Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Amit Shah: “দেশবিরোধী শক্তির পাশে দাঁড়ানো ওঁর স্বভাব”, রাহুলকে নিশানা শাহের

    Amit Shah: “দেশবিরোধী শক্তির পাশে দাঁড়ানো ওঁর স্বভাব”, রাহুলকে নিশানা শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিদেশ সফরে গিয়ে বারংবার বিতর্কিত মন্তব্য করে খবরের শিরোনামে কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। সম্প্রতি আমেরিকায় দুটি পৃথক কর্মসূচিতে ভারতে জাতভিত্তিক সংরক্ষণ ব্যবস্থার যৌক্তিকতা ও বর্তমান পরিস্থিতিতে শিখদের স্বাধীনভাবে ধর্মাচরণের অধিকার নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছিলেন রাহুল। তারই প্রেক্ষিতে বুধবার কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতিকে একেবারে ধুয়ে দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)।

    দেশ-বিরোধী (Amit Shah)

    আমেরিকায় রাহুল গান্ধীর মন্তব্যকে “দেশ-বিরোধী, সংরক্ষণ বিরোধী” বলে উল্লেখ করেন অমিত শাহ। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “রাহুলের স্বভাবই হল বার বার দেশবিরোধী শক্তিদের পাশে দাঁড়ানো। এ সব দেশ-বিরোধী, সংরক্ষণ-বিরোধী মন্তব্য করে উনি বার বার দেশের নিরাপত্তাকে প্রশ্নের মুখে ফেলেছেন। আঘাত করেছেন মানুষের ভাবাবেগেও।” তিনি বলেন, “রাহুলের এই সব মন্তব্য ধর্ম, প্রাদেশিকতা ও ভাষাকে হাতিয়ার করে কংগ্রেসের বিভাজনের রাজনীতিই চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়।” শাহ বলেন, “কিন্তু যতদিন বিজেপি রয়েছে, সংরক্ষণও থাকবে। দেশের নিরাপত্তা নিয়ে কেউ ছেলেখেলা করতে পারবে না।”

    কী বললেন বিজেপি নেতারা

    রাহুলকে তুলোধনা করেছেন বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা রবিশঙ্কর প্রসাদও। তিনি বলেন, “রাহুলের মন্তব্যের জবাবে মুখ খোলা উচিত ইন্ডি ব্লকের (বিজেপি বিরোধী ২৬টি রাজনৈতিক দলের জোট) সদস্য ডিএমকে প্রধান এমকে স্ট্যালিন, আরজেডি সুপ্রিমো লালু প্রসাদ, সমাজবাদী পার্টি প্রেসিডেন্ট অখিলেশ যাদব এবং বাম নেতাদের (Amit Shah)।”

    বিজেপি নেতা গৌরব ভাটিয়া বলেন, “প্রত্যেকেই জানেন রাহুল গান্ধী একজন অপরিণত এবং পার্ট-টাইম নেতা। যেহেতু তিনি বিরোধী দলনেতা, তাই তার কাঁধে বিরাট দায়িত্ব। আমার বলতে খারাপ লাগছে, ভারতীয় গণতন্ত্রে রাহুল গান্ধী একটি কলঙ্কিত অধ্যায়।”

    আরও পড়ুন: “সাইবার নিরাপত্তা ছাড়া জাতীয় নিরাপত্তাও অসম্ভব”, বললেন শাহ

    কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী বলেন, “ইতিহাস বলে আমরা নানা সময় উদ্বেগে ভুগেছি, নিরাপত্তার অভাব বোধ করেছি, সেই সময় ক্ষমতায় ছিল রাহুল গান্ধীর পরিবার।” 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

     

  • Supreme Court: সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির স্ত্রীকে নিয়ে ফেক ট্যুইট, অভিযোগ দায়ের

    Supreme Court: সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির স্ত্রীকে নিয়ে ফেক ট্যুইট, অভিযোগ দায়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) প্রধান বিচারপতি (Chief Justice of India) ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের (DY Chandrachud) স্ত্রীকে নিয়ে ট্যুইটের জেরে ‘সাইবার অভিযোগ’ দায়ের করেছে দিল্লি পুলিশ। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ব্যক্তিগত চিকিৎসকের সঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের স্ত্রী কল্পনা দাসের পারিবারিক সম্পর্ক উল্লেখ করে সম্প্রতি একটি ট্যুইট করা হয়। যা পুরোপুরি ভুল এবং মিথ্যা বলে জানানো হয়েছে। আরজি কর কাণ্ডে তরুণী পড়ুয়া-চিকিৎসক খুনের ঘটনায় সামনে এসেছে দুর্নীতির পাহাড়। আর সেই দুর্নীতিতে বারবারই উঠে এসেছে ‘উত্তরবঙ্গ লবি’-র কথা। চিকিৎসক মহলের একটা বড় অংশের তরফে দাবি করা হয়েছে, এই ‘লবি’ই নাকি বাংলার স্বাস্থ্যক্ষেত্রের অনেক ক্ষতি করে ফেলেছে। এই পরিস্থিতিতে সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে একটি নতুন দাবি উঠে এসেছে, যে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের সঙ্গে পারিবারিক যোগ রয়েছে উত্তরবঙ্গ লবির ‘মাথা’ হিসেবে চিহ্নিত এসপি দাসের!

