Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Jyotiraditya Scindia: ১০ বছরে ভারতে তিনটি আন্তর্জাতিক হাব গড়ে উঠবে, প্রত্যয়ী জ্যোতিরাদিত্য

    Jyotiraditya Scindia: ১০ বছরে ভারতে তিনটি আন্তর্জাতিক হাব গড়ে উঠবে, প্রত্যয়ী জ্যোতিরাদিত্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী এক দশকের মধ্যে ভারতে অন্তত তিনটি আন্তর্জাতিক ব্যবসা কেন্দ্র (International Business Centres) গড়ে উঠবে। এমনটাই জানালেন কেন্দ্রীয় যোগাযোগ ও উন্নয়ন মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া (Jyotiraditya Scindia)। সম্প্রতি, নয়াদিল্লিতে ‘ভারতের আরোহণ: বৈশ্বিক অনিশ্চয়তা’ থিমের উপর ৫১তম জাতীয় ব্যবস্থাপনার কনভেনশনে যোগ দিয়েছলেন তিনি। সেখানেই দেশের গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রগুলিতে দ্রুত আর্থিক বৃদ্ধির উপর জোর দিয়ে মত প্রকাশ করেছেন। 

    ১৫৯টি বিমানবন্দর নির্মাণ করতে পেরেছি (Jyotiraditya Scindia)

    সিন্ধিয়া (Jyotiraditya Scindia) জোর দিয়ে বলেন, “আমি নিশ্চিত যে আগামী এক দশকে, ভারত একটি আন্তর্জাতিক হাব নয়, ভারতে অন্তত তিনটি আন্তর্জাতিক হাব তৈরি হতে দেখব। ভারত আজ বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম মোবাইল ফোন উৎপাদনকারী দেশ (International business cente)। আমরা প্রতিদিন হাইওয়ে নির্মাণের কিলোমিটারের সংখ্যা তিনগুণ বাড়িয়ে ১১ থেকে ৩৩ কিলোমিটার করেছি। আমার অতীতের প্রেক্ষিতে ২০১৪ সালে ভারতের ৭৪টি বিমানবন্দর ছিল। বর্তমানে সেখান ২০২৪ সালের শেষ গণনাতে ১৫৯টি বিমানবন্দর নির্মাণ করতে পেরেছি। আজ আমাদের দিল্লি, বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম ক্ষমতাসম্পন্ন বিমানবন্দরে উত্তীর্ণ করতে সক্ষম হয়েছে। আমাদের পূর্ব এবং পশ্চিমের প্রতিবেশী দেশগুলিকে এখন তাদের বিমান চলাচলের আন্তর্জাতিক রুটকে ভারত কেন্দ্রিক করার উপর জোর দিতে হবে।”

    আরও পড়ুনঃ ভেঙে পড়া নৌসেনার সি-গার্ডিয়ান ড্রোন প্রতিস্থাপন করবে মার্কিন সংস্থা

    ১১৯ কোটি মোবাইল গ্রাহকে উন্নীত

    সম্মেলনে ভাষণ দিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সিন্ধিয়া (Jyotiraditya Scindia) আরও বলেন, “আয়ুষ্মান ভারত যোজনার অধীনে, আজ সাড়ে ২৮ কোটি লোকের বার্ষিক পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত স্বাস্থ্য বীমা দেওয়া হয়েছে। আমাদের ১০ কোটি মা-বোনেদের উজ্জ্বলা যোজনার আওতায় আনা হয়েছে। উল্লেখ্য এসব দেশে গত ৭৫ বছরে ঘটেনি। এই সবই ভারতের অগ্রগতির গত এক দশকে সম্পন্ন হয়েছে। দেশের ব্রডব্যান্ড ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৬ কোটি থেকে ৯৪ কোটিতে পৌঁছে গিয়েছে। শুধুমাত্র গত এক দশকে ৩০ লাখ কিলোমিটার অপটিক্যাল ফাইবার স্থাপন করা হয়েছে। বর্তমানে আমরা ১১৯ কোটির মোবাইল গ্রাহক সংখ্যায় উন্নীত হয়েছি। ভারতে ডিজিটাল বিপ্লবও ব্যাপক ভাবে সফল হয়েছে। মোবাইল ইন্টারনেট সংযোগ ২৫ কোটি থেকে ৯৪ কোটিতে পৌঁছে গিয়েছে। প্রতি জিবি ডেটার খরচ আজ ২৮০ টাকা থেকে ১২.৮ টাকায় নেমে এসেছে, মোট খরচ প্রায় ৯৫ শতাংশ কমেছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Chandrababu Naidu: চন্দ্রবাবুর দাবি সত্যি, পরীক্ষায় তিরুপতির প্রসাদী লাড্ডুতে মিলল পশুর চর্বির অস্তিত্ব

    Chandrababu Naidu: চন্দ্রবাবুর দাবি সত্যি, পরীক্ষায় তিরুপতির প্রসাদী লাড্ডুতে মিলল পশুর চর্বির অস্তিত্ব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কোনও রাজনীতি নয়, যা বলছেন তা সত্যি! তিরুপতির বেঙ্কটেশ্বর মন্দিরের লাড্ডু নিয়ে অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইড়ুর (Chandrababu Naidu) অভিযোগকে মান্যতা দিল সরকারি ল্যাবরেটরি। চন্দ্রবাবুর অভিযোগ ছিল, ‘ওয়াইএসআর কংগ্রেসের শাসনকালে তিরুপতি মন্দিরের (Tirupati Temple) লাড্ডুতে পশুর চর্বি ব্যবহার করা হত।’ বেঙ্কটেশ্বর মন্দিরে লাড্ডু তৈরির সময় পশুর চর্বি মেশানোর কথা অস্বীকার করেছিল পূর্বতন সরকার। কিন্তু নিজের দাবিকে সত্যি প্রমাণিত করলেন চন্দ্রবাবু। তিনি ওই লাড্ডু গুজরাটের একটি সরকারি ল্যাবে পরীক্ষার জন্য পাঠান। ল্যাবরেটরির রিপোর্ট বলছে, তিরুপতির লাড্ডুতে ব্যবহার করা ঘিতে মাছের তেল, গরু ও শূকরের চর্বি মিলেছে। এই নিয়ে দেশজুড়ে বিতর্কের সৃষ্টি হওয়ায় অন্ধ্রপ্রদেশ সরকারের রিপোর্ট তলব করল কেন্দ্র।

    কী বলছে ল্যাবের রিপোর্ট?

