Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Odisha: ওড়িশার টেক্সটাইল ম্যানুফ্যাকচারিং হাবে ৪৩৮২ কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে ইন্ডিয়ান অয়েল

    Odisha: ওড়িশার টেক্সটাইল ম্যানুফ্যাকচারিং হাবে ৪৩৮২ কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে ইন্ডিয়ান অয়েল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টেক্সটাইল সেক্টরে এবার বড়সড় বিনিয়োগের কথা ঘোষণা করল ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশন লিমিটেড (IOC)। ওড়িশার  (Odisha) ভদ্রকে একটি অত্যাধুনিক সুতা উৎপাদন কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার জন্য ৪, ৩৮২ কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে বলে জানিয়েছে। চলতি মাসের ২০ ডিসেম্বর বোর্ড মিটিংয়ে এই উদ্যোগের কথা ঘোষণা করা হয়। এই উদ্যোগ কার্যকরী হলে ভারতের টেক্সটাইল সেক্টরকে আরও শক্তিশালী করবে।

     বিনিয়োগ এবং সহযোগিতা (Odisha)

    জানা গিয়েছে, MCPI প্রাইভেট লিমিটেডের সঙ্গে ফিফটি-ফিফটি অংশীদারিত্বে যৌথ উদ্যোগে আইওসি এই প্রকল্প কার্যকরী করতে চলেছে। প্রতিদিন ৯০০ টন (TPD) উৎপাদন (Odisha) হবে বলে জানা গিয়েছে। এটি পোশাক, বাড়ির আসবাব এবং শিল্প টেক্সটাইলের জন্য প্রয়োজনীয়। এই সুবিধাটি পোশাক, বাড়ির আসবাব এবং শিল্প টেক্সটাইলের জন্য প্রয়োজনীয় হবে। আগামীদিনে আমদানির ওপর নির্ভরতা কমবে। সঙ্গে সঙ্গে দেশীয় চাহিদাও পূরণ করবে।

    প্রকল্পের লক্ষ্য কী?

    ইন্ডিয়ান অয়েলের বিনিয়োগ সরকারের ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ উদ্যোগের সঙ্গে সম্পূর্ণরুপে সামঞ্জস্যপূর্ণ। এই প্রকল্পের প্রধান লক্ষ্য, পলিয়েস্টার সুতোর অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বৃদ্ধি। আগে উন্নতমানের সুতোর জন্য বিদেশের ওপর নির্ভর করতে হত। সেখান থেকে সুতো আনা হত।  এই প্রকল্প আগামীদিনে কার্যকরী হলে আমদানি (Odisha) নির্ভরতা কমবে। আর সেটাই এই প্রকল্পের অন্যতম লক্ষ্য। একইসঙ্গে কোথাও কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ হলে, কর্মসংস্থান একটি মস্তবড় ফ্যাক্টর। এই প্রকল্পের ফলে হাজার হাজার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে বলে জানা গিয়েছে। এই প্রকল্পটি ওড়িশায় আর্থ-সামাজিক অবস্থানকে উন্নত করবে। বিশ্বব্যাপী টেক্সটাইল শিল্পে ভারতের অবস্থানও অনেকটাই উন্নত হবে। 

    বিশ্বমানের পণ্য সরবরাহ করবে!

    জানা গিয়েছে, MCPI এর টেক্সটাইল জ্ঞান এবং IOC এর পেট্রোকেমিক্যাল দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে এই উদ্যোগকে কার্যকরী করা হবে। আশা করা হচ্ছে, এই যৌথ উদ্যোগটি (Odisha) বিশ্বমানের পণ্য সরবরাহ করবে। একইসঙ্গে টেক্সটাইল শিল্পের ক্রমবর্ধমান চাহিদাকে পূরণ করবে। স্বাভাবিকভাবে এটি একটি দূরদর্শী পদক্ষেপ। আর টেক্সটাইল উৎপাদনে IOC এর প্রবেশ তার দীর্ঘমেয়াদী কৌশলের অংশ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Deep State: ক্লাব অফ রোমের মাধ্যমে উচ্চাকাঙ্খা পূরণ করেছিলেন মনমোহন সিং?

    Deep State: ক্লাব অফ রোমের মাধ্যমে উচ্চাকাঙ্খা পূরণ করেছিলেন মনমোহন সিং?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গ্লোবাল গভর্ন্যান্সের মেকানিজমের আড়ালে রয়েছে একটি গোপন ক্ষমতার নেটওয়ার্ক, উচ্চাকাঙ্ক্ষা এবং প্রভাবশালী কার্যকলাপ (Bharats Shadowed Role)। ডিপ স্টেট (Deep State) নামে পরিচিত এই শব্দটি, অতি বৃহৎ সংস্থা, থিঙ্ক ট্যাঙ্ক এবং নীতিনির্ধারকদের লুকোনো যোগসূত্রকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়। এরাই দীর্ঘদিন ধরে বিশ্ব ঘটনাপ্রবাহের গতিপথ পরিচালনা করেছে।

    ভারতের শ্যাডোড রোল (Bharat’s Shadow Role)

    ক্লাব অব রোম (CoR), ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম (WEF) এবং তাদের সমর্থকরা কীভাবে নির্ধারিত অ্যাজেন্ডার মাধ্যমে মানবতাকে পুনর্গঠন করতে কাজ করছে, তা জানা যায় তাদের ভূমিকা দেখলে। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছে ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের নীরব কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। তিনিই এই গ্লোবালিস্ট ভিশনকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করেছেন।ভারতের এই শ্যাডো রোলের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হয় ১৯৬৮ সালের ২৬ এপ্রিল কানাডায়, ১৭তম বিল্ডারবার্গ বৈঠকের সময়। এই বৈঠকেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে “ডিপ স্টেট”-এর নিউ ওয়ার্ল্ড অর্ডার অ্যাজেন্ডাকে ত্বরান্বিত করা হবে। এটি একটি একক বিশ্ব সরকারের কল্পনা করেছিল। ডেভিড রকফেলারের নির্দেশে ইতালীতে প্রতিষ্ঠিত হয় ক্লাব অব রোম (CoR)। এটি একটি থিঙ্ক ট্যাঙ্ক, যা এই লক্ষ্যে নীতিমালা প্রস্তুতের জন্য দায়ী। রকফেলার ফাউন্ডেশন উদারভাবে এই প্রচেষ্টাকে আর্থিক সহায়তা দিয়েছিল।

