Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • GDP: আগামী ৫ বছরে ৬.৪ শতাংশ হারে বাড়বে ভারতের জিডিপি, জানাল ফিচ রেটিংস

    GDP: আগামী ৫ বছরে ৬.৪ শতাংশ হারে বাড়বে ভারতের জিডিপি, জানাল ফিচ রেটিংস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্ববিখ্যাত মূল্যায়ন সংস্থা ফিচ রেটিংস বৃহস্পতিবার ঘোষণা করেছে যে আগামী পাঁচ বছরে ভারত -এর সম্ভাব্য জিডিপি (GDP) বৃদ্ধির হার ৬.২ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৬.৪ শতাংশে উন্নীত করা হয়েছে। এই বৃদ্ধির পেছনে প্রধান কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে শ্রমশক্তির অংশগ্রহণ। ফিচ জানিয়েছে, সংশোধিত অনুমান অনুযায়ী ভারতীয় অর্থনীতির বৃদ্ধিতে প্রধান অবদান রাখছে শ্রমশক্তি। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলও ভারতের জিডিপি নিয়ে আশার আলো দেখিয়েছে।

    ভারতে বাড়বে জিডিপি বৃদ্ধির হার

    ফিচ রেটিংস-এর এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “আমাদের অনুমান অনুযায়ী, ভারতের প্রবণতাগত প্রবৃদ্ধি এখন ৬.৪ শতাংশ, যা পূর্ববর্তী ৬.২ শতাংশের তুলনায় সামান্য বেশি। আমরা মনে করি সাম্প্রতিক বছরগুলোর তুলনায় টোটাল ফ্যাক্টর প্রোডাক্টিভিটি (TFP) প্রবৃদ্ধি ধীর হবে এবং দীর্ঘমেয়াদী গড় ১.৫ শতাংশে ফিরে আসবে।” অন্যদিকে, সংস্থাটি চিনের সম্ভাব্য প্রবৃদ্ধি ০.৩ শতাংশ কমিয়ে ৪.৬ শতাংশ থেকে ৪.৩ শতাংশে নামিয়ে এনেছে। সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ভারতের শ্রমশক্তির অংশগ্রহণের হার উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে এবং আগামী দিনেও তা বাড়বে। তবে এর গতি কিছুটা ধীর হতে পারে। ফিচ রেটিংসের ডিরেক্টর রবার্ট সিয়েরা জানান, “আমাদের সাম্প্রতিক কালে উদীয়মান অর্থনীতিগুলোর গড় সম্ভাব্য প্রবৃদ্ধি এখন ৩.৯ শতাংশ, যা ২০২৩ সালের নভেম্বরে প্রকাশিত ৪ শতাংশের চেয়ে সামান্য কম। এর প্রধান কারণ চিনের অর্থনীতির বেহাল অবস্থা।”

    ভারত বিশ্বের দ্রুততম বর্ধনশীল অর্থনীতি

    ভারতীয় অর্থনীতি গত এক দশকে এক অভূতপূর্ব সাফল্যের গল্প রচনা করেছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (IMF)-এর সাম্প্রতিক তথ্য অনুসারে, গত ১০ বছরে ভারতের মোট দেশজ উৎপাদন (GDP) দ্বিগুণ হয়েছে। ২০১৫ সালে ভারতের জিডিপি ছিল ২.১ লক্ষ কোটি ডলার, যা ২০২৫ সালে বেড়ে ৪.৩ লক্ষ কোটি ডলারে পৌঁছবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। এই সময়ের মধ্যে ভারতের জিডিপি বৃদ্ধির হার ১০৫ শতাংশ, যা আমেরিকা, চিনের মতো বিশ্বের শীর্ষ অর্থনীতিগুলোর তুলনায় অনেক বেশি। এই অসাধারণ প্রবৃদ্ধির ফলে ভারত বিশ্বের দ্রুততম বর্ধনশীল অর্থনীতি হিসেবে নিজের স্থান আরও মজবুত করেছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (IMF) গত মাসে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ভারত বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল প্রধান অর্থনীতি এবং আগামী দুই বছরে একমাত্র দেশ হিসেবে ৬ শতাংশের বেশি হারে প্রবৃদ্ধি অর্জনের সম্ভাবনা রয়েছে।

  • ATS: দেশের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাচার, পাকিস্তানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে গ্রেফতার আরও ২

    ATS: দেশের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাচার, পাকিস্তানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে গ্রেফতার আরও ২

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের (Pakistan) হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে আরও দু’জনকে গ্রেফতার করল উত্তরপ্রদেশের সন্ত্রাস দমন শাখা (ATS)। দিল্লির সিলামপুর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে মহম্মদ হারুনকে। অন্যদিকে, বারাণসী থেকে তুফায়েল নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছেন তদন্তকারীরা। দুজনের বিরুদ্ধেই ভারতীয় ন্যায় সংহিতার বিভিন্ন ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। ভারতের সার্বভৌমত্ব, ঐক্য এবং অখণ্ডতাতে আঘাত হানা, দেশদ্রোহিতা সহ একাধিক ধারায় মামলা রজ্জু করা হয়েছে।

    পহেলগাঁও হামলার সময় পাকিস্তানেই ছিল হারুন

    দিল্লির সিলামপুর থেকে গ্রেফতার হওয়া হারুন পাকিস্তান দূতাবাসের এক আধিকারিক মোজাম্মেল হোসেনের নির্দেশে গুপ্তচরবৃত্তি করত বলে জানা গিয়েছে। ইতিমধ্যে ওই দূতাবাসের আধিকারিক মোজাম্মেল হোসেনকে অবঞ্ছিত ঘোষণা করে দেশ ছাড়তে বলেছে ভারত। জানা গিয়েছে, গুপ্তচর হারুন মোজাম্মেল হোসেনকে ভারতের অভ্যন্তরীণ সুরক্ষার সঙ্গে জড়িত অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাচার করেছে (ATS)।

    পাক দূতাবাসের কর্মীর নির্দেশে টাকা তুলত হারুন

    সূত্রের খবর, মোজাম্মেল হোসেনের নির্দেশেই পাকিস্তানের ভিসা পাইয়ে দেওয়ার নাম করে টাকা তুলত হারুন। হারুনের কথায় অনেক লোকই মোজাম্মেলের অ্যাকাউন্টে টাকা জমা করেছে বলে খবর। এই টাকা ভারত বিরোধী কাজে সেইসব টাকা ব্যবহার হত বলে জানা গিয়েছে। আরও চাঞ্চল্য়কর তথ্য হল, হারুনের দু’জন স্ত্রী রয়েছে। একজন থাকে পাকিস্তানে। তার সঙ্গে দেখা করতে প্রায়ই পাকিস্তানে যেত হারুন। পহেলগাঁওয় হামলার সময় সে পাকিস্তানেই ছিল। গোয়েন্দারা জানাচ্ছেন (ATS), ৫ এপ্রিল পাকিস্তানে যায় হারুন, সে ফেরে ২৫ তারিখ।

    ৬০০-এর বেশি পাকিস্তানের নম্বরের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল তুফায়েলের

    অন্যদিকে বারাণসী থেকে গ্রেফতার হওয়া তুফায়েল ভারতের অভ্যন্তরীণ সুরক্ষার সঙ্গে জড়িত অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্যই পাকিস্তানে পাচার করেছে। উত্তরপ্রদেশের সন্ত্রাস দমন (ATS) শাখা বলছে, রাজঘাট, জ্ঞানবাপী মসজিদ, লাল কেল্লা ও দেশের একাধিক রেল স্টেশনের ছবি তুলে পাকিস্তানের নম্বরে পাঠিয়েছে তুফায়েল। শুধু তাই নয়, ৬০০টিরও বেশি পাকিস্তানি নম্বরের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল তুফায়েলের। ফেসবুকে এক পাক সেনাকর্তার স্ত্রীর সঙ্গেও পরিচয় ছিল তুফায়েলের। এর পাশাপাশি, পাকিস্তানের (Pakistan) সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের প্রচারেও যুক্ত ছিল তুফায়েল।

