Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Sanjiv Khanna: ছেলে চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট হোক চাইতেন হবু প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার বাবা-মা!

    Sanjiv Khanna: ছেলে চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট হোক চাইতেন হবু প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার বাবা-মা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাবা-মা চেয়েছিলেন ছেলে চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট হোক। কারণ তাঁরা মনে করতেন, আইনজীবীর পেশা চ্যালেঞ্জ ও কষ্টে ভরা। ছেলের দু’চোখে অবশ্য অন্য স্বপ্ন। কালো গাউন পরে সওয়াল করছেন কোনও বিচারপ্রার্থীর হয়ে! শেষমেশ জয় হয়েছিল ছেলের ইচ্ছে শক্তির। আইনজীবী হিসেবেই পেশা শুরু করেছিলেন। তিনিই হতে যাচ্ছেন দেশের ৫১তম প্রধান বিচারপতি (CJI)। তিনি সঞ্জীব খান্না। ১১ নভেম্বর শপথ নেবেন তিনি।

    কাকার প্রেরণাতেই আইনি পেশায় আসা (Sanjiv Khanna)

    তাঁর কাকা এইচআর খান্না ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি। মূলত কাকার অনুপ্রেরণাতেই পেশা হিসেবে আইনকেই বেছে নেন সঞ্জীব। সঞ্জীবের ঘনিষ্ঠ সূত্রে খবর, তিনি (সঞ্জীব) সবসময় তাঁর কাকাকে আদর্শ মানতেন। তাঁর কাজ গভীর মনোযোগ সহকারে অনুসরণ করতেন। এটি কেবল আইনেই সীমাবদ্ধ ছিল না। বিচারপতি এইচআর খান্না শুধু তাঁর নিজের নয়, পরিবারের অন্য সদস্যদেরও জুতো পালিশ করতেন। তিনি নিজের কাপড়ও নিজেই ধুতেন। সঞ্জীব বিচারপতি এইচআর খান্নার সমস্ত রায়, নোট, রেজিস্টার সংরক্ষণ করেছেন বলেও জানা গিয়েছে। অবসর নেওয়ার পর এগুলি তিনি সুপ্রিম কোর্টের গ্রন্থাগারে দান করতে চান সঞ্জীব।

    স্মৃতিমেদুর সঞ্জীব

    ২০১৯ সালে বিচারপতি সঞ্জীব খান্না সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসেবে তাঁর প্রথম দিন কাটিয়েছিলেন সেই আদালত কক্ষে, যেখানে তাঁর কাকা বসে কাজ করেছিলেন। বিচারপতি এইচআর খান্নার প্রতিকৃতি সেই কক্ষে রয়েছে। তবে সঞ্জীব (Sanjiv Khanna) সেখানে কখনও নিজের ছবি তোলেননি। অবসর নেওয়ার আগে তিনি তা করতে পারেন বলেই অনুমান তাঁর পরিবারের। ১৩ মে ২০২৫ সালে অবসর নেওয়ার কথা সঞ্জীবের। দেশের হবু প্রধান বিচারপতি সঞ্জীবের মা সরোজ খান্না লেডি শ্রীরাম কলেজের লেকচারার ছিলেন। তাঁর বাবা দেবরাজ খান্না ছিলেন আইনজীবী। পরে তিনি হয়েছিলেন দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি।

    আরও পড়ুন: “আমি ক্ষমতায় থাকলে…’’, বাংলাদেশে হিন্দু নিধন নিয়ে সরব ট্রাম্প, দিলেন ‘বন্ধু’ মোদিকে বিশেষ বার্তা

    ১৯৭৬ সালে হেবিয়াস কর্পাস মামলায় বিচারপতি এইচআর খান্না ভিন্নমত প্রদর্শন করে রায় দিয়েছিলেন। ১৯৭৭ সালের জানুয়ারিতে যখন ইন্দিরা গান্ধীর সরকার (Sanjiv Khanna) বিচারপতি এমএইচ বেগকে দেশের প্রধান বিচারপতি (CJI) হিসেবে নিয়োগ করেন, তখন পদত্যাগ করেন বিচারপতি এইচআর খান্না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Diwali Wishes: অন্ধকার থেকে আলোয় ফেরার উদযাপন, দীপাবলির শুভেচ্ছা রাষ্ট্রনেতাদের

    Diwali Wishes: অন্ধকার থেকে আলোয় ফেরার উদযাপন, দীপাবলির শুভেচ্ছা রাষ্ট্রনেতাদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আলোর উৎসব দীপাবলি। অন্ধকার থেকে আলোয় ফেরার উদযাপন। ভারত তথা সারা বিশ্বের হিন্দু সম্প্রদায়ের কাছে এই উৎসবের গুরুত্ব ও মাহাত্ম্য অপরিসীম। তাই, বিশ্বের বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ ও বিদেশী রাষ্ট্রদূতরা দীপাবলি উপলক্ষে শুভেচ্ছা (Diwali Wishes) জানিয়েছেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন থেকে শুরু করে প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বাদ গেলেন না কেউই। ভারতে বিভিন্ন দূতাবাসের তরফেও দীপাবলির শুভেচ্ছা-বার্তা পাঠানো হয়।