    কী বলা হয়েছে ভুয়ো ট্যুইটে

    ট্যুইটারে-ফেসবুকে ভাসছে, মমতা-অভিষেকের সঙ্গে ‘ঘনিষ্ঠ’ যোগ রয়েছে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের। এমনকী, বিচারপতির স্ত্রীর নামেও কিছু দাবি করা হচ্ছে নানা ভাইরাল পোস্টে। বলা হচ্ছে, সম্পর্কে জাস্টিস চন্দ্রচূড়ের স্ত্রী কল্পনা দাসের কাকা হন এসপি দাস। এখানেই নয়, রাজ্য সরকারের সঙ্গে প্রধান বিচারপতির যোগ রয়েছে বলেও দাবি করা হয়। এই ট্যুইট নিয়ে ইতিমধ্যেই দিল্লির সাইবার সেলে অভিযোগ জানানো হয়েছে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) রেজিস্ট্রির তরফে। বলা হয়েছে, ‘এই ট্যুইট উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও অসত্য। এটি বিচারব্যবস্থার অবমাননা করছে।’ 

    আরও পড়ুন: রেকর্ড মুদ্রাস্ফীতি! অস্থিরতার জেরে চরম অর্থনৈতিক সংকটের মুখে বাংলাদেশ

    আইনি পদক্ষেপ 

    কয়েক দিন ধরেই একাধিক সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে দেখা গিয়েছে, জাস্টিস চন্দ্রচূড়ের সঙ্গে এসপি দাসের ‘পারিবারিক যোগ’ থাকার কারণেই, ‘ষড়যন্ত্র’ করে আরজি কর নিয়ে সুয়ো মোটো মামলা করেছে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। এমনকী, ৫ সেপ্টেম্বরের নির্ধারিত শুনানিও নাকি এই জন্যই পিছিয়ে গিয়েছিল। সোশ্যাল মিডিয়ায় এসব ছড়াতে দেখে যে কেবল দিল্লিতে অভিযোগ দায়ের হয়েছে তাই নয়, পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের তরফেও নেটিজেনদের সতর্ক করা হয়েছে এই বিষয়ে। প্রশাসনের তরফে বলা হয়েছে, ‘বাকস্বাধীনতার সুযোগ নিয়ে মিথ্যাচার ছড়ানো যায় না। বিশেষ করে শীর্ষ আদালতের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার ছড়ানো হলে তা বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য। এই ক্ষেত্রে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি পদক্ষেপ করা হবে। যারা বিচার ব্যবস্থাকে কালিমালিপ্ত করতে চাইছে, তাদের নিস্তার দেওয়া হবে না।’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • ASI: প্রত্নতাত্ত্বিক ঐতিহ্য সংরক্ষণে একসঙ্গে কাজ করবে এএসআই ও রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলি

    ASI: প্রত্নতাত্ত্বিক ঐতিহ্য সংরক্ষণে একসঙ্গে কাজ করবে এএসআই ও রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের বিভিন্ন প্রান্ত হয়ে চলা পুরাতত্ত্ব খনন প্রকল্পগুলির কিছুটা অংশ রাজ্য প্রত্নতাত্ত্বিক বিভাগ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মাধ্যমে পরিচালনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতের প্রত্নতাত্ত্বিক বিভাগ (এএসআই)। আগামী পাঁচ বছরে এই প্রকল্পগুলির জন্য ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এএসআই-এর কর্মী ও সম্পদের ঘাটতি কাটিয়ে ওঠার লক্ষ্যে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। 

    কীভাবে চলবে কাজ

    এই নয়া উদ্যোগের ফলে, বড় প্রকল্পগুলি সরাসরি এএসআই পরিচালনা করবে। কিন্তু ছোট ও নির্দিষ্ট সাইটের খননকার্য পরিচালনার জন্য রাজ্য ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলির সহায়তা নেওয়া হবে। যদিও প্রকল্পগুলোর তত্ত্বাবধান এএসআই-ই করবে, এবং এএসআই-এর নিয়ম মেনে চলতে হবে। প্রকল্পগুলির জন্য পুরো খরচও এএসআই বহন করবে। এএসআই কোনও গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার বা জটিল পরিস্থিতির ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞদের সাহায্য নেবে। এই পদক্ষেপের মাধ্যমে এএসআই ভারতের সমৃদ্ধ প্রত্নতাত্ত্বিক ঐতিহ্যকে আরও ব্যাপকভাবে অনুসন্ধান ও সংরক্ষণ করতে চায়।

    কেন এই সিদ্ধান্ত

    ২০২২-২৩ সালে এএসআই ৩১টি খনন স্থানের অনুমোদন দিয়েছিল, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি স্থানের মধ্যে রয়েছে হরিয়ানার রাখিগড়ি, দিল্লির পুরানা কিলা, এবং গোয়ার সেন্ট অগাস্টিন চার্চ। তবে কর্মী ও অর্থের অভাবে অনেক প্রকল্প এখনও শুরু করা সম্ভব হয়নি। যদিও কেন্দ্রের সংস্কৃতি মন্ত্রক থেকে প্রায় ১,০০০ কোটি টাকা পায় এএসআই, তার অল্প অংশই খনন কাজের জন্য বরাদ্দ করা হয়। অধিকাংশ অর্থ অন্যান্য কাজের জন্য ব্যবহৃত হয়, ফলে খনন কার্যক্রমের বাজেট অপূর্ণ থেকে যায়। এই সমস্যাগুলি সমাধানের জন্য এএসআই রাজ্য প্রত্নতাত্ত্বিক বিভাগ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলির সহায়তা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

    আরও পড়ুন: রেকর্ড মুদ্রাস্ফীতি! অস্থিরতার জেরে চরম অর্থনৈতিক সংকটের মুখে বাংলাদেশ

