Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Sardar Vallabhbhai Patel: শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে ‘রাষ্ট্রীয় একতা দিবস’ পালনের নির্দেশ ইউজিসি-র, কেন তাৎপর্যপূর্ণ?

    Sardar Vallabhbhai Patel: শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে ‘রাষ্ট্রীয় একতা দিবস’ পালনের নির্দেশ ইউজিসি-র, কেন তাৎপর্যপূর্ণ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৩১ অক্টোবর। সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের (Sardar Vallabhbhai Patel) জন্মবার্ষিকী। দিনটিকে ভারত সরকার ‘রাষ্ট্রীয় একতা দিবস’ (Rashtriya Ekta Diwas) হিসেবে ঘোষণা করেছে। যুবসমাজের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি ও দিনটিকে স্মরণীয় করে তুলতে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনও উদ্যোগী হয়েছে। তারা দেশের উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে ‘রাষ্ট্রীয় একতা দিবস’ পালনের আহ্বান জানিয়েছে। সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের জন্মবার্ষিকী যাতে যথাযথভাবে পালিত হয়, তাই এই উদ্যোগ। এ বছর সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের ১৫০তম জন্মবার্ষিকী। দু’বছর ধরে দেশজুড়ে অনুষ্ঠান পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।

    ‘রাষ্ট্রীয় একতা দিবসে’র গুরুত্ব (Sardar Vallabhbhai Patel)

    ‘রাষ্ট্রীয় একতা দিবস’ একটি বিশেষ দিন, যা আমাদের বল্লভভাই প্যাটেলের ভারতের একীকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা মনে করিয়ে দেয়। তাঁর দূরদর্শিতা ও নেতৃত্ব ভারতের একতা প্রতিষ্ঠায় সহায়ক ছিল। এই দিনটি আমাদের জাতির একতা ও অখণ্ডতা রক্ষায় আমাদের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করার সুযোগ দেয়। ইউজিসির বক্তব্য, রাষ্ট্রীয় একতা দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো একতা ও অখণ্ডতা প্রচারের প্রতি তাদের অঙ্গীকার প্রদর্শন করতে পারে, যা দেশের যে কোনও চ্যালেঞ্জের বিরুদ্ধে সুরক্ষা দিতে কাজে লাগবে।

    কী কী অনুষ্ঠান করতে হবে

    এই অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অংশগ্রহণ কেবল বল্লভভাই প্যাটেলের ঐতিহ্যকে সম্মান জানায় না, শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্মীদের দৈনন্দিন জীবনে গুরুত্বপূর্ণ নীতিগুলিকে ধারণ করতে অনুপ্রাণিত করে (Sardar Vallabhbhai Patel)। দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে বলা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান। শপথ নেওয়ার সময় কী পাঠ করতে হবে, বিজ্ঞপ্তিতে তাও বলে দেওয়া হয়েছে।

    আরও পড়ুন: ধনতেরাসে বিধি মেনে পুজোয় অকাল মৃত্যুর হাত থেকে মুক্তি, লাভ হয় অপার ঐশ্বর্য

    ঐক্যের জন্য দৌড়ের আয়োজনও করতে বলা হয়েছে। জাতীয় ঐক্যের বার্তা পৌঁছে দিতেই আয়োজন করা প্রয়োজন ঐক্যের জন্য দৌড়ের। এই দৌড়ে সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে শামিল করানোর কথাও বলা হয়েছে। উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো ‘রাষ্ট্রীয় একতা দিবসে’ (Rashtriya Ekta Diwas) কী কী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হল, তার ছবি এবং ভিডিও ইউএএমপি পোর্টালে আপলোড করতেও বলা হয়েছে (Sardar Vallabhbhai Patel)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Cyber Crime: ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ‘ভাড়া নিয়ে’ গজিয়ে উঠেছে সাইবার প্রতারণা-চক্র, সতর্কবার্তা কেন্দ্রের

    Cyber Crime: ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ‘ভাড়া নিয়ে’ গজিয়ে উঠেছে সাইবার প্রতারণা-চক্র, সতর্কবার্তা কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাইবার জালিয়াতি (Cyber Crime) নিয়ে ফের দেশবাসীকে সতর্ক করল কেন্দ্র। অবৈধ পেমেন্ট গেটওয়ে ব্যবহার করে নেট দুনিয়ায় প্রতারণার জাল বুনছে অপরাধীরা। কোনও পেমেন্ট গেটওয়ে ব্যবহার করার আগে ভালো করে তা খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক (Home Ministry)। কেন্দ্রের রিপোর্ট, অনলাইনে আর্থিক লেনদেনের একাধিক বেআইনি মাধ্যম চালু করেছে প্রতারকরা, তাই সেই অ্যাকাউন্টগুলো সম্পর্কে সতর্ক থাকা উচিত। কেন্দ্রের তরফে এই অ্যাকাউন্টগুলো চিহ্নিত করার কাজ চলছে।

    তৃতীয় কোনও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের ব্যবহার

    অনলাইন প্রতারণার (Cyber Crime) ক্ষেত্রে বেশিরভাগ সময়েই দেখা যায় প্রতারকরা নিজেদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে না। কারণ এতে ধরা পড়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তাই তৃতীয় কোনও ব্যক্তির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করা হয়। এগুলিকে অনেকটা ভাড়ায় নেওয়া ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বলা যায়। সম্প্রতি এই ভাড়ায় নেওয়া ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে বেআইনি ‘পেমেন্ট গেটওয়ে’ তৈরি করে ফেলেছে প্রতারকরা। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অধীনস্থ ইন্ডিয়ান সাইবার ক্রাইম কোঅর্ডিনেশন সেন্টার (আই৪সি) থেকে এ বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক জানিয়েছে, গুজরাট পুলিশ এবং অন্ধ্রপ্রদেশ পুলিশ সম্প্রতি দেশের একাধিক প্রান্তে হানা দিয়েছিল। সেই অভিযান চলাকালীনই এই তথ্য গোয়েন্দাদের হাতে এসেছে। মূলত সাইবার অপরাধের জন্যই এই ধরনের বেআইনি লেনদেন মাধ্যমগুলি ব্যবহার করা হচ্ছে।  