    মার্কিন-ব্রিটেন বার্তা

    মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন দীপাবলির শুভেচ্ছা (Diwali Wishes) জানিয়ে ট্যুইট করেছেন, “এই দীপাবলিতে, আমরা আলো জমায়েতের শক্তি দেখাই। জ্ঞানের আলো, ঐক্যের আলো, সত্যের আলো। স্বাধীনতার আলো, গণতন্ত্রের আলো, একটি আমেরিকার আলো যেখানে কিছুই অসম্ভব নয়।” প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও দীপাবলির শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেছেন, “আলোর উৎসবটি ন্যায়ের বিজয়ে সাহায্য করুক।”

    ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার দীপাবলির শুভেচ্ছা (Diwali Wishes) জানিয়ে বলেছেন, এটি “একত্রিত হওয়ার সময়” এবং “একটি মুহূর্ত যখন আমরা সেই আলোর দিকে নজর দিতে পারি যা সর্বদা অন্ধকারকে পরাজিত করে।” তিনি ১০ ডাউনিং স্ট্রিটে দীপাবলি উদযাপনের ছবিও পোস্ট করেছেন। তিনি ব্রিটেনে বসবাসকারী সকল হিন্দুদের দীপাবলির বিশেষ শুভেচ্ছা জানান। তাঁদের সঙ্গে আনন্দময় মুহূর্ত ভাগ করে নেন। 

    আরব-ইজরায়েল বার্তা

    সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন রাশিদ আল মাকতুম হিন্দিতে দীপাবলির শুভেচ্ছা (Diwali Wishes) জানিয়ে বলেছেন, “দীপাবলির এই উৎসব আপনাদের সকলের জীবনে সুখ ও উষ্ণতা নিয়ে আসুক।” অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ দীপাবলিকে “আনন্দ, আশা ও ঐক্যের উৎসব” হিসেবে বর্ণনা করেছেন এবং বলেন, “এই আনন্দের উৎসবটি বিশ্বাস ও সংস্কৃতির একটি অতুলনীয় সুন্দর উদযাপন।”

    ইজরায়েলের বিদেশমন্ত্রী ইজরায়েল কাটজ ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের উদ্দেশ্যে বলেছেন, “আমি আপনাকে ও ভারতের জনগণকে দীপাবলির শুভেচ্ছা (Diwali Wishes) জানাই! আলোর উৎসব আমাদের সকলকে আনন্দ, সমৃদ্ধি এবং শান্তি নিয়ে আসুক।” নরওয়ে এবং রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত, জাপানের রাষ্ট্রদূত এবং মার্কিন রাষ্ট্রদূতও দীপাবলির শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। ইজরায়েলের দূতাবাসও একটি ভিডিও পোস্ট করে জানিয়েছে, “সকলকে দীপাবলির শুভেচ্ছা। আলোর উৎসবের উদযাপন করে, আমরা অন্ধকারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রদীপ জ্বালাই।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Dayanand Saraswati: আজ স্বামী দয়ানন্দ সরস্বতীর প্রয়াণ তিথি, ফিরে দেখা তাঁর কর্মকাণ্ড

    Dayanand Saraswati: আজ স্বামী দয়ানন্দ সরস্বতীর প্রয়াণ তিথি, ফিরে দেখা তাঁর কর্মকাণ্ড

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বামী দয়ানন্দ সরস্বতীর (Dayanand Saraswati) প্রয়াণ তিথি আজ অর্থাৎ ১ নভেম্বর। তিনি মনে করতেন, এদেশের শাশ্বত সংস্কৃতি এবং আধ্যাত্মিক গ্রন্থগুলির মাধ্যমেই বর্তমান যুগের সব সমস্যার সমাধান করা সম্ভব। স্বামী দয়ানন্দ সরস্বতী আজীবন সত্যের আরাধনা করে গিয়েছেন। প্রতিটি মানুষকে সত্যের উপাসনা করার জন্য তিনি সর্বদা প্রেরণা দিতেন। একটি পত্রিকাও চালু করেছিলেন দয়ানন্দ সরস্বতী (Dayanand Saraswati), যার নাম ছিল সত্যার্থ প্রকাশ। সেখানেই তিনি বেদ, মনুস্মৃতি, উপনিষদ, ব্রাহ্মণ প্রভৃতি বিষয়ে আলোচনা করতেন। সত্যার্থ প্রকাশের মাধ্যমেই, সমাজ গঠন, উন্নত জীবন-যাপন কীভাবে করা যায়, সে কথা বলতেন তিনি। ধর্ম, সংস্কৃতি, প্রকৃত ভগবান, ইত্যাদি নানা বিষয়ে মতামত দিয়ে গিয়েছেন তিনি। তিনি ছিলেন একজন বৈদিক পণ্ডিত, লেখক, দার্শনিক, সমাজ সংস্কারক সর্বোপরি একজন যোগী।

    ‘বেদের (Vedas) যুগে ফিরে চলো’

    আর্য সমাজের প্রতিষ্ঠাতা স্বামী দয়ানন্দ সরস্বতী (Dayanand Saraswati) জন্মগ্রহণ করেন ১২ ফেব্রুয়ারি ১৮২৪ সালে। উনবিংশ শতকের এই মহান কর্মযোগী দার্শনিক এবং সনাতন ধর্মের প্রচারক হিসাবে সামাজিক এবং শিক্ষামূলক বিভিন্ন সংস্কার আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তাঁর মূল বাণী ছিল, ‘বেদের যুগে ফিরে চলো’। এই আদর্শেই তিনি জীবন অতিবাহিত করেছেন। সমগ্র হিন্দু সমাজকে সংগঠিত করার ক্ষেত্রে তাঁর অবদান অনস্বীকার্য। ঊনবিংশ শতকের এই মহান কর্মযোগী মাত্র ৫৯ বছর বয়সে ৩০ অক্টোবর ১৮৮৩ সালে প্রয়াত হন।

