Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • NDA Leaders Meet: কংগ্রেসের মিথ্যা প্রচার ঠেকাতে নাড্ডার বাড়িতে বৈঠক এনডিএ’র

    NDA Leaders Meet: কংগ্রেসের মিথ্যা প্রচার ঠেকাতে নাড্ডার বাড়িতে বৈঠক এনডিএ’র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বড়দিনে, বুধবার বিজেপি সভাপতি ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জেপি নাড্ডার (NDA Leaders Meet) বাড়িতে বিশেষ বৈঠকে বসে এনডিএ’র শীর্ষ নেতৃত্ব। ছিলেন বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব ও জোটের মুখ্যমন্ত্রীরা। বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডার (JP Nadda) বাসভবনে প্রায় এক ঘণ্টার বৈঠকে (NDA meeting) উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, জেপি নাড্ডা, তেলেগু দেশম পার্টির প্রধান চন্দ্রবাবু নাইডু, আপনা দল নেত্রী অনুপ্রিয়া প্যাটেল, জেডিএস নেতা এইচডি কুমারস্বামী, টিডিপি নেতা রামমোহন নাইডু এবং জেডিইউর রাজীবরঞ্জ সিং। এনডিএর এই বৈঠক কংগ্রেসকে আম্বেদকর ইস্যুতে চাপে ফেলতে একটি সুপরিকল্পিত পদক্ষেপ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

    কংগ্রেসের বিরুদ্ধে কৌশল

    সূত্রের খবর, বৈঠকে (NDA Leaders Meet) আম্বেদকর ইস্যু নিয়ে আলোচনা হয়। অমিত শাহ অভিযোগ করেন যে তাঁর বক্তব্যের একটি অংশ কংগ্রেসের তরফে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আউট অফ কনটেক্সট তুলে ধরা হয়েছে এবং তা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করা হয়েছে। এই প্রসঙ্গে এনডিএ শরিকদের কংগ্রেসের ভূমিকা তুলে ধরতে বলা হয়েছে। অমিত শাহ শরিকদের অনুরোধ করেন, সংবিধান রচনায় কংগ্রেসের অবদান এবং আম্বেদকরের ইস্যুতে তাদের দাবির যথার্থতা নিয়ে সরব হতে। এছাড়া, শরিকদেরকে এই বিষয়ে জনসংযোগ বাড়ানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বৈঠক প্রসঙ্গে  চন্দ্রবাবু নাইডু বলেন, “আম্বেদকর ইস্যুতে এনডিএর অবস্থান স্পষ্ট। শরিকদের সঙ্গে এই বিষয়ে কৌশল নির্ধারণ করা হয়েছে।”

    আরও পড়ুন: জাল পরিচয় পত্র তৈরির সঙ্গে যুক্ত পাঁচ বাংলাদেশি নাগরিক সহ ১১ জন গ্রেফতার

    শরিকদের মধ্যে সমন্বয়

    বৈঠকে (NDA Leaders Meet) সিদ্ধান্ত হয়, শরিকদের সঙ্গে সম্পর্ক আরও জোরদার করতে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এক্ষেত্রে, একজন পূর্ণমন্ত্রী এবং একজন রাষ্ট্রমন্ত্রী নিয়মিতভাবে শরিকদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখবেন। এনডিএর পক্ষ থেকে প্রতিটি ইস্যুতে শরিকদের জানানো হবে এবং তাদের মতামত গ্রহণ করা হবে। এই পদক্ষেপের মাধ্যমে শরিকদের মধ্যে সমন্বয় বজায় রাখা হবে বলে মনে করা হচ্ছে। দিল্লি এবং বিহারের আসন্ন নির্বাচনের প্রসঙ্গও বৈঠকে উত্থাপিত হয়। নির্বাচনে এনডিএ শরিকদের কৌশল কী হবে এবং কীভাবে ভোটারদের আকৃষ্ট করা যাবে, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বৈঠক নিয়ে অনুপ্রিয়া প্যাটেল বলেন, “আমাদের মধ্যে সমন্বয় আরও জোরদার করতে মন্ত্রীদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হবে। আমরা সব সময় এনডিএর সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ।” এইচডি কুমারস্বামীর কথায় , “আসন্ন নির্বাচনের আগে এমন বৈঠক খুবই প্রয়োজন ছিল। আমরা সবাই মিলে এনডিএর অবস্থান আরও মজবুত করতে কাজ করব।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Veer Bal Diwas: ক্রিসমাসে পালিত হয় বীর বাল দিবস, কী কারণে জানেন?

    Veer Bal Diwas: ক্রিসমাসে পালিত হয় বীর বাল দিবস, কী কারণে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২৫ ডিসেম্বর বড়দিন পালন করেন খ্রিস্টানরা। এই সময় বীর শহিদদের স্মরণ করেন পঞ্জাবিয়াত ও শিখ পন্থ অনুসরণকারীরা (Veer Bal Diwas)। ১৭০৪ সালের ২১ থেকে ২৭ ডিসেম্বরের মধ্যে শহিদ হন চার সাহিবজাদে অজিত সিংজি, জুজহার সিংজি, জোরাওয়ার সিংজি এবং ফতেহ সিংজি। এই চারজন হলেন দশম শিখ গুরু গুরু গোবিন্দ সিংহের চার ছেলে (The Unforgettable Sacrifice)। স্নেহভরে তাঁদের সাহিবজাদে বলে ডাকা হয়।

    অসীম বীরত্ব গাথা (Veer Bal Diwas)

    এই সপ্তাহটা শিখেরা সাহিবজাদের অসীম বীরত্বের কথা স্মরণ করেন। সাহিবজাদে বলতে বোঝায় ভদ্র ও উজ্জ্বল বংশোদ্ভূত তরুণদের। ১৭০৪ সালের ২০ ডিসেম্বরের শীতের রাতে, গুরু গোবিন্দ সিংজি, তাঁর স্ত্রী মাতাজিতোজি, তাঁদের চার পুত্র, পঞ্চ পিয়ারে এবং পন্থ অনুসরণকারী বেশ কয়েকজন যোদ্ধা আনন্দপুর সাহিব দুর্গ ত্যাগ করেন। মুঘল ও পাহাড়ি রাজা তাদের নিজ নিজ ধর্মে পবিত্র কোরআন এবং গরুকে সাক্ষী রেখে শপথ করেছিল যে তারা দুর্গ আক্রমণ করবে না। তবে ২০-২১ ডিসেম্বরের রাতে, মুঘলরা তাদের প্রতিজ্ঞা ভঙ্গ করে। আনন্দপুর সাহিব থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরে সরসা নদীর তীরের একটি জায়গায় মুঘলরা গুরু গোবিন্দ সিংজি ও তাঁর দলের ওপর আক্রমণ চালায়। এই আক্রমণের জায়গাটি “পরিবার বিচোরা” নামে পরিচিত। এর স্মরণে নির্মিত গুরুদ্বারকে “গুরুদ্বার পরিবার বিচোরা সাহিব” বলা হয়। এই আক্রমণের ফলে গুরুর পরিবার বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। গুরু গোবিন্দি সিংজির ভাই মণি সিং দিল্লির দিকে যাত্রা করেন।

