Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Kolkata-Bangkok highway: কলকাতার সঙ্গে সড়কপথে জুড়বে ব্যাংকক! ২৮০০ কিমি হাইওয়ে প্রকল্প কেন্দ্রের

    Kolkata-Bangkok highway: কলকাতার সঙ্গে সড়কপথে জুড়বে ব্যাংকক! ২৮০০ কিমি হাইওয়ে প্রকল্প কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত, মায়ানমার এবং তাইল্যান্ডকে সংযুক্ত করতে কলকাতা-ব্যাংকক (Kolkata-Bangkok highway) হাইওয়ে বা মহাসড়কের পরিকল্পনা করা হয়েছে। এই মহাসড়ক সম্পূর্ণ ভাবে ভারতের সঙ্গে বাকি দুই দেশের সড়ক পথের মেলবন্ধনকে শক্তিশালী করবে। এই পরিকল্পনায় পশ্চিমবঙ্গের ভূমিকা উল্লেখযোগ্য ভাবে প্রাধান্য পাবে। প্রস্তাবিত এই মহাসড়কের নাম হবে ত্রিপাক্ষিক মহাসড়ক বা  ট্রাইল্যাটারাল হাইওয়ে। তিন দেশের অভ্যন্তরীণ পরিকাঠামোগত উন্নয়নের ফলে ভারত, মায়ানমার এবং তাইল্যান্ডের মধ্যে একযোগে সংযোগ বৃদ্ধি পাবে। খুলে যাবে অপার সম্ভাবনা।

    মোট ২৮০০ কিমি মহাসড়ক হবে (Kolkata-Bangkok highway)

    এই প্রস্তাবিত মহাসড়ক (Kolkata-Bangkok highway) ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের কলকাতা শহর থেকে ব্যাংকক পর্যন্ত নির্মাণ করা হবে। তাইল্যান্ড পর্যন্ত সড়ক হলেও মাঝখানে মায়ানমারের উপর দিয়ে সড়ক নির্মাণ হবে। ফলে তিন দেশের মধ্যে বাণিজ্য সংযোগ ও আঞ্চলিক পরিসরের নৈকট্য বৃদ্ধি পাবে। এই সড়কের দৈর্ঘ্য আনুমানিক ২৮০০ কিলোমিটার হবে। তবে বাকি দুই দেশের তুলনায় ভারতে সবথেকে দীর্ঘ পথ হবে। এই মহাসড়ক ভারতের লুক ইস্ট নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ, এই প্রকল্পটি বে অফ বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টি-সেক্টরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকনমিক কো-অপারেশনের (বিমস্টেক) ​​অংশ। এটি নির্মিত হলে ভারতের দীর্ঘতম হাইওয়ে প্রকল্পগুলির মধ্যে একটি হবে বলে আশা করা হচ্ছে৷

    বাজপেয়ী সরকার প্রস্তাবনা করেছিল

    ভারত, মায়ানমার এবং তাইল্যান্ডের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে উন্নীত করার জন্য ২০০২ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ী সরকার এই ত্রিপাক্ষিক হাইওয়ের (Kolkata-Bangkok highway) প্রস্তাব পেশ করেছিল। প্রকল্পটির লক্ষ্য তিনটি দেশের মধ্যে নিরবিচ্ছিন্ন সংযোগ স্থাপন করা, অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি এবং আঞ্চলিক সহযোগিতাকে উন্নীত করা। বর্তমানে, নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন সরকারের উদ্যোগে একাধিক বাধাকে অতিক্রম করে মহাসড়কটি ২০২৭ সালের মধ্যে সম্পূর্ণ হবে বলে আশা প্রকাশ করা হয়েছে।

    কোন কোন শহর যুক্ত হবে

    কলকাতা-ব্যাংকক (Kolkata-Bangkok highway) হাইওয়ের মূল সুবিধাগুলি হল, দেশ এবং বিদেশের গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলিকে সংযুক্ত করা যাবে। মহাসড়ক নির্মাণের প্রধান উদ্দেশ্য দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় নতুন জীবনরেখা বা লাইফ লাইন তৈরি করা। এই সড়ক তিনটি দেশের অন্যান্য প্রধানগুলির মধ্যে যেমন-ব্যাংকক, ইয়াঙ্গন, মান্ডালে এবং কলকাতাকে সংযুক্ত করবে। একই ভাবে ভারতের শিলিগুড়ি, গুয়াহাটি এবং কোহিমার মতো শহরগুলিকেও সংযুক্ত করা হবে। এতে আঞ্চলিক সংযোগ আরও উন্নত হবে। হাইওয়েটি শুধুমাত্র এই তিন দেশই নয়, পূর্ব-পশ্চিম করিডর যথা — কম্বোডিয়া থেকে শুরু করে লাওস এবং ভিয়েতনামের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে এই হাইওয়ে।

    উন্নত বিকল্প ভ্রমণপথ

    এই মহাসড়ক (Kolkata-Bangkok highway) একবার চালু হলে কলকাতা এবং ব্যাংককের মধ্যে যাত্রার একটি বিকল্প পথ পাবেন যাত্রীরা। জানা গিয়েছে, এই মহাসড়কে গাড়ি চালানোর জন্য বিশেষ অনুমতিও দেওয়া হবে। বিমান যাত্রার বিকল্প পথের সম্ভাবনাকে প্রসারিত করবে এই হাইওয়ে। একই ভাবে ভ্রমণ বা যাত্রায় খরচ কম হবে।

    আরও পড়ুন:১২টি আসনের উপনির্বাচনে ১১টিতেই জয়, রাজ্যসভাতেও সংখ্যাগরিষ্ঠ এনডিএ

    বাণিজ্য বৃদ্ধি

    মহাসড়কটি (Kolkata-Bangkok highway) ভারত এবং দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশগুলির মধ্যে রফতানি ও আমদানি বৃদ্ধিকে উৎসাহিত করবে। এই পথে বাণিজ্যের পরিমাণ উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাবে, যার ফলস্বরূপ অর্থনৈতিক দিকটিও উন্নীত হবে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বাণিজ্যিক পরিকাঠামো, পর্যটন শিল্প, শিল্পাঞ্চল, কলকারখানা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উপর বিরাট প্রভাব পড়বে। তবে মহাসড়কটিকে কয়েকটি বিভাগে বিভক্ত করে বাস্তবায়নের রূপরেখা নির্ধারণ করা হয়েছে। বিভিন্ন নির্মাণ এবং নানা বাণিজ্যিক সংস্থাগুলি মহাসড়কের আশেপাশের এলাকায় শীঘ্রই বিনিয়োগ করবে আশা প্রকাশ করা হয়েছে।

    আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির জেরেই আটকে ছিল কাজ

    ২০২৩ সালের ১৬ জুলাই ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বৈঠকে বসেছিলেন মায়ানমারের বিদেশমন্ত্রী থান সোয়ের সঙ্গে। মায়ানমারের কর্তাদের সঙ্গে দেখা করে প্রস্তাবিত প্রকল্পগুলি নিয়ে আলোচনা করেছিলেন তিনি। এই বৈঠকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছিল ভারত-মায়ানমার-তাইল্যান্ড ত্রিপাক্ষিক মহাসড়কের ওপর। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরের মধ্যেই এই প্রকল্প শেষ করতে চেয়েছিল ভারত। কিন্তু মায়ানমারের রাজনৈতিক অশান্ত পরিস্থিতির কারণে তা শেষ করা সম্ভব হয়নি। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির জেরেই এই রাস্তার কাজ থমকে গিয়েছিল। এবার মনে করা হচ্ছে দ্রুত কাজ সম্পূর্ণ হবে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Rajya Sabha: ১২টি আসনের উপনির্বাচনে ১১টিতেই জয়, রাজ্যসভাতেও সংখ্যাগরিষ্ঠ এনডিএ

    Rajya Sabha: ১২টি আসনের উপনির্বাচনে ১১টিতেই জয়, রাজ্যসভাতেও সংখ্যাগরিষ্ঠ এনডিএ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যসভাতেও (Rajya Sabha) পাল্লা ভারী হল এনডিএ (NDA) জোটের। মঙ্গলবার সংসদের উচ্চকক্ষের উপ-নির্বাচনে বিজেপির ৯ জন নির্বাচিত হন৷ এছাড়া শরিক দলেরও দু’জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন৷ একমাত্র তেলঙ্গানার আসনটিতে বিনা লড়াইয়ে জিতলেন কংগ্রেস প্রার্থী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি। স্বাভাবিক ভাবে, এবার উচ্চকক্ষে সহজে বিল পাশ করতে পারবে কেন্দ্রীয় সরকার ৷

    বিল পাশে সুবিধা

    রাজ্যসভায় (Rajya Sabha) এনডিএ শিবিরের সংখ্যাগরিষ্ঠতার ফলে বিজেপি সহজেই ওয়াকফ সংশোধনী বিল পাশ করাতে পারবে৷ বিলটি যুগ্ম সংসদীয় কমিটি (জেপিসি) খতিয়ে দেখছে৷ রাজ্যসভার ১২টি আসনের উপনির্বাচনে এদিন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ফলাফল নির্ধারিত হয়ে যায় এর মধ্যে ১১টিতেই জয় পায় বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোট এনডিএ (NDA)। এ বারের ১২ আসনের উপনির্বাচনের ফলে ২৪৫ আসনের রাজ্যসভায় ৯৬-এ পৌঁছে গেল বিজেপি। এনডিএ পৌঁছল ১১২-তে। নির্দল এবং মনোনীত সদস্যদের ধরলে সংখ্যাটি পৌঁছচ্ছে ১২১-এ। আটটি আসন বর্তমানে শূন্য। ফলে সংখ্যাগরিষ্ঠতা ছুঁয়ে ফেলল মোদি সরকার। এর ফলে শীতকালীন অধিবেশনে বিভিন্ন বিল পাশ করাতে সুবিধা পাবে সরকার পক্ষ। 

    কতটা তাৎপর্যপূর্ণ এই সংখ্যা?

    জুলাই অবধিও, বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ-র পক্ষে রাজ্যসভায় (Rajya Sabha) কিছু পাশ করানো কঠিন ছিল। কারণ, সেই সময়, সংসদের উচ্চকক্ষে মোদি সরকারের সংখ্যাগরিষ্ঠতা ছিল না। বিজেপির সংখ্যা কমে ৮৬ হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু, এখন এই উপনির্বাচনের পর, সংখ্যা এক লাফে বেড়ে ৯৫ হয়েছে। আর এনডিএ পৌঁছে গেল ১২১-এ। এবার, আরও ৪ মনোনীত সদস্যকে যুক্ত করতে পারলে এই সংখ্যা আরও বেড়ে হয়ে যাবে ১২৫। এছাড়া, এমনিতেই আরও ৬ মনোনীত সদস্য এবং এক নির্দল প্রার্থীর সমর্থন পাবে এনডিএ সরকার। ফলত, ২৪৫-আসনের রাজ্যসভায় সরকারের শক্তি বেড়ে দাঁড়াবে ১৩২। ফলে, এখন গুরুত্বপূর্ণ বিল পাশ করানোর জন্য বিজেডি বা ওয়াইএসআর কংগ্রেসের সমর্থনের প্রয়োজন নেই মোদির। 

    জয়ী প্রার্থী কারা

    কোনও বিরোধিতা ছাড়াই যাঁরা রাজ্যসভায় (Rajya Sabha) নির্বাচিত হলেন- রাজস্থানের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবনীত সিং বিট্টু, মধ্যপ্রদেশের জর্জ কুরিয়েন, কংগ্রেসের অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি তেলঙ্গানা থেকে নির্বাচিত হয়েছেন৷ বিজেপির অসম থেকে মিশন রঞ্জন দাস, রামেশ্বর তেলি, বিহার থেকে মনন কুমার মিশ্র, হরিয়ানা থেকে কিরণ চৌধুরি, মহারাষ্ট্রের ধীরাশীল পাটিল, ওড়িশার মমতা মোহন্ত এবং ত্রিপুরার রাজীব ভট্টাচার্য৷ ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টির নিতিন পাটিল মহারাষ্ট্র থেকে রাজ্যসভায় নির্বাচিত হয়েছেন ৷ রাষ্ট্রীয় লোক মোর্চার নেতা উপেন্দ্র কুশওয়াহা বিহার থেকে রাজ্যসভায় গিয়েছেন৷ এই দু’টি দলই বিজেপির শরিক ৷

