Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Pranab Mukherjee: ‘‘বাবার প্রয়াণে শোক জ্ঞাপনের জন্য বসেনি ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক’’, কংগ্রেসকে তোপ প্রণব কন্যার

    Pranab Mukherjee: ‘‘বাবার প্রয়াণে শোক জ্ঞাপনের জন্য বসেনি ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক’’, কংগ্রেসকে তোপ প্রণব কন্যার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের (Manmohan Singh) প্রয়াণের পরপরই শুক্রবার বসে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক। এই আবহে এবার বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের (Pranab Mukherjee) কন্যা শর্মিষ্ঠা মুখোপাধ্যায়। নিজের সমাজমাধ্যমের পোস্টে তিনি দাবি করেন, তাঁর পিতা প্রণব মুখোপাধ্যায়ের প্রয়াণের পর শোক জ্ঞাপনের জন্য কোনও ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক ডাকা হয়নি।

    শর্মিষ্ঠার এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট

    শর্মিষ্ঠা নিজের পোস্টে লেখেন, ‘‘বাবা যখন মারা গেলেন, তখন শোক জ্ঞাপনের জন্যে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক ডাকার প্রয়োজনও মনে করেনি। আমাকে সেই সময় এক সিনিয়র কংগ্রেস নেতা বলেছিলেন, প্রেসিডেন্টদের জন্যে এমনটা করা হয় না। যদিও সেটা মিথ্যা। পরে আমি বাবার ডায়েরি থেকে জানতে পেরেছিলাম, প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট কেআর নারায়ণের প্রয়াণে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক ডাকা হয়েছিল। সেই সময় শোক বার্তা ড্রাফ্ট করেছিলেন বাবা নিজেই।’’

    প্রণব মুখোপাধ্যায়কে (Pranab Mukherjee) বঞ্চনা

    প্রসঙ্গত, শুক্রবার দিল্লিতে দলের সদর দফতরেই বসে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক। সেই বৈঠকে মল্লিকার্জুন খাড়গে ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী, কেসি বেণুগোপালরা। সেই বৈঠকেই মনমোহনের শেষকৃত্য নিয়ে আলোচনা হয়। এই আবহে প্রণব মুখোপাধ্যায়ের প্রয়াণের পরে কেন এমন বৈঠক ডাকা হয়নি, সেই প্রশ্ন তুললেন প্রণব কন্যা (Pranab Mukherjee)। আগেও একাধিক মহলে গুঞ্জন শোনা গিয়েছে,  প্রণব মুখোপাধ্যায়কে প্রধানমন্ত্রীও হতে দেয়নি কংগ্রেস!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ayodhya Ram Temple: রামলালার মূর্তিতে প্রাণ প্রতিষ্ঠার বর্ষপূর্তি, অয্যোধ্যা জুড়ে সাজ সাজ রব

    Ayodhya Ram Temple: রামলালার মূর্তিতে প্রাণ প্রতিষ্ঠার বর্ষপূর্তি, অয্যোধ্যা জুড়ে সাজ সাজ রব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক বছর আগে অয্যোধ্যার রাম মন্দিরে প্রাণ প্রতিষ্ঠা হয়েছিল রামলালার মূর্তির। সামনেই তার বর্ষপূর্তি। সেই দিনটা ধুমধাম করে পালন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মন্দির কতৃপক্ষ। সেজে উঠবে গোটা রামনগরী। শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্রের সাধারণ সম্পাদক চম্পত রাই জানিয়েছেন, শ্রী রাম জন্মভূমি মন্দিরে রামলালার মূর্তি অভিষেকের প্রথম বছর ভারতীয় সময় অনুসারে গণনা করে পালিত হবে।

    কীভাবে উদযাপন

    ২০২৫ সালের ১১ জানুয়ারি, অযোধ্যা একটি ঐতিহাসিক এবং মহিমান্বিত উৎসবের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠবে। ভারতবর্ষের নানা প্রান্ত থেকে ভক্তরা এসে শ্রী রাম জান্মভূমি মন্দিরে শ্রী রামলালার মূর্তির প্রাণ প্রতিষ্ঠা (সংকৃতিতে consecration) এর প্রথম বর্ষপূর্তি উদযাপন করবেন। চলতি বছর অর্থাৎ, ২০২৪ সালে পৌষ শুক্লা দ্বাদশী তিথিতে ২২ জানুয়ারি প্রাণ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল রামলালার মূর্তিতে। ২০২৫ সালের জানুয়ারি মাসে, পৌষ শুক্লা দ্বাদশী তিথি পড়েছে ১১ জানুয়ারি। এই দিনটিকেই ‘প্রতিষ্ঠা দ্বাদশী’ হিসাবে পালন করা হবে। সেই উপলক্ষে তিন দিনব্যাপী বিশাল অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। দিনটি পূর্ণ থাকবে নানা ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান, ভক্তিমূলক উক্তি, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং আধ্যাত্মিক আলোচনায়।

    কী কী আয়োজন 

    মন্দির চত্বরের যজ্ঞ মন্ডপে হবে বিশাল মহাযজ্ঞ। যজ্ঞ চলাকালীন শুক্ল যজুর্বেদের মধ্যদানী শাখার ৪০টি অধ্যায় থেকে ১৯৭৫টি মন্ত্র পাঠ হবে। পুজিত হবেন অগ্নিদেব। জপ করা হবে ১১টি বৈদিক মন্ত্র। সকাল ৮টা থেকে ১১টা এবং দুপুর ২টো থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত চলবে হোমের এই কাজ। যজ্ঞ চলাকালীন সময় এই সব মন্ত্রের সঙ্গেই জপ করা হবে শ্রী রাম মন্ত্রও। ৬ লক্ষ মন্ত্র জপ করা হবে। এছাড়াও রাম রক্ষা স্তোত্র, হনুমান চালিসা, পুরুষ সুক্ত, শ্রী সুক্ত, আদিত্য হৃদ্য স্তোত্র, অথর্বশীর্ষ সহ ইত্যাদি পাঠ করা হবে। এই প্রাচীন সংস্কৃতির আচার-অনুষ্ঠান কেবল পরিবেশকে পবিত্র করবে না, বরং দিনের অন্যান্য অনুষ্ঠানের জন্য আধ্যাত্মিক মনোভাব সৃষ্টি করবে।