    কোথায় কোথায় খনন কার্য

    ভবিষ্যতে গুজরাটের দ্বারকা এবং তামিলনাড়ুর কাবেরী অববাহিকার মতো পুরাণে উল্লেখিত ডুবে যাওয়া শহরগুলিতে খনন চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে। এছাড়া, মহারাষ্ট্র ও ওড়িশার উপকূলে জলতাত্ত্বিক গবেষণা পুনরুজ্জীবিত করার মাধ্যমে ভারতের সমুদ্রের ইতিহাসও আবিষ্কৃত হবে। এই বছর, এএসআই খনন প্রকল্পগুলিতে ৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করছে, যা আগামী বছরে ২০ কোটি টাকায় উন্নীত করার পরিকল্পনা রয়েছে। আগামী পাঁচ বছরে খনন কার্যক্রমের জন্য ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দের লক্ষ্য রয়েছে। এই উদ্যোগ ভারতের প্রাচীন ঐতিহ্য অনুসন্ধানে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে বলে আশা প্রত্নতাত্ত্বিকদের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Uttar Pradesh: মুখে ‘আল্লাহু আকবর’ স্লোগান, উত্তরপ্রদেশে গণেশ পুজোর মণ্ডপে ‘হামলা’ জেহাদিদের

    Uttar Pradesh: মুখে ‘আল্লাহু আকবর’ স্লোগান, উত্তরপ্রদেশে গণেশ পুজোর মণ্ডপে ‘হামলা’ জেহাদিদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক বাড়ির গণেশ পুজোর (Ganesh Puja) মণ্ডপে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল জেহাদিদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশে (Uttar Pradesh)। হামলাটি হয়েছে গত ১০ সেপ্টেম্বর রাতে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০ থেকে ২৫ জনের একটি জেহাদি গোষ্ঠী ওই পুজো প্যান্ডেলে হামলা চালায়। শুধু তাই নয়, মণ্ডপকে কেন্দ্র করে ব্যাপক ইট-বৃষ্টি চলতে থাকে। লুট করা হয়ে বাড়ি, ভাঙচুর করা হয় গণেশ মূর্তি। অভিযোগ পেয়েই দ্রুত পদক্ষেপ করল যোগী প্রশাসন।

    কী বলছেন অভিযোগকারী?

    এই ঘটনায় স্থানীয় পুলিশ স্টেশনে যে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে সেখানে অভিযোগকারী বাড়ির মালিক প্রদীপ চৌরাশিয়ার স্ত্রী কিরণ চৌরাশিয়া উল্লেখ করেছেন, ‘‘৭ সেপ্টেম্বর গণেশ পুজো শুরু হয়। গণেশ চতুর্থী উপলক্ষে মূর্তিতে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করা হয়। প্রতি বছরই আমাদের এই অনুষ্ঠান চলে। ঠিক সেইদিনই বাড়ির আশেপাশে ২০ থেকে ২৫ জন দুষ্কৃতী জড়ো হয় এবং তারা ‘আল্লাহু আকবর’ স্লোগান দিতে থাকে (Uttar Pradesh)। তারপরে তারা সেই সময়ে ঘটনাস্থল ছেড়ে চলে যায় কিন্তু ঠিক ১০ সেপ্টেম্বর যখন আরতি চলছিল তখন ফের আবার ২০-২৫ জনের জেহাদি বাহিনী ইট বৃষ্টি শুরু করে এবং মূর্তি (Ganesh Puja) ভাঙচুর করে।’’ আরও অভিযোগ ওই জেহাদি গোষ্ঠী পরিবারকে হুমকি দেয়, যদি এরপরে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয় তাহলে এই ধরনের ঘটনা আরও ঘটবে বলে জানায় তারা।

    এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার ১ সন্দেহভাজন (Uttar Pradesh)

    জানা গিয়েছে, পুলিশে অভিযোগ দায়ের করার পরেই ইতিমধ্যে পদক্ষেপ করা শুরু করেছে যোগী রাজ্যের পুলিশ (Uttar Pradesh)। সন্দেহজনক একজনকে গ্রেফতার করেছে তারা। তার নাম অবশ্য এখনও প্রকাশ্যে আনা হয়নি। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশের ডেপুটি কমিশনার শশাঙ্ক সিং জানিয়েছেন যে, কিরণ চৌরাশিয়া যিনি গঙ্গা বিহার এলাকার বাসিন্দা, তিনি নিজের বাড়ির পুজোতে হামলার অভিযোগ এনে এফআইআর করেছেন। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • India Israel Relation: ভারতে বড় লগ্নি করবে ইজরায়েল, জানালেন নয়া রাষ্ট্রদূত

    India Israel Relation: ভারতে বড় লগ্নি করবে ইজরায়েল, জানালেন নয়া রাষ্ট্রদূত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিপদের সময় পাশে দাঁড়ানোর প্রতিদান পেতে চলেছে ভারত! ইজরায়েল (India Israel Relation) থেকে আগামী কয়েক দিনের মধ্যে ভারতে আসছে বড় বিনিয়োগ। সেমিকন্ডাক্টর খাতে এই বিনিয়োগ হবে বলে জানিয়েছেন ইজরায়েলের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত।

    কী বললেন রাষ্ট্রদূত? (India Israel Relation)

    সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রাষ্ট্রদূত রিউভেন আজার বলেন, “আমরা আগামী কয়েক দিনের মধ্যে সেমিকন্ডাক্টর সম্পর্কে বড় খবর পাব আশা করছি। আমাদের পরিকল্পনায় কিছু রয়েছে। জানা গিয়েছে, ইজরায়েলের কোম্পানি টাওয়ার সেমিকন্ডাক্টর, যা ইন্টিগ্রেটেড সার্কিট তৈরিতে বিশেষজ্ঞ, ভারতে কয়েক বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করতে চলেছে।” ইজরায়েলের কোম্পানির তরফে এখনও কিছু ঘোষণা হয়নি। এ সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে, ইজরায়েলের রাষ্ট্রদূত বলেন, “আমি ঘোড়ার সামনে গাড়ি রাখতে চাই না। কিছু বেসরকারি ক্ষেত্রের লোকজন এই বিনিয়োগ করবে। তারাই এ ব্যাপারে ঘোষণা করবে।”

