Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • BJP: ইতিহাস তৈরি বিজেপির, সদস্য সংখ্যা পৌঁছল ১০ কোটির ঘরে, এবার লক্ষ্য ১১ কোটি

    BJP: ইতিহাস তৈরি বিজেপির, সদস্য সংখ্যা পৌঁছল ১০ কোটির ঘরে, এবার লক্ষ্য ১১ কোটি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইতিহাস তৈরি করল বিজেপি (BJP), সদস্যতা অভিযানে অভাবনীয় সাড়া গোটা দেশজুড়ে। এখনও পর্যন্ত বিশ্বের বৃহত্তম রাজনৈতিক দলের সদস্য সংখ্যা পৌঁছেছে ১০ কোটির ঘরে। জানা গিয়েছে, যাঁরা সদস্য হয়েছেন, তাঁদের মধ্যে ৬১ শতাংশ জনেরই বয়স ৩৫ বছরের নীচে। একথা জানিয়েছেন গেরুয়া শিবিরের জাতীয় মুখপাত্র সম্বিত পাত্র। প্রসঙ্গত, সোমবার দলের নেতাদের নিয়ে দিল্লির সদর দফতরে বৈঠক করেন সভাপতি জেপি নাড্ডা (JP Nadda)। তারপরেই সাংবাদিক সম্মেলনে সম্বিত পাত্র জানান যে ওই বৈঠকেই বিজেপি সভাপতি বলেছেন, ৬১ শতাংশ সদস্যরই বয়স ৩৫ বছরের নীচে। ১০ কোটির ঘরে পৌঁছানো মাত্রই, বিজেপি (BJP) জানায়, তাদের পরের মাইলফলক ১১ কোটি। প্রসঙ্গত, সদস্যতা অভিযান চলবে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত। এরপরে নভেম্বর মাসের ১ থেকে ৫ তারিখ পর্যন্ত মোট সদস্যদের নিয়ে স্ক্রুটিনি করা হবে বলে জানা গিয়েছে।

    জানুয়ারি মাসেই জেলা-রাজ্য-কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাচন (BJP)

    বিজেপি (BJP) সদস্যতা অভিযানে, সক্রিয় সদস্য হওয়ার মাপকাঠিও রয়েছে। যে সমস্ত কর্মীরা ৫০ জনকে সদস্য করাতে পারবেন, তাঁদেরকে ১০০ টাকা জমা দিয়ে সক্রিয় সদস্যতার কার্ড নিতে হবে। প্রসঙ্গত, সদস্যতা অভিযান শেষ হওয়ার পরেই আগামী বছরের জানুয়ারি মাসে, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি নির্বাচন হওয়ার কথা। এর পাশাপাশি সে সময় নির্বাচন হবে বিভিন্ন মণ্ডল, জেলা ও রাজ্য কমিটিও।

    সদস্য করাচ্ছেন মোদি মিত্র-রাও

    বিজেপির (BJP) মহিলা শাখাও অভিনব কর্মসূচি শুরু করেছে গত ৭ অক্টোবর থেকে। যার নাম দেওয়া হয়েছে, অডিও ব্রিজ প্রোগ্রাম। এর মাধ্যমে, ২৬ হাজার প্রভাবশালী ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে মহিলা মোর্চা। যাঁরা বিজেপির সদস্যতা অভিযানকে আরও গতি দেবেন। এই প্রভাবশালীদের পোশাকি নাম দেওয়া হয়েছে ‘মোদি মিত্র’। বিজেপির সদস্য হওয়ার জন্য আহ্বানও জানাচ্ছেন মোদি মিত্ররা। প্রসঙ্গত, চলতি বছরে ২ সেপ্টেম্বর সদস্যতা অভিযান শুরু করে বিজেপি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রাথমিক সদস্য হন বিজেপির। অনলাইনের মাধ্যমে তিনি এই সদস্যতা পান। এরপরে ধাপে ধাপে বিজেপির সভাপতি জেপি নাড্ডা (JP Nadda), কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংও দলের সদস্যতা নেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Maoists Killed: মহারাষ্ট্রে ভোট বানচালের ছক! গড়চিরোলির জঙ্গলে যৌথবাহিনীর গুলিতে হত ৫ মাওবাদী

    Maoists Killed: মহারাষ্ট্রে ভোট বানচালের ছক! গড়চিরোলির জঙ্গলে যৌথবাহিনীর গুলিতে হত ৫ মাওবাদী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিধানসভা ভোট বানচাল করাই ছিল লক্ষ্য। কিন্তু পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর যৌথ অভিযানে ব্যর্থ হল ষড়যন্ত্র। পুলিশ ও আধাসেনা নিয়ে গঠিত যৌথবাহিনীর সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে খতম (Maoists Killed) অন্তত পাঁচ সন্দেহভাজন মাওবাদী। নিহতদের মধ্যে তিন মহিলাও রয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে। এক পুলিশকর্মীও এই অভিযানে আহত হয়েছেন। সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে ছত্তিশগড় সীমানা লাগোয়া মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) দক্ষিণ গড়চিরোলি এলাকার ভমরাগড়ের কোপরি লাগায়ো একটি জঙ্গলে।

    মাও দমনে সক্রিয় যৌথবাহিনী

    মহারাষ্ট্র (Maharashtra) পুলিশের দাবি, ছত্তিশগড়ের নারায়ণপুর জেলার সীমানা লাগোয়া ভমরাগড় জঙ্গলে সোমবার সকালে গুলির লড়াইয়ে নিষিদ্ধ সংগঠন সিপিআই (মাওবাদী)-র সশস্ত্র বাহিনী পিএলজিএ (পিপলস লিবারেশন গেরিলা আর্মি)-র সঙ্গে সি-৬০ কমান্ডোদের সংঘর্ষ (Maoists Killed) শুরু হয়। সংঘর্ষের খবর পেয়ে এলাকায় পৌঁছয় অতিরিক্ত বাহিনী। যৌথবাহিনীকে দেখেই গুলি চালাতে শুরু করে মাওবাদীরা। জবাব দেয় নিরাপত্তাবাহিনীও। তিন ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে গুলির লড়াই চলতে থাকে। একটা সময়ের পর মাওবাদীরা পিছু হঠতে বাধ্য হয়। তাদের বেশিরভাগ সদস্যই ওই অস্থায়ী শিবির ছেড়ে পালিয়ে যায়। গড়চিরোলি জেলার পুলিশ সুপার নীলোৎপল জানিয়েছেন, গোপন সূত্রে আসা খবরের ভিত্তিতে এদিন ওই জঙ্গলে মাওদমন অভিযান চালানো হয়। 

    আরও পড়ুন: প্রশাসনের পদক্ষেপ সদর্থক নয়, নির্যাতিতার মা-বাবার অনুরোধে অনশন প্রত্যাহার জুনিয়র ডাক্তারদের