    রাগ-সঙ্গীতের আসর

    মন্দিরের দক্ষিণ দিকে প্রার্থনা কক্ষে প্রতিদিন বিকাল ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত চলবে রাগ সেবা। বসবে রাগ সঙ্গীতের আসর। এছাড়া প্রতিদিন সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত মন্দিরের কলিতে রামলালার সামনে অভিনন্দন গীতি পরিবেশন করা হবে। দ্বিতীয় তলে যাত্রী সুবিধা কেন্দ্রে তিন দিনব্যাপী সংগীত মানস আবৃত্তির আয়োজন করা হবে। শ্রী রামচারিতমানসের সঙ্গীততালপূর্বক পাঠও সংগীতের সাথে শোনা যাবে, যা ভক্তদের শ্রী রামের জীবন এবং মহিমার এক নতুন আঙ্গিকে পরিচয় করিয়ে দেবে।

    আরও পড়ুন: অর্থনৈতিক শক্তিই ধর্ম এবং সামাজিক উন্নতির ভিত্তি, দাবি বিশ্ব হিন্দু অর্থনৈতিক মঞ্চের

    অঙ্গদ টিলার বিশেষ অনুষ্ঠান

    অঙ্গদ টিলার ময়দানে দুপুর ২টো থেকে সাড়ে ৩টা পর্যন্ত রামকথা এবং বিকাল সাড়ে ৩টে থেকে ৫টা পর্যন্ত চলবে মানস বক্তৃতা। প্রতিদিন বিকেল সাড়ে ৫টা থেকে সাড়ে ৭টা পর্যন্ত থাকছে অন্যান্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন। ১১ জানুয়ারী সকাল থেকে শুরু হবে ভগবান রামের প্রসাদ বিতরণ। অঙ্গদ টিলার সকল অনুষ্ঠানে সকল সম্প্রদায়ের মানুষকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্রের সাধারণ সম্পাদক চম্পত রাই। তিনি জানিয়েছেন, নিরাপত্তা সংক্রান্ত কোনও বাধা থাকবে না। ভক্তরা কোনও বাধা ছাড়াই প্রসাদ খেতে পারবেন, অঙ্গদ টিলার অনুষ্ঠান দেখতে পারবেন।

    রামমন্দির প্রাঙ্গণের ভিতরে নতুন মন্দির 

    চলতি বছরের জানুয়ারিতেই ঘটা করে অযোধ্যার রামমন্দিরে রামলালার ‘প্রাণপ্রতিষ্ঠা’ করা হয়। তারপরই ভক্তদের জন্য খুলে দেওয়া হয় মন্দিরের ফটক। উপছে পড়ে ভিড়। রামলালার মন্দিরের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে এবার রামমন্দির প্রাঙ্গণের ভিতরে ৬টি মন্দির নির্মাণের ছবি প্রকাশ করেছে শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট। মূল মন্দির চত্বরে এই ৬টি মন্দির হল, সূর্য মন্দির, গণেশ মন্দির, শিব মন্দির, দুর্গা মন্দির, অন্নপূর্ণা মন্দির ও হনুমান মন্দির। শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট রামমন্দিরের উদ্বোধনের সময়ই জানিয়েছিল যে, অযোধ্যায় আরও ১৩টি মন্দির নির্মাণ করা হবে। যে ১৩টি নতুন মন্দিরের মধ্যে ৬টি রামমন্দির প্রাঙ্গণের ভিতরে এবং ৭টি মন্দির চত্বরের বাইরে তৈরি করা হবে। রামমন্দিরের কাজ শেষ হওয়ার পর মন্দির প্রাঙ্গনের ভিতরে এই ৬টি মন্দিরের নির্মাণের কাজ শুরু হয়। মন্দির প্রাঙ্গণের বাইরে বিরাট এলাকা জুড়ে বাল্মীকি, বশিষ্ঠ, বিশ্বামিত্র, শবরী দেবী এবং জটায়ুর মন্দির নির্মাণের কাজ চলছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mohan Bhagwat: ‘ব্রিটিশরা সত্যকে ঢেকে ইতিহাসকে বিকৃত করেছিল, ’ নাগপুরে বললেন মোহন ভাগবত

    Mohan Bhagwat: ‘ব্রিটিশরা সত্যকে ঢেকে ইতিহাসকে বিকৃত করেছিল, ’ নাগপুরে বললেন মোহন ভাগবত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (আরএসএস) প্রধান (RSS Chief) মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat) বৃহস্পতিবার বলেছেন যে ব্রিটিশরা সত্যকে আড়াল করার চেষ্টা করেছিল। মানুষের মন মিথ্যা দিয়ে পূর্ণ করেছিল। তিনি আরও বলেন, ব্রিটিশরা তাদের ক্ষমতা এবং আমাদের অজ্ঞতার কারণে মিথ্যা প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছিল।

    ব্রিটিশরা সত্যকে ঢেকে দিয়েছিল! (Mohan Bhagwat)

    নাগপুরে সোমালওয়ার এডুকেশন সোসাইটির ৭০ তম প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দিতে গিয়ে মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat) একুশ শতকে শিক্ষকদের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করেছেন আরএসএস প্রধান। তিনি বলেন, “ব্রিটিশরা সত্যকে ঢেকে ইতিহাসকে বিকৃত করেছিল। আমাদের দেশের মানুষের মনকে অনেক মিথ্যা দিয়ে পূর্ণ করেছিল। তার মধ্যে সবচেয়ে বড় মিথ্যা ছিল যে ভারতের বেশিরভাগ লোক বাইরে থেকে এসেছিল। ভারতকে আর্যরা আক্রমণ করেছিল, তারা দ্রাবিড়দের সঙ্গে লড়াই করেছিল ইত্যাদি। তারা প্রচার করেছিল যে নিজের দ্বারা শাসন করা ভারতীয়দের রক্তের মধ্যে নেই এবং এখানকার লোকেরা ধর্মশালায় থাকা লোকদের মতো জীবনযাপন করে।” তিনি আরও বলেন, “ব্রিটিশ শাসকদের উদ্দেশ্য ছিল ভারতীয়দের তাদের ইতিহাস, পূর্বপুরুষ এবং গর্বিত ঐতিহ্য ভুলিয়ে দেওয়া। এই উদ্দেশ্য কার্যকরী করতে ব্রিটিশরা তথ্যের আড়ালে আমাদের মাথায় বেশ কিছু অসত্য বসিয়েছে।”

    আরও পড়ুন: ‘‘ডিএমকে পরাস্ত না হওয়া পর্যন্ত জুতো পরব না’’, সংকল্প তামিলনাড়ুর বিজেপি প্রধান আন্নামালাইয়ের

