Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • India Russia Relation: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর এই প্রথম ভারতে আসছেন পুতিন

    India Russia Relation: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর এই প্রথম ভারতে আসছেন পুতিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাশিয়া-ইউক্রেন (India Russia Relation) যুদ্ধ শুরুর পর এই প্রথম ভারত সফরে আসছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (Vladimir Putin)। চলতি বছর প্রথমে জুলাই মাসে ও পরে অক্টোবরে ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দিতে রাশিয়ায় গিয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এবার ভারত সফরে আসছেন পুতিন। তবে ঠিক কবে তিনি নয়াদিল্লি আসবেন, তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি।

    কী বলছে ক্রেমলিন? (India Russia Relation)

    রাশিয়ার প্রশাসনিক সদর দফতর ক্রেমলিনের তরফে জানানো হয়েছে, পুতিন করে ভারত সফরে যাবেন, তা নিয়ে আলোচনা চলছে। শীঘ্রই ঘোষণা করা হবে তাঁর সফরসূচি।মঙ্গলবার ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, “রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন শীঘ্রই ভারত সফর করবেন। আমরা তারিখগুলি নিয়ে আলোচনা করছি।” যদি পুতিনের ভারত সফর নিশ্চিত হয়, তবে এটি হবে প্রায় তিন বছরের মধ্যে পুতিনের প্রথম ভারত সফর। তিনি সর্বশেষ ভারত সফরে এসেছিলেন ২০২১ সালের ৬ ডিসেম্বর, নয়াদিল্লিতে ২১তম ভারত-রাশিয়া বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে। তখনও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন পুতিন।

    বৈঠকে বসবেন মোদি-পুতিন

    ভারতে এসে পুতিন বৈঠক করবেন ‘বন্ধু’ নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে। আগের দু’বারের মতো এবারও ইউক্রেন প্রসঙ্গ উঠতে পারে বলে ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের। চলতি বছরই দু’বার রাশিয়া সফরে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। জুলাই মাসে ভারত-রাশিয়া বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে মস্কো গিয়েছিলেন মোদি। তিন মাস পরে ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দিতে ফের একবার রাশিয়ায় যান ভারতের প্রধানমন্ত্রী। দু’বারই দুই রাষ্ট্রপ্রধানের আলোচনায় উঠে আসে ইউক্রেন প্রসঙ্গ। দুই ‘হুজুরের গপ্পে’ ফের একবার উঠতে পারে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রসঙ্গ।

    আরও পড়ুন: কৃষ্ণ জন্মভূমি মামলা, আদালত উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি এল পাকিস্তান থেকে

    রাশিয়া-ইউক্রেন (India Russia Relation) যুদ্ধ শুরু হতেই মস্কোকে একঘরে করার চেষ্টা করে আমেরিকা-সহ নেটো গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলি। রাশিয়ার বিরুদ্ধে নানা অর্থনৈতিক অবরোধ জারি করেছে আমেরিকা। তা সত্ত্বেও রাশিয়া থেকে অপরিশোধিত তেল কিনে চলেছে ভারত। অবশ্য এর পাশাপাশি যখনই মোদি-পুতিন মুখোমুখি হয়েছেন, তখনই অনিবার্যভাবে এসেছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রসঙ্গ। এবং যুদ্ধ বন্ধ করে দুই দেশকেই আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। এহেন আবহে নয়াদিল্লি আসছেন পুতিন (Vladimir Putin)। হয়তো আবারও মোদি তাঁকে শোনাবেন শান্তির ললিত বাণী (India Russia Relation)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

     

  • Manipur Situation: অশান্ত মণিপুরে আরও ৫০ কোম্পানি সিএপিএফ পাঠাচ্ছেন অমিত শাহ

    Manipur Situation: অশান্ত মণিপুরে আরও ৫০ কোম্পানি সিএপিএফ পাঠাচ্ছেন অমিত শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরও ৫০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী (সিএপিএফ) পাঠাচ্ছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। অশান্ত মণিপুরে (Manipur Situation) শান্তি ফেরাতেই পাঠানো হচ্ছে বাহিনী। মণিপুরের পরিস্থিতি নিয়ে সোমবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন শাহ।

    মণিপুরের পরিস্থিতি (Manipur Situation)

    সেই বৈঠকেই সিদ্ধান্ত হয় মণিপুরে পাঠানো হবে অতিরিক্ত বাহিনী। (এক একটি কোম্পানিতে থাকেন প্রায় ১০০ জন জওয়ান।) মণিপুরের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ও সেনার সঙ্গে মোতায়েন রয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। তার পরেও চিত্রাঙ্গদার দেশে জ্বলছে অশান্তির আগুন। সেই কারণেই অতিরিক্ত বাহিনী পাঠানোর সিদ্ধান্ত। রাজ্যের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে একটি দল মণিপুরে পাঠানো হতে পারে বলেও খবর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সূত্রে।

    উত্তপ্ত মণিপুর

    ছ’জনের দেহ উদ্ধারের পর থেকে মেইতেইদের বিক্ষোভের জেরে উত্তপ্ত মণিপুর। তাই মহারাষ্ট্রে ভোট প্রচারের কর্মসূচি বাতিল করে দিল্লি ফিরে গিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (Manipur Situation)। সোমবার বসেন বৈঠকে। এদিনই সকালে মণিপুরের তিনটি মামলার তদন্তভার এনআইএ-র হাতে তুলে দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। তবে কোন মামলাগুলি এনআইএর হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে, তা জানা যায়নি। কেবল জানা গিয়েছে, হিংসা, প্রাণহানি সংক্রান্ত তিন মামলার তদন্ত করছিল মণিপুর পুলিশ। সেই মামলাগুলিই তুলে দেওয়া হয়েছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে।

    এদিকে, এদিনই (Manipur Situation) সন্ধ্যায় রাজধানী ইম্ফলে বিজেপি ও শরিক দলগুলির বিধায়কদের জরুরি বৈঠকে ডেকেছেন মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং। তবে ওই বৈঠকে ঠিক কী নিয়ে আলোচনা হবে, তা জানা যায়নি।

    আরও পড়ুন: কমিশন মামলায় কর্নাটকের পূর্বতন বিজেপি সরকারকে ক্লিনচিট দিল লোকায়ুক্ত

