Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Rajnath Singh: ৪ বছরের মধ্যে ৫০ হাজার কোটির প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম রফতানি লক্ষ্য ভারতের, জানালেন রাজনাথ

    Rajnath Singh: ৪ বছরের মধ্যে ৫০ হাজার কোটির প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম রফতানি লক্ষ্য ভারতের, জানালেন রাজনাথ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রজনাথ সিং (Rajnath Singh) জানান, ভারতীয় প্রতিরক্ষা রফতানি (Defence Export) ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে। এই রফতানির অঙ্ক ২১,০০০ কোটি টাকায় পৌঁছেছে, বলে জানান তিনি। এক দশক আগে এর পরিমাণ ছিল ২,০০০ কোটি টাকা। রাজনাথের দাবি, ২০২৯ সালের মধ্যে ৫০,০০০ কোটি টাকার প্রতিরক্ষা রফতানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এই সময়ে প্রযুক্তি সম্পর্কে দক্ষতা অর্জন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, বলে জানান প্রতিরক্ষা মন্ত্রী। সামরিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলি এতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

    প্রযুক্তিগতভাবে উন্নত বাহিনী

    সেনাবাহিনীকে প্রযুক্তিগতভাবে উন্নত বাহিনীতে রূপান্তরিত করার লক্ষ্যে সরকার ২০২৫ সালকে ‘প্রতিরক্ষা সংস্কারের বছর’ হিসেবেও ঘোষণা করেছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh) ডিআরডিও’র প্রশংসা করেন। আগামী দিনে লক্ষ্য অর্জনে ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ডিআরডিও) গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে তিনি জানিয়েছেন। বৃহস্পতিবার সংস্থার ৬৭তম প্রতিষ্ঠা দিবসে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন রাজনাথ সিং। এই লক্ষ্যে তিনি দ্রুত বিকশিত প্রযুক্তি গ্রহণের জন্য ডিআরডিও-কে আহ্বান জানিয়েছেন। এছাড়াও তিনি জানান, এক বছরের মধ্যে ১০০টি প্রকল্প শেষ করবে ডিআরডিও। এদিন ডিআরডিও’র সদর দফতর পরিদর্শনের পাশাপাশি বিজ্ঞানী এবং সংস্থার অন্যান্য আধিকারিকদের সঙ্গে দেখা করেন রাজনাথ। 

    আরও পড়ুন: চিনের নতুন ভাইরাসে আতঙ্ক! ভারতে সংক্রমণের ভয় কতটা, কী বলল কেন্দ্র?

    ভারতীয় উপকরণ বিভিন্ন দেশে রফতানি

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রী জানান, প্রতিরক্ষা খাতে ক্রমাগত সংস্কারের উদ্দেশ্য ভারতীয় সেনাকে একটি দুর্দান্ত বাহিনী হিসাবে প্রস্তুত করা। আধুনিক যুদ্ধ পদ্ধতিতে তথ্যযুদ্ধ, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) ভিত্তিক যুদ্ধ, প্রক্সি যুদ্ধ, ইলেকট্রো-ম্যাগনেটিক যুদ্ধ, মহাকাশ যুদ্ধ এবং সাইবার আক্রমণের প্রতি গুরুত্ব আরোপ করেন তিনি। রাজনাথ জানান, ভারতীয় উপকরণ এখন বিভিন্ন দেশে রফতানি হচ্ছে, যা ভারতের সামরিক শক্তির বৃদ্ধি এবং প্রযুক্তির উৎকর্ষতার প্রমাণ। রজনাথ সিং (Rajnath Singh) বলেন, ‘‘মোদি প্রশাসন তিনটি বাহিনীর মধ্যে ঐক্য এবং সহযোগিতা বাড়ানোর জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ভবিষ্যতে, আমাদের সশস্ত্র বাহিনী একসঙ্গে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে আরও ভালো এবং কার্যকরীভাবে প্রস্তুত হবে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Maha Kumbh 2025: ত্রিবেণী সঙ্গমে মহাকুম্ভের শুরু হল সকালের আরতি, মায়েরা করলেন প্রদীপ প্রজ্বলন

    Maha Kumbh 2025: ত্রিবেণী সঙ্গমে মহাকুম্ভের শুরু হল সকালের আরতি, মায়েরা করলেন প্রদীপ প্রজ্বলন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৫ সালের মহাকুম্ভমেলা (Maha Kumbh 2025) মকর সংক্রান্তি থেকে শুরু হবে। ইতিমধ্যে এই বিরাট সনাতনী হিন্দু মেলায় ভক্ত, সাধু, সন্ত, সন্ন্যাসী, সাধু, নাগা, ব্রহ্মচারীরা আসতে শুরু করেছেন। উত্তরপ্রদেশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব রকম প্রস্তুতি প্রায় চূড়ান্ত। মেলায় প্রত্যেকদিন ভোরে সূর্যোদয়ের সময়ে গঙ্গা আরতি করা শুরু হয়েছে। তবে প্রদীপ প্রজ্বলন করে আরতি প্রয়াগরাজের বিখ্যাত ঘাটের কিনারাতেই হয়ে থাকে এমন নয়, ত্রিবেণী সঙ্গমের নদী সমতলের নানা জায়গায় চলে আরতি। এরপর করা হয় মঙ্গল কামনায় বিশেষ প্রার্থনা। দূরদূরান্ত থেকে আগত দর্শনার্থীরাও তা দর্শন করে থাকেন।

    আরতি হল হিন্দু সনাতন ধর্মের একটি বড় উৎসব (Maha Kumbh 2025)

    উল্লেখ্য, উত্তরপ্রদেশের মহিলারা মহাকুম্ভের (Maha Kumbh 2025) আগে একবার গঙ্গাতীরে আরতি অনুষ্ঠানে যোগদান করেছিলেন। তবে সেই সময় ছিল সম্পূর্ণ ভাবে একটি মহড়া কেন্দ্রিক। প্রয়াগরাজ তীর্থ ক্ষেত্রের এক পুরোহিত প্রদীপ পাণ্ডে বলেন, “আজ সকালে একটি বিশেষ আরতি অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে। এখানে ছেলেরা ত্রিবেণী আরতি করেন এবং মায়েরা গঙ্গা আরতি করেছেন। আমরা আশা করি এই আরতি সমাজের পরবর্তী সমাজকে উৎসাহিত করবে। আমরা স্পষ্ট বার্তা দিতে চাই, এই আরতি হল হিন্দু সনাতন ধর্মের একটি বড় উৎসব। একে কোনও ভাবেই সীমাবদ্ধ করে রাখা যায় না। ভগবানের কাছে সকলের মঙ্গলকামনায় করা হয় আরতি।”