    কেন এই অভিযান

    আগামী ২০ নভেম্বর মহারাষ্ট্রে (Maharashtra) বিধানসভা ভোট। ২৩ নভেম্বর গণনা। ভোটের আগে ছত্তিশগড় ও তেলঙ্গানার সীমানা ‘সিল’ করা শুরু হয়েছে বলে মহারাষ্ট্র পুলিশ সূত্রের খবর। গড়চিরোলি জেলা পুলিশ সূত্রে খবর, আসন্ন বিধানসভা ভোটের সময় নাশকতার উদ্দেশ্যে মাওবাদীদের (Maoists Killed) ওই দলটি ছত্তিশগড়ের বস্তার ডিভিশন থেকে সীমানা পেরিয়ে মহারাষ্ট্রে ঢুকেছিল। সেই খবর পেয়ে এলাকা জুড়ে তল্লাশি অভিযান শুরু করে ২০টি সি-৬০ এবং দু’টি সিআরপিএফ ইউনিট। ভোটের আবহে মহারাষ্ট্রের বিভিন্ন জায়গায় হামলা চালাতেই মাওবাদীরা ওই জঙ্গলে ঘাঁটি গেড়েছিল। ইতিমধ্যেই আসন্ন মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচন সম্পূর্ণ বয়কটের ডাক দিয়েছে তারা। এমনকী, যদি কোনও ব্যক্তি তাদের এই ‘নির্দেশ’ অমান্য করেন, তাহলে তাঁকে তার ফল ভুগতে হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছিল মাওবাদীরা। তবে, বাহিনীর তৎপরতায় তাদের ষড়যন্ত্র ভেস্তে গেল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Farooq Abdullah: “কাশ্মীর কখনওই পাকিস্তান হবে না”, সাফ জানিয়ে দিলেন ফারুক আবদুল্লা

    Farooq Abdullah: “কাশ্মীর কখনওই পাকিস্তান হবে না”, সাফ জানিয়ে দিলেন ফারুক আবদুল্লা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “কাশ্মীর কখনওই পাকিস্তান হবে না।” কথাগুলো যিনি বললেন, তাঁর বক্তব্যে একাধিকবার পাকিস্তান-প্রীতির ইঙ্গিত মিলেছিল। গান্ডেরবালকাণ্ডের (Ganderbal Terror Attack) পর সেই তিনিই নিশানা করলেন পাকিস্তানকে (Farooq Abdullah)। সাফ জানিয়ে দিলেন, কাশ্মীর কখনওই পাকিস্তান হবে না।

    পাকিস্তানকে নিশানা ফারুকের (Farooq Abdullah)

    কথা হচ্ছিল জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা ন্যাশনাল কনফারেন্স সুপ্রিমো ফারুক আবদুল্লার। রবিবার কাশ্মীরের গান্ডেরবালে জঙ্গি হামলায় প্রাণ হারান ৭ জন। এই ঘটনায় কড়া প্রতিক্রিয়া দিলেন ফারুক। কাশ্মীরের কুর্সিতে রয়েছে ফারুকের দল। মুখ্যমন্ত্রী তাঁরই ছেলে ওমর আবদুল্লা। সরাসরি পাকিস্তানকে চাঁদমারি করে জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমি পাকিস্তানের নেতৃত্বকে বলতে চাই, তারা যদি ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক চায়, তাহলে এসব বন্ধ করতে হবে।” এর পরেই তিনি বলেন, “কাশ্মীর কখনওই পাকিস্তান হবে না। আসুন, আমরা মর্যাদার সঙ্গে বাঁচি এবং সফল হই।”

    ‘সন্ত্রাসবাদ বন্ধের সময় এটা’

    ফারুক বলেন, “তারা যদি ৭৫ বছরে একটি পাকিস্তান বানাতে না পারে, তাহলে এখন কীভাবে সম্ভব? সন্ত্রাসবাদ বন্ধের সময় এটা। তা যদি না হয়, তাহলে পরিণতি হবে ভয়ঙ্কর।” তাঁর প্রশ্ন, “তারা (পাকিস্তান) যদি আমাদের দেশের নিরীহ মানুষকে হত্যা করে, তাহলে কীভাবে আলাপ-আলোচনা সম্ভব?” ন্যাশনাল কনফারেন্স সুপ্রিমো বলেন, “এই হামলা দুর্ভাগ্যজনক। পরিযায়ী গরিব শ্রমিক এবং চিকিৎসক প্রাণ হারিয়েছেন এই হামলায়। সন্ত্রাসবাদীরা এ থেকে কী পাবে? তারা কি ভাবছে, যে তারা এখানে পাকিস্তান বানাবে? আমরা এটা (সন্ত্রাসবাদ) বন্ধের চেষ্টা করছি, যাতে আমরা এই দুর্দশা থেকে বেরিয়ে এগিয়ে যেতে পারি।”

    আরও পড়ুন: কেজরির শিশমহলের কড়ি-বর্গায়ও জমিদারির ছাপ, আপ নেতার হলটা কী?

    জঙ্গি হামলায় গান্ডেরবালে এক চিকিৎসক-সহ মোট (Farooq Abdullah) সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। এই ছয় নির্মাণ শ্রমিকই ভিন রাজ্যের। একটি বেসরকারি সংস্থার হয়ে গান্ডেরবালে একটি টানেল তৈরির কাজ করছিলেন তাঁরা। জঙ্গিদের ওই হামলায় জখম হয়েছেন পাঁচজন। তাঁদের ভর্তি করা হয়েছে কানগান সাবডিস্ট্রিক্ট হাসপাতালে। জঙ্গিদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ ও সেনা। তবে সোমবার (Ganderbal Terror Attack) সন্ধে পর্যন্ত কোনও জঙ্গিই ধরা পড়েনি। এমতাবস্থায় ফারুকের (Farooq Abdullah) মন্তব্য গুরুত্বপূর্ণ বই কি!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • S Jaishankar: চিন সীমান্ত নিয়ে বড় আপডেট দিলেন জয়শঙ্কর, কী বললেন জানেন?

    S Jaishankar: চিন সীমান্ত নিয়ে বড় আপডেট দিলেন জয়শঙ্কর, কী বললেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ইন্দো-চিন প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা থেকে সেনা সরিয়ে নেওয়া সংক্রান্ত সমস্যার ৭৫ শতাংশ সমধান হয়ে গিয়েছে।” মাসখানেক আগেই এ কথা জানিয়েছিলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। সুইৎজারল্যান্ডের জেনেভায় একটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে যোগ দিতে গিয়ে তিনি এও বলেছিলেন, “২০২০ সালে গলওয়ান সংঘর্ষের পর থেকে পুরো ইন্দো-চিন সম্পর্ক গভীরভাবে প্রভাবিত হয়েছে। এর মধ্যে সব চেয়ে বড় সমস্যা প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় বিশাল সংখ্যক সেনা মোতায়েন।”

    কী বললেন জয়শঙ্কর?

