Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • NIA: ‘মুসলিম রাষ্ট্র হবে ভারত, ধ্বংস করা হবে আরএসএস-কে’! কেরলে প্রচার ইসলামি মৌলবাদীদের

    NIA: ‘মুসলিম রাষ্ট্র হবে ভারত, ধ্বংস করা হবে আরএসএস-কে’! কেরলে প্রচার ইসলামি মৌলবাদীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০৫০ সালের ১ জানুয়ারির ভারতকে ইসলামিক রাষ্ট্র ঘোষণা করা হবে। এমনই চাঞ্চল্যকর ও ভয়ঙ্কর তথ্য সামনে এসেছে কেরলে। ভারতকে ইসলামিক রাষ্ট্র বানানোর এই চক্রান্তের মূল কুচক্রী হল নিষিদ্ধ পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়ার (পিএফআই) শাখা সংগঠন সোশালিস্ট ডেমোক্রেটিক পার্টি অফ ইন্ডিয়া। তাদের সঙ্গে জুড়েছে আরও কয়েকটি উগ্র মৌলবাদী ইসলামিক সংগঠন। গোয়েন্দাদের দাবি, শুধু ঘোষণা করাই নয়, এ নিয়ে তারা পরিকল্পনা ও প্রস্তুতি দুটোই শুরু করে দিয়েছে। ভারতকে ইসলামিক রাষ্ট্র তৈরি করার সময়সীমা বেঁধে দিয়ে ইতিমধ্যে সমাজমাধ্যম জুড়ে শুরু হয়েছে প্রচারও (Kerala)। আরও ভয়ঙ্কর তথ্য, রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘকে (RSS) ২০৪০-এর মধ্যে সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করার পরিকল্পনা করেছে উগ্র মৌলবাদী ইসলামিক জঙ্গি সংগঠনগুলি। এনিয়ে চলছে রীতিমতো প্রচারও। ভয়ঙ্কর এই চক্রান্ত প্রকাশ্যে এনেছে এনআইএ (NIA)। 

    সময়সীমা বেঁধে দিয়ে চলছে প্রচার (NIA)

    সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টি অফ ইন্ডিয়া (Kerala) এবং অন্যান্য ইসলামিক মৌলবাদী সংগঠনগুলি যে সময়সীমা নির্ধারণ করেছে তাতে দেখা যাচ্ছে, কেরলে তারা শাসন করতে চায় ২০৩১ সালের মধ্যে, রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘকে তারা ধ্বংস করতে চায় ২০৪০ সালের মধ্যে, ভারতকে তারা শাসন করতে চায় ২০৪৭ সালের মধ্যে এবং ভারতবর্ষকে ইসলামিক রিপাবলিক দেশ হিসেবে তারা ঘোষণা করবে ২০৫০ সালের ১ জানুয়ারি।

    এমন অ্যাজেন্ডা (RSS) দীর্ঘদিনের, তদন্তে এনআইএ

    এনআইএ-র (NIA) দাবি, মৌলবাদীদের যে অ্যাজেন্ডা সামনে এনেছে তা এখনকার নয়। অনেক দিন ধরেই চলছে। এর আগে ভারতকে ইসলামিক রাষ্ট্র ঘোষণা করার বক্তব্য এবং সে সংক্রান্ত পুস্তিকা বিতরণও করতে দেখা গিয়েছে ইসলামিক জঙ্গি গোষ্ঠীগুলিকে। এনিয়ে ইতিমধ্যে তদন্ত করেছে ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি বা এনআইএ। চলতি বছরের ২৬ জুন এনআইএ-র রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, ২০২২ সালে কেরলের আরএসএস (RSS) নেতা শ্রীনিবাসনকে হত্যা করা হয়। এই হত্যার পিছনে যুক্ত থাকতে দেখা যায়, পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া এবং সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টি অফ ইন্ডিয়াকে।

    গোটা পরিকল্পনা প্রকাশ্যে এনেছে এনআইএ

    এনআইএ (NIA) কেরল হাইকোর্টে যে রিপোর্ট জমা করে সেখানে তারা ইসলামিক মৌলবাদী সংগঠনগুলির যাবতীয় পরিকল্পনা তুলে ধরে। এনআইএ আরও জানায়, ২০৪৭ সালের মধ্যে তারা (মৌলবাদী সংগঠন) ভারতবর্ষে ইসলামিক শাসনকে কায়েম করতে চায় এবং সেই পরিকল্পনারই অংশ হিসেবে আরএসএস (RSS) নেতাকে খুন করা হয়েছে। এই ঘটনায় পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া ও এসডিপিআই-এর একাধিক সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয় আট পাতার একটি ইস্তাহার। এখানেই লেখা ছিল ভারতকে ইসলামিক রাষ্ট্র বানানোর চক্রান্তের কথা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Journalist Archana Tiwari: “কাশ্মীরে মন্দির হলে মেনে নেব না”! কাশ্মীরিদের সাক্ষাৎকার নেওয়ায় সাংবাদিককে হত্যা-হুমকি