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jan Dhan Yojana: ১০ বছরে ৫৩ কোটি অ্যাকাউন্ট! জনধন যোজনার দশম বর্ষপূর্তিতে অভিনন্দন মোদির

    Jan Dhan Yojana: ১০ বছরে ৫৩ কোটি অ্যাকাউন্ট! জনধন যোজনার দশম বর্ষপূর্তিতে অভিনন্দন মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী জনধন যোজনার (Pradhan Mantri Jan Dhan Yojana) ১০ বছর পূর্ণ হল। এক দশকেই  জনধন যোজনায় উপভোক্তার সংখ্যা বর্তমানে ৫৩.১৩ কোটি। অর্থ মন্ত্রকের প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, জনধন অ্যাকাউন্টে মোট জমা হওয়া অর্থের পরিমাণ ২ লক্ষ ৩১ হাজার ২৩৬ কোটি টাকা। প্রায় ১৫ গুণ ডিপোজিট বেড়েছে জনধন (Jan Dhan Yojana) অ্যাকাউন্টে। এদিন এই প্রকল্পের সাফল্যের খতিয়ান তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। একইসঙ্গে উপভোক্তাদের অভিনন্দন জানান তিনি। 

    প্রধানমন্ত্রীর অভিনন্দন

    কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী, জনধন যোজনার (Jan Dhan Yojana) অন্তর্গত ৫৩ কোটি গ্রাহকের মধ্যে ৫৫.৬ শতাংশই মহিলা। ৫৩ কোটি গ্রাহকের মধ্যে ৬৬.৬ শতাংশ গ্রাম ও শহরাঞ্চলের বাসিন্দা। এদিন সকালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে লেখেন, “আজ জনধনের ১০ বছর পূর্তি হল। সকল উপভোক্তাদের অভিনন্দন। যাঁরা এই প্রকল্পকে সফল করতে পরিশ্রম করেছেন, তাঁদেরও অনেক অভিনন্দন। জনধন যোজনা দেশের কোটি কোটি মানুষকে, বিশেষ করে মহিলা, যুব ও পিছিয়ে পড়া শ্রেণিকে আর্থিক অন্তর্ভুক্তি ও সম্মান দিয়েছে।”

    জনধন যোজনা কী

    ভারতীয় নাগরিকদের জন্য ব্যাঙ্কিং পরিষেবায় ব্যাপক পরিবর্তন এনেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ২০১৫ সালে সকলের জন্য প্রধানমন্ত্রী জনধন যোজনার (Pradhan Mantri Jan Dhan Yojana) ঘোষণা করা হয়। সে বছর স্বাধীনতা দিবসে এই প্রকল্প চালুর পর থেকে ২৮ অগাস্ট থেকেই শুরু হয়ে যায় জনধন অ্যাকাউন্ট ওপেনিং। যার ফলে কয়েক কোটি মানুষ প্রথমবার ব্যাঙ্কিং পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত হয়ে যান। ব্যাঙ্কের গ্রামীণ ও শহরের ব্রাঞ্চের ক্ষেত্রে আলাদা আলাদা অ্যাকাউন্ট হতে থাকে। তবে এই প্রকল্পে যে কোনও ভারতীয় নাগরিক গ্রাম হোক বা শহরের জনধন অ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন। বড় ব্যাঙ্কেই যে যেতে হবে তার কোনও মানে নেই, ছোট ব্যাঙ্ক বা কোনও ব্যাঙ্কের কাস্টমার সার্ভিস পয়েন্ট থেকেও এই খাতা খোলা যায়।

    জনধন যোজনার সুবিধা

    জনধন যোজনায় (Jan Dhan Yojana) যদি অ্যাকাউন্ট খোলা হয় তাহলে কোনও মিনিমাম ব্যালান্সের ঝামেলা থাকে না অ্যাকাউন্ট সম্পূর্ণ খালি করলেও কোনও চার্জ কাটা হয় না। ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থাকলে এটিএম কার্ড বা ডেবিট কার্ড পাওয়া যায়। এরফলে ব্যাঙ্ক বন্ধ থাকলেও টাকা তোলা যায়। এছাড়া অনলাইনেও পেমেন্ট করা যায়। প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) জনধন যোজনার অ্যাকাউন্ট থাকলে ডেবিট কার্ডের জন্য কোনও চার্জ কাটা হয় না। আপনি যদি ব্যাঙ্ক থেকে লোন নিতে চান তাহলে অনেক ডকুমেন্ট রেডি করতে হয়। তাছাড়াও ঋণ পেতে গেলে ক্রেডিট স্কোর ভালো হতে হয়। তবে এক্ষত্রে ক্রেডিট স্কোরের কোনও ঝামেলা নেই, বরং অ্যাকাউন্ট থাকা টাকার ওপরে ভিত্তি করেই লোন পাওয়া যায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Chattishgarh: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর আর্জি মেনে ছত্তিশগড়ে আত্মসমর্পণ ২৫ মাওবাদীর

    Chattishgarh: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর আর্জি মেনে ছত্তিশগড়ে আত্মসমর্পণ ২৫ মাওবাদীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাওবাদী পুনর্বাসন নীতির সুফল মিলল। ছত্তিশগড়ের (Chattishgarh) বিজাপুর জেলায় ২৫ জন মাওবাদী আত্মসমর্পণ (Maoist Surrender) করেছে। এদের মধ্যে দুজন মহিলা। এই মাওবাদীদের জন্য মোট ২৯ লক্ষ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছিল। কিন্তু এরা নিজেরা আত্মসমর্পণ করায় মাওবাদী পুনর্বাসন নীতির অধীনে প্রত্যেককে ২৫ হাজার টাকা করে দিয়েছে ছত্তিশগড় সরকার।