    মাসখানেক পরে সোমবার সেই জয়শঙ্করই জানিয়ে দিলেন, “২০২০ সালের সংঘর্ষের আগে যেসব এলাকায় প্রবেশ সম্ভব ছিল, সেখানে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী ফের টহল দিতে পারবে।” প্রসঙ্গত, সম্প্রতি বিদেশ সচিব ঘোষণা করেছিলেন, ভারতীয় ও চিনা নেগোসিয়েটররা পূর্ব লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর টহল দেওয়ার বিষয়ে একটি চুক্তিতে পৌঁছেছেন। এদিন তা নিশ্চিত করেন বিদেশমন্ত্রী।

    ‘পেট্রোলিংয়ে ফিরে যেতে পারব’

    এনডিটিভি ওয়ার্ল্ড সামিটে যোগ দিয়েছিলেন জয়শঙ্কর। বলেন, “আমরা ২০২০ সালের পেট্রোলিংয়ে ফিরে যেতে পারব।” এদিনই সকালে বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি বলেছিলেন, “ভারতীয় ও চিনা আলোচকরা শেষ কয়েক সপ্তাহ ধরে অবশিষ্ট বিষয়গুলি সমাধানের জন্য আলাপ-আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছিলেন। বোঝা যাচ্ছিল, ডেপসাং ও ডেমচক অঞ্চলে পেট্রলিং সংক্রান্ত চুক্তির দিকে এগোচ্ছে আলোচনা। এই ব্রেকথ্রুর ঘোষণা এসেছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির রাশিয়ার কাজান শহরে ব্রিকস সম্মেলনে অংশগ্রহণের একদিন আগেই এসেছে।”

    আরও পড়ুন: এবার মলদ্বীপেও চালু হতে চলেছে ভারতের ইউপিআই ব্যবস্থা, ঘোষণা মুইজ্জুর

    প্রসঙ্গত, যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে এখনও (S Jaishankar) কোনও ঘোষণা হয়নি, তবুও ব্রিকস সম্মেলনে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের পার্শ্ববৈঠক হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। বিনয় বলেন, “আমরা চিনা পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেছি। সামরিকস্তরেও বিভিন্ন স্তরের কমান্ডারদের বৈঠকের মাধ্যমে আলোচনা করেছি। অতীতে এই আলোচনা বিভিন্ন জায়গায় সংঘাতের অবসানে ফলপ্রসূ হয়েছে। আপনারা জানেন, কিছু জায়গায় এখনও অবসান হয়নি দ্বন্দ্বের (S Jaishankar)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • RSS: জয়পুরে স্বয়ংসেবকদের ওপর ছুরিকাঘাত! অভিযুক্তের ভবনে বুলডোজার চালাল ভজনলালের প্রশাসন

    RSS: জয়পুরে স্বয়ংসেবকদের ওপর ছুরিকাঘাত! অভিযুক্তের ভবনে বুলডোজার চালাল ভজনলালের প্রশাসন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজস্থানে শারদ পূর্ণিমায় আরএসএস স্বয়ংসেবকদের (RSS) ওপর হামলার অভিযোগে শোরগোল পড়েছে। মোট ১০ জনকে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। অভিযুক্ত হলেন নসিব চৌধুরী এবং তাঁর ছেলে। ঘটনায় তদন্তে নেমেছে মুখ্যমন্ত্রী ভজনলাল সরকারের পুলিশ-প্রশাসন। একই ভাবে মন্দিরের জমি অবৈধভাবে দখল করার জন্য অভিযুক্তদের বেআইনি একটি ভবনকে বুলডোজার চালিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

    হিংসাত্মক আক্রমণ পূর্ব পরিকল্পিত (RSS)

    জয়পুরে গত ১৭ অক্টোবর লক্ষ্মীপূর্ণিমার দিনেই শারদ পূর্ণিমা পালিত হয়েছে। এই সময় আরএসএসের পক্ষ থেকে কর্নি বিহারের একটি শিব মন্দিরে ফসল কাটার শুভ মুহূর্তে বিশেষ উৎসবের আয়োজন করা হয়েছিল। অনুষ্ঠানে মহাপ্রসাদ বিতরণের সঙ্গে হনুমান চাল্লিশা পাঠও চলছিল। ঠিক এমনই আনন্দঘন পরিবেশের মধ্যে মন্দির চত্বরে নসিব চৌধুরী এবং তাঁর ছেলে ভীষম চৌধুরী আচমকা সব কর্মকাণ্ড বন্ধ করার হুমকি দেন। এরপর তর্কবিতর্ক হতেই প্রায় দশজন স্বয়ংসেবকের উপর আচমকা এলোপাথাড়ি ছুরি নিয়ে আক্রমণ চালান। ছুরির আঘাতে ঘটনাস্থলে অনেকের পায়ে, বুকে, পিঠে, হাতে গুরুতর আঘাত লাগে। এই হিংসাত্মক আক্রমণ পূর্ব পরিকল্পিত বলে দাবি আরএসএস-এর। এরপর আহতদের দ্রুত জয়পুর সওয়াই মান সিং হাসপাতলে ভর্তি করা হয়।

    বৈধ নথি নেই, তাই বুলডোজার

    একই ভাবে আরএসএস স্বয়ংসেবকরা (RSS) অভিযোগ করে, এলাকায় এবং মন্দিরের বেশ কিছু জমি ওই অভিযুক্তরা জোর করে দখল করে রেখেছে। এরপর জয়পুর উন্নয়ন পর্ষদের পক্ষ থেকে মন্দিরের অবৈধ জমি জরিপ করা হয় এবং অভিযুক্ত নসিব চৌধুরী বেআইনি ভাবে জমি দখল করেছে বলে নোটিশ জারি করা হয়। সেই সঙ্গে এই নির্মাণ নিয়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কারণ দর্শাতে বলা হয়। কিন্তু বৈধ নথি না দেখাতে পারায় অবৈধ একটি ভবনকে ভেঙে ফেলা হয় বুলডোজার দিয়ে। জয়পুর উন্নয়ন পর্ষদের বক্তব্য, “নির্ধারিত সময় দেওয়ার পরও অবৈধ নির্মাণ নিয়ে কোনও তথ্য দিতে না পারায় প্রশাসন ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।” উল্লেখ্য সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশে প্রতিমা বিসর্জনের সময় এক হিন্দু যুবককে দুষ্কৃতীরা গুলি করে হত্যা করলে, মূল অভিযুক্তদের অবৈধ নির্মাণের উপর বুলডোজার চালায় যোগী প্রশাসন। ফলে ওয়াকিবহাল মহলের মতে, যোগীর দেখানো পথে এবার রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী ভজনলাল শর্মাও কড়া হাতে পরিস্থিতি মোকাবিলার পথে অগ্রসর হয়েছেন। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Air India Flight: ১ থেকে ১৯ নভেম্বরের মধ্যে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে চড়বেন না, হুমকি খালিস্তানি নেতা পান্নুনের

    Air India Flight: ১ থেকে ১৯ নভেম্বরের মধ্যে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে চড়বেন না, হুমকি খালিস্তানি নেতা পান্নুনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে (Air India Flight) আবারও হামলার ষড়যন্ত্র করছে খালিস্তানি জঙ্গিরা। ১ থেকে ১৯ নভেম্বরের মধ্যে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে হামলা চালানো হতে পারে। যার জন্য যাত্রীদের আগেই সতর্ক করলেন খালিস্তানি জঙ্গি সংগঠনের প্রধান গুরপতবন্ত সিং পান্নুন (Gurpatwant Singh Pannun)। শিখদের ‘গণহত্যা’-র বদলা নিতে চান বলে দাবি করলেন ‘শিখ ফর জাস্টিস’ নিষিদ্ধ গোষ্ঠীর এই নেতা। গত এক সপ্তাহ ধরে ভারতে একের পর এক বিমানে বোমাতঙ্কের হুমকিবার্তা দেওয়া হচ্ছে। তার মাঝেই পান্নুনের প্রকাশ্যে করা এই মন্তব্য আলোড়ন ফেলেছে।

