় বিরোধীদের প্রশ্ন মোদির

    Maharashtra Elections: মহা বিকাশ আঘাড়ি জোটের চালক কে? মহারাষ্ট্রে নির্বাচনী সভায় বিরোধীদের প্রশ্ন মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহারাষ্ট্রে ভোট প্রচারে (Maharashtra Elections) গিয়ে বিরোধী জোটের অভ্যন্তরীণ কলহকে হাতিয়ার করলেন  প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। তাঁর কথায় মহা বিকাশ আঘাড়ি জোটের নেতা কে? জোটের চালক কে, তাই ঠিক করতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে বিরোধী শিবির। মহারাষ্ট্রের উন্নতি তাদের পক্ষে অসম্ভব। 

    পদের লোভ বিরোধীদের

    মহারাষ্ট্রে বিরোধী (Maharashtra Elections)  জোটে শরিকি সমস্যা রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী কে হবেন, তা নিয়ে দুই শিবিরের মধ্যে ইতিমধ্যেই একপ্রস্থ বিবাদ দেখা গিয়েছে। মহা বিকাশ আঘাড়ির (MVA) তিন প্রধান শরিক কংগ্রেস, এনসিপির শরদ পাওয়ার এবং শিব সেনার উদ্ধব ঠাকরে শিবির। উদ্ধব শিবির চাইছে বিধানসভায় তাঁদের দলের নেতাকেই মুখ্যমন্ত্রীর মুখ করে এগনো হোক। কংগ্রেস এবং এনসিপি সেটার পক্ষে নয়। তাঁদের নীতি, যে দল সবচেয়ে বেশি আসন পাবে তাঁদের শিবির থেকেই মুখ্যমন্ত্রী করা হবে। আসন সমঝোতা নিয়েও বিরোধী জোটে মহা জটিলতা তৈরি হয়েছিল। জোটের সেই কলহকে উস্কে দিয়ে মোদির প্রশ্ন, জোটের চালকের আসন নিয়ে নিজেদের মধ্যেই খেয়োখেয়ি করছে আঘাড়ি। এরা মহারাষ্ট্রের উন্নতি কীভাবে করবে? চালকের আসনে কে বসবে, সেই নিয়েই ওদের যত ঝামেলা। এই ধরনের জোট যখন ক্ষমতায় আসে ওরা সরকারি নীতিকে স্লথ করে দেয়। উন্নয়নের কাজে বাধা হিসাবে উঠে আসে। আপনারা আগেও আড়াই বছর ওদের সহ্য করেছেন।”

    বিভাজন তৈরিই লক্ষ্য

    ধুলের সভা (Maharashtra Elections) থেকে কংগ্রেসকে নিশানা করে মোদির (PM Modi) বক্তব্য, “সমাজে যাবতীয় বিভেদ তৈরির কাজটা কংগ্রেস করে। ওরা মানুষে মানুষে বিভাজন তৈরি করে ভোটে জেতার চেষ্টা করে।” দেশভাগের দুঃসহ স্মৃতিও তুলে ধরেন মোদি। তিনি বলেন, “ধর্মের নামে মানুষের বিভাজন সৃষ্টি করে কংগ্রেস দেশটাকেই দুটুকরো করে দিয়েছিল।” শুক্রবার মহারাষ্ট্রে বিধানসভা ভোটের প্রচারে প্রধানমন্ত্রী দাবি করেন ‘আমরা ক্ষমতার লোভে রাজনীতিতে আসিনি। এসেছি মানুষের স্বার্থে কাজ করতে। বিরোধীরা রাজনীতি করে পদের লোভে।’ কাশ্মীরে বিরোধীরা ক্ষমতায় এসেই উন্নয়নের ধারা আটকাতে চাইছে বলেও এদিন দাবি করেন প্রধানমন্ত্রী। উপত্যকায় ফের ৩৭০ ধারা লাগু করার চেষ্টা করছে তারা। যা কাশ্মীরকে ফের অন্ধকারের পথে নিয়ে যাবে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Uttar Pradesh: মহিলাদের পোশাকের মাপ নিতে পারবেন না পুরুষ দর্জি, প্রস্তাব উত্তরপ্রদেশ রাজ্য মহিলা কমিশনের

