Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Union Government: জাতীয় ভোক্তা দিবসে তিন অ্যাপ চালু করতে চলেছে কেন্দ্র, জানুন কী কী

    Union Government: জাতীয় ভোক্তা দিবসে তিন অ্যাপ চালু করতে চলেছে কেন্দ্র, জানুন কী কী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২৪ ডিসেম্বর ‘জাতীয় ভোক্তা দিবস’। এই উপলক্ষে ভোক্তা বিষয়ক বিভাগ জনসাধারণের জন্য চালু করতে চলেছে (Union Government) ‘জাগো গ্রাহক জাগো অ্যাপ’, ‘জাগৃতি অ্যাপ’, এবং ‘জাগৃতি ড্যাশবোর্ড’।

    ভোক্তা সুরক্ষায় জোর (Union Government)

    ডিজিটাল যুগে (Digital Marketplace) ভোক্তা সুরক্ষা জোরদার করা এবং ই-কমার্স ও অনলাইন পরিষেবাগুলিতে অবৈধ কার্যকলাপ রুখতেই কেন্দ্রীয় ভোক্তা সুরক্ষা কর্তৃপক্ষ (CCPA) ২০২৩ সালে “ডার্ক প্যাটার্ন প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণের নির্দেশিকা” জারি করেছে। তারা ১৩টি ডার্ক প্যাটার্ন চিহ্নিত করেছে। এগুলি হল, মিথ্যা জরুরি অবস্থা, বাস্কেট স্নিকিং, কনফার্ম শেমিং, জোরপূর্বক কাজ করানো, সাবস্ক্রিপশন ফাঁদ, ইন্টারফেস হস্তক্ষেপ, বেইট অ্যান্ড সুইচ, ড্রিপ প্রাইসিং, ছদ্মবেশী বিজ্ঞাপন ও বিরক্তিকর বার্তা, বিভ্রান্তিকর শব্দচয়ন, সফটওয়্যার পরিষেবা বিলিং এবং দুর্বৃত্ত ম্যালওয়্যার।

    ভোক্তা সুরক্ষা আইন

    কেন্দ্রীয় ভোক্তা সুরক্ষা কর্তৃপক্ষ আগে ইন্ডিগো এয়ারলাইন্স ও বুকমাইশো-এর বিরুদ্ধে ভোক্তা সুরক্ষা আইন, ২০১৯ এর আওতায় মিথ্যা বিজ্ঞাপন বা অন্যায় বাণিজ্যিক পদ্ধতির জন্য নোটিশ জারি করেছিল, যেখানে বিভ্রান্তিকর ডিজাইন প্যাটার্ন বা ডার্ক প্যাটার্নের অভিযোগ ছিল। কেন্দ্রীয় ভোক্তা সুরক্ষা কর্তৃপক্ষের নজরে আসে যে বুকমাইশো গ্রাহকদের সম্মতি ছাড়াই নিশ্চিত টিকিট বুকিংয়ের পরে অতিরিক্ত চার্জ আরোপ করেছে। প্রতিটি টিকিটে ১ টাকা ‘বুকএস্মাইল’-এর জন্য যোগ করা হয়েছিল প্রি-টিক করা অবস্থায়। ভোক্তার সম্মতি ছাড়াই এসব করা হয়েছিল। এটি ২০২৩ সালের “ডার্ক প্যাটার্নের প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণের নির্দেশিকা”-এর অ্যাপেন্ডিক্স ১-এর ধারা (২)- অনুযায়ী ‘বাস্কেট স্নিকিং’-এর মধ্যে পড়ে। কেন্দ্রীয় ভোক্তা সুরক্ষা কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপের পর, বুকমাইশো এই সমস্যা সমাধান করে এবং গ্রাহকদের ‘বুকএস্মাইল’-এ অবদান রাখবে কি না তা বেছে নেওয়ার অপশন দেয়।

    আরও পড়ুন: ২৩ ডিসেম্বর ১৯২৬, মৌলবাদীর হাতে খুন হন আর্য সমাজের সন্ন্যাসী শ্রদ্ধানন্দ, জানুন তাঁর জীবনী

    ভোক্তা বিষয়ক বিভাগ (Union Government) এখন ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মে “ডার্ক প্যাটার্ন” শনাক্ত করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছে। এই সরঞ্জামগুলির মাধ্যমে ভোক্তাদের ক্ষমতায়ন করতে যাচ্ছে তারা। ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের এনসিসি ল্যাব, আইআইটি (বিএইচইউ)-এর ছাত্র প্রিন্স আমান এবং নামিত মিশ্রের গবেষণার অংশ হিসেবে ওই তিনটি অ্যাপ তৈরি করা হয়েছে। এগুলি ইন্টেলেজেন্স সাইবার-ফিজিক্যাল সিস্টেমের অংশ, যা রিয়েল-টাইমে কাজ করে এবং এআই এবং ডেটা অ্যানালিটিক্সের জন্য জাতীয় সুপারকম্পিউটিং মিশনের আওতায় এয়ারাওয়াত এআই সুপারকম্পিউটারে চালিত হয়। এই সিস্টেমটি ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মের টেক্সট এবং ডিজাইনের উপাদান বিশ্লেষণ করে জানিয়ে দেবে এগুলি ভোক্তার মনস্তত্ত্বকে প্রভাবিত করতে ব্যবহৃত হচ্ছে (Digital Marketplace) কি না। সেই মতো পদক্ষেপ করবে সরকার (Union Government)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Mahakumbh 2025: মহাকুম্ভে থাকবে ১৩ আখড়া, রবিবার প্রয়াগরাজে উপস্থিত হল শ্রী পঞ্চ দশনাম আবাহন আখড়া

    Mahakumbh 2025: মহাকুম্ভে থাকবে ১৩ আখড়া, রবিবার প্রয়াগরাজে উপস্থিত হল শ্রী পঞ্চ দশনাম আবাহন আখড়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জোর কদমে চলছে মহাকুম্ভের প্রস্তুতি। উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে অনুষ্ঠিত হতে চলা মহাকুম্ভে (Mahakumbh 2025) এবার ভক্তদের বার্তা দিতে থাকছে ১৩টি বড় বড় আখড়া। গত রবিবার মহাকুম্ভস্থলে শ্রী পঞ্চ দশনাম আবাহন আখড়া হাজির হয়। এই আখড়া সন্ন্যাসীরা যখন মহাকুম্ভর স্থলে আসেন, তখন তাঁদেরকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান ভক্তরা। বিভিন্ন আখড়াগুলির সনাতন ধর্মে অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য অবস্থান রয়েছে এবং এই আখড়াগুলির মধ্যে শ্রী পঞ্চ দশনাম আবহনা আখড়া হল প্রথম, যারা মহাকুম্ভস্থলে প্রবেশ করল। এই আখড়ার নেতৃত্বে ছিলেন আচার্য মহামণ্ডলেশ্বর স্বামী অরুণ গিরি।