    মাওবাদীদের আত্মসমর্পণ

    ছত্তিশগড় (Chattishgarh) প্রশাসন সূত্রে খবর, সোমবার বিজাপুর জেলা পুলিশ সুপার এবং সিআরপিএফের ডিআইজির কাছে ২৫ জন মাওবাদী আত্মসমর্পণ করেছে। এর মধ্যে তিনজনের জন্য ৮ লক্ষ টাকা করে, একজনের জন্য ৩ লক্ষ টাকা এবং অন্য দু’জন মাওবাদীর প্রতি ১ লক্ষ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছিল। পুলিশ সুপার বলেছেন যে আত্মসমর্পণ করা মাওবাদী পুনর্বাসন নীতির অধীনে প্রত্যেককে ২৫ হাজার টাকা প্রদান করা হয়েছে। এরা নিষিদ্ধ কমিউনিস্ট পার্টি অফ ইন্ডিয়ার (মাওবাদী) গাঙ্গলুর এবং ভৈরমগড় এলাকা কমিটিতে সক্রিয় ছিল, তাদের মধ্যে দু’জন মহিলা রয়েছে। এই দুই মহিলা, শাম্বতী মাদকাম (২৩) এবং জ্যোতি পুনেম (২৭) এবং মহেশ তেলাম সক্রিয় ছিলেন। চলতি বছরে এদের নিয়ে ১৭০ জন মাওবাদী হিংসার পথ ত্যাগ করল।

    আরও পড়ুন: ‘‘এটা পাকিস্তান-আফগানিস্তান নয়’’, বন‍্ধের সকালে পুলিশকে হুঁশিয়ারি অগ্নিমিত্রার

    কেন্দ্রের নীতি

    সম্প্রতি ছত্তিশগড়ের (Chattishgarh) মাও অধ্যুষিত (Maoism) এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে আগামী দুই বছরের মধ্যেই মাওবাদী মুক্ত দেশের কথা ঘোষণা করেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। তাঁর দাবি, ২০২৬ সালের মধ্যে দেশ থেকে নিশ্চিহ্ন হবে মাওবাদীরা (Maoism)। তিনি জানিয়েছিলেন, মাওবাদীদের সঙ্গে মোকাবিলা করার জন্য এর মধ্যেই নানা পরিকল্পনা ছকতে শুরু করেছে কেন্দ্র। রাজ্যগুলির সঙ্গে কথা চলছে। ২০২৬ সালের মধ্যে মাওবাদী কার্যকলাপ শেষ করার জন্য বিশেষ কৌশল নেওয়া হয়েছে।  অমিত শাহ জানান, মাওয়াবাদীদের জন্য নতুন সারেন্ডার পলিসি আনা হবে। তাই মাওবাদীরা যাতে আত্মসমর্পণ করেন, সেই আর্জি জানিয়েছিলেন তিনি। এরপরই ছত্তিশগড়ে আত্মসমর্পণ করল মাওবাদীরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Flood: ‘কথা বলেই ফরাক্কার জল ছাড়া হয়েছে’, বাংলাদেশে বন্যা নিয়ে বার্তা ভারতের

    Bangladesh Flood: ‘কথা বলেই ফরাক্কার জল ছাড়া হয়েছে’, বাংলাদেশে বন্যা নিয়ে বার্তা ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রবল বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত বাংলাদেশ। বানভাসি (Bangladesh Flood) ওপার বাংলা। এহেন আবহে বারবার সোশ্যাল মিডিয়ায় ভারতকে দায়ী করে নানা পোস্ট করা হচ্ছে। কখনও গোমতীর জল, কখনও আবার ফরাক্কার জলে বাংলাদেশ প্লাবিত বলে দাবি করা হচ্ছে। আর এনিয়েই ভারতকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে পড়শি দেশ। দু’দিন ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় ফরাক্কা ব্যারাজের গেট খোলায় বিপত্তি হয়েছে বলে অভিযোগ সে দেশের অন্তর্বর্তী সরকারের। এবার তারই জবাব দিল ভারত সরকার। ভারতের তরফে বারংবার একটা দাবি করা হয়েছে, এটা ভারতের একার সিদ্ধান্ত নয়, প্রতিবারের মতো বাংলাদেশের সঙ্গে কথা বলেই জল ছাড়া হয়েছে।

    সরকারি মুখপাত্র কী বললেন? (Bangladesh Flood)

    সরকারি মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, “আমরা দেখছি একাধিক সংবাদমাধ্যম এবং সোশাল মিডিয়ায় নানা ধরনের খবর ছড়িয়ে পড়ছে। বলা হচ্ছে ফরাক্কা থেকে ১১ লক্ষ কিউসেক জল গঙ্গা এবং পদ্মায় ছাড়ার জন্য না কি বাংলাদেশে বন্যা (Bangladesh Flood) হচ্ছে। কিন্তু এটা তো প্রতিবছর এই মরসুমে হয়। বর্ষায় বৃষ্টি হলে নদীর জলস্তর এমনই বাড়তে থাকে। আর এটাও মনে রাখতে হবে এটা ড্যাম নয়, ব্যারেজ। দুই নদীতে জলস্তর ঠিক রাখতেই ফরাক্কা বিশাল কাজ থাকে। আর প্রোটোকল মেনেই বাংলাদেশের জয়েন্ট রিভার কমিশনের আধিকারিকদের সঙ্গে ডেটা জানিয়ে উদ্বেগও জানানো হয়। প্রতি বছরই তা করা হয়, এবছরও তার ব্যতিক্রম হয়নি। আর বন্যায় বাংলাদেশ যখন ভাসছে, তখন বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম, সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরছে, ফরাক্কার ১০৯টি গেটের সবগুলিই খুলে দেওয়া হয়েছে। তাই নাকি বাংলাদেশে এমন প্লাবণ। কিন্তু ফরাক্কা ব্যারাজ। তাই নির্দিষ্ট পরিমাণের পর আর জল ধরে রাখতে পারে না। বর্ষায় ফি বছরই গেটগুলি খোলা থাকে।”


     বাংলাদেশের ৮টি জেলা ক্ষতিগ্রস্ত

    বাংলাদেশের (Bangladesh Flood) সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, বন্যায় দেশটির ৮ জেলার ৩৫৭টি ইউনিয়ন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতির মুখে পড়েছেন প্রায় ২৯ লক্ষ মানুষ। জলবন্দি হয়ে পড়েছে ৪ লক্ষ ৪০ হাজার ৮৪০টি পরিবার। মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, বন্যাদুর্গত আটটি জেলা হল ফেনি, কুমিল্লা, নোয়াখালি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ। এদিকে এর আগে বাংলাদেশের অভিযোগ ছিল, ভারত ত্রিপুরার গোমতী নদীর ডুম্বুর বাঁধের স্লুইস গেট খুলে দেওয়ায় বন্যা হয়েছে। তবে বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে বিবৃতি দিয়ে সেই অভিযোগ খারিজ করা হয়েছে। বিদেশ মন্ত্রকের তরফে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘গোমতী নদীর ডুম্বুর বাঁধ খুলে দেওয়ায় বন্যার যে দাবি বাংলাদেশের তরফে করা হচ্ছে, তা ঠিক নয়। ভারত ও বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত গোমতী নদীর অববাহিকায় গত কয়েকদিন ধরে চলতি বছরে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে।’