    সেমিকন্ডাক্টর ক্ষেত্রে ভারতের লক্ষ্য

    সেমিকন্ডাক্টর উৎপাদনে বৈশ্বিক নেতা হওয়ার লক্ষ্যে বিনিয়োগের অনুকূল পরিবেশ তৈরির লক্ষ্যে কাজ করে চলেছে ভারত। ভারত সেমিকন্ডাক্টর কেন্দ্রে পরিণত হতে চলেছে বলে দাবি করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্বয়ং। এই লক্ষ্য পূরণে ভারত (India Israel Relation) সেমিকন্ডাক্টর উৎপাদনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে আমেরিকা, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া এবং জার্মানির মতো দেশের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে অংশীদারিত্ব খুঁজছে। সেমিকন্ডাক্টর কোম্পানিগুলিকে রাজ্যে টানতে নানা পদক্ষেপ করেছে উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, ওড়িশা-সহ বেশ কয়েকটি রাজ্য। গুজরাট, অসম ও মহারাষ্ট্রের মতো রাজ্যে ইতিমধ্যেই সেমিকন্ডাক্টর কারখানা গড়ে উঠতে শুরু করেছে। বিনিয়োগ টানতে উত্তরপ্রদেশে চলতি মাসে হবে সেমিকন ইন্ডিয়া অনুষ্ঠান।

    আরও পড়ুন: “সাইবার নিরাপত্তা ছাড়া জাতীয় নিরাপত্তাও অসম্ভব”, বললেন শাহ

    নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত জানান, ইজরায়েল পরিকাঠামো প্রকল্পগুলিতে ৩৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগের পরিকল্পনা করেছে। এর মধ্যে রয়েছে রাজধানী তেল আভিভ এলাকায় একটি নয়া মেট্রো সিস্টেম এবং নয়া বিমানবন্দর তৈরি। তিনি বলেন, “আমাদের দুর্দান্ত প্রতিরক্ষা সহযোগিতা রয়েছে। আমরা একটি নয়া ক্ষেত্র প্রবর্তন করতে চাই। সেটা হল ভারতীয় পরিকাঠামো কোম্পানিগুলিকে আকৃষ্ট করা।” এর পরেই তিনি বলেন, “পরিকাঠামো খাতে আমরা ৩৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করতে যাচ্ছি। আমাদের ইজরায়েলে ভারতীয় কোম্পানি ও ভারতীয় (India Israel Relation) কর্মশক্তির প্রয়োজন।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sukhoi Jet Engine: ২৪০টি সুখোই জেট ইঞ্জিন কিনবে কেন্দ্র, হ্যাল-এর সঙ্গে ২৬ হাজার কোটি টাকার চুক্তি

    Sukhoi Jet Engine: ২৪০টি সুখোই জেট ইঞ্জিন কিনবে কেন্দ্র, হ্যাল-এর সঙ্গে ২৬ হাজার কোটি টাকার চুক্তি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের প্রতিরক্ষা আরও শক্তিশালী করতে পদক্ষেপ করল কেন্দ্র। হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্স লিমিটেডের (HAL) সঙ্গে ২৬ হাজার কোটি টাকার চুক্তি স্বাক্ষর করেছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। কেনা হবে বায়ুসেনায় ব্য়বহৃত সুখোই-৩০এমকেআই যুদ্ধবিমানের জন্য ২৪০টি এরো-ইঞ্জিন। নয়াদিল্লিতে প্রতিরক্ষা সচিব গিরিধর আরমানে, প্রতিরক্ষা উৎপাদন সচিব সঞ্জীব কুমার এবং বায়ুসেনার প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল ভিআর চৌধুরীর উপস্থিতিতে প্রতিরক্ষামন্ত্রক এবং হ্যাল-এর মধ্যে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।  

    ভারতেই তৈরি হবে ইঞ্জিন

    সুখোই ভারতের বায়ুসেনার অন্যতম প্রধান যুদ্ধবিমান। তথ্য বলছে, বায়ুসেনায় এই মুহূর্তে রুশ-জাত সুখোইয়ের সংখ্যা ২৬০টি। এ বছরের শেষদিক থেকে এই বিমানগুলোর ইঞ্জিনের মেয়াদ ফুরনো শুরু হবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভারতের হাতে এখন যত সুখোই বিমান রয়েছে, সেগুলো পুরো পাল্টাতে সবমিলিয়ে ৯০০টি ইঞ্জিন লাগবে। গোড়ায় ২৪০টি ইঞ্জিনের বরাত পেল হ্যাল। এতদিন, সুখোইয়ের ইঞ্জিনের দরকার হলে আমাদের রাশিয়ার দিকে তাকিয়ে থাকতে হত। সেই পরিস্থিতি আর থাকছে না। এবার ওড়িশার কোরাপুটে হ্যালের কারখানাতেই তৈরি হবে সুখোইয়ের ইঞ্জিন। এই জন্য রাশিয়া ভারতকে প্রযুক্তি দেবে। ইঞ্জিনের খুব সামান্য পরিমাণ যন্ত্রাংশই সরাসরি রাশিয়া থেকে আমদানি করা হবে।

