Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Hijab Row: শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হিজাবের নামে স্বেচ্ছাচারিতা, শিক্ষা দিতে ময়দানে প্রশাসন

    Hijab Row: শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হিজাবের নামে স্বেচ্ছাচারিতা, শিক্ষা দিতে ময়দানে প্রশাসন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তর প্রদেশের (Uttar Pradesh) কানপুরের বিলহৌর এলাকায় এক সরকারি কলেজে তিন ছাত্রী কলেজের পোশাক বিধি না মেনে হিজাব পরে (Hijab Row) শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আসায় জেলাশাসক রাকেশ সিং তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। তদন্ত কমিটির নেতৃত্ব দেবেন সহকারী জেলাশাসক রশ্মি লাম্বা। ১৭ অগাস্টের মধ্যে তাঁকে বিস্তারিত রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে।

    হিজাবের নামে স্বচ্ছাচারিতা (Hijab Row)

    সবকিছু ঠিকঠাক ভাবেই চলছিল। কলেজের সকল ছাত্র-ছাত্রী পোশাক বিধি মেনেই কলেজে আসছিলেন। হঠাৎই বেঁকে বসে তিন মুসলিম ছাত্রী। জানা যায় তাঁরা পোশাক বিধির বাইরে গিয়ে হিজাব পরে (Hijab Row) কলেজে আসার জন্য গোঁ ধরে বসেন। এতে কলেজের অন্যান্য ছাত্র ছাত্রীদের মধ্যেও পোশাক বিধি ভঙ্গ করার মানসিকতা দেখা দেয়। কলেজ কর্তৃপক্ষ বারণ করার পরেও অনড় ছিল ওই তিন ছাত্রী। তাঁদের বক্তব্য, এই পোশাক বিধি ধর্মীয় আচরণের অংশ। তদন্ত তিনটি বিষয়ের উপরে কেন্দ্রীভূত। এক, ছাত্রীরা কী স্বেচ্ছায় হিজাব পরেছিলেন? দ্বিতীয়, ছাত্রীরা কী কলেজের পোশাক বিধি সম্পর্কে অবহিত ছিল। তৃতীয়, পোশাক বিধি না মানার জন্য তাঁদের উপরে বহিরাগত কোনও শক্তি চাপ দেয়নি তো।

    ইউনিফর্মে আপত্তি তিন ছাত্রীর (Uttar Pradesh)

    জানা গিয়েছে, এই ঘটনা ৩ আগস্ট সামনে আসে, যখন ওই তিনজন মুসলিম ছাত্রী কলেজের ভিতরে পোশাক বিধি মান্য না করে হিজাব পরে (Hijab Row) প্রবেশ করে। জ্যোতি নামে এক শিক্ষিকা প্রথমে ঘটনাটি লক্ষ্য করেন। তিনি ওই ছাত্রীদের কলেজের পোশাক বিধি মেনে চলার পরামর্শ দেন। শিক্ষিকার বলার পরেও, ছাত্রীরা হিজাব পরেই কলেজে আসে। এরপর হিজাব পরে কলেজ আসায় তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে বলে জানানো হয়। অন্যান্য ছাত্র-ছাত্রীরাও এ বিষয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। তারা কলেজের অধ্যক্ষের কাছে জানতে চায়, পোশাক বিধি না মানলে সকলেই কি ছাড় পেয়ে যাবে? নাকি শুধুমাত্র নির্দিষ্ট ধর্মাবলম্বী বলে পোশাক-বিধি ভঙ্গ করার জন্য ছাড় দেওয়া হচ্ছে। বিক্ষোভের জেরে কলেজের অধ্যক্ষ পোশাক বিধির বাইরে কোন পোশাক পরে আসার উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন এবং ওই ছাত্রীদের অভিভাবকদেরকে ডেকে পাঠান। অভিভাবকরা আশ্বাস দেন, এরপর থেকে কলেজের ইউনিফর্ম পরেই ছাত্রীরা কলেজে আসবে।

    কর্ণাটকের পরিস্থিতি চায়না উত্তরপ্রদেশ (Uttar Pradesh)

    কানপুরের জেলাশাসক জানিয়েছেন, “আপাতত দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির কথা ভাবা হচ্ছে না। ছাত্রীদের ভবিষ্যতে যাতে কোনও সমস্যা না হয় সেই দিকটি ভাবা হচ্ছে। তবে কলেজের এবং যে কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অনুশাসন সকল ছাত্র-ছাত্রীদের মেনে চলা উচিত। তদন্তের উদ্দেশ্য পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত হওয়া। প্রসঙ্গত ২০২১ সালে কর্নাটকে একইভাবে এক ছাত্রীর হিজাব পরে আসাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছিল। ফলে দুই ধর্মীয় গোষ্ঠীর ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছিল। উত্তরপ্রদেশ প্রশাসন চায় না কর্নাটকের পরিস্থিতি উত্তরপ্রদেশে (Uttar Pradesh) সৃষ্টি হোক। সেই কারণে আগেভাগেই ব্যবস্থা নিচ্ছে প্রশাসন। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যেহেতু পড়াশোনার জায়গা, সেখানে ধর্মীয় গোঁড়ামির কোনও স্থান নেই। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নির্দিষ্ট নিয়ম মেনেই সকল ছাত্র-ছাত্রীদের চলতে হবে।

    আরও পড়ুন: অবৈধ বাংলাদেশিদের চিহ্নিত করতে ঝাড়খণ্ড প্রশাসনকে নির্দেশ আদালতের

    শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সকল ছাত্র-ছাত্রীদের একরকম পোশাক হয়। তার অর্থ, সকলকে এক সমান চোখে দেখা। পোশাক বিধির পিছনে নিহিত অর্থ সকলের বোঝা উচিত।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh: বাংলাদেশে বিপন্ন হিন্দু, ভারতীয় সংসদকে খোলা চিঠি দেশের সাহিত্যিক-বিজ্ঞানীদের

    Bangladesh: বাংলাদেশে বিপন্ন হিন্দু, ভারতীয় সংসদকে খোলা চিঠি দেশের সাহিত্যিক-বিজ্ঞানীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে (Bangladesh) হিন্দু-নিধন (Hindu Genocide) নিয়ে এবার সরব হলেন ভারতীয় বুদ্ধিজীবীরা। ভারতীয় সাহিত্যিক-বিজ্ঞানী থেকে শুরু করে অধ্যাপক-বিশিষ্টজন’রা এ নিয়ে খোলা চিঠি লিখলেন দেশের সংসদের উদ্দেশে। ওই চিঠির নিচে তাঁরা স্বাক্ষরও করেছেন। হিন্দুদের অধিকার রক্ষায় একগুচ্ছ দাবিও জানিয়েছেন তাঁরা। চিঠিতে বাংলাদেশের হিন্দুদের দুর্দশার কথা যেমন তুলে ধরা হয়েছে, তেমনই মন্দিরে মন্দিরে হামলা, হিন্দু হত্যার কথাও সেখানে স্থান পেয়েছে।