    আরও পড়ুন: ‘‘শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ দমন নয়’’, মমতাকে সুপ্রিম-নির্দেশ মনে করালেন রাজ্যপাল

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh power crisis: বিপুল দেনা, তা সত্ত্বেও বাংলাদেশকে বিদ্যুৎ দিয়ে চলেছে ভারত

    Bangladesh power crisis: বিপুল দেনা, তা সত্ত্বেও বাংলাদেশকে বিদ্যুৎ দিয়ে চলেছে ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্রমেই ঋণের জালে জড়িয়ে পড়ছে বাংলাদেশ (Bangladesh power crisis)। দেশে বিদ্যুতের চাহিদার জোগান দিতে ভারত থেকে বিদ্যুৎ কেনে পড়শি এই দেশ। তবে সেটাও নগদে নয়, ধারে। জানা গিয়েছে, ভারতের (Adani Power) পাঁচটি কোম্পানির কাছ থেকে বাংলাদেশ যে পরিমাণ বিদ্যুৎ কিনেছে, সে বাবদ বকেয়া রয়েছে ১০০ কোটি মার্কিন ডলারেরও বেশি। এই বকেয়ার সিংহভাগই আবার রয়েছে আদানি গোষ্ঠীর কাছে। আদানি গোষ্ঠীর ঝাড়খণ্ডে প্ল্যান্ট রয়েছে। সেখান থেকেই বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে আদানিরা। সাম্প্রতিক এক মিডিয়া রিপোর্ট থেকেই জানা গিয়েছে বাংলাদেশের এই দেনার পরিমাণের কথা। এই রিপোর্ট থেকেই জানা গিয়েছে, বাংলাদেশ সরকারের কাছে আদানি গোষ্ঠীর প্রাপ্য প্রায় ৮০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।

    কার কাছে বিদ্যুৎ কেনে বাংলাদেশ (Bangladesh power crisis)

    ঝাড়খণ্ডের গোড্ডায় রয়েছে আদানিদের প্ল্যান্ট। ডেডিকেটেড ট্রান্সমিশন করিডরের মাধ্যমে ১.৬জিডাব্লু কোলফায়ার্ড প্ল্যান্টের মাধ্যমে বাংলাদেশে পাওয়ার সাপ্লাই করে আদানিদের ফার্ম। বাকি যে চার ভারতীয় কোম্পানির কাছে বিদ্যুৎ বাবদ বাংলাদেশের দেনা রয়েছে, সেগুলি হল এসইআইএল এনার্জি ইন্ডিয়া, এনটিপিসি, পিটিসি ইন্ডিয়া এবং পাওয়ার গ্রিড কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া। ২০২৪ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত কেবল এসইআইএল এনার্জি ইন্ডিয়ার পাওনা রয়েছে ১৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। বাংলাদেশের (Bangladesh power crisis) কাছে এনটিপিসির পাওনা ৮০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের কাছাকাছি। মার্চের শেষ পর্যন্ত পিটিসি ইন্ডিয়া পাবে প্রায় ৮৪.৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। আর চলতি বছরের ২৫ অগাস্ট পর্যন্ত পাওয়ার গ্রিডের পাওনা ২০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। রিপোর্ট থেকেই জানা গিয়েছে পিটিসির যা বকেয়া, তার মধ্যে ৪৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার শোধ করেছে বাংলাদেশ।

    কত বিদ্যুৎ দেওয়া হয় বাংলাদেশকে

    ভারতের এই পাঁচ কোম্পানির কাছ থেকে বাংলাদেশ কত পরিমাণ বিদ্যুৎ কিনবে, তার একটা (Adani Power) চুক্তিও রয়েছে। সেই চুক্তি মোতাবেক এসইআইএল এনার্জি থেকে ঢাকা কিনবে ২৫০ মেগাওয়াট বিদ্যৎ, এনটিপিসি সরবরাহ করে ৭৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। এনটিপিসির তিনটি প্ল্যান্ট থেকে ওই পরিমাণ বিদ্যুৎ দেওয়া হয়। পিটিসি বাংলাদেশকে দেয় ২৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট ইলেকট্রিসিটি ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির মাধ্যমে বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ডকে ওই বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। বাংলাদেশ সরকারের কাছে এত পরিমাণ পাওনা হলেও, ভারতের এই কোম্পানিগুলো সে দেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে চলেছে নিরবচ্ছিন্নভাবে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে বন্ধুত্বের সম্পর্ক থাকায় বকেয়া থাকলেও, বিদ্যুৎ সরবরাহে বিঘ্ন ঘটায়নি ভারতীয় কোম্পানিগুলি। বকেয়া না মেটানোয় উদ্বেগে আধিকারিকরা। তাঁদের মতে, এটা দীর্ঘদিন ধরে চলতে পারে না। কারণ ফার্মগুলোকে তাদের স্টেকহোল্ডারদের কাছে কৈফিয়ত দিতে হয়। রিপোর্টে বলা হয়েছে, আমাদের দ্রুত একটা সমাধান প্রয়োজন। কারণ নিরন্তর বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে গিয়ে আমরা সমস্যায় পড়েছি। বিশেষত লেন্ডার, কয়লা সাপ্লায়ার্স, স্পেয়ার্স এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিস। প্ল্যান্ট অপারেশন রিলেটেড সার্ভিসকেও পেমেন্ট দেওয়া প্রয়োজন।

    আরও পড়ুন: বিজেপির লালবাজার অভিযানে কাঁদানে গ্যাস পুলিশের, অসুস্থ হয়ে পড়লেন সুকান্ত

