Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Digital Arrest: সাইবার অপরাধের নতুন ফাঁদ ‘ডিজিটাল গ্রেফতারি’! সতর্কবার্তা প্রধানমন্ত্রী মোদির

    Digital Arrest: সাইবার অপরাধের নতুন ফাঁদ ‘ডিজিটাল গ্রেফতারি’! সতর্কবার্তা প্রধানমন্ত্রী মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘‘ ‘ডিজিটাল গ্রেফতারি’ (Digital Arrest) বলে কিছু হয় না। দেশের কোনও আইনে এই ধরনের গ্রেফতারির কথা বলা নেই। এটি হল সাইবার প্রতারণার ফাঁদ।’’ রবিবার (২৭ অক্টোবর), তাঁর ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে ভারতীয় নাগরিকদের এ সম্পর্কে সতর্ক করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, সমাজের সমস্ত অংশই এই অপরাধের শিকার হয়েছে। তদন্ত সংস্থাগুলি এই সমস্যার মোকাবিলায়, সমস্ত রাজ্যর সঙ্গে হাত মিলিয়ে কাজ করছে। তবে, এই অপরাধ থেকে নিজেকে রক্ষা করার জন্য সচেতনতা অপরিহার্য।

    কী ভাবে চলে প্রতারণা

    ‘ডিজিটাল অ্যারেস্ট’ (Digital Arrest) এর সঙ্গে সত্যিকারের গ্রেফতারির কোনও যোগ নেই। অনলাইনে জালিয়াতি চক্রের পাণ্ডাদের হাতে নতুন ‘অস্ত্র’ হয়ে উঠেছে এটি। পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন কেন্দ্রও। কীভাবে চলে এই প্রতারণা তা দেখাতে একটি ভিডিও চালান প্রধানমন্ত্রী মোদি। ওই ভিডিওর মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi) জানিয়েছেন, প্রথমে অপরাধীরা তাদের সম্ভাব্য শিকারদের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করে। তারপর, তারা তদন্তকারী সংস্থার কর্তাদের ভেক ধরে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে। সাধারণ মানুষের ভয়কে তারা নিজেদের সুবিধায় কাজে লাগায়। মোদি বলেন, “ডিজিটাল অ্যারেস্ট জালিয়াতি থেকে সাবধান থাকুন। কখনও এই ধরনের তদন্তের জন্য কোনও তদন্তকারী সংস্থা ফোন বা ভিডিও কল করে আপনার সঙ্গে যোগাযোগ করবে না।”

    কী ভাবে সুরক্ষা

    এই ধরনের প্রতারণার ফাঁদ (Digital Arrest) থেকে সুরক্ষিত থাকতে তিনটি বিষয় মাথার রাখার পরামর্শ দেন প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi)। তাড়াহুড়োয় কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার বদলে ঠান্ডা মাথায় বিষয়টি বিবেচনার কথা বলেন তিনি। তাঁর কথায়— “থামুন, ভাবুন এবং তার পরে পদক্ষেপ করুন।” প্রথমত, অযথা ভয় না পেয়ে মাথা ঠান্ডা রেখে ফোনকলটি রেকর্ড করার পরামর্শ দেন প্রধানমন্ত্রী। সম্ভব হলে ‘স্ক্রিন রেকর্ড’ করার কথাও বলেন তিনি। দ্বিতীয়ত, মাথায় রাখতে হবে যে কোনও সরকারি তদন্তকারী সংস্থা অনলাইনে কাউকে ধমক বা হুমকি দেয় না। তৃতীয়ত, যখনই এই ধরনের কোনও ঘটনা ঘটবে, তা ন্যাশনাল সাইবার হেল্পলাইনে ফোন করে জানান। হেল্পলাইন নম্বরটি হল ১৯৩০। পাশাপাশি স্থানীয় থানাতেও এ বিষয়ে অভিযোগ জানানোর পরামর্শ দেন মোদি। 

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের সতর্কতা

    স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অধীনস্থ ইন্ডিয়ান সাইবার ক্রাইম কো-অর্ডিনেশন সেন্টার থেকে সম্প্রতি একটি অ্যাডভাইজরিও প্রকাশ করা হয়েছিল। সেখানেও বলা হয়েছিল এই ধরনের ‘ডিজিটাল গ্রেফতারি’ এক ধরনের দুর্নীতি। সাধারণ মানুষকে সজাগ থাকার পরামর্শ দিয়ে ওই অ্যাডভাইজরিতে বলা হয়েছিল, সিবিআই, পুলিশ, কাস্টমস, ইডি কিংবা বিচারক— কেউই ভিডিও কলের মাধ্যমে কাউকে গ্রেফতার করতে পারেন না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • China: প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় শুরু হয়েছে সেনা প্রত্যাহার, সরকারিভাবে জানিয়ে দিল চিনও

    China: প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় শুরু হয়েছে সেনা প্রত্যাহার, সরকারিভাবে জানিয়ে দিল চিনও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার থেকে দেপসাং সমতলভূমি ও দেমচকে শুরু হয়েছে সেনা প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া। ভারতীয় সেনবাহিনী সূত্রে (LAC) এ খবর আগেই নিশ্চিত করা হয়েছিল। এবার সরকারিভাবে চিনের (China) তরফেও জানানো হল, চিনা ও ভারতীয় সীমান্তের সেনারা সংশ্লিষ্ট কাজ নিয়ে (সেনা প্রত্যাহার) ব্যস্ত রয়েছে এবং এই মুহূর্তে কাজটি মসৃণভাবে চলছে।

    কী বলছে চিনা বিদেশমন্ত্রক (China)

