Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • PM Modi: আজ রবিবার ভোটমুখী ঝাড়খণ্ডের রাঁচিতে মেগা রোড শো করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

    PM Modi: আজ রবিবার ভোটমুখী ঝাড়খণ্ডের রাঁচিতে মেগা রোড শো করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ রবিবার ভোটমুখী ঝাড়খণ্ডে রোড শো করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। জানা গিয়েছে, সে রাজ্যের রাজধানী রাঁচিতে হবে এই রোড শো। অসমের মুখ্যমন্ত্রী তথা ঝাড়খণ্ড বিজেপির সহ পর্যবেক্ষক হিমন্ত বিশ্ব শর্মা এ বিষয়ে জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রবিবার তিন কিলোমিটার রোড শো করবেন রাঁচিতে। তিনি আরও বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রীর এই রোড শো ঘিরে মানুষের মধ্যে উন্মাদনা তুঙ্গে উঠেছে। বিপুল সংখ্যক মানুষ অংশগ্রহণ করবেন এবং এটি ঐতিহাসিক হতে চলেছে।’’

    গত সপ্তাহেই ঝাড়খণ্ডে প্রচারে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)

    জানা গিয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর এই রোড শোতে বিজেপির অনেক সিনিয়র নেতাই উপস্থিত থাকবেন। প্রসঙ্গত গত সপ্তাহেই ঝাড়খণ্ডে (Jharkhand) প্রচারে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। ৫ নভেম্বর তিনি ঝাড়খণ্ডে প্রচার করেন, তারপরে ফের একবার আজ ১০ নভেম্বর তিনি সেখানে যাচ্ছেন। গত সপ্তাহে ঝাড়খণ্ডের ছাইবাসা এবং গারোয়াতে তিনি প্রচার করেন। ছাইবাসার জনসভায় প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, ‘‘বিজেপি সরকার তৈরি হলেই অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং সেই মতো আইন তৈরি করা হবে। যে সমস্ত জমি অনুপ্রবেশকারীরা দখল করেছে, তা ফিরিয়ে দেওয়া হবে আদিবাসী সম্প্রদায়ের মধ্যে।’’

    রোটি-বেটি-মাটি স্লোগান

    সেই সময়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi), রোটি-বেটি-মাটি এই স্লোগানকেও উল্লেখ করেন এবং বলেন, ‘‘সমগ্র ঝাড়খণ্ড আজকে বলছে রোটি-বেটি-মাটি কি পুকার, ঝাড়খণ্ড (Jharkhand)  মে বিজেপি সরকার।’’ তিনি আরও উল্লেখ করেন যে অটল বিহারী বাজপেয়ী প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীনই ঝাড়খণ্ড রাজ্যের জন্ম হয়েছিল। নিজের নির্বাচনী জনসভায় প্রধানমন্ত্রীর তোপ দাগেন কংগ্রেস ও ঝাড়খন্ড মুক্তি মোর্চার জোটকেও। তিনি অভিযোগ করেন, শুধুমাত্র ভোট ব্যাঙ্কের রাজনীতি করার জন্যই তারা ঝাড়খণ্ডকে অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের হাতে তুলে দিচ্ছে। বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা আদিবাসী কন্যাদের টার্গেট করছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। ঝাড়খণ্ডবাসীর উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘‘আমি আপনাদের আশ্বস্ত করতে চাই যে ভারতীয় জনতা পার্টির সরকার তৈরি হলে এই সমস্ত অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হবে।’’

    দারিদ্রতা মেটাবে বিজেপি

    প্রধানমন্ত্রী তাঁর গত সপ্তাহের ভাষণে আরও বলেন, ‘‘ভারতীয় জনতা পার্টি ঝাড়খণ্ডের দারিদ্রতা দূরীকরণে বদ্ধপরিকর। কংগ্রেস এবং তার জোটসঙ্গীরা আদিবাসী সম্প্রদায়কে গরিব করে রেখে দিতে চাইছে। ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চ এবং আরজেডি-এই দুই দলও ষড়যন্ত্র করছে। ঝাড়খণ্ডের জনবিন্যাসও পরিবর্তন করা হচ্ছে।’’ এই আবহে আজ প্রধানমন্ত্রীর মেগা রোড শো ঘিরে তাই স্বাভাবিকভাবেই বিজেপির কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে উন্মাদনা তুঙ্গে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • JP Nadda: ‘‘ক্ষমতায় এলে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের তাড়াব’’, ভোটপ্রচারে ঝাড়খণ্ডে তোপ জেপি নাড্ডার

    JP Nadda: ‘‘ক্ষমতায় এলে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের তাড়াব’’, ভোটপ্রচারে ঝাড়খণ্ডে তোপ জেপি নাড্ডার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘‘ক্ষমতায় এলে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের তাড়াব’’, ঝাড়খণ্ডে (Jharkhand Poll) ভোটের প্রচারে গিয়ে এভাবেই তোপ দাগলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা (JP Nadda)। ঝাড়খণ্ডের নির্বাচনী প্রচারসভায় বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি বলেন, ‘‘প্রত্যেক বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে বের করা হবে রাজ্য থেকে।’’ এর পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, ‘‘যে সমস্ত বাংলাদেশি আদিবাসী মহিলাদের বিয়ে করেছেন, তাঁদের সন্তানদের কখনও উপজাতিদের অধিকার দেবে না বিজেপি।’’

    ঝাড়খণ্ড সরকারকে প্রতারক বলেন নাড্ডা (JP Nadda)

    প্রসঙ্গত, ভোটমুখী ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand Poll) অন্যতম নির্বাচনী ইস্যু হল বাংলাদেশি অনুপ্রবেশ। সেখানকার হেমন্ত সোরেন সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে যে অবৈধ বাংলাদেশিদের তোষণ করছে তাঁর সরকার। শুধু তাই নয়, এভাবেই আদিবাসীদের জনসংখ্যা কমছে। বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা সেখানে জমি দখল করছে এবং আদিবাসী মহিলাদের বিয়ে করে স্থায়ীভাবে বসতি করছে বলেও অভিযোগ। ঝাড়খণ্ডের পালামৌ জেলাতে নিজের বক্তব্যে জেপি নাড্ডা (JP Nadda) এই ঘটনার জন্য কাঠগড়ায় তোলেন ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা ও কংগ্রেস জোটকে। তিনি বলেন, ‘‘ ক্ষমতায় এলে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে কড়া অবস্থান নেওয়া হবে।’’ একইসঙ্গে তিনি জানান, ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা-কংগ্রেস জোট নিজেদের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতেও ব্যর্থ হয়েছে। তারা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল সরকারি চাকরি দেওয়ার, মহিলাদের আর্থিক ক্ষমতা বৃদ্ধির, এর কোনওটাই হয়নি। এই সরকার একটা প্রতারক সরকার, এরা মিথ্যাবাদী ও চোরেদের সমর্থনে চলছে বলেও তোপ দাগেন জেপি নাড্ডা (JP Nadda)।