    Journalist Archana Tiwari: “কাশ্মীরে মন্দির হলে মেনে নেব না”! কাশ্মীরিদের সাক্ষাৎকার নেওয়ায় সাংবাদিককে হত্যা-হুমকি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “মন্দির হলে মেনে নেব না। কারণ এটা কাশ্মীর।” ভোট চলাকালীন কাশ্মীরে স্থানীয়দের সাক্ষাৎকার নিতে গিয়ে এমন মন্তব্যই শুনতে হল সাংবাদিক অর্চনা তিওয়ারিকে (Journalist Archana Tiwari)। ২০১৯ সালে জম্মু-কাশ্মীরে রদ হয়েছে ৩৭০ ধারা। গোটা দেশের আর পাঁচটা রাজ্যের সঙ্গে এখন এক পঙক্তিতেই বসতে পারে কাশ্মীর। কারণ লোপ পেয়েছে তার বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা। তার পর এই প্রথম কোনও নির্বাচন হচ্ছে কাশ্মীরে। সেই নির্বাচনই কভার করতে গিয়েছিলেন অর্চনা। অভিযোগ, সেখানে গিয়ে ডেথ থ্রেট বা মৃত্যুুর হুমকিও (Death Threat) পেতে হয়েছে তাঁকে।

    ভূস্বর্গে উন্নয়নের জোয়ার (Journalist Archana Tiwari)

    ৩৭০ ধারা রদ হওয়ার পর (Journalist Archana Tiwari) বস্তুত উন্নয়নের জোয়ার বয়ে গিয়েছে ভূস্বর্গে। রাস্তাঘাটের ব্যাপক উন্নতি হয়েছে। চাঙা হয়েছে রাজ্যের ভেঙে পড়া পর্যটন শিল্প। বদলেছে কাশ্মীরবাসীর অর্থনীতির চালচিত্র। অভিযোগ, তার পরেও কাশ্মীরের একটা অংশ রয়ে গিয়েছে কাশ্মীরে। অর্চনাকে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, “আমাদের গ্রামে মন্দির বানানোর বিষয়টি আমি মেনে নিতে পারছি না। আমরা এটা ভেঙে ফেলবই। আমি এটা মেনে নিতে পারছি না। আমি একজন মুসলমান। কাফেরদের (বিধর্মী) মধ্যে বাস করা আমার পক্ষে কঠিন।” তিনি বলেন, “বিজেপি এখানে জিতবে না। যেহেতু তারা এখানে মসজিদের সামনে মন্দির তৈরি করা শুরু করেছে। তারা মদের দোকানের লাইসেন্সও দিচ্ছে। এটা আমাদের ধর্মীয় রীতির পরিপন্থী।” স্থানীয় আরও কয়েকজনের বক্তব্যেও ঘুরে ফিরে এসেছে এমন মন্তব্য।

    সমর্থন থেকে সমালোচনার ঝড়

    অর্চনার এই সাক্ষাৎকারের ভিডিও ভাইরাল হতেই শুরু হয়েছে সমালোচনা। অনেকের মতে, অর্চনা বেছে বেছে সংকীর্ণমনা কাশ্মীরবাসীর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন। কাশ্মীরকে কলঙ্কিত করতেই তিনি এটা করেছেন। কেউ কেউ আবার কাশ্মীরকে ভারতের বিরুদ্ধে দাঁড় করানোর জন্য অর্চনার বিকৃত মানসিকতাকে দায়ী করেছেন। অর্চনার এই সাক্ষাৎকারকে একটি কূট ষড়যন্ত্র বলেও অভিহিত করেছেন তাঁরা। 

    তবে, অনেকে তাঁকে সমর্থনও করেছেন। তাঁদের প্রশ্ন, অর্চনার দোষ কোথায় এখানে? তিনি তো স্রেফ ক্যামেরা-বুম নিয়ে মানুষের মতামত জানতে চেয়েছেন মাত্র। তাঁদের মতে, এই প্রতিক্রিয়ার মাধ্য়েমে আসল ছবি প্রতিফলিত হয়েছে। তাঁরা আরও জানান, আসলে সমস্যা অর্চনাকে নিয়ে নয়। তাঁর করা প্রশ্নের ফলে যে তাঁদের আসল মিথ্যাচার প্রকট হয়ে গিয়েছে তা নিয়েই চিন্তিত ইসলামি ও বাম-উদারপন্থারা।অর্চনার অভিযোগ, কয়েকজন আবার তাঁকে ডেথ থ্রেটও দিয়েছে। ন্যাশনাল কনফারেন্স সাংসদ রুহুল্লাহ মেহেদি বলেন, “স্থানীয়দের যে প্রতিক্রিয়া ভাইরাল হয়েছে, তা বাবরি (Death Threat) ধ্বংসের দ্বারা অনুপ্রাণিত প্রতিক্রিয়া (Journalist Archana Tiwari)।” 

     

    আরও পড়ুন: “ভারত অপ্রতিরোধ্য”, ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’র ১০ বছর পূর্তিতে সাফল্যের খতিয়ান পেশ মোদির

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: “ভারত অপ্রতিরোধ্য”, ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’র ১০ বছর পূর্তিতে সাফল্যের খতিয়ান পেশ মোদির

    PM Modi: “ভারত অপ্রতিরোধ্য”, ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’র ১০ বছর পূর্তিতে সাফল্যের খতিয়ান পেশ মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছিলেন ২০১৪ সালের ২৬ মে। ওই বছরেরই ২৫ সেপ্টেম্বর সূচনা করলেন ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ (Make In India) উদ্যোগের। বৃহস্পতিবার ১০ বছর পূর্ণ করল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) এই উদ্যোগ। সেই উপলক্ষে ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’র সাফল্যের খতিয়ান তুলে ধরলেন প্রধানমন্ত্রী।

    ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ নিয়ে কী বললেন মোদি (PM Modi)

    ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মস্তিষ্কপ্রসূত। এই উদ্যোগে সরকার কোম্পানিগুলিকে ভারতে পণ্যের বিকাশ, উৎপাদন ও উৎপাদনে উৎসর্গীকৃত বিনিয়োগকে উৎসাহিত করে। এই উদ্যোগ সফল হওয়ায় দেশবাসীকে অভিবাদন জানান প্রধানমন্ত্রী। বলেন, “মেক ইন ইন্ডিয়ার প্রভাব এটা স্পষ্ট করল যে ভারত অপ্রতিরোধ্য।” তিনি বলেন, “একটা লক্ষ্য নিয়ে দশ বছর আগে এর পথচলা শুরু হয়েছিল। পণ্য উৎপাদনে ভারতের অগ্রসরের জন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আমাদের প্রতিভাশালী এই দেশ শুধুমাত্র আমদানিকারক দেশ হিসেবে না থেকে যাতে রফতানিকারক দেশ হয়, তা নিশ্চিত করতে এই পথ চলা শুরু।”

    সাফল্যের খতিয়ান

    ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’র সাফল্যের খতিয়ান দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “২০১৪ সালে সারা দেশে মাত্র দুটি মোবাইল তৈরির কারখানা ছিল। এখন তা বেড়ে হয়েছে ২০০। মোবাইল রফতানি ৭৫০০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।” তিনি বলেন, “এখন ভারতে ব্যবহৃত মোবাইলের ৯৯ শতাংশই দেশে তৈরি হয়। বিশ্বে মোবাইল উৎপাদনে ভারত উঠে এসেছে দুনম্বরে।” খেলনা উৎপাদনেও ভারতের অগ্রগতির কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি জানান, গত দশ বছরে খেলনা রফতানি বেড়েছে ২৩৯ শতাংশ।

    আরও পড়ুন: নির্বিঘ্নেই শেষ দ্বিতীয় দফাও, হাত উপুড় করে ভোট দিলেন ভূস্বর্গবাসী

    ইস্পাত শিল্পেও ব্যাপক উন্নতি করেছে ভারত। ২০১৪ সালের চেয়ে দেশে ইস্পাতের উৎপাদন বেড়েছে ৫০ শতাংশেরও বেশি। প্রধানমন্ত্রী জানান, সেমিকন্ডাক্টর ক্ষেত্রে দেশে দেড় লাখ কোটি টাকার বিনিয়োগ এসেছে। পাঁচটি প্ল্যান্টের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এগুলি থেকে প্রতিদিন ৭ কোটি চিপ তৈরি করা হবে। প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) জানান, গত দশ বছরে ভারতে পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি উৎপাদন বেড়েছে ৪০০ শতাংশ। সামরিক সরঞ্জাম রফতানি হাজার কোটি টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ২১ হাজার কোটি টাকা। ভারত এখন বিশ্বের ৮৫টিরও বেশি দেশে সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহ করে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এক সঙ্গে আমরা এমন ভারত গড়ে তুলতে পারি, যা শুধু নিজের প্রয়োজন মেটাবে (Make In India) না। একই সঙ্গে বিশ্বের কাছে উৎপাদনের পাওয়ার হাউস হয়ে উঠবে (PM Modi)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jammu & Kashmir polls 2024: নির্বিঘ্নেই শেষ দ্বিতীয় দফাও, হাত উপুড় করে ভোট দিলেন ভূস্বর্গবাসী

    Jammu & Kashmir polls 2024: নির্বিঘ্নেই শেষ দ্বিতীয় দফাও, হাত উপুড় করে ভোট দিলেন ভূস্বর্গবাসী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্বিঘ্নেই শেষ হল জম্মু-কাশ্মীর বিধানসভার দ্বিতীয় দফার (2nd Phase Election) নির্বাচন (Jammu & Kashmir polls 2024)। বুধবার নির্বাচন হয়েছে উপত্যকার ২৬টি আসনে। কড়া নিরাপত্তায় হয়েছে নির্বাচন। জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের পাশাপাশি নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিল আধাসেনাও। প্রথম দফার মতো দ্বিতীয় দফায়ও ব্যাপক ভোট পড়েছে।

    ভূস্বর্গে নির্বাচন (Jammu & Kashmir polls 2024)

    ১০ বছর পরে বিধানসভা নির্বাচন হচ্ছে ভূস্বর্গে। নির্বাচন হবে ৯০টি আসনে। ১৮ সেপ্টেম্বর হয় প্রথম দফার নির্বাচন। সেবার ভোট হয়েছে ২৪টি কেন্দ্রে। ভোটদানের হার ছিল ৬১.৩৮ শতাংশ। তৃতীয় দফার (Jammu & Kashmir polls 2024) নির্বাচন হবে ১ অক্টোবর। ভোট গণনা হবে ৮ অক্টোবর। জম্মু- কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা রদ হয়েছে ২০১৯ সালে। তার পর এই প্রথম হচ্ছে কোনও নির্বাচন। যে নির্বাচনে উপত্যকাবাসী ভোট দিয়েছেন হাত উপুড় করে।

    ২৩৯ জন প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ

    এদিন ভোট হয়েছে মধ্য-কাশ্মীরের তিন জেলা বদগাম, গান্ডেরবাল এবং শ্রীনগরে। জম্মুর তিন জেলা রইসি, রাজৌরি এবং পুঞ্চেও ভোট হয়েছে। এগুলির মধ্যে শ্রীনগরে আটটি, বদগাম জেলায় পাঁচটি, রাজৌরিতে পাঁচটি, পুঞ্চে তিনটি, গান্ডেরবালে দু’টি এবং রইসিতে তিনটি বিধানসভা আসন রয়েছে। মোট ২৩৯ জন প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ হয়েছে এই দফার ভোটে। সকাল থেকেই বিভিন্ন কেন্দ্রে ছিল ভোটারদের উপচে পড়া ভিড়। নির্বাচন কমিশনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, দ্বিতীয় দফায় ভোট দেওয়ার কথা ২৫ লক্ষ ৭৮ হাজার মানুষের।