    প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের (Bangladesh) রাজনৈতিক পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠার পরেই সেদেশের হিংসা সাম্প্রদায়িক হামলায় পরিবর্তিত হয়। জামাত ও বিএনপির নেতৃত্বে মৌলবাদীরা আক্রমণ চালাতে থাকে একের পর এক হিন্দু মন্দির ও বাড়িতে (Hindu Genocide)। গত শনিবারই লাখো লাখো হিন্দু নিরাপত্তার দাবিতে জড়ো হন সারা বাংলাদেশের একাধিক জায়গায়। এর আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও নিজের ট্যুইট বার্তায় মহম্মদ ইউনূসকে হিন্দুদের সুরক্ষা সুনিশ্চিত করার আহ্বান জানান। ঠিক এই আবহে এবার হিন্দুদের অধিকার রক্ষায় সরব হতে দেখা গেল ভারতীয় সাহিত্যিক-বিজ্ঞানীদের।

    কী লেখা হল খোলা চিঠিতে?

    বিশিষ্টজনদের ওই চিঠিতে লেখা হয়েছে, ‘‘বাংলাদেশে (Bangladesh) হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর যেভাবে হিংসাত্মক হামলা (Hindu Genocide) বেড়ে চলছে, তাতে আমরা গভীরভাবে উদ্বেগ প্রকাশ করছি। সাম্প্রতিক ঘটনাগুলিতে দেখা যাচ্ছে হিন্দুদেরকে লক্ষ্যবস্তু বানানো হচ্ছে। মেহেরপুরে ইসকনের কেন্দ্রকে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। সারাদেশে একাধিক হিন্দু মন্দিরে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। গণপিটুনিতে হিন্দুদের হত্যা করে সেই ভিডিও ভাইরাল করেছে মৌলবাদীরা।’’ হিন্দুদের ওপর এমন হামলা বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয় বলেই জানিয়েছেন সাহিত্যিক-বিজ্ঞানী থেকে শুরু করে অধ্যাপক-বিশিষ্টজনরা।

    বাংলাদেশ (Bangladesh) গঠনের আগেই পাকিস্তানি শাসকরা ২৫ লাখ হিন্দুকে হত্যা করেছিল

    ওই চিঠিতে এ প্রসঙ্গে তুলে ধরা হয়েছে ঐতিহাসিকভাবে কীভাবে হিন্দু জনগোষ্ঠীকে বারবার আক্রমণ করা হয়েছে বাংলাদেশে। এনিয়ে লেখা হয়েছে, ‘‘১৯৭১ সালে বাংলাদেশ গঠনের আগেই পাকিস্তানি শাসকরা ২৫ লাখ হিন্দুকে হত্যা করেছিল। তখন থেকে হিন্দু গণহত্যা সেদেশে একটি নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে।’’ চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ‘‘২০১৩ সাল থেকে বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর হামলার ঘটনা ৩,৬০০টি ঘটেছে।’’ চিঠিতে আবেদন জানানো হয়েছে ভারত সরকার যেন রাষ্ট্রসঙ্ঘের মতো আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলির সঙ্গে এবিষয়ে আলোচনা চালায়। আন্তর্জাতিক মঞ্চের মাধ্যমে বাংলাদেশ (Bangladesh) সরকারকে চাপ দিয়ে সংখ্যালঘুদের অধিকারকে সুরক্ষিত করার কথাও বলা হয়েছে ওই চিঠিতে। এর পাশাপাশি নির্যাতনের হাত থেকে পালিয়ে আসা বাংলাদেশি হিন্দুদের ভারতে আশ্রয় দেওয়ার দাবিও জানানো হয়েছে ওই চিঠিতে।

    নির্বাচিত সাংসদদের কাছে আবেদন

    ওই চিঠিতে আরও লেখা হয়েছে, ‘‘বাংলাদেশের (Bangladesh) বর্তমান ঘটনাবলীর পরিস্থিতি হিন্দুদের ওপর হামলার তীব্রতাকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে। সংখ্যালঘুরা সেখানে বিপন্ন-অত্যাচারিত-নিপীড়িত।’’ বর্তমান পরিস্থিতিতে যে বাংলাদেশে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ বা দেশভাগের সময়কার ছায়া দেখা যাচ্ছে তারও উল্লেখ করা হয়েছে এবং সংখ্যালঘুদের ওপর যাতে হামলা আর কোনওভাবে না হয় তার স্থায়ী সমাধানও চাওয়া হয়েছে। ভারতীয় সাংসদদের কাছে আবেদন করে ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘‘আমরা নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের কাছে আবেদন জানাচ্ছি যে, এই ইস্যু নিয়ে তাঁরা যেন সরকারের সঙ্গে কথা বলেন এবং উচ্চ পর্যায়ে আলোচনার মাধ্যমে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার এই সমস্যাটির সমাধান করেন।’’

    কী কী দাবি জানানো হল 

    নিজেদের দাবির কথাও চিঠির একেবারে শেষে উল্লেখ করেছেন লেখক-বিজ্ঞানীরা এবং সেখানে ভারতীয় সংসদের কাছে দাবি হিসেবে জানানো হয়েছে-

    ১. বাংলাদেশে (Bangladesh) হিন্দুদের ওপর ঘটে চলা হিংসাত্মক হামলা ও সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষের নিন্দা জানিয়ে সর্বসম্মতভাবে প্রস্তাব পাশ করতে হবে।

    ২. রাষ্ট্রসঙ্ঘের মতো আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলির সঙ্গে ভারত সরকার যেন আলোচনা চালায় যাতে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারকে চাপ দিয়ে রাষ্ট্রসঙ্ঘ হিন্দু সংখ্যালঘুদের সুরক্ষার জন্য দৃঢ় পদক্ষেপ নেয় এবং দাঙ্গাকারীদের বিরুদ্ধে যথাযথ শাস্তির ব্যবস্থা করে।

    ৩. বাংলাদেশে মৌলবাদীদের আক্রমণে যে সমস্ত হিন্দু অত্যাচারিত হয়েছেন তাঁদেরকে মানবিকভাবে সহায়তা করা এবং ভারতে তাঁদের আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা।

    ৪. বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের মৌলিক ও মানবিক অধিকারকে বজায় রাখতে এবং যে কোনও ধরনের হিংসাকে রোধ করতে পদক্ষেপ করা। প্রয়োজন হলে আন্তর্জাতিকভাবে মঞ্চে বিষয়টি আলোচনা করে হিন্দুদেরকে সুরক্ষা প্রদান করা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Port: ভারতের জন্য গ্রেট নিকোবর দ্বীপে আন্তর্জাতিক ট্রান্সশিপমেন্ট পোর্ট কতটা গুরুত্বপূর্ণ জানেন? 