    গুজরাটের ন্যাশনাল ডেয়ারি ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের সেন্টার অফ অ্যানালাইসিস অ্যান্ড লার্নিং ইন লাইভস্টক অ্যান্ড ফুড (CALF) ল্যাবরেটরির একটি রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে যে, প্রসাদ তৈরির জন্য ব্যবহৃত ঘিতে “এস ভ্যালু” (S-value) নির্ধারিত সীমার বাইরে ছিল, যা নির্দেশ করে যে সেই ঘিতে বিদেশি চর্বি মেশানো হয়েছে। রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, লাড্ডুতে ব্যবহার করা হয়েছে মাছের তেল, গরুর চর্বি এবং শূকরের চর্বি। এছাড়াও লাড্ডুতে সয়াবিন, সূর্যমুখী, অলিভ, রেপসিড, লিনসিড, গমের ভুসি, ভুট্টার ভুসি, নারকেল এবং পাম অয়েলের মতো বিভিন্ন উদ্ভিজ্জ উপাদানও ব্যবহার করা হয়েছে।

    হতাশ ভক্তরা

    তিরুমালা তিরুপতি দেবস্থানম (TTD) দ্বারা পরিচালিত তিরুমালা ভেঙ্কটেশ্বর মন্দির অন্ধ্রপ্রদেশের তিরুমালা পাহাড়ে অবস্থিত এবং এটি ভগবান বিষ্ণুর অবতার শ্রী ভেঙ্কটেশ্বরকে উৎসর্গ করা হয়েছে। এই মন্দিরটি হিন্দুদের মধ্যে অত্যন্ত পূজনীয় এবং বিশ্বজুড়ে ভক্তরা এখানে প্রার্থনা করতে আসেন। বিশেষ করে বিখ্যাত “লাড্ডু প্রসাদাম” এখানে ভক্তদের কাছে অত্যন্ত পবিত্র হিসেবে বিবেচিত হয়। প্রতিদিন বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে ভক্তদের ঢল নামে এই লাড্ডু সংগ্রহের জন্য। সেই প্রসাদেই পশুর চর্বির কথা শুনে মাথায় হাত পড়েছে ভক্তদের।

    রিপোর্ট তলব

    লাড্ডু নিয়ে এই বিস্ফোরক রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসতেই তিরুপতি মন্দির কর্তৃপক্ষ একটি প্যানেল গঠন করেছেন। ওই প্যানেল ঘিয়ের গুণগত মান পরীক্ষা করে দেখবে। তিরুমালা তিরুপতি দেবস্থানমের এক্সিকিউটিভ অফিসার জানিয়েছেন, এই কমিটিতে চারজন থাকবেন। এক সপ্তাহের মধ্যে তাঁদের রিপোর্ট দিতে হবে।

    আরও পড়ুন: ভেঙে পড়া নৌসেনার সি-গার্ডিয়ান ড্রোন প্রতিস্থাপন করবে মার্কিন সংস্থা

    কী অভিযোগ

    বুধবার অমরাবতীতে এনডিএ বিধায়কদের বৈঠকে ছিল। সেই বৈঠকেই চন্দ্রবাবু বলেন, ‘‘তিরুমালা লাড্ডুও নিম্নমানের উপাদান দিয়ে তৈরি করা হয়েছিল…ঘিয়ের বদলে ওরা পশুর চর্বি ব্যবহার করেছিল।’’ এখানে ‘ওরা’ বলতে ওয়াইএসআর কংগ্রেসের আমলের কথাই বলেছেন অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী। তিনি দাবি করেন, এখন খাঁটি ঘি ব্যবহার করা হচ্ছে এবং মন্দিরে সবকিছু স্যানিটাইজ করা হয়েছে। ফলে সার্বিক গুণমান উন্নত হয়েছে। আবার একই সুরে জগন মোহন রেড্ডির সরকারকে তোপ দেগেছেন রাজ্যের তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী নারা লোকেশ। তিনি বলেন, ‘‘তিরুমালার ভগবান ভেঙ্কটেশ্বর স্বামী মন্দির আমাদের সবচেয়ে পবিত্র মন্দির। আমি অবাক হয়েছি যে ওয়াইএস জগন মোহন রেড্ডি প্রশাসন তিরুপতি প্রসাদে ঘিয়ের পরিবর্তে পশুর চর্বি ব্যবহার করেছে।’’

    তদন্তের দাবি

    বিজেপি অন্ধ্রের মুখপাত্র জি ভানুপ্রকাশ রেড্ডি এই বিষয়ে একটি পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন। তাঁর দাবি পূর্ববর্তী ওয়াইএসকে সরকার এই ঘটনার জন্য দায়ী। জগন মোহন রেড্ডি সরকার “স্পষ্টভাবে হিন্দু বিরোধী” এবং তিরুমালা তিরুপতি দেবস্থানমের তহবিলের অব্যবস্থাপনা করা হয়েছে। তিনি ঘি সরবরাহের শৃঙ্খল নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, গরু বেল্ট অঞ্চলে সমবায় সমিতিগুলিকে দরপত্র দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেপি নাড্ডা অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী এন চন্দ্রবাবু নাইডুর কাছে তিরুপতি লাড্ডু তৈরিতে ব্যবহৃত ঘিতে পশুর চর্বি থাকার অভিযোগে একটি “বিস্তারিত প্রতিবেদন” চেয়েছেন। এদিকে, খাদ্যমন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশি পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন। তাঁর কথায়, “মুখ্যমন্ত্রী যা বলেছেন তা গুরুতর উদ্বেগের বিষয়। একটি বিশদ তদন্ত প্রয়োজন এবং অপরাধীকে শাস্তি দেওয়া উচিত।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • One Nation One Election: ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ কার্যকর করতে চাইছেন মোদি, কী এর উপকারিতা?

    One Nation One Election: ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ কার্যকর করতে চাইছেন মোদি, কী এর উপকারিতা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক দেশ, এক নির্বাচন (One Nation One Election)। দীর্ঘদিন ধরেই এর পক্ষে সওয়াল করে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। সোমবারই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও বলেছিলেন, মোদি সরকারের তৃতীয় মেয়াদেই এক দেশ, এক নির্বাচন কার্যকর করা হবে। এ সংক্রান্ত রিপোর্টও পেশ করেছে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের নেতৃত্বাধীন কমিটি।

    কেন এক দেশ, এক নির্বাচন (One Nation One Election)

    বুধবার কোবিন্দ কমিটির সেই প্রস্তাব অনুমোদনও করেছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। জানা গিয়েছে, সংসদের শীতকালীন অধিবেশনেই পেশ করা হবে এ সংক্রান্ত বিলটি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সরকারের এহেন প্রস্তাবের বিরুদ্ধাচরণ করতে শুরু করেছে বিজেপি বিরোধী বিভিন্ন দল। তার পরেও বিলটি সংসদে পেশ করতে ও পাশ করাতে মরিয়া মোদি সরকার। এ ক্ষেত্রে কেন্দ্রের যুক্তি স্পষ্ট। এক দেশ, এক নির্বাচন কার্যকর হলে বারবার ভোট করতে যে বিপুল পরিমাণ টাকা খরচ হয়, তা বন্ধ হবে। নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হওয়ার পরেই লাগু হয়ে যায় আদর্শ আচরণবিধি। এই কারণে থমকে যায় উন্নয়নমূলক কাজকর্ম। উন্নয়নের গতির চাকা থমকে যাওয়ায় সমস্যায় পড়েন সাধারণ মানুষ। এহ বাহ্য। ঘন ঘন নির্বাচন হলে ঝামেলা পোহাতে হয় ভোট কর্মীদের। তাদের প্রশিক্ষণের পেছনে ব্যয় হয় সময়, অর্থ। কাজকর্ম ফেলে তাঁদের যেতে হয় ভোট করাতে। এক দেশ, এক নির্বাচন হলে, এই তিন সমস্যাই মিটবে। তার পরেও অযথা বিরোধীরা হইচই করছেন বলে অভিযোগ।

