Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Jammu Kashmir: জম্মু ও কাশ্মীর বিধানসভা নির্বাচন, ১৫ আসনে প্রার্থী ঘোষণা বিজেপির

    Jammu Kashmir: জম্মু ও কাশ্মীর বিধানসভা নির্বাচন, ১৫ আসনে প্রার্থী ঘোষণা বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জম্মু ও কাশ্মীরের (Jammu Kashmir) বিধানসভা নির্বাচনের প্রথম ধাপের জন্য  ১৫ প্রার্থীর সংশোধিত তালিকা প্রকাশ করল বিজেপি। ১৫ জন প্রার্থীর এই সংশোধিত তালিকায় ১০ জন মুসলিম। রয়েছেন একজন মহিলাও। এর আগে, সোমবার সকালে জম্মু ও কাশ্মীর বিধানসভা নির্বাচনে (J&K Assembly polls) ৪৪ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছিল বিজেপি। তবে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তা প্রত্যাহার করে ১৫ আসনের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করল কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। বিজেপি সূত্রের খবর, তালিকায় কিছু ভুলভ্রান্তি থাকায় পুরনো তালিকা প্রত্যাহার করে নয়া তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।

    কেন প্রার্থী তালিকা প্রত্যাহার 

    প্রথম প্রার্থী তালিকায় ৯০ সদস্যবিশিষ্ট বিধানসভা (Jammu Kashmir) ভোটে মোট ৪৪ জনের নাম ঘোষণা করা হয়েছিল। প্রথম দফার ভোটের ১৫ জন, দ্বিতীয় দফার ১০ এবং তৃতীয় দফার ১৯ জনের নাম ছিল এই তালিকায়। কয়েক ঘণ্টা পর ফের নতুন করে একটি তালিকা প্রকাশ করে দল। তাতে প্রথম দফার ভোটের জন্য মাত্র ১৫ জনের নাম রয়েছে। তালিকায় নাম রয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ডঃ জিতেন্দ্র সিংয়ের ভাই দেবেন্দ্র রানা। রানা সম্প্রতি আবদুল্লা পরিবারের ন্যাশনাল কনফারেন্স থেকে বিজেপিতে যোগ দেন। কেন প্রার্থী তালিকা প্রত্যাহার করা হল? বিজেপি সূত্র জানিয়েছে, প্রথম তালিকায় প্রথম দফার ভোটের নাম ঘোষণার কথা ছিল। ভুল করে তিনটি তালিকায় একসঙ্গে প্রকাশ হয়ে গিয়েছে। তাই তা প্রত্যাহার করা হয়।

    রাজ্যের মর্যাদা দাবি

    প্রায় এক দশক পর জম্মু ও কাশ্মীরে (Jammu Kashmir) বিধানসভা ভোট। ১৯ সেপ্টেম্বর, ২৫ সেপ্টেম্বর ও ১ অক্টোবর-মোট তিন ধাপে ভোট গ্রহণ হবে। নির্বাচনের ফল প্রকাশ হবে ৪ অক্টোবর। কাশ্মীরে শেষ বিধানসভা (J&K Assembly polls) ভোট হয়েছিল ২০১৪ সালে। তখন পিডিপি এবং বিজেপি জোট বেঁধে ভোটে জিতে সরকার গঠন করেছিল। প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্ট আগেই জানিয়ে দিয়েছে সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত অসাংবিধানিক নয়। একই সঙ্গে জম্মু ও কাশ্মীরকে রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দিতে হবে, সে নির্দেশও দিয়েছিল শীর্ষ আদালত। এ বছরের লোকসভা ভোটের প্রচারে জম্মুতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আশ্বস্ত করেছিলেন, বিধানসভা ভোটের পর রাজ্যের মর্যাদাও ফেরানো হবে। উল্লেখ্য, ৯০ আসনের জম্মু ও কাশ্মীর বিধানসভায় কাশ্মীরে রয়েছে ৪৭টি আসন বাকি ৪৩টি আসন রয়েছে জম্মুতে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ladakh: লক্ষ্য উন্নত পরিষেবা প্রদান! লাদাখে পাঁচটি নতুন জেলা তৈরি করল মোদি সরকার

    Ladakh: লক্ষ্য উন্নত পরিষেবা প্রদান! লাদাখে পাঁচটি নতুন জেলা তৈরি করল মোদি সরকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চল লাদাখে (Ladakh) তৈরি করা হল পাঁচটি নতুন জেলা। সোমবার, জন্মষ্টামীর দিন নতুন জেলাগুলির নাম ঘোষণা করেছে মোদি সরকার। এই নিয়ে সমাজ মাধ্যমে পোস্ট করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। প্রধানমন্ত্রী মোদি লাদাখের মানুষকে অভিনন্দন জানিয়েছেন নিজের ট্যুইট বার্তায়। প্রসঙ্গত, অমিত শাহের মন্ত্রকই লাদাখের প্রশাসন পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে। উন্নত পরিষেবা প্রদানের উদ্দেশেই এমন সিদ্ধান্ত বলে নিজের পোস্টে জানিয়েছেন শাহ।

    লাদাখের (Ladakh) নতুন ৫ জেলার নাম

    ২০১৯ সালেই ভারতের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করা হয় লাদাখকে। লাদাখের প্রশাসনের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, এত দিন লাদাখে দু’টি জেলা ছিল একটি লেহ এবং অপরটি কার্গিল। এ বার নতুন করে পাঁচটি জেলায় ভাগ করা হল লাদাখকে (Ladakh)। নতুন পাঁচটি জেলা হল- জানস্কার, দ্রাস, শাম, নুবরা এবং চাংথাং। অমিত শাহ জানিয়েছেন, এই পদক্ষেপ করার ফলে প্রত্যন্ত অঞ্চলে বসবাসকারী মানুষের কাছে সরকারি পরিষেবা আরও সহজে ও দ্রুত পৌঁছে দেওয়া যাবে।