    কী বললেন পান্নুন

    সোমবার এয়ার ইন্ডিয়ার (Air India Flight) যাত্রীদের সতর্ক করে গুরুপতবন্ত সিং পান্নুন (Gurpatwant Singh Pannun) বলেন, ‘ শিখ দাঙ্গার ৪০ তম বর্ষপূর্তি। আগামী ১ থেকে ১৯ নভেম্বরের মধ্যে কেউ এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে যাত্রা করবেন না। ফল হতে পারে মারাত্মক। এই সময় এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে হামলা হতে পারে।’ যদিও কী ধরনের নাশকতার পরিকল্পনা করেছেন, তা স্পষ্ট করেননি জঙ্গি নেতা। গত সোমবার থেকে একের পর এক অন্তর্দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক ভারতীয় বিমানে বোমা হামলার হুমকি প্রকাশ্যে আসছে। এই কয়েক দিনে ৭০টিরও বেশি এমন হুমকিবার্তা পেয়েছে বিভিন্ন ভারতীয় বিমান সংস্থা। গত সাত দিনে বোমাতঙ্কের ঘটনা ঘটেছে এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস, ইন্ডিগো, স্পাইসজেট, আকাসা এয়ারলাইন্সের মতো একের পর এক দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক বিমানে। তবে এখনও পর্যন্ত সবগুলিই ভুয়ো। সেই আবহেই পান্নুনের হুমকি নতুন করে ভাবাচ্ছে কেন্দ্রকে।

    আরও পড়ুন: ধেয়ে আসছে ঘুর্ণিঝড় ‘দানা’, কোন দেশ দিয়েছে এই নাম? কীভাবে হয় নামকরণ?

    ভারতের আকাশসীমা সম্পূর্ণ নিরাপদ

    এর আগেও একাধিকবার ভারতে নাশকতার হুমকি (Air India Flight) দিয়েছেন গুরুপতবন্ত সিং পান্নুন (Gurpatwant Singh Pannun)। ২০২৩ সালের নভেম্বর মাসে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিয়ো পোস্ট করে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে হামলার হুমকি দিয়েছিলেন পান্নুন। তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছিল, ‘১৯ নভেম্বর এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে চড়লে প্রাণের ঝুঁকি রয়েছে।’ সে দিন ছিল বিশ্বকাপ ক্রিকেটের ফাইনাল ম্যাচ। গুজরাটের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে ভারতের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার ফাইনাল ম্যাচের আগে সেই হুমকিবার্তায় শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। ফের এই ধরনের হামলার হুমকি। বোমা হামলার হুমকি নিয়ে উদ্বিগ্ন কেন্দ্রীয় সরকার। ইতিমধ্যেই অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রক উচ্চপর্যায়ের বৈঠক সেরেছে। আতঙ্কগ্রস্ত যাত্রীদের আশ্বস্ত করছে অসামরিক বিমান নিরাপত্তা সংস্থা ব্যুরো অফ সিভিল অ্যাভিয়েশন সিকিউরিটি (বিসিএএস)। বিভিন্ন বিমান সংস্থার সঙ্গে বৈঠকের পর বিসিএএস-এর ডিরেক্টর জেনারেল জুলফিকর হাসান যাত্রীদের উদ্দেশে জানান, ভারতের আকাশসীমা সম্পূর্ণ নিরাপদ। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Prayagraj: ২০২৫-এর মহাকুম্ভে ভক্তদের জন্য বিলাসবহুল স্লিপিং পডের ব্যবস্থা করছে যোগী প্রশাসন

    Prayagraj: ২০২৫-এর মহাকুম্ভে ভক্তদের জন্য বিলাসবহুল স্লিপিং পডের ব্যবস্থা করছে যোগী প্রশাসন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বের বৃহত্তম ধর্মীয় অনুষ্ঠান হল ভারতের মহাকুম্ভ মেলা (Maha Kumbh 2025)। প্রতি বারো বছর অন্তর প্রয়াগ, হরিদ্বার, উজ্জয়িনী ও নাসিকে পালিত হয় মহাকুম্ভ বা পূর্ণকুম্ভ। এছাড়া প্রতি ছয় বছর অন্তর হরিদ্বার ও প্রয়াগরাজে (Prayagraj) পালিত হয় অর্ধকুম্ভ। কুম্ভ মেলা প্রতি চারবছর অন্তর পালন করা হয়। ২০১৩ সালে মহাকুম্ভের আয়োজন করা হয়েছিল। আবার ২০২৫ সালে  প্রয়াগরাজ মহা কুম্ভমেলার আয়োজন করা হচ্ছে। সোমবার, উত্তরপ্রদেশ সরকার ঘোষণা করেছে যে প্রয়াগরাজ কুম্ভ মেলা ২০২৫-এ আগত ভক্তদের জন্য আরামদায়ক স্লিপিং পড চালু করা হবে। ভক্তদের এক স্বাচ্ছন্দ্যময় ও আরামদায়ক অভিজ্ঞতা প্রদান করার লক্ষ্যেই এই পদক্ষেপ করা হচ্ছে। আগত দর্শনার্থীদের জন্য শহরে বিশাল তাঁবুর ব্যবস্থা করা হবে। একই সঙ্গে উত্তরপ্রদেশে প্রথমবার আধুনিক স্লিপিং পড চালু করা হবে।

    কেন স্লিপিং পডের ভাবনা

    মহাকুম্ভের (Maha Kumbh 2025) সময় প্রয়াগে (Prayagraj) লক্ষ লক্ষ ভক্ত সমাগম হবে। এর জন্য এখন থেকেই শহরের বিভিন্ন হোটেলে ঘর ভাড়া নিয়ে রেখেছেন অগণিত মানুষ। তাই এবার স্লিপিং পডের কথা ভাবছে সরকার। এই কর্মসূচির জন্য রাজ্য পর্যটন বিভাগ ইতিমধ্যেই একটি বিস্তারিত রোডম্যাপ তৈরি করেছে। সব পরিকল্পনা ঠিকমতো চললে, শীঘ্রই ভক্তরা এই অত্যাধুনিক স্লিপিং পডগুলোতে থাকতে পারবেন। প্রয়াগরাজ জংশন রেলওয়ে স্টেশনে স্লিপিং পড আগেই চালু করা হয়েছে। এর জনপ্রিয়তার পর, কুম্ভ মেলার সময় ভক্ত এবং পর্যটকদের এই সুবিধা দেওয়ার কথা ভাবা হয়েছে।

