Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Al Qaeda: ভারতে আত্মঘাতী জঙ্গি বাহিনী গড়তে চেয়েছিল ধৃত আল-কায়েদা জঙ্গি ইশতিয়াক!

    Al Qaeda: ভারতে আত্মঘাতী জঙ্গি বাহিনী গড়তে চেয়েছিল ধৃত আল-কায়েদা জঙ্গি ইশতিয়াক!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পক্ষকাল আগে পুলিশ গ্রেফতার করে আল কায়েদা-লিঙ্কড (Al Qaeda) সন্ত্রাসী (Suicide Squad) মডিউলের প্রধান ডঃ ইশতিয়াককে। ঝাড়খণ্ডের রাঁচি থেকে তাকে গ্রেফতার করেছিল দিল্লি পুলিশ। এবার, পুলিশের সামনে আসছে একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য। জানা গিয়েছে, এই ইশতিয়াক ভারতে একটি আত্মঘাতী জঙ্গি বাহিনী তৈরি করার চেষ্টায় ছিল।

    ইশতিয়াকের কীর্তি (Al Qaeda)

    দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, পরিকল্পনা বাস্তবায়নে প্রয়োজন ট্রেনিংয়ের। সেজন্য একটি পার্বত্য এলাকা বেছে নিয়েছিল ইশতিয়াক। এখানেই জঙ্গি তৈরি করা হচ্ছিল বলে অভিযোগ। তরুণদের অস্ত্র প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজও হচ্ছিল এই এলাকায়। চাঞ্চল্যকর এসব তথ্য প্রকাশ করেছে দিল্লি পুলিশ। জানা গিয়েছে, দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল ধৃত ইশতিয়াক, ইনামুল আনসারি, শাহবাজ আনসারি, মতিউর রহমান এবং আলতাফকে নিয়ে রাঁচি পৌঁছেছে। অভিযুক্তরা তাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের পথে কতদূর এগিয়েছিল, তা জানতেই রাঁচি নিয়ে যাওয়া হয়েছে তাদের।

    ঘন জঙ্গলে শিবির

    জঙ্গিরা তদন্তকারীদের জানিয়েছে, তারা রাঁচির চানহো গ্রামের কাছে নকাটা জঙ্গলে যেত। এই জঙ্গলের আশপাশে কোনও জনবসতি নেই। তাই ঘন জঙ্গলের ভেতরে কী হচ্ছে, বাইরে থেকে কারও নজরে আসে না। তাই জায়গাটি জঙ্গিদের প্রশিক্ষণের জন্য সব চেয়ে উপযুক্ত স্থান হিসেবে বিবেচিত হয়েছিল। অপরাধীরা পুলিশকে জানিয়েছে, সেখানে তাদের আত্মঘাতী জঙ্গি (Suicide Squad) হিসেবে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছিল। অস্ত্র ব্যবহারের প্রশিক্ষণও দেওয়া হচ্ছিল। ধৃতেরা জানিয়েছে, তারা ইশতিয়াকের নির্দেশ অনুযায়ী কাজ করছিল। এই ইশতিয়াকই তাদের প্রশিক্ষণের দায়িত্বে ছিল। তাদের সবার লক্ষ্য, ভারতে ইসলামি শাসন কায়েম করা।

    আরও পড়ুন: ‘‘আমার বাড়িতে আর কোনওদিন…’’, মমতার উৎসব-মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় নির্যাতিতার মা

    এই জঙ্গি দলের (Al Qaeda) নেতা ইশতিয়াক। সন্ত্রাসীদের কয়েকজন সদস্যকে একই রকম প্রশিক্ষণ দিতে রাজস্থানে পাঠানো হয়েছিল। পুলিশ জেনেছে, তারা আল কায়েদা ইন ইন্ডিয়ান সাবকন্টিনেন্ট (আকিস) মডিউলের সদস্য (Suicide Squad)। তদন্তকারীরা জেনেছেন, ইশতিয়াক তার সন্ত্রাসী মডিউলকে উত্তরপ্রদেশ ও রাজস্থানেও বিস্তৃত করেছিল। সে বিহারের লখিসরাই থেকে অস্ত্র কিনেছিল। রাজস্থানে অভিযান চালানো হয়। সেখানে থেকে একে-৪৭ রাইফেল, .৩৮ বোর রিভলভার, ৬টি তাজা কার্তুজ, .৩২ বোরের ৩০টি তাজা কার্তুজ, একে-৪৭ রাইফেলের ৩০টি কার্তুজ, ডামি ইনসাস, এয়ার রাইফেল, লোহার কনুই পাইপ, হ্যান্ড গ্রেনেড ও অন্যান্য জিনিস উদ্ধার করা হয়।

    প্রসঙ্গত, ঝাড়খণ্ড পুলিশের অ্যান্টি টেররিস্ট স্কোয়াড ঝাড়খণ্ডের লোহারদাগা-সহ ১৪টি এলাকায় অভিযান চালিয়ে সন্দেহভাজন ৮ জনকে আটক করেছিল । পরে গ্রেফতার করা হয় তাদের (Al Qaeda)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

       

  • GST Council Meet: ক্যান্সারের ওষুধের দাম কমানো হল জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকে

    GST Council Meet: ক্যান্সারের ওষুধের দাম কমানো হল জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বর্তমানে দেশের কর কাঠামোর একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠেছে জিএসটি। অর্থনীতির ভাষায় এটি পরোক্ষ কর। এ সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় আলোচনা করতে মাঝে মধ্যেই হয়ে থাকে জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠক (GST Council Meet)। জিএসটি কাউন্সিলের ৫৪তম বৈঠকটি হয়ে গেল ৯ সেপ্টেম্বর। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দেশের সব রাজ্যের অর্থমন্ত্রীরা। সভাপতিত্ব করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন (Nirmala Sitharaman)।

    দাম কমছে ক্যান্সারের ওষুধের (GST Council Meet)

    সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, বৈঠকে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে মারণ ব্যাধি ক্যান্সারের ওষুধের দাম কমানো। বৈঠকে ক্যান্সারের ওষুধের ওপর প্রযোজ্য করের হার ১২ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জিএসটি কাউন্সিলের এই বৈঠকে সুখবর রয়েছে তীর্থযাত্রীদের জন্যও। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, এখন থেকে যাঁরা তীর্থযাত্রায় যাবেন, হেলিকপ্টার পরিষেবা নেওয়ার ক্ষেত্রে ১৮ শতাংশের পরিবর্তে তাঁদের মাত্র ৫ শতাংশ জিএসটি দিতে হবে। এ খবর জানিয়েছেন উত্তরাখণ্ডের অর্থমন্ত্রী প্রেমচাঁদ আগরওয়াল।

    কী বললেন সীতারামন

    কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন বলেন, “জিএসটি কাউন্সিল ক্ষতিপূরণ সেস নিয়ে আলোচনা করেছে। ঋণের রিপেমেন্টের পর সেস থেকে অনুমান করা উদ্বৃত্তের পরিমাণ ৪০ হাজার। কম্পেনসেসন সেস কীভাবে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে সেই বিষয়টি পর্যালোচনা করতে গ্রুপ অফ মিনিস্টার গঠন করা হবে।” অর্থমন্ত্রী বলেন, “কেন্দ্রীয় আইনের মাধ্যমে ও রাজ্য সরকারের তরফে প্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে গবেষণার জন্য প্রদত্ত ফান্ডকে জিএসটি থেকে ছাড় দেওয়া হয়েছে।”

    আরও পড়ুন: ‘‘আমার বাড়িতে আর কোনওদিন…’’, মমতার উৎসব-মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় নির্যাতিতার মা

    এছাড়াও, যাঁরা এ বিষয়ে আয়কর ছাড় দাবি করেছেন, তাঁদের জন্যও নিয়মটি সমানভাবে প্রযোজ্য। ২ হাজার টাকার নীচে অনলাইন আর্থিক লেনদেন করার ক্ষেত্রে জিএসটি (GST Council Meet) চালু করার বিষয়টি আরও আলোচনা করতে ফিটমেন্ট কমিটির কাছে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান আগরওয়াল। চিকিৎসা সংক্রান্ত বীমার হার যৌক্তিকরণের জন্য গ্রুপ অফ মিনিস্টার্স-এ নতুন সদস্যদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তাদের (Nirmala Sitharaman) অক্টোবর মাসের মধ্যে এ বিষয়ে রিপোর্ট জমা করতে হবে। জিএসটি কমিটির পরবর্তী বৈঠক হবে নভেম্বর মাসে (GST Council Meet)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kandahar Hijack Web Series: আরও বিপাকে নেটফ্লিক্স, এবার কপিরাইট লঙ্ঘনের অভিযোগ

    Kandahar Hijack Web Series: আরও বিপাকে নেটফ্লিক্স, এবার কপিরাইট লঙ্ঘনের অভিযোগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরও বিপাকে নেটফ্লিক্স (Netflix)। এবার তাদের বিরুদ্ধে কপিরাইট লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠল। অভিযোগ তুলেছে সংবাদ সংস্থা এএনআই (Kandahar Hijack Web Series)। সংবাদ সংস্থার তরফে আদালতে দায়ের হয়েছে মামলা। মামলার প্রেক্ষিতে নেটফ্লিক্স ও প্রযোজকদের বিরুদ্ধে সোমবার সমন জারি করেছে দিল্লি হাইকোর্ট।

    এএনআইয়ের অভিযোগ (Kandahar Hijack Web Series)

    এএনআইয়ের অভিযোগ, অনুমতি ছাড়াই নেটফ্লিক্স ওয়েব সিরিজ ‘আইসি-৮১৪: দ্য কান্দাহার হাইজ্যাক’ তৈরি করতে গিয়ে ফুটেজ ব্যবহার করেছে। চারটি পর্ব সরিয়ে নেওয়ার জন্য আদালতের হস্তক্ষেপ দাবি করেছে এএনআই। সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, সিরিজে ছিনতাই করার দৃশ্যটি বিনা অনুমতিতে দেখানো হয়েছে। শুধু তাই নয়, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ী, পাকিস্তানের জেনারেল পারভেজ মুশারফ এবং জঙ্গি মাসুদ আজহারকে অনুমতি ছাড়াই দেখানো হয়েছে। শুক্রবারের মধ্যে নেটফ্লিক্স ও ছবি নির্মাতাদের উত্তর চেয়েছে দিল্লি হাইকোর্ট।