    অমিত শাহের পোস্ট লাদাখ নিয়ে (Ladakh)

    সমাজমাধ্যমে পোস্টে শাহ লিখেছেন, ‘‘উন্নত এবং সমৃদ্ধ লাদাখ গড়ার যে লক্ষ্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি অনুসরণ করছেন, তার প্রেক্ষিতেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক লাদাখকে পাঁচটি জেলায় ভাগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। জানস্কার, দ্রাস, শাম, নুবরা এবং চাংথাং নামের পাঁচটি জেলা লাদাখের (Ladakh) মানুষের কাছে সরকারি পরিষেবা আরও ভালো ভাবে এবং আরও দ্রুত পৌঁছে দেবে। লাদাখের মানুষের জন্য অসংখ্য সুযোগ তৈরি করতে বদ্ধ পরিকর মোদি সরকার।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Amit Shah: মাওবাদী-মুক্ত দেশ ২০২৬ সালের মধ্যেই, ঘোষণা অমিত শাহের

    Amit Shah: মাওবাদী-মুক্ত দেশ ২০২৬ সালের মধ্যেই, ঘোষণা অমিত শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী দুই বছরের মধ্যেই মাওবাদী মুক্ত দেশের কথা ঘোষণা করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। ২০২৬ সালের মধ্যে দেশ থেকে নিশ্চিহ্ন হবে মাওবাদীরা (Maoism)। এমনটাই দাবি তাঁর। মাওবাদীদের সঙ্গে মোকাবিলা করার জন্য এর মধ্যেই নানা পরিকল্পনা ছকতে শুরু করেছে কেন্দ্র। রাজ্যগুলির সঙ্গে কথা চলছে। ২০২৬ সালের মধ্যে মাওবাদী কার্যকলাপ শেষ করার জন্য বিশেষ কৌশল নেওয়া হয়েছে।

    কী বললেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    সম্প্রতি ছত্তিশগড়ের মাও অধ্যুষিত (Maoism) এলাকায় কেমন পরিস্থিতি, তা খতিয়ে দেখতে গিয়েছিলেন অমিত শাহ (Amit Shah)। ওই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণু দেও-এর সঙ্গে বৈঠকও করেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘আমি বিশ্বাস করি, লড়াই এখন শেষ পর্যায়ে। চূড়ান্ত হামলার সময় এসেছে। ২০২৬ সালের মার্চ মাসের মধ্যে আমরা দেশ থেকে মাওবাদ নির্মূল করব।’’ অমিত শাহ জানান, মাওয়াবাদীদের জন্য নতুন সারেন্ডার পলিসি আনা হবে। তাই মাওবাদীরা যাতে আত্মসমর্পণ করেন, সেই আর্জি জানিয়েছেন তিনি। তিনি উল্লেখ করেন, মাওবাদীদের সন্ত্রাস দেশের গণতন্ত্রের জন্য ক্ষতিকর। এখনও পর্যন্ত মাও হানায় অন্তত ১৭,০০০ মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।

    আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে ক্রমশ ঘনাচ্ছে নিম্নচাপ, জন্মাষ্টমীতে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দক্ষিণবঙ্গে

    মাও দমনে সক্রিয় সরকার

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রীর পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন সে রাজ্যের পুলিশের শীর্ষকর্তারা। পার্শ্ববর্তী রাজ্যগুলির মুখ্য সচিব-সহ প্রশাসনিক কর্তারাও বৈঠকে ছিলেন। বৈঠকে মূলত মাওবাদী-অধ্যুষিত (Maoism) এলাকায় কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের দিকগুলি নিয়ে আলোচনা হয়। বৈঠক থেকে বেরিয়ে অমিত শাহ (Amit Shah) জানান, গত কয়েক বছরে মাওবাদী হামলা সংক্রান্ত ঘটনায় মৃত্যুর হার কমেছে। পরিসংখ্যান বলছে, প্রথম ১০ বছরে মাওবাদীদের হাতে নিহত হয়েছিলেন ৬৬১৭ জন নিরাপত্তা কর্মী এবং সাধারণ নাগরিক। সেই সংখ্যা এখন ৭০ শতাংশ কমেছে। গত ১০ বছরে মাও হামলার ঘটনা ৫২ শতাংশ কমে গিয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। মাও অধ্যুষিত এলাকাগুলিকে সন্ত্রাসমুক্ত করতে তৎপর কেন্দ্রীয় সরকার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • VHP: ৬০ বছর আগে জন্মাষ্টমীতেই প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল বিশ্ব হিন্দু পরিষদ, জানুন এই সংগঠনের ইতিহাস

    VHP: ৬০ বছর আগে জন্মাষ্টমীতেই প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল বিশ্ব হিন্দু পরিষদ, জানুন এই সংগঠনের ইতিহাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশ-বিদেশের কোটি কোটি হিন্দুর আস্থা-বিশ্বাস অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (VHP)। অযোধ্যায় রাম জন্মভূমি আন্দোলনের নেতৃত্বদানের মাধ্যমে আপামর হিন্দু সমাজের কাছে গ্রহণযোগ্যতা তৈরি করতে পেরেছে এই সংগঠন। আজ জন্মাষ্টমীর পুণ্য তিথিতেই বিশ্ব হিন্দু পরিষদের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন করা হয়। ১৯৬৪ সালের ২৯ অগাস্ট তিথি ছিল জন্মাষ্টমীর (Janmasthami)। সেই দিনই মুম্বইতে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের দ্বিতীয় সরসঙ্ঘচালক মাধবরাও সদাশিবরাও গোলওয়ালকরের প্রেরণায় প্রতিষ্ঠিত হয় বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (VHP)।