    চিনের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র লিন জিয়ান বলেন, “সীমান্ত এলাকার বিষয়গুলো নিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে চিন ও ভারতের মধ্যে যে সিদ্ধান্তসমূহ গৃহীত হয়েছে, তার আলোকে চিনা ও ভারতীয় সীমান্তের সেনারা সংশ্লিষ্ট কাজ পরিচালনা করছে এবং এই মুহূর্তে কাজটি মসৃণভাবে চলছে।” বলা বাহুল্য, কাজ বলতে তিনি সেনা প্রত্যাহারের কথাই বলেছেন। শনিবার চিনা দূতাবাসের মুখপাত্র এই মর্মে এক্স হ্যান্ডেলে পোস্টও করেছেন। সেনাবাহিনী সূত্রে জানা গিয়েছে, এই প্রক্রিয়াটি সম্ভবত ২৮-২৯ অক্টোবরের মধ্যে সম্পন্ন হবে। তবে এই এলাকাগুলির ভূখণ্ড এবং আবহাওয়া পরিস্থিতির কারণে নির্দিষ্ট সময়সীমা দেওয়া সম্ভব নাও হতে পারে।

    জয়শঙ্করের বক্তব্য

    এদিকে, ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। ভারতের সেনাবাহিনীর প্রশংসা করে তিনি বলেন, “তাঁরা ভারত-চিন সীমান্তে অত্যন্ত কল্পনাতীত পরিস্থিতিতে মোতায়েন রয়েছেন।” তিনি বলেন, “আজ আমরা যেখানে পৌঁছেছি, তার একটা কারণ হল আমাদের পক্ষ থেকে খুব দৃঢ় প্রচেষ্টা করা ও আমাদের অবস্থান স্পষ্টভাবে তুলে ধরা। সামরিক বাহিনী এলএসিতে অত্যন্ত কল্পনাতীত পরিস্থিতিতে দেশ রক্ষার জন্য প্রস্তুত ছিল। সামরিক বাহিনী তার দায়িত্ব পালন করেছে, কূটনীতিও তার ভূমিকা পালন করেছে (China)।”

    আরও পড়ুন: “ধর্ম হল ভারতীয় সংস্কৃতির সবচেয়ে মৌলিক ধারণা, সংহতির প্রতীক”, বললেন ধনখড়

    জয়শঙ্কর বলেন, “২০২০ সাল থেকে সীমান্তের পরিস্থিতি খুবই অস্থির হয়ে উঠেছে যা সামগ্রিক সম্পর্কের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকে ভারত একটি সমাধানসূত্র খুঁজে বের করার জন্য চিনের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে আসছে।” সমাধানের বিভিন্ন দিক রয়েছে বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “প্রথমত চাপের বিষয় হল বিচ্ছিন্নকরণ, কারণ সেনাবাহিনী একে অন্যের খুব কাছাকাছি অবস্থান করছে এবং কোনও ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে। এরপর রয়েছে ডি-এসক্যালেশন। কারণ উভয় পক্ষেই সেনা সমাবেশ বৃদ্ধি পেয়েছে।” মন্ত্রী বলেন, “এরপর রয়েছে বৃহত্তর একটি বিষয়, কীভাবে সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ এবং সীমান্ত নিষ্পত্তি নিয়ে (LAC) আলোচনা করা হবে। বর্তমানে যা কিছু চলছে তা প্রথম দিক নিয়ে, অর্থাৎ বিচ্ছিন্নকরণ নিয়ে (China)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Rajnath Singh: অরুণাচলের ভারত-চিন সীমান্তে জওয়ানদের সঙ্গে দীপাবলি পালন করবেন রাজনাথ

    Rajnath Singh: অরুণাচলের ভারত-চিন সীমান্তে জওয়ানদের সঙ্গে দীপাবলি পালন করবেন রাজনাথ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh) চলতি বছরের দীপাবলি অরুণাচল প্রদেশের ভারত-চিন সীমান্তে জওয়ানদের সঙ্গে পালন করবেন। জানা গিয়েছে, অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াং জেলায় ৩১ অক্টোবর সেনা জওয়ানদের সঙ্গে দীপাবলি (Diwali) পালন করবেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী (Rajnath Singh)। বিভিন্ন সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থা সূত্রে এমনটাই খবর মিলেছে। প্রসঙ্গত, সাম্প্রতিক বছরগুলিতে অরুণাচল প্রদেশে তাওয়াং সীমা বারবার খবরের শিরোনামে এসেছে। বিশেষত এখানকার কিছু এলাকাতে ভারত ও চিনা জওয়ানদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

    আরও পড়ুন: পাকিস্তানের কথা বললে ভিক্ষার ঝুলি ধরানো হবে, মৌলবাদীদের হুঁশিয়ারি যোগীর

    ২০২২ সালের ডিসেম্বরে ভারত-চিন সেনার সংঘর্ষ ঘটেছিল

    ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসের সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন সেনা জওয়ান আহত হন দু পক্ষেরই। প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসের সেই ঘটনার পর থেকেই ভারতীয় সেনাবাহিনী সেখানে আরও সতর্ক হয় এবং চিনের আগ্রাসন রোধ করে। এরপর থেকে দুদেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকও চলতে থাকে। বিশেষজ্ঞ মহল মনে করছে, রাজনাথ সিংয়ের (Rajnath Singh) এমন কূটনৈতিক প্রচেষ্টা যথেষ্ট বার্তা দেবে প্রতিবেশী রাষ্ট্রকে। ৩১ অক্টোবর রাজনাথ সিং তাওয়াং সীমান্তে পৌঁছানোর আগেই সেখানে পৌঁছে যাবেন অরুণাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী পেমা খান্ডু। ভারতীয় বায়ুসেনার ওয়ার মেমোরিয়ালে তাঁরা রাজনাথ সিংকে স্বাগত জানাবেন।