    আরও পড়ুন: আখনুরে সেনা কনভয়ে হামলায় ব্যবহৃত স্টিল-বুলেট, পাল্টা অভিযানে খতম তিন জঙ্গি

    কোন ধরনের অ্যাকাউন্টের ব্যবহার

    ইন্ডিয়ান সাইবার ক্রাইম কোঅর্ডিনেশন (Home Ministry) সেন্টারের তথ্য অনুসারে, প্রতিদিন প্রায় চার হাজারের আশপাশে এই ধরনের ভাড়া নেওয়া ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট চিহ্নিত করছে বিভিন্ন তদন্তকারী সংস্থা। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক জানিয়েছে, বেশির ভাগ ক্ষেত্রে সমাজমাধ্যম ব্যবহার করেই ভাড়া নেওয়ার জন্য ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টগুলি খোঁজে প্রতারকরা। মূলত ব্যবহার হয় টেলিগ্রাম এবং ফেসবুক। কখনও ভুতুড়ে সংস্থা আবার কখনও কোনও ব্যক্তির নামে থাকা এই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টগুলি সাধারণত বিদেশ থেকে পরিচালিত হয়। প্রতারণার কাজে ব্যবহারের জন্য এগুলিকেই আগে পছন্দ করে সাইবার জালিয়াতরা। কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে ‘পিস পে’, ‘আরটিএক্স পে’, ‘পোকো পে’, ‘আরপি পে’-সহ এমন আরও বেশ কিছু ভুয়ো ‘পেমেন্ট গেটওয়ে’ জালিয়াতরা ব্যবহার করছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Himanta Biswa Sarma: ঝাড়খণ্ড থেকে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী তাড়াতে ‘লঙ্কাকাণ্ডে’র হুঁশিয়ারি হিমন্তের

    Himanta Biswa Sarma: ঝাড়খণ্ড থেকে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী তাড়াতে ‘লঙ্কাকাণ্ডে’র হুঁশিয়ারি হিমন্তের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটমুখী ঝাড়খণ্ডে (Jharkahnd) প্রচারে গিয়ে নিজের স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা (Himanta Biswa Sarma)। অনুপ্রবেশকারীদের তাড়াতে দিলেন লঙ্কাকাণ্ডের হুঁশিয়ারি। বাংলাদেশি মুসলিম অনুপ্রবেশকারীদের জন্য ঝাড়খণ্ডের জনবিন্যাস বদলে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। নিজের বক্তব্যে হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেন, ‘‘হনুমানজির লঙ্কায় আগুন ধরিয়ে দিয়েছিলেন। তাই আমাদেরও সোনার ঝাড়খণ্ড তৈরি করতে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে আগুন জ্বালাতে হবে।’’

    অনুপ্রবেশকারীদের আধার কার্ড বানিয়ে দিচ্ছে মাদ্রাসাগুলি 

    প্রসঙ্গত, ঝাড়খণ্ডের (Jharkahnd) নির্বাচনে সহ পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব রয়েছে অসমের মুখ্যমন্ত্রীর। সে রাজ্যের ক্ষমতাসীন ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা ও কংগ্রেস জোটের বিরুদ্ধে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের তোষণ করার বড় অভিযোগ রয়েছে। শুধু তাই নয়, সেখানকার আদিবাসী সম্প্রদায়ের মহিলাদের বিয়ে করে স্থায়ীভাবে সেখানে বসতি করার অভিযোগও রয়েছে অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে। বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের আধার কার্ড তৈরি করে দেওয়া হচ্ছে ঝাড়খণ্ডের মাদ্রাসাগুলি থেকে এবং এভাবেই তারা রাজ্যে থাকতে পারছে, এমন অভিযোগও করেন হিমন্ত (Himanta Biswa Sarma)। তাঁর আরও অভিযোগ, ‘‘ক্রমশই ঝাড়খণ্ডে কমে চলেছে আদিবাসীদের জনসংখ্যা।’’

    আরও পড়ুন: ব্রাজিলে জি২০ সম্মেলনে দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করবেন সুকান্ত মজুমদার

    ঝাড়খণ্ডে বিজেপি ক্ষমতায় এলে এনআরসি চালু করবে, বললেন হিমন্ত (Himanta Biswa Sarma) 

    এর পাশাপাশি, হিমন্ত বিশ্ব শর্মা (Himanta Biswa Sarma) এদিন আরও বলেন, ‘‘প্রত্যেক মুসলমানই অনুপ্রবেশকারী নয়, কিন্তু প্রশ্ন উঠছে মুসলিম জনসংখ্যার বৃদ্ধি দেখে। কীভাবে বিগত পাঁচ বছরে এত বিপুল সংখ্যক বেড়ে গেল মুসলিম জনসংখ্যা! তাদের পরিবার কি ১০ থেকে ১২টি ছেলের জন্ম দিচ্ছে? সেটা নিশ্চই নয়। তাই এটা বুঝতেই হবে যে ভারতের বাইরে থেকে এসেই অনুপ্রবেশকারীরা মুসলিম জনসংখ্যা বাড়িয়ে দিচ্ছে।’’ এদিন সরাসরি ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সরেনকে আক্রমণ শানিয়ে হিমন্ত বিশ্ব শর্মা আরও বলেন, ‘‘ঝাড়খণ্ডে বিজেপি ক্ষমতায় এলে এনআরসি চালু করবে, বিশেষত সাঁওতাল পরগনাগুলিতে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jammu Kashmir: আখনুরে সেনা কনভয়ে হামলায় ব্যবহৃত স্টিল-বুলেট, পাল্টা অভিযানে খতম তিন জঙ্গি