  • India Pakistan Conflicts: ৮টি এফ-১৬, ৪টি জেএফ-১৭, অ্যাওয়াক্স,… অপারেশন সিঁদুরে পাক বায়ুসেনার কী কী ধ্বংস? তালিকা প্রকাশ্যে

    India Pakistan Conflicts: ৮টি এফ-১৬, ৪টি জেএফ-১৭, অ্যাওয়াক্স,… অপারেশন সিঁদুরে পাক বায়ুসেনার কী কী ধ্বংস? তালিকা প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপারেশন সিঁদুর-এর পর ভারত ও পাকিস্তানের (India Pakistan Conflicts) মধ্যে চলা সামরিক সংঘাতে প্রতিবেশী রাষ্ট্রের ব্যাপক অর্থনৈতিক ক্ষতি হয়েছে। সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি বিস্তৃত রিপোর্টে সেই ক্ষতির পরিমাণ তুলে ধরা হয়েছে। এই অভিযানে পাকিস্তান বিমান বাহিনী (PAF) যে বিপুল কৌশলগত ও আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে, তা তুলে ধরা হয়েছে রিপোর্টে। তথ্য অনুযায়ী, ৭ মে ২০২৫ তারিখে পরিচালিত অভিযানে ভারতীয় বাহিনী পাকিস্তানের কমপক্ষে ৮টি এফ-১৬ যুদ্ধবিমান ও ৪টি জেএফ-১৭ ধ্বংস করে। এর পাশাপাশি বিভিন্ন উচ্চ-মূল্যের আকাশ ও স্থল সামরিক সম্পদ ধ্বংস করা হয়। স্যাটেলাইট ছবি, গোয়েন্দা তথ্য এবং গোপন বাজেট নথি বিশ্লেষণ করে মোট ক্ষতির পরিমাণ ধরা হয়েছে প্রায় ৩.৩৫৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

    বিমানঘাঁটি ও আকাশপথে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

    আকাশপথে সরাসরি সংঘর্ষে পাকিস্তান (India Pakistan Conflicts) ৪টি এফ-১৬ ব্লক ৫২ডি হারিয়েছে, প্রতিটির মূল্য ৮৭.৩৮ মিলিয়ন ডলার। মোট ক্ষতির পরিমাণ ৩৪৯.৫২ মিলিয়ন ডলার। এছাড়া পাকিস্তানের একটি সাব ২০০ এরিআই অ্যাওয়াক্স নজরদারি বিমান (মূল্য ৯৩ মিলিয়ন ডলার), একটি আইএল-১৭ রিফুয়েলিং ট্যাঙ্কার (৩৫ মিলিয়ন ডলার), দুইটি সিএম-৪০০একেজি মিসাইল, দুইটি শাহিন ক্ষেপণাস্ত্র ও ছয়টি বায়রাক্তার টিবি২ ড্রোন ধ্বংস হয়েছে। এছাড়াও এই সব সম্পদের মোট ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৫২৪.৭২ মিলিয়ন ডলার। মোট ক্ষতির পরিমাণ ৫২৪.৭ মিলিয়ন মর্কিন ডলার। অন্যদিকে, ১০ তারিখ পাক এয়ারবেসগুলিতে ভারতের প্রত্যাঘাতে আরও চারটি এফ-১৬ ব্লক ৫২ডি যুদ্ধবিমান হারিয়েছে পাকিস্তান। একটি সি১৩০ হারকিউলিস পরিবহণ বিমান (৪০ মিলিয়ন ডলার), একটি এইচকিউ-৯ সাম ব্যাটারি (২০০ মিলিয়ন ডলার), এবং দুটি মোবাইল কমান্ড সেন্টার ধ্বংস হয়েছে (১০ মিলিয়ন ডলার)। এই ক্ষতির পরিমাণ মোট ৫৯৯.৫২ মিলিয়ন ডলার। এই বিশাল ক্ষতির ফলে পাকিস্তানের বিমান যুদ্ধের সক্ষমতা, নজরদারি ক্ষমতা এবং কৌশলগত পরিকাঠামো মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিশেষ করে, এফ-১৬ ধ্বংস হওয়া পাকিস্তানের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে দুর্বল করেছে বলে মন্তব্য করছেন বিশেষজ্ঞরা।

    এফ-১৬ এর দাম

    এফ-১৬ বিমানটি মূলত মার্কিন প্রতিরক্ষা সংস্থা জেনারেল ডাইনামিক্স (বর্তমানে লকহিড মার্টিন) দ্বারা তৈরি করা হয়েছিল। পাকিস্তান প্রথম ১৯৮১ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে ৮০টি এফ-১৬ বিমানের অর্ডার দেয়। চুক্তিটি ‘পিস গেট ১ এবং ২’ প্রোগ্রামের অধীনে করা হয়েছিল এবং তাদের ডেলিভারি ১৯৮৩ থেকে ১৯৮৭ সালের মধ্যে হয়েছিল। বর্তমানে, পাকিস্তানের কাছে প্রায় ৭৫ থেকে ৮৫টি এফ-১৬ বিমান রয়েছে, যার মধ্যে এ, বি, সি এবং ডি ভেরিয়েন্ট রয়েছে। এফ-১৬ এর দাম এর মডেলের উপর নির্ভর করে। একটি নতুন এফ-১৬ এর দাম প্রায় ৪০ থেকে ৭০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, অর্থাৎ ৩০০ থেকে ৫০০ কোটি টাকার মধ্যে।

    জেএফ-১৭ এর দাম

    জেএফ-১৭ থান্ডার, পাকিস্তান ও চিনের অংশীদারিত্বে নির্মিত একটি মাল্টিরোল যুদ্ধবিমান। এটি যৌথভাবে পাকিস্তান অ্যারোনটিক্যাল কমপ্লেক্স (পিএসি) এবং চেংডু এয়ারক্রাফ্ট কর্পোরেশন (সিএসি) দ্বারা তৈরি করা হয়েছে। ৯০-এর দশকে যখন পাকিস্তানের পারমাণবিক কর্মসূচির কারণে এফ-১৬ সরবরাহ বন্ধ করে দেয় আমেরিকা, তখন এর ভিত্তি স্থাপিত হয়। এরপর, পাকিস্তান ১৯৯২ সালে চিনের সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে এবং ১৯৯৫ সালে জেএফ-১৭ প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। প্রথম জেএফ-১৭ ২০০৯ সালে পাকিস্তান বিমানবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হয় এবং তাদের কাছে এখন ১৫৬টিরও বেশি বিমান রয়েছে। এটি একটি হালকা এবং দ্রুতগতির যুদ্ধবিমান, যার সর্বোচ্চ টেকঅফ ওজন ১৩,৫০০ কেজি। জেএফ-১৭ এর দাম প্রায় ৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (১২০ কোটি), যেখানে ব্লক থ্রি-র দাম প্রায় ২৫ থেকে ৩০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।

    যুদ্ধকালীন ব্যয় ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিকাঠামো

    ২৯ দিনব্যাপী সংঘাতে পাকিস্তানের যুদ্ধ (India Pakistan Conflicts) ব্যয়ও ছিল বিপুল। প্রতিদিনের বিমান টহল ও হামলা পরিচালনার খরচ ২৫ মিলিয়ন ডলার ধরে মোট ৭২৫ মিলিয়ন ডলার, ড্রোন ও মিসাইল ব্যবহারে ৪৫০ মিলিয়ন ডলার, সীমান্তে মোতায়েন ও প্রতিরক্ষা খাতে ৪৩৫ মিলিয়ন ডলার ব্যয় করে ইসলামাবাদ। যদিও পাকিস্তান সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষতির বিষয়টি স্বীকার করেনি। ভারতের আক্রমণে পাকিস্তানের বায়ুসেনা ঘাঁটিরও প্রবল ক্ষতি হয়েছিল৷ ভেঙে পড়েছিল এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম৷ এই দুটি পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা ব্যাবস্থার মূল ভিত্তি৷ পাকিস্তান বুঝতে পারে এরপরও সংঘর্ষ চললে আরও বড় ক্ষতির মুখে পড়তে হবে৷ ইসলামাবাদের সমস্যা আরও বাড়বে ৷ তাই সংঘর্ষ বিরতির পথে হাঁটে পাকিস্তান।