    ২০২৩ সালের বিজয়া দশমীতেও হাজির ছিলেন রাজনাথ

    প্রসঙ্গত, গত বছরের বিজয়া দশমীতেও রাজনাথ সিং (Rajnath Singh) শস্ত্র পূজনের জন্য বেছে নেন তাওয়াং সীমানাকে। সেসময় অরুণাচলে দাঁড়িয়ে রাজনাথ সিং জানিয়েছিলেন, বর্তমানে বিশ্ব পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে, দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী করা ছাড়া আর কোনও উপায় নেই। প্রতিরক্ষা মন্ত্রী আরও বলেছিলেন, ‘‘কঠিন পরিস্থির মধ্যেও দেশের সশস্ত্রবাহিনীর জওয়ানরা যে ভাবে সীমান্তে প্রহরা দিচ্ছেন ও মাতৃভূমিকে সুরক্ষিত রাখছেন, তার যতই প্রশংসা করা হোক তা কম। দেশের মানুষ আপনাদের জন্য গর্বিত।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: “আত্মনির্ভর ভারত শুধুমাত্র নীতি নয়, পরিণত হয়েছে গণ আন্দোলনে”, ‘মন কি বাত’-এ বললেন মোদি

    PM Modi: “আত্মনির্ভর ভারত শুধুমাত্র নীতি নয়, পরিণত হয়েছে গণ আন্দোলনে”, ‘মন কি বাত’-এ বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবারই ছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) ‘মন কি বাতের’ ১১৫তম অনুষ্ঠান। এখানেই উঠে এল আত্মনির্ভর ভারতের পাশাপাশি মেকিং ইন্ডিয়াতে দেশের সাফল্যের কথা। প্রসঙ্গত, ৩১ অক্টোবর রয়েছে দীপাবলি। সেই আবহে প্রধানমন্ত্রী এদিন বলেন, ‘‘এই সময়ে আত্মনির্ভর ভারতের ব্যাপক প্রচার চালানো দরকার।’’ তিনি বলেন, ‘‘আত্মনির্ভর ভারত শুধুমাত্র আমাদের নীতিই নয়, বরং গণ আন্দোলনে পরিণত হয়েছে। দশ বছর আগেও যদি কেউ বলত যে গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তি ভারতে তৈরি হয়েছে, তাহলে অনেকেই এটা বিশ্বাস করতেন না। কিন্তু এখন সময় বদলেছে। দেশের সাফল্যের সাক্ষী ভারতের প্রতিটি নাগরিক। ভারত আত্মনির্ভর হয়েছে এবং সমস্ত ক্ষেত্রে চমৎকার ফল করছে।’’ এর পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘‘মেক ইন ইন্ডিয়া কর্মসূচির মাধ্যমে অ্যানিমেশন এবং গেমিং-এই দুটি ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব বিপ্লব এসেছে।’’ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘‘ছোটা ভীম বলুন অথবা অ্যানিমেশনের শ্রী কৃষ্ণ, মটুপাতলু, বাল হনুমান-এই সমস্ত কিছুর ফ্যান জগৎ জুড়ে রয়েছে। ভারতের অ্যানিমেশন চরিত্রগুলির জনপ্রিয়তা সারা পৃথিবী জুড়ে। কারণ এগুলোর মৌলিক গল্প ও চমৎকার সৃজনশীলতা।’’

    ভারতীয় গেমারদের সঙ্গে সাক্ষাতের প্রসঙ্গ আনেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) 

    কয়েকমাস আগে প্রধানমন্ত্রী ভারতীয় গেমারদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সে প্রসঙ্গও উঠে আসে তাঁর মন কি বাত অনুষ্ঠানে। তিনি বলেন, ‘‘কয়েক মাস আগেই আমি ভারতের শীর্ষস্থানীয় গেমারদের সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলাম। আমি সুযোগ পেয়েছিলাম, তাঁদের সঙ্গে কথা বলে সৃজনশীলতা সম্পর্কে জানবার।’’ অ্যানিমেশন ক্ষেত্রে মেক ইন ইন্ডিয়া এবং মেড বাই ইন্ডিয়ানস- খুব দ্রুততার সঙ্গে সাফল্য পাচ্ছে বলেও জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

    ভারতীয় অ্যানিমেশন পৃথিবী বিখ্যাত কোম্পানি ডিজনি, ওয়ার্নার ব্রাদার্সদের সঙ্গেও কাজ করছে 

    তিনি (PM Modi) আরও বলেন, ‘‘ভারতীয় অ্যানিমেশন পৃথিবী বিখ্যাত কোম্পানি ডিজনি, ওয়ার্নার ব্রাদার্সদের সঙ্গেও কাজ করছে।’’ তাঁর মতে, ‘‘বর্তমান সময়ে আমাদের যুবকরা মৌলিক ভারতীয় কনটেন্ট তৈরি করতে পারছেন, যা সমাজে ভালো প্রভাব ফেলছে এবং সেগুলি পৃথিবী জুড়ে মানুষ দেখছেন। অ্যানিমেশন ক্ষেত্র বর্তমানে একটি শিল্পের আকার ধারণ করেছে। মেক ইন ইন্ডিয়া কর্মসূচিকে আমরা কীভাবে গ্লোবাল অ্যানিমেশন পাওয়ার হাউসে পরিণত করতে পারি, তা ভাবতে হবে।’’