    Jammu Kashmir: আখনুরে সেনা কনভয়ে হামলায় ব্যবহৃত স্টিল-বুলেট, পাল্টা অভিযানে খতম তিন জঙ্গি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জম্মু কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) সীমান্তঘেঁষা আখনুর সেক্টরে ভারতীয় সেনার কনভয়ে জঙ্গি হামলার (Akhnoor Terror Attack) ঘটনার পর জওয়ানদের প্রত্যাঘাতে তিন হামলাকারী খতম হয়েছে। এখনও তল্লাশি-অভিযান চলছে। সেনা অভিযানে বেশ কিছু অস্ত্র এবং গোলা-বারুদ উদ্ধার হয়েছে বলেও খবর। এখানেই দেখা যায়, হামলায় সেনার সাঁজোয়া গাড়ি ভেদ করতে সক্ষম এমন আধুনিক স্টিলের গুলি ব্যবহার করেছিল জঙ্গিরা। এই অভিযানে বীর বিক্রমে লড়াই করে শহিদ হয়েছে সেনা-সারমেয় ফ্যান্টম।

    বানচাল জঙ্গিদের ছক

    সেনার তরফে জানানো হয়, সোমবার সকাল ৭টা নাগাদ এই জঙ্গি হানার ঘটনা ঘটে। বালতাল এলাকায় তিন জন জঙ্গি আচমকাই সেনার গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে শুরু করে। স্থানীয়দের দাবি, হামলাকারীরা সংখ্যায় ছিল তিন জন। সেনাবাহিনীর কনভয়ে ছিল একটি অ্যাম্বুল্যান্স, যার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সবচেয়ে বেশি। এর পরেই জঙ্গিদের ধরতে পাল্টা অভিযান শুরু করে সেনা। দ্রুত গোটা এলাকা ঘিরে ফেলেন জওয়ানরা। জঙ্গিদের খোঁজে জঙ্গলেও তল্লাশি চালানো হয়। জঙ্গিদের অবস্থান বুঝতে জঙ্গলে যায় সেনার ‘কে-৯’ ব্রিগেডের সদস্য ফ্যান্টম। তাকে দেখেই গুলি চালাতে শুরু করে আত্মগোপন করে থাকা জঙ্গিরা। গুলি এসে লাগে ফ্যান্টমের। কিন্তু, ততক্ষণে জঙ্গিদের অবস্থান সম্পর্কে জেনে যায় বাহিনী। শহিদ হয় ফ্যান্টম। গুলির লড়াইয়ে নিহত হয় সেনা সারমেয় ফ্যান্টম। এর পর শুরু হয় জঙ্গি-বাহিনীর গুলির লড়াই। প্রায় ২৪-ঘণ্টা অতিক্রান্ত হওয়ার পর খবর মেলে যে তিন জঙ্গিই বাহিনীর অভিযানে খতম হয়েছে। নিরাপত্তা বাহিনী এলাকা থেকে প্রচুর অস্ত্র ও গোলাবারুদ বাজেয়াপ্ত করেছে।

    দীপাবলি উপলক্ষ্যে কড়া নিরাপত্তা

    দীপাবলি উৎসব উপলক্ষে নিরাপত্তা বাহিনী জম্মু-কাশ্মীরে (Jammu and Kashmir) নিরাপত্তার কড়াকড়ি অনেকটাই বাড়িয়ে দেয়। তারই মধ্যে ঘটে গেল এই হামলার ঘটনা। জঙ্গিদের কাছ থেকে প্রাপ্ত গোলা-বারুদের মধ্যে বেশ কিছু ছিল অত্যাধুনিক। সহজেই সেনার সাঁজোয়া গাড়ি ভেদ করতে সক্ষম এরকম স্টিলের বুলেট ব্যবহার করেছিল জঙ্গিরা। মঙ্গলবার সকালে সেনার তরফে জানানো হয়, সোমবার সারাদিন তল্লাশি অভিযান চলে আখনুরে। অবশেষে তিন জঙ্গি নিহত হয়।

    আরও পড়ুন: বদলে গেল সময়, ২০২৫-এর একাদশ শ্রেণির দ্বিতীয় সেমিস্টারের পরীক্ষা শুরু কখন?

    গত কয়েক দিন ধরেই জম্মু ও কাশ্মীরে (Jammu and Kashmir) বার বার জঙ্গি হামলার ঘটনা হচ্ছে। গত বৃহস্পতিবার পর্যটন কেন্দ্র গুলমার্গ থেকে কিছু দূরে সেনার গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে জঙ্গিরা। নিহত হন দুই জওয়ান এবং সেনাবাহিনীর দুই মালবাহক। আরও এক মালবাহক এবং জওয়ান ওই ঘটনায় আহত হয়েছেন। জঙ্গিদের ধরতে ওই এলাকায় অভিযান শুরু করে সেনা। এর আগে ২০ অক্টোবর গান্ডেরবাল জেলার শ্রীনগর-লেহ্ জাতীয় সড়কে একটি নির্মীয়মাণ সুড়ঙ্গের কাছে জঙ্গি-হামলায় মৃত্যু হয়েছিল ছয় নির্মাণ শ্রমিকের। তাঁরা সকলেই ভিন্‌রাজ্যের বাসিন্দা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: ব্রাজিলে জি২০ সম্মেলনে দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করবেন সুকান্ত মজুমদার