    বিশ্বের অনেক দেশেই রয়েছে এই ব্যবস্থা

    অথচ, বিশ্বের অনেক দেশেই চালু হয়েছে এক দেশ, এক নির্বাচন (One Nation One Election) ব্যবস্থা। এই তালিকায় যেমন রয়েছে সুইডেন, বেলজিয়ামের মতো দেশ, তেমন রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকাও। এই দেশগুলিতে জাতীয় ও রাজ্য নির্বাচন হয় একই সঙ্গে। বিশ্বের আরও কয়েকটি দেশেও চালু রয়েছে এই ব্যবস্থা। এ তো গেল বিদেশের কথা। ভারতেও বেশ কয়েকবার একই সঙ্গে নির্বাচন হয়েছে লোকসভা ও বিধানসভার। ১৯৪৭ সালে দেশ স্বাধীন হয়। প্রথমবার নির্বাচন হয় ১৯৫২ সালে। তার পর থেকে ১৯৬৭ সাল পর্যন্ত যত নির্বাচন হয়েছে, প্রতিবারই লোকসভার সঙ্গে সঙ্গে নির্বাচন হয়েছে বিধানসভারও। দিব্যিই চলছিল এই ব্যবস্থা। গোল বাঁধে ১৯৬৮ ও ১৯৬৯ সালে। মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই ভেঙে গিয়েছিল কয়েকটি বিধানসভা। শুরু হয় অকাল নির্বাচন। তার পর থেকে আর এক সঙ্গে ভোট হয়নি। লোকসভা এবং রাজ্য বিধানসভার নির্বাচন হয়েছে আলাদা আলাদা সময়ে।

    এই ব্যবস্থায়ই বদল আনতে চান মোদি

    এই ব্যবস্থাতেই বদল আনতে চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। আজ নয়, তিনি যখন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন, সেই সময় থেকেই। ২০১৪ সালে কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসে বিজেপি। প্রধানমন্ত্রী হন নরেন্দ্র মোদি। সেই সময়ও তিনি এক দেশ, এক নির্বাচনের প্রস্তাব দেন। ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে বিজেপি যে ইস্তাহার প্রকাশ করেছিল, তাতেও এক দেশ, এক নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। তবে দ্বিতীয় মোদি জমানায় সেই প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে পারেনি নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকার। সেই দফায় জম্মু-কাশ্মীর থেকে রদ হয়েছিল ৩৭০ ধারা এবং ৩৫ এ ধারা। তৃতীয়বার ক্ষমতায় এসেই এক দেশ, এক নির্বাচন কার্যকর করতে কোমর কষে মাঠে নেমে পড়েছে মোদি সরকার। সোমবারই যার প্রতিধ্বনি শোনা গিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের গলায়।

    কোবিন্দ কমিটি

    তবে এক দেশ, এক নির্বাচন (One Nation One Election) কার্যকর করতে মোদি সরকার যে বদ্ধপরিকর, তার আঁচ মিলেছিল গত সেপ্টেম্বরেই। তখনও লোকসভা নির্বাচনের ঢের দেরি। মোদি সরকার ক্ষমতায় ফিরবে কিনা, তাও নিশ্চিত ছিল না। তা সত্ত্বেও, কার্যত দেশের স্বার্থেই এক দেশ, এক নির্বাচন প্রস্তাব কার্যকর করতে কোবিন্দের নেতৃত্বে উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করে মোদি সরকার। সেই কমিটি কথা বলে দেশের ৩৯টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে। আলোচনা করে অর্থনীতিবিদ এবং ভারতের নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে। বিশ্বের যেসব দেশে এক সঙ্গেই সাধারণ নির্বাচন ও প্রাদেশিক আইনসভাগুলির নির্বাচন হয়, সেসব দেশে কীভাবে এই ব্যবস্থা পরিচালিত হয়, তাও খতিয়ে দেখে কোবিন্দ কমিটি। শেষমেশ দিন কয়েক আগে রিপোর্ট পেশ করে সেই কমিটিই। তার পরেই এ নিয়ে শুরু হয়েছে দেশজুড়ে চর্চা।

    কীভাবে কার্যকর করা হবে

    কোবিন্দ কমিটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দু’ধাপে কার্যকর করা যেতে পারে এই ব্যবস্থা। প্রথমে একযোগে হবে লোকসভা ও বিধানসভাগুলির নির্বাচন (One Nation One Election)। এর ঠিক ১০০ দিনের মধ্যে করা হবে দেশের সব পুরসভা ও গ্রাম পঞ্চায়েতের নির্বাচন। অবশ্য, এই প্রস্তাব বাস্তবায়নের জন্য সংবিধান সংশোধনের প্রয়োজন। সংসদ ও রাজ্য বিধানসভাগুলির মেয়াদ, লোকসভা ও রাজ্য বিধানসভা ভেঙে দেওয়া এবং রাষ্ট্রপতি শাসন জারি সংক্রান্ত বিষয়গুলি সংশোধন করতে হবে। সংশোধন করতে হবে সংবিধানের ৮৩ ও ১৭২ নম্বর ধারা। এই দুই ধারায় বলা হয়েছে সংসদ ও রাজ্য বিধানসভাগুলির মেয়াদ কতদিনের হবে।

    কমিটি জানিয়েছে, শাসন ব্যবস্থাকে ব্যাহত না করে নির্বাচনগুলিকে একত্রিত করার জন্য টেকসই আইনি ব্যবস্থা প্রয়োজন। মেয়াদ ফুরনোর আগে কোনও সরকারের বিলুপ্তি ঘটাতে হলে সেই জায়গায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা যেতে পারে। অথবা সুসঙ্গত নির্বাচন চক্রে সামিল করতে নির্বাচনের মাধ্যমে স্বল্পমেয়াদের সরকার গঠন করা যেতে পারে।

    বাড়বে ভোটার

    কোবিন্দ কমিটির রিপোর্টে এক দেশ, এক নির্বাচনের (One Nation One Election) সুখ্যাতি গাওয়া হয়েছে। রিপোর্টে বলা হয়েছিল, একযোগে নির্বাচন হলে নির্বাচনী খরচ এক ধাক্কায় কমে যাবে অনেকটা। প্রশাসনিক বোঝাও হালকা হবে। বাড়বে ভোটারের সংখ্যাও। কমিটির বক্তব্য, বারবার নির্বাচন হলে অনেক সময়ই ভোট দেওয়ার আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন ভোটাররা। কর্মসূত্রে যাঁরা বাইরে থাকেন, তাঁদের সমস্যাটা আরও বেশি। কাজের ক্ষতি করে মোটা টাকা গচ্চা দিয়ে বারবার ভোট দিতে ‘গাঁয়ে’ ফেরা তাঁদের পক্ষেও বোঝা স্বরূপ। এক সঙ্গে নির্বাচন হলে, এক ঢিলে তাঁরা মারতে পারবেন দুই পাখি। এক খরচে এবং এক ছুটিতেই লোকসভা ও বিধানসভার ভোট দিয়ে তাঁরা ফিরতে পারবেন কর্মস্থলে।

    ২০২৯ সালেই এক দেশ, এক নির্বাচন

    দেশে ফের লোকসভা নির্বাচন হবে ২০২৯ সালে। সে ক্ষেত্রে কী হবে সেই সব রাজ্যের, যেগুলিতে আগামী বছরই নির্বাচন রয়েছে? এই তালিকায় রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ, দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ এবং তামিলনাড়ু। কোবিন্দ কমিটির রিপোর্টে সেই প্রসঙ্গেরও অবতারণা করা হয়েছে। এবং কীভাবে এর সমাধান করা হবে, তাও বাতলে দেওয়া হয়েছে। যেসব রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন হবে ২০২৫ সালে, সেই সব রাজ্যের বিধানসভার মেয়াদ হবে চার বছরের। আবার কর্নাটকের মতো রাজ্য যেখানে বিধানসভা নির্বাচন হওয়ার কথা ২০২৮ সালে, সেখানে বিধানসভার মেয়াদ হবে মাত্রই কয়েক মাসের।

    আরও পড়ুন: মেডিক্যাল কলেজে কায়েম ‘থ্রেট কালচার’, জানুন এই সংস্কৃতি সম্পর্কে

    যদি কখনও কোনও কারণে মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার আগেই সংসদ ভেঙে দেওয়ার প্রয়োজন হয়, তখন নতুন করে নির্বাচন আয়োজনের পরামর্শও দিয়েছে কোবিন্দ কমিটি। সেক্ষেত্রে পরবর্তী মেয়াদকে এমনভাবে সীমাবদ্ধ করতে হবে যাতে তাকে মিলিয়ে (PM Modi) দেওয়া যায় পরবর্তী এক দেশ, এক নির্বাচনের (One Nation One Election) সঙ্গে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Supreme Court: উড়ে গেল আরজি কর মামলার ভিডিও, সুপ্রিম কোর্টের ইউটিউব চ্যানেল হ্যাক্‌ড!