    শহিদ দুই সাহিবজাদে

    ডিসেম্বর ২১ তারিখ বিকেলে, গুরু গোবিন্দ সিংজি দুই জ্যেষ্ঠ সাহিবজাদে, পাঁচজন পাঞ্জ পিয়ারা এবং চল্লিশজন যোদ্ধাকে নিয়ে শিখ পন্থ অনুসরণ করে চমকৌর যাত্রা করেন। ডিসেম্বর ২২ তারিখে, খালসা ও জ্যেষ্ঠ সাহিবজাদারা, যারা বড় সাহিবজাদে নামে পরিচিত – মাত্র ১৮ এবং ১৪ বছর বয়সে বিশাল মুঘল সেনার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে গিয়ে শহিদ হন। এই যুদ্ধ ইতিহাসে চমকৌরের যুদ্ধ বা চমকৌর সাহিবের যুদ্ধ নামে পরিচিত (The Unforgettable Sacrifice)। পন্থ অনুসরণকারী ৪০ জন যোদ্ধা এবং তিনজন পাঞ্জ পিয়ারা দশ হাজার মুঘল সৈন্যের বিরুদ্ধে লড়াই করতে গিয়ে জীবন দেন (Veer Bal Diwas)। গুরু গোবিন্দ সিংয়ের মতো আর এক সদস্য সংঘত সিং, গুরুর মতো পোশাক পরেন ও সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। আলোচনার চেষ্টা ব্যর্থ হলে, যোদ্ধারা বিপুল মুঘল সৈন্যদের সঙ্গে যুদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেন, যা গুরুকে সরে যাওয়ার সুযোগ করে দেয়। পরদিন সকালে শেষ যোদ্ধারা মুঘল সৈন্যদের হাতে নিহত হন। সংঘর্ষ চলাকালীন গুরু গোবিন্দ সিংয়ের দুই কনিষ্ঠ পুত্র বাবা জোরাওয়ার সিং ও ফতেহ সিং এবং তাঁদের ঠাকুরমা, মাতাজি গুজরি, অন্যদের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন।

    আরও পড়ুন: ভারতে আসতে মুখিয়ে ওলি, ‘পাত্তা’ই দিচ্ছে না দিল্লি, কেন জানেন?

    ইসলাম ধর্ম গ্রহণ না করার পরিণাম

    বাবা জোরাওয়ার সিং, বাবা ফতেহ সিং এবং তাদের ঠাকুমা ১৭০৪ সালের ২১ ডিসেম্বর সকালে মরিন্দার কর্মচারী জনি খান এবং মণি খান রঙ্গরের দ্বারা আটক হন। পরের দিন তাদের সিরহিন্দে পাঠানো হয়, যেখানে তাদের দুর্গের ঠান্ডা টাওয়ারে রাখা হয়। এই স্থানের স্মৃতিতে বিখ্যাত গুরুদ্বার ফতেহগড় সাহিব গড়ে উঠেছে। ১৭০৪ সালের ২৩ ডিসেম্বর, চমকৌর থেকে ফিরে আসা ফৌজদার নবাব ওয়াজির খান ও তার সামন্ত মিত্র মালেরকোটলার নবাব শের মুহাম্মদ খান, বাবা জোরাওয়ার সিংজি এবং বাবা ফতেহ সিংজিকে তাদের সামনে হাজির করেন। ওয়াজির খান তাঁদের ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করতে রাজি (Veer Bal Diwas) করানোর জন্য সম্পদ ও সম্মানের প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু সাহিবজাদারা এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন।

    প্রাণনাশের হুমকিতেও অটল

    তিনি তাঁদের প্রাণনাশের হুমকি দেন। তবুও তাঁরা তাদের অবস্থান থেকে সরে আসেননি। শেষমেশ এই দুজনকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়। শের মুহাম্মদ নিরপরাধ শিশুদের জীবন রক্ষা করার জন্য অনুরোধ করার পর, সাহিবজাদাদের ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করার প্রস্তাব পুনর্বিবেচনার জন্য অতিরিক্ত সময় দেওয়া হয়। তীব্র শীতের (The Unforgettable Sacrifice) মধ্যে, সাহিবজাদা জোরাওয়ার সিং এবং তার ভাই তাদের বৃদ্ধ ঠাকুমার কোলে ঠান্ডা টাওয়ারে অতিরিক্ত দুদিন কাটান। তা সত্ত্বেও দুই সাহিবজাদা ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করতে অস্বীকার করেন। খালসা পন্থের প্রতি অটল ও বিশ্বস্ত থেকে যান। এরপর ওয়াজির খান তাঁদের চারপাশে ইটের প্রাচীর নির্মাণের নির্দেশ দেন। জীবন্ত সমাধিস্থ হয়ে শহিদ হন দুই সাহিবজাদা।

    মারা যান মাতাজি গুজর কৌরও

    পরে যখন মাতাজি গুজর কৌর জানতে পারেন যে তাঁর ছোট দুই নাতি শহিদ হয়েছেন, শোক সহ্য করতে না পেরে সেদিনই তিনি মারা যান। ১৭০৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর, সিরহিন্দের মাটিতে এই ভয়াবহ অপরাধ সংঘটিত হয়। “ছোটে সাহিবজাদে”, যাদের বয়স ছিল মাত্র ৬ এবং ৯ বছর, সিরহিন্দে মুঘলদের দ্বারা নিহত হন। ফতেহগড় সাহিব, পঞ্জাব, ভারতের এই স্থানের নাম দেওয়া হয়েছে জ্যোতি স্বরূপ গুরুদ্বার সাহিব। প্রতি বছর ২১ থেকে ২৭ ডিসেম্বর, ফতেহগড় সাহিব গুরুদ্বারে এই শহিদদের স্মরণে শাহিদি জোড় মেলা অনুষ্ঠিত হয়। এই দিনটি তরুণ সাহিবজাদাদের (Veer Bal Diwas) সাহস, বীরত্ব এবং আত্মত্যাগের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। তার পর থেকে এই দিনটি পালিত হয় বীর বাল দিবস হিসেবে। সপ্তাহব্যাপী স্মরণ করা হয় এই তরুণ বীরদের (The Unforgettable Sacrifice)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Delhi: জাল পরিচয় পত্র তৈরির সঙ্গে যুক্ত পাঁচ বাংলাদেশি নাগরিক সহ ১১ জন গ্রেফতার