    Sukanta Majumdar: ব্রাজিলে জি২০ সম্মেলনে দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করবেন সুকান্ত মজুমদার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামিকাল, বুধবার ৩০ অক্টোবর, ব্রাজিলে জি২০ (G20 Summit) গোষ্ঠীভুক্ত দেশেগুলির শিক্ষামন্ত্রীর সম্মেলনে ভারতের প্রতিনিধি হিসেবে যোগ দেবেন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। প্রসঙ্গত, প্রণব মুখোপাধ্যায়ের পরে তিনিই কোনও বাঙালি, যিনি আন্তর্জাতিক মঞ্চে দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করবেন।

    তুলে ধরবেন জাতীয় শিক্ষানীতির নানা বিষয়

    জি২০ (G20 Summit) অন্তর্ভুক্ত দেশগুলির শিক্ষামন্ত্রীরা আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে শিক্ষার গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে এই সম্মেলনে আলোচনা করবেন বলে জানা গিয়েছে। ডিজিটাল মাধ্যমে শিক্ষাপ্রদান, শিক্ষাদানের বিভিন্ন পদ্ধতি, দক্ষতা বৃদ্ধি ইত্যাদি নিয়ে এই সম্মেলনে আলোচনা চলবে। মোদি সরকার ইতিমধ্যে গ্রহণ করেছে জাতীয় শিক্ষানীতি-২০২০। এই নীতি ভারতবর্ষের শিক্ষা ব্যবস্থাকে আমূল পরিবর্তন করেছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) জাতীয় শিক্ষানীতির নানা বিষয় তুলে ধরবেন নিজের বক্তব্যে।

    কী বলছেন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)?

    এ প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, ‘‘জি২০-তে যে সদস্য দেশগুলি আছে, তাদের সমস্ত শিক্ষামন্ত্রীর একটি বৈঠক হবে। একাধিক সেশন আছে তাতে। এটা বিরাট বড় একটা সুযোগ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে সেজন্য ধন্যবাদ জানাই। তাঁর আমলে শিক্ষা ব্যবস্থাকে যেভাবে সমাজে বিভিন্ন স্তরে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য।’’

    আগামীদিনে ভারত গোটা পৃথিবীর ‘এডুকেশন হাব’ হয়ে উঠতে পারে

    সুকান্ত মজুমদার আরও বলেন, ‘‘চারটি দেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা হবে। ব্রাজিল, দক্ষিণ আফ্রিকা, ইংল্যান্ড এবং সৌদি আরব। সেখানে ভারত কী কী কাজ করছে, তারা কী কী কাজ করছে এগুলো উঠে আসবে। বিদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলি চাইলে ভারতে ক্যাম্পাস খুলতে পারে। ইউজিসির নিয়ম মেনে। এই বিষয়গুলি তাদের কাছে বলব। যাতে আগামীদিনে ভারত গোটা পৃথিবীর ‘এডুকেশন হাব’ হয়ে উঠতে পারে।’’

    শিক্ষা যৌথ তালিকায় পড়ে

    তাঁর আরও সংযোজন, ‘‘শিক্ষা যৌথ তালিকায় পড়ে। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে যে উদ্যোগগুলি নেওয়া হয়েছে, সেগুলি বলব। পশ্চিমবঙ্গের মতো দু’-একটি রাজ্য ছাড়া বাদ বাকি সব রাজ্য কেন্দ্রের সঙ্গে শিক্ষা বা এই ধরনের যেগুলো যৌথ তালিকায় যে বিষয়গুলি আছে তাতে তাল মিলিয়ে, কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সবাই চলছে। যেমন-আউটরিচ প্রোগ্রামে আইআইটি মাদ্রাজ অন্যতম উদ্যোগ নিয়েছে। উত্তরপ্রদেশ সরকার ভালো কাজ করছে। আবার তামিলনাড়ুতে আমাদের সরকার নেই, অন্য পার্টির সরকার আছে। সেখানে তারা ভালো কাজ করছে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: মঙ্গলে বিপুল অঙ্কের উন্নয়ন প্রকল্পের সূচনা করবেন প্রধানমন্ত্রী

    PM Modi: মঙ্গলে বিপুল অঙ্কের উন্নয়ন প্রকল্পের সূচনা করবেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার প্রায় ১২ হাজার ৮৫০ কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্পের সূচনা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। এদিনই তাঁর সরকারের প্রধান স্বাস্থ্য বীমা প্রকল্প (Health Projects) আয়ুষ্মান ভারতের আওতায় নিয়ে আসবেন ৭০ বছর ও তার বেশি বয়সী সকল নাগরিককে। প্রধানমন্ত্রী নবম আয়ুর্বেদ দিবস এবং চিকিৎসার দেবতা ধন্বন্তরীর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এই বৃহৎ স্বাস্থ্য খাতের পদক্ষেপের কথা ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এদিকে, একটি পৃথক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী কেন্দ্রীয় সরকারের ‘রোজগার মেলা’র অংশ হিসেবে যুবকদের মধ্যে ৫১ হাজারেরও বেশি নিয়োগপত্র বিতরণ করবেন।

    প্রধানমন্ত্রীর গুচ্ছ কর্মসূচি (PM Modi)

    সরকারি একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী নয়াদিল্লিতে ভারতের প্রথম অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ আয়ুর্বেদের দ্বিতীয় পর্যায়ের উদ্বোধন করবেন। এতে একটি পঞ্চকর্ম হাসপাতাল, ঔষধ উৎপাদনের জন্য একটি আয়ুর্বেদিক ফার্মেসি, একটি ক্রীড়া মেডিসিন ইউনিট, একটি কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার, একটি আইটি ও স্টার্টআপ ইনকিউবেশন সেন্টার এবং ৫০০ আসনের একটি অডিটোরিয়াম-সহ অন্যান্য সুবিধা মিলবে। মধ্যপ্রদেশের মন্দসৌর, নিমুচ এবং সিওনিতে তিনটি মেডিকেল কলেজের উদ্বোধনও করবেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)।