    শ্রী পঞ্চ দশনাম আবাহন আখড়া হল ভারতবর্ষের মধ্যে সবথেকে পুরনো আখড়া

    জানা গিয়েছে, এই আখড়ার (Mahakumbh 2025) স্থানীয় আশ্রম অবস্থিত রয়েছে মাদৌকাতে। স্বামী অরুণ গিরি এরপরে সংবাদমাধ্যমকে বলেন যে শ্রী পঞ্চ দশনাম আবাহন আখড়া হল ভারতবর্ষের মধ্যে সবথেকে পুরনো আখড়া এবং এখনও পর্যন্ত তাঁরা ১২২টি মহাকুম্ভ ও ১২৩টি কুম্ভ প্রয়াগ্ররাজে সম্পন্ন করেছেন। অন্যদিকে, এই আখড়ার অন্যতম মহন্ত গোপাল গিরি বলেন যে আখড়ার শোভাযাত্রায় এক ডজনেরও বেশি মহামণ্ডলেশ্বর, একান্ন মহন্ত ও প্রচুর সংখ্যায় নাগা সন্ন্যাসী অংশগ্রহণ করেন। এই পঞ্চ দশনাম আবাহন আখড়া যখন মহাকুম্ভস্থলে (Mahakumbh 2025) প্রবেশ করছিল, তখন মহামণ্ডলেশ্বররা রথের ওপরে সওয়ার ছিলেন। নাগা সন্ন্যাসীরা ঘোড়া ও উটের পিঠে সওয়ার ছিলেন (Shri Panch Dashnam Avahan Akhara)। এই আখড়াতে ভগবান গজাননকে দেবতা মানা হয়। সর্বপ্রথম রথে সেই ভগবানকেই রাখা হয়েছিল। তারপরের রথগুলিতে সওয়ার ছিলেন আখড়ার আচার্য এবং মহামণ্ডলেশ্বরেরা।

    যাত্রাপথে সামাজিক বার্তা (Mahakumbh 2025) 

    এই যাত্রাপথে সমাজকে বার্তা দিতে থাকেন মহামণ্ডলেশ্বরেরা। তাঁরা বলেন যে গাছ লাগান এবং সারা বিশ্বকে রক্ষা করুন। আচার্য মহামণ্ডলেশ্বর স্বামী অরুণ গিরি সংবাদমাধ্যমকে বলেন যে সনাতন ধর্মের প্রচার এবং হিন্দু ধর্মকে রক্ষা করাই আমাদের কাজ। কিন্তু বর্তমান বিশ্বে পরিবেশ ভারসাম্য রক্ষা করা এক বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করতে ব্যক্তিগতভাবে অরুণ গিরি ৫১ হাজার ফল গাছ ভক্তদের বিতরণ করেছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • India Kuwait: প্রধানমন্ত্রী মোদির ঐতিহাসিক সফর! ভারত কুয়েতের মধ্যে ৪টি মউ চুক্তি স্বাক্ষরিত

    India Kuwait: প্রধানমন্ত্রী মোদির ঐতিহাসিক সফর! ভারত কুয়েতের মধ্যে ৪টি মউ চুক্তি স্বাক্ষরিত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) দুই দিনের কুয়েত সফরে (India Kuwait) একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এই সময় ভারত এবং কুয়েতের মধ্যে প্রতিরক্ষা, ক্রীড়া এবং সাংস্কৃতিক সহযোগিতা সম্পর্কিত চারটি মউ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকের সচিব অরুণকুমার চট্টোপাধ্যায় এ কথা জানিয়েছেন। তাঁর কথায়, প্রধানমন্ত্রীর এই ঐতিহাসিক সফর দু’দেশের মধ্যে নতুন অধ্যায়ের সূচনা করবে।

    কী কী চুক্তি স্বাক্ষরিত

    কুয়েতে (India Kuwait) শীর্ষ ব্যবসায়িক অংশীদারদের তালিকায় ভারতের স্থান উপরের দিকে। এ ছাড়াও সে দেশের জনসংখ্যার একটা বড় অংশই প্রবাসী ভারতীয়। প্রধানমন্ত্রী মোদির (PM Modi) এই সফর প্রসঙ্গে অরুণকুমার বলেন, “রবিবার, কুয়েতের সঙ্গে চারটি দ্বিপাক্ষিক চুক্তি সই হয়েছে। প্রথমটি হল প্রতিরক্ষা সহযোগিতার বিষয়ে মেমোরেনডাম অফ আন্ডারস্ট্যান্ডিং, দ্বিতীয়টি ২০২৫-২০২৯ সালের জন্য সাংস্কৃতিক আদান-প্রদানের প্রোগ্রাম, তৃতীয়টি হল ক্রীড়া ক্ষেত্রের জন্য ২০২৫-২০২৮ সালের জন্য এক্সিকিউটিভ প্রোগ্রাম এবং চতুর্থটি হল কুয়েতের আন্তর্জাতিক সৌর জোট (ISA) এর সদস্যপদ।” 

    প্রতিরক্ষা সহযোগিতা: প্রতিরক্ষা সহযোগিতার মেমোরেনডাম অফ আন্ডারস্ট্যান্ডিং দুটি দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে সহযোগিতাকে প্রতিষ্ঠিত করবে। এতে প্রশিক্ষণ, পেশাদার এবং বিশেষজ্ঞদের বিনিময়, যৌথ মহড়া, প্রতিরক্ষা শিল্পে সহযোগিতা, প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম সরবরাহ এবং গবেষণা ও উন্নয়ন ক্ষেত্রে যৌথ কার্যক্রম অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

    সাংস্কৃতিক আদান-প্রদান: ২০২৫-২০২৯ সালের জন্য সাংস্কৃতিক আদান-প্রদান প্রোগ্রামটি শিল্প, সঙ্গীত, নৃত্য, সাহিত্য ও নাটক, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণ, গবেষণা ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে উৎসব আয়োজনের ক্ষেত্রে বড় ধরনের সহযোগিতা বৃদ্ধি করবে।

    ক্রীড়া সহযোগিতা: ২০২৫-২০২৮ সালের জন্য ক্রীড়া ক্ষেত্রের এক্সিকিউটিভ প্রোগ্রামটি ভারত এবং কুয়েতের মধ্যে ক্রীড়া ক্ষেত্রে সহযোগিতা শক্তিশালী করবে। এটি ক্রীড়া নেতা, ক্রীড়া চিকিৎসা, ক্রীড়া ব্যবস্থাপনা, ক্রীড়া মিডিয়া, ক্রীড়া বিজ্ঞান ইত্যাদির ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতা বিনিময় এবং প্রোগ্রাম ও প্রকল্পে অংশগ্রহণের সুযোগ তৈরি করবে।

    কুয়েতের সদস্যপদ: কুয়েত আন্তর্জাতিক সৌর জোটের (ISA) সদস্যপদ লাভ করেছে। আইএসএ সদস্য দেশগুলোর জন্য সৌর শক্তির ব্যবহার বৃদ্ধির জন্য সম্মিলিতভাবে কাজ করবে এবং তাদের কম কার্বন বৃদ্ধি কৌশলগুলো উন্নয়নে সহায়তা করবে।

    আরও পড়ুনঃ মহারাষ্ট্রে মন্ত্রীপরিষদের দফতর ঘোষাণায় শপথ নিলেন আরও ৩৯ জন মন্ত্রী, কে কোন দফতর পেলেন?

