Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Journalist Umesh Upadhyay: চারতলা থেকে পড়ে গিয়ে মৃত সাংবাদিক উমেশ উপাধ্যায়, শোকবার্তা মোদির

    Journalist Umesh Upadhyay: চারতলা থেকে পড়ে গিয়ে মৃত সাংবাদিক উমেশ উপাধ্যায়, শোকবার্তা মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্ঘটনায় প্রয়াত হলেন দেশের অন্যতম বিশিষ্ট সাংবাদিক উমেশ উপাধ্যায় (Journalist Umesh Upadhyay)। রবিবার অত্যন্ত দুঃখজনক এই ঘটনাটি ঘটে সাংবাদিকের নিজের বাড়িতেই। চারতলা থেকে দ্বিতীয় তলে পড়ে যান উমেশ উপাধ্যায়। তাঁর বাড়ির মেরামতের কাজ চলছিল দিল্লির বসন্তকুঞ্জ এলাকায়। সেই কাজ তদারকি করতে গিয়েই মাত্র ৬৪ বছর বয়সেই প্রয়াত হলেন তিনি। বিশিষ্ট সাংবাদিকের প্রয়াণে শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও (PM Modi)। প্রসঙ্গত, উমেশ উপাধ্যায়ের (Journalist Umesh Upadhyay) অন্যতম পরিচয় হল যে তিনি দিল্লির বিজেপির প্রাক্তন বিজেপি সভাপতি সতীশ উপাধ্যায়ের দাদা। চারতলা থেকে পড়ে যাওয়ায় তাঁর মাথায় গুরুতর আঘাত লাগে। গতকাল রবিবার সকালেই এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে। মাথার পাশাপাশি ব্যাপকভাবে আঘাত লাগে তাঁর মেরুদণ্ডেও।

    প্রধানমন্ত্রীর শোকবার্তা (Journalist Umesh Upadhyay)

    এই ঘটনায় গভীর শোকপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। নিজের এক্স হ্যান্ডেলের বার্তায় প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) লেখেন, ‘‘দেশের বিশিষ্ট সাংবাদিক এবং লেখক উমেশ উপাধ্যায়ের (Journalist Umesh Upadhyay) অসংখ্য অবদান রয়েছে ডিজিটাল মিডিয়া এবং টেলিভিশনে। তাঁর মৃত্যুতে এক অপূরণীয় ক্ষতি হল সাংবাদিকতার জগতে। আমি তাঁর পরিবারকে এই সময় সমবেদনা জানাই।’’

    তদন্ত করছে দিল্লি পুলিশ

    আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে যে, রবিবার সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ যখন উমেশ উপাধ্যায় (Journalist Umesh Upadhyay) নিজের বাড়ির কাজ তদারকি করছিলেন তখনই চারতলা থেকে তিনি দ্বিতীয় তলায় পড়ে যান। এরপর বেলা ১১টা নাগাদ তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন উমেশ উপাধ্যায়। ঠিক কীভাবে এমন ঘটনা ঘটল তা তদন্ত করছে দিল্লি পুলিশ।

    সংক্ষিপ্ত জীবনী

    জানা যায়, ১৯৫৮ সালে উত্তরপ্রদেশের মথুরায় জন্মগ্রহণ করেন উমেশ উপাধ্যায়। ২২ বছর বয়সেই তিনি সাংবাদিকতার জগতে প্রবেশ করেন। সেটা ছিল ১৯৮০ সাল। অল্প দিনের মধ্যেই সাংবাদিকতা জগতে নজর কাড়েন উমেশ উপাধ্যায়। সম্প্রতি ‘ওয়েস্টার্ন মিডিয়া ন্যারেটিভস অন ইন্ডিয়া: ফ্রম গান্ধী টু মোদি’- এই শীর্ষক একটি বইও লিখেছেন তিনি যা ব্যাপক জনপ্রিয় হয়। দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন তিনি। এ ছাড়া দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় থেকেও পড়াশোনা করেছিলেন বলে জানা যায়। জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি এমফিল করেন ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের ওপর। এছাড়াও দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের সদস্য হিসেবেও কাজ করেছেন তিনি। অনেকগুলি বড় মিডিয়া হাউসের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন উপাধ্যায়। নিউজ নেটওয়ার্ক-১৮ এর সভাপতি ছিলেন তিনি। এছাড়াও রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিস লিমিটেডের মিডিয়া বিভাগের প্রধান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। এছাড়া, জি নিউজ, সাব টিভি, জনমত টিভি, দূরদর্শন, প্রেস ট্রাস্ট অফ ইন্ডিয়াতেও কাজ করেছেন তিনি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Manipur: ফের উত্তপ্ত মণিপুর, হিংসায় নিহত এক মহিলা সহ ২, পশ্চিম ইম্ফলে জারি কার্ফু

    Manipur: ফের উত্তপ্ত মণিপুর, হিংসায় নিহত এক মহিলা সহ ২, পশ্চিম ইম্ফলে জারি কার্ফু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একমাস আগেই মণিপুরের (Manipur) দুই জনগোষ্ঠী কুকি ও মেইতেইদের মধ্যে সম্পন্ন হয়েছে শান্তি চুক্তি। কিন্তু তাতেও এড়ানো গেল না হিংসা। ফের উত্তপ্ত হল মণিপুর এবং এরই মধ্যে সশস্ত্র দুষ্কৃতীদের গুলিতে নিহত হলেন ২ জন। একজন নিহতের নাম নাংবাম সুরবালা দেবী, বয়স ৩১ বছর। অন্যদিকে, অপর মৃতের পরিচয় এখনও জানা যায়নি। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৯ জন। যাদের মধ্যে ওই নিহত মহিলার নাবালিকা কন্যাসন্তানও রয়েছে। দুষ্কৃতীদের সঙ্গে সংঘর্ষে দুই পুলিশ কর্মীও গুরুতর জখম হয়েছেন বলে খবর মিলেছে। সংঘর্ষের নেপথ্যে কুকি জঙ্গিগোষ্ঠীদের হাত রয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ অনুমান করছে। অশান্তির কারণে পশ্চিম ইম্ফলে জারি করা হয়েছে কার্ফু।