    কী বললেন এএনআইয়ের কৌসুঁলি

    এএনআইয়ের কৌসুঁলি সিদ্ধান্ত কুমার বলেন, “তারা (নেটফ্লিক্স) তাদের সিরিজে কপিরাইট থাকা ফুটেজ ব্যবহার করেছে। লাইসেন্স ছাড়াই তারা এটা করেছে। তারা এএনআইয়ের ট্রেডমার্কও ব্যবহার করেছে।” তিনি বলেন, “যেহেতু সিরিজটি নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়েছে, তাই কলঙ্কিত হয়েছে আমাদের ট্রেডমার্ক ও ব্র্যান্ডনেম।” কুমার বলেন, “এএনআই চায় নেটফ্লিক্স সেই চারটি পর্ব সরিয়ে ফেলুক, যেখানে এর (এএনআইয়ের) বিষয়বস্তু ব্যবহার করা হয়েছে (Kandahar Hijack Web Series)।”

    আরও পড়ুন: ‘‘ভারতে যোগ দিন’’, পাক অধিকৃত কাশ্মীরের বাসিন্দাদের বার্তা রাজনাথের

    ১৯৯৯ সালে ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্সের বিমান অপহরণকে কেন্দ্র করে তৈরি সিরিজটি দিন কয়েক আগে মুক্তি পেয়েছে ওটিটিতে। এই সিরিজে যে পাঁচ অপহরণকারীর নাম করা হয়েছে, তাদের দুজনের নাম দেওয়া হয়েছে হিন্দুদের নামে। মূল বিতর্কের শুরু এখান থেকেই। এবার নেটফ্লিক্সের বিরুদ্ধে তথ্য ও ফুটেজ চুরির অভিযোগ আনল এএনআই। বিজয় বর্মা, নাসিরউদ্দিন শাহ, পঙ্কজ কাপুর অভিনীত এই ওয়েব সিরিজের পরিচালক অনুভব সিংহ।

    কন্দহরকাণ্ডের অপহরণকারীরা সবাই মুসলমান। ২০০০ সালের ৬ জানুয়ারি তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছিল, বিমানটির পাঁচজন অপহরণকারীই মুসলমান। তার ছদ্মনাম ব্যবহার করেছিল (Netflix)। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পাঁচ অপহরণকারী একে অপরকে চিফ, ডক্টর, বার্গার, ভোলা ও শঙ্কর সম্বোধন করেছিল (Kandahar Hijack Web Series)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • FRCV: লক্ষ্য পাক-চিনের মোকাবিলা, ১ লক্ষ ৪৫ হাজার কোটির অস্ত্র আসছে সেনার হাতে

    FRCV: লক্ষ্য পাক-চিনের মোকাবিলা, ১ লক্ষ ৪৫ হাজার কোটির অস্ত্র আসছে সেনার হাতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় সেনার (Indian Army) জন্য প্রায় ১ লক্ষ ৪৫ হাজার কোটি টাকার অস্ত্র এবং সামরিক সরঞ্জাম কেনার সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্র সরকার। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং-এর নেতৃত্বাধীন প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম ক্রয় সংক্রান্ত কমিটি (ডিএসি) এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রের খবর, সেনার তিন শাখার (স্থল, নৌ এবং বায়ু) পাশাপাশি প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের নিয়ন্ত্রণাধীন উপকূলরক্ষী বাহিনী (কোস্ট গার্ড)-র জন্য সমরাস্ত্র এবং সরঞ্জাম কেনা হবে এই অর্থে। ভারতের এই ভবিষ্যৎ সমর পরিকল্পনা (FRCV) ভয় ধরাচ্ছে চিন ও পাকিস্তানের। 

    ভবিষ্যতের যুদ্ধযান

    ভারতীয় সেনার (Indian Army) হাতে আসতে চলেছে অত্যন্ত আধুনিক উন্নতমানের প্রায় ১৮০০ ভবিষ্যতের যুদ্ধযান (FRCV)। খরচ প্রায় ৬০ হাজার কোটি টাকা। প্রসঙ্গত, আধুনিক বিশ্বে যুদ্ধকৌশল বদলে যাওয়ায় মাঝারি ওজনের অত্যাধুনিক ট্যাঙ্কের চাহিদা অনেকটাই বেড়েছে। ভারতীয় সেনা চাইছিল এমন ব্যাটল ট্যাঙ্ক, যা কিনা ফিল্ডের নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ সহজে সামলাতে পারবে। সেনার ভাষায় একে বলে ফিউচার রেডি কমব্যাট ভেহিকল্‌স বা এফআরসিভি (FRCV)। সহজভাবে বলতে গেলে এখন যেসব ব্যাটল ট্যাঙ্ক দেখা যায় তারই অনেক উন্নত সংস্করণ।  