    মেলার ফায়ার স্টেশনে ৩৬৫টি গাড়ি মোতায়েন রাখা হয়েছে

    প্রয়াগরাজ জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মেলায় (Maha Kumbh 2025) আগত ভক্ত-সাধু এবং সন্ন্যাসীদের জন্য সবরকম ব্যবস্থা করা হয়েছে। অগ্নিনির্বাপকযন্ত্র এবং ফায়ার স্টেশনের উদ্বোধন করা হয়েছে। আগুন লাগা থেকে দ্রুত নিস্তার পেতে কমপক্ষে ৩৬৫টি গাড়ি মোতায়েন করা হয়েছে। একই ভাবে সব রকম প্রচার এবং মানুষকে অযথা আতঙ্কিত হওয়া থেকে মুক্ত থাকার কথাও বলা হয়েছে। অগ্নি নির্বাপণ শাখার এডিজি পদ্মজা চৌহান বলেন, “সচেতনতার বার্তা সর্বত্র ছড়িয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। একই ভাবে সাধারণ কিছু মানুষকে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ছোট খাটো আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে আমাদের অফিসাররা দাঁড়িয়ে থেকে প্রশিক্ষণ দিয়েছেন।”

    অল-টেরেন যান মোতায়েন করা হয়েছে

    এইবার কুম্ভমেলার (Maha Kumbh 2025) নিরাপত্তার বিষয়ে নজর দিয়ে একদিকে যেমন কর্মীনিয়োগ করা হয়েছে ঠিক তেমনি ভাবে প্রযুক্তিগত সরঞ্জামের ব্যবহার করা হয়েছে। যেমন-দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অল-টেরেন যান মোতায়েন করা হয়েছে। এই যান জল-স্থল বা মরু অঞ্চলেও চলতে পারে। একই ভাবে অগ্নিনির্বাপক রোবট এবং মিস্ট বাইকের ব্যবহার করা হয়েছে। একই ভাবে বেশ কিছু অগ্নিনির্বাপক নৌকাও আনা হচ্ছে। নদীর জলকে ব্যবহার করে এই কাজ করা হবে বলে জানা গিয়েছে।

    ভক্তদের জন্য ইউটিএস মোবাইল অ্যাপ

    মহাকুম্ভের (Maha Kumbh 2025) আগত ভক্তদের সুবিধা দিতে রেল নিজেদের কর্মীদের প্রয়াগরাজ জংশনে মোতায়েন করবে। ফলে এই কর্মীরা সবুজ পোশাকে থাকবেন। তাঁদের জামার পিছনে কিউআর কোড থাকবে। খুব সহজেই তাঁদের শনাক্ত করা যাবে। তীর্থ যাত্রীরা ইউটিএস মোবাইল অ্যাপে ডাউনলোড করে তাঁদের মোবাইল ফোন ব্যবহার করবেন। এই ব্যবস্থার মাধ্যমে দীর্ঘ সময়ে লাইনে না দাঁড়িয়ে অসংরক্ষিত টিকিট বুক করতে পারবেন বলে জানা গিয়েছে। স্টেশনে ভিড় কমাতে এই ধরনের প্রযুক্তির ব্যবহার করা হয়েছে। একইভাবে ডিজিটাল লেনদেনের বিষয়টিও সংযুক্ত করা হয়েছে। ফলে সময় এবং ভিড় থেকে বাঁচতে এই ধরনের  ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

    আরও পড়ুনঃ মোদি জমানায় ১৭.৯ কোটি নতুন চাকরি, ইউপিএ আমলে ছিল ২.৯, বিরোধীদের তোপ মান্ডব্যর

    স্নান শান্তিপূর্ণ এবং নিরাপদ, স্বচ্ছ করতে ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা বলয়

    এই মহাকুম্ভ (Maha Kumbh 2025) ১২ বছর পর অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আগামী ১৩ জানুয়ারী থেকে ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রয়াগরাজে প্রচুর ভক্তদের উপস্থিতি আশা করা হচ্ছে। প্রধান শাহী স্নানের দিনগুলি হল ১৩ জানুয়ারি-পৌষ পূর্ণিমা, ১৪ জানুয়ারি-মকর সংক্রান্তি, ২৯ জানুয়ারি-মৌনি অমাবস্যা, ৩ ফেব্রুয়ারি-বসন্ত পঞ্চমী এবং ১২ ফেব্রুয়ারি-মাঘী পূর্ণিমা। আবার যোগী প্রশাসন জানিয়েছে, এই বৃহৎ ধর্মীয় মেলায় আনুমানিক ৪০ থেকে ৪৫ কোটি তীর্থ যাত্রীদের সমাগম হবে। বিশেষ বিশেষ স্নানে দৈনিক ১ কোটি ভক্তদের স্নান করার উপযুক্ত পরিকাঠামো তৈরি করা হয়েছে। একইভাবে স্নান শান্তিপূর্ণ, নিরাপদ ও স্বচ্ছ করতে ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা বলয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, উদ্বোধনের দিনে আকাশ পথে পুষ্পবর্ষণ, দশহাজার বৈদিক পণ্ডিতের দ্বারা বৈদিক মন্ত্রোচ্চারণের মাধ্যমে মেলার আধ্যত্মিক পরিবেশকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলা হবে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: মোদি জমানায় ১৭.৯ কোটি নতুন চাকরি, ইউপিএ আমলে ছিল ২.৯, বিরোধীদের তোপ মান্ডব্যর

    PM Modi: মোদি জমানায় ১৭.৯ কোটি নতুন চাকরি, ইউপিএ আমলে ছিল ২.৯, বিরোধীদের তোপ মান্ডব্যর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কর্মসংস্থান ইস্যুতে বিরোধীদের একহাত নিলেন কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রী মনসুখ মান্ডব্য (Mansukh Mandaviya)। বৃহস্পতিবার তিনি এই ইস্যুতে একহাত নিলেন পূর্বতন ইউপিএ সরকারকে। নিজের বিবৃতিতে মন্ত্রী জানিয়েছেন, মনমোহন জমানায় মাত্র ২.৯ কোটি কর্মসংস্থানের ক্ষেত্র তৈরি হয়েছিল ১০ বছরে। প্রসঙ্গত, ২০০৪ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত দেশে ছিল ইউপিএ সরকার। অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) নেতৃত্বে বিগত ১০ বছরে কর্মসংস্থান তৈরি হয়েছে ১৭.১৯ কোটি।

    মন্ত্রীর দেওয়া তথ্য, ইউপিএ জমানার থেকে এগিয়ে মোদি জমানা (PM Modi)

    কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, ২০১৪-১৫ সালে সারাদেশে কর্মসংস্থানের যে অবস্থা ছিল তা বর্তমানে ৩৬ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে। তিনি রীতিমতো পরিসংখ্যান দিয়ে বলেন, ২০১৪-১৫ অর্থবর্ষে কর্মসংস্থান ছিল ৪৭.১৫ কোটি,  কিন্তু ২০২৩-২৪ সালে এই কর্মসংস্থান বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৪.৩৩ কোটি। অন্যদিকে, ২০০৩-০৪ সালে ইউপিএ সরকার ক্ষমতায় আসার আগে দেশের কর্মসংস্থান ছিল ৪৪.২৩ কোটি, কিন্তু ইউপিএ সরকারের একেবারে শেষের বছরে অর্থাৎ ২০১৪-১৫ অর্থবর্ষে কর্মসংস্থান হয় ৪৭.১৫ কোটি। অর্থাৎ মাত্র ৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছিল কর্মসংস্থান।

    কমেছে বেকারত্ব

    একই সঙ্গে ইউপিএ জমানায় উৎপাদন ক্ষেত্রে কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পেয়েছিল মাত্র ৬ শতাংশ। কিন্তু মোদি জমানায় ২০১৪ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে উৎপাদন ক্ষেত্রে কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পেয়েছে ১৫ শতাংশ, এমনটাই জানিয়েছেন মন্ত্রী। অন্যদিকে, পরিষেবা ক্ষেত্রে ইউপিএ আমলে কর্মসংস্থান বৃদ্ধি ছিল ২৫ শতাংশ কিন্তু মোদি জমানায় এই হার ৩৬ শতাংশ হয়েছে বলে জানিয়েছেন মনসুখ মান্ডব্য। একই সঙ্গে তিনি আরও জানিয়েছেন, কর্মসংস্থান বৃদ্ধির হার ২০১৭-১৮ সালে মোদি জমানায় (PM Modi) ছিল ৩১.৪ শতাংশ, ২০২৩-২৪ সালে তা অনেকটাই বেড়ে হয়েছে ৪১.৭ শতাংশ। যেখানে যুবকদের বেকারত্বের হার ২০১৭-১৮ তে ছিল ১৭.৪ শতাংশ এবং তা বর্তমানে ১০.২ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। মনসুখ মান্ডব্য জানিয়েছেন, বিগত সাত বছরে অর্থাৎ ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৪.৭ কোটি যুবক ইপিএফও-র আওতায় এসেছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • NIA: চন্দন গুপ্তা হত্যা মামলা, ২৮জন মৌলবাদীকে যাবজ্জীবন দিল এনআইয়ের বিশেষ আদালত

    NIA: চন্দন গুপ্তা হত্যা মামলা, ২৮জন মৌলবাদীকে যাবজ্জীবন দিল এনআইয়ের বিশেষ আদালত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লক্ষ্ণৌ-এর বিশেষ এনআইএ (NIA) আদালত ২৮ জন মৌলবাদীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করল, চন্দন গুপ্তা হত্যা কেসে। প্রসঙ্গত, চন্দন গুপ্তা (Chandan Gupta), যাঁর অপর নাম ছিল অভিষেক গুপ্তা, তাঁকে ২০১৮ সালের ২৬ জানুয়ারি উত্তরপ্রদেশের কাশগঞ্জে তেরঙ্গা যাত্রা সময় নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। এনআইএ-র বিশেষ আদালতের এই রায়দান সম্পন্ন হয়েছে গতকাল বৃহস্পতিবার ২ জানুয়ারি। সেখানে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছে আজিজউদ্দিন, মুনাজির, আসিফ, সাবিব ছাড়া আরও ২৪ জনকে। কুখ্যাত এই মৌলবাদীদের বিরুদ্ধে চন্দন গুপ্তার হত্যা সমেত জাতীয় পতাকা অবমাননা, সাম্প্রদায়িক হিংসারও অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। এই কারণে অতিরিক্ত জরিমানাও করা হয়েছে ওই মৌলবাদীদের।

    তিরঙ্গাযাত্রায় অতর্কিতে চালানো হয় হামলা

    প্রসঙ্গত, চন্দন গুপ্তার হত্যা গোটা দেশকে নাড়িয়ে দেয় ২০১৮ সালে। উত্তরপ্রদেশের কাশগঞ্জে তেরঙ্গা যাত্রার মিছিলে (NIA) অতর্কিতে হামলা চালায় মৌলবাদীরা। ঠান্ডা মাথায় হত্যা করা হয় চন্দনকে। তাঁর ভাই বিবেক গুপ্তাকেও ব্যাপক মারধর করে জেহাদিরা। ওই শোভাযাত্রায় পাথর ছোড়ার অভিযোগও ওঠে মৌলবাদীদের বিরুদ্ধে। জোর করে পাকিস্তান জিন্দাবাদ স্লোগান দিতে দিতে হুমকি দিতে থাকে মৌলবাদীরা। এরপরেই চন্দন গুপ্তাকে গুলি করা হয়। প্রথমে আহত চন্দনকে কাশগঞ্জ পুলিশ স্টেশনে নিয়ে আসা হয়, পরে জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়। চন্দনের বাবা সুশীল গুপ্তা এবং তাঁর ভাই বিবেক পরবর্তীকালে কোর্টের দ্বারস্থ হন বিচারের আশায়। প্রায় সাত বছর পরে সামনে এল রায়।

    ১২ জন সাক্ষ্য দেন এই মামলায় 

    এই মামলায় মোট ১২ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করে এনআইএ (NIA)। তার মধ্যে অন্যতম ছিল চন্দনের পরিবারও। প্রথমে পুলিশ তদন্ত করলেও পরে মামলা হস্তান্তর করা হয় এনআইএ-কে। ২০১৮ সালের এপ্রিল মাসে প্রথম চার্জশিট জমা করে এনআইএ। পরবর্তীকালে পেশ করা হয় সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট, যেখানে ছিল ৩০ জনের নাম। তবে দুজনকে প্রমাণের অভাবে খালাস করে দেয় এনআইএ-এর (NIA) বিশেষ আদালত।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sambhal: ‘হিন্দু মন্দিরের চিহ্ন মুছতে কাঠামো বদলেছিল মুসলমানরা’! আদালতে সম্ভলকাণ্ডের রিপোর্ট পেশ