    ড্রোনে করে গ্রামে অস্ত্র ও বোমা ফেলা হচ্ছিল (Manipur) 

    মণিপুরের (Manipur) পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবারে পশ্চিম ইম্ফল জেলার কৌত্রাক এলাকায় সংঘর্ষ ও গুলির লড়াই শুরু হয়। জানা গিয়েছে, ওই এলাকায় হঠাৎই সশস্ত্র দুষ্কৃতীরা হামলা চালায়। ড্রোনে করেও গ্রামে অস্ত্র ও বোমা ফেলা হচ্ছিল বলে জানা গিয়েছে। মণিপুর সরকারের তরফ থেকে এই ঘটনার নিন্দা করা হয়েছে। এর পাশাপাশি, মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং অভিযুক্তদের কড়া শাস্তি দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের মে মাস থেকেই অশান্ত হতে শুরু করে মণিপুর (Manipur Violence)। সেখানকার দুই জনগোষ্ঠীর (কুকি ও মেইতেই) মধ্যে শুরু হয় সংঘর্ষ। দেড় বছর প্রায় হতে চলল তবুও থামেনি সংঘর্ষ। গতমাসেই কুকি ও মেইতেই ২ জনগোষ্ঠীর মধ্যে শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। প্রসঙ্গত, ইম্ফল উপত্যকায় সংখ্যাগরিষ্ঠ হল মেইতেই জনগোষ্ঠী। সম্প্রতি তারা দাবি জানিয়েছিল, তফশিলি উপজাতির তকমা তাদের দিতে হবে। এই দাবির বিরোধিতা করে অপর স্থানীয় জনগোষ্ঠী কুকিরা এই নিয়ে বিরোধ করলে, সংঘর্ষের সূত্রপাত সেখান থেকেই।

    অশান্ত মণিপুর (Manipur) 

    কুকি ও মেইতেইদের বিরোধের জল প্রথমে গড়ায় মণিপুর হাইকোর্টে। ২০২৩ সালের প্রথম দিকে হাইকোর্ট জানায় যে, মেইতেই জনগোষ্ঠীকে তফশিলি উপজাতির তকমা দেওয়া যায় কিনা তা খতিয়ে দেখুক রাজ্য সরকার। হাইকোর্টের এমন নির্দেশের পরেই ২০২৩ সালের এপ্রিলের শেষ সপ্তাহে মণিপুরের (Manipur) ‘অল ট্রাইবাল স্টুডেন্ট ইউনিয়ন’ একটি মিছিল আয়োজন করে। সেই মিছিল থেকে প্রথম হিংসা ছড়ায় চূড়াচাঁদপুর জেলায়। অশান্ত মণিপুরে (Manipur Violence) এখনও পর্যন্ত হিংসায় প্রাণ হারিয়েছেন কয়েকশো মানুষ। এরই মধ্যে ২০২৩ সালের জুলাই মাসে ভাইরাল হয়েছিল এক বিভীষিকার ভিডিও। সেখানে দেখা গিয়েছিল দুই মহিলাকে নগ্ন করে ঘোরানো হচ্ছে। পরে তাঁদের মাঠে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। সেই ঘটনা ঘটে ২০২৩ সালের ৪ মে তবে ভিডিও ভাইরাল হয় জুলাই মাসে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Draupadi Murmu: ‘বাইরে অপরাধীরা, ভয়ে নির্যাতিতারা’, ধর্ষণের মামলার বিলম্ব নিয়ে সরব রাষ্ট্রপতি

    Draupadi Murmu: ‘বাইরে অপরাধীরা, ভয়ে নির্যাতিতারা’, ধর্ষণের মামলার বিলম্ব নিয়ে সরব রাষ্ট্রপতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্যাতিতারা সমাজ থেকে পর্যাপ্ত সহযোগিতা পান না, এবার এমনই দাবি করলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু (Draupadi Murmu)। আরজি কর কাণ্ড নিয়ে আগেই মুখ খুলেছিলেন তিনি। রবিবার নয়াদিল্লিতে সুপ্রিম কোর্টের ৭৫ বর্ষপূর্তির অনুষ্ঠানে এবার বিচারবিভাগের কাছে তিনি প্রশ্ন করলেন, ধর্ষণের মতো সংবেদনশীল ঘটনায় কেন দেরিতে বিচার পাবেন নির্যাতিতারা? কেন মামলা ঝুলে থাকবে মাসের পর মাস? (President on Woman Safety)

    ‘ভয়ে কাটাচ্ছেন নির্যাতিতারা

    সুপ্রিম কোর্টের ৭৫ তম বর্ষপূর্তির অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি (Draupadi Murmu) বলেন, ‘‘এটা খুবই দুর্ভাগ্যের যে আমাদের সামাজিক জীবনে একজন অপরাধী অপরাধ করার পরও নির্ভয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। আর তাদের অপরাধের শিকার যাঁরা, তাঁরা ভয়ে রয়েছেন। যেন তাঁরাই কোনও অপরাধ করেছেন। অপরাধের শিকার হওয়া মহিলাদের অবস্থা তো আরও খারাপ। কারণ, সমাজের মানুষজনও তাঁকে সমর্থন করেন না।’’ তাঁর (President on Woman Safety) কথায়, ‘‘ধর্ষণের মতো মামলায় যখন বহু দেরিতে বিচার মেলে, তখন বিচার ব্যবস্থার উপর আস্থা হারিয়ে ফেলেন সাধারণ মানুষ। তখন তাঁদের মনে ধারণা হয়, বিচার প্রক্রিয়া এমনই অসংবেদনশীল।’’