    ৬৩ লাখ হিন্দুকে ধর্মান্তকরণের হাত থেকে রক্ষা করেছে এই সংগঠন

    বর্তমানে এই সংগঠন ভারত ছাড়াও বিদেশেও কাজ করছে হিন্দু সমাজকে সংগঠিত করার জন্য। জানা যায়, ৫০টিরও বেশি দেশে রয়েছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের শাখা (VHP)। রাম মন্দির আন্দোলনে বিপুল সফলতা লাভ করে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। এরপর থেকেই এই সংগঠন গোহত্যা, জোরপূর্বক ধর্মান্তকরণ, লাভ জিহাদ- এই সমস্ত ইস্যু নিয়ে সরব হয়। হিন্দু সমাজের মধ্যে জাগরণ তৈরি করতে আন্দোলনও গড়ে তোলা হয়। জানা গিয়েছে, বিশ্ব হিন্দু পরিষদ এখনও পর্যন্ত ৬৩ লাখ হিন্দুকে ধর্মান্তকরণের হাত থেকে রক্ষা করেছে এবং সনাতন ধর্ম ছেড়ে যাঁরা অন্য ধর্মে চলে গিয়েছিলেন সেই রকম ৯ লাখ ব্যক্তিকে তাঁরা হিন্দু ধর্মে ফিরিয়ে এনেছেন।

    ১৯৬৪ সালের ২৯ অগাস্ট মুম্বইয়ে কোথায় প্রতিষ্ঠিত হয় বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (VHP)

    ১৯৬৪ সালের ২৯ অগাস্ট মুম্বইয়ে অবস্থিত স্বামী চিন্ময়ানন্দ মহারাজের আশ্রমে একটি বৈঠকের মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয় বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। জানা যায়, ওই বৈঠকে হাজির ছিলেন স্বামী চিন্ময়ানন্দ, স্বামী তুকডোজি মহারাজ, শিখ নেতা মাস্টার তারা সিং, জৈন নেতা সুশীল মুনি, গীতা প্রেসের হনুমান প্রসাদ পোদ্দার এবং শ্রী গুরুজি (দ্বিতীয় সরসঙ্ঘচালক)। জানা যায়, ওই বৈঠকে হাজির ছিলেন ৪০ থেকে ৪৫ জন প্রতিনিধিও।

    বিশ্ব হিন্দু পরিষদের প্রথম বড় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় ১৯৬৬ সালের কুম্ভ মেলাতে

    বিশ্ব হিন্দু পরিষদের (VHP) প্রথম বড় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় ১৯৬৬ সালের কুম্ভ মেলাতে। সংগঠনের পুরনো নেতারা বলেন, সে বছর কুম্ভমেলা অনুষ্ঠিত হয়েছিল জানুয়ারি মাসের ২২ থেকে ২৪ তারিখ পর্যন্ত। জানা যায়, ওই সম্মেলনে ২৫ হাজারেরও বেশি প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেছিলেন। শুধু ভারত থেকেই নয়,  অন্যান্য ১২টি দেশ থেকেও প্রতিনিধিরা এসেছিলেন। যাঁদের মধ্যে তিনশোর বেশি খ্যাতনামা সন্ন্যাসীও ছিলেন। ওই সম্মেলনের মাধ্যমেই ‘ঘর ওয়াপসি’ ভাবনাও গ্রহণ করে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। অর্থাৎ হিন্দু ধর্ম ছেড়ে যাঁরা অন্য ধর্মে গিয়েছেন, তাঁদেরকে পুনরায় সনাতনে ফিরিয়ে নিয়ে আসার যে প্রক্রিয়া, তা গ্রহণ করা হয় ১৯৬৬ সালেই। এর পাশাপাশি ধর্মান্তকরণ রোধের বিরুদ্ধেও ওই সম্মেলনে সরব হন সাধুসন্তরা। ১৯৬৬ সালের ওই সম্মেলনেই বিশ্ব হিন্দু পরিষদ তাদের নীতিবাক্য স্থির করে, ‘ধর্ম রক্ষতি রক্ষিতঃ’। প্রাচীন হিন্দু শাস্ত্র থেকে নেওয়া এই সংস্কৃত শ্লোকের অর্থ হল, ধর্মকে যিনি রক্ষা করেন, ধর্ম তাঁকে রক্ষা করে।

    ১৯৬৯ সালের ডিসেম্বর মাসে কর্নাটকের উদুপিতে বসে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের ধর্ম সংসদ

    চলতি বছরে জন্মাষ্টমীতে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (VHP) ৬০ বছরে পা দিল। এই সময়ের মধ্যে অসংখ্য সফল আন্দোলন তারা দেশ জুড়ে গড়ে তুলতে সমর্থ হয়েছে। হিন্দু সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে এই সংগঠনের অবদান উল্লেখযোগ্য। হিন্দু ধর্মের জাতিভেদ প্রথা রোধ করার জন্যও অনেক আন্দোলনই করেছে বা এখনও করছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। ১৯৬৯ সালের ডিসেম্বর মাসে কর্নাটকের উদুপিতে বসে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের ধর্ম সংসদ এবং সেখানেই প্রস্তাব নেওয়া হয়, ‘হিন্দবঃ সোদরা সর্বে, ন হিন্দু পতিত ভবেত মম দীক্ষা হিন্দু রক্ষা, মম মন্ত্র সমানতা’- এই মন্ত্রের। অর্থাৎ, সব হিন্দু আমার ভাই, কোনও হিন্দু কখনও পতিত হতে পারে না। হিন্দুকে রক্ষা করাই আমার ধর্ম, সমানতাই আমার মন্ত্র। ওই ধর্ম সংসদে জাতিভেদ প্রথার বিরুদ্ধে সবাইকে একত্রিত হওয়ার আহ্বান জানানো হয়। হিন্দু সমাজে সমতা রক্ষা করার কথা বলা হয়।