    Sambhal: ‘হিন্দু মন্দিরের চিহ্ন মুছতে কাঠামো বদলেছিল মুসলমানরা’! আদালতে সম্ভলকাণ্ডের রিপোর্ট পেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২ জানুয়ারিতে উত্তরপ্রদেশের সম্ভলের (Sambhal) শাহি জামা মসজিদের ওপর একটি সমীক্ষা রিপোর্ট কোর্ট কমিশনার রমেশ রাঘব একটি সিল করা খামে চান্দৌসি আদালতে জমা দিয়েছেন। এই রিপোর্টে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। হিন্দু মন্দিরের (Hindu Temple) একাধিক চিহ্নকে নির্মূল করতে কাঠামোকে বদলে দিয়েছিল তৎকালীন মুসলমান শাসকরা। একটি মুখ বন্ধ খামে ৪০-৪৫ পৃষ্ঠার একটি প্রতিবেদন পেশ করেছেন তিনি। ফলে এই প্রতিবেদনে হিন্দু পক্ষের দাবি আরও জোরদার যে হয়েছে তা মনে করছেন অনেকেই।

    করা হয় চার ঘন্টার একটি ভিডিওগ্রাফি (Sambhal)

    সূত্রে জানা গিয়েছে, সিনিয়ার ডিভিশনের নিথিটি সিভিল জজ আদিত্য সিংয়ের এজলাসে পেশ হওয়া রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, মসজিদ কাঠামোর মধ্যে প্রাচীন মন্দিরের (Sambhal) নানা অবশেষ রয়েছে। তথ্য অনুযায়ী, মসজিদের সামনে দুটি বটগাছ আছে যা সাধারণত হিন্দু মন্দিরের (Hindu Temple) সামনে থাকে এবং গাছগুলিকে পুজো করা হত। এবার এই জায়গায় একটি কূপ রয়েছে যার এক অংশ মসজিদ কাঠামোর মধ্যে এবং অপর আরেক অংশ বাইরে রয়েছে। ওই কূপের বাইরের অংশ ঢাকা ছিল। সম্পূর্ণ এলাকায় সাড়ে চার ঘণ্টার একটি ভিডিওগ্রাফি করা হয়েছে। মোট ১২০০টি ছবি তোলা হয়েছিল মসজিদের।

    আরও পড়ুনঃ মহাকুম্ভের কয়েক দিন বাকি, প্রয়াগরাজে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি

    প্লাস্টার দিয়ে প্রলেপ দেওয়া হয় মন্দির কাঠামোতে

    গত ১৯ নভেম্বর জরিপের প্রাথমিক দিনে প্রায় দেড় ঘণ্টা ভিডিওগ্রাফি সম্পন্ন হয়েছিল এবং ২৪ নভেম্বর আরও তিন ঘণ্টার ভিডিওগ্রাফি হয়েছিল। জামা মসজিদের ভেতরে পঞ্চাশটিরও বেশি ফুলের নিদর্শন চিহ্নিত করা হয়েছে। বেশি করে নতুন সংযোজনের পাশাপাশি মূল কাঠামোর পরিবর্তনগুলি চিহ্নিত করা গিয়েছিল। মন্দিরের আসল রূপটির উপর থেকে প্লাস্টার দিয়ে প্রলেপ এবং রং করে ঢেকে দেওয়া হয়েছে। ফলে মসজিদটিতে পুরাতন ঐতিহাসিক যুগের মন্দির ও হিন্দু স্থানের প্রতীক চিহ্নগুলি রয়েছে। মন্দিরের মূল স্থাপত্যটির দরজা, জানালা এবং দেয়ালে রূপ পাল্টে মন্দির (Hindu Temple) কাঠামোটিকে (Sambha) ঢেকে দেওয়া হয়েছে।

    মসজিদটি মূলত হরিহর মন্দির ছিল

    কোর্ট কমিশনার রমেশ সিং রাঘব (Sambha) বলেন, “শাহি জামা মসজিদটি মূলত হরিহর মন্দির (Hindu Temple) ছিল বলে দাবি করে একটি পিটিশন ১৯ নভেম্বর সিভিল জজের (সিনিয়র ডিভিশন) এজলাসে দায়ের করা হয়েছিল। একই দিনে মসজিদের জরিপ চালানো হয়। কিন্তু এটিকে সম্পূর্ণ করা যায়নি বলে, কোর্ট কমিশনার ২৪ নভেম্বর পুনরায় মসজিদ পরিদর্শন শুরু করেন এবং জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (ডিএম), পুলিশ সুপার (এসপি) সকলে উপস্থিত থেকে সমীক্ষা চালান।

    তিনি আরও বলেন, “এই সমীক্ষার সময় উগ্র মুসলমানরা হিংসা ছড়ায়। সরকারি কাজে বাধা প্রদান করে ইট-পাথর এবং অস্ত্র নিয়ে আক্রমণ করেছিল। ফলে প্রায় চারজনের মৃত্যুও হয়েছিল।  প্রতিবেদনটি প্রাথমিকভাবে ৯ ডিসেম্বর আদালতে পেশ করার কথা ছিল, কিন্তু আদালত (Sambhal) কমিশনার স্বাস্থ্য সমস্যা উল্লেখ করে অতিরিক্ত ১৫ দিন সময় চেয়েছিলেন। আজ, প্রায় ৪০ থেকে ৪৫ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনটি আদালতে জমা দেওয়া হয়েছে। তবে সমীক্ষার পরে এলাকায় তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছিল। কট্টর মৌলবাদীরা হিংসার বাতাবরণ এবং এলাকায় ভয়ের পরিবেশ তৈরি করে রেখেছিল।”

    মোট ৪৭ জনকে গ্রেফতার

    তবে এই হিংসার কাজে উসকানি এবং প্ররোচনা দেওয়ার কাজ যারা করেছিল তাদের বিরুদ্ধে যোগী সরকার কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে। হিংসার কাজের সঙ্গে যুক্ত এখনও পর্যন্ত মোট ৪৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অশান্তি ছড়ানোর কাজে জড়িত অন্যদের আটক করতে পুলিশের টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে। হিংসা সম্পর্কিত মোট ১১টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

    এই শাহি জামা মসজিদ (Sambhal) হল মুঘল আমালের একটি মসজিদ। এই মসজিদ কাঠামোটি সম্ভলের গারভি এলাকায় অবস্থিত। এই মসজিদের নিচে ছিল প্রাচীন হরিহর মন্দির। তাকে ধ্বংস করে মীর বাকে ১৫২৯ সালে সম্রাট বাববের নির্দেশে মসজিদ কাঠামো নির্মাণ করেছিলেন। হিন্দু মন্দিরকে (Hindu Temple) মসজিদ করার জন্য হিন্দু পক্ষ এখন মন্দিরকে পুনরুদ্ধার করার জন্য সবরকম ভাবে চেষ্টা করে যাচ্ছেন। উল্লেখ্য, এই এলাকার অপর আরেক জায়গায় অবৈধ বিদ্যুৎ চুরির অভিযান চালাতে গিয়ে পুলিশ মাটির নিচে পুঁতে রাখা শিব এবং হনুমান মন্দির উদ্ধার করেছিল। ওই ঘটনাতেও ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছিল। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mahakumbh 2025: মহাকুম্ভের কয়েক দিন বাকি, প্রয়াগরাজে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি

    Mahakumbh 2025: মহাকুম্ভের কয়েক দিন বাকি, প্রয়াগরাজে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৪০ থেকে ৪৫ কোটি তীর্থযাত্রী হাজির হতে পারেন মহাকুম্ভে (Mahakumbh 2025), এমনটাই অনুমান প্রশাসনের। ২০২৫ সালে প্রয়াগরাজের (Prayagraj) মহাকুম্ভকে ঘিরে প্রস্তুতি তুঙ্গে। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের নেতৃত্বে কুম্ভমেলার প্রশাসন অবিরতভাবে কাজ করে চলেছে, পৃথিবীর অন্যতম বড় এই ইভেন্টকে সাফল্যমণ্ডিত করার জন্য। তীর্থযাত্রীদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা, যাতায়াত থেকে শুরু করে নিরাপত্তা- এই সমস্ত কিছুরই প্রস্তুতি চলছে অত্যন্ত খুঁটিনাটিভাবে।

    সেজে উঠছে মেলা প্রাঙ্গণ (Mahakumbh 2025) 

    কুম্ভমেলা প্রাঙ্গণে গড়ে উঠছে একের পর এক দোকান। এই দোকানগুলিতেই মিলবে পুজো-অর্চনার বিভিন্ন সামগ্রী। একেবারে রুদ্রাক্ষ-তুলসী মালা থেকে অক্ষর পঞ্জিকা— সব কিছুই মিলবে কুম্ভমেলা প্রাঙ্গণে (Mahakumbh 2025)। বেশিরভাগ পুজোর সামগ্রী নিয়ে আসা হয়েছে নেপাল, উত্তরাখণ্ড, বারাণসী, মথুরা, বৃন্দাবন এবং দিল্লি থেকে। সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমেই পৃথিবীর অন্যতম এই বড় ইভেন্টকে সাফল্যমণ্ডিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।

    গোরক্ষপুরের গীতা প্রেস স্বল্পমূল্যে বই বিক্রি করবে

    এর পাশাপাশি, সেখানে বিভিন্ন ধর্মীয় বইও কিনতে পাওয়া যাবে। গোরক্ষপুরে অবস্থিত গীতা প্রেস কুম্ভমেলা প্রাঙ্গণে (Mahakumbh 2025) অত্যন্ত স্বল্প মূল্যে বিক্রি করবে রামচরিত মানস, ভাগবত গীতা, শিব পুরাণ, বিভিন্ন ভজন ইত্যাদি। মেলা প্রাঙ্গণে মিলবে আরতি সামগ্রী থেকে পুরোহিতদের ব্যবহারের জন্য তামার তৈরি নানা পাত্র। এসব কিছুই আনা হয়েছে মোরাদাবাদ এবং বারাণসী থেকে।

    একমাস ধরে সাধু-সন্ত ও ভক্তরা পালন করনে কল্পবাস

    সাধু-সন্ত এবং ভক্তরা এই মেলা প্রাঙ্গণে (Mahakumbh 2025) এক মাস ধরে পালন করবেন কল্পবাস। এই সময় তাঁদের যাতে কোনও অসুবিধা না হয়, সেজন্য সমস্ত কিছু সংস্থানও রাখা হচ্ছে। হোম যজ্ঞের সামগ্রী, আসন, গঙ্গাজল, খাবার প্লেট- এই সমস্ত কিছুই মজুদ রাখা হয়েছে মেলা প্রাঙ্গণে। একই সঙ্গে প্রয়াগরাজের (Prayagraj) হোটেল, রেস্টুরেন্ট, বিভিন্ন ফুড স্টলগুলিতেও তুঙ্গে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Shubhman Gill: চিটফান্ড কেলেঙ্কারিতে নাম জড়াল শুভমান গিল সহ ৪ ক্রিকেটারের, তলব গুজরাট সিআইডি-র

    Shubhman Gill: চিটফান্ড কেলেঙ্কারিতে নাম জড়াল শুভমান গিল সহ ৪ ক্রিকেটারের, তলব গুজরাট সিআইডি-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বড়সড় কেলেঙ্কারিতে নাম জড়াল চার ভারতীয় ক্রিকেটারের। ৪৫০ কোটি টাকার চিটফান্ড কেলেঙ্কারিতে (Chit Fund Case) নাম জড়িয়েছে ক্রিকেটার শুভমান গিল (Shubhman Gill)-সহ চারজন। এঁদের প্রত্যেককেই সমন পাঠাতে চলেছে গুজরাট সিআইডি। এই চিটফান্ডের অন্যতম কিংপিনকে ইতিমধ্যেই আটক করা হয়েছে বলে খবর। শুভমান ছাড়া বাকি তিন অভিযুক্ত হলেন মোহিত শর্মা, সাই সুদর্শন ও রাহুল তেওয়াটিয়া। সকলেই আইপিএল ফ্রাঞ্চাইজি গুজরাট টাইটান্সে খেলেন।

    সিডনি ম্যাচের আগেই বিপত্তি (Shubhman Gill)

    রাত পোহালেই সিডনিতে শুরু হবে ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়ার পঞ্চম টেস্ট ম্যাচ। সেই ম্যাচে টিম ইন্ডিয়ায় শুভমান ফিরতে চলেছেন বলে জল্পনা। এহেন আবহে প্রকাশ্যে এল চিটফান্ড কেলেঙ্কারির (Chit Fund Case) খবর। প্রত্যাশিতভাবেই প্রশ্নের মুখে পড়ে গেল শুভমানের (Shubhman Gill) ভারতীয় একাদশে ঠাঁই পাওয়ার সম্ভাবনার বিষয়টি। দীর্ঘদিন ধরেই বড় রান পাচ্ছিলেন না শুভমান। সেই কারণে বাদ পড়েছিলেন মেলবোর্ন টেস্ট থেকে। সিডনি ম্যাচে ফেরা নিয়ে জল্পনাও চলছিল। সেই জল্পনায় জল ঢেলে দেওয়া হয় কিনা, এখন সেটাই দেখার।

    প্রতারণা চক্রের চাঁই

    জানা গিয়েছে, এই প্রতারণা চক্রের চাঁই ভূপেন্দ্র সিং জালা। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পরেই প্রকাশ্যে আসে গোটা বিষয়টি। জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত চার ক্রিকেটারই আইপিএলে গুজরাট টাইটান্স ফ্র্যাঞ্চাইজির সঙ্গে যুক্ত। শুভমান (Shubhman Gill) এই স্কিমে ১.৯৫ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেন। বাকিরাও (Shubhman Gill) মোটা অঙ্কের টাকা বিনিয়োগ করেন। গুজরাট সিআইডির আধিকারিকরা ভূপেন্দ্রর অ্যাকাউন্ট দেখভাল করেন যিনি, সেই রুশিক মেহতাকে গ্রেফতার করেছেন।

    আরও পড়ুন: ফের খারিজ জামিন, চিন্ময় কৃষ্ণকে জেলেই মারতে চাইছে ইউনূস প্রশাসন! কীসের ভয়?