    ভক্তদের কাছে বিপুল সাড়া

    প্রয়াগরাজের (Prayagraj) আঞ্চলিক পর্যটন কর্মকর্তা অপরাজিতা সিং, রবিবার, ২০ অক্টোবর, ঘোষণা করেছেন যে প্যারেড গ্রাউন্ডে একটি তাঁবু শহর (Maha Kumbh 2025) গড়ে তোলা হচ্ছে। এর আগে আরাইল এবং ঝুঁসি অঞ্চলে পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ (PPP) মডেলে দুইটি বিলাসবহুল তাঁবু শহর গড়ে উঠছে। পর্যটক এবং ভক্তদের কাছ থেকে এই সুবিধার ব্যাপক সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। আরাইলের ২০০০ তাঁবুর মধ্যে ১৬০০ ইতিমধ্যেই সংরক্ষিত হয়েছে। ঝুঁসির দ্বিতীয় তাঁবু শহরে ৪০০ স্লিপিং পড থাকবে। রিপোর্ট অনুযায়ী, দরপত্র প্রক্রিয়া বর্তমানে চলছে এবং সমস্ত নিরাপত্তা শর্তাবলী পূরণ হলে কাজ সম্পন্ন করা হবে।

    স্লিপিং পড কী

    স্লিপিং পড হল এক ধরনের ক্ষুদ্র ক্যাপসুল আকৃতির ঘর যা আধুনিক প্রযুক্তি দ্বারা সজ্জিত। এই সুবিধাগুলির মধ্যে ফোন চার্জিং, ওয়াই-ফাই সুবিধা, লকার রুম এবং বিলাসবহুল শৌচাগারসহ আরও অনেক কিছু অন্তর্ভুক্ত থাকবে। প্রয়াগরাজে স্লিপিং পডের ধারণাটি ২০২৪ সালের জুলাই মাসে চালু করা হয়েছিল। বিজেপি নেত্রী রীতা বহুগুনা যোশী বিজেপি সরকারকে প্রশংসা করে বলেন যে ভারতে মাত্র দুটি স্লিপিং পড স্থাপন করা হয়েছে। উভয়ই মুম্বাইয়ে অবস্থিত, এখন তৃতীয়টি প্রয়াগরাজ, উত্তর প্রদেশে নির্মাণ করা হচ্ছে। মহাকুম্ভ শুরু হবে ১৪ জানুয়ারি ২০২৫-এ মকর সংক্রান্তির দিনে এবং শেষ হবে ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫-এ মহা শিবরাত্রির দিনে। 

    কোথায় কোথায় স্লিপিং পড

    রিপোর্ট অনুযায়ী, দর্শনার্থীরা এই স্লিপিং পড ভাড়া নিতে পারবেন, যা ধর্মীয় সমাবেশের সময় তাদের অবস্থানকে আরও আরামদায়ক করে তুলবে। বিমানবন্দর লবি এবং রেলওয়ে স্টেশনগুলোতে স্লিপিং পড স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে। মহাকুম্ভ ২০২৫ উপলক্ষে গড়ে ওঠা তাঁবু শহরটি প্রায় ৪০০০ হেক্টর জুড়ে বিস্তৃত, যা সঙ্গম, আরাইল এবং ফাফামাউ এর মধ্যে ২৫টি সেক্টরে বিভক্ত। এই ৪৫ দিনের মেলায় প্রায় ৪০ কোটি দর্শনার্থীকে আকৃষ্ট করার লক্ষ্যে এই তাঁবু শহরে সাধারণ থেকে বিলাসবহুল বিভিন্ন ধরনের বাসস্থানের ব্যবস্থা থাকবে। এর আগে, ৬ অক্টোবর সরকার বলেছিল যে, মহাকুম্ভ মেলা ২০২৫-এ অংশ নেওয়া ভক্তদের জন্য সমস্ত সুবিধা ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রদান করা হবে। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ আরও বলেছেন যে, সরকার এআই পদ্ধতি ব্যবহার করে নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে।

    কী কী ভাবনা

    মহাকুম্ভ ২০২৫ (Maha Kumbh 2025) -এর প্রস্তুতি নিয়ে তিনি আরও বলেন যে উৎসবের সময় কোনও ভক্তকে ১ কিলোমিটারের বেশি হাঁটতে হবে না, শুধুমাত্র ৬ দিন, যার মধ্যে মকর সংক্রান্তি, মৌনি অমাবস্যা, মহাশিবরাত্রি, পৌষ পূর্ণিমা এবং মাঘী পূর্ণিমা অন্তর্ভুক্ত। ভক্তদের পরিবহণের সুবিধার্থে, সরকার ৭০০টির বেশি শাটল ইলেকট্রিক বাস সরবরাহ করবে। ২০২৫ সালের মহাকুম্ভের (Maha Kumbh 2025) প্রথম শাহি স্নান পালিত হবে ১৩ জানুয়ারি। সেদিন আবার পৌষ পূর্ণিমাও পালিত হবে। ১৪ জানুয়ারি মকর সংক্রান্তির শাহি স্নান পালিত হবে। ২৯ জানুয়ারি পালিত হবে মৌনী অমাবস্যার শাহী স্নান। এছাড়া ৩ ফেব্রুয়ারি পালিত হবে বসন্ত পঞ্চমীর শাহী স্নান ও তারপর ৮ ফেব্রুয়ারি অচলা সপ্তমী, ১২ ফেব্রুয়ারি অচলা সপ্তমী, ১২ ফেব্রুয়ারি মাঘী পূর্ণিমা ও ৮ মার্চ মহাশিবরাত্রির শাহি স্নান পালিত হবে। মোট ২১টি শাহি স্নান পালিত হবে মহাকুম্ভের সময়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jana Sangh: ১৯৫১ সালের ২১ অক্টোবর প্রতিষ্ঠা, ফিরে দেখা জনসঙ্ঘের প্রথম দিকের ইতিহাস

    Jana Sangh: ১৯৫১ সালের ২১ অক্টোবর প্রতিষ্ঠা, ফিরে দেখা জনসঙ্ঘের প্রথম দিকের ইতিহাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৯৫১ সালের আজকের দিনেই (২১ অক্টোবর) প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ভারতীয় জনসঙ্ঘ (Jana Sangh)। জনসঙ্ঘ প্রতিষ্ঠার ইতিহাস জানতে সমসাময়িক ভারতের ইতিহাস জানাটাও জরুরি। জানতে হবে, কেন প্রয়োজন হল কংগ্রেসের বিকল্প রাজনৈতিক দলের? ১৯৪৮ সালে গান্ধী হত্যার পরবর্তীকালে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘকে (RSS) নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। ১৯৪৮ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি গ্রেফতার করা হয় আরএসএস-এর সরসঙ্ঘচালক গুরুজি গোলওয়ালকরকে। দেশের রাজনীতির ক্ষেত্রে তখন কংগ্রেসের একচ্ছত্র আধিপত্য। কংগ্রেসের যে কোনও ভ্রান্ত নীতির বিরোধিতা করার জন্য সংসদের ভিতের এবং রাজপথে জাতীয়তাবাদী আওয়াজের প্রয়োজন হয়। দেশের আইনসভাগুলিতে কংগ্রেসের মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার জন্য হিন্দু জাতীয়তাবাদী ভাবধারা সম্পন্ন কোনও রাজনৈতিক দল ছিল না। এটা পরিষ্কার হয় যে শাসকের যে কোনও ভুল অথবা জাতীয়তাবাদ বিরোধী সিদ্ধান্তের মোকাবিলা শুধুমাত্র সামাজিক সংগঠনের পক্ষে সম্ভব নয়। এর পাশাপাশি সঙ্ঘকে (RSS) নিষিদ্ধ করার পরে রাজনৈতিক দলের প্রয়োজনীয়তা আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে শাসকের রাজনৈতিক আক্রমণ মোকাবিলা করার জন্য।