    Port: ভারতের জন্য গ্রেট নিকোবর দ্বীপে আন্তর্জাতিক ট্রান্সশিপমেন্ট পোর্ট কতটা গুরুত্বপূর্ণ জানেন? 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গ্রেট নিকোবরে ৪১০০০ কোটি টাকার বিনিয়োগে নির্মিত হচ্ছে ট্রান্স-শিপমেন্ট পোর্ট (Port)। ভারত সরকার গালাথিয়া উপসাগরে গ্রেট নিকোবর দ্বীপে আন্তর্জাতিক ট্রান্সশিপমেন্ট বন্দর (Great Nicobar Transhipment Port) প্রকল্পকে দ্রুত বাস্তবায়ন করতে চলেছে। এই বন্দর প্রকল্পটি শুরু করার সময় প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষার মতো একটি বিষয় প্রথমে উদ্বেগ তৈরি করেছিল। কিন্তু পরবর্তী সময়ে পরিবেশ এবং জলবায়ু মন্ত্রক থেকে ছাড়পত্র পাওয়া গিয়েছে। সেই সঙ্গে ন্যাশনাল গ্রীন ট্রাইব্যুনাল (এনজিটি) থেকেও অনুমোদন পাওয়া গিয়েছে। ফলে বাস্তবায়নে আর কোনও বাধা নেই। এই বন্দর ভারতের আন্তর্জাতিক আমদানি-রফতানির জন্য ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ হবে বলে মনে করা হচ্ছে। 

    বন্দর সচিবের বক্তব্য (Great Nicobar Transhipment Port)

    সংবাদ মাধ্যমের একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী কেন্দ্রীয় বন্দর, নৌপরিবহণ এবং জলপথ সচিব টি কে রামচন্দ্রন বলেছেন, “এই বন্দর (Great Nicobar Transhipment Port) প্রকল্পের ডিপিআরও চূড়ান্ত করা হয়েছে এবং আমরা আগামী কয়েক মাসের মধ্যে এটির আরও বাস্তবায়নের জন্য কাজ শুরু করব। এই সমুদ্র বন্দর প্রকল্পটির জন্য অনুমানিক ব্যয় হবে প্রায় ৪১,০০০ কোটি টাকা। তবে সরকার এবং ব্যক্তিগত-প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) দ্বারা প্রকল্পের অর্থ অনুমোদন করা হবে।”

    পিপিপি মডেলে তৈরি হবে

    গত বছর, বন্দর (Port), নৌপরিবহণ এবং জলপথ মন্ত্রক ঘোষণা করেছিল, ১১টি সংস্থা এই বন্দর (Great Nicobar Transhipment Port) প্রকল্পের জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছে। যার মধ্যে রয়েছে, লারসেন অ্যান্ড টুব্র লিমিটেড, অ্যাফকান ইন্সুরেন্স লিমিটেড, জেএসডবলু ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেডের মতো কোম্পানি। বাজার ও ব্যবসার মূল্যায়নের উপর ভিত্তি করে স্টোরেজ এলাকা, কন্টেইনার হ্যান্ডলিং সরঞ্জাম এবং অন্যান্য কাঠামো গঠন করা হবে। ৩০ থেকে ৫০ বছরের দীর্ঘমেয়াদী সময়ের জন্য পিপিপিকে ছাড় দেওয়া হবে। বন্দর পরিষেবা প্রদানের জন্য ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে কর সংগ্রহ এবং সামগ্রিক পরিচর্চার বিষয়ে তাদের বিশেষ অধিকার দেওয়া হবে।

    দুটি ধাপে সম্পন্ন হবে

    এই সমুদ্র বন্দরের (Great Nicobar Transhipment Port) প্রকল্পটি ২টি ধাপে তৈরি করা হবে। প্রথম পর্যায়ের জন্য আনুমানিক খরচ করা হবে প্রায় ১৮০০০ কোটি টাকা। এই পর্বে ব্রেকওয়াটার নির্মাণ, ড্রেজিং, পুনরুদ্ধার, বার্থ, স্টোরেজ এলাকা, বিল্ডিং এবং ইউটিলিটি, যন্ত্রপাতি সংগ্রহ, ইনস্টলেশন এবং বন্দর কলোনির উন্নয়নের কাজ করা হবে। মূল অবকাঠামো উন্নয়নে সরকারি সহায়তা করা হবে। দ্বিতীয় পর্বে বন্দরের জন্য পৃথক দরপত্র প্রণয়ন করা হবে। তবে প্রথম পর্যায় এবং দ্বিতীয় পর্যায়ের মধ্যে সর্বাধিক সাত বছরের ব্যবধানের থাকবে। তবে যদি চাহিদা বাড়ে তবে এই সময়ের ব্যবধানটি কমিয়ে আনা হতে পারে।

    প্রকল্পের তাৎপর্য

    বর্তমানে, ভারতের ট্রান্সশিপড কার্গোর প্রায় ৭৫ শতাংশ ভারতের বাইরের বন্দরে পরিচালনা করা হয়ে থাকে। কলম্বো, সিঙ্গাপুর এবং ক্ল্যাং-এই বন্দরগুলিতে ৮৫ শতাংশেরও বেশি কাজ হয়ে থাকে৷ তবে এই ট্রান্সশিপড কার্গোর অর্ধেকের বেশি কলম্বো বন্দর দ্বারা পরিচালিত হয়। ভারতের এই বন্দর প্রকল্প অত্যন্ত কৌশলগত, কারণ এটি সিঙ্গাপুর, ক্ল্যাং এবং কলম্বোর মতো আন্তর্জাতিক বাণিজ্য রুটে মধ্যে অবস্থিত। বৈদেশিক আমদানি-রফতানি এবং ভারতীয় উপমহাদেশের রাজনৈতিক নিরাপত্তা-সুরক্ষার বিষয় জড়িয়ে রয়েছে এই বন্দরের সঙ্গে। তাই ভারতের জন্য এই বন্দর (Great Nicobar Transhipment Port) অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। 

    আরও পড়ুনঃ অবৈধ বাংলাদেশিদের চিহ্নিত করতে ঝাড়খণ্ড প্রশাসনকে নির্দেশ আদালতের

    ২০২৮ সালের মধ্যে চালু হবে বন্দর

    আন্তর্জাতিক জাহাজ বাণিজ্য পথের ৪০ নটিক্যাল মাইল দূরে অবস্থিত এই বন্দর (Great Nicobar Transhipment Port)। ২০ মিটারের বেশি প্রাকৃতিক জলের গভীরতায় জাহাজের আমদানি-রফতানির জন্য খুব সহায়ক হবে এই বন্দর। এই প্রস্তাবিত বন্দরটি সম্পূর্ণরূপে চালু হলে প্রতি বছর ১৬ মিলিয়ন কন্টেইনার ওঠা-নামানোর পরিকাঠামো নির্মিত হবে। যার প্রথম ধাপ ২০২৮ সালের মধ্যে চালু হবে বলে আশা করা হচ্ছে। গ্রেট নিকোবর দ্বীপের সামগ্রিক উন্নয়নের অংশ হিসেবে একটি গ্রিনফিল্ড আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরেরও পরিকল্পনা করা হয়েছে, যা বন্দরের (Port) সঙ্গে একযোগে বিকাশ ঘটাবে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: স্বাধীনতা দিবসে জাতির উদ্দেশে ১১ বার ভাষণ! মোদি হতে চলেছেন তৃতীয় প্রধানমন্ত্রী