  • India Turkey Relation: ভারত-বিরোধী অবস্থানের খেসারত দিচ্ছে তুরস্ক! ৭৭০ কোটি টাকার লোকসান

    India Turkey Relation: ভারত-বিরোধী অবস্থানের খেসারত দিচ্ছে তুরস্ক! ৭৭০ কোটি টাকার লোকসান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একবার নয়, বিপদের সময় বার-বার তুরস্কের (India Turkey Relation) জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে ভারত। বন্ধু ভেবে বিপর্যয় মোকাবিলা, মেডিক্যাল (Medical) ছাড়াও দিয়েছে আর্থিক সাহায্য (Finance)। অথচ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধে সেই ভারতেরই ক্ষতি চাইল তুরস্ক (Turkey)। তাই তুরস্ক বয়কটের ডাক দিল ভারত। তাতেই মাথায় হাত তুরস্ক প্রধান এর্দোগানের। পাকিস্তানকে প্রকাশ্যে সমর্থন দিয়ে ভারতের বিরুদ্ধে যাওয়ার খেসারত দিতে হল তুরস্ককে। ক্ষতির মুখে পড়ল তুরস্কের অর্থনীতি। একই সঙ্গ পাকিস্তানের সেই ‘বন্ধু’কেই এবার কড়া বার্তা দিল বিদেশ মন্ত্রকও। বলা হল, তুরস্ক পাকিস্তানকে সন্ত্রাসবাদে মদত দেওয়া বন্ধ করতে বলবে, এই আশা রাখে নয়াদিল্লি। একই সঙ্গে ভারতের বিমানবন্দরগুলিতে তুরস্কের সংস্থা সেলেবির অনুমতি বাতিল নিয়েও অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছেন বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল।

    বিদেশমন্ত্রকের বার্তা

    পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার ঘটনার এক মাসের মাথায় বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জয়সওয়াল বলেন, ‘‘আমাদের আশা, তুরস্ক পাকিস্তানকে অনুরোধ করবে তারা যেন সীমান্তে সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন করা এবং মদত দেওয়া বন্ধ করে। যে সন্ত্রাসবাদের রাজত্ব গড়ে উঠেছে গত কয়েক দশক ধরে, তার বিরুদ্ধে যেন পাকিস্তানকে পদক্ষেপ করতে বলে তুরস্ক, এটাই আমাদের আশা।’’ যে কোনও সম্পর্ক গড়ে ওঠে একে অপরের সংবেদনশীলতার ভিত্তিতে, তুরস্কের প্রসঙ্গে এ কথাও জানান জয়সওয়াল। রণধীর বলেন, “প্রত্যেকের স্পর্শকাতর বিষয় এবং উদ্বেগের বিষয়গুলি উপলব্ধি করার মাধ্যমেই দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক তৈরি হয়।” বিশ্লেষকদের মতে, এইভাবে আঙ্কারাকে বিদেশমন্ত্রকের তরফে বার্তা দেওয়া হল।

    সেলেবির অনুমতি বাতিল

    তুরস্ক নিয়ে ভারতের অবস্থান কী, সেলেবি নিয়েই বা কেন্দ্রীয় সরকার কী ভাবছে, এদিন জানতে চাওয়া হলে রণধীর বলেন, ‘‘সেলেবির ‘সুরক্ষা ছাড়পত্র’ বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল অসামরিক বিমান পরিবহণ কর্তৃপক্ষ। ভারতে অবস্থিত তুরস্কের দূতাবাসের সঙ্গে এ বিষয়ে আমাদের আলোচনা হয়েছে।’’ উল্লেখ্য, দিল্লি হাইকোর্টে এই মামলায় সেলেবি কর্তৃপক্ষ দাবি করেছেন, তাঁরা গত ১৭ বছর ধরে ভারতে পরিষেবা দিচ্ছেন। কখনও তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ ওঠেনি। কোনও সমস্যা দেখা দিলে আলোচনার মাধ্যমে তার সমাধান সম্ভব। কেন্দ্রের তরফে আদালতে জানানো হয়, জাতীয় নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখেই সেলেবির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হয়েছে। উল্লেখ্য, মুম্বই, নয়াদিল্লি, চেন্নাই, বেঙ্গালুরু, হায়দরাবাদ, আমেদাবাদ-সহ দেশের ৯টি বিমানবন্দরে একাধিক উড়ান সংস্থার হয়ে গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং-এর একাধিক কাজ করার ভার ছিল সেলেবি-র উপর।

    কেন এই অবস্থান

    ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর সময়ে প্রকাশ্যেই পাকিস্তানকে সমর্থন এবং অস্ত্র–সরবরাহ করার অভিযোগ উঠেছিল তুরস্কের বিরুদ্ধে। পাকিস্তানকে অন্তত ৪০০টি ড্রোনও দিয়েছিল তুরস্ক বলে জানা গিয়েছে। ভারতের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের হামলার সময়ে সেই ড্রোন ব্যবহার করাও হয়। এর পরেই তুরস্কের বিরুদ্ধে একাধিক পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে ভারত। তাদের সঙ্গে বাণিজ্য বন্ধ করা হয়েছে। এর সঙ্গেই তুরস্কের সঙ্গে থাকা বিভিন্ন চুক্তি বাতিল করার কথা জানিয়েছে একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এ বার তুরস্ককে কড়া বার্তা দিল ভারত।

    ৭৭০ কোটি টাকা ক্ষতির মুখে তুরস্ক

    সবচেয়ে বেশি ধাক্কা এসেছে তুরস্কের দ্রুত প্রসারমান ‘ডেস্টিনেশন ওয়েডিং’ ইন্ডাস্ট্রিতে। গত কয়েক বছর ধরে ধনী ও প্রভাবশালী ভারতীয়দের বিয়ের জন্য পছন্দের জায়গা ছিল তুরস্ক। তবে সম্প্রতি ভারতীয় পরিবারগুলোর এক বড় অংশ তাদের বিয়ের আয়োজন তুরস্কে না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর ফলে আনুমানিক ৭৭০ কোটি টাকার ক্ষতি হতে চলেছে বলে জানিয়েছে এই ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে যুক্ত এক কর্তা। ২০২৪ সালে তুরস্কে প্রায় ৫০টি ভারতীয় অভিজাত পরিবারের বিয়ে হয়। যেগুলোর প্রতিটির বাজেট ছিল ২৫ কোটি থেকে ৬৬ কোটি টাকার মধ্যে। শুধু হোটেল নয়, এই বিয়েগুলো স্থানীয় ফুলের দোকান, ক্যাটারিং, সজ্জা, ট্রাভেল এজেন্ট থেকে শুরু করে সঙ্গীত শিল্পীদেরও কাজ দিত। ভারতীয় ওয়েডিং মার্কেট তুরস্কের ব্যবসার আয়ের অন্যতম উৎসে পরিণত হয়েছিল।