    বিচারালয় মন্দির

    রাষ্ট্রপতির (Draupadi Murmu) মত, গ্রামের মানুষের কাছে বিচার বিভাগ ‘ঈশ্বরের সমান’। কারণ তাঁরা সেখানে ন্যায়বিচার খুঁজে পান। এর পরেই দ্রৌপদী বলেন, ‘‘একটা কথা আছে, ‘ভগবান কা ঘর দের হ্যায়, অন্ধের নেহি’। অর্থাৎ ভগবানের বিচারে বিলম্ব হতে পারে, কিন্তু অন্যায় হতে পারে না। এখন প্রশ্ন হল, কত বিলম্ব? বিচার পেতে কত দিন অপেক্ষা করবেন মানুষ? আমাদের এ বিষয়ে ভাবা উচিত। যত দিনে মানুষ শেষমেশ বিচার পান, তত দিনে তাঁর জীবন থেকে হাসি মুছে গিয়েছে। কেউ কেউ হয়তো বেঁচেও নেই। এ বার এই ধরনের ঘটনায় দ্রুত এবং সুষ্ঠু ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার কথা ভাবতে হবে বিচার ব্যবস্থাকে।’’

    মামলায় বারবার স্থগিতাদেশ নয়

    আরজি কর কাণ্ডে আগে রাষ্ট্রপতি (Draupadi Murmu) বলেছিলেন, “যথেষ্ট হয়েছে। ছাত্র, ডাক্তার এবং নাগরিকরা যখন কলকাতায় প্রতিবাদ জানাচ্ছেন, তখন অপরাধীরা অন্যত্র ঘাপটি মেরে আছে। কোন সভ্য সমাজে মেয়ে-বোনদের উপর এমন নৃশংস নির্যাতন চলতে পারে না।” বলেছিলেন, মহিলাদের (President on Woman Safety) বিরুদ্ধে এই ধরনের জঘন্য অপরাধ প্রতিরোধে সামাজিক পরিবর্তনের আশু প্রয়োজন। এদিন তিনি এই সূত্র ধরেই বলেন, ‘‘সবার আগে বদলাতে হবে এই ‘স্থগিতাদেশের সংস্কৃতি’কে। মামলায় বারবার স্থগিতাদেশ জারি করার এই রীতি এ বার বদলানোর সময় এসেছে।’’

    আরও পড়ুন: ১৫৬টি ককটেল ওষুধ নিষিদ্ধ করল কেন্দ্র, জানেন তালিকায় কী কী?

    বিচারবিভাগে মহিলারা

    এদিন শুধু সমালোচনাই নয়, সেই সঙ্গে বিচার ব্যবস্থায় মহিলাদের সংখ্যা বৃদ্ধি হতে দেখে খুশি রাষ্ট্রপতি। প্রসঙ্গত, রবিবারের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দেশের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। ছিলেন কেন্দ্রীয় আইন ও বিচার প্রতিমন্ত্রী অর্জুন রাম মেঘওয়ালও। এদিন সুপ্রিম কোর্টের পতাকা ও প্রতীকেরও উদ্বোধন করেন রাষ্ট্রপতি (President Draupadi Murmu)। একই সঙ্গে বিচারবিভাগীয় ব্যবস্থা যেসব সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে, সবাইকে একজোট হয়ে তার মোকাবিলা করার কথাও বলেন রাষ্ট্রপতি President on Woman Safety। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jagdeep Dhankhar: আরজি করকাণ্ডে সিব্বলকে নিশানা ধনখড়ের, কী বললেন জানেন?

    Jagdeep Dhankhar: আরজি করকাণ্ডে সিব্বলকে নিশানা ধনখড়ের, কী বললেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “কলকাতার একটি সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনা মানবতাকে লঙ্ঘিত করেছে। কিছু বিচ্ছিন্ন কণ্ঠ এই যন্ত্রণাকে আরও বাড়িয়ে তুলছে।” কথাগুলি বললেন উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়। ধনখড় এক সময় পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল ছিলেন। তাই শহর (RG Kar Incident) কলকাতা এবং এ রাজ্যের রাজনৈতিক আবহ তাঁর চেনা।

    সিব্বলকে আক্রমণ (Jagdeep Dhankhar)

    উপরাষ্ট্রপতির নিশানায় যিনি, তিনি প্রবীণ আইনজীবী তথা রাজ্যসভার সাংসদ কপিল সিব্বল। সিব্বল সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের হয়ে ধর্ষণ হত্যা মামলা লড়ছেন তিনি। এদিনের আগেও একবার ধনখড়ের চাঁদমারি ছিলেন সিব্বল। এক জনসভায় উপরাষ্ট্রপতি বলেছিলেন, “সুপ্রিম কোর্টের বারের একজন সদস্য ও সংসদেরও একজন সদস্য বলছেন যে কলকাতার ঘটনা একটি লক্ষণীয় ব্যাধি। এমন ঘটনা সাধারণত ঘটে থাকে বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি।”

    কী বললেন ধনখড়?