    আরও পড়ুন: গুরদাসপুর গ্রেনেড হামলার নেপথ্যে খলিস্তানপন্থী নেতা জগজিৎ সিং! আইএস যোগ সন্দেহ

    ক্লাব অব রোম

    ১৯৭২ সালে ক্লাব অব রোম (CoR) তাদের যুগান্তকারী প্রতিবেদন, দ্য লিমিটস টু গ্রোথ প্রকাশ করে। এই প্রতিবেদন বিশ্ব জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের একটি ভীতিকর ধারণা প্রবর্তন করে, যেখানে কঠোর গ্লোবাল গভর্ন্যান্সের অধীনে ১-২ বিলিয়ন জনসংখ্যার একটি লক্ষ্য প্রস্তাব করা হয়। এই নথি জনসংখ্যা হ্রাস, বন্ধ্যত্ব প্রচার এবং ভীতিপ্রদর্শনের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ নীতির ভিত্তি হয়ে ওঠে। ক্লাব অব রোমের সুপারিশ দ্রুত গ্লোবাল গভর্ন্যান্সের মধ্যে প্রবেশ করে। পৃথিবী একের পর এক এমন ঘটনাবলীর সাক্ষী হয়, যা এই লক্ষ্যগুলির সঙ্গে অদ্ভুতভাবে সামঞ্জস্যপূর্ণ। এই ঘটনাগুলি হল, ১৯৭৩ সালে আরব-ইজরায়েল যুদ্ধ, ১৯৭৫-৭৭ সালে ইন্দিরা গান্ধীর অধীনে ভারতে কুখ্যাত নির্বীজকরণ অভিযান, ১৯৭৯ সালে এইডস মহামারীর আবির্ভাব, ক্যান্সার ও জীবাণুমুক্তকরণের ওষুধ আবিষ্কার ইত্যাদি (Bharats Shadowed Role)।

    মনমোহন সিং

    এই সময়ে ভারতের অর্থনৈতিক নীতিগুলি প্রধানত মনমোহন সিংয়ের দ্বারা প্রভাবিত হয়েছিল। তিনি তখন প্রধান অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ছিলেন। ক্লাব অফ রোম কৌশল নির্ধারণ করেছিল। আর হেনরি কিসিঞ্জারের পরামর্শে ক্লাউস শোয়াব এটি বাস্তবায়িত করেছিলেন ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের (WEF) মাধ্যমে। শোয়াব ১৯৭১ সালে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম প্রতিষ্ঠা করেন, যা পরে এমন একটি প্ল্যাটফর্মে রূপান্তরিত হয় যা ডিপ স্টেটের দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নেতাদের এক সারিতে ফেলে। ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম বৈশ্বিক বাস্তবায়নের মুখ হয়ে ওঠে, আর ক্লাব অফ রোম পর্দার আড়াল থেকে পরিচালনা করতে থাকে। তারা একসঙ্গে যে কাজগুলি করেছিল সেগুলি হল, দুর্বল অর্থনীতিগুলিতে উদারীকরণ, বেসরকারিকরণ এবং বিশ্বায়ন কার্যকর করা, রাষ্ট্রসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার মাধ্যমে জননীতিগুলিকে আকার দেওয়া, যার সময়সীমা ২০৩০ সাল পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছে।

    উদারীকরণের স্থপতি!

    মনমোহন সিং ভারতের অর্থনৈতিক উদারীকরণের স্থপতি হিসেবে পরিচিত। ক্লাব অফ রোমের (CoR) সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক এই বৈশ্বিক অ্যাজেন্ডার প্রতি একটি লুকানো আনুগত্য প্রকাশ করে। ভারতের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দফতরে ছিলেন মনমোহন সিং। তিনি ছিলেন মুখ্য অর্থনৈতিক উপদেষ্টা, অর্থমন্ত্রকের সেক্রেটারি, ভারতের রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর, প্ল্যানিং কমিশনের ডেপুটি চেয়ারম্যান। পরবর্তীকালে তিনিই হয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী (Bharats Shadowed Role)। ১৯৯১ সালে অর্থনৈতিক সঙ্কট দেখা দেয় ভারতে। পরিস্থিতি সামাল দিতে ব্যাপক সংস্কার হয়। এই সংস্কারগুলি বিচ্ছিন্ন কোনও ঘটনা নয়, বরং এটি ডিপ স্টেট দ্বারা পরিচালিত একটি বৈশ্বিক পরিকল্পনার অংশ। একই সময়ে বিভিন্ন দেশে উদারীকরণ নীতিগুলির গ্রহণযোগ্যতা এই ঘটনাগুলির পেছনের সুপরিকল্পিত নকশাকে (Deep State) প্রমাণ করে।

    অর্থনৈতিক ত্রাতা!