    ‘অর্গানাইজার’ পত্রিকায় লেখা হয় রাজনৈতিক দল গঠনের প্রয়োজনীয়তার কথা 

    তৎকালীন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের ভিতরেও রাজনৈতিক দল গঠনের কথা বলতে থাকেন অনেকেই। ১৯৪৯ সালেই রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের ‘অর্গানাইজার’ পত্রিকার প্রধান সম্পাদক কেআর মালকানি, তাঁর নিজের লেখায় তুলে ধরেন রাজনৈতিক দল গঠন করা কেন প্রয়োজন। সঙ্ঘের তৎকালীন সরসঙ্ঘচালক গুরুজি গোলওয়ালকরকে তখন অনেকেই অনুরোধ করেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘকে (RSS) রাজনৈতিক দলে পরিবর্তিত করার জন্য। কিন্তু গুরুজি গোলওয়ালকর রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের সামাজিক কার্যপদ্ধতি বদল করতে চাননি।

    গোলওয়ালকার-শ্যামাপ্রসাদ বৈঠক ও জনসঙ্ঘের (Jana Sangh) প্রতিষ্ঠা 

    ১৯৪৮ সালের ২ নভেম্বর এক বিবৃতি দিয়ে সর সঙ্ঘচালক পরিষ্কার করে দেন যে আরএসএস-এর (RSS) কোনও রাজনৈতিক লক্ষ্য নেই। এমন সময়েই গুরুজি গোলওয়ালকারের সঙ্গে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের (Syama Prasad Mukherjee) বৈঠক হয়, জাতীয়তাবাদী রাজনৈতিক দল প্রতিষ্ঠার বিষয়ে। রাজনীতির ক্ষেত্রে গুরুজি কয়েকজন স্বয়ং সেবককে পাঠান। তাঁরা হলেন — দীনদয়াল উপাধ্যায়, অটল বিহারী বাজপেয়ী, লালকৃষ্ণ আদবানি, জগদীশ মাথুর, সুন্দরসিং ভাণ্ডারি প্রমুখ। শুরু হয় ভারতীয় জনতা পার্টির পূর্বতন ভারতীয় জনসঙ্ঘের যাত্রা। ১৯৫১ সালের ২১ অক্টোবর দিল্লির ‘রাঘোমাল আর্যকন্যা হাইস্কুলে’ প্রতিষ্ঠিত হয় ভারতীয় জনসঙ্ঘ (Jana Sangh)। প্রথম সভাপতি শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়।

    প্রতীক ছিল প্রদীপ, প্রথম অধিবেশনে প্রায় ২০০ নেতা-কর্মী হাজির ছিলেন, পেশ করা হয় ৮ দফা দাবি

    জনসঙ্ঘের (Jana Sangh) প্রতীক ছিল প্রদীপ। ভারতীয় জনসঙ্ঘের প্রথম অধিবেশনে প্রায় ২০০ নেতা-কর্মী হাজির ছিলেন। ওইদিনই দল  ৮ দফা কর্মসূচি ঘোষণা করে। এগুলি হল-  অখণ্ড ভারত, পাকিস্তানের প্রতি তোষণনীতি বর্জন, দেশের স্বার্থকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে স্বাধীন বৈদেশিক নীতি, বিতাড়িত উদ্বাস্তুদের জন্য পাকিস্তান থেকেই ক্ষতিপূরণ নেওয়া, দেশীয় পণ্যের উৎপাদন বৃদ্ধি (বিশেষত খাদ্য ও বস্ত্রের) এবং শিল্পের বিকেন্দ্রীকরণ, ভারতীয় সংস্কৃতির বিকাশ, প্রতিটি নাগরিকের জন্য সমান অধিকার (পিছিয়ে পড়া শ্রেণির জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন, জাতি বা বর্ণ অনুযায়ী বিভেদ না করা), বিহারের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের সীমানা পুনর্বিন্যাস। ‘অর্গানাইজার’ পত্রিকার প্রধান সম্পাদক কেআর মালকানি এবং আর্য সমাজের নেতা লালা হংসরাজ উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেন ভারতীয় জনসঙ্ঘের প্রতিষ্ঠায়। পরবর্তীকালে ১৯৭৭ সালে লালা হংসরাজ দিল্লি পুরসভার মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলেন। অন্যদিকে, কেআর মালকানি পরবর্তীকালে রাজ্যসভার সাংসদ হন।

    জনসঙ্ঘের (Jana Sangh) বিভিন্ন সাংগঠনিক ধাপ কেমন ছিল 

    প্রতিষ্ঠার পরেই জনসঙ্ঘের নেতা-কর্মীরা সংগঠন বিস্তারের কাজ শুরু করেন। স্থানীয় শাখাগুলির নাম ছিল সমিতি। সমিতির কাজ দেখাশোনা করত মণ্ডল কমিটি। মণ্ডল কমিটির ওপরে ছিল জেলা কমিটি। তারপর রাজ্য কমিটি। জনসঙ্ঘ ছিল ক্যাডার ভিত্তিক দল। সেই রীতি বর্তমান দিনে বিজেপিতেও চলছে। প্রতিষ্ঠার কয়েক বছরের মধ্যেই জনসঙ্ঘ (Jana Sangh) ব্যাপকভাবে বাড়তে থাকে। উত্তর ও মধ্য ভারতের প্রায় সব রাজ্যে এবং পশ্চিমবঙ্গে গঠিত হয় দলের কমিটি। প্রতিষ্ঠার পর পরেই সমগ্র দেশের চারটি অঞ্চলকে দেখভাল করতেন চারজন নেতা। উত্তর ভারতের কাজ দেখতেন বলরাজ মাধোক, পূর্ব ভারতের সংগঠন দেখতেন নানাজি দেশমুখ,পশ্চিম ভারতের সংগঠনের দায়িত্বে ছিলেন সুন্দর সিং ভাণ্ডারি এবং দক্ষিণ ভারতে দলের কাজ দেখতেন জগন্নাথ রাও।