    ১৯৮৪ সালেই রাম মন্দির আন্দোলনের ঘোষণা, ওই বছরেই প্রতিষ্ঠিত হয় বজরঙ দল

    ১৯৮২ সালেই অশোক সিঙ্ঘল বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতৃত্বে আসেন। তাঁর নেতৃত্বে সংগঠন সারা দেশ জুড়ে বিস্তার লাভ করতে থাকে। ১৯৮৩ সালে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ একতা যাত্রা করে, যার লক্ষ্য ছিল গোটা হিন্দু সমাজকে একত্রিত করা। দেশের হাজার হাজার গ্রামে পৌঁছাতে সক্ষম হয় বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। প্রায় ৬ কোটি হিন্দু প্রত্যক্ষভাবে অংশগ্রহণ করেছিলেন এই কর্মসূচিতে। 

    ১৯৮৪ সালের এপ্রিল মাসে নয়াদিল্লিতে ধর্ম সংসদের আয়োজন করে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ এবং সেখানে ১২৫টি সম্প্রদায় থেকে বিভিন্ন সাধুরা অংশগ্রহণ করেন। ওই বছরেরই ৮ অক্টোবর বিশ্ব হিন্দু পরিষদ রাম মন্দির আন্দোলনের ঘোষণা করে এবং সেদিনই বিশ্ব হিন্দু পরিষদের যুব সংগঠন বজরঙ দল স্থাপিত হয়। বর্তমানে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ এক মহীরুহে পরিণত হয়েছে। এক লাখেরও বেশি প্রকল্প চলছে সারা দেশ জুড়ে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নামে। যার মধ্যে ৭০ হাজারেরও বেশি রয়েছে সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, ২,০০০ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ১,৮০০-এর বেশি স্বাস্থ্য পরিসেবা এবং দেড় হাজারেরও বেশি আত্মনির্ভর কেন্দ্র চলছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • J K Polls: পিডিপির বিরুদ্ধে ইস্তাহার ‘চুরি’র অভিযোগ ন্যাশনাল কনফারেন্সের

    J K Polls: পিডিপির বিরুদ্ধে ইস্তাহার ‘চুরি’র অভিযোগ ন্যাশনাল কনফারেন্সের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নারদ! নারদ! এবার ন্যাশনাল কনফারেন্সের ইস্তাহার ‘চুরি’র অভিযোগ পিডিপির বিরুদ্ধে! যেহেতু কংগ্রেস-ন্যাশনাল কনফারেন্স জোটের অ্যাজেন্ডা ও পিডিপির অ্যাজেন্ডা এক, তাই পিডিপিকে জোটের বিরুদ্ধে প্রার্থী না দেওয়ার পরামর্শও দিয়েছেন ন্যাশনাল কনফারেন্সের ভাইস প্রেসিডেন্ট ওমর আবদুল্লা (Omar Abdullah)। প্রায় দশ বছর পরে নির্বাচন হচ্ছে জম্মু-কাশ্মীরে (J K Polls)। নির্বাচন হবে তিন দফায়। নির্বাচনী-বৈতরণী পার হতে জোট বেঁধেছে কংগ্রেস-ন্যাশলান কনফারেন্স। বিজেপি ‘একলা চলো’র সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কয়েক জন নির্দল প্রার্থীর সঙ্গে সমঝোতা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে গেরুয়া শিবির। এমতাবস্থায় পিডিপির বিরুদ্ধে উঠল ইস্তাহার ‘চুরি’র অভিযোগ।

    কী বললেন ওমর? (J K Polls)

    রবিবার ভূস্বর্গে এক নির্বাচনী জনসভায় ভাষণ দিচ্ছিলেন ওমর। সেখানে তিনি বলেন, “আপনি ইতিমধ্যেই আমাদের অ্যাজেন্ডা গ্রহণ করেছেন। এখন আমাদের অ্যাজেন্ডা ও আপনার অ্যাজেন্ডার মধ্যে কোনও পার্থক্য নেই। তাই বলি কী, আপনি প্রার্থী দেবেন না। জম্মু-কাশ্মীরের জন্য এক উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ রচনা করব আমরা।” ইস্তাহারে ন্যাশনাল কনফারেন্স প্রতিশ্রুতি দিয়েছে প্রথম বছর ২০০ ইউনিট বিদ্যুৎ বিনামূল্যে দেওয়া হবে (J K Polls)। সরকারি চাকরি তৈরি হবে এক লাখ। অভিযোগ, মেহবুবা মুফতির পিডিপির ইস্তাহারেও এই দুই প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।

    ইস্তাহার চুরি!