    রবিবার এইমস হৃষিকেশের একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন রাজ্যপাল ধনখড় বলেন, “কলকাতার ঘটনার মতো ঘটনাগুলি সমগ্র সভ্যতাকে লজ্জায় ফেলে দেয়।” এর পরেই উপরাষ্ট্রপতি বলেন, “যখন মানবতা লজ্জিত হয়েছে, তখন কিছু বিচ্ছিন্ন কণ্ঠস্বর ওঠে। এই কণ্ঠস্বর উদ্বেগের কারণ হয়। তারা কেবল আমাদের অসহনীয় যন্ত্রণাকে আরও বাড়িয়ে দেয়। সংক্ষেপে বলতে গেলে, তারা আমাদের আহত বিবেকের ওপর নুনের ছিটে দিচ্ছে।” তারা বলে, “এটি একটি লক্ষনীয় অসুস্থতা, আকছার ঘটে এমন ঘটনা। যখন এমন মন্তব্য কারও কাছ থেকে আসে, যিনি একজন সাংসদ, একজন প্রবীণ আইনজীবী, তখন দোষের মাত্রা অত্যন্ত গুরুতর।”

    আরও পড়ুন: আর নমাজ বিরতি পাবেন না অসমের মুসলমান বিধায়করা, কেন জানেন?

    উপরাষ্ট্রপতি বলেন, “এই ধরনের শয়তানি চিন্তার কোনও অজুহাত হতে পারে না। আমি এমন ভুল পথে হাঁটা আত্মাগুলিকে তাদের চিন্তাভাবনা পর্যালোচনা করার এবং প্রকাশ্যে ক্ষমা প্রার্থনা করার আহ্বান জানাই।” তিনি (Jagdeep Dhankhar) বলেন, “এটা এমন একটা মুহূর্ত নয়, যেখানে আপনাকে রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখতে হবে। এই রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ একটি বিপজ্জনক। এটি আপনার পক্ষপাতিত্বকে হত্যা করে।”

    কর্মস্থলে চিকিৎসকদের নিরাপত্তার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন উপরাষ্ট্রপতি। বলেন, “একজন চিকিৎসক নিজেকে ঈশ্বরের পর্যায়ে রূপান্তরিত করতে পারেন না। তিনি কেবল একটি সীমা পর্যন্ত সাহায্য করতে পারেন। তিনি ঈশ্বরের নিকটস্থ।” ধনখড় বলেন, “চিকিৎসক, নার্স, কম্পাউন্ডার ও স্বাস্থ্যযোদ্ধাদের নিরাপত্তা অটুটভাবে (RG Kar Incident) সুরক্ষিত রাখা উচিত (Jagdeep Dhankhar)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Jammu and Kashmir: মোদির ১০ বছরে কাশ্মীরের ভাগ্য বদলে গিয়েছে, জানালেন দলের রাজ্য সভাপতি

    Jammu and Kashmir: মোদির ১০ বছরে কাশ্মীরের ভাগ্য বদলে গিয়েছে, জানালেন দলের রাজ্য সভাপতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত দশ বছরে জম্মু-কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) ভাগ্য এবং রাজনৈতিক চালচিত্র পরিবর্তন করে দিয়েছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সবটাই উন্নয়নের ফলেই সম্ভব হয়েছে। রবিবার সাংবাদিক সম্মেলন করে এমনিই বার্তা দিলেন উপত্যকার বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি রবিন্দ রায়না। এদিন এই সম্মেলনে ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জি কিশেন রেড্ডি, জিতেন্দ্র সিং। সেপ্টেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহেই এই রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন, তাই এখন থেকেই বিজেপির প্রচারকে ঘিরে ব্যাপক উন্মাদনা শুরু হয়েছে।

    অনন্তনাগ-কুলগাম-শোপিয়ান-পুলওয়ামায় ব্যাপক সমর্থন (Jammu and Kashmir)

    জম্মু-কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি রায়না বলেন, “এই বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি নিজেদের পূর্ণশক্তি দিয়ে রাজনৈতিক ময়দানে লড়াই করবে। ভোটের আগেই বিজেপির প্রার্থীরা বিভিন্ন এলাকায় সাধারণ মানুষের ব্যাপক সমর্থন পেতে শুরু করে দিয়েছেন। দলের প্রার্থীরা অনন্তনাগ, কুলগাম, শোপিয়ান এবং পুলওয়ামায় বিশেষ সমর্থন পেতে চলেছেন। আমি এই জন্য আমাদের রাজ্যের মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। প্রধানমন্ত্রীর জনমুখী নীতি আমাদের মানুষের সঙ্গে সংযোগকে আরও দৃঢ় করেছে। গত দশ বছরের গঠনমূলক উন্নয়নে কাশ্মীরের প্রত্যেক শিশু বলতে শিখেছে, “হর হর মোদি, ঘর ঘর মোদি।” এই প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, “জম্মু-কাশ্মীরের বিগত সরকার বিশেষ করে কংগ্রেস এবং ন্যাশনাল কনফারেন্স, পিডিপি যুগে মানুষের জনজীবন বিপন্ন হয়ে পড়েছিল। পাথর ছোড়া এবং বন্দুকের গুলি ছিল নিত্যদিনের সঙ্গী। রাজ্যের উন্নয়নে তাঁরা কোনও কাজ করেননি। কিন্তু কেন্দ্রে মোদিজির নেতৃত্বে বিরাট উন্নয়নের পথে এগিয়ে চলেছে এই রাজ্য। ধারা ৩৭০ বাতিল করা হয়েছে। এক বিধান, এক নিশান এবং এক প্রধানের মূল মন্ত্র এখন কাশ্মীরে মানুষ গাইছেন।”

    আরও পড়ুনঃহিন্দু মহিলাকে ইসলামে ধর্মান্তকরণের চেষ্টা, স্বামীর অভিযোগে গ্রেফতার অভিযুক্ত

    গতবারের বিধানসভায় ফলাফল কেমন ছিল?