    সামাজিক, ধর্মীয় এবং শিক্ষামূলক নানা সংস্কার আন্দোলন
     
    সামাজিক, ধর্মীয় এবং শিক্ষামূলক নানা সংস্কার আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছেন দয়ানন্দ সরস্বতী। এর মধ্যে ১৮৭৫ খ্রিস্টাব্দে তিনি স্থাপন করেন আর্য সমাজ। যার মূল উদ্দেশ্য ছিল বেদের প্রচার এবং ব্যক্তি জীবন ও সমাজ জীবনের সর্বাঙ্গীন বিকাশ। বেদের (Vedas) যুগে ফিরে যাওয়া ছাড়াও আর্য সমাজের অন্যতম উদ্দেশ্য ছিল বর্ণবিদ্বেষের বিরুদ্ধে লড়াই। তিনি শুদ্ধি আন্দোলনও শুরু করেছিলেন। যে সমস্ত হিন্দুরা ধর্মান্তরিত হতেন, শুদ্ধি আন্দোলনের মাধ্যমে পুনরায় তাঁদের হিন্দু ধর্মে ফিরিয়ে আনা হত।

    চরমপন্থী জাতীয়তাবাদের বিকাশেও স্বামী দয়ানন্দ সরস্বতীর চিন্তাধারা যথেষ্ট প্রভাব ফেলেছিল

    বৈদিক সাহিত্যের প্রচার এবং বৈদিক শিক্ষার জন্য সারা জীবন প্রয়াস চালিয়ে গিয়েছেন স্বামী দয়ানন্দ সরস্বতী (Dayanand Saraswati)। কারণ তিনি মনে করতেন যে হিন্দু ধর্মের আধ্যাত্মিকতা, শারীরিক, মানসিকভাবে যে কোনও হিন্দুর বিকাশ সম্ভব বেদকে অধ্যয়ন করে, বেদের অন্তর্নিহিত সত্যকে উপলব্ধি করে। আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থা এবং জ্ঞানের বিকাশের জন্য বৈদিক সাহিত্য অপরিহার্য বলেই তিনি মনে করতেন। বৈদিক সাহিত্যের প্রচারের জন্য তিনি স্কুল এবং কলেজ স্থাপনও করতেন। দয়ানন্দ সরস্বতী ‘সত্যার্থ প্রকাশ’ নামে একটি পত্রিকা বের করতেন। পত্রিকার মাধ্যমে সামাজিক এবং বিভিন্ন ধর্মীয় কুসংস্কারের বিরুদ্ধে তিনি আওয়াজ তুলতেন। এটা মনে করা হয় যে ভারতবর্ষের চরমপন্থী জাতীয়তাবাদের বিকাশেও স্বামী দয়ানন্দ সরস্বতীর চিন্তাধারা যথেষ্ট প্রভাব ফেলেছিল।

    বৈদিক শিক্ষার মাধ্যমেই ভারতের সমাজ এবং সভ্যতার পুনর্জাগরণ সম্ভব

    এছাড়াও স্বামী দয়ানন্দ সরস্বতী রচনা করেছিলেন বেদভাষ্য ভূমিকা এবং বেদভাষ্য। একইসঙ্গে আর্য পত্রিকাও তিনি সম্পাদনা করতেন বলে জানা যায়। যেখানে প্রতিফলিত হত, তাঁর চিন্তাধারা। তিনি মনে করতেন, স্বার্থপর এবং দায়িত্বজ্ঞানহীন পুরোহিতরাই হিন্দু ধর্মকে বিপথগামী করে তুলছে। হিন্দু সংস্কৃতিকে তিনি ভারতবর্ষের ভিত্তি মানতেন। এছাড়াও জানা যায়, যেকোনও ধরনের জাতিভেদ প্রথারও বিরোধী ছিলেন তিনি। শুধু তাই নয়, এই সমস্ত সামাজিক ব্যধির বিরুদ্ধে তিনি আন্দোলনও গড়ে তুলেছিলেন তিনি। নারী স্বাধীনতা এবং সমাজের বঞ্চিত শ্রেণীর ক্ষমতায়নের পক্ষেও তিনি বারবার আওয়াজ তুলেছেন। স্বামী দয়ানন্দ সরস্বতী মনে করতেন, বৈদিক শিক্ষার মাধ্যমেই ভারতের সমাজ এবং সভ্যতার পুনর্জাগরণ সম্ভব। এজন্য তিনি অসংখ্য গুরুকুল স্থাপন করেন। পুরুষ-নারীদের আলাদা আলাদা গুরুকূল তিনি স্থাপন করেছিলেন।

    তিনিই প্রথম স্বরাজ কথাটি ব্যবহার করেছিলেন 

    দয়ানন্দ সরস্বতী সারা জীবন সচেষ্ট ছিলেন যে পাশ্চাত্য সংস্কৃতির প্রভাব থেকে এ দেশকে কীভাবে মুক্ত করা যায়, সে বিষয়ে। একই সঙ্গে গণতন্ত্র এবং জাতির গঠন নিয়ে তিনি অনেক জায়গাতেই বক্তৃতা করেছেন বলে জানা যায়। তিনিই ছিলেন প্রথম ব্যক্তি যিনি স্বরাজ কথাটি সর্ব প্রথম ব্যবহার করেছিলেন। রাজনৈতিক স্বাধীনতার জন্যও তিনি আওয়াজ তুলতেন। পরবর্তীকালে লোকমান্য তিলক যে স্বরাজ-এর কথা বলতেন, সেই ধারনা তিনি স্বামী দয়ানন্দ সরস্বতীর (Dayanand Saraswati) কাছ থেকেই পেয়েছিলেন বলে মনে করা হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Indian Railway: ১২০ থেকে কমে ৬০ দিন, ট্রেনের অগ্রিম টিকিট কাটার নিয়মে বদল, কার্যকর আজ থেকে