    Delhi: জাল পরিচয় পত্র তৈরির সঙ্গে যুক্ত পাঁচ বাংলাদেশি নাগরিক সহ ১১ জন গ্রেফতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবৈধ ভিসা ও পাসপোর্ট তৈরির চক্রের হদিশ পেল দিল্লি পুলিশ (Delhi)। দিল্লিতে অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে বড় অভিযান চালিয়ে ৫ বাংলাদেশি নাগরিক সহ ১১ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এরা জাল ভারতীয় পরিচয়পত্র তৈরির সাথে জড়িত বলে সন্দেহ পুলিশের। ২৪ ডিসেম্বর, দিল্লি পুলিশ এই ১১ জনকে গ্রেফতার করে। এরা অবৈধ অভিবাসীদের জন্য জাল আধার কার্ড, জন্ম সনদ, এবং অন্যান্য পরিচয়পত্র তৈরি করছিল। এই চক্রটি প্রধানত বাংলাদেশি নাগরিকদের ভারতীয় পরিচয়পত্র পেতে সাহায্য করছিল।

    জাল নথি তৈরির চক্রের হদিশ

    দক্ষিণ দিল্লির (Delhi) ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (DCP) অঙ্কিত চৌহান জানিয়েছেন, গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে আধার কার্ড অপারেটর, প্রযুক্তিগত বিশেষজ্ঞ এবং জাল ডকুমেন্ট তৈরি সংক্রান্ত কাজের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা রয়েছে। তারা সম্প্রতি সান্তো শেখ নামে একজন ব্যক্তির হত্যাকাণ্ডের সঙ্গেও যুক্ত। সান্তোই এই অভিবাসীদের ভারতে আনার কাজ করত, বলে অনুমান পুলিশের। ডেপুটি কমিশনার অঙ্কিত চৌহান সাংবাদিকদের জানিয়েছেন যে অনেক অবৈধ অভিবাসী ভারতীয় বনাঞ্চল বা সীমান্ত এলাকা দিয়ে ভারতে প্রবেশ করে। তারপর দিল্লিতে এসে এই চক্রের সঙ্গে যোগাযোগ করে। যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে, তারাও সান্তো শেখের মাধ্যমেই বাংলাদেশ থেকে ভারতে এসেছিল। শেখের সঙ্গে জড়িত ছিলেন সাহিল নামে একজন ব্যক্তি, যিনি রোহিণী এলাকায় পুণাম কম্পিউটার সেন্টারের মালিক। তারা একসঙ্গে এই বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য জাল জন্ম সনদ এবং আধার কার্ড তৈরি করছিল।

    আরও পড়ুন: বিগ্রহ সরিয়ে ওড়ানো হয়েছিল ইসলামি পতাকা, দখলমুক্ত গঙ্গা মন্দির

    বিধানসভা নির্বাচনের আগে সক্রিয় পুলিশ

    ইতিমধ্যেই পুলিশ (Delhi) একটি ওয়েবসাইট চিহ্নিত হয়েছে, যা এই জাল সনদ তৈরি করতে ব্যবহৃত হতো। এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে কমপক্ষে ২২৮টি জাল সনদ তৈরি হয়েছে, তবে পুলিশের সন্দেহ, মোট সংখ্যা হাজারেরও বেশি হতে পারে। গ্রেফতার হওয়া ১১ জনের মধ্যে ৫ জন বাংলাদেশি এবং ৬ জন তাদের ভারতীয় সহযোগী। অবৈধ অভিবাসীরা এই জাল ডকুমেন্ট ব্যবহার করে দিল্লিতে বিভিন্ন সেবা গ্রহণ করতে পারত বলে জানান ডেপুটি কমিশনার চৌহান। এই চক্রের অপারেশন সম্পর্কে আরও তথ্য জানার জন্য পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে যাচ্ছে। অবৈধ অভিবাসীদের অবস্থানও চিহ্নিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। কতগুলি জাল ডকুমেন্ট তৈরি করা হয়েছে, তারও খোঁজ চলছে। বিধানসভা নির্বাচনের আগে দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর ভি কে সাক্সেনা দিল্লি পুলিশকে অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে আরও তীব্র অভিযান চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন। ইতিমধ্যেই ১৭৫ জন সন্দেহভাজন বাংলাদেশি অভিবাসী চিহ্নিত হয়েছে। তাদের ডকুমেন্ট যাচাই করা হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Nepals PM Oli: ভারতে আসতে মুখিয়ে ওলি, ‘পাত্তা’ই দিচ্ছে না দিল্লি, কেন জানেন?

    Nepals PM Oli: ভারতে আসতে মুখিয়ে ওলি, ‘পাত্তা’ই দিচ্ছে না দিল্লি, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চতুর্থবার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর থেকেই ভারতে আসার জন্য মুখিয়ে ছিলেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি (Nepals PM Oli)। প্রথাগতভাবে নেপালের প্রধানমন্ত্রীরা প্রথম ভারত সফর করেন (India)। আগস্ট-সেপ্টেম্বরে ভারত সফরের বিষয়ে ওলি আগ্রহী ছিলেন। তাঁর অফিস ও নেপালের বিদেশ মন্ত্রক নয়াদিল্লির কাছে আমন্ত্রণ চেয়ে যোগাযোগও করেছিল। তবে নিউ দিল্লি ওলিকে গ্রহণে তেমন আগ্রহ দেখায়নি।

    ওলিকে এড়াচ্ছে ভারত! (Nepals PM Oli) 

    বেশ কয়েকবার অনুরোধের কোনও উত্তর না পাওয়ায়, ওলি বেজিংয়ের আমন্ত্রণ গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নেন এবং এই মাসের শুরুর দিকে চিন সফর করেন। আশ্চর্যজনকভাবে, ওলির প্রথম সরকারি বিদেশ সফর চিনে নয়, বরং নিউ ইয়র্কে ৭৯তম রাষ্ট্রসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে ছিল। ওলির চিন সফরের জেরে নেপালে ব্যাপক বিতর্কের সৃষ্টি হয়। ওলির ভারত সফরের আমন্ত্রণ পেতে আর একটি চেষ্টা করেছিল নেপাল। ওলি যাতে ভারতের আমন্ত্রণ পান, তাই নেপালের বিদেশমন্ত্রী আর্জু রানা দেবুবার গত সপ্তাহে নয়াদিল্লিতে চিকিৎসা করাতে আসেন। সেই সময় তিনি বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে সময় চান (Nepals PM Oli)। জয়শঙ্করের ব্যস্ততার কারণে সেই সাক্ষাৎও হয়নি। তিনি অন্য কোনও প্রবীণ মন্ত্রী বা বিদেশমন্ত্রকের কর্মকর্তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারেননি।