    ২০২৩ সালের মে মাস থেকে মেইতেই ও কুকি সম্প্রদায়ের মধ্যে সংঘাতের কারণে উত্তপ্ত মণিপুর। এতদিন এই সংঘাতের আঁচ পড়ছিল না জিরিবাম জেলায়। দিন কয়েক আগে সেখানে সিআরপিএফের শিবিরে হামলা চালায় কুকি জঙ্গিরা। সেই সময়ই মেইতেই পরিবারের তিন মহিলা ও তিন শিশুকে অপহরণের অভিযোগ ওঠে কুকি জঙ্গিদের বিরুদ্ধে। তার পর থেকে আর খোঁজ মেলেনি অভিযুক্তদের।

    এদিন জিরি নদী থেকে উদ্ধার হয়েছে ছ’জনের দেহ। মেইতেইদের দাবি, দেহগুলি অপহৃতদের। বস্তুত, তার পর থেকেই উত্তপ্ত জিরিবাম জেলা। অশান্তির আঁচ এসে পড়েছে ইম্ফল উপত্যকায়ও। মন্ত্রী এবং বিধায়কদের বাড়িতে হামলা চালিয়ে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ইম্ফল পূর্বে মুখ্যমন্ত্রী বীরেনের পৈতৃক বাড়িতে হামলার চেষ্টা হয়। বিক্ষোভকারীদের রুখতে কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে বাহিনী (Amit Shah)। এবার পাঠানো হচ্ছে অতিরিক্ত বাহিনী (Manipur Situation)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Manipur: মণিপুরে নারী ও শিশুদের নৃশংস হত্যার তীব্র নিন্দা, কেন্দ্র-রাজ্যকে সমাধানের বার্তা আরএসএস-এর

    Manipur: মণিপুরে নারী ও শিশুদের নৃশংস হত্যার তীব্র নিন্দা, কেন্দ্র-রাজ্যকে সমাধানের বার্তা আরএসএস-এর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মণিপুরে (Manipur) নারী ও শিশুদের নৃশংস হত্যার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ (RSS)। কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারের কাছে অবিলম্বে সমাধান চেয়েছে এই হিন্দুত্ববাদী সামাজিক সংগঠন। ইতিমধ্যে খুনের পাশাপাশি দেখা গিয়েছে বহু মানুষ এখনও নিখোঁজ! গোটা রাজ্যজুড়ে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। উল্লেখ্য গত বছরের ৩ মে থেকেই এই রাজ্যে হিংসার ধারা অব্যাহত। এখনও পর্যন্ত ৫০ হাজার মানুষ ঘরছাড়া এবং ২২০ জনের বেশি মানুষ গোষ্ঠী সংঘর্ষের বলি হয়েছেন। সাধারণ জনজীবন অত্যন্ত কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন।

    নিরপরাধ মানুষের দুর্ভোগ অব্যাহত (Manipur)

    মণিপুর (Manipur) প্রান্তের রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ (RSS) হিংসা কবলিত এলাকার পরিস্থিতি নিয়ে যথেষ্ট চিন্তিত। বিবৃতি দিয়ে তারা জানিয়েছে, “নিরপরাধ মানুষের দুর্ভোগ অব্যাহত। সংঘাতের জেরে রাজ্য গভীর সঙ্কটে। সম্প্রতি ঘটে যাওয়া হিংসার ঘটনার আমরা তীব্র নিন্দা জানাই। নারীহত্যা, শিশুহত্যা এবং অপহরণ অত্যন্ত কাপুরুষোচিত ঘটনা, যা মানব সমাজের জন্য অত্যন্ত লজ্জার। সভ্যতার নিরিখে মানব স্বার্থের পরিপন্থী। এই পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারের উচিত সদর্থকভাবে এগিয়ে আসা। প্রচুর সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তাই সামাজিকভাবে আইনশৃঙ্খলাও বলবৎ করতে হবে।”

    জিরি ও বরাক নদীর মিলনস্থলে উদ্ধার দেহ!

    চলতি বছরের নভেম্বরের মাঝামাঝি থেকেই মণিপুরে (Manipur) ফের দুষ্কৃতীরা নাশকতার পন্থা অবলম্বন শুরু করেছিল। গত ১১ নভেম্বর থেকে জিবিরাম জেলায় বেশ কিছু নারী এবং শিশু নিখোঁজ বলে জানা গিয়েছিল। এরপর ১৫ এবং ১৬ নভেম্বর তাঁদের মধ্যে মোট ছ’জনের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। যার মধ্যে ৩ জন নারী এবং ৩ জন শিশু। এই মৃতদেহগুলি মণিপুর-অসম সীমান্তের কাছে জিরি এবং বরাক নদীর মিলনস্থলের কাছে খুঁজে পাওয়া যায়। তবে সবগুলি দেহ এখনও শনাক্ত করা যায়নি। ময়নাতদন্তের জন্য অসমের শিলচর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

    কুকি জঙ্গিদের সঙ্গে সিআরপিএফ-এর সংঘর্ষ

    জানা গিয়েছে, গত ১১ নভেম্বর কুকি জঙ্গিদের সঙ্গে সিআরপিএফ-এর ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এই লড়াইতে মোট ১০ জন সন্দেহজনক জঙ্গি নিহত হয়। আবার অন্য আরেকটি ঘটনায় জিবিরাম জেলায় বোরোবেকরা মহকুমায় অবস্থিত জাকুরাধোর একটি ত্রাণশিবির থেকে জঙ্গিরা ১০ জন সাধারণ নাগরিককে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযানের ফলে মাইবাম কেশো (৭৫) এবং লাইশরাম বেরল (৬১) নামে দুই প্রবীণ নাগরিকের দেহ উদ্ধার হয়েছে। তবে এই হিংসার ঘটনায় কুকি জঙ্গিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে মেইতি গোষ্ঠী দাবি করেছে, “উদ্ধার হওয়া তিন নারী এবং তিন শিশুকে প্রথমে অপহরণ করে রাখা হয়েছিল। এরপর তাঁদের নির্মম ভাবে খুন করা হয়েছে। যদিও তাঁদের পরিচয় এখনও স্পষ্ট ভাবে জানা যায়নি। মানুষের মনে হিংসাকে আরও বড়িয়ে দিচ্ছে এইসব ঘটনা। যার জেরে মানুষের মনে তীব্র ক্ষোভেরও সঞ্চার হয়েছে।”