    ৮ বছরের মধ্যে ডেলিভারি 

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, হ্যালের থেকে এই এরো ইঞ্জিন কেনার বিষয়টি, বায়ুসেনার প্রয়োজনীয়তাকে পূরণ করবে, এছাড়াও সেনার অপারেশনগুলি বিনা বাধায় এরফলে এগোতে পারবে, যা প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে প্রস্তুতিকে চাঙ্গা করবে। এই ২৪০টি ইঞ্জিনের ডেলিভারি আগামী ৮ বছরের মধ্যে সম্পন্ন হবে বলে জানা গিয়েছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Uttarakhand: লাভ ও ল্যান্ড জিহাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের নির্দেশ উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর

    Uttarakhand: লাভ ও ল্যান্ড জিহাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের নির্দেশ উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি উত্তরাখণ্ডের (Uttarakhand) পুরুলা শহর, ধারচুলা, চামোলি নন্দনগর, সহ বেশ কয়েকটি জায়গায় সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষের খবর পাওয়া গিয়েছে। এই সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষগুলির কারণ হিসেবে বেশিরভাগ জায়গাতেই উঠে এসেছে লাভ জিহাদ ও ল্যান্ড জিহাদের তত্ত্ব। এরপরেই উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুস্কর সিং ধামি বেআইনি কার্যকলাপের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। জানা গিয়েছে, সে রাজ্যে এখন মূল সমস্যা হচ্ছে মুসলিম অনুপ্রবেশের (Land Jihad) কারণে জনবিন্যাসের পরিবর্তন। এই কারণে ধর্মান্তকরণ এবং লাভ জিহাদের মতো ঘটনাগুলিও ঘটছে। এই সমস্ত কিছুর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করতে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এই মর্মে উত্তরাখণ্ডের (Uttarakhand) মুখ্যমন্ত্রী সে রাজ্যের ডিজিপি অভিনব কুমার এবং অন্যান্য উচ্চপদস্থ পুলিশকর্তাদের সঙ্গে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকও করেছেন।

    কী বলছেন ডিজিপি (Uttarakhand)?

    লাভ জিহাদের বিষয়ে উত্তরাখণ্ডের ডিজিপি স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, দুজন প্রাপ্তবয়স্ক তাঁদের পছন্দ মতো জীবনসঙ্গী বেছে নিতেই পারেন, কিন্তু যদি কারও ধর্ম পরিবর্তন করার উদ্দেশ্যে বিয়ে করা হয়, তখন পুলিশ ব্যবস্থা নেবে। সম্প্রীতি বেশ কিছু হিন্দু সংগঠন দাবি করেছে যে, দেরাদুন, হরিদ্বার, নৈনিতাল প্রভৃতি জায়গাতে ইসলামপন্থী মানুষজনের (Land Jihad) জনসংখ্যা অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে এবং উত্তরাখণ্ডের জনবিন্যাস বদলে গিয়েছে। অনেকে এই ঘটনাকে ষড়যন্ত্র হিসেবেই দেখছেন।

    ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী রাজ্যের হিন্দু ৮৩ শতাংশ

    সাংবাদিক সম্মেলনের ডিজিপি অভিনব কুমার জানিয়েছেন যে, পার্বত্য অঞ্চলে (Uttarakhand) অনুপ্রবেশের কারণে বদলে গিয়েছে জনবিন্যাস। এরই পরিপ্রেক্ষিতে, খুব তাড়াতাড়ি পদক্ষেপ করা শুরু হবে এবং এ নিয়ে অভিযানও করা হবে। জানা গিয়েছে, ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুসারে উত্তরাখণ্ডের জনসংখ্যা ছিল ১ কোটি ১০ লক্ষ। এর মধ্যে ৮৪ লাখ হিন্দু যা মোট জনসংখ্যার নিরিখে ৮৩ শতাংশ। অন্যদিকে ১৪ লাখ মুসলিম বসবাস করেন উত্তরাখণ্ডে, শতাংশের হিসেবে ১৩.৯।

     
    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Cybercrime: “সাইবার নিরাপত্তা ছাড়া জাতীয় নিরাপত্তাও অসম্ভব”, বললেন শাহ

    Cybercrime: “সাইবার নিরাপত্তা ছাড়া জাতীয় নিরাপত্তাও অসম্ভব”, বললেন শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “সাইবার ক্রাইমের (Cybercrime) কোনও সীমানা নেই। সাইবার নিরাপত্তা ছাড়া জাতীয় নিরাপত্তাও অসম্ভব।” কথাগুলি বললেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বড় পদক্ষেপ নেওয়া হল কেন্দ্রের তরফে (Cyber Commandos)।

    সাইবার কমান্ডোদের প্রশিক্ষণ (Cybercrime)

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ পাঁচ হাজার সাইবার কমান্ডোকে প্রশিক্ষণ, ওয়েব ভিত্তিক ডেটা রেজিস্ট্রি স্থাপনের পাশাপাশি সাইবার অপরাধের তথ্য ভাগ করার জন্য একটি পোর্টাল এবং একটি জাতীয় রেজিস্ট্রি সহ বেশ কয়েকটি নয়া উদ্যোগের কথা ঘোষণা করেন তিনি। মঙ্গলবার নয়াদিল্লিতে ইন্ডিয়ান সাইবার ক্রাইম কো-অর্ডিনেশন সেন্টারের প্রথম প্রতিষ্ঠা দিবস উদযাপিত হয়। সেই অনুষ্ঠানেই যোগ দিয়েছিলেন শাহ।