    দিনে-রাতে সমান দক্ষ

    ‘ভবিষ্যতের যুদ্ধযানে’র ভেতরে ঢুকলে এক ঝলকে মনে হবে কোনও হাই কনফিগারেশন গেমিং সিস্টেম। বিশাল বিশাল টাচ স্ক্রিন, ট্যাঙ্কের চারদিকে যা ‘৩৬০ ডিগ্রি ভিশন’ নজরদারির সুবিধা এনে দিয়েছে। ভিডিও গেমের মতো কন্ট্রোলার দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে ট্যাঙ্কটি (FRCV)। তিন জন সেনাই এই সাঁজোয়া গাড়ি নিয়ন্ত্রণের পক্ষে যথেষ্ট। দিনে-রাতে সমান দক্ষতার সঙ্গে এই ট্যাঙ্ক কাজ করতে পারবে। পাহাড় ও মরুভূমি অঞ্চলেও এ ট্যাঙ্ক নিয়ে যাওয়া যাবে। চিন সীমান্তে লাদাখে তাপমাত্রা যখন হিমাঙ্কের ৩০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড নীচে, কিংবা পাক সীমান্তে থর মরুভূমির তাপমাত্রা যখন ৫০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড! দুই ক্ষেত্রেই এই নতুন ট্যাঙ্কের দক্ষতার কোনও হেরফের হবে না।

    আরও পড়ুন: দেশে বাড়ছে উদ্বেগ! এমপক্স নিয়ে বিশেষ নির্দেশিকা জারি কেন্দ্রের

    পাক-চিনের মোকাবিলা

    পাক-চিনের মোকাবিলায় সবমিলিয়ে ১০ ধরনের যুদ্ধ সরঞ্জাম কেনার জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে প্রায় দেড় লক্ষ কোটি টাকা। সেনার (Indian Army) তিন বাহিনী এবং আধাসেনার উপকূল রক্ষী বাহিনী এর সুবিধা পাবে। বায়ুসেনার জন্য থাকছে এয়ার ডিফেন্স ফায়ার কন্ট্রোলার রেডার (Air Defence Fire Control Radars)। এই রাডার সহজেই শত্রুর বিমানকে চিহ্নিত করে তাকে ধ্বংস করার জন্য পাল্টা গোলা ছোড়ার রাস্তা দেখাবে। অন্যদিকে, কোস্ট গার্ড পাচ্ছে ডর্নিয়ার ২২৮ (Dornier 228) নজরদারি বিমান। খারাপ আবহাওয়াতেও উপকূলে টহলদারির জন্য অত্যাধুনিক জলযান আসছে নৌসেনার হাতে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar case: “২৭ বছরের কেরিয়ারে এমন দেখিনি”, ময়নাতদন্ত নিয়ে বিস্ফোরক আইনজীবী

    RG Kar case: “২৭ বছরের কেরিয়ারে এমন দেখিনি”, ময়নাতদন্ত নিয়ে বিস্ফোরক আইনজীবী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করকাণ্ড (RG Kar case) মামলার শুনানি ছিল সোমবার সুপ্রিম কোর্টে। নিহত চিকিৎসকের দেহের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট নিয়ে উঠেছে গুচ্ছের প্রশ্ন (Supreme Court)। মৃতদেহ কী অবস্থায় পাওয়া গেল? মৃত্যুর কতক্ষণ পরে থানায় জানানো হল? কতক্ষণ পরেই বা দায়ের হল এফআইআর? এমন বিভিন্ন প্রশ্ন। এমনিতেই ময়নাতদন্তের চালান না পাওয়া যাওয়ায় ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি পার্দিওয়ালা। তিনি বলেন, “চালান যদি মিসিং হয়, তাহলে আমাদের বুঝতে হবে কিছু সমস্যা আছে।”

    বিস্ফোরক প্রশ্ন (RG kar case)

    আর ময়নাতদন্তের পদ্ধতি নিয়ে বিস্ফোরক প্রশ্ন তুললেন আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি। তিনি বলেন, “মৃতদেহ যখন উদ্ধার হল, তখন তার পা ঘোরানো ছিল ৯০ ডিগ্রি অ্যাঙ্গেলে। পশ্চাৎদেশ ভাঙা না হলে, পা এভাবে ঘোরানো সম্ভব নয়।” ফরেনসিক রিপোর্টের সঙ্গে এক্স রে রিপোর্ট দেখার আর্জিও শীর্ষ আদালতে জানান তিনি। এডুলজির দাবি, “নির্যাতিতার ভ্যাজাইনাল সোয়াব ৪ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করা উচিত। এ ক্ষেত্রে সেটা হয়নি। তাই প্রমাণ লোপাট হওয়ার সম্ভাবনা থাকতে পারে।

    এডুলজির বিস্ময় 

    মৃত্যুর দীর্ঘক্ষণ পরে এফআইআর দায়ের হওয়ায় বিস্ময় প্রকাশ করেন তিনি। বলেন, “আমার ২৭ বছরের কেরিয়ারে এমন ঘটনা আমি দেখিনি।” তাঁর প্রশ্ন, “প্রমাণ সংগ্রহ করার এতক্ষণ পর কেন এফআইআর দায়ের হল? এফআইআর চাপা দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে।” যিনি ভিডিওগ্রাফি করেছেন, তাঁর ডেজিগনেশন নিয়েও প্রশ্ন তোলেন এডুলজি (RG Kar case)। বলেন, “ভিডিওগ্রাফি কে করল? তাঁর কী পদ? ময়নাতদন্তের সময় কারা উপস্থিত ছিলেন?”