    সম্প্রতি তোপ দাগেন অমিত শাহও

    উল্লেখ্য, দিন কয়েক আগেই ঝাড়খণ্ডে এসে একইভাবে তোপ দেগেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং তিনি ঝাড়খণ্ডের রাজ্য সরকারকে দেশের মধ্যে সবথেকে দুর্নীতিগ্রস্ত সরকার বলেছিলেন। ঝাড়খণ্ডের জনগণের কাছে শাহ আহ্বান জানিয়েছিলেন, এই সরকারকে ছুড়ে ফেলার জন্য। নিজের বক্তব্যে অমিত শাহ বলেছিলেন, ‘‘কংগ্রেস এবং ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার সরকার সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত পুরো দেশের মধ্যে। এদের পরিবর্তনের প্রয়োজন আছে। যদি আপনারা দুর্নীতিকে রোধ করতে চান, তাহলে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা ও কংগ্রেস সরকারকে উপড়ে ফেলতে হবে। যারা আপনাদের টাকা চুরি করেছে।’’ প্রসঙ্গত, ঝাড়খণ্ডের ৮১টি বিধানসভার আসন রয়েছে। দুই দফায় ভোট হবে সে রাজ্যে। আগামী ১৩ নভেম্বর ও ২০ নভেম্বর ভোট রয়েছে ঝাড়খণ্ডে। গণনা হবে ২৩ নভেম্বর।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: “কংগ্রেস জিতলেই রাজ্যটি তাদের শাহি পরিবারের এটিএম হয়ে যায়”, তোপ মোদির

    PM Modi: “কংগ্রেস জিতলেই রাজ্যটি তাদের শাহি পরিবারের এটিএম হয়ে যায়”, তোপ মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “যেখানে কংগ্রেস সরকার গঠিত হয়, সেই রাজ্য তাদের শাহি পরিবারের এটিএম হয়ে যায়।” ভোটমুখী মহারাষ্ট্রে নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে কথাগুলি বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। এর পরেই তিনি বলেন, “আমরা মহারাষ্ট্রকে কংগ্রেসের (Congress) এটিএম হতে দেব না।”

    শাহি পরিবারকে চ্যালেঞ্জ (PM Modi)

    আগামী ২০ নভেম্বর হবে মহারাষ্ট্র বিধানসভার নির্বাচন। সেই উপলক্ষে আকোলায় এক জনসভায় ভাষণ দিতে এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “আমি কংগ্রেসের শাহি পরিবারকে চ্যালেঞ্জ করছি, তারা প্রমাণ করুক যে তারা কখনও ডঃ বাবাসাহেব আম্বেদকরের পঞ্চতীর্থে গিয়েছেন কিনা।” প্রধানমন্ত্রী “পঞ্চতীর্থ” শব্দটি ব্যবহার করেছেন আম্বেদকরের জন্মস্থান মহো, লন্ডনে পড়াশোনা, নাগপুরের দীক্ষা ভূমি যেখানে তিনি বৌদ্ধ ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন, দিল্লির মহাপরিনির্বাণ স্থল এবং মুম্বাইয়ের চৈতন্য ভূমি বোঝাতে।

    ‘দেশ দুর্বল হলে তারাই শক্তিশালী হবে’

    তিনি বলেন, “হরিয়ানার জনগণ ‘এক আছে তো নিরাপদ আছে’ মন্ত্র মেনে কংগ্রেসের ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করেছে। কংগ্রেস জানে, দেশ দুর্বল হলে তারাই শক্তিশালী হবে। ওই দলের নীতিই হল এক জাতিকে আর এক জাতির বিরুদ্ধে দাঁড় করানো।” প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, “মহারাষ্ট্রের বিরোধী মহা বিকাশ আঘাড়ি মানেই হাজার হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি ও কেলেঙ্কারি। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আমার প্রথম দুই মেয়াদে, আমি চার কোটি পাকা বাড়ি গরিবদের দিয়েছি।” তিনি বলেন, “মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির নেতৃত্বাধীন মহাজোটের জন্য আপনাদের আশীর্বাদ চাইতে আমি এসেছি।”

    আরও পড়ুন: রাজ্যের ৩ কোটি মহিলা কেন পান না লক্ষ্মীর ভাণ্ডার? মুখ্যমন্ত্রীকে প্রশ্ন ছুড়লেন বিজেপি নেতা

    প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতায় উঠে এসেছে রাম মন্দির প্রসঙ্গও। তিনি বলেন, “এই দিনে, ২০১৯ সালে, দেশের সুপ্রিম কোর্ট রাম মন্দির নিয়ে তাদের রায় ঘোষণা করেছিল। ৯ই নভেম্বরের এই তারিখটি মনে থাকবে কারণ সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্তের পর সব ধর্মের মানুষ অসাধারণ সংবেদনশীলতার পরিচয় দিয়েছিলেন।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “দেশের প্রথমের এই অনুভূতিই ভারতের সবচেয়ে বড় শক্তি।” তিনি বলেন, “২০১৪ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত এই ১০ বছরে মহারাষ্ট্র বিজেপিকে ধারাবাহিকভাবে পূর্ণ সমর্থন করেছে। মহারাষ্ট্রের বিজেপির প্রতি আস্থার পিছনে একটি কারণ রয়েছে। এর কারণ হল মহারাষ্ট্রের মানুষের (Congress) দেশপ্রেম, রাজনৈতিক বোঝাপড়া এবং ভবিষ্যৎ দৃষ্টি (PM Modi)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Amit Shah: ‘‘যতদিন বিজেপি ক্ষমতায় ততদিন মুসলিমরা সংরক্ষণ পাবেন না’’, ঘোষণা শাহের

    Amit Shah: ‘‘যতদিন বিজেপি ক্ষমতায় ততদিন মুসলিমরা সংরক্ষণ পাবেন না’’, ঘোষণা শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘‘বিজেপি (BJP) এ দেশে যতদিন ক্ষমতায় থাকবে, ততদিন পর্যন্ত সংখ্যালঘুরা সংরক্ষণ পাবে না।’’ শনিবার ঝাড়খণ্ডের পালামুতে বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে এক জনসভায় ভাষণ দিতে গিয়ে অমিত শাহ (Amit Shah) এই মন্তব্য করেন। শাহ বলেন, কংগ্রেস ওবিসি, দলিত এবং উপজাতিদের সংরক্ষণের সীমা কমিয়ে মুসলমানদের সংরক্ষণ করতে চায়। বিজেপি থাকতে সেটা হবে না বলে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেন তিনি।