    সাইবার ফ্রড মিটিগেশন সেন্টার

    বক্তৃতা দেওয়ার সময় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বড় ব্যাঙ্ক, আর্থিক মধ্যস্থতাকারী, পেমেন্ট এগ্রিগেটরদের প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি সাইবার ফ্রড মিটিগেশন সেন্টার গঠন করা হবে। রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলির প্রতিনিধিরাও থাকবেন এই সেন্টারে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “এই সব সংস্থা অনলাইন আর্থিক অপরাধ মোকাবিলায় তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ ও নিরবচ্ছিন্ন সহযোগিতার জন্য একযোগে কাজ করবে।” তিনি জানান, সিএফএমসি আইন প্রয়োগে সহযোগিতামূলক ফেডারেলিজমের উদাহরণ হিসেবে কাজ করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

    আরও পড়ুন: ‘সুপ্রিম’ ডেডলাইন পার, পথে ঠায় বসে জুনিয়র ডাক্তাররা

    শাহ বলেন (Cybercrime), “জামতাড়া, আমেদাবাদ, মেওয়াত, হায়দরাবাদ, চণ্ডীগড়, বিশাখাপত্তনম ও গুয়াহাটিতে সাতটি যৌথ সাইবার সমন্বয় দল গঠন করায় ভালো ফল মিলেছে। সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলগুলিতে একটি কার্যকর সচেতনতামূলক প্রচার শুরু হয়েছে।” তিনি বলেন, “লক্ষ্যে পৌঁছতে আমাদের একটি সুনির্দিষ্ট কৌশল তৈরি করতে হবে এবং একই দিকে, এক সঙ্গে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।”

    সাইবার নিরাপত্তায় ‘সমন্বয় প্ল্যাটফর্ম’

    জানা গিয়েছে, ‘সমন্বয় প্ল্যাটফর্ম’টি আদতে একটি যৌথ সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ফেসিলিটেশন সিস্টেম। এটা একটা ওয়েব-বেসড মডিউল। এটা ওয়ান স্টেপ পোর্টাল হিসেবে কাজ করবে, কাজ করবে সাইবার ক্রাইমের ডেটা রিপোজিটরি হিসেবে। ডেটা শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম হিসেবেও কাজ করবে। ক্রাইম ম্যাপিং, ডেটা অ্যানালিটিক্স কো-অপারেশন এবং কো-অর্ডিনেশনের কাজও করবে এই সমন্বয় প্ল্যাটফর্ম। সাইবার কমান্ডোদের ট্রেনিংও দেওয়া হবে। তাঁরা (Cyber Commandos) রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় বিভিন্ন এজেন্সিগুলোকে সাহায্য করবেন (Cybercrime)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh: ‘ইলিশ দেব না’ হুঁশিয়ারি দেওয়া বাংলাদেশ ভারতের কাছে হাত পেতে নিল ডিম!

    Bangladesh: ‘ইলিশ দেব না’ হুঁশিয়ারি দেওয়া বাংলাদেশ ভারতের কাছে হাত পেতে নিল ডিম!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বেশ ঘটা করে গণভবন দখল হয়েছিল! বাধ্য করা হয়েছিল শেখ হাসিনাকে ইস্তফা দিতে! অগাস্ট মাসের প্রথম সপ্তাহে বাংলাদেশে (Bangladesh) অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করার পরে সে দেশের জামাত ও বিএনপি’র সদস্যরা স্বাধীনতার উৎসব পালন করতে থাকেন। কিন্তু এত কিছুর পরেও বেলাগাম হয় বাংলাদেশের অসংখ্য নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল মুরগির ডিম। দিনকয়েক আগেও অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে সে দেশে এক-একটি মুরগির ডিমের দাম পৌঁছেছিল ১৫-১৬ (বাংলাদেশি) টাকায়। এই অবস্থায় ‘ভারতকে ইলিশ দেব না’, এমন হুঁশিয়ারি দেওয়া বাংলাদেশকে শেষমেষ হাত পাততে হল ভারতের কাছেই। ভারত থেকে ডিম যাওয়ার পরে বাংলাদেশিরা স্বস্তি পেল। 

    ভারত থেকে গেল প্রায় আড়াই লক্ষ ডিম (Bangladesh)  

    ভারত-বিরোধী একাধিক পোস্ট এখনও দেখা যাচ্ছে। যেখানে জামাত বিএনপি’র সমর্থকরা সদর্পে ঘোষণা করছেন, তাঁরা ভারত-বিরোধী। তবে শত্রু দেশের কাছে হাত পেতে ডিম নিতে তাদের সে অর্থে কোনও লজ্জা লাগছে না! হাজার হোক সবার আগে তো পেটের চিন্তা! অনেকেই তাই ব্যঙ্গের সুরে বলছেন যে বাংলাদেশিদের (Bangladesh) একাংশ সমাজ মাধ্যমে ভারতের সঙ্গে যুদ্ধের কথা বলছেন, অথচ তাঁরাই এখন ডিমের অভাবে ভারতের কাছে হাত পাতছে। প্রতিবেশী রাষ্ট্রে ভারত থেকে গেল ২ লাখ ৩১ হাজার ৪০টি মুরগির ডিম। ওজনের হিসাবে ১৩ হাজার ৯১০ কেজি।

