Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • National Sports Day 2024: “খেলার উন্নতিতে সরকার সদা সচেষ্ট”, জাতীয় ক্রীড়া দিবসে ধ্যানচাঁদকে স্মরণ মোদির

    National Sports Day 2024: “খেলার উন্নতিতে সরকার সদা সচেষ্ট”, জাতীয় ক্রীড়া দিবসে ধ্যানচাঁদকে স্মরণ মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশে খেলার মান উন্নত করতে বদ্ধপরিকর সরকার। জাতীয় ক্রীড়া দিবসে একথা বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। হকি কিংবদন্তি মেজর ধ্যানচাঁদের জন্মদিনে প্রতি বছরের মতো এবারও পালিত হচ্ছে জাতীয় ক্রীড়া দিবস (National Sports Day 2024)। বৃহস্পতিবার এই বিশেষ দিন উপলক্ষে এক্স হ্যান্ডেলে দেশের প্রতিটি খেলোয়াড়কে শুভেচ্ছা জানান প্রধানমন্ত্রী। শ্রদ্ধা জানান মেজর ধ্যানচাঁদকে।

    মোদির বার্তা

    বিভিন্ন ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় ভারতীয়দের পারফরম্যান্সের একটি ভিডিও নিজের এক্স হ্যান্ডেলে শেয়ার করেন প্রধানমন্ত্রী। জাতীয় ক্রীড়া দিবস উপলক্ষে বিশেষ বার্তায় মোদি জানান, যে সকল ক্রীড়াবিদ বিশ্বমঞ্চে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করেছেন তাঁদের অবদানকে স্বীকৃতি দেওয়া উচিত। খেলার দুনিয়ায় বিশেষ ভূমিকা রয়েছে তাঁদের। পাশাপাশি দেশকে গর্বিত করেছে ক্রীড়াক্ষেত্রে তাঁদের পারফরম্যান্স। মোদি লেখেন, “জাতীয় ক্রীড়া দিবসে সকলকে শুভেচ্ছা জানাই। আজকের এই বিশেষ দিনে মেজর ধ্যানচাঁদজিকে আমার শ্রদ্ধার্ঘ্য। যাঁরা ভারতের হয়ে খেলেছেন, যাঁরা খেলা ভালোবাসেন তাঁদের সকলকে বাহবা জানানোর দিন আজ। ক্রীড়াক্ষেত্রের উন্নতিতে সরকার বদ্ধপরিকর। আগামী দিনে যুবপ্রজন্ম যেন খেলার দুনিয়ায় আরও এগিয়ে আসতে পারেন, নিজের পারফরম্যান্সের মাধ্যমে উজ্জ্বল হয়ে উঠতে পারেন- সেটাও নিশ্চিত করতে চায় সরকার।”

    শাহি-শুভেচ্ছা

    প্রসঙ্গত, ১৯০৫ সালে উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে জন্ম নিয়েছিলেন ধ্যানচাঁদ। ১৯২৬ থেকে ১৯৪৮ সাল পর্যন্ত হকির বিশ্ব পেয়েছিল তাঁকে। ১৮৫ ম্যাচে ৪০০-র বেশি গোল করেছেন তিনি। ১৯২৮, ১৯৩২ ও ১৯৩৬ পরপর তিনটি অলিম্পিক্সে ভারতকে সোনা জয়ের হ্যাটট্রিক করানোর পিছনে অন্যতম বড় ভূমিকা ছিল বিশ্বের সর্বকালের অন্যতম সেরা হকি খেলোয়াড়ের। এদিন ধ্যানচাঁদকে স্মরণ করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও। তিনি বলেন, “ধ্যানচাঁদ শুধু ভারতীয় হকিকে উন্নত করেননি, বরং দেশের মধ্যে ক্রীড়া সম্পর্কে একটি ইতিবাচক চেতনা জাগিয়ে তুলেছেন। এই বিশিষ্ট ক্রীড়াবিদ ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে পথপ্রদর্শন করে যাবেন।”

    দেশের প্রতিটি নাগরিককে দিনে অন্তত ১ ঘণ্টা খোলা মাঠে খেলার আহ্বান জানান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মনসুখ মান্ডবীয়। তাঁর মতে, এই উদ্যোগটি প্রধানমন্ত্রী মোদির সুস্থ জাতির স্বপ্নকে অনুপ্রাণিত করে চালু হওয়া ফিট ইন্ডিয়া মুভমেন্টের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। মান্ডবীয়র কথায়, জাতীয় ক্রীড়া দিবস কেবলমাত্র ক্রীড়া আইকনদের সম্মান জানানোর জন্য নয়, এটি একটি সুস্থ ও সুষম জীবনধারা বজায় রাখার জন্যও সমান গুরুত্বপূ্র্ণ। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Central Government: ১২টি নতুন শিল্প শহর গড়বে মোদি সরকার, মোট কর্মসংস্থান হবে ৪০ লাখ