    মনমোহন সিংকে অর্থনৈতিক ত্রাতা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। কিন্তু আসলে কি তাই? তিনি বহিরাগত শক্তির দ্বারা নির্ধারিত একটি অ্যাজেন্ডা কার্যকর করছিলেন মাত্র। ২০০৪ সালে তাঁর প্রধানমন্ত্রী হিসেবে উত্থান ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বৈশ্বিক নেটওয়ার্কের প্রভাবকে আরও স্পষ্ট করে তোলে। ঘটনাগুলি যে সময়সীমা নির্ধারণ করেছে, তা আমাদের ২০৩০ এর অ্যাজেন্ডার দিকে নিয়ে যায়, যেখানে সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ চাইছে ডিপ স্টেট (Deep State)। জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত আখ্যান থেকে ডিজিটাল আইডি পর্যন্ত, CoR এবং WEF এমন একটি ভবিষ্যৎ তৈরি করছে, যেখানে ব্যক্তিগত স্বাধীনতাকে বৃহৎ পুঁজির শাসনের অধীন করা হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

     

  • Khalistani Attack: গুরদাসপুর গ্রেনেড হামলার নেপথ্যে খলিস্তানপন্থী নেতা জগজিৎ সিং! আইএস যোগ সন্দেহ

    Khalistani Attack: গুরদাসপুর গ্রেনেড হামলার নেপথ্যে খলিস্তানপন্থী নেতা জগজিৎ সিং! আইএস যোগ সন্দেহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্জাব পুলিশ এবং উত্তরপ্রদেশ পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে পিলিভিট জেলার তিন খালিস্তানপন্থী জঙ্গিকে (Khalistani Attack) খতম করেছে। নিহত তিন জঙ্গি গুরবিন্দর সিং, বিরেন্দর সিং এবং জাসনপ্রীত সিং, খালিস্তান জিন্দাবাদ ফোর্স (KZF)-এর সদস্য ছিল। তারা গুরদাসপুর জেলার একটি পুলিশ পোস্টে গ্রেনেড হামলার সঙ্গে জড়িত ছিল। 

    কী বলছে পুলিশ?

    এই বিষয়ে একটি ভিডিও বিবৃতিতে পাঞ্জাবের ডিরেক্টর জেনারেল অফ পুলিশ (DGP) গৌরব যাদব জানান, খালিস্তান জিন্দাবাদ ফোর্সের একটি মডিউল পরিচালনা করতে যে সন্দেহভাজন ব্যক্তি জড়িত, তিনি হচ্ছেন ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর একজন শিখ সৈনিক, জগজিৎ সিং, যিনি ফতেহ সিং ‘বাগি’ নামেও পরিচিত। যাদব আরও জানান, এই মডিউলটি পাকিস্তানে অবস্থিত কেজেডএফ-এর প্রধান রঞ্জিত সিং নিটা এবং গ্রিসে অবস্থিত জসবিন্দর সিং মান্নুর-এর মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত হচ্ছিল। পাঞ্জাব পুলিশ সন্দেহ করছে যে, পাকিস্তানের আইএসআই জগজিৎ সিংকে সন্ত্রাসী মডিউলে যোগ দিতে প্ররোচিত করেছে। আইএসআই দীর্ঘদিন ধরে বিদেশি সেনাবাহিনীতে শিখদের নিয়োগ করে খালিস্তান আন্দোলনের পক্ষে ব্যবহার করে আসছে। পুলিশ সূত্রে খবর, জগজিৎ সিংয়ের নেতৃত্বে মডিউলটি মূলত ছোট অপরাধীদের ব্যবহার করেই হামলা চালাত।

    আরও পড়ুন: দক্ষতার ভিত্তিতে কর্মচারীদের বেতন! পে কমিশন নিয়ে কী ভাবছে সরকার?

    জগজিৎ সিং কে? 

    পঞ্জাবের টার্ন তারান এলাকার বাসিন্দা জগজিৎ সিং। পুলিশের অনুমান, ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর সঙ্গে জগজিতের সম্পর্ক রয়েছে। তাঁর পরিবার দীর্ঘ সময় ধরে ভারতীয় সেনাবাহিনীর সঙ্গে জড়িত ছিল।  রিপোর্ট অনুযায়ী, তাঁর দাদা ও বাবা ভারতীয় সেনাবাহিনীতে কর্মরত ছিলেন। তাঁর বাবা সুবেদার পদে অবসর নেন। জগজিৎ সিংয়ের ভাইও শিখ রেজিমেন্টে ভারতীয় সেনাবাহিনীতে কাজ করেছিলেন। প্রায় দশ বছর আগে, জগজিৎ ছাত্র ভিসায় ব্রিটেনে গিয়েছিলেন। ইস্ট লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে পড়াশোনা শুরু করেন। পরবর্তী কালে তিনি ব্রিটিশ সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। তিনি ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর ৪র্থ ব্যাটেলিয়ন দ্য রাইফেলসের সদস্য ছিলেন, যেটি ইরাক, আফগানিস্তান, কসোভো এবং সিয়েরা লিওনে মোতায়েন ছিল। প্রশিক্ষণ শেষে, তিনি আফগানিস্তানে একটি ট্যুরে দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে জগজিৎ ব্রিটেনেই রয়েছেন বলেই খবর।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Haryana: হরিয়ানায় মিলল ৫০০০ বছরের পুরানো জল ব্যবস্থার কৌশল, আর কী মিলল?

    Haryana: হরিয়ানায় মিলল ৫০০০ বছরের পুরানো জল ব্যবস্থার কৌশল, আর কী মিলল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হরিয়ানার (Haryana) হিসারের রাখিগড়িতে খননকার্য চালিয়ে হরপ্পা যুগের জলাশয়ের হদিশ মিলেছে। ৫ হাজার বছর আগে সেখানকার বাসিন্দারা কীভাবে জলের সংস্থান করতেন, তার প্রমাণ মিলেছে। সাংস্কৃতিক অনুশীলনের উল্লেখযোগ্য প্রমাণও মিলেছে।

    এএসআইয়ের কর্তা কী বললেন?(Haryana)