    এই দফায় উল্লেখযোগ্য প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছে ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ওমর আবদুল্লা, জম্মু-কাশ্মীর প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তারিক হামিদ কাড়রা, বিজেপির রাজ্য সভাপতি রবীন্দ্র রায়না, জম্মু-কাশ্মীর আপনি পার্টির প্রধান আলতাফ বুখারি।

    এদিন নির্বাচন শুরু হওয়ার পরপরই ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে স্বাগত জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, জম্মু-কাশ্মীরে আজ দ্বিতীয় দফার বিধানসভা নির্বাচন। আমি সকল ভোটারদের কাছে তাঁদের গণতান্ত্রিক শক্তি প্রয়োগ করার আহ্বান জানাচ্ছি। যাঁরা (2nd Phase Election) প্রথমবার ভোট দিচ্ছেন, তাঁদের অভিনন্দন। নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, এদিন বেলা ১টার মধ্যেই ভোট পড়ে গিয়েছিল ৩৭ শতাংশ (Jammu & Kashmir polls 2024)।

    আরও পড়ুন: “বিজেপিকে ভয় পেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস”, হাজরায় বললেন শুভেন্দু

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • NIA: “ট্রেনে অন্তর্ঘাত দূর করতে রেলওয়ে প্রশাসন সতর্ক রয়েছে”, বললেন বৈষ্ণব

    NIA: “ট্রেনে অন্তর্ঘাত দূর করতে রেলওয়ে প্রশাসন সতর্ক রয়েছে”, বললেন বৈষ্ণব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ট্রেনে অন্তর্ঘাতের বিষয়টিকে চিরতরে দূর করতে রেলওয়ে প্রশাসন যথেষ্ট সতর্ক রয়েছে।” মঙ্গলবার কথাগুলি বললেন (NIA) কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব (Ashwini Vaishnaw)। এই জাতীয় ঘটনা এড়াতে বিভিন্ন রাজ্যের প্রশাসন ও পুলিশের সঙ্গে আলোচনা চলছে বলেও জানান মন্ত্রী। জয়পুর বিমানবন্দরে রেলমন্ত্রী জানান, কেন্দ্রীয় সরকার নিরাপত্তা হুমকিগুলোকে অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। তাই ট্রেনে নাশকতার চেষ্টা করলে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি বলেন, “এটা আমাদের অঙ্গীকার।”

    ‘কবচ’ পরিদর্শনে মন্ত্রী (NIA)

    রেলের তরফে জানানো হয়েছে, এদিন কবচ সজ্জিত একটি রেল ইঞ্জিন পরিদর্শন করতে সওয়াই মাধোপুরে এসেছিলেন মন্ত্রী। এদিন বিকেল চারটেয় সওয়াই মাধোপুর রেলওয়ে স্টেশনে কবচ সজ্জিত একটি ট্রেনের ইঞ্জিনে উঠবেন। তাতে করে তিনি ইন্দরগড় স্টেশন পর্যন্ত যাবেন। এতে সময় লাগবে ৪৫ মিনিট। জয়পুরের গান্ধীনগর রেলওয়ে স্টেশনে নির্মিত একটি ছাদ প্লাজাও পরিদর্শন করার কথা মন্ত্রীর।

    কী বললেন মন্ত্রী?

    সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে (NIA) মন্ত্রী বলেন, “রাজ্য সরকার, ডিজিপি এবং স্বরাষ্ট্র সচিবদের সঙ্গে আলোচনা চলছে। এনআইএ-ও এতে জড়িত রয়েছে। কেউ যদি এমন কোনও দুর্ঘটনা ঘটানোর চেষ্টা করে, তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এটি আমাদের সংকল্প।” তিনি বলেন, “বিভিন্ন বিভাগ ও অঞ্চলের রেলওয়ে প্রশাসন দেশের সর্বত্র রেলওয়ে প্রোটেকশন ফোর্স ও স্থানীয় রাজ্য পুলিশের সঙ্গে সতর্কতার সঙ্গে কাজ করছে।” এদিন জয়পুরে পৌঁছানোর পর রেলমন্ত্রী মুখ্যমন্ত্রী ভজনলাল শর্মার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। পরে তিনি শহরের রাজাপার্ক এলাকার ভাটিয়া ভবনে বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করেন।

    আরও পড়ুন: “বিজেপি ক্ষমতায় এলেই ঝাড়খণ্ডে এনআরসি হবে”, বললেন শিবরাজ সিং চৌহান

    ট্রেনে কবচ ব্যবস্থা হল স্বয়ংক্রিয় ট্রেন সুরক্ষা ব্যবস্থা। রিসার্চ ডিজাইনস অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ডস অর্গানাইজেশন দ্বারা উন্নত করা হয়েছে। জরুরি পরিস্থিতিতে চালক ব্রেক কষতে ব্যর্থ হলে এটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে ব্রেক কষে দুর্ঘটনা এড়ায়। প্রসঙ্গত, গত আট বছর ধরে রেলমন্ত্রক পর্যায়ক্রমে রেল নেটওয়ার্ককে কবচ ব্যবস্থার আওতায় আনার জন্য এই প্রকল্পের (Ashwini Vaishnaw) ওপর কাজ করছে (NIA)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ghee Used at Jagannath Temple: পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে ভোগপ্রসাদের ঘি পরীক্ষা করতে চায় ওড়িশা সরকার

