Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Bihar Assembly Elections: বিহারে প্রথম দফায় ৭১ প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করল বিজেপি

    Bihar Assembly Elections: বিহারে প্রথম দফায় ৭১ প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করল বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিহার বিধানসভা নির্বাচনের (Bihar Assembly Elections) প্রথম দফায় ৭১ জন প্রার্থীর নামের তালিকা প্রকাশ করল বিজেপি (BJP)। মঙ্গলবার এক সরকারি বিবৃতিতে একথা জানিয়েছে পদ্মশিবির। বিহার বিধানসভার আসন সংখ্যা ২৪৩টি। নির্বাচন হবে দু’দফায় – ৬ নভেম্বর ও ১১ নভেম্বর। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিজেপির কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিটির বৈঠক ১২ অক্টোবর জেপি নাড্ডার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ-সহ কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিটির অন্য সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।

    কে কোন আসনে লড়ছেন (Bihar Assembly Elections)

    কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিটি বিহার বিধানসভা নির্বাচনের জন্য আরও বেশ কয়েকটি আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে। জানা গিয়েছে, সিওয়ান থেকে মঙ্গল পাণ্ডে, কাটিহার থেকে তারকিশোর প্রসাদ, দানাপুর থেকে রামকৃপাল যাদব, বানকিপুর থেকে নীতিন নবীন, বেতিয়া থেকে রেণু দেবী, গয়া টাউন থেকে প্রেম কুমার, জামুই থেকে শ্রেয়সী সিংহ, লখিসরাই থেকে উপমুখ্যমন্ত্রী বিজয় কুমার সিনহা এবং তারাপুর থেকে আর এক উপমুখ্যমন্ত্রী সম্রাট চৌধুরী লড়াই করবেন। এই তারাপুর সম্রাটের পারিবারিক ঘাঁটি। এই কেন্দ্রের বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছিলেন সম্রাটের বাবা শকুনি চৌধুরী এবং মা পার্বতী দেবী। সম্রাট অবশ্য বিধায়ক নন, তিনি বিহার বিধান পরিষদের সদস্য। যে কেন্দ্রে এবার তিনি প্রার্থী হয়েছেন, গত পনের বছরেরও বেশি সময় ধরে সেটি রয়েছে নীতীশ কুমারের দল জেডিইউয়ের হাতে। এই তারাপুরেই ২০২১ সালের উপনির্বাচনেও জয়ী হয়েছিলেন জেডিইউ প্রার্থী। এবার জোটসঙ্গী বিজেপিকে ওই আসনটি ছেড়ে দিয়েছে নীতীশের দল।

    বিজেপির রাজ্য সভাপতির বক্তব্য

    বিহারের আর (BJP) এক উপমুখ্যমন্ত্রী বিজয়কুমার এবারও লড়ছেন তাঁর ঘাঁটি লখিসরাই থেকে। ২০১০ সাল থেকে পর পর তিনবার এই কেন্দ্র থেকে বিধায়ক হয়েছেন তিনি (Bihar Assembly Elections)। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ জয়সওয়াল বলেন, “অনেকেই আশা করেননি যে প্রার্থীদের তালিকা এত দ্রুত প্রকাশিত হবে। প্রথমেই এনডিএ জোট আসন বণ্টনের কাজ সম্পন্ন করে। মহাগটবন্ধন এখনও আলোচনা চালাচ্ছে। অথচ এনডিএ জোট আসন বিলি চূড়ান্ত করে ফেলল। আজ ভোরেই তারা জনসমর্থন জোগাড় করার পদক্ষেপও গ্রহণ করেছে। যেমনটা আমি আগেই বলেছিলাম, এনডিএ হল পঞ্চ পাণ্ডবের মতো একটি শক্তিশালী জোট। নীতীশ কুমারের নেতৃত্বে আমরা সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার গঠনের জন্য প্রস্তুত।”

    তাওড়ের পোস্ট

    এর আগে ১২ অক্টোবর আসন্ন বিহার নির্বাচনের জন্য ক্ষমতাসীন এনডিএ তাদের আসন বিলির কথা ঘোষণা করে। জোটের তরফে জানানো হয়, বিজেপি  এবং জেডিইউ প্রত্যেকে লড়বে ১০১টি করে আসনে, এলজেপি (রামবিলাস) লড়বে ২৯টি আসনে, রাষ্ট্রীয় লোক মোর্চা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে ৬টি আসনে এবং হিন্দুস্তানি আওয়াম মোর্চা-ও (এইচএএম) ৬টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে (Bihar Assembly Elections)। প্রসঙ্গত, এডিএর সদস্য দলগুলি হল বিজেপি, জনতা দল (ইউনাইটেড), লোক জনশক্তি পার্টি (রাম বিলাস), হিন্দুস্তানি আওয়াম মোর্চা (সেক্যুলার) এবং রাষ্ট্রীয় লোক মোর্চা। আসন রফা চূড়ান্ত হওয়ার পর এক্স হ্যান্ডেলে বিজেপির বিহারের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা বিনোদ তাওড়ে লিখেছিলেন, “সংগঠিত ও নিবেদিতপ্রাণ এনডিএ। আসন্ন বিহার (BJP) বিধানসভা নির্বাচনের জন্য এনডিএ পরিবারের সব সদস্য বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশে পারস্পরিক সমঝোতার মাধ্যমে আসন বণ্টন সম্পন্ন করেছে, যা নিম্নরূপ —

    • বিজেপি – ১০১টি আসন
    • জেডিইউ – ১০১টি আসন
    • এলজেপি (রাম বিলাস) – ২৯টি আসন
    • আরএলএম – ৬টি আসন
    • এইচএএম – ৬টি আসন

    সব এনডিএ দলের নেতা ও কর্মীরা আনন্দের সঙ্গে এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। সবাই আবারও বিহারে এনডিএ সরকার গঠনের লক্ষ্যে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।”

    ভোট কূশলী প্রাশান্ত কিশোরের দল

    বিহারের আসন্ন নির্বাচনে এনডিএর প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে লড়াইয়ের ময়দানে রয়েছে তেজস্বী যাদবের নেতৃত্বাধীন আরজেডি (RJD), কংগ্রেস, দীপঙ্কর ভট্টাচার্যের নেতৃত্বাধীন সিপিআই (এমএল), সিপিআই, সিপিএম এবং মুকেশ সহানির বিকাশশীল ইনসান পার্টি (ভিআইপি)-র নেতৃত্বাধীন আইএনডিআই (INDI) জোট। লড়াইয়ের ময়দানে থাকছে ভোট কূশলী প্রাশান্ত কিশোরের দল জন সুরাজও। তাঁর দল লড়ছে এবারই প্রথম (Bihar Assembly Elections)।

    উল্লেখ্য যে, বিহার বিধানসভা নির্বাচনের গেজেট বিজ্ঞপ্তি জারি হবে ১০ অক্টোবর। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া যাবে ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত। যাচাইয়ের জন্য সময় মিলবে ১৮ তারিখ পর্যন্ত। প্রার্থীরা নাম প্রত্যাহার করতে (BJP) পারবেন ২০ অক্টোবর পর্যন্ত। দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণ হবে ১১ নভেম্বর। প্রথম দফায় নির্বাচন হবে ১২১টি আসনে, দ্বিতীয় দফায় ১২২টিতে। দ্বিতীয় দফার গেজেট বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হবে ১৩ অক্টোবর। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া যাবে ২০ অক্টোবর পর্যন্ত। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করা যাবে ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত। ফল ঘোষণা হবে ১৪ নভেম্বর (Bihar Assembly Elections)।

  • Google in India: আমেরিকার পর ভারতে সর্ববৃহৎ এআই হাব! এক লক্ষ ৩৩ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ গুগলের