    কুয়েতের অর্থনীতিতে ভারতীয়দের অবদান

    কুয়েতের (India Kuwait) শ্রমশক্তির ৩০ শতাংশই ভারতের নাগরিক। ভারতে অপরিশোধিত তেল সরবরাহকারী দেশের তালিকায় কুয়েত ষষ্ঠ স্থানে। দুই দেশ এই কথা স্মরণ করে স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতে নতুন সহযোগিতার ক্ষেত্র তৈরি করছে। দুই পক্ষই কুয়েতের অর্থনীতিতে ভারতীয়দের গুরুত্বপূর্ণ অবদানকে স্বীকার করেছে। রবিবারই কুয়েত সফর শেষে দেশে ফিরে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Delhi Assembly Election: সামনেই দিল্লি বিধানসভা নির্বাচন, কেন মসনদ দখল করতে পারে বিজেপি?

    Delhi Assembly Election: সামনেই দিল্লি বিধানসভা নির্বাচন, কেন মসনদ দখল করতে পারে বিজেপি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দরজায় কড়া নাড়ছে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল (Delhi Assembly Election) দিল্লির বিধানসভা নির্বাচন। এখানে মূল প্রতিপক্ষ বিজেপি ও আম আদমি পার্টি। দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতায় থাকলেও বর্তমানে দিল্লি প্রদেশে সম্পূর্ণ অপ্রাসঙ্গিক হয়েছে কংগ্রেস। বিগত ২০১৩ সালের নির্বাচনে কংগ্রেসকে পরাস্ত করে একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসেবে উঠে আসে বিজেপি (BJP), কিন্তু আম আদমি পার্টি এবং কংগ্রেসের পরিকল্পনায় ক্ষমতা থেকে দূরে থাকতে হয় গেরুয়া শিবিরকে। পরবর্তীকালে ২০১৫ সালে ৬৭ আসন নিয়ে ক্ষমতা দখল করে আম আদমি পার্টি। ২০২০ সালেও প্রায় একই সংখ্যা দেখা যায় এবং তারা ৬২টি আসনে জয়লাভ করে।

    দেশের বিভিন্ন রাজ্যে বিজেপির শক্তি বৃদ্ধি হতে দেখা যাচ্ছে

    অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণভাবে দেখা যাচ্ছে, দিল্লির (Delhi Assembly Election) লোকসভা নির্বাচনে আম আদমি পার্টির প্রতিবার ভরাডুবি হওয়া সত্ত্বেও বিধানসভা নির্বাচনে ভালোমতো জিতছে। অন্যদিকে বিজেপি লোকসভাতে জিতলেও দিল্লি প্রদেশের বিধানসভায় জিততে পারছে না। কিন্তু বর্তমান সময়ের দিকে তাকিয়ে দেখা যাচ্ছে, বিজেপির বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে দিল্লি প্রদেশের ক্ষমতা দখল করার। তার কারণ দেশের বিভিন্ন রাজ্যে বিজেপির শক্তি বৃদ্ধি হতে দেখা যাচ্ছে।

    বিজেপির অসম ও হরিয়ানা জয়

    যদি আমরা অসমের দিকে তাকাই তাহলে দেখব, ২০১১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে সেখানে বিজেপি (Delhi Assembly Election) জিতেছিল পাঁচটি আসনে। কিন্তু ২০১৬ সালের বিজেপি যেতে ৬০ আসনে অন্যদিকে হরিয়ানার ক্ষেত্রে যদি তাকাই তখন আমরা দেখব বিজেপি ৪৭ টি আসনে যেতে ২০১৪ সালে এবং সেখানে সরকার তৈরি করে বিধানসভার আসন রয়েছে হরিয়ানাতে ৯০টি। ২০১৪ আগের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় হরিয়ানাতে ২০০৯ সালে। সেবার বিজেপির চারটি আসনে সমর্থ হয়েছিল। ২০১৪ সালের ক্ষমতা মসনদে বসার আগে মসনদে বছর আগে পর্যন্ত বিজেপির সব থেকে বড় জয় ছিল ১৬টি আসন।

    বিজেপির ত্রিপুরা জয়

    অন্যদিকে উত্তর-পূর্ব ভারতের অপর আরেক রাজ্য ত্রিপুরার দিকেও যদি আমরা তাকাই তাহলে দেখব সেখানে বিধানসভায় আসন রয়েছে মোট ৬০ আসন। যার মধ্যে বিজেপি (Delhi Assembly Election) ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে পর্যন্ত কোনও আসনেই জেতেনি। ২০১৩ সাল পর্যন্ত বিজেপির ইতিহাসে একমাত্র কদমতলা-কুর্তি নামক আসনে নিজেদের জামানতকে তারা ধরে রাখতে পেরেছিল। এটাই ছিল বড় সাফল্য। কিন্তু ২০১৮ সালে ৬০ আসনের বিধানসভার মধ্যে ৩৬টি আসনের জয়লাভ করে বিজেপি এবং সেখানে সরকার তৈরি করে। ২০২৩ সালে পুনরায় ক্ষমতায় ফেরে বিজেপি। তাই এই সমস্ত রাজ্যগুলির মতো ফলাফল দিল্লিতেও হতে পারে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Wayanad: “রাহুল-প্রিয়াঙ্কার ভোটের জয়ের পিছনে ছিল সাম্প্রদায়িক মুসলিম জোট”, বিস্ফোরক বাম নেতা বিজয়রাঘবন

    Wayanad: “রাহুল-প্রিয়াঙ্কার ভোটের জয়ের পিছনে ছিল সাম্প্রদায়িক মুসলিম জোট”, বিস্ফোরক বাম নেতা বিজয়রাঘবন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওয়ানাড় (Wayanad) লোকসভার উপনির্বাচনে রাহুল এবং প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর ভোটের জয়ের পিছনে ছিল সাম্প্রদায়িক মুসলিম জোট (Communal Muslim Alliance), ঠিক এই ভাবেই বিস্ফোরক হয়েছেন সিপিআই(এম) নেতা বিজয়রাঘবন। কংগ্রেস যে মুসলিম ভোটকে রাজনীতির ভোট ব্যাঙ্ক হিসেবে ব্যবহার করে, সেই কথা আরও একবার প্রকাশ্যে এসেছে। অবশ্য লোকসভায় একাধিকবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ তোপ দেগেছিলেন এই বলে যে কংগ্রেস কেরলে মুসলিম লীগের সঙ্গে জোটের শরীক হয়ে থাকে। এবার বাম নেতার মন্তব্যে আরও একবার ‘তোষণনীতি’ প্রকাশ্যে এসেছে।

    খারাপ চরমপন্থী মুসলিম জোটের সমর্থন পেয়ছেন (Wayanad)!