    Ghee Used at Jagannath Temple: পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে ভোগপ্রসাদের ঘি পরীক্ষা করতে চায় ওড়িশা সরকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিরুপতির প্রসাদী লাড্ডু নিয়ে বিতর্কের আবহেই  পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে ভোগ রান্নায় ব্যবহৃত ঘিয়ের গুণমান পরীক্ষা করার সিদ্ধান্ত নিল ওড়িশা সরকার। সারা দেশের লক্ষ লক্ষ ভক্ত প্রতিদিন পুরীর জগন্নাথদেব দর্শন করেন। রথের সময় ছাড়াও সারা বছরই ভিড় লেগে থাকে সমুদ্রসৈকত শহরে। তিরুমালা তিরুপতি দেবস্থানমের শ্রীবেঙ্কটেশ্বর স্বামীর লাড্ডু ভোগের ঘিয়ে পশুচর্ব ও মাছের তেল থাকার বিতর্কের পর সর্বত্র হিন্দু ভক্তদের মধ্যে এক অবিশ্বাসের বাতাবরণ তৈরি হয়েছিল। সেই সন্দেহের পরিবেশ দূর করতে পুরীর মন্দিরে ব্যবহৃত ভোগের ঘি পরীক্ষা করে দেখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ।

    বিশ্বাসে আঘাত নয়

    ওড়িশার বিজেপি সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, জগন্নাথ মন্দিরে রান্নায় বা অন্যান্য প্রসাদ রান্নায় যে ঘি ব্যবহার করা হয়, তা পরীক্ষাগারে পরীক্ষা করানো হবে। পুরীর জেলাশাসক সিদ্ধার্থ শঙ্কর বলেন, এখানে সে ধরনের কোনও অভিযোগ না সত্ত্বেও প্রশাসনের তরফে ঘিয়ের মান যাচাই করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, “আমরা রাজ্যের সর্বোচ্চ দুগ্ধ সংগঠন ওমফেড-এর সঙ্গে কথা বলব ৷ মন্দিরে যে ঘি ব্যবহার করা হচ্ছে, তার মান যেন তারা বেঁধে দেয় ৷” তিনি জানান, প্রশাসন সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে কোঠা ভোগ (দেবতাদের উৎসর্গ করা) ও ‘বারদী ভোগ’ (ভক্তদের প্রসাদ)- এ ব্যবহৃত ঘিয়ের গুণমান পরীক্ষা করা হবে। মন্দিরের এক সেবাইত দাবি করেন, এর আগে মন্দিরের প্রদীপ জ্বালানোয় যে ঘি ব্যবহার হত, তাতে নকল ঘি ব্যবহার করার অভিযোগ উঠেছিল। তারপরই ওই ঘি ব্যবহার বন্ধ করে দেওয়া হয়।

    আরও পড়ুন: এশিয়ায় তৃতীয় শক্তিশালী দেশ ভারত, বলছে সমীক্ষা

    কেন এই সিদ্ধান্ত

    দেশে হিন্দুদের অন্যতম জনপ্রিয় তীর্থক্ষেত্র পুরীর জগন্নাথ মন্দির ৷ ভগবান জগন্নাথ, বলরাম এবং দেবী সুভদ্রা দর্শনে সারাবছরই ভিড় হয় পুরীতে ৷ পাশাপাশি মন্দিরের মহাপ্রসাদের চাহিদাও তুঙ্গে থাকে ৷ প্রসাদে জগন্নাথ দেবের ভোগের খিচুড়ি, ভাত, ডাল, নানারকম ভাজাভুজি, রকমারি মিষ্টির পদ বিক্রির আলাদা একটি জায়গাই রয়েছে মন্দিরের ভিতরে ৷ এই খাবারগুলি যে ঘি দিয়ে রান্না হয়, তাতে কোনও ভেজাল অর্থাৎ মাছের তেল, গরু বা শুয়োরের চর্বি জাতীয় কিছু আছে কি না, তা পরীক্ষা করে নিতে চায় পুরী প্রশাসন ৷ প্রতিদিন এই মহাপ্রসাদ কিনে খান লক্ষ লক্ষ দর্শনার্থী, পুণ্যার্থী ৷ এই প্রসাদের সঙ্গে জড়িয়ে তাঁদের বিশ্বাস, ধর্মীয় আবেগ ৷ সেই বিশ্বাস, আবেগে কোনও আঘাত যাতে না লাগে তাই এই সিদ্ধান্ত। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: ‘‘ভূ-ভারতে কংগ্রেসের মতো কোনও দুর্নীতিগ্রস্ত দল নেই’’, হরিয়ানায় তোপ মোদির