    PM Modi: স্বাধীনতা দিবসে জাতির উদ্দেশে ১১ বার ভাষণ! মোদি হতে চলেছেন তৃতীয় প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবার দেশের ৭৮তম স্বাধীনতা দিবস। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) দিল্লির লালকেল্লায় বক্তব্য রাখবেন। প্রসঙ্গত, নরেন্দ্র মোদি হতে চলেছেন তৃতীয় প্রধানমন্ত্রী যিনি ১১ বার স্বাধীনতা দিবসে (Independence Day) বক্তব্য রাখবেন। চলতি বছরের ৪ জুন লোকসভা ভোটের ফলাফল বের হয়। দেখা যায়, ফের ক্ষমতায় ফিরেছে এনডিএ জোট। এরপরেই ৯ জুন তৃতীয়বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নেন নরেন্দ্র মোদি। তখনই তিনি দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর রেকর্ডকেও স্পর্শ করেন।

    নেহরু ও ইন্দিরার পরেই ১১ বার ভাষণ দেবেন মোদি (PM Modi) 

    প্রধানমন্ত্রী হিসেবে জওহরলাল নেহরু টানা তিনবার পূর্ণ মেয়াদে ক্ষমতায় প্রত্যাবর্তন করেছিলেন। জওহরলাল নেহরু ১৭ বার জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছিলেন স্বাধীনতা দিবসে। অন্যদিকে, ১৯৬৬ সালের জানুয়ারি থেকে ১৯৭৭ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত এবং তার পরবর্তীকালে ১৯৮০ সালের জানুয়ারি থেকে ১৯৮৪ সালের অক্টোবর মাস পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী ছিলেন ইন্দিরা গান্ধী। তিনি অবশ্য টানা তিনবার ক্ষমতায় ফেরেননি। ইন্দিরা গান্ধী ১৬ বার জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছিলেন বলে জানা যায়। এরপরেই স্থান পেতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi), তিনি লালকেল্লা থেকে ১১ বার বক্তৃতা করবেন জাতির উদ্দেশে। অর্থাৎ নেহরু, ইন্দিরার পরেই তিনি হচ্ছেন এদিক থেকে তৃতীয় প্রধানমন্ত্রী।

    ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে প্রথম ভাষণ 

    লালকেল্লায় ভাষণ দেওয়ার ক্ষেত্রে নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) পরেই রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং, যিনি ১০ বার স্বাধীনতা দিবসে বক্তব্য দিয়েছেন। গতবারই মনমোহনের রেকর্ড স্পর্শ করেন নরেন্দ্র মোদি। ২০১৪ সালে ইউপিএ সরকারকে পরাস্ত করে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় আসেন নরেন্দ্র মোদি। সে বছরের স্বাধীনতা দিবসে তিনি প্রথমবার বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে। তাঁর সেই লালকেল্লার ভাষণে তিনি স্বচ্ছ ভারত এবং জনধন অ্যাকাউন্টের মতো নতুন কর্মসূচিরও ঘোষণা করেন।

    স্বাধীনতা দিবসে গড়ে ৮২ মিনিট ভাষণ দেন মোদি (PM Modi)

    স্বাধীনতা দিবসে নরেন্দ্র মোদি, অন্য যে কোনও প্রধানমন্ত্রীর থেকে দীর্ঘক্ষণ বক্তব্য রাখেন। তথ্য বলছে, এর আগে দশবার স্বাধীনতা দিবসে তিনি গড়ে ৮২ মিনিট করে বক্তৃতা করেছেন। নরেন্দ্র মোদির পরে স্থান রয়েছে আই কে গুজরালের। ১৯৯৭ সালে লালকেল্লায় (Independence Day) তিনি বক্তব্য রেখেছিলেন ৭১ মিনিট। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গড় ৮২ মিনিট বক্তব্য দিলেও, ২০১৭ সালে তিনি ভাষণ দেন ৫৫ মিনিট। অন্যদিকে, ২০১৬ সালে নরেন্দ্র মোদি বক্তব্য রেখেছিলেন ৯৪ মিনিট। ১৯৪৭ সালে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে জহরলাল নেহরু বক্তব্য রেখেছিলেন ২৪ মিনিট।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Vande Bharat: আমেদাবাদ-মুম্বই রুটে প্রথম ২০ কোচ বিশিষ্ট বন্দে ভারত ট্রেনের ট্রায়াল শুরু

    Vande Bharat: আমেদাবাদ-মুম্বই রুটে প্রথম ২০ কোচ বিশিষ্ট বন্দে ভারত ট্রেনের ট্রায়াল শুরু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের প্রথম ২০ কোচ বিশিষ্ট বন্দে ভারত (Vande Bharat) ট্রেনের আমেদাবাদ-মুম্বই (Ahmedabad-Mumbai route) রুটে ট্রায়াল শুরু হল। বর্তমানে ১৬ কোচ বিশিষ্ট বন্দে ভারত ট্রেনের দুটি জোড়া ট্রেন এই রুটে চলাচল করছিল। প্রতিটি ১৬ কোচের ট্রেনে ১১২৮ জন যাত্রী নেবার ব্যবস্থা রয়েছে। এর মধ্যে দুটি প্রথম শ্রেণীর বগি রয়েছে, যার একটিতে ৫২টি আসন রয়েছে এবং চেয়ার কার বগিগুলিতে ৭৮টি জন আসন রয়েছে। এবার নতুন ২০ কোচ ট্রেনটির ক্ষমতা প্রায় ২৫ শতাংশ বৃদ্ধি করা হয়েছে। আশা করা হচ্ছে যাত্রীদের আরও বেশি নিরাপদ, আরামের সুবিধা প্রদানের ব্যবস্থা থাকবে।

    গতি হবে ১৩০ কিমি প্রতি ঘণ্টা (Vande Bharat)

    যাত্রীদের সামগ্রিক ভ্রমণের অভিজ্ঞতা এবং চাহিদার কথা মাথায় রেখে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল। ট্রায়ালে এই ট্রেনের (Vande Bharat) সর্বোচ্চ গতি ১৩০ কিমি প্রতি ঘন্টা হবে। ভারতীয় রেলের দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার একটি মূল পদক্ষেপ ছিল মুম্বই-আমেদাবাদ-দিল্লি করিডোরে সেমি-হাই-স্পিড বন্দে ভারত ট্রেন চালানো হবে। ভারতীয় রেলের গবেষণা, ডিজাইন এবং স্ট্যান্ডার্ডস অর্গানাইজেশন (RDSO) এবং বিভিন্ন বিভাগের সিনিয়র রেল ইঞ্জিনিয়ারদের যৌথ উদ্যোগে ট্রায়ালটি সম্পূর্ণ হয়েছে।