    Central Government: ১২টি নতুন শিল্প শহর গড়বে মোদি সরকার, মোট কর্মসংস্থান হবে ৪০ লাখ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশে শিল্প বিপ্লব আনতে উদ্যোগী মোদি সরকার (Central Government)। জানা গিয়েছে, ন্যাশনাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল করিডর ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম বা এনআইসিডিপি-এর তত্ত্বাবধানে নতুনভাবে দেশে তৈরি হতে চলেছে ১২টি শিল্প শহর বা ইন্ডাস্ট্রিয়াল স্মার্ট সিটি। এর জন্য বিনিয়োগ করা হবে ২৮,৬০২ কোটি টাকা। ‘বিকশিত ভারত প্রকল্প’-এর আওতায় এই কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হবে বলে জানা যাচ্ছে। ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের (Central Government) পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে সরাসরি ১০ লাখ কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে। এর পাশাপাশি ৩০ লাখ চাকরির জায়গা তৈরি হবে পরোক্ষভাবে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল নিজের বিবৃতিতে জানিয়েছেন যে, ১২টি শিল্প শহর বা ইন্ডাস্ট্রিয়াল স্মার্টসিটি হবে দেশের শিল্প ক্ষেত্রের অন্যতম অলঙ্কার (Industrial Smart Cities)।

    এক্স হ্যান্ডেলে কী লিখলেন প্রধানমন্ত্রী? (Central Government)

    এনিয়ে এক্স হ্যান্ডেলে পোস্টও করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা (Central Government) এই ১২টি ইন্ডাস্ট্রিয়াল স্মার্ট সিটি তৈরির বিষয়ে অনুমোদন দিয়েছে বলে নিজের পোস্টে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এর পাশাপাশি, এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে প্রচুর কর্মসংস্থানের জায়গা তৈরি হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

    ইন্ডাস্ট্রিয়াল স্মার্ট সিটি প্রকল্পের আওতায় আসবে ১০টি রাজ্য এবং ৬টি শিল্প করিডর

    জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকারের (Central Government) ইন্ডাস্ট্রিয়াল স্মার্ট সিটি প্রকল্পের আওতায় আসবে ১০টি রাজ্য এবং ৬টি শিল্প করিডর। পীযূষ গোয়েল আরও জানিয়েছেন, ১১টি ইন্ডাস্ট্রিয়াল করিডর তৈরিরও ভাবনা চলছে। প্রকল্পগুলি বাস্তবায়িত হলে দেশের পূর্ব থেকে পশ্চিম, উত্তর থেকে দক্ষিণ যুক্ত হবে ঠিক স্বর্ণ চতুর্ভুজের ধাঁচে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কথায়, ইন্ডাস্ট্রিয়াল স্মার্ট সিটি, মাল্টি মডেল লজিস্টিক হাব, মাল্টি মডেল ট্রান্সপোর্ট হাব- এগুলির বিষয়ে সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারগুলির সঙ্গে আলোচনা চলছে কেন্দ্রের। জানা গিয়েছে, ইন্ডাস্ট্রিয়াল এলাকাগুলিকে বিশ্বমানের গ্রিনফিল্ড স্মার্ট সিটি হিসেবে (Industrial Smart Cities) গড়ে তোলা হবে। বোঝাই যাচ্ছে, এই ইন্ডাস্ট্রিয়াল স্মার্ট শহরগুলি উন্নত পরিকাঠামোতে সজ্জিত হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Waqf Board: বিহারে হিন্দু অধ্যুষিত গোটা গ্রামই নাকি ওয়াকফ সম্পত্তি! খালি করার নির্দেশ, পাল্টা মামলা

    Waqf Board: বিহারে হিন্দু অধ্যুষিত গোটা গ্রামই নাকি ওয়াকফ সম্পত্তি! খালি করার নির্দেশ, পাল্টা মামলা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিহারের একটা আস্ত গ্রামই নাকি ওয়াকফ বোর্ডের সম্পত্তি (Waqf Board)। গোবিন্দপুর নামের ওই গ্রামের ৯৫ শতাংশ বাসিন্দাই হলেন হিন্দু। জানা গিয়েছে, এই গ্রামের সাতজন বাসিন্দার কাছে ইতিমধ্যে চিঠি পাঠিয়েছে ওয়াকফ বোর্ড (Waqf Board)। ওই চিঠিতে দাবি করা হয়েছে যে ৩০ দিনের মধ্যে গোটা গ্রামকে খালি করতে হবে। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ওই গ্রামটি পাটনা থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। ওই গ্রামের সাতজন বাসিন্দা চিঠি পেয়েছেন। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে যে তাঁরা জোর জবরদস্তিভাবে ওয়াকফ বোর্ডের সম্পত্তি দখল করে আছেন এবং অবশ্যই তাঁদের এটা খালি করা দরকার। এর প্রত্যুত্তরে অবশ্য গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, যে জায়গায় (Bihar) তাঁরা বসবাস করছেন তা আদতে তাঁদের পূর্বপুরুষদের।