    বাংলাদেশে অর্ধক হল ডিমের দাম

    অন্তর্বর্তী সরকারের নিয়ন্ত্রণে থাকা বাংলাদেশ সেই ডিম আমদানি করতেই এক ধাক্কায় ডিমের দাম সেখানে নেমে গিয়েছে অনেকটাই কমেছে। বেনাপোল কাস্টমস সূত্রে জানা গিয়েছে, বাংলাদেশি মুদ্রায় ভারত থেকে যাওয়া প্রতিটি ডিমের দাম দাঁড়াচ্ছে প্রায় ৫ টাকা। এছাড়া প্রতি ডজন ডিমের নির্ধারিত মূল্যের উপর ৩৩ শতাংশ কাস্টমস ডিউটি বাবদ ১ টাকা ৬৬ পয়সা যোগ হবে। সবমিলিয়ে প্রতিটি ডিমের আমদানি মূল্য দাঁড়াচ্ছে ৭ থেকে ৭.৫০ টাকার মতো। গত সপ্তাহে যেখানে এই দর পৌঁছে গিয়েছিল ১৫-১৬ (বাংলাদেশি) টাকা প্রতি পিস।

    ভারতকে ইলিশ দেব না…

    শেখ হাসিনা যখন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তখন পুজোর ‘উপহার’ হিসেবে আসত পদ্মার ইলিশ।সেই ধারাবাহিকতা ভেঙে এ বার উৎসবের মরসুমে ভারতে ইলিশ রফতানি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ। প্রসঙ্গত, দিনকয়েক আগেই ইউনূস সরকারের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রকের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার জানিয়েছিলেন, চলতি বছর দুর্গাপুজোয় ভারতে ইলিশ পাঠানো হচ্ছে না। এই মর্মে বাণিজ্য মন্ত্রককে তিনি নির্দেশ দিয়েছেন। এই আবহেই বাংলাদেশে (Bangladesh) পৌঁছাল মুরগির ডিম। ভারত থেকে বাংলাদেশে ডিমের গাড়ি পৌঁছনোর খবর নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশের রাজস্ব কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান। তিনি বলেন, ‘‘আমদানি করা ডিমের গুণগতমান পরীক্ষার পর সেগুলি মঙ্গলবারই বাজারজাত করা হয়েছে।’’

    পাশে থাকতে জানে ভারত

    ইলিশের যোগান থেকে ভারতের থেকে বাংলাদেশ মুখ ফিরিয়ে নিলেও, ভারত কিন্তু, প্রতিবেশী রাষ্ট্রের প্রয়োজনের সময় মুখ ফিরিয়ে নেয়নি। সমস্যার সমাধানে বাংলাদেশের পাশে দাঁড়িয়ে ভারত প্রমাণ করল যে, এই দেশ উদারতা জানে। ভারত যাকে বন্ধু মনে করে, তার পাশে দাঁড়াতে জানে। যে কারণে, ইলিশ নিয়ে বাংলাদেশের বড় বড় কথা সত্ত্বেও ভারত ডিম নিয়ে বাংলাদেশকে ফিরিয়ে দেয়নি। ১১০৪টি কার্টনের মাধ্যমে ওই বিপুলসংখ্যক ডিম বাংলাদেশ ভারত থেকে আমদানি করে। সমস্ত ডিমের দাম দাঁড়িয়েছে ১১ হাজার মার্কিন ডলার অর্থাৎ ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৯ লক্ষ ২৪ হাজার টাকা।

    আরও ডিম আমদানি করতে হবে বাংলাদেশকে

    বাংলাদেশের (Bangladesh) রাজধানী শহরে ‘হাইড্রো ল্যান্ড সলিউশন’ নামে একটি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানই ১৩ হাজার ৯১০ কেজি ডিম আমদানি করেছে। রফতানি হয়েছে ভারতের ‘শ্রী লক্ষ্মী এন্টারপ্রাইজ’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান থেকে। এবিষয়ে বেনাপোল কাস্টমস্ হাউসে কাগজপত্র দাখিল করেছে সিএন্ডএফ এজেন্ট রাতুল এন্টারপ্রাইজ। তার মালিক আব্দুল লতিফ বলেন, ‘‘ডিমের বাজারে অস্থিরতা দূর করার জন্য আরও বেশি ডিম আমদানি করতে হবে বাংলাদেশকে। বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি শুরুও হয়েছে। এই ভাবে ডিম আমদানি হলে বাংলাদেশের মানুষ আবার অল্পমূল্যে ডিম কিনতে পারবেন।’’

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • NIA: ২২ জানুয়ারি বেঙ্গালুরুতে বিজেপি দফতর ওড়ানোর ছক ছিল জঙ্গিদের, দাবি এনআইএ-এর

    NIA: ২২ জানুয়ারি বেঙ্গালুরুতে বিজেপি দফতর ওড়ানোর ছক ছিল জঙ্গিদের, দাবি এনআইএ-এর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাম মন্দিরে রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠার দিনই বেঙ্গালুরুতে বিজেপির সদর দফতরে আইইডি বিস্ফোরণের পরিকল্পনা করেছিল রামেশ্বরম ক্যাফে বিস্ফোরণের অভিযুক্তরা। তদন্তে নেমে চার্জশিটে এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি করেছে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা এনআইএ (NIA)। এই তথ্য ব্যাপক শোরগোল ফেলে দিয়েছে।

    এনআইএ-এর বক্তব্য(NIA)

    ৯ সেপ্টেম্বর, এক বিবৃতি দিয়ে ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি অর্থাৎ এনআইএ (NIA) জানিয়েছে, রামেশ্বরমে বিস্ফোরণের পিছনে অভিযুক্ত ব্যক্তিরাও বেঙ্গালুরুর মল্লেশ্বরামে বিজেপির সদর দফতরকে উড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিল৷ একই ভাবে এনআইএ আরও দাবি করে, অভিযুক্তরা গত ২২ জানুয়ারি, অযোধ্যায় প্রভু রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠানের দিনেই ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (আইইডি) বিস্ফোরণ ঘটানোর পরিকল্পনা করেছিল। তবে এই প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয় যার পরে, গত মার্চের ১ তারিখ অভিযুক্তরা রামেশ্বরম ক্যাফে বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিল। সেখানে মোট ৯ জন আহত হয়েছিলেন।

    কোন কোন ধারায় মামলা?