    মন্ত্রী, বিধায়কের বাড়িতে হামলা 

    সম্প্রতি এই রাজ্যের (Manipur) রাজনৈতিক জনপ্রতিনিধি, মন্ত্রী, বিধায়ক, সরকারি আমলা-সহ একাধিক ব্যক্তির বাড়িতে পর্যন্ত হামলা হয়। বিশেষ করে ইম্ফল পূর্ব ও পশ্চিমে বহু ঘরবাড়ি ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। ক্রমবর্ধমান অশান্তির ঘটনা ক্রমে মারাত্মক রূপ নিচ্ছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। তবে আরএসএস দুই গোষ্ঠীর রক্তপাতের বিষয়ে আলোচনা, পরস্পর সহাবস্থান এবং সরকারের ভূমিকাকে বিশেষ ভাবে ইঙ্গিত করে সমাধানের দাবি জানিয়েছে।

    আরও পড়ুনঃ হিংসার আগুনে ফের অগ্নিগর্ভ মণিপুর, ৩টি মূল মামলার তদন্তে এনআইএ

    সরব আরএসএস

    উল্লেখ্য, গত এক বছরের বেশি সময় ধরে আরএসএস (RSS) হিংসার বিরুদ্ধে সরব। মণিপুর (Manipur) সরকারের প্রত্যক্ষ ভূমিকা নিয়েও বার বার প্রশ্ন তুলেছে তারা। সরকারি ক্ষমতার অক্ষমতাকে ইঙ্গিত করে সতর্কবার্তা দিয়েছে এদিন। গত ১৯ মাসের বেশি সময় ধরে মণিপুর উত্তপ্ত। গত লোকসভা নির্বাচনের পর একটি সভায় রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্খের সঙ্ঘ চালক মোহন ভাগবত বলেছিলেন, “মণিপুরের সমস্যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। কেন্দ্র সরকারের উচিত অবিলম্বে ব্যবস্থা গ্রহণ করা। শান্ত পরিবেশ ফিরিয়ে আনার জন্য সরকার পক্ষকে সবরকম ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Leh Pangong Lake: খরচ ৬ হাজার কোটি টাকা, লেহ্-প্যাংগং লেককে জুড়তে নতুন টানেল গড়বে ভারত

    Leh Pangong Lake: খরচ ৬ হাজার কোটি টাকা, লেহ্-প্যাংগং লেককে জুড়তে নতুন টানেল গড়বে ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেলা পাসের মধ্যে দিয়ে জোড়া টিউব টানেল করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। কেলা পাস ভারতের সর্বোচ্চ মোটরযানযোগ্য একটি পাস, যেটা লেহ্ এবং প্যাংগং লেকের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোগ হিসেবে কাজ করে। এখানে টানেল তৈরির বিষয়ে লাদাখের প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। প্রায় ৭-৮ কিলোমিটার দীর্ঘ হবে এই সব মরশুমে ব্যবহারযোগ্য টানেল (Tunnel)। এই সুড়ঙ্গ তৈরি হয়ে গেলে লেহ্ (Leh) থেকে যাঁরা প্যাংগং লেক পর্যন্ত যেতে চান, তাঁরা খুব সহজেই যেতে পারবেন। এর মাধ্যমে সুবিধা হবে পর্যটকদের। সুবিধা হবে সামরিক বাহিনীরও।

    প্রকল্পের খরচ কত? (Leh)

    জানা গিয়েছে, গত সপ্তাহে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক এই টানেল নির্মাণের বিষয়ে একটি বৈঠক করেছিল। এই প্রকল্পের জন্য খরচ হতে পারে প্রায় ৬০০০ কোটি টাকা। এটা অত্যন্ত কঠিন একটা প্রকল্প। এর প্রকল্প ব্যয়ও প্রচুর। এনিয়ে শীঘ্রই উদ্যোগ নেওয়া হতে পারে। এর মাধ্যমে লেহ্ (Leh) থেকে প্যাংগং যাওয়ার দূরত্ব অনেকটাই কমবে। তবে এই প্রকল্প একেবারেই প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। সূত্রের খবর, বর্ডার রোডস অর্গানাইজেশন নাকি ন্যাশানাল হাইওয়ে অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন কারা এই প্রকল্পকে বাস্তবায়িত করবে সেটা এখনও পরিস্কার নয়। কেলা পাস লেহ্ ও প্যাংগংয়ের মধ্যে সংযোগকারী গিরিপথ। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১৮,৬০০ ফুট উচ্চতায় এর অবস্থান। এর আগে লাদাখ প্রশাসন ২০২২ সালে খারদুংলা, ফোটু লা, নামিকা লা ও কেলা এই চারটি জায়গায় টানেল করার প্রস্তাব দিয়েছিল। প্রস্তাবিত কেলা পাস টানেলটি এই অঞ্চলে চলাচলের গতি অনেকটাই বাড়িয়ে দেবে। বিশেষ করে শীতের সময় যখন রাস্তাগুলি প্রায় চলাচলের অযোগ্য হয়ে যায়।  

    আরও পড়ুন: ব্যাট হাতে প্রস্তুত শীত! কলকাতায় ১৮ ডিগ্রি, পুরুলিয়ায় ১২, কী বলছে হাওয়া অফিস?

    সরকারি আধিকারিক কী বললেন?

    সরকারি এক আধিকারিক বলেন, এটি একটি চ্যালেঞ্জিং এবং উচ্চ খরচের প্রকল্প। তবে, এই প্রকল্পটি কার্যকরী হলে লেহ্ (Leh) থেকে প্যাংগং পর্যন্ত যাতায়াতের সময়কে যথেষ্ট পরিমাণে কমিয়ে দেবে।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Karnataka Lokayukta: কমিশন মামলায় কর্নাটকের পূর্বতন বিজেপি সরকারকে ক্লিনচিট দিল লোকায়ুক্ত

    Karnataka Lokayukta: কমিশন মামলায় কর্নাটকের পূর্বতন বিজেপি সরকারকে ক্লিনচিট দিল লোকায়ুক্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কর্নাটকের পূর্বতন বিজেপি সরকারকে ক্লিনচিট দিল লোকায়ুক্ত (Karnataka Lokayukta)। রবিবার, ১৮ নভেম্বর রাজ্যের ঠিকাদারদের অ্যাসোসিয়েশনের প্রয়াত সভাপতি ডি. কেম্পান্না এবং সহ-সভাপতি আর অম্বিকাপথীর দায়ের করা ৪০ শতাংশ কমিশন (BJP) মামলায় আগের বাসবরাজ বোম্মাই সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ খারিজ করে দিল লোকায়ুক্ত। গত বছরই বার্ধক্যজনিত অসুস্থতা এবং হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন ডি. কেম্পান্না এবং আর অম্বিকাপথী।