    ধর্মের নামে পৃথিবীতে নিপীড়ন-নৃশংসতা চলছে

    এর আগে সোমবার মহানুভব আশ্রমের শতকপূর্তি সমারোহে ভাষণ দিয়ে, আরএসএস প্রধান ভাগবত (Mohan Bhagwat) বিভিন্ন সম্প্রদায়কে একসঙ্গে কাজ করার এবং তাদের ধর্ম তাদের অনুসারীদের কাছে ব্যাখ্যা করার আহ্বান জানিয়েছিলেন। কারণ ধর্ম সম্পর্কে ভুল বোঝাবুঝি বিশ্বকে নৃশংসতার দিকে পরিচালিত করে। তিনি বলেছিলেন যে ধর্মের ভুল বোঝাবুঝির কারণে পৃথিবীতে নৃশংসতার ঘটনা ঘটে। ধর্মকে সঠিকভাবে পরিচালনা করে এমন সমাজের প্রয়োজন। ধর্ম খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি সঠিকভাবে শেখানো উচিত। ধর্মকে বুঝতে হবে, সঠিকভাবে না বুঝলে ধর্মের অর্ধেক জ্ঞান ‘অধর্ম’ হয়ে যাবে। তিনি আরও বলেছিলেন যে ধর্মের অনুপযুক্ত এবং অসম্পূর্ণ জ্ঞানই ‘অধর্ম’-এর দিকে নিয়ে যায়। ধর্মের নামে পৃথিবীতে যত নিপীড়ন ও নৃশংসতা চলছে তা ধর্ম সম্পর্কে ভুল বোঝাবুঝির কারণে ঘটেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Abdul Rehman Makki: পাকিস্তানে প্রয়াত ২৬/১১ হামলার অন্যতম চক্রী জঙ্গি আবদুল মাক্কি

    Abdul Rehman Makki: পাকিস্তানে প্রয়াত ২৬/১১ হামলার অন্যতম চক্রী জঙ্গি আবদুল মাক্কি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুম্বই জঙ্গি হামলার ষড়যন্ত্রকারী এবং লস্কর-ই-তইবা (LeT)-এর ডেপুটি প্রধান হাফিজ আবদুল রহমান মাক্কি প্রয়াত (Abdul Rehman Makki)। শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর, পাকিস্তানে (Pakistan) হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যু হয় তাঁর। গত কয়েকদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন মাক্কি। লাহোরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি।

    মাক্কি গ্রেফতার (Abdul Rehman Makki)

    ২০১৯ সালের মে মাসে মাক্কিকে গ্রেফতার করে পাকিস্তান সরকার। লাহোরে গৃহবন্দি করে রাখা হয় তাঁকে। ২০২০ সালে একটি পাকিস্তানি আদালত সন্ত্রাসে অর্থায়নের সঙ্গে সম্পর্কিত মামলায় দোষী সাব্যস্ত করে তাকে। দেওয়া হয় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে, মাক্কিকে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ বিশ্বব্যাপী জঙ্গি ঘোষণা করে। মাক্কি ২৬/১১ মুম্বই জঙ্গি হামলার জন্য অর্থায়নে জড়িত ছিলেন। ওই ঘটনায় ১৬৬ জন নিহত হয়েছিলেন। পাল্টা সন্ত্রাস-বিরোধী অভিযানে মোট নজন জঙ্গি নিহত হয়। জীবিত অবস্থায় ধরা পড়ে আমির আজমল কাসভ নামে এক জঙ্গি।

    রেড ফোর্ট হামলায় জড়িত

    মুম্বই জঙ্গি হামলা ছাড়াও মাক্কি ভারতে রেড ফোর্ট হামলায় জড়িত ছিল। সে ছিল ওয়ান্টেড জঙ্গি। ২২ ডিসেম্বর, ২০০০-এ ছজন সন্ত্রাসী রেড ফোর্টে আক্রমণ চালিয়েছিল। ২০১৮ সালে, মাক্কির সন্ত্রাসী সংগঠন লস্কর-ই-তইবা প্রবীণ সাংবাদিক ও রাইজিং কাশ্মীর সংবাদপত্রের সম্পাদক-প্রধান সুজাত বুখারি ও তার দুই নিরাপত্তারক্ষীকে হত্যার সঙ্গে জড়িত ছিল (Abdul Rehman Makki)।

    আরও পড়ুন: হত্যা করা হয়েছে সাংবাদিক সেজে থাকা ইসলামিক জেহাদি জঙ্গিদের, দাবি ইজরায়েলের

    মুম্বইয়ে ২৬/১১ হামলার ষড়যন্ত্রী সাজিদ মিরের মৃত্যু হয়েছিল আগেই। বৃহস্পতিবার মৃত্যু হয়েছে হাফিজ আবদুল সালাম ভুট্টভিরও। লস্কর-ই-তইবার প্রথম সারির নেতা ভুট্টভি। মুম্বইয়ে ওই হামলার অন্যতম চক্রী তিনি। পাকিস্তানেই মৃত্যু হয়েছে তাঁর। বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের তরফে লস্কর প্রতিষ্ঠাতা হাফিজ সইদের ঘনিষ্ঠ ওই নেতার মৃত্যু সংগঠনের কাছে বড় ধাক্কা। প্রসঙ্গত, গত এক বছরে পাকিস্তানে মোট ১২ জন ভারত বিরোধী চক্রী হয় খুন হয়েছেন, নয়তো রহস্যজনকভাবে মারা গিয়েছেন। হৃদযন্ত্র বিকল হওয়ায় ভট্টভির মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে নিরাপত্তা পরিষদ।

    এর আগে মুম্বই হামলার আর এক ষড়যন্ত্রকারী সাজিদ মির পাকিস্তানের ডেরা গাজি খানের সেন্ট্রাল জেলে মারা যান। তদন্তে জানা যায়, কেউ বা কারা (Pakistan) তাঁকে বিষ দিয়েছিলেন (Abdul Rehman Makki)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • India’s Telecom Sector: ৬জি পরিষেবা এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উপর জোর দিচ্ছে ভারতের টেলিকম দুনিয়া