    ৪৫ থেকে ৬০ মিনিট পর্যন্ত কম লাগবে

    আগে জানানো হয়েছিল, বন্দে ভারত (Vande Bharat) ট্রেনগুলি মুম্বই-আমেদাবাদ (Ahmedabad-Mumbai route) রুটে ১৬০ কিমি প্রতি ঘন্টা বেগে ট্রায়াল দেওয়া হবে। এর প্রস্তুতির জন্য লাইনের ধারণ ক্ষমতা ও নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে যোগাযোগ ব্যবস্থাকে আরও উন্নত করা হয়েছে। ইতিমধ্যে জিও-সেল ব্যবহার করে ১২০ টিরও বেশি সেতুপথকে শক্তিশালী করা হয়েছে। একই ভাবে অতিরিক্ত ১৩৮টি সেতুর পুনর্নির্মাণ এবং সাতটি সেতুকে ব্যালাস্টেড ডেক দিয়ে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। রেলপথ বরাবর ১৩৪টি বক্রপথকে সোজা করা হয়েছে। কংক্রিট স্লিপার এবং ট্র্যাক কুশনিংয়ের ক্ষমতাকেও বৃদ্ধি করা হয়েছে। এই পরিমার্জনের উপর নির্ভর করে বর্তমানে ১২০-১৩০ কিমি প্রতি ঘন্টা থেকে ১৬০ কিমি প্রতি ঘণ্টায় গতি বৃদ্ধি করা হতে পারে। ফলে মুম্বই এবং আমেদাবাদের মধ্যে যাওয়ার সময় ব্যবধান ৪৫ থেকে ৬০ মিনিট পর্যন্ত কম হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

    আরও পড়ুনঃ নভেম্বরেই রাজ্যসভায় পাশ হবে ওয়াকফ সংশোধনী বিল? আত্মবিশ্বাসী মোদি সরকার

    অনুমান খরচ ৩৯৫৯ কোটি টাকা

    মুম্বই-সুরাট-ভাদোদরা-দিল্লি করিডোরেও একইভাবে কাজ করা হচ্ছে। ভারতের পশ্চিম রেলের মুম্বই-আমেদাবাদের রুটের এই প্রকল্পটির (Vande Bharat) খরচ অনুমান বরাদ্দ হয়েছিল ৩৯৫৯ কোটি টাকা। অপরদিকে দিল্লির রুটের জন্য মোট খরচ বরাদ্দ হয়েছিল প্রায় ১০,০০০ কোটি টাকা। বর্তমানে, বন্দে ভারত, তেজস এবং শতাব্দী এক্সপ্রেস সহ আরও ৫০ টিরও বেশি ট্রেন, মুম্বই এবং আমেদাবাদের মধ্যে চলাচল করে। এই রুটের একাধিক ট্রেন বিভিন্ন বিভাগে ১০০ কিমি প্রতি ঘণ্টা থেকে ১১০ কিমি প্রতি ঘন্টা বেগে চলে। ট্রেনের যাত্রী বৃদ্ধি করার বৃহত্তর প্রচেষ্টার অংশ হিসাবে, ভারতীয় রেল ১৪৭৯ কিমি দিল্লি-মুম্বাই করিডোর এবং ১৫২৫ কিমি দিল্লি-হাওড়া করিডোরের দিকেও নজর দিয়েছে। মুম্বই-দিল্লি রুটের প্রায় ৫০ শতাংশ পশ্চিম রেলের অধীনে রয়েছে। আর বাকিটা পশ্চিম মধ্য রেলওয়ে এবং উত্তর রেলওয়ে দ্বারা পরিচালিত হয়ে থাকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Demography Change: অবৈধ বাংলাদেশিদের চিহ্নিত করতে ঝাড়খণ্ড প্রশাসনকে নির্দেশ আদালতের

    Demography Change: অবৈধ বাংলাদেশিদের চিহ্নিত করতে ঝাড়খণ্ড প্রশাসনকে নির্দেশ আদালতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাঁওতাল অঞ্চলে অনুপ্রবেশকারী ও অবৈধ বাংলাদেশিদের (Demography Change) চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সম্প্রতি ঝাড়খণ্ড সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে সে রাজ্যের (Jharkhand) হাইকোর্ট। এক্ষেত্রে আদালতের পর্যবেক্ষণ অনুপ্রবেশের বিষয়টি সুপ্রিম কোর্ট বহিরাগত আগ্রাসন হিসেবে বিবেচনা করেছে।

    জনবিন্যাস বদলের ফলে আদি বাসিন্দারাই এখন সংখ্যালঘু (Demography Change)

    জানা গিয়েছে, জামশেদপুরের এক বাসিন্দা দানিয়াল দানিশ ঝাড়খণ্ড (Jharkhand) উচ্চ আদালতে একটি জনস্বার্থ মামলা দাখিল করেন। মামলায় তিনি আদালতের কাছে দাবি করেন, বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা ব্যাপকভাবে সাঁওতাল পরগনা অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে এবং তারা জনবিন্যাসে বদল (Demography Change) ঘটিয়েছে। এই অঞ্চলের যাঁরা আদি বাসিন্দা সেই আদিবাসী সমাজের মানুষরা এখানে সংখ্যালঘু হয়ে পড়েছেন। প্রধানত, বাংলাদেশ থেকে আসা মুসলিম অনুপ্রবেশকারীরা ঝাড়খণ্ডের জামতাড়া, পাকুর, দুমকা, সাহেবগঞ্জ এবং দেওঘর এই ছটি জেলাতে ব্যাপকভাবে জনসংখ্যার বদল ঘটিয়েছে। এভাবে চলতে থাকলে কয়েক বছরের মধ্যে স্থানীয়দের অস্তিত্ব সংকটের সম্মুখীন হবে। এই সকল অনুপ্রবেশকারীরা দলিত এবং আদিবাসীদের জমি ও কেড়ে দিচ্ছে বলে অভিযোগ।

    জনবিন্যাস বদলে দিচ্ছে অনুপ্রবেশকারীরা (Jharkhand)