    প্রশ্ন

    প্রশ্ন হল, কেন ওলিকে স্বাগত জানাচ্ছে না ভারত? জানা গিয়েছে, ওলি কয়েকটি শর্ত আরোপ করেছিলেন, যা পূরণ করা অসম্ভব বলে মনে করেছিল ভারত। ওলির অফিস জানিয়েছিল, তাঁর সফরের সময় ভারতকে লিম্পিয়াধুরা-কালাপানি-লিপুলেখ ত্রিজংশের বিষয়ে ‘বিবাদ’ সমাধানের প্রক্রিয়া ঘোষণা করতে হবে। নয়াদিল্লির মনে হয়েছিল, ওলি এই বিতর্কটি উত্থাপন করেছিলেন তার নিজের দলের মধ্যেই বাড়তে থাকা অভ্যন্তরীণ বিরোধের মোকাবিলা করতে। তারপর থেকে, ভারতীয় রাজনৈতিক নেতৃত্বের মধ্যে ওলির প্রতি গভীর বিরক্তি এবং সন্দেহ জন্মেছে। ভারতের ধারণা, ওলি বারবার ভারতকে চিনের বিপরীতে দাঁড় করানোর চেষ্টা করেছেন। ওলি বেজিংয়ের প্রতি অনুগত। তিনি সব সময় চিনের পক্ষে কাজ করবেন। সেই কারণেই ওলির ডাকে (Nepals PM Oli) ভারত সাড়া দেয়নি বলে ধারণা আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের (India)।

    আরও পড়ুন: ঝুড়ি ঝুড়ি মিথ্যের প্রতিশ্রুতি কেজরি সরকারের, দেখে নিন এক নজরে

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • AAPs Rule: ঝুড়ি ঝুড়ি মিথ্যের প্রতিশ্রুতি কেজরি সরকারের, দেখে নিন এক নজরে

    AAPs Rule: ঝুড়ি ঝুড়ি মিথ্যের প্রতিশ্রুতি কেজরি সরকারের, দেখে নিন এক নজরে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বড়দিনের সকালে দিল্লির মহিলা ও শিশু উন্নয়ন দফতর থেকে দিল্লিবাসীর (Delhi) উদ্দেশে জারি করা হয় বিজ্ঞপ্তি। এই বিজ্ঞপ্তিতে বর্তমানে ঘটে যাওয়া প্রতারণা সম্পর্কে সতর্ক করা হয়। বিজ্ঞপ্তিতে মহিলা সম্মান যোজনা ও সঞ্জীবনী প্রকল্পের উল্লেখ করা হয়েছে (AAPs Rule)। এই প্রকল্পই ঘোষণা করেছিলেন দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। মহিলা সম্মান যোজনা প্রকল্পে ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে প্রতিটি মহিলাকে মাসে ২,১০০ টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। আর সঞ্জীবনী প্রকল্পে প্রবীণ নাগরিকদের জন্য স্বাস্থ্যসেবার সুবিধা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল।

    কী বলছে সরকারি বিবৃতি

    বিজ্ঞপ্তিতে ডাব্লুসিডি দফতর স্পষ্টভাবে জানায়, “এমন কোনও প্রকল্প ঘোষণা করা হয়নি। নাগরিকদের অনুরোধ করা হচ্ছে, এই ধরনের মিথ্যা প্রতিশ্রুতিতে বিভ্রান্ত হবেন না।” এই প্রকল্পগুলির মতোই, আপ সরকারের অন্যান্য অনেক বড় প্রতিশ্রুতিও মিথ্যা বলে সমালোচিত হয়েছে। উল্লেখযোগ্য যে, গত দশ বছর ধরে অরবিন্দ কেজরিওয়াল ও তার আম আদমি পার্টি নিজেদের দিল্লিতে পরিবর্তন ও স্বচ্ছতার পথিকৃত হিসেবে উপস্থাপন করে এসেছে। তবে, স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা ও জনসেবার ক্ষেত্রে রাজধানীকে এক স্বপ্নপুরীতে রূপান্তরের প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও, বাস্তবতা সেই প্রচারের কাছাকাছি নয়। কেজরিওয়ালের শাসনকাল একাধিক প্রতিশ্রুতি, ব্যর্থ প্রকল্প এবং শহরবাসীর মধ্যে ক্রমবর্ধমান অসন্তোষের কারণে চিহ্নিত হয়েছে। এখানে আপ সরকারের বিভিন্ন মিথ্যার ‘উদাহরণ’ তুলে ধরা হল।

    মিথ্যের বেসাতি

    ফ্রি হেল্থ কেয়ার রেভ্যুলিশন(AAPs Rule): কেজরিওয়ালের মহল্লা ক্লিনিক চালুর মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবায় বিপ্লব ঘটানোর দাবি দ্রুত ভেঙে পড়েছে। প্রাথমিকভাবে দিল্লির স্বাস্থ্য সমস্যা সমাধানের উপায় হিসেবে প্রচারিত এই ক্লিনিকগুলো এখন জনসাধারণের উপহাসের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। দুর্বল পরিকাঠামো, যথাযথ চিকিৎসা সরঞ্জামের অভাব এবং প্রশিক্ষিত চিকিৎসকের অনুপস্থিতি এই ক্লিনিকগুলোকে অকার্যকর করে তুলেছে।

    শিক্ষা সংস্কার : কেজরিওয়ালের দিল্লিতে শিক্ষা বিপ্লবের প্রতিশ্রুতি তার সরকারের অন্যতম প্রধান স্তম্ভ হিসেবে প্রচার করা হয়েছিল। সরকারি স্কুলগুলোকে বিশ্বমানের প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরিত করার দাবি তুলে, কেজরিওয়ালের লক্ষ্য ছিল সবার জন্য উচ্চ মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করা। কিন্তু বাস্তব অন্য কথা বলছে। গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষায় দেড় লক্ষ ছাত্রকে ফেল করানো হয়েছে। ৭০০টিরও বেশি স্কুলে বিজ্ঞান শিক্ষার কোনও সুযোগ নেই। দিল্লির শিক্ষা ব্যবস্থা এখন চরম সংকটে।

    আরও পড়ুন: হিন্দুত্বের রাষ্ট্রনায়ক, ভারতবর্ষের গর্ব অটল বিহারী বাজপেয়ী

    ফ্রি রেশন : দিল্লির গরিবদের বিনামূল্যে রেশন দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও আপের জন্য দুঃস্বপ্নে পরিণত হয়েছে। ১০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা রেশন কার্ড ছাড়াই রয়েছেন, যার ফলে তাঁরা সরকার প্রদত্ত প্রয়োজনীয় খাদ্য পাওয়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত। রেশন সরবরাহে দুর্নীতি ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। বিনামূল্যে রেশন দেওয়ার প্রতিশ্রুতি এখনও এক মরীচিকা হয়ে রয়ে গেছে।

    বিদ্যুতের দাম কমানোর প্রতিশ্রুতি : অরবিন্দ কেজরিওয়াল প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন বিদ্যুতের দাম কমিয়ে সকলের জন্য নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ নিশ্চিত করবেন। কিন্তু তাঁর শাসনকালে বিদ্যুৎ বিল আকাশচুম্বী হয়ে গেছে। ত্রুটিপূর্ণ মিটার ও অতিরিক্ত চার্জের কারণে মানুষের মধ্যে ক্ষোভ ও প্রতিবাদ দেখা দিয়েছে (AAPs Rule)।