    Supreme Court: উড়ে গেল আরজি কর মামলার ভিডিও, সুপ্রিম কোর্টের ইউটিউব চ্যানেল হ্যাক্‌ড!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) ইউটিউব চ্যানেল হ্যাক্‌ড! শুক্রবার সকাল থেকেই সুপ্রিম কোর্টের ইউটিউব চ্যানেলে সমস্যা দেখা দেয়। শুধু তাই নয়, শীর্ষ আদালতের ইউটিউব চ্যানেল থেকে ‘উধাও’ হয়ে গিয়েছে আরজি কর (RG Kar) মামলার শুনানির ভিডিও পর্যন্ত। এনিয়ে রীতিমতো চাঞ্চল্য পড়ে গিয়েছে। এই ঘটনাকে স্বাভাবিক বলে মানতে নারাজ অনেকেই।

    ঘটনা পরিকল্পিত হতে পারে বলে অনেকেই মনে করছেন 

    কেউ কেউ বলছেন, ‘‘এটা ছোটখোটো ঘটনা নয়, হতে পারে পরিকল্পিত। কারণ আরজি কর কাণ্ডের (RG Kar) আবহেই এমন ঘটনা ঘটল। শুধু তাই নয়, আরজি করের শুনানির (Supreme Court) ভিডিও পর্যন্ত উধাও হয়ে গেল।’’ প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্টে আরজি করের শেষ শুনানির দিন লাইভ স্ট্রিমিং নিয়ে রাজ্য আগেই আপত্তি জানানো হয়েছিল রাজ্যের তরফে। কিন্তু সেই আবেদন খারিজ করে দেন প্রধান বিচারপতি। প্রধান বিচারপতি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের আইনজীবীকে সেই সময় বলেন, ‘‘আমরা শুনানির সরাসরি সম্প্রচার বন্ধ করতে বলতে পারব না। এটি জনস্বার্থ মামলা। ‘ওপেন কোর্ট’-এ শুনানি হচ্ছে। আপনাদের বিষয়টি আমরা দেখব।’’ এই আবহে ভিডিও গায়েব হয়ে গেল আরজি করে শুনানির।

    খতিয়ে দেখা হচ্ছে কোন চক্র এর সঙ্গে জড়িত (Supreme Court)

    দেশের সর্বোচ্চ আদালতের (Supreme Court) বিচার প্রক্রিয়া যেখানে লাইভ স্ট্রিমিং হয়, সেই চ্যানেলই হ্যাক হওয়ায়, তা নিরাপত্তায় বড়সড় ত্রুটি হিসাবেই দেখা হচ্ছে। খতিয়ে দেখা হচ্ছে কোন চক্র এর সঙ্গে জড়িত। জানা গিয়েছে, শুক্রবার সকালেই সুপ্রিম কোর্টের ইউটিউব চ্যানেল হ্যাক হয়ে গিয়েছে। শীর্ষ আদালতের বিচার প্রক্রিয়ার লাইভ স্ট্রিমিংয়ের বদলে উল্টো-পাল্টা নানা ভিডিও সেখানে দেখা যাচ্ছে। কখনও ক্রিপ্টো কারেন্সি সংক্রান্ত ভিডিও দেখা যাচ্ছে। কেউ আবার সার্চ করেও সুপ্রিম কোর্টের চ্যানেলটিই খুঁজে পাচ্ছেন না। শীর্ষ আদালতের ইউটিউব চ্যানেলের লিঙ্ক আপাপতত নিষ্ক্রিয় করে দেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর মামলার শুনানির যে ভিডিও রেকর্ডিং ছিল, তা হ্যাকাররা প্রাইভেট করে দিয়েছে। ওই সংক্রান্ত ভিডিও সার্চ করলেই, তার বদলে আসছে ‘Brad Garlinghouse: Ripple Responds To The SEC’s $2 Billion Fine! XRP PRICE PREDICTION’ নামক ক্রিপ্টোকারেন্সি সংক্রান্ত একটি লাইভ ভিডিও। এখানেই বাড়ছে সন্দেহ…।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Manipur: মণিপুরে নাশকতার বড় ছক ফাঁস, সেনা-পুলিশ যৌথ অভিযানে উদ্ধার ২৮ কেজি আইইডি

    Manipur: মণিপুরে নাশকতার বড় ছক ফাঁস, সেনা-পুলিশ যৌথ অভিযানে উদ্ধার ২৮ কেজি আইইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মণিপুরে (Manipur) সেনাবাহিনী এবং পুলিশের (Army Police) যৌথ অভিযানে ২৮.৫ কেজি ওজনের সাতটি ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস সংক্ষেপে আইইডি (IED) উদ্ধার হল। এক বিবৃতিতে এই কথা জানিয়েছে সেনা। বাহিনীর পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে আইইডিগুলিকে নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে। গত তিন মাসে মণিপুরে (Manipur) এটি ছিল দ্বিতীয় বড় আইইডি উদ্ধারের ঘটনা। 

    ইম্ফল পূর্ব জেলা থেকে উদ্ধার বিস্ফোরক (Manipur)

    সেনাবাহিনীর তরফ থেকে বলা হয়েছে, ‘‘ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস বিস্ফোরকগুলিকে, স্নিফার ডগের সাহায্যে অভিযান চালিয়ে ইম্ফল পূর্ব জেলার বোংজাং এবং ইথাম গ্রামের নিকটবর্তী পাহাড়ী এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। ফলে বড় রকমের নাশকতামূলক চক্রান্তকে ফাঁস সম্ভব হয়েছে। ভয়াবহ ষড়যন্ত্রের পরিকল্পনা করা হয়েছিল। তাকে প্রতিরোধ করে মূল্যবান জীবন এবং সম্পত্তির রক্ষা করা গিয়েছে।’’ এর আগে, গত ২০ জুলাই ইম্ফল পূর্ব জেলার সাইচাং এর পাহাড়ি এলাকায় ৩৩ কেজি আইইডি উদ্ধার ও নিষ্ক্রিয় করেছিল সেনা। বাহিনী জানিয়েছে,  ‘‘মণিপুর পুলিশের সঙ্গে সেনার সমন্বয়ের ফলে এই সাফল্য এসেছে। এই যৌথ অভিযানটি এলাকার নিরাপত্তাকে নিশ্চিত করেছে এবং একই ভাবে দেশবিরোধী জঙ্গি সংগঠনের বিরুদ্ধে কড়া বার্তাও দেওয়া হয়েছে।’’

    আরও পড়ুনঃ আর্থিক তছরুপ রুখতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা, ভারতের প্রশংসায় পঞ্চমুখ এফএটিএফ