    তুরস্কের পর্যটন খাতে নেতিবাচক প্রভাব

    পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ২০২৫ সালে তুরস্কে নির্ধারিত ৫০টি বিয়ের মধ্যে ৩০টির বুকিং ইতোমধ্যেই বাতিল হয়ে গিয়েছে বা স্থগিত হয়েছে। ভারতীয় পরিবারগুলোর বার্তা স্পষ্ট, যারা দেশের বিরোধিতা করবে, তাদের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নয়। এর ফলে রাজস্থান, গোয়া, কেরল, উদয়পুরের মতো জায়গায় বিয়ের জন্য আগ্রহ বাড়ছে। এতে করে দেশের পর্যটন খাতও চাঙ্গা হচ্ছে, এবং কূটনৈতিক অর্থনৈতিক বার্তা স্পষ্ট হচ্ছে। তথ্য অনুযায়ী, ভারতীয় ওয়েডিং ট্যুরিজম থেকে প্রতি বছর তুরস্কে প্রায় ১,১৭০ কোটি টাকা আয় হত। এই বিপুল রাজস্ব এখন ঝুঁকির মুখে। পাকিস্তানের সঙ্গে বন্ধুত্ব তুরস্কের পর্যটন খাতেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। সম্প্রতি ৭০ শতাংশ ভারতীয় তুরস্কে ঘুরতে যাওয়া বাতিল করেছে ৷ বিশ্লেষকদের মতে, এর্দোগান সরকারের কূটনৈতিক কৌশলের এটি বড় ধরনের ব্যর্থতা।

  • HAPS Pseudo Satellites: আকাশসীমা প্রতিরক্ষায় বায়ুসেনার হাতে আসছে ‘ছদ্ম উপগ্রহ’! কীভাবে কাজ করে এই সিস্টেম?

    HAPS Pseudo Satellites: আকাশসীমা প্রতিরক্ষায় বায়ুসেনার হাতে আসছে ‘ছদ্ম উপগ্রহ’! কীভাবে কাজ করে এই সিস্টেম?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আধুনিক যুদ্ধকৌশলে সামরিক যোগাযোগ ও নজরদারি ব্যবস্থা কতটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, তা ‘অপারেশন সিঁদুর’-এ (Operation Sindoor) প্রত্যক্ষ করেছে বিশ্ববাসী। ফলে, পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘাতের আবহে এবং ভবিষ্যৎ যুদ্ধের কথা মাথায় রেখে এই দুই ক্ষেত্রকে আরও শক্তিশালী, আরও মজবুত, আরও আধুনিক করতে এবার নতুন ঘরানার সামরিক উপগ্রহ মোতায়েন করতে চলেছে ভারত।

    ভবিষ্যতের প্রস্তুতি শুরু…

    জানা যাচ্ছে, এর ভারতীয় বায়ুসেনার হাতে আসতে চলেছে এক বিশেষ ধরনের ‘সিউডো স্যাটেলাইট’ বা ছদ্ম উপগ্রহ (HAPS Pseudo Satellites)। নজরদারি চালানোর পাশাপাশি এই বিশেষ উপগ্রহগুলির কাজ হবে যুদ্ধবিমান ও গ্রাউন্ড স্টেশনগুলির মধ্যে যোগাযোগ স্থাপন ও তথ্য বিনিময় করা। এর পাশাপাশি, দেশের আকাশসীমার নিরাপত্তাকে আরও বলিষ্ঠ করতে বায়ুসেনার হাতে আসতে চলেছে ভেরি শর্ট এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমের (VSHORADS) ৪৮টি লঞ্চার। এরই অংশ হিসেবে সেনা কিনতে চলেছে ৮৫টি ক্ষেপণাস্ত্র ও ৪৫টি উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন নাইট-ভিশন ডিভাইস। ভারত-পাক তীব্র সংঘাতের আবহে এই সরঞ্জামগুলি কেনার সিদ্ধান্ত তাৎপর্যপূর্ণ হলেও, বর্তমান সামরিক প্রস্তুতির অঙ্গ হিসেবে এগুলির অন্তর্ভুক্তি সম্ভব নয় বলে মনে করছে তথ্যাভিজ্ঞ মহল। কারণ, বাহিনীর হাতে এগুলি আসতে আরও কয়েকমাস লেগে যাবে। ফলে, ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখেই এগুলিকে কেনা হচ্ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

    সৌরশক্তিচালিত ছদ্ম উপগ্রহ

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রক এই বিশেষ ধরনের ছদ্ম উপগ্রহগুলির খোঁজ চালাচ্ছে, যাদেরকে পরিভাষায় হাই-অলটিচিউড প্ল্যাটফর্ম সিস্টেম (হাপ্স) বলা হচ্ছে। এই সিস্টেমগুলি (HAPS Pseudo Satellites) দীর্ঘসময় ধরে নজরদারি চালাতে সক্ষম ইউএভি বা ড্রোন হিসাবে কাজ করে এবং সৌরশক্তিচালিত হওয়ায় এতে জ্বালানি ভরার প্রয়োজন হয় না। প্রচলিত সৌর প্যানেলের জায়গায় এই ছদ্ম-উপগ্রহ বা ড্রোনগুলিতে ব্যবহৃত প্যানেলগুলি অত্যন্ত পাতলা সৌর ফিল্ম দিয়ে তৈরি। সাধারণ ড্রোনের তুলনায় অধিক অথচ লো-আর্থ অরবিটে মোতায়েন কৃত্রিম উপগ্রহের তুলনায় কম উচ্চতায় কাজ করে এই হাপ্স ড্রোনগুলি। সৌরচালিত হওয়ায় টানা বহু মাস ধরে আকাশে চক্কর কাটতে সক্ষম হাপ্স। ফলে, প্রায় মহাকাশ থেকে নজরদারি চালাতে পারে এই সিস্টেম। যে কারণে একে সিউডো-স্যাটেলাইট (HAPS Pseudo Satellites) বলা হয়ে থাকে।

    ‘আত্মনির্ভর ভারত’-এ জোর

    বায়ুসেনার জন্য এরকম তিনটি প্ল্যাটফর্ম কেনার জন্য রিকোয়েস্ট ফর ইনফরমেশন (আরএফআই) জারি করেছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। যা টেন্ডার প্রক্রিয়ার একটি ধাপ। কেবলমাত্র দেশীয় সংস্থাগুলি থেকেই তথ্য চাওয়া হয়েছে। অর্থাৎ, এক্ষেত্রেও ‘আত্মনির্ভর ভারত’-কে তুলে ধরতে চেয়েছে মোদি সরকার। দেশীয় প্রতিরক্ষা সরঞ্জামের গুণমান কতটা ভালো, তা ‘অপারেশন সিঁদুর’-এ (Operation Sindoor) প্রমাণিত। ফলে, ফের একবার, দেশীয় প্রযুক্তি ও সরঞ্জামেই আস্থা রাখছে কেন্দ্র। আরএফআই-তে বলা হয়েছে— প্ল্যাটফর্মগুলিতে একদিকে যেমন নিরন্তর গোয়েন্দা তথ্য, নজরদারি ও পর্যবেক্ষণ (সামরিক পরিভাষায় ISR) করা এবং অন্য ড্রোনগুলির সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনের ক্ষমতা থাকবে। অন্যদিকে, শত্রুযানের সিগন্যালও জ্যাম করার সক্ষমতা থাকতে হবে এই সিস্টেমগুলিতে (HAPS Pseudo Satellites)।

    ১৬ কিমি উচ্চতায় মোতায়েন!