    ১৯১০ সাল থেকেই ওই সাত ব্যক্তি জমির মালিক বলে জানিয়েছে পাটনা হাইকোর্ট 

    কয়েক পুরুষ ধরে তাঁরা ওই জমিতে বসবাস করছেন বলেও জানিয়েছেন ওই গ্রামবাসীরা। জানা গিয়েছে, চিঠি পাঠানো হয়েছে ব্রিজেশ বল্লভ প্রসাদ, রাজকিশোরী মেহতা, রামলাল সাউ, মালতি দেবী, সঞ্জয় প্রসাদ, সুদীপ কুমার এবং সুরেন্দ্র বিশ্বকর্মার কাছে। চিঠি পাওয়ার পরেই ওই ৭ জন গ্রামবাসী পাটনা হাইকোর্টে একটি পিটিশন দাখিল করেছেন বলে খবর। হাইকোর্ট ইতিমধ্যে জানিয়েছে যে ওই ৭ জন পিটিশনারের পূর্বপুরুষরা ১৯১০ সাল থেকেই ওই জমির মালিক।

    চলতি মাসের শুরুতেই কেন্দ্র সরকার ওয়াকফ সংশোধনী বিল (Waqf Board) সংসদে এসেছে

    প্রসঙ্গত, চলতি মাসের শুরুতেই কেন্দ্র সরকার ওয়াকফ সংশোধনী বিল সংসদে (Waqf Board) এনেছে। নিজের ভাষণে সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী কিরণ রিজিজু জানিয়েছেন, ওয়াকফ সম্পত্তিকে ব্যক্তি মালিকানা হিসেবে ব্যবহার করার একাধিক প্রমাণ মিলেছে। কীভাবে ওয়াকফ সম্পত্তিতে দুর্নীতি হয়, তা নিজের দীর্ঘ ভাষণে তুলে ধরেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। প্রসঙ্গত নিজের বক্তব্যে সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী জানিয়েছিলেন যে,  তামিলনাড়ু ত্রিচিরাপল্লি জেলায় একটি গোটা গ্রামকে এবং গুজরাটের সুরাট পুরসভাকে ওয়াকফ সম্পত্তি হিসেবে দেখানো হয়েছিল। কীভাবে তা সম্ভব হতে পারে, সে প্রশ্নও তেলেন কিরেণ রিজিজু। তার মধ্যেই বিহারের (Bihar) এমন খবর সামনে এল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Gujarat Flood: গুজরাটে ভয়াবহ বন্যা, মৃত ২৯, উদ্ধারে বায়ুসেনা, সাহায্যের আশ্বাস প্রধানমন্ত্রীর

    Gujarat Flood: গুজরাটে ভয়াবহ বন্যা, মৃত ২৯, উদ্ধারে বায়ুসেনা, সাহায্যের আশ্বাস প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টানা ৩ দিনের ভারী বৃষ্টিতে গুজরাটে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। দুর্যোগের কারণে সেই রাজ্যে ২৯ জনের মৃত্যুর খবর সামনে এসেছে। চতুর্থ দিনে রাজ্যের বিভিন্ন অংশে ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। ফলে গুজরাটের (Gujarat Flood) বিভিন্ন অংশ বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে। দুর্গত এলাকা থেকে প্রায় ১৮ হাজার মানুষকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ভাদোদরায় বৃষ্টি কমে যাওয়ার পরও বিশ্বামৈত্রী নদীর পাড় ভেঙে যায়। এর ফলে শহরের বিস্তীর্ণ নিচু অংশ প্লাবিত হয়েছে।

    ‘লাল সতর্কতা’ (Gujarat Flood)

    আবহাওয়া বিভাগ এখনও কোনওরকম স্বস্তির খবর শোনায়নি। বরং, জানানো হয়েছে আগামী বেশ কয়েকদিনে গুজরাটের বিভিন্ন অঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা রয়েছে। বৃহস্পতিবারও ১১ জেলায় (Gujarat Flood) ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। সেখানে ‘লাল সতর্কতা’ জারি করা হয়েছে। এর ফলে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বাড়তে পারে হতাহতের সংখ্যাও। আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, সৌরাষ্ট্র এবং কচ্ছ এলাকার ওপর অবস্থান করছে একটি নিম্নচাপ। তা উত্তর-পশ্চিম আরবসাগরের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। আর এই নিম্নচাপের দরুন গুজরাটে ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এছাড়াও ‘হলুদ সতর্কতা’ জারি করা হয়েছে ২২টি জেলায়। গুজরাট সরকার জানিয়েছে মোরবি, ভাদোদরা, ভারুচ, জামনগর, আরাবল্লি, পঞ্চমহল, দ্বারকা এবং ডাং জেলায় কমপক্ষে ১ জন করে মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও আনন্দে ৬ জন, আমেদাবাদে ৪ জন, গান্ধীনগর, খেদা, মহিসাগর, দাহোদ এবং সুরেন্দ্রনগরে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। বিশ্বামৈত্রী থেকে শুরু করে আরও বেশ কয়েকটি নদীর জল বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে। বৃহস্পতিবারও ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে দ্বারকা, মোরবি, সুরেন্দ্রনগর, জুনাগড়, রাজকোটে। আবহাওয়া দফতরের সতর্কতা এমনটাই।