    অনুপ্রবেশের অভিযোগে সতর্ক পুলিশ

    আবার পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মায়ানমার থেকে অনুপ্রবেশের বিষয়ে থৌবাল জেলার সিনিয়র অফিসারদের কাছে বিশেষ প্রশাসনিক বার্তা এসেছে। তাতে যে কোনও ধরনের হামলা এড়াতে নিরাপত্তা বাহিনীকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, মণিপুরে (Manipur) কুকি উপজাতি এবং মেইতিদের মধ্যে ২০২৩ সালের মে থেকে জমির অধিকার এবং রাজনৈতিক প্রতিনিধিত্ব সহ একাধিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সংঘর্ষ চলছে। মণিপুরের হিংসায় ইতিমধ্যে ২২০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। আহতের সংখ্যা কয়েক হাজার। এছাড়া, প্রায় ৫০ হাজার মানুষ গৃহহীন হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। মণিপুর সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, বহিরাগত শক্তি অত্যন্ত সক্রিয় ভাবে নানা ষড়যন্ত্র করছে, কিন্তু প্রশাসন নিরাপত্তা এবং শান্তি শৃঙ্খলা বিষয়ে অত্যন্ত সর্তকতা অবলম্বন করছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Indian Navy: ভেঙে পড়া নৌসেনার সি-গার্ডিয়ান ড্রোন প্রতিস্থাপন করবে মার্কিন সংস্থা

    Indian Navy: ভেঙে পড়া নৌসেনার সি-গার্ডিয়ান ড্রোন প্রতিস্থাপন করবে মার্কিন সংস্থা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লাদাখ সংঘাতের পর থেকেই সমুদ্র সুরক্ষা কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে ভারত (Indian Navy)। চিনকে আরও কড়া বার্তা দিতে সমুদ্রেও রণসজ্জা তৈরি হয়েছে। ভারত মহাসাগরে মোতায়েন করা হয়েছে নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ। চিন এবং পাশাপাশি পাকিস্তান, এই দুই বিরোধী শক্তিকে রুখতে সবরকম প্রস্তুতি চূড়ান্ত করার পরিকল্পনা চলছে দফায় দফায়। গত তিন সপ্তাহ ধরে ভারত মহাসাগর ও বঙ্গোপসাগর চষে ফেলছে দুটি ‘এমকিউ-৯বি সি-গার্ডিয়ান’ (MQ-9B Sea Guardian) ড্রোন। এগুলি আমেরিকার থেকে লিজ নিয়েছিল ভারত। কিন্তু গত বুধবার তার মধ্যে একটি ড্রোন হঠাতই যান্ত্রিক ত্রুটির সম্মুখীন হয় এবং বিকল হয়ে যায়। একটা ড্রোন দিয়ে যেহেতু নজরদারি চালানো সম্ভব নয় তাই শীঘ্রই ওই বিকল ড্রোন প্রতিস্থাপন করতে চলেছে মার্কিন সংস্থা জেনারেল অ্যাটমিকস (General Atomics)। ভারত-মার্কিন (Indian Navy) লিজ চুক্তি অনুযায়ী জেনারেল অ্যাটমিকস ড্রোন পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করছে।

    দ্রুত কেন প্রয়োজন এই ড্রোন

    পূর্ব লাদাখের গলওয়ান উপত্যকায় চিনা সেনাদের সঙ্গে সংঘর্ষের পর আমেরিকার কাছ থেকে দু’টি ‘এমকিউ-৯বি সি-গার্ডিয়ান’ (MQ-9B Sea Guardian) ড্রোন লিজ নিয়েছিল নয়াদিল্লি। ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চিনা কার্যকলাপের উপর নজর রাখতেই ড্রোনগুলি ব্যবহার করছে ভারতীয় নৌসেনা (Indian Navy)। ভারত মহাসাগরে বরাবরই আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে চিন। পূর্ব লাদাখে সীমান্ত সংঘাতের পর থেকে সমুদ্রেও চোরাগোপ্তা পথে হামলা চালানোর ছক কষছে তারা। তাই সুরক্ষা কয়েকগুণ বাড়ানো হয়েছে। চেন্নাইয়ের ৮০ কিলোমিটার পূর্বে আরাক্কোনাম এয়ারবেস থেকে নামানো হয়েছে দুটি সি-গার্ডিয়ান ড্রোন। সি গার্ডিয়ান হল হাই অল্টিটিউড লং এন্ডুর‍্যান্স – রিমোটলি পাইলটেড এয়ারক্র্যাফট (HALE-RPA), যা সমুদ্রের উপরে ৪০ হাজার ফুট উচ্চতা অবধি উড়তে পারে। টানা ৩৩ ঘণ্টা আকাশে ঘুরে নজরদারি চালাতে পারে। রিমোর্ট কন্ট্রোলে চালনা করা যায় এই ড্রোন। নৌসেনা (Indian Navy) জানাচ্ছে, শীত নেমেছে লাদাখে। তাপমাত্রা পৌঁছেছে হিমাঙ্কের নিচে। তুষারপাত শুরু হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে পাহাড়ি এলাকার বদলে সমুদ্রে হামলা চালানোর চেষ্টা করতে পারে চিন। বিশেষত সমুদ্র উপকূলীয় দ্বীপগুলিতে নজরদারি চালাতে তাই এই ড্রোন প্রয়োজন।

    আরও পড়ুন: “পাকিস্তান আর কংগ্রেসের অ্যাজেন্ডা একই”, কাটরার সভায় সরব মোদি

    ড্রোন প্রতিস্থাপনের ব্যবস্থা

    ভারতীয় নৌবাহিনী (Indian Navy) সূত্রে খবর, বুধবার প্রযুক্তিগত ব্যর্থতার সম্মুখীন হওয়ার পরে চেন্নাইয়ের কাছে বঙ্গোপসাগরে আছড়ে পড়েছিল দুর্ঘটনাগ্রস্ত ড্রোনটি (MQ-9B Sea Guardian)। ভারতীয় নৌবাহিনী জানিয়েছে, চেন্নাইয়ের কাছে আরাককোনামের নৌসেনার বিমানঘাঁটি আইএনএস রাজালি থেকে ড্রোনটি পরিচালনা করা হচ্ছিল। চেন্নাইয়ের উপকূলে ঘটে যাওয়া এই দুর্ঘটনার বিষয়ে ভারতীয় নৌবাহিনী প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংকে জানায়। তারপরই দ্রুত ড্রোনটি প্রতিস্থাপনের ব্যবস্থা করা হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • FATF: আর্থিক তছরুপ রুখতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা, ভারতের প্রশংসায় পঞ্চমুখ এফএটিএফ

    FATF: আর্থিক তছরুপ রুখতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা, ভারতের প্রশংসায় পঞ্চমুখ এফএটিএফ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্ত্রাসবাদে অর্থায়ন ও অর্থ পাচার (Money Laundering) বিরোধী ব্যবস্থার বিষয়ে ভারতের মূল্যায়ন সম্পর্কিত রিপোর্ট প্রকাশ করেছে ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স, সংক্ষেপে এফএটিএফ (FATF)। ফ্রান্সে স্থিত সন্ত্রাসবিরোধী নজরদারি এই সংস্থা জানিয়েছে, ভারত অপরাধ থেকে অর্থ পাচারের গন্তব্য নয়।

    এফএটিএফ (FATF)

    সংস্থা এও প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, প্রতি তিন বছর অন্তর একবার করে হবে ভারতের ঝুঁকি মূল্যায়ন। বিশ্বের আর্থিক তছরুপ ও জঙ্গি সংগঠনের আর্থিক লেনদেনের ওপর নজরদারি চালায় এফএটিএফ। এই প্রতিষ্ঠানের সদর দফতর প্যারিসে। বৃহস্পতিবার ভারত সম্পর্কে মূল্যায়ন রিপোর্ট প্রকাশ করেছে এই সংস্থা। সেই রিপোর্টে মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়নের হুমকি মোকাবিলায় ভারতের সিস্টেমের প্রশংসা করা হয়েছে। আর্থিক জালিয়াতি মামলায় বিচার ত্বরান্বিত করতে ভারতকে আহ্বানও জানিয়েছে প্যারিস-ভিত্তিক এই সংস্থা।