    সিআইডি প্রথমে এই চিটফান্ডে (Chit Fund Case) ৬ হাজার কোটি টাকা নয়ছয় হয়েছে বলে জানিয়েছিল। পরে অর্থের পরিমাণ কমে দাঁড়ায় ৪৫০ কোটি টাকায়। তদন্ত এগোলে এই অর্থের পরিমাণ আরও বাড়তে পারে বলেই খবর। এই চিটফান্ড কেলেঙ্কারির কিংপিন জালার বাড়ি হিম্মতনগর শহরে। ২০২০ থেকে ২০২৪ এই চার বছরে তিনি তৈরি করেছেন ১৭টি অফিস। এই অফিসগুলির মাধ্যমে ১১ হাজার বিনিয়োগকারীর কাছ থেকে তিনি সংগ্রহ করেছেন ৪৫০ কোটি টাকা। গিল (Shubhman Gill) এবং অন্য তিন ক্রিকেটার সেই ১১ হাজারের মধ্যে রয়েছেন বলে খবর। সেই কারণেই তাঁদের তলব করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর (Chit Fund Case)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

     

  • ISRO: ইসরোর ব্যস্ততম বছর হতে চলেছে ২০২৫! তালিকায় রয়েছে ছ’টি বড় অভিযান, কী কী?

    ISRO: ইসরোর ব্যস্ততম বছর হতে চলেছে ২০২৫! তালিকায় রয়েছে ছ’টি বড় অভিযান, কী কী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৩ সাল। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে প্রথম পা রেখে তামাম বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছিল ভারতের মহাকাশ বিজ্ঞান গবেষণা সংস্থা ইসরো (ISRO)। তার পরের বছরও একাধিক সফল অভিযান করেছে এই গবেষণা সংস্থা। দেশ পৌঁছেছে ২০২৫-এ। এ বারটাই হতে চলেছে ইসরোর জন্য ব্যস্ততম বছর। জানা গিয়েছে, এ বছরও পরিকল্পনায় রয়েছে একাধিক প্রকল্প। জোর কদমে চলছে কাজও।

    কী বললেন মহাকাশ মন্ত্রী? (ISRO)

    কেন্দ্রীয় মহাকাশ প্রতিমন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং বলেন, “২০২৫ সালে ইসরোর পরিকল্পনায় রয়েছে ছ’টি বড় বড় প্রকল্প। বছরের প্রথম দিকেই হবে এই অভিযান। এর মধ্যে যেমন রয়েছে মহাকাশে মহিলা রোবট পাঠানোর পরিকল্পনা, তেমনি রয়েছে গগনযান (Gaganyaan Vyommitra) ও ভারত-আমেরিকার যৌথ উদ্যোগে আর্থ ইমেজিং স্যাটেলাইট নিসার পাঠানোর পরিকল্পনাও। এটিই হতে চলেছে বিশ্বের সব চেয়ে দামী স্যাটেলাইট।” মন্ত্রী বলেন, “জানুয়ারি মাসে ইসরো (ISRO) অ্যাডভান্সড নেভিগেশন স্যাটেলাইট এনভিএস-০২ উৎক্ষেপণ করবে। জিএসএলভি উৎক্ষেপণ হবে ইসরোর শততম মিশন। এরপর ইসরো (ISRO) মহাকাশে পাঠানো হবে মহিলা রোবট ‘ব্যোমমিত্র’-কে (Gaganyaan Vyommitra)। এটি গগনযানেরই একটি অংশ। ব্যোমমিত্র অভিযান সফল হলে মহাকাশে পাঠানো হবে মহাকাশচারী।”

    আরও পড়ুন: ফের খারিজ জামিন, চিন্ময় কৃষ্ণকে জেলেই মারতে চাইছে ইউনূস প্রশাসন! কীসের ভয়?

    নিসার স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ

    জানা গিয়েছে, ভারত-আমেরিকার যৌথ উদ্যোগে নিসার (NISAR) স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ হবে মার্চ মাসে। এটি প্রতি ১২ দিনে প্রায় সমস্ত ভূমি ও বরফ স্ক্যান করবে। পাঠাবে হাই রেজোলিউশনের ছবি। এলভিএম৩-এম৫ মিশন রূপায়ণ হবে প্রথম ত্রৈমাসিকে। এই মিশনটি একটি আন্তর্জাতিক গ্রাহকের জন্য স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করবে। এটি মহাকাশ অর্থনীতিতে ভারতের ক্রমবর্ধমান সক্ষমতা প্রদর্শন করবে। এর পর রয়েছে গগনযান মানব মিশন। এই অভিযানের নির্দিষ্ট কোনও তারিখ এখনও ঘোষণা করা হয়নি। তবে ব্যোমমিত্র মিশনের (Gaganyaan Vyommitra) সাফল্য প্রশস্ত করবে ভারতের প্রথম মানব মহাকাশযাত্রার পথ।

    ইসরোর (ISRO) চেয়ারম্যান এস সোমনাথ বলেন, “২০২৫ সাল অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ একটি বছর হতে চলেছে। ইসরো চারটি জিএসএলভি রকেট লঞ্চ করবে। এছাড়াও তিনটি পিএসএলভি এবং একটি এসএসএলভি রকেট লঞ্চ করবে (ISRO)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

     

  • RSS: চলতি বছর বিজয়া দশমীতে শতবর্ষে পা দেবে আরএসএস, তুঙ্গে প্রস্তুতি

    RSS: চলতি বছর বিজয়া দশমীতে শতবর্ষে পা দেবে আরএসএস, তুঙ্গে প্রস্তুতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি বছর শতবর্ষে (Centenary Year) পদার্পণ করবে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (RSS)। এ বছর তাদের সংগঠনের নেটওয়ার্ক আরও প্রসারিত করতে প্রস্তুত তারা। বিজয়া দশমীর দিন প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল আরএসএস। প্রতিষ্ঠা করেছিলেন ডঃ কেশব বালিরাম হেডগেওয়ার। আরএসএসের প্রথম শাখা খোলা হয়েছিল নাগপুরে, একদল যুবককে সঙ্গে নিয়ে।