    ঝাড়খণ্ড (Jharkhand) উচ্চ আদালতের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি সুজিত নারায়ন প্রসাদ এবং বিচারপতি অরুণ কুমার রাইয়ের ডিভিশন বেঞ্চ এ মামলার শুনানি করছে। ৮ অগাস্ট  সাঁওতাল পরগনা অঞ্চলে ১৯৫১ সাল থেকে ২০১১ সালের আদমশুমারির তথ্য এবং পরিবর্তনশীল জনসংখ্যার বিন্যাসের তথ্য (Demography Change), আবেদনকারীর তরফ আদালতে জমা দেওয়া হয়। সাঁওতাল পরগনা অঞ্চলে আদিবাসীদের জনসংখ্যার যে ব্যাপক হ্রাস হয়েছে এই অঞ্চলে তা তুলে ধরা হয় মামলাকারির তরফে। ১৯৫১ সালে এই অঞ্চলে মোট জনসংখ্যায় আদিবাসীদের প্রতিনিধিত্ব ছিল ৪৪.৬৭ শতাংশ। ২০১১ সালে তা কমে নেমে এসেছে ২৮.০১ শতাংশে। অন্যদিকে, মুসলিম জনসংখ্যা এই অঞ্চলে ছিল ১৯৫১ সালে ৯.৪৪ শতাংশ। ২০১১ সালের আদমসুমারিতে তা ব্যাপকভাবে বেড়ে ২২.৭৩ শতাংশ হয়ে গিয়েছে। এদের বড় অংশই বাংলাদেশ থেকে আসা মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ বলে অভিযোগ।

    রাজ্যের উদাসীনতা নিয়ে প্রশ্ন

    এক্ষেত্রে, রাজ্য সরকারের উদাসীনতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। রাজ্যের কাছে আদালত জবাব চাইলে এই মামলায় রাজ্যের আইনজীবীর যুক্তি, “অনুপ্রবেশকারীদের সনাক্ত করতে গিয়ে নানান অসুবিধা সম্মুখীন হতে হচ্ছে পুলিশ-প্রশাসন সহ স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে। যা শুনে বেঞ্চ পাল্টা ঝাড়খণ্ড (Jharkhand) প্রশাসনের কাছে জানতে চায়, রাজ্যের বিশেষ কোনও শাখাকে এই কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে না কেন। জেলা প্রশাসনের সমালোচনা করে বেঞ্চ বলে, “জেলা প্রশাসনের অস্বচ্ছ পদ্ধতি এবং কর্মদক্ষতার অভাবের জন্য এই ঘটনা ঘটেছে। রেশন কার্ড, ভোটার কার্ড, আধার কার্ডের নথিগুলোর উপর ভিত্তি করে তথ্যভাণ্ডার তৈরি করলে গাফিলতি হবেই। এই ধরনের নথির উপর ভিত্তি করে অনুপ্রবেশকারীরা রাজ্যের স্থায়ী নাগরিক হওয়ার চেষ্টা করে। এবং সরকারি সুবিধাগুলির ওপর কব্জা জমায়। বেঞ্চ রাজ্যকে নির্দেশ দেয়, অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের (Demography Change) সনাক্তকরণের জন্য বিশেষ শাখা ব্যবহার করতে হবে।

    আরও পড়ূন: নভেম্বরেই রাজ্যসভায় পাশ হবে ওয়াকফ সংশোধনী বিল? আত্মবিশ্বাসী মোদি সরকার

    সংশ্লিষ্ট জেলার ডেপুটি কমিশনারকে ইতিমধ্যে একটি হলফনামা দাখিল করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে অবৈধ অনুপ্রবেশকারী যারা রেশন কার্ড, ভোটার কার্ড বানিয়ে নিয়েছে, তাদেরও চিহ্নিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Khalistani Terrorist: সাফল্য এনআইএ-র, কুখ্যাত খালিস্তানি জঙ্গি তারসেম সিংয়ের প্রত্যর্পণ ভারতে

    Khalistani Terrorist: সাফল্য এনআইএ-র, কুখ্যাত খালিস্তানি জঙ্গি তারসেম সিংয়ের প্রত্যর্পণ ভারতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খালিস্তানি নেটওয়ার্কের বিরুদ্ধে একটি বড় সাফল্য পেল এনআইএ। কুখ্যাত খালিস্তানি জঙ্গি (Khalistani Terrorist) তারসেম সিংয়ের প্রত্যর্পণ হয়েছে ভারতে। ভারত সরকার আগেই এই জঙ্গির বিরুদ্ধে রেড কর্নার নোটিশ জারি করেছিল। সেই সূত্র ধরে গত বছর নভেম্বর মাসে সংযুক্ত আরব আমিরশাহির আবু ধাবিতে ভারত-বিরোধী এই খালিস্তানি জঙ্গিকে পাকড়াও করেছিল ইন্টারপোল। সেখানেই তাঁর এতদিন ট্রায়াল চলছিল। এবার তাঁকে ভারতে হস্তান্তর করা হয়েছে। বর্তমানে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। জানা গিয়েছে, কুখ্যাত খালিস্তানি সন্ত্রাসী হরবিন্দর সান্ধু (রিন্ডা) এবং লখবির সিং (লান্ডা)-এর মূল সহযোগী হিসেবে নাশকতা মূলক কার্যকলাপে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিল তারসেম।

    ২০২৩ সাল থেকে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি ছিল (Khalistani Terrorist)

    জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ (NIA) একটি প্রেস বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, অভিযুক্ত তারসেম সিং (Khalistani Terrorist) পাঞ্জাবের ত্রন তরন জেলার বাসিন্দা। এই দুষ্কৃতী লক্ষবির সিং লান্ডার ভাই। ২০২৩ সালের জুন মাসে তার বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা (এনবিডব্লিউ) জারি হয়েছিল।নভেম্বর মাসে তারসেম সিংকে আবুধাবির আদলাতে তুলেছিল ইন্টারপোল। এরপর তাঁকে ইন্টারপোলের যথাযথ প্রক্রিয়া মেনে ভারতে প্রত্যর্পণ করা হয়েছে। এনআইএ-র দায়ের করা মামলায় ওয়ান্টেড হিসেবে এতদিন ছিল তারসেম। সেইসঙ্গে এই জঙ্গি, বাব্বর খালিস্তান ইন্টারন্যাশনাল (BKI) সন্ত্রাসী সংগঠনের একজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য।

    আরও পড়ুনঃ কৃষকদের রোজগার বাড়াতে বড় উদ্যোগ মোদির, ১০৯ জাতের শস্যের সূচনা

    অর্থ জোগান সহ চোরাকারবারে যুক্ত 

    এনআইএ (NIA) সূত্রে জানা গিয়েছে, খালিস্তানি জঙ্গি (Khalistani Terrorist) তারসেম সক্রিয়ভাবে সান্ধু ওরফে রিন্ডা এবং লান্ডারদের তহবিলে অর্থ সরবরাহের কাজে যুক্ত ছিল। তার বিরুদ্ধে ২০২২ সালের ২০ অগাস্ট, প্রথম স্বতঃপ্রণোদিতভাবে মামলা দায়ের করেছিল এনআইএ। তবে এই মামলাটি ছিল নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনের সদস্যদের সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের সঙ্গে সম্পর্কিত। খালিস্তান লিবারেশন ফোর্স (কেএলএফ), বিকেআই, ইন্টারন্যাশনাল শিখ ইয়ুথ ফেডারেশন (আইএসওয়াইএফ)-এর মতো সংগঠনগুলি যারা, ভারতজুড়ে নাশকতা মূলক কাজ করে, তাদেরকে দমন করতে এনআইএ তদন্ত শুরু করেছিল সেই সময় থেকেই। এই জঙ্গি সংগঠনের সদস্যরা সীমান্তের ওপার থেকে অস্ত্র, গোলাবারুদ, বিস্ফোরক, আইইডি ইত্যাদি পাচার করে অপরাধকে সংগঠিত করার কাজ করত। ভারতের মাটিতে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য অর্থ সংগ্রহ করতে মাদক পাচার, চাঁদাবাজি, হাওয়ালা ব্যবসা সহ ইত্যাদি অসামজিক কাজ করত এই জঙ্গিরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Waqf Bill: নভেম্বরেই রাজ্যসভায় পাশ হবে ওয়াকফ সংশোধনী বিল? আত্মবিশ্বাসী মোদি সরকার