    সুবিধা এবং পরিষেবা সম্প্রসারণ

    এদিনই তিনি বিভিন্ন এইমসের সুবিধা এবং পরিষেবা সম্প্রসারণের উদ্বোধনও করবেন। এর মধ্যে রয়েছে হিমাচল প্রদেশের বিলাসপুর, পশ্চিমবঙ্গের কল্যাণী, বিহারের পাটনা, উত্তর প্রদেশের গোরখপুর, মধ্যপ্রদেশের ভোপাল, আসামের গৌহাটি এবং দিল্লির জন ঔষধি কেন্দ্রের উদ্বোধনও। মধ্যপ্রদেশের শিবপুরী, রতলাম, খান্ডওয়া, রাজগড় এবং মন্দসৌরে পাঁচটি নার্সিং কলেজের ভিত্তিপ্রস্তরও স্থাপন করবেন প্রধানমন্ত্রী।

    আরও পড়ুন: গণেশপুজো বিতর্কে মুখ খুললেন চন্দ্রচূড়, মুখের মতো জবাব দিলেন সমালোচকদের

    হিমাচল প্রদেশ, কর্ণাটক, মণিপুর, তামিলনাড়ু এবং রাজস্থানে আয়ুষ্মান ভারত হেলথ ইনফ্রাস্ট্রাকচার মিশনের অধীনে ২১টি ক্রিটিকাল কেয়ার ব্লকের এবং দিল্লি ও হিমাচল প্রদেশের বিলাসপুরে এইমসের বিভিন্ন সুবিধা ও পরিষেবা সম্প্রসারণেরও উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। অন্যান্য প্রকল্পের মধ্যে তিনি মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরে একটি ইএসআইসি হাসপাতালের উদ্বোধন করবেন। হরিয়ানার ফরিদাবাদ, কর্ণাটকের বোম্মাসান্দ্র ও নারাসাপুর, মধ্যপ্রদেশের ইন্দোর, উত্তরপ্রদেশের মিরাট এবং অন্ধ্রপ্রদেশের আচ্ছুতাপুরমে ইএসআইসি হাসপাতালের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনও করবেন (Health Projects) প্রধানমন্ত্রী। এই প্রকল্পগুলির মাধ্যমে উপকৃত হবেন প্রায় ৫৫ লাখ ইএসআই সুবিধাভোগী (PM Modi)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Census: নতুন বছরেই হবে জনগণনা, লোকসভার আসন পুনর্বিন্যাস ২০২৮ সালের মধ্যেই

    Census: নতুন বছরেই হবে জনগণনা, লোকসভার আসন পুনর্বিন্যাস ২০২৮ সালের মধ্যেই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: করোনা অতিমারির কারণে ২০২১ সালে হয়নি জনগণনা (Census)। নতুন বছরে সম্ভবত সেটাই শুরু করতে চলেছে নরেন্দ্র মোদি সরকার। শেষ হবে ২০২৬ সালে। জনগণনা-পর্ব শেষ হলে শুরু হবে লোকসভা কেন্দ্রের সীমানা পুনর্বিন্যাসের কাজ। ২০২৮ সালের মধ্যে সেই কাজ শেষ হতে পারে বলে সূত্রের খবর।

    ১০ বছর অন্তর জনগণনা (Census)

    প্রতি ১০ বছর অন্তর জনগণনা হত। নতুন দশকের প্রথম বছরে অনুষ্ঠিত হত এটি। শেষবার জনগণনা হয়েছিল ২০১১ সালে। হিসেব অনুযায়ী, পরেরবার জনগণনা হওয়ার কথা ছিল ২০২১ সালে। তবে করোনা অতিমারির কারণে ওই বছর হয়নি জনগণনা। সেটাই হবে ২০২৫ সালে। আর ২০২৫ সালে জনগণনা হলে, পরেরবার সেনসাস হবে ২০৩৫ সালে। তার পরেরটা হবে ২০৪৫ সালে। এভাবেই চলতে থাকবে। এই জনগণনায় জাতিগত জনগণনার দাবি উঠছে। যদিও এ বিষয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি বলেই সূত্রের খবর।

    সম্প্রদায় সমীক্ষা করা হতে পারে

    তবে সম্প্রদায় সমীক্ষা করা হতে পারে। এটি করা হবে ওবিসি, এসসি এবং এসটি বিভাগগুলির নির্ধারিত কাঠামোর মধ্যে। সম্প্রদায় ভিত্তিক জনগোষ্ঠী সম্পর্কে তথ্য পেতেই এবার সম্প্রদায় সমীক্ষা করা হতে পারে (Census)। যেমন, কর্নাটকের লিঙ্গায়েতরা সাধারণ শ্রেণির অন্তর্ভুক্ত। যদিও তারা নিজেদের ভিন্ন সম্প্রদায় হিসেবে বিবেচনা করে। এদিকে, মৃত্যুঞ্জয় কুমার নারায়ণের কেন্দ্রীয় ডেপুটেশনের মেয়াদ ২০২৬ সালের অগাস্ট মাস পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। তিনি বর্তমানে ভারতের রেজিস্ট্রার জেনারেল ও সেনসাস কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। উত্তরপ্রদেশ ক্যাডারের ১৯৯৫ ব্যাচের এই আইএএস অফিসার ২০২০ সাল থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অধীনে এই গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োজিত রয়েছেন।