    কী বললেন শাহ? (Amit Shah)

    ঝাড়খণ্ডের পালামুতে এক জনসভায় ভাষণ দিতে গিয়ে অমিত শাহ (Amit Shah) বলেন, ‘‘কংগ্রেস সংরক্ষণের কথা বলে, কিন্তু আমাদের সংবিধানে ধর্মের ভিত্তিতে সংরক্ষণ দেওয়ার কোনও বিধান নেই। মহারাষ্ট্রে কিছু ‘ওলামা’র একটি দল একটি আবেদনপত্র জমা দিয়েছে। মুসলিমদের জন্য ১০ শতাংশ সংরক্ষণের বিষয়ে তাদের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে। কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সংরক্ষণের বিষয়ে তারা তাদের সাহায্য করবে। রাহুল গান্ধীকে সতর্ক করতে চাই এই বলে যে, যতদিন পর্যন্ত এই দেশে বিজেপি থাকবে ততদিন সংখ্যালঘুরা সংরক্ষণ পাবে না। ওবিসি, দলিত এবং আদিবাসীদের বাবা সাহেব আম্বেদকর দিয়েছেন। আমরা এটিকে অসম্মান করতে পারি না।’’

    আরও পড়ুন: ‘‘তৃণমূলের রুচিবোধ নিম্নমানের, থ্রেট কালচারের জনক মমতা’’, তোপ শুভেন্দুর

    কংগ্রেস ‘‘ ওবিসি-বিরোধী ’’দল

    কংগ্রেসকে ওবিসি-বিরোধী দল বলে অভিহিত করে শাহ (Amit Shah) বলেন, ‘‘যখনই কংগ্রেস ক্ষমতায় এসেছে, তারা ওবিসি সম্প্রদায়ের প্রতি অবিচার করেছে। কাকা কালেলকর কমিটি  ১৯৫০ সালে তৈরি হয়েছিল। কিন্তু, তার রিপোর্ট হারিয়ে গিয়েছে। যখন মণ্ডল কমিশন ওবিসিদের সংরক্ষণ করতে এসেছিল, তখন ইন্দিরা গান্ধী এবং রাজীব গান্ধী এটি বাস্তবায়নের বিরোধিতা করেছিলেন।’’ শাহ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রশংসা করে বলেন, ‘‘মোদি ক্ষমতায় এসে ওবিসিদের ২৭ শতাংশ সংরক্ষণ দিয়েছেন।  অনগ্রসর শ্রেণির জন্য একটি জাতীয় কমিশন (এনসিবিসি) গঠন করেছেন।’’

    বিজেপি সরকার হলে দুর্নীতিবাজদের কারাগারে ভরা হবে

    ইন্ডি জোটকে আক্রমণ শানিয়ে শাহ বলেন, “ঝাড়খণ্ডে (Jharkhand) জেএমএম, কংগ্রেস এবং আরজেডি সরকার দেশের সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত সরকার।” তিনি (Amit Shah) বলেন, ‘‘আমরা রাজ্যে বিজেপি সরকার আনার আবেদন করতে এসেছি, কারণ বর্তমান রাজ্য সরকার দুর্নীতিতে জর্জরিত। জেএমএম, কংগ্রেস এবং আরজেডি দেশের সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত সরকার। কেউ কি কখনও ৩০০ কোটি টাকা দেখেছেন? কংগ্রেস সাংসদের বাড়ি থেকে ৩০০ কোটি টাকার বেশি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। টাকা গুনতে প্রায় ২৭টি মেশিন আনা হলেও এত বিপুল পরিমাণ টাকা গুনতে গিয়ে ওই মেশিনগুলো ক্লান্ত হয়ে পড়েছিল। আলমগীর আলম রাজ্য সরকারের মন্ত্রী ছিলেন। এমনকী তাঁর পিএ- এর বাড়ি থেকে ৩০ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল। কিন্তু, হেমন্ত সোরেন বা কংগ্রেস তাঁর বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করেননি। এই টাকা আপনার, এটা ঝাড়খণ্ডের যুবক ও দরিদ্রদের, যা এই কংগ্রেসিরা খেয়ে ফেলেছে। আপনি যদি রাজ্যে বিজেপি সরকার গঠন করেন, আমরা দুর্নীতিবাজদের কারাগারের পিছনে ফেলব।’’ প্রসঙ্গত, ৮১ সদস্যের ঝাড়খণ্ড বিধানসভা নির্বাচন হবে দুদফায় – ১৩ ও ২০ নভেম্বর। ২৩ নভেম্বর হবে ভোট গণনা। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mohan Bhagwat: সনাতন ধর্ম রক্ষার আহ্বান ভাগবতের, প্রয়োজনে লাঠি ব্যবহারের নিদান

    Mohan Bhagwat: সনাতন ধর্ম রক্ষার আহ্বান ভাগবতের, প্রয়োজনে লাঠি ব্যবহারের নিদান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বয়ংসেবকদের সনাতন ধর্মের মূলনীতি রক্ষা ও তাদের কাজে বাধা দিতে চাওয়া বিরোধী শক্তি থেকে সাধু-সন্তদের সুরক্ষার আহ্বান জানালেন আরএসএস (Mohan Bhagwat) প্রধান মোহন ভাগবত। চিত্রকূটে এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দিতে গিয়ে ভাগবত সনাতন ধর্ম রক্ষার গুরুত্বের ওপর জোর দেন। ভারতকে সহিষ্ণু, ঐক্যবদ্ধ জাতি হিসেবে বর্ণনা করেন (RSS) তিনি।

    লাঠি ব্যবহারের নিদান (Mohan Bhagwat)

    তাঁর মতে, ভারত নানা চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করে ন্যায়ের জন্য দৃঢ়ভাবে দাঁড়িয়ে থাকতে অঙ্গীকারবদ্ধ। সরসংঘচালক বলেন, “সনাতন ধর্ম ও সাধু-সন্তদের কাজে বাধা সৃষ্টি করা সব বাধা অপসারণের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। প্রয়োজন হলে তারা লাঠির ব্যবহারও করবেন।” তিনি বলেন, “সমাজের সম্প্রীতিতে হুমকি সৃষ্টি করে এমন ঘটনাগুলি প্রতিরোধ করা মূলত প্রশাসনের দায়িত্ব। তবে প্রয়োজনে নিজেদের সুরক্ষার জন্য সমাজকেও প্রস্তুত থাকতে হবে।”