    লাদাখের ইমেজিং টেলিস্কোপ

    অন্যদিকে আত্মনির্ভর ভারতের উদাহরণ দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, ‘‘এই কর্মসূচি এখন গণআন্দোলনে পরিণত হয়েছে। তার কারণ এই মাসেই আমরা লাদাখে উদ্বোধন করেছি এশিয়ার সবচেয়ে বড় ইমেজিং টেলিস্কোপ। ৪,৩০০ মিটার উচ্চতায় গড়ে উঠেছে এটি। সেখানে মাইনাস ৩০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড উষ্ণতা। অক্সিজেনের অভাব রয়েছে, কিন্তু আমাদের বিজ্ঞানী এবং শিল্পপতিরা এটা করে দেখিয়েছেন।’’ এর পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী আহ্বান জানিয়েছেন দীপাবলিতে ভোকাল ফর লোকাল কর্মসূচি চালানোর জন্য।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Narendra Modi: সেনার ‘অদম্য চেতনা ও সাহস’-এর প্রশংসা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

    Narendra Modi: সেনার ‘অদম্য চেতনা ও সাহস’-এর প্রশংসা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) রবিবার পদাতিক দিবস (Infantry Day) উপলক্ষে সমস্ত পদাতিক সৈন্য এবং যোদ্ধাদের “অদম্য চেতনা ও সাহস”-এর কথা বলে ব্যাপক প্রশংসা করেছেন। সেই সঙ্গে তাঁদের বিশেষ সম্মানও জানিয়েছেন। এদিন অনুষ্ঠান উপলক্ষে উপস্থিত ছিলেন চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ (সিডিএস) জেনারেল অনিল চৌহান, সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী প্রমুখ। এদিন সকল সিনিয়র অফিসার জাতীয় যুদ্ধ স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

    মোদি কী বললেন (Narendra Modi)?

    এই বিশেষ দিনের গুরুত্বের কথা জানিয়ে এবং সেনাকে সাধুবাদ দিয়ে মোদি (Narendra Modi) এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট করেছেন। সামজিক মাধ্যমে তিনি লিখেছেন, “পদাতিক দিবসে (Infantry Day), সকল পদাতিক বাহিনী এবং সৈনিক যোদ্ধাদের অদম্য চেতনা, সাহসকে অভিনন্দন জানাই। যাঁরা অক্লান্তভাবে আমাদের রক্ষার কাজে যুক্ত রয়েছেন তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই। তাঁরা সর্বদা নিরাপত্তা নিশ্চিত করেন, আবার যে কোনও প্রতিকূলতার মুখে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ থাকেন। আমাদের দেশের নিরাপত্তাকে সুরক্ষিত করেন তাঁরাই। প্রত্যেক ভারতীয়কে অনুপ্রাণিত করে থাকেন এবং সেই সঙ্গে শক্তি, বীরত্ব, কর্তব্যের ভাবমূর্তিকে অবিস্মরণীয় করে রাখেন। তাঁদের অবদান অপরিসীম।”

    আরও পড়ুন: ইজরায়েল-ইরাক দ্বন্দ্ব, তেহরানের পাশে মুসলিম রাষ্ট্র, তেলআভিভের পাশে কারা?

    কেন পদাতিক দিবস?

    ২৭ অক্টোবর ১৯৪৭ সালে শ্রীনগর এয়ারফিল্ডে এসআইকেএইচ (SIKH) রেজিমেন্টের ১ম ব্যাটালিয়নের অভিযান স্মরণ করে প্রতি বছর পদাতিক দিবস পালিত হয়। জম্মু ও কাশ্মীরের জনগণকে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ঘৃণ্য পরিকল্পনা থেকে রক্ষা করেছিল সেনাবাহিনী। এই সাহসী পদক্ষেপের ফলে জম্মু ও কাশ্মীর দখলের পাকিস্তানের পরিকল্পনা নস্যাৎ হয়ে যায়। পদাতিক বাহিনী “যুদ্ধের রানি” নামেও পরিচিত এবং এর ইতিহাস প্রথম মানব যুদ্ধের মতোই পুরনো।

    দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করেছে বাহিনী

    একটি সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, স্বাধীনতার পর থেকে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় পদাতিক বাহিনী (Infantry Day) সেনাবাহিনীতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। সেটা চিনের সাথে ১৯৬২ সালের যুদ্ধ হোক বা পাকিস্তানের সাথে ১৯৪৭-৪৮ সালের যুদ্ধ। আবার ১৯৬৫, ১৯৭১, ১৯৯৯ সালের কারগিল যুদ্ধই হোক না কেন, অবদান এবং বলিদান অনস্বীকার্য। এই সব ঐতিহাসিক যুদ্ধে পদাতিক বাহিনীর কৃতিত্ব অতুলনীয়। এই যুদ্ধগুলি ছাড়াও, উত্তর ও উত্তর পূর্বে কাউন্টার ইনসারজেন্সি বা কাউন্টার টেরোরিস্ট অপারেশন, পাঞ্জাবের অপারেশন ব্লু স্টার, অপারেশন রক্ষক, শ্রীলঙ্কায় অপারেশন পবন এবং সম্প্রতি পূর্ব লাদাখে অপারেশন স্নো লিওপার্ড নিখুঁত পেশাদারিত্বের ধারাবাহিক সাক্ষী হয়ে রয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jagdeep Dhankhar: “ধর্ম হল ভারতীয় সংস্কৃতির সবচেয়ে মৌলিক ধারণা, সংহতির প্রতীক”, বললেন ধনখড়