    আরও পড়ুন: আরজি কর-কাণ্ডে ফের পথে বিজেপি, আজ থেকে টানা ধর্না ধর্মতলায়

    মুখ্যমন্ত্রীকে ফোন প্রধানমন্ত্রীর

    গুজরাটের (Gujarat Flood) বেশ কিছু অঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির ক্রমশ অবনতি হচ্ছে। প্লাবিত হয়েছে রাজ্যের বিস্তীর্ণ এলাকা। জলের তলায় অসংখ্য গ্রাম। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেলকে ফোন করে পরিস্থিতির খোঁজ খবর নিয়েছেন। প্রয়োজন মোতাবেক কেন্দ্রের পক্ষ থেকে সমস্ত ধরনের সাহায্যের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রীকে।

    রাস্তায় কুমির!

    ভিটেমাটি হারিয়ে ত্রাণ শিবিরে (Gujarat Flood) আশ্রয় নিয়েছেন অনেকেই। আর এই পরিস্থিতিতে নদীর জল উপচে গেলে রাস্তায় বেরিয়ে পড়েছে কুমিরের দল। হ্যাঁ, ভাদোদারার রাস্তায় জলে ভেসে বেড়াতে দেখা গেল মানুষ সমান কুমিরকে। যা দেখে রীতিমতো আতঙ্কে স্থানীয়রা। বিশ্বামৈত্রী নদী ছাপিয়ে যাওয়ায় লোকালয়ে প্রবেশ করছে কুমিরের দল। এমনটাই অনুমান স্থানীয়দের। কুমিরের উপদ্রবের জেরে আতঙ্কে ঘরবন্দি ভাদোদারাবাসী।

    উদ্ধারে বায়ুসেনা

    বন্যার (Gujarat Flood) জলে প্লাবিত মাইলের পর মাইল এলাকা। এখনও বন্যা বিধ্বস্ত অঞ্চলে আটকে রয়েছেন বহু। এ বার তাঁদের উদ্ধার করতে ময়দানে নেমেছে ভারতীয় বায়ুসেনা (Indian Airforce)। হেলিকপ্টারে করে উদ্ধার করা হচ্ছে দুর্গতদের। জানা গিয়েছে, দ্বারকার কল্যাণপুর মহকুমার দেবভূমিতে আটকে পড়েছিলেন কয়েকজন। তাঁদেরকেই উদ্ধার করতে সেখানে পৌঁছে যায় বায়ুসেনা। অবশেষে তাঁদের উদ্ধার করা গিয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • ASI: মহাভারতের সঙ্গে রয়েছে যোগসূত্র? দিল্লির পুরনো কেল্লায় সমীক্ষা চালাবে এএসআই

    ASI: মহাভারতের সঙ্গে রয়েছে যোগসূত্র? দিল্লির পুরনো কেল্লায় সমীক্ষা চালাবে এএসআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহাভারতে পাণ্ডবদের রাজধানী বলে পরিচিত ছিল ইন্দ্রপ্রস্থ। সেখানেই নতুন কিছু আবিষ্কার করার জন্য এবার সমীক্ষা চালাবে আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া (ASI)। এএসআই সূত্রে জানা গিয়েছে, ইন্দ্রপ্রস্থের পুরনো কেল্লাতে এই সমীক্ষা চালানো হবে। প্রসঙ্গত ওই পুরনো কেল্লা নিয়ে সাধারণ মানুষেরও কৌতূহলেরও শেষ নেই। বলতে গেলে দিল্লির অন্যতম জনপ্রিয় স্থান হল পুরনো কেল্লা (Purana Qila)। অনেকেই মনে করেন, এই স্থানের সঙ্গেই যোগসূত্র রয়েছে মহাভারতের।

    অক্টোবর থেকেই শুরু হবে সমীক্ষা (ASI) 

    আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার (ASI) আধিকারিকরা জানিয়েছেন, সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে এই সমীক্ষা শুরু হবে চলতি বছরের অক্টোবর মাসেই। জানা যাচ্ছে, ইন্দ্রপ্রস্থে অবস্থিত কুন্তী মন্দিরের আশেপাশেই সমীক্ষা চালাবে এএসআই। জানা গিয়েছে, এই সমীক্ষা করতে অত্যাধুনিক প্রযুক্তিরও ব্যবহার করবে এএসআই এবং সে ক্ষেত্রে ত্রিমাত্রিক মানচিত্র তৈরি করতে লেজার স্ক্যানিং পদ্ধতি ব্যবহার করা হবে, এতেই নির্ভুলভাবে বিভিন্ন কাঠামো ও প্রত্নতাত্ত্বিক বস্তুগুলিকে সনাক্ত করা সহজ হবে। তৈরি করা যাবে মানচিত্র। ২০২২ সালে দিল্লির পুরনো কেল্লার খননকার্যে মৌর্য যুগের অনেক প্রত্নতাত্ত্বিক বস্তুর সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল তবে সে সময় ইন্দ্রপ্রস্থ বা মহাভারতের কোনও কিছু পাওয়া যায়নি।