    Waqf Bill: নভেম্বরেই রাজ্যসভায় পাশ হবে ওয়াকফ সংশোধনী বিল? আত্মবিশ্বাসী মোদি সরকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি লোকসভায় ওয়াকফ বিল (Waqf Bill) পেশ করেছে মোদি সরকার। বিল পেশ করেছেন কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজু। এবার রাজ্যসভায় (Rajya Sabha) পেশ হতে চলেছে ওয়াকফ বিল। আগামী নভেম্বর-ডিসেম্বরের অধিবেশনেই বিল পেশ করার কথা ভাবছে সরকার। রাজ্যসভায় এই বিল পাশ করতে হলে সরকারের প্রয়োজন ১২১ সাংসদের সম্মতি। রাজ্যসভায় বিজেপির আসন সংখ্যা এখন ৮৬। এনডিএ-র ১১৭। তবে চারজন মনোনীত সাংসদের পদ এখন ফাঁকা। এই আসন পূরণ হলে বিল পাশ করতে সরকারের খুব একটা সমস্যা হবে না। 

    রাজ্যসভায় প্রয়োজনীয় সমর্থন

    বর্তমানে ৬ জন মনোনীত সদস্য ও ২ জন নির্দল নিয়ে রাজ্যসভায় এনডিএর আসন ১১৭। সেক্ষেত্রে ২৩৭ জনের রাজ্যসভায় (Rajya Sabha) সংখ্যাগরিষ্ঠতার অঙ্ক হচ্ছে ১১৯। গত মাসেই রাজ্যসভায় ৪ মনোনীত সদস্যের আসন ফাঁকা হয়। এই ৪ আসন পূরণ হলে রাজ্যসভায় আসন সংখ্যার মোট অঙ্ক হবে ২৪১। এবার এই ৪ আসনে যাঁরা আসবেন, তাঁরা সাধারণত সরকারকেই সমর্থন করবেন বলে মনে করা হয়। সেক্ষেত্রে সরকারের সমর্থনে থাকবে ১২১ জন সাংসদ। আগামী ৩ সেপ্টেম্বর রয়েছে রাজ্যসভায় ভোট। সেখানে ১২ আসনে ভোট হবে। মনে করা হচ্ছে, এই ভোটে বিজেপি ৭টি আসন পেতে পারে। মনে করা হচ্ছে, মধ্যপ্রদেশ, অসম, ত্রিপুরা, রাজস্থান, ওড়িশা, মহারাষ্ট্র, বিহার থেকে বিজেপি জিতবে। এনডিএতে বিজেপির শরিকরা জিততে পারে বিহার ও মহারাষ্ট্র থেকে। এই অঙ্কের নিরিখে বলা যায় রাজ্যসভায় আগামী দিনে ওয়াকফ বিল (Waqf Bill) পাশ করতে খুব একটা সমস্যায় পড়তে হবে না মোদি সরকারকে।

    আরও পড়ুন: মোদি সরকারের পেশ করা ওয়াকফ সংশোধনী বিলের ৫টি ইতিবাচক দিক কী? জানুন বিশদে

    ওয়াকফ বিল সংশোধনী

    ১৯৫৪ সালে প্রথম ওয়াকফ আইন (Waqf Bill) পাশ হয়েছিল। ১৯৯৫ সালে ওয়াকফ আইনে সংশোধনী এনে ওয়াকফ বোর্ডের হাতে সব ক্ষমতা তুলে দেওয়া হয়। তার পর থেকেই বার বার প্রশ্ন উঠেছে বোর্ডের একচ্ছত্র অধিকার নিয়ে। প্রস্তাবিত সংশোধনটি গ্রাহ্য হলে এর পর থেকে আইনটির নতুন নাম হবে ‘ইউনিফায়েড ওয়াকফ ম্যানেজমেন্ট, এমপাওয়ারমেন্ট, এফিশিয়েন্সি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অ্যাক্ট’। এই বিলে পুরনো আইনটিতে ৪৪টি সংশোধন আনার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। তবে সংশোধনের মূল লক্ষ্য হল একটি কেন্দ্রীয় পোর্টালের মাধ্যমে ওয়াকফ সম্পত্তির নথিভুক্তিকরণ নিয়ন্ত্রণ করা। এ ছাড়াও প্রস্তাবিত অন্যান্য সংশোধনগুলির মধ্যে রয়েছে একটি কেন্দ্রীয় ওয়াকফ কাউন্সিলের পাশাপাশি প্রতি রাজ্যে ওয়াকফ বোর্ড গঠন, যেখানে মুসলিম মহিলা এবং অমুসলিমদের প্রতিনিধিত্ব থাকবে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Mutual Funds: হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের নয়া আক্রমণের নিন্দা মিউচুয়াল ফান্ড সংগঠনের

    Mutual Funds: হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের নয়া আক্রমণের নিন্দা মিউচুয়াল ফান্ড সংগঠনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সেবির (SEBI) চেয়ারপার্সন মাধবী পুরি বুচ ও তাঁর স্বামী ধবল বুচের ওপর হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের নয়া আক্রমণের নিন্দা করেছে অ্যাসোসিয়েশন অফ মিউচুয়াল ফান্ড (Mutual Funds) ইন ইন্ডিয়া। জানা গিয়েছে, রেগুলেটরের চেয়ারপার্সন সম্পর্কে মন্তব্য শুধু যে ভারতীয় ক্যাপিটেল মার্কেটে মাধবী বুচের অবদানকে ছোট করে তা নয়, তা ছোট করে আমাদের দেশের অর্থনৈতিক উন্নতিকেও। এভাবে তারা মার্কেট ইকোসিস্টেমে একটা বিশ্বাসযোগ্যতার অভাব তৈরি করতে চাইছে। বর্তমানে ম্যানেজেমেন্টের অধীনে রয়েছে প্রায় ৬৫ লাখ কোটি টাকার সম্পদ।

    এএমএফআইয়ের সাবধানবাণী (Mutual Funds)