    Jagdeep Dhankhar: “ধর্ম হল ভারতীয় সংস্কৃতির সবচেয়ে মৌলিক ধারণা, সংহতির প্রতীক”, বললেন ধনখড়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ধর্ম (Dharma) হল ভারতীয় সংস্কৃতির সবচেয়ে মৌলিক ধারণা, যা জীবনের সব দিক নির্দেশ করে।” কথাগুলি বললেন ভারতের উপরাষ্ট্রপতি তথা পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় (Jagdeep Dhankhar)।

    ধর্ম কী (Jagdeep Dhankhar)

    তিনি বলেন, “ধর্ম একদিকে পথ, যাত্রা, অন্যদিকে, গন্তব্য এবং লক্ষ্যকেও উপস্থাপন করে, যা সমস্ত অস্তিত্বের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য, এমনকি দেবতাদের ক্ষেত্রেও।” উপরাষ্ট্রপতি বলেন, “ধর্ম ন্যায়পরায়ণ জীবনের জন্য এক বাস্তবিক আদর্শ হিসেবে কাজ করে, কল্পনাতীত নয়।” তিনি বলেন, “সনাতন সহানুভূতি,  সহমর্মিতা, সহিষ্ণুতা, অহিংসা, পবিত্রতা, উচ্চমার্গতা, রিলিজিয়সিটি-এই সব গুণাবলীকে একত্রিত করে। এক কথায় সংহতির প্রতীক।” বেঙ্গালুরু, কর্নাটকে শৃঙ্গেরী শ্রী শারদা পীঠম আয়োজিত ‘নমঃ শিবায়’ পারায়ণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন উপরাষ্ট্রপতি। সেখানেই তিনি ‘মন্ত্র কসমোপোলিস’কে একটি বিরল ও চমৎকার অনুষ্ঠান হিসেবে বর্ণনা করেন।

    কী বললেন ধনখড়

    তাঁর (Jagdeep Dhankhar) মতে, এটি মনের, হৃদয়ের ও আত্মার গভীরে স্পর্শ করে এবং সবার মধ্যে ঐক্যের সুর বয়ে আনে। ধনখড় বলেন, “বৈদিক মন্ত্রোচ্চারণ, যা মানব সভ্যতার অন্যতম প্রাচীন ও ধারাবাহিক মৌখিক ঐতিহ্য, আমাদের পূর্বপুরুষদের গভীর আধ্যাত্মিক জ্ঞানের জীবন্ত যোগসূত্র হিসেবে কাজ করে। এই পবিত্র মন্ত্রগুলির সুনির্দিষ্ট ছন্দ, স্বর, এবং কম্পন এমন একটি শক্তিশালী অনুরণন সৃষ্টি করে যা মানসিক শান্তি এবং পরিবেশগত সামঞ্জস্য বয়ে আনে।”

    আরও পড়ুন: “হিন্দুদের ঐক্যবদ্ধ থাকা উচিত, জনকল্যাণের জন্যই প্রয়োজনীয়”, বললেন দত্তাত্রেয়

    উপরাষ্ট্রপতি বলেন, “ভারতীয় সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হল এর বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্য, যা সময়ের সঙ্গে বিভিন্ন ঐতিহ্যের মিশ্রণের মাধ্যমে সৃষ্টি হয়েছে। এই যাত্রা বিনম্রতা এবং অহিংসার মূল্যবোধ গড়ে তুলেছে। ভারত এর অন্তর্ভুক্তির জন্য অবিস্মরণীয়, যা মানবজাতির সব অংশের ঐক্যের অনুভূতির প্রতিনিধিত্ব করে।” তিনি বলেন, “ভারতীয় সংস্কৃতির দিব্য সত্তা হল এর সর্বজনীন দয়া, যা ‘বসুধৈব কুটুম্বকম’ দর্শনে ধারণ করা হয়েছে।” তাঁর (Jagdeep Dhankhar) মতে, ভারত হিন্দু, শিখ, জৈন এবং বৌদ্ধ ধর্মের মতো প্রধান ধর্মগুলোর (Dharma) জন্মভূমি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Wakf Board: ওয়াকফ বোর্ড জোর করে ছিনিয়ে নিতে চাইছে ৭৫০ একর জমি, তীব্র ক্ষোভ তেলঙ্গনায়

    Wakf Board: ওয়াকফ বোর্ড জোর করে ছিনিয়ে নিতে চাইছে ৭৫০ একর জমি, তীব্র ক্ষোভ তেলঙ্গনায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জমির পরিমাণ ৭৫০ একর। দীর্ঘদিন সেই জমিতেই বাস করছেন বহু পরিবার। হঠাৎই সেই জমি তাদের বলে দাবি করল তেলঙ্গনার (Telangana) ওয়াকফ বোর্ড (Wakf Board)। জমিটি রয়েছে তেলঙ্গনার মেদচাল মল্কাজগিরি জেলার মালকাজগিরিতে।

    কী বলছেন স্থানীয়রা (Wakf Board)

    স্থানীয়দের দাবি, ওয়াকফ বোর্ড জোর করে ছিনিয়ে নিতে চাইছে ওই জমি। রেজিস্ট্রেশন বিভাগ এই এলাকায় জমি কেনা-বেচার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। যা নিয়ে ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা। ওয়াকফ বোর্ডের নামে জমি দখলের ভয়ে সন্ত্রস্ত্র তাঁরা। স্থানীয় সূত্রে খবর, কিছুদিন আগে স্থানীয় বাসিন্দারা জানতে পারেন, মালকাজগিরির সাব-রেজিস্ট্রার শ্রীকান্ত ওই জমিগুলিকে ওয়াকফ সম্পত্তি হিসেবে মনোনীত করা হয়েছে বলে ঘোষণা করেছেন। এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই ক্ষোভে ফুঁসছেন স্থানীয়রা। এলাকার বাসিন্দা রমেশ বলেন, “এটা একেবারেই কঠোর একটা পদক্ষেপ।” তিনি বলেন, “ওয়াকফ বোর্ড কোনও বৈধ কারণ ছাড়াই অন্যায়ভাবে আমাদের কঠোর পরিশ্রমে অর্জিত সম্পত্তি ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে।”