    গণপরিবহণ: গণপরিবহণ আর একটি ক্ষেত্র যেখানে কেজরিওয়াল বিপ্লব আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তাঁর সরকারের আমলে বাসের বহর চালু করা, মেট্রো সংযোগ উন্নত করা এবং একটি টেকসই পরিবহণ ব্যবস্থা গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়িত হয়নি। দিল্লি ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশন আর্থিকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে, এবং কর্মীরা বেতন না পাওয়ায় ধর্মঘট করেছেন।

    ন্নত স্বাস্থ্যসেবার প্রতিশ্রুতি: কেজরিওয়াল বেশ কয়েকটি নতুন হাসপাতাল এবং উন্নত স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তবে বাস্তব সেই প্রতিশ্রুতি থেকে অনেক দূরে। প্রচুর পরিমাণে তহবিল পাওয়া সত্ত্বেও, নতুন হাসপাতাল নির্মাণ অনির্দিষ্টকালের জন্য বিলম্বিত হয়েছে। রোগীদের এখনও প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য হা-পিত্যেশ করে থাকতে হয়।

    চাকরির প্রতিশ্রুতি: নির্বাচনী প্রচারে বেরিয়ে কেজরিওয়াল চাকরি সৃষ্টির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, বিশেষ করে দলিত সম্প্রদায়ের জন্য। তবে, তাঁর শাসনকালে দিল্লিতে সরকারি খাতে তেমন কোনও চাকরির বৃদ্ধি দেখা যায়নি। দলিতদের চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি কার্যত পরিত্যক্ত হয়েছে।

    মহিলাদের নিরাপত্তা: কেজরিওয়ালের সরকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল দিল্লিকে মহিলাদের জন্য আরও নিরাপদ করে তোলা হবে। নারীদের নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্য নির্ভয়া ফান্ড বরাদ্দ করা হলেও, তা অপব্যবহার করা হয়েছে, এবং মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধের হার বেড়েছে।

    বেকারত্ব বৃদ্ধি: বেকারত্ব বৃদ্ধি দিল্লির একটি বড় সমস্যা। কেজরিওয়ালের কর্মসংস্থান সৃষ্টির প্রতিশ্রুতির ফানুস গিয়েছে চুপসে। দিল্লির (Delhi) তরুণরা চাকরির জন্য হা-পিত্যেশ করছে। কেজরিওয়ালের অস্থায়ী শ্রমিক ও চুক্তিভিত্তিক কর্মচারীদের ওপর নির্ভরশীলতা দিল্লির চাকরির বাজারে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করেছে (AAPs Rule)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Mahakumbh 2025: ১৪০০ বছর আগেও কুম্ভমেলায় এসেছিলেন চিনা পর্যটক!

    Mahakumbh 2025: ১৪০০ বছর আগেও কুম্ভমেলায় এসেছিলেন চিনা পর্যটক!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজকে তীর্থরাজ (Mahakumbh 2025) বলা হয়। ১৪০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে এটি চিনাদেরও কাঙ্খিত গন্তব্য হয়ে উঠেছে (Prayagraj)। এই স্থায়ী সম্পর্কের শুরু ৭ম শতকে, যখন খ্যাতনামা চিনা পর্যটক হিউয়েন সাং এই অঞ্চলে আসেন এবং এর সমৃদ্ধ সংস্কৃতি ও সমৃদ্ধির প্রশংসা করেন। প্রায় ১৬ বছর ধরে ভারতবর্ষ ঘুরে দেখেন তিনি।

    “সি-ইউ-কি” (Mahakumbh 2025) 

    তাঁর বই “সি-ইউ-কি”-তে হিউয়েন সাং বিশেষভাবে ৬৪৪ খ্রিষ্টাব্দে রাজা হর্ষবর্ধনের শাসনকালের প্রশংসা করেছেন। এই বইতে প্রয়াগরাজের প্রচুর শস্য, অনুকূল আবহাওয়া এবং স্বাস্থ্যকর সুবিধাগুলির কথা উল্লেখ করা হয়েছে। তিনি ফলদায়ক গাছগুলির উপস্থিতি এবং এই অঞ্চলের সামগ্রিক আকর্ষণও উল্লেখ করেন। চিনা পর্যটকের শহরের নম্রতা, বুদ্ধিবৃত্তিক সাধনা এবং প্রাণবন্ত সাংস্কৃতিক জীবন সম্পর্কে প্রশংসা আজও প্রাসঙ্গিক।

    প্রয়াগরাজের ঐতিহাসিক গুরুত্ব

    প্রয়াগরাজের (Mahakumbh 2025) ঐতিহাসিক গুরুত্ব আরও স্পষ্ট হয়েছে হিউয়েন সাংয়ের বর্ণনায়, যেখানে তিনি শহরের বিশাল ধর্মীয় উৎসবের কথা বলেছেন। তাঁর বর্ণনা থেকেই জানা যায়, সেখানে ৫ লাখেরও বেশি মানুষ জড়ো হয়েছিলেন। এর মধ্যে ছিলেন উপমহাদেশের বিভিন্ন কোণ থেকে আসা রাজা ও শাসকরাও। গঙ্গা ও যমুনা নদীর মধ্যে শহরের কৌশলগত অবস্থান, এর আধ্যাত্মিক ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র হিসেবে এর গুরুত্ব তৈরিতে করতে সহায়ক ছিল।

    হিউয়েন সাং যে সব মন্দিরে গিয়েছিলেন, তার মধ্যে একটি হল পাটালপুরী মন্দির। এই মন্দির গুরুত্বপূর্ণ তার অলৌকিক বিস্ময়গুলির জন্য। হিউয়েন সাং উল্লেখ করেছেন যে ভক্তরা বিশ্বাস করতেন, মন্দিরে একটি মুদ্রা দান করা মানে হাজার মুদ্রা দান করা। মন্দিরের উঠোনে রয়েছে একটি পবিত্র গাছ, অক্ষয়বট। বিশ্বাস করা হয়, যে এর নীচে স্নান করলে পাপ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

    আরও পড়ুন: বিগ্রহ সরিয়ে ওড়ানো হয়েছিল ইসলামি পতাকা, দখলমুক্ত গঙ্গা মন্দির

    এছাড়াও গঙ্গা, যমুনা ও পৌরাণিক সরস্বতী নদীর মিলনস্থলে প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ ভক্ত উপস্থিত হন। হিউয়েন সাং লিখেছেন, ধনী তীর্থযাত্রীরা সঙ্গমে স্নান করে তাদের ধন-সম্পদ দান করে চলে যেতেন। এই প্রাচীন প্রথা আজও বহমান, এবং মহাকুম্ভ মেলা পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ধর্মীয় সমাবেশ (Prayagraj) হিসেবে অনুষ্ঠিত হয় (Mahakumbh 2025)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Human Trafficking: ভিসা ছাড়াই বেআইনি ভাবে কানাডা হয়ে আমেরিকায় মানুষ পাঠানোর বড় চক্রের হদিশ ইডির