    জাতীয় নির্বাচন কমিশনের ঘোষণা অনুযায়ী জম্মু-কাশ্মীরে (Jammu and Kashmir) ভোটগ্রহণ হবে ১৮ সেপ্টেম্বর, ২৫ সেপ্টেম্বর এবং ১ অক্টোবর। গণনা হবে ৮ অক্টোবর। মোট আসনের ৭টি আসন তফশিলি জাতি, ৯টি আসন তফশিলি উপজাতিদের জন্য সংরক্ষণ করা হয়েছে। মোট ভোটার ৮৮.০৬ শতাংশ। গতবারের নির্বাচনে মোট আসনের পিডিপি পেয়েছিল ২৮টি, বিজেপি ২৫টি, ন্যাশনাল কনফারেন্স ১৫টি, এবং কংগ্রেস ১২টি। পিডিপি এবং বিজেপি মিলে মুফতি মহম্মদ সাঈদের নেতৃত্বে সরকার গঠন হয়। পড়ে মুফতি মারা গেলে মেয়ে মেহবুবা মুফতি মুখ্যমন্ত্রী হন। পরবর্তী সময়ে বিজেপি মেহবুবার থেকে সমর্থন তুলে নেয়। ২০১৯ সালের ৫ অগাস্ট ধারা ৩৭০ বাতিল হয়।  এরপর এবার হবে নির্বাচন। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Convert Islam: হিন্দু মহিলাকে ইসলামে ধর্মান্তকরণের চেষ্টা, স্বামীর অভিযোগে গ্রেফতার অভিযুক্ত

    Convert Islam: হিন্দু মহিলাকে ইসলামে ধর্মান্তকরণের চেষ্টা, স্বামীর অভিযোগে গ্রেফতার অভিযুক্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত ২৩ অগাস্ট উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদের (Ghaziabad) কবিনগর পুলিশ স্টেশনে একটি এফআইআর দায়ের করা হয়। যেখানে ৫৫ বছর বয়সি সুশীলকুমার শর্মা, ফয়সাল খানের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন যে ওই ব্যক্তি তাঁর স্ত্রীকে ব্রেনওয়াশ করে জোরপূর্বক ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত (Convert Islam) করার চেষ্টা করেছেন। প্রসঙ্গত সুশীল কুমারের স্ত্রীর সহকর্মী হলেন অভিযুক্ত ফয়সাল খান। নিজের অভিযোগপত্রে, সুশীল শর্মা আরও জানিয়েছেন যে ফয়সাল খান জোরপূর্বক এই ধর্মান্তকরণ করতে চেয়েছিল। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে যোগী রাজ্যের পুলিশ।

    পেশায় স্কুল শিক্ষিকা সুশীলের স্ত্রী (Convert Islam)

    ওই এফআইআর অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে সুশীল শর্মার স্ত্রী ৪৮ বছর বয়সি ওই মহিলা বর্তমানে একটি স্কুলের শিক্ষিকা এবং বিগত ১৩ বছর ধরে তিনি এই পেশার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। সেখানেই কম্পিউটার শেখাতেন অভিযুক্ত ফয়সাল। জানা গিয়েছে, ২০২৩ সালের ২০ নভেম্বর সুশীল শর্মার স্ত্রী হঠাৎই বাড়ি থেকে উধাও হয়ে যান এবং তাঁকে দেখা যায় উত্তরপ্রদেশের গোবিন্দপুরানে, এই জায়গা ফয়সালের (Convert Islam) বাড়ি ঢিল ছোড়া দূরত্বে। তখন থেকেই সন্দেহ দানা বাঁধতে শুরু করে।

    সুশীল শর্মার স্ত্রী অস্বাভাবিক আচরণ করতে থাকেন (Convert Islam)

    এরপর হঠাৎই একদিন বাড়িতে সুশীল শর্মার স্ত্রী অস্বাভাবিক আচরণ করতে থাকেন। বাড়ির সবার সঙ্গে কথা বলা বন্ধ করে দেন। শুধু তাই নয়, শাঁখা-সিঁদুর-টিপ এই সমস্ত কিছু আর তিনি পরছিলেন না। এতেই সন্দেহ জাগে। এরপরেই  পুলিশের দ্বারস্থ হন সুশীল শর্মা। সুশীল শর্মা অভিযোগ তুলেছেন যে ফয়সাল শেখ তাঁর স্ত্রীকে প্রলোভন (Ghaziabad) দেয় রাজকোটের একটি স্কুলে মোটা মাইনের চাকরিরও। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Vande Bharat sleeper coach: বন্দে ভারত স্লিপার কোচের পরীক্ষামূলক সূচনা করলেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব

    Vande Bharat sleeper coach: বন্দে ভারত স্লিপার কোচের পরীক্ষামূলক সূচনা করলেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবার কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব (Ashwini Vaishnaw) বন্দে ভারত স্লিপার কোচের (Vande Bharat sleeper coach) পরীক্ষামূলক সংস্করণের সূচনা করেছেন। আগামী তিন মাসের মধ্যে এটি যাত্রীদের জন্য সচল হবে বলে আশা ব্যক্ত করেছেন তিনি। বন্দে ভারত এক্সপ্রেস আগেই দেশ জুড়ে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। এবার স্লিপার কোচের পরীক্ষালব্ধ ট্রেনের সূচনা হয়েছে। একই ভাবে এদিন ভারত আর্থ মুভার্স লিমিটেড (BEML) প্রাঙ্গনে একটি নতুন বন্দে ভারত উৎপাদন কেন্দ্রের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন তিনি।

    আগামী দশ দিন হবে পরীক্ষালব্ধ ট্রায়াল(Ashwini Vaishnaw) 