    এফএটিএফের মূল্যায়ন রিপোর্ট

    মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়নের বিরুদ্ধে ভারতের পদক্ষেপের পূর্ববর্তী মূল্যায়ন রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছিল ২০১০ সালে। পরবর্তী মূল্যায়ন রিপোর্ট প্রকাশিত হবে ২০৩১ সালে। এফএটিএফের (FATF) প্রকাশিত মূল্যায়ন রিপোর্টে স্বীকার করা হয়েছে, ভারত অ্যান্টি মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসবাদের অর্থায়ন স্ট্রাকচারের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য অনেক ক্ষেত্রেই কার্যকরী উন্নয়ন করেছে।

    রিপোর্টে বলা হয়েছে, ভারত সন্ত্রাসবাদ ও সন্ত্রাসে অর্থায়নের ক্ষেত্রে গুরুতর হুমকির মুখোমুখি। এর মধ্যে রয়েছে আইএসআইএল (ইসলামিক স্টেট অফ ইরাক অ্যান্ড দ্য লেভান্ট) বা আল কায়েদার মতো সংগঠনগুলিও। যারা জম্মু-কাশ্মীর ও তার আশপাশে সক্রিয় রয়েছে। সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধে ভারতের উল্লেখযোগ্য ভূমিকারও প্রশংসা করা হয়েছে। জটিল আর্থিক তদন্ত পরিচালনা করার ক্ষেত্রে নয়াদিল্লির দক্ষতার প্রশংশাও করেছে সন্ত্রাসবিরোধী নজরদারি এই সংস্থা। সন্ত্রাসে যারা অর্থায়ন করছে, তাদের বিরুদ্ধে মামলার নিষ্পত্তি ও শাস্তি দেওয়ায় আরও মনোযোগ দেওয়ার প্রয়োজনীয়তার দিকেও ইঙ্গিত করেছে এফএটিএফের এই প্রতিবেদন (FATF)। সন্ত্রাসে অর্থায়নে ঝুঁকি সম্পর্কে সচেতন করতে প্রচারাভিযানও চালিয়েছে ভারত। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে (Money Laundering), সন্ত্রাসী অর্থায়নের জন্য অলাভজনক খাতের অপব্যবহার রোধেও ভারত সক্রিয়।

    আরও পড়ুন: “পাকিস্তান আর কংগ্রেসের অ্যাজেন্ডা একই”, কাটরার সভায় সরব মোদি

    রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, ফিনান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্সের সুন্দর ব্যবহার করা হয়েছে। কার্যকর করা হয়েছে সহযোগিতাও। মানি লন্ডারিং প্রসিকিউশান এবং সন্ত্রাসে অর্থায়ন বন্ধের ক্ষেত্রকে শক্তিশালী করতে বড় ধরণের ইমপ্রুভমেন্টের প্রয়োজন বলেও দাবি করা হয়েছে এফএটিএফ-এর ওই প্রতিবেদনে।

    রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, ভারতের মূল অর্থ পাচারের উৎসগুলি দেশের অভ্যন্তরে সংঘটিত অবৈধ কার্যকলাপ থেকে উদ্ভূত হয়। এই সব কালো অর্থ সাদা করা হতে পারে ভারতে কিংবা বিদেশে। বিদেশে সাদা করে ভারতে ফিরে মিলিয়ে যেতে পারে বৈধ অর্থনীতির স্রোতে। এনআরএ-র ফল অনুযায়ী, ভারতের সবচেয়ে বড় অর্থ পাচারের ঝুঁকিগুলি প্রতারণার সঙ্গে সম্পর্কিত। এর মধ্যে রয়েছে সাইবার সক্ষমতাসম্পন্ন প্রতারণা, দুর্নীতি ও মাদক পাচারে অন্তর্ভুক্ত বিষয়গুলিও।

    ওই রিপোর্টেই বলা হয়েছে, ওই জঙ্গি সংগঠনের তরফে ভারতে হামলা চালানো হতে পারে, এমন আশঙ্কা রয়েছে। উত্তর-পূর্ব ভারত ও উত্তর-পূর্ব ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন ও মাওবাদীদের হামলার আশঙ্কাও রয়েছে ভারতে।

    ওই রিপোর্টেই দাবি করা হয়েছে, প্রতিটি জঙ্গি সংগঠনের ক্ষেত্রে ঝুঁকির মাত্রা সমান নয়। একে আলাদা ছটি ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে। এই তালিকায় রয়েছে আইসিস বা জম্মু-কাশ্মীর ও সংলগ্ন এলাকায় সক্রিয় আল কায়েদার সঙ্গে যোগসূত্র থাকা জঙ্গি গোষ্ঠী। প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে হামলার আশঙ্কা রয়েছে বলেও জানানো হয়েছে ওই রিপোর্টে। এই তালিকায় উত্তর-পূর্ব ভারত ও উত্তর ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন ও মাওবাদীরাও রয়েছে। ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্সের রিপোর্টে জানানো হয়েছে, সরকার ফেলে দেওয়ার চেষ্টাও করতে পারে মাওবাদীরা (FATF)।

    আরও পড়ুন: মেডিক্যাল কলেজে কায়েম ‘থ্রেট কালচার’, জানুন এই সংস্কৃতি সম্পর্কে

    ওই রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, গত পাঁচ বছরে অর্থ পাচারের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার সংখ্যা কনস্টিটিউশনাল চ্যালেঞ্জের একটি সিরিজ। ২০২২ সালে সমাধান হয়েছে। যদিও মামলা ও দোষী সাব্যস্ত হওয়ার সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। তবুও মুলতুবি মামলার বিরাট সংখ্যাও রয়ে গিয়েছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, মূল্যায়নের পর ভারতকে নিয়মিত পর্যবেক্ষণ বিভাগে রাখা হয়েছে এবং নিয়ম অনুযায়ী তিন বছরের মধ্যে প্লেনারিতে রিপোর্ট করবে। জানা গিয়েছে, ভারত, ইতালি, ফ্রান্স এবং ব্রিটেন হল মাত্র চারটি দেশ, যাদের নিয়মিত (Money Laundering) পর্যবেক্ষণ বিভাগে রাখা হয়েছে (FATF)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Konark Sun Temple: কোনার্ক সূর্য মন্দিরের গর্ভগৃহ থেকে কতটা বালি সরল? খতিয়ে দেখল এএসআই

    Konark Sun Temple: কোনার্ক সূর্য মন্দিরের গর্ভগৃহ থেকে কতটা বালি সরল? খতিয়ে দেখল এএসআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ত্রয়োদশ শতাব্দীতে নির্মিত পুরীর বিখ্যাত কোনার্ক সূর্য মন্দিরের (Konark Sun Temple) গর্ভগৃহে ভরে যাওয়া বালি সরানোর কাজ শুরু করেছে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ। সেই কাজের কতটা অগ্রগতি হল, তার মূল্যায়ন করতে মন্দির পরিদর্শন করল আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া (এএসআই)-র ছয় সদস্যের একটি দল। সংস্থার অতিরিক্ত মহানির্দেশক জানভিজ শর্মার নেতৃত্বে এই দলটি (ASI) বিশ্ব ঐতিহ্যের স্মৃতিস্তম্ভ হিসেবে গণ্য এই মন্দিরের রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে বিশেষ পর্যালোচনা করেছে। মন্দিরের স্থাপত্যে গর্ত দেখা দিলে এক সময় বালি দিয়ে তা ভরাট করা হয়েছিল। এখন তা সরানোর পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। অবশ্য, বালি সরিয়ে প্রকট হয়ে পড়া সেই গর্তের স্থানগুলো নতুন পদ্ধতিতে মেরামত করা হবে।