    রাখিগড়ি (Haryana) এলাকাটি হরপ্পা-যুগের বৃহত্তম পরিচিত স্থান। ৮৬৫ একর বিস্তৃত এলাকা জুড়ে রয়েছে রাখিগড়ি। গভীর ঐতিহাসিক গুরুত্ব রয়েছে এই জায়গার। আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া (এএসআই) এর জয়েন্ট ডিরেক্টর সঞ্জয় মঞ্জুল বলেন, “এটি ৩.৫ থেকে ৪ ফুট গভীর জলাশয় বলে মনে হচ্ছে।” এই এলাকার ঢিবি এক, দুই এবং তিনটিকে “অভিজাত অঞ্চল” হিসেবে বর্ণনা করেছেন তিনি। তিনি আরও বলেন, “প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, এই এলাকাটি হরপ্পা সভ্যতায় উচ্চ শ্রেণির আবাসস্থল ছিল। খননস্থল থেকে ৩০০ মিটার দূরে একটি শুকনো নদীরও হদিশ মিলেছে। নদীটির নাম চৌতাং (দ্রিশাবতী নদী নামেও পরিচিত)। এই নদীটি এখন বিলুপ্ত। প্রাচীনকালে এই অঞ্চলে ঘন জনবসতি ছিল। প্রত্নতাত্ত্বিক প্রমাণ থেকে জানা যায় যে, হরপ্পাবাসীরা দ্রিশাবতী নদী থেকে জল নিয়ে এসে সঞ্চয় করতেন ওই জলাশয়ে”।

    ৪৬০০ বছর বয়সী একজন মহিলার দেহাবশেষ উদ্ধার

    এএসআই (Haryana) সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় ৫০০০ বছর আগে দ্রিশাবতী এবং সরস্বতী নদী শুকিয়ে যাওয়ায় এলাকায় জলসঙ্কট তৈরি হয়েছিল। যার জন্য সম্ভবত রাখিগড়ির মতো সমৃদ্ধশালী শহরের পতন ঘটে। খননের ফলে সবচেয়ে আকর্ষণীয় আবিষ্কারগুলির মধ্যে একটি হল ৫৬টি কঙ্কাল উদ্ধার। এর মধ্যে ৪৬০০ বছর বয়সী একজন মহিলার দেহাবশেষও রয়েছে। মহিলার দেহাবশেষের ডিএনএ বিশ্লেষণ থেকে জানা গিয়েছে, প্রাচীন ইরানি এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় শিকারি-সংগ্রাহকদের সঙ্গে জেনেটিক লিঙ্ক রয়েছে।

    রাখিগড়ি আইকনিক সাইট

    খননের (Haryana) ফলে অগ্নি বেদি ও বলিদানের গর্ত উদ্ধার হয়েছে। এই সবই সেই সময়কার সাংস্কৃতিক অনুশীলনের প্রমাণ বলে এএসআইয়ের কর্তারা মনে করেন। ২০২১ সালে প্রত্নতাত্ত্বিকরা রাখিগড়িতে মোট এগারোটি ঢিবি আবিষ্কার করেছিলেন। এই এলাকাগুলি আরজিআর-১ থেকে আরজিআর ১১ নামকরণ করা হয়েছে। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন তাঁর বাজেট বক্তৃতার সময় যে “পাঁচটি আইকনিক সাইট” এর উল্লেখ করেন, তাঁর মধ্যে রাখিগড়িও একটি। অন্যান্য সাইটগুলি হল উত্তর প্রদেশের হস্তিনাপুর, অসমের শিবসাগর, গুজরাটের ধোলাভিরা এবং তামিলনাড়ুর আদিচানাল্লুর।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kerala: কেরালায় সমবায় ব্যাঙ্কে বিনিয়োগকারীর আত্মহত্যা, প্রতিবাদ বিজেপির

    Kerala: কেরালায় সমবায় ব্যাঙ্কে বিনিয়োগকারীর আত্মহত্যা, প্রতিবাদ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেরলে (Kerala) সমবায় ব্যাঙ্কে দুর্নীতির বলি আরও একজন। কেরলের সিপিএম সরকারের এই সমবায় জালিয়াতির কবলে পড়ে সব কিছু খুইয়ে নিঃস্ব হয়ে আত্মহত্যা করলেন এক ব্যক্তি। সাবু নামে ওই ব্যক্তি ইদুক্কি জেলার সমবায় সমিতিতে টাকা রেখেছিলেন। সিপিএম-নিয়ন্ত্রিত কাট্টপ্পানা গ্রামীণ উন্নয়নে নিজের টাকা খুইয়ে ২০ ডিসেম্বর ব্যাঙ্কের সামনেই আত্মহত্যা করেন ওই ব্যক্তি। 

    অসহায় সাবু

    সাবু সমবায় ব্যাঙ্কে ৩৫ লাখ টাকা জমা করেছিলেন, এর মধ্যে তিনি মাত্র ১৪ লক্ষ টাকা পুনরুদ্ধার করতে পেরেছিলেন। বাকি টাকা বারবার চেয়েও তিনি ব্যাঙ্ক থেকে সেই টাকা ফেরত পাননি। ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের দাবি, প্রতিষ্ঠানটি আর্থিক সংকটে ছিল। তাই এই মুহূর্তে টাকা ফেরত দেওয়া সম্ভব হয়নি। মৃত্যুর দিন, সাবু আবারও ব্যাঙ্কের কাছে গিয়েছিলেন। তাঁর স্ত্রী মেরিকুট্টির চিকিৎসার জন্য টাকার দরকার ছিল। তিনি আশা করেছিলেন টাকা পেয়ে যাবেন। কিন্তু টাকা না পেয়ে হতাশায় নিজের জীবন শেষ করে দেন। সাবুর স্ত্রী এখন হাসপাতালে ভর্তি।