    প্রতিরক্ষামন্ত্রকের আরএফআই-তে বেঁধে দেওয়া শর্ত অনুযায়ী, ১৬ কিমি উচ্চতাতেও সমানভাবে কাজ করার ক্ষমতা থাকতে হবে সিস্টেমগুলিতে। এখানে উল্লেখ্য, পৃথিবীর সর্বোচ্চ শৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্টের উচ্চতা ৮৮৪৯ মিটার। দূরপাল্লার আন্তর্জাতিক যাত্রী বিমানগুলি সাধারণত ১০ হাজার মিটার বা ১০ কিমি উচ্চতা দিয়ে যাতায়াত করে। শর্ত অনুযায়ী, হাপ্স সিস্টেমগুলিতে (HAPS Pseudo Satellites) উন্নতমানের যোগাযোগ ব্যবস্থা থাকতে হবে। লাইন-অফ-সাইট-এর সাপেক্ষে ন্যূনতম ১৫০ কিমি এবং স্যাটেলাইটের ক্ষেত্রে ন্যূনতম ৪০০ কিমি দূরত্বে যোগাযোগ স্থাপনে সক্ষমতা থাকতে হবে এই সিস্টেমে।

    বাকেট-লিস্টে ভিশোরাড…

    হাপ্স সিস্টেমের পাশাপাশি, নতুন প্রজন্মের অতি স্বল্প পাল্লার এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম (VSHORADS) কেনার বিষয়েও রিকোয়েস্ট ফর প্রোপোজাল (আরএফপি) আহ্বান করেছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। এগুলি হল ম্যান-পোর্টবেল বা কাঁধে বসিয়ে নিক্ষেপযোগ্য বিমান-বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র। মূলত, রেডার সীমার নীচ দিয়ে আকাশপথে হামলা চালানো শত্রুপক্ষের হেলিকপ্টার বা বিমান বা ড্রোন বা ক্ষেপণাস্ত্রের মতো যে কোনও উড়ুক্কু যানকে ধ্বংস করার ক্ষমতা থাকবে এই ভিশোরাড-এর। এই সিস্টেমগুলি হবে বহুস্তরীয় এয়ার ডিফেন্সের সবচেয়ে অভ্যন্তরীণ বর্ম। বর্তমানে, রুশ-নির্মিত ইগলা-পি ও আরও উন্নত ইগলা-এস ম্যানপ্যাড ব্যবহার করে ভারত। এবার ভারত দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি এই সিস্টেম কিনতে চাইছে। প্রতিরক্ষামন্ত্রকের শর্ত, এগুলির পাল্লা হতে হবে ৬ হাজার মিটার এবং এগুলিকে দিনে ও রাতে সমান কার্যকর হতে হবে।

  • India Pakistan Conflict: ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পর ৫০ জঙ্গিকে জম্মু-কাশ্মীরে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে পাকিস্তান! রুখে দেয় বিএসএফ

    India Pakistan Conflict: ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পর ৫০ জঙ্গিকে জম্মু-কাশ্মীরে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে পাকিস্তান! রুখে দেয় বিএসএফ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পর পরই ভারতে ৫০ জন জঙ্গিকে অনুপ্রবেশ করানোর চেষ্টা করেছিল পাকিস্তান। সংবাদ সংস্থা এএনআই-এর কাছে এমনই দাবি করেছেন বিএসএফের এক আধিকারিক। প্রতিদিনই সীমান্তে জঙ্গি অনুপ্রবেশ করানোর চেষ্টা করে পাকিস্তান। সীমান্তে গোলাগুলি চালানো আর ভারতীয় ভূখণ্ডে জঙ্গি প্রবেশ করানো পাকিস্তানের অভ্যেস। সেই মতোই ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পর পরই জম্মু-কাশ্মীরের সাম্বা সেক্টর দিয়ে ভারতে জঙ্গি ঢোকানোর চেষ্টা করে আইএসআই। যদিও জঙ্গি অনুপ্রবেশের সেই চেষ্টা ভেস্তে দিয়েছে বিএসএফ।

    কীভাবে হয়েছিল অনুপ্রবেশের চেষ্টা

    বিএসএফের ডিআইজি এসএস মাঁদ সংবাদ সংস্থা এএনআইকে জানিয়েছেন, গোয়েন্দা সূত্রে তাঁদের কাছে খবর এসেছিল, আন্তর্জাতিক সীমান্ত দিয়ে ৪০-৫০ জন জঙ্গির একটি দল অনুপ্রবেশের চেষ্টা করতে পারে। গত ৮ মে সীমান্তে সন্দেহজনক ভাবে বেশ কয়েক জন ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছিল। তার সঙ্গে সীমান্তের ও পারে পাকিস্তান থেকে ক্রমাগত গোলাগুলি চলছিল। আর সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে জঙ্গিরা অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে। কিন্তু জওয়ানরা জঙ্গিদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়, বোমাবর্ষণ করে। পাল্টা হামলার মুখে পড়ে জঙ্গিরা পালাতে শুরু করে।

    দ্বিমুখী লড়াইয়ের ছক ছিল পাকিস্তানের

    প্রসঙ্গত, পহেলগাঁও হামলার জবাব দিতে গত ৭ মে পাকিস্তানের মাটিতে ‘অপারেশন সিঁদুর’ অভিযান চালায় ভারত। তার ঠিক পর দিন অর্থাৎ ৮ মে সাম্বা সেক্টর দিয়ে ৪০-৫০ জন জঙ্গিকে ভারতে ঢোকানোর চেষ্টা করে পাকিস্তান। ডিআইজি আরও জানিয়েছেন, দু’দেশের মধ্যে সামরিক অস্থিরতার সুযোগ নিয়ে পাকিস্তান জঙ্গি অনুপ্রবেশ করিয়ে বড় নাশকতার চেষ্টা করেছিল, তা বানচাল করে দিয়েছে বিএসএফ। সাম্বায় অনুপ্রবেশের চেষ্টার সময় নিকেশ করা হয় ৭ জঙ্গিকে। পহেলগাঁও কাণ্ডের পর পাকিস্তানের মাটিতে প্রত্যাঘাত করে ভারত। তার পর জম্মু-কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণরেখা সংলগ্ন এলাকায় সংঘর্ষবিরতি লঙ্ঘন করে ক্রমাগত গোলাগুলি চালাতে থাকে পাকিস্তান। ভারতের বিরুদ্ধে দ্বিমুখী লড়াইয়ের ছক ছিল পাকিস্তানের (India-Pakistan)। একদিকে হাতিয়ার সেনা, অন্যদিকে দোসর জঙ্গিরা। তবে বিএসএফ সেই চেষ্টায় জল ঢেলে দেয়।

  • Operation Sindoor: “সিঁদুর এখন বারুদে পরিণত,” রাজস্থানের সভায় বললেন প্রধানমন্ত্রী মোদি

    Operation Sindoor: “সিঁদুর এখন বারুদে পরিণত,” রাজস্থানের সভায় বললেন প্রধানমন্ত্রী মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আমরা যে সিঁদুর ব্যবহার করি, তা এখন বারুদে পরিণত হয়েছে। আমাদের সেনাবাহিনী পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদী শিবিরগুলি ধ্বংস করে দিয়েছে।” রাজস্থানের বিকানেরে বৃহস্পতিবার এক জনসমাবেশে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। সেখানে প্রত্যাশিতভাবেই আসে অপারেশন সিঁদুরের (Operation Sindoor) প্রসঙ্গ। তার আগে আসে ২২ এপ্রিল দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের প্রসঙ্গও। ওই দিন বেছে বেছে ২৭ জন হিন্দু পর্যটককে হত্যা করেছিল পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। এর ঠিক পক্ষকাল পরেই পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে অপারেশন সিঁদুর চালায় ভারত। ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় জঙ্গিদের ঘাঁটি।

    সিঁথির সিঁদুর (Operation Sindoor)