    দেশের মোট ১৭টি স্থানে সমীক্ষা চালাবে এএসআই (ASI)

    প্রতিবেদনে শুরুতেই বলা হয়েছে দিল্লির একমাত্র স্থান হল পুরনো কেল্লা (Purana Qila) যা সরাসরি মহাভারতের বর্ণনার সঙ্গে যুক্ত। এখানে ইতিমধ্যেই প্রাক মৌর্য, মৌর্য, শুঙ্গ কুষাণ, গুপ্ত, রাজপুত, সুলতানি এবং মুঘল যুগের বর্ণনা পাওয়া গিয়েছে। জানা গিয়েছে, আর্কেওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া (ASI) ইতিমধ্যে ভারতের ১৭টি স্থানের সমীক্ষা চালানোর জন্য উদ্যোগ নিয়েছে এবং এই জায়গাগুলি — দিল্লি, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ, বিহার, অসম, কর্নাটক ও পশ্চিমবঙ্গে অবস্থিত। দিল্লির পুরনো কেল্লা ছাড়াও হরিয়ানার রাখিগড়িতেও চলবে খনন কাজ। প্রসঙ্গত, হরিয়ানার এই স্থান সিন্ধু সভ্যতার সঙ্গে সম্পর্কিত।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • UPSC: আধার ভিত্তিক ভেরিফিকেশন ইউপিএসসি পরীক্ষায়, বড় সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের

    UPSC: আধার ভিত্তিক ভেরিফিকেশন ইউপিএসসি পরীক্ষায়, বড় সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইউনিয়ন পাবলিক সার্ভিস কমিশন (UPSC)-কে আধার ভিত্তিক ভেরিফিকেশন বা তথ্য যাচাইয়ের অনুমতি দিল কেন্দ্র। এবার থেকে রেজিস্ট্রেশনের সময় যেমন আধারের তথ্য লাগবে, তেমনই পরীক্ষা ও নিয়োগের সময়ও আধার কার্ড খুঁটিয়ে পরীক্ষা করা হবে। পূজা খেড়কর (Puja Khedkar) নিয়ে চলা বিতর্কের মাঝেই ইউপিএসসি (UPSC) পরীক্ষায় পরীক্ষার্থীদের পরিচয় যাচাইয়ের নিয়মে বড় বদল আনল কেন্দ্র (Central Government)। 

    কেন্দ্রের নির্দেশিকা

    নয়া নিয়ম অনুযায়ী, ইউনিয়ন পাবলিক সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষায় আধার ভিত্তিক ভেরিফিকেশন করা হবে। ফলে, এবার থেকে রেজিস্ট্রেশনের সময় আধারের তথ্য দিতেই হবে পরীক্ষার্থীদের। এদিকে পরে পরীক্ষা ও নিয়োগের সময়ও আধার কার্ড খতিয়ে পরীক্ষা করা হবে। কেন্দ্রের নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, ইউপিএসসি-তে এবার আধার ভিত্তিক ভেরিফিকেশনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। রেজিস্ট্রেশনের সময় আবেদনকারীর পরিচয় যাচাই করতে আধার অথেনটিকেশন করা হবে। এছাড়া পরীক্ষা ও নিয়োগের বিভিন্ন ধাপেও ই-কেওয়াইসি (e-KYC) পদ্ধতিতে প্রার্থীর পরিচয় যাচাই করা হবে। ইউআইডিএআই(UIDAI)-এর নিয়ম ও নির্দেশ মেনেই ইউপিএসসি (UPSC) এই ভেরিফিকেশন করবে বলেই জানিয়েছে কেন্দ্র। সূত্রের খবর, আধার ভিত্তিক ফিঙ্গারপ্রিন্ট অথেন্টিকেশন, ফেসিয়াল রেকগনিশন, ই-অ্যাডমিটের কিউআর কোড স্ক্যান, লাইভ আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স ভিত্তিক সিসিটিভি সার্ভিসের ব্যবহার করা হবে এবার থেকে। 

    কেন এই নয়া নিয়ম

    সম্প্রতিই পূজা খেড়কর নামক একজন ট্রেনি আইএএস অফিসারের ভুয়ো নথি ও তথ্য দিয়ে ইউপিএসসি পাশ করা এবং প্রতারণা করে চাকরি পাওয়ার ঘটনা ফাঁস হয়ে যায়। পূজার প্রার্থীপদ বাতিল করে ইউপিএসসি। এই ধরনের ঘটনা যাতে আর ভবিষ্যতে না ঘটে তাই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তা স্পষ্ট। কবে থেকে এই প্রক্রিয়া শুরু হবে তা এখনও জানানো হয়নি ইউনিয়ন পাবলিক সার্ভিস কমিশনের তরফে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mamata Banerjee: ‘‘ভয় দেখাবেন না, ফল ভালো হবে না’’, মমতার মন্তব্যের প্রতিবাদ হিমন্ত, বীরেনের