    ন্যাশনাল কনফারেন্সের ভাইস প্রেসিডেন্ট বলেন, “আমরা প্রথম বছর এক লাখ সরকারি চাকরি দেব। এটা ওরাও ওদের ইস্তাহারে রেখেছে। আমরা ক্রস-এলওসি রিওপেন করার কথা বলেছি। এটাও ওদের ইস্তাহারে রয়েছে। আমরা আলোচনার দরজা খোলা রাখব। তাদের ইস্তাহারেও এটা রয়েছে। প্রায় সবই, যেগুলো আমাদের সহকর্মীরা আমাদের ইস্তাহারে রেখেছে, তারাও সেইগুলোই রেখেছে তাদের ইস্তাহারে।” এর পরেই পিডিপিকে আলাদা করে প্রার্থী না দেওয়ার পরামর্শ দেন ওমর।

    আরও পড়ুন: “রাহুলের মন্তব্য বালক বুদ্ধির পরিচায়ক”, মিস ইন্ডিয়া ইস্যুতে পাল্টা তোপ রিজিজুর

    মুফতি আগেই জানিয়েছিলেন, যদি কংগ্রেস-ন্যাশনাল কনফারেন্সের জোট পিডিপির অ্যাজেন্ডা গ্রহণ করে, তাহলে তার দল জোটকে পূর্ণ সমর্থন দেবে। শুধু তাই নয়, জম্মু-কাশ্মীরের সব (Omar Abdullah) বিধানসভা আসনও তারা ছেড়ে দেবে জোটকে (J K Polls)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Krishna-Janmashtami: স্কুল-কলেজে জন্মাষ্টমী পালনের নির্দেশিকা মধ্যপ্রদেশ সরকারের

    Krishna-Janmashtami: স্কুল-কলেজে জন্মাষ্টমী পালনের নির্দেশিকা মধ্যপ্রদেশ সরকারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমী (Krishna-Janmashtami) পালনের জন্য স্কুল ও কলেজগুলিকে অনুষ্ঠান করার নির্দেশ দিয়েছে মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) মোহন যাদবের সরকার। রাজ্যের স্কুলগুলিকে গুরু পূর্ণিমার জন্য বিশেষ দু’দিনের অনুষ্ঠান আয়োজনের নির্দেশের পর, বিজেপি সরকার এবার জন্মাষ্টমী উপলক্ষে আগামী ২৬ অগাস্ট সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অনুরূপ নির্দেশ জারি করেছে৷ ইতিমধ্যে জেলাশাসকদের কাছে এই নির্দেশিকা পৌঁছে গিয়েছে। শ্রীকৃষ্ণের জীবন দর্শন, শিক্ষা ভাবনা, মানব দর্শন এবং ঐতিহাসিক গুরুত্বকে নানা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তুলে ধরার কথা বলেছে রাজ্য সরকার।

    কৃষ্ণের শিক্ষা তুলে ধরার নির্দেশিকা (Krishna-Janmashtami)

    প্রশাসন বিভাগ থেকে সমস্ত জেলাশাসকদের কাছে ছয় দফা নির্দেশ জারি করেছে মোহন যাদবের সরকার (Madhya Pradesh)। সমস্ত সরকারি এবং বেসরকারি স্কুল-কলেজে পণ্ডিতদের দ্বারা বক্তৃতা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করার নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে। ভগবান কৃষ্ণের শিক্ষা, জীবন, দর্শন, মানবতা ও বন্ধুত্বের মূল্যবোধের বিষয়গুলিকে অনুষ্ঠানে রাখার জন্য বলা হয়েছে। নির্দেশে আরও বলা হয়েছে যে ভারতের প্রাচীন ঐতিহ্য, যেমন যোগব্যায়ামের উপর প্রবন্ধ রচনার প্রতিযোগিতা, বক্তৃতামালার মধ্যমে বর্তমান সময়ে প্রাসঙ্গিক বিষয়কে উপস্থাপন করতে হবে। একই ভাবে জন্মাষ্টমীর (Krishna-Janmashtami) সময় ভগবান শ্রীকৃষ্ণের মন্দিরগুলিকে পরিষ্কার করা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন নিশ্চিত করতে জেলাশাসকদের বিশেষ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জনপাভা (দেওয়াস), আমঝেরা (ধর), নারায়ণ এবং সন্দীপনি আশ্রম (উজ্জয়ন) সহ একাধিক জায়গা যেখানে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জীবন কথা জড়িত হয়ে আছে, সেই ধর্মীয় স্থানগুলিতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের প্রয়োজনীয়তার কথাও বলা হয়।

    আরও পড়ুন: উচ্চ অসম ছাড়তে হবে সপ্তাহের মধ্যে, মিঞাদের ডেডলাইন ৩০ সংগঠনের

    কংগ্রেসকে পাল্টা তোপ বিজপির

    ভোপাল-মধ্যের কংগ্রেস বিধায়ক আরিফ মাসুদ মধ্যপ্রদেশ (Madhya Pradesh) সরকারের এই নির্দেশিকাকে (Krishna-Janmashtami) তীব্র কটাক্ষ করেছেন। তিনি বলেন, “কেন এই সরকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করতে চাইছে? ধর্মীয় উপলক্ষ্যে ছুটি ঘোষণা করার বিধান তো রয়েছেই।” পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় দিয়ে ভোপালের হুজুরের বিজেপি বিধায়ক রামেশ্বর শর্মা, সরকারের এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন করে বলেন, “আমাদের সরকার রাজ্য জুড়ে জন্মাষ্টমী উদযাপন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এটা সরকারের ইতিবাচক পদক্ষেপ।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ

  • Assam: উচ্চ অসম ছাড়তে হবে সপ্তাহের মধ্যে, মিঞাদের ডেডলাইন ৩০ সংগঠনের

    Assam: উচ্চ অসম ছাড়তে হবে সপ্তাহের মধ্যে, মিঞাদের ডেডলাইন ৩০ সংগঠনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নাবালিকা ধর্ষণে নাম জড়িয়েছে মুসলমান সম্প্রদায়ের তিন তরুণের। তিনজনেই মিঞা মুসলমান (Miya Muslim) সম্প্রদায়ের। অসমের (Assam) ধিং এলাকার ঘটনা। তার পরেই সাত দিনের আলটিমেটাম দিয়েছে সেখানকার তিরিশটি সংগঠন।

    মিঞা মুসলমান (Assam)