    India’s Telecom Sector: ৬জি পরিষেবা এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উপর জোর দিচ্ছে ভারতের টেলিকম দুনিয়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রযুক্তির দ্রুত পরিবর্তনশীল দুনিয়ায় টেলিযোগাযোগের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রধানমন্ত্রী মোদির অন্যতম উদ্যোগ ‘ডিজিটাল ইন্ডিয়া’ কর্মসূচি, যা দেশের প্রযুক্তিগত অগ্রগতিকে উৎসাহিত করেছে। এই কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্য হল দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলিতে ইন্টারনেট এবং টেলিযোগাযোগ সুবিধা পৌঁছে দেওয়া, যাতে ডিজিটাল পরিষেবার মাধ্যমে জনগণের জীবনযাত্রার মান উন্নত করা যায়। প্রধানমন্ত্রীর এই ভাবনার সঙ্গে তাল মিলিয়েই এগিয়ে চলেছে ভারতের টেলিকম দুনিয়া। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) এবং ৬জি উদ্ভাবনে আগ্রহী হয়ে উঠেছে টেলিকম সংস্থাগুলি।

    দ্রুত হারে টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্কের প্রসার

    সেলুলার অপারেটর্স অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়া (সিওএআই) জানিয়েছে, ভারত বিশ্বে দ্রুততম হারে টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক প্রসার করছে। ৫জি প্রযুক্তির সাফল্য এবং ভবিষ্যতের জন্য ৬জি প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করছে দেশ। ভারতের টেলিযোগাযোগ শিল্প আন্তর্জাতিক স্তরে নিজেদের স্থান করে নিচ্ছে। ভারতে টেলিযোগাযোগ খাতে বিনিয়োগের অপার সম্ভাবনা রয়েছে। দেশে স্টার্টআপ সংস্কৃতি বিকাশ পাচ্ছে, যা প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন এবং উন্নতমানের টেলিযোগাযোগ সেবা প্রদানে সহায়ক। ভারতের টেলিযোগাযোগ শিল্প আন্তর্জাতিক স্তরে নতুন উচ্চতায় পৌঁছানোর জন্য প্রস্তুত। 

    ৬জি উদ্ভাবনে গুরুত্ব

    ভারতের টেলিকম খাত এখন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) এবং ৬জি উদ্ভাবনে মনোযোগী হয়ে উঠেছে, যেখানে সাবস্ক্রাইবার সংখ্যা ১.২ বিলিয়ন। এই খাতটি অসাধারণ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে, এবং ২০২৪ সালের অক্টোবর মাসে প্রতিটি ব্যবহারকারীর গড় মাসিক ডেটা ব্যবহারের পরিমাণ ২১.৩০ জিবি ছাড়িয়ে গিয়েছে। ৫জি বিসিটি সাইটের সংখ্যা ৪৬০,৫৯২টি ছাড়িয়ে গিয়েছে, যার ফলে ৫জি ব্যবহারকারীদের সংখ্যা ১২৫ মিলিয়ন অতিক্রম করেছে, যা ২০২৬ সালের মধ্যে ৩৫০ মিলিয়নে পৌঁছতে পারে।

    আরও পড়ুন: আয়করে ছাড় বাড়তে চলেছে! নতুন বছরের বাজেট নিয়ে কী ভাবছে কেন্দ্র?

    ফিক্সড ওয়্যারলেস অ্যাক্সেস (এফডাব্লিউএ), যা ৫জি ব্যবহারের অন্যতম প্রধান ক্ষেত্র, তা দ্রুত জনপ্রিয়তা পেয়েছে এবং এক বছরের মধ্যে প্রায় ৩ মিলিয়ন সংযোগ পৌঁছেছে। ভারতীয় টেলিকম খাত দেশের অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখে ৪ মিলিয়নেরও বেশি মানুষের কর্মসংস্থান প্রদান করছে, এবং এখন এটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) এবং ৬জি উদ্ভাবনে মনোনিবেশ করেছে। ভারতের ৫৫ শতাংশ টেলিকম, মিডিয়া এবং টেকনোলজি (টিএমটি) কোম্পানি ইতোমধ্যে এআই পুরোপুরি অন্তর্ভুক্ত করেছে, এবং আরও ৩৭ শতাংশ কোম্পানি এটি সম্প্রসারণের পর্যায়ে রয়েছে, বলে জানিয়েছে কেপিএমজি ইন্ডিয়া।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Karnataka: ঠিকাদারের আত্মহত্যা, কাঠগড়ায় কর্নাটকের মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ, কী বলছেন মন্ত্রী?

    Karnataka: ঠিকাদারের আত্মহত্যা, কাঠগড়ায় কর্নাটকের মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ, কী বলছেন মন্ত্রী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আত্মহত্যা করেছেন বছর ছাব্বিশের এক ঠিকাদার। তিনি কর্নাটকের (Karnataka) মন্ত্রী প্রিয়ঙ্ক খাড়্গের (Priyank Kharge) ঘনিষ্ট সহযোগী রাজু কাপনুরের বিরুদ্ধে গুরুতর অনিয়মের অভিযোগ করেছেন। সচিন নামের ওই ঠিকাদারের দেহ উদ্ধার হয় বিডার জেলার ভল্কি তালুকের কট্টিটুঙ্গাঁও গ্রামে রেললাইনের ওপর থেকে।

    উদ্ধার সুইসাইড নোট

    মৃতদেহের সঙ্গে সঙ্গে উদ্ধার হয় সাত পাতার একটি সুইসাইড নোটও। ওই নোটে তিনি রাজুর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন। ঘটনার জেরে তোলপাড় কর্নাটকের রাজনৈতিক মহল। সুইসাইড নোটে সচিন জানিয়েছেন, রাজু যখন কালাবুরাগি পুরসভার কর্পোরেটর ছিলেন, তখন তাঁকে একটি টেন্ডার পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ১৫ লাখ টাকারও বেশি প্রতারণা করেছেন। টেন্ডার কিংবা টাকা কোনওটাই তাঁকে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। আরও এক কোটি টাকা না দিলে রাজুর ক্ষতি করা হবে বলেও হুমকি দেওয়া হয়েছিল। সুইসাইড নোট প্রকাশ্যে আসায় কর্নাটকের ঠিকাদারদের দুরাবস্থার একটি অন্ধকার অধ্যায় উন্মোচিত হল বলে ধারণা রাজনৈতিক মহলের। সচিনের দেহ উদ্ধার করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে দেহ। ঘটনার তদন্ত দাবি করেছেন ওই ঠিকাদারের পরিবার। সুইসাইড নোটে যাঁদের নাম রয়েছে, তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতে পুলিশকে অনুরোধ করা হয়েছে সচিনের পরিবারের তরফে।

    আরও পড়ুন: বিশ্বের নেতারা প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংকে শেষ শ্রদ্ধা জানালেন, করলেন স্মৃতিচারণও