    এদিন সে প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “যারা সেদিন সিঁথির সিঁদুর মুছে দিতে এসেছিল, তাদের আমরা মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দিয়েছি।” তিনি বলেন, “সেদিন জঙ্গিরা পর্যটকদের ধর্ম জিজ্ঞেস করে মেরেছিল, মুছে দিয়েছিল মহিলাদের সিঁথির সিঁদুর। জঙ্গিদের ছোড়া সেই গুলি কেবল পহেলগাঁওয়ের মাটিতেই লাগেনি, লেগেছিল ১৪০ কোটির হৃদয়ে। কিন্তু যারা ভেবেছিল ভারত চুপ করে থাকবে, তারা আজ নিজেদের ঘরে লুকিয়ে আছে, আর যারা অস্ত্রে ভরসা করত, তারা আজ নিজেদের ঘরে লুকিয়ে রয়েছে, তারা আজ তাদেরই ধ্বংসস্তূপের নীচে। প্রতিটি রক্তফোঁটার দাম আদায় করে নিয়েছে ভারত।” তিনি বলেন, “পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের পরে আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে সঙ্কল্প নিয়েছিলাম যে আমরা সন্ত্রাসবাদীদের নির্মূল করব। আমরা তাদের কল্পনার চেয়েও বড় শাস্তি দেব। সন্ত্রাসবাদীদের মাটিতে মিশিয়ে দেওয়া হবে। আজ, আপনাদের আশীর্বাদ এবং দেশের সেনাবাহিনীর সাহসিকতায় আমরা সকলেই তা পূরণ করতে পেরেছি। আমাদের সরকার তিন সেনাকে ফ্রি হ্যান্ড দিয়েছিল। তিন সেনা মিলে ওদের নাস্তানাবুদ করেছে।” এর পরেই তিনি বলেন, “তিন বাহিনী মিলে এমন একটি চক্রব্যূহ তৈরি করেছে যে পাকিস্তানকে নতজানু হতে বাধ্য করা হয়েছে।”

    এই ভারত আগের ভারত নয়

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এই ভারত আগের ভারত নয়। এখনকার ভারত প্রতিশোধ নিতে জানে – তা যেমন কূটনৈতিকভাবে, সেমনই সামরিকভাবেও।” তিনি বলেন, “মাত্র ২২ মিনিটের মাথায় সন্ত্রাসবাদী ঘাঁটিগুলিকে ধ্বংস করে দেয় আমাদের সেনা। যার জেরে মাথা নোয়াতে বাধ্য হয়েছে পাকিস্তান। এটাই নতুন ভারতের জবাব। এটাই অপারেশন সিঁদুর।” জাতীয় নিরাপত্তা নিয়ে মোদি সরকার যে জিরো টলারেন্স নীতি নিয়েছে, এদিন সে প্রসঙ্গ তুলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “সেনাকে সম্পূর্ণ ফ্রি হ্যান্ড দেওয়া হয়েছে। তিন বাহিনী এমন একটা চক্রব্যূহ তৈরি করেছিল যে পাকিস্তান পিছু হঠতে বাধ্য হয়েছে। যারা আগুন জ্বালাতে এসেছিল, তারাই এখন ছাইয়ের নীচে।”

    ২২ তারিখের হামলার জবাবে ২২ মিনিটে

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “২২ তারিখের হামলার জবাবে ২২ মিনিটে আমরা জঙ্গিদের ৯টি ঘাঁটি ধ্বংস করে দিয়েছি (Operation Sindoor)। ২২ তারিখে ধর্ম বেছে বেছে খুন করা হয়েছে। দেশের শত্রুরা দেখে নিয়েছে, সিঁদুর যখন বারুদে পরিণত হয়, তখন ফল কী হয়!” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এটা প্রতিশোধ নয়, এটা ন্যায়ের নয়া রূপ (PM Modi)। এটা আক্রোশ নয়, এটা সমগ্র ভারতের প্রত্যয়। এটাই ভারতের নয়া স্বরূপ। আগে ঘরে ঢুকে আঘাত করেছিলাম। এখন সোজা বুকে আঘাত করেছি। এরপর আর ভারতে কোনও হামলা হলে আরও কড়া জবাব দেওয়া হবে। এর পরেও সময় ঠিক করবে সেনা, আঘাতের উপায়ও ঠিক করবে তারাই।” পাকিস্তানের পারমাণবিক বোমার ভয় দেখানো প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “পারমাণবিক বোমার এই ভুয়ো ভয়ে ভারত আর ভীত হবে না। আতঙ্কের গুরু এবং সন্ত্রাসকে সাহায্য করা সরকারকে আমরা আলাদা আলাদা করে দেখব না। আমরা তাদের একই হিসেবে দেখব। তাদের এই স্টেট, নন-স্টেটের খেলা আর চলবে না। গোটা বিশ্বে তাদের মুখোশ খোলার জন্য আমরা দল পাঠিয়েছি। আমরা এখন গোটা বিশ্বকে পাকিস্তানের আসল চেহারা দেখাব।”

    বীরভূমি রাজস্থান

    তিনি (PM Modi) বলেন, “পাঁচ বছর আগে যখন বালাকোটে এয়ারস্ট্রাইক হয়েছিল, তখন আমার প্রথম জনসভা হয়েছিল রাজস্থানে। এটা বীরভূমি। অপারেশন সিঁদুরের পরেও আমার প্রথম জনসভা হল বীরভূমি রাজস্থানের বিকানেরে (Operation Sindoor)।” এদিন বিকানের সফরে প্রধানমন্ত্রী গিয়েছিলেন নাল এয়ার ফোর্স স্টেশনে। অপারেশন সিঁদুর চলাকালীন এখানেই হামলা চালানোর চেষ্টা করেছিল পাকিস্তান। সেই হামলা সফলভাবে প্রতিহত করে ভারতীয় বাহিনী। সেখানে সেনাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন প্রধানমন্ত্রী, প্রশংসা করেন ভারতীয় বাহিনীর মনোবলের। এদিন, প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করেন অমৃত ভারত স্টেশন প্রকল্পের আওতায় পুনর্নির্মিত দেশনোক স্টেশন। এর পাশাপাশি, তিনি উদ্বোধন ও সূচনা করেন ২৬ হাজার কোটি টাকার একাধিক রেল প্রকল্পের (PM Modi)। এর মধ্যে রয়েছে চুরু-সাদুলপুর নয়া রেললাইন এবং পাঁচটি রেলপথের বিদ্যুদয়নও (Operation Sindoor)।

  • India Pakistan Conflicts: দিল্লিতে বড় নাশকতার ছক! পাকিস্তানে পালানোর আগেই গ্রেফতার আইএসআই স্লিপার সেলের ২ এজেন্ট

    India Pakistan Conflicts: দিল্লিতে বড় নাশকতার ছক! পাকিস্তানে পালানোর আগেই গ্রেফতার আইএসআই স্লিপার সেলের ২ এজেন্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁওয়ের আগেই দেশের রাজধানী দিল্লিতেই সন্ত্রাস হামলার পরিকল্পনা করেছিল পাকিস্তানের (India Pakistan Conflicts) গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই। দিল্লি থেকে আইএসআই-এর দুই এজেন্টের গ্রেফতারিতে চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। জানা গিয়েছে, ধৃতদের মধ্যে এক জনের নাম আনসারুল মিয়া আনসারি। ওই ব্যক্তি ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর গোপন তথ্য পাচার করত পাকিস্তানে। দিল্লিতে বড়সড় সন্ত্রাসবাদী হামলা চালানোর পরিকল্পনা ছিল তাদের। তার আগেই গোয়েন্দারা তাদের ধরে ফেলে।

    সেনার বিভিন্ন দফতর, ঘাঁটির তথ্য পাচারই লক্ষ্য

    পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত এই পাকিস্তানি এজেন্টদের সম্পর্কে জানুয়ারি মাসেই খবর এসেছিল। গোপন সূত্রে খবর মিলেছিল, আইএসআই গুপ্তচর নেপালের পথ ধরে ভারতে অনুপ্রবেশ করার চেষ্টা করবে। ভারতীয় সেনার বিভিন্ন দফতর, ঘাঁটির তথ্য, ছবি ও জিওলোকেশন পাকিস্তানে পাচার করাই তাদের লক্ষ্য ছিল। দিল্লিতে স্লিপার সেল হিসাবে কাজ করছিল এরা। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, পহেলগাঁও হামলার আগেই দিল্লিতে হামলা চালানোর পরিকল্পনা করছিল পাকিস্তানের স্লিপার সেলের সদস্যরা।