    কী বলছে বিজেপি? (Karnataka Lokayukta)

    সংবাদমাধ্যমে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিজেপি নেতা আর অশোক বলেন, “অভিযোগকারীরা কখনওই ৪০ শতাংশ কমিশনের কোনও প্রমাণ দিতে পারেননি। অথচ  ২০২১ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে এই অস্ত্রই প্রয়োগ করা হয়েছিল।” তিনি বলেন, “লোকায়ুক্ত কখনওই ঠিকাদারদের দেওয়া ৪০ শতাংশ কমিশনের কোনও প্রমাণ পায়নি। কেম্পান্না এবং অম্বিকাপথী কংগ্রেস পার্টির হাতিয়ার হিসেবে কাজ করেছিলেন এবং মামলা দায়ের করেছিলেন। কিন্তু লোকায়ুক্ত মামলাটি খারিজ করে দিয়েছে। কারণ অভিযোগ প্রমাণ করার জন্য কোনও প্রমাণ দেওয়া হয়নি।” অশোক আরও বলেন (Karnataka Lokayukta), “বর্তমান কংগ্রেস সরকার বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে মিথ্যা দাবি এবং ভোটারদের মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে কর্নাটকে ক্ষমতায় এসেছে।” তাঁর ভবিষ্যদ্বাণী, “শাসক কংগ্রেস ভবিষ্যতে পরাজিত হবে এবং তাদের নেতারা বাড়িতে থাকতে বাধ্য হবেন।”

    লোকায়ুক্তের বক্তব্য

    লোকায়ুক্তও সাফ জানিয়ে দিয়েছে, অভিযোগের স্বপক্ষে কোনও মুখ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি। মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া বলেন, “ক্লিন চিট দেওয়া মানে কোনও অন্যায় হয়নি, এমন নয়।” তিনি বলেন, “বিজেপি দাবি করেছে যে তারা ক্লিন চিট পেয়েছে, তবে এর অর্থ এই নয় যে কোনও ভুল হয়নি। আদালতে একটি মামলা খারিজ হওয়ার দুটি উপায় রয়েছে। একটি উপায় হল পেশ হওয়া প্রমাণ অপরাধ প্রমাণ করতে সক্ষম নয়। আমি নিজে নির্দেশটি পড়িনি, তবে আমি এটি খতিয়ে দেখব।”

    আরও পড়ুন: পিএম-কিষানের টাকায় অর্থ সংগ্রহ! ভারতকে ইসলামিক রাষ্ট্রে পরিণত করার জঙ্গি-ছক ফাঁস

    প্রসঙ্গত, গত বছরই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ কংগ্রেসকে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন এই বলে যে, যদি তাদের কাছে ওই মামলায় বিজেপির বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ থাকে, তবে তারা আদালতে যেতে পারে। শাহের এই মন্তব্যের আগে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী অভিযোগ করেছিলেন, বিজেপি হল ভারতের সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত দল। দুর্নীতির ওই টাকা অন্যান্য দলের বিধায়কদের কিনে নিতে ব্যবহার করা (BJP) হয়েছে। তার প্রেক্ষিতেই কংগ্রেসকে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন শাহ (Karnataka Lokayukta)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

     
     
  • India Russia: শঙ্কিত চিন-পাকিস্তান! ভারত-রাশিয়া পন্টসার এয়ার ডিফেন্স চুক্তি স্বাক্ষরিত, কী উপকারিতা?

    India Russia: শঙ্কিত চিন-পাকিস্তান! ভারত-রাশিয়া পন্টসার এয়ার ডিফেন্স চুক্তি স্বাক্ষরিত, কী উপকারিতা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আকাশ প্রতিরক্ষাকে আরও শক্তিশালী করতে বড় পদক্ষেপ নিল ভারত। ভারত ডাইনামিক্স লিমিটেড (BDL) এবং রাশিয়ার রোসোবোরন এক্সপোর্ট সংস্থা সম্প্রতি একটি মেমোরান্ডাম অব আন্ডারস্ট্যান্ডিং (MoU) বা মউ স্বাক্ষর করেছে। এই চুক্তির অধীনে রাশিয়ার থেকে ভারত পন্টসার মোবাইল এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম সংগ্রহ করবে, যা ভারতীয় বিমানবাহিনী এবং আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করে তুলবে। 

    পন্টসার সিস্টেম কী?

    পন্টসার সিস্টেম হল একটি অত্যাধুনিক এবং বহুমুখী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, যা ক্ষেপণাস্ত্র এবং বন্দুকের সংমিশ্রণ দ্বারা আকাশ প্রতিরক্ষা নিশ্চিত করে। পন্টসার আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় একটি ট্রাকের উপর রেডার, ১২টি ‘ভূমি থেকে আকাশ’ ক্ষেপণাস্ত্র (সারফেস টু এয়ার মিসাইল), ড্রোন এবং ’দুটি বিমান বিধ্বংসী কামান থাকে। ক্ষেপণাস্ত্রগুলির সাধারণ ভাবে ১৮ কিলোমিটার পাল্লার। কিন্তু নতুন ‘১-এস’ সংস্করণে ‘বুস্টার’ ব্যবহার করে সেগুলির পাল্লা বাড়ানো হয়েছে। ভারত সেগুলি কিনতে চলেছে। নয়া চুক্তিটি গোয়াতে অনুষ্ঠিত পঞ্চম ভারত-রাশিয়া আন্তঃসরকারি কমিশন (IRIGC) অধিবেশনের সময় স্বাক্ষরিত হয়। ভারত ডায়নামিক্স এবং রাশিয়ার রোসোবোরন এক্সপোর্ট সংস্থার মধ্যে স্বাক্ষরিত ‘মউ’ অনুযায়ী রুশ প্রযুক্তিগত সহায়তায় এই আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভারতে নির্মাণ করা হবে।