    আরও পড়ুন: “চালান কই, চালান ছাড়া ময়নাতদন্ত হল কীভাবে?” প্রশ্ন সুপ্রিম কোর্টের

    শুনানিতে ছিলেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতাও। তিনি বলেন, “ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় প্রথম পাঁচ ঘণ্টা সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু সেই সময় অসংখ্য লোককে ভিতরে ঢুকতে দেওয়া হয়েছে। পাঁচ দিন পর যখন আমরা তদন্ত শুরু করেছি, তখন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হচ্ছে।” তিনি বলেন, “নিয়ম অনুযায়ী, ক্রাইম সিন পুরো ঘিরে দিতে হয় (RG Kar case)। সেখানে কেউ ঢুকতে পারেন না। বেরতেও পারেন না কেউ। এখানে লোকজন আসা-যাওয়া করছিলেন (Supreme Court)। ছবিও তোলা হচ্ছিল (RG kar case)।”

    প্রশ্ন তোলেন প্রধান বিচারপতিও

    শুনানির শুরুতেই প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় জানতে চান, আরজি করের তৎকালীন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বাড়ি থেকে হাসপাতালের দূরত্ব কত? জবাবে সিবিআইয়ের তরফে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা বলেন, ১৫-২০ মিনিটের পথ (RG Kar case)। এরপর প্রধান বিচারপতি  জানতে চান, অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা কখন যুক্ত করা হয়েছিল। জবাবে রাজ্যের তরফে বলা হয়, দুপুর ১টা ৪৭ মিনিটে মৃত্যু শংসাপত্র দেওয়া হয়েছিল। দুপুর ২টো ৫৫ মিনিটে অস্বাভাবিক মৃত্যু মামলা যুক্ত করা হয়েছিল। জেনারেল ডায়েরি কখন করা হয়েছিল, সেই তথ্যও জানতে চায় আদালত। রাজ্য জানায়, জেনারেল ডায়েরিও ২টো ৫৫ মিনিটেই করা হয়েছিল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Rajnath Singh: ‘‘ভারতে যোগ দিন’’, পাক অধিকৃত কাশ্মীরের বাসিন্দাদের বার্তা রাজনাথের

    Rajnath Singh: ‘‘ভারতে যোগ দিন’’, পাক অধিকৃত কাশ্মীরের বাসিন্দাদের বার্তা রাজনাথের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জম্মু ও কাশ্মীরের বিধানসভা নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের (PoK) বাসিন্দাদের বড় বার্তা দিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh)। রাজনাথ বলেন, বিজেপিকে সমর্থন করুন। তারা যাতে কাশ্মীরে পরের সরকার তৈরি করতে পারে। প্রতিরক্ষামন্ত্রীর দাবি, জম্মু-কাশ্মীরে (Jammu and Kashmir) বিজেপি সরকার গড়লে এতটা উন্নয়ন করতে হবে, যাতে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের বাসিন্দারা ভারতের নাগরিক হতে চান।

    রাজনাথের বার্তা

    প্রসঙ্গত, ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে ৩ দফায় জম্মু ও কাশ্মীরে (Jammu and Kashmir) বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে। রবিবার জম্মু কাশ্মীরের রামবান এলাকায় নির্বাচনী প্রচার করেন রাজনাথ। জম্মু ও কাশ্মীরের আরও উন্নয়নের জন্য বিজেপিকে সমর্থনের আবেদন জানান তিনি। বলেন, “জম্মু ও কাশ্মীরে সরকার গড়ার জন্য বিজেপিকে সমর্থন করুন। যাতে জম্মু ও কাশ্মীরের আরও উন্নয়ন করতে পারে বিজেপি। আর সেই উন্নয়ন দেখে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের বাসিন্দারা বলবেন, তাঁরা পাকিস্তানের সঙ্গে থাকতে চান না, তাঁরা ভারতের নাগরিক হতে চান।” কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী (Rajnath Singh) জানিয়েছেন, ভারত ওই জায়গাটি নিজের বলেই মনে করে। পাকিস্তানের মতো নয়, যারা ওদেরকে বিদেশি বলে মনে করে। এর জেরে আমরা প্রতিটি এলাকায় প্রচুর উন্নয়ন করতে চাই। 

    আরও পড়ুন: পাকিস্তানি অস্ত্রে ছেয়েছে বাংলাদেশ! সেনাকে তৈরি থাকার বার্তা রাজনাথের

    ভারতীয়রা আপনাদের আপনজন

    ন্যাশানাল কনফারেন্স ও কংগ্রেসের মধ্যে সমঝোতা ও ৩৭০ ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে তাদের আশ্বাসকে একহাত নেন রাজনাথ সিং (Rajnath Singh)। তিনি জানিয়েছেন বিজেপি ক্ষমতায় থাকলে এটা কখনও সম্ভব হবে না। ৩৭০ ধারা বিলোপ হওয়ার পর থেকে যেভাবে কাশ্মীরে নিরাপত্তা সংক্রান্ত ব্যাপারে কার্যকরী উন্নয়ন হয়েছে তার কথা উল্লেখ করেন রাজনাথ সিং। সম্প্রতি পাকিস্তানের অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল একটি হলফনামায় বলেন, পাক অধিকৃত কাশ্মীর (POK) বিদেশি ভূমি ছিল। সেকথা উল্লেখ করে রাজনাথ বলেন, “আমি ওখানকার বাসিন্দাদের বলতে চাই, পাকিস্তান আপনাদের বিদেশি নাগরিক মনে করে। কিন্তু, ভারতের নাগরিকরা তা মনে করে না। তাঁরা আপনাদের আপনজন মনে করে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Manipur Violence: উত্তপ্ত মণিপুরে শান্তি ফেরাতে হাতে সর্বোচ্চ ক্ষমতা চান মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিং

    Manipur Violence: উত্তপ্ত মণিপুরে শান্তি ফেরাতে হাতে সর্বোচ্চ ক্ষমতা চান মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিং

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকেই ফের অশান্ত মণিপুর (Manipur Violence)। সেপ্টেম্বর মাসে এখনও পর্যন্ত অন্তত আট জনের মৃত্যু হয়েছে রাজ্যে। এই আবহে রাজ্য সরকারের হাতে সর্বোচ্চ ক্ষমতা (ইউনিফায়েড কমান্ড) দেওয়ার দাবি জানালেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংহ। এদিনই সব বিধায়ককে সঙ্গে নিয়ে রাজ্যপাল লক্ষ্মণ আচার্যের সঙ্গে দেখা করেন তিনি, সেখানেই এই দাবি জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

    রবিবারই মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিং শাসক জোটের সব দলের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করেন 

    ২০২৩ সালের মে মাস থেকেই উত্তপ্ত মণিপুর (Manipur Violence)। শান্তি ফেরাতে এই রাজ্যে একাধিক পদক্ষেপ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। বর্তমানে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনীই মণিপুরে শান্তি ফেরানোর দায়িত্ব নিয়েছে। গতকাল রবিবারই মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিং শাসক জোটের সব দলের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করেন। তারপরেই বিধায়কদের নিয়ে রাজভবনে যান তিনি। তাঁর যুক্তি, কুকিরা মেইতেইদের উপরে যে আক্রমণ গত কয়েক দিন ধরে চালাচ্ছে, তা শক্ত হাতে দমন করা প্রয়োজন।

    সম্প্রতি কংপোকপি এবং পশ্চিম ইম্ফলের দু’টি জায়গা অশান্ত হয়ে ওঠে

    অশান্ত মণিপুরে পরিস্থিতিতে শনিবার থেকে সম্ভাব্য জঙ্গি ডেরার সন্ধানে চিরুনি তল্লাশি শুরু করে মণিপুর (Manipur Violence) পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় বাহিনী। ধ্বংস করা হয়েছে জঙ্গিদের তিনটি বাঙ্কার। মণিপুরের মেইতেই ও কুকি জনগোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষের পরিস্থিতিতে নতুন করে তপ্ত হয়ে ওঠে সম্প্রতি কংপোকপি এবং পশ্চিম ইম্ফলের দু’টি জায়গা। এই দুই জায়গাতেই ড্রোন হামলার অভিযোগ ওঠে কুকিদের বিরুদ্ধে। দু’টি হামলাই হয়েছিল মেইতেই জনগোষ্ঠী (Manipur Violence) অধ্যুষিত এলাকায়।

    মেইতেইরা দাবি করছে কুকিরা ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে। এর পাশাপাশি কুকি জঙ্গিদের বিরুদ্ধেই হামলা চালানোর অভিযোগ এনেছে মণিপুরের পুলিশ। অন্যদিকে, কুকিদের পাল্টা দাবি, মেইতেই সশস্ত্র বাহিনী আরাম্বাই টেঙ্গলের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে মেইতেই এলাকায় আছড়ে পড়ে ওই ঘটনা ঘটে। শনিবারই জিরিবামে গুলির লড়াইয়ে মোট ৮ জন নিহত হয়েছেন। 

    অশান্ত মণিপুর (Manipur) 

    কুকি ও মেইতেইদের বিরোধের জল প্রথমে গড়ায় মণিপুর হাইকোর্টে। ২০২৩ সালের প্রথম দিকে হাইকোর্ট জানায় যে, মেইতেই জনগোষ্ঠীকে তফশিলি উপজাতির তকমা দেওয়া যায় কিনা তা খতিয়ে দেখুক রাজ্য সরকার। হাইকোর্টের এমন নির্দেশের পরেই ২০২৩ সালের এপ্রিলের শেষ সপ্তাহে মণিপুরের (Manipur Violence) ‘অল ট্রাইবাল স্টুডেন্ট ইউনিয়ন’ একটি মিছিল আয়োজন করে। সেই মিছিল থেকে প্রথম হিংসা ছড়ায় চূড়াচাঁদপুর জেলায়। অশান্ত মণিপুরে (Manipur Violence) এখনও পর্যন্ত হিংসায় প্রাণ হারিয়েছেন কয়েকশো মানুষ। এরই মধ্যে ২০২৩ সালের জুলাই মাসে ভাইরাল হয়েছিল এক বিভীষিকার ভিডিও। সেখানে দেখা গিয়েছিল দুই মহিলাকে নগ্ন করে ঘোরানো হচ্ছে। পরে তাঁদের মাঠে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। সেই ঘটনা ঘটে ২০২৩ সালের ৪ মে তবে ভিডিও ভাইরাল হয় জুলাই মাসে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Supreme Court: বিকেলের মধ্যে সিআইএসএফ-এর থাকার সমস্যা মেটাতে হবে, রাজ্যকে সুপ্রিম নির্দেশ