    বিপাকে মন্ত্রী

    ঘনিষ্ট সহযোগীর (Karnataka) নাম জড়ানোয় বিপাকে পড়েছেন কর্নাটকের কংগ্রেস সরকারের মন্ত্রী প্রিয়ঙ্ক। অভিযোগের প্রেক্ষিতে সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “আমি এই পরিস্থিতি সম্পর্কে সবে মাত্র জানতে পেরেছি। এটি কংগ্রেস দল বা আমার ঘনিষ্ঠ সহযোগীর সঙ্গে সম্পর্কিত হোক না কেন, আমি স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি চাইছি। সত্য উদ্ঘাটনে তদন্ত করা হবে। ধামাচাপা দেওয়া হবে না।” সচিনের তোলা অভিযোগগুলি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন প্রিয়ঙ্ক। মন্ত্রীর কথায় অবশ্য আশ্বস্ত হতে পারছেন না সে রাজ্যের মানবাধিকার কর্মী ও বিরোধী নেতারা। তাঁদের বক্তব্য, যথেষ্ট রাজনৈতিক ইচ্ছাশক্তি ও নিরপেক্ষ তদন্ত (Priyank Kharge) ছাড়া দুর্নীতি ও ঠিকাদারদের আত্মহত্যার এই চক্র অব্যাহত থাকতে পারে (Karnataka)। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এইচডি কুমারস্বামী বলেন, কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন সরকার ঠিকাদারদের জীবিকার সঙ্গে খেলা করছে। আমাদের রাজ্যের সামনে থাকা বহু সমস্যার সমাধান করার বদলে, কংগ্রেস সরকার অব্যাহতভাবে অরাজকতা সৃষ্টি করছে এবং দায়িত্ব নিতে অস্বীকার করছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

     

  • RSS: ‘‘দেশের প্রতি তাঁর অবদান আজীবন মনে থাকবে’’, মনমোহন সিংকে শেষ শ্রদ্ধা জানাল আরএসএস

    RSS: ‘‘দেশের প্রতি তাঁর অবদান আজীবন মনে থাকবে’’, মনমোহন সিংকে শেষ শ্রদ্ধা জানাল আরএসএস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রয়াত হয়েছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। ৭ দিনের জাতীয় শোক ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর রাতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী (Manmohan Singh)। তাঁর প্রয়াণে শোকাতুর গোটা দেশ। এই আবহে প্রয়াত প্রধানমন্ত্রীকে শেষ শ্রদ্ধার্ঘ জানাল রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ (RSS)।

    মনমোহন সিংয়ের প্রয়াণে গোটা দেশ শোকাহত 

    এ দিন আরএসএসের (RSS) তরফে সমাজমাধ্যমে পোস্ট করে বলা হয়, “প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা প্রবীণ নেতা ডঃ সর্দার মনমোহন সিংয়ের (Manmohan Singh) প্রয়াণে গোটা দেশ শোকাহত। রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ তাঁর পরিবার ও অগুনতি অনুরাগীদের সমবেদনা জানাচ্ছে।” আরএসএসের তরফে আরও বলা হয়, “সাধারণ ঘর থেকে উঠে এসেও তিনি দেশের সর্বোচ্চ পদে পৌঁছেছিলেন। দেশের প্রতি তাঁর অবদান আজীবন মনে রাখা হবে। ওনার আত্মার শান্তি কামনা করি।”

    নিজের বাড়িতেই সংজ্ঞাহীন হয়ে যান তিনি

    প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে শেষ শ্রদ্ধা জানান আরএসএসের সর সঙ্ঘচালক ডঃ মোহন ভাগবত ও দত্তাত্রেয় হোসাবলে। প্রসঙ্গত, গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে বাড়িতেই অসুস্থ হয়ে পড়েন মনমোহন সিং। নিজের বাড়িতেই সংজ্ঞাহীন হয়ে যান তিনি। এমন পরিস্থিতিতে তড়িঘড়ি দিল্লির এইমস হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। সবরকমের চেষ্টা করা হলেও, শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হন চিকিৎসকরা। রাত ৯টা ৫১ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং (Manmohan Singh)।

     

    আরও পড়ুন: বিশ্বের নেতারা প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংকে শেষ শ্রদ্ধা জানালেন, করলেন স্মৃতিচারণও

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Manmohan Singh: বিশ্বের নেতারা  প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংকে শেষ শ্রদ্ধা জানালেন, করলেন স্মৃতিচারণও

    Manmohan Singh: বিশ্বের নেতারা প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংকে শেষ শ্রদ্ধা জানালেন, করলেন স্মৃতিচারণও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবার বার্ধক্যজনিত অসুস্থতার কারণে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং (Manmohan Singh) ৯২ বছরে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। দু’বারের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এবং ভারতের অর্থনৈতিক সংস্কারের স্থপতির জন্য সারা বিশ্ব থেকে সমবেদনা বর্ষিত হয়েছে। অনেক বিশ্ব নেতা (World Leader) তাঁর অবদান এবং তাঁদের জাতির সঙ্গে উষ্ণ সম্পর্কের কথা তুলে ধরেছেন।

    সমবেদনা জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী (Manmohan Singh)

    মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন মনমোহন সিংকে (Manmohan Singh) মার্কিন-ভারত কৌশলগত অংশীদারিত্বের অন্যতম “সর্বশ্রেষ্ঠ চ্যাম্পিয়ন” বলে অভিহিত করেছেন। একইসঙ্গে তাঁর কাজ অনেক কিছুর ভিত্তি স্থাপন করেছিল বলে তিনি উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, “মার্কিন-ভারত বেসামরিক পারমাণবিক সহযোগিতা চুক্তির অগ্রগতিতে তাঁর নেতৃত্ব গত দুই দশকে একত্রে সম্পন্ন করেছে।” তিনি আরও বলেন, “ভারতে ডঃ সিংকে তার অর্থনৈতিক সংস্কারের জন্য স্মরণ করা হবে। আমরা ডক্টর সিংয়ের মৃত্যুতে শোকাহত। সর্বদা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ভারতকে কাছাকাছি নিয়ে আসার জন্য তার উত্সর্গকে স্মরণ করব।”

    আরও পড়ুন: ‘‘ডিএমকে পরাস্ত না হওয়া পর্যন্ত জুতো পরব না’’, সংকল্প তামিলনাড়ুর বিজেপি প্রধান আন্নামালাইয়ের

    শোক প্রকাশ করেছেন কানাডার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী

    মনমোহন সিংয়ের (Manmohan Singh) মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন কানাডার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী স্টিফেন হারপার। তিনি লিখেছেন, “আমার প্রাক্তন সহকর্মী প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং-এর মৃত্যুর খবর পেয়ে আমি দুঃখিত। তিনি ব্যতিক্রমী বুদ্ধিমত্তা, সততা এবং প্রজ্ঞার অধিকারী ছিলেন। লরিন এবং আমি তাঁর সমস্ত পরিবার এবং বন্ধুদের প্রতি আমাদের সমবেদনা জানাতে চাই”।

    প্রাক্তন আফগান রাষ্ট্রপতি হামিদ কারজাই কী বলেছেন?