    ওয়াকফ বোর্ডের দাবি নিয়েই প্রশ্ন

    মাল্কাজগিরি হায়দরাবাদের শহরতলি এলাকা। এটি দেশের বৃহত্তম লোকসভা কেন্দ্র। বর্তমানে এখানকার সাংসদ বিজেপির ইটালা রাজেন্দ্র। এখানেই ৭৫০ একর জমি তাদের বলে দাবি করছে ওয়াকফ বোর্ড। গত ২৭ অগাস্ট, রেজিস্ট্রেশন এবং স্ট্যাম্পের কমিশনার ও ইন্সপেক্টর জেনারেল মাল্কাজগিরির জেলা রেজিস্ট্রারের দফতরকে নির্দিষ্ট জমিগুলি প্রোহিবিটেড তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার নির্দেশ দেন। ঘটনায় ক্ষুব্ধ স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁরা ওয়াকফ বোর্ডের দাবি নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন। তাঁদের বক্তব্য (Wakf Board), জমিগুলি কেনা হয়েছে অনেক আগে। কয়েক দশক পার হয়ে যাওয়ার পর এখন সেগুলি ওয়াকফ বোর্ডের বলে দাবি করা হচ্ছে। পূর্ব কাকাতিয়া নগরের বাসিন্দা ফণী বলেন, “ওরা কীভাবে হঠাৎ আমাদের বাড়িগুলিকে ওয়াকফ সম্পত্তি বলে ঘোষণা করতে পারে? এটা নিছক পরিহাস ছাড়া আর কিছুই নয়।” তিনি বলেন, “অনেক কষ্টে আমরা এই বাড়িগুলি তৈরি করেছি। এখানেই আমাদের বেড়ে ওঠা। সেই জমিই এখন ওরা কেড়ে নিতে চাইছে।”

    আরও পড়ুন: “হিন্দুদের ঐক্যবদ্ধ থাকা উচিত, জনকল্যাণের জন্যই প্রয়োজনীয়”, বললেন দত্তাত্রেয়

    বিশ্ব হিন্দু পরিষদের জাতীয় মুখপাত্র রাভিনুতালা শশীধর বলেন, “আমরা তেলঙ্গানা স্টেট রেজিস্ট্রেশন ডিপার্টমেন্টের সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ জানাই। ওয়াকফ বোর্ডের চিঠির ভিত্তিতে মালকাজগিরি সার্কেলের ১০০টিরও বেশি সার্ভে নম্বর জুড়ে ৭৫০ একর জমি সংক্রান্ত রেজিস্ট্রেশন নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এই সিদ্ধান্তের (Telangana) কারণে হাজার হাজার হিন্দু পরিবার চরম উদ্বেগে রয়েছে (Wakf Board)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

       

  • Yogi Adityanath: পাকিস্তানের কথা বললে ভিক্ষার ঝুলি ধরানো হবে, মৌলবাদীদের হুঁশিয়ারি যোগীর

    Yogi Adityanath: পাকিস্তানের কথা বললে ভিক্ষার ঝুলি ধরানো হবে, মৌলবাদীদের হুঁশিয়ারি যোগীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটমুখী মহারাষ্ট্রে নির্বাচনের প্রচারে এসে উগ্র মৌলবাদীদের হুঁশিয়ারি দিলেন যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath)। দেশে থেকে পাকিস্তানের কথা বললে, তাদের হাতে ভিক্ষার ঝুলি ধরিয়ে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। কীভাবে উত্তরপ্রদেশ বর্তমানে একটি মডেল রাজ্যে পরিণত হয়েছে, সে কথাও শোনান তিনি। নিজের বক্তব্যে (Maharashtra Polls) যোগী আদিত্যনাথ অনেক কিছুই টেনে আনেন, যার মধ্যে ছিল উত্তরপ্রদেশের আইনশৃঙ্খলার উন্নতির প্রসঙ্গও। কীভাবে রাজ্য প্রশাসন অপরাধমুক্ত ও দুর্নীতিমুক্ত উত্তরপ্রদেশ করেছে, সে কথাও নিজের ভাষণে শোনান যোগী আদিত্যনাথ। তাঁকে এমন মন্তব্য করতে শোনা যায়, ‘‘একসময় উত্তরপ্রদেশ ছিল মাফিয়াদের দখলে এবং অপরাধীদের কাজকর্ম চলত সেখানে।’’ নিজের বক্তব্যে যোগী আদিত্যনাথ ঘোষণা করেন, তাঁর আমলে অভূতপূর্ব পরিবর্তন হয়েছে উত্তরপ্রদেশে।