    ইংরেজ আমলে অবক্ষয় প্রতিরোধে বালি ভরাট (Konark Sun Temple)

    এএসআই (ASI)-এর অতিরিক্ত মহানির্দেশক জানভিজ শর্মা বলেন, ‘‘এই মন্দির ঐতিহ্যের স্মৃতিস্তম্ভ এবং আমরা সময়ে সময়ে পরিদর্শন ও সমীক্ষা পরিচালনা করে থাকি।’’ জানা গিয়েছে, ইংরেজ আমলেও মন্দিরের (Konark Sun Temple) অবক্ষয় প্রতিরোধ করতে সচেষ্ট হয়েছিলেন ব্রিটিশরা। বিভিন্ন সময়ে স্থাপত্যে গর্ত সৃষ্টি হলে তা ঠিকঠাক করা হতো। এই বিশাল স্থাপত্যের দ্বারমুখ  স্থানটিকে বালি দিয়ে ভরাট করার কাজ করেছিলেন তাঁরা। এবার প্রায় একশো বছরের পরে আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া (এএসআই), স্থাপত্যের চারপাশে পুনরায় কাজ করা শুরু করেছে। মন্দিরের জগমোহন অর্থাৎ দ্বারমুখ-এর স্থায়িত্ব এবং বালির বর্তমান অবস্থার মূল্যায়ন করার জন্য কাজ শুরু হয়েছে (ASI)। বালির স্তর ১৫ ফুট বসে গিয়েছে। যার জেরে একটি বড় গহ্বরের সৃষ্টি হয়েছে।”

    লেজার স্ক্যানিং এবং এন্ডোস্কোপি করা হবে

    ১৯০৩ সালে বাংলার লেফটেন্যান্ট গভর্নর জেএ বোর্ডিলনের নির্দেশে ৭০ ফুট উঁচু জগমোহন বা দ্বারমুখ বালি দিয়ে ভরাট করা হয়েছিল। এএসআই (পুরী সার্কেল) এর সুপারিনটেনডিং প্রত্নতাত্ত্বিক, দিবাশাদ গডনায়েক বলেন, “মন্দিরের (Konark Sun Temple) সংরক্ষণ প্রক্রিয়ায় বহু-মুখী পদক্ষেপ করা হয়েছে। সবটাই মন্দিরের সংরক্ষণ এবং সমীক্ষা-মূল্যায়নের সঙ্গে সম্পর্কিত। এখন প্রাথমিকভাবে, কাঠামোগত অখণ্ডতা ও স্থিতিশীলতা মূল্যায়ন করার জন্য মন্দিরের দেওয়ালে একটি ছোট গর্ত করা হবে (ASI)। এরপর তাঁকে অনুসরণ করে, লেজার স্ক্যানিং এবং এন্ডোস্কোপির মতো উন্নত কৌশলগুলি ব্যবহার করা হবে।”

    বালি ভরাট প্রায় সাড়ে ১২ ফুট স্থির হয়েছে

    উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত “সূর্য মন্দিরের সংরক্ষণ” বিষয়ক একটি জাতীয় সম্মেলনের সময়, ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে তকমা অর্জন করেছিল এই মন্দির। তবে এই সম্মেলনে তৎকালীন কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রী উপস্থিত ছিলেন। তিনিই ১৯০৩ সালে ব্রিটিশদের দ্বারা মন্দিরের জগমোহন থেকে ভরাট করা বালি সারানোর সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছিলেন। সেন্ট্রাল বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট (সিবিআরআই)-এর নেতৃত্বে এন্ডোস্কোপি গবেষণায় উল্লেখযোগ্য কাঠামোগত ক্ষতি প্রকাশের পর কোনার্ক মন্দিরের (Konark Sun Temple) জগমোহন থেকে বালি সারিয়ে ফেলা অপরিহার্য বলে মনে করা হয়েছিল। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, মাথায় একটি বড় গর্ত  সৃষ্টি হয়েছে। তাই বালি সরিয়ে আবার বালি দিয়ে ভরাট করা হবে (ASI)। এই কাজ হবে প্রায় সাড়ে ১২ ফুট স্থাপত্যে জুড়ে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: “পাকিস্তান আর কংগ্রেসের অ্যাজেন্ডা একই”, কাটরার সভায় সরব মোদি

    PM Modi: “পাকিস্তান আর কংগ্রেসের অ্যাজেন্ডা একই”, কাটরার সভায় সরব মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কংগ্রেস-ন্যাশনাল কনফারেন্সের নির্বাচনী ইস্তাহার দেখে খুশি পাকিস্তান। কাশ্মীরে পাকিস্তানের ইচ্ছাকে প্রাধান্য দেয় কংগ্রেস-ন্যাশনাল কনফারেন্স জোট। কাটরায় নির্বাচনী সমাবেশে ভাষণ দেওয়ার সময় এমনই মন্তব্য করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। জম্মু-কাশ্মীরে দাঁড়িয়ে মোদির দাবি, ভারতে কেউ কংগ্রেস ও তার জোটসঙ্গীদের পাত্তা দেয় না। কিন্তু পাকিস্তানে তাদের নিয়ে রীতিমতো ‘বল্লে বল্লে’ শুরু হয়ে গিয়েছে। কারণ পাকিস্তান আর কংগ্রেসের অ্যাজেন্ডা একই।

    পাকিস্তানের আগ্রহ

    ন্যাশনাল কনফারেন্স নিজেদের ইস্তাহারে স্পষ্ট বলেছে রাজ্যে তারা ক্ষমতায় এলে ৩৭০ ধারা ফেরানোর প্রক্রিয়া শুরু করা হবে। একই প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী পিডিপিও। কংগ্রেস সরাসরি ৩৭০ ধারা ফেরানোর কথা না বললেও এই ইস্যুতে রাহুল গান্ধীরা নীরব। কংগ্রেস অবশ্য কাশ্মীরকে পূর্ণরাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়ার কথা নিজেদের ইস্তাহারে জানিয়েছে। একটি সাক্ষাৎকারে সেই ইস্তাহার নিয়ে মুখ খুলেছেন পাক সরকারের বিদেশমন্ত্রী খোয়াজা আসিফ। তিনি বলেন, সংবিধানের ৩৭০ ধারা এবং ৩৫-এ অনুচ্ছেদ ফেরানো নিয়ে কংগ্রেস এবং ন্যাশনাল কনফারেন্সের জোটের সঙ্গে পাকিস্তানের ভাবনা মিলে যায়। পাক বিদেশমন্ত্রীর এই মন্তব্যকে হাতিয়ার করে প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi) বলেন, “ভারতে কেউ কংগ্রেসের জোটকে গুরুত্ব দেয় না। কিন্তু পাকিস্তানে এই জোটের যথেষ্ট কদর রয়েছে। পাকিস্তানে তাদের নিয়ে রীতিমতো ‘বল্লে বল্লে’ শুরু হয়ে গিয়েছে। কারণ, পাকিস্তান আর কংগ্রেসের অ্যাজেন্ডা একই। আসলে পাকিস্তানের অ্যাজেন্ডাকে কাশ্মীরে বাস্তবায়িত করতে চাইছে কংগ্রেসের জোট।”

    প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্ন

    এক দশক পরে বিধানসভা নির্বাচন হচ্ছে কাশ্মীরে। ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের পর প্রথমবার। ইতিমধ্যেই প্রথম পর্বের ভোট মিটেছে। প্রথম পর্বে মানুষ বিপুল ভোট দেওয়ায় খুশি প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi)। তিনি জানান মানুষ গণতন্ত্রের উৎসবে সামিল হয়েছে। কিন্তু কংগ্রেস-ন্যাশনাল কনফারেন্সের জোট কাশ্মীরকে আবার পিছনের দিকে ঠেলতে চায়। প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্ন, “কংগ্রেস-ন্যাশনাল কনফারেন্স জোট বলছে পুরোনো সময় ফেরাবে। আপনারা চান আবার হরতাল হোক? খুন হোক? মেয়েরা অধিকার থেকে বঞ্চিত হোক? স্কুলে আগুন লাগুক? সিনেমা হল বন্ধ হোক? ব্যবসা নষ্ট হোক?”