    আরও পড়ুন: গণেশপুজো বিতর্কে মুখ খুললেন চন্দ্রচূড়, মুখের মতো জবাব দিলেন সমালোচকদের

    এদিকে, নির্বাচনী কেন্দ্রগুলির সীমানা পুনর্বিন্যাসের ফলে লোকসভার আসন সংখ্যা বাড়তে পারে। বর্তমানে লোকসভার আসন সংখ্যা ৫৪৫টি। তার মধ্যে নির্বাচন হয় ৫৪৩টিতে। সীমানা পুনর্বিন্যাসের জেরে লোকসভার আসন বেড়ে হতে পারে ৭৫৩টি। সীমানা পুনর্বিন্যাস হলে বদলে যেতে পারে ভারতের রাজনৈতিক মানচিত্রও (Census)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।   

  • Digital Arrest: ‘ডিজিটাল গ্রেফতার’ ফাঁদে চার মাসে ১২০ কোটি টাকা খুইয়েছেন লক্ষাধিক মানুষ, উদ্বিগ্ন কেন্দ্র

    Digital Arrest: ‘ডিজিটাল গ্রেফতার’ ফাঁদে চার মাসে ১২০ কোটি টাকা খুইয়েছেন লক্ষাধিক মানুষ, উদ্বিগ্ন কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাইবার প্রতারণার এক নতুন অস্ত্র ‘ডিজিটাল গ্রেফতার’ (Digital Arrest)। সাম্প্রতিক সময়ে ‘ডিজিটাল গ্রেফতার’ যে ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে, তাতে চিন্তার ভাঁজ দেখা দিয়েছে পুলিশ ও তদন্তকারী আধিকারিকদের কপালে। চলতি বছরের প্রথম চার মাসেই প্রায় ১২০ কোটি টাকার প্রতারণা হয়েছে। এই নথি শুধু সরকারি হিসাবে। যে অভিযোগগুলো জমা পড়েনি, তার হিসাব যোগ করলে প্রতারণার অঙ্ক আরও বেশি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ প্রসঙ্গে ইতিমধ্যেই রবিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) তাঁর ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে সকলকে সতর্ক করেছেন।

    কোন ফাঁদে কত টাকা খুইছে মানুষ

    কেন্দ্রীয় সরকারের সাইবার অপরাধ (Digital Arrest) নথিভুক্তির পোর্টাল (এনসিআরপি)-র তথ্য অনুসারে গত কয়েক বছরে সাইবার অপরাধের প্রবণতা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেয়েছে। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এপ্রিলের মধ্যে ৭ লাখ ৪০ হাজার অভিযোগ জমা পড়েছে। ২০২৩ সালে গোটা বছরে অভিযোগ জমা হয়েছিল সাড়ে ১৫ লাখের কিছু বেশি। ২০২২ সালে অভিযোগ জমা পড়েছিল সাড়ে ৯ লাখের কিছু বেশি। ২০২১ সালে ছিল তা ছিল সাড়ে ৪ লাখ। এই পরিসংখ্যান ক্রমশ বাড়ছে। সরকারি হিসাব অনুসারে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এপ্রিলের মধ্যে ১২০ কোটি ৩০ লাখ টাকার ‘ডিজিটাল গ্রেফতার’ হয়েছে। এ ছাড়া ওই একই সময়ের মধ্যে লগ্নির টোপ দিয়ে প্রতারণা হয়েছে ২২২ কোটি ৫৪ লাখ টাকার। বন্ধুত্বের অ্যাপ থেকে প্রতারণা হয়েছে ১৩ কোটি ২৩ লাখ টাকার। পাশাপাশি, শেয়ার বাজার সংক্রান্ত সাইবার প্রতারণাতেও প্রচুর মানুষ টাকা খুইয়েছেন। ট্রেডিংয়ের টোপে ১৪২০ কোটি টাকার প্রতারণা হয়েছে চলতি বছরের প্রথম চার মাসে।

    আরও পড়ুন: সাইবার অপরাধের নতুন ফাঁদ ‘ডিজিটাল গ্রেফতারি’! সতর্কবার্তা প্রধানমন্ত্রী মোদির

     সজাগ থাকার পরামর্শ

    এর মধ্যে একেবারে নতুন প্রতারণার পন্থা হল ‘ডিজিটাল গ্রেফতার’ (Digital Arrest)। নামের সঙ্গেই রয়েছে ‘গ্রেফতার’। প্রথম বার ‘ডিজিটাল গ্রেফতার’ শুনলে মনে হতেই পারে, হয়তো ডিজিটাল মাধ্যমে গ্রেফতার করা হচ্ছে। প্রতারকরাও এটাই বোঝানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু গ্রেফতারির সঙ্গে এর দূর দূরান্তেও কোনও সম্পর্ক নেই। পুরোটাই জালিয়াতি। সাইবার প্রতারণা থেকে বাঁচতে মানুষকে ভেবেচিন্তে কাজ করার পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। ভয় না পেয়ে সজাগ থাকতে বলেছেন সকলকে। ন্যাশনাল সাইবার হেল্পলাইনে ফোন করে জানানোর পরামর্শ দেন মোদি। হেল্পলাইন নম্বরটি হল ১৯৩০। পাশাপাশি স্থানীয় থানাতেও এ বিষয়ে অভিযোগ জানানোর কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Gujarat: জনবিন্যাস নষ্ট করার ষড়যন্ত্র ফাঁস! গুজরাটে গ্রেফতার ৫১ অবৈধ বাংলাদেশি