    Human Trafficking: ভিসা ছাড়াই বেআইনি ভাবে কানাডা হয়ে আমেরিকায় মানুষ পাঠানোর বড় চক্রের হদিশ ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভিসা ছাড়াই বেআইনি ভাবে ভারতীয়দের (Human Trafficking) কানাডা হয়ে আমেরিকায় পাঠানোর কাজে জড়িত একটি চক্র নিয়ে তদন্ত চালাচ্ছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টর (ইডি)। এই চক্রের সঙ্গে শুধুমাত্র এদেশেই ৩৫০০ এজেন্ট এই বেআইনী কাজের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তাঁদের মধ্যে অধিকাংশই হল গুজরাতের লোক। এতে বিপুল পরিমাণে আর্থিক দুর্নীতির কথাও তদন্তে উঠে এসেছে। এই অবৈধ ভাবে লোক পাঠানোর তদন্তে উঠে এসেছে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য। আসুন একবার জেনে নিই।

    আমেরিকায় প্রবেশ করাতে ৫৫-৬০ লাখ টাকা নেয়া হতো (Human Trafficking)

    এক এক জনকে অবৈধ (Human Trafficking) ভাবে আমেরিকায় প্রবেশ করাতে ৫৫-৬০ লাখ টাকা করে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে তদন্তকারী অফিসাররা। কানাডা সীমান্ত হয়ে ভারতীয়দের অবৈধ ভাবে আমেরিকায় প্রবেশ করানোর চক্রের তথ্য আগেও অনেকবার উঠে এসেছে। এবার ইডি জানিয়েছে, “এই চক্রের সঙ্গে কানাডার কিছু কলেজ এবং ভারতের বেশ কয়েকটি সংস্থা জড়িত রয়েছে। যাদের অবৈধ ভাবে আমেরিকায় প্রবেশ করানো হতো, তাদের আগেই কানাডার কলেজে ভর্তি করে দেওয়া হতো। কানাডার ১১২টি কলেজ এবং আরও ১৫০টি আলাদা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করে পাচার চক্রকে শক্তপোক্ত করা হয়েছে। তাদের জন্য কানাডার ভিসার ব্যবস্থাও করা হতো। ইতিমধ্যে মুম্বই, নাগপুর, গান্ধীনগর এবং ভদোদরার আটটি জায়গায় হানা দেন ইডির আধিকারিকেরা। তাতে মুম্বইয়ের দু’টি সংস্থা এবং নাগপুরের একটি সংস্থার এই অবৈধ চক্রের সঙ্গে যোগ পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি তদন্তকারীদের। এখনও পর্যন্ত ১৭০০ জন এজেন্ট শুধু গুজরাটে রয়েছে। 

    আরও পড়ুনঃ বিগ্রহ সরিয়ে ওড়ানো হয়েছিল ইসলামি পতাকা, দখলমুক্ত গঙ্গা মন্দির

    কানাডা-আমেরিকা সীমান্তে চার ভারতীয়ের মৃত্যু হয়েছিল

    ২০২২ সালের ১৯ জানুয়ারি কানাডা-আমেরিকা সীমান্তে চার ভারতীয়ের মৃত্যু (Human Trafficking) হয়। তাঁরা একই পরিবারের সদস্য। বাড়ি ছিল গুজরাতের একটি গ্রামে। অবৈধ ভাবে কানাডার সীমান্ত পার করতে গিয়ে কনকনে ঠান্ডায় মৃত্যু হয়েছিল। এই ঘটনায় মামলা রুজু হয়েছিল। মূল অভিযুক্ত হিসেবে নাম উঠে এসেছিল ভবেশ অশোকভাই পাটেলের নাম। আমেদাবাদ পুলিশের দায়ের করা মামলার ভিত্ততে তদন্তে নামে ইডি। এই ঘটনার সঙ্গে একাধিক আর্থিক দুর্নীতির মামলার প্রেক্ষিতে আসরে নেমে তদন্তের কাজ শুরু করেছে ইডি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Atal Bihari Vajpayee: হিন্দুত্বের রাষ্ট্রনায়ক, ভারতবর্ষের গর্ব অটল বিহারী বাজপেয়ী

    Atal Bihari Vajpayee: হিন্দুত্বের রাষ্ট্রনায়ক, ভারতবর্ষের গর্ব অটল বিহারী বাজপেয়ী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একবিংশ শতাব্দীতে ভারতের রূপান্তরের স্থপতি অটল বিহারী বাজপেয়ীর শততম জন্মদিন বুধবার। এদিন থেকেই শুরু হল তাঁর শতবর্ষ উদযাপন। হিন্দুত্ব, জাতীয়তাবাদ এবং সাংস্কৃতিক গর্বের প্রতীক ছিলেন অটল বিহারী বাজপেয়ী। শক্তিশালী এবং আত্মনির্ভর ভারত গড়ে তোলার লক্ষ্যে তিনিই প্রথম যাত্রা শুরু করেছিলেন। তিনি, তাঁর নেতৃত্বে দেশকে এক নতুন দিশা দেখিয়েছিলেন, যা আজও প্রাসঙ্গিক।

    জীবনের পাঠ

    ১৯২৪ সালের ২৫ ডিসেম্বর গোয়ালিয়রে এক শিক্ষিত ও মূল্যবোধে ভরপুর পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন অটল বিহারী বাজপেয়ী। তাঁর পিতা কৃষ্ণ বিহারী বাজপেয়ী, একজন শিক্ষক ও পণ্ডিত, ছিলেন। অটলজি’র প্রাথমিক বৌদ্ধিক এবং আধ্যাত্মিক অনুপ্রেরণার উৎস ছিলেন তাঁর বাবাই। বীর সাভারকারের বিপ্লবী চিন্তা এবং ড. শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের আদর্শ দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে অটল বিহারী বাজপেয়ী তরুণ বয়সেই রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (আরএসএস)-এ যোগ দেন। আরএসএস তাঁকে আত্মনির্ভরতা, সাংস্কৃতিক গর্ব এবং ভারত মাতার প্রতি অবিচল কর্তব্যের মূলনীতিগুলি শেখায়।

    রাজনীতির হাতেখড়ি

    বাজপেয়ীর রাজনৈতিক জীবনের সূচনা ১৯৫১ সালে ড. শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত ভারতীয় জনসংঘ (বিজেএস) থেকে। তিনি দলের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হিসেবে জাতীয়তাবাদী ভারতের কণ্ঠস্বর হয়ে ওঠেন এবং সাংস্কৃতিক ঐক্যের জন্য নিরলস প্রচার চালাতে থাকেন। তাঁর সংসদীয় ভাষণগুলো ছিল রাষ্ট্রনায়কোচিত, যেখানে তিনি ভারতকে তাঁর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য পুনরুদ্ধার করার আহ্বান জানাতেন। আধুনিক যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে প্রাচীন ভারতের শিক্ষাকে প্রতিষ্ঠিত করাই ছিল তাঁর লক্ষ্য।