    রেলমন্ত্রী বৈষ্ণব (Ashwini Vaishnaw) সাংবাদিকদের বলেন, “স্লিপার কোচ এবার পরীক্ষার জন্য ট্র্যাকে ব্যবহার করা হয়েছে। আগামী দশ দিনের জন্য কঠোরভাবে পরীক্ষা করা হবে। বন্দে ভারত চেয়ার কারের পরে, আমরা বন্দে ভারত স্লিপারের কাজ সম্পন্ন করেছি। নির্মাণ প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। এই ট্রেনটির বিইএমএল সুবিধা থেকে ট্রায়াল এবং পরীক্ষার জন্য যাত্রার সূচনা করা হবে। তবে একবার বন্দে ভারত স্লিপার (Vande Bharat sleeper coach) গাড়িগুলির পরীক্ষালব্ধ প্রমাণ সঠিকভাবে সাফল্য পেলে তারপর লাগাতার আরও ট্রেন তৈরির কাজ শুরু হবে। বন্দে ভারত স্লিপার গাড়িগুলিতে একাধিক নতুন বৈশিষ্ট্য চালু করা হয়েছে। একটি নতুন ট্রেনের ডিজাইন করা খুব জটিল কাজ। ক্রমাগত বন্দে ভারত ট্রেনের ডিজাইন উন্নত করার কাজ চলছে। আমরা অভিজ্ঞতা থেকে শিখছি এবং আরও প্রযুক্তির উন্নতি করছি। আগামী দিনে বন্দে ভারত মেট্রোর জন্যও একই পদ্ধতি গ্রহণ করা হবে।”

    আরও পড়ুনঃ “চিন মৌলিক সমস্যা, কেবল ভারতের নয়, অন্যদেরও”, বললেন জয়শঙ্কর

    ১৬ কোচ এবং ৮০০-১২০০ কিমি কভার করবে ট্রেন

    রেলমন্ত্রী বৈষ্ণব (Ashwini Vaishnaw) আরও বলেন, “রেলওয়ে চারটি কনফিগারেশনে কাজ করছে—বন্দে ভারত চেয়ার কার, বন্দে ভারত স্লিপার কার (Vande Bharat sleeper coach), বন্দে ভারত মেট্রো গাড়ি এবং অমৃত ভারত। মানুষের ভ্রমণের চাহিদা অনুযায়ী এগুলি ব্যবহার করা হবে। বন্দে ভারত স্লিপার ট্রেনটিতে ১৬টি কোচ থাকবে। এটি ৮০০ কিলোমিটার থেকে ১২০০ কিলোমিটার পর্যন্ত দূরত্বের গন্তব্যকে কভার করবে। ট্রেনের অভ্যন্তরে অক্সিজেনের মাত্রা, ভাইরাস সুরক্ষা, রোগ সংক্রমণ বিষয়ক একাধিক বিষয় রাখা থাকবে। এই ট্রেনের ভাড়া হবে মধ্যবিত্তদের সাধ্যের মধ্যে। প্রায় রাজধানী এক্সপ্রেসের সমান হবে টিকিটের মূল্য। বন্দে ভারতে নিম্নমানের খাবার পরিবেশন করার অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, “ভারতীয় রেলওয়ে দিনে ১৩ লক্ষ খাবার পরিবেশন করে এবং অভিযোগ ০.০১ শতাংশের কম। তবে এখনও আমরা আসা অভিযোগগুলি সম্পর্কে খুব উদ্বিগ্ন এবং আমরা ক্যাটারারদের পাশাপাশি সরবরাহকারীদের বিরুদ্ধে খুব কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • S Jaishankar: “চিন মৌলিক সমস্যা, কেবল ভারতের নয়, অন্যদেরও”, বললেন জয়শঙ্কর

    S Jaishankar: “চিন মৌলিক সমস্যা, কেবল ভারতের নয়, অন্যদেরও”, বললেন জয়শঙ্কর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “চিন (China) হল মৌলিক সমস্যা। এ সমস্যা কেবল ভারতের নয়, অন্যদেরও।” কথাগুলি বললেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। শনিবার ইটি ওয়ার্ল্ড লিডার্স ফোরামে বক্তব্য রাখতে দিয়ে তিনি বলেন, “কয়েক দশক আগে সবাই সচেতনভাবে চিনা উৎপাদনের প্রকৃতিকে উপেক্ষা করেছিল। তারাই এখন অভিযোগ করছে।”

    কী বললেন জয়শঙ্কর (S Jaishankar)?

    এই অনুষ্ঠানেই জয়শঙ্কর বলেন, “চিন একটি মৌলিক সমস্যা। কারণ এর একটি অনন্য শাসন ব্যবস্থা ও অর্থনীতি রয়েছে। এটা কেবল ভারতের সমস্যা নয়। আজ মানুষ চিনের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি নিয়ে অভিযোগ করছে। এর কারণ, কয়েক দশক আগে আমরা সকলেই সচেতনভাবে চিনা উৎপাদনের প্রকৃতি ও তারা যে সুবিধাগুলি ভোগ করত, সেগুলিকে উপেক্ষা করেছিলাম। তাদের সুবিধাগুলি বিবেচনা না করেই সমান প্রতিযোগিতার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল চিনকে।” বিদেশমন্ত্রী (S Jaishankar) বলেন, “চিনের বিষয়ে একটা সাধারণ সমস্যা রয়েছে। আমরা বিশ্বের একমাত্র দেশ নই, যাদের চিনকে নিয়ে সমস্যা রয়েছে।”

    প্রসঙ্গক্রমে এল ইউরোপ, আমেরিকা

    ইউরোপ আমেরিকার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, “ইউরোপে যান। তাদের জিজ্ঞেস করুন। আজকের দিনে তাদের প্রধান অর্থনৈতিক বা জাতীয় নিরাপত্তা বিতর্কগুলোর মধ্যে কী রয়েছে? তা হল চিন। আমেরিকার দিকে তাকান। তারাও চিন নিয়েই মগ্ন এবং অনেক দিক থেকেই তা যথার্থ।” অনুষ্ঠানে জয়শঙ্কর প্রশ্ন ছুড়ে দেন, “আপনার যখন একাধিক প্রতিবেশী থাকে, তখন কী হয়?” 