    Google in India: আমেরিকার পর ভারতে সর্ববৃহৎ এআই হাব! এক লক্ষ ৩৩ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ গুগলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আমেরিকার বাইরে বৃহত্তম আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) হাব খুলতে চলেছে গুগল। ভারতের প্রথম এআই হাব তৈরি হচ্ছে অন্ধ্রপ্রদেশের বিশাখাপত্তনমে। গুগলের (Google in India) সিইও সুন্দর পিচাই মঙ্গলবার জানিয়েছেন, তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে এই বিষয়ে কথা বলেছেন। এনিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে তাঁদের মধ্যে। সেই অনুযায়ী, আগামী পাঁচ বছরে ভারতের বাজারে ১৫ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ হবে। ভারতীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ এক লক্ষ ৩৩ হাজার কোটি টাকা।

    ভারতে গুগলের সর্ববৃহৎ বিনিয়োগ

    ভারতে এই হাব তৈরির পরিকল্পনাকে ‘একটি যুগান্তকারী উন্নয়ন’ বলে অভিহিত করেছেন পিচাই। গুগলের (Google in India) ভারতীয় বংশোদ্ভূত সিইও জানিয়েছেন যে, এই হাবটি গিগাওয়াট-স্কেল কম্পিউট ক্ষমতা, একটি নতুন আন্তর্জাতিক সাব-সি গেটওয়ে এবং বৃহৎ আকারের শক্তি পরিকাঠামোর সমন্বয় হিসেবে গড় উঠবে। গুগল এবং অন্ধ্রপ্রদেশ সরকারের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরের পরপরই পিচাই এক্স-এ পোস্ট করে লিখেছেন, “এর মাধ্যমে আমরা ভারতের বিভিন্ন সংস্থা এবং ব্যবহারকারীদের কাছে আমাদের সেরা প্রযুক্তি পৌঁছে দেব, দেশজুড়ে এআই উদ্ভাবন এবং বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করব।” গুগল আদানি গ্রুপের সঙ্গে অংশীদারিত্বে এআই ডেটা সেন্টার ক্যাম্পাসটি তৈরি করবে। এটি ভারতে গুগলের সর্ববৃহৎ বিনিয়োগ।

    ভারতে এক যুগান্তকারী উন্নয়ন

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মঙ্গলবার অন্ধ্রপ্রদেশের বিশাখাপত্তনমে গুগল এআই হাব চালু হওয়ায় আনন্দ প্রকাশ করেছেন। বিকশিত ভারত গড়ার লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যাওয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে অভিহিত করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এক্স-এ শেয়ার করা একটি পোস্টে, প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, “অন্ধ্রপ্রদেশের প্রাণবন্ত শহর বিশাখাপত্তনমে গুগল এআই হাব চালু হওয়ায় আমি আনন্দিত। এই বহুমুখী বিনিয়োগ, যার মধ্যে গিগাওয়াট-স্কেল ডেটা সেন্টার পরিকাঠামো অন্তর্ভুক্ত, আমাদের বিকশিত ভারত গড়ার লক্ষ্যের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ।” প্রধানমন্ত্রী মোদি আরও বলেন যে নতুন এআই হাব প্রযুক্তিকে গণতান্ত্রিক করতে এবং সরকারের ‘সবার জন্য এআই’ লক্ষ্যকে এগিয়ে নিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। “এটি প্রযুক্তিকে গণতান্ত্রিক করার ক্ষেত্রে একটি শক্তিশালী শক্তি হবে। এটি ‘সবার জন্য এআই’ নিশ্চিত করবে, আমাদের নাগরিকদের কাছে অত্যাধুনিক সরঞ্জাম পৌঁছে দেবে, আমাদের ডিজিটাল অর্থনীতিকে চাঙ্গা করবে এবং বিশ্বব্যাপী প্রযুক্তি নেতা হিসেবে ভারতের স্থান সুরক্ষিত করবে।”

    আদানিকনেক্সের সঙ্গেই চুক্তি গুগলের

    আদানি এন্টারপ্রাইস-এর অধীনে থাকা আদানিকনেক্সের সঙ্গেই চুক্তি হয়েছে গুগলের (Google in India)। আগামী পাঁচ বছরে দুই সংস্থার উদ্যোগে এআই ডেটা সেন্টার ক্যাম্পাস ও নতুন সবুজ শক্তি পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য এটি একটি যুগান্তকারী চুক্তি। তেমনই বলছে আদানিদের সংস্থা। আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যান গৌতম আদানি বলেন, “এই ঐতিহাসিক প্রকল্পে গুগলের সাথে অংশীদারিত্ব করতে পেরে আদানি গ্রুপ গর্বিত যা ভারতের ডিজিটাল ভূদৃশ্যের ভবিষ্যত নির্ধারণ করবে।”

    বিকশিত ভারত ২০৪৭-এর লক্ষ্যে পদক্ষেপ

    গুগলের (Google in India) তরফ থেকে একটি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, “এটি ভারত সরকারের ‘বিকশিত ভারত ২০৪৭’ ভিশনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। যাতে এআই-চালিত পরিষেবার সম্প্রসারণ ত্বরান্বিত করা যায়। এই উদ্যোগ ভারত এবং আমেরিকা উভয়ের জন্যই যথেষ্ট অর্থনৈতিক ও সামাজিক সুযোগ তৈরি করবে- একই সঙ্গে এআই সক্ষমতার ক্ষেত্রে প্রজন্মগত পরিবর্তনের পথিকৃৎ হয়ে উঠবে।” গুগলের এই হাব ভারতে ডিজিটাল যুগের যাত্রার একটি নতুন অধ্যায় বলে বর্ণনা করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। তিনি বলেন, “এই ডিজিটাল পরিকাঠামো ভারতের এআই ভিশনের লক্ষ্য পূরণে আমাদের অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যাবে।” তিনি আরও বলেন, “ভারতে ডিজিটাল অর্থনীতিতে এআই পরিষেবা একটি নতুন দিক হিসেবে সামনে উঠে এসেছে। আমরা আমাদের যুব সমাজের বিকাশে এই নতুন পরিষেবা ব্যবহার করতে মুখিয়ে আছি।”

    ভারতের প্রথম গিগাওয়াট-স্কেল ডেটা সেন্টার

    দিল্লিতে আনুষ্ঠানিক চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে গুগল (Google in India) ক্লাউডের সিইও থমাস কুরিয়ান বলেন, বিশাখাপত্তনমে এআই হাব ‘ভারতের ডিজিটাল ভবিষ্যতে একটি যুগান্তকারী বিনিয়োগ’। তিনি বলেন, “শিল্পে শীর্ষস্থানীয় এআই পরিকাঠামো সরবরাহ করে, আমরা ব্যবসাগুলিকে দ্রুত উদ্ভাবন করতে সক্ষম করছি এবং বৃদ্ধির জন্য সুযোগ তৈরি করছি। এই অংশীদারিত্ব ভারত ও মার্কিন সরকারের প্রতি আমাদের যৌথ প্রতিশ্রুতি প্রতিফলিত করে যে এআইকে দায়িত্বশীলভাবে কাজে লাগানো এবং সমাজের কল্যাণে একে কাজে লাগানো।” অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নির্মলা সীতারমন এবং অশ্বিনী বৈষ্ণব, অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী এন চন্দ্রবাবু নায়ডু এবং রাজ্যের তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী নারা লোকেশ। অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী এন চন্দ্রবাবু নায়ডু বলেন, “আমরা ভারতের প্রথম সত্যিকারের গিগাওয়াট-স্কেল ডেটা সেন্টার এবং ভারতে গুগলের প্রথম এআই হাবের আয়োজন করতে পেরে গর্বিত, যা রাজ্যের ব্যবসা এবং স্টার্টআপগুলির জন্য উদ্ভাবন, এআই গ্রহণ এবং দীর্ঘমেয়াদী সহায়তার প্রতি আমাদের যৌথ প্রতিশ্রুতির প্রমাণ।”

     

     

     

  • Supreme Court: সুপ্রিম কোর্টে মুখ পুড়ল রাহুলের, ‘ভোট চুরি’ নিয়ে জনস্বার্থ মামলা শুনলই না আদালত