    রাজনীতিতে ডামাডোল

    বর্তমানে বাংলাদেশে (Bangladesh power crisis) চলছে ডামাডোল। সংরক্ষণকে কেন্দ্র করে অশান্তির জেরে হিংসায় জ্বলছে পড়শি দেশ। বেছে বেছে নির্যাতন করা হয়েছে সে দেশে বসবাসকারী হিন্দুদের ওপর। হিন্দু পরিবারের মেয়ে-বউদের তুলে নিয়ে গিয়ে নির্যাতন করা হয়েছে বলেও অভিযোগ (Adani Power)। হিন্দু পদাধিকারীদের বাধ্য করা হয়েছে পদত্যাগে। মলদ্বীপের মতো ‘ইন্ডিয়া আউট’ স্লোগানও উঠেছে। আন্দোলনের জেরে প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন শেখ হাসিনা। আশ্রয় নিয়েছেন ভারতে। বাংলাদেশের ক্ষমতায় বসানো হয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারকে। সেই সরকারের প্রধান হয়েছেন মহম্মদ ইউনূস।

    মহম্মদ ইউনূসের সিদ্ধান্ত

    নোবেল জয়ীএই ইউনূসই যে সব সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন তার একটা বড় অংশই ভারত বিরোধী বলে ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের। বেশ কয়েকজন কুখ্যাত জঙ্গিকে মুক্তি দিয়েছে সে দেশের অন্তর্বর্তী সরকার। তার পরেও ভারত হাত বাড়িয়ে দিয়েছে বন্ধুত্বের। হিন্দু নির্যাতন নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তার আগে ইউনূসকেও বিষয়টি জানিয়েছেন তিনি। তার পরেও বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতন পুরোপুরি বন্ধ হয়নি বলে অভিযোগ। তা সত্ত্বেও বাংলাদেশকে নিরন্তর বিদ্যুৎ (Adani Power) সরবরাহ করে চলেছে ভারত। আজ্ঞে, হ্যাঁ, মাসের পর মাস বকেয়া না পেয়েও (Bangladesh power crisis)।

               

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: “হিন্দুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করায় জোর দিয়েছি”, বাংলাদেশ ইস্যুতে বাইডেনকে বলেন মোদি

    PM Modi: “হিন্দুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করায় জোর দিয়েছি”, বাংলাদেশ ইস্যুতে বাইডেনকে বলেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের, বিশেষ করে হিন্দুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ওপরে জোর দিয়েছি।” মঙ্গলবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে ফোনে আলোচনার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় একথা জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, “আমরা বাংলাদেশের পরিস্থিতি (Bangladesh Crisis) নিয়েও আলোচনা করেছি এবং দ্রুত স্বাভাবিকতা পুনরুদ্ধারের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব দিয়েছি।” এর পরেই তিনি লিখেছেন, “বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের, বিশেষ করে হিন্দুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ওপরে।”

    মোদির শিরঃপীড়ার কারণ হিন্দু নিপীড়ন (PM Modi)

    সংরক্ষণকে কেন্দ্র করে হিংসার আগুন জ্বলছে বাংলাদেশে। বেছে বেছে আক্রমণ করা হচ্ছে হিন্দুদের। ঘরবাড়ি জ্বালানোর পাশাপাশি করা হয় খুন। হিন্দু মহিলাদের জোর করে তুলে নিয়ে যাওয়া এবং ধর্ষণের অভিযোগও উঠেছে। জোর করে পদত্যাগে বাধ্য করা হয় হিন্দু পদাধিকারিদের। প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার পর হিংসা ওঠে চরমে। পড়শি দেশে হিন্দুদের ওপর অত্যাচার যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শিরঃপীড়ার কারণ, তার আঁচ মিলেছিল ১৫ অগাস্ট, ৭৮তম স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে। এদিন দিল্লির লালকেল্লায় দেশবাসীর উদ্দেশে ভাষণ দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, “১৪০ কোটি ভারতীয় হিন্দু বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত। ভারত সর্বদাই বাংলাদেশের শুভাকাঙ্খী। ভারত বাংলাদেশের অগ্রগতি চায়। আমরা আশা রাখি, বাংলাদেশের পরিস্থিতি শীঘ্রই স্বাভাবিক হবে। ভারতীয়রা চায়, বাংলাদেশে হিন্দু-সহ সমস্ত সংখ্যালঘুর নিরাপত্তা সুনিশ্চিত হোক।”

    আরও পড়ুন: ভারত-বিরোধী জঙ্গি জসিমউদ্দিনকে মুক্ত করল বাংলাদেশ সরকার

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?

    বাইডেনকে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, “ভারত সব সময় শান্তি বজায় রাখার পক্ষে। আমেরিকা ও ভারত দুই দেশই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতে বদ্ধপরিকর।” ইউক্রেন ইস্যুতেও কথা হয়েছে দুই রাষ্ট্রপ্রধানের। এক্স হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, “ইউক্রেনের পরিস্থিতি-সহ বিভিন্ন আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ইস্যুতে আমাদের বিশদ মত বিনিময় হয়েছে।” প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহেই ইউক্রেন সফরে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানে তিনি বৈঠক করেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে। বর্তমান (Bangladesh Crisis) যুগে যুদ্ধে যে কোনও সুফল মেলে না, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকে তাও জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Champai Soren: পদ্ম শিবিরে চললেন চম্পাই সোরেন, ভোটের আগে বিপাকে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী

    Champai Soren: পদ্ম শিবিরে চললেন চম্পাই সোরেন, ভোটের আগে বিপাকে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপিতে (BJP) যোগ দিচ্ছেন ‘ঝাড়খণ্ডের বাঘ’ চম্পাই সোরেন (Champai Soren)। সোমবার রাতে এ খবর জানান অসমের মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির হিমন্ত বিশ্ব শর্মা (Himanta Biswa Sharma)। এ বছরই ঝাড়খণ্ড বিধানসভার নির্বাচন। তার আগে চম্পাই গেরুয়া খাতায় নাম লেখালে ঝাড়খণ্ডে যে শাসক দল ঝড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা (JMM) বিপাকে পড়বে, তা বলাই বাহুল্য। এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে তিনি জানান, বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী।

    চম্পাইকে সরতে হয় (Champai Soren)

    ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার প্রবীণ নেতা চম্পাই। ইডির হাতে গ্রেফতার হওয়ায় মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়েছিলেন ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার হেমন্ত সোরেন। তখনই হেমন্তর স্ত্রীকে ওই পদে না বসিয়ে বসানো হয় চম্পাইকে। হেমন্ত জামিন পাওয়ার পর পদ থেকে সরে দাঁড়াতে বাধ্য করা হয় চম্পাইকে। তখন থেকেই জেএমএম-এর সঙ্গে দূরত্ব বাড়তে থাকে চম্পাইয়ের (Champai Soren)। তাঁর অভিযোগ, দলের নেতারা তাঁকে অসম্মান করেছেন। রাজনৈতিক মহলের মতে, সেই থেকে দলীয় নেতৃত্বের প্রতি ক্ষোভ পুঞ্জীভূত হচ্ছিল চম্পাইয়ের। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, চম্পাইয়ের সেই ক্ষোভকেই কাজে লাগাল গেরুয়া শিবির।

    কবে যোগ চম্পাইয়ের?

    দিন কয়েক আগে ক্ষুব্ধ চম্পাই জানিয়েছিলেন, নতুন দল গঠন করছেন তিনি। বছর সাতষট্টির চম্পাই কবে নয়া দল গড়বেন, তা নিয়ে জল্পনার আবহেই সোমবার অসমের মুখ্যমন্ত্রী (Himanta Biswa Sharma) বলেন, “আমি চাই চম্পাই সোরেন বিজেপিতে (BJP) যোগ দিন। আমাদের দলকে আরও শক্তিশালী করুন।” সোমবার রাতে দিল্লিতে অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক করেন চম্পাই। তার পরেই তাঁর বিজেপিতে যোগ দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী। শুক্রবার ৩০ অগাস্ট রাঁচিতে পদ্ম শিবিরে যোগ দেবেন তিনি। শাহের সঙ্গে বৈঠকের ছবি পোস্ট করে হিমন্ত লেখেন, ‘‘কিছুক্ষণ আগেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করেন ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা আদিবাসী নেতা চম্পাই সোরেন। ৩০ অগাস্ট রাঁচিতে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ দেবেন বিজেপিতে (BJP)।” এ ব্যাপারে অবশ্য চম্পইয়ের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।

    আরও পড়ুন: ‘‘শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ দমন নয়’’, মমতাকে সুপ্রিম-নির্দেশ মনে করালেন রাজ্যপাল

    প্রসঙ্গত, ঝড়খণ্ডের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী হেমন্তের বাবা শিবু সোরেনকে রাজনৈতিক ‘গুরু’ বলে মনে (Himanta Biswa Sharma) করেন চম্পাই। সেই ‘গুরু-পুত্র’র সঙ্গে মনোমালিন্যের জেরেই চম্পাই (Champai Soren) নাম লেখাতে চলেছেন গেরুয়া (BJP) খাতায়। তাও আবার এমন একটা সময়, যখন শিবু-হেমন্তের রাজ্যে দুয়ারে বিধানসভা নির্বাচন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Unified Lending Interface: সহজেই মিলবে ঋণ! ইউপিআইয়ের পর আসছে ইউএলআই

    Unified Lending Interface: সহজেই মিলবে ঋণ! ইউপিআইয়ের পর আসছে ইউএলআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের ইউপিআই ব্যবস্থা ব্যাপক সফলতার মুখ দেখেছে। দুনিয়ার অনেক গুরুত্বপূর্ণ জায়গাতেই এখন ইউপিআইয়ের সুবিধা মেলে। এই সিস্টেমের পাশাপাশি রিজার্ভ ব্যাঙ্ক নিয়ে আসছে ইউএলআই (Unified Lending Interface)। কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস নিজে আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দিয়ে এই খবরের সত্যতায় সিলমোহর দিয়েছেন। এই নতুন পরিষেবায় সহজেই মিলবে ঋণ।

    ইউনিফায়েড লেন্ডিং ইন্টারফেস (Unified Lending Interface) আসলে কী?

    রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার (RBI) গভর্নর শক্তিকান্ত দাস বেঙ্গালুরুতে ডিজিটাল পাবলিক ইনফ্রাস্ট্রাকচার এবং ইমার্জিং টেকনোলজিস সম্পর্কিত একটি অনুষ্ঠানে তাঁর ভাষণে ইউনিফায়েড লেন্ডিং ইন্টারফেস  (Unified Lending Interface) কী, তা খুব সহজে বুঝিয়ে দিয়েছেন। তাঁর ভাষণ অনুযায়ী, আরবিআই সমস্যামুক্ত ঋণের জন্য ইউনিফায়েড লেন্ডিং ইন্টারফেস (ইউএলআই) প্রযুক্তি প্ল্যাটফর্মের একটি পাইলট প্রকল্প চালাচ্ছে। এই প্রকল্প অনুযায়ী ঋণ অনুমোদন ব্যবস্থাকে সুবিন্যস্ত করা হবে যাতে খুব অল্প সময়ে মানুষকে ঋণ দেওয়া যায় সেই বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এতে স্বল্প পরিমাণের ঋণগ্রহীতাদের অনেক উপকার হবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

    ইউনিফায়েড লেন্ডিং ইন্টারফেস  (Unified Lending Interface) কবে আসছে বাজারে

    আরবিআই গভর্নর ইউনিফাইড লেন্ডিং ইন্টারফেস চালু হওয়ার বিষয়ে বলেন, শীঘ্রই সারা দেশে ইউনিফায়েড লেন্ডিং ইন্টারফেস (ইউএলআই) চালু করা হবে। শক্তিকান্ত দাস জানিয়েছেন, ইউপিআই পেমেন্ট সিস্টেম যেভাবে পুরো ডিজিটাল পেমেন্ট ইকোসিস্টেমে একটি বড় পরিবর্তন আনতে সক্ষম হয়েছে, একইভাবে ইউনিফায়েড লেন্ডিং ইন্টারফেস ভারতের ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে একটি বড় পরিবর্তন আনার প্রস্তুতি নিচ্ছে।