    আরও পড়ুন: আর নমাজ বিরতি পাবেন না অসমের মুসলমান বিধায়করা, কেন জানেন?

    তিনি বলেন, “আপনারা জানেন, প্রতিবেশীদের সঙ্গে সম্পর্কগুলি সংজ্ঞা (প্রতিবেশীর সঙ্গে সম্পর্ক) অনুসারে খুব জটিল। তারা সবাই গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক ব্যবস্থায় রয়েছে। তাই সরকার পরিবর্তিত হবে এবং তাদের দেশে রাজনৈতিক বিতর্কও থাকবে। আমরা প্রায়ই সেই বিতর্কগুলির কেন্দ্রে থাকব। এটা স্বাভাবিক। কারণ আমরা একটি বড় দেশ। আমাদের প্রত্যাশা করা উচিত, পরিকল্পনা করা উচিত এবং আমাদের নীতির মধ্যে এই প্রত্যাশা তৈরি করা উচিত যে আমাদের প্রতিবেশীদের সঙ্গে সম্পর্কে কিছু পরিবর্তন আসবে। এর মধ্যে কিছু পরিবর্তন হবে স্বাভাবিকভাবে, আর কিছু হবে বাধ্যতামূলক।”

    জয়শঙ্কর বলেন, “বাংলাদেশের সঙ্গে (China) পারস্পরিক স্বার্থের ভিত্তি খুঁজে বের করতে হবে ভারতকে। ভারত সেই দিনের সরকারের সঙ্গে সমন্বয় করবে (S Jaishankar)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Himanta Biswa Sarma: আর নমাজ বিরতি পাবেন না অসমের মুসলমান বিধায়করা, কেন জানেন?

    Himanta Biswa Sarma: আর নমাজ বিরতি পাবেন না অসমের মুসলমান বিধায়করা, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুরু হয়েছিল ইংরেজ জমানায়। আর তুষ্টিকরণের রাজনীতি করতে গিয়ে তাকে জারি রেখেছিল কংগ্রেস। ফি শুক্রবার অসম বিধানসভায় থাকত দু’ঘণ্টার নমাজ বিরতি (Namaz Break)। এবার তাতেই কাঁচি করলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা (Himanta Biswa Sarma)।

    নমাজ বিরতিতে কোপ (Himanta Biswa Sarma)

    বিধানসভায় ঘোষণা করে দিলেন, জুম্মাবারের নমাজ আদায়ের বিরতি আর মিলবে না। তাঁর সাফ কথা, ঔপনিবেশিক আমলের অভ্যাসে বদল আনতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে অসম সরকার। ঐতিহাসিক এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন করার জন্য অসম বিধানসভার স্পিকার বিশ্বজিৎ দাইমারি ও বিধায়কদের ধন্যবাদও জানান মুখ্যমন্ত্রী। মুসলমানদের কাছে শুক্রবার হল জুম্মাবার। এদিন বেলা ১২টা থেকে দুপুর ২টো পর্যন্ত নমাজ পাঠের বিরতি পেতেন অসমের মুসলমান বিধায়ক ও কর্মীরা। ইংরেজ আমল থেকে চলে আসা এই প্রথায়ই এবার ইতি টানলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী।

    আরও পড়ুন: হিন্দু-নির্যাতনের নয়া ভিডিও ভাইরাল, মৌলবীর কীর্তিতে অবাক দুনিয়া

    কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী?

    তিনি বলেন, “হিন্দু ও মুসলমান বিধায়করা মিলিতভাবে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে। আমাদের বিধানসভার হিন্দু ও মুসলমানরা বিধায়কের রুলিং কমিটিতে বসে এবং সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, দু’ঘণ্টা বিরতি ঠিক নয়। আমাদের এই সময়ও কাজ করা উচিত।” তিনি বলেন, “এই প্রথাটি ১৯৩৭ সালে শুরু হয়েছিল। গতকাল থেকে বন্ধ করা হয়েছে (Himanta Biswa Sarma)।”

    প্রসঙ্গত, ১৯৩৭ সালে অসম বিধানসভায় এই প্রথা চালু করেছিল মুসলিম লিগ। সেই সময় থেকেই রাজ্যের মুসলিম বিধায়করা প্রতি শুক্রবার দু’ঘণ্টার জন্য নমাজ আদায়ের বিরতি পেতেন। নয়া নিয়ম অনুযায়ী, এখন থেকে শুক্রবারও (Namaz Break) বিধানসভার কাজ হবে স্বাভাবিকভাবে। প্রতিদিনই বিধানসভায় কাজ শুরু হবে সকাল সাড়ে ৯টায় (Himanta Biswa Sarma)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

       

  • Jagannath Temple: জগন্নাথদেবের রত্নভান্ডারের দরজায় পড়বে সোনার প্রলেপ, শীঘ্রই আসছে রেডিও চ্যানেল

    Jagannath Temple: জগন্নাথদেবের রত্নভান্ডারের দরজায় পড়বে সোনার প্রলেপ, শীঘ্রই আসছে রেডিও চ্যানেল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুরীর জগন্নাথ (Jagannath Temple) মন্দিরের পক্ষ থেকে অতি শীঘ্রই চালু করা হবে নিজস্ব এফএম রেডিও চ্যানেল। একই ভাবে মন্দিরের রত্নভান্ডারের (Ratna Bhandar) দরজায় দেওয়া হবে সোনার প্রলেপ। মন্দিরের ম্যানেজিং কমিটির পক্ষ থেকে পুরীতে অনুষ্ঠিত একটি বৈঠকে এই নিজস্ব এফএম রেডিও চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। কমিটি জগন্নাথ মন্দিরের জন্য ২০২৪-২৫ সালে ৪১০ কোটি টাকার বাজেটের অনুমোদন করেছে। এই ঘোষণায় ভক্তদের মধ্যে আরও উৎসাহ বাড়বে বলে আশা প্রকাশ করা হয়েছে। যদিও বিজেপি সরকার গঠনের পর থেকেই একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে মন্দিরকে ঘিরে। এবার মন্দির প্রশাসনও বড় ঘোষণা করেছে।