    Indian Railway: ১২০ থেকে কমে ৬০ দিন, ট্রেনের অগ্রিম টিকিট কাটার নিয়মে বদল, কার্যকর আজ থেকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি ট্রেন বুকিং-এর নিয়মে বদল এনেছে মোদি সরকার। আজ অর্থাৎ ১ নভেম্বর থেকে ৬০ দিনের আগে আর বুকিং করা যাবে না। অর্থাৎ, আজ ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত তারিখের যাত্রার জন্যে আগাম টিকিট কাটা যাবে। ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত যাঁরা ১২০ দিন পরের আগাম টিকিট কেটে রেখেছেন, নতুন নিয়মে তাঁদের ওপর কোনও প্রভাব পড়বে না। সমস্ত যাত্রী যাতে টিকিট পেতে পারেন, সে কথা মাথায় রেখেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে মোদি সরকার। আসলে টিকিটের প্রাপ্যতা বৃদ্ধি করাই এমন সিদ্ধান্তের মূল উদ্দেশ্য বলে জানিয়েছে রেল (Indian Railway)।

    ৬০ দিনের বেশি সময় আগে করা ২১ শতাংশ টিকিটই বাতিল হয়ে যায়!

    রেলের (Indian Railway) তরফে জানানো হয়েছে, ৬০ দিনের বেশি সময় আগে বুকিং করা রিজার্ভেশন টিকিটের প্রায় ২১ শতাংশই বাতিল করা হয়। শুধু তাই নয়, টিকিট বাতিল না করলেও, ট্রেনে যাত্রা করেন না আরও ৫ শতাংশ যাত্রী। ফলে, ওই আসনগুলির টিকিট নষ্টই হয়। এমন পরিস্থিতি দেখেই রেল বোর্ড এই নতুন নিয়ম চালু করেছে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

    বুকিং উইন্ডো ছোট হওয়ার কারণে যাত্রীদের ভ্রমণের পরিকল্পনা করা আরও সহজ হবে

    নতুন এই ঘোষণার পরেই টিকিটের (Indian Railway) প্রাপ্যতা বৃদ্ধি হবে বলেই মনে করা হচ্ছে। টিকিট বাতিল ও অনুপস্থিতির প্রবণতা কমলে যাঁরা সত্যি যাত্রা করতে চান, তাঁদের জন্য আরও বেশি টিকিট থাকবে। অর্থাৎ ওয়েটিং-এ যাওয়ার প্রবণতা কমবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। বুকিং উইন্ডো ছোট হওয়ার কারণে যাত্রীদের ভ্রমণের পরিকল্পনা করা আরও সহজ হবে বলে মনে করছেন অনেকেই।

    ২০১৫ সালে ৬০ দিন থেকে বাড়িয়ে ১২০ দিন করা হয়েছিল টিকিট বুকিং

    রেলের (Indian Railway) বক্তব্য, এই নিয়ম (Advance Ticket Booking) পরিবর্তনের ফলে সব যাত্রী সমান পরিষেবার সুযোগ পাবে। তবে বিদেশি পর্যটকদের জন্য ৩৬৫ দিনের রিজারভেশন অপরিবর্তিত থাকবে বলেই জানিয়েছে রেল। প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালে ৬০ দিন থেকে বাড়িয়ে ১২০ দিন করা হয়েছিল এই অগ্রিম টিকিট বুকিং-এর (Advance Ticket Booking) সময়সীমা। ২০২৪ সালে ফের তা আগের জায়গায় ফিরিয়ে আনা হল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Diwali 2024: রামনগরীতে ২৫ লাখেরও বেশি প্রদীপের গণনা কীভাবে? জানালেন গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের কর্তা

    Diwali 2024: রামনগরীতে ২৫ লাখেরও বেশি প্রদীপের গণনা কীভাবে? জানালেন গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের কর্তা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গতকাল অযোধ্যায় (Ayodhya) দুটি বিশ্ব রেকর্ড করে যোগী আদিত্যনাথ সরকার। একসঙ্গে ২৫ লাখ ১২ হাজার ৫৮৫টি প্রদীপ জ্বলে ওঠে রাম নগরীতে। একই সঙ্গে সবচেয়ে বেশি জনতা গতকাল বুধবার হাজির হয় সরযূ নদীর তীরে। এই দুটো ইভেন্টই গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে নথিভুক্ত হয়। কিন্তু কীভাবে গণনা করা হল এত বিপুল সংখ্যক প্রদীপ।

    তিনটি পদ্ধতিতে প্রদীপ গণনা (Diwali 2024)