    কে এই আনসারুল

    সূত্রের খবর, ধৃত আনসারুল নেপালি বংশোদ্ভূত। পাকিস্তানের হয়ে চরবৃত্তির (Pak Agents Arrested) অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। দিল্লির একটি হোটেল থেকে তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ বছরের জানুয়ারি থেকে রাজধানী জুড়ে বিশেষ অভিযানে নামে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এবং দিল্লি পুলিশের বিশেষ সেল। সেই অভিযানের সময়েই আনসারুলের হদিস পান গোয়েন্দারা। তার পরই তাকে গ্রেফতার করা হয়। সূত্রের খবর, আইএসআই-এর মদতে পাকিস্তান থেকে নেপাল হয়ে ভারতে প্রবেশ করেছিল আনসারি। পাকিস্তানে পালানোর চেষ্টাও করে। কিন্তু তার আগেই তাকে ধরে ফেলে পুলিশ।

    কীভাবে ভারতে প্রবেশ করে আনসারুল

    গোয়েন্দা সূত্রের খবর, কাতারে ট্যাক্সিচালকের কাজ করত আনসারি। সেই সময় পাক ‘হ্যান্ডলার’-এর সঙ্গে তার যোগাযোগ হয়। কাতার থেকে তার পর পাকিস্তানে যায় আনসারি। সেখানে চরবৃত্তির প্রশিক্ষণ নেওয়ার পর তাকে ভারতে পাঠায় আইএসআই। জেরায় আনসারি জানিয়েছে, কোথায় কোথায় তাদের জাল বিছিয়ে রেখেছে আইএসআই। তা-ই নয়, প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করে সেগুলি পাকিস্তানে পাচার করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল তাকে। আনসারির কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া নথি এবং ‘ডিজিটাল ডিভাইস’-এর ফরেন্সিক পরীক্ষা করানো হয়েছে। সূত্রের খবর, সেখান থেকে ভারতের সশস্ত্র বাহিনীর বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি উদ্ধার হয়েছে।

    রাঁচিতে ধৃত আনসারুলের সঙ্গী 

    আনসারিকে জেরা করে আরও এক সন্দেহভাজন আখলাক আজমকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রাঁচি থেকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর তাকে গ্রেফতার করা হয়। আজমই আনসারিকে নিরাপত্তা সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য জোগাড়ে মদত দিত। দু’জনের মোবাইলে পাকিস্তানের হ্যান্ডলারদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখার প্রমাণ পেয়েছেন তদন্তকারীরা। ভারতের বিভিন্ন স্থানে সক্রিয় পাক-সমর্থিত সন্ত্রাসবাদী সংগঠন এবং তাদের লজিস্টিক সহায়তা প্রদানকারী স্লিপার সেল সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহের কাজ করে চলেছেন গোয়েন্দারা। এই গোটা চক্রের সঙ্গে পাক হাইকমিশনের আধিকারিক মুজাম্মিল এবং এহসান-উর-রহিম ওরফে দানিশও যুক্ত থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এমনিতেই দানিশ এবং পাক হাইকমিশনের অন্যান্য আধিকারিকরা যে ভারতে গুপ্তচর বা এজেন্ট নিয়োগ করছিল, তা মোটামুটি স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। আনসারি এবং আজমের বিরুদ্ধে সম্প্রতি আদালতে চার্জশিট ফাইল করেছে দিল্লি পুলিশ।

    পাক-চরের খোঁজে অপারেশন মীরজাফর

    ভারতীয় সেনার অপারেশন সিঁদুরে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরের জঙ্গিঘাঁটি। দেশের বাইরের শত্রুদের শায়েস্তা করেছে সেনা। গোয়েন্দাদের নজরে এবার দেশের ভিতরে থাকা শত্রুরা। যেমন- ট্রাভেল ভ্লগার জ্যোতিরানি মালহোত্রা। পহেলগাঁওয়ে জঙ্গিহানার পরেই শুরু হয় ‘অপারেশন মীরজাফর’। খুঁজে বের করা হয় একের পর এক বিভীষণদের। গোয়েন্দাদের দাবি, ভারত থেকে অনেকেই পাকিস্তানে তথ্য পাঠিয়েছে। দিল্লির পাকিস্তানি দূতাবাস থেকেও এই চরদের সাহায্য করা হয়৷ দিল্লি পাঞ্জাব, হরিয়ানা, রাজস্থান, জম্মু-কাশ্মীর, উত্তরপ্রদেশ-সহ আরও কিছু রাজ্যে পাক চর রয়েছে বলেও সন্দেহ ৷ পাঞ্জাব এবং হরিয়ানা থেকে এখনও পর্যন্ত ১৪ জন পাক চরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। হরিয়ানার থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে ছয় পাক চরকে।

    ‘হানি ট্র্যাপ’ থেকে ‘মানি ট্র্যাপ’

    হরিয়ানার হিসার থেকে গ্রেফতার করা হয় ট্রাভেল ভ্লগার জ্যোতিরানি মালহোত্রাকে ৷ ক্যাথল থেকে দেবেন্দ্র সিং ধিলোঁ-কে ৷ নুহ্ থেকে গ্রেফতার আরমান এবং তারিফ ৷ পঞ্চকুলা থেকেও একজনকে গ্রেফতার করা হয় ৷ পাঞ্জাব থেকে এখনও পর্যন্ত আট পাক চরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ভাতিন্ডা সেনা ছাউনি থেকে মুচি সুনীল কুমার এবং দর্জি রকাব ৷ অমৃতসর থেকে পলক মসিহ্ এবং সুরজ মসিহ্ ৷ মালের কোটলা থেকে গাজালা এবং ইয়ামিন ৷ গুরুদাসপুর থেকে সুখপ্রীত সিং এবং করণবীর সিং৷ ‘হানি ট্র্যাপ’ থেকে ‘মানি ট্র্যাপ’। ভারতের ভিতরের খবর জানতে নানা কৌশল নেয় পাকিস্তান। গোয়েন্দাদের দাবি, ধৃতরা পাক যোগের কথা স্বীকার করেছে। ভারতের বিভিন্ন বিমানঘাঁটি এবং প্রতিরক্ষা সম্পর্কিত তথ্য তারা পাকিস্তানে পাচার করেছে। এর জন্য টাকা পেয়েছে।

  • Himanta Biswa Sarma: “ভারতে হামলার কথা ভাবার আগে বাংলাদেশকে বহুবার পুনর্জন্ম নিতে হবে”, হুঁশিয়ারি হিমন্তর

    Himanta Biswa Sarma: “ভারতে হামলার কথা ভাবার আগে বাংলাদেশকে বহুবার পুনর্জন্ম নিতে হবে”, হুঁশিয়ারি হিমন্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের একটি ‘চিকেন নেকে’র উপর আধিপত্য বিস্তার করতে চাইলে বাংলাদেশের দুটি ‘চিকেন নেক’ দখল করে নেওয়া হবে। দেশের অখণ্ডতা নিয়ে কখনওই আপস করা হবে না বলে স্পষ্ট জানালেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা (Himanta Biswa Sarma)। তাঁর কথায়, “অপারেশন সিঁদুর বুঝিয়ে দিয়েছে ভারতের শক্তি। বিশ্বের কোনও দেশের এই ভুল ধারনায় থাকা উচিত নয় যে তারা ভারতের চিকেন নেক দখল করতে পারবে।”