    প্রাক্তন আফগান রাষ্ট্রপতি হামিদ কারজাই ডাঃ সিংকে “আফগানিস্তানের জনগণের অটল মিত্র এবং বন্ধু” হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেছেন, “ভারত তার সবচেয়ে কৃতি সন্তানদের একজনকে হারিয়েছে। ডঃ মনমোহন সিং (Manmohan Singh) ছিলেন আফগানিস্তানের জনগণের একজন অটল মিত্র এবং বন্ধু। আমি তার মৃত্যুতে গভীরভাবে শোকাহত এবং তার পরিবার, সরকার এবং ভারতের জনগণের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাই। তাঁর আত্মা চির শান্তি পায়”।

    মালদ্বীপের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি শোক প্রকাশ করেছেন

    মালদ্বীপের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি মহম্মদ নাশিদও শোক প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, “মনমোহন সিং চলে গিয়েছেন শুনে খুব খারাপ লাগছে। আমি সবসময়ই তার সঙ্গে কাজ করতে পেরে আনন্দিত। একজন পরোপকারী পিতার মতো ব্যক্তিত্ব পেয়েছি। তিনি মালদ্বীপের একজন ভালো বন্ধু ছিলেন।”

    স্মৃতি চারণ করেছেন ব্রাজিলের রাষ্ট্রপতি

    ব্রাজিলের রাষ্ট্রপতি লুলা দা সিলভাও ‘বন্ধু’ মনমোহন সিংকে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন। IBSA (ভারত, ব্রাজিল, দক্ষিণ আফ্রিকা) ডায়ালগ ফোরাম এবং ব্রিকস গ্রুপিং প্রতিষ্ঠায় তাঁর অবদান তিনি স্মরণ করেছেন। তিনি বলেছেন, “ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী (Manmohan Singh) মনমোহন সিং-এর মৃত্যুতে সমবেদনা জানাই। আমরা একুশ শতকের প্রথম দশকে সরকারের সমসাময়িক ছিলাম। আমাদের দেশের মধ্যে সম্পর্ক জোরদার করতে এবং একটি সুন্দর বিশ্ব গড়ে তুলতে একসঙ্গে কাজ করেছি। সিং আইবিএসএ তৈরিতে, ব্রাজিল, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং ভারতকে একত্রিত করা এবং ব্রিকস প্রতিষ্ঠায় জড়িত ছিলেন”। ব্রাজিলের রাষ্ট্রপতি ডক্টর সিংয়ের সঙ্গে ২০১২ সালে তার বৈঠকের কথাও স্মরণ করেন। তিনি বলেছেন, “২০১২ সালে যখন আমি আর রাষ্ট্রপতি ছিলাম না, তখন আমরা নয়াদিল্লিতে দেখা করেছিলাম। উন্নয়ন, দারিদ্র্য ও ক্ষুধা মোকাবিলা এবং গ্লোবাল সাউথের সহযোগিতার বিষয়ে অনেক কথা বলেছিলাম। ভারতের জনগণ, পরিবার, বন্ধুবান্ধব এবং সহচরদের প্রতি আমার আন্তরিক সহানুভূতি রইল”।

    নেপালের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী সমবেদনা জানিয়েছেন

    নেপালের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দাহাল ‘প্রচন্ড’ মনমোহন সিংয়ের (Manmohan Singh) মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন এবং তাঁকে “একজন দূরদর্শী নেতা এবং একজন অসাধারণ রাষ্ট্রনায়ক” বলে অভিহিত করেছেন। তিনি এক্স হ্যান্ডলে লিখেছেন, “তাঁর পরিবার এবং ভারতের জনগণের প্রতি আমার আন্তরিক সমবেদনা রয়েছে। তাঁর উত্তরাধিকার প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করবে”।

    শ্রীলঙ্কার প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি কী বললেন?

    শ্রীলঙ্কার প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি মাহিন্দা রাজাপাকসে বলেছেন, “প্রাক্তন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিং-এর (Manmohan Singh) মৃত্যুতে গভীরভাবে শোকাহত। একজন দূরদর্শী অর্থনীতিবিদ এবং ভারতের অর্থনৈতিক উদারীকরণের স্থপতি। তাঁর অবদান ভারতের জন্য একটি নতুন যুগের সূচনা করেছে। তাঁর পরিবার, বন্ধু এবং ভারতের জনগনের প্রতি আমার আন্তরিক সমবেদনা।”

    ফিনল্যান্ড-কোরিয়ান দূতাবাসের পক্ষ থেকে শোকপ্রকাশ

    ভারতে ফিনল্যান্ডের দূতাবাসও শোক প্রকাশ করে বলেছে, “রাষ্ট্রদূত কিমো লাহদেভির্তা এবং নয়াদিল্লিতে ফিনল্যান্ডের দূতাবাস ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিংয়ের মৃত্যুতে ভারতের জনগণের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করে।” ভারতে কোরিয়ান দূতাবাস লিখেছে: “প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিংয়ের মৃত্যুতে আমরা গভীরভাবে শোকাহত। এই ক্ষতির সময়ে আমরা তাঁর পরিবার এবং ভারতের জনগণের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানাই।” মনমোহন সিং ২০০৪ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউনাইটেড প্রোগ্রেসিভ অ্যালায়েন্স সরকারের দুই মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর শেষকৃত্য সম্পূর্ণ রাষ্ট্রীয় সম্মানের সঙ্গে পরিচালিত হবে। ডক্টর সিংয়ের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে দেশজুড়ে সাত দিনের রাষ্ট্রীয় শোক পালন করা হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • World Hindu Economic Forum 2024: অর্থনৈতিক শক্তিই ধর্ম এবং সামাজিক উন্নতির ভিত্তি, দাবি বিশ্ব হিন্দু অর্থনৈতিক মঞ্চের