    প্রসঙ্গত, ২২ জানুয়ারি মন্দিরে প্রবেশ করেন রামলালা। তারপরে এটিই ছিল অযোধ্যার প্রথম দীপোৎসব। সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমকে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের একজন আধিকারিক নিশচাল বাড়ুল জানিয়েছেন, তিনটি পদ্ধতিতে প্রদীপ গণনা করা হয়। গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের দল দীপোৎসবের (Diwali 2024) চারদিন আগেই অযোধ্যায় পৌঁছে যায়। প্রথমে প্রদীপগুলি যখন জ্বলে ওঠেনি, তখন সেই শুকনো প্রদীপগুলিকে গণনা করা হয়, তারপরে যখন তা আলোকিত হয়, সেগুলির একটি সফটওয়্যার অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করে ডিজিটাল ভাবে গণনা করা হয় এবং সবশেষে ড্রোনের মাধ্যমে প্রদীপগুলি আরেকবার গণনা করা হয়। এর পরে ফলাফল প্রকাশ করা হয়।

    আরও পড়ুন: ‘‘সীমান্তের এক ইঞ্চি জায়গা নিয়েও আপস করবে না ভারত’’, গুজরাতের কচ্ছে বললেন মোদি

    ২৫ লাখ প্রদীপ জ্বালানো হয়েছিল ২০ থেকে ২৫ মিনিটের মধ্যেই

    প্রসঙ্গত, এই ২৫ লাখ প্রদীপ জ্বালানো (Ayodhya) হয়েছিল ২০ থেকে ২৫ মিনিটের মধ্যেই। এ নিয়ে নিশচাল বাড়ুল আরও জানিয়েছেন, অযোধ্যার (Diwali 2024) এই দীপোৎসব, অলিম্পিকের থেকেও বেশি চ্যালেঞ্জিং ছিল। তিনি জানিয়েছেন যে এই ২৫ লাখ প্রদীপ জ্বালানো পৃথিবীর ইতিহাসে প্রথমবারের জন্য দেখা গিয়েছে। বৃহস্পতিবারই সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘‘গতকাল অযোধ্যার মানুষদের খুব গর্বের দিন ছিল। কারণ তারা নতুন একটি অ্যাচিভমেন্ট তৈরি করতে পেরেছেন। আমি বিশ্বাস করি অযোধ্যার এই দীপোৎসব নতুন ভাবে সৃজনশীলতার, এক আলাদা পরিবেশ নির্মাণ করতে সক্ষম হয়েছে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: ‘‘সীমান্তের এক ইঞ্চি জায়গা নিয়েও আপস করবে না ভারত’’, গুজরাতের কচ্ছে বললেন মোদি

    PM Modi: ‘‘সীমান্তের এক ইঞ্চি জায়গা নিয়েও আপস করবে না ভারত’’, গুজরাতের কচ্ছে বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্ষমতায় আসার পর থেকেই দীপাবলি (Diwali) উৎসব সেনা জওয়ানদের সঙ্গেই উদযাপন করে থাকেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। এবারেও তার ব্যতিক্রম হল না। বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি  বিএসএফ-এর লঞ্চে গুজরাতের কচ্ছ উপকূলের স্যর ক্রিক এলাকার লক্কি নালায় পৌঁছন। সেখানে গিয়ে বিএসএফ জওয়ানদের মিষ্টিমুখ করান। এর পাশাপাশি সেনা, বায়ুসেনা, নৌবাহিনীর আধিকারিকদেরও শুভেচ্ছা জানান তিনি। কচ্ছে দাঁড়িয়ে মোদি বলেন, ‘‘সীমান্তের এক ইঞ্চি জায়গা নিয়েও আপস করবে না ভারত।’’

    জওয়ানদের সঙ্গে দীপাবলির উৎসব উদযাপন করতে পারাটা সবচেয়ে আনন্দের 

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) এদিন বলেন, ‘‘জওয়ানদের সঙ্গে দীপাবলির উৎসব উদযাপন করতে পারাটা সবচেয়ে আনন্দের। আমি আপনাদের সবাইকে শুভেচ্ছা (Diwali) জানাচ্ছি।’’ প্রধানমন্ত্রী তিন বাহিনীর উদ্দেশ্যে বলেন, ‘‘আমরা একটি সেনা, একটি বায়ুসেনা এবং একটি নৌবাহিনীকে দেখতে পাচ্ছি। কিন্তু তারা একসঙ্গে কাজ করে। আমাদের কাছে তাদের অস্বস্তিও একটাই।’’

    দেশ রক্ষায় মানুষ সামরিক শক্তির ওপর ভরসা করে

    প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) আরও বলেন, ‘‘ভারত সীমান্তের এক ইঞ্চি জায়গা নিয়েও আপস করবে না। দেশ রক্ষায় মানুষ সামরিক শক্তির ওপর ভরসা করে। শত্রুদের কথায় নয়, আমাদের সেনা জওয়ানদের দৃঢ়তায় আস্থা রাখি। ভারতবাসী আপনাদের জন্য সুরক্ষিত বোধ করে। যখন বিশ্ব আপনাদের দিকে তাকায়, তখন তারা ভারতের শক্তি সম্পর্কে বুঝতে পারে। আর যখন শত্রুরা আপনাদের দেখে তখন তারা তাদের ষড়যন্ত্রের শেষটা দেখতে পায়।’’

    বল্লভভাইকে স্মরণ

    প্রসঙ্গত, ৩১ অক্টোবর দেশের প্রথম স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের জন্মজয়ন্তীও বটে। এদিনটি দেশজুড়ে জাতীয় ঐক্য দিবস পালন করা হয়। বৃহস্পতিবার গুজরাতের কেভাড়িয়ায় সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের বিশালাকায় মূর্তিতে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, ‘‘ভারত রত্ন সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের জন্মজয়ন্তীতে তাঁকে স্যালুট জানাই। তিনি দেশের ঐক্য এবং অখণ্ডতাকে রক্ষা করেছেন। এই বিষয়টাই তাঁর জীবনে অগ্রাধিকার পেয়েছে। তাঁর ব্যক্তিত্ব এবং কাজ দেশের প্রতিটি প্রজন্মকে উৎসাহ জোগাবে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: নিশানায় শহুরে নকশালরা, “অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালু করা প্রয়োজন”, বললেন মোদি