    হিন্দুত্বের মৌলিক ভাবনাকে অগ্রাধিকার

    ১৯৭৫ সালের জরুরি অবস্থায় যখন ইন্দিরা গান্ধী গণতান্ত্রিক স্বাধীনতাকে দমন করেছিলেন, বাজপেয়ী তা প্রতিরোধের প্রতীক হিসেবে উদিত হন এবং তাঁর বক্তব্য ও লেখনীর মাধ্যমে হিন্দুত্বের মৌলিক ভাবনার পক্ষে শক্তিশালী অবস্থান গ্রহণ করেন। তাঁর ধারা এবং বিশ্বাস ভারতের সাংস্কৃতিক সত্তার রক্ষায় প্রতিনিয়ত অবদান রেখেছিল। ১৯৮০ সালে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) প্রতিষ্ঠার পর বাজপেয়ী দলটির একটি শক্তিশালী ভিত্তি গড়ে তোলেন। তাঁর নেতৃত্বে বিজেপি হিন্দুত্বের আদর্শকে একটি আধুনিক ও সমন্বিত রূপে উপস্থাপন করে। বাজপেয়ীর কৌশলগত সমঝোতা এবং প্রজ্ঞা ভারতকে নতুন দিগন্তে নিয়ে গিয়েছিল, যেখানে আধুনিকীকরণ এবং ঐতিহ্য সমন্বিত ছিল।

    প্রধানমন্ত্রী বাজপেয়ী

    রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের সঙ্গে ছিল তাঁর নিবিড় যোগ। কিন্তু দেশের ধর্মনিরপেক্ষ কাঠামোর প্রতি ছিল অপার শ্রদ্ধা। এক টালমাটাল সন্ধিক্ষণে দেশকে নেতৃত্ব দিয়েছেন – এক দিকে জোট রাজনীতির উত্থান, অন্য দিকে দেশের অর্থনীতিতে বড়সড় বদল আনার প্রক্রিয়া। ১৯৯৬, ১৯৯৮ ও ১৯৯৯-২০০৪ সাল এই তিন দফায় প্রধানমন্ত্রী হিসাবে ছিলেন বাজপেয়ী। অর্থাৎ ২২৬৮ দিন প্রধানমন্ত্রী পদে থেকে দায়িত্ব সামলেছিলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তাঁর নেতৃত্বের অন্যতম স্মরণীয় ঘটনা ছিল ১৯৯৮ সালে পোখরান-২ পারমাণবিক পরীক্ষা, যা ভারতকে একটি পারমাণবিক শক্তি হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছিল। বাজপেয়ীর কূটনৈতিক কৌশল এবং রাষ্ট্রীয় আত্মবিশ্বাস ভারতকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে মর্যাদা প্রদান করেছিল। পোখরান পারমাণবিক পরীক্ষা নিয়ে তিনি বলেছিলেন, “এটি আগ্রাসন নয়, আত্মরক্ষার অংশ”।

    কার্যকরী রাষ্ট্রনীতির অংশ ছিল হিন্দুত্ব

    অটল বিহারী বাজপেয়ীর রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি হিন্দুত্বকে শুধু একটি আদর্শ হিসেবে নয়, বরং কার্যকরী রাষ্ট্রনীতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছিল। তাঁর নেতৃত্বে, ভারত তার সাংস্কৃতিক পরিচয় ও গর্ব বজায় রেখে প্রগতির পথে এগিয়েছিল। তাঁর বক্তব্যগুলি দেশবাসীকে ভারত মাতা এবং তার ঐতিহ্যের প্রতি গর্বিত হতে উদ্বুদ্ধ করেছিল। হিন্দুত্বের এক দৃঢ় পথপ্রদর্শক ছিলেন বাজপেয়ী। সনাতন ভারতের প্রতি ছিল তাঁর অগাধ আস্থা। প্রাচীন ভারতীয় সংস্কৃতিকে আঁকড়ে ধরেই তিনি দেশকে উন্নতির পথ দেখিয়েছিলেন।

    হিন্দু ধর্ম নিয়ে বাজপেয়ীর অভিমত

    বাজপেয়ী নিজে শুধু সনাতনী হিন্দু ছিলেন না, তার পাশাপাশি সনাতন হিন্দু ধর্মের অন্তর্নিহিত নির্যাস তিনি বুঝতেন। হিন্দু ধর্ম নিয়ে এক এক প্রবন্ধে বাজপেয়ী লিখেছিলেন, “হিন্দুধর্মের প্রতি আমার আকর্ষণের প্রধান কারণ হল এটি মানবজাতির সর্বোচ্চ ধর্ম। হিন্দু ধর্ম কোন বইয়ের সাথে বা কোন নির্দিষ্ট ধর্ম প্রচারকের সাথে যুক্ত নয়। হিন্দু ধর্মের রূপটি সর্বদা হিন্দু সমাজ দ্বারা সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে এবং এই কারণেই এটি অনাদিকাল থেকে ক্রমবর্ধমান এবং বিকাশ লাভ করে আসছে।”

    আরও পড়ুন: ক্লাব অফ রোমের মাধ্যমে উচ্চাকাঙ্খা পূরণ করেছিলেন মনমোহন সিং?

    যখন সমগ্র সমাজ ধর্ম ও জাতপাতের ভিত্তিতে সমাজে বিভাজন তৈরি করে রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে ব্যস্ত, ঠিক সেই সময়ই বাজপেয়ীর বক্তব্য খুবই প্রাসঙ্গিক বলেই মনে করা হয়। একবার তিনি বলেছিলেন, “আপনারা জানেন, আমার জীবনের প্রথম দিকে, আমি পৈতে পরিধান করতাম, কিন্তু যখন আমি নিজেকে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘে নিবেদিত করি, তখন আমি এটি সরিয়ে দিয়েছিলাম কারণ আমি অনুভব করেছি যে এটি আমাকে অন্য হিন্দুদের থেকে আলাদা করেছে। আগে ‘শিখা’ এবং ‘সূত্র’ ছিল হিন্দুদের দুটি পরিচয়। বেশিরভাগ মানুষ শিখাকে আর রাখেন না। শিখা পালন না করে কেউ হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করেছে এমন কথা বলা ভুল। হ্যাঁ, শিখা যখন জোর করে কাটা হয়, ধর্মীয় দমনের রূপক, তখন তা বন্ধ করা আমাদের কর্তব্য।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Uttar Pradesh: বিগ্রহ সরিয়ে ওড়ানো হয়েছিল ইসলামি পতাকা, দখলমুক্ত গঙ্গা মন্দির