    কৃষি ও এমএসএসই সেক্টরের যাঁরা ঋণ নিতে চান তাঁরা অনেক উপকৃত হবেন 

    শক্তিকান্ত দাস আরও জানিয়েছেন- এই প্ল্যাটফর্মে একাধিক ডেটা প্রদানকারীর সঙ্গে ঋণ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলিও বিভিন্ন রাজ্যের জমির রেকর্ড থাকবে। এর মাধ্যমে ক্ষুদ্র ও গ্রামীণ এলাকায় সহজে এবং কম সময়ে ঋণ দেওয়া যাবে। ঋণগ্রহীতারা ক্রেডিট নির্বিঘ্নে ডেলিভারি পাবেন এবং বেশি ডকুমেন্টেশন বা অন্যান্য জটিল প্রক্রিয়া  থেকে মুক্তি পাবেন। আরবিআই গভর্নর বলেছেন, ‘‘ইউনিফায়েড লেন্ডিং ইন্টারফেস সেই সব সেক্টরকে উপকৃত করবে যেখানে এখনও ঋণের চাহিদা মেটানো হয়নি। বিশেষ করে কৃষি ও এমএসএসই সেক্টরের যাঁরা ঋণ নিতে চান তাঁরা অনেক উপকৃত হবেন।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Mamata Banerjee: কেন্দ্রের অনুমোদিত সব ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট চালু করেনি রাজ্য! মন্ত্রীর চিঠিতে বিপাকে রাজ্য

    Mamata Banerjee: কেন্দ্রের অনুমোদিত সব ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট চালু করেনি রাজ্য! মন্ত্রীর চিঠিতে বিপাকে রাজ্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গে ৪৮ হাজার ৬০০ ধর্ষণ ও পকসো মামলা ঝুলে রয়েছে। তা সত্ত্বেও কেন্দ্রের অনুমোদন থাকলেও ১১টি ফাস্ট ট্র্যাক আদালত গঠন নিয়ে এখনও পর্যন্ত  উদ্যোগ নেয়নি পশ্চিমবঙ্গ সরকার। সম্প্রতি চিঠি দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এই কথা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় নারী ও শিশু উন্নয়ন মন্ত্রকের মন্ত্রী অন্নপূর্ণা দেবী। আরজি করের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ধর্ষণ ও মহিলাদের উপর নির্যাতন নিয়ে কেন্দ্রকে চিঠি দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সেই চিঠির জবাব দেয় কেন্দ্র। সেই চিঠিতে অন্নপূর্ণা জানালেন, ধর্ষণ ও শিশুদের উপর নির্যাতনের মামলার দ্রুত শুনানির জন্য পশ্চিমবঙ্গকে ১২৩টি ফাস্ট ট্র্যাক আদালতের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু, তার মধ্যে বেশিরভাগের কাজ শুরু হয়নি। কেন্দ্রীয় নারী ও শিশু উন্নয়ন মন্ত্রকের মন্ত্রী আরও বলেন, মহিলা ও শিশুদের সমস্যা দূরীকরণে কেন্দ্র একটি ন্যাশনাল হেল্পলাইন নম্বর চালু করেছে। কিন্তু, পশ্চিমবঙ্গ সরকার তা চালু করেনি।

    কেন্দ্রের চিঠিতে কী বলা হল

    আরজি কর-কাণ্ডের পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে গত ২২ অগাস্ট চিঠি লেখেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ধর্ষকদের শাস্তি দিতে কঠোর কেন্দ্রীয় আইন প্রণয়নের আবেদন জানান। এইসব ঘটনার দ্রুত বিচারের জন্য ফাস্ট ট্র্যাক আদালত গঠনের কথাও বলেন তিনি। তাঁর চিঠির জবাবে কেন্দ্রীয় নারী এবং শিশু কল্যাণ মন্ত্রী অন্নপূর্ণা দেবী চিঠি লিখে জানান, ১ জুলাই থেকে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা লাগু হয়েছে। মহিলাদের উপর অত্যাচার বন্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতায় কঠোর শাস্তির বিধান রয়েছে। ফাস্ট ট্র্যাক আদালত গঠন নিয়ে অন্নপূর্ণা দেবী লিখেছেন, এই ধরনের আদালত গঠনের জন্য ২০১৯ সালের অক্টোবরে কেন্দ্র একটি প্রকল্প শুরু করে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী লিখেছেন, “চলতি বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত দেশের ৩০টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ৭৫২টি ফাস্ট ট্র্যাক আদালত কাজ করছে। তার মধ্যে ৪০৯টি পকসো আদালত। প্রকল্প শুরু হওয়ার পর থেকে এইসব আদালতে ২ লক্ষ ৫৩ হাজার মামলার নিষ্পত্তি হয়েছে। এই প্রকল্পের অধীনে পশ্চিমবঙ্গকে ১২৩টি ফাস্ট ট্র্যাক আদালত গঠনের অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। তার মধ্যে ২০টি শুধু পকসো আদালত। কিন্তু, ২০২৩ সালের জুন মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত এই আদালতগুলির কাজ শুরু হয়নি।”

    আরও পড়ুন: নিহত তরুণীর দেহের কাছে ৩ সন্দীপ-ঘনিষ্ঠ! ভাইরাল ভিডিও তুলল একাধিক প্রশ্ন

    বঞ্চিত হচ্ছেন রাজ্যের মহিলারা

    কলকাতার আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে এক মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুনের অভিযোগ উঠেছে। তা নিয়ে উত্তাল গোটা দেশ। এই আবহে কেন্দ্রের চিঠিতে বেশ অস্বস্তিতে রাজ্য। কেন্দ্রের চিঠিতে দাবি করা হয়েছে, তারা বার বার অনুরোধ করে মনে করালেও রাজ্যে মহিলা (১৮১) এবং শিশু (১০৯৮)-দের সাহায্যে হেল্পলাইন নম্বর চালু করা হয়নি। চালু করা হয়নি ‘ইমার্জেন্সি রেসপন্স সাপোর্ট সিস্টেম’ও। এর ফলে বঞ্চিত হচ্ছেন রাজ্যের মহিলা এবং শিশুরা। চিঠির শেষে অন্নপূর্ণা আশাপ্রকাশ করেছেন, রাজ্যে মহিলাদের বিরুদ্ধে সব ধরনের নির্যাতনের পথ বন্ধ করে সুরক্ষা দেওয়া হোক। লিঙ্গবৈষম্য দূর করার অনুরোধও করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share