    আরএসএসের প্রভাব (RSS)

    গত ৯৯ বছরে দেশজুড়ে আরএসএস তাদের প্রভাব ব্যাপকভাবে বিস্তার করেছে। ২০২৪ সালের অক্টোবর মাসে আরএসএস কর্তাদের একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠকের পর জানা গিয়েছিল দেশের প্রতিটি কোণায় পৌঁছে গিয়েছে আরএসএস। জানা গিয়েছে, বর্তমানে দেশের ৪৫ হাজার ৪১১টি জায়গায় পরিচালিত হচ্ছে ৭২ হাজার ৩৫৪টি শাখা। গত এক বছরে ৩ হাজার ৬২৬টি নতুন জায়গায় ৬ হাজার ৬৪৫টি নতুন শাখা যোগ হয়েছে। শতবর্ষপূর্তি উদযাপনের প্রস্তুতির অংশ হিসেবেই তৈরি হয়েছে এই শাখাগুলি। আরএসএসের স্বেচ্ছাসেবকরা প্রতি সপ্তাহে এক ঘণ্টার জন্য কোনও একটি জায়গায় একত্রিত হন। একে বলে সাপ্তাহিক শাখা। বর্তমানে এমন শাখার সংখ্যা ২৯ হাজার ৩৬৯টি। ২০২৪ সালে সাপ্তাহিক শাখার সংখ্যা বেড়েছে ৩ হাজার ১৪৭টি। 

    ‘সংঘ মণ্ডলী’

    এখনও দেশের এমন কিছু এলাকা রয়েছে যেখানে আরএসএস (RSS) মনে করে আরও সক্রিয়ভাবে পৌঁছানো প্রয়োজন। যেসব জায়গায় প্রতিদিনের শাখা এখনও চালু হয়নি, সেখানে মাসিক মিলন মেলার আয়োজন করা হয়। এভাবেই প্রতিদিনের শাখা চালুর জন্য মাটি প্রস্তুত করার কাজ শুরু হয়েছে। বর্তমানে, এমন মাসিক সভা হয় ১১ হাজার ৩৮২টি জায়গায়। ২০২৪ সালে এমন ৭৫০টি নতুন জায়গা যোগ হয়েছে যেখানে এই মাসিক সভা হয়। আরএসএসের পরিভাষায় এই মাসিক সভার দলগুলোকে বলা হয় ‘সংঘ মণ্ডলী’ (Centenary Year)। ২০২৪ সালে আরএসএস সরাসরি ১ লাখ ১৩ হাজার ১০৫টি জায়গায় তার কাজকর্ম বিস্তার করেছে। এর সঙ্গে আরএসএস-প্রাণিত প্রায় ৩৬টি সংস্থার কার্যক্রম যোগ করলে দেখা যাবে আরএসএস স্বয়ংসেবকদের বিপুল প্রচার দিন দিন অতুলনীয় হয়ে উঠছে।

    দেশবাসীর পাশে আরএসএস

    প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় বারংবার ভারতবাসীর পাশে দাঁড়িয়েছে আরএসএস। বছরভর সংঘের স্বেচ্ছাসেবকরা ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রাকৃতিক দুর্যোগে ত্রাণ দেওয়ার কাজে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। পশ্চিমবঙ্গে তারকেশ্বরী নদীর বন্যার সময় ত্রাণ শিবির খুলে ২৫ হাজারেরও বেশি মানুষকে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র দেওয়া হয়েছে আরএসএসের তরফে। ওড়িশার ভয়াবহ বন্যার সময় ৪ হাজার মানুষকে স্বাস্থ্য পরিষেবা, খাবার ও পানীয় জল দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। কেরলের ওয়েনাড়ে বিধ্বংসী ভূমিধসের পর দুর্গতদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন আরএসএসের এক হাজার স্বেচ্ছাসেবক। তাঁদের ত্রাণ ও পুনর্বাসন দেওয়া হয় আরএসএসের তরফে। গুজরাটের ভাদোদারা, জামনগর এবং দ্বারকা অঞ্চলে ভয়াবহ বন্যার সময়ও দুর্গতদের পাশে দাঁড়িয়েছেন আরএসএসের স্বয়ংসেবকরা (Centenary Year)। এর পাশাপাশি সংঘ স্বয়ংসেবকরা বিভিন্ন দুর্যোগে প্রাণ হারানো ৬০০-এরও বেশি মানুষের শেষকৃত্য সম্পন্ন করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা (RSS) পালন করেছেন। মৃতদের প্রত্যেকের ধর্মীয় রীতি-নীতি মেনেই শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হয়েছে।

    শতবর্ষ পূর্তি

    আরএসএসের শতবর্ষ পূর্তি হবে চলতি বছরের বিজয়া দশমীর দিন। তখনই শুরু হবে শতবর্ষপূর্তি উৎসব। এ বছরের প্রথম দশ মাস ধরে শতবর্ষ উদযাপনের প্রস্তুতি নেবেন আরএসএসের স্বেচ্ছাসেবকরা। এই প্রস্তুতির অংশ হিসেবে আরএসএস দুটি প্রধান ক্ষেত্রে মনোযোগ দিয়েছে। প্রথমত, সাংগঠনিক দিক। আরএসএস আরও বেশি করে পূর্ণ সময়ের কর্মী সংগ্রহের জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছে। এর লক্ষ্য হল দেশের প্রতিটি গ্রাম, শহর ও নগরে আরএসএসের উপস্থিতি নিশ্চিত করা। আরএসএসের কাছে কোনও কিছু উদযাপন মানে চকচকে ইভেন্ট বা জাঁকজমকপূর্ণ সমাবেশের আয়োজন করা নয়। আরএসএস উদযাপন করে তার সংগঠন সম্প্রসারণের জন্য বড় লক্ষ্য গ্রহণ করে এবং বর্তমানে যে নেটওয়ার্ক রয়েছে, তাকে আরও শক্তিশালী করার মাধ্যমে। এর আগের কিছু সরসংঘচালকের শতবার্ষিকীও ঠিক এভাবেই উদযাপন করেছিল তারা। ২০২৫ সালে আরএসএসের আর একটি লক্ষ্য হল যুবসমাজকে (RSS) বেশি করে কাছে টানা। যাতে তারা কেবল তাদের সাংস্কৃতিক শিকড়ের সঙ্গেই যুক্ত হয় না, তারা যাতে সমাজের সেবাও করতে পারে, তার দিকেও বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে।