    শক্তিশালী আকাশ প্রতিরক্ষা

    প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে ভারতের সঙ্গে রাশিয়ার এই চুক্তি প্রতিবেশী পাকিস্তান, চিন ও বাংলাদেশকে শঙ্কিত করার পক্ষে যথেষ্ট। পন্টসার সিস্টেম ভারতের হাতে এলে বায়ুসেনা আরও শক্তিশালী হবে। এই সিস্টেম অ্যাংগ্রি ড্রোন অ্যাটাক এবং প্রেসিশন-গাইডেড মিউনিশন থেকে মিলিটারি ইনস্টলেশনগুলো রক্ষা করতে সক্ষম। সিস্টেমটি বিশেষভাবে সামরিক ঘাঁটি বা কেন্দ্র, বিমানবন্দর, ইন্ডাস্ট্রিয়াল সাইটগুলিকে রক্ষা করে। চুক্তি অনুযায়ী, রাশিয়া ভারতকে এই সিস্টেমের সর্বশেষ সংস্করণ সরবরাহ করবে, যা আরও শক্তিশালী এবং আধুনিক প্রযুক্তি সমৃদ্ধ। এই চুক্তি ভারতকে আরও শক্তিশালী আকাশ প্রতিরক্ষা এবং সেনা নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Manipur: হিংসার আগুনে ফের অগ্নিগর্ভ মণিপুর, ৩টি মূল মামলার তদন্তে এনআইএ

    Manipur: হিংসার আগুনে ফের অগ্নিগর্ভ মণিপুর, ৩টি মূল মামলার তদন্তে এনআইএ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অগ্নিগর্ভ মণিপুরে (Manipur) নতুন করে হিংসা ছড়াল রবিবার রাতে। বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষে প্রাণ গেল এক যুবকের। জিরিবাম জেলায় ঘটে এই সংঘর্ষ। মণিপুর পুলিশ জানিয়েছে, গুলিবিদ্ধ হয়ে একজন বিক্ষোভকারীর মৃত্যু হয়েছে এটা সত্য, তবে কে বা কারা ওই গুলি চালিয়েছে তা এখনও স্পষ্ট নয়। এই আবহে ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি বা এনআইএ (NIA) মণিপুরের সাম্প্রতিক হিংসার তিনটি মূল মামলার তদন্তের দায়িত্বভার গ্রহণ করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নির্দেশ। রবিবার মহারাষ্ট্রে প্রচার কর্মসূচি বাতিল করে দিল্লি ফিরে গিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সূত্র মারফত জানা যায়, দিল্লি ফিরেই মণিপুর নিয়ে জরুরি বৈঠক সারেন তিনি। পরেই মণিপুরের তিনটি মামলার তদন্তভার জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)-র হাতে তুলে দিয়েছে শাহের মন্ত্রক। মণিপুর পুলিশের কাছ থেকে এই মামলাগুলিকে নেয় এনআইএ (NIA)। 

    কুকিদের বিরুদ্ধে মহিলা-শিশুদের অপহরণ ও খুনের অভিযোগ

    সে রাজ্যের মেইতেই সম্প্রদায়ের ছয় জনকে অপহরণ করে তাঁদেরকে হত্যার অভিযোগ ওঠে মণিপুরের কুকি জঙ্গিদের বিরুদ্ধে। প্রসঙ্গত মণিপুরের (Manipur) উদ্বাস্তু ক্যাম্পে থাকা তিন জন মহিলা সহ তিনজন শিশু হঠাৎই নিখোঁজ হয়ে যায়। এই ঘটনা ঘটে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে কুকি জঙ্গিদের সংঘর্ষের পরেই। তখন এই মেইতেই সংগঠনের তরফ থেকে দাবি করা হয় যে, তাঁদেরকে অপহরণ করেছে কুকি জঙ্গিরা। গত ১১ নভেম্বর একদল বিক্ষুদ্ধ জনতা বোরোবেকরা অঞ্চলে  পুলিশ স্টেশনের হামলা চালায়। জানা যায়, হামলা চালানোর পরে সেখান থেকে ফেরার সময় তারা ওই তিন মহিলা সহ তিন শিশুকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। ওই ৬ জন একই পরিবারের সদস্য ছিলেন। পরবর্তীকালে তাঁদের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। রবিবার জিরিবাম জেলার জিরি নদী থেকে বৃদ্ধা এবং এক শিশুর দু’টি মুণ্ডহীন দেহ উদ্ধার হয়। তার আগে, শনিবারও পাওয়া গিয়েছিল তিনটি মৃতদেহ। 

    কংগ্রেস ও বিজেপির পার্টি অফিসেও ভাঙচুর (Manipur)

    এই ঘটনায় হিংসা আরও ছড়িয়ে পড়ে। প্রসঙ্গত, জিরিবাম এলাকাতে বিক্ষোভকারীরা কংগ্রেস ও বিজেপির পার্টি অফিসও ভাঙচুর করে। জিরিবামের বিধায়কের বাড়িতেও হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। পুলিশ প্রশাসনের আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, এলাকার বেশ কিছু বাড়িতে ঢুকে আসবাবপত্র ভাঙচুর করে বিক্ষোভকারীরা। শনিবারই মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংয়ের বাসভবনে হামলা চালায় বিক্ষোভকারীরা। রবিবার জিরিবাম থানা এলাকার বাবুপাড়া এলাকায় বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে বাহিনীর সংঘর্ষ বাঁধে। একাধিক জায়গায় ভাঙচুর করা হয়। এরই মধ্যে এক বিক্ষোভকারীর মৃত্যু হয়। এর পরই, পশ্চিম ইম্ফল এবং পূর্ব ইম্ফলে কার্ফু জারি করা হয়। সাত জেলায় বন্ধ করা হয় ইন্টারনেট। 

    ২০২৩ থেকে অশান্ত মণিপুর (Manipur) 