    Uttar Pradesh: মহিলাদের পোশাকের মাপ নিতে পারবেন না পুরুষ দর্জি, প্রস্তাব উত্তরপ্রদেশ রাজ্য মহিলা কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নারী নির্যাতন রুখতে বড় উদ্যোগ নিল উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) রাজ্য মহিলা কমিশন। মহিলাদের সুরক্ষার জন্যই মূলত ওই প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়েছে। প্রস্তাব অনুযায়ী, মহিলাদের জামাকাপড়ের মাপ নিতে পারবেন না কোনও পুরুষ দর্জি। শুধু তা-ই নয়, সেলুনে কোনও পুরুষ কর্মী মহিলার চুলও কাটতে পারবেন না। মহিলাদের জামাকাপড়ের মাপ, চুল কাটবে মহিলারা। মহিলাদের সঙ্গে বেড়ে চলা নানা অন্যায় এবং হেনস্থা থেকে তাঁদের রক্ষা করতে এমনই পদক্ষেপ নিতে চাইছে উত্তরপ্রদেশের রাজ্য মহিলা কমিশন।

    মহিলা কমিশনের সদস্য কী বললেন? (Uttar Pradesh)

    গত ২৮ অক্টোবর মহিলাদের (Uttar Pradesh) নিরাপত্তা এবং সুরক্ষা নিয়ে রাজ্য মহিলা কমিশনের (State Women Commission) একটি বৈঠক হয়। সেখানেই এই প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়েছে। মহিলা কমিশনের এক সদস্য হিমানী আগরওয়াল বলেন, ” বৈঠকে মহিলাদের সুরক্ষা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। বৈঠকে বলা হয়েছে যে, মহিলাদের পোশাকের মাপ একমাত্র মহিলা দর্জিই নেবেন। কোনও পুরুষ সেই কাজ করতে পারবেন না। শুধু তা-ই নয়, সিসিটিভি ক্যামেরাও লাগাতে হবে। এমনকী সেলুন বা পার্লারে মহিলা গ্রাহকদের শুধু মহিলা কর্মীরাই পরিষেবা দেবেন। কোনও পুরুষ কর্মীকে সেই পরিষেবায় নিযুক্ত করা যাবে না।” ওই বৈঠকে এই প্রস্তাব রাখেন কমিশনের চেয়ারপার্সন ববিতা চৌহান। তাঁর এই প্রস্তাবকে স্বাগত জানান কমিশনের সদস্যরা।

    আরও পড়ুন: ৯৭ বছরে পা দিলেন লালকৃষ্ণ আডবানি, জন্মদিনে বর্ষীয়ান নেতাকে শুভেচ্ছা মোদি-শাহের

    সরকারের কাছে আইন আনার জন্য অনুরোধ

    কমিশনের (Uttar Pradesh) ওই সদস্যের যুক্তি, পর্যবেক্ষণ করে দেখা গিয়েছে, এই ধরনের পেশায় মহিলা গ্রাহকেরা হেনস্থার শিকার হন। অনেক ক্ষেত্রে আপত্তিকর ভাবে মহিলাদের স্পর্শ করার চেষ্টাও করা হয়। তবে সব পুরুষেরই যে অসৎ উদ্দেশ্য থাকে, এমনটা নয়। এ কথাও জানিয়েছেন কমিশনের সদস্যরা। গোটা বিষয়টিই এখন প্রস্তাবের আকারে রয়েছে। রাজ্য সরকারের কাছে এই প্রস্তাব পাঠিয়ে আইন আনার জন্য অনুরোধ করা হবে বলেও জানিয়েছেন মহিলা কমিশনের এই সদস্য।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share