    Supreme Court: বিকেলের মধ্যে সিআইএসএফ-এর থাকার সমস্যা মেটাতে হবে, রাজ্যকে সুপ্রিম নির্দেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) নির্দেশেই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল আরজি করে। সেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনীর থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা ঠিকমতো করেনি রাজ্য, এমন অভিযোগ তোলে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। সোমবারই আরজি কর মামলার শুনানিতে, বিকেল ৫টার মধ্যে রাজ্য সরকারকে সিআইএসএফ জওয়ানদের জন্য থাকার ব্যবস্থা করতে নির্দেশ দিল শীর্ষ আদালত। সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) এদিন এও জানিয়েছে, সিআইএসএফের আরও যে সমস্ত সরঞ্জাম লাগবে তা রাত্রি ন’টার মধ্যে বাহিনীর হাতে তুলে দিতে হবে রাজ্যকে এবং রাজ্যের দুজন অফিসার এই গোটা বিষয়টি তদারকি করবেন।

    সম্প্রীতি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) হলফনামা দাখিল করে

    সম্প্রতি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা দাখিল করে জানায় যে, সিআইএসএফের জওয়ানদের নানা অসুবিধা সম্মুখীন হতে হচ্ছে আরজি করে। তাঁদের থাকার ব্যবস্থা সঠিকভাবে করছে না রাজ্য সরকার। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক এও জানায়, শীর্ষ আদালতে নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও রাজ্য সরকারের এমন আচরণ আসলে আদালত অবমাননা। আরও অভিযোগ, জওয়ানদের ন্যূনতম ব্যবস্থাটুকুও করেনি মমতার সরকার। শুধু তাই নয়, আরজি কর (RG Kar) হাসপাতালে নিরাপত্তা ব্যবস্থায় মেটাল ডিটেক্টর-এর মতো একান্ত প্রয়োজনীয় জিনিসও দেওয়া হয়নি জওয়ানদের (RG Kar)। শীর্ষ আদালতে যে হলফনামা জমা করেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক তাতে এই ঘটনাকে ‘অমার্জনীয়’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

    স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের চিঠির জবাব দেয়নি রাজ্য (RG Kar)

    প্রসঙ্গত, রাজ্যের তরফে সিআইএসএফ জওয়ানদের থাকার জন্য ব্যবস্থা করা হয়েছে কলকাতার উপকণ্ঠে এক জায়গায়। সেখান থেকে তাঁদের আরজি কর হাসপাতালে পৌঁছাতেই সময় লাগছে এক ঘণ্টা। এর ফলে জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় সিআইএসএফ (Supreme Court) কীভাবে ব্যবস্থা নিতে পারবে সে প্রশ্ন উঠছে, আর এর জন্য দায়ী করা হচ্ছে রাজ্যকে। এই বিষয়টি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নজরে আসার পরেই গত ২ সেপ্টেম্বর এই মর্মে মমতা সরকারকে চিঠি দেওয়া হয়, তাতে অনুরোধ জানানো হয় জওয়ানদের সমস্যার দ্রুত সমাধানের জন্য। কিন্তু অভিযোগ, রাজ্যের তরফে কোনও উত্তরই দেওয়া হয়নি। এরপরেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Supreme Court: “চালান কই, চালান ছাড়া ময়নাতদন্ত হল কীভাবে?” প্রশ্ন সুপ্রিম কোর্টের

    Supreme Court: “চালান কই, চালান ছাড়া ময়নাতদন্ত হল কীভাবে?” প্রশ্ন সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করকাণ্ডে (RG Kar Case) উঠেছে একাধিক প্রশ্ন। ঘটনার পর মাসখানেক পার হতে চলল, এখনও অনেক প্রশ্নের উত্তর অধরা। নির্যাতিতার দেহের ময়নাতদন্তের রিপোর্টের প্রেক্ষিতেও হাইকোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) উঠেছে নানা প্রশ্ন। এই মামলায় সোমবারই স্ট্যাটাস রিপোর্ট পেশ করেছে সিবিআই। আগামী সোমবারের মধ্যে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এই সংস্থাকে দ্বিতীয় স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দিতে বলেছে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।

    চালান কই? (RG Kar Case)

    এদিন মামলার শুনানির সময় রাজ্যকে একাধিক প্রশ্ন করেন সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। ময়নাতদন্তের সময়কাল নিয়ে প্রশ্নোত্তর-পর্ব চলাকালীনই প্রধান বিচারপতি জানতে চান, “দেহ যখন ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়, তখনকার সেই চালান কোথায়? চালান এই কারণেই গুরুত্বপূর্ণ, কারণ তা দেখলে বোঝা যায় মৃতদেহের সঙ্গে আর কী কী পাঠানো হয়েছিল।”

    সমস্যা আছে!