    Mamata Banerjee: ‘‘ভয় দেখাবেন না, ফল ভালো হবে না’’, মমতার মন্তব্যের প্রতিবাদ হিমন্ত, বীরেনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলায় আগুন লাগাতে এলে অসম, উত্তর পূর্ব ভারত সহ দেশের অন্যান্য অংশও জ্বলবে৷ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) এই মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা (Himant Biswa Sarma)৷

    কী বলেছিলেন মমতা

    বুধবার মেয়ো রোডে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের সভা থেকে বিরোধীদের আক্রমণ করেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “বাংলায় যদি আগুন লাগান, কোনও রাজ্য থেমে থাকবে না।” মমতার এই মন্তব্যের বিরোধিতা করে সরব হয়েছেন একাধিক বিজেপি শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী।  

    মমতাকে তুলোধনা হিমন্ত-যোগীর

    মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করে অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা (Himant Biswa Sarma) বলেন, “দিদি, আপনার এত সাহস হল কীভাবে যে অসমকে হুমকি দিচ্ছেন? আমাদের রক্তচক্ষু দেখাবেন না। বিভাজনকারী ভাষা বলাটা আপনার শোভা পায় না।” মমতার মন্তব্যের বিরোধিতা করেছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। এক্স হ্যান্ডলে তিনি লেখেন, “তৃণমূল সরকারের নারী বিরোধী আচরণ গণতন্ত্রের লজ্জা।”

    কড়া প্রতিক্রিয়া ওড়িশা-মণিপুরের

    মমতার মন্তব্যের বিরোধিতা করে ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী মোহন চরণ মাঝি বলেন, “ওড়িশার সম্পর্কে আপত্তিজনক মন্তব্য করার অধিকার আপনাকে কে দিয়েছে? ওড়িশা শান্তিপূর্ণ রাজ্য। এখানকার মানুষ দায়িত্ববান।” মমতার মন্তব্যে কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন বিজেপি শাসিত মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং-ও৷ এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, “উত্তর পূর্ব ভারতকে হুমকি দেওয়ার সাহস হয় কী করে দিদির? এই ধরনের দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করছি৷ ওনার উচিত গোটা উত্তর পূর্ব ভারত এবং দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চাওয়া৷”

    প্রসঙ্গত, গত ৯ অগাস্ট আরজি কর হাসপাতালের সেমিনার হল থেকে এক জুনিয়র ডাক্তারের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। তাঁকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ ওঠে। ‘অভয়া’-র নৃশংস পরিণতির প্রতিবাদে ‘রাত দখল’ করেন মহিলারা। বিরোধীরাও রাস্তায় নামে। এই আবহে বিচারের দাবি জানিয়ে যাঁরা পথে নামছেন তাঁদের মধ্যেই রাজনীতি দেখতে পাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Union Health Ministry: ‘যথাযথ আলো, কন্ট্রোল রুম স্থাপন’, ডাক্তারদের সুরক্ষায় কেন্দ্রের ১০ দফা সুপারিশ

    Union Health Ministry: ‘যথাযথ আলো, কন্ট্রোল রুম স্থাপন’, ডাক্তারদের সুরক্ষায় কেন্দ্রের ১০ দফা সুপারিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করে মহিলা চিকিৎসক ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা স্বতঃপ্রণোদিত মামলা গ্রহণ করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। সেই সময় শীর্ষ আদালত জানিয়েছিল এই ঘটনা শুধুমাত্র একটি হত্যার ঘটনা নয়, এর সঙ্গে দেশজুড়ে কর্মক্ষেত্রে চিকিৎসকদের নিরাপত্তার বিষয়টিও জড়িত রয়েছে। হাসপাতাল এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে (Centarl Health Ministry) চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের শারীরিক ও মানসিক নিরাপত্তার জন্য কেন্দ্রকে সেই সময়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার নির্দেশ দিয়েছিল প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ। এই নির্দেশিকা জারি করার জন্য কেন্দ্র সরকারকে দুই সপ্তাহ সময় দেওয়া হয়েছিল। ঠিক এরই মধ্যে, চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য কর্মীদের (Doctors Safety) কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা বজায় রাখতে কী কী করণীয়, ২৮ অগাস্ট তার একটি তালিকা প্রকাশ করেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। প্রতিটি রাজ্য কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চলগুলির মুখ্য সচিব এবং পুলিশ ডিজিদের এই বিষয়ে একটি চিঠিও পাঠানো হয়েছে।

    ১০টি করণীয় বিষয়ের তালিকা দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক (Centarl Health Ministry) –

    ১. হাসপাতাল ভিতরে সবার চোখে পড়বে এমন জায়গায়, স্বাস্থ্য পরিষেবাদানকারীদের সুরক্ষা বিষয়ক আইন এবং শাস্তি বা দণ্ডের বিশদ বিবরণ, ইংরেজি এবং স্থানীয় ভাষায় লিখতে হবে।

    ২. সিনিয়র ডাক্তার (Doctors Safety) এবং প্রশাসনিক কর্তাদের নিয়ে একটি ‘হাসপাতাল নিরাপত্তা’ এবং ‘হিংসা প্রতিরোধ’ কমিটি গঠন তৈরি করতে হবে। এই কমিটি দুটিই নিরাপত্তা ব্যবস্থার কৌশল তৈরি করবে এবং বাস্তবায়ন করবে।