    PM Modi: নিশানায় শহুরে নকশালরা, “অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালু করা প্রয়োজন”, বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ধর্মনিরপেক্ষতার শর্ত মেনে নাগরিক বিধির ক্ষেত্রে সমস্ত বৈষম্যের অবসান হওয়া উচিত। সামাজিক ঐক্যের (National Unity) স্বার্থে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালু করা প্রয়োজন।” কথাগুলি বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। একইসঙ্গে শহুরে নকশালদের নিশানা করলেন এবং এ জন্য তিনি বেছে নিলেন ‘রাষ্ট্রীয় একতা দিবসে’র মঞ্চকে। বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের জন্মদিবস।

    অভিন্ন দেওয়ানি বিধি (PM Modi)

    এদিন গুজরাটের নর্মদা জেলার কাভেড়িয়ায় বিশ্বের সর্বোচ্চ মূর্তি স্ট্যাচু অফ ইউনিটিতে গিয়ে শ্রদ্ধা জানান দেশের প্রথম উপপ্রধানমন্ত্রীকে। সেখানেই বক্তৃতা করেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর বক্তৃতায় উঠে এসেছে অভিন্ন দেওয়ানি বিধির কথা, উঠে এসেছে এক দেশ, এক ভোটের কথাও। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আজ আমরা সকলেই এক দেশ, এক পরিচয় – আধারের সাফল্য দেখছি। সারা বিশ্বও এটি নিয়ে আলোচনা করছে। আগে ভারতে বিভিন্ন কর ব্যবস্থা ছিল। কিন্তু আমরা এক দেশ, এক কর ব্যবস্থা – জিএসটি চালু করেছি। আমরা দেশের বিদ্যুৎ খাতকে শক্তিশালী করেছি এক দেশ, এক বিদ্যুৎ গ্রিডের মাধ্যমে।” তিনি (PM Modi) বলেন, “আমরা গরিবদের জন্য এক দেশ, এক রেশন কার্ডের মাধ্যমে বিভিন্ন সুবিধা সংযুক্ত করেছি। আমরা দেশের জনগণকে আয়ুষ্মান ভারতের মাধ্যমে এক দেশ, এক স্বাস্থ্য বীমার সুবিধা প্রদান করেছি।”

    আরও পড়ুন: অন্য মহিলার সামনেও জোরে কোরান পড়তে পারবেন না আফগান মহিলারা!

    এক দেশ, এক ভোট

    শহুরে নকশালদেরও ছেড়ে কথা বলেননি তিনি। রাষ্ট্রীয় একতা দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমাদের সরকার এক দেশ, এক ভোট চালু করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। লোকসভা নির্বাচনের সঙ্গে সব বিধানসভার ভোট হলে জাতীয় ঐক্য আরও দৃঢ় হবে।” শহুরে নকশালদের নিশানা করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কিছু শক্তি ভারতের অর্থনীতিকে অস্থিতিশীল করতে ও বিনিয়োগকারীদের নিরুৎসাহ করতে চায়। মানুষকে এই শহুরে নকশালদের চিনতে ও তাদের বিরুদ্ধে লড়াই করার আহ্বান জানাচ্ছি।” প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে উঠে এসেছে জম্মু-কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা রদের প্রসঙ্গও। তিনি বলেন, “৭০ বছর ধরে বিআর আম্বেদকরের সংবিধানের নীতিগুলি এই অঞ্চলে পুরোপুরি বাস্তবায়িত হয়নি। ৩৭০ ধারা ছিল একটা দেওয়ালের মতো, যা আমাদের (National Unity) সংবিধানের বাস্তবায়নে বাধা সৃষ্টি করছিল।” তিনি (PM Modi) বলেন, “এই ধারা এখন চিরকালের জন্য কবরে শায়িত।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BSNL: আত্মনির্ভর ভারত! দেশজুড়ে ৫০ হাজারেরও বেশি ৪জি নেটওয়ার্ক বসাল বিএসএনএল

    BSNL: আত্মনির্ভর ভারত! দেশজুড়ে ৫০ হাজারেরও বেশি ৪জি নেটওয়ার্ক বসাল বিএসএনএল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আত্মনির্ভর ভারত (Atma Nirbhar Bharat) কর্মসূচিতে দেশ জুড়ে পঞ্চাশ হাজারেরও বেশি ৪জি নেটওয়ার্ক সাইট স্থাপন করল বিএসএনএল (BSNL)। বুধবার কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে এক প্রেস বিবৃতিতে একথা জানানো হয়েছে। ওই প্রেস বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ৪জি নেটওয়ার্কগুলি স্থাপন করা হয়েছে টাটা কনসালটেন্সি সার্ভিসেস, তেজস নেটওয়ার্কস, সেন্টার ফর ডেভেলপমেন্ট অফ টেলিমেটিক্স (C-DOT), এবং আইটিআই লিমিটেডের মতো ভারতীয় প্রযুক্তি সংস্থাগুলির সাহায্যে। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, বিএসএনএলের এমন সাফল্য দেশের প্রযুক্তিক্ষেত্রের অগ্রগতিকেই তুলে ধরেছে এবং এর মাধ্যমে সারা দেশে নেটওয়ার্ক তৈরি করা সম্ভব হয়েছে দেশীয় প্রযুক্তিতে।