    আরও পড়ুন: এক যুগের অবসান! প্রয়াত পরিচালক শ্যাম বেনেগাল

    বিজেপির প্রতিবাদ

    মেরিকুট্টির কথায়, সাবু যতবারই ব্যাঙ্কের কাছে সাহায্য চেয়েছেন ততবারই অপমানিত হয়েছেন। সাবু তাঁর সুইসাইড নোটে ব্যাঙ্ক সেক্রেটারি রেজি এবং কর্মচারী সুজামল ও বিনয়ের নাম লিখে গিয়েছেন। তাঁদেরই নিজের মৃত্যুর জন্য দায়ী করেছেন সাবু। এই ঘটনার প্রতিবাদ জানায় বিজেপি। বিক্ষোভকারীরা প্রথমে সাবুর দেহ ব্যাঙ্ক প্রাঙ্গণ থেকে সরাতে বাধা দেয়, ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জোর দেওয়া হয়। পুলিশ অবশেষে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের গ্রেফতার করে। ২০১০ সালে এই সমবায় ব্যাঙ্ক দুর্নীতি মামলা প্রথম প্রকাশ্যে আসে। ইডি-র দাবি, জেলাস্তরের নেতাদের অঙ্গুলিহেলনেই ব্যাঙ্কের ম্যানেজার ও এজেন্টদের মাধ্যমে দরিদ্র গ্রাহকদের সম্পত্তি বন্ধক রেখে বেনামিদের নগদ অর্থ বিতরণ করা হয়েছে। পাশাপাশি একই নামে একাধিকবার ঋণ দেওয়ারও অভিযোগ তুলেছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Shyam Benegal: এক যুগের অবসান! প্রয়াত পরিচালক শ্যাম বেনেগাল

    Shyam Benegal: এক যুগের অবসান! প্রয়াত পরিচালক শ্যাম বেনেগাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাত্র বারো বছর বয়সে বাবার দেওয়া ক্যামেরার মাধ্যমে প্রথম ছবি তৈরি করেছিলেন তিনি। সেই পথচলা থামল ৯০ বছরে। প্রয়াত জাতীয় পুরস্কার-প্রাপ্ত পরিচালক শ্যাম বেনেগাল (Shyam Benegal)। ২৩ ডিসেম্বর, সোমবার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। সমান্তরাল ধারার সিনেমার ক্ষেত্রে তাঁর অবদান ভোলার নয়। তাঁর ছবিতে ফুটে উঠত সমাজের জটিলতা, বাস্তবতা, সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের ছবি। 

    সব ছবিই সেরার সেরা

    ১৯৩৪ সালের ১৪ ডিসেম্বর হায়দরাবাদে জন্ম শ্যাম বেনেগালের (Shyam Benegal)। কোঙ্কনি পরিবারে জন্ম তাঁর। মাত্র বারো বছর বয়সে বাবার দেওয়া ক্যামেরার মাধ্যমে প্রথম ছবি তৈরি করেছিলেন তিনি। তাঁর বাবা ছিলেন পেশায় চিত্রগ্রাহক। সেখান থেকেই অনুপ্রেরণা পেয়েছিলেন তিনি। হায়দরাবাদের ওসমানিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতকোত্তর সম্পূর্ণ করেছিলেন তিনি। হায়দরাবাদ ফিল্ম সোসাইটি থেকেই ছবি নির্মাণের সফর শুরু হয়েছিল পরিচালকের। ১৯৭০ থেকে ১৯৮০ দশকে ভারতীয় চলচ্চিত্র জগতকে তিনি উপহার দিয়েছেন একের পর এক সিনেমা। ‘মন্থন’, ‘অঙ্কুর’, ‘ভূমিকা’, ‘জুনুন’, ‘মান্ডি’, ‘নিশান্ত’ ভারতীয় সিনেমার মাইলফলক। শুধু তাই নয়, ২০০১ সালে মুক্তি প্রাপ্ত জুবেদা ছবিটি বক্স অফিসের সঙ্গে সঙ্গে সমালোচকদের মন জয় করেছিল। এই ছবিতে অভিনয় করেছিলেন করিনা কাপুর, মনোজ বাজপেয়ী এবং রেখা।

    একাধিক সম্মান

    ভারতীয় চলচ্চিত্র জগতে একাধিক সম্মানে ভূষিত হয়েছেন তিনি। ১৯৭৬ সালে পদ্মশ্রী ও ১৯৯১ সালে পদ্মভূষণ পেয়েছিলেন শ্যাম বেনেগাল (Shyam Benegal)। দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কারও পান তিনি। বহু দিন ধরেই বার্ধক্যজনিত অসুস্থতায় ভুগছিলেন তিনি। এ ছাড়া কিডনি সংক্রান্ত সমস্যাও ছিল তাঁর। শারীরিক অসুস্থতায় জর্জরিত, তবুও কাজের মধ্যেই ছিলেন শ্যাম বেনেগাল। সপ্তাহে তিন দিন ডায়ালিসিস-এর জন্য হাসপাতালে যেতে হত তাঁকে। কিন্তু ছবির কাজ থামেনি তাতেও। ২০২৩-এ মুক্তি পায় তাঁর শেষ ছবি ‘মুজিব: দ্য মেকিং অফ এ নেশন’।  যেখানে ভারত এবং বাংলাদেশের একাধিক অভিনেতারা অভিনয় করেছিলেন। 

    আরও পড়ুন: দক্ষতার ভিত্তিতে কর্মচারীদের বেতন! পে কমিশন নিয়ে কী ভাবছে সরকার?