    ৩. হাসপাতালের (Centarl Health Ministry) মূল এলাকাগুলিতে সাধারণ মানুষ এবং রোগীদের আত্মীয়দের প্রবেশাধিকার নিয়ন্ত্রণ করতে হবে এবং রোগীর পরিচর্যাকারী এবং/অথবা আত্মীয়দের জন্য একটি কঠোর ‘ভিজিটর পাস’ নীতি প্রয়োগ করতে হবে।

    ৪. নাইট ডিউটির সময় ক্যাম্পাসের বিভিন্ন ভবন, সেইসঙ্গে হস্টেল এবং হাসপাতালের অন্যান্য এলাকায় আবাসিক ডাক্তার এবং নার্সদের নিরাপদ চলাচলের ব্যবস্থা করতে হবে।

    ৫. সমস্ত ভবনের ভিতরে এবং হাসপাতাল ক্যাম্পাস জুড়ে যথাযথ আলো দেওয়া নিশ্চিত করতে হবে।

    ৬. রাতের বেলা হাসপাতাল ক্যাম্পাসে নিয়মিত টহল দেওয়া নিশ্চিত করতে হবে।

    ৭. ২৪ ঘণ্টাই চালু থাকবে এমন একটি সিকিওরিটি কন্ট্রোল রুম স্থাপন করতে হবে।

    ৮. স্থানীয় থানার সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে হবে।

    ৯. যৌন হেনস্থা সংক্রান্ত একটি অভ্যন্তরীণ কমিটি গঠন করতে হবে।

    ১০. ক্যাম্পাস জুড়ে সিসিটিভি ক্যামেরা কার্যকর করতে হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • NIT Silchar: ভারত-বিরোধী পোস্টে ‘লাভ’ ইমোজি, শিলচরের পড়ুয়াকে ফেরত পাঠানো হল বাংলাদেশে

    NIT Silchar: ভারত-বিরোধী পোস্টে ‘লাভ’ ইমোজি, শিলচরের পড়ুয়াকে ফেরত পাঠানো হল বাংলাদেশে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি, (এনআইটি) শিলচর (NIT Silchar) থেকে ফেরত পাঠানো হল এক বাংলাদেশি পড়ুয়াকে (Bangladesh Student)। কারণ, সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভারত বিরোধী পোস্টে ‘লাভ’ ইমোজি দিয়েছিলেন চতুর্থ সেমেস্টারের ওই পড়ুয়া। পুলিশ-প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ছাত্রীর নাম মাইসা মাহাজেবিন। তিনি ইলেকট্রনিক অ্যান্ড টেলি-কমিউনিকেশনের চতুর্থ সেমেস্টারের পড়ুয়া। তাঁকে করিমগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হয়।

    কী বললেন পুলিশ সুপার? (NIT Silchar)

    শিলচরের পুলিশ সুপার নুমাল মাহাতা বলেন, “ওই পড়ুয়াকে প্রত্যাপর্ণ করা হয়নি। বরং, বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে তাঁকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। ওই পড়ুয়া ফেসবুকে একটি ভারত বিরোধী পোস্টে লাভ ইমোজি দিয়েছিলেন। ওই পোস্টটি করেছিলেন এনআইটি শিলচরের (NIT Silchar) প্রাক্তন ছাত্র সাদাহাত হোসেন আলফি। মাস ছয়েক আগে তিনি পড়াশুনা শেষ করে বাংলাদেশে ফিরে গিয়েছেন। ভারত বিরোধী ওই পোস্টটি বহু মানুষকে ক্ষুব্ধ করেছে।” তাঁর ভবিষ্যৎ পড়াশুনা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে পুলিশ সুপার করেন, ” ওই ছাত্রী এখনও তাঁর কোর্স শেষ করেননি। তিনি তাঁর পড়াশুনা শেষ করতে আবার ফিরে আসবেন কি না, এখনই কিছু বলা যাবে না।” জানা গিয়েছে, ওই ছাত্রী তাঁর কোর্স শেষ করার জন্য ফিরে আসার অনুরোধ জানিয়েছেন। তবে, তিনি শিলচরে আর ফিরবেন কি না, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে।