    Gujarat: জনবিন্যাস নষ্ট করার ষড়যন্ত্র ফাঁস! গুজরাটে গ্রেফতার ৫১ অবৈধ বাংলাদেশি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বেআইনি ভাবে ভারতে অনুপ্রবেশ (Bangladeshis) করে অবৈধভাবে গুজরাটে (Gujarat) বসবাস করছিলেন বেশ কিছু বাংলাদেশি। একই ভাবে তারা এলাকা দখল করে প্রাকৃতিক ভারসাম্য এবং জনবিন্যাস পরিবর্তনের মাধ্যমে নাশকাতামূলক ষড়যন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত ছিল বলে জানা যাচ্ছে। আমেদাবাদ পুলিশের দুর্নীতি দমন শাখা ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে গত ২৫ অক্টোবর মোট ৫১ জন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে গ্রেফতার করেছে। একই ভাবে আরও ২৫০ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে অন্যান্য যোগসূত্র এবং ষড়যন্ত্রের তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।

    স্যাটেলাইটে চিত্র ধরা পড়েছে (Gujarat)

    সূত্রে জানা গিয়েছে, বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা (Bangladeshis) বেআইনি ভাবে চান্দোলা লেকের আশেপাশের এলাকায় জবরদখল করে অস্থায়ী বসতি নির্মাণ করেছিল। উল্লেখ্য এই এলাকায় নর্মদা নদীর পাইপলাইন স্থাপন করা হয়েছে। যে সব এলাকায় জল সঙ্কট দেখা দেয়, সেখানে এই পাইপ লাইনের মাধ্যমে জল সরবরাহ করা হয়। তদন্তকারী অফিসাররা জানিয়েছেন, “এই অনুপ্রবেশকারীরা নিকটবর্তী পিরানা (Gujarat) বর্জ্য ফেলার জায়গা থেকে প্রক্রিয়াজাত নোংরা এবং আবর্জনা জলের পাইপ লাইনে ফেলে জল সরবরাহকে বন্ধ করে দেওয়ার কাজ করছিল। উপগ্রহ চিত্রে ১৯৮৫, ২০১১ এবং ২০২৪ সালের স্যাটেলাইটে স্পষ্টভাবে সেই চিত্র ধরা পড়েছে। ফলে হ্রদের জলের স্তর ব্যাপক ভাবে কমে গিয়েছে। এই ভাবে প্রাকৃতিক ভারসাম্যকে নষ্ট করার গভীর ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। আপাতত তদন্ত চলছে। এই অপকর্মের সম্পূর্ণ জালকে খোঁজ করা হচ্ছে।”

    বেআইনি ভাবে হ্রদের আশে পাশে ঝুপড়ি নির্মাণ!

    উপগ্রহ চিত্র সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, এই চান্দোলা (Gujarat) এলাকায়, বাংলাদেশিরা বেআইনি ভাবে হ্রদের আশে পাশে ঝুপড়ি নির্মাণ করে জমি কব্জা করে রেখে ছিল। সেই সঙ্গে জলাজমি বেআইনি ভাবে মাটি দিয়ে ভরাট করে ক্রমাগত বাস্তুতন্ত্রকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছে। একদিকে, যেমন পানীয় জল সরবরাহে ব্যাঘাত ঘটেছে, তেমনি বর্জ্য পদার্থের প্রক্রিয়াজাত কাজেও অত্যন্ত প্রভাব ফেলেছে। উপগ্রহ চিত্রে জানা গিয়েছে, গত ১৫ বছরে এলাকার বিরাট পরিবর্তন ঘটিয়ে ফেলা হয়েছে। এখন প্রশ্ন এই ভাবে প্রাকৃতিক ভারসাম্যকে নষ্ট করার মূলচক্রী কে? এটা কী কোনও বৃহৎ ষড়যন্ত্রের অঙ্গ, সেটাই তদন্ত করছে ক্রাইম ব্রাঞ্চ।

    ৬০-৭০ শতাংশ অবৈধ নির্মাণ গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে

    আমেদাবাদ (Gujarat) দুর্নীতি দমনকারী শাখার এসিপি ভরত প্যাটেল বলেন, “গত কয়েক মাস ধরে, আহমেদাবাদ ক্রাইম ব্রাঞ্চ অবৈধ বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছে৷ অভিযানের অধীনেই তাদের চিহ্নিত করে ফেরত পাঠানো হয়েছিল। আবার অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে৷ গত মাসে, মানব পাচার, অবৈধ লেনদেন এবং জাল ভারতীয় নথির দুটি মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছিল। এরপর আটজনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তারপরেও তদন্ত থেমে নেই। এবার মোট ৫১ জন বাংলাদেশিকে আটক করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে পাওয়া নথি থেকে যাচাই করা হয়েছে। ভুয়ো কাগজ এবং নথি তৈরি করার জন্য এফআইআর করা হয়েছে। এখন এই চান্দোলা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৬০-৭০ শতাংশ অবৈধ নির্মাণ গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।”

    উদ্ধার ভুয়ো আধার-প্যান

    একইভাবে আমেদাবাদে (Gujarat) গ্রেফতার হওয়া বাংলাদেশিদের (Bangladeshis) কাছ থেকে যে সব সমগ্রী পাওয়া গিয়েছে তার মধ্যে রয়েছে ভারতীয় আধার কার্ড, প্যান কার্ড। ধৃতরা সকলেই বাংলাদেশের নাগরিক। তবে প্রত্যেকের কাগজে পশ্চিমবঙ্গের উল্লেখ রয়েছে। বেআইনি ভাবে কাজপত্র তৈরি করে সরকারি সুবিধাগুলি নিচ্ছিল বলে দাবি করেন তদন্তকারী অফিসাররা। ভারতীয় নাগরিকদের জন্য যে জনমুখী কল্যাণকর প্রকল্পের সুবিধা দেওয়া হয়, সেগুলি আইনের ফাঁক দিয়ে সুযোগ নিচ্ছে বলে চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে।

    আরও পড়ুন: “বিকশিত ভারতের জন্যই প্রয়োজন বিকশিত মহারাষ্ট্রের”, বললেন জয়শঙ্কর

    যোগ মিলেছে নারী পাচারের চক্র!