    Supreme Court: সুপ্রিম কোর্টে মুখ পুড়ল রাহুলের, ‘ভোট চুরি’ নিয়ে জনস্বার্থ মামলা শুনলই না আদালত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘ভোট চুরি’ নিয়ে সরব হয়েছেন কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি তথা সাংসদ রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিট (SIT) গঠন করে তদন্ত চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) দায়ের হয়েছিল জনস্বার্থ মামলাও। সেই মামলায় হস্তক্ষেপই করল না দেশের শীর্ষ আদালত। সোমবার বিচারপতি সূর্য কান্ত এবং বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, যেখানে ইচ্ছা প্রতিকার চান। এখানে জনস্বার্থ মামলা শোনা হবে না। আবেদনকারী চাইলে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হতে পারেন বলেও সাফ জানিয়ে দিয়েছে বেঞ্চ। মামলাকারীর আবেদন, এই বিষয়টি নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য সুপ্রিম কোর্ট সময় বেঁধে দিক নির্বাচন কমিশনকে। তাতেও না করে দিয়েছে বেঞ্চ। ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, “আমরা আবেদনকারীর কথা শুনেছি। জনস্বার্থ মামলার আকারে দায়ের হওয়া এই মামলা আমরা শুনতে ইচ্ছুক নই। আবেদনকারী চাইলে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হতে পারেন।”

    জনস্বার্থ মামলা (Supreme Court)

    দেশের শীর্ষ আদালতে যিনি দায়ের করেছিলেন জনস্বার্থ মামলা, তিনি তাতে উল্লেখ করেছিলেন রাহুলের সাংবাদিক বৈঠকের কথা। তিনি জানিয়েছেন, রাহুল ৭ অগাস্ট জানিয়েছিলেন ভোটার তালিকায় অপরাধমূলক জালিয়াতি হয়েছে। কর্নাটকের একটি লোকসভা কেন্দ্রে ‘ভোট চুরি’র অভিযোগও করেছিলেন রাহুল। আবেদনকারী জানান, সংবিধানেই অবাধ এবং স্বচ্ছ নির্বাচনের কথা বলা হয়েছে। প্রশাসনিক পদক্ষেপের কারণে সংবিধানের এই প্রাথমিক নীতি লঙ্ঘিত হতে পারে না। রাহুলের অভিযোগের প্রতিক্রিয়ায় তাঁকে এ সংক্রান্ত সমস্ত প্রামাণ্য নথি দিতে বলেন মহারাষ্ট্র এবং কর্নাটকের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক। ১৭ অগাস্ট দেশের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার পরের সাতদিনের মধ্যে রাহুলকে হলফনামা জমা দিতে বলেন। মামলাকারী সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) জমা করা নিজের আবেদনে জানান, ভোটপ্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা আনতে কমিশনকে নির্দেশ দেওয়া হোক। সেই আবেদনও শুনতে রাজি হয়নি দেশের শীর্ষ আদালত।

    রাহুলের বক্তব্য

    প্রসঙ্গত, গত অগাস্ট মাসে রাহুল বেঙ্গালুরু সেন্ট্রাল আসনে ভোট জালিয়াতির অভিযোগ তুলে নির্বাচন কমিশন ও বিজেপিকে একহাত নেন। তাঁর দাবি, ভোটে জালিয়াতি করার পাঁচটি ভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়েছে। রাহুল (Rahul Gandhi) মহাদেবপুরা বিধানসভা এলাকার কংগ্রেসের তদন্তের ফলও তুলে ধরেন। এটি ওই লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্ভুক্ত। উল্লেখ্য, ওই আসনে বিজেপি ৩২ হাজার ৭০৭ ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছিল (Supreme Court)।

  • Indian Army: কাশ্মীরে অনুপ্রবেশ রুখল সেনা, কুপওয়ারায় বাহিনীর গুলিতে খতম ২ জঙ্গি

    Indian Army: কাশ্মীরে অনুপ্রবেশ রুখল সেনা, কুপওয়ারায় বাহিনীর গুলিতে খতম ২ জঙ্গি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজৌরি, অনন্তনাগের পরে এ বার কুপওয়ারা। কাশ্মীরে জঙ্গি দমন অভিযানে ফের সাফল্য ভারতীয় সেনার। অনুপ্রবেশের চেষ্টা রুখে দিয়ে ২ জঙ্গিকে নিকেশ করল নিরাপত্তা বাহিনী। সেনার তরফে জানানো হয়েছে, সোমবার রাতে কুপওয়ারা জেলার মাছিল সেক্টরে নিয়ন্ত্রণরেখায় অস্বাভাবিক গতিবিধি নজরে আসে প্রহরারত জওয়ানদের। তার পরেই সেখানে শুরু হয় তল্লাশি অভিযান। সে সময় বিপদ বুঝে গুলি চালাতে শুরু করে পাক জঙ্গিরা। পাল্টা জবাব দেয় ভারতীয় সেনাও। শুরু হয় দু’তরফের গুলির লড়াই। এখনও পর্যন্ত দুই জঙ্গিকে নিকেশ করা সম্ভব হয়েছে। যদিও এখনও তাদের পরিচয় জানানো হয়নি। তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে। এলাকায় আরও জঙ্গি লুকিয়ে আছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে বলে সেনাবাহিনীর অভিযান এখনও অব্যাহত রয়েছে। মাছিল সেক্টরের বিরাট এলাকা ঘিরে ফেলে চলছে তল্লাশি।

    অন্যদিকে, দুদনিয়াল সেক্টরে একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গিয়েছে। যার ফলে জঙ্গিদের অনুপ্রবেশ করার চেষ্টার আশঙ্কা করা হচ্ছে। সেনাকে বিভ্রান্ত করার জন্য একাধিক জায়গায় বিস্ফোরণ ঘটানো হচ্ছে বলে মনে করছেন সেনার পদস্থ আধিকারিকরা। তবে এখনও ওই এলাকায় জঙ্গির খোঁজ মেলেনি। তল্লাশি চালাচ্ছে সেনা এবং অন্যান্য নিরাপত্তা বাহিনী।

    শীতের আগে সেনা তৎপরতা তুঙ্গে

    গত কয়েকদিন ধরে এমনিতেই সীমান্ত এলাকায় তৎপরতা বাড়িয়েছে সেনা। কারণ শীত পড়ার আগেই বিপুল পরিমাণে জঙ্গিকে ভারতে পাঠানোর চেষ্টা করা হয়। শীত পড়ে গেলে সীমান্ত পেরিয়ে কাশ্মীরে ঢোকা কঠিন। তাই শীত পড়ার আগে পাকিস্তানি লঞ্চপ্যাড থেকে জঙ্গিরা ভারতে ঢোকে, এমনটাই মত বিএসএফ কর্তার। সেকরণেই বিএসএফ এবং সেনাকে বাড়তি সতর্ক থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    এর আগে, লক্ষ্মীপুজোর দিন দক্ষিণ অনন্তনাগে অপারেশন চলার সময়ে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় নিখোঁজ হয়ে যান দুই প্যারা কম্যান্ডো (স্পেশাল ফোর্স) সুজয় ঘোষ ও পলাশ ঘোষ। শুক্রবার বরফ ঢাকা পাহাড় থেকে তাঁদের নিথর দেহ উদ্ধার হয়। অনন্তনাগের আলান গাডোলে এলাকার কোকেরনাগ সাব ডিভিশনের জঙ্গলে জঙ্গিরা লুকিয়ে রয়েছে বলে খবর আসে। সঙ্গে সঙ্গে অভিযান শুরু করে সেনা। অভিযান চলাকালীন আচমকাই স্পেশাল প্যারা ইউনিটের দুই জওয়ানের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।