    PM Modi: ‘‘ভূ-ভারতে কংগ্রেসের মতো কোনও দুর্নীতিগ্রস্ত দল নেই’’, হরিয়ানায় তোপ মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্নীতি ইস্যুতে ফের একবার কংগ্রেসকে তুলোধোনা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। সম্প্রতি সামনে এসেছে কর্নাটকের কংগ্রেস (Congress) সরকারের বিরুদ্ধে বড়সড় দুর্নীতির অভিযোগ। মহীশূর আরবান ডেভলপমেন্ট অথরিটিতে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ। এ প্রসঙ্গেই কংগ্রেসকে তোপ দাগেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। বুধবার নরেন্দ্র মোদি হাজির ছিলেন হরিয়ানার সোনপথে। ভোটমুখী হরিয়ানাতে প্রধানমন্ত্রী মোদি কংগ্রেসের ব্যর্থতা এবং দুর্নীতির যাবতীয় পরিসংখ্যান তুলে ধরেন এবং এ প্রসঙ্গেই তিনি উত্থাপন করেন কর্নাটকের মহীশূর আরবান ডেভেলপমেন্ট অথরিটির দুর্নীতি। তখনই তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘‘ভূ-ভারতে কংগ্রেসের মতো কোনও দুর্নীতিগ্রস্ত দল নেই।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘দু বছরও হয়নি কংগ্রেস সরকার ক্ষমতায় এসেছে কর্নাটকে, কিন্তু আপনারা দেখুন! এখন থেকে কীভাবে তারা দুর্নীতি করছে! খোদ কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রী জমি দুর্নীতিতে অভিযুক্ত। নিজেকে বাঁচাতে হাইকোর্টের রক্ষাকবচও চেয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী কিন্তু আদালত সাফ জানিয়ে দিয়েছে যে এই দুর্নীতির তদন্ত হওয়া প্রয়োজন।’’

    কংগ্রেস সরকার কৃষকদের জমি লুট করত

    তিনি হরিয়ানার মানুষদের উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, ‘‘১০ বছর আগে যখন এখানে কংগ্রেসের সরকার ছিল, তখন কৃষকদের জমি লুট করত তারা। কংগ্রেস (Congress) হরিয়ানা জমিগুলিকে দালালদের হাতে সঁপে দিয়েছিল। এমন কোনও সরকারি চাকরির পরীক্ষা ছিল না যেখানে দুর্নীতি হয়নি। সরকারের কোনও সংস্থাই দুর্নীতির বাইরে ছিল না।’’ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এদিন আরও বলেন, ‘‘কংগ্রেস সরকার সর্বদাই তপশিলি জাতি, তপশিলি উপজাতি এবং ওবিসি সমাজকে সক্রিয়ভাবে সামাজিক বা সরকারি কাজে অংশগ্রহণ থেকে দূরে রেখেছে। তাই বর্তমান দিনে দলিত সমাজও কংগ্রেসের পরাজয়ের জন্য অপেক্ষা করছে।’’

    দুর্নীতিকে লালন পালন করে কংগ্রেস, তোপ মোদির (PM Modi)

    প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) এদিন বলেন, ‘‘আপনারা অবশ্যই লক্ষ্য করে দেখবেন কংগ্রেস যেখানেই সুযোগ পায় সেখানেই তারা দুর্নীতি এবং পরিবারতন্ত্রকে প্রাধান্য দেয়। কংগ্রেস হল এমন একমাত্র দল যারা দুর্নীতিকে ভারতের শাসনব্যবস্থায় লালন পালন করেছে দীর্ঘদিন ধরে এবং আজও করে চলেছে।’’ এনডিএ সরকারের সাফল্যগাথা বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘আজকে সারা বিশ্বের বড় বড় কোম্পানিরা তাকিয়ে রয়েছে ভারতের দিকে এবং তারা উদগ্রীব ভারতে বিনিয়োগ করতে। এই বড় কোম্পানিগুলি ভারতবর্ষে যখন বিনিয়োগ করবে তখন হরিয়ানার যুবসমাজ ও কৃষকরাও উপকৃত হবে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Supreme Court: ভারতের কোনও অংশকে পাকিস্তান বলা যাবে না, নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

    Supreme Court: ভারতের কোনও অংশকে পাকিস্তান বলা যাবে না, নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের কোনও অংশকে, কেউ পাকিস্তান বলে উল্লেখ করতে পারবেন না, সাফ জানালেন সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় (DY Chandrachud)। বুধবারই একটি মামলার শুনানিতে বুধবার এই মন্তব্য করে দেশের শীর্ষ আদালত। প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় বলেন, ‘‘দেশের কোনও অংশকে, কেউ পাকিস্তান বলতে পারেন না। এমন মন্তব্য দেশের আঞ্চলিক অখণ্ডতার পরিপন্থী। আদালতে যা কিছু ঘটে, তা কিছুই গোপন রাখা উচিত নয়।’’

    বিতর্ক শুরু কীভাবে?

    বিতর্ক শুরু কর্নাটক হাইকোর্টের বিচারপতি বেগব্যাসাচর শ্রীষনন্দার একটি মন্তব্য ঘিরে। পরে সেই বিতর্কের জল গড়ায় সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court)। এনিয়েই গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ দিল এদিন সুপ্রিম কোর্ট। জানা গিয়েছে, কর্নাটকের একটি মামলা ছিল বাড়ির মালিক এবং ভাড়াটের বিবাদ সংক্রান্ত। এই মামলার শুনানিতেই বিচারপতি শ্রীষনন্দা বেঙ্গালুরুর সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকাকে পাকিস্তান বলে উল্লেখ করেন। শুধু তাই নয়, এক মহিলা আইনজীবীকে নিশানা করে তিনি নারীবিদ্বেষী মন্তব্য করেন বলে অভিযোগ। এনিয়ে ব্যাপক শোরগোল শুরু হয়। এর পরে প্রকাশ্যে ক্ষমাও চেয়ে নেন ওই বিচারপতি। কিন্তু পরবর্তীকালে মামলাটি সুপ্রিম কোর্টে পৌঁছায়।