    অনবদ্য সৃষ্টি

    বিস্তৃত ভারতীয় ছবির ইতিহাসে তাঁর সৃষ্টি বারবার চমকে দিয়েছে দর্শকদের। সেই শ্যাম বেনেগালের (Shyam Benegal) ছবি ‘মন্থন’ নতুন করে মুক্তি পেয়েছিল কয়েকদিন আগেই। রিস্টোর্ড ভার্সন হিসেবে প্রথম দেখানো হয় কান চলচ্চিত্র উৎসবে। পরে কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবেও স্ক্রিনিং হয়। ‘মন্থন’ ছবি তৈরি হয়েছিল ভারতের মিল্ক ম্যান ভার্গিস কুরিয়ানকে নিয়ে। অবাক করা তথ্য এই যে, এই ছবির জন্য ৫ লক্ষ গোয়ালা প্রত্যেকে দিয়েছিলেন ২ টাকা করে। সেই টাকায় তৈরি হয়েছিল ছবি। যা ইতিহাস। ‘জুনুন’, ‘আরোহন’, ‘নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু: দ্য ফরগটেন হিরো’, ‘ওয়েল ডান আব্বা’, ‘মাম্মো’র মতো ছবি নির্মাণ করেছিলেন শ্যাম বেনেগাল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Manipur: মণিপুরের মেইতি রাজা পামহেইবা গ্রহণ করেছিলেন হিন্দু ধর্ম, দীক্ষা নেন বৈষ্ণব ধর্মগুরুর কাছে

    Manipur: মণিপুরের মেইতি রাজা পামহেইবা গ্রহণ করেছিলেন হিন্দু ধর্ম, দীক্ষা নেন বৈষ্ণব ধর্মগুরুর কাছে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেড় বছরেরও বেশি সময় ধরে খবরের শিরোনামে রয়েছে মণিপুর (Manipur)। সে রাজ্যে কুকি-মেইতেই বিবাদকে কেন্দ্র করে হিংসা ছড়িয়েছে গোটা রাজ্যে। তবে ইতিহাস বলছে মণিপুর অতীতে একটি মেইতেই রাজ্য ছিল। উত্তর-পূর্ব ভারতের সবুজ উপত্যকায় মোড়া, পার্বত্য এই রাজ্যে কান পাতলে আজও শোনা যায় পামহেইবা নামের একজন রাজার কথা। তাঁকে ডাকা হত গরিব নেওয়াজ নামে। মণিপুরজুড়ে (Manipur) একটি ব্যাপক আর্থ-সামাজিক ব্যবস্থা তিনি গড়ে তুলতে পেরেছিলেন। ভারতীয় ইতিহাসে এই মেইতেই রাজার উল্লেখযোগ্য নাম রয়েছে।

    পামহেইবা ১৭০৯ সালে রাজা হন (Manipur) 

    মণিপুরের ইতিহাস থেকে জানা যায়, পামহেইবা ১৭০৯ সালে রাজা হন। সে সময়ে মণিপুরের (Manipur) নাম ছিল কাংলেইপাক। এই নামটি অবশ্য মেইতেই সম্প্রদায়ের দেওয়া। সে রাজ্যের জনগণের স্থানীয় সংস্কৃতি এবং বিশ্বাসের সঙ্গে যুক্ত ছিল এই নাম। পামহেইবারের পিতার নাম ছিল চারাইরংবার। জানা যায়, চারাইরংবার ভারতের অন্যান্য অংশে হিন্দু রাজ্যগুলির সঙ্গে কূটনৈতিক সংযোগ গড়ে তুলেছিলেন এবং তিনিও হিন্দুরীতিতে বিশ্বাস রাখতেন। তাঁর সেই নীতিকে আরও এগিয়ে নিয়ে যান পামহেইবার।

    ১৭১৭ সালে নেন দীক্ষা

    জানা গিয়েছে, পামহেইবার নিজে হিন্দু (Hinduism) ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন। যার একটা ব্যাপক প্রভাব পড়েছিল মেইতেই সমাজের মধ্যে। ১৭১৭ সালে রাজা পামহেইবার বঙ্গদেশের সিলেটের একজন বৈষ্ণব ধর্ম প্রচারক শান্তি দাসের মাধ্যমে হিন্দু ধর্মের সংস্পর্শে আসেন। পামহেইবার অচিরেই চৈতন্য মহাপ্রভুর অনুসারী হয়ে ওঠেন এবং গুরু শান্তি দাসের নির্দেশনায় গৌড়ীয় বৈষ্ণব ধর্ম গ্রহণ করেন। প্রসঙ্গত, হিন্দুধর্ম গ্রহণ করার সঙ্গে সঙ্গে মেইতেই জনগণও ব্যাপকভাবে হিন্দু ধর্ম গ্রহণ করতে শুরু করেন। এর ফলে সেখানকার আচার-অনুষ্ঠান রীতিনীতি সবকিছুতেই ব্যাপক হিন্দু ছোঁয়া দেখা যায়। ঐতিহাসিকরা বলেন যে রাজার সংস্কৃত বা হিন্দু নাম ছিল গোপাল সিং। তিনি অসংখ্য মন্দির তৈরি করে দিয়েছিলেন বলে জানা যায়। তাঁর শাসনকালে মণিপুরে (Manipur) শিব, দুর্গারও পুজোর প্রচলন শুরু হয়। এর পাশাপাশি ভগবান বিষ্ণু, গণেশ এবং অন্যান্য হিন্দু দেবতাও ছিল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • 8th Pay Commission: দক্ষতার ভিত্তিতে কর্মচারীদের বেতন! পে কমিশন নিয়ে কী ভাবছে সরকার?

    8th Pay Commission: দক্ষতার ভিত্তিতে কর্মচারীদের বেতন! পে কমিশন নিয়ে কী ভাবছে সরকার?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অষ্টম পে-কমিশন (8th Pay Commission) নিয়ে এখনই ভাবছে না সরকার। এবার দক্ষতার ওপর ভিত্তি করে বাড়বে সরকারি কর্মচারীদের বেতন। কিংবা মুদ্রাস্ফীতির সূচকের উপর নির্ভর করবে বেতনের হ্রাস-বৃদ্ধি। সূত্রের খবর, সেই লক্ষ্যেই ধীরে ধীরে এগোচ্ছে নরেন্দ্র মোদি সরকার। যদিও এই ইস্যুতে সরকারিভাবে এখনও কোনও ঘোষণা করেনি কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রক।