    গত কয়েকদিনে আরও জঙ্গি নিকেশ

    সম্প্রতি, একটি যৌথ অভিযানের সময় সেনাবাহিনী এবং পুলিশ ওয়ারসান এলাকার ব্রিজথর জঙ্গলে একটি জঙ্গি ঘাঁটি আবিষ্কার করে। অভিযানের সময়, নিরাপত্তা বাহিনী দুটি একে-সিরিজ রাইফেল, চারটি রকেট লঞ্চার, বিপুল পরিমাণে গোলাবারুদ এবং অন্যান্য যুদ্ধ সামগ্রী উদ্ধার করে।

    আবার, কুলগাম জেলার গুদ্দার জঙ্গলে সেনাবাহিনী এবং জঙ্গিদের মধ্যে এর আগেও একটি সংঘর্ষ হয়েছিল। সেই অভিযানে দুই জঙ্গি নিহত হয়েছিল। দুই সেনা জওয়ানেরও মৃত্যু হয়েছিল। নিহত জঙ্গিদের মধ্যে একজন শোপিয়ানের বাসিন্দাস নাম আমির আহমেদ দার। এই ব্যক্তি লস্কর-ই-তৈবার সঙ্গে যুক্ত ছিল এবং ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর থেকে সক্রিয় ছিল। পহেলগাম হামলার পর মুক্তিপ্রাপ্ত ১৪ জন ওয়ান্টেড জঙ্গির তালিকায় তার নাম ছিল।

  • EPFO: ১৩-র বদলে এক নিয়ম! এবার তোলা যাবে পিএফের ১০০ শতাংশ টাকা, থাকতে হবে ন্যূনতম ব্যালেন্স

    EPFO: ১৩-র বদলে এক নিয়ম! এবার তোলা যাবে পিএফের ১০০ শতাংশ টাকা, থাকতে হবে ন্যূনতম ব্যালেন্স

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কর্মচারী ভবিষ্য নিধি তথা ইপিএফও বা এমপ্লয়েজ প্রভিডেন্ট ফান্ড-এর (Employees’ Provident Fund – EPFO) নিয়মে বড় বদল আনল কেন্দ্রীয় ট্রাস্টি বোর্ড। এবার থেকে ইপিএফের টাকা তোলার নিয়ম আরও সহজ হবে। এবার থেকে পিএফ-এ জমানো ১০০ শতাংশ টাকাই তুলতে পারবেন সদস্যরা। সোমবার অছি পরিষদের বৈঠকে সেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। যার মাধ্যমে এবার থেকে পড়াশোনা, বিয়ে-সহ একাধিক জরুরি পরিস্থিতিতে পিএফ-র সম্পূর্ণ টাকা তুলতে পারবেন গ্রাহকরা। তবে, একই সঙ্গে নতুন কিছু শর্তও জুড়ছে, যাতে অবসরের পর হাতখালি না হয়ে যায় এবং পেনশন খাতে যথেষ্ট টাকা জমে থাকে।

    ইপিএফও-কে আরও সহজ করার সিদ্ধান্ত

    সোমবার কেন্দ্রীয় শ্রম, যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী মনসুখ মান্ডব্যর সভাপতিত্বে বসেছিল সেন্ট্রাল বোর্ড অব ট্রাস্ট-র ২৩৮ তম সভা। সেখানেই ইপিএফ-র ‘উদারীকরণ’-সহ টাকা তোলার প্রক্রিয়াকে সরল করা, বিশ্বাস প্রকল্পের ঘোষণা, ইপিএফ ৩.০ – কার্যকর করার বিষয়ে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। নয়াদিল্লি সূত্রে খবর, আংশিক টাকা তোলার জন্য থাকা ১৩টি পুরনো নিয়মকেও একত্র করে একটিই নিয়ম ধার্য করা হয়েছে। যার মাধ্যমে দরকারে-অদরকারে ইপিএফও সদস্যরা নিজেদের টাকা তুলতে পারবেন। নতুন নিয়মে (EPFO new rules) তিনটি নতুন শ্রেণিতে টাকা তোলার সুযোগ থাকবে। আগে নানা ধরনের কারণে টাকা তোলার আলাদা আলাদা নিয়ম ছিল। এবার থেকে পুরো ব্যবস্থাকে সহজ করে তিনটি শ্রেণিতে আনা হয়েছে—এক, প্রয়োজনীয় খরচ— যেমন অসুস্থতা, পড়াশোনা বা ছেলেমেয়ের বিয়ে জন্য। দুই, ফ্ল্যাট বা বাড়ি কেনা বা মেরামতির জন্য এবং তিন, বিশেষ পরিস্থিতিতে কোনও কারণ না জানিয়েই টাকা তোলা যাবে।

    কোন কোন ক্ষেত্রে বদল

    ইপিএফও-র (EPFO) পরিষেবা আরও দ্রুত ও স্বচ্ছ করতে চালু হচ্ছে ‘ইপিএফও ৩.০’ প্রকল্প। এতে থাকবে আধুনিক ডিজিটাল ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থা, যার মাধ্যমে—অনেক দ্রুত টাকা তোলা যাবে। টাকা তোলার জন্য অনলাইনে আবেদন করা যাবে, বেতন থেকে সরাসরি কন্ট্রিবিউশন জমা হয়ে যাবে, ডকুমেন্টেশনের ঝক্কি কমবে। কেন্দ্র জানিয়েছে, পড়াশোনার জন্য ১০ বার সম্পূর্ণ টাকা তোলা যাবে। বিয়ের জন্য এই সুবিধা পাওয়া যাবে সর্বোচ্চ পাঁচবার। এর আগে বিয়ে ও শিক্ষার জন্য মিলিয়ে ৩ বার পর্যন্ত টাকা তোলার নিয়ম ছিল। বাড়ি তৈরির জন্য টাকা তুলতে গেলে ন্যূনতম চাকরির মেয়াদ কমিয়ে আনা হয়েছে ৫ বছর থেকে ১২ মাসে। শিক্ষা ও বিয়ের ক্ষেত্রেও ন্যূনতম চাকরির মেয়াদ ৭ বছর থেকে কমিয়ে ১২ মাস করা হয়েছে।

    অবসরের সময় একটি বড় অঙ্কের টাকা

    কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রক জানিয়েছে, নতুন নিয়মে স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে যে ২৫ শতাংশ ব্যালেন্স রাখা বাধ্যতামূলক। ইপিএফ (EPFO) অ্যাকাউন্টে মোট টাকার অন্তত ২৫ শতাংশ সবসময় রাখতে হবে সদস্যদের। সরকার বলছে, এর ফলে সদস্যরা ৮.২৫ শতাংশ হারে সুদ পেতে থাকবেন এবং জমা হবে। কখনওই সুদ পেতে কোনও অসুবিধা হবে না সংশ্লিষ্ট গ্রাহকের। আগে ইপিএফও-র টাকা তোলার ক্ষেত্রে প্রাকৃতিক বিপর্যয়, বেকারত্ব বা লকআউট ইত্যাদি কারণ জানানো বাধ্যতামূলক ছিল। এখন থেকে সেই বাধ্যবাধকতা থাকবে না।

    একটি বিশেষ কমিটি গঠন

    রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সুপারিশ অনুযায়ী তহবিল পরিচালনা ও বিনিয়োগে সংস্কারের জন্য একটি বিশেষ কমিটি গঠন করবে ইপিএফও (EPFO)। বর্তমানে ইপিএফও-র ১৫ শতাংশ টাকা শেয়ার মার্কেটে, ৪৫–৬৫ শতাংশ সরকারি বন্ডে এবং ২০–৪৫ শতাংশ কর্পোরেট বন্ডে বিনিয়োগ হয়। আরবিআই কর্পোরেট বন্ডে বিনিয়োগের ন্যূনতম সীমা তুলে দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে। তা ছাড়া নতুন ফান্ড ম্যানেজার নিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় কমিটি। ঋণ পোর্টফোলিও পরিচালনার জন্য আগামী পাঁচ বছরের জন্য চারটি সংস্থাকে নিয়োগ করা হয়েছে— স্টেট ব্যাঙ্ক ফান্ড ম্যানেজমেন্ট, এইচডিএফসি, আদিত্য বিড়লা সান লাইফ ও ইউটিআই অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট। এই নতুন নিয়মে সদস্যরা সহজে ও দ্রুত তাদের ইপিএফ টাকার একটি বড় অংশ তুলতে পারবেন, আবার একই সঙ্গে ভবিষ্যতের জন্য সঞ্চয়ও বজায় থাকবে। সরকার বলছে, এই পরিবর্তনের ফলে কর্মজীবী মানুষদের দৈনন্দিন জীবনে আর্থিক সিদ্ধান্ত নেওয়া আরও সহজ হবে।