    কুকি ও মেইতেইদের বিরোধের জল প্রথমে গড়ায় মণিপুর হাইকোর্টে। ২০২৩ সালের প্রথম দিকে হাইকোর্ট জানায় যে, মেইতেই জনগোষ্ঠীকে তফশিলি উপজাতির তকমা দেওয়া যায় কিনা তা খতিয়ে দেখুক রাজ্য সরকার। হাইকোর্টের এমন নির্দেশের পরেই ২০২৩ সালের এপ্রিলের শেষ সপ্তাহে মণিপুরের (Manipur) ‘অল ট্রাইবাল স্টুডেন্ট ইউনিয়ন’ একটি মিছিল আয়োজন করে। সেই মিছিল থেকে প্রথম হিংসা ছড়ায় চূড়াচাঁদপুর জেলায়। অশান্ত মণিপুরে (Manipur Violence) এখনও পর্যন্ত হিংসায় প্রাণ হারিয়েছেন কয়েকশো মানুষ। এরই মধ্যে ২০২৩ সালের জুলাই মাসে ভাইরাল হয়েছিল এক বিভীষিকার ভিডিও। সেখানে দেখা গিয়েছিল দুই মহিলাকে নগ্ন করে ঘোরানো হচ্ছে। পরে তাঁদের মাঠে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। সেই ঘটনা ঘটে ২০২৩ সালের ৪ মে তবে ভিডিও ভাইরাল হয় জুলাই মাসে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Nirmala Sitharaman: মধ্যবিত্তের স্বার্থে সীতারামনকে আন্তরিক অনুরোধ নেটাগরিকের, কী জবাব দিলেন অর্থমন্ত্রী?

    Nirmala Sitharaman: মধ্যবিত্তের স্বার্থে সীতারামনকে আন্তরিক অনুরোধ নেটাগরিকের, কী জবাব দিলেন অর্থমন্ত্রী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশে ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতি ও মূল্যবৃদ্ধির মধ্যে মধ্যবিত্ত শ্রেণির জন্য কিছু স্বস্তি প্রদানের অনুরোধ করা হয়েছিল কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের কাছে (Nirmala Sitharaman)। ১৭ নভেম্বর এক নেটিজেন তাঁকে ওই অনুরোধ করেন।

    অর্থমন্ত্রীর উদ্দেশে পোস্ট (Nirmala Sitharaman)

    জনৈক তুষার শর্মা কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর উদ্দেশে এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছিলেন, “সীতারামন আমরা আপনার প্রচেষ্টা ও দেশের প্রতি অবদানের গভীর প্রশংসা করি এবং আপনার প্রতি আমাদের সর্বোচ্চ সম্মান রয়েছে। আমি বিনীতভাবে অনুরোধ করছি যে আপনি মধ্যবিত্ত শ্রেণির জন্য কিছু স্বস্তি প্রদানের (Inflation) বিষয় বিবেচনা করুন। আমি জানি এর সঙ্গে জড়িত বিশাল চ্যালেঞ্জগুলি, কিন্তু এটি কেবল একটি আন্তরিক অনুরোধ।”

    অর্থমন্ত্রীর প্রতিক্রিয়া

    পোস্টটি দেখে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া জানান কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। চ্যালেঞ্জগুলি স্বীকার করার জন্য শর্মাকে ধন্যবাদও জানান মন্ত্রী। জানিয়ে দেন, কেন্দ্রীয় সরকার একটি প্রতিক্রিয়াশীল সরকার। সীতারামন তাঁর উত্তর দিতে গিয়ে লিখেছেন, “আপনার দয়ালু শব্দ এবং আপনার বোঝার জন্য ধন্যবাদ। আমি আপনার উদ্বেগ স্বীকার করি এবং তার মূল্যায়ন করি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার একটি রেসপন্সিভ সরকার। জনগণের কণ্ঠ শোনে এবং তাঁদের সমস্যা সমাধানে মনোযোগ দেয়। আবার একবার আপনার বোঝার (চ্যালেঞ্জগুলো) জন্য ধন্যবাদ। আপনার মতামত মূল্যবান।”

    জানা গিয়েছে, ভারতের পাইকারি মূল্য সূচক (WPI) ভিত্তিক মুদ্রাস্ফীতি অক্টোবর মাসে খাদ্যমূল্যের দর বৃদ্ধির কারণে ২.৩৬ শতাংশে পৌঁছেছে, যা চার মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের এক সমীক্ষায় অর্থনীতিবিদরা প্রত্যাশা করেছিলেন যে, অক্টোবর মাসে পাইকারি মুদ্রাস্ফীতি হবে ২.২ শতাংশের কাছাকাছি। সেপ্টেম্বর মাসে এটাই ছিল ১.৮৪ শতাংশ। পাইকারি মূল্য সূচক, যা উৎপাদকের মূল্য সূচক হিসেবে কাজ করে, নভেম্বর ২০২৩ থেকে ইতিবাচকই ছিল। এক বছর আগে এটি ছিল -০.২৬ শতাংশ (Nirmala Sitharaman)।

    আরও পড়ুন: পিএম-কিষানের টাকায় অর্থ সংগ্রহ! ভারতকে ইসলামিক রাষ্ট্রে পরিণত করার জঙ্গি-ছক ফাঁস

    খাদ্য মুদ্রাস্ফীতি, যা সূচকের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান, বার্ষিক ভিত্তিতে ১১.৫৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এটি সেপ্টেম্বরে ছিল ৯.৪৭ শতাংশ, আগস্টে ছিল ৩.২১ শতাংশ। উচ্চ খাদ্যমূল্যের কারণে ভারতের খুচরা মুদ্রাস্ফীতি, যা উপভোক্তা মূল্য সূচক ভিত্তিক, অক্টোবরে ১৪ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ ৬.২১ শতাংশে পৌঁছেছে। এই বৃদ্ধির প্রধান কারণ ছিল শাকসবজি ও ফলমূলের দাম (Inflation), যেগুলোর দাম যথাক্রমে ৬৩.০৪ ও ১৩.৫৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে (Nirmala Sitharaman)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

     
     
  • India Japan Agreement: ভারত-জাপান বিশেষ প্রতিরক্ষা-চুক্তি, নৌসেনার রণতরীগুলিতে বসবে ‘স্টেলথ’ মাস্তুল

    India Japan Agreement: ভারত-জাপান বিশেষ প্রতিরক্ষা-চুক্তি, নৌসেনার রণতরীগুলিতে বসবে ‘স্টেলথ’ মাস্তুল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত ও জাপানের মধ্যে প্রতিরক্ষা খাতে একটি গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি (India Japan Agreement) স্বাক্ষরিত হল। সম্প্রতি টোকিওতে স্বাক্ষরিত ওই চুক্তি মোতাবেক এই দুই দেশ যৌথভাবে ‘ইউনিফাইড কমপ্লেক্স রেডিও অ্যান্টেনা’ (UNICORN Mast) মাস্ট বা জাহাজের মাস্তুল তৈরি করবে, যা একটি অত্যাধুনিক প্রযুক্তি সমন্বিত যোগাযোগ ব্যবস্থা হবে। 