    উল্লেখ্য যে, অসমে মুসলমান সম্প্রদায়ের দু’টি শাখা। একটি অসমের নিজস্ব। আর অন্যটি বাংলাদেশ ওরিজিন। যারা বাংলাদেশি ওরিজিন, তাদেরই এলাকা ছাড়ার জন্য সাতদিনের আলটিমেটাম দেওয়া হয়েছে। তাই অহম যুব পরিষদের তরফে বলা হয়েছে, “পুরো ঘটনাটা ঘটিয়েছে মিঞা মুসলমানরা। অসমে মিঞা মুসলমান এখন ক্যান্সারে পরিণত হয়েছে। নামনি অসমে অনেক মিঞা মুসলমান রয়েছে। তারা ধর্ষণ, ছিনতাই, মাদক ব্যবসার মতো অপরাধের সঙ্গে জড়িত। ওদের কাজে মানুষ বিরক্ত।”

    আলটিমেটাম

    সংগঠনটির তরফে আরও বলা হয়েছে, “নামনি অসমের মতো ঘটনা উচ্চ অসমেও ঘটতে পারে ভেবে তারা উদ্বিগ্ন। তাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মুসলমানদের উচ্চ অসম থেকে বহিষ্কার করতে বলা হয়েছে সরকারকে। এজন্য আমরা একটা সময়সীমাও নির্ধারণ করেছি। সরকার কোনও ব্যবস্থা না নিলে, অহোম যুব পরিষদ শক্তি প্রয়োগ করে হলেও তাদের উচ্ছেদ করবে। আগামী সাত দিনের মধ্যে তাদের এখান থেকে চলে যেতে হবে। এটাই আমাদের শেষ কথা।”

    আরও পড়ুন: ‘‘নারীদের ওপর অত্যাচারের ঘটনা ক্ষমার অযোগ্য’’, আরজি কর-কাণ্ডের আবহে বললেন মোদি

    যে ৩০টি সংগঠন এই সময়সীমা জারি করেছে, তার মধ্যে রয়েছে অল তাই আহোম স্টুডেন্টস ইউনিয়ন, অসমিয়া যুব মঞ্চ, অসমিয়া মহিলা মঞ্চ (Assam), বীর লচিত সেনা, অল অসম আদিবাসী ছাত্র ইউনিয়ন, কৃষক মুক্তি সংগ্রাম সমিতি, ছাত্র মুক্তি সংগ্রাম সমিতি, অসম সাব্বাস ট্রাইবাল স্টুডেন্টস ইউনিয়ন, গড়িয়া মারিয়া দেশি জাতীয় পরিষদ, চুতিয়া জাতীয় যুব সম্মেলন, সমস্ত অসম চুতিয়া ছাত্র ইউনিয়ন, সমস্ত অসম সোনোয়াল কাচারি ছাত্র ইউনিয়ন, তাই অহোম যুব পরিষদ, সমস্ত অসম সোনোয়াল কাছারি ছাত্র ইউনিয়ন, তাই অহোম যুবসমাজ কাউন্সিল অল মোরান স্টুডেন্টস ইউনিয়ন, অহোম সেনা ও অন্যান্য। মিঞা মুসলিম শ্রমিকদের বরখাস্ত করার জন্য স্থানীয় ব্যবসায়ীদেরও বলেছে (Miya Muslim) তারা (Assam)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Kiren Rijiju: “রাহুলের মন্তব্য বালক বুদ্ধির পরিচায়ক”, মিস ইন্ডিয়া ইস্যুতে পাল্টা তোপ রিজিজুর

    Kiren Rijiju: “রাহুলের মন্তব্য বালক বুদ্ধির পরিচায়ক”, মিস ইন্ডিয়া ইস্যুতে পাল্টা তোপ রিজিজুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “রাহুল গান্ধীর মন্তব্য বালক বুদ্ধির পরিচায়ক।” রবিবার এই ভাষায়ই কংগ্রেস নেতা তথা বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীকে আক্রমণ শানালেন সংখ্যালঘু ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজু (Kiren Rijiju)। তিনি বলেন, “রাহুল যেভাবে মিস ইন্ডিয়া, সিনেমা ও খেলাধুলোয় সংরক্ষণ চাইছেন, সেটা বালক বুদ্ধির পরিচায়ক।”

    কী বললেন রিজিজু? (Kiren Rijiju)

    এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, “এখন তিনি (রাহুল গান্ধী) মিস ইন্ডিয়া প্রতিযোগিতা, ফিল্ম, খেলাধুলোয় সংরক্ষণ চাইছেন। এটা যে কেবল বালক বুদ্ধির পরিচায়ক তাই নয়, যাঁরা তাঁকে উৎসাহ দিচ্ছেন, তাঁরাও একই রকম।” তিনি আরও বলেন, “শিশুসুলভ এহেন আচরণ বিনোদনের খোরাক হতে পারে। তবে এভাবে পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়কে উপহাস কিংবা আন্ডার এস্টিমেট করা উচিত নয়।”

    কী বলেছিলেন রাহুল?

    ঘটনার সূত্রপাত শনিবার। এদিন যুব কংগ্রেসের ‘সংবিধান সম্মান’ সম্মেলনে ভাষণ দেন কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি। সেখানেই রাহুল (Rahul Gandhi) বলেন, “আমি মিস ইন্ডিয়ার তালিকাটা দেখছিলাম। ভেবেছিলাম, অন্তত একজন আদিবাসী বা দলিত মহিলা থাকবেন। কিন্তু ওই তালিকায় একজনও দলিত, ওবিসি কিংবা আদিবাসী নেই।” তিনি বলেন, “তা সত্ত্বেও (Kiren Rijiju) সংবাদমাধ্যমে নাচ-গান, সিনেমা, ক্রিকেট, বলিউড – এসব নিয়ে কথা হয়। কৃষক-শ্রমিকদের সমস্যা নিয়ে কথা হয় না।” রাহুল বলেন, “আগামিদিনে নীতি নির্ধারণের মূল ভিত্তি হতে পারে জাতিগত জনগণনা।” প্রসঙ্গত, অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে এবং ইস্তাহারে গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টি বলেছিল, কংগ্রেসকে ভোট দিলে জাতি, উপজাতি এবং তাদের আর্থ-সামাজিক অবস্থার গণনা করতে দেশব্যাপী আর্থ-সামাজিক কাস্ট শুমারি হবে।”

    আরও পড়ুন: মোদি-যোগীর প্রশংসা, স্ত্রীর গায়ে ফুটন্ত ডাল ছুড়ে তিন তালাক যুবকের!