    বাড়িতে বসেই ডিজিটাল লাইফ সার্টিফিকেট

    টাকা তোলার ক্ষেত্রে নিয়ম পরিবর্তন করার পাশাপাশি আরও বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ট্রাস্টিজ (CBT)। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, এখন থেকে বাড়িতে বসেই ডিজিটাল লাইফ সার্টিফিকেট হাতে পাবেন গ্রাহকরা। তাও সম্পূর্ণ বিনামূল্যে। এর জন্য ইন্ডিয়া পোস্ট পেমেন্ট ব্যাঙ্কের সঙ্গে একটি চুক্তিও করেছে সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ট্রাস্টিজ। প্রভিডেন্ট ফান্ড পরিষেবাকে আধুনিক করতে ইপিএফও ৩.০ (EPFO 3.0) চালুর অনুমোদন মিলেছে। পাশাপাশি দীর্ঘদিন ধরে চলা পিএফ বকেয়া ও জরিমানা সংক্রান্ত মামলা নিষ্পত্তি করতে চালু করা হচ্ছে ‘বিশ্বাস স্কিম’।

     

     

     

     

     

     

  • Tripura: ত্রিপুরায় ধর্ষণের শিকার সংখ্যালঘু শিশুকন্যা, অপরাধী কে?

    Tripura: ত্রিপুরায় ধর্ষণের শিকার সংখ্যালঘু শিশুকন্যা, অপরাধী কে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ত্রিপুরায় (Tripura) ধর্ষণের শিকার ১৪ মাসের সংখ্যালঘু শিশুকন্যা (Infant Raped)! পরে খুন করে পুঁতে দেওয়া হয় বাচ্চাটিকে। ঘটনায় অভিযুক্ত শিশুটিরই সম্পর্কিত মামাদাদু। শিশুটিকে ধর্ষণ, হত্যা এবং মাটিতে পুঁতে দেওয়ার অভিযোগে কাঠগড়ায় উত্তর ত্রিপুরার পানিসাগর মহকুমার জয়নালউদ্দিন। ১২ অক্টোবর সন্ধ্যায় অসমের নীলম বাজার এলাকা থেকে জয়নালকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তদন্তের জন্য তাকে নিয়ে আসা হয়েছে ত্রিপুরায়।

    শিশুটি নিখোঁজ (Tripura)

    জানা গিয়েছে, শিশুটিকে নিয়ে তার মা বেড়াতে গিয়েছিলেন মামাদাদুর বাড়িতে। ১১ অক্টোবর সন্ধ্যায় ওই মহিলা শিশুটিকে তাঁর কাকার কাছে রেখে কাছের বাজারে যান। বাড়ি ফিরে দেখেন, শিশুটি নিখোঁজ। এক প্রত্যক্ষদর্শী তাঁকে জানান, জয়নালউদ্দিন শিশুটিকে কাছের ধানক্ষেতে নিয়ে গিয়েছে। রাত ৮টা পর্যন্ত তারা বাড়ি ফিরে না আসায় শিশুকন্যাটির মা এবং পরিবার পুলিশে খবর দেয়। তদন্তে নামে পুলিশ। শুরু হয় তল্লাশি অভিযান। দেখা যায়, ঘরের পেছনের উঠোনে পুঁতে রাখা হয়েছে শিশুটিকে। দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয় পানিসাগর মহকুমা হাসপাতালে।

    যৌন নির্যাতনের ফলে মৃত্যু

    ময়নাতদন্তের রিপোর্টে জানা যায়, যৌন নির্যাতনের ফলে মৃত্যু হয়েছে ওই একরত্তির। অভিযুক্ত জয়নাল গা-ঢাকা দেন। রবিবার সকালে শিশুটির মামাদাদু এফআইআর দায়ের করেন। এদিনই অভিযান শুরু করে পুলিশ। জয়নালকে গ্রেফতার করা হয় অসমের শ্রীভূমি জেলার নীলম বাজার এলাকা থেকে (Tripura)। জানা গিয়েছে, অসমের শিলচর রেল স্টেশন থেকে ট্রেনে করে পশ্চিমবঙ্গে পালানোর পরিকল্পনা করেছিল জয়নাল। তার সেই পরিকল্পনায় জল ঢেলে দেয়  পুলিশ। এসডিপিও রাহুল বলহারা জানান, অভিযুক্ত জয়নালউদ্দিনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও হত্যার মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ শিশুটির ময়নাতদন্তের সরকারি রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করছে (Infant Raped)। এই অমানবিক ও জঘন্য অপরাধে অভিযুক্তের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন ত্রিপুরাবাসী (Tripura)।

  • PM Modi: কানাডার বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ মোদির, কী নিয়ে আলোচনা হল?

    PM Modi: কানাডার বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ মোদির, কী নিয়ে আলোচনা হল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবার কানাডার বিদেশমন্ত্রী (Canadian FM) অনিতা আনন্দের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। আনন্দ এই প্রথম ভারত সফরে এসেছেন। চলতি সফরে তাঁর তিনটি দেশে যাওয়ার কথা। সেই সফরে বেরিয়েই আনন্দ প্রথম এসেছেন ভারত সফরে। সরকারের তরফে জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী আনন্দের সফরকে ভারত-কানাডা দ্বিপাক্ষিক অংশীদারিত্বে নতুন গতি সঞ্চারের একটি সুযোগ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।

    মোদি-আনন্দ সাক্ষাৎ (PM Modi)

    এদিন কানাডার বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎকালে প্রধানমন্ত্রী তাঁকে স্মরণ করিয়ে দেন চলতি বছরের জুন মাসে জি৭ শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নিতে কানাডায় গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে তাঁর কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নির সঙ্গে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছিল। বিবৃতিতে বলা হয়েছে “প্রধানমন্ত্রী বিদেশমন্ত্রী আনন্দকে স্বাগত জানান এবং উল্লেখ করেন যে তাঁর এই সফর ভারত–কানাডা দ্বিপাক্ষিক অংশীদারিত্বে নতুন গতি সঞ্চারের চলমান প্রচেষ্টায় সাহায্য করবে।” প্রধানমন্ত্রী বাণিজ্য, জ্বালানি, প্রযুক্তি, কৃষি এবং জনগণের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে সহযোগিতা আরও গভীর করার গুরুত্বও তুলে ধরেন (PM Modi)।

    কী বললেন কানাডার বিদেশমন্ত্রী

    এক্স হ্যান্ডেলে নিজের সাক্ষাৎ সম্পর্কিত বিস্তারিত শেয়ার করে আনন্দ লেখেন, “আজ সকালে আমি নয়াদিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী @নরেন্দ্রমোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছি। এই বছরের গ্রীষ্মে জি৭ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী @মার্ককার্নি এবং প্রধানমন্ত্রী মোদির বৈঠকের গতিকে ভিত্তি করে কানাডা ও ভারত আমাদের দুই দেশের সম্পর্ককে আরও উচ্চতায় নিয়ে যাচ্ছে—একইসঙ্গে আইন প্রয়োগ ও নিরাপত্তা আলোচনা বজায় রেখে আমাদের অর্থনৈতিক সম্পর্কও সম্প্রসারিত করছে।”