    কোনও মৃতদেহ যখন ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়, তাঁর আগে চিকিৎসকরা একটি চালান পূরণ করে মৃতদেহের সঙ্গে পাঠিয়ে দেন। সিবিআইকে সেটাই সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) পেশ করতে বলা হয়। সিবিআইয়ের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, তাঁরা কোনও চালান পাননি। সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতাও জানান, তিনিও এমন কোনও চালানের নথি পাননি। সিবিআই এবং সলিসিটর জেনারেলের উত্তর শুনে বিস্ময় প্রকাশ করেন প্রধান বিচারপতি। বলেন, “এই চালান ছাড়া দেহ ময়নাতদন্তের (RG Kar Case) জন্য গ্রহণ করা হয় না, তাহলে?” তিনি বলেন, “চালান ছাড়া কীভাবে ময়না তদন্ত হল দেহের?” বিচারপতি পার্দিওয়ালা বলেন, “চালান যদি মিসিং হয়, তাহলে আমাদের বুঝতে হবে কিছু সমস্যা আছে।”

    আরও পড়ুন: পরের শুনানি ১৭ই, আরজি করকাণ্ডে সিবিআইকে দ্বিতীয় স্ট্যাটাস রিপোর্ট পেশের সুপ্রিম-নির্দেশ

    রাজ্যের তরফে জানানো হয়, হাইকোর্টে যে কেস ডায়েরি দেওয়া হয়েছিল, সেখানে চালান ছিল। পরবর্তী শুনানির দিন সেই চালান আনার নির্দেশ দেয় শীর্ষ আদালত (Supreme Court)। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট নিয়েও উঠল প্রশ্ন। নিয়ম অনুযায়ী, সন্ধে ৬টার পর ময়নাতদন্ত করা যায় না। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট তুলে ধরে সলিসিটর জেনারেল বলেন, “দুপুর ২.৩০ থেকে রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ১০টি জিডি রয়েছে। তাহলে একটি জিডি কি ভুয়ো? নাকি পরে তৈরি করা হয়েছে? কারা (RG Kar Case) করেছে ভিডিওগ্রাফি? কোনও প্রমাণ আছে?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • SSC Scam: সুপ্রিম ধাক্কা! শিক্ষক-নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে অভিষেক-রুজিরাকে দিল্লিতে তলব করতে পারে ইডি

    SSC Scam: সুপ্রিম ধাক্কা! শিক্ষক-নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে অভিষেক-রুজিরাকে দিল্লিতে তলব করতে পারে ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (SSC Scam) তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এবার দিল্লিতেও তলব করতে পারবে ইডি। সোমবার এমনই অভিমত প্রকাশ করল শীর্ষ আদালত। সুপ্রিম দুয়ারে (Supreme Court) খারিজ হয়ে গেল অভিষেক ও রুজিরার আর্জি। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইডির সমনে হাজিরা দিল্লির পরিবর্তে শুধু কলকাতায় করা হোক, অভিষেক ও রুজিরার এই আবেদন খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট।

    সুপ্রিম নির্দেশ

    তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট এই কেলেঙ্কারির মামলায় (SSC Scam) অভিষেক ও রুজিরাকে তলব করেছিল। তাঁরা সেই তলবকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। সোমবার বিচারপতি বেলা এম ত্রিবেদী এবং বিচারপতি সতীশচন্দ্র শর্মার বেঞ্চ তৃণমূল সাংসদের আর্জি খারজি করে দেয়। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এর আগে একাধিকবার অভিষেক এবং রুজিরাকে দিল্লিতে তলব করে ইডি। কিন্তু তাঁরা হাজিরা এড়িয়ে যান। এর ফলে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অভিষেক এবং রুজিরাকে দিল্লিতে তলব করতে পারবে ইডি। 

    আরও পড়ুন: ‘‘আশা করছি, বিচার পাব’’, সুপ্রিম-শুনানির আগে মন্তব্য নির্যাতিতার মায়ের

    দিল্লিতে যেতে বাধা কোথায়

    প্রসঙ্গত, দিল্লিতে ডেকে অভিষেক এবং রুজিরাকে জেরা করতে চেয়েছিল ইডি। তাঁদের যুক্তি ছিল, নিরাপত্তার কারণে কলকাতায় অভিষেক এবং রুজিরাকে জেরা করায় সমস্যা দেখা দিতে পারে। অভিষেক ও রুজিরার অবশ্য যুক্তি ছিল, তাঁদের বাড়িতে ছোট ছোট দুই সন্তান আছে। এদিকে কলকাতায় ইডির পূর্ণাঙ্গ দফতর আছে। তাহলে কেন তাঁদের দিল্লিতে তলব করা হবে? এর আগে এর আগে কয়লা পাচার মামলায় আর্থিক তছরূপের অভিযোগের তদন্তেও ইডি তাঁকে ডেকে পাঠিয়েছিল ইডি। দিল্লিতে গিয়েও ইডির সদর দফতরে হাজিরা দিয়েছিলেন অভিষেক। এর আগে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি (SSC Scam) মামলার অন্তর্বর্তী রায়ে অভিষেককে সাময়িক স্বস্তি দেয় শীর্ষ আদালত। অন্তর্বর্তী রায়ে বিচারপতি বেলা এম ত্রিবেদী এবং বিচারপতি সতীশ চন্দ্রের বেঞ্চের তরফে জানানো হয়েছিল, অভিষেক বা রুজিরাকে দিল্লিতে তলব করা যাবে না। গত ১৩ আগস্ট মামলার শুনানি শেষ হয়। সেদিনও অন্তর্বর্তী রায় বহাল রাখে শীর্ষ আদালত। তবে চূড়ান্ত রায়ে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের আর্জি খারিজ করল শীর্ষ আদালত।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share