    গত এপ্রিলে এক নির্বাচনী জনসভায় ভাষণ দেওয়ার সময় রাহুল এও বলেছিলেন, “কংগ্রেস কেন্দ্রে সরকার গড়লে, দেশবাসীর মধ্যে সম্পদের বণ্টন নিশ্চিত করতে আর্থিক ও প্রাতিষ্ঠানিক সমীক্ষা চালাবে।” রাহুলের (Rahul Gandhi) ওই মন্তব্যে ব্যাপক সমালোচনার ঝড় ওঠে। মুখ খুলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্বয়ং। তিনি বলেছিলেন, “কংগ্রেস দেশের সম্পদ অনুপ্রবেশকারী ও যাদের বেশি সন্তান আছে, তাদের মধ্যে বিতরণ করবে (Kiren Rijiju)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: ‘‘নারীদের ওপর অত্যাচারের ঘটনা ক্ষমার অযোগ্য’’, আরজি কর-কাণ্ডের আবহে বললেন মোদি

    PM Modi: ‘‘নারীদের ওপর অত্যাচারের ঘটনা ক্ষমার অযোগ্য’’, আরজি কর-কাণ্ডের আবহে বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর-কাণ্ডের আবহে মহিলাদের বিরুদ্ধে হওয়া অপরাধে (Crimes Against Women) কঠোর পদক্ষেপের আশ্বাস দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। রবিবারই প্রধানমন্ত্রী হাজির ছিলেন মহারাষ্ট্রের জলগাঁওয়ে ‘লাখপতি দিদি’ সম্মেলনে। সেখানে প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi) বলেন, ‘‘নারীদের নিরাপত্তা অত্যন্ত জরুরি বিষয়। আমি আবার সব রাজ্য সরকারকে বলব নারীদের ওপর অত্যাচারের ঘটনা ক্ষমার অযোগ্য। যারাই দোষী তাদের যেন ছাড় না দেওয়া হয়।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘যে মহিলাদের অত্যাচার করে এবং যে তাকে বাঁচায়, তাদের শাস্তি হওয়া উচিত। হাসপাতাল হোক বা থানা, যেখানেই গাফিলতি, সেখানেই উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে হবে।’’

    বিয়ের মিথ্যে প্রতিশ্রুতি এবং প্রতারণার জন্য ভারতীয় ন্যায় সংহিতায় আইন রয়েছে

    এদিন ওই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) আরও বলেন, ‘‘নাবালকদের বিরুদ্ধে যৌন অপরাধের ঘটনায় নতুন আইনে মৃত্যুদণ্ড এবং যাবজ্জীবন সাজার জায়গা রয়েছে। এর আগে বিয়ের নাম করে মেয়েদের সঙ্গে প্রতারণা করা হলেও এই অপরাধের জন্য আলাদা করে কোনও আইন ছিল না। এখন বিয়ের মিথ্যে প্রতিশ্রুতি এবং প্রতারণার জন্য ভারতীয় ন্যায় সংহিতায় আইন রয়েছে।’’

    বিয়ের পরে মহিলাদের ওপর হওয়া অপরাধ নিয়ে কী বললেন মোদি (PM Modi)?

    বিয়ের পরে মহিলাদের ওপর হওয়া অপরাধের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার এই ধরনের অপরাধগুলি মোকাবিলা করতে বিএনএস-এ অনেক সংশোধনী এনেছে।’’ মহিলাদের নিরাপত্তার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আরও বলেন, ‘‘সমাজ এবং প্রতিটি সরকারের কর্তব্যই হল মহিলাদের নিরাপত্তা এবং মর্যাদাকে রক্ষা করা। আমরা কঠোর আইন এনেছি। মহিলাদের বিরুদ্ধে যারা অপরাধ (Crimes Against Women) করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করা হবে।’’

    ই-এফআইআর চালু করা হয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আরও জানিয়েছেন ভারতীয় ন্যায় সংহিতা চালু হওয়াতে বিচার ব্যবস্থা আরও সহজ হয়েছে। এখন সহজেই অভিযোগ দায়ের করা যায় বলে জানিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, ‘‘আগে প্রায় অভিযোগ আসত যে এফআইআর দায়ের হয়নি কিন্তু আমরা ভারতীয় ন্যায় সংহিতা এনেছি এবং আগের ব্যবস্থার অনেকটাই সংশোধন করেছি। এখন কোনও মহিলা যদি থানায় নাও যেতে চান তবে তিনি ই-এফআইআর দায়ের করতে পারেন। কোনও ব্যক্তি ই-এফআইআর বদলাতে পারেন না।’’