    রবিবার আনন্দ পৌঁছন নয়াদিল্লিতে। বৈঠক করেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে। আলোচনার বিষয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে জয়শঙ্কর বলেন, “বৈশ্বিক অর্থনীতির ঝুঁকি কমাতে এবং দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা পুনর্গঠনের জন্য দুই দেশের সম্পর্ককে সর্বাঙ্গীনভাবে আরও মজবুত করা উচিত।” চলতি সফরে আনন্দের (Canadian FM) বৈঠক করার কথা বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েলের সঙ্গেও। ওই বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য বাড়ানোর উপায় নিয়েও আলোচনা হবে। নয়াদিল্লি সফর শেষে কানাডার বিদেশমন্ত্রী যাবেন চিন এবং সিঙ্গাপুরে (PM Modi)।

  • India Afghanistan Relation: মহিলা সাংবাদিকদের নিয়েই সম্মেলন তালিবান মন্ত্রীর! দিল্লিই পারে, দেখাল ভারত সরকার

    India Afghanistan Relation: মহিলা সাংবাদিকদের নিয়েই সম্মেলন তালিবান মন্ত্রীর! দিল্লিই পারে, দেখাল ভারত সরকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যে কাজ আমেরিকার মতন রাষ্ট্রশক্তি পারেনি, রাশিয়া পারেনি, ন্যাটো পারেনি— সে কাজ করে দেখাল ভারত সরকার (India Afghanistan Relation)। আদ্যান্ত মহিলা বিরোধী, তালিবান সরকার বাধ্য হল মহিলা সাংবাদিকদের সামনে সাংবাদিক সম্মেলন করতে। যারা মনে করে মেয়েদের জন্মই হয়েছে বংশবিস্তার করার জন্য, যারা মনে করে মেয়েদের চোখ টুকু বাদ দিয়ে পুরো শরীরটাই পর্দা করা দরকার সেই তালিবানরা যখন ভারতে এসে প্রথম সাংবাদিক সম্মেলনটি করে সেখানে মহিলা সাংবাদিক ছিল না। তা নিয়ে বিতর্কের ঝড় উঠে। যদিও ভারত সরকার বিবৃতি দেয় যে, আফগান দূতাবাসের ভেতর যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে তাতে ভারতের কোনও হাত থাকে না। তা সত্ত্বেও একদল বামপন্থী এবং তৃণমূলের লোকজন ভয়ংকর প্রচার চালাচ্ছিল ভারত সরকারের বিরুদ্ধে।

    ভারতের কূটনৈতিক সাফল্য

    ভারত সরকারের (India Afghanistan Relation) অপমান হচ্ছে বুঝতে পেরে এক অভাবনীয় পদক্ষেপ করে তালিবান সরকার। পরের দিন আরও একটি সাংবাদিক সম্মেলন ডাকে তারা এবং অবাক করা বিষয় এইবার সেই সাংবাদিক সম্মেলনে মহিলারা ছিলেন একেবারে সামনের সারিতে। যার পুরোটাই সম্ভব হয়েছে মোদি সরকারের কূটনীতির ফলেই। তাহলে কি তালিবান-রা শুধরে গেল? ভারত বন্ধু হয়ে গেল? হয়ত নয়। বা সেটা বলার সময় এখনও আসেনি। তবে আগের ভারত বিরোধী অবস্থান থেকে যে সরে এসেছে তালিবানরা সেটা স্পষ্ট। চাণক্য বলতেন যখন চারদিকে শত্রু রয়েছে৷ তখন সবার সঙ্গে যুদ্ধ করা সমীচীন নয়৷ শত্রু বন্ধু না হলে, শত্রুতা নিষ্ক্রিয় করো যতটা সম্ভব৷ মোদির ভারত ঠিক এই পদ্ধতিই অবলম্বন করেছে তালিবানের জন্য। পাক সন্ত্রাসবাদী শক্তিকে যতটা দূর্বল করা যায় ততটাই ভারতের জন্য মঙ্গল।

    পাক বিরোধিতায় তালিবান

    পাকিস্তান তাদের জন্ম লগ্ন থেকেই ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে রেখেছে। সম্মুখ সমরে বার বার হারার পর, ভারতে সন্ত্রাসবাদী পাঠিয়ে আক্রমণ করে গিয়েছে৷ নতুন ভারত পাকিস্তানের ঘরে ঢুকে সন্ত্রাসবাদী ঘাঁটি গুড়িয়ে দেওয়ার ক্ষমতা দেখিয়েছে৷ কিন্তু শুধু ঘাঁটি গুড়িয়ে দিয়েই থেমে নেই মোদি সরকার। কংগ্রেসের আমলে পাক-মদতপুষ্ট সন্ত্রাসী হানা, প্লেন হাইজ্যাকের মতো একাধিক বিষয়ে পাকিস্তানের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ভারত বিরোধী সন্ত্রাসে অংশ নিত তালিবান৷ সেখান থেকে ১৮০ ডিগ্রি উল্টো অবস্থানে পহেলগাঁও হামলার সময় ভারতের পাশে দাঁড়িয়ে পাকিস্তানের বিরোধিতা করে তালিবান৷

    আফগান নীতি বদল করে মোদি সরকার

    ভারতের আফগানিস্তান (India Afghanistan Relation) বিজয়ের চেষ্টা বেশ কয়েক বছর আগের৷ ২০১৪ সালে ক্ষমতায় এসে আফগান নীতি বদল করে মোদি সরকার৷ আফগানিস্তানে পরিকাঠামো উন্নয়ন, সড়ক, হাসপাতাল, সহ একাধিক ক্ষেত্রে প্রচুর বিনিয়োগ করা শুরু করে ভারত। ভারতের সাহায্যে একাধিক ব্রিজ নির্মাণ হয় আফগানিস্তানে৷ এমনকি ক্রিকেটের মতো খেলার পরিকাঠামো উন্নয়নের ক্ষেত্রেও ভারত আফগানিস্তানে বিনিয়োগ করে। তালিবানরা আফনাগিস্তানে ক্ষমতায় আসার আগে থেকেই আফগানদের ভারত নির্ভরশীলতা তৈরি করতে সক্ষম হয়েছিল মোদি সরকার৷

    ভারত-পাক-আফগানিস্তান ত্রিদেশীয় সম্পর্কে নয়া মোড়

    ২০২১ সালে আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখল করে তালিবান৷ সে সময়ও খবুই সাবধানী তালিবান নীতি নিয়েছিল ভারত৷ সে সময় তালিবান শাসকদের সরাসরি সরকার না বলে, ‘আফগানিস্তানে যারা শাসন ক্ষমতা নিয়েছে’ বলে উল্লেখ করে৷ এমনকি ২০২১-২২ সালে আফগানিস্তান দূতাবাসে শুধুমাত্র টেকনিক্যাল কিছু সদস্য রেখে বাকিদের সুরক্ষার কারণে ফিরিয়ে এনেছিল ভারত৷ শাসন ক্ষমতা দখল করেও ভারত বিরোধিতার রাস্তায় হাঁটেনি তালিবানরা৷ উল্টে বারবার বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ভারতের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছে আফগানিস্তানের তালিবান শাসকরা৷ যে তালিবানরা ভারত-পাক সীমান্ত সমস্যায় পাকিস্তানকে শক্তি যুগিয়ে আসত তারাই এখন ভারতের পাশে। তালিবান-পাকিস্তান সীমান্ত সমস্যা তো রয়েছেই কিন্তু মোদি সরকারের ভবিষ্যতমুখী আফগান নীতিই ভারত-পাক-আফগানিস্তান ত্রিদেশীয় সম্পর্ককে নতুন সুতোয় বুনছে৷