    ‘আমরা ধর্মের পথে দাঁড়িয়ে আছি’

    ভাগবত বলেন, “আমাদের অবিচারের ভয় পাওয়ার বা সহ্য করার প্রয়োজন নেই। ধর্ম আমাদের কর্মের মাধ্যমে অর্জিত হয়। সৎ ও অসৎ সবসময়ই বিদ্যমান। ধর্মে প্রোথিত একটি জাতি হিসেবে আমরা ধর্মের পথে দাঁড়িয়ে আছি।” তিনি (Mohan Bhagwat) বলেন, “আরএসএস ঋষিদের সেবা করে এবং ধর্মের প্রতি নিবেদিত প্রাণ। তারা এটা নিশ্চিত করবে যে মন্দিরে ধর্মীয় কাজকর্মে নিয়োজিত ঋষিরা যেন বাধাগ্রস্ত না হন।”

    আরএসএসের এই কর্তা নিরাপদ ও সমৃদ্ধশালী দেশ হিসেবে ভারতের প্রশংসা করেন। তাঁর মতে, এর শক্তির ভিত্তি প্রাচীন ঋষি ও সাধুদের স্থাপিত ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত। ভাগবত বলেন, “জাতির বৈচিত্র্যের মধ্যেও, ভারত ধর্মের প্রতি তার প্রতিশ্রুতিতে এককাট্টা। কিছু শক্তি হয়তো ভারতকে দমন করার চেষ্টা করতে পারে, কিন্তু সত্যকে কখনও দমানো যায় না।”

    আরও পড়ুন: “কানাডায় খালিস্তানপন্থীরা রয়েছেন, মজুত যাবতীয় উপাদানও”, শেষমেশ স্বীকার ট্রুডোর

    অযোধ্যার রাম মন্দিরকে সনাতন ধর্মের প্রতীক হিসেবে তুলে ধরে ভাগবত বলেন, “এটি সব সনাতনীর জন্য এবং তাঁদের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি রক্ষার জন্য। যদি রাম মন্দির সনাতনের প্রতীক হয়, তাহলে সনাতনীদের কর্তব্য হল আমাদের ধর্ম ও সংস্কৃতিকে রক্ষা করা ও সমুন্নত রাখা।” আরএসএসের প্রথম দিকের দিনগুলির কথা স্মরণ  করিয়ে দিয়ে সরসংঘচালক বলেন, “অসাধারণ প্রতিকূলতার মধ্যেও আমরা আরও শক্তিশালী হয়েছি (RSS)।” সংগঠনের জাতীয় ঐক্য ও দৃঢ়তার প্রতি স্থায়ী অঙ্গীকারের ওপরও জোর দেন তিনি (Mohan Bhagwat)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • India’s Mineral Independence: খনিজ সম্পদেও ‘আত্মনির্ভর ভারত’! নিলামে প্রথম বিক্রি টাংস্টেন-কোবাল্ট  

    India’s Mineral Independence: খনিজ সম্পদেও ‘আত্মনির্ভর ভারত’! নিলামে প্রথম বিক্রি টাংস্টেন-কোবাল্ট  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খনিজ সম্পদের ক্ষেত্রেও আত্মনির্ভরতার পথে ভারত (India’s Mineral Independence)। আর টাংস্টেনের জন্য চিনের মুখাপেক্ষী হয়ে থাকতে হবে না ভারতকে। এই খনিজ খুবই গুরুত্বপূর্ণ, পাশাপাশি বিরলতম প্রাকৃতিক সম্পদগুলির মধ্যে অন্যতম। সম্প্রতি ভারতে প্রথম টাংস্টেন ও কোবাল্ট ব্লক নিলাম করা হল। এই নিলামে ভেদান্ত গ্রুপের হিন্দুস্তান জিংক লিমিটেড দুটি টাংস্টেন ব্লক জিতে নেয়। ওই দুটি ব্লকের একটি তামিলনাড়ুর নয়াক্কারপট্টি এবং অন্যটি অন্ধ্রপ্রদেশের বালেপাল্যাম এলাকায়। এর পাশাপাশি, ভেদান্ত একটি কোবাল্ট ব্লকও পেয়েছে। এটি কর্ণাটকের শিমোগায় রয়েছে। এটি ভারতের গুরুত্বপূর্ণ খনিজ অনুসন্ধানে একটি বড় পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে।

    সফল নিলাম অনুষ্ঠান

    এই নিলামটি মাইনস অ্যান্ড মিনারেলস (ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড রেগুলেশন) অ্যাক্ট, ১৯৫৭-এর আওতায় অনুষ্ঠিত হয়। তিনটি খনিজ ব্লকেই কম্পোজিট লাইসেন্স (CL) প্রদান করা হয়েছে। এই লাইসেন্সগুলির আওতায়, সরকার প্রাথমিক অনুসন্ধান সম্পন্ন করেছে, কিন্তু খনিজ কোম্পানিগুলিকে আরও বিস্তারিত অনুসন্ধান করতে হবে। একবার খনিজের মজুত নিশ্চিত হলে, কোম্পানিগুলি রাজ্য সরকারের কাছে খনি খননের জন্য আবেদন করতে পারবে। খনন কার্য শুরুর আগে সমস্ত প্রয়োজনীয় অনুমতি, লাইসেন্স এবং “নো অবজেকশন” সার্টিফিকেট সংগ্রহ করতে হবে।

    টাংস্টেন-এর গুরুত্ব

    উল্লেখ্য, যেসব খনিজ — যেমন কপার, লিথিয়াম, নিকেল এবং কোবাল্ট — বিশ্বজুড়ে ক্লিন এনার্জি প্রযুক্তির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, তাদের মধ্যে টাংস্টেন অন্যতম। টাংস্টেন, বা ‘ওলফ্রাম’, উচ্চ তাপমাত্রা সহ্য করতে পারার কারণে বিভিন্ন শিল্পে এর ব্যবহার করা হয়। এর ফলে এটি অত্যন্ত মূল্যবান। এটি সেমিকন্ডাক্টর, কনজিউমার ইলেকট্রনিক্স, মহাকাশ ও মেডিক্যাল ডিভাইসগুলিতে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়।