    কী কী সুবিধা

    অর্থনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, দক্ষতাভিত্তিক বা মুদ্রাস্ফীতির (8th Pay Commission) ওপর নির্ভর করে বেতনবৃদ্ধি করা হলে তা অবশ্যই যুগোপযোগী হবে। বেতন কমিশন সাধারণত ১০ বছর পর বসে। ফলে বেতনবৃদ্ধির জন্য এক দশক অপেক্ষা করতে হয় কর্মচারীদের। নতুন ব্যবস্থায় তার থেকে মুক্তি মিলবে। দ্বিতীয়ত, মূলত পরিষেবা ক্ষেত্রেই সরকারি কর্মচারীদের কাজ করতে হয়। তাঁদের যোগ্যতা এবং দক্ষতা নিয়ে অনেক সময়েই আমজনতার অভিযোগ থাকে। ফাইলের ফাঁসে আটকে যাওয়ায় সরকারি সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হওয়ার অভিযোগ রয়েছে ভূরি ভূরি। বেতনবৃদ্ধির নতুন ব্যবস্থায় এই সমস্যার সমাধান হবে। কারণ, এ ক্ষেত্রে দক্ষতা প্রমাণের নেশায় সরকারি কর্মচারীরা নিজেদের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করবেন।

    কাজে অনীহা কমবে

    সরকারি কর্মীদের একাংশের বিরুদ্ধে দায়িত্ব গ্রহণের ক্ষেত্রে অনীহার অভিযোগ রয়েছে। অন্য দিকে পদোন্নতি নিয়ে আবার পাল্টা অভিযোগের সুর শোনা যায় সরকারি কর্মচারীদের গলায়। নতুন ব্যবস্থা চালু হলে, এই দুই সমস্যা পুরোপুরি মিটে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। তখন উচ্চ মেধাসম্পন্ন যোগ্য কর্মচারীদের উচ্চপদ দিতে বাধ্য হবে সরকার। আর্থিক বিশ্লেষকেরা আবার মনে করেন, এর মাধ্যমে বেসরকারি সংস্থার কর্মী এবং সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে একটা সামঞ্জস্য আনা সম্ভব হবে। কর্মীদের কাজের উৎসাহ বাড়াতে বেসরকারি সংস্থায় বেতনের বাইরেও ‘ইনসেনটিভ’ বা অতিরিক্ত অর্থ প্রদানের প্রচলন রয়েছে। নতুন ব্যবস্থায় কতকটা সেই সুযোগই দেওয়ার পরিকল্পনা করছে কেন্দ্র।

    আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী মোদির ঐতিহাসিক সফর! ভারত কুয়েতের মধ্যে ৪টি মউ চুক্তি স্বাক্ষরিত

    সরকারের বোঝা কমবে

    ২০১৬ সালে সপ্তম বেতন কমিশন (8th Pay Commission) কার্যকর করে কেন্দ্র। ফলে সরকারের বার্ষিক খরচ এক লক্ষ কোটি টাকা বৃদ্ধি পেয়েছিল। দক্ষতার বা মুদ্রাস্ফীতির হারের উপর নির্ভর করে বেতন ঠিক করলে এই বিপুল ব্যয়ভারের বোঝা কিছুটা হলেও কমবে বলেই মনে করা হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Pass-Fail System: পঞ্চম-অষ্টম শ্রেণিতে ফিরছে পাশ-ফেল, বিজ্ঞপ্তি জারি মোদি সরকারের

    Pass-Fail System: পঞ্চম-অষ্টম শ্রেণিতে ফিরছে পাশ-ফেল, বিজ্ঞপ্তি জারি মোদি সরকারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাশ-ফেল (Pass Fail System) নিয়ে বড় পদক্ষেপ নিতে চলেছে মোদি সরকার (Narendra Modi)। আগের মতো আবারও পঞ্চম এবং অষ্টম শ্রেণিতে ফের পাশ-ফেল ফেরাতে চলেছে কেন্দ্র। ২০১৯ সালে শিক্ষার অধিকার আইন (RTE) সংশোধনের পরে কমপক্ষে ১৬টি রাজ্য ও দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ইতিমধ্যে দুটি গ্রেডের জন্য ‘নো-ডিটেনশন নীতি’ বাতিল করেছে।

    শিক্ষা মন্ত্রকের বিজ্ঞপ্তিতে কী রয়েছে?(Pass Fail System)

    শিক্ষা মন্ত্রকের (Pass Fail System) তরফে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয়েছে, পঞ্চম এবং অষ্টম শ্রেণির কোনও পড়ুয়া পরীক্ষায় সফল না হলে তাকে ফের সুযোগ দেওয়া হবে। ফল বেরোনোর পর দু’মাসের মধ্যে ফের পরীক্ষায় বসার সুযোগ পাবে অকৃতকার্য হওয়া পড়ুয়া। এই সময়ের মধ্যে তাদের অতিরিক্ত কোচিং দেওয়া হবে। এরপর দ্বিতীয় পরীক্ষায়ও কোনও পড়ুয়া সফল না-হলে তাকে পরবর্তী ক্লাসে উন্নীত করা হবে না বলে শিক্ষা দফতরের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, “পড়ুয়াকে আটকে রাখার সময়, স্কুলের শিক্ষক প্রয়োজনে পড়ুয়ার পাশাপাশি তার অভিভাবককেও গাইড করবেন এবং মূল্যায়নের বিভিন্ন পর্যায়ে শেখার ফাঁকগুলি চিহ্নিত করার পরে বিশেষ ইনপুট প্রদান করবেন। তবে শিক্ষা সমাপ্ত না হওয়া পর্যন্ত কোনও পড়ুয়াকে কোনও স্কুল থেকে বহিষ্কার করা যাবে না, সরকার স্পষ্ট করেছে।

    আরও পড়ুন: ভারত থেকে ব্রহ্মোস মিসাইল কিনতে চলেছে ভিয়েতনাম

    কোথায় কোথায় প্রযোজ্য?