    ১৯৫১ সালের নির্বাচনে জনসঙ্ঘের ইস্তেহারে দেশকে ‘ভারত মাতা’ সম্বোধন করা হয়

    ২১ অক্টোবর ১৯৫১ সালে পথ চলা শুরু হয় ভারতীয় জনসঙ্ঘের (Jana Sangh)। প্রতিষ্ঠার দু’মাসের মধ্যেই পার্টিকে লড়তে হয় স্বাধীন ভারতের প্রথম লোকসভা নির্বাচন। প্রসঙ্গত, দেশের প্রথম সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ১৯৫১ সালের ডিসেম্বর মাসে। জনসঙ্ঘের নির্বাচনী ইস্তেহারে দেশকে ‘ভারত মাতা’ সম্বোধন করা হয় এবং ‘দেশের স্বার্থ সবার ঊর্ধে’ (Nation First) একথা বলা হয়। ওই নির্বাচনী ইস্তেহারে আরও বলা হয়, দল ক্ষমতায় এলে গ্রামীণ অর্থনীতি মজবুত করা হবে, কৃষি ও শিল্পভিত্তিক অর্থনীতিতে জোর দেওয়া হবে। নির্বাচনী ইস্তেহারে ‘স্বদেশিয়ানা’র উল্লেখও করা হয়।

    প্রথম সাধারণ নির্বাচনে বাংলা থেকে জোড়া আসন জয়

    দেশের প্রথম সাধারণ নির্বাচনে মোট আসনের সংখ্যা ছিল ৪৮৯। এরমধ্যে ৯৩টি আসনে প্রতিদ্বন্দিতা করে ভারতীয় জনসঙ্ঘ (Jana Sangh)। ৩টি আসনে জয় পায় দল।  দক্ষিণ কলকাতা (পশ্চিমবঙ্গ) থেকে জেতেন শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় (Syama Prasad Mukherjee), মেদিনীপুর (পশ্চিমবঙ্গ) থেকে জেতেন দুর্গাচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়, চিতোর (রাজস্থান) থেকে জেতেন উমাশঙ্কর ত্রিবেদী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Fake Buddhist Monk: ১০ বছর বৌদ্ধ সন্ন্যাসী সেজে ভারতে গা ঢাকা দিয়েছিলেন! গয়ায় গ্রেফতার বাংলাদেশি

    Fake Buddhist Monk: ১০ বছর বৌদ্ধ সন্ন্যাসী সেজে ভারতে গা ঢাকা দিয়েছিলেন! গয়ায় গ্রেফতার বাংলাদেশি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভুয়ো বৌদ্ধ সন্ন্যাসীর (Fake Buddhist Monk) ভেক ধরে টানা প্রায় ১০ বছর ভারতে গা-ঢাকা দিয়ে থাকার পর এক বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেফতার করা হয়েছে। শনিবার বিহারের গয়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (Gaya airport) থেকে আটক করা হয় তাঁকে। ধৃত এই অসাধু যুবকের নাম বাবু জো বড়ুয়া ওরফে রাজীব দত্ত। ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। ঘটনায় রীতিমতো অবাক পুলিশ।

    চতুর ভাবে পুলিশকে ধুলো দিয়ে ছিলেন (Fake Buddhist Monk)

    প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, এত বছর ধরে নিজের আসল পরিচয় গোপন করে বুদ্ধ গয়ায় (Gaya airport) ঘাঁটি গেড়েছিলেন ওই বাংলাদেশি যুবক। এখনেই সীমাবদ্ধ ছিলেন না। রীতিমতো আটঘাট বেঁধে বিলাসবহুল জীবন-যাপন করছিলেন ওই যুবক। দীর্ঘদিন অত্যন্ত চতুরভাবে পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে আস্তানা গেড়ে ছিলেন।

    তাইল্যান্ড যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল

    জানা গিয়েছে, শনিবার ভারত থেকে তাইল্যান্ড যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন ওই যুবক (Fake Buddhist Monk)। এরপর নিরাপত্তাকর্মীরা তাঁকে প্রশ্ন করলে তাঁর বক্তব্যের মধ্যে একাধিক অসঙ্গতি লক্ষ্য করা যায়। আধিকারিকরা প্রশ্ন করতেই একে একে সত্য কথা উগড়ে দেন জাল সন্ন্যাসী। এরপর পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে হাজতে পাঠিয়ে দেয়। পুলিশের অবশ্য দাবি, বিমানবন্দরে দেখেই কর্তব্যরত অভিবাসন আধিকারিকদের সন্দেহ হয়। আচরণ খুব একটা সুবিধাজনক বলে মনে হয়নি। তবে সন্ন্যাসীর কাছে ভারতের পাসপোর্ট উদ্ধার হয় (Fake Buddhist Monk)। নিজেই শিকার করেন যে তিনি ভারতীয় নয়, বাংলাদেশি। বেআইনি ভাবে ভারতে বসবাস করছিলেন। তবে জেরায় আরও বেশকিছু পাসপোর্ট উদ্ধার হয়েছে। এক একটি পাসপোর্টে আলাদা আলাদা পরিচয় রয়েছে তাঁর। ভারতীয় নাগরিকত্বের প্রমাণ স্বরূপ আধার কার্ড এবং প্যান কার্ডও বাজেয়াপ্ত করা হয়। একইভাবে ভারত এবং তাইল্যান্ডের মুদ্রা পাওয়া যায় তাঁর কাছ থেকে। সেই সঙ্গে উদ্ধার হয় ইউরো এবং মার্কিন ডলারও।

    আরও পড়ুনঃ আজ আজাদ হিন্দ ফৌজের প্রতিষ্ঠা দিবস, নেতাজিকে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন অমিত শাহের

    পুলিশের বক্তব্য

    গয়ার সিনিয়র সুপারিনটেন্ডেণ্ট অফ পুলিশ আশিস ভারতী বলেন, “ধৃত ব্যক্তি (Fake Buddhist Monk) আদতে বাংলাদেশের নাগরিক। সেই পরিচয় গোপন করে গত ১০ বছর ধরে তিনি ভারতে বসবাস করছিলেন। তাঁর কাছে ভারতে থাকার ভিসা ছিল না। বাংলাদেশের বৈধ পাসপোর্টও ছিল না। একাধিক ভুয়ো ও জাল নথি উদ্ধার করা হয়েছে। আমরা তাঁকে গ্রেফতার করে হাজতে পাঠিয়েছি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Arvind Kejriwal: কেজরির শিশমহলের কড়ি-বর্গায়ও জমিদারির ছাপ, আপ নেতার হলটা কী?