    চিনের প্রাধান্য হ্রাস

    বর্তমানে, চিন বিশ্বব্যাপী টাংস্টেন উৎপাদনে ৮৫ শতাংশেরও বেশি অংশীদার। এরপর রয়েছে রাশিয়া। চিন ও রাশিয়া এক সঙ্গে বিশ্বের ৯০ শতাংশ টাংস্টেন সরবরাহ করে। ভারত এখনও টাংস্টেন সম্পূর্ণভাবে আমদানি করে। এখানে এখনও কোনও টাংস্টেন খনিজের উৎস তৈরি করা যায়নি। এই মুহূর্তে ভারতের কোথাও টাংস্টেন উত্তোলিত না হওয়ায়, ভারতকে তার চাহিদার পুরোটাই আমদানি করতে হয়। এই আমদানিকারক দেশগুলিতে সব চেয়ে বেশী আমদানি হয় চিন থেকে। ভারত তার মোট চাহিদার ৫৬ শতাংশ টাংস্টেন চিন থেকে আমদানি করে। এবার দেশে টাংস্টেন মিললে চিনের উপর আর নির্ভর করতে হবে না। বাঁচবে গুরুত্বপূর্ণ বৈদেশিক মুদ্রাও। পাশাপাশি চিনের অর্থনীতিকেও ধাক্কা দেওয়া যাবে। এই কারণে, ভারতের প্রথম টাংস্টেন ব্লক নিলামে বিক্রির সাফল্য দেশের খনিজ সরবরাহ (India’s Mineral Independence) চেইনে সম্ভাব্য ঝুঁকি কমানোর একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

    কোবাল্ট কেন প্রয়োজন

    কোবাল্ট একটি অত্যন্ত মূল্যবান রৌপ্যধাতু, যা বিশেষভাবে বৈদ্যুতিন যানবাহনের (ইভি) ব্যাটারির জন্য অপরিহার্য। ২০৩৫ সালের মধ্যে কোবাল্টের চাহিদা তিনগুণ বাড়ার পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে, যা ইভি শিল্পের বৃদ্ধি দ্বারা পরিচালিত হবে। বর্তমানে, কোবাল্টের প্রধান উৎস হল কঙ্গো প্রজাতান্ত্রিক গণতন্ত্র (ডিআরসি), যা বিশ্বের কোবাল্ট সরবরাহের ৬৭ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ করে। তবে কঙ্গোর রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং শিশু শ্রমের সমস্যা কোবাল্ট সরবরাহের উপর সম্ভাব্য ঝুঁকি তৈরি করছে। এছাড়া, বিশ্বব্যাপী কোবাল্ট পরিশোধন প্রক্রিয়া প্রায় সম্পূর্ণরূপে চিনের হাতে, যা অন্য দেশগুলোর জন্য একটি বড় উদ্বেগের বিষয়।

    ভারতে কোবাল্টের সন্ধান 

    ভারতে (India’s Mineral Independence) প্রচুর পরিমাণে কোবাল্ট মজুত রয়েছে। বিশেষ করে ওডিশা, ঝাড়খণ্ড ও নাগাল্যান্ডে কোবাল্টের ভাণ্ডার রয়েছে। তবে, বর্তমানে ভারত সম্পূর্ণভাবে কোবাল্টের চাহিদা আমদানির ওপর নির্ভরশীল। শিমোগার কোবাল্ট ব্লক নিলামের মাধ্যমে ভারতের কোবাল্টের অভ্যন্তরীণ অনুসন্ধান শুরু হয়েছে। এছাড়া, ভারত সমুদ্রের তলদেশে কোবাল্ট অনুসন্ধানেও মনোযোগ দিয়েছে। ২০২৪ সালের প্রথমার্ধে, ভারত আন্তর্জাতিক সি-বেড অথরিটির (ISA) কাছে আফানাসি নিকিতিন সিমাউন্টের কোবাল্ট অনুসন্ধানের অনুমতি চেয়ে আবেদন করেছে, যা মলদ্বীপের পূর্বে ভারত মহাসাগরের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত।

    আরও পড়ুন: রাতভর অভিযান কাশ্মীরে সাফল্য সেনার, নিহত ২ জঙ্গি, উদ্ধার বিপুল অস্ত্র

    ভবিষ্যতে লাভের পথে

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে ভারত এখন অমৃত যুগের দিকে এগোচ্ছে। খনিজ স্বাধীকারের পথে কাজ করছে সরকার। বর্তমানে দেশের সম্ভাব্য কৌশলগত খনিজ সম্পদের মধ্যে ১০ শতাংশেরও কম অনুসন্ধান করা গিয়েছে। কেন্দ্র নিরন্তর প্রয়াস জারি রেখেছে। আগামী দিনে ভারত (India’s Mineral Independence) এই খনিজগুলি খুঁজে বের করার এবং এর জন্য আন্তর্জাতিক অংশীদারিত্ব ও চুক্তির প্রয়োজনীয়তা অনুভব করবে। টাংস্টেন ও কোবাল্ট ব্লকের মতো নিলামগুলি এক্ষেত্রে ইতিবাচক পদক্ষেপ। ভবিষ্যতের চাহিদা পূরণে শক্তিশালী আন্তর্জাতিক অংশীদারিত্ব এবং বন্ধুত্বপূর্ণ দেশগুলির সঙ্গে সাপ্লাই চেন তৈরি করাই এখন সরকারের প্রথম লক্ষ্য। দেশে গবেষণার মধ্য দিয়ে উপযুক্ত পরিকাঠামো গড়ে তুলতে সচেষ্ট মোদি সরকার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Russian-Oil: “রাশিয়া থেকে জ্বালানি কিনে গোটা বিশ্বের উপকার করেছে ভারত”, বললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী

    Russian-Oil: “রাশিয়া থেকে জ্বালানি কিনে গোটা বিশ্বের উপকার করেছে ভারত”, বললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাশিয়ার কাছ থেকে তেল বা জ্বালানি (Russian-Oil) কিনে গোটা বিশ্বের উপকার করেছে ভারত। ঠিক এই মন্তব্য করেন কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী। সামাজিক মাধ্যমে তিনি বলেন, “বিশ্বব্যাপী অনিশ্চয়তার মধ্যে রাশিয়া থেকে ভারতের তেল কেনার সিদ্ধান্ত বৈশ্বিক জ্বালানির দাম বৃদ্ধির সম্ভাবনাকে রোধ করেছে। বিশ্ববাজারে দামের ভারসাম্য রক্ষায় এই সিদ্ধান্ত খুবই কার্যকারী। বিশ্বব্যাপী তেলের মূল্যবৃদ্ধি সত্ত্বেও, ভারতই একমাত্র প্রধান উপভোক্তা দেশ যেখানে গত তিন বছরে জ্বালানির দাম উল্লেখযোগ্য ভাবে হ্রাস পেয়েছে।”

    তেলের দাম ২০০ ডলার প্রতি ব্যারেলে মূল্যবৃদ্ধি হতো (Russian-Oil)

    কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী হারদীপ সিং নিজের এক্স হ্যান্ডলে একটি পোস্ট করে বলেন, “ভারত রাশিয়ার তেল বা জ্বালানি (Russian-Oil) কেনার মাধ্যমে সমগ্র বিশ্বের জন্য উপকার করেছে। কারণ আমরা যদি তা না করতাম, তাহলে বিশ্বব্যাপী তেলের দাম ২০০ ডলার করে প্রতি ব্যারেলে মূল্যবৃদ্ধি হত। যার প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়ত দৈনন্দিন দ্রব্যমূল্যে। রাশিয়া থেকে জ্বালানি কেনায় কোনও রকম নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা ছিল না। তবে শুধুমাত্র একটি মূল্যের উপর শর্ত আরোপ করা হয়েছে। আর এতে আশ্বস্ত করেছে যে ভারতীয় কোম্পানিগুলি শর্ত মেনে চলবে।”

    আরও পড়ুনঃ অযোধ্যা মামলার ঐতিহাসিক রায়ের পাঁচ বছর পূর্তি, জেনে নিন পুরো কাহিনি

    নরেন্দ্র মোদিজির নেতৃত্বে আস্থা

    কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরদীপ পুরী আরও উল্লেখ করে বলেন, “ইউরোপীয় এবং এশিয়ার দেশগুলিও রাশিয়ার (Russian-Oil) কাছ থেকে যথেষ্ট পরিমাণে জ্বালানি কিনেছে। আমাদের ভুলে যাওয়া উচিত নয় যারা ভারতের উপর বিধিনিষেধ আরোপের কথা বলেছিল, তাদের মধ্যে অনেক ইউরোপীয় এবং এশিয়ার দেশ রাশিয়া থেকে বেশি পরিমাণে অশোধিত তেল, ডিজেল কিনেছিল। আমাদের তেল কোম্পানীগুলোকে যারাই ভালো দামে জ্বালানি দেবে, আমরা তাদের কাছ থেকে এই জ্বালানি কিনব। এটাই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিজির নেতৃত্বের আস্থা এবং বিশ্বাস। ভারতের নাগরিকদের জন্য জ্বালানির উপযুক্ত প্রয়োজনীয় জোগান, ক্রয়ক্ষমতা এবং সুরক্ষাকে নিশ্চিত করা হয়েছে। এটাতেই আমাদের সবথেকে আগে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। প্রায় ৭ কোটি ভারতীয় প্রতিদিন পেট্রোল প্রত্যক্ষভাবে ব্যবহার করে থাকেন। তাই জ্বালানি বা পেট্রোলের স্থিতিশীল প্রাপ্যতা, সাশ্রয় এবং স্থায়িত্বের বিষয়কে সরকার আগে গুরুত্ব দিয়ে ভেবেছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Donald Trump: মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদে ট্রাম্প, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্পর্ক আরও মজবুত হবে, আশায় ভারত

    Donald Trump: মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদে ট্রাম্প, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্পর্ক আরও মজবুত হবে, আশায় ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদে ডোনাল্ড ট্রাম্পের (Donald Trump) আসীন হওয়াটা (India US Trade Security Ties) এখন স্রেফ সময়ের অপেক্ষা। নতুন বছরের ২০ জানুয়ারি মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদে শপথ নেবেন তিনি। তাঁকে ঘিরে আশার আলো দেখছে নরেন্দ্র মোদি সরকার। কারণ মার্কিন দেশে ক্ষমতায় আসছেন প্রধানমন্ত্রীর ‘বন্ধু’। তবে উদ্বেগ যে একেবারেই নেই, তা নয়। উদ্বেগ রয়েছে ভারত-আমেরিকা বাণিজ্য বন্ধন নিয়ে। তবে, দ্রুত সেই উদ্বেগের নিরসন হয়ে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যিক সম্পর্ক মজবুত হবে, আশায় নয়াদিল্লি।

    ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট (Donald Trump)

    ট্রাম্প হতে চলেছেন ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তাঁর সঙ্গে মোদির সম্পর্ক খুবই ভালো। এর আগের দফায় প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন সময়ে ট্রাম্পের উদ্যোগেই হয়েছিল ‘হাউডি মোদি’ অনুষ্ঠান। গুজরাটে ‘নমস্তে ট্রাম্প’ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে সখ্যতার প্রমাণ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাই মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদে ট্রাম্প শপথ নেওয়ার পরেও ভারত-আমেরিকা সুসম্পর্ক বজায় থাকবে বলেও ধারণা আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের একাংশের।

    ভারতের পাশে ট্রাম্প

    ভারতের সঙ্গে ট্রাম্প (Donald Trump) বরাবরই সুসম্পর্ক রেখে চলেছেন। ২০২০ সালে পূর্ব লাদাখে চিনা ফৌজ অনুপ্রবেশের সময় ভারতের পাশেই দাঁড়িয়েছিলেন ট্রাম্প। ভারতীয় নৌবাহিনীর জন্য দু’টি সি গার্ডিয়ান ড্রোনের লিজ মঞ্জুর করতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন ট্রাম্প। জম্মু-কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা বাতিলের সময় মোদি সরকারের প্রতি সহানুভূতিশীল ছিলেন ট্রাম্প। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রয়োজনীয়তাও উপলদ্ধি করেছিলেন। ভারত ও আমেরিকার মধ্যে বাণিজ্য শুল্ক নিয়ে বিতর্ক থাকলেও, ট্রাম্প (Donald Trump) ভারতে বৃহত্তর বিনিয়োগের পক্ষেই সওয়াল করেছিলেন।

    আরও পড়ুন: রাতভর অভিযান কাশ্মীরে সাফল্য সেনার, নিহত ২ জঙ্গি, উদ্ধার বিপুল অস্ত্র

    ভারতীয়দের আমেরিকায় বিনিয়োগ করার আহ্বান করেছিলেন। ডাম্পিং সমস্যায় চিনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদও করেছিলেন তিনি। এর আগের মেয়াদে ট্রাম্প ভারতীয় সার্বভৌমত্বের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ছিলেন। ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে প্রাকৃতিক শক্তির ভারসাম্য বজায় রাখার কথা বলেছিলেন তিনি। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধেও সুর চড়িয়েছিলেন ট্রাম্প। ভারতীয় বিমান বাহিনীর বালাকোটে জইশ-ই-মহম্মদ জঙ্গি ক্যাম্পে আক্রমণের সময় পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ভারতের পাল্টা আঘাত করার অধিকারকে স্বীকৃতিও দিয়েছিলেন তিনি। সংখ্যালঘু হিন্দু ও খ্রিস্টানদের ওপর মুসলমানদের হামলা প্রতিরোধে ব্যর্থ হওয়ায় বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের সমালোচনাও করেছিলেন ট্রাম্প।