    সুবিন্যস্ত দর্শনের জন্য এই পদক্ষেপ (Jagannath Temple)

    মন্দিরের নিজস্ব এফএম রেডিও চ্যানেল চালু করার কথা ঘোষণা করেছেন শ্রী জগন্নাথ মন্দির (Jagannath Temple) প্রশাসনের (এসজেটিএ) প্রধান প্রশাসক অরবিন্দ পাধী। ভক্তদের জন্য সুবিন্যস্ত দর্শন ও  অভিজ্ঞতাকে সুসংহত করতে এই ব্যবস্থা করা হয়েছে। একই ভাবে মন্দিরের সেবকদের জন্য কল্যাণমূলক উদ্যোগ বাড়ানো সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়কে সুনিশ্চিত করেছে কমিটি। মন্দিরের ম্যানেজিং কমিটি ২০২৪-২৫ আর্থিক বছরে, আগের বছরের বাজেটের থেকে ১১৮.১৭ কোটি টাকা বৃদ্ধির কথা জানিয়েছে। এই বাজেট মন্দিরের সঙ্গে যুক্ত একাধিক খাতে খরচ করা হবে। ওড়িশা সরকার ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ম্যানেজমেন্ট কমিটির এক সদস্য বলেন, এর ফলে কার্যত ৯১৩ কোটি টাকা মন্দিরের উন্নয়নে ব্যবহার করা যাবে।

    মন্দির প্রসাশকের বক্তব্য

    এসজেটিএ প্রধান প্রশাসক অরবিন্দ পাধী বলেন, “ম্যানেজিং কমিটি পুরীর শ্রীমন্দিরে (Jagannath Temple) ভক্তদের দর্শনকে অগ্রাধিকার দিয়ে থাকে। ভক্তরা যাতে নির্বিঘ্ন এবং ঝামেলামুক্ত হয়ে দর্শন করতে পারেন, সেই দিকে সর্বদা দৃষ্টি সজাগ রয়েছে আমাদের। কমিটি নাটমণ্ডপে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা স্থাপন সহ একাধিক আরও নতুন ব্যবস্থার অনুমোদন করেছে। এই উদ্যোগগুলি ভক্তদের জন্য পরিষেবাকে মাথায় রেখে করা হয়েছে। সমস্ত ভক্তদের জন্য একটি আরামদায়ক এবং নিরাপদ দর্শনকে নিশ্চিত করার জন্য নতুন ব্যবস্থাকে জোরদার করা হয়েছে। বিশেষ করে মহিলা এবং শিশু এবং দিব্যাঙ্গদের দিকে নজর দেওয়া হয়েছে। সারা বছরেই ভক্তদের ঢল দেখা যায়, কিন্তু রথের সময় এই ঢল ব্যাপক মাত্রায় বৃদ্ধি পায়। ভক্তদের স্বাস্থ্য এবং নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”

    আরও পড়ুনঃ ভোটের মুখে তালা পড়ল হাওড়া জুট মিলে! বিপাকে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার শ্রমিক

    সেবায়েতদের জন্য একাধিক ঘোষণা

    এই পরিষেবাগুলি মন্দিরের (Jagannath Temple) সমস্ত স্টেকহোল্ডারদের সাথে পুঙ্খানুপুঙ্খ পরামর্শের পরে বাস্তবায়িত করা হবে। সমস্ত দর্শনার্থীদের জন্য একটি মসৃণ এবং মন্দিরের সঙ্গে ভক্তিমূলক সংযোগকে আরও সুনিশ্চিত করতে এই কাজের উপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। একই ভাবে মন্দিরের ম্যানেজিং কমিটির পক্ষ থেকে সেবাতদের কল্যাণের বিষয়েও একাধিক পরিকল্পনার কথা ভাবা হয়েছে। স্বাস্থ্য বিমা, আর্থিক সহায়তা, তাঁদের শিশুদের জন্য বৃত্তি, খেলাধুলো-সহ বিভিন্ন সুবিধা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এই উদ্যোগগুলি বাস্তবায়নের জন্য শীঘ্রই একটি স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর (SOP) গঠন করা হবে বলে জানা গিয়েছে।

    রত্নভান্ডারে পড়বে সোনার প্রলেপ

    গৃহীত অন্যান্য বড় সিদ্ধান্তগুলির মধ্যে ম্যানেজিং কমিটি (Jagannath Temple) রত্নভান্ডারের Ratna Bhandar) দরজায় সোনার প্রলেপ দেওয়ার প্রস্তাবও অনুমোদন করেছে। রত্নভান্ডার হল সেই জায়গা যেখানে সমস্ত মূল্যবান জিনিসপত্র, অলঙ্কার রাখা রয়েছে। রাজ্যে বিজেপি শাসনে আসার পর এই ভান্ডার খুলে দেওয়া হয়েছে। এই নিয়ে দেশ ব্যাপী ব্যাপক আলোড়ন তৈরি হয়েছে। বর্তমানের আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া (এএসআই) দ্বারা প্রয়োজনীয় মেরামতের কাজ চলছে। এই কাজ সমাপ্ত হওয়ার পরেই সোনার প্রলেপ দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হবে। রত্নেভান্ডারের ভিতরের এবং বাইরের চেম্বারের গেটগুলিকে এখন ঘিরে রাখা হয়েছে। এই ঘোষণার পর থেকে প্রভু জগন্নাথের ভক্তদের মধ্যে উচ্ছ্বাস লক্ষ্য করা গিয়েছে।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share