    ২১ ডিসেম্বর কেরলের (Wayanad) সুলতান বাথেরিতে বাম দলের জেলা সম্মেলন ছিল। সেখানে মার্কসবাদী নেতা এ বিজয়রাঘবন কংগ্রেসের মুসলিম সাম্প্রদায়িকতার (Communal Muslim Alliance) প্রসঙ্গ তুলে ধরে বলেন, “দুই ব্যক্তি (রাহুল গান্ধী এবং প্রিয়াঙ্কা গান্ধী) ওয়ানাড় (Wayanad) থেকে সংসদে গিয়েছেন। কার সমর্থনে? সাম্প্রদায়িক মুসলিম জোটের শক্ত সমর্থন নিয়ে। মুসলমানদের সমর্থন ছাড়া কী রাহুল গান্ধীর পক্ষে দিল্লি পৌঁছানো সম্ভব ছিল? তিনি বিরোধী দলীয় নেতা। প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর মিছিলের সামনে ও পিছনের সারিতে কারা ছিলেন? সংখ্যালঘুদের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ চরমপন্থী উপাদান সেখানে ছিল। মুসলিমরা কংগ্রেস নেতৃত্বের সঙ্গে ছিলেন। সাম্প্রদায়িক মুসলিম জোটের সমর্থন ছাড়া কি রাহুল গান্ধীর পক্ষে দিল্লি পৌঁছানো সম্ভব ছিল?”

    আরও পড়ুনঃ ‘ওয়ান নেশন ওয়ান সাবস্ক্রিপশন’ স্কিমে ভারতীয় গবেষকদের হবে বিশেষ সুবিধা

    বিজয়রাঘবন নিজের দলের ব্যর্থতার কথা বলে আরও বলেন, “কেরলে বিরোধী ইন্ডিজোট সম্পর্কে কেন্দ্রীয় কমিটি সঠিক অবস্থান নেয়নি। কংগ্রেসের প্রধান শত্রু বামেরা। রাজ্য ধ্বংস হয়ে গেলেও কংগ্রেসের কিছুই যায় আসে না। মুসলিম সংগঠনের (Communal Muslim Alliance) সরাসরি সমর্থন পেয়েছে কংগ্রেস। অপর দিকে সিপিআই (এম) হিন্দু ভোটব্যাঙ্ক হারিয়েছে।” প্রসঙ্গত উল্লেখ্য পালাক্কাদ, চেলাক্কাদ বিধানসভা এবং ওয়ানাড়ে (Wayanad) সিপিআই(এম) হিন্দু ভোটারদের ভোট জয়ের চেষ্টা চালিয়েছিল। কংগ্রেসকেও এই নির্বাচনে বাম দলের বিরুদ্ধে আক্রমণ করতে দেখা গিয়েছিল।

    বাম এবং কংগ্রেস দুই পক্ষই মুসলিম চায়

    অপরদিকে ওয়ানাড় (Wayanad) উপনির্বাচনে মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন একটি বক্তব্যে বলেছিলেন, “আইইউএমএল-এর রাজ্য সভাপতি সাদিক আলী শিহাব থাঙ্গালকে ‘জামায়াত-ই-ইসলামির কর্মী’। তাঁরা ইসলামী শাসনের (Communal Muslim Alliance) পক্ষে দাঁড়িয়েছেন।” উল্লেখ্য এই দল ইউনাইটেড ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের অংশ। এটি আবার জাতীয় পর্যায়ে ইন্ডি জোটেরও শরীক। নির্বাচনের এক মাস আগে বিজয়ন এই দলকে নিজেদের সঙ্গে যুক্ত করার চেষ্টা করেছিলেন। ফলে রাজনৈতিক ওয়াকিবহাল মহলের মতে বাম এবং কংগ্রেস দুই পক্ষই মুসলিম ভোটের জন্য মরিয়া।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • One Nation One Subscription: ‘ওয়ান নেশন ওয়ান সাবস্ক্রিপশন’ স্কিমে ভারতীয় গবেষকদের হবে বিশেষ সুবিধা

    One Nation One Subscription: ‘ওয়ান নেশন ওয়ান সাবস্ক্রিপশন’ স্কিমে ভারতীয় গবেষকদের হবে বিশেষ সুবিধা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাচীন ভারতীয় সভ্যতা ছিল জ্ঞানচর্চা এবং গবেষণার (Indian Research) বিশেষ কেন্দ্রস্থল। বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, চিকিৎসা, দর্শন, ধাতুবিদ্যা এবং মানবিক বিষয়ে যুগান্তকারী অবদান রেখেছিলেন প্রাচীন ভারতীয় মুনি ঋষিরা। কিন্তু বহির্দেশীয় মুসলমান এবং ব্রিটিশরা আক্রমণ করে এবং নিজেদের শাসন কায়েম করে প্রাচীন সৃষ্টি-সংস্কৃতিকে ধ্বংস করে দিয়েছিল। তারা শুধু ভারতীয় সম্পত্তি লুট করেনি, সেই সঙ্গে বিদ্যাচর্চা ও গবেষণার পরম্পরার উপর ব্যাপক আঘাত করেছিল। এবার সেই গবেষণার ব্যবস্থাকে সমৃদ্ধ করতে কেন্দ্র আনছে ‘ওয়ান নেশন ওয়ান সাবস্ক্রিপশন’ স্কিম (One Nation One Subscription)।

    জার্নালগুলিকে আরও সহজভাবে পৌঁছে দেওয়া হবে (One Nation One Subscription)

    সম্প্রতি ন্যাশনাল সায়েন্স অ্যান্ড টেকনিক্যাল ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম (এনএসটি) সহ বিভিন্ন প্রতিবেদনে গবেষণার পরিকাঠামোর উপর জোর দেওয়া হয়েছে। ২০২২ সালের আর্থিক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে গবেষণার (Indian Research) কাজে যে ব্যয় ধার্য করা হয়, তা প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম। এবার থেকে তাই ‘ওয়ান নেশন ওয়ান সাবস্ক্রিপশন’ ((One Nation One Subscription)) স্কিমের মতো সংস্কারের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেওয়া হয়েছে। এটি একটি এমন ব্যবস্থা, যার মাধ্যমে অ্যাকাডেমিক জার্নালগুলিকে আরও সহজভাবে পাঠকের কাছে পৌঁছে দেওয়া যাবে। এর ফলে দেশের সমস্ত গবেষকদের একটি বিশেষ ছাতার নিচে আনা যাবে। সেইসঙ্গে গবেষণা কাজেও আমূল পরিবর্তন এবং উন্নতি ঘটবে বলে মনে করা হচ্ছে।