    নানা বিষয়ে মতের মিল হওয়ায় ট্রাম্প যে ভারতের পাশেই থাকবেন, সে ব্যাপারে আশাবাদী (India US Trade Security Ties) ভারত। উদ্বেগ বলতে ওইটুকুই, সেটা হল বাণিজ্য চুক্তি। তবে, ট্রাম্পের (Donald Trump) দ্বিতীয় দফায় দ্রুত সেই উদ্বেগের নিরসন হয়ে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যিক সম্পর্ক মজবুত হবে, আশায় নয়াদিল্লি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jammu Kashmir: রাতভর অভিযান কাশ্মীরে সাফল্য সেনার, নিহত ২ জঙ্গি, উদ্ধার বিপুল অস্ত্র

    Jammu Kashmir: রাতভর অভিযান কাশ্মীরে সাফল্য সেনার, নিহত ২ জঙ্গি, উদ্ধার বিপুল অস্ত্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উপত্যকায় বড় সাফল্য নিরাপত্তাবাহিনীর। জম্মু ও কাশ্মীরের (Jammu Kashmir) নানা জায়গায় একের পর এক জঙ্গি হামলার ঘটনায় মাঝেই শ্রীনগরে সেনার গুলিতে নিহত হল ২ জঙ্গি। শুক্রবার রাত থেকে বারামুল্লার সোপোর এলাকায় জঙ্গি দমনে অভিযান চালায় সেনা। জঙ্গিদের নিকেশ করার পাশাপাশি উদ্ধার হয়েছে বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র। কাশ্মীর পুলিশের তরফে এক্স হ্যান্ডেলে জানানো হয়েছে, ‘সোপোরে নিরাপত্তাবাহিনীর গুলিতে দুই জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে। মৃত জঙ্গিদের পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে। তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র ও বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়েছে।’ 

    জঙ্গি দমনে অভিযান

    পুলিশের তরফে জানা গিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার নিরাপত্তাবাহিনীর কাছে খবর আসে বারামুল্লার (Jammu Kashmir) সোপোর এলাকায় গা ঢাকা দিয়ে রয়েছে বেশ কয়েকজন সন্ত্রাসবাদী। গোপন খবরের ভিত্তিতে অভিযানে নামে সেনা ও পুলিশের যৌথবাহিনী। সোপোরের পানিপুরায় গোটা এলাকা ঘিরে ফেলে শুরু হয় তল্লাশি অভিযান। সেনার উপস্থিতি টের পেয়ে এবং পিছু হটবার জায়গা না থাকায় নিরাপত্তাবাহিনীকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে শুরু করে জঙ্গিরা। পালটা জবাব দেয় বাহিনীও। প্রায় ১৪ ঘণ্টা ধরে দুই তরফের গুলির লড়াইয়ের পর ২ জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

    জঙ্গি কার্যকলাপ

    জম্মু ও কাশ্মীরে (Jammu Kashmir) বিধানসভা নির্বাচন পরবর্তী সময়ে একের পর এক জঙ্গি কার্যকলাপের ঘটনা ঘটছে। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে কিস্তওয়ার জেলায় দুই ভিডিজি (ভিলেজ ডিফেন্স গার্ড) সদস্যকে অপহরণ করে খুন করল জঙ্গিরা। পুলিশ সূত্রের খবর, ওহলি-কুন্তওয়ারা গ্রামের ওই দুই বাসিন্দার নাম নাজির আহমেদ ও কুলদীপ কুমার। পাকিস্তানি জঙ্গিগোষ্ঠী জইশ-ই-মহম্মদের ‘ছায়া সংগঠন’ কাশ্মীর টাইগার্স খুনের দায় স্বীকার করেছে। নিহত দুই ভিডিজি সদস্যের ছবিও প্রকাশ করেছে তারা। কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জম্মু ও কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা জঙ্গি হানায় দুই ভিডিজি সদস্যের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে বলেছেন, ‘‘এই সন্ত্রাসের চক্র আমরা ধ্বংস করবই।’’ সেনার তরফে জানানো হয়েছে, জঙ্গিদের বিরুদ্ধে উপত্যকায় জিরো টলারেন্স নীতি নেওয়া হয়েছে। সন্ত্রাস রুখতে আগামী দিনেও এই ধরনের অভিযান জারি থাকবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ram Mandir: অযোধ্যা মামলার ঐতিহাসিক রায়ের পাঁচ বছর পূর্তি, জেনে নিন পুরো কাহিনি

    Ram Mandir: অযোধ্যা মামলার ঐতিহাসিক রায়ের পাঁচ বছর পূর্তি, জেনে নিন পুরো কাহিনি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ, শনিবার ৯ নভেম্বর। ২০১৯ সালের এই দিনেই ঐতিহাসিক অযোধ্যা (Ayodhya) মামলার রায় দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চ। অযোধ্যার মূল বিতর্কিত ২.৭৭ একর জমি রামলালাকে (Ram Mandir) দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। ২.৭৭ একরের বিতর্কিত জমি ঘিরে কেন্দ্রের অধিগৃহীত ৬৭ একর জমিও পেয়েছিল হিন্দু পক্ষ।

    মন্দির-মসজিদ বিতর্কের অবসান (Ram Mandir)

    আর মসজিদ নির্মাণের জন্য মুসলমান পক্ষকে অযোধ্যাতেই ৫ একর জমি দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছিল শীর্ষ আদালত। সেই রায়ের পরেই অযোধ্যায় গড়ে উঠেছে ভগবান শ্রীরামচন্দ্রের ‘ইমারত’। চলতি বছরের ২২ জানুয়ারি ‘স্বগৃহে’ প্রতিষ্ঠিত হন রামলালা। তার পর সেখানেই চলছে পূজার্চনা। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, রাম মন্দির কেবল একটি ধর্মীয় কাঠামো নয়, এটি লক্ষ লক্ষ ভারতীয়ের ঐক্য, অধ্যবসায় এবং যৌথ আকাঙ্ক্ষার প্রতীক। এই দেবালয়ের দিনের আলো দেখার নেপথ্যে রয়েছে বহু মানুষের আত্মত্যাগ। এটি এমন একটি কাহিনি যা পুরাণ, ইতিহাস, আইনি সংগ্রাম এবং একটি পুরো দেশের আত্মাকে একত্রিত করে।