    World Hindu Economic Forum 2024: অর্থনৈতিক শক্তিই ধর্ম এবং সামাজিক উন্নতির ভিত্তি, দাবি বিশ্ব হিন্দু অর্থনৈতিক মঞ্চের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ধর্মস্য মূলম অর্থম” – অর্থনৈতিক শক্তিই ধর্ম এবং সামাজিক উন্নতির ভিত্তি। বিশ্ব মঞ্চে আসন দখলের জন্য হিন্দুদের একত্রিত হয়ে নিজেদের অর্থনৈতিক শক্তি বৃদ্ধির কথা বলল বিশ্ব হিন্দু অর্থনৈতিক মঞ্চ। সম্প্রতি, মুম্বইয়ে এক সম্মেলনে মিলিত হয়েছিল তারা। বিশ্ব হিন্দু অর্থনৈতিক মঞ্চ (WHEF) এই সম্মেলন থেকেই এক রূপান্তরমূলক আন্দোলনের ডাক দেয়। সারা পৃথিবীজুড়ে হিন্দুদের তাদের বিশাল অর্থনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক সম্ভাবনা চিনতে এবং ব্যবহার করতে উদ্বুদ্ধ করে এই সংগঠন। মুম্বইয়ের প্রখ্যাত জিও কনভেনশন সেন্টারে ২০২৪ সালের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এখানে দেখানো হয়, হিন্দুরা একক উদ্দেশ্য এবং লক্ষ্য নিয়ে একত্রিত হলে কী সম্ভাবনা তৈরি হতে পারে।

    হিন্দুদের অর্থনৈতিক জাগরণ

    এই সম্মেলনে হিন্দুদের আধ্যাত্মিক এবং সাংস্কৃতিক অবদানগুলিকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে সম্প্রদায়ের অর্থনৈতিক ভিত্তির উপর জোর দেওয়া হয়েছে। বিশ্ব হিন্দু অর্থনৈতিক মঞ্চ জানায়, ২.৫ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতির বৈশ্বিক হিন্দু সম্প্রদায় তার পরিশ্রম এবং উদ্ভাবনের প্রতীক। তবে এই অর্থনৈতিক শক্তি এখনও পুরোপুরি কাজে লাগানো হয়নি। সংগঠনের দাবি, এটি একটি অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নকারী শক্তি। এই মঞ্চে হাজার হাজার হিন্দু পেশাজীবী, ব্যবসায়ী নেতা এবং নীতি নির্ধারকরা একত্রিত হয়েছিলেন। হিন্দুদের অর্থনৈতিক ভিত্তি মজবুত করার কথা বলা হয়। এই বিষয়ে একসঙ্গে ধারণা ভাগাভাগি এবং তার ওপর কাজ করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। হিন্দুদের অর্থনৈতিক স্বনির্ভরতা বাড়ানোর লক্ষ্যে নানা পদ্ধতি গ্রহণের কথা বলা হয়েছে। মঞ্চটির মূল লক্ষ্য ছিল ভারতকে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা। এমনকি কৃষি প্রযুক্তি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং প্রতিরক্ষা রফতানি সেক্টরে ভারতকে এক নম্বর জায়গা করে দেওয়াই এই সংগঠনের লক্ষ্য।

    প্রাচীন যুগে হিন্দুদের বিকাশ

    শুধু ভারতবর্ষ নয়, একটা সময় হিন্দু ধর্মের প্রভাব ছড়িয়ে পড়েছিল সকল দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলিতে। ইন্দোনেশিয়া, মালেশিয়ার মতো মুসলিম অধ্যুষিত দেশগুলিতে ছিল হিন্দুদের রমরমা। ভারতে পল্লব রাজাদের রাজত্বের সময় থেকে হিন্দুত্বের রমরমা বৃদ্ধি পায়। ইতিহাস ঘাটলে দেখা যাবে যে ১৫ শতকের আগে মালেশিয়ার আদিবাসীরা হয় হিন্দু ছিলেন, নতুবা বৌদ্ধ। ১ হাজার ৭০০ বছর আগে ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যিক পথ ধরে মালেশিয়ায় হিন্দুধর্ম ছড়িয়ে পড়ে। ভারতীয় ব্যবসায়ী, পণ্ডিত, পুরোহিতদের মাধ্যমে দেশটিতে হিন্দু ধর্মের প্রসার ঘটেছিল। জানা গিয়েছে, ৭ এবং ১৬ শতকে ইন্দোনেশিয়ায় বেশিরভাগ অঞ্চল হিন্দু রাজারা শাসন করেছিলেন। হিন্দুধর্ম এখনও ইন্দোনেশিয়ার ছয়টি সরকারি ধর্মের মধ্যে একটি। কম্বোডিয়ার মতো দেশটিতেও একসময় সংখ্যাগরিষ্ঠ ছিলেন হিন্দুরা। শিবের উপাসনা করেতেন তাঁরা। ১০০ খ্রিস্টপূর্বে থেকে ৫০০ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে ফানান সাম্রাজ্যের সময় কম্বোডিয়ায় হিন্দু ধর্মের বিকাশ ঘটেছিল। ১৫ শতক পর্যন্ত কম্বোডিয়ায় হিন্দু ধর্মের প্রাধান্য ছিল। আফগানিস্তানও ষষ্ঠ শতাব্দী পর্যন্ত হিন্দু ও বৌদ্ধ অধ্যুষিত ছিল।

    ভারতই হিন্দুত্বের আধার

    বিশ্বের নানা প্রান্তে হিন্দুদের বিকাশ ঘটলেও ভারতই ছিল হিন্দুত্বের আধার। ভারতের কাছে প্রতিভা, সম্পদ এবং বৈশ্বিক প্রসার রয়েছে যা নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয়। তবে, বৃহৎ চিন্তা এবং সাহসী পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য একটি সামগ্রিক ইচ্ছা প্রয়োজন। হিন্দু সম্প্রদায় যদি তাদের অর্থনৈতিক অবদানকে যথাযথভাবে মূল্যায়ন না করে, তবে তা একটি বড় সুযোগ হাতছাড়া করার মতো হবে, বলে বিশ্বাস বিশ্ব হিন্দু অর্থনৈতিক মঞ্চের। সংগঠনের লক্ষ্যই হল হিন্দুদের অর্থনৈতিক শক্তি এবং সামাজিক ঐক্যকে কাজে লাগিয়ে একটি দৃঢ় অবস্থান তৈরি করা।