    কেন প্রথমে কিছু বলেনি ভারত

    ভারতে আফগান (India Afghanistan Relation) দূতাবাসে বসে তালিবান বিদেশমন্ত্রী একটি সাংবাদিক সম্মেলন করেছে। যেখানে মহিলা সংবাদিকদের জায়গা না দেওয়া নিয়ে বিতর্ক তৈরি করে ঘোলা জলে মাছ ধরতে চাইছে বিরোধীরা৷ বাম-কংগ্রেস-নকশালপন্থী সাংবাদিক-ব্লগার-বুদ্ধিজীবীরা এই ইস্যুতে মোদি সরকারকে আক্রমণ করতে মাঠে নেমে পড়েন। বিরোধীদের অদ্ভুত যুক্তি হল, আফগান বিদেশমন্ত্রীর সাংবাদিক সম্মেলনে মহিলা সাংবাদিকদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি। কেন্দ্রীয় সরকার এটা কী করে মেনে নিতে পারে! কিন্ত প্রশ্ন হল কোথায় হল এই সাংবাদিক সম্মেলন? সাউথ ব্লকে? খুব সাধারণ উত্তর, না। এই সাংবাদিক সম্মেলন হয়েছে আফগান দূতাবাসে। তালিবান নেতা ওমর আল মুত্তাকির এই সাংবাদিক সম্মেলন করেন।

    ভিয়েনা কনভেনশন-এর যুক্তি

    ভিয়েনা কনভেনশন অন ডিপ্লোম্যাটিক রিলেশনস, ১৯৬১-এর ধারা ২২ এর ১, ২২ এর ২ এবং ২২ এর ৩ অনুযায়ী কোন দেশে বিদেশি রাষ্ট্রের দূতবাস বিশেষ কিছু ক্ষমতা ভোগ করে। ধারা ২২ এর ১ এ বলা হয়েছে দূতাবাসের জায়গায় অন্যরা যখন তখন ঢুকে পড়বে না৷ অর্থাৎ ভারতের কোনও সরকারি আধিকারিককে কোনও দূতাবাসে ঢুকতে হলে সেই দেশের অনুমতি নিতে হবে৷ আতিথ্যদানকারী দেশ (host country) দূতাবাসের প্রাঙ্গণে অনুমতি ছাড়া প্রবেশ করতে পারে না বা সেখানে তাদের নিজস্ব আইন প্রয়োগ করতে পারে না। সংবাদ সম্মেলনের জন্য কাকে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে, তা সম্পূর্ণভাবে দূতাবাসের নিজস্ব সিদ্ধান্ত বা অধিকার।

    মিথ্যে ন্যারেটিভ দিয়ে মোদি সরকারকে আক্রমণ

    মজার বিষয় হচ্ছে যারা সব ইস্যুতে মিথ্যে ন্যারেটিভ দিয়ে মোদি সরকারকে আক্রমণ করতে রাস্তায় নামে তাদেরও অনেকে এই ভিয়েনা কনভেনশনটি জানেই না৷ অনেকে আবার জেনে বুঝে মোদি-বিরোধী মিথ্যে প্রচারটি করছিলেন৷ ২০২২ সালে আফগানিস্তানে মেয়েদের উপর যখন একের পর এক শাসন চাপিয়ে দিচ্ছে তালিবানরা তখন ভারত সেই নীতির বিরোধিতা করে স্পষ্ট বলেছিল, ‘আফগানিস্তানে তালিবানের নারী নীতি উদ্বেগজনক। নারী সুরক্ষা ও স্বাধীনতাকে গুরুত্ব দিয়ে আফগানিস্তানকে এগিয়ে নিয়ে যাক তালিবান। স্পষ্টতই ভারতের আফগান নীতি ভারতের শর্তে। অন্য কারও চাপিয়ে দেওয়া নীতির কারণে বা পিছু হঠে নয়।

    নতুন ধারণা তৈরি করতে মরিয়া তালিবান

    তালিবান মানেই ‘নারীবিদ্বেষী’, এই ধারণা ভাঙতে মরিয়া মন্ত্রী মুত্তাকিও। রবির সাংবাদিক বৈঠক থেকে তালিবান মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মিলিয়ে পড়ুয়ার সংখ্যা ১ কোটি। যার মধ্য়ে মেয়ের সংখ্যা প্রায় ৩০ লক্ষ। মাদ্রাসাতেও শিক্ষায় কোনও সীমা নেই। একেবারে স্নাতক স্তর পর্যন্ত কেউ নিজের পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারবেন। অবশ্য, কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। কিন্তু আমরা কখনওই মেয়েদের শিক্ষাদানকে হারাম বলে মনে করি না।’ আগের দিনের সমস্যা প্রসঙ্গে তাঁর যুক্তি ‘ওই সাংবাদিক বৈঠকটি সংক্ষিপ্ত নোটিসে আয়োজন করা হয়েছিল। তবে এই নয় যে তাতে কোনও মহিলা সাংবাদিকদের ডাকা হয়নি। সেখানেও মহিলা সাংবাদিকদের ডাকা হয়েছিল। কিন্তু একটি যান্ত্রিক গোলযোগের কারণে ওই সমস্যা তৈরি হয়। এর নেপথ্যে অন্য কোনও উদ্দেশ্য ছিল না।’ তবে কারণ যাই হোক শেষ সাংবাদিক বৈঠকে মহিলা সাংবাদিকদের দূতাবাসে প্রবেশ করতে দিয়ে তালিবান বুঝিয়েছে ভারতের মাটিতে দাঁড়িয়ে শেষ কথা বলে মোদির ভারতই।

  • Bihar Assembly Election: নির্বাচনের আগে ধাক্কা, দুর্নীতি মামলায় লালু-রাবড়ি-তেজস্বীদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন

    Bihar Assembly Election: নির্বাচনের আগে ধাক্কা, দুর্নীতি মামলায় লালু-রাবড়ি-তেজস্বীদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সামনেই বিহার বিধানসভা নির্বাচন (Bihar Assembly Election)। তার আগে বড় রাজনৈতিক ধাক্কা খেল রাজ্যের আরজেডি (RJD) নেতৃত্ব। দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালত ‘ল্যান্ড ফর জবস’ ও ‘আইআরসিটিসি দুর্নীতি’ মামলায় রাষ্ট্রীয় জনতা দলের সুপ্রিমো ও প্রাক্তন রেলমন্ত্রী লালু প্রসাদ যাদব, তাঁর স্ত্রী তথা বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রাবড়ি দেবী, এবং বিরোধী দলনেতা তেজস্বী যাদব-সহ একাধিক অভিযুক্তের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেছে। আদালতের এই সিদ্ধান্তের ফলে বিহার নির্বাচনের আগে লালু পরিবারের রাজনৈতিক পরিস্থিতি আরও দুর্বল হল বলেই মনে করছে ওয়াকিবহল মহল।

    ‘ল্যান্ড ফর জবস’ মামলায় চার্জ গঠন

    সিবিআই-এর অভিযোগ অনুযায়ী, ২০০৪ থেকে ২০০৯ সালের মধ্যে রেলমন্ত্রী থাকার সময় লালু প্রসাদ যাদব গ্রুপ-ডি পদের চাকরির বিনিময়ে প্রার্থীদের কাছ থেকে তাঁদের জমি বা সম্পত্তি খুব কম দামে নিজের পরিবারের নামে নেন। এই মামলায় ২০২২ সালের মে মাসে সিবিআই চার্জশিট দাখিল করে, যেখানে লালু যাদব, রাবড়ি দেবী, তেজস্বী যাদব, মিসা ভারতীসহ মোট ১৬ জনকে অভিযুক্ত করা হয়। তদন্তে দাবি করা হয়েছে, পাটনা ও তার আশপাশের বেশ কিছু জমি লালু পরিবারের সদস্য ও ঘনিষ্ঠ সহযোগীদের নামে হস্তান্তর করা হয়েছিল। আদালত অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪২০ ধারা (প্রতারণা), ১২০বি (ষড়যন্ত্র) এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ১৩(২) ও ১৩(১)(ডি) ধারায় চার্জ গঠন করেছে। শেষ দু’টি ধারা শুধুমাত্র লালু যাদবের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। এদিন আদালতে লালু, রাবড়ি ও তেজস্বী- তিনজনেই জানিয়েছেন তাঁরা বিচারের মুখোমুখি হতে প্রস্তুত। রাবড়ি দেবী বলেন, “এই মামলা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও মিথ্যা।”