    হিন্দুদের বিশ্বাস

    অযোধ্যা, ভারতের অন্যতম প্রাচীন নগরী। ভারতীয় সভ্যতায় এই নগরী একটি অনন্য স্থান অধিকার করে রয়েছে। কারণ হিন্দুদের বিশ্বাস, এটি ভগবান রামের জন্মস্থান। প্রাচীন গ্রন্থে অযোধ্যার ঐতিহাসিক ও আধ্যাত্মিক গুরুত্ব ভালোভাবে নথিভুক্ত রয়েছে। এই জায়গায় যে এক সময় মন্দির ছিল, তার প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনও মিলেছে। বাল্মীকি রামায়ণেও অযোধ্যার উল্লেখ পাওয়া যায়। সেখানে একে ইক্ষ্বাকু বংশ-শাসিত একটি সমৃদ্ধ ও দৈব শহর হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। ভগবান রাম, যিনি মর্যাদা পুরুষোত্তম হিসেবে পূজিত হিন্দুদের ঘরে ঘরে, সেই তিনিই এখানে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তিনি ধর্ম অর্থাৎ ন্যায় ও পুণ্যের প্রতীক। কালিদাসের মতো কবি এবং তুলসীদাসের রামচরিতমানসেও স্বর্ণাক্ষরে লেখা রয়েছে অযোধ্যার নাম।

    পুরাতাত্ত্বিক প্রমাণ

    রাম মন্দিরের খোঁজে এই এলাকায় খননকার্য চালায় ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ। যেখানে বাবরি মসজিদ ছিল বলে দাবি করা হচ্ছিল, সেখানে একটি বিশাল মন্দিরের কাঠামোর অস্তিত্বের (Ram Mandir) প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। এই খননকার্যের সময় উদ্ধার হওয়া স্তম্ভ, শিলালিপি ও স্থাপত্যের উপাদানগুলি বৈষ্ণব ঐতিহ্যের বৈশিষ্ট্যযুক্ত, যা এই জায়গাটাকে রামের জন্মস্থান হিসেবে পবিত্র বলে যে ঐতিহাসিক বিশ্বাস প্রচলিত রয়েছে, তাকে সমর্থন করে। রাম মন্দির মামলার আইনি যাত্রা এক শতাব্দীরও বেশি (Ayodhya) সময় ধরে চলেছে। এই মামলা একাধিক মামলা, রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ এবং গুরুত্বপূর্ণ জুডিশিয়াল সিদ্ধান্তের সঙ্গে জড়িত। এই জটিল আইনি লড়াইয়ের কাহিনি সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য পুনরুদ্ধারের বিস্তৃত সংগ্রামের প্রতিফলন ঘটায়।

    প্রথম আইনি উদ্যোগ

    মন্দির-মসজিদ বিতর্কের অবসান ঘটাতে প্রথম আইনি উদ্যোগ শুরু হয় ১৮৮৫ সালে, যখন মহন্ত রঘুবর দাস রাম চবুতরার ওপর একটি মন্দির নির্মাণের অনুমতি চেয়ে মামলা দায়ের করেন আদালতে। ব্রিটিশ আদালত অস্বীকৃত হওয়ায় দীর্ঘ আইনি সংগ্রামের সূচনা হয়। তার পর থেকে দীর্ঘদিন আইনি লড়াই চলছিল। ১৯৪৯ সালে বাবরি মসজিদের ভেতরে হঠাৎ করেই রামলালার মূর্তি (Ram Mandir) আবির্ভূত হলে সংঘাত তীব্র হয়ে ওঠে। সরকার ওই জায়গাটা সিল করে দেয়, যা হিন্দু ও মুসলিম উভয় পক্ষের দাবি ও পাল্টা দাবির সূত্রপাত ঘটায়। পরবর্তীকালে, এই বিবাদ পরিণত হয় একটি জাতীয় ইস্যুতে। রাম জন্মভূমি আন্দোলন গতি লাভ করে আটের দশকে। মাঠে নামে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের মতো সংগঠন। আন্দোলন সমর্থন করেন লালকৃষ্ণ আডবাণীর মতো রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বও। ১৯৯০ সালে আডবাণীর নেতৃত্বে রথযাত্রা হয়। শমিল হন লাখ লাখ মানুষ। জোরালো হয় রাম মন্দিরের দাবি। দেশ তো বটেই, এই আন্দোলন নজর কাড়ে তামাম বিশ্বেরও। 

    বাবরি মসজিদ ধ্বংস

    ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর ধ্বংস হয় বাবরি মসজিদের কাঠামো। করসেবকরাই ধ্বংস করে ফেলেন মসজিদের কাঠামো। গোটা দেশে তৈরি হয় সাম্প্রদায়িক অস্থিরতা। মামলা গড়ায় সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। ২০১৯ সালের ৯ নভেম্বর ঐতিহাসিক রায় দেয় দেশের শীর্ষ আদালত। তার সঙ্গে সঙ্গে হয় শতাব্দীভর ধরে চলা মন্দির-মসজিদ বিতর্কের অবসান। গড়ে ওঠে হিন্দুদের স্বপ্নের রাম মন্দির। রাম মন্দির (Ram Mandir) আজ শুধুমাত্র আর একটি পুজোস্থল নয়, বরং ভারতের সমষ্টিগত চেতনা ও সাংস্কৃতিক পুনর্জাগরণের অন্যতম প্রতীক। এটি লাখ লাখ মানুষের দৃঢ়তা, ঐক্য ও বিশ্বাসের প্রতীক, যারা নানা বাধা সত্ত্বেও তাঁদের বিশ্বাসে অবিচল ছিলেন। মন্দিরের নির্মাণ বহু প্রজন্ম ধরে লালিত একটি স্বপ্নের বাস্তবায়ন, যা ভারতের সভ্যতাগত মূল্যবোধের মর্মকে সযত্নে ধারণ করে।

    আরও পড়ুন: ‘‘তৃণমূলের রুচিবোধ নিম্নমানের, থ্রেট কালচারের জনক মমতা’’, তোপ শুভেন্দুর

    অযোধ্যার রাম মন্দির বিশ্বাসের শক্তি ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণের গুরুত্বের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। স্মরণ করিয়ে দেয় তাঁদের কথা যাঁরা এই ঐতিহাসিক দীর্ঘ যাত্রায় কোনও না কোনও ভাবে তাঁদের ভূমিকা পালন করেছেন। তাঁদের এই অবদান ভারতের ইতিহাসে একটি (Ayodhya) নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে। যে অধ্যায় চোখের সামনে ভেসে উঠবেই অযোধ্যায় (Ram Mandir) আসা দর্শনার্থীদের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share