    সামাজিক গঠন পূর্ণ করাই লক্ষ্য

    বিশ্ব হিন্দু অর্থনৈতিক মঞ্চ হিন্দু সম্প্রদায়ের সামাজিক গঠন পুনরুজ্জীবিত করার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। দীর্ঘদিন ধরে হিন্দুরা তাদের সাফল্যগুলি প্রকাশ্যে উদযাপন করতে অস্বস্তি বোধ করেছে। কিন্তু এটা কখনওই কাম্য নয়। হিন্দু ইতিহাস, মূল্যবোধ এবং সাফল্যগুলিকে সম্মান জানানো উচিৎ। ২০২৪ এ বিশেষভাবে দুই হিন্দুর মধ্যে ব্যবসায়িক লেনদেনের ওপর গুরুত্ব দেয় এই সংগঠন। এই পদ্ধতি সম্প্রদায়ের মধ্যে অর্থনৈতিক সংহতি স্থাপন করতে সাহায্য করবে, বলে মনে করে তারা। সংগঠনের দাবি, অর্থনৈতিক স্বনির্ভরতা, যা অন্তর্ভুক্তি ও সহযোগিতার মাধ্যমে গড়ে উঠবে, তা সামাজিক ঐক্যকে দৃঢ় করবে এবং বৈশ্বিক মঞ্চে হিন্দু সম্প্রদায়ের অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করবে।

    আরও পড়ুন: আয়করে ছাড় বাড়তে চলেছে! নতুন বছরের বাজেট নিয়ে কী ভাবছে কেন্দ্র?

    অর্থনৈতিক শক্তি এবং সাংস্কৃতিক গর্ব 

    ভারতীয় বংশোদ্ভূত জনগণের আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ও এই দৃষ্টিভঙ্গির একটি অপরিহার্য অংশ হিসেবে উঠে এসেছে। বিশ্বের নানা প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা এই সম্প্রদায় বহু বছর ধরে বিদেশী অর্থনীতিতে অবদান রেখেছে। তবে, ভারতীয়দের ভূমিকা এখনো পুরোপুরি ব্যবহৃত হয়নি। বিশ্ব হিন্দু অর্থনৈতিক মঞ্চ এই ব্যাপারে প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে, যাতে তারা ভারত এবং বিশ্বের মধ্যে এক সেতুবন্ধন তৈরি করতে সক্ষম হয়। অর্থনৈতিক শক্তি এবং সাংস্কৃতিক গর্ব একে অপরের পরিপূরক। ভারতীয় সংস্কৃতি এবং ধর্মীয় মূল্যবোধের ভিত্তিতে একটি সমৃদ্ধ ভারত গড়ে তোলার পথ কখনও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির বিরুদ্ধে নয়, বরং এটি দুটিই একত্রিত হয়ে পরিপূর্ণ হতে পারে। এখন প্রশ্ন হলো, হিন্দুরা কি তাদের অর্থনৈতিক শক্তি, সামাজিক মূলধন, এবং সাংস্কৃতিক গর্বকে একত্রিত করে একটি ঐক্যবদ্ধ শক্তি গঠন করতে প্রস্তুত? হিন্দু সম্প্রদায়ের দৃঢ় প্রতিজ্ঞা এবং সক্রিয় পদক্ষেপের মাধ্যমেই এই লক্ষ্য পূরণ হতে পারে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • ABVP: ‘‘দেশ গঠনের কাজ করছে এবিভিপি’’, বললেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী মোহন মাঝি

    ABVP: ‘‘দেশ গঠনের কাজ করছে এবিভিপি’’, বললেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী মোহন মাঝি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওড়িশা এবিভিপির (ABVP) ৪৯তম রাজ্য সম্মেলনে হাজির ছিলেন সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মোহন চরণ মাঝি। সেখানেই তিনি জানান যে অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ এমন একটি সংগঠন, যারা দেশ গঠনের কাজ করে চলেছে নিরন্তরভাবে। এবিভিপির জ্ঞান-চরিত্র-একতা আদর্শের কথাও তিনি তুলে ধরেন এদিন। তিনি আরও জানান, শিক্ষা এবং সমাজের বিভিন্ন সংস্কারমূলক কাজে অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। প্রসঙ্গত, এবিভিপি ওড়িশার ৪৯তম রাজ্য সম্মেলন শুরু হয় কটকের ইন্ডোর স্টেডিয়ামে এবং সেখানেই একথা বলতে শোনা যায় ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রীকে (Odisha CM)। মোহন মাঝি আরও বলেন, ‘‘জাতীয় স্বার্থে, জাতির পুনর্গঠনে দেশের ঐতিহ্য, সংস্কৃতিকে বহন করে চলেছে এবিভিপি।’’

    যে কোনও নিয়োগ পরীক্ষা স্বচ্ছভাবে সম্পন্ন হয় ওড়িশায়

    একই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী ওড়িশা সরকারের (ABVP) ছাত্রদরদী বিভিন্ন নীতির কথাও এদিন তুলে ধরেন নিজের বক্তব্যে। তিনি জানান, পরীক্ষা ব্যবস্থায়ও স্বচ্ছতা আনা হয়েছে ওড়িশায়। যে কোনও নিয়োগ পরীক্ষা স্বচ্ছভাবে সম্পন্ন হয় ওড়িশায়। এর পাশাপাশি জাতীয় শিক্ষানীতি-২০২০ নিয়েও এদিন কথা বলেন তিনি। ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য বিভিন্ন স্কলারশিপের ব্যবস্থাও ওড়িশায় রয়েছে বলে নিজের ভাষণে উল্লেখ করেন তিনি।

    রাজ্য সম্মেলনে হাজির ছিলেন এবিভিপি (ABVP) ওড়িশার রাজ্য সম্পাদক অরিজিৎ পট্টনায়ক

    ওড়িশায় পরবর্তী অ্যাকাডেমিক বছর থেকে বিভিন্ন কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে ছাত্র সংসদ নির্বাচন হবে বলেও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। নিজের বক্তব্যে মোহন চরণ মাঝি আরও জানান, আগামী দিনে অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের ছাত্র নেতৃত্বকেই ভবিষ্যতে ওড়িশার দায়িত্ব নিতে হবে। প্রত্যেক ছাত্র নেতৃত্বকে তিনি তাঁদের কর্তব্য এবং সমাজের দায়বদ্ধতাও স্মরণ করান। রাজ্য সম্মেলনে হাজির ছিলেন এবিভিপি (ABVP) ওড়িশার রাজ্য সম্পাদক অরিজিৎ পট্টনায়ক। তিনি সংগঠনের বার্ষিক রিপোর্ট পেশ করেন। ওড়িশা এবিভিপি এক লাখ সদস্য করাতে পেরেছে বলে তিনি নিজের রিপোর্টে উল্লেখ করেন। তিনি জানান, এই অ্যাকাডেমিক বছরে ১ লাখ ১৭ হাজার ৭৫৭ জন পড়ুয়া সংগঠনে নাম লিখিয়েছেন। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share