    এক লাখেরও বেশি ৪জি সাইট স্থাপনের লক্ষ্য রেখেছে বিএসএনএল (BSNL)

    প্রসঙ্গত, বিএসএনএলের (BSNL) ৪জি নেটওয়ার্ক স্থাপনের এই কর্মসূচি, সম্পূর্ণভাবে ভারতীয় কোম্পানিগুলির (Atma Nirbhar Bharat) দ্বারা পরিকল্পনা করা হয়েছে। ভারতীয় টেলিকম ক্ষেত্রে এ এক বড় মাইলস্টোন বলেই মনে করছে কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রের তরফ থেকে যে তথ্য দেওয়া হয়েছে, তাতে জানানো হয়েছে, গত ২৯ অক্টোবর পর্যন্ত ৫০ হাজারেরও বেশি ৪জি সাইট ইনস্টল করেছে বিএসএনএল, যার মধ্যে ৪১ হাজারেরও বেশি সাইট বর্তমানে কাজ করছে। তবে এখানেই শেষ নয়, আরও জানানো হয়েছে, অদূর ভবিষ্যতে এক লাখেরও বেশি ৪জি সাইট স্থাপনের লক্ষ্য রেখেছে বিএসএনএল এবং দ্রুত গতিতে সেই কাজ এগিয়ে চলেছে।

    টাটা কনসালটেন্সি সার্ভিসের সঙ্গে বিএসএনএলের ২৪ হাজার ৫০০ কোটি টাকার চুক্তি 

    পরিসংখ্যান বলছে, ২০২৪ সালের জুলাই মাস পর্যন্ত বিএসএনএলের ১৫ হাজার ৪জি সাইট ছিল। গত তিন মাসে ২৫ হাজারেরও বেশি নতুন ৪জি সেট যোগ হয়েছে। প্রসঙ্গত, বিএসএনএলের (BSNL) তরফ থেকে যে একলাখেরও বেশি নতুন টেলিকম ৪জি টাওয়ার স্থাপনের কর্মসূচি নেওয়া সেখানে টাটা কনসালটেন্সি সার্ভিসের সঙ্গে তাদের ২৪ হাজার ৫০০ কোটি টাকার চুক্তি হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এই চুক্তির মাধ্যমে ১০ বছর টাওয়ারগুলিকে রক্ষণাবেক্ষণ করবে টিসিএস। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sardar Vallabhbhai Patel: রাষ্ট্রীয় একতা দিবসে সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলকে শ্রদ্ধা প্রধানমন্ত্রীর

    Sardar Vallabhbhai Patel: রাষ্ট্রীয় একতা দিবসে সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলকে শ্রদ্ধা প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রীয় একতা দিবসে (Rashtriya Ekta Diwas) সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলকে (Sardar Vallabhbhai Patel) শ্রদ্ধা জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। ৩১ অক্টোবর প্যাটেলের জন্মদিন। ফি বছর এই দিনটিকে রাষ্ট্রীয় একতা দিবস (National Unity Day) হিসেবে পালন করে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদির সরকার। সেই মতো এদিন গুজরাটের একতা নগরে সর্দারকে শ্রদ্ধা জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)

    তিনি বলেন, “আজ সর্দার প্যাটেলের (Sardar Vallabhbhai Patel) সার্ধশততম জন্মবার্ষিকী বর্ষের সূচনা হল। আগামী দু’বছর ধরে দেশ এই মাইলফলক উদযাপন করবে। এটি তাঁর অসাধারণ অবদানগুলির প্রতি একটি শ্রদ্ধাঞ্জলি। এই সময়টা তাঁর অসামান্য কৃতিত্বকে সম্মানিত করার জন্য বরাদ্দ থাকবে। জাতীয় ঐক্যের প্রতিফলন সরকারি প্রতিটি উদ্যোগ ও মিশনে থাকবে।” প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, “যখন ভারত স্বাধীনতা লাভ করে, তখন বিশ্বে কিছু মানুষ ভেবে নিয়েছিল ভারত ভেঙে যাবে। তারা আশা করেনি যে শত শত রাজ্যকে একত্রিত করে একটি ঐক্যবদ্ধ ভারত সৃষ্টি করা সম্ভব। সর্দার সাহেব (Sardar Vallabhbhai Patel) তা করে দেখিয়েছিলেন। এটি সম্ভব হয়েছিল কারণ সর্দার সাহেব ছিলেন তাঁর আচরণে বাস্তববাদী, তাঁর সংকল্পে সত্যনিষ্ঠ, তাঁর কর্মে মানবিক এবং তাঁর লক্ষ্য ছিল জাতীয়তাবাদী।”

    আরও পড়ুন: শাহি-দরবারে আর্জি বিজেপির, উপনির্বাচনে রাজ্যে আসছে আরও ১৯ কোম্পানি বাহিনী