    আরও পড়ুন: বিজেপির ডাকা বন‍্ধে জেলায় জেলায় অবরোধ, সমর্থক-পুলিশ ধস্তাধস্তি

    বাংলাদেশি পড়ুয়াদের জন্য সতর্কতা

    এমনিতেই পুলিশ-প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাংলাদেশি পড়ুয়াদের ভারতী বিরোধী কোনও কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত না থাকার জন্য বার বার বলা হয়েছিল। তারপরও ওই পড়ুয়ার এই আচরণে অনেকে ক্ষুব্ধ। তাই এবার কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, বর্তমানে মোট ৭০ জন বাংলাদেশি পড়ুয়া রয়েছেন এনআইটি শিলচরে (NIT Silchar)। এনিয়ে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে চুক্তি রয়েছে। ওই ৭০ জনের মধ্যে ৪০ জন হিন্দু পড়ুয়া। পুলিশ সুপার বলেন, ব্যক্তিগতভাবে ওইসব পড়ুয়াদের সঙ্গে আমি দেখা করেছিলাম। তাঁদের পরামর্শ দিয়েছিলাম কোনওভাবেই যেন তাঁরা কোনও ভারত বিরোধী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত না হয়ে পড়েন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Draupadi Murmu: ‘‘আমি হতাশ এবং আতঙ্কিত, যথেষ্ট হয়েছে’’, আরজি কর কাণ্ডে ক্ষুব্ধ দ্রৌপদী মুর্মু

    Draupadi Murmu: ‘‘আমি হতাশ এবং আতঙ্কিত, যথেষ্ট হয়েছে’’, আরজি কর কাণ্ডে ক্ষুব্ধ দ্রৌপদী মুর্মু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘‘মহিলাদের উপর অপরাধ আর বরদাস্ত করা যাচ্ছে না। কোনও সভ্য সমাজ মা-বোনেদের ওপর নৃশংস নির্যাতন চলতে পারে না। অনেক হয়েছে, এবার জেগে উঠতে হবে।’’ আরজি করে পড়ুয়া চিকিৎসককে যৌন নির্যাতন ও খুনের ঘটনায় মুখ খুললেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু (Draupadi Murmu)। 

    অনেক হয়েছে, আর না…

    আরজি করের (RG Kar Incident) ঘটনার ২০ দিন পার হয়েছে। তবে বিচারের জন্য আমজনতার আন্দোলন এতটুকু কমেনি। গোটা দেশজুড়ে উঠেছে প্রতিবাদের ঝড়। এই আবহে এমন ঘটনায় নিজের হতাশা ব্যক্ত করলেন রাষ্ট্রপতি। বুধবার, সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আরজি করের ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু (Draupadi Murmu)। তাঁর মতে, মহিলাদের বিরুদ্ধে এই ধরনের জঘন্য অপরাধ প্রতিরোধে সামাজিক পরিবর্তনের আশু প্রয়োজন। রাষ্ট্রপতি বলেন, “আমি খুবই হতাশ এবং আতঙ্কিত। মহিলাদের বিরুদ্ধে এমন অপরাধ কোন ভাবেই বরদাস্ত করা যায় না। যথেষ্ট হয়েছে। ছাত্র, ডাক্তার এবং নাগরিকরা যখন কলকাতায় প্রতিবাদ জানাচ্ছেন, তখন অপরাধীরা অন্যত্র ঘাপটি মেরে আছে। কোনও সভ্য সমাজে মেয়ে-বোনদের উপর এমন নৃশংস নির্যাতন চলতে পারে না। সমাজকে সৎভাবে, ন্যায্যভাবে এবং নিরপেক্ষভাবে আত্মদর্শন করতে হবে এবং নিজেদের কিছু কঠিন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করতে হবে। প্রায়শই মহিলাদের কম শক্তিশালী, কম সক্ষম, কম বুদ্ধিমান হিসাবে দেখা হয়। এই শোচনীয় মানসিকতা রয়েছে সমাজে।”

    আরও পড়ুন: আরজি কর কাণ্ডে বিচারের দাবিতে বৃহস্পতিবার ৭ দিনের ধর্না বিজেপির, ঘোষণা সুকান্তর

    নির্ভয়াকে স্মরণ

    তিলোত্তমা কাণ্ড (RG Kar Incident) নিয়ে প্রথম মুখ খোলার দিনে, নির্ভয়া মামলার কথাও স্মরণ করেছেন রাষ্ট্রপতি (Draupadi Murmu)। তিনি বলেন, “নির্ভয়া ঘটনার পর থেকে ১২ বছরে, অগণিত ধর্ষণ হয়েছে, যা সমাজ ভুলে গিয়েছে। এই সম্মিলিতভাবে ভুলে যাওয়া অত্যন্ত আপত্তিকর। যে সমাজ ইতিহাসের মুখোমুখি হতে ভয় পায়, তারাই এই সম্মিলিত স্মৃতিভ্রংশের পথ অবলম্বন করে। এখন ভারতেরও ইতিহাসের মুখোমুখি হওয়ার সময় এসেছে।” মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিষয়ে ক্ষুব্ধ রাষ্ট্রপতি বলেছেন, সমাজের সৎ এবং নিরপেক্ষ আত্মদর্শন প্রয়োজন। তাঁর আহ্বান, সময় এসেছে নারীর বিরুদ্ধে অপরাধের “বিকৃত প্রবৃত্তি” থেকে জেগে ওঠার এবং সেই মানসিকতার বিরুদ্ধে লড়াই করার। যারা এই ধরনের দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করেন তারা নারীকে ‘বস্তু’ হিসেবে দেখেন। ভয় থেকে মুক্তি পাওয়ার পথে যে সকল বাধা রয়েছে তা দূর করে নারীদের এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share