    আদালতে বিচারপতিরা কী ধরনের মন্তব্য করতে পারেন, তা নিয়ে নির্দেশিকা তৈরির কথাও বলে শীর্ষ আদালত

    এদিনই সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) পাঁচ বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ কর্নাটক হাইকোর্টের ওই বিচারপতির বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়াও বন্ধ করে দিয়েছে। এনিয়ে প্রধান বিচারপতি (DY Chandrachud) জানিয়েছেন, বিচার ব্যবস্থার স্বার্থে ও মর্যাদার প্রশ্নেই এমন সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। কর্নাটকের ওই মামলার শুনানির জন্য প্রধান বিচারপতি, বিচারপতি এস খন্না, বিচারপতি বিআর গাভাই, বিচারপতি এস কান্ত এবং বিচারপতি এইচ রায়কে নিয়ে পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ গঠিত হয়। এদিন আদালতে বিচারপতিরা কী ধরনের মন্তব্য করতে পারেন, তা নিয়ে নির্দেশিকা তৈরির কথাও বলে শীর্ষ আদালত।

    প্রধান বিচারপতির (Supreme Court) আরও বক্তব্য

    আজ বুধবার শুনানি চলাকালীন প্রধান বিচারপতি (Supreme Court) আরও বলেন, ‘‘হালকা চালে কোনও মন্তব্য করা হলেও, তা কোনও বিশেষ সম্প্রদায় বা লিঙ্গের মানুষের প্রতি ব্যক্তিগত পক্ষপাত ইঙ্গিত করে।  এই ধরনের বিদ্বেষপূর্ণ মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকা উচিত। বিশেষ সম্প্রদায় বা বিশেষ লিঙ্গের মানুষের প্রতি এমন মন্তব্যে আমরা উদ্বিগ্ন, বিষয়টিকে নেতিবাচক ভাবেই দেখা উচিত।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • NRC: “বিজেপি ক্ষমতায় এলেই ঝাড়খণ্ডে এনআরসি হবে”, বললেন শিবরাজ সিং চৌহান

    NRC: “বিজেপি ক্ষমতায় এলেই ঝাড়খণ্ডে এনআরসি হবে”, বললেন শিবরাজ সিং চৌহান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বিজেপি ক্ষমতায় এলেই ঝাড়খণ্ডে এনআরসি (NRC) চালু হবে।” ভোটমুখী ঝাড়খণ্ডে বিজেপি আয়োজিত এক নির্বাচনী জনসভায় এ কথাই বললেন কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা শিবরাজ সিং চৌহান (Shivraj singh Chouhan)। বিজেপি ক্ষমতায় এলে ঝাড়খণ্ডে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশও বন্ধ করা হবে। শিবরাজ বলেন, “বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা এ দেশে এসে আধার কার্ড ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ নানা নথি তৈরি করে ফেলছেন। ভোটারকার্ডও তৈরি হচ্ছে। সেসব রুখতেই রাজ্যে এনআরসি চালু করবে বিজেপি।”

    বদলে যাচ্ছে জনবিন্যাস (NRC)

    বিজেপির অভিযোগ, ঝাড়খণ্ডের গোড্ডা, পাকুড়, দেওঘর, জামতাড়া, সাহেবগঞ্জের মতো জেলায় বাড়ছে অনুপ্রবেশ। যার ফলে বদলে যাচ্ছে জনবিন্যাস। ঝাড়খণ্ড যখন বিহার থেকে আলাদা হল তখন এর জনসংখ্যার ৩৬ শতাংশ ছিল আদিবাসী। এখন সেটা কমে গিয়ে হয়েছে ২৪ শতাংশ। সেই কারণেই অনুপ্রবেশ রোখা দরকার। আর তা করতে গিয়েই এনআরসি চালু করতে চায় বিজেপি।

    এনআরসি চালুর দাবি

    ব্যাপক অনুপ্রবেশের কারণেই বাংলা, বিহার ও ঝাড়খণ্ডের জনবিন্যাস বদলে যাচ্ছে দ্রুত। তাই এই তিন রাজ্যেই এনআরসি চালু করতে চায় বিজেপি। বছরখানেক আগে সেই দাবি তুলেছিলেন বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবেও। এই তিন রাজ্যের সরকারই এনআরসির ঘোরতর বিরোধী। তবে ঝাড়খণ্ডে বিজেপি এনআরসিকে হাতিয়ার করেই নির্বাচনী বৈতরণী পার হতে চাইছে বলেই ধারণা রাজনৈতিক মহলের।

    জানা গিয়েছে, সীমান্ত পেরিয়ে (NRC) পশ্চিমবঙ্গে ঢুকছে বাংলাদেশিরা। পরে জাল নথিপত্র বানিয়ে ঢুকে পড়ছে পড়শি রাজ্য ঝাড়খণ্ডে। স্থানীয় মহিলাদের বিয়ে করে ধর্মান্তরিত করার অভিযোগও উঠেছে তাদের বিরুদ্ধে। বিয়ে করে কৌশলে হাতিয়ে নিচ্ছে আদিবাসীদের জমি। যা বস্তুত অবৈধ। অনুপ্রবেশকারীদের এহেন বাড়বাড়ন্তে শঙ্কিত বিজেপি। আদিবাসীদের জমি যাতে কোনওভাবেই বেহাত হয়ে না যায়, তাই অনুপ্রবেশ বন্ধে জোর দিয়েছে বিজেপি। নির্বাচনী প্রচারে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশ এবং এনআরসিকেই হাতিয়ার করেছে পদ্মশিবির। ১২ সেপ্টেম্বর ঝাড়খণ্ড হাইকোর্টে দাখিল করা একটি হলফনামায়ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক বলেছে, কেন্দ্র ঝাড়খণ্ডের নানা অংশে অবৈধ অভিবাসন নিয়ে উদ্বিগ্ন।

    আরও পড়ুন: মার্কিন মুলুকেই বৈঠকে জয়শঙ্কর-তৌহিদ, হাসিনাকে নিয়ে কী আলোচনা হল?