    ফুলেল শ্রদ্ধাঞ্জলি

    এদিন অনুষ্ঠানের শুরুতে কেওড়িয়ায় স্ট্যাচু অব ইউনিটিতে সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলকে (Sardar Vallabhbhai Patel) ফুলেল শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করে ভারতীয় বিমান বাহিনী (IAF Flypast)। বায়ুসেনার একটি ফ্লাইপাস্টও ছিল। প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) স্বয়ং পুষ্পার্ঘ্য দিয়ে সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলকে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে তিনি একতা দিবসের শপথবাক্য পাঠ করান। একতা দিবস উপলক্ষে আয়োজন করা হয়েছিল কুচকাওয়াজেরও।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • India China Border: সেনা প্রত্যাহার-পর্ব শেষ, পূর্ব লাদাখ সীমান্তে দীপাবলিতে মিষ্টি বিনিময় ভারত-চিনের

    India China Border: সেনা প্রত্যাহার-পর্ব শেষ, পূর্ব লাদাখ সীমান্তে দীপাবলিতে মিষ্টি বিনিময় ভারত-চিনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত কয়েক বছরে ভারত-চিন সীমান্তে (India China Border) শুধুই শোনা গিয়েছে বাক-বিতণ্ডা। এবার দীপাবলিতে ছবিটা ভিন্ন। পূর্ব লাদাখের (Eastern Ladakh) প্রকৃত নিয়ন্ত্ররেখা (LAC)-র বিতর্কিত অঞ্চলগুলিতে ‘মুখোমুখি অবস্থান থেকে সেনা পিছোনো’-র কাজ শেষ করেছে ভারত ও চিন। আজ, বৃহস্পতিবার দীপাবলির শুভেচ্ছার নজির তৈরি করতে এলএসিতে চিন সেনাকে মিষ্টিমুখ করাল ভারতীয় সেনা। সাম্প্রতিক অতীতে এই খবর বিরল। তাই বাস্তবিকই এই দীপাবলি বিশেষ বার্তাবহ। চিনা দূতাবাসের তরফেও ভারতীয়দের দীপাবলির শুভেচ্ছা জানানো হয়।

    সীমান্তে মিষ্টিমুখ

    বুধবারই সেনা সূত্রে জানানো হয়, “লাদাখ (India China Border) সেক্টরের ডেপসাং এবং ডেমচকে সেনা প্রত্যাহার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে এবং শীঘ্রই টহলদারি শুরু হবে। সেনা প্রত্যাহার যাচাইয়ের কাজ চলছে এবং স্থানীয় কমান্ডার পর্যায়ে আলোচনা চলছে। ব্রিগেডিয়ার এবং তার নীচের স্তরের গ্রাউন্ড কমান্ডাররা আলোচনা করে টহল পদ্ধতি নির্ধারণ করবেন।” বৃহস্পতিবার সকালে সেনার তরফে জানানো হয়,  দীপাবলি উপলক্ষে ভারত ও চিনের মধ্যে সমস্ত সীমান্ত কর্মীদের মিটিং পয়েন্টে মিষ্টি বিতরণ করা হয়। আমেরিকার ম্যাক্সার টেকনোলজির নেওয়া সাম্প্রতিক উপগ্রহচিত্রে স্পষ্ট, ডেপসাং ও ডেমচক এলাকায় বিভিন্ন অস্থায়ী সেনা ছাউনি ভেঙে ফেলা হয়েছে। সেনা সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, ডেমচক এবং ডেপসাং-এ যাতে দুই পক্ষের আর কোনও মুখোমুখি সংঘর্ষ না হয়, তার জন্য টহলের বিষয়ে দুই বাহিনীর মধ্যে সমন্বয় করা হবে। প্রতিটি টহলদারি দলে ২০ জন সৈন্যর একটি ব্যাচে থাকবে। তাদের হাতে অস্ত্রশস্ত্রও থাকবে। 

    আরও পড়ুন: গত অর্থবর্ষে প্রতিরক্ষায় ১.২৭ লক্ষ কোটি টাকার উৎপাদন, জানালেন প্রধানমন্ত্রী মোদি

    গত ২১ অক্টোবর বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর দাবি করেছিলেন, পূর্ব লাদাখের (Eastern Ladakh) এলএসিতে টহলদারির সীমানা (India China Border) নির্ধারণের প্রশ্নে দুই দেশ ঐকমত্যে পৌঁছেছে। তার ভিত্তিতেই ভারত ও চিনের সেনা ২০২০-র মে মাসের আগেকার অবস্থানে পিছিয়ে যেতে শুরু করেছে। তার পর রাশিয়ায় কাজানে ব্রিকস বৈঠকের সময় এই বিষয় নিয়ে পার্শ্ববৈঠকে বসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। সীমান্তে স্থিতাবস্থা ফিরিয়ে আনার বিষয়ে বার্তা দেন তাঁরা। গত বুধবার থেকে দুই পক্ষ লাদাখের এই দুই এলাকা থেকে অস্থায়ী সেনা ছাউনি ও তাঁবুগুলি এবং সৈন্যদের সরানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছিল। দীর্ঘদিন ধরে আলোচনার মাধ্যমে লাদাখের অধিকাংশ সংঘর্ষের জায়গায় টহল দেওয়া নিয়ে দুই দেশ ঐক্যমত হলেও, ডেমচক এবং ডেপসাং নিয়ে বিরোধ ছিল। অবশেষে, রাশিয়ার কাজানে প্রধানমন্ত্রী মোদি ও চিনা রাষ্ট্রপতি শি জিনপিংয়ের বৈঠকের ঠিক আগে, এই দুই জায়গায় টহলের বিষয়েও দুই দেশের মধ্যে একটি চুক্তি হয়। ২০২০ সালের এপ্রিল-মে মাস থেকে এই দুই এলাকায় ভারতীয় সেনাদের টহল দিতে বাধা দিয়েছিল চিন। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share