     কাশ্মীরে এখন ইদ, দিওয়ালি দুই হয়

    কাশ্মীরে (Jammu Kashmir Election) প্রথম দফা নির্বাচনে ভোটারদের ভোটদানে আগ্রহ দেখে মোদি (PM Modi) বলেন,  “কিশতওয়ারে ৮০ শতাংশের বেশি ভোট পড়েছে, ডোডায় ৭১ শতাংশের বেশি ভোট পড়েছে। এই পরিসংখ্যান বেশ কয়েকটি নির্বাচনী এলাকায় আগের রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। এর থেকে বোঝা যায়, উপত্যকাবাসী সেই দলগুলোকে প্রত্যাখ্যান করেছে যারা পাথর ছোড়া এবং সন্ত্রাসবাদের প্রতি সহানুভূতিশীল।” প্রধানমন্ত্রী বৃহস্পতিবারের সভায় বললেন, “আমরা যা বলি, তাই করি। বলেছি যখন রাজ্য বানাবই। আপনারা বিজেপিকে সুযোগ দিন, আমাদের প্রার্থীরা আপনাদের সঙ্গে আছে। আপনারা কেশর, টিউলিপ তৈরি করেন, এবার পদ্ম তৈরি করুন।” প্রধানমন্ত্রীর দাবি, “দিল আর দিল্লির দূরত্ব মেটাচ্ছি। গোটা দুনিয়া দেখছে আর অবাক হচ্ছে। জি-২০ হল, খেলো ইন্ডিয়া হল, আন্তর্জাতিক যোগ দিবস হল। এটাই তো কাশ্মীর। কাশ্মীরের মানুষ আর পাথর ছোড়ে না। আজ সবার হাতে কলম, বই। কাশ্মীরের যুব প্রজন্ম আর মজবুর নয়, মজবুত হচ্ছে। এখন ইদ, দিওয়ালি দুই-ই হয়।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Hanuman Mandir: ধর্মান্তকরণ ঠেকাতে ৩১১ হনুমান মন্দির গড়ে তোলা হল গুজরাটের এই জেলায়

    Hanuman Mandir: ধর্মান্তকরণ ঠেকাতে ৩১১ হনুমান মন্দির গড়ে তোলা হল গুজরাটের এই জেলায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ধর্মান্তকরণ রুখতে গুজরাটে গড়ে তোলা হল ৩১১টি হনুমান মন্দির (Hanuman Mandir)। 

    গুজরাট (Gujarat) রাজ্যে নির্দিষ্ট কিছু এলাকায় ধর্মান্তকরণের ঘটনা বেড়েই চলছিল। এরমধ্যে ব্যাপকভাবে খ্রিস্টান ধর্মে ধর্মান্তকরণ চলতে থাকে সে রাজ্যের ডাঙ জেলায়। অভিযোগ এই জেলার ৪০ শতাংশ জনগোষ্ঠীকেই হিন্দু থেকে খ্রিস্টান ধর্মে ধর্মান্তরিত করা হয়। সংখ্যায় যা ১ লাখেরও বেশি। এমন ধর্মান্তকরণ প্রতিরোধে সেখানকার বাসিন্দারা অভিনব কৌশল নিলেন। সনাতন ধর্ম রক্ষা ও প্রচারের জন্য শুরু করা হল হনুমান যজ্ঞ কর্মসূচি। এর পাশাপাশি, ডাঙ জেলার যে গ্রামগুলিতে ধর্মান্তকরণের ঘটনা ঘটছে, সেই রকম ৩১১টি গ্রামে গড়া হয়েছে হনুমান মন্দির (Hanuman Mandir)। এই উদ্যোগ নিয়েছেন রাজ্যসভার বিজেপি সাংসদ তথা প্রখ্যাত হীরা ব্যবসায়ী তথা বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ গোবিন্দ ঢোলাকিয়া।

    কীভাবে শুরু হল এই কর্মসূচি (Gujarat)?

    জানা গিয়েছে, ধর্মান্তকরণ প্রতিরোধে এগিয়ে এসেছে রামকৃষ্ণ ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট নামের এক সংগঠন। এই সংগঠনের তরফ থেকে ২০২২ সালেই ১২টি হিন্দু মন্দির উদ্বোধন করা হয়েছিল। প্রসঙ্গত, সংগঠনটির নেতৃত্বে রয়েছেন বিজেপি সাংসদ গোবিন্দ ঢোলাকিয়া। কিন্তু কীভাবে হনুমান মন্দির (Hanuman Mandir) তৈরির সিদ্ধান্ত নিলেন ঢোলাকিয়া? তাও ব্যাখা দিয়েছেন তিনি। ঢোলাকিয়া বলেন, ‘‘আমরা গত ৩০ বছর ধরে ডাঙ জেলার আহওয়াতে (Gujarat) মেডিক্যাল ক্যাম্প পরিচালনা করি। ২০১৭ সালে আমি এবং এক স্বামীজি গাড়িতে করে যাচ্ছিলাম। তখনই একটি গ্রামে দেখতে পাই গাছের নীচে পড়েছিল হনুমানজি মহারাজের একটি মূর্তি (Hanuman Mandir)। এরপর আমি স্বামীজিকে বললাম, আমাদের ভগবান এইভাবে ঘর ছাড়া হয়ে থাকবেন আর আমরা ঘরে থাকব? এর উত্তরে স্বামীজি বললেন, এমন গ্রাম এখানে ৩০০-এরও বেশি রয়েছে। সব গ্রামে গড়তে হবে। এরপরেই আমরা উদ্যোগ নেওয়া শুরু করি।’’ 

    গ্রামগুলির আধ্যাত্মিকতার কেন্দ্র হয়ে উঠেছে হনুমান মন্দির (Hanuman Mandir) 

    ৩০০-এর বেশি হনুমান মন্দির স্থাপনের কারণে শুধুমাত্র যে ওই গ্রামগুলিতে ধর্মান্তকরণ কমেছে, এমনটাই নয়। এর পাশাপাশি, উপজাতি পরিবারগুলি নেশা করার প্রবণতাও কমেছে বলে জানিয়েছেন ঢোলাকিয়া। বর্তমানেই মন্দিরগুলিকে কেন্দ্র করেই হোলি, গণেশ চতুর্থী পালন করা হয় এখানে। মন্দিরগুলিকে কেন্দ্র করে শান্তিও বিরাজ করছে গ্রামগুলিতে। হনুমান মন্দিরগুলি ঘুচিয়ে (Gujarat) দিয়েছে জাতপাতের বেড়াজালও।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share