    কেন্দ্রীয় সরকার ৬০০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে

    ‘ওয়ান নেশন ওয়ান সাবস্ক্রিপশন’ (One Nation One Subscription) ব্যবস্থায় সমস্ত গ্রন্থাগারগুলিকে একই পোর্টালে একত্রিত করা হবে। এই বিরাট ব্যবস্থাটি ছাত্র-ছাত্রী, গবেষক, অধ্যাপক সকলেই ব্যবহার করতে পারবেন। কেন্দ্রীয় ভাবে ২৩৬০৬টি প্রতিষ্ঠান থেকে ৬৩৮০টি ই-জার্নাল উপলব্ধ করা হবে। স্বতন্ত্র ভাবে ব্যবহারকারীদের সংখ্যা ৫০.৬ লক্ষ থেকে ১ কোটি ৭৮ লক্ষের মাত্রা স্থির করা হয়েছে। আগামী তিন বছরে কেন্দ্রীয় সরকার ৬০০০ কোটি টাকা বিনিয়োগের কথা জানিয়েছে। এখানে বিষয় হিসেবে সমাজবিজ্ঞান, আইন, মানবিক বিষয় সহ নানাণ বিষয় যেমন প্রযুক্তি, প্রকৌশল, গণিত, মেডিসিন (Indian Research) ইত্যাদি বিষয়গুলিও থাকবে।

    আরও পড়ুনঃ মহারাষ্ট্রে মন্ত্রীপরিষদের দফতর ঘোষাণায় শপথ নিলেন আরও ৩৯ জন মন্ত্রী, কে কোন দফতর পেলেন?

    ভারত বিশ্বগুরু হবে

    ‘ওয়ান নেশন ওয়ান সাবস্ক্রিপশন’-এর (One Nation One Subscription) মাধ্যমে প্রাচীন যুগের নানা বিষয়কে গবেষণার বিষয় হিসেবে তুলে ধরা হবে। একাডেমিক ন্যাশনাল রিসার্চ ফাউন্ডেশনকে এর মধ্যে রেখে বহু বিষয়ক শিক্ষার ব্যবস্থা করা হবে। সারা দেশে জ্ঞানের ভাণ্ডার (Indian Research) খুলতে এই ব্যবস্থা বিশেষ ভাবে কার্যকর হবে। ভারতকে বিশ্বগুরু করার বৃহৎ সঙ্কল্প এই ব্যবস্থার মাধ্যমে অনেকটাই স্বার্থক হবে বলে মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল।

    এই ব্যবস্থা একটি বড় পদক্ষেপ। কেননা সমস্ত বিষয়ে গবেষণা সংক্রান্ত জার্নাল এক সঙ্গে পাওয়া যাবে। একসঙ্গে এক জায়গায় সকল তথ্য পাওয়া যাবার জন্য খরচের বোঝা অনেক কমে যাবে গবেষকদের। ধীরে ধীরে ভারত কীভাবে বিশ্বজুড়ে গবেষণার প্রাণকেন্দ্রে পরিণত হবে, তারও ভাবনা এই স্কিমে রয়েছে। তাই এই ব্যবস্থার ব্যবহার এবং কার্যকারিতা ভীষণভাবে প্রয়োজন।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Swami Shraddhananda: ২৩ ডিসেম্বর ১৯২৬, মৌলবাদীর হাতে খুন হন আর্য সমাজের সন্ন্যাসী শ্রদ্ধানন্দ, জানুন তাঁর জীবনী

    Swami Shraddhananda: ২৩ ডিসেম্বর ১৯২৬, মৌলবাদীর হাতে খুন হন আর্য সমাজের সন্ন্যাসী শ্রদ্ধানন্দ, জানুন তাঁর জীবনী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২৩ ডিসেম্বর স্বামী শ্রদ্ধানন্দ সরস্বতীর আত্ম বলিদান দিবস। স্বামী শ্রদ্ধানন্দ সরস্বতী (Swami Shraddhananda) ছিলেন একজন ভারতীয় শিক্ষাবিদ, স্বাধীনতা সংগ্রামী ও আর্য সমাজের সন্ন্যাসী। আর্য সমাজের (Arya Samaj) প্রতিষ্ঠাতা স্বামী দয়ানন্দ সরস্বতীর বাণীকে তিনি প্রচার করেছিলেন। ১৯২৬ সালের ২৩ ডিসেম্বর অসুস্থ শ্রদ্ধানন্দকে গুলি করে হত্যা করে আব্দুর রশিদ নামের এক আততায়ী। শুদ্ধি আন্দোলনের মাধ্যমে তিনি অ-হিন্দুদেরকে পুনরায় হিন্দু ধর্মে ফিরে আনতেন। স্বামী শ্রদ্ধানন্দের হত্যার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন বাবাসাহেব আম্বেদকর। তাঁর নিজের লেখা, ‘পাকিস্তান অর দ্য পার্টিশন অফ ইন্ডিয়া-১৯৪৬’, এই বইতে আম্বেদকর বলেন, ‘‘ধর্মান্ধ মুসলমান স্বামী শ্রদ্ধানন্দকে হত্যা করেছে, শুদ্ধি আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে বেশ কিছু প্রশ্ন তুলেছিলেন বলেই তাঁকে হত্যা করা হল।’’

    শ্রদ্ধানন্দের হত্যা সম্পর্কে কী লিখেছিলেন রমেশচন্দ্র মজুমদার

    প্রসঙ্গত, পরাধীন ভারতের প্রথম হিন্দু আন্দোলনের সূচনা হয় আর্য সমাজের হাত ধরেই। রমেশচন্দ্র মজুমদার তাঁর লেখা, ‘দ্য হিস্ট্রি অ্যান্ড দ্য কালচার অফ ইন্ডিয়ান পিপল’ গ্রন্থের ৪৩৫ নম্বর পাতায় লিখছেন, ‘‘তাবলীগী জামাত প্রথম ঠান্ডা মাথায় খুন করেছিল স্বামী শ্রদ্ধানন্দকে (Swami Shraddhananda) কারণ তিনি শুদ্ধি আন্দোলনের সঙ্গে ঘনিষ্ট ভাবে জড়িত ছিলেন।’’ প্রসঙ্গত, বাবাসাহেব আম্বেদকর ১৯২২ সালেই বলেছিলেন যে স্বামী শ্রদ্ধানন্দ হলেন অস্পৃশ্যদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ এবং সত্যিকারের মহান মানব।