    ইউনিকর্ন মাস্ট

    সামরিক সূত্রে খবর, ভারতীয় নৌবাহিনীর জাহাজেগুলির স্টেলথ বৈশিষ্ট্য বাড়ানোর জন্য এই নতুন প্রজন্মের ইউনিকর্ন মাস্ট (UNICORN Mast) বা মাস্তুল সিস্টেম বসানো হবে। তিনটি জাপানি কোম্পানি মিলিতভাবে এই প্রযুক্তি তৈরি করে। এই অ্যান্টেনাগুলি বর্তমানে জাপান মেরিটাইম সেলফ-ডিফেন্স ফোর্সের মোগামি-শ্রেণির ফ্রিগেটে মোতায়েন করা আছে। প্রচলিত মাস্তুলের পরিবর্তে একাধিক যোগাযোগ সিস্টেমের অ্যান্টেনাকে একত্রিত করে পুরোটা একটা রেডোম-এর মধ্যে ঢেকে দিয়ে রেডার ক্রস-সেকশন (RCS) হ্রাস করে এই নয়া প্রযুক্তি (UNICORN Mast) জাহাজগুলিকে অধিকমাত্রায় স্টেলথ করে তুলবে। একইসঙ্গে অত্যাধুনিক অ্যান্টেনা থাকায় নিজেদের মধ্যে নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগও স্থাপন সম্ভব হবে (India Japan Agreement)। এর ফলে একদিকে যেমন শত্রুদের মোকাবিলায় নিজেদের মধ্যে সমন্বয় সাধন সহজ হবে। অন্যদিকে, শত্রুর রেডারে অদৃশ্য থাকতে পারবে। এর ফলে, বিশেষ করে স্পর্শকাতর পরিবেশে নৌবাহিনী তার কার্যকারিতা উন্নত করতে পারবে।

    ভারত-জাপান বন্ধুত্ব 

    প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে প্রথমবার ভারত ও জাপানের মধ্যে এই ধরনের চুক্তি (India Japan Agreement)  স্বাক্ষরিত হল। টোকিওতে ভারতীয় দূতাবাসে ১৫ নভেম্বর এই চুক্তি স্বাক্ষরের সময় উপস্থিত ছিলেন ভারতের টোকিওস্থ রাষ্ট্রদূত সিবি জর্জ এবং জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের অধীন অধিগ্রহণ প্রযুক্তি ও লজিস্টিক্স সংস্থার কমিশনার ইশিকাওয়া তাকেশি। এই চুক্তি ২০১৫ সালের ভারত-জাপান প্রতিরক্ষা (India Japan Agreement) সরঞ্জাম ও প্রযুক্তি স্থানান্তর চুক্তির অন্তর্গত। ভারতীয় নৌবাহিনী সূত্রে খবর, জাপানের সহযোগিতায় এই উন্নত প্রযুক্তি (UNICORN Mast) ভারতীয় প্রতিষ্ঠান ‘ভারত ইলেকট্রনিকস লিমিটেড’ দ্বারা ভারতের মাটিতে তৈরি হবে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Al Qaeda: পিএম-কিষানের টাকায় অর্থ সংগ্রহ! ভারতকে ইসলামিক রাষ্ট্রে পরিণত করার জঙ্গি-ছক ফাঁস

    Al Qaeda: পিএম-কিষানের টাকায় অর্থ সংগ্রহ! ভারতকে ইসলামিক রাষ্ট্রে পরিণত করার জঙ্গি-ছক ফাঁস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতকে ইসলামিক রাষ্ট্রে পরিণত করার পরিকল্পনা করেছিল আল কায়দা (Al Qaeda) প্রভাবিত জঙ্গি মডিউল। জিহাদের জন্য তহবিল সংগ্রহ করা হচ্ছিল প্রধানমন্ত্রী কিষান যোজনা (PM Kisan Yojana) ব্যবহার করে! আদালতে এমনই জানাল দিল্লি পুলিশ।

    ১১ জনকে গ্রেফতার (Al Qaeda)

    সেপ্টেম্বরে আল-কায়দা প্রভাবিত জঙ্গি মডিউলের সঙ্গে জড়িত ১১ জনকে গ্রেফতার করেছিল দিল্লি পুলিশ। এর মধ্যে ছিলেন ঝাড়খণ্ডের রাঁচির চিকিৎসক ইশতিয়াকও। এই জঙ্গি মডিউলটি ভারতে ইসলামিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করছিল। তদন্ত চলাকালীন দিল্লি পুলিশ জানিয়ে দেয়, আল কায়দা-অনুপ্রাণিত এই মডিউলটি প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধি যোজনার মাধ্যমে জিহাদের জন্য তহবিল সংগ্রহ করছিল।

    পিএম-কিষান যোজনার সুবিধাভোগী

    দিল্লি পুলিশের তরফে আদালতে দেওয়া এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, গ্রেফতার হওয়া দুই ব্যক্তি পিএম-কিষান যোজনার সুবিধাভোগী ছিল। তারা জঙ্গি কার্যকলাপে সাহায্যের জন্য অস্ত্র কেনার উদ্দেশে অর্থ দিয়েছিল বলে অভিযোগ। অভিযুক্তদের পিএম-কিষান যোজনার টাকা পাইয়ে দিতে যারা তাদের হয়ে ফর্ম পূরণ করে দিয়েছিল, তাদের খোঁজেও তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, এই যে ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তাদের সম্পর্কে তথ্য মিলেছিল কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলির কাছ থেকে। তাতে বলা হয়েছিল, ঝাড়খণ্ডে অবস্থিত একটি চরমপন্থী ইসলামিক গোষ্ঠী, যারা দিল্লিতে সমমনস্কদের কাছ থেকে সমর্থন পাচ্ছিল, তারা জঙ্গি হামলার পরিকল্পনা করছিল (PM Kisan Yojana)।

    কী বলছে পুলিশ?

    সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে এক পুলিশ কর্তা বলেন, গ্রেফতারের পর (Al Qaeda) দিল্লি পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলি তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে। পরে তাদের তিহার জেলে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয়। তবে নতুন প্রমাণ পাওয়ার পর এই সপ্তাহের শুরুতে আট অভিযুক্তকে ছ’দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত। পাতিয়ালা হাউস কোর্টের অতিরিক্ত সেশন জজ হরদীপ কৌর ১২ নভেম্বর এক নির্দেশিকায় বলেন, তদন্তকারী অফিসার একটি আবেদন করেছেন, যেখানে আটজন অভিযুক্তের জন্য ছ’দিনের পুলিশ হেফাজত চাওয়া হয়েছে। একজন সাক্ষী বলেছেন যে ষড়যন্ত্রে আরও কয়েকজন জড়িত রয়েছে, এবং তাদের শনাক্ত ও জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন। সাক্ষীর মতে, অভিযুক্তরা পিএম-কিষাণ যোজনা ব্যবহার করে জিহাদের জন্য তহবিল সংগ্রহ করার পরিকল্পনা করেছিল, এবং অভিযুক্তদের পক্ষে যারা ফর্ম পূরণ করেছিল, তাদের শনাক্ত করতে হবে।

    আরও পড়ুন: “সত্য প্রকাশিত হচ্ছে”, ‘দ্য সবরমতী রিপোর্ট’ ফিল্মের প্রতিক্রিয়ায় বললেন মোদি

    প্রথম অভিযান

    এই মামলায় প্রথম অভিযান চালানো হয় ২২ অগাস্ট। এই সময় গ্রেফতার করা হয়েছিল ছ’জনকে (Al Qaeda)। এরা হল আনামুল আনসারি, শাহবাজ আনসারি, আলতাফ আনসারি, হাসান আনসারি, আরশাদ খান এবং বছর কুড়ির উমর ফারুক। জানা গিয়েছে, তারা রাজস্থানের ভিওয়াড়ির আজমেরি নাকা এলাকার সারে কালান কি পাহগাদিতে অস্ত্র প্রশিক্ষণ নিচ্ছিল। প্রবীণ এক পুলিশ কর্তা জানান, দুই প্রশিক্ষক ও একজন শিক্ষার্থী প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে পালিয়ে যেতে পেরেছিল। পুলিশ একটি অ্যাসল্ট রাইফেল, একটি পিস্তল, একটি রিভলভার, বিভিন্ন ক্যালিবারের ৬৬টি তাজা কার্তুজ, একটি হাতবোমা, একটি রিমোট কন্ট্রোল মেকানিজম, একটি হাতে তৈরি কার্বাইন এবং একটি ডামি ইনসাস রাইফেল উদ্ধার করেছে (PM Kisan Yojana)।

    দ্বিতীয় অভিযান

    সেপ্টেম্বর মাসে রাঁচিতে চালানো হয় দ্বিতীয় অভিযান। সেখানে গ্রেফতার করা হয় পাঁচজনকে। এরা হল, ইশতিয়াক আহমেদ ওরফে ক্যাপ্টেন, মহম্মদ রিজওয়ান, মতি-উর-রহমান, মহম্মদ রহমানতুল্লাহ এবং ফয়জান আহমেদ। অভিযানের সময় একটি হাতে তৈরি এসএলআর, একটি হাতে তৈরি কার্বাইন এবং ৫.১ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়। পুলিশের দাবি, ইশতিয়াকই এই জঙ্গি মডিউলের প্রধান। পুলিশ জানিয়েছে, ১১ অভিযুক্তই রাঁচির বিভিন্ন গ্রামের বাসিন্দা। জিজ্ঞাসাবাদ ও প্রযুক্তিগত নজরদারির সাহায্যে জানা গিয়েছে, অভিযুক্তদের মধ্যে দু’জন- হাসান ও আনামুল, জেলবন্দি আবদুল রহমান কাটকির সঙ্গে দেখা করতে জামশেদপুর সেন্ট্রাল জেলে একাধিকবার গিয়েছিল। আত্মীয় পরিচয় দিয়ে তারা সেখানে গিয়েছিল।

    অতিরিক্ত সেশন জজের বক্তব্য

    অতিরিক্ত সেশন জজ হরদীপ কৌর বলেন, “আনামুল সিম কার্ড সংগ্রহ করার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু পারেনি। তাই সে (Al Qaeda) হয়তো অন্য কাউকে তার জন্য সিম কার্ড জোগাড় করতে বলেছিল। সেই ব্যক্তিকে শনাক্ত করা প্রয়োজন।” একজন সাক্ষী জানিয়েছেন, আনামুলের নির্দেশে উমর বোমা তৈরির জন্য আতশবাজি কিনেছিল। ওই সাক্ষী আরও জানিয়েছেন, জিহাদের জন্য যুবকদের নিয়োগ করার লক্ষ্যে অভিযুক্ত আনামুল বুদ কোকরা, চত্রা, বাঁশ জাদি এবং অন্যান্য বিভিন্ন জায়গায় ঘুরেছিল। সে কাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল, তাদেরও শনাক্ত করা প্রয়োজন।

    ইশতিয়াক

    জানা গিয়েছে, ভারতের আল-কায়দা ইন্ডিয়ান সাবকন্টিনেন্ট মডিউল পরিচালনা করতেন ইশতিয়াক। এই সুপরিকল্পিত নেটওয়ার্কের হদিশ মেলায় জানা গিয়েছে, এই মডিউল ভারতে জঙ্গি হামলার জন্য ব্যক্তিদের প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্যে কাজ করছিল। ইশতিয়াক রাঁচির একজন রেডিওলজিস্ট। ঝাড়খণ্ডের নাকাটা জঙ্গলের মতো প্রত্যন্ত এলাকায় প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন করেছিলেন তিনি। সেখানে নতুন সদস্যদের অস্ত্র পরিচালনা ও আত্মঘাতী বোমা হামলার জন্য প্রস্তুত হওয়ার প্রশিক্ষণ দেওয়া হত। এই গোষ্ঠীর লক্ষ্য ছিল ভারতে ইসলামি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা। ইশতিয়াক রাজস্থান এবং উত্তরপ্রদেশ পর্যন্ত মডিউলের কার্যক্রম সম্প্রসারিত করেছিলেন। তিনি একটা আত্মঘাতী দল গঠনের পরিকল্পনা করেছিলেন বলেও (PM Kisan Yojana) তদন্তে জানা গিয়েছে (Al Qaeda)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share