    তবে আমেদাবাদ (Gujarat) পুলিশের ডিসি অজিত রাজিয়ান এবং যুগ্ম কমিশনার শরদ সিংঘল সহ পুলিশ কর্মকর্তারা বলেন, “স্থানীয় মানুষের সঙ্গে মিশে যেতে এই ধরনের ভুয়ো নথি কাগজ ব্যবহার করেছে দুষ্কৃতীরা। শুধু তাই নয়, বাংলাদেশ থেকে নারী পাচার করে আমেদাবাদে আনা হত এবং সেখান থেকে অন্যত্র পাচার চক্র চলত।” একইভাবে দেশ-বিরোধী একাধিক কাজের সূত্র মিলেছে বলে জানা গিয়েছে। এলাকায় এখন পুলিশ এবং নিরাপত্তা কর্মীদের নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে। হ্রদের প্রকৃতিক ভারসাম্য এবং নর্মদা থেকে জল সরবরাহে কোনও রকম সমস্যা তৈরি করা হলে প্রশাসন কড়া হাতে দমন করবে বলে স্পষ্ট মত প্রকাশ করেছে গুজরাট সরকার।     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: প্রয়াত রতন টাটাকে স্মরণ! বরোদায় সি-২৯৫ বিমান তৈরির কারখানার উদ্বোধন মোদির

    PM Modi: প্রয়াত রতন টাটাকে স্মরণ! বরোদায় সি-২৯৫ বিমান তৈরির কারখানার উদ্বোধন মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বরোদায় টাটা এয়ারক্রাফ্ট কমপ্লেক্সের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সাঞ্চেজ। এই কমপ্লেক্সে তৈরি হবে সি-২৯৫ সামরিক বিমানের ৫৬টি ইউনিট, যার মধ্যে ১৬টি স্পেন থেকে সরাসরি এয়ারবাস দ্বারা সরবরাহ করা হবে এবং বাকি ৪০টি বরোদার কারখানায় তৈরি হবে। এটি ভারতে বেসরকারি খাতের প্রথম ফাইনাল অ্যাসেম্বলি লাইন (FAL) যা সামরিক বিমান তৈরির জন্যই ব্যবহৃত হবে।

    বড় পদক্ষেপের ঘোষণা প্রধানমন্ত্রীর

    এই প্রকল্পে বিমানের পূর্ণাঙ্গ নির্মাণ, অ্যাসেম্বলি, পরীক্ষা, মান যাচাই, সরবরাহ ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ প্রক্রিয়া অবলম্বন করা হবে। ২০২১ সালে স্পেনের এয়ারবাস ডিফেন্স অ্যান্ড স্পেস এসএ-র সঙ্গে ২১,৯৩৫ কোটি টাকার চুক্তি স্বাক্ষর করে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। যার আওতায় এই বিমানগুলো সরবরাহ করা হবে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, “টাটা-এয়ারবাস ম্যানুফ্যাকচারিং ফেসিলিটি ভারত-স্পেন সম্পর্ককে মজবুত করবে এবং ‘মেক ইন ইন্ডিয়া, মেক ফর দ্য ওয়ার্ল্ড’ মিশনকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।” ভবিষ্যতে এই কারখানায় তৈরি বিমানগুলো ভারত থেকে রফতানি করা হবে বলেও আশাপ্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী।

    রতন টাটার স্মৃতিচারণা প্রধানমন্ত্রীর

    টাটা সন্সের চেয়ারম্যান এন চন্দ্রশেখরণ জানান, এই প্রকল্পের ধারণা রতন টাটা ২০১২ সালে করেছিলেন। তিনি বলেন, “এই প্রকল্পের পুরো ভাবনা এবং এয়ারবাসের সঙ্গে অংশীদারিত্বের ভিত্তি তিনিই স্থাপন করেছিলেন। তাঁর পথপ্রদর্শক নেতৃত্বকে আমি শ্রদ্ধা জানাই।” প্রাক্তন টাটা সন্সের চেয়ারম্যান রতন টাটার স্মৃতিচারণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “সম্প্রতি আমরা দেশের মহান সন্তান রতন টাটাজিকে হারিয়েছি। তিনি আজ আমাদের মধ্যে থাকলে খুশি হতেন। কিন্তু যেখানে তাঁর আত্মা আছে, সেখানেই তিনি খুশি থাকবেন।” 

    বিমানের সুবিধা

    সি-২৯৫ হল ৫-১০ টন ক্ষমতার একটি সামরিক পরিবহণ বিমান। যা বর্তমান অ্যাভ্রো-৭৪৮ বিমানের পরিবর্তে ব্যবহার করা হবে। বিমানটি ৭১ জন জওয়ান বা ৫০ জন প্যারাট্রুপার (কমান্ডো) পরিবহণের জন্য উপযুক্ত এবং সব ধরনের আবহাওয়ায় কাজ করতে সক্ষম। এই প্রকল্প প্রসঙ্গে স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সাঞ্চেজ বলেন, “এই প্রকল্প ভারতীয় এয়ারস্পেস শিল্পের অগ্রগতিতে নতুন দ্বার উন্মুক্ত করবে।” তিনি টাটাকে একটি “বিশ্বজোড়া প্রভাবশালী প্রতিষ্ঠান” হিসেবে অভিহিত করেন। তাঁর কথায়, “এই প্রকল্প আমাদের শিল্প সম্পর্ককে শক্তিশালী করবে এবং আমাদের দেশকে একটি নির্ভরযোগ্য কৌশলগত অংশীদার হিসেবে তুলে ধরবে।” 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share