    স্বামী শ্রদ্ধানন্দ সরস্বতীর আসল নাম ছিল মুন্সিরাম বীজ

    স্বামী শ্রদ্ধানন্দ সরস্বতীর (Swami Shraddhananda) আসল নাম ছিল মুন্সিরাম বীজ। ১৮৫৬ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি তিনি জন্মগ্রহণ করেন পাঞ্জাব প্রদেশের জলন্ধর জেলার তালোয়ান নামক একটি গ্রামে। জানা যায় জাতিতে তিনি ছিলেন একজন ক্ষত্রিয়। তাঁর জন্মতিথি ছিল ফাল্গুনের কৃষ্ণ ত্রয়োদশী। তাঁর পিতার নাম ছিল শ্রী নানকচাঁদ বীজ এবং তিনি ছিলেন তৎকালীন ইউনাইটেড প্রদেশ বা বর্তমানে উত্তরপ্রদেশের একজন পুলিশ অফিসার। জানা যায়, একবার স্বামী দয়ানন্দ সরস্বতী বৈদিক ধর্মের প্রচারের জন্য উত্তরপ্রদেশের বরেলিতে পৌঁছান, সেখানেই পুলিশ অফিসার নানকচাঁদ তাঁর পুত্র মুন্সিরাম বীজকে নিয়ে দয়ানন্দ সরস্বতীর বক্তব্য শুনতে আসেন। কিশোর মুন্সিরাম দয়ানন্দ সরস্বতীর যুক্তিবাদী বক্তব্যে আকৃষ্ট হন এবং আর্য সমাজের সদস্য হন।

    গান্ধীজীর উদ্দেশে টাকা পাঠিয়েছিলেন

    জানা যায়, যে সময়ে মহাত্মা গান্ধী দক্ষিণ আফ্রিকাতে আন্দোলন করছিলেন, সে সময় ভারত থেকে গুরুকুল শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে দেড় হাজার টাকা সংগ্রহ করে গান্ধীজীর কাছে প্রেরণ করেছিলেন মুন্সিরাম বীজ। জানা যায়, পরবর্তীকালে মহাত্মা গান্ধী আফ্রিকা থেকে ভারতে ফিরে এসে এই অবদানকে স্বীকার করেছিলেন। স্বামী শ্রদ্ধানন্দ (Swami Shraddhananda) সাংবাদিক হিসেবেও অত্যন্ত দক্ষতার পরিচয় দিয়েছিলেন। উর্দু এবং হিন্দি ভাষায় বিভিন্ন ধর্মীয় সামাজিক বিষয়ে তিনি লেখালেখি করতেন। পরবর্তীকালে দয়ানন্দ সরস্বতীকে অনুসরণ করে তিনি দেবনাগরি লিপিতে রচিত হিন্দি ভাষাকে অগ্রাধিকার দেন। জানা যায়, স্বামী শ্রদ্ধানন্দ হিন্দিতে অর্জুন এবং উর্দু ভাষায় তেজ নামে একটি প্রবন্ধ প্রকাশ করেছিলেন। জালিয়ানওয়ালাবাগের হত্যাকাণ্ডের পরে ১৯১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে কংগ্রেসের ৩৬তম অধিবেশন বসে অমৃতসরে। সেখানে স্বাগত কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন স্বামী শ্রদ্ধানন্দ এবং তিনি হিন্দিতে নিজের বক্তব্য রাখেন। একইসঙ্গে হিন্দিকে জাতীয় ভাষা ঘোষণা করারও দাবি তোলেন তিনি।

    স্বাধীনতা আন্দোলনে অংশগ্রহণ

    স্বাধীনতার আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ নিয়েছিলেন তিনি। এর পাশাপাশি দরিদ্র ও নিপীড়িতদের মুক্তির জন্য আওয়াজও তুলতেন তিনি। নারী শিক্ষারও প্রচার করেছিলেন স্বামী শ্রদ্ধানন্দ (Swami Shraddhananda)। ১৯১৯ সালে দিল্লির জামে মসজিদ এলাকায় আয়োজিত একটি বিশাল সমাবেশে স্বামী শ্রদ্ধানন্দ ভারতবাসীকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন। স্বাধীনতা আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে তাঁর এক বছর চার মাসের কারাগারও হয়েছিল।

    শুদ্ধি আন্দোলন

    স্বামী শ্রদ্ধানন্দ লক্ষ্য করেন যে কংগ্রেসের প্রায় প্রত্যেক নেতাই মুসলিম তুষ্টিকরণ করছেন। তখনই তিনি অনুভব করেছিলেন যে এমন নীতি ভারতবর্ষের পক্ষে একদমই বিপজ্জনক। এই সময় তিনি এগিয়ে নিয়ে যান দয়ানন্দ সরস্বতীর শুদ্ধি আন্দোলনকে। কারণ তৎকালীন ভারতবর্ষে কংগ্রেস যখন একদিকে মুসলিম তোষণের নির্লজ্জ নীতিতে বিশ্বাস রাখছিল, তখনই মৌলবাদী মুসলমান ও খ্রিস্টানরা হিন্দুদেরকে ধর্মান্তরিত করতে ব্যস্ত ছিল। এই সময়ে স্বামী শ্রদ্ধানন্দ আর্য সমাজের শুদ্ধি আন্দোলনকে ব্যাপক আকারে গড়ে তোলেন এবং বহু ধর্মান্তরিত মানুষকে বৈদিক ধর্মে দীক্ষিত করতে থাকেন। হিন্দুদের পুনরায় সনাতন ধর্মে ফিরিয়ে আনার নামই ছিল শুদ্ধি আন্দোলন।

    শোক প্রস্তাবে গান্ধীর সাম্প্রদায়িক তোষণ

    ১৯২৬ সালে ২৩ ডিসেম্বর তাঁর নিজের বাসভবনে আব্দুর রশিদ নামের একজন মৌলবাদী প্রবেশ করে এবং স্বামী শ্রদ্ধানন্দকে গুলি করে হত্যা করে। পরবর্তীকালে আব্দুর রশিদের ফাঁসি দেওয়া হয়েছিল। ২৩ ডিসেম্বর শ্রদ্ধানন্দকে হত্যা করার পরে ১৯২৬ সালের ২৫ ডিসেম্বর কংগ্রেসের অধিবেশনে একটি শোক প্রস্তাবা আনা হয় যা অত্যন্ত হতাশাজনক ছিল। ওই শোক প্রস্তাবে মহাত্মা গান্ধী বক্তৃতায় বলেন,‘‘আমি আব্দুর রশিদকে ভাই বলে সম্বোধন করেছি। আমি তাঁকে দোষী বলে মনে করি না। দোষীরা আসল তারা, যারা একে অপরের বিরুদ্ধে ঘৃণা ছড়ায়। আমি শ্রদ্ধানন্দজির মৃত্যুতে শোক করতে পারি না। একজনের অপরাধের কারণে পুরো সম্প্রদায়কে আমি অপরাধী বলতে পারি না।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Maharashtra Government: মহারাষ্ট্রে মন্ত্রীপরিষদের দফতর ঘোষাণায় শপথ নিলেন আরও ৩৯ জন মন্ত্রী, কে কোন দফতর পেলেন?