    Uttar Pradesh: বিগ্রহ সরিয়ে ওড়ানো হয়েছিল ইসলামি পতাকা, দখলমুক্ত গঙ্গা মন্দির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইতিহাস খ্যাত ২৫০ বছরের পুরানো মন্দির। উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) বালিয়েরি অঞ্চলের এই মন্দির চার দশক ধরে দখল করে রেখেছিল জনৈক ওয়াজিদ আলি ও তার পরিবার। গঙ্গা মহারানির (Ganga Maharani Mandir) সেই মন্দিরই দখলমুক্ত হয়েছে সম্প্রতি। কিলা এলাকার কাটঘরে অবস্থিত এই মন্দিরটি রাকেশ সিংয়ের পূর্বপুরুষদের দ্বারা নির্মিত। আধ্যাত্মিক তো বটেই, ঐতিহাসিক দিক থেকেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই মন্দির।

    পাহারাদারের মন্দির দখল (Uttar Pradesh)

    ইসলামপন্থী ওয়াজিদ আলি ছিলেন এই মন্দিরের পাহারাদার। ধীরে ধীরে মন্দির প্রাঙ্গন দখল করে নেন তিনি। পরে পুজো বন্ধ করে দেন। মন্দিরের দরজায় ঝুলিয়ে দেন তালা। অভিযোগ, ওয়াজিদ মন্দিরের মূর্তিগুলি সরিয়ে ফেলেন। এর মধ্যে ছিল একটি সাদা শিবলিঙ্গও। বিগ্রহগুলি সরিয়ে ওয়াজিদ সেখানে তুলে দেন ইসলামি পতাকা। স্বাভাবিকভাবেই মন্দিরে আনাগোনা বন্ধ হয়ে যায় ভক্তদের। মন্দিরটি একসময় স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের উপাসনার কেন্দ্র ছিল। ১৯৫০ সালের পর থেকে পুজো-অর্চনা বন্ধ করে দেন ওয়াজিদ। বছরের পর বছর ধরে মূল ট্রাস্টিদের বংশধর রাকেশ সিংহ এবং হিন্দু সংগঠনগুলো জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কার্যালয়ে অভিযোগ দায়ের করেন মন্দির পুনরুদ্ধারের দাবি জানিয়ে।

    আরও পড়ুন: ইউনূস সরকারের বিরুদ্ধে লিগ্যাল অ্যাকশন নেওয়ার হুমকি টাইকুন এস আলমের?

    মন্দিরের জমি দখল মুক্ত

    একটি দৈনিকে প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হওয়ার পর জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রবীন্দ্র কুমার তদন্তের নির্দেশ দেন। এসডিএম সদর গোবিন্দ মৌর্য এবং সমবায় সমিতির কর্মকর্তারা জায়গাটি পরিদর্শন করেন এবং মালিকানার নথি যাচাই করেন। তদন্তে দেখা যায়, মন্দিরের জমি ১৯০৫ সাল থেকে গঙ্গা মহারানি ট্রাস্টের অধীনে নিবন্ধিত ছিল। প্রত্যাশিতভাবেই খারিজ হয়ে যায় ওয়াজিদ আলির আইনি দখলের দাবি। তাঁর দাবি, তাঁর বাবা সমবায় সমিতির একজন প্রহরী ছিলেন (Uttar Pradesh)। সেখান থেকে সরে যাওয়ার জন্য সময়সীমা বাড়ানোর অনুরোধ করেছিলেন। তবে, সমবায় সমিতির সচিব বিকাশ শর্মা স্পষ্ট করেন যে ওয়াজিদ বা তার বাবার কোনও চাকরির রেকর্ড তাঁদের কাছে নেই। ২০ ডিসেম্বর, জেলা প্রশাসন, এসপি সিটি মনীশ পারিখের নেতৃত্বে, উচ্ছেদের নির্দেশ কার্যকর করে। এর পরেই ওয়াজিদ ও তার পরিবার এলাকা ছেড়ে চলে যায়। ২১ ডিসেম্বর পুনঃপ্রতিষ্ঠা হয় মন্দির (Ganga Maharani Mandir)। অভিষেক-পুজোপাঠও হয় ওই দিনই (Uttar Pradesh)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Maharashtra: বসের সঙ্গে সহবাস করতে রাজি না হওয়ায় স্ত্রীকে তালাক ইঞ্জিনিয়ার স্বামীর

    Maharashtra: বসের সঙ্গে সহবাস করতে রাজি না হওয়ায় স্ত্রীকে তালাক ইঞ্জিনিয়ার স্বামীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিয়ের পর থেকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, বসের সঙ্গে ২৮ বছরের স্ত্রীকে শারীরিক সম্পর্ক করতে জোর করেছিলেন ৪৫ বছরের সোহেল শেখ। কিন্তু, প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় স্ত্রীকে তিন তালাক দিলেন স্বামী। এই ঘটনার পরেই থানায় গিয়ে স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছেন স্ত্রী। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) কল্যাণে।

    ঠিক কী অভিযোগ?(Maharashtra)

    নির্যাতিতা বধূ (Maharashtra) পুলিশকে জানিয়েছেন, চলতি বছর জানুয়ারি মাসে তাঁরা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। যুবকের এটি দ্বিতীয় বিয়ে। ৪৫ বছর বয়সি সোহেল পেশায় ইঞ্জিনিয়ার।  তিনি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করেন। বিয়ের কয়েক মাস পরেই সোহেল জানান, প্রথম স্ত্রীকে তিনি ডিভোর্স দিতে চান। তার জন্য বিপুল অর্থের প্রয়োজন। তখন থেকেই তরুণীর পরিবারের কাছ থেকে টাকা আদায়ের চেষ্টা করতেন সোহেল। প্রথম স্ত্রীকে দেওয়ার জন্য দ্বিতীয় স্ত্রীর পরিবারের কাছ থেকে প্রতি মাসে ১৫ লক্ষ টাকা চেয়েছিলেন। টাকা না পেলে তিনি তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রীকে বাড়িতে আসতে দেবেন না বলে হুমকি দেন। দাবি না মানলে তাঁকে হত্যার হুমকিও দেওয়া হয়।

    বসের সঙ্গে যৌনতায় লিপ্ত হতে স্ত্রীকে চাপ!

    অফিসের বসের সঙ্গে যৌনতায় লিপ্ত হতে স্ত্রীকে বারবার জোর করেছিলেন সোহেল। তাতেও রাজি হননি ওই মহিলা। একটি পার্টিতে গিয়েও বসের সঙ্গে সহবাসের জন্য জোর করেন তাঁকে। বারবার স্ত্রীর থেকে ‘না’ শুনেই মেজাজ হারান সোহেল। এরপর তরুণীকে বেধড়ক মারধর করেন। ৫ ডিসেম্বর ওই বধূ বাড়িতে এলে তাঁদের মধ্যে শুরু হয় অশান্তি। সোহেল তাঁকে বাড়ি থেকে বের করে দেন এবং তিন তালাক (Talaq) দিয়ে দেন। এরপরই থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ওই বধূ। তাঁর বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ধারা ১১৫ (২), ৩৫১ (২), ৩৫১ (৩) এবং ৩৫২ সেই সঙ্গে মুসলিম নারী (বিবাহের অধিকার সুরক্ষা) আইন, ২০১৯-এর প্রাসঙ্গিক ধারাগুলি যুক্ত করা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share