    অ্যাসোসিয়েশন অফ মিউচুয়াল ফান্ড ইন ইন্ডিয়ার সাবধানবাণী, অভিযোগ যদি পরীক্ষিত না হয়, তাহলে তা অযাচিতভাবে বিশ্বের দ্রুত বৃদ্ধির অর্থনীতির রাস্তায় বাধা হয়ে দাঁড়ায়। হিন্ডেনবার্গের দাবিতে সারবত্তা কিছু নেই। ভারতের রেগুলেটরি পরিবেশ বোঝার অভাব রয়েছে। তারা আমাদের দেশের কঠোর অর্জিত অর্জনগুলিকে ধ্বংস করার চেষ্টা করে (Mutual Funds)।

    এএমএফআইয়ের দাবি

    এএমএফআইয়ের দাবি, ভারতের বাজার পরিকাঠামো অনেক বেশি শক্তিশালী (Mutual Funds)। তারা সমস্ত স্টেকহোল্ডারকে আস্থা রাখতে বলেছে। একটা সময় ধরে নিয়ন্ত্রক একটি ভালো কার্যকরী বাজার তৈরি করেছে যা স্থানীয় ও বিশ্বব্যাপী উভয় বিনিয়োগকারীদের বিশ্বাস অর্জন করেছে। এসবই সম্ভব হয়েছে সেবির বর্তমান চেয়ারপার্সনের নেতৃত্বে নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের মাধ্যমে। স্বামীর সঙ্গে দেওয়া যৌথ বিবৃতিতে মাধবী বুচ তাঁদের বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে উল্লেখ করেছেন। ব্যাঙ্কার থেকে রেগুলেটর বনে যাওয়া মাধবীর সঙ্গে বাণিজ্যিক কোনও সম্পর্ক নেই বলেই দাবি আদানি গ্রুপের।

    আরও পড়ুন: আরব সাগরে ডুব, সাবমেরিনের চড়ে দ্বারকা দর্শনের সুযোগ

    এএমএফআই জানিয়েছে, বর্তমান সেবি চেয়ারপার্সনের নেতৃত্বে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। সেবির বিধিগুলি মিউচুয়াল ফান্ডকে সব চেয়ে স্বচ্ছ ও কার্যকর পণ্য করেছে। হিন্ডেনবার্গের বিরুদ্ধে তাঁদের খ্যাতি (SEBI) কলঙ্কিত করার অভিযোগ করেছেন মাধবী ও তাঁর স্বামী ধবল বুচ (Mutual Funds)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Tourist Submarine Adventure: আরব সাগরে ডুব, সাবমেরিনের চড়ে দ্বারকা দর্শনের সুযোগ

    Tourist Submarine Adventure: আরব সাগরে ডুব, সাবমেরিনের চড়ে দ্বারকা দর্শনের সুযোগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একেই বোধহয় বলে এক যাত্রায় পৃথক ফল! তীর্থদর্শনে গিয়ে মিলবে সাবমেরিনের (Tourist Submarine Adventure) চড়ার অভিজ্ঞতা। আজ্ঞে হ্যাঁ, এমনই ব্যবস্থা চালু হতে চলেছে গুজরাটে (Dwarka)। দেশের মধ্যে প্রধম।

    সাবমেরিনে চড়ে দ্বারকা দর্শন (Tourist Submarine Adventure)

    হিন্দুদের কাছে অতি পবিত্রস্থান দ্বারকা। কথিত আছে, এক সময় দ্বারকার রাজা ছিলেন ভগবান শ্রীকৃষ্ণ। কালের গর্ভে তলিয়ে গিয়েছে সেই নগরী। এবার সেই নগরীই সাবমেরিনে চড়ে ঘুরে দেখতে পারবেন পুণ্যার্থী এবং ভ্রমণ পিপাসুরা। এজন্য গুজরাট সরকার মাজাগন ডক শিপবিল্ডার্সের সঙ্গে মউ স্বাক্ষর করেছে। চলতি বছরের অক্টোবরে রয়েছে দীপাবলি। সেদিন থেকেই চালু হওয়ার কথা সাবমেরিনে চড়ে দ্বারকা দর্শন। গুজরাট সরকারের এহেন উদ্যোগ ভারতে প্রথম।

    পর্যটন শিল্পে জোর নরেন্দ্র মোদির

    ক্ষমতায় এসেই পর্যটন শিল্পের ওপর জোর দিয়েছে নরেন্দ্র মোদির সরকার। দেশের তীর্থস্থানগুলিকে এক সুতোয় বাঁধতে চালু হয়েছে ট্রেন যাত্রা। ঐতিহাসিক যেসব জায়গার গায়ে ধর্মীয় কোনও উপাখ্যান জড়িয়ে রয়েছে, সেই সব জায়গায় পর্যটনে জোর দিয়েছে মোদি সরকার। এরকমই একটি জায়গা হল দ্বারকা। বর্তমানে এই নগরী রয়েছে আরব সাগরের গর্ভে। এখানেই আধ্যাত্মিক পর্যটনের ব্যবস্থা করতে চলেছে গুজরাটের বিজেপি সরকার। জানা গিয়েছে, ডুবো জাহাজে (Tourist Submarine Adventure) করেই দ্বারকা নগরী ঘুরে দেখবেন পর্যটকরা। দর্শন শেষে ফিরে আসবেন পাড়ে।

    আরও পড়ুন: কৃষকদের রোজগার বাড়াতে বড় উদ্যোগ মোদির, ১০৯ জাতের শস্যের সূচনা

    মোদি জমানায় ভারত সম্পর্ক আগ্রহ বেড়েছে তামাম বিশ্বের। তার প্রমাণ, ইদানিং ভারত-দর্শনে আসছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানুষ। ২০১৪ সালের পর থেকে এই সংখ্যাটা একলপ্তে বেড়ে গিয়েছে অনেকখানি। বিদেশের পাশাপাশি বিভিন্ন জায়গায় দেশীয় পর্যটকের সংখ্যাও বাড়ছে। চলতি বছর জানুয়ারি-জুন মাসে ভারতে আসা বিদেশি পর্যটকের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৩.৮০ লাখ। ২০২২ সালের এই সময় সংখ্যাটা ছিল ২১.২৪ লাখ। শতাংশের বিচারে বৃদ্ধির হার ১০৬।

    তীর্থস্থান দর্শনে যে আগের চেয়ে মানুষের আগ্রহ বেড়েছে, তার প্রমাণ বারাণসী, অযোধ্যা ও প্রয়াগরাজে ক্রমবর্ধমান পর্যটকের সংখ্যা। গত এক বছরের ব্যবধানে এই তীর্থস্থানগুলি ভ্রমণ করেছেন ১৪ কোটি মানুষ। পর্যটক মন্ত্রকের মতে, ২০২২ সালে ভারতে ধর্মীয় পর্যটনে অংশ নিয়েছিলেন ১,৪৩৯ মিলিয়ন মানুষ (Dwarka)। ২০২১ সালের ৬৭৭ মিলিয়নের দ্বিগুণেরও বেশি (Tourist Submarine Adventure)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share