    Maharashtra Government: মহারাষ্ট্রে মন্ত্রীপরিষদের দফতর ঘোষাণায় শপথ নিলেন আরও ৩৯ জন মন্ত্রী, কে কোন দফতর পেলেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহারাষ্ট্রে (Maharashtra Government) নতুন সরকার গঠনের প্রায় দুই সপ্তাহ পর শনিবার মন্ত্রীপরিষদের (Cabinet) দফতর ঘোষাণা হয়েছে। স্বরাষ্ট্র দফতরের দায়িত্ব রেখেছেন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিস নিজের হাতেই। অপর দিকে উপমুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে নগর উন্নয়ন, আবাস এবং পূর্ত তিনটি দফতরের দায়িত্ব পেয়েছেন। সেইসঙ্গে রাজ্যের আরও এক উপমুখ্যমন্ত্রী অজিত পাওয়ার অর্থ দফতর এবং আবগারি দফতরের দায়িত্ব পেয়েছেন।

    মোট ৩৯ জন মন্ত্রী হয়েছেন (Maharashtra Government)

    মন্ত্রীপরিষদের (Maharashtra) দায়িত্ব বণ্টনে মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিসের কাছে আরও যে দফতরগুলি (Cabinet) রয়েছে তার মধ্যে হল, নবায়নযোগ্য শক্তি মন্ত্রক, আইন ও বিচার মন্ত্রক, তথ্য এবং সম্প্রচার মন্ত্রক। এই রাজ্যের শীতকালীন বিধানসভা অধিবেশন দ্রুত শুরু হবে, ঠিক তার আগেই দায়িত্ব বণ্টন করা হয়েছে। রাজ্যের মন্ত্রী গিরিশ মহাজন বলেন মুখ্যমন্ত্রী এবং উপমুখ্যমন্ত্রীদের মধ্যে আলোচনা করে সর্ব সম্মতিতে দফতর বণ্টন করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত মোট ৩৯ জন মন্ত্রীকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

    বিজেপির পক্ষ থেকে কারা কার মন্ত্রী?

    বিজেপির পক্ষ থেকে রাজ্যের (Maharashtra Government) মন্ত্রী হয়েছেন, চন্দ্রশেখর বাওয়ানকুলে রাজস্ব দফতর, রাধাকৃষ্ণ ভিখে পাতিল জল সম্পদ-কৃষ্ণ ও গোদাবরী উপত্যকা উন্নয়ন নিগম দফতর, চন্দ্রকান্ত পাতিল উচ্চ ও কারিগরি শিক্ষা, সংসদীয় বিষয় দফতর, গিরিশ মহাজন জলসম্পদ-বিদর্ভ, তাপি, কোঙ্কন উন্নয়ন নিগম এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রক। অশোক উইকে আদিবাসী উন্নয়ন, আশিস শেলার সাংস্কৃতিক বিষয়ক ও তথ্য প্রযুক্তি, শিবেন্দ্রসিংহ ভোসলেকে গণপূর্ত দেওয়া হয়েছে। জয়কুমার গোরকে গ্রামীণ উন্নয়ন ও পঞ্চায়েতি রাজ, সঞ্জয় সাভকারে টেক্সটাইল, নীতেশ রানে মৎস্য ও বন্দর, আকাশ ফান্ডকারকে শ্রম দফতর দেওয়া হয়েছে।

    শিন্ডের গোষ্ঠী থেকে মন্ত্রী কারা?

    শিবসেনা শিন্ডের গোষ্ঠী থেকে মন্ত্রী (Maharashtra Government) হয়েছেন, গুলাবরাও পাতিল জল সরবরাহ ও স্যানিটেশন, দাদাজি ভুসে স্কুল শিক্ষা, সঞ্জয় রাঠোড় মৃত্তিকা ও জল সংরক্ষণ, উদয় সামন্ত ইন্ডাস্ট্রিজ এবং মারাঠি ভাষা, শম্ভুরাজ দেশাই পর্যটন, খনি, প্রাক্তন সেনা কল্যাণ, সঞ্জয় শিরসাট সামাজিক ন্যায়বিচার, প্রতাপ সারনাইক পরিবহন, ভারত গোগাওয়ালে কর্মসংস্থান গ্যারান্টি, হর্টিকালচার, সল্ট প্যান ল্যান্ডস ডেভেলপমেন্ট; প্রকাশ আবিটকার জনস্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণের দায়িত্ব (Cabinet) দেওয়া হয়েছে।

    অজিত পাওয়ারের এনসিপি গোষ্ঠী থেকে মন্ত্রী কারা?

    অজিত পাওয়ারের এনসিপি গোষ্ঠী থেকে মন্ত্রী (Maharashtra Government) হয়েছেন, সান মুশরিফ চিকিৎসা শিক্ষা, ধনঞ্জয় মুন্ডে খাদ্য ও নাগরিক সরবরাহ এবং ভোক্তা সুরক্ষা, দত্তাত্রে ভরনে স্পোর্টস, যুব কল্যাণ ও সংখ্যালঘু উন্নয়ন এবং ওয়াকফ, অদিতি তাটকরে মহিলা ও শিশু উন্নয়ন, মানিকরাও কোকাটে কৃষি। নরহরি জিরওয়ালকে খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন, বিশেষ সহায়তা দেওয়া হয়েছে। মকরন্দ পাটিলকে ত্রাণ ও পুনর্বাসন দেওয়া হয়েছে, বাবাসাহেব পাটিলকে সহযোগিতা বরাদ্দ করা হয়েছে। মহারাষ্ট্রে (Maharashtra) মোট বিধানসভার আসন ২৮৮টি। মহাযুতি জোট জিতেছে ২৩০টি আসনে। অপরে কংগ্রেস ইন্ডিজোট জয়ী হয়েছে মাত্র ৪৬টি আসনে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mohali Building Collapse: শনিবার সন্ধ্যায় পাঞ্জাবের মোহালিতে ভেঙে পড়ল বহুতল, মৃত ১

    Mohali Building Collapse: শনিবার সন্ধ্যায় পাঞ্জাবের মোহালিতে ভেঙে পড়ল বহুতল, মৃত ১

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাঞ্জাবের মোহালিতে (Mohali Building Collapse) হঠাৎ ভেঙে পড়ল বহুতল ভবন। এই দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ১ জনের। মৃতের নাম দৃষ্টি ভার্মা (২০)। তিনি হিমাচলের (Himachal) বাসিন্দা ছিলেন। বহুতলটি ভেঙে পড়ার পর তিনি চাপা পড়ে গিয়েছিলেন। উদ্ধার করে তাঁকে স্থানীয় সোহানা হাসপাতালে নিয়ে গেলেও শেষরক্ষা হয়নি। ধ্বংসস্তূপের নীচে আটকে রয়েছেন অনেকেই, তাঁদেরকে বের করে আনার চেষ্টা চলছে। জানা গিয়েছে, শনিবার সন্ধ্যা নাগাদ মোহালির সোহানা এলাকায় ছয়তলা ভবন হঠাৎ হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, হঠাৎ বিকট শব্দ শুনে ছুটে আসেন তাঁরা। তখনই দেখা যায় ওই বাড়িটি কার্যত ধ্বংসস্তূপে (Mohali Building Collapse) পরিণত হয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয় উদ্ধারকাজ। পুলিশ ও দমকলের পাশাপাশি ছুটে আসে রাজ্য ও কেন্দ্রের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। কিছুক্ষণের মধ্যেই উদ্ধারকাজে হাত লাগায় সেনা।