    শিক্ষামন্ত্রকের (Pass Fail System) ঊর্ধ্বতন আধিকারিকদের মতে, বিজ্ঞপ্তিটি কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়, নবোদয় বিদ্যালয় এবং সৈনিক স্কুল সহ কেন্দ্রীয় সরকার দ্বারা পরিচালিত ৩,০০০-এরও বেশি স্কুলে প্রযোজ্য হবে।” রাজ্যগুলি এই বিষয়ে তাদের নিজস্ব সিদ্ধান্ত নিতে পারে। ইতিমধ্যেই দিল্লি সহ ১৬টি রাজ্য এবং ২টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল এই দুটি শ্রেণিতে নো-ডিটেনশন নীতি বাতিল করেছে। এক আধিকারিক বলেন,”হরিয়ানা এবং পুদুচেরি এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি। বাকি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলি নীতিটি চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • LIC: এলআইসির কাছে ৮৮০ কোটি টাকা দাবিহীন, কীভাবে গ্রাহকেরা আবেদন করবেন জানেন?

    LIC: এলআইসির কাছে ৮৮০ কোটি টাকা দাবিহীন, কীভাবে গ্রাহকেরা আবেদন করবেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এলআইসির (LIC) হাতে রয়েছে দাবিহীন ৮৮০ কোটি টাকা। মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গিয়েছে জীবন বিমার পলিসির। কিন্তু টাকার কোনও দাবিদার নেই। সম্প্রতি এই তথ্য প্রকাশ হয়েছে সংসদে। তথ্য দিয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থ প্রতিমন্ত্রী পঙ্কজ চৌধুরী। এখন দাবি না করা বিমার টাকা কীভাবে (How to Apply) গ্রাহক পেতে পারেন সেই বিষয়েও জানিয়েছেন তিনি। আসুন জেনে নিই কীভাবে আবেদন করবেন। 

    গ্রাহকের কাছে টাকা পৌঁছে দেওয়া বিমা সংস্থার দায়িত্ব (LIC)

    কেন্দ্রীয় অর্থ প্রতিমন্ত্রী পঙ্কজ চৌধুরী রাষ্ট্রায়ত্ত জীবন বিমা সংস্থা ‘লাইফ ইনস্যুরেন্স কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া’ (LIC)–র মেয়াদ উত্তীর্ণ পলিসির দাবিহীন অর্থের তথ্য প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, “মোট ৩.৭২ লক্ষ গ্রাহক পলিসির মেয়াদ শেষ হওয়ার পরে টাকার দাবি করেননি। ফলে ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে সেই অর্থের পরিমাণ দাঁড়ায় ৮৮০.৯৩ কোটি টাকা। তবে মেয়াদ উত্তীর্ণ টাকার অঙ্ক কমানোর চেষ্টা করছে এলআইসি। তবে এই টাকা সংশ্লিষ্ট গ্রাহকের কাছে পৌঁছে দেওয়া বিমা সংস্থার প্রধান কর্তব্য।”

    এলআইসির দাবিহীন টাকাকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়

    জানা গিয়েছে, ২০২১-২২ আর্থিক বছরে মেয়াদ উত্তীর্ণ এলআইসি পলিসির দাবিহীন অর্থের পরিমাণ ছিল ৬৫২ কোটি টাকা। ঠিক তার পরের অর্থবর্ষে ২০২২-২৩ সালে সেই অঙ্ক বেড়ে ৮৯৭ কোটি হয়েছে। সেই সঙ্গে গত আর্থিক বছরেই নিম্নমুখী হয়েছে সূচক। ফলে তা ৮৮০.৯৩ কোটিতে নেমেছে। সাধারণত এলআইসি, পলিসির দাবিহীন টাকাকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়। প্রথমত, যাঁরা পলিসির (LIC) মেয়াদ শেষে টাকার দাবি করছেন না। দ্বিতীয় শ্রেণিতে রয়েছে মৃত্যু পরবর্তী দাবি বা ডেথ ক্লেম। এর আবেদন প্রয়াত গ্রাহকের আপনজন বা পরিবারের সদস্যদের করতে হয়। তবে পলেসিতে নাম নমিনি হিসাবে থাকতে হবে। আর তিন হল, পেআউট সংগ্রহে ব্যর্থ হওয়া গ্রাহক। তিন বা তার বেশি বছর সময় ধরে মেয়াদ উত্তীর্ণ পলিসির টাকার জন্য আবেদন না করলে, ওই টাকাকে দাবিহীন হিসাবে উল্লেখ করে এলআইসি।

    কীভাবে (How to Apply) আবেদন করবেন?

    টানা ১০ বছর টাকার দাবি না করলে সিনিয়র সিটিজ়েন ওয়েলফেয়ার তহবিলে তা স্থানান্তরিত করে রাষ্ট্রায়ত্ত জীবন বিমা সংস্থা (LIC)। প্রসঙ্গত, এই দাবিহীন টাকার জন্য আবেদন করা যায়।

    ১> প্রথমেই এলআইসির অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে লগ ইন করতে হবে।

    ২> ওয়েবসাইটটির হোমপেজেই মিলবে ‘কাস্টমার সার্ভিস’ নামের অপশন।

    ৩> এর পর তার ভিতরে গেলে ‘অনক্লেইম্ড অ্যাকাউন্ট অফ পলিসিহোল্ডার’ বলে একটি অপশন দেখতে পাবেন গ্রাহক।

    ৪> এবার সেখানে ক্লিক করতে হবে তাঁকে। ওই অপশনে ঢুকে পলিসি নম্বর, নাম, জন্ম তারিখ এবং প্যান কার্ড নম্বর দিয়ে লগ ইন করবেন গ্রাহক। এরপর ডাউনলোড। নিকটবর্তী এলআইসি সেন্টারে জমা দিলে টাকা পাবেন। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share