    রামেশ্বরম বিস্ফোরণ মামলায় দায়ের করা চার্জশিটে প্রধান অভিযুক্ত হিসেব যে সব দুষ্কৃতীদের নাম রয়েছে, তারা হল—মুসাভির হুসেন শাজিব, আবদুল মতিন আহমেদ ত্বহা, মাজ মুনির আহমেদ এবং মুজাম্মিল শরিফ। এই চারজনকে তদন্তকারী সংস্থা গ্রেফতার করছে। তাদের বিরুদ্ধে এনআইএ (NIA) আইপিসি (IPC), ইউএপিএ (UAPA) আইন, বিস্ফোরক পদার্থ আইন এবং পিডিএলপি (PDLP) আইনের ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

    লস্কর-ই-তৈবার সঙ্গে সংযোগ

    এনআইএ (NIA) ২০১২ সাল থেকে লস্কর-ই-তৈবা (এলইটি) বেঙ্গালুরু ষড়যন্ত্র মামলায় মহম্মদ শাহিদ ফয়জালকে পলাতক জঙ্গি হিসাবে নাম প্রকাশ করেছিল৷ নাশকতামূলক কাজের জন্য শাজিব ও ত্বহাকে অর্থ সহায়তা করত ওই জঙ্গি। বিস্ফোরণ মামলায় ফয়জালকে নাশকতামূলক কার্যকলাপে টাকা সরবরাহ করার জন্য অভিযুক্ত করা হয়েছে। ত্বহাকে বিস্ফোরণের পরিকল্পনা এবং বাস্তবায়নের পিছনে মাস্টারমাইন্ড বলে দাখিল করা চার্জশিটে উল্লেখ করেছে এনআইএ। তদন্তকারী সংস্থা জানিয়েছে, ৩ মার্চ মামলাটি হাতে নেওয়ার পরে বেশ কয়েকটি রাজ্য পুলিশ ইউনিট এবং অন্যান্য সংস্থার সহযোগিতা, বিভিন্ন আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে তদন্ত প্রক্রিয়া চালানো হয়। জানা গিয়েছে, ২০২০ সাল থেকে আল-হিন্দ মডিউলটি ভাঙার পর থেকে শাজিব এবং ত্বহা পলাতক হয়ে যায়। পরবর্তীতে তাদের পশ্চিমবঙ্গ থেকে গ্রেফতার করা হয়।

    আল-হিন্দের ১৭ জন সদস্যের বিরুদ্ধে চার্জশিট

    আল-হিন্দ হল ২০-সদস্যের আইসিস মডিউল। বেঙ্গালুরুতে যার নেতৃত্বে ছিল মেহবুব পাশা, কুড্ডালোর নেতৃত্বে ছিল খোয়াজা মইদিন। আবার বেঙ্গালুরুর গুরুপানপাল্যাতে পাশার আল-হিন্দ ট্রাস্ট অফিস থেকে নাশকতামূলক কাজের পরিকল্পনা করা হত। তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ, এবং কেরলেও এই গ্রুপ বেশ সক্রিয় রয়েছে। মূলত জঙ্গলে আত্মগোপন করে ষড়যন্ত্রের কাজ চালানো হত। এমনকী, গভীর জঙ্গলে কীভাবে বেঁচে থাকা যায় তা শিখতে বিখ্যাত চন্দন দস্যু বীরাপ্পনের বইও কিনেছিল জঙ্গিরা। আল-হিন্দের ১৭ জন সদস্যের বিরুদ্ধে এনআইএ (NIA) চার্জশিট দিয়েছে। তাদের প্রধান টার্গেট ছিল হিন্দু ধর্মীয় নেতা, রাজনৈতিক নেতা, পুলিশ অফিসার, সরকারী আধিকারিক এবং নির্দিষ্ট উচ্চ-প্রোফাইল যুক্ত ব্যক্তি।

    আরও পড়ুনঃ মাওবাদী দমনে সক্রিয় সরকার, ৪ হাজার সিআরপিএফ পৌঁছল ছত্তিশগড়ে

    ত্বহা ছিল হামলার মূলচক্রী

    এনআইএ (NIA) জানিয়েছে, অভিযুক্তরা জালিয়াতি করে ভারতীয় সিম কার্ড এবং ভারতীয় ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টগুলি নিয়েছিল। সেই সঙ্গে ডার্ক ওয়েব থেকে ডাউনলোড করা বিভিন্ন ভারতীয় ও বাংলাদেশি পরিচয় নথিও ব্যবহার করেছিল। তদন্তে আরও জানা গিয়েছে যে, পলাতক জঙ্গি মহম্মদ শাহিদ ফয়জালের সঙ্গে লস্কর জঙ্গি শোয়েব আহমেদ মির্জার পরিচয় করিয়ে দিয়েছিল ত্বহা। মামলায় এখন পর্যন্ত পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এনআইএ-র মতে, ত্বহা ছিল হামলার মূলচক্রী। মুসাভির হোসেন শাজিব ছিল বিস্ফোরণ হামলাকারী। মুজাম্মিল শরিফ, হামলার সরঞ্জাম হিসেবে সিম কার্ড-স্মার্টফোনের সরবরাহ করেছিল। বিস্ফোরণ বাস্তবায়নে মাজ মুনির আহমেদ এবং শোয়েব আহমেদ মির্জা সক্রিয় ভাবে কাজ করেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share