    বহুতলের বর্ণনা (Mohali Building Collapse)

    স্থানীয়দের দাবি, এই বহুতলের একেবারে নীচের তলায় একটি জিম রয়েছে। যেখানে অনেকেই শরীরচর্চা করছিলেন। প্রথম তলায় বাচ্চাদের টিউশন চলছিল। তৃতীয় তলায় পেয়িং গেস্ট থাকতেন বেশ কয়েকজন যুবতী। দুর্ঘটনার জেরে তাঁরা সকলেই চাপা পড়েছেন। ফলে মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। পুলিশের অনুমান, ওই বহুতলটির ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছেন পাঁচজন। দ্রুত তাঁদের বের করে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। ঘটনাস্থলে এনডিআরএফের সঙ্গে পৌঁছেছে ভারতীয় সেনার একটি দল। তাঁরাও উদ্ধারকার্যে হাত লাগিয়েছেন। ইতিমধ্যে বহুতলের (Mohali Building Collapse) মালিক পারউইন্দার সিং ও গগনদীপ সিংয়ের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১০৫ নম্বর ধারায় মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। বেশ কিছু রিপোর্ট দাবি করছে, ধ্বংশাবশেষের নিচে ৭ জনের আটকে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

    কী জানালেন পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী?

    এনিয়ে ট্যুইট করেছেন পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবত মান। তিনি পোস্টে জানিয়েছেন, মোহালির সোহানা এলাকার (Mohali Building Collapse) অজিত সিং নগরে একটি বহুতল ভেঙেছে। প্রশাসনিক কর্তারা রয়েছেন সেখানে। উদ্ধারকারী দলও রয়েছে। আমি তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Supreme Court: ‘বিবাহ পবিত্র বন্ধন, টাকা রোজগারের মাধ্যম নয়’, খোরপোশ মামলায় ‘সুপ্রিম’ বার্তা

    Supreme Court: ‘বিবাহ পবিত্র বন্ধন, টাকা রোজগারের মাধ্যম নয়’, খোরপোশ মামলায় ‘সুপ্রিম’ বার্তা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খোরপোশ মামলায় কড়া বার্তা দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। দেশে বিবাহ বিচ্ছেদের মামলার ঘটনা বেড়েই চলেছে। বিবাহ বিচ্ছেদের মামলায় খোরপোশ দেওয়া নিয়ে আদালত স্পষ্ট বার্তা দিয়েছে। সম্প্রতি, বেঙ্গালুরুর আইটি কর্মী অতুল সুভাষের আত্মহত্যার ঘটনায় সুপ্রিম কোর্ট বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য পেশ করেছে বিবাহ বিচ্ছেদকে ঘিরে এবং বিচ্ছেদ-পরবর্তী পর্বে প্রাক্তন স্ত্রীর খোরপোশ দাবিকে কেন্দ্র করে। এমনই একটি বিচ্ছেদের মামলা চলাকালীন শীর্ষ আদালত মন্তব্য করে যে নারী কল্যাণের জন্য নির্মিত আইনের সুযোগ নিয়ে স্বামীর কাছ থেকে তোলাবাজি করা যাবে না। আইন কখনই টাকা লুট, তোলাবাজি কিংবা হেনস্থা করার জন্য তৈরি করা হয়নি।

    কী নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট ?(Supreme Court)

    মূলত একটি বিশেষ মামলার সাপেক্ষে এই পর্যবেক্ষণ জানিয়েছে শীর্ষ আদালত। সেই মামলায় (Supreme Court) এক মহিলা বিবাহ বিচ্ছেদের পরে তাঁর প্রাক্তন স্বামীর কাছ থেকে ৫০০ কোটি টাকার খোরপোশ দাবি করেন। মহিলা জানিয়েছেন যে তাঁর স্বামীর মার্কিন মুলুকে এবং ভারতে ব্যবসায়িক মোট সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা। আর তিনি নাকি তাঁর আগের স্ত্রীকেও খোরপোশ হিসেবে ৫০০ কোটি টাকা দিয়েছিলেন। তাই তাঁকে খোরপোশ হিসেবে সমপরিমাণ অর্থ দিতে হবে। কিন্তু শীর্ষ আদালত এই মামলা বিচার বিবেচনা করে জানিয়েছেন যে সেই ব্যক্তিকে মোট ১২ কোটি টাকা খোরপোশ হিসেবে দিতে হবে তাঁর প্রাক্তন স্ত্রীকে। এই প্রসঙ্গেই শীর্ষ আদালতের বিচারপতি বিভি নাগারত্ন এবং পঙ্কজ মিত্তলের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, বিবাহ হল হিন্দু মতে একটি পবিত্র বন্ধন। এটি কোনও টাকা রোজগারের মাধ্যম নয়। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, খোরপোশের দাবি বিচারের সময় স্বামীর সঙ্গে সঙ্গে স্ত্রীর আয়, তাঁর প্রয়োজনীয়তা, বসবাসের অধিকারের মতো বিষয়গুলিও একইভাবে দেখতে হবে। অনেকে স্বামীর আয়, সম্পত্তি উল্লেখ করে তাঁর সম্পদের সমতুল সম্পদ লাভের জন্য খোরপোশের অঙ্ক স্থির করেন। তা নিয়ে আদালতের গুরুতর আপত্তি আছে। বাড়তি টাকার দাবি মেটাতে স্বামী ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করাও গ্রহণযোগ্য হবে না।

    আরও পড়ুন: ‘‘ভাষা নিয়ে আরও সংযত হোন’’, মানচিত্র বিতর্কে বাংলাদেশকে সতর্ক করল দিল্লি

    আদালতের দ্বারস্থ হন মৃত আইটি কর্মীর মা

    কিছুদিন আগেই বেঙ্গালুরুতে নিজের বাড়িতেই আত্মহত্যা করেছেন আইটি কর্মী অতুল সুভাষ। মৃত্যুর আগে ভিডিও বার্তায় এবং সুইসাইড নোটে লিখে গিয়েছিলেন স্ত্রী নিকিতা সিঙ্ঘানিয়া এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের অত্যাচারের কথা, হেনস্থার কথা। ৩ কোটি টাকা বাড়তি চেয়েছিল নিকিতার পরিবার। এছাড়া বিচ্ছেদের পর থেকে মাসে ৪০ হাজার টাকা করে খোরপোশ দিয়ে আসছিলেন অতুল। কিন্তু তারপরেও চলতে থাকে হেনস্থা। বিচার চেয়ে সম্প্রতি অতুল সুভাষের মা শীর্ষ আদালতে (Supreme Court)আবেদন করেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share