    তাঁর সরকারের লক্ষ্য মহিলা সশক্তিকরণ

    বিগত ১০ বছর ধরে তাঁর সরকার মহিলাদের উন্নতি ও সশক্তিকরণে নানা কাজ করেছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। প্রধানমন্ত্রীর মতে, ‘‘স্বাধীনতার পর থেকে আগের যে সমস্ত সরকার মহিলাদের জন্য যা কাজ করেছে গত ১০ বছরে তার চেয়ে অনেক বেশি কাজ হয়েছে।’’ এ বিষয়ের রীতিমত তথ্য-পরিসংখ্যান তুলে ধরেন মোদি এবং তিনি বলেন, ‘‘২০১৪ সাল পর্যন্ত যে পরিসংখ্যান দেখা যাচ্ছে তাতে মহিলাদের স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলিকে ২৫ হাজার কোটি টাকারও কম ঋণ দেওয়া হয়েছিল কিন্তু বিগত ১০ বছরে সরকার ঋণ দিয়েছে ৯ লাখ কোটি টাকা।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Railway Accident: সাম্প্রতিক রেল দুর্ঘটনাগুলির পিছনে রয়েছে গভীর ষড়যন্ত্র, দাবি রেল প্রতিমন্ত্রীর

    Railway Accident: সাম্প্রতিক রেল দুর্ঘটনাগুলির পিছনে রয়েছে গভীর ষড়যন্ত্র, দাবি রেল প্রতিমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতে সবথেকে বেশি যে সব গণপরিবহণ ব্যবহার করা হয়, তার মধ্যে প্রধান যোগাযোগের মাধ্যম হল রেল। অথচ সাম্প্রতিক সময়ে রেল দুর্ঘটনার (Railway Accident) খবরে দেশজুড়ে শোরগোল পড়েছে। বালেশ্বর রেল দুর্ঘটনা থেকে শুরু করে রাঙাপানিতে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনা সহ ট্রেনে আগুন লাগা, কামরা লাইনচ্যুত হওয়ার ঘটনা বেশ কয়েকটি ঘটেছে। সব মিলিয়ে গত কয়েক মাসে এক ডজনের বেশি দুর্ঘটনার খবর পাওয়া গিয়েছে। এখন প্রশ্ন হল, সবটাই কি নিছন দুর্ঘটনা, নাকি কোনও বৃহৎ ষড়যন্ত্র। এবার এই বিষয়ে মন্তব্য করলেন কেন্দ্রীয় রেল প্রতিমন্ত্রী (Minister of Railway) রভনীত সিং বিট্টু।

    রেল দুর্ঘটনার পিছনে রয়েছে ষড়যন্ত্র (Railway Accident)

    শনিবার রেল প্রতিমন্ত্রী (Minister of Railway) বিট্টু বলেন, “সম্প্রতি দেশে যে সব রেল দুর্ঘটনা (Railway Accident) ঘটেছে তার তদন্তে চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। সবটাই ভয়ঙ্কর গভীর চক্রান্ত। ঠিক একদিন আগেই আলিগড়ে রেলের লাইনে অ্যালয় হুইল পাওয়া গিয়েছে। এর মানেই হল রেলে বড়সড় ষড়যন্ত্র চলছে। একে একে সব সামনে উঠে আসছে।” এখন প্রশ্ন হল কে এই ষড়যন্ত্র করছে? উত্তরে মন্ত্রী বলেছেন, “দেশে নরেন্দ্র মোদি তৃতীয় বারের জন্য সরকার গঠন করেছেন। দেশের অভ্যন্তরীণ অপশক্তি এবং বিদেশি শক্তি একযোগে কাজ করছে। রেল হল ভারতের লাইফ লাইন। তাকে ধ্বংস করে দেশে অস্থিরতা তৈরি করতে চাওয়া হচ্ছে। সম্প্রতি রেলদুর্ঘটনাগুলি এই অপশক্তির ষড়যন্ত্র ছাড়া আর কিছুই না।”

    ফারুখাবাদ এক্সপ্রেস অল্পের জন্য রক্ষা!

    শুক্রবার, ২৩ অগাস্ট রাতে উত্তরপ্রদেশের কাসগঞ্জ ও ফারুখাবাদের মধ্যে চলা ফারুখাবাদ এক্সপ্রেস ট্র্যাকে রাখা একটি কাঠের গুঁড়ি সংস্পর্শে এসে অল্পের জন্য বড়সড় দুর্ঘটনা (Railway Accident) থেকে রক্ষা পায়। জানা গিয়েছে, ট্রেনটিতে প্রথমে হঠাৎ ঝাঁকুনি অনুভব হয়, এরপর লোকো পাইলট জরুরি ব্রেক করে ট্রেনটিকে থামান। পরে আরও জানা যায় যে কাঠের ওই গুঁড়িটি ট্রেনের ইঞ্জিনের নীচে আটকে গিয়েছিল। এরপর রেলকর্মীরা কাঠের গুঁড়িকে সরিয়ে ট্র্যাক পরিষ্কার করে দেওয় হয়। ঘটনায় ২৫ মিনিট ধরে ট্রেন চলাচলে ব্যঘাত ঘটেছিল। পরে শামশাবাদ রেল স্টেশনে পৌঁছে লোকো পাইলট বিষয়টি অভিযোগ আকারে জানান। তাঁর সঙ্গে ছিলেন গভর্নমেন্ট রেলওয়ে পুলিশ (জিআরপি), রেলওয়ে প্রোটেকশন ফোর্স (আরপিএফ) এবং ডগ স্কোয়াড। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে পার্শ্ববর্তী গ্রামগুলিও পরিদর্শন করেছে নিরাপত্তা বাহিনী। তবে এমন ঘটনা এই প্রথম নয়। গত ১৭ অগাস্ট রাতে কানপুরের গোবিন্দপুরী স্টেশনের কাছে সবরমতি এক্সপ্রেস ট্রেনের ইঞ্জিন লাইনচ্যুত হওয়ার ঘটনা ঘটেছিল। ফলে সবটাই গভীর ষড়যন্ত্রের অঙ্গ বলে মনে করছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share