    উত্তরপ্রদেশে রাস্তায় কেউ নমাজ পড়ে না

    যোগী (Yogi Adityanath) নিজের বক্তব্যে আরও উল্লেখ করেন, ‘‘উত্তরপ্রদেশে নামাজকে কেউ অপব্যবহারও করতে পারে না।’’ তিনি বলেন, ‘‘এখন রাজ্যে রাস্তাতে আর কেউ নামাজ পড়ে না।’’ তিনি জানিয়েছেন, জনগণের অসুবিধা করে, ট্রাফিক যানজট তৈরি করে, এমন কোনও রকমের আচার অনুষ্ঠান করা হয় না সেখানে। এর পাশাপাশি তিনি গর্বের সঙ্গে একথাও জানিয়েছেন, মসজিদগুলি থেকে মাইকও খুলে নেওয়া হয়েছে। যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath) বলেন, ‘‘আগামী পাঁচ বছর পরে আমরা সেই সমাজে থাকব, যেখানে লাউডস্পিকার ছাড়াই নামাজ পড়া হবে।’’

    বিরোধী জোটের তুলনা ঔরঙ্গজেবের সঙ্গে (Yogi Adityanath)

    এর পাশাপাশি যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath) মৌলবাদীদের হুঁশিয়ারি (Maharashtra Polls) দিয়ে বলেন, ‘‘পাকিস্তানের কথা যারা বলবে তাদের হাতে ভিক্ষার ঝুলি ধরানো হবে।’’ কারণ তাদের মতো বোঝাকে ভারতে রাখা হবে না। এর পাশাপাশি যোগী আদিত্যনাথের বক্তব্যে উঠে এসেছে ভারতের উন্নয়ন সমেত ঐতিহাসিক পটভূমি। তিনি ঔরঙ্গজেবের ইস্যু টেনে বলেন, ‘‘সেই জোটকে কখনও ক্ষমতায় আসতে দেবেন না, যাদের মধ্যে ঔরঙ্গজেবের ভাবাদর্শ কাজ করছে।’’ যোগী আদিত্যনাথ ছত্রপতি শিবাজি মহারাজের নামও করেন এবং তিনি বলেন, ‘‘ শিবাজি ছিলেন এমন একজন মারাঠা, যিনি ঔরঙ্গজেবকে পরাস্ত করতে পেরেছিলেন।’’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RSS: “হিন্দুদের ঐক্যবদ্ধ থাকা উচিত, জনকল্যাণের জন্যই প্রয়োজনীয়”, বললেন দত্তাত্রেয়

    RSS: “হিন্দুদের ঐক্যবদ্ধ থাকা উচিত, জনকল্যাণের জন্যই প্রয়োজনীয়”, বললেন দত্তাত্রেয়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “হিন্দুদের ঐক্যবদ্ধ থাকা উচিত। সমাজে হিন্দু ঐক্য অপরিহার্য, জনকল্যাণের জন্যই প্রয়োজনীয়।” কথাগুলি বললেন আরএসএস-এর (RSS) সরকার্যবাহ দত্তাত্রেয় হোসাবলে (Dattatreya Hosabale)। তিনি বলেন, “জাতি ও মতবাদের ভিত্তিতে হিন্দুদের বিভক্ত করার চেষ্টা চলছে। আমাদের এ বিষয়ে সজাগ থাকতে হবে।” অখিল ভারতীয় কার্যকরী মণ্ডল বৈঠক শেষ হওয়ার আগে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হন এই আরএসএস কর্তা। সেখানেই হিন্দুদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।

    পঞ্চ পরিবর্তন (RSS)

    দত্তাত্রেয় বলেন, “অখিল ভারতীয় কার্যকরী মণ্ডল বৈঠকে আমরা সংঘ ও সংঘ প্রাণিত সংগঠনগুলি তাদের নিজ নিজ অঞ্চলে যে কাজ করেছে, তার পর্যালোচনা করেছি। ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়েও আলোচনা করেছি। সংঘের শতবর্ষ পূর্তি সম্প্রসারণ পরিকল্পনারও পর্যালোচনা করা হয়েছে।” তিনি বলেন, “বৈঠকে সমাজের মঙ্গলের জন্য ‘পঞ্চ পরিবর্তন’ কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। এই কর্মসূচিতে সামাজিক রূপান্তরের জন্য পাঁচটি মূল বিষয় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এগুলি হল, সামাজিক সমরসতা (সামাজিক সম্প্রীতি), কুটুম্ব প্রবোধন (পরিবারের শিক্ষাদান), পরিবেশ, ‘স্বর’ (আত্মনির্ভরতা)এর ওপর গুরুত্ব এবং নাগরিকদের কর্তব্য। এই অনুশীলনগুলি শুধুমাত্র স্বয়ংসেবকদেরই নয়, তাঁদের পরিবারের সদস্যদেরও অনুসরণ করা উচিত। তবেই আমরা অন্যদের এগুলি অনুসরণ করতে উৎসাহিত করতে পারব।”

    কলেবর বাড়ছে আরএসএস-এর

    দেশে যে ক্রমেই আরএসএস-এর (RSS) কলেবর বাড়ছে, তাও জানা গিয়েছে দত্তাত্রেয়র বক্তব্য থেকে। তিনি বলেন, “গত বছরের তুলনায় এবার গোটা দেশে আমাদের শাখার সংখ্যা বেড়েছে ৩ হাজার ৬২৬টি। বর্তমানে ৪৫ হাজার ৪১১টি জায়গায় পরিচালিত হচ্ছে ৭২ হাজার ৩৫৪টি শাখা। চলতি বছর নয়া শাখা যুক্ত হয়েছে ৬ হাজার ৬৪৫টি। ‘সাপ্তাহিক মিলন’-এর সংখ্যা ২৯,০৮৪-এ পৌঁছেছে। গত বছরের তুলনায় ৩,১৪৭টি বেশি। মাসে একবার অনুষ্ঠিত ‘মাসিক সংঘ মণ্ডলী’ এখন ১১,৩৮২-এ পৌঁছেছে, যা গত বছরের তুলনায় ৭৫০টি বেশি। এখন আমাদের মোট ১,০১,৪৩৮টি ইউনিট রয়েছে।”

    আরও পড়ুন: ইজরায়েল-ইরাক দ্বন্দ্ব, তেহরানের পাশে মুসলিম রাষ্ট্র, তেলআভিভের পাশে কারা?