    Arvind Kejriwal: কেজরির শিশমহলের কড়ি-বর্গায়ও জমিদারির ছাপ, আপ নেতার হলটা কী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি দেশের রাজা নন। নিছক জমিদারও নন। ভারতের একটা অঙ্গরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal)। এখন অবশ্য সেই কুর্সিটাও নেই। তবে রয়ে গিয়েছে তাঁর সাধের শিশমহল (Sheesh Mahal)। যে মহলের অন্দরে উঁকি দিলে মানসপটে ভেসে উঠতে বাধ্য রাজতন্ত্রের জমকালো ছবি। যাঁর বাসভবন নিয়ে এত ধানাই পানাই তাঁর দলের নামের গায়ে মাটির গন্ধ – আম আদমি পার্টি। সেই দলের নেতার বাসভবন দেখলে মনে হয় না, তাঁর দল সত্যিকারেরই আম আদমির। কারণ বাড়িটার প্রতিটি ইটে, কড়ি বর্গায়ও বড়লোকি গন্ধ।

    কেজরিওয়ালের কীর্তি ফাঁস

    দিল্লির ৬ নম্বর ফ্ল্যাগস্টাফ রোডে বাড়িটার নামই শিশমহল। গত ৯ বছর ধরে এখানেই বাস করছিলেন দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা আম আদমি পার্টি সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal)। মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়েছেন কেজরি। তাঁর জায়গায় বসানো হয়েছে অতিশি মারলেনাকে। স্বাভাবিকভাবেই তার আগে রাজ্যের পূর্ত দফতর ওই মহলের আসবাবপত্রের একটা তালিকা প্রকাশ করেছে। যা দেখে চোখ কপালে উঠতে বাধ্য। কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal) প্রথমবার নজরে আসেন ২০২৩ সালের মে মাসে, যখন সংবাদমাধ্যমে তাঁর ব্যক্তিগত বিলাসিতায় করদাতাদের অর্থ অপচয়ের বিবরণ ফাঁস হয়ে যায়।

    বিজেপির নিশানা আপ সুপ্রিমোকে (Arvind Kejriwal)

    পিডব্লুডির তালিকা দেখার পরে আপ সুপ্রিমোকে নিশানা করেছেন বিজেপির মুখপাত্র অমিত মালব্য। ট্যুইট-বার্তায় তিনি লিখেছেন, “এই হচ্ছে বৈদ্যুতিক নিত্যব্যবহার্য সামগ্রী এবং গ্যাজেটসের তালিকা, যেগুলো ইনস্টল করা হয়েছিল অরবিন্দ কেজরিওয়ালের শিশমহলে (Sheesh Mahal)।” মালব্য আরও লিখেছেন, “বিস্ময়ের আরও আছে। সেন্সর-সজ্জিত পুরোপুরি স্বয়ংক্রিয় টোটো স্মার্ট টয়লেট রয়েছে। স্বয়ংক্রিয়ভাবেই সেটা খোলা-বন্ধ হয়। রয়েছে হিটেড সিট, ওয়্যারলেস রিমোট ডিওডোরাইজার এবং অটোমেটিক ফ্ল্যাশিং। এই জাতীয় টয়লেট সিটের দাম ১০ থেকে ১২ লাখ টাকা।”

    আরও পড়ুন: দুয়ারে উপনির্বাচন, রাজ্যের পাঁচ জেলায় আবাস যোজনার সমীক্ষা বন্ধের আর্জি বিজেপির

    শিশমহলের (Sheesh Mahal) অন্দরে

    একবার চোখ বুলিয়ে নেওয়া যাক শিশমহলের অন্দরে। ১৬টা ভয়েস কন্ট্রোলড আল্ট্রা স্লিম স্মার্ট ৪কে টিভি রয়েছে, দাম ৬৪ লাখ টাকা। সাড়ে ১৯ লাখের স্মার্ট এলইডি-ও রয়েছে। ফ্রিস্ট্যান্ডিং লুমিনেয়ার রয়েছে, মূল্য ৯.২ লাখ। ৪ লাখ টাকা দামের ওএসএডিএ ফুল বডি ম্যাসেজ চেয়ারও রয়েছে। রয়েছে ১০ লাখ টাকা দামের রিক্লাইনার সোফা, ৮টি মোটোরাইজড রিক্লাইনার সোফা রয়েছে ১০ লাখ টাকা দামের, বোস লাউডস্পিকার রয়েছে সাড়ে ৪ লাখ টাকা দামের। দুটো স্মার্ট রেফ্রিজারেটর রয়েছে ৯ লাখ টাকা দামের। এই রেফ্রিজারেটরের মধ্যেই রয়েছে ইনবিল্ট টিভি এবং এআই ভিশন স্ক্রিন। ৯ লাখ টাকা দামের ৭৩ লিটারের স্টিম ওভেনও রয়েছে শিশমহলে (Sheesh Mahal)।

    দামি গ্যাজেটসে সাজানো অন্দর

    কেজরিওয়ালের বাংলোতে (Arvind Kejriwal) ৫০ লিটারের মাইক্রোওয়েভ ওভেন রয়েছে, যার দাম ৬ লাখ টাকা। ৬ লাখ টাকা দামের দুটো মাউন্টেড হুডস ১৪০ সেমি স্টেনলেস স্টিল চিমনিও রয়েছে। বিওএসসিএইচ সিরিজের ৮ বিল্ট ইন কফি মেশিন রয়েছে, মূল্য আড়াই লাখ টাকা। তিনটে হট ওয়াটার জেনেরেটর রয়েছে, মূল্য সাড়ে ২২ লাখ টাকা। ১৫ কোটি টাকা মূল্যের সুপিরিয়র ওয়াটার সাপ্লাই অ্যান্ড স্যানিটারি ইনস্টলেশনও রয়েছে। ২.১ লাখ টাকা দামের এলজির ১২ কেজি ফ্রন্ট লোড অটোমেটিক ওয়াশিং মেশিনও রয়েছে শিশমহলে (Sheesh Mahal)। এসএস রেলিং, স্টিয়ারকেস কভারিং রয়েছে ১.২ কোটি টাকা মূল্যের। রয়েছে ২০টি গ্র্যান্ড এজেড ব্রাশ এন্ট্রাস স্কোনস আউটডোর লাইট, মূল্য ১০ লাখ টাকা। উডেন ও গ্লাসডোর উইথ অটোমেটিক স্লাইডিং সেন্সর রয়েছে ৭০ লাখ টাকা দামের। ২৪টি ডেকোরেটিভ পিলার রয়েছে, যার মূল্য ৩৬ লাখ টাকা। জানালার পর্দা রয়েছে ৮০টি, মূল্য ৪ থেকে ৫.৬ কোটি টাকা। সুপিরিয়র ওয়াটার সাপ্লাই রয়েছে ১৫ কোটি টাকার।

    আপ সুপ্রিমোর চমক!

    ২০১৩ সালে কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal) বলেছিলেন তিনি ও তাঁর দলের মন্ত্রীরা সরকারি বাংলো ব্যবহার করবেন না। তার পরিবর্তে তাঁরা ব্যবহার করবেন ছোট ছোট সরকারি ফ্ল্যাট। আপ সুপ্রিমোর সেই প্রতিশ্রুতি যে নিছকই চমক, তাঁর বাংলোর ছবিই তার প্রমাণ। ১৩ হাজার স্কোয়ার ফিট এলাকজুড়ে রয়েছে শিশমহল (Sheesh Mahal)। এর মধ্যে লন রয়েছে ৩৯৯ স্কোয়ার ফিট। সমস্ত ধরনের আধুনিক সুযোগ-সুবিধা মেলে সেখানে।

    ‘অপারেশন শিশমহল’ নাম দিয়ে একটি খবর প্রকাশ করে ‘টাইমস নাও’-ও। সেখানেও দেখানো হয় শিশমহলের (Sheesh Mahal) অন্দরের সাজসজ্জা। যে অন্দরসজ্জা দেখলে হয়তো হাত কামড়াতেন রাজা-রাজড়ারাও। কারণ রাজার ঘরে যে ধন আছে…।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share