    এদিকে, সোমবার নির্বাচন কমিশনের প্রধান রাজীব কুমারের নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশনের সদস্যরা রাঁচি ঘুরে গিয়েছেন। তাঁদের সঙ্গে বৈঠকও করেছে রাজ্য বিজেপি। সাফ জানিয়ে দিয়েছে, রাজ্যের নির্বাচনে যেন (Shivraj singh Chouhan) অনুপ্রবেশকারীরা কোনওভাবেই অংশ নিতে না পারে (NRC)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Antibiotics: অ্যান্টিবায়োটিকে বিষাক্ত পদার্থ! হদিশ জাল ওষুধ চক্রের! ভয়ঙ্কর তথ্য নাগপুর পুলিশের রিপোর্টে

    Antibiotics: অ্যান্টিবায়োটিকে বিষাক্ত পদার্থ! হদিশ জাল ওষুধ চক্রের! ভয়ঙ্কর তথ্য নাগপুর পুলিশের রিপোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  জাল ওষুধের রমরমা কারবার। রোগ-ব‌্যধি উপশমকারী উপাদানের বদলে ওষুধে মিশে রয়েছে ট‌্যালকম পাউডার আর স্টার্চ। এমনই ভয়ঙ্কর তথ্য উঠে এল নাগপুর  (গ্রামীণ) পুলিশের (Nagpur) তদন্ত রিপোর্টে। গত ২০ সেপ্টেম্বর এই বিষয়ে ১,২০০ পৃষ্ঠার বিস্তারিত তদন্ত রিপোর্ট জমা পড়ে। সেখানেই দেখা যাচ্ছে, হাসপাতালে ভুয়ো অ্যান্টিবায়োটিক (Antibiotics) দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে গোটা মহারাষ্ট্রে। ওয়ার্ধা, নানদেড়, থানে সব জায়গায় এক চিত্র। জানা গিয়েছে, এর পিছনে রয়েছে একটি বড় চক্র। তবে শুধু মহারাষ্ট্র নয়, জাল ওষুধ যেত উত্তরপ্রদেশ, ঝাড়খণ্ড ও ছত্তিশগড়েও।

    হরিদ্বারের এক পশু-ওষুধের ল‌্যাবরেটরিতে তৈরি হত জাল ওষুধ

    উত্তরপ্রদেশ, ঝাড়খণ্ড, ছত্তিশগড়, মহারাষ্ট্রের মতো একাধিক রাজ্যে সরবরাহ করা হত ভুয়ো অ্যান্টিবায়োটিক (Antibiotics) এবং তা খেতেন রোগীরা। জানা গিয়েছে, হরিদ্বারের এক পশু-ওষুধের ল‌্যাবরেটরিতে তৈরি হত ওষুধের নামে গায়ে মাখার সস্তা পাউডার আর স্টার্চের এই বিষাক্ত মিশ্রণ। আর তার পর সেই ‘ওষুধ’ পাঠিয়ে দেওয়া হত একের পর এক রাজ্যে। হাওয়ালা চক্রের মাধ‌্যমে মুম্বই থেকে উত্তরপ্রদেশের সাহারানপুরে আসত কোটি কোটি টাকা। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে মাসে নীতিন ভাণ্ডারকর নামে এক ড্রাগ ইনস্পেক্টরের হাত ধরে এই জাল ওষুধ চক্রের পর্দা ফাঁস হয়।

    গ্রেফতার একাধিক অভিযুক্ত

    জানা গিয়েছে, জাল ওষুধ চক্রের পর্দাফাঁসের সূত্রপাত নাগপুরের কলমেশ্বরের এক গ্রামীণ হাসপাতালে। সেখানেই পরিদর্শনে গিয়ে প্রথম নীতিন ভাণ্ডারকর বোঝেন, অ‌্যান্টিবায়োটিকের (Antibiotics) নামে ভুয়ো ওষুধ দেওয়া হচ্ছে রোগীদের। তিনি ওষুধ সরবরাহকারী এবং বণ্টনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন ফুড অ‌্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনে (এফডিএ)। এরপরেই শুরু হয় তদন্ত। প্রথমেই গ্রেফতার করা হয় হেমন্ত মুলে নামে এক ব্যক্তিকে। পরে সেই সূত্র ধরেই পাকড়াও করা হয় মিহির ত্রিবেদী, বিজয় চৌধুরি, গগন সিং, রবিন তানেজা, রমণ তানেজাকে। এঁদের সূত্র ধরে খোঁজ মেলে হরিদ্বারের পশু ল‌্যাবরেটরির (Antibiotics)। এই ‌ল‌্যাবরেটরির মালিক অমিত ধীমান নামে এক ব‌্যক্তি, যিনি আগে থেকেই জেলবন্দি। পুলিশ জানিয়েছে, এই চক্রের মাথাদের ব্যাঙ্ক লেনদেন দেখা যাচ্ছে কোটি কোটি টাকা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share