    আইআরসিটিসি দুর্নীতি মামলা

    এই মামলাটি ২০০৪ থেকে ২০০৯ সালের মধ্যে লালু প্রসাদ যাদবের রেলমন্ত্রী থাকাকালীন আইআরসিটিসি হোটেল রক্ষণাবেক্ষণের চুক্তি প্রদান সংক্রান্ত দুর্নীতির অভিযোগে দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগ অনুযায়ী, দু’টি হোটেলের রক্ষণাবেক্ষণের চুক্তি বিজয় ও বিনয় কোচারের মালিকানাধীন সুজাতা হোটেলস প্রাইভেট লিমিটেড-কে বেআইনিভাবে দেওয়া হয়েছিল। মামলায় মোট ১৪ জন অভিযুক্ত রয়েছেন। আদালত ২৯ মে মামলার শুনানি শেষ করেছিল, সেই থেকে রায় সংরক্ষণ করে, এবং পরে ২৪ সেপ্টেম্বর বিচারক অভিযুক্তদের হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেন। সিবিআই ২০১৭ সালে লালু যাদব এবং তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে। সিবিআই দিল্লির আদালতকে বলেছিল যে সমস্ত অভিযুক্তের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের জন্য পর্যাপ্ত তথ্য রয়েছে। রবিবার (১২ অক্টোবর) দিল্লিতে পৌঁছে সোমবার আদালতে হাজিরা দিতে যান লালু প্রসাদ যাদব। অসুস্থতার কারণে তিনি হুইলচেয়ারে করে আদালতে আসেন। তাঁর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন স্ত্রী রাবড়ি দেবী, ছেলে তেজস্বী যাদব ও ঘনিষ্ঠ সহযোগী প্রেমচাঁদ গুপ্ত। আদালতের পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, এই মামলায় একটি বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত রয়েছে। পাশাপাশি আদালত জানিয়েছে, এই মামলায় লালু পরিবারের প্রত্যক্ষ আর্থিক সুবিধা পেয়েছে, যদিও ঘুষের সরাসরি প্রমাণ আপাতত পাওয়া যায়নি। বিহার নির্বাচনের ঠিক আগে আদালতের এই সিদ্ধান্তকে তাৎপর্যপূর্ণ মনে করা হচ্ছে। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, লালু পরিবারের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন আরজেডি-র ভাবমূর্তিতে বড় প্রভাব ফেলতে পারে।

  • Deepotsav in Ayodhya: ২৮ লক্ষ প্রদীপে আলোকিত হবে সরযূর ৫৬ ঘাট, আযোধ্যায় দীপোৎসবের প্রস্তুতি তুঙ্গে

    Deepotsav in Ayodhya: ২৮ লক্ষ প্রদীপে আলোকিত হবে সরযূর ৫৬ ঘাট, আযোধ্যায় দীপোৎসবের প্রস্তুতি তুঙ্গে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দীপোৎসবের (Deepotsav in Ayodhya) আলোয় আলোকিত হতে প্রস্তুত অযোধ্যা। আগামী ১৭ থেকে ২০ অক্টোবর মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের তত্ত্বাবধানে আয়োজিত হচ্ছে বিশ্ববিখ্যাত ‘দীপোৎসব ২০২৫’ উৎসব। প্রভু রামের দর্শনে অযোধ্যায় এই সময়ে বিপুল ভক্ত সমাগম হবে। প্রশাসন এই উৎসব নির্বিঘ্নে ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করার জন্য ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে। উত্তর প্রদেশ সরকার ঘোষণা করেছে যে আসন্ন দীপোৎসবে আযোধ্যার সরযূ নদীর ৫৬টি ঘাট আলোকিত হবে ২৮ লক্ষ মাটির প্রদীপে। যা তৈরি করবে এক নয়া বিশ্ব রেকর্ড। এ বছর দীপোৎসব অনুষ্ঠিত হবে ১৯ অক্টোবর।

    দীপোৎসবের প্রধান আকর্ষণ

    দীপোৎসব (Deepotsav in Ayodhya) কেবল একটি উৎসব নয়। এটি রামরাজ্যের আদর্শের প্রতীক। সরযূর তীরে লক্ষ লক্ষ প্রদীপ যখন একসঙ্গে জ্বলবে, সেই দৃশ্য বিশ্বজুড়ে ভক্তি ও ঐক্যের বার্তা পৌঁছে দেবে। এর আগে ২৬ লক্ষ দীপ জ্বালানোর লক্ষ্য নির্ধারণ করা হলেও, প্রস্তুতির মাত্রা আরও বাড়ানো হয়েছে। গত বছর দীপোৎসবে ২৫ লক্ষেরও বেশি দীপ জ্বালানো হয়েছিল। সরকারি এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, এবছর প্রস্তুতি আরও ব্যাপকভাবে নেওয়া হয়েছে এবং দীপোৎসবকে এক ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক মহোৎসবে পরিণত করতে সবাই একসঙ্গে কাজ করছে। প্রথমবারের মতো ল‍ক্ষ্মণ কিলা ঘাটকেও উৎসবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এই ঘাটে প্রজ্বলিত হবে ১.২৫ লক্ষ দীপ। ভজন সন্ধ্যা ঘাটেও ১.৫ লক্ষ দীপ জ্বলবে বলে জানা গিয়েছে। পুরো উৎসবের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকবে রাম কি পৈড়ি, যেখানে জ্বলবে প্রায় ১৫ থেকে ১৬ লক্ষ দীপ। উৎসবের উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ নিজে, দীপ প্রজ্বলনের মাধ্যমে এই মহোৎসবের সূচনা করবেন তিনি।

    কড়া নিরাপত্তায় শহর

    দীপোৎসবের (Deepotsav in Ayodhya) প্রধান আকর্ষণ রাম কি পৌড়ি এবং রামকথা পার্কের সামগ্রিক ব্যবস্থাপনার জন্য সিনিয়র আধিকারিকদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও, নয়া ঘাটে সরযু আরতির স্থানটিতেও বিশেষ নজরদারি থাকবে। ট্র্যাফিক নিয়ন্ত্রণ এবং মিডিয়াকে পরিচালনার জন্য আলাদাভাবে কর্মকর্তারা নিযুক্ত হয়েছেন। ২০ অক্টোবর, মূল অনুষ্ঠানের দিন শ্রীরাম জন্মভূমি মন্দির, হনুমানগড়ি এবং কারসেবকপুরমে অতিরিক্ত নিরাপত্তা মোতায়েন থাকবে। জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হয়েছে। ৪৭ জন রিজার্ভ ম্যাজিস্ট্রেটকে প্রস্তুত রাখা হচ্ছে। খাদ্য সুরক্ষা বিভাগ খাবারের মান পরীক্ষা করার জন্য বিশেষ দল তৈরি করেছে। উৎসবের নোডাল অফিসার সন্ত শরণ মিশ্র জানিয়েছেন, ৩৩ লক্ষ দীপের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন ৩০,০০০ স্বেচ্ছাসেবক। এতে ব্যবহার হবে ৭৫,০০০ লিটার তেল ও ৫৫ লক্ষ সুতির বাতি। ফৈজাবাদের রাম মনোহর লোহিয়া বিশ্ববিদ্যালয় ২২টি কমিটি গঠন করেছে দীপোৎসব সফল করতে। কমিটিগুলোর দায়িত্বে থাকবে সমন্বয়, নিরাপত্তা, দীপ গণনা, যান চলাচল, পরিচ্ছন্নতা, গণমাধ্যম, প্রাথমিক চিকিৎসা, সজ্জা, রঙ্গোলি, স্বেচ্ছাসেবকের পরিচয়পত্র বিতরণ ও সার্বিক তদারকি। সন্ত শরণ মিশ্র বলেন, “আযোধ্যা দীপোৎসব শুধুই ধর্মীয় উৎসব নয়। এটি রামরাজ্যের আদর্শকে উদযাপন করে, ভারতীয় সংস্কৃতির ঐক্যকে তুলে ধরে এবং বিশ্বের সামনে শান্তির বার্তা পৌঁছে দেয়।”

LinkedIn
Share