    তিনি বলেন, “এটি আরএসএস-এর শতবর্ষ উদযাপনের প্রেক্ষাপটে আমাদের একটি উল্লেখযোগ্য সাফল্য।” দত্তাত্রেয় বলেন, “প্রতিনিধি সভা পর্যন্ত আগামী চার মাসে আমরা এই সংখ্যাগুলি আরও বাড়ানোর চেষ্টা করব। আমরা আলোচনা করেছি, উন্নয়ন শুধু পরিমাণগত নয়, গুণগতও হওয়া উচিত।” তিনি বলেন, “সমাজের সঙ্কট বা দুর্দশার সময় সংঘের স্বয়ংসেবকরা সব সময় এগিয়ে আসেন, যা প্রশংসনীয়। আজকাল, প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় অনেক ব্যক্তি ও সংস্থাও সহযোগিতা করে। আমরা তাদের সঙ্গে একযোগে কাজ করি। স্বয়ংসেবকরা এ বিষয়ে সর্বদা সতর্ক থাকেন।”

    উদাহরণ দিয়ে দত্তাত্রেয় (Dattatreya Hosabale) বলেন, “জুলাই মাসে পশ্চিমবঙ্গের তারকেশ্বর নদীতে বন্যা হয়েছিল। সেখানে স্বয়ংসেবকরা ২৫ হাজার মানুষকে সাহায্য করেছিলেন। জীবন বাঁচিয়েছিলেন। খাদ্যও সরবরাহ করেছেন। পুরীতে বন্যার সময় তাঁরা ৪০ হাজার মানুষকে সাহায্য করেছেন (RSS)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BJP: “মনোনয়নে তথ্য লুকিয়েছেন প্রিয়াঙ্কা! গান্ধী পরিবার সবচেয়ে বড় দুর্নীতিগ্রস্ত পরিবার”, আক্রমণ বিজেপির

    BJP: “মনোনয়নে তথ্য লুকিয়েছেন প্রিয়াঙ্কা! গান্ধী পরিবার সবচেয়ে বড় দুর্নীতিগ্রস্ত পরিবার”, আক্রমণ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেরলের ওয়েনাড়ের উপনির্বাচনে কংগ্রেসের হয়ে লড়াই করছেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। মনোনয়ন জমা দিতেই তাঁর বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ আনলেন বিজেপি (BJP) নেতা গৌরব ভাটিয়া। এক সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি (Gaurav Bhatia) অভিযোগ করেন, ‘‘যে সমস্ত প্রয়োজনীয় তথ্য দেওয়া দরকার ছিল মনোনয়নপত্রে, তা দেননি প্রিয়াঙ্কা গান্ধী।’’ এর পাশাপাশি গান্ধী পরিবারকে সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত রাজনৈতিক পরিবার বলেও মন্তব্য করেন গৌরব।

    কী বললেন বিজেপি নেতা (BJP)

    গৌরব ভাটিয়া (BJP) বলেন,‘‘ভারত সরকার বনাম এডিআর মামলায় সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী প্রত্যেক প্রার্থীকে মনোনয়নপত্রে উল্লেখ করতে হয়, তাঁর যাবতীয় তথ্য। তাঁর বিরুদ্ধে কোন কোন মামলা চলছে তাও উল্লেখ করতে হয়। তাঁর সম্পত্তির বিবরণ ও প্রার্থীর ওপর যাঁরা নির্ভরশীল, তাঁদেরও বিশদ বর্ণনা দিতে হয়। কিন্তু ওয়েনাড়ে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী যে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন, সেখানে দেখা যাচ্ছে সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশ কোনওভাবেই মানা হয়নি। যদি এই পৃথিবীতে সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত কোনও রাজনৈতিক পরিবার থাকে, তবে সেটা হল গান্ধী পরিবার।’’

    আরও পড়ুন: ৩১ অক্টোবর গোয়ালিয়রে শুরু হচ্ছে আরএসএসের প্রচারক বর্গ, জানালেন সুনীল আম্বেকর

    সরাসরি চ্যালেঞ্জ প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে (BJP)

    একইসঙ্গে প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে তিনি (Gaurav Bhatia) জানান, সাহস থাকলে জনগণের সামনে এই ইস্যুতে তাঁর অবস্থান পরিষ্কার করুন কংগ্রেস নেত্রী। প্রসঙ্গত, গত ২৩ অক্টোবর প্রিয়াঙ্কা গান্ধী মনোনয়নপত্র জমা দেন। সেই সময় হাজির ছিলেন কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব। চলতি মাসের ১৫ অক্টোবর কংগ্রেসের হাইকমান্ড প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে মনোনয়ন দেয় ওয়েনাড় আসন থেকে। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে রায়বরেলি এবং ওয়েনাড়-এই দুই আসন থেকেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন রাহুল গান্ধী। পরবর্তীকালে ওয়েনাড় আসনটি তিনি ছেড়ে দেন। ওয়েনাড়ের ভোট হবে আগামী ১৩ নভেম্বর, গণনা হবে ২৩ নভেম্বর। প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর বিরুদ্ধে বিজেপি (BJP) সেখানে নামিয়েছে যুব প্রার্থী নব্যা হরিদাসকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share