    আরও পড়ুন: মাও ‘দমনে’ বিরাট সাফল্য, আত্মসমর্পণ কিষেনজির ভাইবউ বিমলা-সহ ১১ মাওবাদীর

    সামাজিক রূপান্তর

    দ্বিতীয় যে ক্ষেত্রটিতে আরএসএস নতুন করে জোর দিচ্ছে, তা হল সামাজিক রূপান্তর। এই কাজের আদর্শ কাঠামো তৈরি করা হয়েছিল ২০২৪ সালে। নাম দেওয়া হয়েছিল “পঞ্চ পরিবর্তন” উদ্যোগ – পাঁচটি রূপান্তরকারী ধারণার একটি সেট। আরএসএস কর্মীরা সাধারণ মানুষের সঙ্গে এই ধারণাগুলি নিয়ে যোগাযোগ করবেন। এগুলি বাস্তবায়নের জন্যও কাজ করবেন তাঁরা। এই পাঁচটি ধারণার মূল ফোকাসের ক্ষেত্রগুলি হল- ব্যক্তিগত উন্নয়ন: “স্বরাজ” (স্বনির্ভরতা এবং আত্মসচেতনতা)-কে কেন্দ্র করে জীবনধারার প্রচার। সামাজিক সম্প্রীতি: সমাজে ঐক্যের সম্পর্ক গড়ে তোলা। পারিবারিক মূল্যবোধ: শক্তিশালী পারিবারিক বন্ধন ও ঐতিহ্যবাহী মূল্যবোধকে গুরুত্ব দেওয়া। পরিবেশ সংরক্ষণ: পরিবেশ রক্ষা ও সংরক্ষণের প্রচার। এবং নাগরিক দায়িত্ব: নাগরিক দায়িত্ববোধ ও সমাজে সক্রিয় অংশগ্রহণের প্রচার (RSS)।

    রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও রাজনীতিবিদরা যখন আরএসএসের সঙ্গে বিজেপির সম্পর্ক এবং এর নির্বাচনী প্রভাব বিশ্লেষণ করতে ব্যস্ত থাকেন, তখন আরএসএস তার সাংগঠনিক সম্প্রসারণে মনোনিবেশ করে। আরএসএস নির্বাচনী রাজনীতির বিষয়ে খুব কমই চিন্তা করে। ২০২৫ সালেও এই ধারা অব্যাহত থাকবে, যেমনটা রয়েছে গত ৯৯ বছর ধরে (Centenary Year)। এটাই আরএসএসের প্রকৃত শক্তি (RSS)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

      

     

  • Bhopal Gas Tragedy: অবশেষে মুক্তি! গ্যাস দুর্ঘটনার ৪০ বছর পর বিষাক্ত বর্জ্য সরল ভোপাল থেকে

    Bhopal Gas Tragedy: অবশেষে মুক্তি! গ্যাস দুর্ঘটনার ৪০ বছর পর বিষাক্ত বর্জ্য সরল ভোপাল থেকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গ্যাস দুর্ঘটনার ৪০ বছর পর ভোপাল (Bhopal Gas Tragedy) থেকে পুরোপুরি সরল বিষাক্ত বর্জ্য। বুধবার রাতে মোট ৩৩৭ টন রাসায়নিক বর্জ্য ভোপাল থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ভোপাল থেকে প্রায় ২৫০ কিমি দূরে ইন্দোরের কাছে পিথমপুরে একটি জায়গায় সেই বর্জ্যকে নষ্ট করে ফেলার কাজ ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। ১২টি ‘লিক প্রুফ’ এবং আগুন ধরবে না এমন কন্টেনারে এই বর্জ্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে। প্রত্যেক কন্টেনারে কমপক্ষে ৩০ টন বর্জ্য রয়েছে।

    কীভাবে সরানো হল বর্জ্য

    ভোপাল গ্য়াস দুর্ঘটনা (Bhopal Gas Tragedy) ঘটেছিল ইউনিয়ন কার্বাইডের কারখানা থেকে বিষাক্ত গ্যাস লিক করে। এরপরে কারখানা বন্ধ হয়ে গেলেও, সেখানে রয়ে গিয়েছিল ৩৩৭ মেট্রিক টন বিষাক্ত বর্জ্য। চার দশক পর ভোপাল থেকে সেই বর্জ্য সরানো হল। ওই বিষাক্ত বর্জ্য ২৫০ কিলোমিটার পথ গ্রিন করিডর করে নিয়ে যাওয়া হয় পিথমপুরে। কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছিল গোটা এলাকা। বিষাক্ত বর্জ্যের কন্টেনারের সঙ্গে সঙ্গে ছুটছিল পুলিশ, অ্যাম্বুল্যান্স ও দমকলের গাড়ি। যাতে কোনও রাসায়নিক বিক্রিয়া না হয়, তার জন্য বিশালাকার এইচডিপিই ব্যাগে ভরে নিয়ে যাওয়া হয় বর্জ্য। বিষাক্ত বর্জ্য সরানোর আগে ইউনিয়ন কার্বাইড কারখানার ২০০ মিটার চত্বরও সম্পূর্ণ সিল করে দেওয়া হয়। ১০০ শ্রমিক এই বর্জ্য সরানোর কাজ করেছেন। তাঁদের সকলের ৩০ মিনিট করেই শিফট করতে হয়েছে সুরক্ষার জন্য। কারণ ওই কেমিক্যালের কাছে ৩০ মিনিটের বেশি থাকা অত্যন্ত বিপজ্জনক। 

    নিরাপদেই পোড়ানো হবে বর্জ্য

    ভোপালের (Bhopal Gas Tragedy) ওই কারখানার বিষাক্ত বর্জ্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে মধ্যপ্রদেশের পিথমপুরে। মধ্যপ্রদেশের বর্জ্য নিষ্কাশন কেন্দ্রটি একমাত্র অত্যাধুনিক প্ল্যান্ট। মাটি থেকে ২৫ ফুট উপরে নির্মিত একটি বিশেষ কাঠের প্লাটফর্মে বর্জ্য পোড়ানো হবে কঠোর বৈজ্ঞানিক প্রোটোকল মেনে। প্রতি ঘণ্টায় যদি ৯০ কেজি বর্জ্য পোড়ানো হয়, তবে সময় লাগবে ১৫৩ দিন। সর্বোচ্চ হারে যদি ঘণ্টায় ২৭০ কেজি বর্জ্য পোড়ানো, সেক্ষেত্রে ইউনিয়ন কার্বাইডের সেই বর্জ্য ৫১ দিনে পোড়ানো সম্ভব। পোড়ানোর সময় নির্গত ধোঁয়া নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। যদিও প্রশাসন বলছে, আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। নিরাপদভাবেই তা পোড়ানো হবে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share