    বাংলাদেশকে বার্তা হিমন্তর

    ভারতে শিলিগুড়ি করিডর বা চিকেন নেক নিয়ে বিগত দিনে বারংবার বিতর্ক উসকে দিয়েছে ইউনূস প্রশাসন। বিশেষ করে বাংলাদেশের উত্তরে লালমনিরহাটে চিনা সাহায্যে বায়ুসেনা ঘাঁটি নির্মাণের খবরে সেই বিতর্ক আরও বেড়েছে। এই নিয়ে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেছিলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রীকে (Himanta Biswa Sarma)। তারই জবাবে বাংলাদেশকে পালটা হুঁশিয়ারি দিলেন হিমন্ত। তিনি বলেন, “বাংলাদেশ এই করিডর নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি করছে, কিন্তু একটা জিনিস স্পষ্ট করে বলা দরকার। তাদের দুটি চিকেন নেক রয়েছে, আর আমাদের একটি। তাদের মেঘালয়তে একটা চিকেন নেক। আর একটা চিকেন নেক চট্টগ্রাম বন্দরের ওখানে। যদি তারা আমাদের করিডর নিয়ে কোনও পদক্ষেপ নেওয়ার চিন্তা করে, তাহলে আমরা উপযুক্ত জবাব দেওয়ার ক্ষমতা রাখি।” ভৌগোলিক তুলনা টেনে তিনি বলেন, “মেঘালয় থেকে চট্টগ্রাম বন্দরের দিকে যে করিডরটি রয়েছে, তা আমাদের শিলিগুড়ি করিডরের থেকেও সংকীর্ণ। আমাদের পক্ষে সেখানে পৌঁছাতে সময় লাগবে না।”

    কেন এই হুঁশিয়ারি হিমন্তর

    সম্প্রতি শিলং থেকে অসমের শিলচর পর্যন্ত ১৬৬.৮ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি হাইওয়ে নির্মাণে সবুজ সংকেত দিয়েছে ভারত সরকার। যা অসম সহ উত্তরপূর্বের পরিবহণ ক্ষেত্রে বড় রকমের পরিবর্তন আনবে। অসমের মুখ্যমন্ত্রী (Himanta Biswa Sarma) বলেন, “অপারেশন সিঁদুরের পর মানুষ বুঝেছে যে ভারত কতটা শক্তিশালী রাষ্ট্র। আমি পরমাণু শক্তির বিষয়টা না হয় বাদই দিলাম। বাংলাদেশ যদি ভারতে হামলা করার কথাও ভাবে তাহলে তার আগে তাদের একাধিকবার পুনর্জন্ম নিতে হবে। আর বাংলাদেশকে এত গুরুত্ব দিয়ে কথা বলার কিছু নেই। ওরা খুবই ছোট একটা দেশ। ভারতের সঙ্গে তাদের তুলনা নেই।” সাম্প্রতিক সময়ে চিনে গিয়ে উত্তরপূর্ব ভারত নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করতে শোনা গিয়েছিল বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূসকে। ভারতের উত্তরপূর্ব রাজ্যগুলিকে ‘ল্যান্ডলকড’ আখ্যা দিয়েছিলেন তিনি। সঙ্গে বাংলাদেশকে সাগরের ‘গার্ডিয়ান’ বলে অভিহিত করেছিলেন ইউনূস। তাঁর এহেন মন্তব্য ভালো চোখে নেয়নি ভারত।

  • Indian Maritime security: জ্বালানি ও সামুদ্রিক নিরাপত্তায় ৮৫,০০০ কোটির পরিকল্পনা! দেশে তৈরি ১১২টি তেলবাহী জাহাজ কিনবে ভারত

    Indian Maritime security: জ্বালানি ও সামুদ্রিক নিরাপত্তায় ৮৫,০০০ কোটির পরিকল্পনা! দেশে তৈরি ১১২টি তেলবাহী জাহাজ কিনবে ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আত্মনির্ভরতার পথে আরও এক ধাপ এগোতে চলেছে কেন্দ্রের মোদি সরকার। এবার দেশে তৈরি তেল ট্যাঙ্কার কিনতে চলেছে ভারত। ২০৪০ সালের মধ্যে ১১২টি তেল ট্যাঙ্কার কেনার জন্য প্রায় ৮৫ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করতে চলেছে সরকার। বিদেশি নৌবহরের উপর নির্ভরতা কমিয়ে বিশ্বের নানা প্রান্তে তেল সরবরাহ সুরক্ষিত (Indian Maritime security) করার জন্যই এই উদ্যোগ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির “মেক ইন ইন্ডিয়া” (Make in India) উদ্যোগের অংশ হিসেবে এই বিনিয়োগ ভারতের অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে, বলে অনুমান বিশেষজ্ঞদের।

    ধাপে ধাপে কেনা হবে ট্যাঙ্কার

    বর্তমানে রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থাগুলো আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর পুরনো ট্যাঙ্কার ভাড়া নিয়ে ব্যবহার করে। তবে এবার এই নির্ভরতা কাটাতে এবং নিজস্ব ট্যাঙ্কার বহর গড়ে তুলতে চাইছে পেট্রোলিয়াম ও জাহাজ পরিবহণ মন্ত্রক। প্রথম ধাপে ৭৯টি ট্যাঙ্কার কেনা হবে, যার মধ্যে ৩০টি হবে মিডিয়াম রেঞ্জ ক্যাটেগরির। চলতি মাসেই প্রথম ধাপে ১০টি ট্যাঙ্কারের অর্ডার দেওয়া হতে পারে বলে জানা গিয়েছে। এই প্রকল্পে শুধুমাত্র ভারতে নির্মিত জাহাজকেই বিবেচনা করা হবে। তবে বিদেশি কোম্পানির সহযোগিতায় জাহাজ নির্মিত হলেও আপত্তি নেই কেন্দ্রের। ভারতের সবচেয়ে বড় দেশীয় ট্যাঙ্কার এমটি মহর্ষি পরশুরাম – যার দৈর্ঘ্য ২৩৮ মিটার ও ডেডওয়েট টনেজ ৯৩,৩৩২।

    কেন এই পদক্ষেপ

    দেশের (Indian Maritime security) অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক চাহিদা বৃদ্ধির কারণে ভারত আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে তার অপরিশোধিত তেল শোধন ক্ষমতা ২৫০ মিলিয়ন টন থেকে বাড়িয়ে ৪৫০ মিলিয়ন টনে উন্নীত করতে চায়। ভারতের অপরিশোধিত তেলের ক্ষেত্রে আমদানি নির্ভরতা অত্যন্ত বেশি। তাই নিজস্ব ট্যাঙ্কার বহর থাকা খুব গুরুত্বপূর্ণ। দেশের নিজস্ব অয়েল ট্যাঙ্কার থাকলে বিশ্ববাজারে জ্বালানির অবিচ্ছিন্ন সরবরাহ নিশ্চিত করা যায়। এই প্রকল্পের মাধ্যমে ২০৩০ সালের মধ্যে দেশীয়ভাবে তৈরি ট্যাঙ্কারের অংশীদারিত্ব ৫ শতাংশ থেকে ৭ শতাংশে এবং ২০৪৭ সালের মধ্যে ৬৯ শতাংশে উন্নীত করার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে।

    আত্মনির্ভর ভারতই লক্ষ্য সরকারের

    ভারত চায় আগামী দিনে একটি “মেড ইন ইন্ডিয়া” নৌবহর গড়ে তুলতে। চলতি বছর বাজেটে সরকার ২৫ হাজার কোটি টাকার একটি তহবিল ঘোষণা করেছে। এর মাধ্যমে দেশের সামুদ্রিক পরিবহণ খাতের ওপর নির্ভরতা বাড়ানো এবং বিদেশি জাহাজের ওপর নির্ভরতা কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এই পরিকল্পনায় শুধুমাত্র তেল নয়, কয়লা, সার ও ইস্পাত পরিবহণের জন্যও জাহাজ নির্মাণ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। দেশে জাহাজ নির্মাণের জন্য জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার নির্মাতাদের সঙ্গে কথা বলছে সরকার। জানা গিয়েছে, দক্ষিণ কোরিয়ার এইচডি হুন্দাই হেভি ইন্ডাস্ট্রিজ কোচিন শিপইয়ার্ড লিমিটেডের সঙ্গে কেরালার কোচিতে একটি নতুন জাহাজ নির্মাণ কেন্দ্র গড়ে তুলতে পারে। এছাড়া, স্যামসাং হেভি ইন্ডাস্ট্রিজ ও জাপানের এনওয়াইকে লাইনের সঙ্গেও জাহাজ নির্মাণে ভারতীয় অংশীদারিত্বে কাজ করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।

LinkedIn
Share